ফেসবুক ও ভার্চুয়াল দুনিয়াতে অনেক কুরুচিপূর্ণ মানুষ/পেজের স্ট্যাটাসের কল্যাণে এমন কথা দেখতে হচ্ছে “ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোষাকই দায়ী” কিংবা “যেদেশে সানি লিওন আছে সে দেশে গণধর্ষণ হবে না কি বাংলাদেশে হবে?” !
এটা তাদেরই কথা যাদের এসব বিজ্ঞাপন/সানি লিওনের ছবি দেখে লালা ঝরে, কামনা জেগে উঠে! কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপনকে আমি কুরুচিপূর্ণ-ই মানি…কিন্তু এটা ধর্ষণের মূল কারণ নয়।
দিল্লীতে ঐ মেডিকেলছাত্রী ধর্ষণের মাত্র ১২ দিন আগে ভারতের পার্লামেন্টে “বিয়ের পর কোনো পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না” শীর্ষক একটি বিল আনা হয়।(তথ্যসূত্র:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-25/news/315911) যে দেশে আইন করে ধর্ষণকে বৈধ করা হয় সে দেশে কেন ধর্ষকরা নারীকে অত্যাচার করতে ভীত হবে?
নিশ্চয় ভাবছেন ভারতের পার্লামেন্টে এমন আইন পাশ হলো কি করে? আপনাদের জানিয়ে রাখি “ধর্ষণ ছাড়াও নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে—ভারতে এমন ২৬০ ব্যক্তিকে নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো !!”(তথ্যসূত্র: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-03/news/318454)। যে দেশে ধর্ষকরা এমপি হতে পারে,যে দেশের সংসদ অধিবেশন চলাকালে এমপি’রা মোবাইলে পর্ণ দেখেন সে দেশে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি টা কেমন তা কি আর বলে দেওয়া লাগবে?
ধর্ষণের আরো একটি মূল কারণ ধর্ষকদের অবাধে ছাড় পেয়ে যাওয়া। দেশের অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন গত বছরের ৯ এপ্রিল পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের উল্টোছড়া প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ১১ বছরের সুজাতার লাশ দেখে। ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে শিশুটির শরীরজুড়েই ছিল কাটা চিহ্ন। “আদিবাসী শিশু সুজাতা চাকমাকে ধর্ষণ এবং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইব্রাহিম এর আগে সুজাতার মামাতো বোনকে ধর্ষণ করে এবং ১১ মাস সাজা পাওয়ার পর জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ নিতেই সুজাতাকে ধর্ষণ করে ও হত্যা করে।”(সূত্র: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-05-19/news/258876)
ভারতের দিল্লীতে ও ধর্ষণের বিচার না হওয়ার চিত্রটা একইরকম। ভারতের নয়াদিল্লিতে বিদায়ী বছরে ৬৩৫টি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এতে মাত্র একজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন !! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে। (তথ্যসূত্র:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-31/news/317428)
অত্যাচারের শিকার হওয়া এই মেয়েদের কষ্টের তীব্রতা বোঝার সামর্থ্য আমার নেই।শুধু এতটুকুই বলতে পারি,ধর্ষণে ধর্ষক নষ্ট হয়,ঐ ধর্ষণে সহায়তা দানকারী সমাজপতিরা নষ্ট হয়, অত্যাচারের শিকার হওয়া নিষ্পাপ মেয়েটি কখনোই নয়। কাজেই ধর্ষকদের সাথে সাথে ঐ ধর্ষণে সহায়তা দানকারী সমাজপতিদের ও প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক, যাতে তারা “পুরুষ” শব্দটিকে কখনো কলঙ্কিত করতে না পারে।
আমরা হয়তো ধর্ষণ পুরোপুরি নির্মূল করতে পারব না; কিন্তু আমরা অন্তত ধর্ষিতার জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তোলা থেকে কিংবা তাকে মানসিকভাবে পুনর্ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে পারি, তাকে সহায়তা করতে পারি আগের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপনে।
যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে মানসিক ও নৈতিকভাবে পরাস্ত করতে অনেক সময়ে গণধর্ষণকে ও গণহারে ধর্ষণকে একটি অস্ত্র হিসেবে নেয়।ইয়াহিয়া খান পাকি সৈন্যদের ধর্ষণের বৈধতা দিয়ে বলেছিলেন, ” দেশ থেকে এতো দূরে থেকে নিজের জৈবিক চাহিদা মেটাবার জন্য তারা এসব করতেই পারে “” !!!!
ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষিতাকে আরো অন্তত দুবার মানসিকভাবে ধর্ষিত হতে হয়; একবার ডাক্তারি পরীক্ষাকালে, আরেকবার এজলাশে! ফলে অনেক ধর্ষিতাই ধর্ষণের ঘটনাটা চেপে যান। অনেকেই ধর্ষিতাকে সান্ত্বনা দেয় এই ভাষায় — আহা! পশুটা ওর ‘ইজ্জত’ কেড়ে নিয়েছে কিংবা ‘সম্ভ্রমহানি’ করেছে কিংবা ওকে ‘নষ্ট’ করেছে! আমরা কেন বুঝি না এই বাক্যগুলো ধর্ষিতার জন্যে সান্ত্বনা তো নয়ই, উলটো যন্ত্রণা?আমরা হয়তো ধর্ষণ পুরোপুরি নির্মূল করতে পারব না; কিন্তু আমরা অন্তত ধর্ষিতার জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তোলা থেকে কিংবা তাকে মানসিকভাবে পুনর্ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে পারি, তাকে সহায়তা করতে পারি আগের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপনে।
মুক্তিযুদ্ধে পাক শুয়োরের দল ও তাদের এদেশীয় ঘাতকদল কর্তৃক ধর্ষিত নারীদেরকে যখন তাদের স্বজনেরা গ্রহণ করছিল না, যখন তাদেরকে পুনর্বাসিত করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, যখন তাদের পিতা-মাতারা পর্যন্ত তাদেরকে অস্বীকার করছিলেন; তখন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে গিয়ে বলেছিলেন — ওদের বাবার নামের ঘরে আমার নাম লিখে দে, আর ওদের ঠিকানার ঘরে লিখে দে ‘ধানমণ্ডি ৩২’!
আমরা কি পারি না জাতির পিতার মতো হতে?
শেষ প্রকাশিত লেখাটি আপনার ইচ্ছানুযায়ী ট্র্যাশে পাঠানো হল, এবং এখানে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে করা অসৎ কাজের অভিযোগের সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার নিজস্ব “কঠোর” ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য বিনীত অনুরোধ করা গেলো।
আপনি এই লেখা আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করেছেন না কোথায় করেছেন সেটা নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়। খুবই সাধারন একটি প্রশ্ন করা হয়েছে। আখতারুজ্জামান আজাদের লেখার সাথে আপনার লেখার এত মিল কীভাবে আসল। যদি এমন হয় আখতারুজ্জামান আজাদই আপনার লেখা চুরি করেছে তাহলে সেটার কথা উল্লেখ করুন, আর যদি আপনিই কোনভাবে অসৎ কিছু করে থাকেন সেটাও একজন মানুষ হিসাবে বলে ফেলুন। ঝামেলা চুকে যাবে। শুধু শুধু সময় নষ্ট করে জল ঘোলা করবেন না বলেই আশা করা যাচ্ছে।
-মুক্তমনা মডারেটর
@মুক্তমনা মডারেটর, আপনার এই মন্তব্যটির জবাব দেবার আগে ‘প্রতারণার ডোজ…রোজ রোজ ২’ এ উল্লেখকৃত মন্তব্যটি পুনরায় উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি।
