১. স্বপ্রতিজ্ঞ সামুরাই
১৭০১ সাল। জাপান।
টোকিও ভ্রমণের সময় (তখন এর নাম ছিল এডো), অভিজাত বংশীয় লোক আসানো নাগানরি অন্য আরেকজন অভিজাত বংশীয় লোক কিরা ইয়োশিনাকার সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। এই বিবাদের কারণে শাসক গোষ্ঠী নাগানরিকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সেপুকু (পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা) করার আদেশ দেয়। পরের দিন নাগানরি তা করতে বাধ্য হন।
জাপানের এই এডো যুগে সামুরাইরা ধণাঢ্য এবং অভিজাত বংশীয় ব্যক্তিদের সামরিক পরামর্শক, ব্যক্তিগত রক্ষী হিসাবে কাজ করতো। এই সামুরাইদের তাদের প্রভুর প্রতি আনুগত্যের একটা শপথ নিতে হতো। কোনো কারণে কেউ যদি প্রভুকে হত্যা করে, তবে সামুরাইরা প্রভু হত্যার প্রতিশোধ নেবে, এই ছিল শপথের বিষয়।
আসানো নাগানরির এরকম সাতচল্লিশজন সামুরাই ছিল। এরাও আনুগত্যের সেই শপথ নিয়েছিল। প্রভু মারা যাবার পরে এরা তখন রনিন। প্রভুহীন সামুরাইদের রনিন ডাকা হতো। এই সাতচল্লিশজন রনিন প্রভু হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্য পরিকল্পনা শুরু করে। খুব নীরবে, নিভৃতে, সন্তর্পনে, বুকের মধ্যে প্রতিশোধের তুষের আগুন ধামাচাপা দিয়ে।
দীর্ঘ দু’বছর অপেক্ষার পর এক অসতর্ক দিনে তারা সশস্ত্র হামলা চালায় ইয়োশিনাকার বাড়িতে। ইয়োশিনাকাকে আটকে ফেলে তারা। তাকে জানায় যে, প্রভু হত্যার বদলা নিতেই এখানে এসেছে তারা। তাদের প্রভুর মতই ইয়োশিকাকে এখন সেপুকু করতে হবে। কাপুরুষ ইয়োশিকা সেপুকু করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন রনিনরা ইয়োশিকার কল্লা কেটে নেয় তরবারির এক আঘাতে। তারপর তার কর্তিত মস্তক নিয়ে যায় নাগারনির কবরের কাছে। তার সমাধিতে ইয়োশিকার মুণ্ডু স্থাপন করে তারা মৃত প্রভুকে জানায় যে, আনুগত্যের যে পবিত্র শপথ তারা নিয়েছিল, সেই শপথকে রক্ষা করেছে তারা।
এরপর সাতচল্লিশজন রনিনই কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিচার হয় তাদের। বিচারকের রায়ে এদেরকে সেপুকু করতে বলা হয়। সাতচল্লিশজননের মধ্যে ছেচল্লিশজন রনিনই বিনা প্রতিবাদে মাথা উঁচু করে আত্মহত্যা করে। বাকি একজনের খবর জানা যায় না। হয়তো এর মধ্যেই মারা গিয়েছিল, কিংবা বিচারে মুক্তি পেয়েছিল সেই সামুরাই।
২. ললিতাদিত্যের লজ্জ্বা
অষ্টম শতাব্দী। গৌড় এবং কাশ্মীর।
গৌড়ের তখন ঘোর দুর্দিন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশ বছর কেটে গেছে। শশাঙ্কের সময়ে কর্ণসুবর্ণকে কেন্দ্র করে গৌড় তথা বাংলার যে জয়জয়কার উঠেছিল, গড়ে উঠেছিল সুবিশাল সাম্রাজ্য, তা নিঃশেষিত প্রায়। যে যে ভাবে পারে লুটেপুটে, আক্রমণ চালিয়ে বাংলার সেই শৌর্যবীর্যময় সময়কে ধূলায় মিটিয়ে দিচ্ছে। চারিদিকের আক্রমণে দিশেহারা বাংলা।
এই সময়ে কাশ্মীরে রাজত্ব করছিলেন ললিতাদিত্য মুক্তাপীড় নামের একজন প্রবল রাজা। শুধু গৌড়েই নয়, সমগ্র উত্তর ভারতেও তখন এক অরাজক পরিস্থিতি। অসংখ্য খণ্ড-বিখণ্ডে বিভক্ত দেশ। নবধর্মে বলিয়ান আরবরা প্রায়শই হামলা চালাচ্ছে ভারতের উত্তর অংশে। তাদের নজর পুরো ভারতবর্ষের দিকে। মূলত আরব আক্রমণ রোখার জন্যই শক্তি সঞ্চয় করা শুরু করেন ললিতাদিত্য। পরে এই শক্তি নিয়ে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্য বিস্তারে। শুধু উত্তর অংশেই নয়, তাঁর নজর পড়ে পূর্বদিকেও। ভারতের বিচ্ছিন্ন রাজ্যগুলিকে নিজ ছত্রতলে সংঘবদ্ধ করার জন্য সৈন্যবাহিনীকে অগ্রসর হবার আদেশ দিলেন তিনি।
