পৃথিবীর প্রাচীনতম কোন বিশ্বাস যদি আমি অস্বীকার করি। তাহলে প্রাচীন বিশ্বাসের অবমাননা হয়। আমি যদি আমার বুদ্ধি বিবেচনা ব্যবহার করে কোন প্রশ্ন তুলি তাহলে ধর্ম অবমাননা হয়। আমি যদি বিজ্ঞানের সাহায্যে কোন বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করি তাহলে ধর্ম অবমাননা হয়। একজন ব্যক্তি আমি কথার জন্য কি করে কোটি কোটি বিশ্বাসি মানুষের অবমাননা হতে পারে? আমি যদি ভারতীয় নাগরিকদের গালি দেই। তাহলে ১০০কোটি ভারতীয় কষ্ট পাবে । একশ কোটি ভারতীয়কে কষ্ট দেয়ার জন্য কি আমাকে শাস্তি পেতে হবে? অবশ্যই পেতে হবে না। কারন আমি কি বললাম এটা কেউ পাত্তাই দিবে না। কারন আমার মতো ব্যক্তি চাইলেই আমার চিন্তা,দর্শন,যুক্তি পুরো পৃথিবীর মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে সমর্থ নই। এবং এটার দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবার কোন সম্ভাবনা নাই।
বাংলা ভাষায় একটা ব্লগ লিখলে কেবল বাংলা ভাষাভাষীরা কেবল তা পড়তে পারবে। আর পৃথিবীর মানুষের মাঝে কত শতাংশ বাঙ্গালী? আর এই বাঙ্গালীর মাঝে কত শতাংশ একটা নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীর? এবার আসি এই বাংলাদেশে কত জন মানুষের কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানে?যত জন মানুষ কম্পিউটার জানে তার মাঝে কত জন মানুষের কাছে ইন্টারনেট আছে?আর ইন্টারনেট আছে এমন কতজন মানুষ ব্লগ পড়েন? বাংলাদেশে দের দুই ডজন বাংলা ব্লগ আছে। ব্লগ পড়া মানুষদের মাঝে কতজন সব গুলো ব্লগে নিয়মিত চোখ রাখতে পারেন? ব্যক্তিগত আমার একটা ব্লগ আছে এক বছরে ৫জনের বেশি মানুষকে পড়াতে পারি নাই।
ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুসারে নাকি ৪০ দিন পর পর বগলের/গোপন লোম পরিষ্কারের বিধান আছে।এখন এই বিধান কতজন মানুষ পালন করে তা দেখা নিশ্চয় হেফাজতে ইসলামের কাজ? এখন থেকে তাহলে ইসলাম রক্ষার জন্য কি সবার জিপার খুলে চেক করতে শুরু করবে? ব্যক্তিগত ব্লগে কে কি লিখে এটা যদি স্পাই গিরি করে বের করে পত্রিকায় ছাপানো হয় তাহলে প্রতিটি মানুষের জিপারের খবরও ছাপানো উচিত? এই বিধানকে যারা তোয়াক্কা করবে না তাদের বিরুদ্ধে দৈনিক পশ্চাৎদেশ পত্রিকা ” শুক্রবারে নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল” এমন হেডলাইন কি হবে না?
এই বাংলাদেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ধর্ষণ হয়। ধর্ষনের পরে হত্যাও হয়। দেশের ৯০ ভাগ যদি মুসলমান হয় তাহলে ধর্ষকের ৯০ ভাগ মুসলমান । একজন লোক ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে ধর্ষণের মতো কাজ করতে পারে। কিন্তু এমন কি নজির আছে যে মুসলমানরা তাকে ধর্ম চ্যুত করেছে এই কাজের জন্য? অথবা ধর্মীয় মোল্লারা রাজপথে নেমে এসেছে? একজন মুসলমান ধর্ষন করলো এতে কি সারা পৃথিবীর মানুষের অবমাননা হলো না? কিন্তু এই অবমাননার বিরুদ্ধে তো হেফাজতে ইসলামের মতো কোন ধর্মীয় সংগঠনকে সোচ্চার হতে দেখলাম না?
ইসলাম ধর্মে সুদ কে হারাম করা হয়েছে। কিন্তু এই দেশে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সুধের সাথে আছে। এতে কি মুসলমানদের ধর্মের অবমাননা হয় না? প্রতিদিন ঘুষ নিচ্ছে হাজার হাজার মুসলমান, কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কি কোন ধর্মীয় আন্দোলন হয়েছে? প্রতিদিন দুর্নীতিতে আমরা চ্যাম্পিয়ান হচ্ছি। ৯০% মুসলমানদের দেশে ৯০% দুর্নীতিবাজ মুসলমান। এই দেশে মসজিদ মন্দিরে যে সব ধনীরা অর্থ দিয়ে থাকে তাদের অর্থের উৎস কি ? কত শতাংশ বৈধ উপায়ে এই টাকা আসল এসব কি হেফাজতে ইসলাম দেখেছে? এই দেশে রাতারাতি ধনি হয়ে যাওয়ার মতো কোন আলাদীনের চেরাগের ব্যবস্থা কি আছে? কিন্তু যারা এত দ্রুত ধন দৌলতের মালিক হচ্ছেন। গ্রামে গঞ্জে নতুন মসজিদ মন্দির তৈরী করছেন কোন ধার্মিক কি এই টাকা নিতে কখনো অস্বীকার করেছে? এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে এই দেশের মুসলমানরা ঘুষখোর,মুসলমানরা সুদখোর,মুসলমানরা ধর্ষক। তাহলে তেড়ে আসবেন। ধর্মানুভূতিতে আঘাতের জন্য কল্লা নামাতে চাইবেন।
ধর্মের নাম নিয়ে রাজপথে যত লোক নেমে আসেন তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আসেন। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনার তার নিশ্চিত প্রমাণ। ৭১ সালে দুই পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়। দুইটিই মুসলমান দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনৈতিকতার কারনে বাংলা ভাষী মানুষদের মুসলমান থেকে খারিজ করে আওয়ামীলীগ,বিধর্মী,নাস্তিক,হিন্দু,মালাউন বলা হলো। যুদ্ধে জিতবার অস্ত্রের পাশাপাশি আরো যত রকম নোঙরা কৌশল আছে সবই পাকিস্তানিরা করেছে।এবং সব নোঙরামিতেই ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছিল।লুঙ্গি খুলে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করেছে। যত রকম বিভ্রান্তি আছে তা ধর্মের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। এই চার দশক পরেও যারা ধর্মের নোঙরা ব্যবহার করছেন,ধর্মের রাজনীতি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন, পরিণাম তাদেরও খারাপ হবে।
অনেক খবরের ভিড়ে এই খবরটি হয়তো নজর এড়িয়ে যেতে পারে। আমাকে একজন ম্যাসেজ করে লিংক দিল।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও ৮ ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলার ব্যর্থ চেষ্টা
কলমের প্রতিবাদ কলম দিয়ে করতে হয়। কি বোর্ডের প্রতিবাদ কি বোর্ড দিয়ে। কিন্তু ধর্মীয় মৌলবাদীরা অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে।আমাদের মুখ বোবা করে দিতে চায়।