অভিজিৎ দাদা আমাকে ফেসবুকে ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠিয়ে লেখাটা মুক্তমনায় দিতে অনুরোধ করেন। আর তাই তড়িঘড়ি করে লেখাটা মেইল করে মুক্তমনায় পাঠাই।
[img]http://farm9.staticflickr.com/8367/8393619097_e3fd80ba34_b_d.jpg[/img]
কিন্তু একটা মেইল পাঠানোতে আপনি কি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে আমি মডারেটর প্যানেল থেকে করা মন্তব্যটি দেখেছি এবং দেখার পরে পাত্তা দেই নি? খোদ আপনার মাঝেই তো যুক্তিবোধের অভাব দেখছি।
এই লেখাটি ট্র্যাশে ফেলে দিবেন কারণ আপনার মতো যুক্তিবোধ হীন মডারেটরের আন্ডারে আমার লেখা প্রকাশ করার প্রয়োজন অনুভব করছি না।
আমাকে তো চৌর্যবৃত্তিতে অভিযুক্ত করলেনই, আপনার মতো যুক্তিবোধহীন মানুষের কাছে এর চেয়ে বেশি কি আশা করা যায় ? তবে আপনাকে ও পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে রাখছি, আপনার ব্যবহারের মান উন্নত করতে চেষ্টা করুন। ভবিষ্যতে আর কখনো আপনার এই ধরনের দুর্ব্যবহার দেখলে আমি জনগুরুত্বপূর্ণ লেখা গুলো মুক্তমনায় না দিয়ে অন্য ব্লগে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো
@সুদীপ্ত দেবনাথ, আমার মাথা গোল পাকিয়ে যাচ্ছে ভাই। আমি যতদুর জানি যে অভিদাই হলেন মুক্ত মনার ফাউন্ডার আর প্রধান নিয়ন্ত্রক!! কি যন্ত্রনা মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না আমার; আপনার আর মুক্ত মনা মডারেটরের বাদানুবাদ। সত্যি বলছি আমি খুবি কনফিউজড। 😕
@মুক্তমনা মডারেটর, আপনার মন্তব্যের জবাব কিন্তু আমি প্রথম মন্তব্যেই দিয়েছি, এই লেখাটি দুটো অংশে ৩০ ডিসেম্বর ও ২ জানুয়ারী আমি ফেসবুকে আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দিয়েছি-এটার স্ক্রিনশ্যুট ও যুক্ত করেছি। সেখান থেকে যা সিদ্ধান্ত নেবার সেটা আপনাকেই নিতে হবে। না আমি আখতারুজ্জামান আজাদ নামে কাউকে চিনি, না তো তার লেখা পড়ার প্রয়োজন অনুভব করছি। কারণ আমি বেশ ভালো করেই জানি পত্রিকায় কয়েকটা সংবাদ/তথ্যের ভিত্তিতে আমি লেখাটা তৈরি করেছি,কপি পেষ্ট মেরে নয়। কিন্তু আপনি তো আমার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেন।
১. একটা মেইল পাঠানোতে আপনি কি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে আমি মডারেটর প্যানেল থেকে করা মন্তব্যটি দেখেছি এবং দেখার পরে পাত্তা দেই নি?
২. ফেসবুকে ৪ জানুয়ারী প্রকাশিত একটি লেখার সাথে মুক্তমনায় ১২ জানুয়ারী আমার দেওয়া এই লেখাটির মিল থাকার কারণে আপনি আমাকে চৌর্যবৃত্তের অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন। এখন আপনি দেখতে পাচ্ছেন ফেসবুকে ৩০ ডিসেম্বর ও ২ জানুয়ারী আমার প্রকাশিত এই লেখার সাথে ৪ জানুয়ারী প্রকাশিত ঐ লেখার মিল রয়েছে। এখন আপনার মন্তব্য কি?