ওই সময় কান্যকুজ্বের রাজা ছিলেন যশোবর্ম্মা। বিখ্যাত বীর ছিলেন তিনি। কিন্তু ললিতাদিত্যের সমকক্ষ ছিলেন না। তাঁর দুর্বলতা ছিল তাঁর কামিনীকাতর দুর্বল হৃদয়। আমাদের এরশাদ সাহেবের মত রূপসী ললনাদের রূপসৌন্দর্যের প্রতি লালায়িত ছিলেন তিনি। কনৌজ প্রাসাদের মধ্যে তিনি রূপের মেলা বসিয়েছেন। সেই রূপসীদের অঙ্গরাগের ব্যবস্থা দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয়। যশোবর্মা তাদের সঙ্গে জলক্রীড়া করেন; তাপদগ্ধ দেহ শীতল করবার জন্য তাদের নিয়ে গ্রীষ্মাবাসে যান। শুধু কি তাই? রাজসভায়ও তাঁর নারী চাই। সভাসদ্গণসহ রাজকার্য্য পরিচালনা করবার সময়ে বন্দিনী গৌড় রাজবালাগণ তাঁর বরবপুতে চামর ব্যঞ্জন করে। (গৌড়বাহো, শ্লোক ৭৩৮-৯৬)
কাজেই ললিতাদিত্য যখন তাঁর প্রবল পার্বত্য বাহিনী নিয়ে কান্যকুজ্ব আক্রমণ করলেন, সেই আক্রমণকে রুখে দাঁড়ানোর মত হিম্মত যে এরকম একজন রমণীখেলুড়ে বীরের থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। দুর্ধর্ষ পার্বত্য সেনাদলের মোকাবেলায় সমতলবাসী কনৌজিয়ারা অসমর্থ হয়ে পড়ে। যশোবর্ম্মা পরাজিত ও বিতাড়িত হলেন।
কনৌজ জয় করে ললিতাদিত্যের বাহিনী জয় করে নেয় কলিঙ্গ। তারপর ছুটে আসে গৌড়ের সীমানায়। ওই সময় গৌড়ের রাজা ছিলেন গোসাল নামের একজন। নানাবিধ আক্রমণে এমনিতেই পর্যুদস্ত তিনি। ললিতাদিত্যের বাহিনীর এই কঠিন আক্রমণ সামলানোর ক্ষমতা তাঁর ছিল না। একজন দুর্বল রাজার যা করণীয়, ঠিক তাই করেন তিনি। একপাল হস্তি ললিতাদিত্যের জন্য উপঢৌকন হিসাবে পাঠিয়ে সন্ধির প্রস্তাব পাঠান তিনি। ললিতাদিত্য এই সন্ধির প্রস্তাব মেনে নেন। গৌড়ের সীমানা থেকে ফিরে যান তিনি।
এর কিছুদিন পরেই গৌড়ের রাজা গোসালকে কাশ্মীরে ডেকে পাঠান তিনি। কাশ্মীরে যাবার বিষয়ে সন্দিগ্ধ ছিলেন গোসাল। কিন্তু ললিতাদিত্য ভগবান পরিহাস-কেশব বিগ্রহের নামে শপথ করে বলেন যে, গৌড়ের রাজা তাঁর অতিথি। নিমন্ত্রণে এলে তাঁর কোনো ক্ষতি তিনি করবেন না। গৌড়ের রাজা ভগবানের নামের এই শপথের ভরসায় কাশ্মীর গিয়ে পৌছুলেন। ললিতাদিত্য বীর ছিলেন, কিন্তু একই সঙ্গে একজন কপটচারী কাপুরুষও ছিলেন। ফেরার পথে তিনি গুপ্তঘাতক লাগিয়ে ত্রিগামী নামের এক জায়গায় গৌড়ের রাজাকে হত্যা করেন। পথের কাঁটা দূর হয়েছে, এতেই খুশি ছিলেন তিনি। তাঁর বীরত্বে যে কালিমা পড়েছে এই কাপুরুষতায়, সেটা অনুধাবন করার ক্ষমতা তাঁর ছিল না। বা থাকলেও, এতে কোনো গুরুত্ব তিনি দেন নি।
৩. বঙ্গের বিক্রম সেনানীরা
অষ্টম শতাব্দী। গৌড় এবং কাশ্মীর।
গৌড়ের রাজাকে হত্যার বিষাদময় কাপুরুষতার কাহিনি এসে পৌঁছালো বাংলায়। শোকে স্তব্ধ সবাই। এর মধ্যে রাজার কয়েকজন বীর যোদ্ধা চোয়ালবদ্ধ করে শপথ নিলেন এই কাপুরুষোচিত হত্যার প্রতিশোধ নেবার। শোককে সন্তর্পণে বুকের গভীরে নামিয়ে দিয়ে প্রতিশোধের অনন্ত অনল জ্বাললেন তাঁরা সেখানে। বঙ্গ থেকে সুদূর কাশ্মীরে গিয়ে শোধ তুলবেন এই অপমানের। সমভূমি পাড়ি দিয়ে সুউচ্চ পার্বত্য কঠিন ভূমিতে যাবেন তাঁরা। তারপর বুঝিয়ে দিয়ে আসবেন বাঙালি কি জিনিস। নিজের জীবনের পরোয়া তাঁরা করেন না। ললিতাদিত্যকে হত্যা করে উচিত শিক্ষা দিয়ে আসবেন কাশ্মীরিদের, এই ছিল তাঁদের ভাবনা।
যোদ্ধার বেশে যাওয়া যাবে না। পুরো অঞ্চল ললিতাদিত্যের দখলে। তাই, তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলা হবে পূণ্যপীঠ সারদামন্দিরে যাওয়া হচ্ছে। সারদামন্দির তখন কাশ্মীরের বিখ্যাত পূণ্যপীঠ।
