মুক্তমনায় আমার প্রথম লেখা আমি কিভাবে লিখব কত ভালো লিখব জানি না। শেষ পর্যন্ত যে বিষয়টা কয়দিন ধরে চিন্তা করছিলাম লিখে ফেললাম।
ধর্মের সাথে পরিচয় আমার ক্লাস থ্রিতে যখন সরকারী ধর্ম বই স্কুলে পড়ানো হত তখন। বাবা-মা তেমন ধার্মিক না, একেবারে উদাসিন। ধর্মের সংস্পর্শে আসতে সময় লেগেছে। আগে নানার নাড়িতে গেলেই শুধু ধর্ম নামের কিছুর সাথে দেখা হত। ক্লাস থ্রিতে ধর্ম আজব লাগতো। সত্যি এমন ঘটনা হতে পারে। এভাবে থ্রি ফোর পড়লাম। হিন্দু বন্ধুদের কাছে হিন্দু ধর্মের আর ইসলামেরটা জানতাম মুসলিম বন্ধুদের কাছ থেকে। সব কল্পকাহিনি লাগতো। আজব লাগতো, মজা লাগতো। পড়তাম এসব মনোযোগ দিয়ে। ক্লাস ফাইভে একটু বেশি চালু হয়ে গেলাম, মন্ত্রগুলো আর সুরাগুলো নিয়ে শেষ বেঞ্চে আমরা তিন বন্ধু প্যারডি করে হাসতে থাকতাম। ধর্ম ব্যাপারটা জঘন্য লাগে ক্লাস ফোরে। বিএনপি আসার সাথে সাথে ঝামেলা করে আমাকে স্কুল ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাম্প্রদায়িকতার শিকার হতে হল তখন। বাবাকে বললাম এমন হল কেন? বাবা বলে এটা সাম্প্রদায়িকতা, দেখো না গুজরাটে কি হল? পরে ফাইভে অন্য স্কুলে চলে যাই। আগের স্কুলে আমার সহপাঠিরা বলত আসল মুসলমান যারা না তারা নাকি লোহার তৈরী, আসল মুসলমান মাটির তৈরী। এদের সাথে তো এক মুহূর্ত কাটানো আমার কাছে কষ্টের কারন ছিল।
এভাবে ক্লাস সিক্স থেকে ধর্ম নিয়ে পড়া শুরু করি, কল্পকাহিনি পড়ে হাসতে হাসতে জীবন শেষ হয়ে যেত। এভাবে এসএসসি দেয়া হয়ে গেল। আমি চাইছিলাম আমি এসএসসিতে ধর্ম নিয়ে পড়ব না। উপায় কোথায়? সরকার ধর্ম ছাড়া সার্টিফিকেট কিভাবে দিবে? এবার কলেজে ভর্তির সময় ধর্ম নাই লিখব বললাম আমাদের কলেজের অঙ্কের স্যারকে। স্যার বলে ধর্ম ছাড়া ভর্তি হওয়া যাবে, সমস্যা হবে। কলেজে যতবার ধর্ম আমি পুরণ করতাম মাথা দেয়ালে বাড়ি দিতে ইচ্ছে করত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ধর্ম নাই ফিল আপ করেছিলাম। সেখানে বসে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার আমাকে বললেন ধর্ম না থাকলে সমস্যা, ডীন গ্র্যান্ট করবেন না। আমি বলি আমার ধর্ম নেই, পালন করি না। তিনি বলেন বাবার ধর্ম লিখে দাও। বাবাকে ফোন দিলেন। বাবার সাথে অনেকক্ষণ কথা হবার পর ধর্ম লিখলাম। ইচ্ছে হচ্ছিল পড়ালেখা ছেড়ে দেই ঝামেলাই শেষ। শেষ মানে? তখন শুরু, কোচিং এ ক্লাস নেয়ার জন্য সিভি চাইলো, দিলাম ধর্ম ছাড়া। বলে ধর্ম নাই কেন আবার দাও। এমন মনে হচ্ছে ধর্ম দেখে আমাকে চাকরি দিবে। সেমিস্টার পরিক্ষায় ফর্ম ফিল আপ করতে গিয়ে দেখি ধর্ম লিখতে হবে। আমি না লিখে জমা দিলাম। পরদিন আমাকে ডেকে পাঠালেন ডিপার্টমেন্টের অফিসার, ধর্ম লেখেন নাই কেন? লেখেন! আমি বলি ধর্ম নাই আমার। তারা বলে ভর্তির সময় ধর্ম দিয়েছেন না? এখন কেন? আমি মনে মনে বলছিলাম, “জায়গায় জায়গায় ধর্ম লিখে রাখতে হয়, প্রবেশ পত্রেও। প্রবেশপত্রে ধর্ম দেখে আমাকে আমাকে নাম্বার দিবে।”
চাকরির জন্য আমাকে ধর্ম লিখতে হয়, না লিখলে আমাকে ভাইভা বোর্ডে অপমান করে তাড়ানো হবে। বিসিএস এর জন্য ধর্ম লিখতে হয়। স্কুলে না পড়তে চাইলেও ধর্ম পড়তে হয়, ধর্ম নিজের নামের নিচে লিখতে হয়। এই দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ। ছোটবেলা থেকে তো সিস্টেম আমাদের ধর্মের প্রতি ঝুকানোর চেষ্টা করছে। এভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে দেশ। আমি কখনো অন্য ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করতে পারব না, হয় তাকে না হয় আমাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে। আমার ধর্ম নেই পরিবর্তন কি করব? আর আমার ধর্ম গ্রহনেরও ইচ্ছে নেই। প্রেম করার আগে ধর্ম দেখে মানুষ প্রেম করে। কারো সাথে পরিচয় হলে নাম শুনে বলে ধর্ম কি আমার? আমি নাই বললে বলে ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম কোনটা তোমার? আমার বাবা-মা দুইজন ভিন্ন ধর্মের হলে ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম আমার কোনটা? আমি লিখব কি? ডিম্বানু আর শুক্রানু দুই ধর্মের মানুষের না? তাহলে আমার ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম কোনটা?
আমার একটা স্পেসিফিক প্রশ্নঃ
১) ফর্মে ধর্ম জায়গাটা যদি আমি পূরণ না করি,অথবা
সেখানে ১)নাস্তিকতা ২)প্রযোজ্য নহে ৩)মানবতা লেখি
সেক্ষেত্রে আমি আমার দেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতার মুখোমুখী হব কিনা?
