কড়া রোদে মসৃণ রাস্তা যেন চমকাচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে কোনো রকমে রোদ থেকে নিজকে বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে একবার ব্যাগ উঁচু করে ধরি, আবার মাথায় ওড়না পেঁচাই। রোদ থেকে নিজকে বাঁচাতে পারছিনা কিছুতেই।
সামনে তাকিয়ে দেখি ও পাশের ফুটপাথে কৃষ্ণচূড়া গাছের অজস্র ফুল কার্পেটের মত ছেয়ে রয়েছে ধানমন্ডির ফুটপাথে। আর সেই সু-নিবিড় শান্ত শীতল জায়গার এককোণে এক মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে। কাপড় ঠিক রাখার দিকে কেমন তার এক নিরাসক্ত ভাব। রুখু চুল, মুখখানা বড্ড শুকনো। এমন পথে ঘাটে কত দেখি আমরা আসলে এসব নিয়ে মাথা ঘামাইনা। নিজকে কেমন অপরাধী মনে হল। মুখ ঘুরিয়ে আমার গন্তব্যের দিকে পা বাড়ালাম। ড্রাইভারকে বলে দিলাম বিকেলে যেন নিতে আসে। আজ বান্ধবীর বাড়িতে নেমন্তন্ন। তেমন উপলক্ষ নয়। এমন হর-হামেশা হয় আমাদের। বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাই, আবার নিতে আসি। বান্ধবীরাও যায়। মাঝে মধ্যে আমাদের এমন মিলনমেলা ঘটে।
বেসমেণ্ট এ পা দিতেই দেখি এক পাজেরো হুশ করে এলো। গাড়ির ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপ্টায় তাকিয়ে দেখি শান্তা।
নেমে পড়ল গাড়ি থেকে, সাথে ওর মেয়ে।
যথারীতি হাল্কা নাস্তা পর্ব শেষ হল। সাথে মজাদার লেবুর শরবত।
বাঁধন অনেক কথা বলে চলেছে। বিষয় তার স্বামী,সন্তানের সমস্যা, টাকা এবং অবশ্যই গয়নাগাটি। এসব আলোচনায় আমি একদম আনাড়ি। নিজের আনাড়িপনা ঢাকতেই বোধ করি ব্যালকনিতে দাড়ালাম।
এর মাঝে এক অদ্ভূত অনুভবে তাকিয়ে দেখি শান্তার ১২ বছরের মেয়েটি। বিষন্ন মুখে বিরস বদনে বসে আছে।
ওর বসে থাকার ভঙ্গিটা আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগল। সাধারণত এই বয়সি মেয়েরা থাকবে হাসি খুশিতে ভরা উচ্ছল, প্রাণবন্ত।
ওর পাশের চেয়ারে বসে বললাম,
-মা-মনি এমন চুপ-চাপ কেন? তিতিরের সাথে যাও গল্প কর, খেলো-
তিতির হচ্ছে আমরা যে বাড়িতে অতিথি সেই বাড়ির মেয়ে। প্রায় সমবয়সি। ও শান্তভাবে মাথা নাড়ল। যার অর্থ ও একা থাকতে চায়।
ঘরে এসে দেখি খুব গল্প চলছে। কে কার আগে কথা বলবে তাই নিয়ে হৈ হল্লা।
আমি শান্তাকে এককোণে ডেকে বললাম,
– তোর মেয়ে এমন চুপ-চাপ একা থাকে। আর তুই দেখিস না? ও কী এমনই না কি?
শান্তা বলে- কী করি বল, কেউ নেই বাড়িতে তাই এনেছি, আসলে ও এমন ছিলনা- এই বলে চুপ হয়ে গেল।
-কেনো? আমি জিজ্ঞেস করি।
-ও একা থাকতে ইদানিং পছন্দ করে।
-কিন্তু এই স্বভাবটা স্বাভাবিক লাগছে না আমার কাছে। আমি বলি।
কি ভেবে আর কথা বাড়ালাম না। ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, আমার মাথা ঘামান ঠিক নয়। কিন্তু, ইতিমধ্যে মেয়েটার সাথে মার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠল। লক্ষ্য করলাম হাসলে ওর গালে মিষ্টি একটা টোল পড়ে।
খাওয়া-দাওয়ার পরে চা পর্ব। এরপরে সেদিনের মত বিদায় নিলাম যার যার মত। বিদায়ের সময় টুকটুকি’কে (শান্তার মেয়ে) বললাম,
-কথা দাও আমার বাড়িতে আসবে?
মাথা নাড়ল। হ্যাঁ বা না কিছুই বুঝলাম না। কৃষ্ণচূড়ার গালিচা বিছানো রাস্তা দিয়ে আসার সময় মনে হল
কৃষ্ণচূড়া এতো লাল হয় কেন?