কাপুরুষোচিত রাজ হত্যার প্রতিশোধ নেবার আত্মঘাতী মিশন নিয়ে, তেরশো বছর আগে কয়েকজন অদম্য বাঙালি যোদ্ধা এগিয়ে যেতে থাকে হাজার মাইল দূরের এক অজানা অচেনা দেশের উদ্দেশ্যে। তাদের হিমশীতল চোখের আড়ালে লুকোনো বারুদগন্ধী আগুন, চোয়ালের দৃঢ়তায় কঠিন প্রতিজ্ঞা, ফুলে উঠা বুকে জাতির সম্মান বাঁচানোর বহমান ইচ্ছা।
ছদ্মবেশী বাঙালি সৈনিকেরা কাশ্মীরে প্রবেশ করলেন। কিন্তু তাঁদের দুর্ভাগ্য। ললিতাদিত্য তখন দেশান্তরে। ললিতাদিত্যকে না পেয়ে, যে পরিহাস-কেশব বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে ললিতাদিত্য শপথ নিয়েছিলেন, তারপর প্রতারণা করেছিলেন, সেই বিগ্রহকে গুঁড়িয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন বাঙালি রণযোদ্ধারা।
পরিহাস-কেশবের মন্দিরের সামনে গিয়ে তীর্থযাত্রীর বেশ খুলে ফেলেন তাঁরা। শাণিত তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মন্দিরের ভিতরে। তাঁদেরকে মন্দিরের ভিতর ঢুকতে দেখে পূজারিরা মন্দিরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। ভিতরে আটকা পড়ে যান যোদ্ধারা। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র দমেন না তাঁরা।
তবে, এই যোদ্ধারা একটা ভুল করেছিলেন। তাঁরা পরিহাস-কেশবের বিগ্রহ ভেবে যেটাকে আক্রমণ করেছিলেন, তা ছিল আসলে রামস্বামীর বিগ্রহ। রামস্বামীর বিগ্রহটী রূপার তৈরি। প্রবল আক্রোশে বাঙালি যোদ্ধারা রামস্বামীর বিশাল বিগ্রহটি ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলতে থাকেন।
আক্রমণের খবর রাজধানী শ্রীনগরে যেতে বেশি সময় লাগে নি। সেখান থেকে বিশাল সেনাবাহিনী এসে ঘিরে ধরে মন্দির। মরিয়া বাঙালি যোদ্ধারা অসি হাতে বিপুল বিক্রমে লড়ে যেতে থাকেন এক অসম যুদ্ধ। মৃত্যুকে পণ করেই তাঁরা এই দূর দেশে এসেছিলেন। কাজেই ভয় কী তাঁদের? সুগঠিত, সুদৃঢ় শ্যামল দেহগুলো রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ে যেতে থাকে কঠিন মাটিতে। কিন্তু, সম্মান, মর্যাদাটুকু ঠিকই তাঁরা তুলে রাখলেন মাথার অনেক উপরে, একেবারে আকাশের কাছাকাছি।
জাতীয় মর্যাদার রক্ষার আত্মঘাতী মিশন সমাপ্ত হলো বাঙালি যোদ্ধাদের করুণ রাগিণীর সুরে।
৪. কহলন পণ্ডিতের কথকতা
এই ঘটনার চারশ বছর পরে কাশ্মীরের ঐতিহাসিক কহলন পণ্ডিত একটা বই লিখেছিলেন। যার নাম হচ্ছে রাজতরঙ্গিনী। এই বইতে বাঙালির এই বীরত্বগাথা লেখা রয়েছে। তিনি লিখেছেনঃ
গৌড়াধীশের সাহসিক অনুজীবিগণ প্রভু-হত্যার প্রতিশোধ মানসে অদ্ভুত বীরত্বপ প্রদর্শন করিয়াছিলেন। তাহারা সারদামন্দির দর্শন ছলে কাশ্মীর দেশে প্রবেশ করিয়া, সাক্ষী দেব পরিহাস-কেশবের মন্দির বেষ্টন করিল। সেই সময়ে নরপতি দেশান্তরে ছিলেন। তাহাদিগকে মন্দিরে প্রবেশ করিতে অভিলাষী দেখিয়া পূজকগণ পরিহাস-কেশবের মন্দির-দ্বার রুদ্ধ করিল।
বিক্রমশীল গৌড়বাসিগণ পরিহাস-কেশব ভ্রমে রজতময় রামস্বামীর বিগ্রহ উৎপাটিত করিয়া রেণুরূপে পরিণত করিল ও তিল তিল করিয়া চতুর্দ্দিকে নিক্ষেপ করিল। অনন্তর সৈন্য সকল নগর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিল।
শোণিতসিক্ত শ্যামবর্ণ গৌড়ীয়গণ, সৈন্যগণের অস্ত্রাঘাতে নিহত হইয়া ভূতলে পতিত হইল; যেন অঞ্জনশৈলের শিলাখণ্ড সকল মনঃশিলার রসে রঞ্জিত হইল। তাহাদের রুধির ধারায় এবংবিধ অসাম্ন্য প্রভুভক্তি উজ্জ্বলীকৃতি ও পৃথিবী ধন্য হইয়াছিল।
