শ্রদ্ধাঞ্জলী হুমায়ুন আহমেদ
আকাশ মালিক
জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা
মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল?
অন্তরের ভিতরের গোপন ভালবাসা ও শ্রদ্ধাটুকু প্রকাশ করতে। (F) (F)
হুমায়ুন আহমেদ যেখানেই থাকুন সুখে থাকুন। তার পরিবারের প্রতি রইলো আন্তরিক সমবেদনা।
শ্রদ্ধাঞ্জলী হুমায়ুন আহমেদ
আকাশ মালিক
জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা
মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল?
অন্তরের ভিতরের গোপন ভালবাসা ও শ্রদ্ধাটুকু প্রকাশ করতে। (F) (F)
হুমায়ুন আহমেদ যেখানেই থাকুন সুখে থাকুন। তার পরিবারের প্রতি রইলো আন্তরিক সমবেদনা।
সাহিত্য বিচারের তুলাদণ্ডে তিনি খুব উঁচুতে স্থান না পেলেও বাঙালিদের বই হাতে নেওয়া ও গোগ্রাসে তা পড়ে ফেলার যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে তার সবটুকু কৃতিত্বই বলতে গেলে তাঁর। শ্রদ্ধাঞ্জলি হুমায়ূন আহমেদ। (F)
হুমায়ূন আহমেদ একজন অপন্যাসিক ছিলেন। তবুও তাঁর মৃত্যুতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। বাঙলা সাহিত্যের নষ্টতম ধারাটির জন্ম সম্ভবত তিনিই দিয়েছেন। তারপরও তিনি আমাদেরকে অনেক আনন্দ আর হাসি দিয়েছেন। আনন্দ আর হাসির কিন্তু অনেক দাম, তা তার কোনো সাহিত্যিক দাম থাকুক আর না থাকুক!
যারা হুমায়ূন আহমেদকে ঔপন্যাসিক বলে ধরে নিয়ে বাঙলা সাহিত্যকে যে একটা পর্যায়ে নামিয়ে আনেন, তারা সম্ভবত নিজেদেরকে টেনে ঐ পর্যায়ের উপরে তুলতে অক্ষম বলেই তা করে থাকেন। এতে করে নিজেকেও সাহিত্যিক হিশেবে ধ’রে নেওয়ার একটা সুখ তারা হয়তো উপভোগ করেন। আমি লেখক নই, আমি একজন পাঠক। হুমায়ূন আহমেদের বেশকিছু লেখা আমি পড়েছি, কিন্তু তাঁর কোনো লেখা-ই হুমায়ুন আজাদের মাত্র ছ’পাতার গল্প “জঙ্গল, অথবা লাখ লাখ ছুরিকা” টিরও তুল্য নয়। অপন্যাসিকদের গোপনতম ঈর্ষাটির নাম হুমায়ুন আজাদ। কিন্তু তিনি এতো উপরে যে কারোর পক্ষে তাঁর ধারেকাছে পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছেনা, আর সেই কারণটিই কোনো কোনো নষ্টকে প্ররোচনা যোগাচ্ছে হুমায়ূন আহমেদকে ঔপন্যাসিক বলে ধরে নিতে, যা এক সীমাহীন নষ্টামি।
আমাদের পরের জেনারেশনকে কে আর বই পড়া শেখাবে ?
আমি তাঁর লেখা খুব বেশি ব্ই পড়ি নি।তবে তাঁর পাঠকের পাগলামো প্রচুর উপভোগ করেছি, আমাদের বাসাতে হমায়ুন আহমেদের প্রায় ৭০টার্ও উপরে ব্ই ছিল। ভাই বোনেরা তাঁদে বন্ধুদের কাছ থেকে পেয়েছিল। এখানেও একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে কোনো উপলক্ষে কিছু দিতে হলে যে তাঁর ব্ই সবাই কিনতেন। পরে দেখা গেল যে ওই হুমায়ুন পাঠকরাই ব্ই নিয়ে গিয়ে আর দিতেন না। হঠাত্ একদিন তাঁর ব্ই খুঁজতে গিয়ে দেখি যে একটা ব্ইও আর পাচ্ছি না। কিন্ত্ত অন্য অনেক ব্ইই তাঁদের আশেপাশে থাকত তা তাঁরা ছুঁয়েও দেখতেন না।
এক একটা ব্ই হাতে নিয়েই বলে উঠতেন উহ্ হূমায়ুন আহমেদ! আমার খুব প্রিয়।…
.
আকাশ মালিক ভাই আপনার “শ্রদ্ধাঞ্জলি” বানানটা ঠিক হয় নি, ঠিক করে দিন।
R.I.P হুমায়ুন আহমেদ (F) (F) (F)
অন্য ভূবন
কেন জানিনা আজ বুকের ভেতর এক ধরনের শূণ্যতা অনুভব করছি।পৃথিবীর শেষ সীমান্তে দাড়িয়ে চিঃকার করে বলছি আমি তোমাকে ভালবাসি হুমায়ুন……………….
