গতকাল মঙ্গলের আবালপুর, যেটি মন্ত্রীপাড়া বলে পরিচিত, সেখানে একটি বিল্ডিং ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্টাররা সেখানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মদনচান বালেচিড়কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ছয়তলা বিল্ডিংটির যে তলাতে মন্ত্রী থাকতেন সেখান থেকে বিল্ডিং ধ্বসের ঠিক আগে বিকট শব্দে একটি পাদের আওয়াজ পাওয়া যায়। একই সাথে তৃতীয় তলায় একজন তরুনের মোবাইল ফোন ভাইব্রেট করে। এই দুই ঘটনা বিল্ডিংটি ধ্বসে পড়ার পেছনে কোন হাত রেখছে কী না সেই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের তদন্ত চলছে। কোন হোটেল থেকে পুরি খেয়ে ভুড়ি গজানোর কারনে এতবড় পাদ তৈরীর খাদ মন্ত্রীর পেটে তৈরী হল, সমস্ত বৈরী অবস্থা পেড়িয়ে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আমরা সেই হোটেলের কালপ্রিট বাবুর্চি এবং মালিককে বের করব। এবং তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মদনচান বালেচিড় আরো বলেন, সেই তরুনের কাছে আসা মোবাইল কলটি আমরা ট্রেস করতে চেষ্টা করছি। কেন তার কাছে ঐ সময় কল আসল, কে দিল এই ব্যাপারে আমাদের তদন্ত চলছে। কলপ্রদানকারী ব্যাক্তিটি কোন কলগার্ল কী না সে আশঙ্কাও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। কলপ্রদানকারী ব্যাক্তি যেই হোক, সে যে দলেরই হোক, যে চেহারারই হোক, আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
অপর আরেক মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যাদের খাবার খেয়ে মন্ত্রীর পেট থেকে ঐ বিশেষ গ্যাসের সৃষ্টি তাদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করুব। প্রয়োজনে আমরা আইন সংশোধন করব। আমাদের সরকার পাদবিরোধী সরকার। জনগনকে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, আমাদের সরকারের লক্ষই হল একটি পাদবিরোধী দেশ গড়ে তোলা। সোনার মঙ্গল গড়তে আসুন আমরা পাদ বর্জন করি। আমাদের স্লোগানঃ এন্টাসিড খান, এগিয়ে যান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে, যে পাদ মেরেছে সে আসলে বিল্ডিং-এর কেউ নয়। বাড়িতে ফাঁকা থাকা একটি ফ্ল্যাটের মালামাল চুরি করতে গিয়ে সে ফ্ল্যাটে বিভিন্ন জিনিসের সাথে প্রচুর খাবার দেখতে পায় ডাইনিং টেবিলে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমানে ফাস্ট ফুড বিশেষ করে পুরি, সিঙাড়া ছিল। খাবার খেয়ে সে যখন বাড়ি সাফা করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত ছিল তখনই তার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ঐ গ্যাসেরই ফলাফল আজকের এই ট্র্যাজেডি।
আমাদের সরকার থেকে কয়েকটা ঘোষনা আমি দিতে চাই। পুরি এবং সিঙারা নামক দেশদ্রোহী এই দুটি খাবার আজকে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হল। আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্ত ঔষদের জন্য আমাদের সরকার বিশেষ মূল্য ছাড় ঘোষনা করল। আমরা চাই না, পাদের মত মারনাস্ত্র আর কোন নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিক।”
