আমাদের টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়েছে বেশ অনেকদিন হয়ে গেল। কিছুদিন পরেই উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা। ক্লাসে স্যাররা এতদিন যা পড়িয়েছেন এখন সেগুলোই নূতন করে রিভাইজ দিচ্ছেন। এ কারণেই বেশীরভাগ দিন কলেজে আসা হয় না। তবে নজরুল ইসলাম স্যারের ক্লাস পারতপক্ষে মিস করি না। আমাদের কাছে উনি নজা স্যার নামেই পরিচিত। বয়সে তরুণ নজা স্যার মাত্র বছর খানেক হল আমাদের কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছেন। আমেরিকা থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে এসেও কেন যে তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ না দিয়ে আমাদের এই মোটামুটি মানের কলেজে শিক্ষকতার কাজ নিলেন তা আমাদের বন্ধু মহলে এক বিরাট রহস্য। আমরা অবশ্য একবার তাকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম, তবে ব্যাপারটা তিনি এড়িয়ে গেছেন। যাই হোক, নজা স্যার যে অন্য যে কোন শিক্ষকের তুলনায় একটু বেশীই আলাদা সেটা বোধহয় আমাকে আর বলে দিতে হবে না। আমাদের সাথে উনার বন্ধুর মতই সম্পর্ক। ক্লাসে কাউকে কখনো বকা দিয়েছেন এমনটা মনে পড়ে না। উনার পড়ানোর ধরনটাও অন্য যেকোনো শিক্ষকের তুলনায় আলাদা। গৎবাঁধা নিয়মে পড়াতে তিনি একদমই পছন্দ করেন না। ক্লাসে এমন ভাবে যে কোন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন যেন খুব মজার কোন গল্প বলছেন। ছেলে মেয়েরা যতই উদ্ভট প্রশ্ন করুক না কেন উনি সেগুলো হাসি মুখে শোনেন এবং সাধ্যমত উত্তর দেবার চেষ্টা করেন।
আজকে ক্লাসে সবাই নিজের নিজের আসনে বসবার পর স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের কারও কোন প্রশ্ন আছ?”
– সুমন দাঁড়িয়ে উঠে স্যারের কাছে জানতে চাইল, “স্যার, গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি তাদের প্ল্যাঙ্ক স্যাটেলাইটের প্রদত্ত ব্যাকগ্রাউন্ড মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশনের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মহাবিশ্বের যে ম্যাপ তৈরি করেছে তা বিজ্ঞানীদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। আপনি সহজ ভাষায় সে সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।”
– হুমম্ম… নজা স্যারকে কিছুটা উচ্ছ্বসিত মনে হল। যদিও এটা তোমাদের পাঠ্য পুস্তকের বিষয় না তবুও তোমরা যে বিজ্ঞানের নূতন নূতন বিষয়গুলির খবর রাখছ সেটা জেনে খুব ভাল লাগছে। প্ল্যাঙ্ক স্যাটেলাইটের দেয়া তথ্যের আগে তোমাদের বিগ ব্যাং সম্পর্কে অল্প কথায় কিছু বলে নেই। কয়েক মূহুর্ত থেমে থেকে নজা স্যার বলতে শুরু করলেন, “শুরুতে – প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে আমাদের এই মহাবিশ্বটা খুবই খুবই খুবই ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের বা প্ল্যাঙ্ক দৈর্ঘ্যের এবং অত্যন্ত উত্তপ্ত ছিল। তারপর হঠাৎ করেই এবং খুবই অল্প সময়ে প্রচণ্ড গতিতে তা প্রসারিত হতে শুরু করে। এখানে একটা কথা বলে রাখি খৃষ্টান ধর্মযাজক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী জর্জে লমেট্র (Georges Lemaître) প্রথম আমাদের বিগ ব্যাংয়ের ধারনা দিলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্যার ফ্রেড হয়েল (Fred Hoyle) সর্ব প্রথম ‘বিগ ব্যাং’ পরিভাষাটা ব্যবহার করেন এবং তখন থেকেই তত্ত্বটির নাম হিসাবে এটি টিকে যায়। তত্ত্বটির নাম বিগ ব্যাং তত্ত্ব হলেও আসলে বিস্ফোরণ বলতে আমরা যেরকমটা বুঝি সে রকম কিছু ঘটেনি। অত্যন্ত ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে প্রচণ্ড বেগে, আলোর গতির চেয়েও অনেক, অনেক, অনেক বেশীগুণ দ্রুতগতিতে প্রসারিত হতে শুরু করে। প্রসারিত হতে শুরু করার ঠিক আগের মূহুর্তের অবস্থা কেমন ছিল জানা যায়নি তবে প্রসারিত হতে শুরু করার পর মূহুর্ত থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের এই মহা বিশ্বে যা কিছু ঘটেছে এবং সৃষ্টি হয়েছে তার সব কিছুর শুরুই বিগ ব্যাং পরবর্তী মূহুর্ত থেকে।
– স্যার, আমার একটা প্রশ্ন আছে। রাশেদ হাত তুলে স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
– বল, কি বলবে!