দীর্ঘকাল লঙ্ঘনীয় গৌড় হইতে কাশ্মীরের কথাই বা কি বলিব এবং মৃতপ্রভুর প্রতি ভক্তির কথাই বা কি বলিব? গৌড়ীয়গণ তখন যাহা সম্পাদন করিয়াছিলেন বিধাতার পক্ষেও তাহা সম্পাদন করা অসাধ্য। আজও রামস্বামীর মন্দির শূন্য দেখা যায়। সেই গৌড়ীয়গণের যশে ব্রক্ষ্মাণ্ড পরিপূর্ণ রহিয়াছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে যে, এই ইতিহাস কোনো বঙ্গবান্ধবের লেখা ইতিহাস নয়। কহলনের বাঙালিদের প্রতি কোনো সহানুভূতি থাকাতো দূরের কথা বরং বিরূপ মনোভাবেরই পরিচয় আমরা পেয়ে থাকি। তিনি গৌড়ীয়দের রাক্ষস বলে অভিহিত করতেও ছাড়েন নি। কিন্তু বীরের বন্দনা এমন জিনিস যে, শত্রুপক্ষও বিস্ময়ে নিজের অজান্তেই তা করে ফেলেন। কহলনও তাই করেছেন।
সুদূর অতীতের সুমহান এই বঙ্গ সামুরাইদের প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ স্যালুট।
__________________________________
পরিশীষ্টঃ
সেই কোন সুদূর সময়ে কাপুরুষোচিতভাবে নিহত হওয়া নিজেদের রাজা হত্যার বদলা নিতে সামান্য কজন বাঙালি যোদ্ধা হাজার মাইল দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে গিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিল শক্তিশালী রাজ্য কাশ্মীরে। স্বজাতির অপমান তাঁদের গায়ে এমনই কাঁটার মত বিধেছিল। অসম যুদ্ধে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে বিন্দুমাত্র বাধে নি তাঁদের। অথচ আজকে যখন নিজের দেশের মানুষকে উলঙ্গ করে পশ্চাতদেশে পিটিয়ে যায় ভিন্ন দেশের বাহিনী, তখন প্রতিবাদতো দূরের কথা, অনেকে যুক্তিতর্ক নিয়ে নেমে পড়ে তাকে ন্যায্য করার জন্য। আমাদের কোথায় কোথায় দোষ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য। যে ইস্পাত কঠিন মানসিকতা আমাদের পূর্বপুরুষরা সময়ে সময়ে দেখিয়েছেন, সেই তেজি রক্তের ধারা আমাদের ধমনী থেকে কীভাবে যেন উধাও হয়ে গিয়েছে। এই লেখাটা পড়ে কারো রক্তনালীতে যদি কিঞ্চিৎ পরিমাণেও কাঁপন জাগে, নিজেকে স্বার্থক মনে করবো আমি।
আমার আগের লেখায় উল্লেখ করেছিলাম যে, দ্বিজেন্দ্রলাল মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে তাঁর বিখ্যাত গান বঙ্গ আমার জননী আমার লিখেছিলেন। এই গানের সুর করেছিলেন তিনি। গানটি নিজে গাইবার সময় বা কাউকে শিখিয়ে দেবার সময় তিনি এতই উত্তেজিত হয়ে পড়তেন যে, উচ্চ রক্তচাপের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তেন প্রায়শই। আজকে তিনি যদি দেখতেন যে, বাঙালির রক্ত কেমন শীতল হয়ে পড়েছে, তিনি বোধহয় আবারো উচ্চ রক্তচাপে ভেসে যেতেন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=vNAXOC7M7nM
তথ্যসূত্রঃ
১। বীরত্বে বাঙালীঃ অনিলচন্দ্র ঘোষ
২। বাঙ্গালীর বলঃ রাজেন্দ্রলাল আচার্য্য
৩। বৃহৎ বঙ্গঃ দীনেশচন্দ্র সেন
৪। গৌড়ের ইতিহাসঃ রজনীকান্ত চক্রবর্ত্তি
৫। গৌড় কাহিনীঃ শৈলেন্দ্র কুমার ঘোষ
৬। গৌড়রাজমালাঃ রমাপ্রসাদ চন্দ
৭। History of Ancient Bengal: R. C. Majumder
৮। http://history.howstuffworks.com/historical-events/10-biggest-cases-of-revenge.htm#page=2
এত সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য লেখকেরও সশ্রদ্ধ স্যালুট প্রাপ্য। (স্যালুটের ইমো হবে)
বাঙালীর বীরত্বের কথা এটা নতুন করে জানলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
উক্ত লেখাটা পড়ে বর্তমান অবস্থা দেখে একটা প্রশ্ন মাথায় জাগলো, তা হচ্ছে ” এই বীরত্ব/সাহস বাঙালীরা এখনো কোথায় হারিয়ে ফেলেছে?