বিরোধী দলীয় নেতা ম্যাডাম গোলাপি পিয়া বলেছেন, “এই সরকার একটি পাদের সরকার! আমি জনগনের কাছে আবেদন করব, আপনারা চিনে নিন এদেরকে। চিনে নিন, কারা পাদ দেয়, কারা পাদ দেয় না। আমার দল, বহুদলীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এখানে পাদাপাদির কোন স্থান নেই। আমাদের দলের স্থপতি, প্রচুর খাল কেটেছেন। পাদ দেন নি।”
হেফাজতে পিছলামির আমির, দেশের অবিসংবাদিত আধ্যাত্মিক নেতা ছাহ আহমদ ছহি বোগদাদী বলেছেন, “এই সরকার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আস্ফালন করা সরকার। সেইজন্যই ঈশ্বর তার দূত মারফাত একটিমাত্র পাদ নাজিল করে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এটি সরকারের উপরে ঈশ্বরের গজব।
এই একটি পাদের ভর সইতে না পেরে গোটা বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে। বুঝে দেখুন ঈশ্বর হাগু করলে কী অবস্থা হবে!”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিল্ডিং থেকে একটি ব্যাটা শুয়োর এবং একটি মাদি শুয়োড় উদ্ধার করা হয়েছে। আর কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সেখানকার উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন।
প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিবাদঃ কিছুক্ষন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মদনচান বালেচিড় বলেছেন, আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, যে পাদের শকওয়েভে বিল্ডিংটি ভেঙেছে সে পাদটি মন্ত্রীসাহেব না দিলেও পারতেন। এমন একটি বিশ্বমানের ইমারতে বসে এমন বিকট পাদ দেয়াতো দূরের কথা ভাবাটাই অমানবিক। মন্ত্রী বলেনঃ “গণমাধ্যমে আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। একজন জাতীয় নেতার বক্তব্য বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন না করলে দেশে যে কত বড় বিশৃঙ্খলা আসতে পারে, আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করাই এর প্রমাণ। দয়া করে বিকৃতভাবে সংবাদ উপস্থাপন করে দুষ্কৃতকারীদের সহায়ক হবেন না।”
সাইফুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক পাদম
হাসতে হাসতে আমি ফিট :hahahee:
ভালোই পচাইলেন। মন টা খারাপ ছিল, লেখাটা পড়ে হেসেছি। হাসতেই আছি 😀 :lotpot: :hahahee: :rotfl:
“এই একটি পাদের ভর সইতে না পেরে গোটা বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে।
বুঝে দেখুন ঈশ্বর হাগু করলে কী অবস্থা হবে!””-এর পরেও কি অবিশ্বাসীরা ঈশ্বরের ক্ষমতাকে ভয় পাবে না?
ফিরে আসবে না সত্যের পথে?
আমি আপনার এই পোস্ট নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছিনা কেননা এই পোস্টটা আমার খুব একটা উঁচুমানের কিছু মনে হয়নি। কিন্তু আপনার পুর্বতন কন্ট্রোভার্শিয়াল পোস্টটা যেটিতে কিনা মহামান্য মুক্তমনা মডারেটর থাবা বসিয়েছিলো, সেটি সম্পর্কে আমার অনেক কিছু বলার আছে। পোস্টটির সঙ্গে আমি এতো বেশীই একমত যে সর্বপ্রকার শালীনতা কিংবা অশালীনতার নিকুচি করেই এর প্রতি আমি জানাচ্ছি ১০০% সমর্থন। বমি বহমান শিয়ালকে বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কোন কারণ রয়েছে এই কথা যারা মনে করে, বলাই বাহুল্য তাদের প্রতিই থাকলো বরং আমার করুণা। শিয়ালমামা ওরফে আশ্রমমামা নির্লজ্জভাবে একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মেরুদন্ডহীন