মিছিল চোখের আড়াল হয়ে গেলে, রাস্তাটা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে নিজের মনে, ‘ঘেউ ঘেউ’ করে ওঠে। সুর আরোপ করে, কখনো মৃদু লয়ে, কখনো দ্রুত লয়ে। সুর নিয়ে খেলতে খেলতে সে লরেন্সের খুব কাছাকাছি পৌঁছতে চায়। লরেন্সের কাছাকাছি পৌঁছবার আকাঙ্খা, তাকে বেশ আমোদিত করে তুলে। সে পাশ ফিরে দেখতে পায়, তার পাশে উপবিষ্ট আজিজ মিয়া, ল্যাজে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, নানান রকম সুস্বাদু খাবারের গল্প করছে।
আশেপাশে কোন দোকান নেই। পেটের ভেতরে যতটুকু ক্ষুধা ছিল, লরেন্স এসে সেই ক্ষুধাকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়ে, উধাও হয়ে গেল।
রবির দোকানে বসে খেতে খেতেই তার মাথায় অর্থ উপার্জনের একটা নতুন ধারণা উঁকি দিয়ে গেল। কিন্তু তার তো টাকা নেই। রবিকে বলা যায়। রবি হয়তো খুশি হয়ে, খাবারের মূল্য বাবদ কোন পয়সাই নেবে না।
‘রবি ভাই, কুত্তার খাওন-দাওনের একটা দোকান দাও, মাইনশের কাছে বেইচ্চা যা কামাও, তার চেয়ে অনেক বেশি পইসা কামাইতে পারবা।‘
কথাটা শুনে রবি বাম হাত তুলে, বললো, এক চড় দিয়া বত্রিশটা দাত ফালায় দিমু। চা-নাস্তা বেচি দেইখ্যা মনে করচস আমাগো কুনু মান ইজ্জত নাই। কুত্তার খাওনের দোকান দিমু? যা ভাগ!
নিজেকে বড় অপমানিত বোধ করলো সুলেমান। আশেপাশে চেয়ে দেখলো, কেউ নেই। একবার মনে হলো, পার্কে গিয়ে তার দলবল নিয়ে এসে রবির দোকানে হামলা চালায়।
পরক্ষণে মনে হলো, তার সঙ্গী-সাথিরাও হয়তো কুত্তা নিয়ে ঝগড়া করায় তেমন সাড়া দেবে না। তার চেয়ে বরং তার পরিচিত ছাত্রনেতা হামিদকে বললে, সে এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে, সেক্ষেত্রে রবির গালে একটা কি দুইটা চড়ও বসিয়ে দিতে পারে।
দুপুর পর্যন্ত মধুর ক্যান্টিনের সামনে ঘুরঘুর করে সুলেমান। নেতাদের সিগারেট এনে দেয়, ম্যাচ এনে দেয়, তাতে তার পয়সা উপার্জন না হলেও, বন্ধুদের কাছে মর্যাদা বেড়ে যায়। আর এতে সে তার বন্ধুদের উপর হুকুম খাঁটাবার, একটা অলিখিত অধিকার পেয়ে যায়। রবির অপমান আর হামিদকে খুঁজে বের করার প্রত্যয় ডুবে যায় বন্ধুদের উপর খবরদারি করতে গিয়ে। তারপর মিছিল বেরুলে, সেও তার সঙ্গীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাধারণত সে মিছিলের আগে আগেই থাকে। আর অই মুহূর্তে তার ভাবভঙ্গিটা এমন; যেন সামরিক জান্তাকে হাতের নাগালে পেলে, মানুষকে শাসন করার সাধ জন্মের মত মিটিয়ে দেবে।
শরীরের অঙ্গ-ভঙ্গিতে ফুটে ওঠা এইসব অর্থ সহসা হুমকির মুখের পড়ে, মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত ছাত্র-জনতার ভেতরে, সেও এক অসহায় দর্শক।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। মধুর ক্যান্টিন, টিএসসির চত্বর পরিণত হয় শ্মশানে।
সুলেমানের রুটি-রুজিতে টান পড়ে।
বস্তিতে অনেকে সুলেমানকে সমীহ করে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিয়মিত যাতায়াত আর অনেক নেতার সাথে তার সদ্ভাব। বস্তির দু’য়েকজন রিকসা চালকও সুলেমানকে দেখেছে, মিছিলের আগে আগে, এমনকি ছাত্রনেতাদেরও আগে আগে। আবার কেউ কেউ তাকে দেখেছে, খোলা চা-র দোকানে, ছাত্রনেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে, খাচ্ছে। ফলে বস্তিতে তার একটা উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতে সে যে একজন নেতা হয়ে উঠবে, কারো কোন সন্দেহ ছিল না।