@রঞ্জন বর্মন,
আপনাকেও ধন্যবাদ। (C)
জাপানীরাও মাছভাত খায়, বাঙালিরাও মাছভাত খায়। পর্থক্য হল আমরা ২০০ বছর ব্রিটিশ দের পা চেটেছি, ফলে কাল চামরার প্রতি আর আনুগত্য আসেনা। বিলিতি মদের নেশা এখন কাটেনি আর কি! 😛
@ধ্রুবজ্যোতি পাঠক,
বড় কড়া এই মদ। :))
ইতিহাস নির্মমতায় ভরপুর থাকলেও রোমাঞ্চর অনুভূতি থাকে থাকে প্রচুর। ইতিহাস পড়ার মজা সম্ভবত এতেই। আর আপনার মত সুলেখকদের হাতে পড়লে ইতিহাসের স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ।
চালিয়ে যান ফরিদ ভাই, মন্তব্য আসলেমি থাকলেও আপনার লেখা পড়তে আসলেমি নেই।
@রাজেশ তালুকদার,
গল্প উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি নাটকীয় আর রোমাঞ্চকর উপাদান লুকিয়ে আছে ইতিহাসে। এর আকর্ষণ অমোঘ। আমাদের সমস্যা হচ্ছে যে, আমাদেরকে খুব নিরস এবং কাঠখোট্টাভাবে ইতিহাসকে গেলানো হয়েছে। তিতা বড়িকে সুগার কোটেড করা হয় সহজে গেলানোর জন্য। আর আমাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উলটো। আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা ইতিহাসের মিঠা বড়িকে নিমের রসের কঠিন আস্তরণ দিয়ে আচ্ছাদিত করে দিয়েছে। সে কারণেই বেশিরভাগ লোকের ইতিহাসের প্রতি বিতৃষ্ণা রয়েছে। 🙁
আরেকটা দুষ্প্রাপ্য এবং মূল্যবান সংযোজন। চমৎকার।
বাঙালি জাতিকে অনেকবার রাজনৈতিক সীমানা টেনে ভাগ করা হয়েছে। ক্ষমতালিপ্সু শাসক বা স্বার্থপর চক্র সহজ মননের বাঙালিকে বারবার অবজ্ঞা করে টুকরো করেছে। সুযোগ নিয়েছে বিদেশী দেশী শাসক, ধর্ম প্রচারক আর প্রতারকেরা।
আপন সংস্কৃতির চর্চা ছাড়া আমাদের মুক্তি কোথায়? কবে আবার আমরা সত্যি ভাববো আপনারে নিয়ে?