এর মাঝে অনেকদিন কেটে গেছে। অনেকদিন শান্তা,বাঁধন, রিতা কারো সাথে যোগাযোগ নাই। স্কুল বন্ধ।
এক পড়ন্ত বিকেলে শান্তা এলো। সাথে তার অসম্ভব সুন্দর টোল পড়া গালের মেয়েটি।
ও আমাকে বলল,
-টুকটুকি আমাকে জোর করে নিয়ে এলো, বলল আন্টির বাড়ি যাবে-
বিস্মিত হলাম। কেননা সেদিন টুকটুকি কথা বলতে চাইছিলনা। আমাকে তার হঠাৎ কী করে মনে পড়ল? আনন্দিত হয়ে ওদের বসালাম।
চায়ের সাথে ঘরে বানানো ছোলা মটর, পেয়াজু ইত্যাদি সাথে দিলাম। টুকটুকিকে দেখি এক মনে বই পড়ছে। শান্তা কিছুক্ষণের জন্য মার্কেটে গেল টুকটুকি’কে রেখে।
আমি মেয়েটার সাথে এটা-সেটা কথা বলে হাসাতে চাইলাম। ওর ম্লান মুখের হাসি দেখে মন কেমন করে উঠল। বললাম,
-মা আমার সাথে মন খুলে কথা বলবে? মা কী বকেছে? নাকি অন্য কিছু? আসলে অন্যকিছু বলতে আমি এমনি বলেছি।
হঠাৎ লক্ষ্য করি ও কেমন ভয় ভয় চোখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। আমি যতোই অভয় দেই ততই ভয়ার্ত চেহারায় এ দিক ওদিক তাকাচ্ছে। চিন্তিত হয়ে গেলাম। আমার জন্য কি এমন করছে? ভেবে পেলাম না।
ইতিমধ্যে শান্তা এলো। ওকে পাশের ঘরে নিয়ে আমি জিজ্ঞেস করে যা শুনলাম, তাতে হতভম্ব হয়ে গেলাম।
ও যা জানালো তার সারমর্ম হচ্ছে পাঁচ বছর বয়সে আপন খালু তাকে ধর্ষণ করে (জানিনা ধর্ষণ কথাটা এখানে প্রযোজ্য কি না) ।
এই মেয়েটি তারপর থেকে এখনও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। পুরুষ দেখলেই ভয় পায়। অসংলগ্ন ব্যবহার, পড়াশোনায় মন নেই। অবিশ্বাস আর আতংকে মেয়েটি আজ এমন অবস্থানে পৌঁছেছে যার কোনো সুরাহা শান্তা পাচ্ছে না। এখন মা ক্লান্ত মেয়েকে নিয়ে।
সন্ধার পর শান্তা ক্লান্ত ভঙ্গীতে মেয়েকে নিয়ে চলে গেল। আমি অপলক তাকিয়ে রইলাম। কিছু না করতে পারার অক্ষমতা আমাকে এক বিশাল অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল।
শান্তার কাছে জেনেছি নানান সমস্যায় পড়তে পারে এই কারণে শান্তা বা তার স্বামী কিছুই করতে পারেনি। তাদের মাঝেও অপরাধবোধ কাজ করে অনবরত। পারিবারিক ভাবে কিছু একটা করতে চেয়েছিল, তাও পারেনি।
অথচ সেই খালুর আজ পর্যন্ত না হয়েছে কোনো বিচার না শাস্তি। উপরন্তু ধমকিয়ে বলেছে বেশী বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলবে। আরো কারণ আছে, তা হচ্ছে সমাজ, ধর্ম, মানুষের কানাকানি।
এইভাবেই হয়তো টুকটকির জীবনের এতো বড় ঘটনা চাপা পড়ে যাবে। একথাও সত্য অনেকেই ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়, বা লুকিয়ে রাখে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় এমন খবর অহরহ দেখছি।
তাই বলতে চাই পাঠক হয়তো বলবেন এ আমি নতুন কী বলছি। আসলেই তাই। পাঠক বলবেন
-আবার আমি চর্বিত চর্বন খাওয়াচ্ছি। আসলেই সত্য।
যে দেশে মেয়েরা হিমালয়ের চূড়ায় আরোহণ করে বিশ্বকে চিনিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ নামে এক বিশাল
সম্ভবনাময় দেশকে, বিশ্ব জানছে বাংলাদেশ ও পিছিয়ে নেই। যে দেশে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া ব্যক্তি আছেন, সে দেশেই কতো টুকটুকির জীবন অচিরেই ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।
আমি এমন কোনো বিশেষজ্ঞ নই। কেবল একটা সত্য ঘটনা পাঠকের সামনে তুলে ধরতে চাইলাম। পরিসংখ্যান দিলাম না- যে গড়ে প্রতিদিন কতো শিশু ধর্ষণ নামক মৃত্যুর শিকার হচ্ছে। আমি কোনো গবেষকও নই, কেবল জানালাম আমার মনের অভিব্যক্তিটুকু।
প্রথম প্রেমিকা ক্লাস সিক্সে ধর্ষিতা।
দ্বিতীয় প্রেমিকা ক্লাস ফাইভে ধর্ষিতা।
সবচেয়ে কাছের বান্ধবী আপন মামা কর্তৃক ধর্ষণচেষ্টার শিকার (এবং এখনো নিয়মিত যৌন হয়রানি চলমান)