যার এত মান সম্মান, ঠিকমত পয়সা না দেয়ার অপরাধে তার সৎ মা তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিল; কেউ দেখবার আগেই সুলেমান হাইকোর্টের সামনে উপস্থিত। না, সে এখানে মামলা বা কোন আইনজীবির সন্ধানে আসেনি। ফুটপাতের একপাশে বসে অনেকক্ষণ কাঁদলো। সে কিছুতেই তার সৎ মাকে বুঝাতে পারলো না, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, তাই তার উপার্জনও বন্ধ।
সুলেমানের মাথায় হঠাৎ করেই লরেন্স যেন দৌড়াতে শুরু করে। কোথায় যাবে, ভেবে পেল না। আধো অন্ধকারে সে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো, লরেন্সের থামার কোন লক্ষণ নেই। একটা সিগারেটের টুকরো কুড়িয়ে সে এগিয়ে গেল, একটা জটলার সামনে। জটলা থেকে উদ্গত গাঁজার ধোয়ার সাথে ভেসে আসছিল এলোমেলো শব্দ। ভাবলো, কিছুক্ষণ ইতস্তত করে আগুন চেয়ে বসলো। যার কাছে চেয়েছিল, সে তখন নেশায় বেসামাল। সুলেমানের দিকে তাকাবারও সময় নেই। শুধু জড়িত কন্ঠে বললো, কে রে বাবা, বসে যাও না।
সিগারেটের পাছায় আগুন দিয়ে, এক দৌড়ে সে চলে গেল অনেকটা দূরে, একটা গাছের নিচে। প্রথম কয়েক টান দিয়েই সে কাশতে শুরু করলো। ঠোঁটটা তেতো হয়ে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাদের ফেলে দেয়া সিগারেটের টুকরো কুড়িয়ে, লুকিয়ে খেয়েছে, এত খারাপ লাগেনি। বার কয়েক টান দিয়ে, সে সিগারেটটা দূরে ফেলে দিয়ে শুয়ে পড়লো। তার চোখে তখন ঘুম।
ঘুম ভাঙ্গলো, রাতে। স্বপ্ন বা তেমন কিছু নয়। কে যেন তাকে চেপে ধরে রেখেছে।
সকাল হবার আগেই সে নেমে আসে রাস্তায়। কোথায় যাবে ভেবে না পেয়ে, অভ্যাস বসে চলে এলো টিএসসির সামনে, মানুষ, দোকান সব যেন উধাও। পার্কের ভেতরে চলে গেল। সেখানেও আগের মত লোকজন নেই।
সকাল যায়
দুপুর যায়
রাত যায়
আবারো সকাল কিন্তু সুলেমানের খাদ্য সংগ্রহের উপায় যেন আর আসে না। এমত অবস্থায় লরেন্স এসে উপস্থিত, আর লরেন্সই তাকে মনে করিয়ে দেয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রিয় আপা সুরাইয়ার কথা। সে হাঁটতে শুরু করে। সে হাঁটছে, আর পথ যেন তার সাথে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে একসময় সে থেমে যায়।
দুই চোখে, হঠাৎ করেই আশার আলো জ্বলে ওঠে। সে এগিয়ে যায়, তিন জন যোদ্ধা, দু’জন তার বয়সি, আর একজন দেশীয় নেড়ী কুকুর। সেও এগিয়ে যায় । ডাস্টবিনের চারপাশে একটা উৎসব।
তারপরের কাহিনী খুবই সাধারণ। ডাস্টবিনটা ছিল রাস্তার মোড়ে, আর সেই মোড়ে ছিল চলাচলের লাল হলুদ আর সবুজ বাতি। আর গল্পকার এখানে ইচ্ছা করেই সুরাইয়ার গাড়িটাকে এনে থামিয়ে দিল, যদিও এপথ দিয়ে সুরাইয়া খুব একটা যাতায়াত করে না বা করলে যে লাল বাতি দেখে থেমে যেতে হবে, এমন কোন কথা নেই। তবুও থেমে গেল, সুলেমানকে কল্পিত কাহিনীর নায়ক বানাবার জন্য।
সুলেমান অবাক হয়ে দেখলো- এই প্রথম লরেন্স তাকে দেখে, ঘেউ ঘেউ শব্দ করেনি; না চেনার ভান করে মুখটা ফিরিয়ে নিয়েছিল অন্যদিকে।