ধর্মীয় মৌলবাদীদের কাছে যতবারই নতি স্বীকার করেছে সরকার ততবারই তারা ঘাড়ে চড়ে বসেছে। তসলিমাকে দেশ ত্যাগ করাতে সমর্থ হওয়ার পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হুমায়ুন আজাদকে আঘাত করার বিচার হয়নি এর পরিণতিতে রাজীব হত্যা সহ দুইজন ব্লগার জঙ্গিদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। চট্টগ্রামে যেতে প্রজন্ম চত্ত্বরকে সমাবেশ করতে দেয়নি, তারা আরো সাহস পেয়ে গেছে ৬ এপ্রিল তারা ঢাকা অভিমুখে আসবার হুমকি দিয়েছে। সরকার ব্লগারদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করেছে,ইউটিউব বন্ধ করেছে তারা প্রশ্রয় পেয়ে এখন মামলা করতে কোর্টে যাচ্ছে। সরকার দিন দিন তাদের আস্কারা দিয়ে গেছে এখনো দিয়ে যাচ্ছে।
ধর্মের জন্ম বোধহয় খুব বেশিদিন আগে নয়। বিজ্ঞান তারও আগে ছিলো। খ্রীষ্টপূর্ব কয়েক হাজার বছর আগের বুদ্ধিবিদ্যা/জ্ঞান বিজ্ঞানের নিদর্শন এখনও পাওয়া যায়। ধর্ম এসে সমাজকে/সমাজের মানুষকে শান্তির পথ দেখানোর চেষ্টা করেছে। মানব সভ্যতার উন্নয়ন ধর্ম কতটুকু করতে পেরেছে তা আমার জানা নাই, তবে বিজ্ঞান যুগে যুগে সভ্যতার উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করেছে এটুকু বলতে পারি। কোন একটি বিধান কোন সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা বেশ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। ধর্ম তো মানুষই সৃষ্টি করেছে নিজেদের প্রয়োজনে।
ধর্ম নীয়ে কিছু লিখলেই ধর্মের অবমাননা হয়- এটা কি ধরনের কথা বুজলাম না। ধর্ম নিয়ে কোন প্রশ্নও করা যাবে না। তাহলেই ধর্মদ্রোহী। আজব দেশের আজব মানুষ আমরা।
সমাজে বিভিন্ন রকম মানুষ বসবাস করে… শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চরমপন্থা না হয় এবং পরস্পরের বিশ্বাসে শ্রদ্ধাবোধ যেন থাকে এবং দ্বিমত হলে যেন তা চাপিয়ে না দেওয়ার মানসিকতা না থাকে কিংবা অপমান জনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অপরের অনুভূতিতে যেন আঘাত না করা হয়।
সমাজ এমনি-
[img]http://math.gmu.edu/~eobrien/image/notvenn.gif[/img]
আমার কাছে মুক্তমনা বল্গের একটা জিনিস বিরক্তকর মনে হয় তা হল আর্টিকেলের বিষযবস্তু একটা থাকে আর কমেন্টেসের বিষয়বস্তু থাকে আরেকটা। এই উদ্ভট বিষয়টা নিবারণের জন্য অভিজিত ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যদিও এই সংস্কৃতি পৃথীবির প্রায় সব ব্লগেই বিদ্যামান কিন্তু বিদ্যামান বলেই তো তা পরিশুদ্ধ নয়।
লেখক ডাইনোসর কে উদ্দেশ্য করে বলছি, মানুষ ধর্ম মানে একটা নির্দিষ্ট কার্য কারণে। ধর্মতে পাপ পূণ্য একটা কমন বিষয়। ধর্ম মানলে মানুষ পাপ করেনা কে এটা বলেছে। এখন কেউ পাপ করলে দেখতে হবে পাপটা কি রকম। কিসেকে জিনিসটা প্রভাবিত কিংবা আঘাত করছে।
দৃশ্য ১ঃ আপনার সাথে আমার দেখা বল্লাম আপনি আজকে কনসার্টে যাবেন না গত বছর তো অনেক মজা করলাম একসাথে জবাবে আপনি বল্লেন না এই আপনার পরীক্ষা আছে তাই আপনি যাবেন না কিন্তু মূল বিষয় হল আপনার টাকা নাই।
দৃশ্য ২ঃএবার একটু ইতিহাসে যাই, মীর জাফর পলাসী প্রান্তরে তার সৈন্যদের যখন বল্ল এখন যুদ্ধের বিরতি এবং তারপর শএু পক্ষ অতর্কিত হামলা করে পরাজিত করল।
এখানে দুইটা দৃশ্যতেই দুইজন মিথ্যা বলছে তাই বলে কি দুইটার প্রভাব সমান। যদি মিথ্যার জন্য শাস্তি হয় দুইজন কে কি একি শাস্তি দেয়া উচিত।
আপনি বলেছেন,
আপনি যে অপরাধ গুলি বলেছেন তা নিম্নরূপ,
ধর্ষন, সুদ, দুর্নীতি
একটু ঠান্ডা মাথায় দেখুন, ধর্ষন একটি অপরাধ এর জন্য। এর জন্য শিকার হচ্ছে ধর্ষিত মেয়েটি,এর জন্য কিন্তু পুরো সমাজের ক্ষতি হচ্ছে না। আমরা তার কাজের জন্য আইনের হাতে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করে। সবচেয়ে বড় বিষয় তার অপরাধের শাস্তির নিয়ম আছে।
দুর্নীতির জন্যও শাস্তি আছে।
সুদের জন্য ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্হার উদ্ভব ঘটেছে।
বগলের লোম কাটা একটা নিয়ম এবং এটা পালন করা না করা নিজস্ব বিষয়। আপনার নিজের নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন বগলের লোম না কাটলে ইসলামের কী আসে যাবে যে এর জন্য কোন সংগবদ্ধ ইসলামী মানুষের কাজ করতে হবে।
সব ক্ষেএে এ কথা প্রযোয্য না।
আপনার শক্তি থাকলে আপনি তা দেখাবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের যেমন মারা উচিত না তেমনি মৌলবাদীর মিছিলে গুলি চালানো গ্রহণযোগ্য না।
মনে রাখবেন আমরা সবাই মৌলবদীরা কিংবা নাস্তিকরা আমাদের চিন্তা এবং অনুভূতি সীমাবদ্ধ কুটিরে। সেটাকে আমরা লালন করি এবং ভালবাসি। এটাতেই মানব জীবনের আনন্দ খুজে পাই তাতে কেউ আঘাত করলে আমারা অসহিস্নু হই। প্রতিটি কৃয়ার বিপরীত প্রতিএীয়া আছে।
মশাকে থাপ্পর মারলে সেটা মরে যাবে আর সিংহ কে থাপ্পর মারলে ……… ।
একই থাপ্পর একই শক্তি একই মানুষ কিন্তু প্রতিকৃয়া ……………………………..
(C)
@ইফতেখার মাহমুদ বুলবুল,
সেই কথাটা ওদেরকে আমি আর বুঝাতে পারলাম না। মুসিক হয়ে সিংহের সাথে লড়তে উদ্যত হয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বন। এই বনে সিংহের রাজত্ব আধিপত্য চলবে, বোকা মানুষেরা মরতে আসে সিংহের মুখের সামনে। সাতক্ষীরা দেখলো, রামু দেখলো, ট্রেইন, বাস, ঘর, মন্দির পুড়লো, তাসলিমা, দাউদ হায়দার সিংহের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালালো, রাজিব, হুমায়ুন আযাদ সিংহের পেটে গেল, এতোকিছুর পরেও কিছু বোকা নাস্তিকেরা বুঝতে পারেনা সিংহের কত শক্তি। নিজের জীবন রক্ষার্থে এ বন সিংহের জন্যে ছেড়ে দেয়া উচিৎ।
আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে।
টিভি চ্যানেল গুলির একটি অতি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ধর্ম বিষয়ক নানা প্রশ্নের জবাব। বেশীর ভাগ ক্ষত্রেই দেখা যায় দর্শক দের বেশ বোকা বোকা ধরনের প্রশ্ন, আর উত্তর দাতাদের বেশ কায়দা করে চালাক চালাক উত্তর। এমন ধরনের প্রশ্ন যা জানার জন্যে ধর্ম গ্রন্থ, কিম্বা অন্য কোন গ্রন্থ্যের ই দরকার পরেনা। সাধারন জ্ঞানেই এসব প্রশ্নের উত্তর আছে।
সেদিন এক চ্যনেলে দেখলাম প্রশ্ন করা হয়েছে- খরগোশের মাংস খাওয়া জায়েজ আছে কিনা?