তিনি এভাবে চলে যাবেন কখনও ভাবিনি। মনে হচ্ছে খুব কাছের একজন মানুষকে হারালাম, অথচ তাঁকে কোনদিন দেখিনি।
কীসের এত তাড়া ছিল তাঁর??
“শ্রদ্ধাঞ্জলি হুমায়ূন আহমেদ।”
ক্যন্সার রোগটা কি মহামারির আকার ধারন করল নাকি ? সম্প্রতি যতগুলো প্রতিভাবান ও বিখ্যাত মানুষ মারা গেলেন সবাই ক্যন্সার রোগে মারা গেলেন। মৃত্যু অবধারিত তবে অসময়ে মৃত্যূ বড় বেদনাদায়ক।
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর প্রতি নিরন্তর শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ
মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে,দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে
কিছু তাকে নিচ্ছে সময়
কিছু রোগ শোক,কিছু দুর্ঘটনা
কিছু ঘটনার অতল।
আমরা যারা বেঁচে আছি,
আমাদের প্রস্তু্তি যেনো
সেই হারিয়ে যাওয়ার পথেই নিরবধি নিশ্চল।।
হারিয়ে যাবার কোনো দিন ক্ষন নেই,
যে কেউ যেতে পারে যে কোন সময়।
আমরা যারা এখনো বেঁচে আছি,
তারাই কেবল বলছি -বড় অসময়ে এই চলে…
@ভজন সরকার,
আমরা যারা এখনো বেঁচে আছি,
তারাই কেবল বলছি -বড় অসময়ে এই চলে যাওয়া।।
এইমাত্র আমি মুক্তমনায় হুমায়ুন আহমেদ এর এই খবর দিয়ে একটা পোষ্ট দিলাম। মুশকিল মডারেশনে থাকায় জরুরি খবর তাতক্ষনিক দিতে পারি না। যাই হোক। আকাশ মালিক’কে ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
প্রচুর সমালোচনা করেছি তার। ভাল মন্দ, দোষে গুণে আমরা মানুষ। আজ কেন জানি তার জন্যে মনটা কেঁদে উঠলো। বিশ্বাসই হচ্ছে না তিনি আর নেই। বাংলা সাহিত্যে তার ক্ষতি পূরণ হবার নয়। মডারেটরদের কাছে দাবী জানাই তোমার লেখাটা তাড়াতাড়ি প্রকাশ হউক।
হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল বাঙ্গালীর অন্তরে –
[img]http://i90.photobucket.com/albums/k241/MoonliteJewel/animated_candle.gif[/img]
@আকাশ মালিক,
মডারেশন টিম আমার লেখা কেন প্রকাশ করেননি তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। কেননা এখন ১৫ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। আর ছাপলে কী না ছাপলেই কী। আপনারা যারা স্বাধিনভাবে বিচরণ করছেন তাঁরা তো লিখেছেন তাতেই খুশি। আমারই ভুল হয়েছিল অতি আবেগী হয়ে এখানে লেখাটা দিতে যাওয়া।
হয়তো কদিন পরে এখন মন্তব্য করছি(ইদানীং আমি আসিনা বললে চলে) এটাও বন্ধ করে দিতে পারেন।
হুমায়ুন আহমেদ আর নেই। এই মুহূর্তে তাঁর পিঠ পিছে কথা, তার সম্পর্কে মন্দ কথা নাই বা আলোচনা হল। এমন করাটা কা-পুরুষের মত আচরণ হবে।
আর এতে করে এই লেখকের জনপ্রিয়তা এতোটুকু ম্লান হবে না। এতোটুকু আঁচড় পড়বে না তাঁর জনপ্রিয়তায়।
তাই আসুন আজ কোন ইর্ষা নয়, আজ কলহ নয়, আজ কেবল তাঁকেই স্বরণ করি-
যিনি জোছনা ও জনণীর মত একটা অসাধারণ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে উপরে। :candle:
@আকাশ মালিক,
কাল রাজেশ খান্না আজ হুমায়ুন আহমেদ….মৃত্যুর মিছিলে আমরা ……মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ঘটনাক্রমে আজ সকাল থেকেই তার কিছু নাটক ডাউনলোড করছিলাম ছুটিতে দেখব বলে।
দীর্ঘ ২৮ বছরের পরিচয় তার লেখালেখির সাথে…বহু মধুর স্মৃতি আছে তার লেখা নিয়ে। সমালোচনাও করেছি প্রচুর, তবুও বাংলায় হুমায়ুন আহমেদ একজনই, হুমায়ুন হয়েই থাকবেন আজীবন।
একটা সময় অনেক গভীর আনন্দ দিয়েছিলেন। হিমু আমাকেও এক সময় ভাবেয়েছিল, অনেক।