মানে কেউ আমাক চ্যালেঞ্জ করলে কি আমি আমার সাংবিধানিক অধিকার দেখিয়ে সেটাকে ডিফেন্ড করতে পারব?
এই বিষয়ে স্পেসিফিক ইনফরমেশন কেউ কি দিতে পারবেন কাইন্ডলি?
@শান্ত কৈরী,
আপনার লেখাটা দারুণ..বক্তব্য খুবই সোজা ও ঋজু । খুব কম কথায় অনেক কিছু বলা হলো–তাই খুব ভালো লাগলো। আমার খুব খারাপ লাগতো..যখন স্কুলে ধর্ম ক্লাসের কারণে প্রিয় বন্ধুদের ছেড়ে কিছু সময়ের জন্য, অন্য রুমে যেতে হতো। যাদের সাথে মিশতাম না..তাদের সাথে ধর্ম ক্লাসে বসতে হতো এই বিষয়টা সত্যি খুব পীড়া দিতো। সারাদিন – বলতে গেলে স্কুলের পরেও যাদের সাথে আড্ডা দিতাম..একটা ৪৫ মিনিটের ক্লাসের জন্য আলাদা হওয়াটা আমার কচি মনে খুব দাগ কেটেছিলো। মাকে কেঁদে জানিয়েছিলাম…আমি ওদের সাথে ধর্ম ক্লাস করতে চাওয়ার বাসনা । কিন্তু বিধি বাম। পরে অবশ্য কিছুটা বড় হয়ে সওয়া হয়ে গেছিল। ধর্ম যে সামাজিক বিভেদ আজো আমাদের ভোগাচ্ছে –তার থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় হচ্ছে অনুসন্ধিৎসু মন সেইসাথে বংশ পরম্পরা টিকে যাওয়া বিশ্বাসকে ছুঁড়ে ফেলা। আপনাদের আরো ভালো লেখা–আমাদের দুঃসহ অবস্হা থেকে মুক্তি দেবে বলে বিশ্বাস করি। ভালো থাকবেন।
@SAMIHA
মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখুন। আর ধমর্ীয় বই পড়ার কথা বলছেন! সেই তো অমুক হযরত বলেছেন. ্অমুকে ্অমুককে বলতে শুনেছেন-ত্যানা প্যাচিয়ে প্যাচিয়ে সেই মহা হযরতের কালে গিয়ে ঠ্যাকা! আচ্ছা বলুন তো, আপনাদের সব বুজুগর্দের আগমন শুধু পশ্চিমে থেকেই হয় কেন ? পুবের মানুরা কি খাওয়া-দাওয়া হাগা-মোতা সংগমাদি করে না নাকি!
@SAMIHA : আইনস্টাইন মোটেও আস্তিক ছিলেন না।তিনি নিজেই তা বলেছেন।আর নলেজের কথা বলছেন?আমার বাবাও আমাকে একথা বলেন।আসলে ঈশ্বরের অনস্তিত্ত স্বীকার করতে বেশী নলেজ লাগে না।শুধু লাগে সত্যান্বেষি মন,সত্যকে স্বীকার করার শক্তি,আর স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা।আর আপনি যখন ‘পশুর মত’ কথাটা লিখেছেন সেটা পড়ে আমাকে খারপ লাগেনি।কারণ আমি ভালো করে জানি আমরা মানে মানুষরাও এক প্রকার পশু যারা নিজের প্রচেষ্টায় আর বিবর্তনের মাধ্যমে এমন অবস্থায় পৌছেছি যে আমরা নিজেদের প্রাণীজগতের অংশ ভাবতে লজ্জা পাই
কয়েকদিন আগে এস.এইচ.সি র ভর্তি ফর্মে ধর্মের জায়গায় যখন ইসলাম লিখতে হল তখন অনেক রাগ হচ্ছিল।আমাকে কেন মিথ্যা পরিচয় দিতে হবে?ধর্ম না থাকলে বুঝি মানুষ মানুষ হয় না,তার পরিচয় পূর্ণ হয় না?আজব নিয়ম-কানুন
চমৎকার প্রথম লেখা। (Y)
আপনার প্রথম লেখা খুব ভাল হয়েছে, (Y) (Y) ধর্মের ফিল্ড এর জাগায়, “ব্যাক্তি বিশ্বাস” করলে কেমন হয়? এতে যার যার বিশ্বাস তার মত করে প্রকাশ করতে পারবে। মানবতার চাইতে বড় আর কি হতে পারে?
খুব ই দুঃখ হচ্ছে এই ভেবে যে আপনারা র্ধম সর্ম্পকে কতই না অজ্ঞ। ধর্ম সর্ম্পকে কিছু না জেনেই এটাকে নীতিবাচক ধারনায় ফেলে দিচ্ছেন এটা কি আপনাদের অজ্ঞতা , স্বেচ্চাচরিতা এবং বাস্তবতাকে অস্বীকার করা নয় কি? আপনি যখন র্ধম সর্ম্পকে সর্ম্পূনরুপে জানবেন তখন বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান চরমভাবে এবং চমত্কারভাবে র্ধমকে অনুসরন করছে.. এবং আজীবন করতে থাকবে.. যেমন প্রকৃতিকে সবচেয়ে ভালভাবে জানতে হলে প্রকৃতির নিয়মগুলো ভালভাবে আয়ত্ব করতে হবে। আরেভাই কেউ যদি কৃকেটের নিয়মগুলো যদি না জানে তার কাছে যেমন কৃকেট সবচেয়ে বাজে খেলা মনে হবে তেমনি র্ধম সর্ম্পকে আপনাদের ধারনাগুলো তেমনই। যেখানে আইনস্টাইন ও ধর্মকে অস্বীকার করার পারে নাই । ভাই ধর্ম সর্ম্পকে গভীর জ্ঞান অর্জন করুন কোন গুজব নয় আপনারা র্ধমের বইগুলো বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্লেষণ করুন (কারো শুনা কথায় নয়)। তখনই দেখবেন আপনাদের সম্স্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়েগেছেন। জ্ঞান ও বিবেকের সমন্বয় ঘটান.. ভাই( নাস্তিক ও অবিশ্বাসীরা) E=MC^2০যে চুরান্ত সমীকরন আপনি কী করে বুঝলেন?যেটাকে র্ধম ব্যখ্যা দিবে..? অজ্ঞতা আর উদরর্ফুতির (পশুর মত) খোলশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে.. তবেই পাবেন সঠিক পথের সন্ধান..