ভাবুক
অনিয়মের নিয়মে,
তবুও কোথাও; অল্প কিছু ঘাড়ত্যাড়া মানুষ।
নিজের মনেই
অঁগাস্তে রোদিনের ভাস্কর্যের মত ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে উত্তর খোঁজে, আলোর তরে,
বাইরে ছুঁড়ে
বাঁধাই খাতা, ভালোবাসে জিজ্ঞাসা; নিবিড় কৌতূহলে,
একান্তে, মুক্তমনে।
@কাজী রহমান,
খাঁটি কথা। (Y)
এর জন্য আগে দরকার হীনমন্যতা দূর করা।
মুক্তমনাদের জাতীয় সঙ্গীত মনে হচ্ছে। :))
@ফরিদ আহমেদ,
পুল্কিত্ হইলাম :))
আমরা আমদের ঐতিহ্যময় ইতিহাস থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। এখন আমাদের চোখ মাত্র একটা এবং তা দিয়ে আমরা শুধু নিজের স্বার্থটাকেই দেখি। লেখাটা পড়ে গর্ব হচ্ছে এবং মনে হচ্ছে, আমাদেরও বীরগাথা আছে।
@শাখা নির্ভানা,
মনে হবার বিষয় নয়। আমাদের প্রচুর বীরগাথা আছে। এক একাত্তরইতো একাই একশো। আমরা সেগুলো সম্পর্কে সচেতন না, এই যা। আমার ইচ্ছা আছে কিছু কিছু এখানে তুলে ধরার। দেখা যাক, কতটুকু কী পারি। 🙂
ফরিদভাই,
আমার বাকরুদ্ধ অনুভবের সাথে প্রণাম! শিরায় যে রক্তের উষ্ণতা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তা অনুভব করি আপনার লেখায়। গর্ব হয় একজন বাঙ্গালী হিসেবে। বার বার শুধু শুনছি ডি. এল. রায়ের গানটি। কতোবার জানিনা, শুধু শুনছি! সবুজ-শ্যমল নির্মল বাংলার ছবিগুলোর পেছনে দিব্যি দেখতেপাই আমার সেই পূর্বপুরুষের সৌরসম পৌরুষ আর দীপ্তি!
@কেশব অধিকারী,
এটুকুই চাওয়া আমার এই সিরিজে কেশবদা। সাথে থাকুন, শিরায় উষ্ণ শোণিতের বান ডাকুক সবার।
পড়লাম, অজানা অনেক কিছু জানলাম।
@অপ্রস্তুত লেনিন,
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। (C)
লেখককে ধন্যবাদ বাঙ্গালীর এই বীরত্বকে তুলে ধরার জন্য।
বর্ণিত ঘটনাটি ছিল একটা ব্যতিক্রম।
দুএকটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে উল্লেখ করার মতো আর কোনো উদাহরন পাওয়া যাবেনা বাঙ্গালীর বীরত্বের।
তবে বাঙ্গালীর কাপুরুষতার ইতিহাস দীর্ঘ।200 বছরের ইংরেজ শাসন, তার পূর্বেকার মোঘল শাসন এর স্বাক্ষী।
@ভক্ত,
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য। (F)
অতীতের পঠভূমিতে দারুণ কিছু থ্রিলার গল্প লিখতে পারেন। (Y)
@তানভীরুল ইসলাম,
ইতিহাসে যার এতখানি দখল, তার কাছে ইতিহাস আশ্রয়ী গল্প আশা করতেই পারে পাঠক। আর ফরিদ ভাই যে লা-জওয়াব সব গল্প সৃষ্টির ক্ষমতা রাখেন, তা তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই। সুতরাং, ফরিদ ভাই, প্লিজ……….
@তানভীরুল ইসলাম,
ভাল আইডিয়া দিয়েছেন। (F) দেখি কী করা যায়। অনেকদিন হলো গল্প লেখা হয় না আমার।
ফরিদ ভাই এর লেখার গুনগান গেয়ে আর ওনার পায়া ভারী করতে চাই না।
ফরিদ ভাই এর ক্ষোভ প্রসংগে ওপরে সফিকের কথাই বলতে হয়। আর সীমান্তে মানুষ হত্যা বিষয়ে শুধু ভারতকে গালাগালি দেওয়া ছাড়াও বাস্তবের কিছু কথা বলেই হয়, যেগুলি আলোচনা করা ভারত তোষন কিংবা আত্মবিস্মৃত জাতির লক্ষন নাও হতে পারে।
@আদিল মাহমুদ,
প্রশংসা করে পায়া ভারি করার দরকার নেই, পয়সা দিয়ে পকেট ভারি করে দিন প্লিজ। এতেই খুশি হবো আমি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
কোন সমস্যা নাই। বাসায় কেজি খানেক কয়েন জমা আছে, একদিন সময় করে আপনার পকেটে ঢেলে আপনাকে খুশী করে দেব।
@আদিল মাহমুদ,
ওগুলো যদি লুনি আর টুনি হয়, তবে কোনো আপত্তি নেই। পেনি হলে পত্রপাঠ প্রত্যাখান। এই পেনি ছাড়া আর কোনো পেনি পছন্দ না আমার। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
টোনাটুনির খোঁজ করেন ক্যান এখন? পকেট ভারী হওয়া দিয়েই না কথা।
এই পেনির ওজন করতে হলে যে ভাইজান টাইম মেশিনে ২০ টি বছর পেছাতে হবে। সে খেয়াল কি আছে?