আলোচনায় শিশুর যৌননিপীড়নের অনেকগুলো দিক উঠে আসতে দেখলাম। আমাদের বাবা এবং মায়েরা যদি শিশুদেরকে না বোঝান কোনটা স্বাভাবিক আদর আর কোনটা নিপীড়ন, তাহলে শিশু জানবে কি করে? ৬ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা কিন্তু অবুঝ নয়। আর নিপীড়িত শিশুটির পরিবার যখন জানতে পারে তখন প্রবণতা থাকে ব্যাপারটি ধামাচাপা দেবার। আমি বিশ্বাস করি আমরা যদি আমাদের শিশুদেরকে বোঝাতে সক্ষম হইযে কোন ব্যাবহারটা ঠিক নয় তাহলে হয়তো সচেতনতা সম্ভব। আর নরকের কীট এই নিপীড়কেরা কিন্তু নানা ছলছুতোয় শিশুদের কাছাকাছিই থাকে। একমাত্র পরিবারই পারে শিশুটিকে এর থেকে বাঁচাতে। আর রাষ্ট্র এখানেকি ভুমিকা রাখবে তা পরিস্কার হয়নি। যদি আইন প্রণয়নের কথা আসে তাহলে ঠিক আছে। মনোবিদরা যাদুকর নন। অনেকের বোধকরি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অন্তত মন্তব্যের ঘরে তাই মনে হলো।
@পাগলা লোচা,
আপনার বক্তব্যের সাথে এক মত। বাবা , মা হচ্ছে সন্তানের প্রকৃত বন্ধু। তাই সব মা বাবাদের উচিত সচেতনতা। আমার মতে বেশী আদর করে কোলে নিতে দেয়াও উচিত না।
আশার কথা, মেয়েটি অনেক অনেক ভালো আছে মা বাবার যত্নে ধীরে ধীরে অনেকটা মনের ভয় কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। আমার সাথেও সখ্যতা আছে। যতটুকু সম্ভব আমার দ্বারা করতে চেষ্টা করেছি।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
সবচেয়ে বড় লজ্জা এখানেই! ধর্ষনের শিকার হওয়া একটি শিশুর কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টি মানবেতর সন্দেহ নেই এবং অবশ্যই আলোচিত ও নির্মূল হওয়ার দাবী রাখে! কিন্তু সমাজের নীচতলায় এমন অনেক শিশু রয়েছে, যাদের হয়ত পারিবারিকভাবেই ধর্ষকের কাছে সপে দেয়া হয়! ফলে ঐ শিশুটি এমনকি নালিশ করার জায়গাটি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে! ঐ শিশুটির পৃথিবী কিভাবে সংকুচিত হয়ে আসে কল্পনা করা যায়?
সমাজের ক্ষতগুলোকে এমনি করে লিখে যান, আফরোজা আপা। (Y)
@কাজি মামুন,
ঠিক বলেছেন। আসলে ঘটনাগুলো কী পথে ঘাটে ঘটে? নাহ!
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে অবিশাস্য রকম সত্য যে ঘটনাগুলো ঘরের অভন্তরে ঘটছে। এ এক নীরব ঘাতকের কাজ। এতো কাছের মানুষ দ্বারা অনেক সময় সংঘটিত হয় যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। যেমন,
অনন্ত বিজয় বলেছেন তার এক জানা ঘটনা।
আপনার মূল্যবান কথাগূলো মনকে আলোড়িত করল। ধন্যবাদ।
অঃটঃ দেরী হয়ে গেলো জবাব দিতে। ৫/৬ দিন পরে আজকেই রাত্রে নেট এলো। ফাইবার অপটিকস কাটা পড়ায় বিচ্ছিন্ন ছিলাম।
শিশু মনে আঘাতকারী ব্যক্তির মনুষ্যত্ব বলে কিছুই নেই।
তবে আমার মনে হয়, প্রকৃতি এই রূপ মানুষের জন্য শাস্তি তৈরি করে রাখে ।
@সাদামন কালোছায়া,
আপনার কথা ১০০ ভাগ সত্য।
এই ধরনের হীন প্রবণতা শুধু আমাদের দেশেই নয় কমবেশি পৃথিবীর সব দেশেই বর্বর লোকগুলো এই ধরনের জঘন্য কাজে লিপ্ত থাকে।
জন সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের লেখা বহুল প্রচারিত হওয়া দরকার।
@রাজেশ তালুকদার,
হা, একমাত্র সচেতনতা এই হীণ কাজ হতে অমানুষদের বিরত রাখতে পারে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা তো অন্যায় কিছু নয়। আমাদের মহানবী নিজেই এ ধরনের কাজ করে গেছেন। তার ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বয়েসের আয়শার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত বসবাস শুরু করেন তার অর্থ তিনি আয়শার সাথে যৌন কাজ শুরু করেন। মহানবীর আদর্শ আমাদের অবশ্য পালনীয়। তাহলে এ ধরনের আচরন আর যাই হোক অবৈধ বা অনৈতিক বলা যায় না। অনেককে প্রশ্ন করলে তারা পাল্টা প্রশ্ন করেছে- আয়শা তো নিজে এ বিষয়ে অভিযোগ করে নি , তাহলে আমরা কেন করি ? আজব ও অদ্ভুত প্রশ্ন। সে সময়ে মেয়েদের কি এ ধরনের প্রশ্ন করার কোন সুযোগ ছিল? তাছাড়া , সুযোগ যদি থেকেও থাকে , একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষের পক্ষে এ ধরনের একটা কাজ কিভাবে তাকে সর্বশ্রেষ্ট আদর্শবান মানুষ বানায় ?
@ভবঘুরে,
আপনার কথা শুনে বেদম হাসি আসছে- 🙂
আপনি লিখেছেন,
অনেককে প্রশ্ন করলে তারা পাল্টা প্রশ্ন করেছে- আয়শা তো নিজে এ বিষয়ে অভিযোগ করে নি , তাহলে আমরা কেন করি ? আজব ও অদ্ভুত প্রশ্ন।
আয়েশা কী বলবেন- তিনি কী কিছু বুঝতেন? তিনি তো কেবল নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তার মনের কথা কবে কে জানতে চেয়েছে?