@সুদীপ্ত দেবনাথ,
মুক্তমনার মতন প্ল্যাটফর্মে একজন সুদীপ্ত দেবনাথের কার্যক্রম, ব্যক্তি সুদীপ্ত দেবনাথকে কোন ঝামেলায় না ফেললেও মুক্তমনার মান অন্যান্য খামার ব্লগের মানে নামিয়ে দেয় বলে সমস্ত দিকে আমাদের চোখ রাখতে হয়।
আপনার ফেসবুক পোস্টের লিঙ্কটা দিন। পরীক্ষা করে দেখাটা সচ্ছতার জন্যই দরকার।
-মুক্তমনা মডারেটর
আর হ্যাঁ…লেখার প্রথম অংশের স্ক্রিনশট…
[img]http://farm9.staticflickr.com/8234/8393674027_b4851ff4db_b_d.jpg[/img]
@সুদীপ্ত দেবনাথ,
প্রতারণার ডোজ…রোজ রোজ ২ পর্ব কি ডিলিট করে দিলেন? আমার মন্তব্যটাও গেল। রাগ গোসা বাদ দিয়ে পরিষ্কার বলে দিন না ভেজালটা কোথায়? আপনার লেখাগুলো যদি আপনারই হয় এটাকে প্রতিষ্ঠিত করার অধিকার আপনার আছে। পাঠকের কাছে এই লেখার কদর আছে। আপনি যদি রাগ করে চলে যান কিংবা লেখা না দেয়ার পণ করে থাকেন তাহলে আপনিই দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, আপনার ফেইসবুকে লেখাটি দিয়েছেন ২ জানুয়ারি আর আখতারুজ্জামান তার ফেইসবুকে দিয়েছেন ৪ জানুয়ারি। কেউ যদি আপনার লেখা কপি-পেষ্ট করে বা চুরি করে অন্যত্র প্রকাশ করে, সেখানে আপনার অবস্থানটা পরিষ্কার করুন। আমার বিশ্বাস মুক্তমনা চৌর্যবৃত্তি যেমন ঘৃণা করে তেমনি ভাল লেখকেরও মূল্যায়ণ করে।
@আকাশ মালিক, যুক্তিবোধ হীন কেউ যখন অভদ্রের মতো আচরণ করে তখন কি আর করার বলুন ?
এই মডারেটরের দৃষ্টিতে ভেজাল এটাই যে, তিনি আমাকে একটি মন্তব্যে চৌর্যবৃত্তিতে অভিযুক্ত করেন। কিন্তু গত কিছুদিন আমি মুক্তমনাতে লগ-ইন না করায় সেই মন্তব্যটি আমার চোখে পড়ে নি, সেটির জবাবও দেওয়া হয় নি। এরই মাঝে প্রতারণার ডোজ…রোজ রোজ ২ পর্ব মেইল করে মুক্তমনায় পাঠানোতে তিনি ধরে নিয়েছেন আমি ঐ মন্তব্যটি দেখা সত্ত্বেও পাত্তা দেই নি !!!
প্রতারণার ডোজ…রোজ রোজ ২ পর্বের প্রথম মন্তব্যে তিনি কি পরিমাণ অভদ্রের মতো মন্তব্য করেছেন সেটা আপনি নিজেই দেখেছেন, এবং আপনি সেটা নিয়ে একটা মন্তব্যও করেছিলেন।
যেই ব্যাপারটি আপনি লক্ষ্য করেছেন সেই ব্যাপারটি এখনো এই মডারেটর ধরতে পারেন নি !!! (নিচে মডারেটরের মন্তব্যটি দেখুন) অথচ ঠিক একইভাবে, অর্থাৎ মুক্তমনাতে আমি লেখাটি ১২ জানুয়ারী দেওয়ায় তিনি আমাকে চৌর্যবৃত্তের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন !!