উত্তর দাতাও খুব চালাক। উনি পৃথিবীর তাবৎ খরগোশ কে দুই ভাগে ভাগ করলেন। এক ভাগের পা নাকি ঘোড়ার মত। অন্যদের ভ্যাড়ার মত। সিদ্ধাত্নঃ ভ্যাড়ার মত গুলি খাওয়া যাবে। আশা করা যায় ধার্মিক প্রশ্ন কর্তা সন্তোষজনক জবাব পেয়েছেন।
কিন্তু কেন ভ্যাড়ার মত গুলি খাওয়া যাবে, ঘোড়ার মত গুলিতে কি বিষাক্ত পদার্থ আছে, তার কোন উত্তর নেই। কোন বিজ্ঞান নেই।নেই কোন আইনের তোয়াক্কাও। বনজ প্রানী নিধন করে মাংস খাওয়া যাবে কিনা-সে প্রশ্নও উঠল না। সোজাসুজি জবাব- ছাগল পায়া খরগোস হালাল।
আসলে ধর্ম এক বিশেষ ধরনের নৈতিকতা তৈরি করে, যার সাথে বিজ্ঞান কিম্বা সভ্য সমাজের আইন কানুনের কোন সম্পর্ক নেই। আর ধর্ম ভিত্তিক সমাজে মুক্ত চিন্তার কোন সুযোগও নেই। মুক্ত চিন্তা মানেই ধর্মের অবমাননা।
জন্মসূত্রে জীবন বৌদ্ধ ধর্ম কর্তৃক প্রভাবিত, ছোটকাল হতে হাইস্কুল অবধি বেশ মন দিয়ে পালন করতামও । কিন্তু যতই পাঠ্যপুস্তকের ধর্মীয় আলোচনা, ধর্মগ্রন্থ সবকিছু পড়তে জানতে লাগলাম তখন উপলব্ধি করলাম সামনে পেছনে মাঝখানে ব্যাপক ফাঁক, ওখানে বর্ণিত সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমানের অমিলে ফারাকগুলো স্পষ্ট হচ্ছে দিন দিন। বিশেষ করে ধর্মে নারীর অবস্থান নিয়ে বেশ ফ্যাসাদে পড়তে হয়! তবে এখনো পুরোপুরি বিশ্বাস উঠে যায়নি বাছবিচার করে এগোচ্ছি চলছে বিশ্লেষণ এবং পূর্ণঅর্থ বোঝার চেষ্টা! একে আস্তিকতা বা সংশয়বাদী কোন অঞ্চলে রাখা হবে জানি না তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বা ভণ্ড ব্যবসার ঘোর বিরোধিতা করি। ধর্ম পালন করা বা না করা সম্পূর্ণ মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার, একে চাপিয়ে দিয়ে ফায়দা লোটার এই খেলা কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আপনার নামও দেখতে পেলাম, একটু সাবধানে থাকার অনুরোধ করছি। রাজীব হায়দারের উত্তরসূরিরূপে আর কাউকে দেখতে চাই না। এগিয়ে চলুন, শুভকামনা রইল (Y)
(F) (F) (F) (F) (F)
@সুমেধ তাপস চাকমা, ধর্ম পালন করা বা না করা ব্যক্তিগত ব্যপার। অনেক মুসলিম আছে যারা মুসলিম হয়েও ঠিকমতন নামাজে অংশগ্রহন করে না। কিন্তু তাদের কেউ নাস্তিক বলে দৌড়াদৌড়ি করে না। সমস্যা হল, যখন কিছু ব্যক্তি তাদের স্বল্প বিদ্যার ভয়ঙ্কর আস্ফালন দেখায়। আপনি ধর্ম পালন করুন বা না করুন, অবশ্যই খারাপ শব্দাবলী ব্যবহারের দ্বারা অন্যকে আহত করায় কোন কৃতিত্ব নেই । (রাজীব হায়দারের ব্যপারে আমার মত ক্লিয়ার করলাম )
যদি আপনি সত্য খোঁজার নিমিত্তে চিন্তা-ভাবনা করেন, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আর যদি হাতেগোনা কিছু মানুষের মতন কেবল খুঁত খোঁজার জন্য চিন্তা-ভাবনা করেন , তা নিন্দনীয়ই হবে।
তবে আপনি যদি বৌদ্ধ ধর্মের বা তার বাইরের অন্য কোন ধর্ম নিয়েও চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে আমার পরামর্শ, এই সাইটকে ধর্ম শিক্ষার সাইট হিসেবে নেয়া বোকামীই হবে। অন্য কোথাও থেকে শিখুন।(আপনার চিন্তা-ভাবনার জন্য)
@ডাইনোসর
ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিসম্পর্কিত জ্ঞানশাখাকে ভাববাদী দর্শন বলা হয়, যা স্থির বা ধ্রুব । তার এই বিশ্বাসের বিরোধীতাকারীর উপর আস্তিক মৌলবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । ফলে সামাজিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় ।
বিপরীতে বস্তুবাদী দর্শন হলো গতিশীল । এই গতিশীলতার কারন হলো বস্তুর অন্তরনিহিত দ্বন্দ্ব এবং স্থান, কাল ও প্রকৃতি
নির্ভর বস্তুর আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন । বিপরীত ধর্মী কিন্তু অবিচ্ছেদ বিষয় হলো আস্তিক ও নাস্তিক, যা বস্তুর অন্তরনিহিত দ্বন্দ্বের ফসল ।
আলোচনা আস্তিক-নাস্তিক বিষয়বস্তুর উপর নিবিষ্ট রাখা বাঞ্চনীয় । আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত আমার লেখাটি হলো একাডেমিক
ডিসকাশন । এখানে আমার নাস্তিকানুভূতিতে আঘাতের কোন প্রশ্ন আসে না ।
আপনার মৌলিক প্রশ্ন যেগুলি এখানে এসেছে সেগুলি সম্পর্কে আমার ভাবনা হল ধর্মকে যত যাইই দাবী করা হোক, চুড়ান্তভাবে ধার্মিকদের কাছে ভাল আর খারাপ নির্নায়ক হল তার নিজ বিশ্বাসের প্রতি কে কত প্রবলভাবে অন্ধবিশ্বাস পোষন করে এবং নানান রিচ্যূয়াল পালনের মাধ্যমে সেটা জানান দেয় সেটা। সোজা কথায় ভাল মানুষ মন্দ মানুষ নির্ধারনে সত কর্ম ততটা গুরুত্বপূর্ন নয় যতটা গুরুত্বপূর্ন ধর্মের নানান রিচ্যূয়াল পালন। আমার ধারনা ধর্ম শাসিত দেশগুলিতে (ধনী/দরিদ্র নির্বিশেষে) দূর্নীতির উচ্চহারের পেছনের একটি মৌলিক কারন এর মাঝে নিহীত। বলার অপেক্ষা রাখে না যে যারা ধর্ম সম্পর্কে সামান্যতম সংশয় প্রকাশ করে তারা হয়ে পড়ে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম মানুষ।
হেফাজতে ইসলাম কার হেফাজত করছে সেটা অত্যন্ত প্রশ্নবোধক। তারা নিজেরাই এই কৃতিত্ব দাবী করতে পারে। হেফাজতে ইসলামের কর্মকান্ডও ওপরের কথাগুলির উদাহরন হতে পারে।