তা অদ্ভুত কথা তো বটেই। দেখুন যে মেয়েটার কথা লিখেছি, তার মা, বাবা অবশ্যই সমস্যায় জর্জরিত।
তবু তারা সমাজের ভয়ে মুখ খুলেন নি। সমাজ, ধর্ম, এই সব নানা নীতি বাক্য এখন কাগুজে হয়ে গিয়েছে।
আমাদের মাঝেই গোলমাল আছে। নিজেদের আগে শুদ্ধ করতে হবে।
@আফরোজা আলম, আয়েশা যদি মুখ খুলেও থাকেন আপনাদের কি মনে হয় যে ব্যক্তি কাজটির সাথে জড়িত তার শাস্তি হবে। তাতো নয় ইতিহাসের পাতায় তিনি মহান ব্যক্তি ১২ টা বিয়া করছে কেউ একটা ছি উচ্চারণ করে না, যদি আমি ২য় বিয়ে করতে যাই মানুষ ছি ছি শুরু করবে। মাদ্রাসাতেও মাঝে মাঝে এমন হয় যা খবরের কাগজে পড়তে পারি। সমাজ কখনও ছোট শিশুর কথা মুল্যায়ন করবে না……..
@সাদামন কালোছায়া,
নাহ আসলে শাস্তি তো হবেই না বা হয়নি। যার কারনে যুগে যুগে এই সব অপকর্ম ঘটে চলেছে। তাই আমাদের অন্ততঃ ব্যক্তিগত ভাবে সচেতন হতে হবে। নিজ সন্তান বা পরের সন্তান যেই হোক না কেনো, তাদের সচেতন ভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আশা করি টুকটুকিকে তার বাবা মা প্রফেশনাল কাউন্সিলার এর কাছে নিয়ে যাবে। এরকম ট্রমা পারিবারিকভাবে সামলানো কঠিন। দোষী লোকের শাস্তি হবে এই ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী না, আমাদের দেশে রুনি-সাগর ঘটনায় শিশু মেঘ সত্য বলেছে, আর টুকটুকির ঘটনায় ও শিশু তাই বুঝতে ভুল করেছে এমনই বলবে। যেহেতু মেডিক্যাল প্রমান নেই ধরে নিচ্ছি, তাই আদালতে টুকটুককে টানাটানি করার কি মানে বলুন। কিন্তু সামাজিক ভাবে ঐ দোষীকে ত্যাগ করা উচিৎ। আইনগত ব্যাবস্থা হলে তো খুবই ভাল। টুকটুকির মানসিক শান্তির জন্য আশা করছি।
অনেক সময় পিতামাতারা অচেনা মানুষদের থেকে নিজ সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে এটা ভুলে যান, সাধারনত আশেপাশের পরিচিতদের মাধয়মেই শিশুরা ক্ষতির সম্মুখিন হয় সবচেয়ে বেশি।
@নির্মিতব্য,
আসলে সত্য যে অচেনা মানুষকে ভয় পাই আমরা। কিন্তু বেশির ভাগ দেখা গেছে ঘরের শত্রু বিভীষণ।
ঘটনা তো অনেক আগের। আমি শুনেছি তাও বেশ অনেকদিন আগে। তারা মানসিক ডাক্তারের উপর আস্থাহীন, এরা কেবল নাকী ঘুমের অসুধই ব্যবস্থাপত্র হিসাবে দেন।
তবে, আশার কথা- মেয়েটি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশনা করছে। অনেকটা ভালো আছে। বাবা,মা-র যত্নেই মেয়েটি অনেক ঠিক হয়ে গিয়েছে।
আপনার সু-চিন্তিত এবং মূল্যবান মন্তব্যকে আমি স্বাগত জানাই-
অঃট= আমার এ দেশে এক বিখ্যাত নাম করা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেখক’কের সাথে পরিচয় হয় এক আত্মীয়ের মাধ্যমে। তিনি রুগী হিসেবে গিয়েছিলেন বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা-
তিনি ১৫ মিনিট ও সময় দেননি। এর পরে হাঁক মারেন next। এই যদি হয় ডাক্তারের তবে রুগীর অবস্থা
সহযেই অনূমেয়।
@আফরোজা আলম,
বিশ্বাস না করার কোনই হেতু নাই। আমাদের ডাক্তাররা সবাই এক একটা কসাই। এদের অধিকাংশই ধর্মীয় রাজনীতির সাথে জড়িত, হয় জামাত ইসলাম না হয় তাবলিগ জামাত। এদের কাছে আর্ত মানুষের সেবার চাইতে নামাজ রোজা কোরবানীর গুরুত্ব বেশী। আর সেটা যাতে ভালভাবে করা যায় তাই রোগীর পিছনে সময় দিতে পারে না, এদের আর দোষ কি বলেন? যতদিন এদের কাছে আরব দেশের মোহাম্মদের চাইতে আর্ত মানুষের সেবা করাটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ মনে না হবে ততদিন কোন পরিবর্তন আসবে না।
@ভবঘুরে,
আপনার কথা ১০০ ভাগ ঠিক- (Y)
@ভবঘুরে,
এভাবে ঢালাও মন্তব্য করাটা খুব একটা স্বাস্থ্যকর হলো কি?