খুব ই দুঃখ হচ্ছে এই ভেবে যে আপনারা র্ধম সর্ম্পকে কতই না অজ্ঞ। ধর্ম সর্ম্পকে কিছু না জেনেই এটাকে নীতিবাচক ধারনায় ফেলে দিচ্ছেন এটা কি আপনাদের অজ্ঞতা , স্বেচ্চাচরিতা এবং বাস্তবতাকে অস্বীকার করা নয় কি? আপনি যখন র্ধম সর্ম্পকে সর্ম্পূনরুপে জানবেন তখন বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান চরমভাবে এবং চমত্কারভাবে র্ধমকে অনুসরন করছে.. এবং আজীবন করতে থাকবে.. যেমন প্রকৃতিকে সবচেয়ে ভালভাবে জানতে হলে প্রকৃতির নিয়মগুলো ভালভাবে আয়ত্ব করতে হবে। আরেভাই কেউ যদি কৃকেটের নিয়মগুলো যদি না জানে তার কাছে যেমন কৃকেট সবচেয়ে বাজে খেলা মনে হবে তেমনি র্ধম সর্ম্পকে আপনাদের ধারনাগুলো তেমনই। যেখানে আইনস্টাইন ও ধর্মকে অস্বীকার করার পারে নাই । ভাই ধর্ম সর্ম্পকে গভীর জ্ঞান অর্জন করুন কোন গুজব নয় আপনারা র্ধমের বইগুলো বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্লেষণ করুন (কারো শুনা কথায় নয়)। তখনই দেখবেন আপনাদের সম্স্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়েগেছেন। জ্ঞান ও বিবেকের সমন্বয় ঘটান.. ভাই( নাস্তিক ও অবিশ্বাসীরা) E=MC^2০যে চুরান্ত সমীকরন আপনি কী করে বুঝলেন?যেটাকে র্ধম ব্যখ্যা দিবে..? অজ্ঞতা আর উদরর্ফুতির (পশুর মত) খোলশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে.. তবেই পাবেন সঠিক পথের সন্ধান.. ।
@Samiha, আপনি আজকে যে সমস্ত আধুনিক সুবিধা ভোগ করছেন সেগুলোর জন্য আপনি নিশ্চই বিজ্ঞানকে ধন্যবাদ দেবেন, জাস্ট ভাবুন এই সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তিগুলো যদি আমাদের দেশে আজকে না এসে পৌছাত তাহলে আমরা এখনো সেই মান্ধাতার আমলেই থাকতাম , রাত হলে লম্ফো জালিয়ে বসে বসে মসা মারতাম. , আর ঠিক তখন যদি আমাদের দেশ থেকে কেউ আমেরিকা বা ইংলান্ডে যেত, সে দেখত একটা সপ্নের দুনিয়া যেখানে সে কম্পিউটার , টিভি, এল, ফ্রিজ, দেখে অবাক হত. এমনকি এই ২০১২ সালেও .
এই কথাটা ঠিক না।
বর কনে রাজী
করবেটা কি কাজী? :))
বাংলাদেশে এখনো ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইন (THE SPECIAL MARRIAGE ACT, 1872 ) বলবৎ রয়েছে।
ঢাকার সদরঘাট ও কোতোয়ালি থানার উত্তরে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজিয়েট হাইস্কুল সংলগ্ন পাটুয়াটুলী রোডের ২-৪ লয়াল স্ট্রিটে সিভিল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিসে বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করা যাবে। পাত্র-পাত্রীর পরস্পরের ধর্মীয় বিশ্বাস পৃথক হলে তারা চাপিয়ে দেয়া জন্মগত ধর্ম না পাল্টেও বিয়ে করতে পারবে বিশেষ বিবাহ আইনের আশ্রয়ে।
বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে করতে চাইলে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া ভালো। আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতকৃত হলফনামায় পাত্র-পাত্রী স্বাক্ষর দানের পর ওই হলফনামা নোটারি পাবলিক কর্তৃক নোটরাইজড করতে হবে ৷ হলফনামায় অবশ্যই ‘বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে’ শব্দগুচ্ছ লিখতে হবে ৷ এরপর সরকার অনুমোদিত বিশেষ বিবাহ রেজিস্ট্রারের কাছে নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক ৩ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
@কাজী রহমান, এ সম্পর্কে ধারণা আছে। তবুও পরিবার মেনে নেয় না, সমাজ মেনে নেয় না। অনেক সময় হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। বিয়ে করাটাই তো সব না তখন 🙁 🙁 🙁
@শান্ত কৈরী,
যাদের এ সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের জন্য এটা সুখবর নয় কি? আলো আছে, সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় হলেও; তাই না? হতাশ বা ব্যাজার হবার মত কিছু না। ঐ যায়গায় সমাধানের আলোর কথাটা এখনো এখানে কেউ না বলায় উল্লেখ করলাম।
ওহ, বলতে ভুলে গেছি; স্বাগতম (F)
@কাজী রহমান, ধন্যবাদ
আসলে ধর্ম আর বৈবাহিক অবস্থান কেনো জরুরী ফর্ম ফিলাপের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটাই বুঝি না। আরেকটা ব্যাপারের মুখোমুখি আমরা প্রায়ই হই, স্বামীর নাম। যদি স্বামী না থাকে তাহলে অভিভাবকের নাম। সাক্ষরের বেলায় ও একই কথা অভিভাবকের সাক্ষর দিতে হবে। যদি বলি আমার কেউ নেই, আমি নিজেই নিজের গার্ডিয়ান, সুতরাং ওটা বাদ দেন, সেখানেও ঝামেলা করে কলেজ বা ভার্সিটিতে।
ভালো লাগলো একটা গুরুত্বপূণফ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। ধন্যবাদ লেখককে আর অভিজিৎ রয় কে।
@বেণুবর্ণা, সেগুলো তো আছেই। সব কেমন জানি দাসপ্রথার সামিল লাগে আমার কাছে। নিজের বলতে কিচ্ছু নেই
একেবারে মনের কথাটাই বলেছেন।ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখার জন্য…
@অনিমেষ, পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
ধর্ম ! বড় হবার সাথে সাথে বুঝেছি অন্যদের চেয়ে আমি চিন্তাভাবনায় অনেকটা আলাদা। আমার ধর্ম আনুভুতি সেই আলাদা হবার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। ব্যবসায়ী বাবা আর চিকিৎসক মা, একজনের ধর্মে বিশ্বাস আর অন্যজনের অবিশ্বাসের দোলায় আমাদের তিন ভাইবোনের দুজন অবিশ্বাসী আর একজন বিশ্বাসী হয়ে বেড়ে উঠি। ছোট বেলায় ভাবতাম সারা দুনিয়া বোধহয় আমার বাসার মত উদার ভুল ভাঙ্গে ক্লাস এইটে পড়ার সময়, হাউস টিউটরের সাথে তর্ক করার জন্য আমি ধর্ম নিয়ে পড়া শুনা শুরু করেছিলাম সেই তর্কের কোন সুরাহা হয়নি সেই তর্ক আমাকে আজও চালিয়ে যেতে হচ্ছে। খোদ এই সুইডেনে আমাকে প্রতিদিন লড়ে যেতে হচ্ছে, নব্য ধর্ম প্রচারকারীদের অত্যাচারে আমি রীতিমত বিরক্ত।সময়ের প্রেক্ষিতে পরিবারের গণ্ডী ছাড়িয়ে গেছে অনেকটা আর আমার লড়ায়ও দিন দিন বাড়ছে!