হেফাজত ওয়ালারা ধার্মিক সমাজের অগ্রদূত। ওনাদের হবার কথা নৈতিকতার প্রশ্নে আপোষহীন। ওনারা এখন মুখে বলছেন যে যুদ্ধপরাধীদের বিচারে ওনাদের আপত্তি নেই, যদিও এই দাবীতে যথেষ্ট ফাঁক আছে। সেটা বাদ দিলেও নৈতিকতা শিক্ষার এই অগ্রদূত আলেমগণ অতীতে ‘৭১ এর রাজাকারদের বিচারের দাবীতে ঠিক কি কি করেছেন? কয়টা মিছিল তারা বার করেছেন? রাজাকারদের আদালতে প্রমানের লৌকিকতা বাদেই যে কোন সূস্থ বোধসম্পন্ন লোকের রাজাকারদের নিজেদের জবানীতেই জানার কথা রাজাকার কারা, তারা ‘৭১ সালে কি কি করেছে। এসব আত্মস্বীকৃত ঘাতক দালাল রাজাকার মাথা উঁচু করে বাংলার মাটিতে স্বদর্পে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে, ওনারা এত বড় নীতিবানরা এদের বিরুদ্ধে কয়টা হুংকার ছেড়েছেন? এদের কয়জনকে মুরতাদ নাস্তিক ঘোষনা করেছেন? দেশের কয়টা মসজিদ মাদ্রাসা থেকে আজ পর্যন্ত রাজাকার বদরদের শাস্তি দাবী করে মিছিল বার হয়েছে? ওনাদের ভাষায় কথিত নাস্তিক মুরতাদ তো অন্তত এদের বিরুদ্ধে সবসময় লেখালেখি করছে, চুড়ান্তভাবে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। ওনারা এত বড় নীতিবানরা রাজাকারদের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন সেটা পরিষ্কার জানা নয়া গেলেও যারা বিচার দাবী করছে তাদের ইসলাম বিদ্বেষী বলে নানান ভাবে গালিগালাজ করে আসছেন।
তাদের নৈতিকতার স্কেলে নিশ্চয়ই রাজাকারি বড় অপরাধ নয়; বড় অপরাধ হল নারী পুরুষে মেলামেশা, মোমবাতি জ্বালানো, গান বাজনা করা……। (রাজীবের মৃত্যুর আগে ওনারা এ জাতীয় যুক্তি দেখিয়েই শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধীতা করেছেন)। এ দেশে অতীতে শরিয়তী পর্দা প্রথা মেনে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে কয়টা গনআন্দোলন হয়েছে কে জানে।
মামলা খারিজের খবর শুনেছিলাম। আইনী চোখে এ জাতীয় মামলা আদালতে চুড়ানভাবে দাঁড় করানো খুব সহজ নয়। যে কারনে মামহানির মামলাও আদালতে খুব কমই টেকে। কার অনুভূতি বা মানসম্মান ঠিক কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটা নির্নয় খুব সহজ নয়।
– আপনিও এই দলে পড়ে গেছেন দেখি। আমার ব্লগ নামে কোন ব্লগারের কথা তো মনে পড়ছে না। একে চেনেন নাকি?
@আদিল মাহমুদ,
বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিল তারা গণতান্ত্রিক মঞ্চ করবে। আমি আশা করছি তাদের মঞ্চে কি হয় এটা দেখার জন্য। সেখানে কি এবাদত বন্দিগি করা হবে?
হা হা হা…..না আমিও চিনি না। তবে তারা মনে হয় আমার ব্লগ ব্যবহারের কথা বলতে চেয়েছে।
@ডাইনোসর,
বাঁশের কেল্লার খবর কি কিছু জানেন? শুনলাম সামু থেকে আসিফ ব্লক হয়েছেন। এবার নিচেরটা দেখুন-
ই-মেইলটা ফেইক না হলে মাশাল্লাহ আমরা আমাদের গন্তব্যপথে আরেকপদ অগ্রসর হলাম। ব্লগারদের ব্যাক্তিগত তথ্যাদি- আই পি এড্রেস, লোকেশন, ইমেইল, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাক্তিগত নাম সুবহাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ। পল্টন ময়দানকে নাস্তিক জবেহ করার কসাইখানায় রুপান্তরিত করা হউক। আল্লাহ আমাদেরকে বাস্তব বনি-খোরাইজার পুনরাবৃত্তি দেখার সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।
@আকাশ মালিক,
বাস্তব পরিস্হিতি আপনি যা বলছেন সেটা থেকে কম গুরুতর নয়। এসব নিয়ে কিছু বলতে চাই না কারণ উপকারীকে আবার বাঘে খায় ! ষড়যন্ত্র তত্ব বলে উড়িয়ে দেয়। যাহোক , ইমেইল সত্যি কিনা যাচাই করা খুবই সহজ। বেসামরিক সরকারী ইমেইল হবে নিম্নরূপ :
[email protected]
সামরিক হলে হবে :
[email protected]
@সংশপ্তক,
ই-মেইল ফেইক হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ খবরটা এখানেও আছে। আর কিছু ইসলামী ব্লগ ইতিমধ্যে তা দেখে খুশীতে শুকরিয়া আদায় করেছেন।
@আকাশ মালিক,
কয়টা বাংলা ব্লগে এ রকমের সরকারী চিঠি গেছে জানেন?
@সংশপ্তক,
না। পত্রিকায় লেখাটা পড়ে আপনার কী মনে হয়?
জানলে উপকার করেন। বাঘের ভয়ে উপকার করা ছেড়ে দিবেন, এ একটা কথা হলো?
@আকাশ মালিক,
এ প্রসঙ্গে আমার মতামত গত ২২শে ফেব্রুয়ারি আমার একটি লেখায় অভিজিৎ রায়ের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে লিখেছিলাম যা এখানে পূনর্ব্যক্ত করছি :
@সংশপ্তক, আশা করি আপনার এ কমেন্টের জবাব ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন (পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী অবলকন করতঃ) :-s
@আদিল মাহমুদ,
হাসি পেল।
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
হাসি পেলে হেসে নিন।
হাসি সুস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী, আয়ু বাড়ে।
তবে ব্লগ আলোচনার স্থান, এখানে হাঁসাহাঁসি একটু কম করে আলোচনা করাটাই মনে হয় শ্রেয়। আমি আমার ব্যাক্তিগত মত হিসেবেই কথাটা বলেছি। পরম ধার্মিক (নানান রিচ্যূয়াল পালনে) এবং একই সাথে চরম অসত এমন উদাহরন সারা জীবন অসংখ্যবার দেখেছি, এখনো দেখি।
আপনার মতটা ঠিক কি? মানে কি কারনে এমন প্যারাডক্স ঘটে থাকে? নাস্তিকদের আল্লাহ খোদা পরকালের ভয় নেই, সোজা কথায় বিবেক নেই। তারা যা ইচ্ছে করতে পারে বুঝি। পরকালে বিশ্বাসী আস্তিকদের বেলায় ঠিক কিভাবে অসততা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে?
নাকি ধার্মিক লোকে অসত হয় না বা হলে তাদের সংখ্যা অতি নগন্য? আমরা দেশ হিশেবে দূর্নীতির কিছু র্যাংকিং আলোচনয়া করতে পারি।
@আদিল মাহমুদ, ভাই আমি একটু চেষ্টা করি। ঘেটুপুত্র কমলা ছবিটা দেখেছেন নিশ্চয়। জমিদার বাবু বাইরে খুব ধার্মিক। মেয়ে বিসমিল্লাহ না বলে মিষ্টি খেয়েছিল দেখে ,গলার ভেতর থেকে মিষ্টি করে তারপর মেয়েকে আবার বিসমিল্লাহ বলিয়ে মিষ্টি খেতে দেন। এই দৃশ্যটা দেখে আপনার মনে হবে জমিদার বাবু খুব ধার্মিক,কিন্তু মাত্র দু মিনিট আগেই তিনি ঘেটুপুত্র কমলার উপর যৌন নির্যাতন করেন। এখন এই জমিদার বাবুকে ধার্মিক বলবেন নাকি ভন্ড বলবেন?? টুপি পরে কেউ ভন্ডামী করলে সে ধার্মিক হয় কি করে ভাই?