@নির্মিতব্য,
সহমত।
আফরোজা আপা,দারুন একটা লেখা। সাধুবাদ।
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এমন এক স্পর্শকাতর বিষয়তা পড়ার জন্য।
প্রাসঙ্গিক
httpv://www.youtube.com/watch?v=hY8CyTeegrM
@প্রতিফলন,
আসলেই প্রাসঙ্গিক। অনুষ্ঠানটা আমি ও দেখেছি। পত্রিকায় জানতে পারলাম আমির খানের এই অনুষ্ঠানের পর
রাজ্য সভায় তোলপাড় চলছে। এবং অনেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, যারা এই অনুষ্ঠান দেখেননি তাঁরা ও দেখতে পাবেন।
আপনার লেখা ঘটনাটির মত অসংখ্য ঘটনা প্রাত্যহিক জীবনে অহরহ ঘটছে। এ নিয়ে অনেক গবেষণা রয়েছে এবং তাতে এমন বহু ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।এখনও যারা নারী সংগঠন করে তারা এমন ঘটনা মোকাবিলা করছে। তাই এ ঘটনায় আমার কাছে কোন নতুন মনে হয়নি।
তবে আমার খুবই অবাক লাগল আপনার বন্ধু হওয়া সত্বেও আপনি তার মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারলেন না। অপরাধীকে নিয়ে নয়, মেয়েটির জন্য কিছু করতে পারতেন।
আর ঘটনার শিকার নারীরা এবং এ নারীদের ছবিই মেয়েশিশুসহ ব্যবহার করা আমার মনপুত হয়নি। দুঃখিত আপা।
@গীতা দাস,
এ কথা আমি আগেই উল্যেখ করেছি তাই আপনাকে আবার মনে করিয়ে না দিলেও মনে হয় চলত। আপনি হয়তো লেখাটা মনোযোগ সহকারে পড়েননি।
আর আমার কিছু করার কথা বলছেন কী করে? এই বিষয়টা যখন ওদের পারিবারিক সমস্যা হিসাবেই রেখেছে সে ক্ষেত্রে আমার কী করনীয় থাকতে পারে? আর ঘটনা ঘটেছিল ৫ বছর বয়সে।
আমার সাথে দেখা হয় ১২/১৩ বছর বয়সে। আমাকে বলেছে তাও আবার অতি গোপনে। আমি তো তাদের তেমন কোনো অভিভাবক নই।
সুতরাং এ ক্ষেত্রে আপনার কথা মিলছেনা। আর ভালো না লাগা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচি।
আর তাছাড়া,
কতো নারী সংগঠন তো আছে আপনি বলছেন তারাই তো এই দেশের নারীদের নিয়ে গবেষনা করছে। তারাই করুন না কেন? এমন ঘটনা যখন অহরহ ঘটছে?
আমি এক সাধারণ মানুষ মাত্র। ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
আপনার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জের ধরেই বলছি, আমি কিন্তু মন্তব্যের মাধ্যমে কোন রকম বির্তকে জড়াতে চাই না।
কয়েকদিন আগে স্বপনের লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছি একাধিকবার না পড়ে লেখার প্রশংসা করা গেলেও সমালোচনা করা যায় না, যদিও স্বপন তার লেখার সমালোচনা/ পর্যালোচনা বেশি আশা করে। কাজেই আপনার মন্তব্যে আমি দ্বিমত পোষণ করছি
বহুদিনের পুরানো থিওরি Public sphere ও private sphere। এ private sphere তথা পারিবারিক বিষয়ের অজুহাত দিয়েই নারী নির্যাতনকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। আপনিও এ বলয়ের বাইরে নন তা আমারঈ বুঝা উচিত ছিল।যে জন্য আপনি বলেছেন,
আমি কিন্তু আপনার লেখা মনঃপুত হয়নি বলিনি, ছবি ব্যবহারের কথা বলেছি।যে প্রেক্ষাপটে নির্যাতন বা ধর্ষনের শিকারই নারীর পরিচয় পর্যন্ত গণমাধ্যমে গোপন রাখার আন্দোলন অব্যহত রয়েছে। এ আমার অভিরুচি নয়, দাবি।কাজেই আপনার মন্তব্যের অভিরুচি শব্দটি এখানে প্রযোজ্য নয়।
আমি জানি অনেকেই নারী সংগঠনের নাম শুনলে এলার্জিতে ভোগে। কাজেই তাদেরকে নিয়ে কোন উস্কানিমুলক কথা বা ইঙ্গিত শুনলে এর উত্তর দেয়া সময়ের অপচয় মাত্র। যেমন আপনি বলেছেন–
যখন শব্দটি লিখে কিন্তু নিজেই ঘটনাটি হালকা করে দিলেন।
