মোহাম্মদের অনুসারীরা কেন মোহাম্মদের পিছনে ঘুরত তার কিছু নমুনা তুলে না দিলে ইসলামের মাহাত্ম সঠিক জানা যাবে না। প্রাথমিক মক্কার জীবনে ১২ বছরের মত ইসলাম প্রচার করার পরেও তেমন সাফল্য আসে নি। অথচ যেই উনি মদিনাতে হিজরত করলেন ওনার সাফল্য আকাশ চুম্বী। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে ব্যখ্যার দাবী রাখে।
মোহাম্মদ মদিনাতে হিজরত করার আগে তার কিছু অনুসারী মদিনাতে হিজরত করে। তো ওখানে যাওয়ার পর তাদের কোন কর্ম সংস্থান হয় না, মদিনাবাসিরাও গরীব তাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর সামর্থ্য তাদের নেই। আবার মদিনাবাসীদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ করার কোন অভিজ্ঞতাও তাদের নেই। এমতাবস্থায় মদিনাতে আসার পর মোহাম্মদ চিন্তা করতে থাকে কিভাবে এসব লোকজনের ভরণ পোষন করা যায়। সাথে সাথে তার মাথায় চলে আসে একটা বুদ্ধি (কুবুদ্ধি?)। সেটা হলো মদিনার পাশ দিয়ে চলে গেছে বানিজ্যপথ, মক্কার লোকজন সে পথে সিরিয়ার সাথে বানিজ্য করত। মূলত: সিরিয়া থেকে তারা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মক্কাতে আমদানী করত। মোহাম্মদের মনে হলো- মক্কার লোকদের এ বানিজ্য কাফেলাতে হানা দিয়ে তাদের মালামাল লুন্ঠন করা হতে পারে উপার্জন করার সবচাইতে মোক্ষম উপায়। মোহাম্মদ নিজেও সেই ছোট বয়েস থেকে বেশ কয়েকবার এ পথে বানিজ্য কাফেলার সাথে সামিল ছিল। মক্কার বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমনের অজুহাতও আছে। তা হলো মদিনায় হিজরত কারী মক্কাবাসীদেরকে কুরাইশদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা এই বলে যে- কুরাইশরা তাদেরকে মক্কা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্রথম দিকের বানিজ্য কাফেলা আক্রমনে মোহাম্মদ ও তার মক্কার সাঙ্গ পাঙ্গরাই যোগ দিত, মদিনাবাসীরা যোগ দিত না। সেই তৎকালেও মদিনাবাসীদের একটা ন্যূনতম নীতিবোধ ছিল তা হলো-আক্রান্ত না হলে কাউকে বিনা কারনে আক্রমন করা যায় না বা নিরীহ বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদের মালামাল লুটপাট করা যায় না।কিন্তু মোহাম্মদ ও তার দল বলের এ ধরণের কোন নীতি ছিল বলে দেখা যায় না। ব্যপক ভাবে প্রচার করা হয় যে মক্কাতে মোহাম্মদকে কুরাইশরা খুব অত্যাচার করত, কিন্তু বাস্তবে অত্যাচার নয়, কুরাইশরা তাদের ধর্মকে প্রকাশ্যে অপমান করার জন্য মাঝে মাঝে মোহাম্মদকে অপমান করত। ইতিহাস তো বটেই এমনকি হাদিসেও তার প্রমান পাওয়া যায়। যেমন-
মুহাম্মদ ইবনে মুছান্না এবং মুহাম্মদ ইবনে বাশশার বর্ণনা করেছেন…. আব্দুল্লাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ সিজদায় ছিলেন এবং তাঁর আশে পাশে কতিপয় কুরাইশ ব্যক্তি উপস্থিত ছিল। এমন সময় ওকবাহ ইবনে আবু মুআইদ উটনীর নাড়ীভুড়ি নিয়ে আসল এবং তা রাসুলুল্লাহ এর পিঠের উপর নিক্ষেপ করল। যাতে তিনি তাঁর মাথা তুলতে পারলেন না। তারপর ফাতিমা এসে তাঁর পিঠের উপর হতে সেগুলি সরাইয়া দিলেন এবং যে ব্যক্তি এই কাজ করেছে তাকে অভিসম্পাত করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ বললেন, হে মাবুদ!আপনার উপরেই কুরাইশদের আবু জেহেল ইবনে হিশাম, ওতবাহ ইবনে রাবীয়া, শায়বাহ ইবনে রাবীয়া, ওকবা ইবনে আবু মুআইত, উমাইয়া ইবনে খালাফ এদের বিচারের ভার সমর্পিত। তবে বর্ণনাকারী শো’বা শেষের দুটি নামের কোনটি রাসুলুল্লাহ বলেন তাতে সন্দেহ প্রকাশ করেন।……………. মুসলিম, বই নং-১৯ হাদিস নং- ৪৪২২
দেখা যাচ্ছে কুরাইশরা স্রেফ অপমান করার জন্যই মোহাম্মদের ওপর উটের নাড়ীভুড়ি ফেলেছিল। তাকে খুন করার প্রচেষ্টা তো দুরের কথা শারিরীকভাবে কষ্ট দেয়ার কথাও তারা চিন্তা করত না।কিন্তু কেন কুরাইশরা মোহাম্মদকে অপমান করত? এর জন্য তারা নাকি মোহাম্মদ দায়ি? কুরাইশরা কাবা’র মধ্যে তাদের দেব দেবীদেরকে পূজা করত, কথিত আছে সেখানে ৩৬০ বিভিন্ন দেব দেবীর মূর্তি ছিল। সেটাই ছিল তাদের পূর্ব পুরুষদের ধর্ম। কথা বার্তা নাই হঠাৎ করে মোহাম্মদ এসে দাবী করলেন- আল্লাহ নাকি তাঁর কাছে নিয়মিত বানী পাঠায় ও নতুন এক ধর্ম ইসলাম প্রচার করার কথা বলেছে। ভাল কথা, যুক্তির খাতিরে ধরে নেয়া গেল মোহাম্মদের ধর্ম হলো সত্য ধর্ম, কিন্তু তাই বলে এটা কেমন কথা সেই ধর্ম তাকে কুরাইশদের উপসণালয়ের মধ্যে গিয়ে করতে হবে? শুধু তাই নয়, সেই কাবা ঘরে ঢুকে মোহাম্মদ কুরাইশদের দেব দেবীদের সম্পর্কে নানা রকম কটুক্তি সহ অপমানও করতেন। কুরাইশরা ঠিক এ জিনিসটাই পছন্দ করত না। তাদের বক্তব্য ছিল- মোহাম্মদ তার আবিষ্কৃত ধর্ম প্রচার করুক কোন সমস্যা নেই কিন্তু সেটা তিনি নিজস্ব পরিমন্ডলে গিয়ে করুক গিয়ে। বর্তমানে কোন মসজিদে গিয়ে যদি কেউ খৃষ্টান বা বৌদ্ধ বা হিন্দু ধর্ম প্রচার করে, কোন মুসলমান সেটা সহ্য করবে ? সহ্য করা তো দুরের কথা হয়ত বা সাথে সাথে সব মুসলমানরা তার কল্লা কেটে ফেলবে। অথচ মোহাম্মদ কি করতেন? ঠিক এ কাজটাই করতেন তার মক্কার প্রাথমিক জীবনে। তিনি কুরাইশদের উপাসনালয় কাবা ঘরে ঢুকে তার ইসলাম প্রচার করতেন ও কুরাইশদের ধর্মকে অপমান করতেন। তাহলে কুরাইশরা সেটা সহ্য করবে কেন ? উপরোক্ত হাদিসেই দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদ কোথায় বসে সিজদা দিচ্ছেন। তার প্রচারিত ধর্ম ইসলাম যদি সত্য ধর্ম হয়, আর আল্লাহই যদি তা প্রেরন করে থাকে, তাহলে সেটা কেন তাকে অন্যদের উপসনালয় জোর করে দখল করে করতে হবে? সর্বশক্তিমান আল্লাহ ইচ্ছা করলে মোহাম্মদ সেটা তো তার বাড়ীতে বসে বা তার নিজস্ব পরিমন্ডলে বসে অথবা অন্যদের উপসনালয় দখল না করেই করতে পারতেন। আবার সেই আল্লাহই কিন্তু মোহাম্মদের মুখ দিয়ে বলছে-
তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬
আল্লাহ যদি উপরোক্ত কথা বলেই থাকে তাহলে মোহাম্মদ কেন কুরাইশদের উপসনালয়ে ঢুকে সিজদা করেন, কেন তাদের দেব দেবীকে কটুক্তি করেন, অপমান করেন? এটা কি মোহাম্মদের নিজের প্রচারিত ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ নয় ? মোহাম্মদ কেন তার ধর্ম পালন করার জন্য নিজের মত করে উপসনালয় বানিয়ে নেন না ? তিনি কুরাইশদের ধর্মকে কটুক্তি করবেন অথচ কুরাইশরা তাঁকে কিছু বলতে পারবে না। এটা কি মামা বাড়ীর আবদার নয়? অথচ শত শত বছর ধরে প্রচার করা হয়েছে কুরাইশরা মোহাম্মদকে অত্যাচার নির্যাতন করেছে যেখানে মোহাম্মদ ছিলেন একেবারেই নিষ্কলুষ। কিন্তু হাদিস থেকে প্রমানিত যে মোহাম্মদই বরং আগ বাড়িয়ে কুরাইশদেরকে উত্তেজিত করেছে তাকে অপমান ও গঞ্জনা করতে। কিন্তু কস্মিনকালেও কুরাইশরা মোহাম্মদকে প্রানে মেরে ফেলতে চায় নি। উল্টো দেখা যায় কুরাইশরা ছিল উদারপন্থি ও পরমত সহিষ্ণু। যেমন-
When the apostle openly displayed Islam as Allah ordered him, his people did not withdraw or turn against him, so far as I have heard, until he spoke disparagingly of their gods. When he did that, they took great offence and resolved unanimously to treat him as an enemy. (Ibn Ishaq/Hisham 167)
The Meccans] said they had never known anything like the trouble they had endured from this fellow. He had declared their mode of life foolish, insulted their forefathers, reviled their religion, divided the community and cursed their gods (Ibn Ishaq/Hisham 183).
একারনেই মক্কাতে কুরাইশদের পাশাপাশি কিছু খৃষ্টান ও ইহুদিও বাস করত ও তারা কোন রকম সাম্প্রদায়ীক সংঘাত ছাড়াই শান্তিপূর্নভাবে একসাথে বাস করত। অথচ মোহাম্মদ হঠাৎ করে এসে তাঁর ইসলাম প্রচার করে সমাজে একটা বিশৃংখলা সৃষ্টির পায়তারাই শুধু করলেন তাই নয়, কুরাইশদের ধর্মীয় উপসনালয়ে যখন তখন ঢুকে সেটাকে নিজের মত করে ব্যবহার করা শুরু করলেন অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মত কায়দায় তার সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী চাচা আবু তালিবের ছত্রছায়ায়। এভাবে মোহাম্মদের মক্কা জীবনের দশ বছর অতিক্রান্ত হলো, তখনও তার কিবলা ছিল প্যলেস্টাইনের মসজিদুল আকসা, এর পর তিনি মদিনাতে হিজরত করলেন, সেখানে প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত হলো- তখনও কিবলা ছিল মসজিদুল আকসা, হঠাৎ মোহাম্মদ ঘোষণা করলেন অত:পর কাবা ঘরই হলো মুসলিমদের কিবলা কারন এটাই নাকি আল্লাহর প্রথম ঘর যা আদম তৈরী করেছিল। অথচ ইতোপূর্বেকার কোন কিতাব যেমন তৌরাত, গসপেল কোথাও একথা উল্লেখ নেই। এ ছাড়াও এ দাবী যদি সত্য হয় তাহলে মোহাম্মদের আগেকার নবীদের কিবলা কেন মসজিদুল আকসা ছিল? কেন আল্লাহর প্রথম ঘর কাবা তাদের কাছে কিবলা ছিল না যখন মোহাম্মদ দাবী করছেন তিনি ধারাবাহিকতার সূত্রে ইব্রাহিম, মূসা, ইসা ইত্যাদি নবীর পরে সর্বশেষ নবী ? কাবাকে কিবলা বানানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ন কারন ছিল।
প্রথমত: মোহাম্মদ বুঝতে পেরেছিলেন খৃষ্টান ও ইহুদিদেরকে মিষ্টি কথায় তার ইসলামে টানা যাবে না, এমতাবস্থায় খৃষ্টান ও ইহুদি অধ্যুষিত হাজার মাইলেরও বেশী দুরত্বের মসজিদুল আকসাতে মুসলমানদের যাওয়াটা খুব নিরাপদ নয়, সীমাহীন কষ্টসাপেক্ষও বটে।
দ্বিতীয়ত: ইসলাম যেহেতু মোহাম্মদের প্রবর্তিত ধর্ম আর মদিনাতে যাওয়ার পর তার অনুসারীর সংখ্যা বেশ বৃদ্ধিও পেয়েছে তাহলে নিজেদের মত করে কিবলা বানানোতে কোন অসুবিধা নেই।
তৃতীয়ত: মোহাম্মদের সবচেয়ে প্রভাবশালী অনুসারী আবু বকর ও ওমর দুজনেই চাইত কাবা ঘর যেন তাদের কিবলা হয়। মোহাম্মদ মনে মনে কাবাকে কিবলা বানানোর স্বপ্ন দেখলেও একার সিদ্ধান্তে তা করতে সাহস পাচ্ছিলেন না মনে হয়, অত:পর প্রভাবশালী দুজন অনুসারীর ইচ্ছার কথা জানতে পেরে কাবাকে কিবলা বানাতে তার আর দেরী হয় নি।
এ বিষয়ে এ হাদিসটি দেখা যেতে পারে-
আল বারা বর্নিত- নবী বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ষোল বা সতের মাস নামাজ পড়তেন কিন্তু তিনি ইচ্ছা করতেন মক্কার কাবা ঘর হবে কিবলা। তাই আল্লাহ ০২: ১৪৪ আয়াত নাজিল করলেন এবং তিনি কতিপয় সাহাবী সহ আসরের নামাজ পড়লেন কাবার দিকে মুখ করে। সহি বুখারি, বই – ৬০, হাদিস-১৩
সুতরাং কাবাকে কিবলা বানানোতে কোন সমস্যা তো দেখা যায় না।