চামচামী করে থাকে এবং প্রচার করে থাকে নাস্তিক ও মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে অবাধ মিথ্যাচার ও শত্রুভাবাপন্নতা । অথচ এই নরাধম চটিধামা শিয়ালমামাকে উতসর্গ করে যখন পোস্ট লিখেন অভিজিত রায়, তখন আসলেই মনে প্রশ্ন জাগে আমাদের দেশটা ঠিক যাচ্ছে কোথায় (আমি নিশ্চিত তিনি বুঝেছিলেন কতো বড়ো ভুল যে তিনি করেছিলেন)??!! তবে এইটা আমি অস্বীকার করবো না যে ছোকড়া ভালোই গতর খাটিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও এর ইতিহাসকে এভিডেন্সভিত্তিকভাবে জনসম্মুখে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। কিন্তু তথাপিও শিয়ালমামা কি আরও একশোটা কারণে অবর্জনার স্তুপে পতিত হতে পারেনা? যাই হোক, বটমলাইন হছে শিয়ালমামা গঙ্গের সাথে মুক্তমনার কখনই সন্ধি হতে পারে না, ঠিক যেমনভাবে কিনা এদের সন্ধি হতে পারেনা হেফাজতে ইসলাম ও জামাতে ইসলামের সঙ্গে। এরা আমাদের অজাতশত্রু, রিজন যদি হয়ে থাকে আমাদের বন্ধু এবং পাথেয় তবে শিয়ালমামারা সংজ্ঞাগতভাবেই আমাদের আজাতশত্রু। আমি আমার মুক্তমনা জীবনের প্রথমদিকে একদা শ্রদ্ধেয় আকাশ মালিকের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়েছিলাম চটিশিয়ালের আগরবাগর কথাবার্তাকে তিনি প্রমোট করছিলেন বলে (আমি নিশ্চিত বর্তমানে তিনিও জানেন কতো বড়ো ভুল তিনি করেছিলেন)! যদিও সেই সময় আশ্রম মামা সম্পর্কে সম্পুর্ণ অবগত আমি ছিলাম না, তবে আমি ঠিকই অনুমান করতে পেরেছিলাম যে এই ব্যক্তি নিছকই একজন নির্লজ্জ হঠকারী বৈ কিছু নয়। চটিশিয়ালেরা নিপাত যাক, ডেথ টু চটি শিয়ালস।।
@আল্লাচালাইনা,
আবার আপনি নিজেই স্বীকার না করে পারলেন না যে-
পাঠকেরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি বা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পড়েনি তারা অমির এই অবদানকে চিরদিন স্মরণ করবে। ব্লগ জগতের দুইজন মানুষ যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাত শিবিরের আতংক হিসেবে পরিচিত। একজন হাসান মাহমুদ (ফতেহ মোল্লা) অপরজন অমি রহমান পিয়াল। দোষে-গুণে মানুষ থাকবে কেউই তুলশী পাতা নন, সমালোচনার উর্ধে নন। আপনার সাথে তর্ক হয়েছিল মনে আছে তবে ঠিক কোন লেখাটায়, এখন আর মনে পড়ছেনা। অমির এই লেখাটা মুক্তমনায় দিয়েছিলাম, পক্ষে বিপক্ষে অনেক তর্ক হয়েছে, আপনার মন্তব্য দেখছিনা। যাক, অমিকে ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা, অমির সাথে তার লেখা থেকেই পরিচয়। অন্ধভাবে ব্যক্তি আনুগত্য বা ভক্তি শ্রদ্ধার ব্যাপার নয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির সীমাহীন মিথ্যাচার, প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে তিনি যে লড়াই করে যাচ্ছেন সেটাই দেখেছি।
লেখালেখি এমনিই প্রায় বাদ দিয়ে দিছি, কারো লেখায় মন্তব্য করতেও আজকাল ভাল্লাগেনা। কোন তর্কে যাওয়ার ইচ্ছে নেই, আপনি কথাটা তুলেছেন বিধায় এখানে ফেইসবুকে অমি রহমানের বছরখানেক আগের একটি স্ট্যাটাস তোলে দিলাম-
