নব বর্ষের প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছায়!

নব নব বারতায় আনন্দের উচ্ছলতায়

এসো হে বৈশাখ, এসো হে! বাঙ্গালীর মনে-প্রাণে

সুর-সঙ্গীতে, নবানন্দ বাঙ্গালীর ঘরে-ঘরে!

নব ঋতুর মৌসমী ফসলে, ফুলে-ফলে সৌরভে

নতুন চালের গুড়ের-পায়েশ আর পিঠা-পুলীতে

পান্তা-ইলিশ, ইলিশ-পোলাও, সর্ষে-ইলিশে।

দই-মিষ্টি-চিড়া, মুড়ি-মোয়া-মুড়কি খৈ-এ!

 

নিত্য নতুন দিনের ভিড়ে,  বাঙালি খুঁজে ফিরে তাঁর প্রিয় বাংলা নববর্ষকে

হাজার বছর ধরে বর্ষ বরণ সংস্কৃতি চলছে বাঙ্গালীর ঘরে-ঘরে,

এসো হে বৈশাখ, এসো হে! বাঙ্গালীর ধ্যানে-জ্ঞানে

হাঁসি আনন্দ উল্লাসে সুখের ছোঁয়ায়  প্রাণে নতুন দোলায়,

গানে সুরে ঢাক-ঢোল-ঘুঙুরের শব্দে মুখরিত বাঙ্গালীর প্রাণে

বাঙ্গালির  আকাশে বাতাসে, বাঙ্গালীর সারাঙ্গে সারা দেহে-

রঙ-বেরঙে বাঙ্গালী নব সাজে নব পোশাক-পরিচ্ছেদে !

বৈশাখী মেলা করে বাঙ্গালীর মনে আনন্দের খেলা!

নতুন প্রাণে নতুন আনন্দে মিছিলের জোয়ার

আজি আনন্দের রব উঠেছে  বাঙ্গালীর প্রাণে,

আনন্দ উৎসবে আমেজে কাটে  সারা বেলা।

 

বিখণ্ডিত বাঙ্গালীর পরাণে কত দুঃখ যন্ত্রণা বুক ভরা

পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজনদের কাছে না পাওয়ার বেদনা!

দুই বাংলার সিমান্তে কাঁটা তারের বেড়া!

এপার-ওপার দু’পারের গরীব দুঃখী বাঙ্গালীরা করে অপেক্ষা,

কবে আসবে নব বর্ষ? কবে মিলবে প্রিয়জনের দেখা?

পহেলা বৈশাখ, তুমি দুই বাংলার  এক মিলন মেলা!