@বিনীতা, লড়াই চালিয়ে যাবেন আশা করি
ভালো লাগলো ভাই ।
আরো ভাল লাগলো এটা জেনে যে ;
আপনি ধর্মে অন্ধ নন ।
@সমীর চন্দ্র বর্মা ।, ধন্যবাদ
আচ্ছা ভাই এমন কোন র্ধম কি আছে যেখানে মানবতা কে অস্বীকার করা হয়েছে? আমরা কি প্রতিটি র্ধম সর্ম্পকে সর্ম্পূন বা গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি? আমরা জ্ঞানের রাজ্যে, কতটুকু ই বা ভ্রমন করতে পেরেছি?যেখানে আলর্বাট আইন্সটাইন বলেছিলেন “আমি শুধু জ্ঞানের সমুদ্র তীরে একটা বালু কনাকে নড়াছড়া করেছি মাত্র” আপনারা যারা র্ধম নিয়ে এমন অসর্ম্পূন মন্তব্য করছেন এটা আপনাদের অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ নয় কী? এমন হতে পারেনা ষে এখনো বিজ্ঞান ওখানে পোঁছতে পারে নাই ! যেমন আইনস্টাইন সময়কে চর্তুথ মাত্রা ধরে কিছু অস্বাভাবিক (সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে যাহা অসম্ভব) ঘটনা ব্যাখ্যা করেছিলেন । দেখুন যখন পঞ্চম ষষ্ট মাত্রা আবিষ্কার হবে তখন হয়তো সেই ঘটনাগুলো এবং আরও অনেক অজানা ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা দিতে না পারা আমাদের ও বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নয় কি? হতে পারেনা আমারা আমাদের ক্ষুদ্রতর চিন্তা ও জ্ঞান ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা দিতে অক্ষম। তবে কেন? কেন আমরা র্ধম নিয়ে চুরান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছি? তা নাহলে এটা কি আমাদের র্ব্যথটাকে আরাল করার জন্যো? প্রশ্ন রইল নাস্থিক ও অবিশ্বাসীদের কাছে?…?
@Samiha,
মজার ব্যাপারটি হচ্ছে আপনার প্রশ্নটি একটি নৈবৃত্তিক উত্তর দাবী করে। কিন্তু আসলে এই ধরনের প্রশ্নের হা/না উত্তর দিয়ে আসল সত্যকে বুঝা যায় না। কাজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়না।
এইধরনের একটি কোটেশন আছে ঠিক তবে সেটি আইনস্টাইনের না। এটি নিউটনের।
বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু বিজ্ঞান তার দিগন্তকে ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলছে। আর যত এই সীমা বাড়ছে ধর্মের সীমা কিন্তু ততই ছোট হচ্ছে। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার চেয়ে ধর্মের সীমাবদ্ধতা কিন্তু অনেক বেশি। আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিন্তু যুগে যুগে অনেকেই নিয়েছেন। এখন আন্তরজালিক যোগাযোগের সুবাদে নাস্তিকরা আস্তিকদের বেশি কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই আর কি।
@Samiha, ধর্মে কোথায় মানবতার কথা আছে আপনি পেলেন আমি জানি না। আয়াতে আয়াতে কাফির নিধনের কথা বলেছে। রামের বাসস্থানের জন্য বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা এহুলো কি নাস্তিকদের কাজ। অনেক বছর ধর্ম আর স্রস্টাকে নিজেকে প্রমানের সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানিরা স্রস্টার অস্তিত্ব নাকচ করে দিয়েছে। বিজ্ঞানিরা তাহলে কম জানে মূর্খ? ঈমাম আর একজন নিরক্ষর যে বিজ্ঞানের কিচ্ছু জানে না, সে যদি বলে ঈশ্বর আছে তাহলে সে মহাজ্ঞানি হয়ে গেলো? এই আমাদের জ্ঞান?
@Samiha, ঘটনা হল যে আমি সেই টাইপ এর মানুষ যে কিনা যা বুঝে তাই বিশ্বাস করে।
যেমন ধরুন আমি বিশ্বাস করি যে পানি ২ অনু হাইড্রজেন ও ১ অনু অক্সিজেন নিয়ে গঠিত। কারণ আমি নিজে ল্যাবে বসে পানির মাঝে ইলেক্ট্রলাইসিস করে দেখি যে আসল ঘটনা সেইটাই।
কিন্তু আমি এইটা কিভাবে বিশ্বাস করব যে একজন উপরয়ালা আমাকে নিয়ন্ত্রন করছে? আমি কি এটা পরীক্ষা করতে পারব? পারব না।
Human mind is rational.