‘কিরে টিক্কা! হালায় বুড়া বয়সে নবীনানন্দ সাইজা বইছো?’- ডায়লগটা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের। শৈশবের প্রিয় বিনোদনটা মনে পড়লো আসলে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে। আমার পুরানো সহপাঠিদের (এদের সবাইকে আমি বন্ধু বলবো না) অনেকেই আমার এখনকার এই পরিচয়ের সঙ্গে অপরিচিত, এই অবস্থান তাদের বিস্মিত করতে পারে। মানে আমিই অমি রহমান পিয়াল! দীর্ঘদিন ধরে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা শৈশবের বন্ধু মাহবুব ফরিদও এই বিভ্রান্তদের একজন ছিলো। তো হঠাৎই ভানু স্মরণের কারণ সম্প্রতি কিছু পোলাপাইন আমারে খুব পছন্দ করা শুরু করছে। আমি যাই লিখি তাই দেখি তাদের ভালো লাগে। এদের কয়েকজন আলাদাভাবে অনুমতি চাইছে আমার একটা ফ্যান ক্লাব খোলার জন্য।
প্রস্তাবটায় আমার খুশী হওয়া উচিত ছিলো। কারণ ফেসবুকে আমার পরিচিত যাবতীয় প্রতিষ্ঠিত লেখকেরই ফ্যান ক্লাব আছে। এবং এদের প্রায় সবাই নিজেরাই নিজেদের ফ্যান পেইজ খুইলা লোকজনরে ইনভাইট করছে তাদের ফ্যান হওয়ার জন্য। এ নিয়া একসময় ব্লগে ব্যাপক হাসাহাসিও হইছে, ব্যাপক মজাও নিছি। তো এমন চমৎকার প্রস্তাবে আমি খুশী হওয়ার বদলে কষ্ট পাইছি। বিনয়ের সঙ্গেই প্রত্যাখান করছি তাদের প্রস্তাব। একেবারে অহেতুক না অবশ্য। কারণ আমি চাই না এই উঠতি তরুণগুলোর আস্থা এবং বিশ্বাস কোনো কারণে ধাক্কা খাক। এরা আমারে চেহারা দেখে পছন্দ করে নাই। লেখা পড়ে করছে। তাদের বিশ্বাস হইতেছে এই লোক সত্যিই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কমিটেড। তার পরিশ্রম একটু শ্রদ্ধা পাইতেই পারে। কিন্তু এই পছন্দ নেপথ্য লোকটার সম্পর্কে একটা মিথের জন্ম দিতেছে। সেই ভুলটা ভাঙাইতেই আমার এই নোট এবং সত্যভাষণ।
অমি রহমান পিয়ালের বয়স ২৫ বছর মাত্র! আমার আঠারো বছরের ছোট সে। তাইলে আমি কে! জন্মের সময় বাপে হাউশ কইরা একটা নাম রাখছিলো সাইফুর রহমান। মেট্রিক সার্টিফিকেট পর্যন্ত এমনটাই ছিলো। ঢাকা কলেজে ঢোকার পর একটু স্মার্ট করলাম। তখন ডিও-রেইনবো শুনি, সাইফ-উর-রহমান। ইন্টারমিডিয়েটের সার্টিফিকেটে এভাবেই উঠলো নাম। ক্যাচালে পড়লাম মেডিকেলে ভর্তির সময়। ওই দু্ইটা ড্যাশের কারণে এফিডেভিট আনতে হইলো। ঝামেলা হইলেও জিনিসটা আমার পছন্দ হইছে। আইন আসলেই ভালো জিনিস! ভীষণ সহায়।
তো ওই যে পিতৃপ্রদত্ত নাম, ওইটা আমার পোষাকী নামই ছিলো। আমারে মহল্লা থেকে শুরু করে মেডিকেল পর্যন্ত কেউ সে নামে সম্বোধন করে নাই। পিয়াল নামেই চিনে সবাই, ডাকছে সবাই। ছাত্র ভালো ছিলাম, ফাইভ এইটের বৃত্তি, এসএসসি-এইচএসসির পর কৃতিছাত্র নামে সিঙ্গেল কলাম বিজ্ঞাপন গেছে ইত্তেফাকে। কিন্তু মেডিকেল আমার লাইফের এক টার্নিং পয়েন্ট। ড্রাগসের খপ্পরে পড়লাম। ওই ভালো ছেলে-মেয়েদের আখড়ায় ভীষণ বেমানান এক মুখ হিসেবে পরিচিতি পাইলাম যা আমার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা ছিলো না। কি কারণে এই মাদকাসক্তি আর কিভাবে উদ্ধার পাইলাম এ নিয়া বিস্তারিত অভিজ্ঞতার বর্ণনা ব্লগ জীবনের শুরুতেই শেয়ার করছি। এখনও আছে সেগুলা সামুতে।