অসাধারণ বণর্না সবকিছুর । আরেকটু বড় হলে ভাল হতো। আরেকটু পড়তে পারতাম। কুকুর মানুষের মনস্তত্ব ভালই বুঝে। আরো লেখা পোস্ট করা হোক।
@shilpi,
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ।
একটুখানি দম নিয়ে, বলছি, বাঁচা গেল। গল্পের মূল কথাটা বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
…অতপর সুলেমানরা হয়ে উঠে লরেন্সদের চাইতেও নিকৃষ্ট কিছু। এতই নিকৃষ্ট যে উচ্চ শ্রেণীতে বিরাজমান লরেন্সও মুখ ঘুরিয়ে নেয়…
এ গল্পের অনেক কিছুর মতন আরেকটি যে জিনিস প্রকট তা হলো, প্রতিটি চালচলন, কথাবার্তা খুব জীবন্ত। মনে হচ্ছিলো চলচিত্রের মতন সব কিছু দেখছিলাম।
ইলিয়াসের হাড্ডি খিজিরের মেটামরফোসিস সুলায়মান হতে গিয়েও হলো না, তার এই স্বতন্ত্র পরিনতি ভালো লেগেছে।
স্বীকার করি স্বপন দা’র লেখা পড়েছি খুব কম। অল্প যে কয়েকটি লেখা পড়েছি, তার সবই শক্তিশালী লেখনি বলে মনে হয়েছে, এই লেখাটি তো অবশ্যই।
(F) (Y)
@বিপ্লব রহমান,
হাড্ডি খিজিরের মত চরিত্র নির্মাণ করতে হলে, আমাকে আবার পুনর্জন্ম (!)নিতে হবে। যার লেখা পড়লে আমার মাথা নুয়ে আসে, সেই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখকদেরও লেখক। আমার এরকম মনে হয়।
ধন্যবাদ, পাঠ-প্রতিক্রিয়া জন্য। আর হ্যাঁ পণ্যের বাজারে বাস করলে, নিজের কোন সময় থাকে না, কম বেশি আমরা সবাই তার প্রমাণ।
ভাল থাকবেন।
আমি দুইবার পড়লাম। ভাল লাগলো সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বোধহয়।
@মোজাফফর হোসেন,
ধন্যবাদ, দুইবার পড়ার জন্য আরো একটা, আর ভাল লাগার জন্য দুঃখিত।
ভাল থাকবেন।
সুলেমান কল্পিত কাহিনীর নায়ক, দুই পর্বেই হল শেষ।
গল্পের অল্প ভালো যদি গল্প জমে, যেন শেষ হয়ে হল না শেষ…।
রয়ে গেল পাঠকের মনে আক্ষেপ!
সুলেমানের জীবন কাব্য কথাঃ
“পথের মাঝে জনম মোদের,
অনাদরে অবহেলায় পথেই বেড়ে ওঠা
পথে-পথে ঘুরে ফিরে, জীবনের পথ চলা-
ধুলো বালির মাঝে কীট-পতঙ্গের সাথে,
শিয়াল-কুকুরের মাঝে হায়েনা-শুঁকুনের সাথে,
প্রকৃতির বৈরিতার মাঝে জীবন-যুদ্ধে জীবন সারা!
এভাবে একদিন মোরা জীবন-হারা!
@শামিম মিঠু,
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ।
স্বপন মাঝির লেখায় পণ্য শব্দটা এই গল্পে নেই যে! অবাক কাণ্ড। তবে মিছিল আছে।
গল্পে বেশ গতি আছে কিন্তু।
আপনি লিখে যান, যে যাই বলুক; এক্কেরে চালায়া যান বাইজান :))
@কাজী রহমান,
একমত। পাকা মাঝির নৌকার মতোই তরতর করে এগিয়ে গেছে গল্পটা।
@কাজী রহমান,
কবি-র পবিত্র হাতের ছোঁয়ায়, মন্তব্যও হয়ে উঠে কবিতার মত।
এবার কবি-র চোখ দিয়ে কথাটা বলে ফেলেছি। অই যে সুলেমান রবি-কে কুত্তার খাওন-দাওনের দোকান খোলার কথা কইলা না, হেইডা আর কী, আরেটারে বলা।
ময়লা যায় না, কয়লা ধুইলে।
ধন্যবাদ
লাল বাতি দেখার পরও গাড়ী না থামিয়ে চালানোর নজীর আছে যদিও , সেটা গল্পকারের কল্পনার উপর ছেড়ে দিতে চাই।
