The Thinker

বহু কাল আগে,
যখন কিছুই শেখেনি এ মানুষ; ভাবনা ছাড়া,
দিনরাত ধরে
পশুর মত গিলেছে বনবাদাড়ের যাচ্ছেতাই।
মরতে মরতে,
একসাথে হওয়া কাকে বলে ও জানলো বাঁচতে।
বেঁচে সে দেখলো,
কিছু দাঁতাল শুয়োর; মত্ত পশুরাই প্রতিপক্ষ,
দেখল মুলত:
খাবারের জন্যই যে দাগ কেটেছে পেশল জন্তু।

তখনো মানুষ
বেঁচেছে, মুক্ত মেধাবী আপন অস্তিত্বে ভর করে।

অথচ আজকে,
হিংস্র পেশল পূজারী জন্তুমানব, মহা উল্লাসে,
স্থায়ী বন্দোবস্তে,
ধর্মগ্রস্হ নোয়াঁ কম্পমান মানুষকে ছিঁড়ে খায়,
অবিরাম এবং
জাতিকেটে দাগ টানে, যত লোভী, মৌ-লোভী মানুষ,
শুষে খেতে সব,
ভয় দেখিয়ে শূন্যে গড়ে স্বরচিত স্বর্গ-নরক,
ওরা স্বার্থমানব।

অযত্নে হেলায়
গাছ পোড়ে মাঠ পোড়ে, পোড়ে বরফ কালের তোড়ে,
শুধু অপেক্ষায়।

অদৃশ্য নিয়মে,
তবু কোথাও অল্প কয়েকটি ঘাড়ত্যাড়া মানুষ
নিজের মনেই
অগস্ত্য রঁদ্যার ভাস্কর্যের মতই ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে যে উত্তর খোঁজে, আলোধরা হয়,
ছুঁড়ে ফেলে দেয়
বাঁধাই খাতা, খোঁজে যে জিজ্ঞাসা, নিবিড় কৌতূহলে,
একা, মুক্তমনে।