প্রাসঙ্গিক কারণে সংক্ষেপে শুধু এইটা বলি কাউরে উছিলা দেখাইয়া খারাপ হওয়ার অজুহাত দেওয়া আমার কাছে অত্যন্ত আপত্তিকর একটা চর্চা বইলা মনে হয়। যদিও ওই বয়সে ওইটাই আমার কাছে স্বান্তনা হিসেবে চমৎকার কাজ দিছে। সে সময়টায় এসএমএস কিংবা মেইল তো ছিলো না। তাই চিঠি চালাচালি ভরসা। তাও ছদ্মনামে। আমার প্রথম চিঠিটায় ইতিতে লেখছিলাম ‘আমি’। সেটা ফিরতি পত্রে অমি হইয়া আসলো। খারাপ লাগলো না। ওইটা ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। অমি রহমান পিয়াল জন্ম নিলো। তার কবিতা সাপ্তাহিক রোববারে ছাপা হয়, গল্প ছাপে রহস্য পত্রিকা। মোটামুটি ভালোই গিটার বাজায়। প্রচুর পড়ে। সাইফ সাব পিনিক করে, আর সে ওইটার কাফফারা দেয় পেপারব্যাকে। তবে পাঠ্যবই দুজনেরই অপছন্দ। এইভাবে আদুভাই হইয়া যাইতে হয় তারে। লাইফলাইন যেটা পাইছিলো, সেটাও নষ্ঠ হয় এক শিক্ষক-তনয়রে নির্মম প্রহারে। অতএব চতুর্থবর্ষ এমবিবিএসই পড়াশোনার ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয় সে। একই সঙ্গে হত্যা করে সাইফ-উর-রহমানরে। নতুন পরিচয়ে জুড়ে যায় শুধু পিয়াল নামটা। আমার একক স্বত্তা হিসেবে। অতীতের একমাত্র চিহ্ন এবং প্রমাণ হিসেবে।
ঢাকায় আসার পর সদ্য খোলা প্রথম আলো দিয়া তার নতুন জীবন শুরু। অমি রহমান পিয়াল শিশু থেকে বালক হয়ে ওঠে। পুরাপুরি শাপমুক্তির পর এবার এফিডেভিট। সাইফ-উর-রহমান কবরে চলে যায়। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, বিয়ার কাবিন, ব্যাংক একাউন্ট থেকে সবকিছুই অমি রহমান পিয়াল। আইনগতভাবে সিদ্ধ।
অমি রহমান পিয়াল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখে। ব্লগে শুরু যা এখন ফেসবুকেও ব্যাপ্তি পাইছে। তার একটাই আন্দোলন-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। একটাই স্বপ্ন- মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের খোজ পাওয়া এবং উত্তর প্রজন্মের জন্য তা প্রকাশ। তার একটাই আদর্শ- বাঙালী জাতীয়তাবাদ, আমরা যেন দেশটারে ভালা পাই, দেশের পরিচয়ে গর্বিত হই। উন্নত দেশের তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক যাপনের চেয়ে গরীব দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বুক চিতাইয়া হাঁটি।
কিন্তু তারপরও আমার পিছনে নামাজ পড়া ঠিক হবে না। কারণ আমার গর্ব করার মতো কোনো অর্জন নাই। আমি শিক্ষিত না (এইচএসসি পাস)। অথচ ভারি ভারি জিনিস নিয়া নাড়াচড়া করি। এতে অনেকেই নিজেরে বিপন্ন ভাবতে পারে। তাগো সবাইরে নিশ্চয়তা দিয়া বলি আমার উপর-আল্লাহর কসম– আমার নেতা হওয়ার খায়েশ নাই। আমি বুদ্ধিজীবির কাতারে নাম লেখাইতে চাই না। বেস্টসেলার লেখক হিসেবে আয়নায় নিজেরে কল্পনা করি না। আমি কোনো খানকা শরীফ খুইলা বায়াত দিতে চাই না। আমি জীবনেও ইলেকশন করবো না। এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার দূর কি বাত। আমি একলা ফাইটার, এমন একটা ফাইটে আছি যেখানে লোকজনরে সংশ্লিষ্ট করার সুযোগ নাই। আমি নিজেরে উৎসর্গ করছি সে লড়াইয়ে। আমি যুদ্ধের জন্য নির্দ্বিধায় কাদায় নামতে পারি। পর্ণসাইটে গিয়া লোকজনরে মিছিলের ডাক দিতে পারি। এজন্য আমারে যদি পর্ণস্টার গালি শুনতে হয়, আমি একটুও লজ্জা পাই না। ভবিষ্যত নিয়া ভাবি না। নিজের কিংবা পরিবারের।