@মরুঝড়,
ছবিটা দেখা হয়নি এখনো, বাড়িতে পড়ে আছে। আমার বাসার লোকে সেটা প্রদর্শনীতে তীব্র ভেটো প্রদান করে আসছে।
এসব ঘটনাগুলির মূল্যায়ন বিভিন্ন দৃষ্টিভংগী থেকে করা যায়।
কড়া ধার্মিক দৃষ্টিতে হতে পারেঃ
এখানে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে দেখানো হয়েছে যে ইসলাম ধর্মানুসারীরা দূশ্চরিত্রের হয়। …।।এটা পবিত্র ইসলাম ধর্ম অবমাননার জন্য পশ্চীমের কাফের নাছারাদের ষড়যন্ত্রে তাদের দেশীয় নাস্তিক মুরতাদ এজেন্টদের ষড়যন্ত্র। যেমন হেফাজতে ইসলাম জাতীয় সংগঠনে জড়িত লোকজন রাজাকারের ছবিতে টুপি দাঁড়ি দেখলে এমন মূল্যায়ন করেন। তাদের দাবী নামায় মাঝে মাঝে দেখি টুপি দাঁড়ির অপমান অবমাননা চলবে না।
ইসলাম বা কোন ধর্ম সরাসরি অপরাধ করতে বলে না। ইসলাম চুরি কর, ঘুষ খাও তারপর টুপি দাঁড়ি লাগিয়ে বিসমিল্লাহ পড় এমন কোন দর্শন প্রচার করে না। ইসলাম উল্টোদিকে এমনকি এও বলে থাকে যে লোক দেখানো ইবাদতের (সোজা কথায় ভন্ডামি) কোন মূল্য নেই, এমনকি এসব গুনাহর কাজও বলে থাকে যাকে রিয়া বলা হয়।
সমস্যা হল যে অন্যদিকে এমন কিছু দিক পাওয়া যেতে পারে যাতে মনে হতে পারে যে এ জাতীয় নানান জাগতিক পাপ কাজ করেও গুনাহ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব; যেমন বেশী করে দান খয়রাত করা, মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান করা, নানান রকমের দোয়া দরুদ নফল ইবাদত এসব করা। আমার ব্যাক্তিগত ধারনা বাংলাদেশে এই ইন্টারপ্রেটেশনের বশবর্তী লোকের সংখ্যা অত্যন্ত বেশী। আমার নিজের কথা বাদ থাক, যারা এই তত্ত্বে একমত হবেন না তাদের আশেপাশে পরিচিত জনের মধ্যে নিঃসন্দেহে এই ধরনের কেস বহু আছে। ধর্মজগতের যারা অগ্রদূত বলে পরিচিত তারাও এই ধারাকেই মোটামুটি প্রশ্রয় দেন বলে আমার নিজ অভিজ্ঞতায় মনে হয়। যেমন দেশের আলেম সমাজের মধ্যে খোঁজ নিলে দেখা যাবে লেজে হোমো এরশাদ সাহেব বিপুল জনপ্রিয়। এরশাদ সাহেব তার আমলে ধর্ম নিয়ে যেমন ভন্ডামি ভড়ং করে গেছেন তার তূলনা মেলা ভার।
ধার্মিক কাকে বলে সেটা বেশ বড় গুরুতর প্রশ্নে। এটা সরল এজাম্পশন যে ভাল ধার্মিক মানেই ভাল মানুষ। ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে এমন কোন কো-রিলেশন মনে হয় না টানা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে এমনকি উল্টোও পাওয়া যেতে পারে। কোন ধর্ম কি কেউ টুপি বা প্রচলিত অর্থে ধর্মীয় লেবাস ধারন করে পাপাচার বা ভন্ডামি করলে তাকে ধর্মচ্যূত বলে থাকে? আমি যতটা জানি এমন ক্ষেত্রে ইসলাম অন্তত তাকে ধর্মচ্যূত বা মুরতাদ এমন বলে না, যদিও যেমন আগে বলেছি সে রিয়ার অপরাধে গুনাহর ভাগীদার হবে।
@আদিল মাহমুদ,
আরও একটা কথা সঠিক যে এইসব মুসলমানগন মনে করেন তারা যে কোন অন্যায় কাজ করেন না কেন পাপের একটু আধটু প্রায়শ্চিত্ত করার পর (আবার এটাও ঠিক যে ইবাদত-বন্দেগী, দান-খয়রাত যত বেশি করা যাবে প্রায়শ্চিত্তের পরিমানও তত কমে আসবে) একটা সময় আসবে মুসলমান হওয়ার কারনে আল্লাহ তাদের বেহেস্তে নিতে বাধ্য হবেন। দোজখগুলো বানানো হয়েছে পৃথিবীর সব বিধর্মীদের জন্য। হয়তো সব ধর্মের ধার্মিকদের জন্য এ কথা খাঁটে। বলা যায় এইসব বেহেশত দোজখের বিশ্বাসগুলোই মানুষকে অন্যায় কাজ করতে আরও উৎসাহ দেয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আচ্ছা, তা যাদের পরকালের কোন ভয় নেই, তারা কিসের জন্য দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে ??? যেখানে ধার্মিকদের দোজখের ভয় দেখিয়েও পারা যায় না দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে………………………
উত্তরটা দিলে কিতার্থ (ক্রিতার্থ নহে) রহিব।
@ব্রাইট স্মাইল্, ও হ্যাঁ , দয়া করে আরো সুন্দর লজিক দিবেন। অনেকদিন লজিক লজিক খেলি না।
@আদিল মাহমুদ, এই প্যরাডক্সের জবাব পাওয়া তো আপনার পক্ষে সম্ভব না। কারন ধর্ম নিয়ে যে পড়াশোনা তা যে কেবল ধর্ম কে ছোট করারই নিমিত্তে।
যাই হোক, পৃথিবীর বড় বড় সব ধর্মে , ডেভিল বা শয়তান বলে একটা ক্যরেক্টার আছে। যার কাজ হল কেবল মাত্র বিশ্বাসী দের ভুল ও খারাপ পথে পরিচালিত করা। আর এর থেকে বেশি যা জানতে চান, তা নিজে নিজে জেনে নেবার ক্ষমতা আপনার আছে । যদিও তা থেকে শিক্ষা গ্রহনের ক্ষমতা কতদূর বাকি আছে তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান।
পোস্ট হারিয়ে ফেলেছিলাম। উত্তরের অনাকাঙ্খিত বিলম্বের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী’
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
– ধর্মের কোন ভাল দিক নেই এমন দাবী আমি কোনদিন করিনি। খোলা মনে ধর্মীয় সূত্রগুলি বুঝে পাঠ করলে সব দিকই চোখে পড়ে।
যাক, আপনি যে প্যারাডক্সের সূত্র দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। শয়তানের কাহিনী তো ভাই আমার কাছে নুতন কিছু না। আপনার অনুমান অবশ্যই সত্য। এই কাহিনী থেকে তেমন শিক্ষা হজম করার মত বুদ্ধি আমার আসলেই নেই। অপরাধ বা খারাপ কাজ করে থাকলে বিশ্বাসীদের বেলায় শয়তানের অজুহাত, আর নাস্তিকে খারাপ কাজ করলে সে ধার্মিক নয় তাই খারাপ কাজ করে এমন ব্যাখ্যায় যুক্তির সন্ধান বাদ দিলাম; বাস্তব জীবনেও কোন মূল্য নেই। এট দ্যা এন্ড, উভয়েই ক্রিমিনাল।
ভাল থাকেন।
আস্তিক, নাস্তিক উভয়ের লেখা পড়লে কষ্ট লাগে, উভযই রাষ্ট্রের আইন বা প্রখা মানেন না এবং এই না মানার ফলই হচ্ছে এ দেশে বিশৃংখল সৃষ্টি।ধর্মের বিপক্ষে লেখা নিয়ে আপনি আপনার মন গড়া বিচার বিশ্লেষণ করলেন যা রাষ্ট্রীয় আইনের সাথে একেবারেই সঙ্গতি পূর্ণ নয়। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ২৯৮ ধারা অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্যে কোন লেখা প্রকাশ করা দণ্ডনীয় আপরাধ। আপনি বলেছন ব্লগ কতজন পড়ে যে এর দ্বারা কোটি কোটি মানুষের ধর্ম অবমাননা হবে? আসলে কতজন পড়ে এটা বড় বিষয় নয়।আপনার লেখা যদি আপনি ব্যতিত আর একজনও পড়েন এবং তার ধর্মর্য় অনুভুতিত আঘাত লাগে তাহলে সে আপনার বিরুদ্ধে মামালা করতে পারে। আর বিষয়টি যদি অনেকে পড়ে এবং এ নিয়ে দাঙ্গা ফ্যাসাদ শুরু হয় তবে আপনার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি ধারায় মামলা করা যেতে পারে।