যাহোক,নারী মুক্তির জন্য শুধু সাংগঠনিক উদ্যোগ নয় সব পর্যায় থেকেই কাজ করা প্রয়োজন। আশা করি এ বিষয়ে আপনার লেখাও অবদান রাখবে।
আমি এ নিয়ে আর মন্তব্য করে সময় খোয়াতে চাই না।
@গীতা দাস,
ছবিগুলোর কোনোটাই মূল যে ঘটনা এখানে বিবৃত হয়েছে, সেখানে যে মেয়েটি নির্যাতিত হয়েছে তার নয়। আর লেখাটি হয়ত নিছক শুধু একটি ঘটনার বিবরণ নয়। গুগলে তো বর্তমানে ইমেজ সার্চ দেয়া যায়। এ ছবিগুলোই বরং শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জ্বলন্ত এক প্রতিবাদ।
যাই হোক, শিশু নির্যাতন যেকোনো মূল্যে দমন করা চাই।
@সৈকত চৌধুরী,
এ দুটো ছবি বিভিন্ন ভাষায় লিখিত বিভিন্ন কাগজে লেখায় প্রকাশিত রয়েছে। যেমন এখানে এবং এখানে।
(Y)
@আফরোজা আলম,
আমিতো ভেবেছিলাম আপনি ‘দায়বোধ’ থেকে লিখেন, সমাজের জঞ্জালগুলো দূর করার এক ধরনের ‘তাগিদ’ লিখেন। কিন্তু “নারী সংগঠনগুলোই এ কাজ করুন না কেন? এমন ঘটনা যখন অহরহ ঘটছে?” বলে (বোল্ড ফন্টে বিশেষ জোর দিয়ে) যে তির্যক বাক্য বর্ষণ করলেন এবং নিজেকে সাধারণ মানুষের লেবেল দিয়ে অন্যের ঘাড়ে যেভাবে দায় চাপিয়ে দিলেন, তা খুব একটা ভাল হল কি? আপনার লেখালেখির উদ্দেশ্য যদি কেবলই চমৎকার গল্প সৃষ্টির মাধ্যমে বাহবা কুড়ানো না হয়ে থাকে, উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, সচেতনতা সৃষ্টি ও অপেক্ষাকৃত ভাল সমাজ গড়া, সেক্ষেত্রে কথার (লেখার) সাথে কাজের আরো বেশি মিল থাকাই প্রত্যাশিত নয় কি? আমরা তাহলে লেখার পাশাপাশি আপনার কাজ দেখেও অনুপ্রাণিত হতে পারতাম। আরো বেশি শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে আপনার কথা শুনতাম। লেখককে নিজের বক্তব্য অনুযায়ী আচরণ করতে না দেখলে লেখার প্রতি সম্মান কমে যায় যে!
আমরা অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো নির্যাতিতের জন্য কিছু করতে পারিনা, তাই বলে একজন মানুষ হিসেবে কিছু না করার দায় আমরা এড়াতে পারি না, তির্যকভাবে “তারাই করুক না কেন?” বলে অন্যের উপর সে দায় চাপাতেও পারি না। মানবিক এ দায়বোধ নিজের কাধে তোলে নেয়ার মতো উদারপন্থী উদাহরণ দেখলে অনুপ্রাণিত হই, একটা গল্প পড়ে যতটুকু অনুপ্রাণিত হই তার চেয়েও হাজার-লক্ষ গুণ বেশি।
ভাল থাকবেন।
@প্রতিফলন,
অনেক অনেক দেরী হয়ে গেল আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে।
না, ভালো তো অবশ্যই হয়নি। তবে এখানে বোঝার ভুল রয়েছে। আসলে নিজের উপরে আমার এক তীব্র রাগও রয়ে গেছে। আমি লিখেছি আপনি দেখেছেন, লিখেছি,
সে অনুভূতি নিয়েই এ কথা বলা। আপনার সাথে আমি ১০০ ভাগ সহমত। লেখার সাথে কাজের মিল থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়। তবু অনাকাঙ্খিত ভাবে যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্যে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনার মূল্যবান কথাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিলাম- ধন্যবাদ।
অঃটঃ আজ ৫/৬ দিন পর আমাদের এলাকায় ইন্টারনেট লাইন এলো। ফাইবার অপটিকস কাটা পড়ায় লাইন ছিলনা।
ভীষণ স্পর্শকাতর একটি ঘটনা। এমন ঘটনার প্রকাশ সাধারণত খুব কমই হয়। গোপন রাখতে বাধ্য হয় সামাজিক কারণেই। আর প্রকাশ পেলেও অপরাধী ক্ষমতাধর হওয়াতে পার পেয়ে যায়। এই তো কিছুদিন আগে পুলিশ কর্তৃক ছয় বছরের শিশু ধর্ষিত হলো; তার জন্যে কি কোন বিচার হলো? এখনও বহাল তবিয়তেই আছে।
কিন্তু আমি ভাবছি- জৈব বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা কী হবে, এমন শিশু ধর্ষণের?