পাঠকের কাছে এই লেখার কদর আছে, সেটা তো মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের বোঝা প্রয়োজন। কাজেই এই মডারেটর আবারো অভদ্রের মতো আচরণ করলে আমি জনগুরুত্বপূর্ণ লেখা গুলো মুক্তমনায় না দিয়ে অন্য ব্লগে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আমার অন্য কোন উপায় থাকবে না।
এই লেখাটির সাথে আপনার লেখাটির সম্পর্ক কী? উক্ত ফেসবুক নোটে লেখকের নাম আখতারুজ্জামান আজাদ যেটা জানুয়ারী ৪ তারিখে পোস্ট করা হয়েছিল। আর প্রায় অবিকল একই লেখা আপনি আপনার নামে এখানে ছেড়েছেন জানুয়ারী ১২ তারিখে। একটা পরিষ্কার ব্যাখ্যা চাচ্ছি।
-মুক্তমনা মডারেটর
@মুক্তমনা মডারেটর, [img]http://farm9.staticflickr.com/8469/8393608327_1ea6893e7f_b_d.jpg[/img]
আখতারুজ্জামান আজাদ কে আমার জানার দরকার নেই। তিনি কি লিখেছেন সেটা পড়ার প্রয়োজনও বোধ করছি না। এই লেখাটা মুক্তমনায় প্রকাশ করার আগে দুই ভাগে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দিয়েছিলাম। এখানে স্ন্যাপশট এটাচ করে দিলাম।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। আমার মনে হয় খোজাকরণই ধর্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিত।
ধর্ষণের কারণ নারীর পোশাক। সুতরাং ধর্ষণ প্রতিরোধে নারীদের বোরখা পরা উচিত। ধর্ষকরা আমাদের জাতীয় বীর। নারীরা চিড়িয়াখানার পশুর সমান। তাদের পর্দা নামক চিড়িয়াখানায় রাখাই উত্তম।
গত সপ্তায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষণের খবর শুনে খুব জানতে ইচ্ছে করছে সেই মেয়েটিও কি খোলামেলা পোশাক পরে ধর্ষককে ধর্ষণের জন্য প্রলুব্ধ করেছিল???
@Niloy,
না, এর জন্যে দায়ী হলো আমেরিকা ও পশ্চিমের পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা। ইউরোপ আমেরিকা শেষ, নারী ধর্ষণও শেষ। (কম্যুনিষ্টদের ফতোয়া)
যদি ধর্ষিত নারী হয় বোরকাহীন স্কুল কলেজ ছাত্রী অথবা সাধারণ কোন মহিলা, সেখানে দোষী হলো রাষ্ট্রের শরিয়া-হীন শাসন ব্যবস্থা। রাষ্ট্রে শরিয়া কায়েম করুন, নারী ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে। (ইসলামিষ্টদের ফতোয়া)
পুজিবাদ নিপাত + শরিয়া কায়েম = ধর্ষণ হীন সুখী সমাজ।
অত্যান্ত হক কথা। (Y)
তাছাড়া পোষাকের ব্যাপারটা সম্পুর্ন আপেক্ষিক ব্যাপার-এটা কোন কাজের কথা নয়।
ঘটনাটা আগে পড়া হয়নি। এখন পড়লাম এবং জানলাম, খবরটা সত্যিই বেদনাদায়ক। যাহোক লেখা অনেক ভালো হয়েছে। লেখক কে অশেষ ধন্যবাদ। (F)
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। ভারতের ঘটনাটা যখন ঘটেছিল তখন আমরা সপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়ায়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বেরুনো খবরটা পড়ার পর থেকে মনটা বিষাদে ভরে গিয়েছিল। এ নিয়ে পরে একটা ফলোআপ লেখা ইংরেজিতে –
The Enigma of Rape
পড়ে দেখতে পারেন।
ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোশাক দায়ী নয়। সেই নিয়ে আমার বক্তব্য হল –
১) পুঁজিবাদী সমাজ নারীকে স্রেফ একটি ‘পণ্যবস্তু’ হিসেবে তুলে ধরেছে। যেন নারীর জন্ম পুরুষ দ্বারা ব্যবহত হওয়ার জন্য।
২) ধর্ষণের জন্য দায়ী করব পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থাকেই। কারণ, এরা নারীকে ‘সাহসিকতা’-র ভুল সংজ্ঞা দেয়। বন্ধু, নারী যদি তার সৌন্দর্য দেখানোর ইচ্ছে থেকেই ‘ছোটো’ কাপড় পরে, তাহলে সেটা একান্তই তাঁর স্বাধীনতা। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার অধিকার কে দিল!