বিষয়টি এপর্যন্ত হলেও কথা ছিল। ইসলামে মূর্তিপূজা তো দুরের কথা মূর্তি গড়া বা প্রানীর ছবি আঁকাকেও অমার্জনীয় অপরাধ ও কুফরী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। অথচ মোহাম্মদ কিন্তু সেই প্রথম থেকেই মূর্তি ভর্তি কাবা ঘরে বসে মক্কার দশ বছর ধরে তার আল্লাকে ডেকেছেন, তার অনুসারীরাও তাকে অনুসরণ করেছে, মদিনায় গিয়ে কাবা ঘরকে কিবলা বানানোর পরেও মোহাম্মদ প্রায় সাড়ে ৮ বছরের বেশী কাল মূর্তি ভর্তি কাবাকে তার কিবলা বানিয়ে সেদিকে মুখ করে নামাজ পড়েছেন মোহাম্মদ সহ সকল মুসলিম, তাতে তাদের কোন অসুবিধা হয় নি। অত:পর তিনি যখন মক্কা দখল করেন তখন উক্ত কাবা ঘর থেকে সকল মূর্তি সরিয়ে ফেলেন, কিন্তু সেই বিখ্যাত কাল পাথরটা সরান নি, বরং তার সামনে গিয়ে মাথা নত করে , চুমু খেয়ে তার প্রতি হিন্দুদের মত পূজা করেছেন, যা দুনিয়ার সকল মুসলিমরা এখনও করে থাকে। এ ব্যপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলা হয় এটা নাকি পূজা নয়। আজব কথা! যে কায়দায় কাল পাথরটাকে সম্মান দেখানো হয় তাকে যদি পূজা বলা না হয় তো কাকে পূজা বলে ? সেই সময়ে আরবরা মোহাম্মদের ইসলাম প্রচারকে যে বাধা দিত না, তা দেখা যায় হাদিসেও-
ইসহাক ইবনে ইব্রাহিম হানজালি, মুহাম্মদ ইবনে রাফে এবং আবদ ইবনে হুমাইদ বর্ণনা করেন, উসামাহ ইবনে যায়েদ বলেন যে রাসুলুল্লাহ একটি গাধায় সওয়ার হলেন যার উপর বসার গদির নীচে একটি ফদকের তৈরী মখমল বিছানো ছিল। তিনি তার পিছনে উসমাহ কে বসালেন। বনূ হারেছ ইবনে কজরায় গোত্রের আবাস এলাকায় অসুস্থ সা’দ ইবনে উবাদাহকে তিনি দেখতে যাচ্ছিলেন। তা বদর যুদ্ধের পূর্বেকার ঘটনা ছিল। এমন একটি মজলিসের নিকট দিয়ে যেতেছিলেন, যে মজলিসে মুসলমান, মুশরিক, মূর্তিপূজারী ও ইহুদি সব সস্প্রদায়ের লোক ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ও ঐ মজলিসে ছিল এবং আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাও ছিলেন। কাফেলার সওয়ারীদের পায়ের ধুলায় মজলিসকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। এতে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই চাদর দিয়ে তার নাক ঢাকিয়া বলল, আপনারা আমাদের মাঝে ধূলা উড়াইবেন না। রাসুলুল্লাহ তাদেরকে সালাম করে যাত্রা বিরতি করলেন এবং বাহন হতে অবতরণ করে তাদেরকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিলেন। আর তাদের সামনে কুরআন পাঠ করলেন। তখন আব্দল্লাহ ইবনে উবাই বলে উঠিল, আপনি যা বলতেছেন তা সত্য হলেও আপনি আমাদেরকে কষ্ট না দিয়ে উত্তম ব্যবস্থা হল, আপনি আপনার বাসস্থানে চলে যান। সেখানে আমাদের মধ্যকার যে ব্যাক্তি আপনার নিকট যাবে তাকে আপনি উপদেশ দান করবেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের এই মজলিসে আপনি যেমন ইচ্ছা দাওয়াত দিন আমরা তা পছন্দ করি। আমাদের তা পছন্দনীয়। তখন মুসলমান, মুশরিক ও ইহুদির মধ্যে পরস্পর ঝগড়া ও কলহের সৃষ্টি হলো। এমন কি একটি তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টির উপক্রম হল।………… সহি মুসলিম, বই-১৯, হাদিস-৪৪৩১
মুহাম্মদ ইবনে রাফে ইবনে শিহাব সূত্রে এই সনদে অনুরূপ হাদিস রেওয়াত করেছেন, তবে এতে বাড়াইয়া বলেছেন যে, ইহা আব্দুল্লাহর ইসলাম গ্রহনের আগেকার ঘটনা। সহি মুসলিম, বই-১৯,হাদিস-৪৪৩২
অর্থাৎ আব্দুল্লাহ যখন ইসলাম গ্রহন করে নি তখন কি সুন্দর ভাবে মোহাম্মদকে বলছে যে মোহাম্মদের কাছে যে স্বাধিনভাবে যাবে তার কাছে মোহাম্মদ ইসলাম প্রচার করতে পারে। এছাড়া সে অত্যন্ত ভদ্র ভাবে বলছে ধুলা দিয়ে যেন তাদেরকে কষ্ট না দেয়া হয় কারন তারা একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে মজলিসে কথাবার্তা বলছে।কিন্তু দেখা গেল মোহাম্মদের সাগরেদ মুসলমানটি কতটা অন্যের প্রতি উদাসিন ও একগুয়ে, সে বলছে- ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের এই মজলিসে যেমন ইচ্ছা দাওয়াত দিন আমরা তা পছন্দ করি।।, সেখানে মুসলমান ছাড়াও যে অন্য লোকজন রয়েছে সে ব্যপারে তার কোন সম্মানবোধ নেই, তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে সম্মান দেখানোর কোন তাগিদও তার মধ্যে দেখা যায় না।ইসলাম মানুষকে কতটা বিবেকবোধ রহিত করে তোলে ও অন্যের অধিকার ও স্বাধিনতার প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে এটা তার একটা নমুনা। ঠিক আজকের দিনেও অধিকাংশ মুসলমান ঠিক উক্ত রকম মনোভাব পোষন করে থাকে ও তারা অন্য ধর্মের মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করে না। যাহোক, মক্কাতে প্রভাবশালী কুরাইশগন মোহাম্মদের উদ্ভ্রান্ত কাজ কারবার দেখে তাকে তারা একটা উন্মাদ, পাগল বা যাদুকর বলে উপহাস করত, যেমন-
তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ। কোরান, ১৫:০৬
অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে। কোরান, ৪৪:১৪
একটা বিষয় মোহাম্মদ সম্পর্কে খুব বেশী প্রচলিত তা হলো তিনি হলেন- আল আমিন অর্থ সত্যবাদী। কিন্তু খোদ কোরানই তা অস্বীকার করে যেমন-