কি এমন লড়াই, যা আমারে একলা লড়তে হয়! নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই। আমার সঙ্গে আমার। এবং প্রতিজ্ঞাপূরণেরও। অমির হাতে সাইফের রক্ত লেগে আছে। একজন কাপুরুষরে হত্যায় কোনো পাপ নাই, তারপরও সেই স্মৃতি তারে দিশেহারা রাখে। অনেককাল আগে কোনো এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সাইফ পালাইছিলো। সেই যুদ্ধে শপথ ছিলো, এক শহীদ জননীর চরণ ছুয়ে নেওয়া শপথ। সেই যুদ্ধে রক্ত ছিলো,বুলেট এবং লাশও ছিলো। ভীতু সাইফ যুদ্ধ ছেড়ে মাঝপথে পালাইছিলো, নেশার আড়ালে লুকাইতে চাইছিলো। অমি তারে হত্যা করে সেই অনুশোচনা থেকে মুক্তি দিছে পিয়ালরে। তারপর থেকে সে যুদ্ধে আছে। শত অপমান, শত অপবাদেও শেষ শ্বাসটা পর্যন্ত সে যুদ্ধে থাকবে। সেই যুদ্ধে সে কারো সমর্থন কিংবা সহযোগ আশা করে না। প্রত্যাশা যদি কিছু থাকে, সেটা তারে কেউ আইডল না ভাবুক। সে চেষ্টা করে সৎভাবে লেখালেখির। অন্তত তার ভাবনাটুকু সৎভাবে প্রকাশের। সে মাথা বিক্রি করে নাই, করবেও না। ওইটুকুরে শ্রদ্ধা করলেই হবে, মানুষটা যত ঘৃণ্যই হোক।
পাদটীকা: অনেক বছর পর ক্যাম্পাসে পা দিবো। অমি রহমান পিয়াল নিশ্চিত জানে সাইফের প্রেতাত্মা তারে এতটুকু জ্বালাবে না, চাইলেও পারবে না।
পুনশ্চঃ আসিফ সম্মন্ধে অমির মন্তব্য যেমন সমর্থন করিনা তেমনি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে তাকে শিয়াল বিড়াল ডাকাও মেনে নিতে পারিনা। অমি জামাত শিবিরের অন্তরআত্মা কাঁপিয়ে দেয়ার সিংহরূপী ভয়ংকর এক স্বত্তা।
@আকাশ মালিক,
দালালের হয়ে দালালী করবেন না আমার পোস্টে। অন্যত্র জায়গা খুজুন।
পিয়ালকে শিয়াল বলে ডাকা যদি মানতে না পারেন তাহলে মুক্তমনায় মোহাম্মদেকে যেসমস্ত কুৎসিত নামে ডাকা হয়েছে সেখানে আমার পোস্টের মতন বিদ্রোহী না হওয়ার জন্য কানে ধরে মাফ চেয়ে পোস্ট দিন। তারপরে বিবেচনা করব আপনার মুখে ভদ্রতা আর সততা শিখব কি শিখব না।
@আল্লাচালাইনা,
দালালের পাঠ করা কালেমাও আমি বিশ্বাস করি না। কেউ করতে চাইলে করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যে দালালের সরবরাহ করা দলিল থেকে জানতে চায় তার ইচ্ছাকে সম্মান করি। কিন্তু আমি ওর কোন কথা বিশ্বাস করি না।
আর মুক্তমনার মডারেটরকে হাত দিতে হয়েছিল মুক্তমনায় বিচরনকারী সুশীলকুলের দাবি মেটাতে। তারা দালাললে দালাল বললে হৃদয়ের অন্তঃস্থলে গভীর বেদনা অনুভব করেন। পিয়ালের নাম শিয়াল বলাতে তাদের পিয়ালুনুভুতিতে আঘাত লেগেছে। যদিও মুহাম্মদ কোন বিছানায় বৌর সাথে ঘুমাত, কীভাবে ঘুমাত, আর কোথায় হাগতে যেত, সেই আলোচনায় কোন সুশীলের সুশীলরস বের হতে দেখা যায় নি। সেই ক্ষেত্রে তিনাদের যুক্তিবাদী দন্ড পুরুষের বিশেষ প্রত্যঙ্গটির মতন দন্ডায়মান থেকেছে। এবং সামনেও থাকবে আশা করা যায়।
আমি কারোর ভক্ত হতে চাই না। তাই সাইফুল, আপনার লেখা পড়া বন্ধ করে দিবো! (N)
@সুষুপ্ত পাঠক,
😀
ডোজ একটু বেশী হইয়া গেলো মনেহয় :hahahee:
@এম এস নিলয়,
এভাবে গড়িয়ে হাসবেন না। মেঝে কাঁপবে, ফলশ্রুতিতে বাড়ির স্তম্ভ কাঁপবে!
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
:-Y :-Y :-Y
@রাফি,
আস্তে আস্তে। মুক্তমনার স্তম্ভ নড়ে যাবে!
এমন মজার লেখা খুব কম পড়েছি।
@তালকানা,
এখন থেকে সাবধানে কথাবার্তা, সামনে ঢেকুন, পেছন ঢেকুর দেবেন। জীবনের ঝুকি নেবেন না।
@ সাইফুল ইসলাম ,
পানি ছাড়া ভালই ধুইলেন ।।। (Y)
অন্যদিকে হেফাজতের মাঈনুদ্দীন রুহী‘র বক্তব্য :
:-Y :-Y :-Y
@তারিক,
আরে মাথা আস্তে টোক্কান। দেয়ালগুলা ভেঙে যাবে। স্তম্ভ নড়ে যাবে।