– স্যার, সব কিছুর শুরুই যদি বিগ ব্যাং থেকেই হয়ে থাকে তাহলে ত ঈশ্বরও কি বিগ ব্যাংয়ের কারণে সৃষ্টি হয়েছেন?
– রাশেদ, এটা ফিজিক্সের ক্লাস মেটা ফিজিক্সের ক্লাস নয়। নজা স্যার রাশেদকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করলেন।
– না, স্যার। চিন্তা করেন ব্যাপারটা, রাশেদের মধ্যে হাল ছেড়ে কোন লক্ষণ দেখা গেল না। বেশিরভাগ মানুষই মনে করে যে সৃষ্টিকর্তা আকাশেরই কোথাও আরশ বা হেভেন-এ, কিংবা মাঊন্ট অলিম্পাসে, কিংবা আসগার্ডে, কৈলাস পর্বতে অথবা অমরাবতীর মত কোন স্থানে থাকেন। যেহেতু তিনি আমাদের এই মহাবিশ্বেরই অন্তুর্ভূক্ত সে হিসাবে তিনিও বিগ ব্যাং এর কারণেই বা তার পরবর্তীকালে সৃষ্টি হয়েছেন। তাই না স্যার?
– স্যারের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে তিনিও বেশ উৎসাহিত বোধ করছেন। তবে আলোচনাটা চালিয়ে যাবেন কিনা সেটা নিয়ে ভাবতেই মনে হয় কয়েক মূহুর্ত সময় নিলেন। শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙে বললেন সৃষ্টিকর্তা-ত আমাদের পরিচিত চারটি মাত্রার বাইরে ভিন্ন কোন উচ্চতর মাত্রায় থাকতে পারেন। পদার্থ বিদ্যার আধুনিক তত্ত্বগুলি যেমনটা বলে থাকে যে আমাদের মহাবিশ্বের ১১টি মাত্রা আছে।
– সেখানেও তিনটা সমস্যা আছে স্যার।
প্রথমত, সৃষ্টিতত্ত্বগুলির মতে সৃষ্টিকর্তা যেখানে থাকেন সেখানে পাখা ওয়ালা ঘোড়ায় চড়ে কিংবা রথে চড়ে কিংবা অন্য জাগতিক উপায়ে পৌঁছানো সম্ভব। মানে সেই স্থানটি আমাদের পরিচিত চারটি ডাইমেনশনের মধ্যেই অবস্থিত। আর সেখানে যদি নাও যাওয়া যায় তবুও এই সমস্যার সমাধান হয়না। সমস্যা থেকেই যায়।
দ্বিতীয়ত, আমরা যদি এই ক্লাস রুমটাকে ধোয়া দিয়ে ভরিয়ে ফেলি তবে ধোয়াগুলো কোথাও মিলিয়ে যায় না। মহাবিশ্বের কোথাওই এরকম হঠাৎ করে বস্তু মিলিয়ে যাবার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা যায় না। অর্থাৎ উচ্চতর মাত্রা গুলি যদি প্রমাণ করাও যায় তবে সেগুলো হবে পরমাণুর চেয়েও আকারে ক্ষুদ্রতর।
তৃতীয়ত, অন্যান্য ৫ম থেকে ১১তম পর্যন্ত উচ্চতর মাত্রাগুলিও আমাদের মহাবিশ্বেরই অংশ অর্থাৎ যা কিনা বিগ ব্যাং এর ফলেই সৃষ্টি হয়েছে।
– ওকে, আচ্ছা ধরো, সৃষ্টিকর্তা আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর বাইরের অন্য কোন মহাবিশ্ব থেকে এসেছেন, তবে?
– তাতেও কিছু সমস্যা আছে আছে স্যার। যেমনঃ প্রথমত, সৃষ্টিতত্ত্বগুলির কোনটিতে কোথাও বলা হয়নি যে যে ঈশ্বর নিজের মহাবিশ্ব ত্যাগ করে আমাদের এই মহাবিশ্বে এসেছেন ……….