আর যদি তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে বল, আমার জন্য আমার কর্ম, আর তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের দায়-দায়িত্ব নেই আমার কর্মের উপর এবং আমারও দায়-দায়িত্ব নেই তোমরা যা কর সেজন্য। কোরান, ১০: ৪১
তারা যদি আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে আপনার পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণকেও তো মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল। আল্লাহর প্রতিই যাবতীয় বিষয় প্রত্যাবর্তিত হয়। কোরান, ৩৫:৪
তার মানে স্পষ্টত:ই কুরাইশরা মোহাম্মদকে মিথ্যাবাদী বলে মনে করত। তারা বিশ্বাস করত মোহাম্মদ যে দাবী করছে আল্লাহ তার কাছে ফিরিস্তা পাঠিয়ে দিয়ে বার্তা দিয়ে যাচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। যেকারনেই তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলত যা কোরানেও দেখা যাচ্ছে।শুধু তাই নয় তারা তাকে যাদুকরও বলত। যেমন-
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা যার এবাদত করত এ লোকটি যে তা থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়। তারা আরও বলে, এটা মনগড়া মিথ্যা বৈ নয়। আর কাফেরদের কাছে যখন সত্য আগমন করে, তখন তারা বলে, এতো এক সুস্পষ্ট যাদু। কোরান, ৩৪:৪৩
যুক্তির খাতিরে অনেকে বলতে পারে আল্লাহ কোরানে এটাকে উপমা হিসাবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে বিষয়টি আসলে তা নয়। তার কারন মোহাম্মদকে কুরাইশরা সত্যবাদী হিসাবে জানলে তিনি আল্লাহর বানীর নামে যা বলতেন সবাই তাকে বিনা বাক্য ব্যয়ে বিশ্বাস করত। এমনকি তাকে মিথ্যাবাদী বলা হতে পারে ভেবে তিনি প্রথম সূরা আলাক নাজিল হওয়ার পর প্রায় তিন বছর যাবত তা নিজের পরিবারের কাছে ছাড়া অন্যের কাছে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলেন। এর মধ্যে আর কোন আয়াত বা সূরা নাজিলও হয় নি। অনেক ভেবে চিন্তা করে অত:পর তিনি প্রকাশ্যে দাবি করলেন যে তিনি আল্লাহর রসুল। বলাবাহুল্য, সাথে সাথেই মক্কাবাসীরা তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যাস্ত করল। তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা শুরু হলো। সেটাই স্বাভাবিক। কোন গ্রামে কোন একজন লোক এভাবে হঠাৎ যদি কিছু দাবি করে তাহলে সেটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হলো যখন মোহাম্মদ প্রকাশ্যে কুরাইশদের দেব দেবী সম্পর্কে অপমানকর বক্তব্য দেয়া শুরু করলেন। তখন তারা তাকেও নানা ভাবে অপমান করত। এর পরেও কিন্তু মোহাম্মদকে কুরাইশরা তাকে শারিরীক নির্যাতন বা খুন খারাবির কথা চিন্তা করে নি। শুধুমাত্র মোহাম্মদ যখন গোপনে গোপনে মদিনাবাসীদের সাথে আঁতাত করে মক্কা দখলের পায়তারা করছিলেন তখন মক্কাবাসীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। তবে এ ঘটনা বানোয়াট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী কারন মদিনাবাসীরা ছিল নিরীহ ও সংখ্যায় অনেক কম, তাদের অত সাহস ছিল না মোহাম্মদের পাল্লায় পড়ে শক্তিশালী মক্কাবাসীদের বিরুদ্ধে দাড়ানোর, সেটার দরকারও ছিল না। তাই মনে হয় এ ঘটনাটা বানান হয় শুধুমাত্র মোহাম্মদের চরিত্রকে অলৌকিক দেখানোর জন্য, কারন তিনি নাকি আল্লাহর সহায়তায় অলৌকিকভাবে সকলের চোখকে ধুলো দিয়ে রাতের বেলাতে পালিয়ে মদিনায় চলে গেছিলেন। আসল ব্যপার হলো – ততদিনে তার প্রথম বিবি খাদিজা ও চাচা আবু তালিব মারা গেছে, তার ওপর ছাতা ধরার কেউ ছিল না। মক্কায় খুব অল্প মানুষ তার ইসলাম গ্রহন করেছে। ইতোমধ্যে শয়তানের আয়াতের মাধ্যমে মক্কাবাসীদের সাথে একটা আপোষ রফা করার পরেও তা অস্বীকার করে মক্কাবাসীদেরকে চুড়ান্ত রকম ক্ষেপিয়ে তুলেছেন। ফলে তার পক্ষে তখন মক্কাতে থাকা নিতান্ত অসম্ভব ছিল। তাই হয় তার ইসলাম প্রচার বন্দ করতে হতো না হলে তাকে অন্যত্র গিয়ে তা প্রচারের চেষ্টা ছাড়া গতি ছিল না। অনেক চিন্তা ভাবনা করেই তিনি অবশেষে মদিনাতে তার ভাগ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এ ধরনের বিষয়কে অতি রঞ্জিত করার জন্য ও মানুষের মধ্যে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্যই পরবর্তীতৈ কোন এক সময় তাকে হত্যা প্রচেষ্টা ও অলৌকিক ভাবে মক্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার কাহিনী সাজানো হয় বলেই মনে হয়।
ইসলামি বিশ্বে মোহাম্মদের নিকটাত্মীয় যারা তার সাহাবী ছিল তাদের সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারণা প্রচার ও পোষণ করা হয়।মানুষ সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই বিশ্বাস করে ও তাদের আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করে। এখন তাদের মধ্যে দু একজনের সম্পর্কে জানা যাক।