@ফরিদ আহমেদ,
আপনিও দেখি বিগ ব্যাং থিওরী দেখেন!! আমি ভাবসিলাম এইটা মনে হয় খালি বিজ্ঞানের ছাত্ররা দেখে মজা পায় 😛 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ফরিদ ভাই বিং ব্যাং থিয়োরী দেখে না, উনি দেখে পেনি।
@আদিল মাহমুদ,
হাহাহা। অপবাদ দিয়েন না। শেলডন মিয়া পেনির হাতের বদলে কী ধরলো, ওইটাই একটু উঁকিঝুঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করি আমি। নির্দোষ এবং নিষ্পাপ কৌতুহল আর কী। 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমি টিভি খুবই কম দেখি। তারপরেও বিগ ব্যাং থিওরি কদাচিতই মিস করি। দুর্ধর্ষ একটা কমেডি শো। 🙂
লেখাটার বিষয়-বস্তু ও বর্ণনা খুব ভালো লাগলো , এমনতরো আরো লেখা আশা করছি।
ধণ্যবাদ।
@সাজ্জাদ হোসেন,
ধন্যবাদ আপনাকে। (F) আরো পাবেন বলেই আশা করছি। অনেকগুলোর পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই মাথার ভিতরে করা আছে। সমস্যা খালি টাইপ করার আলসেমি। 🙁
ফরিদ ভাইয়ের ইতিহাস নিয়ে প্রত্যেকটা লেখা একেকটা সম্পদ মুক্তমনার জন্য।
এই রনিন/সামুরাইদের কাহিনী নিয়ে জাপান অনেক মুভি করছে । আমার দেখার মধ্যে আপাতত আকিরা কুরোসাওয়ার Seven Samurai (1954)
আর মাসাকি কোবায়াশির Harakiri (1962) র কথা মনে আসতেছে। দুইটাই ক্লাসিক মুভি। না দেখলে দেখতে পারেন ফরিদ ভাই।
@সাইফুল ইসলাম,
কী খাইতে মন চায়, ক্ও ভাইডি? 🙂
কুরোসোয়ার সেভেন সামুরাই দেখেছি। হারাকারি দেখা হয় নাই। সেভেন সামুরাই অবলম্বনে হলিউডে একটা ছবি হয়েছে ষাট সালে। ওয়েস্টার্ন ঘরানার ছবি। নাম দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন। ওটাও ক্লাসিক।
বাংলার ইতিহাসের এই অজানা অধ্যায়টি তুলে আনার জন্যে ধন্যবাদ। ঘটনাটি সত্যিই আশ্চর্যের। তবে শেষের কথাটি একটু চীপশট হয়ে গেলো মনে হচ্ছে। একজন রাজা-কমান্ডার ইন চীফ-নুন দাতা’র হত্যার প্রতিশোধ এর সাথে একজন সাধারন জনতার অপমান এক করে ফেলা একটু সরলীকরন মনে হয়েছে। আমার তো মনে হয় সেই অষ্টম শতাব্দীতেও একজন বাংগালী চাষাকে অন্যদেশের কেউ এসে অপমান করে গেলে রাজা-সৈন্যবর্গের খুব একটা বাত্যয় হতো না। আমি কোনভাবেই বর্তমানের ঘটনাকে ডিফেন্ড করছি না। আমার তো মনে হয় বাংলাদেশী ভদ্দরলোকেরা বাংগালী চাষা-ভূষাকে যতটা নীচু চোখে দেখে বাইরের লোকেরাও ততটা করে না।
@সফিক,
একটু সরলীকরণ হয়তো হয়েছে। কিছু করার নেই। এই লেখাগুলো আমি লিখছি বাঙালির অহংকারকে জাগ্রত করতে, আত্মসম্মান আর আত্মমর্যাদাকে একটু বর্ধিত করতে। আমাদের দেশের মানুষের হীনমন্যতাবোধ আমাকে প্রবলভাবে পীড়িত করে। এর থেকে উত্তরণ ঘটুক এটাই চাই সবসময়। 🙁
ধন্যবাদ আপনাকে। (F)
দাড়িগোঁফ মুন্ডনও ঠিকমত শুরু করিনি যখন প্রথম দেশ ছেড়েছিলাম। এরপর তিনটি মহাদেশের পাঁচটি দেশে প্রায় পঁচিশ বছর কেটে গেল, এখনো সবুজ বইয়ের মায়া কাটিয়ে উঠতে পারি নি। প্রতিবার বিদেশভ্রমনের সময় ভিসা নেবার ঝামেলায় মনে হয় বই পাল্টানোর সময় হয়েছে। টিকেটে বিশেষ সতর্কচিহ্ন মুদ্রিত হয়, কম্পিত হাতে সবুজ বই বাড়িয়ে দেই শ্যেনদৃষ্টি ইমিগ্রেশন অফিসারের দিকে, মুখোমুখি হই অবান্তর প্রশ্নের, তারপরও অন্য বই নিতে অহমে বাঁধে। হয়তো অনেকে বলবেন সস্তা ভাবালুতা, কিন্তু বোধ হয় সেজন্যই রক্তনালীতে ভালই কাঁপন জেগেছে লেখাটা পড়ে।
@মনজুর মুরশেদ,