বিজ্ঞান ধর্ম কে এখনও বুঝতে পারেনি এই কথাটা আরেকটা বড় ভুল। বিজ্ঞান ধর্ম কে ব্যাখ্যা করার জন্য নয়। সে প্রকৃতির নিয়ম উদ্ঘাটন করে…
সব ধর্মেই মানবতা আছে মানলাম… তো সেইটুকু তো আমরা মানি ই… শুধু ধর্মের গোঁড়ামিটুকু মানতে পারি না…
@Samiha, আপু আপনার মন্তব্য পড়ে হেসে দিলাম…কিছু মনে করবেন না আপনি যে ধর্ম সম্পরকে তেমন কিছু জানেন না তা বোঝা গেল আর ধর্মে এমন কোন E=mc2 নেই যা নিয়ে মানুষ একটু ভাব্বে…বিজ্ঞান মনষ্ক মানুষের এসব ছাইপাশ পড়েই ফেলে দেয়ার কথা…অবশ্য ভয় পেলে অন্য বিষয়…ভাল থাকবেন
আমরা কি ধর্মীয় জায়গা খালি রেখে কোন ফর্ম পূরণ করতে পারব না?
কে এগিয়ে আসবে ?
যারা জীবন চালাতে হিমশিম খায় , তারা কি পারবে পারবে এই প্রতিবাদ করতে ?
যারা প্রতিবাদ করতে পারত, তারা কি প্রতিবাদ করে ?
যাদের এই অপশন না লিখলে কিছু ক্ষতি হয় না (যেমন যারা বিদেশে থাকে অথবা যাদের জীবন ধারনের জন্যে একটা চাকুরির জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় না), তারা তো করবে না, তাই না ?
তবে কারা করবে এই প্রতিবাদ ? যারা জীবন বাচানোর জন্যে চাকরীর দ্বারে দ্বারে ঘুরে তারা ? তাদের মনে, চিন্তায় যতই থাক না কেন ধর্ম লিখবে না , কিন্ত জীবন বাচানোর জন্যে কি তারা নিজের সাথে ভন্ডামী না করে থাকতে পারবে? (আমি সেই রকম একজন নিম্ন শ্রেণীর ব্যক্তি যে চিন্তা করে ধর্মীয় পরিচয়টা কোথায় না দিতে , কি সিভি তে চাকরীর ক্ষেত্রে, কি কোন প্রকার ফর্ম পুরনের ক্ষেত্রে , কি জীবন চলার ক্ষেত্রে কাউকে সাথে নিয়ে চলতে কিন্তু এই চিন্তা প্রয়োগ বা এই চেতনা ধারন করে আমার মত অশিক্ষত অক্ষমরা কতক্ষন টিকে থাকতে পারবে এই সমাজে, এই বাংলাদেশে?)
@শান্ত,
নতুন লেখককে স্বাগতম।
সম্ভব না।রাজনীতি যতদিন পর্যন্ত ধর্ম মুক্ত না হবে ততদিন না।আর দিন দিন রাজনীতি ধর্মকে পেঁচিয়ে ধরছে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের সময় আমার ছেলে ও আমার কয়েকজন বন্ধু চেষ্টা করেছিল। আমার ছেলে তার ধর্ম বলেনি বলে তার মা বাবার নাম দেখে কম্পিউটার অপারেটর ধর্ম বসিয়ে দিয়েছে। আর বন্ধুদের সাথে বিতর্ক লেগেছিল,কারণ তাদের নিজের নামই ধর্মের পরিচয় বহন করে বলে কম্পিউটার অপারেটর না জিজ্ঞেস করেই ধর্মের ঘর পূরণ করে ফেলেছিল।
কিন্তু কারও বেলায়ই শেষ রক্ষা হয়নি। ধর্ম বসিয়েই ছেড়েছে।
@গীতা দাস,
আমার সাথেও এমন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বেলায়
@শান্ত, আপনার এই কথাটা একদম সত্য। দ্বিমত করার সুযোগ নেই
অসম্ভব ভালো লেগেছে লেখাটা। লেখকতো তবু ভাগ্যবান তিনি এমন বাবা মা পেয়েছেন যারা তাকে বুঝতে পারছে এবং তার উপর কোনও ধর্ম চাপিয়ে দেননি। আমি এরকম অনেককেই চিনি যারা বাস্তবে ধার্মিক হিসেবে পরিচিত কিন্তু আদতে নাস্তিক। আমি নিজেও খানিকটা সেরকম। অনলাইন মাধ্যম এবং নিতান্তই কাছের বন্ধু বান্ধব ছাড়া কেউই আমার নাস্তিকতা সমন্ধে জানেনা।
এদেশে প্রকাশ্য হতে গেলে বেশ কিছু রিস্ক আছে। অযথা সেই রিস্কগুলো নিতে চাইছিনা।
@ম্যাক্স ইথার, এই রকম রিস্ক না নেওয়াই ভালো। আমিও আপনার মত রিস্ক নেই নাই।
@ম্যাক্স ইথার, আমি সামনা সামনি বলি। এখনো রিস্কের কিছু দেখি না। অনেকে দূরে থাকে, অনেকে ভয় পায়। বন্ধুরা পাশেই থাকে
@শান্ত কৈরী, আমিও এটাই করি… (Y)
নাস্তিকদের কি সংখ্যালঘু মরজাদা দেওয়া উচিত নয়?