মুহাম্মদ ইবনে রাফে বর্ণনা করেছেন… আয়শা হতে বর্ণিত ফাতিমা রাসুলুল্লাহ-এর সম্পদ হতে তার প্রাপ্য মীরাছ এর দাবী করে আবু বকর এর নিকট পাঠালেন, যা আল্লাহ তালা রাসুলুল্লাহ কে মদীনা ও ফিদাক এর ফাই এবং খায়বারের অবশিষ্ট এক-পঞ্চমাংশ হতে প্রদান করেছিলেন।তখন আবু বকর বললেন, রাসুলুল্লাহ বলে গিয়েছেন, আমাদের নবীদের পরিত্যক্ত সম্পদে কোন মীরাছ বন্টন করা হবে না। কেননা আমাদের রাখিয়া যাওয়া সকল কিছু ছদকা হয়ে যাবে।মোহাম্মদ এর পরিবারবর্গ তা হতে ভরণ পোষণ গ্রহণ করবে। আমি আল্লাহর শপথ করে বলতেছি, মুহাম্মদ এর আমলে ছদকাহর যে ব্যবস্থা জারী ছিল, তা আমি পরিবর্তন করব না। এই ব্যপারে আমি সেই কাজই করব যা রাসুলুল্লাহ করে গিয়েছেন। অতএব আবু বকর ফাতিমা কে তা হতে মীরাছ প্রদান করতে অস্বীকার করলেন। যার ফলে ফাতেমা রাগান্বিত হয়ে আবু বকর এর সাথে সংস্রব ত্যাগ করলেন। তিনি মৃত্যূ পর্যন্ত তার সাথে আর কোন কথাই বলেন নাই। রাসুলুল্লাহ এর মৃত্যুর পর ফাতিমা ছয়মাস কাল জীবিত ছিলেন। তারপর তিনি প্রাণত্যাগ করলেন। তার স্বামী আলী ইবনে তালিব তাকে রাত্রেই দাফন করলেন এবং ফাতিমা এর মৃত্যূর সংবাদ পর্যন্ত আবু বকর কে জানালেন না। আলীই তার জানাজার নামাজ পড়লেন। ফাতিমা এর জীবিত কাল পর্যন্ত আলী এর প্রতি মানুষের একটি বিশেষ শ্রদ্ধা এবং মর্যাদাবোধ ছিল; কিন্তু ফাতিমা এর মৃত্যুর পর লোকদের মধ্যে যেন কেমন অন্য ভাব পরিলক্ষিত হতে লাগল। আলী আবু বকর এর সাথে সম্প্রীতি স্থাপন কল্পে তার নিকট বায়াত গ্রহণের ইচ্ছা করলেন। কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি বায়াত গ্রহণ করেন নাই।তিনি আবু বকরের নিকট লোক মারফত খবর পাঠালেন যে, আপনি আমার সাথে একাকী সাক্ষাত করুন।অন্য কাউকেও সাথে আনবেন না। কেননা তিনি ওমরের আগমনকে ভাল মনে করেন নি। ওমর আবু বকরকে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি কিছুতেই তার নিকট একাকী যাবেন না।কিন্তু আবু বকর বললেন, আমি কোন আশংকা করছি না যে তিনি কোন ঘটনা ঘটাবেন। আল্লাহর কসম! আমি একাকীই যাব। শেষ পর্যন্ত তিনি তার নিকট গমন করলেন। আলী কালেমায় তাশাহহুদ এবং তাওহীন ও রেসালাতের সাক্ষ্য পাঠ করলেন। তার পর বললেন, হে আবু বকর! আপনার মর্যাদা এবং আপনার প্রতি আল্লাহর প্রদত্ত সম্মান ও নিয়ামতের কথা আমরা বিশেষভাবে অবগত।আল্লাহ তালা আপনাকে যে বস্তু দান করেছেন তাতে আমরা মোটেই ঈর্ষাতুর নই, কিন্তু আপনি আমাদেরকে উপেক্ষা করে খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রাসুলুল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার কারনে আমরা মনে করতাম যে, আমাদেরও কিছু অধিকার আছে। ……………………..বরং আমরা মনে করতাম যে , খেলাফতের মধ্যে আমাদেরও কিছু অংশ রয়েছে, কিন্তু আবু বকর আমাদেরকে এড়াইয়া এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তজ্জন্য আমরা মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম।…..অত:পর আলী আবু বকরের নিকট বায়াত গ্রহণ করলেন…. মুসলমানগন আবার আলীর নিকট যাতায়াত শুরু করল। সহি মুসলিম, বই-০১৯, হাদিস-৪৩৫২
উপরের হাদিস থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে যে ফাতিমা আবু বকরের উপর এতটাই রেগে গেছিল যে মৃত্যূ পর্যন্ত সে আর তার সাথে দেখা করে নি। একই সাথে আলীও আবু বকরের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনি। প্রশ্ন হলো- ফাতিমা ও আলী ওরা কি জানত না যে মোহাম্মদ মারা যাওয়ার আগে কি বিধান দিয়ে গেছেন? তারা কি জানত না যে, মোহাম্মদ মরার আগে তার সব সহায় সম্পত্তি সদকাহ হয়ে যাবে- এ বিধান করে গেছেন? তা যদি জেনে থাকে তাহলে তারা আবু বকরের কাছে সদকাহ হয়ে যাওয়া সম্পত্তি ফেরত চায় কিভাবে? এর পর আবু বকর যখন তাদেরকে জানাল যে মোহাম্মদের করে যাওয়া বিধান তার পক্ষে লংঘন করা সম্ভব নয়, তখন তাদের আবু বকরের ওপর রাগান্বিত হওয়ার অর্থই হলো তারা নবীর বিধানকে অস্বীকার করছে। এছাড়া উক্ত হাদিস থেকে জানা যাচ্ছে, নবীর সাথে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার( আলী হলো মোহাম্মদের মেয়ে ফাতিমার স্বামী, আবার মোহাম্মদের আপন চাচাত ভাইও) সম্পর্কের কারনে আলী আশা করেছিল নবীর মৃত্যূর পর সে খলিফা হবে, কিন্তু তা হয় নি, সে কারনে তার রাগ আবু বকরের ওপরও। ইতোমধ্যে আবু বকর তার ক্ষমতা আস্তে আস্তে কুক্ষিতগত করে ফেলেছে, লোকজন তাই আলীর সাথে যোগাযোগ বন্দ করে দিয়েছে। আলী ঘটনাসমূহ পর্যবেক্ষন করে প্রমাদ গুনল আর তাই নিজ উদ্যোগে আবু বকরের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে আসল। কারন তার মনে হলো আবু বকর তো বৃদ্ধ মানুষ যে কোন সময় মারা যেতে পারে, আলী তখনও প্রায় তরুন সুতরাং ক্ষমতার বলয়ের মানুষের কাছ থেকে দুরে থাকা বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে না। উক্ত হাদিসে এটাও দেখা যাচ্ছে যে দীর্ঘদিন যাবত আলী , আবু বকরের কাছে বায়াতও নেয় নি অর্থাৎ আনুগত্য স্বীকার করে নি যা প্রকারান্তরে একটা বিদ্রোহের সামিল। তো এই হলো ফাতিমা ও আলীর চরিত্র যারা নবীর দান করে যাওয়া সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য লালায়িত ছিল। এছাড়া এ ঘটনা থেকে এটাও বোঝা যায় যে মোহা্ম্মদের মৃত্যুর পর পরই আমাদের সেই মহান সাহাবি বৃন্দ যাদের নামে গোটা মুসলিম সমাজ অজ্ঞান হয়ে যায়, তারা ইসলাম নয়, বরং ক্ষমতার লোভে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি শুরু করে দিয়েছিল। আরও দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদের প্রধান চার সাহাবীদের মধ্যে বনি বনাও ভাল ছিল না মোহাম্মদের মৃত্যুর পর, যেমন বলা হচ্ছে- আলীকে ওমর বিশ্বাস করছে না, সে আবু বকরকে একাকী আলীর সাথে সাক্ষাত করতে নিষেধ করছে। ওমরের বিশ্বাস আবু বকর একাকী গেলে আলী তাকে খুনও করে ফেলতে পারে। ওদিকে আলীও ওমরকে বিশ্বাস করতে পারে নি, তাই আবু বকরকে একাকী আসতে জোর দিয়েছে। আলী যে ক্ষমতার দাবীদার সেটাও কিন্তু সে প্রকাশ করতে ভোলেনি, তাই বলছে-কিন্তু আপনি আমাদেরকে উপেক্ষা করে খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রাসুলুল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার কারনে আমরা মনে করতাম যে, আমাদেরও কিছু অধিকার আছে। অধিকাংশ মানুষ এসব ঘটনা জানে না, জানতে চায় না, তাদেরকে কেউ জানায়ও না। এমনকি আজকের যুগেও এ ধরনের মানুষ বিরল যারা তাদের পূর্ব পুরুষদের দানকৃত মালামাল আবার ফেরত চাইতে পারে। আর সারা মুসলিম জাহান তাদের চরিত্র নিয়ে গর্ব করে। শুধু তাই নয় এর পরের হাদিস দেখা যাক,
ইবনে নুমাইর, যুহাইর ইবনে হরব এবং হাসান হুলওয়ানী বর্ণিত, আয়শা বলেন যে রাসুলের কন্যা ফাতিমা রাসুলের ওফাতের পর তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তির মীরাছের অংশ দাবী করলেন। তখন আবু বকর বললেন, রাসুল এরশাদ করেছেন আমাদের নবীদের সম্পত্তিতে কেউ ওয়ারিশ হবে না। আমাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হবে ছদকাহ স্বরূপ। আয়শা বলে রাসুল এর ইন্তেকালের পর ফাতিমা ছয়মাস জীবিত ছিলেন। তিনি আবু বকরের নিকট তার প্রাপ্য অংশ দাবী করেছিলেন যা রাসুল খায়বার, ফিদাক ও মদীনার দান হতে পরিত্যাগ করে গিয়েছেন। আবু বকর তাকে তা প্রদান করতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন আমি এমন কাজ করব না যা রসুল করতেন। আমি ভয় করছি যে , তার কোন কাজ পরিত্যাগ করলে পথভ্রুষ্ট হয়ে যাব। তবে মদীনার দানের মাল ওমর তার খেলাফত আমলে আলী ও আব্বাসকে প্রদান করেছিলেন কিন্তু আলী একাকীই তা দখল করে নিয়েছিলেন। আর খায়বার ও ফিদাকের সম্পদ ওমর নিজের দায়িত্বে রেখে দিলেন এবং বললেন তা ছিল রাসুলুল্লাহর প্রয়োজন পূরণের জন্য এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কাজে ব্যয় করার জন্য। সহি মুসলিম, বই-০১৯, হাদিস-৪৩৫৪
উক্ত হাদিস মোতাবেক দেখা যাচ্ছে, ক্রমশ: আলী নিজের প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে এবং আবু বকরের মৃত্যুর পর ওমরের কাছ থেকে ছদকাহ হয়ে যাওয়া সম্পত্তি ফেরত নিয়ে নেয়। আরও দেখা যায়, আব্বাসকে ফেরত দেয়া সম্পদ জোর করে আলী নিজের দখলে নিয়ে নেয়। তো এ হলো মোহাম্মদের সবচেয়ে প্রিয় পাত্র, তার মেয়ের স্বামী ও আপন চাচাত ভাই আলী( আলী হলো মোহাম্মদের আপন চাচা আবু তালিবের পূত্র)এর চরিত্র।
সহি মুসলিম, বই-০১৯, হাদিস-৪৩৫২ হাদিস মোতাবেক দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে তার পরিবার বর্গের জন্য ভরণ পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বাদ দিয়ে বাকীটা সদকাতে পরিনত হবে। অথচ এর পরেই বলা হচ্ছে-
আয়শা হতে বর্ণিত, আল্লাহর নবী যখন মৃত্যূ বরণ করেন তখন তার লৌহ বর্মটি এক ইহুদীর কাছে কিছু বার্লির বিনিময়ে বন্দক ছিল। সহি বুখারী, বই-৫২, হাদিস-১৬৫
আমর বিন আল হারিথ বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ মারা যাওয়ার সময় তার কিছু অস্ত্রপাতি, একটা সাদা খচ্চর ও খায়বারে এক খন্ড জমি ছাড়া আর কিছু রেখে যান নি। সহি বুখারি, বই-৫২, হাদিস-১৬০
যে ব্যাক্তি প্রতি নিয়ত যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত গনিমতের মাল প্রাপ্ত হচ্ছেন যার সম্পত্তি আছে মদিনা, খায়বার ও ফিদাকে যা তিনি মৃত্যূর আগে ছদকাহ করে দিয়ে যান, তিনি মারা যাওয়ার সময় তার ঘরে কিছুই নেই সামান্য বার্লি বা কিছু অস্ত্রপাতি ছাড়া।অথচ তখনও তার হেরেম খানায় কমপক্ষে ৯ টি স্ত্রী জীবিত। তো যে ব্যক্তি তার বর্মটিকে বন্দক দিয়ে সামান্য কিছু বার্লি যোগাড় করে খানাপিনা করেন সেই ব্যক্তি ৯ জন স্ত্রীর ভরণ পোষণ কিভাবে করতেন? এটা কি বিশ্বাস্য? নাকি মোহাম্মদের চরিত্র মাহাত্মকে উচু করে দেখানোর একটা উদগ্র প্রচেষ্টা এটা ? বানিজ্য কাফেলা বা বিভিন্ন গোষ্ঠির বসতিতে আতর্কিতে আক্রমন করে যেসব সম্পদ পাওয়া যেত তাকে বলে গণিমতের মাল। এ গণিমতের মালের এক পঞ্চমাংশ ছিল মোহাম্মদ ও আল্লাহর জন্য নির্ধারিত।
আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। কোরান,৮: ৪১