৩) পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা নারীকে তাঁর এই সাধারণ অধিকার-টিকে সাহসিকতার সংজ্ঞা হিসেবে তুলে ধরে। ভোগবাদীরা এই অধিকারকেই পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে।
৪) ছোটো জামাকাপড় আমার ভালো লাগে না, কেমন যেন নিজেকে খেলো করে তোলা ভাব। কিন্তু এটা পুরোপুরি ব্যক্তিস্বাধীনতা। নারীর উদ্দেশ্যে একটাই অনুরোধ – স্বল্পবসনা হওয়ার ইচ্ছে হলে নিজের ইচ্ছেয় হোন, মনে রাখবেন, এটা আপনার অধিকার। পুঁজিবাদী সমাজের ‘সাহসিকতা’ দেখানোর মোহে আকর্ষিত হয়ে নয়।
@Sam,
এর সাথে নয় বছরের শিশুকে মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধর্ষণের সম্পর্কটা কী?
এখানে ভারতের ধর্ষিত মেয়েটির দোষটা কি তার বাসে উঠার সাহসিকতা?
এর সাথে ধর্ষণের সম্পর্কটা কী? ধর্ষক পুরুষদের ব্যাপারে একটা কথাও তো বললেন না। পুরুষ মিষ্টির মাছি, গোশতের কুত্তা তাই না?
@আকাশ মালিক,
চমৎকার বলেছেন ।
@আকাশ মালিক,
অনেকগুলো কারণের মত এটাও একটা কারণ।
না, সেটা একবার-ও বলিনি। বরং, আমি ‘নারীবাদী’ না সেজে সোজাসুজি নারীর স্বাধীনতা দাবি করি। এটা তো সাহসিকতার প্রশ্ন নয়, এটা হল অধিকার। তাতে যদি তাঁকে ধর্ষণ করা হয়, তাহলে সেটা চূড়ান্ত অপরাধ। এর বিরুদ্ধে অতীতেও মুখ খুলেছি, ভবিষ্যতেও খুলব।
এসব কথা আপনি কিন্তু আমার মতামত না জেনেই আমার উদ্দেশ্যে বললেন। এজন্য আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত, যদিও চাইবেন না। চাইতে বলছিও না। 😀
যাই হোক, কাজের কথাটা হল – ধর্ষকদের শাস্তি চেয়ে অনেক ভিডিও বানালাম। এই অপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে মিছিলে হেঁটে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে চেঁচালাম। কিন্তু, কি জানেন, শুধু ধর্ষকদের ফাঁসি চাওয়ার যে ‘ধর্ষণকারী সিস্টেম’-এর ফাঁসি চাওয়ার আওয়াজটা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। ধর্ষণ কমাতে কোনো ‘আসল’ ব্যবস্থা আদৌ কেউ নিচ্ছে? এদের শাস্তি হলেই সব ভুলে যাব না তো? অতীতে যেমন হয়েছে?
ধর্ষক বলতে আমি অনেকগুলো জিনিস-কে বুঝি – তারা প্রত্যেকেই ধর্ষণকারী সিস্টেমের অন্তর্গত। এরা হল – ধর্ষক, ‘নারীদের স্বল্পবসনা হওয়া’-কে দায়ী করা শয়তানের দল; যারা ধর্ষকদের প্রশ্রয় দেয়, সমাজব্যবস্থার মতাদর্শগত অভিমুখ (যা ধর্ষণের মত ঘটনাকে করে) —– আর হ্যাঁ, আবারো সেই সিস্টেম – যা ১৭ বছরের নাবালককে ধর্ষক করে তোলে।
ধর্ষকদের অপরাধ তো জানি-ই, তাদের শাস্তিও চাই। কিন্তু এই সিস্টেমের শাস্তি-ও কি সঙ্গে সঙ্গে চাওয়া উচিত না?