আমি মনে করি নাস্তিকদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দিয়ে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
@শেসাদ্রী শেখর বাগচী, দেশে আসল সংখ্যালঘুদের মর্যাদা নেই, আমাদের তো গোনায় ধরে না।
সংখ্যালঘু ট্যাগ নিয়ে আর থাকতে চাই না। মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই
‘…তারপর ভারতের মানবতাবাদী সমিতির সহায়তায় কোর্টে গিয়ে affidavit করে দলে দলে ছেলে-মেয়ে Humanism কে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে (১৯৯৩ এর ১০ ডিসেম্বর)। ( উৎস : মানুষের ধর্ম মানবতা, সুমিত্রা পদ্মনাভন, দুই বাংলার যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম)’
ভারতে এটা তাহলে সম্ভব হয়েছে ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশে কবে সম্ভব হবে? ২০৯৩ সালে? অবশ্য আইনে সুবিধা থাকলেও, ‘দলে দলে ছেলেমেয়ে’রা কতদিন, কতজন যাবে সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ ঘুচবে না। খুব, খুব, খুবই নৈরাশ্যবাদী আমি মানবজাতির ব্যাপারে। চারপাশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে হিজাবধারিনীর সংখ্যা, টুপিধারীর সংখ্যা হয়তো সেভাবে নয়, তবু বাড়ছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারেও আশাব্যঞ্জক কিছু বলা যাবে না। একজন ফরাসি ভাষার নাট্যকার তাঁর জার্নালে লিখেছিলেন, ‘common sense is the least well distributed thing in the world.’ বিশ্বাস করি। সাধারণ বোধবুদ্ধিরই অভাব মানুষের। তা না হলে ধর্মের মতো একটি হাস্যকর, অবান্তর বিষয় নিয়ে মানুষ মাথাই ঘামাত না, যেখানে ক্বচিৎ খুনজখমেও মেতে ওঠে ।
শান্ত কৈরী-র মতো অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আরও অনেকের। অসহনীয় জীবন কেটেছে আমারও ছাত্রজীবনে, কর্মজীবনে, কাটছে এখনকারও অসামাজিক জীবনে। পরোয়া করি না বলি বটে কিন্তু আতঙ্কেও থাকি।
@আলতাফ হোসেন, হিজাব পড়লে নাকি মাথার ব্রেন বাড়ে। এরকম যখন বৈজ্ঞানিক যুক্তি টেনে নিয়ে আসে আমার অবস্থা :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :-X :-X :-X :-Y :-Y :-Y :-Y হয়ে যায়। হিজাব বোরখা পড়ারা যদি অনেক জ্ঞানি হয় তাহলে আমাদের আশেপাশে জ্ঞানি গুনির সংখ্যা আমেরিকার চেয়ে বেশি 😀 😀 😀 😀 😀 😀
লেখাটা খুব পছন্দ হয়েছে (Y) ।
বাংলাদেশে নাস্তিকতা বিষয়টা এক ধরণের ট্যাবু। আমার ফেসবুক প্রোফাইল এ Religious View: Atheism দেখে কম করে হলেও ১০০ জন গালি দিয়েছে, ১০-১৫ জন ব্লক করেছে।
এমনকি আমার ইউনিভার্সিটি তে ও আমার খুব কাছের বন্ধুরা আমাকে এই বিষয় নিয়ে অবজ্ঞা করে…
আর পাড়ার মৌলভি সাহেব তো আমারে দেখলেই :guli: ।
@জয়নুল এ নিশাত, ইউনিভার্সিটির আমার কাছের বন্ধুরা অবজ্ঞা করে না, তবে ওরা বিশ্বাস করে না আমার ধর্ম নাই। আমাকে বারবার হিন্দু বলে ভুল করে। ধর্ম নাই শুনলে অবাক হয়, অনেক বেশি।
@শান্ত কৈরী, প্রথম দিকে অবজ্ঞা করত না, এখন করে… কারন এখন সত্যি সত্যিই যে আমি নাস্তিক সেটা মনে হয় বুঝতে পারে।
তাদেরকে আমি যখন মুক্তমনার পথ দেখাই তারা “ভয়” পায়।
ধর্মনিরপেক্ষতা কে “ভয়” পাওয়ানোটাই মনে হয় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় “ধর্ম” অন্তর্ভুক্তকরণের অন্যতম সফলতা।
আমাদের প্রজন্মের ছেলেরা এখন মুক্তচিন্তা করতে ভয় পায়।
আর পৃথিবীর অন্য প্রান্তে মুক্তচিন্তা কে স্বাগত জানানো হয়… 🙁
@জয়নুল এ নিশাত, এই কারনেই ক্লাস থ্রিতে নৈতিকতার নামে ধর্মকে অন্তর্ভুক্তি আর এসএসসি তে ধর্ম বিষয় নিয়ে সার্টিফিকেট পাওয়া সব তো এই নীল নকশার বাস্তবায়ন
@শান্ত কৈরী, :-Y কি যে করি নিজের নামের আগে মোহাম্মাদ আছে চেঞ্জ করতে চাচ্ছি শুনলাম বহুত হ্যাপা, দাদা এটা নিয়ে কেউ কিছু লিখুন,কো ন উপায় থাকলে বলুন,এই নামটার দিকে তাকালে এখন মেজাজ বিলা হয়ে যায়…
লেখাটি আমার দারুণ ভাল লেগেছে । মুক্তমনাদের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে । আমাদের তাই যে কোন ফর্মে ধর্মের ঘরে কি লেখা হবে বা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা, অধিকার আদায়ের আন্দোলন ইত্যাদি শুরু করা উচিত ।
লেখক কে অভিনন্দন ।
@এ. কে. এম. সাঈদ, মুক্তমনার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আন্দোলনের সময় হয় তো এসেছে। কিন্তু সংখ্যা যাই হোক, এদেশে এখনো আমরা সংখ্যালঘু। সময় লাগবেই কিছুটা।
সরাসরি ধর্ম অপশনটাই বিলুপ্তি দরকার এবং এটার জন্যই আন্দোলন হওয়া উচিৎ। আমার কাছে মানবতা লেখার অধিকার পাবার চেষ্টাটাও ভালো দেখাই না। যেমন ধরুন নতুন একটা অপশন চালু করা হল ‘চরিত্র’ এবং এর উপ অপশন গুলো হল চালাক, বন্ধুপরায়ন, নেতৃত্বসুলভ, হাসিখুশি ইত্যাদি ইত্যাদি; এখন এর সাথে আমরা কিছু মানুষ দাবি করছি যে ‘ভালো মানুষ’ অপশনটাও রাখা হোক :)) পুরো বিষয়টাই হাস্যকর।
ধর্ম বিষয়টাই খারাপ এবং হাস্যকরও বটে, একে কম হাস্যকর করার জন্য এর মধ্যে মানবিকতা রাখার দরকার নাই। যতদিন আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে ততদিন হিন্দু, মুসলিম,খ্রিস্টান ইত্যাদি হাস্যকর একটাই টিক দেয়াই ভালো।
লেখা ভালো হইছে ছোকরা 🙂
@ইমরানহক সজীব, এখন মনে হচ্ছে ধর্ম অপশনটা উঠিয়ে দিলে ভালো। আমি মুক্তমনা, ধার্মিক, মানবতাবাদী সেটা আমার মনেই থাক! 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
ধন্যবাদ দাদাজান!!!!!!!!