@শিশির,
পুলিশের ব্যবস্থা কী হবে তা হর্তা কর্তারা জানেন। আর জানেন নারীবাদী মোর্চারা।
আর জৈব বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারবোনা। এ নিয়ে যারা গবেষনা করেন তারা জানতে পারেন ভালো। আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
খুবই নির্মম ! টুকটুকির ঘটনাটায় ওর আর তার পরিবারের জন্য আপাতত তিনটি জটিলতা চলমান বলে মনে হয়েছে এখন। প্রথমত অপরাধী লোকটি ক্ষমতাবান হওয়ায় তাকে বিচারের আওতায় আনতে না পারা। দ্বিতীয়ত টুকটুকির বাবা-মার অসহায়তা অপরাধীকে সাজা দেয়াতে না পারা এবং বিষয়টা জানাজানি হলে টুকটুকির ভবিষ্যৎ সামাজিক জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। কিন্তু তৃতীয় এবং মারাত্মক জটিল সমস্যাটা হলো টুকটুকির মানসিক শিশু জগতটা তছনছ হয়ে যাওয়া।
এই সামাজিক ব্যাধিটার উৎস এবং এর প্রতিকারের উপায় তো খুঁজতেই হবে আগামীর নিরাপত্তার জন্য। সাথে সাথে বর্তমান ভিকটিমের সুস্থ করার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কী করা যায় আমার জানা নেই। তবে কোন শিশু বিষয়ক মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা মনে হয় জরুরি। টুকটুকির বাবা-মা তা করেছেন কিনা জানি না। আফরোজা আপা হয়তো বিষয়টা জানতে পারেন। প্রয়োজনে জানাতে পারেন তাঁদেরকে। কারণ টুকটুকিকে এভাবে ফেলে রাখাটা আগামীর জন্য আরো মারাত্মক সমস্যার হয়ে ওঠতে পারে।
ধন্যবাদ আপা, আমাদের এই সামাজিক ব্যাধিটাকে আলোচনায় তুলে আনার জন্য।
@রণদীপম বসু,
দাদা আপনার বক্তব্য অনুযায়ী তিনটি জটিলতা চলমান-
প্রথমত অপরাধী লোকটি ক্ষমতাবান হওয়ায় তাকে বিচারের আওতায় আনতে না পারা
সত্য কথা, সেই সময় শিশুটির বাবা দেশের বাইরে ছিল। অতএব মা এখানে অনেকটা অসহায়।
দ্বিতীয়ত টুকটুকির বাবা-মার অসহায়তা অপরাধীকে সাজা দেয়াতে না পারা এবং বিষয়টা জানাজানি হলে টুকটুকির ভবিষ্যৎ সামাজিক জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
একদম ঠিক। জানাজানি হলে আরো সমস্যা হবে মেয়েটির মা জানায়।
তৃতীয় এবং মারাত্মক জটিল সমস্যাটা হলো টুকটুকির মানসিক শিশু জগতটা তছনছ হয়ে যাওয়া।
এ নিয়ে কথা বলেছি। ঘটনা তো অনেক আগের। আমি শুনেছি তাও বেশ অনেকদিন আগে। তারা মানসিক ডাক্তারের উপর আস্থাহীন, এরা কেবল নাকী ঘুমের অসুধই ব্যবস্থাপত্র হিসাবে দেন।
তবে, আশার কথা- মেয়েটি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশনা করছে। অনেকটা ভালো আছে। বাবা,মা-র যত্নেই মেয়েটি অনেক ঠিক হয়ে গিয়েছে।
আপনার সু-চিন্তিত মূল্যবান মন্তব্যকে আমি স্বাগত জানাই-
@আফরোজা আলম, ধন্যবাদ। মেয়েটির জন্য আমার অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
লজ্জা !?
কাদের ?
আমাদের ?
হা হা হা হা , আমরা পুরুষ ! আমরা ধার্মিক !
এই সব ছোট বিষয় নিয়ে লজ্জা পাব আমরা ?
কোন বিষয় নিয়ে যে লজ্জিত হতে হয় সেইতো ভুলে গেছি।
কবে যে সব কিছু ভুলে একদম পশু হতে পারব আমরা ????!!!!!!!!!
@শান্ত,
আপনার মনের অনেক ক্ষোভ থেকে যে এমন মন্তব্য করেছেন তা বুঝতে পারছি। তবু এই বিষয় নিয়ে আমাদের সকলের সচেতন হবার সময় হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
সব চেয়ে বড় কারণ সরকার। আইন শৃংখলা যে দেশে যতো বেশী দূর্বল সে দেশে ক্রাইম ততো বেশী হয়। আইন, প্রশাসন, ঠিক তো সব ঠিক। নাগরিকের সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদানের দায়ীত্ব সরকারের। আমাদের সরকার নিজেই লুল, লুইচ্যা, নষ্ট-ভ্রষ্ট। সমাজ বিজ্ঞান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়েই নাই। একদল আ-বা—ল রাজনীতিবিদদের খোঁয়াড় হয়েছে আমাদের সংসদ। এই লুইচ্চাদের কাছে কোন ভিকটিম যায়ই যদি, বিচার আর নিরাপত্তা পাওয়া তো দূরের কথা, তার বেঁচে থাকাটাই কঠিন করে দিবে।
একমাত্র ভরসা সমাজের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের মাঝে অনেকেই নিজের পেট ও পিঠ বাঁচাতে গিয়ে ঐ আ-বা—ল রাজনীতিবিদদের কাছে তাদের মাথা বিক্রী করে দিয়েছেন। এ রকম ঘটনা অন্যান্য দেশেও ঘটে। কিন্তু ভিকটিমের বিচার পাওয়ার, আশ্রয় পাওয়ার অন্তুত একটা জায়গা, তার সরকার থাকে।
আফরোজাকে ধন্যবাদ, বাস্তব ঘটনার বর্ণনায় সামাজিক একটা ইস্যু নিয়ে লেখার জন্যে। (Y)
@আকাশ মালিক,
হাঁ, আসল ঠিক কথা বলেছেন। সরকার অনেক দায় এড়িয়ে সব দোষ জনগনের ওপরে চাপিয়ে দিতে চায়।
যেমন কিনা বলে সাংবাদিক’দের,
পুলিশের থেকে নিরাপদ দুরত্ত্ব রেখে কাজ করে যেতে
কত হাস্যকর এ কথা। আর ভরসা বুদ্ধিজীবী? তাদের ও মুখ বন্ধ করার জন্যে বেশির ভাগ লোভনীয় পোষ্ট দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আর শিক্ষিত হলেও যে চলনে মননে সবাই শিক্ষিত হন এ কথা সঠিক বলে মনে হয় না।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আফরোজা আপা। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি অবতারণা করার জন্য। এটা লজ্জা নয়, আমাদের সমাজের নোংরা বাস্তবতা!
