চলো আজ রাতটা বরং
দুজনেতে ভূত তাড়াই।
আমাকে চেনোই
খবরের পাতা আমার আঙুলে মানায় না—
দুনিয়াটাই উলটে যাক না
আমার টেবিলের ওই পাতাগুলোর চেয়ে!
তবু ওই
ভূত আসা চাই।
কুঁজো পিঠ একটু হেলান দিলেই
তাদের সজোড়ে এসে কিল মারা চাই।
আজ আর খাবারের আয়োজন করো না।
খাবারের দলাগুলো আস্তে আস্তে
রাস্তায় পড়ে থাকা ঘিলু হয়ে যায়…
আর কে পায়—
মাথার পেছনে সেই ভূতের বহর
ক্ষিপ্র মিছিলে প্রস্তুত।
কেউ আসে লাশ দেখতে
কালো জলের লাশ।
লাল দাঁত হেসে ফেলে,
“বলি ছ্যার্, ভাসি আসছে,
আমাদের থানার ত নয়।”
আমাদের পরিচয়
আজ তবে হয়ে যাক নতুন করে?
এসো বসি
একটু অন্ধকারে।
মিলনের আজ আর প্রয়োজন নেই
উষ্ণ আমার দেহে আরামের আভা চলে এলে
কমলাপুরের কোণে বাচ্চাটা কেঁদে জেগে ওঠে,
“অ বাযান, ছালাডায় বড় বেশি শীত ঢুহে—”
“ঘুমা বেডা! সগিরের দুকানের টিবিত্ দেহস্?
হ্যাগো দ্যাশে এরাম মাসে বরফ লামে।”
বরফ নামে আমার জানালায়
হাস্যকর সান্তনায়
দগ্ধ চোখের কোণে বরফ গলে।
চোখ নয়, জ্বলন্ত জানালা—
আজ রাতে আমার শরীর
তীব্র যন্ত্রণায় মোনী বন্দি দালান।
আমার মুক্তি নেই
মিলনের তপ্ত শ্বাস
আজ রাতে ধোঁয়া হয়ে যাবে।
আমার স্বস্তি নেই
দূরে, খুব দূর কোন দেশে
সহস্র ভূতেরা নাচে আমার ঘুমের জবাবে।
ভাস্বতী
৪ ডিসেম্বর, ‘১২
কবিতায় কঠিন বাস্তবতার রূপায়ন। মন ছুঁয়েছে।
সুন্দর 🙂
নিস্ফলাপ্রায় আক্রোশকে অস্বস্তির যে ভাবনায় রূপান্তর ঘটিয়েছেন, সত্যি দেখবার মত। দারুন।
অডিওটা ও সুন্দর। ব্যতিক্রমী নিঃসন্দেহে। সংশপ্তকের মন্তব্য না হলে তো ওটা প্রায় মিস করেছিলাম (C)
ভীষন ছুঁয়ে গেল। কোথায় যেন মোচড় দিয়ে উঠলো।
ভুতেরা অহর্নিশি তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের। বিপন্ন সময়ের মুখোমুখি আমরা। কখন ভোর হবে, উঠবে আলোকিত সূর্্য, রৌদ্র ঝলমলে দিন, এই বাংলাদেশে?
হতে পারে এটা কারও ফোঁপা কান্নার আওয়াজ ?
হয়তো কেউ সেখানে আছে
কিংবা সেখানে হয়তো কিছুই নেই ,
শুধু অতীতের ফেলে যাওয়া কিছু চিহ্ন ?
পাশের কামরার মেয়েটা
চোখের পাতায় এখন কাজল দিচ্ছে,
মুখে রক্তিমাভা লাগাচ্ছে,
তাকে চেনা চেনা লাগছে ।
পুনশ্চ: লেখা পছন্দ হয়েছে । সুন্দর লেখা। তবে অডিও ফাইলটা এডিট ( নয়েজ রিমুভাল , মিক্সিং , মাস্টারিং ইত্যাদি) না করে আপলোড করাটা ঠিক হয়নি । নিজে অডিও এডিটিং না জানলে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারতেন।
@সংশপ্তক,
লেখা দিতে অনেক সময়ই ভয় পাই। এমন সুন্দর মন্তব্যের লোভেই লেখা দেয়া। অনেক ধন্যবাদ।
অডিওটার ব্যপারে আমি আপনার সাথে একমত। লেখার সাথে উপযুক্ত মনে হলেও sound quality’র কারণে অনেক গানই পোস্ট করতে বিব্রত বোধ করি। আমার জানা মতে তেমন কেউ এডিট করে না তাছাড়া আমার রেকরডিং সরঞ্জামও নেই তেমন (হাতে বানানো মাইক 😀 ), তাই শেষমেশ এই হাল। ক্ষমা করবেন।
খুব সুন্দর। ভাল লেগেছে কবিতাটা।
@ইরতিশাদ,
🙂
কবিতা হলেও সত্য। ভাল লাগলো। (Y)
@অরণ্য, ধন্যবাদ, অরণ্য 🙂