এইটা একটা আজব অবজার্ভেশন। বাংলাদেশে নানা যায়গায় ফিলাপ করতে হয় এমন ফর্মগুলোর একটা ফিল্ড হচ্ছে ‘ধর্ম’? একবিংশ শতাব্দীতে এইটা মেনে নেওয়া কঠিন। বিদেশে থাকি বলে একটি জাগায়ই শুধু ধর্ম লেখা লাগে আমার, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশে গেলে বিমান থেকে নামার আগে একটা ফর্ম ধরায় দেয় ফিলাপ করার জন্য, সেই ফর্মে। এই ফর্মটা ফিলাপ করতে আমার খুবই ভালো লাগে, বাংলা ভাষায় ফর্ম ফিলাপ করি, অনেকটা হোমকামিং ওয়েলকামের মতো লাগে। আমি সাধারণত বোল্ড অক্ষরে বড় বড় করে লিখি ‘নাস্তিক’। 🙂
@আল্লাচালাইনা, বড় বড় করে নাস্তিক লেখাটা বেশ উপভোগ করেন :-s :-s :-s :-s
এই আনন্দ থেকে আমিও বঞ্চিত হতে চাই না 😀 😀 😀 😀
ধর্ম আমার বিনোদন… এই একতা কারনেই আমার সাথে এখনো ধর্মের খানিকতা যোগাযোগ। যেদিন ধর্মের কাছে আমার বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা ফুরোবে, ধর্মের সাথে সেদিন হবে শেষ যোগাযোগ। কিন্তু শান্তর লিখাতা পড়ে মনে হলো ব্যাপারটা হয়তো এতোটা সরল না। আমৃত্যু আমার পাসপোর্টে আমার ধর্মীয় পরিচয় লিখা থাকবে! একতা মিথ্যে জীবন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না!
@থাবা, এই কারনে দেয়ালে মাথা ঠুকার কথা বলছিলাম :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y
এই পরিচয় থেকে পিছা ছাড়াতে পারলেই শান্তি
@শান্ত কৈরী, এইখানেও মনে হয় কাহিনী আছে। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-কৃশ্চান ও কয়েকটা প্রমিন্যান্ট ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের আবার কোন বেইল নেই পৃথিবীতে। অস্ট্রেলিয়ান যে আদিবাসী লোকটা এখনো গুনতে জানে না, সে তার ধর্ম(যেটা সে কয়েক হাজার বছর ধরে পালন করে আসছে) বললে বা কোন প্রাতিষ্ঠানিক কারনে কোথাও লিখলে সেটার কোন গ্রহনযোগ্যতা থাকবে না। তাকে ঐ ৫/৬টা মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট ধর্মের অনুসারী না হলে ধর্মহীন বলেই বিবেচনা করা হবে।
আপনি কি বলতে পারেন অ্যামেরিকান রেড ইন্ডিয়ানদের ধর্ম কি? আমাদের দেশীয় আদিবাসীরা কিন্তু এখন হয় বৌদ্ধ নয়তো কৃশ্চান! তাদের নিজস্ব ধর্ম মুছে দেয়া হয়েছে!
আমরা মোবাইল ফোন কেনার সময় নোকিয়া-স্যামসাং-ব্ল্যাকবেরী ব্র্যান্ড না হলে কিনি না… বাংলাদেশের হাফ চাইনিজ ব্র্যান্ড অনিক হলে আমরা পাশ কাটিয়ে চলে যাই… ধর্মও তাই! সব জায়গায় মেজরিটির খেলা!
@থাবা, সবাই উপ্রে ব্র্যান্ড। আর কিচ্ছুই বলা যায় না। ধর্মও এখন মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড
@থাবা,
মোক্ষম কথা বলেছেন ভাই। এস এস সি আর এইচ এস সি পরীক্ষার ফর্মে ধর্মের ঘরে ব্র্যান্ডেড চারটা ধর্মের পাশে “অন্যান্য” বলে একটা ঘর থাকে। তবে ওই ঘর বাংলাদেশে কেউ পূরণ করে কিনা সন্দেহ। বাঙালীরা তো নয়ই আদিবাসীদের প্রাচীন ধর্মগুলিকেও কেড়ে নিয়েছে “প্রধান” ধর্মগুলির মানুষেরা। সারা পৃথিবীতেই এই অবস্থা। আদিবাসীরা এখন ধার করা ধর্মে বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে আর ব্র্যান্ডেড ধর্মের মানুষেরা বিপুল বিক্রমে এগিয়ে চলেছে তাদের ঈশ্বরের নামে অনন্ত নরক থেকে বাঁচানোর জন্য।
@শান্ত,
লেখা খুব ভালো হয়েছে। এই হল আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ দেশের অবস্থা। প্রচণ্ড রাগ ওঠে যখন জায়গায় জায়গায় ধর্মের মত একটা গুরুত্বহীন জিনিস পূরণ করতে হয়। আমার তো ভার্সিটিতে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করার সময় বর্ণও লিখতে হয়েছে। বাজে ব্যাপার :-Y :-Y যাই হোক, মুক্তমনায় স্বাগতম। এভাবেই সুন্দর লেখা উপহার দিতে থাকো। (Y)
ভারতে হিউমানিজম চালু আছে শুনেছি। কিন্ত চোখে দেখিনি নব্বই এর দশকে। ফেসবুক অবশ্য হিউম্যানিজম এবং এথেইজম দুই অপশনই দিয়ে থাকে। নাস্তিকতা অপশনটা কেন চালু করে না কে জানে। আমেরিকাতে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ আনা যায় না বলে, এখানে ধর্মটা লিখতে হয় না।
@বিপ্লব পাল, ভারতের কথা আলাদা। এখানে আমি এই সুযোগ পাই না 🙁 🙁 🙁
দুঃখ হয়
@বিপ্লব পাল,
এটা না করাই ভাল। ছাগবান্ধবেরা তখন আওয়াজ তুলবে – দেখছ – নাস্তিকতাও একটা ধর্ম (এখানে)।
একবার আইনে নাস্তিকতাকে ধর্ম বলে স্বীকার করা হলে বিরাট প্যাচে পড়ব আমরা। ঐ দিকে না যাওয়াই উচিৎ।
আমি চাই যাবতীয় ফর্ম, টর্ম থেকে ধর্মের অপশনই তুলে দিতে। আর যদি একান্তভাবে রাখতেই হয়, তবে মানবতা অপশনটাও যোগ করা উচিৎ।
@বিপ্লব পাল,
ইংল্যান্ডে এমন কোন ফরম দেখিই নাই যে ফর্মে বা সেই ফর্মের সাথে সংযুক্ত আলাদা কাগজে ধর্ম লেখা নাই। এর পেছনে যে যুক্তি দেয়া হয়েছে তা কিন্তু সহজে ফেলার মতোও নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাকুরির এপ্লিকেশনে আপনার ধর্ম এবং ভাষা পরিচয় প্রায়োরিটি দিতে পারে। যেমন আপনার চাকুরিটা যদি হয় কোন বিশেষ ভাষার মানুষের বা সম্প্রদায়ের জন্যে। নার্সারি থেকে সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত শিশুদের ধর্মানুসারে স্কুল মিল (খাদ্য) সরবরাহ করা হয়ে থাকে। একই ভাবে নামাজের জায়গা এবং ধর্মীয় ছুটির ব্যবস্থা থাকে। বলা হয়েছে-
To ensure fairness to all beliefs, employers are required to adopt appropriate practices for:
•dress code;
•breaks (some people need to pray several times a day);
•leave and religious holidays and fasts;
•social interaction (some people may need to avoid eye contact or handshakes).