এই না হলে আল্লাহর রসুল! মোহাম্মদের আগ পর্যন্ত কোন নবীকে এভাবে আয়াত নাজিল করে লুট পাটের মালামালের অংশ দাবী করতে দেখা যায় নি। অবশ্য তাদের অত স্ত্রীও ছিল না একমাত্র নবী সোলায়মান ছাড়া, তার নাকি কয়েক শত নারী ছিল হেরেমে কিন্তু সে তো নাকি রাজা ছিল, সুতরাং তার আয়াত নাজিল করে লুটপাটের মালামালের অংশ দাবী করার দরকারও ছিল না। ঈশা নবী তো বিয়েই করে নি তাই তার সংসার প্রতিপালনেরও কোন দায় ছিল না। তার তো অবস্থা ছিল যেখানে রাত সেখানেই কাত। আমাদের মহানবীর কপাল খারাপ, তার এক সাথে নয়টা বউ বেঁচেছিল, অথচ তার আয়ের কোন উৎস ছিল না। এত বড় একটা সংসার চালাতে তার অনেক সম্পদ দরকার। সরাসরি যুদ্ধ লব্ধ মালামাল থেকে কোন কিছু নিলে সমালোচনা হতে পারে ভেবে মোহাম্মদ সেটাকে আল্লাহ থেকে আয়াত নাজিল করে বিষয়টাকে সহজ করে নিলেন। তো প্রশ্ন হলো মোহাম্মদের সম্পদ লাগে তার বিশাল পরিবার চালাতে, আল্লাহর সম্পদ লাগে কোন কাজে?মোহাম্মদের আল্লাহ কি এতটাই অসহায় আর নি:স্ব যে তাকে যুদ্ধ লব্ধ মালামালের ভাগ নিতে হয় ? তো আল্লাহ সে সম্পদ দিয়ে কি করবে? খুব সহজেই বোঝা যায়, আল্লাহর নাম করে যা পাওয়া যাবে তাও মোহাম্মদের নিজের দরকার তার অতি বিশাল পরিবার প্রতিপালনে। দ্বীনের নবীর প্রতি আল্লাহর দয়ার শেষ নাই।খালি দয়া নেই বাংলাদেশের গরিব মুসলমানদের জন্য। অথচ আবার একটু পরেই হাদিসের মাধ্যমে মোহাম্মদের দীন হীনতার কথা প্রচার করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে- যখন তিনি মারা যান তখন আয়শার ঘরে সামান্য কিছু বার্লি ছাড়া আর কিছু ছিল না, সেটাও নাকি জোগাড় করা হয়েছিল কোন এক ইহুদির কাছে নিজের বর্ম বন্দক দিয়ে। অবশ্য বাকী সব স্ত্রীদের ঘরে কি ছিল সেটা কোথাও বলা হয় নি।
বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদের হাদিসের সাইট
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
এই হাদিসটির অনুবাদ কোথা থেকে নিয়েছেন? হাদিস গুলোর অনুবাদ যে বই থেকে নিয়েছেন তার নাম, অনুবাদকের নাম, পৃষ্টা নম্বর, প্রকাশনী ইত্যাদি উল্লেখ করলে খুবই ভাল হয়।
@সৈকত চৌধুরী,
পুরো হাদিসটি এখানে-
Muslim Shareef, Book 019, Number 4431:
It has been narrated on the authority of Usama b. Zaid that the Prophet (may peace be upon him) rode a donkey. It had on it a saddle under which was a mattress made at Fadak (a place near Medina). Behind him he seated Usama. He was going to the street of Banu Harith al-Khazraj to inquire after the health of Sa’d b. Ubada This happened before the Battle of Badr. (He proceeded) until he passed by a mixed company of people in which were Muslims, polytheists, idol worshippers and the Jews and among them were ‘Abdullah b. Ubayy and ‘Abdullah b. Rawaha. When the dust raised by the hoofs of the animal spread over the company, ‘Abdullah b. Ubayy covered his nose with his mantle and said: Do not scatter the dust over us (Not minding this remark), the Holy Prophet (may peace be upon him) greeted them, stopped, got down from his animal, invited them to Allah, and recited to them the Qur’an. ‘Abdullah b. Ubayy said: O man, if what you say is the truth, the best thing for you would be not to bother us with it in our assemblies. Get back to your place. Whoso comes to you from us, tell him (all) this. Abdullah b. Rawaha said: Come to us in our gatherings, for we love (to hear) it. The narrator says: (At this), the Muslims, the polytheists and the Jews began to rebuke one another until they were determined to come to blows. The Holy Prophet (may peace be upon him) continued to pacify them. (When they were pacified), he rode his animal and came to Sa’d b. ‘Ubida. He said: Sa’d, haven’t you heard what Abu Hubab (meaning ‘Abdullah b. Ubayy) has said? He has said so and so. Sa’d said: Messenger of Allah, forgive and pardon. God has granted you a sublime position, (but so far as he is concerned) the people of this settlement had-decided to make him their king by making him wear a crown and a turban (in token thereof), but God has circumvented this by the truth He has granted you. This has made him jealous and his jealousy (must have) prompted the behaviour that you have witnessed. So, the Holy Prophet (may peace upon him) forgave him.
অনুবাদ সম্ভবত ভবঘুরে নিজেই করেছেন, আংশিক ভুল থাকতেও পারে (ফাদাক কোন বস্তু নয় বরং একটি জায়গার নাম)। তবে তিনি গুরুত্ত্ব দিচ্ছেন ততকালীন আরব সমাজের অসাম্প্রদায়ীক চেতনার উপর। আব্দুল্লাহ বিন উবেহ ইচ্ছে করলে অন্য কিছু বলতে পারতেন। আব্দুল্লাহ বিন রাওহা তখন কে বা কী ছিলেন তা জানার দরকার আছে। এবং তার কথাটা- Come to us in our gatherings, for we love it বলতে বোধ হয় ধুলা উড়ানো নয় বরং মুহাম্মদের ধর্মবাণী বুঝানো হয়েছে।
@সৈকত চৌধুরী,
বাঙলা সহিহ মুসলিম–অনুবাদ মাওলানা আফলাতুন কায়সার, সম্পাদনা মাওলানা মূহাম্মদ মুসা, প্রকাশক বাঙলাদেশ ইসলামিক সেন্টার।
খণ্ড ৬, হাদিস ৪৫১০।
ভবঘুরের অনুবাদ মোটামুটি ভালই হয়েছে।
অনলাইন বাঙলা সহিহ হাদিস পড়া যেতে পারে
http://islamiboi.wordpress.com/
@আবুল কাশেম,
আমি ভাবছি ঐ ধূলা উড়ানোর বিষয়টা নিয়ে যেটা মালিক ভাই আগে বলেছেন-
আপনি যে অনুবাদের কথা বলছেন তাতে কি এ লাইনটা আছে?