যতই বড় গলায় “শিশু নির্যাতন” অস্বীকার করা হোক না কেন এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে চুপিসারে অনবরত ঘটে চলছেই। অথচ নিন্দনীয় বলে প্রকাশ্যে আলোচনা করা হয় না। ছেলে কি মেয়ে, বয়সে সে শিশু। নিকট আত্মীয় নয়তো প্রতিবেশি যাদের প্রতিনিয়ত যাতায়াত রয়েছে, তাদের দ্বারাই সংঘটিত হয় এ ধরনের বলৎকারের ঘটনা। অনেক ক্ষেত্রে শিশুটির বাবা মা বিষয়টি জেনেও চুপ মেরে যান, মান-সম্মান হারানোর ভয়ে। সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে।
আমার সাথে একজনের যোগাযোগ হয়েছিল বছর কয়েক আগে। সে শৈশবে চাচার কাছ থেকে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। মাকে জানিয়েছিল সে। প্রবাসী বাবাকে মা ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বললেন বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে। শুধু “চাচা” বাসায় আসলে একটু খেয়াল রাখবে।
নির্যাতনের শিকার সেই ব্যক্তিটি এখন প্রচণ্ড ঘৃণা নিয়ে বড় হয়েছে। সে তার ওই চাচাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে, সাথে সাথে প্রচণ্ড ঘৃণা করে তার বাবাকেও। অকপটে সে বলেছে আমার কাছে!
@অনন্ত বিজয় দাশ,
আপনার মূল্যবান মন্তব্য সেই সাথে আরো একটা ঘটনা ভাগাভাগি করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আসুন কী করে এই ধরনের মরন ব্যাধির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান যায় তাই নিয়ে আলোচনা করা যাক।
যতোদূর জানি এধরণের মানুষকে পেডোফিল বলে। এটাতো মানসিক ব্যাধি। আমাদেরকে পরিবার থেকে এসব ব্যাপারে প্রায় কখোনই সচেতন করা হয়না। যার ফলে যখন এসব ঘটে শিশুটি কিছুই বুঝতে পারেনা। সব বাবা,মা যদি এসব ব্যাপারে বাচ্চাদেরকে সচেতন না করেন তাহলে কি এর প্রকোপ কমবে বলে মনে করেন ? ব্যাক্তিকে শাস্তি যদি দেয়াও হয় সে কিন্তু শোধরাবেনা, কারণ এটাই তার রুচি।
@পাগলা লোচা,
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আপনি বলেছেন-
এক পাঁচ বছরের শিশুকে সচেতন করার পরে সে কী বুঝবে যে ধর্ষণ কাকে বলে? বা এমন কী বিভন্ন ভাবে শারিরীক নাজেহাল কাকে বলে? যদিও অনেক মেয়ে শিশু বুঝে যায় অনেক কারনে, হয়তো এটা প্রকৃতিগত ভাবে। তথাপি, এমন ঘটছে হরহামেশা- দেখুন, হয়তো ঘরে ঘরে এর একটা না একটা নমুনা আছে। কেউ স্বীকার করবেন কেউ বা চেপে যাবেন, সমাজের ভয়ে।
এর থেকে নিস্তার নাই। আসলেই কী নিস্তার নাই?
কী করা যায় !!
এসব ঘটনার কারণে মনে হয় – বিজ্ঞান এগিয়েছে, এগিয়েছে সভ্যতা, খাতা কলমে এগিয়েছে আরও কত কিছু, কিন্তু পুরুষ এগুতে পারেনি এখনও। ল্জ্জা, শুধুই লজ্জা। ধন্যবাদ ঘটনাটি শেয়ার করার জন্যে।
@মোজাফফর হোসেন,
তোমার কথার সাথে আমি ও সহমত।
আসলেই কি আমাদের কিছু করার নেই? এরকম নিরুপায় হওয়ার অনুভুতি কখনোই সুখকর নয়।
ভাল লিখেছেন। (Y)
@বিক্ষিপ্ত মাত্রা,
নিশ্চয় করার আছে। চলুন সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভয়ংকর। আজকাল কমবয়সী ছেলেরাও এই ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।কিচ্ছু বলার নেই।এই সব ক্ষেত্রে আসলে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিচ্ছু করারা থাকে না। মেয়েটা হয়ত জীবনে আর কোন ছেলেকেই বিশ্বাস করবে না।সারাজীবন হীনমন্যতায়য় ভোগবে। :-Y :-Y
@অগ্নি,
হাঁ, সত্যি ভয়ঙ্কর! আমাদের সবার করার নিশ্চয় কিছু আছে। সেইটাই এখানে আলোচ্য বিষয় হবে।
পড়ে সহমত হবার জন্যে ধন্যবাদ।