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এসেম্বলি, পি ই, গান-নৃত্য, জিম, খেলাধুলায় পার্টিসিপেট করতে না পেরে মুসলমান শিশু কিশোরদেরকে কাঁদতে দেখেছি, কিছু করার নেই। তারা স্কুলে আসেই মুসলমানি ড্রেস পরে।
@আকাশ মালিক, সেখানকার মুসলমান মা-বাবারা চায় না তারা ব্রিটিশ কালচার গ্রহন করুক অথবা একটু লিবারেল হোক। তাই রি অবস্থা
ভালো টপিকে লিখছেন।
তুমি যত বড় নাস্তিকই হও না কেন, ব্যাক্তিগত পরিচয়ের সাথে ধর্মের ট্যাগ তোমারে লাগাইতেই হবে;বিয়া করার সময় তোমারে ধর্ম মাইনাই বিয়া করতে হবে। ক্লাসে তোমাকে ধর্মের নামে কিছু শ্লোক মুখস্ত করতে হবে। ঐ শ্লোক পরীক্ষার খাতায় লিখতে হবে। একদিকে তুমি বিজ্ঞান পড়বা,আধুনিক সব বৈজ্ঞানিক সূত্র জানবা আরেকদিকে তুমি আদম-হাওয়া অথবা রাম,ব্রহ্মের কাহিনী মুখস্ত করবা। এই কন্ট্রাডিকশনই আমাদের বিজ্ঞান মনস্ক করতে দেয় না।
@অধম, চরম সত্য। বিজ্ঞান শুধু ডিগ্রি অর্জন করে টাকা কামানোর জন্য। ধর্মই তো তাদের কাছে সব।
আমাদের ভার্সিটিতে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণের সময় প্রতিবার আমি থমকে যাই। ওখানে শুধু ধর্মের ঘরই না, বরং ‘বর্ণ’ নামে আলাদা একটা ঘর আছে পূরণ করার জন্য। আমি করছি কি, গতবারে দিসি সুন্নি,এইবার দিসি শিয়া! কই,কেও কিছুই বলল না! 😛 :p
@নিটোল, বর্ণর জায়গায় কিছুই লিখি না। সুন্দর করে ধর্মের জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির হাত দিয়েই লেখাই সনাতন। 😀 😀
মুক্তমনায় স্বাগতম।
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আমরা যারা ধর্ম মুক্ত জীবন যাপনে অভ্যস্ত তারা জীবনের কখনো না কখনো এ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। আমার জন্য জিনিসটা ছিল সোজা। ধর্মের জায়গায় বিচ্ছিরি ইংরেজী হাতের লেখায় লিখতাম humanism। ফর্মওয়ালারা ভাবত হিন্দুইজম লিখছি বোধ হয়। 🙂 দেশের বাইরে অবশ্য এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় নাই।
কিন্তু আমার জন্য সমস্যাটার সমাধান যত সহজ ছিলো, সবার জন্য তা নয়। কিন্তু এইটা যে একটা সমস্যা সেটাই বোঝে না কেউ। শিশুদের উপরে জোর করে ছোটবেলা থেকেই তার অভিভাবকদের ধর্ম চাপিয়ে দেয়া হয়। এটা যে একধরণের শিশু নিপীড়ন, সেটা কে বোঝাবে?
যাইহোক, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের যুক্তিবাদী আর মানবতাবাদীরা ধর্মের জায়গায় ‘মানবতা’ লেখার আইনী অধিকার আদায় করেছে। এটা একটা অগ্রসর পদক্ষেপ। বাংলাদেশেও এটা করা জরুরী। এপ্রসঙ্গে ‘দুই বাংলার যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’ গ্রন্থে প্রকাশিত সুমিত্রা পদ্মনাভনের মানুষের ধর্ম মানবতা থেকে প্রাসঙ্গিক কিছু উদ্ধৃতি –
@অভিজিৎ, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ আমাদের ধর্মের জায়গায় মানবতা লেখার জন্য আইনী অধিকার আদায়ের চেষ্টা অবশ্যই করা উচিত। মুক্তমনার সংখ্যা বাড়ছে। তাদের জন্য দরকার। আমাদের জন্য দরকার। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দরকার।
@শান্ত কৈরী,
এটাও ভুল সিদ্ধান্ত। একজন মানুষের ধর্মীয় পরিচয় কী, সেটা কোথাও জিজ্ঞেস করতে পারবে না, এই আইনি অধিকারের আন্দোলনটাই হচ্ছে যৌক্তিক আন্দোলন।
লেখাটা খুব পছন্দ হয়েছে আমার। অভিনন্দন। (F)
@ফরিদ আহমেদ, আমাদের দেশে একজন মানুষের ধর্মীয় পরিচয় কী, সেটা কোথাও জিজ্ঞেস করতে পারবে না এই অবস্থা হতে অনেক সময় লাগবে। ধর্মের কথা জিজ্ঞেস করা যাবে না, এমন হলে আমার চেয়ে খুশি কে বা হবে? 😉 😉 😉 😉
@শান্ত কৈরী,
ধর্মের জায়গা নাই করার চেষ্টা করা যায়না? তখন তো সব ঝামেলা চুকে যায়।
প্রথম লেখাটা ভাল হয়েছে (Y) আর মুক্তমনায় স্বাগতম। (F)
@আকাশ মালিক, বাংলাদেশ এখনো ছাগবান্ধব আর তাদের জন্য আদর্শ জায়গা। ধর্মের জায়গা নাই করাটা সময়ের ব্যাপার হলেও নাই করারই পক্ষপাতি।