ধর্ষণের জন্য শরিয়াহীন সমাজ দায়ী-
ধর্ষণের জন্য পুজিবাদী সমাজব্যবস্থা দায়ী-
ধর্ষণের জন্য পশ্চিমা কালচার দায়ী-
ধর্ষণের জন্য ইন্ডিয়ান ছবি দায়ী-
ধর্ষণের জন্য অবাধ নারী স্বাধীনতা দায়ী-
আর
মিষ্টির দোকানে মিষ্টি ঢেকে না রাখলে মাছি তো বসবেই-
গোশতের দোকানে গোশ্ত ঢেকে না রাখলে কুত্তা তো খাইবেই-
দুধাল গাভীকে মশারির ভিতরে ঢেকে না রাখলে বদনজর তো লাগবেই-
উপরের কিছু কিছু কথা নিজের কানে ওয়াজ মাহফিলে নামীদামী বুজুর্গ আলেম ওলামার মুখ থেকে হাজার মানুষের সামনে বলতে শুনেছি। কেউ কোনদিন প্রতিবাদ করেনি। এদের সমর্থন করে সুশীল নামের কিছু শিক্ষিত ভদ্রলোক। যারা প্রতিবাদ বা সমালোচনা করেছে, তাদেরকে এই সুশীলেরা অপবাদ দিয়েছে- ইসলাম ব্যাশার আর মুসলমান-বিদ্বেষী বলে।
@আকাশ মালিক, তা আপনার কি মনে হয় ধর্ষনের কারন কি?
@মরুঝড়,
বিভিন্ন কারণে ধর্ষণ হতে পারেঃ-
১> মানসিক
২> মেয়ে ছেলের প্রেমের প্রস্তাবে রাজী বা হলে :lotpot: :hahahee: :guli:
৩> ছেলে মেয়ে দের মেলা মেশা না করতে দিলে, হঠ্যাত উল্টা পাল্টা জিনিস দেখে
৪> :guli: সরিয়া আইনের কারনে :lotpot: :rotfl: :hahahee:
সরিয়া আইন নিজেই একটা ধর্ষক কারণ এই আইন জনগণকে চরম ভাবে ধর্ষণ করছে।
সরিয়া আইনের কারনে রক্ষক রাই বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে—– উদাহরণ দিব নাকি??
ভাই আপনে মুক্তমনাতে ভাল বিনোদন দিচ্ছেন, আমারও আপনার বিনোদন নিচ্ছি।
ভাল থাকবেন।
আপনার এই কথাটি যদি সঠিক হয়, তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি আমার শ্রদ্ধা পুর্বের থেকে অনেক বেড়ে গেল।
ঠিক। (Y)
আসলেই ধর্ষক দের সাজা মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত।না হলে পুরুষ হিসাবে আমাদের মানবজাতির একটি অংশ কলঙ্কিত হবে কিছু নররূপী পশুর কারণে।
ওই হারামজাদা ইয়াহিয়ার কথা শুনলেই ওর বাপের নাম জানার শখ হয়।ওর বাপের নাম( বাপের নামের দরকার আছে কি নেই এই বিতর্কের দরকার নেই কারো, কথাটা আমি শুধু ইয়াহিয়াকে গালি দিতেই বলেছি) কি ওর মা জানত, নাকি সে আসলে…….. যাক সেটা ওই জারজটাই ভাল জানে।
সবশেষে অসাধারণ লেখাটির জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা (F) ।খবরটি আমিও পড়েছিলাম। আর মুক্ত মনাতে এই বিষয় নিয়ে এই লেখাটির দরকার ছিল বলেই আমার মনে হয়।