– রাশেদকে কথা শেষ করতে না দিয়েই মাঝখান থেকে পীযূষ বলে ওঠে, আরে মাল্টিভার্স তত্ত্ব-ত নাস্তিক বিজ্ঞানীদের ষড়যন্ত্র। আমাদের মহাবিশ্বটা যে এত সুন্দর ফাইন-টিউন করা সেটা মানতে না পেরে নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বহু মহাবিশ্ব তত্ত্বের আবিষ্কার করেছে।” পীযূষের গলার স্বরে পরিষ্কার বোঝা যায় যে সে বেশ উত্তেজিত।
– এ কথা সত্যি যে মাল্টিভার্স তত্ত্ব আসলেই ধর্ম তত্ত্বগুলির তুলনায় আমাদের মহাবিশ্বের আপাত: ফাইন টিউনিং এর অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দেয় তবে সে কারণে বহু মহাবিশ্ব তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়নি। মাল্টিভার্স ধারণাটি আসলে এককভাবে আলাদা কোন তত্ত্ব না। এটা অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের থেকে পাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী। সম্প্রসারণশীল জ্যোতির্বিজ্ঞান যখন বারবার মাল্টিভার্স সৃষ্টির দিকে নির্দেশনা দিতে লাগল তখন বিজ্ঞানীরা একে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা শুরু করে। আর যখন স্ট্রিং তাত্ত্বিকরা অনুধাবন করলেন যে প্রকৃতিগত ভাবেই স্ট্রিং তত্ত্ব একটা বিশাল সংখ্যক ভ্যাকুয়াম স্টেটের সম্ভাবনার দিকে নির্দেশ করে তখন, শুধুমাত্র তখনই কেবল তারা একজন আদর্শ বিজ্ঞানীর মত এই ধারনাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে শুরু করেন। আর সুমন যে প্ল্যাঙ্ক স্যাটেলাইটের প্রদত্ত মহাবিশ্বের ম্যাপের কথা বলল সেটাতে যে বিচ্ছিন্ন কোল্ড স্পট দেখা যাচ্ছে সেটাও কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে সম্প্রসারণশীল জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতই মাল্টিভার্সের নির্দেশনা দিচ্ছে। আসলে বিজ্ঞান সৃষ্টিতত্ত্বগুলিকে ভুল প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে না। বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই মহাবিশ্ব কিভাবে কাজ করে সেটা ব্যাখ্যা করা। এখন সৃষ্টিতত্ত্বগুলির সাথে বিজ্ঞানের এই সমস্ত ব্যাখ্যার অসামঞ্জস্যতা দেখে এর সমর্থকরা এই বিষয়গুলিকে ব্যক্তিগতভাবে তাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসাবে ধরে নিচ্ছে। যা আদতেই সত্য না। আর এর সাথে নাস্তিকতার কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না। যাই হোক, যা বলছিলাম বলে পীযূষের দিক থেকে নজা স্যারের দিকে ফিরে রাশেদ তার কথা চালিয়ে যেতে থাকে।
দ্বিতীয়ত, আমরা যদি স্বীকার করেই নেই যে বিগ ব্যাংয়ের আগে ঈশ্বর অন্য মহাবিশ্বে থাকতেন তবে এটাও মানতে হবে যে কমপক্ষে দুটি মহাবিশ্ব আছে। দুই মহাবিশ্বের মাঝে ভ্রমণ সম্ভব কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন বটে। যাইহোক, মহাবিশ্ব যদি দুটি থেকেই থাকে তবে মাল্টিভার্স তত্ত্ব অনুসারে তিনটি, চারটি কিংবা অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব থাকাটাও আসলে নিরেট বাস্তবতা। আর সেক্ষেত্রে আমাদের স্বীকার করে নিতেই হবে যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তা থাকাটাও কোন জরুরী বিষয় না। মহাবিশ্ব গুলি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই সৃষ্টি হতে সক্ষম। আমি যদি বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিঙয়ের ভাষায় বলি তবে বলা যায় “the Universe can and will create itself from nothing”। মাল্টিভার্স তত্ত্ব অনুসারে “মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য ঈশ্বরের কোন প্রয়োজন নেই। মহাবিশ্ব সৃষ্টি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই হয়েছিল এবং সেটা বিজ্ঞান দ্বারাই খুব ভালভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। আর একটা কথা, ঈশ্বর যদি অন্য মহাবিশ্ব থেকেই এসেও থাকেন তবে উনি যে মহাবিশ্বে ছিলেন সেটারও অস্তিত্বও আরও আগে থেকেই থাকতে হবে এবং সেটাও নিশ্চয়ই বিগ ব্যাং’এর মত কোন একটি প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছিল।
– আমিরুল বলে ওঠে, “তার মানে কি দাড়াল? সৃষ্টিকর্তা যে মহাবিশ্বেই থাকেন না কেন বা কিংবা ছিলেন না কেন তিনি আসলে অস্তিত্বশীল হয়েছেন সেই মহাবিশ্বের বিগ ব্যাং পরবর্তী সময়ে, আগে না? অর্থাৎ তিনি নিজেও সৃষ্ট?