স্যালুট আপনাকে। (F)
এই সাহস আমি দেখাতে পারি না। পড়ালেখা এবং চাকরির সুবাদে গত দশ বছরে আমাকে অসংখ্যবার আমেরিকা-ক্যানা্ডা করতে হয়েছে। নাইন ইলেভেন এর পরে ক্যানাডিয়ান পাসপোর্ট থাকার পরেও শুধুমাত্র বঙ্গদেশে জন্মানোর অপরাধে খুব অবমাননাকর, অপমানজনক এবং দীর্ঘসূত্রিতার স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। যেতে ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফিরে আসার সময়ে ইমিগ্রেশনে গিয়ে রিপোর্ট করে বৃত্ত শেষ করা, এইসব ঝামেলায় শুরুতে পড়েছিলাম শুধু সবুজ পাসপোর্ট এর কারণে। পরে গাঢ় নীলে উত্তরণ ঘটার পরেও মুক্তি পাই নাই। এই এত বছর পরে এসে আমেরিকা স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের আইন তুলে নিয়েছে। এখন আর কোনো ঝামেলা হয় না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
(F) আহ, লজ্জায় ফেলে দিলেন। আসলে অসুবিধাগুলো তেমন বড় না। কাজের ক্ষেত্রেও সবুজ পাসপোর্টে কোন অসুবিধা হচ্ছে না, তাই নতুন পাসপোর্টের দরকারবোধ করছি না। সাপ মারা পড়ছে, আবার লাঠিও অটুট, এই আর কি 🙂
ধন্যবাদ আপনার উপাদেয় সিরিজটির জন্য।
জাপান থেকে কাশ্মীর। কাশ্মীরের সাথে বঙ্গ সামুরাই।চমৎকার ফরিদ আহমেদ। ইতিহাস জেনে নিলাম গল্পের ছলে। হ্যাঁ,রক্তনালীতে কাঁপন লেগেছে । সাথে ভাল লেগেছে আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে মনে করিয়ে দেয়া, যেমনঃ এরশাদের উদাহরণ। ফরিদ সামুরাইকে ধন্যবাদ।
@গীতা দাস,
নতুন নামকরণ পছন্দ হয়েছে আমার। আমাকে নিয়েও হয়তো বহু প্রজন্ম পরে কেউ প্রবন্ধ লিখবে ফরিদ দ্য ফরগোটেন সামুরাই নামে। :))
এক অজানা ইতিহাস জেনে, চমৎকৃত।
@স্বপন মাঝি,
আমাদের ইতিহাসের অনেক অধ্যায়ই আসলে অজানা। কিছু না লিখে রাখার বদ অভ্যাসের ফলে এটা ঘটেছে।
সুদূর অতীতের সুমহান এই বঙ্গ সামুরাইদের প্রতি রইলো আমারও সশ্রদ্ধ স্যালুট। (F) (F)
ফরিদ ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ একটি চমৎকার শ্বাসরুদ্ধকর লিখা উপহার দেয়ার জন্য। আপনার জন্যও রইল লাল গোলাপের স্যালুট। (F)
@সঞ্জয়,
স্যালুটের যোগ্য নই, তবুও নিলাম। 🙂
আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা। (F)
দুর্দান্ত বিষয়বস্তু, চমৎকার উপস্থাপন। (Y)
@চলনামৃত,
ধন্যবাদ আপনাকে। (C)
অসাধারণ, ফরিদ ভাই! একটার পর একটা শ্বাসরুদ্ধকর লেখা উপহার দিচ্ছেন………. (F)
@কাজি মামুন,
ঘটনাগুলোই আসলে শ্বাসরুদ্ধকর। সময়ের ধূলোবালি উপরে পড়াতে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। চলে গিয়েছে আমাদের চোখের আড়ালে। আমি শুধু সেই ধূলোবালির আস্তরনকে সরিয়ে মণিমাণিক্যগুলোকে তুলে আনছি মাত্র।
সাথে থাকার জন্য আপনাকেও রক্তিম গোলাপের শুভেচ্ছা। (F)
(Y)
অনেক দিন পর ফরিদ ভাই এর লেখা পড়লাম।
কি বলব ভেবে পাচ্ছি না।
@আসরাফ,
অতি সাম্প্রতিক সময়ে ইতিহাস সম্পৃক্ত আমি আরো দুটো লেখা লিখেছি। কবি চন্দ্রাবতীকে নিয়ে চন্দ্রকান্তি এক কবি চন্দ্রাবতী, আর বিজয় সিংহকে নিয়ে হেলায় লঙ্কা করিল জয়। আপনার চোখে এড়িয়ে গিয়েছে মনে হয়। 🙂
আগ্রহভরে লেখাটা পড়া এবং মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
@ফরিদ আহমেদ,
চন্দ্রাবতী লেখাটা পড়েছি। আপনি কম লিখেন সেটা বলি নাই। আমিই ব্লগ পড়ার সময় কম পাই।