গল্পটার মূল অংশ আসলে এটাই। গল্পকারেরা গল্প লেখেন নিজ নিজ কল্পনাশক্তি অনুযায়ী । মানষের কল্পনাসীমা বোধ হয় তার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সমানুপাতিক। এ কারণে হাবাগোবা কলম পেশা সাংবাদিক দিয়ে সশস্ত্র ডাকাতির গল্প সার্থক হয় না , কিছু কালি কাগজের ( ব্যান্ডউইথ !) অপচয় ঘটে মাত্র। বাস্তব প্রায়ই মানুষের কল্পনা ছাড়িয়ে যায় , মানুষের অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং গল্পকারেরা গল্প লেখার নতুন রূপরেখা খুঁজে পান।
@সংশপ্তক,
চোখের ভেতরে চোখ; খুব একটা দেখা হয়ে উঠে না। দক্ষ, যক্ষের দখলে গেলে, উৎপন্ন হয় বিশেষজ্ঞ। সামগ্রিক, হয়ে উঠে; রূপকথার এক মৃত নদী।
হ্যাঁ, বিজ্ঞানের পাতা থেকে উঠে এসে, গল্পের (!) শরীরে হাত বুলিয়ে দিতেই, গল্প আড়মোড়া ভেঙ্গে, একটুখানি জেগে উঠার আভাস দেয়।
ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক,
চরম বাস্তববাদীর হাতে কল্পনা বেচারার বন্দিত্বের এই দৃশ্য মানতে পারছি না। অবাস্তব কিংবা সীমাহীন কল্পনা মানুষ করতে পারে বলেই তো তার পেছন পেছন সে দৌড়োয়। দৌড়োয় কল্পনাকে তার বাস্তবতার কাছাকাছি টানতে। একে অভিজ্ঞতা দিয়ে বেঁধে ফেলাটা একটু বেশী বেশী হয়ে যাবে যে। মানুষের একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকবার স্বপ্ন দেখার ব্যাপারটাও তো তাহলে থাকলো না।
যাকগে, বিজ্ঞানীকে বিজ্ঞানীর কোট দিয়েই একটু চুলকে দিই 🙂
Imagination is everything. It is the preview of l« ife’s coming attractions.
-Albert Einstein
আগামী; যা এখনো বাস্তবতা পায়নি সেটা এখনই বাতব হবে কি করে?
গল্পটা কিছু বুঝলাম কিছু বুঝলাম না।
তবুও ভাল লেগেছে।
@আবুল কাশেম,
আপনার এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, আমাকে গল্পের শরীরে আবারো চোখ বুলাতে হবে। তবে এ মুহূর্তে নয়, গল্পটা মাথা থেকে হারিয়ে গেলে, আবার চোখ বুলাবো। তখন হয়তো সমস্যাটা ধরা পড়লে, পড়তেও পারে।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
দুঃসময়োচিত যন্ত্রণার দীর্ঘ ভার শৈল্পিক মাত্রা পেয়েছে এমন বিন্যাসে। শুধু বিরতি চিহ্নগুলো বাদ পড়ে গেছে মনে হয়।
পুরো গল্প জুড়েই সুলেমান আর লরেন্সকে পাওয়া যায় পাশাপাশি, জীবনযুদ্ধে ধাবমান, আগুয়ান সমান্তরাল রেললাইনের মতই। কিন্তু এক জায়গায় সুলেমান মনে হয় থেমে যায়; সুরাইয়ার গাড়িও মনে হয়ে লালবাতিকে যথাযথ সন্মান দেয়, সুলেমানকে দেখে না চেনার ভান করে মুখ ফিরিয়ে নেয় লরেন্স।
অসাধারণ বর্ণনাভঙ্গি, পরিমিত শব্দচয়ন আর কাট কাট সংলাপ গল্পটিকে দারুণ বিশ্বাসযোগ্য করেছে, জীবন্ত করে তুলেছে চরিত্রগুলোকে। সুলেমানকে আর অক্ষরবন্দী হয়ে থাকতে হয়নি, চোখের সামনেই দেখতে পাওয়া গেছে ঘুর ঘুর করতে, লরেন্সের মত করেই।
@কাজি মামুন,
গল্পের চেয়ে আপনার মন্তব্য, আমার কাছে আরো বেশি শৈল্পিক মনে হয়েছে।
আপনার এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে, এটি একটি ব্যর্থ গল্প। মানে, আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, ষোল আনাই মিছে। তারমানে, বলাটা ঠিকমত বলা হয়ে ওঠেনি। তো আরো একটুখানি ভাবতে হবে আমাকে।
ধন্যবাদ
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
@আফরোজা আলম,
এই যে ভাললাগা জানিয়ে গেলেন, এই জানানোটা কখন জানিয়ে যায়? এই যেমন আমি; আমিও এক্ষেত্রে ব্যর্থ।
ধন্যবাদ।