– তুই এভাবেও বলতে পারিস তবে আমি এর সাথে আরেকটু যোগ করতে চাই। সৃষ্টিতত্ত্ব-বাদীরা আমাদের এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির এন্থথ্রোপসেন্ট্রিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে এবং সেটা করতে গিয়ে তারা মাল্টিভার্স তত্ত্বকে অস্বীকার করে কারণ মাল্টিভার্স তত্ত্ব খুব ভালভাবেই সৃষ্টিতত্ত্ব-বাদীদের এন্থথ্রোপসেন্ট্রিক যুক্তি খণ্ডন করে বা ফাইন টিঊনিংযের ব্যাখ্যা দেয়। তারা এটাকে নাস্তিক বিজ্ঞানীদের ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করে, পীযূষ যেমনটা বলেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল তারা এটা বুঝতে পারে না যে মাল্টিভার্স না থাকলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বই ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। আর ভবিষ্যতে বিজ্ঞান যদি প্রমাণ করে যে আসলে মাল্টিভার্স তত্ত্ব সত্যি না তখন সৃষ্টিতত্ত্ব-বাদীরা কি বলবে সেটাই ভাবছি। রাশেদ কথা শেষ করে ঘাড় ঘুড়িয়ে ক্লাসের সবার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে কেউ কিছু বলতে চায় কিনা। কিন্তু সবাই কোন কথা না বলে চুপচাপ বসে থাকে।
– স্যার হাত নেড়ে রাশেদকে বসতে নির্দেশ দিয়ে বললেন, “ওকে, অনেক আলোচনা হল এখন আমরা আমাদের মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই। আলোর চেয়ে অনেক অনেক বেশী গতিতে আমাদের মহাবিশ্ব প্রসারিত হলেও সেটা আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে মোটেই লঙ্ঘন করে না।” বলেই নজা স্যার আবার মূল আলোচনায় ফিরে গেলেন। আর ততক্ষণে আমার মস্তিষ্কের নিউরনগুলিতে রাশেদের কথাগুলা অনুরণন তুলতে শুরু করে দিয়েছে।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান তাত্ত্বিক জটিলতার মধ্যে আছেlবিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়েও বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছেlএকসময় আস্তিক বিজ্ঞানীরা বিগ ব্যাং তত্ত্বকে ঈশ্বরের অস্তিত্তের প্রমাণসরূপ তত্ত্ব হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলlতাই সোভিয়েত ইউনিয়নের নাস্তিক পদার্থবিদরা বিগ ব্যাং তত্ত্বকে অস্বীকার করেছিলlহকিং নিজেও তার প্রথম লেখা গুলোতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয়ে ছিলেনlতবে পরে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে, মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে কোথাও ঈশ্বরের কোন হাত নেইl
মাল্টিভার্স তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা চলছেlপূর্ব থেকে কিছু ধরে নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয় নাlতাই আমাদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক মন নিয়ে বিজ্ঞানকে গ্রহন করতে হবেl
খুব সহজ ভাষায় ব্যাক্ষা করেছেন (Y)
কোন কিছুর গতি আলোর গতির সমান হতে না পারলে, মহাবিশ্বের প্রসারণ বেগ আলোর বেগের বেশি হতে পারে কিভাবে,ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করবেন?
দারুন কিন্তু ছোট।
হোরাস,
খুব সুন্দর একটা সাবলীল বোধগম্য পোষ্ট। ইদানীং কম লিখছেন, এধরনের পোষ্ট আরো চাই।
(Y)
যেই দিনকাল এসেছে নিজের কথাগুলোকেও থার্ডপার্টি দিয়ে বলাতে হবে। 🙂
@বেঙ্গলেনসিস,
এই জায়গায় একটু হেল্প লাগবে। ঠিক কিভাবে মহাবিশ্ব নিজেকেই সৃষ্টি করল? যদি সময় থাকে ,বুঝিয়ে বললে বড় উপকার হয়।
চমৎকার একটি লেখা। কম কথায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই লাইনগুলো চমৎকার লাগল –
আর মাল্টিভার্স নিয়ে আমিও একটা লিখেছিলাম একসময়। লেখাটা আছে এখানে –
মাল্টিভার্স : অনন্ত মহাবিশ্বের খোঁজে
অনেকদিন পর গল্পের ছলে আবারো আপনার একটি ক্লাসিক লেখা পেয়ে ভালো লাগল (F)