গতকাল মঙ্গলের আবালপুর, যেটি মন্ত্রীপাড়া বলে পরিচিত, সেখানে একটি বিল্ডিং ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্টাররা সেখানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মদনচান বালেচিড়কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ছয়তলা বিল্ডিংটির যে তলাতে মন্ত্রী থাকতেন সেখান থেকে বিল্ডিং ধ্বসের ঠিক আগে বিকট শব্দে একটি পাদের আওয়াজ পাওয়া যায়। একই সাথে তৃতীয় তলায় একজন তরুনের মোবাইল ফোন ভাইব্রেট করে। এই দুই ঘটনা বিল্ডিংটি ধ্বসে পড়ার পেছনে কোন হাত রেখছে কী না সেই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের তদন্ত চলছে। কোন হোটেল থেকে পুরি খেয়ে ভুড়ি গজানোর কারনে এতবড় পাদ তৈরীর খাদ মন্ত্রীর পেটে তৈরী হল, সমস্ত বৈরী অবস্থা পেড়িয়ে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আমরা সেই হোটেলের কালপ্রিট বাবুর্চি এবং মালিককে বের করব। এবং তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মদনচান বালেচিড় আরো বলেন, সেই তরুনের কাছে আসা মোবাইল কলটি আমরা ট্রেস করতে চেষ্টা করছি। কেন তার কাছে ঐ সময় কল আসল, কে দিল এই ব্যাপারে আমাদের তদন্ত চলছে। কলপ্রদানকারী ব্যাক্তিটি কোন কলগার্ল কী না সে আশঙ্কাও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। কলপ্রদানকারী ব্যাক্তি যেই হোক, সে যে দলেরই হোক, যে চেহারারই হোক, আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

অপর আরেক মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যাদের খাবার খেয়ে মন্ত্রীর পেট থেকে ঐ বিশেষ গ্যাসের সৃষ্টি তাদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করুব। প্রয়োজনে আমরা আইন সংশোধন করব। আমাদের সরকার পাদবিরোধী সরকার। জনগনকে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, আমাদের সরকারের লক্ষই হল একটি পাদবিরোধী দেশ গড়ে তোলা। সোনার মঙ্গল গড়তে আসুন আমরা পাদ বর্জন করি। আমাদের স্লোগানঃ এন্টাসিড খান, এগিয়ে যান।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে, যে পাদ মেরেছে সে আসলে বিল্ডিং-এর কেউ নয়। বাড়িতে ফাঁকা থাকা একটি ফ্ল্যাটের মালামাল চুরি করতে গিয়ে সে ফ্ল্যাটে বিভিন্ন জিনিসের সাথে প্রচুর খাবার দেখতে পায় ডাইনিং টেবিলে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমানে ফাস্ট ফুড বিশেষ করে পুরি, সিঙাড়া ছিল। খাবার খেয়ে সে যখন বাড়ি সাফা করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত ছিল তখনই তার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ঐ গ্যাসেরই ফলাফল আজকের এই ট্র্যাজেডি।

আমাদের সরকার থেকে কয়েকটা ঘোষনা আমি দিতে চাই। পুরি এবং সিঙারা নামক দেশদ্রোহী এই দুটি খাবার আজকে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হল। আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্ত ঔষদের জন্য আমাদের সরকার বিশেষ মূল্য ছাড় ঘোষনা করল। আমরা চাই না, পাদের মত মারনাস্ত্র আর কোন নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিক।”

বিরোধী দলীয় নেতা ম্যাডাম গোলাপি পিয়া বলেছেন, “এই সরকার একটি পাদের সরকার! আমি জনগনের কাছে আবেদন করব, আপনারা চিনে নিন এদেরকে। চিনে নিন, কারা পাদ দেয়, কারা পাদ দেয় না। আমার দল, বহুদলীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এখানে পাদাপাদির কোন স্থান নেই। আমাদের দলের স্থপতি, প্রচুর খাল কেটেছেন। পাদ দেন নি।”

হেফাজতে পিছলামির আমির, দেশের অবিসংবাদিত আধ্যাত্মিক নেতা ছাহ আহমদ ছহি বোগদাদী বলেছেন, “এই সরকার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আস্ফালন করা সরকার। সেইজন্যই ঈশ্বর তার দূত মারফাত একটিমাত্র পাদ নাজিল করে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এটি সরকারের উপরে ঈশ্বরের গজব।
এই একটি পাদের ভর সইতে না পেরে গোটা বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে। বুঝে দেখুন ঈশ্বর হাগু করলে কী অবস্থা হবে!”

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিল্ডিং থেকে একটি ব্যাটা শুয়োর এবং একটি মাদি শুয়োড় উদ্ধার করা হয়েছে। আর কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সেখানকার উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন।

প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিবাদঃ কিছুক্ষন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মদনচান বালেচিড় বলেছেন, আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, যে পাদের শকওয়েভে বিল্ডিংটি ভেঙেছে সে পাদটি মন্ত্রীসাহেব না দিলেও পারতেন। এমন একটি বিশ্বমানের ইমারতে বসে এমন বিকট পাদ দেয়াতো দূরের কথা ভাবাটাই অমানবিক। মন্ত্রী বলেনঃ “গণমাধ্যমে আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। একজন জাতীয় নেতার বক্তব্য বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন না করলে দেশে যে কত বড় বিশৃঙ্খলা আসতে পারে, আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করাই এর প্রমাণ। দয়া করে বিকৃতভাবে সংবাদ উপস্থাপন করে দুষ্কৃতকারীদের সহায়ক হবেন না।”

সাইফুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক পাদম