স্বাধীনতার স্বাদ , দুরন্ত গতি এ সব কিছুই যে মধুর
কোন সন্দেহ নেই তাতে।
তিতকুটে ভাবটা তারপরেও
আমার মনে থেকেই যায়।
এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার মানে হয় ?
অস্থির মনটা বিশাল সমুদ্র মনে হয়,
একাকী পাড়ি দেয়া কষ্টকর।
বই পড়ে কিংবা কবিতা লিখে কাজ হবে না আর,
আমার সাথে আর কিছুক্ষণ বরং থেকেই যাও, অনির্দিষ্ট কালের জন্য।
এবারের মতো; ‘না’ বলবার দরকার নেই।
একসাথে, বাতাসে নোঙরটা ছুঁড়ে দিলেই দেখবে,
আমি থেমে যাবো সাথে সাথে উৎসব উদযাপনে।
উৎসব যেখানে শেষ , সেখান থেকে আবার আমার যাত্রা শুরু ।
তখন অবশিষ্ট থাকবে পেছনে ফেলে আসা শূন্যতার একটা বৃত্ত
যে বৃত্তের কেন্দ্রে থাকবে তুমি আর তোমার রেখে যাওয়া আরেক ‘তুমি’।
এসো, একবার একসাথে, বাতাসে নোঙরটা ছুঁড়ে দেই।
আমি সাথে সাথে থেমে যাবো উৎসব উদযাপনে।
============================================
০৩/০৩/২০১১
ড্রেজডেন, জার্মানী ।
[ কবিতার ব্যঞ্জনায় গানটা মন্দ নয় !]
httpv://www.youtube.com/watch?v=MTzkDgD4IMc&feature=related
কবিতাটা পড়ে হাইওয়ের কথাই ভাবছিলাম, গানটা ঠিক সময়েই পেয়ে গেলাম।
আমার কাছে আবার এই মন বদলানোটাই ভাল লাগলো সবচেয়ে বেশি!
কিছু কিছু জায়গায় যতিচিহ্নের খানিকটা পরিবর্তন আনলে বোধহয় ভাল শোনাবে, যেমনঃ
@ভাস্বতী,
পরিবর্তন করে দিলাম। সক্রিয় পাঠ এবং সেই সঙ্গে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এখান থেকে কবিতাটা শুরু হলেই ভাল হতো মনেহয়,উপরের কথা গুলো মুল ভাবের সাথে বেমানান।
কিছুক্ষণ আর অনির্দিষ্ট কালের এ ব্যাকরনে আমরা মূর্খ ।তারপরও কবিকে ধন্যবাদ ।
@মাসুদ,
সাদা কালো কানুনে বন্দী পরিবেশে কবিতায় যা একটু স্বাধীনতা ভোগ করা যায়। তাই কবিরা অনেক কিছুই বলেন যা হয়তো আমাদের হিসেবের সাথে বেমানান। হটাৎ শৃঙ্খলমুক্ত হলে যা হয় আর কি ! পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
@মাসুদ,
!!!!!
কবিতা হচ্ছে একান্ত ভেতর হতে উঠে আসা আবেগ আর অনুভূতির চিত্রায়ন। প্রতিটি মানুষ চিত্র আঁকবে তার নিজের মতন করে রঙ, তুলি আর পেন্সিল ব্যবহার করে। একজন পাঠক/লেখক/কবি…(এক কথায় একজন মানুষ) কি করে অন্য জনকে বলতে পারে কবিতার কোথা হতে শুরু আর কোথায় শেষ হলে ভালো হতো! মতামত ভিন্ন জিনিস, আর এটা এভাবে হলে ভালো হতো, ওভাবে হলে খারাপ হতো তা ব্যক্ত করা ভিন্ন জিনিস।
কবিতা কবিতাই থাক। মৌলিক কিছু। বিশ্বায়নের সাথে সাথে আমাদের একান্ত ভেতরের টলমলে আবেগও যদি ভেড়ার পালে পরিণত হয়, তবে সাধারণ মানুষ তো ছার, বিজ্ঞানীরাও টলমলে কিছু গবেষণাগারে রেখে পরীক্ষা করার জন্য খুঁজে পাবে না।
কবিতা ব্যাকরন মানার ধর্ম মানে না বলেই তা প্রতিবাদের মতন আকর্ষণীয়, বিদ্রোহের মতন জোরালো, আর প্রেমের মতন সুন্দর।
আরে আরে এ কি দেখছি; কট্টর বিজ্ঞান লেখক আবার এ কোন অকূল ভালোবাসার জগতে (D)
@কাজী রহমান,
হা হা হা ! ফ্রিডরিখ নিচের (Nietzsche ) ভাষায় :
Love brings to light the exalted and concealed qualities of a lover—what is rare and exceptional in him: to that extent it can easily deceive as to what is normal in him. (@)
@কাজী রহমান,
দ্বিমত নেই।
মনের কোণ ছুঁয়ে গেছে। অত্যন্ত ভাল লাগার মত পংক্তি। আর এটি বাতাসে নোঙর (আদিপর্ব)। উত্তর পর্বসহ আরও পর্বের অপেক্ষায়।
তবে মুক্ত-মনার পর পর তিনটি কবিতাই কেন যে শুধু কবিতা না হয়ে অন্য বিভাগও সংযোজিত হল বুঝতে পারছিনা। এ মন্তব্য অন্য দুটি কবিতার কবিদেরও বলব।
@গীতা দাস,
আপনার অনুপ্রেরনাময় বক্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। যে কোন লেখকই পাঠকের মাঝে অনুপ্রেরনা খোঁজেন।
অদৃশ্য অনেকগুলো বোধ একাত্ম হয়ে কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে। একটি প্রবন্ধ যেমন শুধু একটি প্রবন্ধ নয় , তেমনি একটি কবিতা শুধু একটি কবিতা নয়। প্রবন্ধে আমি বিজ্ঞান নিয়ে লিখি আর কবিতায় স্মৃতি রোমন্থন স্হান পায়, যার উদযাপন এই কবিতা।