আপনি বলেছেন সরকারি ডিফেন্সিভ মনভাবের কারণে মৌলবাদীরা ব্লগারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেষ্টা করার সাহস করছে।আসলে এটি নেতিবাচক নয় এটি একটি ইতিবাচক দিক।মৌলবাদীরা যদি ফতোয়া দিয়ে মানুষ কোপানো বাদ দিয়ে মামলা করতে যায় তবে এ ব্যাপারটিকে বরং উৎসাহ দেওয়া উচিত, কারণ এর দারা মৌলবাদিদের প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থা প্রকাশ পাচ্ছে, এরপর আদালত সিদ্ধান্ত নিবে ব্লগাররা দোষী না নির্দোষ।এতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
ধর্ম অবমাননার শাস্তির বিধান যতক্ষণ বাংলাদেশে প্রচলিত আছে ততক্ষণ ব্লগারদের উচিত ধর্মকে অবমানান করে কিছু না লেখা বা লিখলে মামলা মোক্দ্দমা মোকবেলা করার সৎসাহস থাকা এবং শাস্তি হলে তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকা বা এ ধরণের আইন বাতিল করার জন্য সোচ্চার হওয়া। আপরদিকে মোলবাদীদের উচিত মনগড়া ফতোয়াদিয়ে মানুষ না কুপিয়ে এর পাল্টা লেখা দেওয়া বা আদলতের শরনপন্ন হয়ে এর বিচার প্রার্থনা করা। তাহলে হয়তো এ দেশে কিছুটা শান্তির সু বাতাস বইবে।
আপনার এ পোস্টের অন্যন্য যুক্তির কোনটার প্রতি সহমত, কোনটার প্রতি সহমত নই, সব গুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে মন্তব্য আনেক দীর্ঘায়িত হবে দেখে সেদিকে গেলাম না। ধন্যবাদ।
অফটপিক:বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির জীবনাবসান হয়েছে।রাষ্ট্র তিনদিনের শোক পালন করছে, সকল দলের মাসুষ শোক জানাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি ব্লগে এ নিযে লেখা হচ্ছে শোক জানানো হচ্ছে কিন্তু এ ব্লগে এ ঘটনার কোন উল্লেখই নেই। বিষয়টি একটু দৃষ্টি কটু লাগছে।
@বিষন্নতা,
– ভাল পয়েন্ট। ভারতে ধর্ম অবমাননার প্রচুর মামলা হয়, তবে আমাদের দেশের মত দুদিন পর পর রাস্তাঘাটে মাতম হয় না। তবে আমার ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয় না যে আইন আদালতের সিদ্ধান্তের কারনে কোপাকুপি বন্ধ হবে বলে।
– প্রশ্নটা ক্ষেত্রবিশেষে অত্যন্ত জটিল হতে পারে। নবী, রসূল বা ধর্মীয় কোন চরিত্রকে গালিগালাজ করলে সেক্ষেত্রে কেস সহ্জ।
ধর্ম সম্পর্কীয় কোন লেখা অবমাননাকর কিনা সেটা প্রমান করার উপায় কি? অবমাননার সংজ্ঞা এক একজনার কাছে এক এক রকম হতে পারে। ডাইনোসরের এই লেখাই ধার্মিকদের ভেতরেই কারো কাছে মনে হতে পারে ধর্ম বা ধার্মিকদের গঠনমূলক সমালোচনা, আবার কারো কাছে মনে হতে পারে ধর্ম এবং ধার্মিকদের অবমাননা। ব্যাপার আরো ঘোলাটে হতে পারে। আমি নিজের কোন কথা না বলে বিশেষ কিছু হাদীস কিংবা ইসলামী জগতের সুবিখ্যাত বড় বড় ইতিহাসবিদ, আলেম, তাফসিরকারকের কথা হুবহু কোট করলেও ধর্ম অবমাননা হয়ে যেতে পারে। এটা সমাধানের কোন পথ আছে? আমাকে ধর্ম অবমাননার শাস্তি দেওয়া হবে আর যাদের কথা কোট করেছি তাদেরকেই বড় আলেম বলে সম্মান করা হবে?
কোন দেশের আদালতের পক্ষেই ধর্ম অবমাননার মামলা নিয়ে খুব বেশী সময় দেওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের থানা আদালতে ফৌজদারী মামলার সংখ্যা অস্বাভাবিক রকমের বেশী। সেখানে নিয়মিত ভিত্তিতে দেশের আনাচে কানাচে গনহারে ধর্ম অবমাননার মামলা রুজু শুরু হলে আদালতের আর অন্য মামলা দেখতে হবে না। চুড়ান্ত কথা হল দুই পক্ষরই ন্যূনতম সহনশীলতা দেখানো উচিত। ধর্ম সমালোচনার নামে ইচ্ছেমত খিস্তি খেউড় গালিগালাজ বন্ধ করা উচিত, অপর পক্ষে ধর্মের যে কোন রকম সমালোচনা শুনলেই রে রে করে তেড়ে আসার সংস্কৃতিও বন্ধ করা উচিত। বাস্তব জীবনে বহু সমস্যা আছে মাথা ঘামানোর।
@আদিল মাহমুদ,
পুরোপুরি বন্ধ হবে এটা আমিও মনে করি না, তবে সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং দেশে বিশৃংঙখলা কমবে।যখন কোন মানুষ আইন ভঙ্গ করে বা কারও বিরুদ্ধে আপরাধ করে তখন যদি ভিক্টিম আইন গত প্রতিকার না পায় তার মধ্যে প্রবণতা থাকে আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়ার, এটা সব মানুষের ক্ষেত্রেই কম বেশি প্রযোজ্য।
আরেকটি কথা, রাজীব হত্যার পর ডানপন্থি পত্রিক গুলো প্রকাশ করা শুরু করলো যে রাজীব ধর্মের নামে কি রকম বাজে কথা বলেছেন্।যদিও আদালতে এর দারা খুনি মাফ পাবে না, এসব প্রচারের উদ্দেশ্যও অবশ্য আদালত নয়, উদ্দশ্য হল সাধারণ মানুষ। সেখানে জামাতে ইসলামের একটি মোরাল ভিক্টরি হয়েছে। আমি সাধারণ অনেক মানুষের (যারা জামাতে ইসলামের সমর্থক নয়) সাথে কথা বলে দেখেছি এখন তারা রাজীব হত্যাকে আর তেমন নিন্দা করেন না।তারা বলেন যে ধর্মের নামে এমন কখা বলতে পারে তার কিছু শাস্তি প্রাপ্য ছিল। আমি বুঝি এ মন মানসিকতা খুবই জঘন্য, কিন্তু দুঃখজনক সত্য হল বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের মন মানসিকতা এমনই। এ কারণেই রাজিব কে হত্যার পরও জামাতের একটি মোরাল ভিক্টরি হয়েছে। কিন্তু রাজিব বা অন্য কারও এ ধরণের লেখার জন্য যদি সরকার মামলা করতো এবং তার বিচারের ব্যবস্থা করতো তারপরও জামাত যদি তাকে হত্য করতো তবে সাধারণ মানুষের মনমানসিকতা এমন থাকতো না এটা আমি নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে জামাতের নৈতিক পরাজয় ঘটতো এবং জামাত একটি রাজনৈতিক দল হওয়ার কারণে তাদের এ ব্যপরটির যথেষ্ট মূল্য রয়েছে।
আপনি বলেছৈন ধর্মীয় আবমানার বিষয়টি আপেক্ষিক, এ কথা সত্য।একই কথা একজন বললে অবমানা হয়, অন্য জন বললে অবমাননা হয় না, এটাও সত্য কথা। আসলে বিচারের সময় এ সব ক্ষেত্রে শব্দ প্রয়োগের সাথে সাথে ইনটেনশনকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয় হয়। এ কারণেই একই কথা কোন ক্ষেত্রে তা ধর্ম অবমাননাকর, আবার কোন ক্ষেত্রে তা অবমাননাকর নয়।
যথেষ্ট যু্ক্তি পূর্ণ কথা বলেছেন। তবে নাস্তিকদের গালগাল করলেও তারা দাঙ্গা ফ্যাসাদ বাধান না বা মামলা মোকদ্দমা করেন না, তাছাড়া অধিকাংশ মৌলবাদী আধুনিক শিক্ষা, সংস্কৃতিতে শিক্ষিত না হওয়ায় তাদের কাছ থেকে সহিঞষনু আচরণ আশা করা বৃথা। তাই দেশে শান্তি রাখতে হলে মৌলবাদীদের টলারেন্স লেভেল বুঝেই নাস্তিকদের উচিৎ ধর্ম সমালোচনা করা।
@বিষন্নতা,
আগে তো বলুন কোন কোন শব্দ ব্যবহার করলে কি কি শুনলে একজনের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। একটা তালিকা দেন আমরা কি কি শব্দ ব্যবহার করতে পারবোনা। কসম আল্লাহর আমি তা ব্যবহার করবোনা, কিন্তু ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এর পরেও ইসলামের কারণে, ইসলাম রক্ষার নামে মারামারি খুনাখুনী হত্যা ধর্ষণ জ্বালানি পুড়ানি বন্ধ হবেনা। রাজনৈতিক ইসলাম মানুষের রক্তপিপাসু এক রাক্ষসের নাম। ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হর কারবালাকে বাদ।
@আকাশ মালিক,
ভাই আকাশ মালিক, এ বিষয়টি ব্যখ্যা করা খুব কঠিন।যারা ধার্মিক বা মৌলবাদী তাদের কাছে ধর্মের সমালোচনা করলে তাদের নিজেদের মাতা পিতার সমালোচনার চেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া হয়।অতএব বলতে হয় যে আপনি আপনার মাতা,পিতা বা আপনার কোন নিকট আত্মীয়ের যতটুকু সমালোচনা এবং যে ভাবে সমালোচনা সহ্য করবেন, মনে করবেন মৌলবাদীরা ধর্মের ঠিক ততটুকু (আমার মনে হয় আরও কম) সমালোচনা সহ্য করতে পারেবন।
হয়তো কমবে তবে বন্ধ হবে না এ কথা ঠিক। শুধু ইসলামের নামে কেন? রাষ্ট্রের নামে, জাতির নামে অন্যান্য কিছু ধর্মের নামে এ হানাহানি কি বন্ধ হবে।শুধু আমেরিকা ইরাক যুদ্ধে “মারণাস্ত্রের” অজুহাতে যে পরিমান মানুষ হত্যা করেছে, ধর্মের নামে হানাহানি করে সে পরিমান মানুষ মারতে যে কতদিন লাগবে তা উপর ওয়ালা জানেন(জানিনা উপর ওয়ালা আছেন কিনা)।বর্তমানে পৃথিবীতে ধর্মের চেয়ে বড় দানব হল রাষ্ট্র।ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
@আকাশ মালিক,
মুক্তচিন্তা এর সংজ্ঞা কি ???? ধর্মবিদ্বেষ ??? নাকি ইসলাম বিদ্বেষ ??? এছাড়া আর কিছু তো দেখছি না…………………
আপনি না হয় বন্ধ করবেন………… কিন্তু সবাই কি করবেন????
আর আপনি সরাসরি অপমানমূলক শব্দ ব্যবহার না করে অপমান করতে চাইছেন…………………
অপমান আমরা কখনই সহ্য করব না…………………
তার চেয়ে ভাল কথা…………………… আপনারা বিজ্ঞান চর্চায় মন দিন………… আপনারা যে নাস্তিকদের অনুসরন করেন তারা ব্লগ পড়ে নাস্তিক হয় নাই……… আর আপনারা যতই চেষ্টা করেন…………………… নাস্তিকতা কখনই ইসলামকে বিলুপ্ত করতে পারবে না………………
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত, ভাই আপনি অত টেনশন নিয়েন না , আজকাল কিছু মানুষ শখ করে নাস্তিক হন,তাই ঘাবরানোর কিছু নেই। তাদের অবিশ্বাস বড় ই নড়বড়ে। মাত্র দুই তিনটি প্রশ্নেই নাস্তিকতা আটকে যায়। নো টেনশন।
@মরুঝড়,
ঠিক আপনাদের বিশ্বাসের মত, তাই না? 🙂
বোল্ড করা অংশে মনে হয় নাস্তিকতার স্থলে আস্তিকতা বলতে চেয়েছেন তাই না? 😉
ধর্ম আর বিজ্ঞান সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে তা আমি বলবো না। কিন্তু একথা তো সত্য যে ধর্মের সবক’টি কুসংস্কার বিজ্ঞান ই দূর করেছে, বা আজও করে যাচ্ছে।
ধর্ম যতই বিজ্ঞানকে অস্বীকার করুক, বিজ্ঞান কিন্তু কক্ষনই ধর্ম কে অস্বীকার করে না।
মহা ধার্মিকেরা বলেন, ধর্ম মান্দ সমাজের কল্যাণের জন্য এসেছে, মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথ দেখানো যেমন ধর্মের কাজ তেমনি বিজ্ঞানেরও কাজ। বিজ্ঞান মানুশের জীবনকে সুন্দর ও সহজ করে তুলে। বিজ্ঞানের সাথে পারতপক্ষে ধর্মের কোন বিরোধ নাই। কিন্তু ধর্ম সব সময় বিজ্ঞানকয়ে তার অন্যতম প্রতিপক্ষ মনে করে থাকে। এটা এক প্রকার ধর্মের ই দীনতা প্রকাশ করে থাকে।
@শিমূল,
আমি বিপরীত বুঝি না। বিজ্ঞানের যে কোন বিষয় নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। প্রমাণ না করতে পারলেও আপনার বিরুদ্ধে কোন হুমকি আসবে না। এমন কি আইনস্টাইনের সূত্রকে অস্বীকার করলেও কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু ধর্মের কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে যাওয়াই সমস্যা…। তাহলে মিল অমিল খুঁজব কিসের ভিত্তিতে?
@শিমূল,
কোথায় পেলেন এই তথ্য? স্বীকার করলো কোথায়? আমিতো দেখি বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্কই নেই!
@শিমূল,
সীমাহীন বিরোধ আছে।
কথাটা এভাবে বোধ হয় বলা উচিৎ ছিল- ধর্ম বিজ্ঞানের পিছুপিছু দৌড়ায় নিজেকে বাঁচানোর জন্যে, বিজ্ঞান কিন্তু তা কখনও করেনা।
@আকাশ মালিক,
দাদা ধন্যবাদ আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম। আমার লেখালেখির অভ্যাস নেই তাই আপনাদের মত গুছিয়ে লিখতে পারিনা।
@আকাশ মালিক, দেখুন মহানবী (সঃ) এর মিরাজের ঘটনা কিন্তু ১৫০০ বছর আগে ইসলাম বলেছে, তখনকার বিজ্ঞান কিন্তু এটাকে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু আইনস্টাইন প্রমাণ করেছেন যে, বস্তু আলোর গতিপ্রাপ্ত হলে সময় স্থির হয়ে যায়। তবে তিনি বলেছেন কোন বস্তুর পক্ষে আলোর গতি পাওয়া সম্ভব না।
But আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ’র কাছে বস্তুকে আলোর গতি দেয়া সম্ভব।
এজন্যেই বলা হয়, “Islam is logical and more than (not out of) logical.”
অন্য ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়, তাই অন্য ধর্মের কথা জানিনা, কিন্তু ইসলাম ধর্মের কথা যতদুর জানি, ধর্ম বিজ্ঞানের পেছনে দৌড়ায় না,বরং ধর্ম-ই বিজ্ঞানের জনক।
@সবুজ,
ধরলাম মুহাম্মদ তার শখের বোরাকে চড়ে আলোর বেগে উড়াল দিলেন। তিনি আলোর বেগে উড়াল দিয়ে আমাদের গ্যালাক্সি পাড়ি দিতে কত সময় লাগবে হিসেব করেন। মুহাম্মদ যদি মহাবিশ্ব পাড়ি দিতে চান আলোর বেগে তবে পৃথিবীতে কত কোটি বছর চলে যাবে একটু অনুমান করেন।
সময়ের আপেক্ষিকতা হিসাবের সময় শুধু মুহাম্মদের কথা ভাবলে হবে না, এদিকে পৃথিবীতে কত বছর যাচ্ছে সেটাও হিসাব করতে হবে। অতি ইমানে ঘিলু নষ্ট, যত্তসব।
কি আর করা ধর্মের বরা, খাইছনি খাও না খাইলে আরো দুইটা খাও । ধর্মের রাজনীতি এতই করা, এখানে সবাই হতচ্ছাড়া । কতো দার্শনিকরে দর্শন শাস্র ভুলায়ে ধর্ম শাস্র আওড়াইতে বাধ্য করছে তার ইয়ত্তা নেই ।ধর্মের কথা যখন উটে তখন মস্তিষ্কের সব ইন্দ্রিয় বন্ধ হয়ে একটাই খুলা থাকে যেটা পরিষ্কার করা থাকে ।ধর্ম আর তলোয়ার একটার সাথে আরেকটার সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন ।কেন আপনি জানেননা মুসলমানরা প্রকাশে নামাজ পড়তে শুরু করেছে তখন থেকে যখন থেকে ওমর মুসলমান হয়েছে। কার মাথায় দুইটা মাথা আছে যে ওমরের তলোয়ারকে ভয় না পায়? এ যুগে ওমর বেঁচে থাকলে শাহবাগে যে কচু কাটা কাটতো ভাবতেই গোয়া গুল।
@সোহেল,
আফসোস শান্তির ধর্মে কোন শান্তি নাই। ইসলামের বাইরের মানুষের শঙ্কার সীমা নাই।
@ডাইনোসর, শান্তির ধর্মে শান্তি আছে,ছিল এবং থাকবেও। যারা ধর্মের নামে মাথায় টুপি পরে কোন এক হিন্দুর বাড়িতে হামলা চালান, তাদের সাথে ধর্ম কোথায়? কিন্তু আপনারা শুধু তাদের টুপি দেখেন ,তাদের অধর্ম দেখেন না।
২। যদি ধর্মের কোন বিশয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় তবে তা যুক্তিযুক্ত হতে হবে। নীচে আপনী একটি সুন্দর মন্তব্য করেছেন। বিজ্ঞানের কোন বিষয় যদি ভুল ধরেন বা ধরতে চান তাহলে আপনি নিশচয় শুধু যুক্তি দেখান,আবেগ দেখান কি? ধর্মের ক্ষেত্রেও সেরুপ হওয়া চাই। কিন্তু বেশির ভাগ অবিশ্বাসি কে দেখি ধর্মের আলোচনা করেন অহেতুক আবেগ আর গালাগালি দিয়ে। মজার ব্যাপার আপনি কিন্তু বিজ্ঞানের কোন বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় এরুপ করবেন না, তাহলে ধর্মের সময় কেন? কেন মানুষ ধর্মের বিষয় টি সুন্দর ভাবে আলোচনা করতে পারেন না। ?
৩। তাই যে শঙ্কার ভয় করেন তার দায়ভারের বড় একটা অংশ আপনাদের উপর বর্তায়।
৪।লেখার উপর মন্তব্য-উদাহরন গুলো ঠিক যুক্তিযুক্ত নয়। তবে বুঝলাম হেফাজতে ইসলামের উপড় রেগেছেন। তারা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কি কি সব করছে জানিনা, তবে আমি মনে করি তাদেরও উচিত একটা ইসলামি ব্লগ খোলা যাতে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে উঠা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন। শুধু মেরে দেব, খাইছি তোরে টাইপের ধ্যান ধারনা থেকে তাদের বের হয়ে আসা উচিত। তাদের বোঝা উচিত এখন ইসলাম কে টিকে থাকতে হলে এসব মোকাবেলা করেই টিকে থাকতে হবে। আর আমার বিশ্বাস ইসলাম সব কিছুই উতরে যাবে। ধন্যবাদ। একটু এলোমেলো মন্তব্য করলাম,মাফ করবেন।
@সোহেল,
একদম শেকড় ধরে টান দিয়েছেন। তবে এই যুগে সেই ভয়ংকর তান্ডব বোধ হয় করা সম্ভব হতোনা। অনেকেই মোল্লা ওমরকে, ওসামা বিন লাদেনকে খলিফা ওমর ও খালিদ বিন অলিদের সাথে তুলনা করেছেন। আমদের দেশে সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই, মুফতি হান্নান, শায়েখ আব্দুর রহমানরা, ১৫ শো বছর আগের সেই দুর্ধষ খুনী আবি ওয়াক্কাস, মালিক আশতারী, ইবনে আসদের চেয়ে কম ছিলনা।
এখানে এই জিহাদীরা কিছুই করতে পারতোনা যদি সরকার ভীতু ভন্ড না হতো, যদি প্রশাসন শক্ত দক্ষ হতো।
কিন্তু তারা অপারগ কারণ তারাও যে ইসলামানুভিতিতে কাতর। বেলা শেষে রাজনীতিবিদদের, হেফাজতে ইসলামের মত কোন একটা ইসলামের কাছে যেতে হয়। যাদের কাছে ঈমান বন্ধক দেয়া তাদের বিরোদ্ধে শক্ত অবস্থান নিবে কী ভাবে? সরকারের যেখানে কে আস্তিক আর কে নাস্তিক জানার কোন দরকারই ছিলনা সেখানে সরকার নিজেই সাক্ষী দেয় সে যে মুসলমান, তারও যে ইসলামানুভুতি আছে। রাষ্ট্র যে আর রাষ্ট্র নেই, সে মুসলমান হয়ে গেছে। তার একটি নির্দিষ্ট ধর্ম আছে, নাম তার ইসলাম, কোরান তার অপ্রকাশ্য-গোপন সংবিধান।
@ ডাইনোসর
আমার ও আপনার মতো শিক্ষিত বহু বাংলা ভাষী আস্তিক মৌলবাদী আছেন, যারা ইন্টারনেটে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন ।
আলোচ্য লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনিও একজন নাস্তিক মৌলবাদী । আমরা যারা রাষ্ট্র থেকে ধর্ম পৃথক-করণ চাই,
স্বার্থানেষী রাজনীতিবিদ ও আস্তিক মৌলবাদীরা তাদেরকে নাস্তিক আখ্যায়িত করে পৃথক-করণ দাবীর বিরোধীতা করছে ।
মানব চিন্তা ও সভ্যতা একটি ধারা বাহিক প্রক্রিয়া, যা স্থান, কাল ও প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল । আস্তিক-নাস্তিক মৌলবাদীরা
এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে, ফলে ইতিহাসকে বাঁকাচোরা পথে চলতে হয় । ইতিহাসের এই গতির কারণে মানব চিন্তা ও
সভ্যতা উন্নত থেকে উন্নততর হয় ।তাই ধর্ম নিয়ে কথা না বলাটাই বাঞ্চনীয় । আপনার যুক্তি ও বিশ্বাস নিজের মধ্যে রাখাটাই
উত্তম ।
@আ, হা, মহিউদ্দীন,
ভাই আমি কি আপনার নাস্তিকানোভূতিতে আঘাত দিলাম নাকি?