হাদিসের বাংলা অনুবাদের কোন website জানা থাকলে লিঙ্ক দিলে উপকৃত হতাম।
@ভবঘুরে
সত্যিই তো সর্ব শক্তিমান আল্লাহ নিজে অঙ্গীকার করিয়া নিজেই তা পূরন করতে পূর্ণ মাত্রায় ব্যর্থ হয়েছেন,এটাই যথেষ্ট প্রমান কোরান আল্লাহর বানী না হওয়ার পক্ষে।
এটা তো আমার মাথায় কখনো আসেনি।
আপনার মাথায় এত তাড়াতাড়ি চট করে এত বড় যুক্তি কি করে এসে গেল,ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে। আপনিতো সমস্যার মূলে একটি মাত্র কুঠারাঘাতেই শেষ করে দিলেন দেখছি।
আর কিছুই অবশিষ্ট রইলনা।
আবু মাছরুর সাহেব আসেননা কেন? কোন আবু মাছরুর সাহেবরই এ যুক্তি খন্ডন করার ক্ষমতা নাই।
তবে তাঁরা গায়ের জোরে বা হুমকী ধামকী,ভয় ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করিতে পারেন ঠিকই।
জ্ঞ্যান বুদ্ধির দ্বারা যুক্তি দেখিয়ে খন্ডন করার মত তাদের সাহস নাই।
ধন্যবাদ
ভাল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আবু মাছরুর সাহেবরা যুক্তির চাইতে বিশ্বাস দিয়ে তর্ক করতে ভালবাসেন। যুক্তির বাজারে তাই ওনার লাপাত্তা হওয়া আশ্চর্য কিছু নয়।
আমার মাথায় আসল আর কই, আপনার মাথাতেই আসছিল প্রথম, কিন্তু আপনার মনে এখনও ইমান নামক বস্তুটি কিঞ্চিত অবশিষ্ট থাকাতে তা খোলাসা হচ্ছিল না কিছুতেই। আমি খোলাসা করে দিলাম আর কি।
@ভবঘুরে,
হা,হা,হা, এ সবই তো গুরুর কৃতিত্ব। গুরু যদি দক্ষ হয়না?তাহলে শিষ্যের অন্তর চক্ষু উন্মোচন হতে বেশী দেরী হয়না। তখন শিষ্য অন্তর চক্ষু দিয়ে কোনটা পকৃত সাদা কোনটা পকৃত কালো একের পর এক চটাচট ধরে ফেলতে সক্ষম হয়ে যায়। গুরুটা কে? তা একবার দেখতে হবেনা?
একটু ভিন্ন প্রসংগে:
যাঁরা তৎকালে কোরান লিখে ও সংকলন করে গ্রন্থাকারে বিশ্বের অজ্ঞ মানুষের উদ্দেশ্যে বাজার জাত করে ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা নিম্ন লিখিত অপরাধ গুলী কী করেন নাই,যেমন:
১। এটা করা আল্লাহ বা নবিজীর কখনো কোনই নির্দেশ বা এমনকি ইংগিত ও ছিলনা। তা সত্বেও তারা এ কাজটি করেছেন।
২। কোন মানুষে কিছু করতে গেলে তাতে ভূল অবশ্যই থাকবে। যেমন টা কোরানে দেখা যায় অজস্র ব্যকরনিক ভূল,অজস্র স্ববিরোধী বাক্য,অজস্র প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান বিরোধী বাক্য ইত্যাদি।
এগুলী নিশ্চয়ই যারা কোরান লিখেছেন বা সংকলন করেছেন তাদেরই সৃষ্ট ভূল। আল্লাহ পাক অবশ্যই সমস্ত ভূলত্রুটির উর্ধে,তা সবাই জানে।
তাই ত্রুটিৃপূর্ণ কোরান বাজারজাত করা কী অপরাধ হয় নাই?
৩।বাকী ছয়টি ভার্সনের আল্লাহর কোরান কে ধংশ করে দেওয়া হয়েছে। এটা আল্লাহ ও নবীর নির্দেশ বিরুদ্ধ কাজ করা হয় নাই কি? এগুলীর প্রয়োজন না থাকলে আল্লাহ কেন দিয়েছিলেন? এটা একটা মরাত্বক আল্লাহ বিরোধী কাজকরা হয়নাই কি? শুধু কোরান কে বিলুপ্তই করা নাই,বরং
৪। সেই আল্লাহর বাণীর ৬টি ভার্সন কে জলন্ত অগ্নি কুন্ডে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে,অর্থাৎ আল্লাহর বানীকে দোজখের শাস্তি দিয়েছেন। উফ!তাদের কি আল্লাহর বানীর প্রতি এতটুকুও দয়া মায়া ছিলনা? তাদের শাশ্তি ও কি অনুরুপ হইবেনা?
একটা বিধর্মী ও তো এমন জঘন্যতম কাজ করতে সাহস পাইবেনা।
সাধারন অজ্ঞ মানুষেরা যদি এই অপকর্ম কোন ভাবে জেনে ফেলে তাহলে ঐসব ছাহাবীদের উপর আর কোনই সামান্যতম ভক্তি শ্রদ্ধা রাখা তো দুের কথা বরং ঘৃনায় ফেটে পড়বে,তার বাস্তব উদাহরন যে বর্তমান আফগানস্থান তাতো সবাই এই মুহুর্তেই দেখতে পাচ্ছে।
কী বলেন ভাইজান?
আমি কি কোন ভূল বলেছি?
ধন্যবাদ,
ভাল থাকুন
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি যে পয়েন্ট ধরেছেন, আমার মাথাতেও কিন্তু উক্ত চিন্তা আসে নাই। আসলেই তো, আল্লাহ ৭ টা উচ্চারণ রীতিতে কোরান নাজিল করেছে, তার মধ্যে শুধুমাত্র একটা রেখে বাকি গুলো সব পুড়িয়ে ফেলল, তাও কাজটি করল মোহাম্মদের সবচাইতে ঘনিষ্ট খলিফা ওসমান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এ তো অমার্জনীয় অপরাধ! এর দ্বারা এটাও প্রমানিত হয় যে স্বয়ং আল্লাহ সদম্ভে ঘোষণা দেয়া ( আমি কোরান নাজিলকারী ও আমি এর সংরক্ষক) সত্ত্বেও সে তার কোরান সংরক্ষন করতে পারেনি। অথচ আল্লাহর অসাধ্য কিছু নাই। সুতরাং সিদ্ধান্ত হলো- কোরান নামের যে কিতাব খানি আমরা দেখি তা মোটেও আল্লাহর কিতাব নয়। আল্লাহর হলে তা ঠিকভাবে সংরক্ষিত হতো , স্বয়ং নিজে বা মানুষ দ্বারা তা করত। যার সোজা অর্থ- মোহাম্মদ আল্লাহর বানীর নামে আরবদেরকে বোকা বানিয়েছে, আজও কোটি কোটি মানুষ বোকা বনে চলেছে। ভাইজান, খাস দিলে বলেন তো যা বললাম অযৌক্তিক বললাম কি না?
মুক্তমনা সাইটে প্রবেশ করতে গিয়ে নানা সমস্যার কথা অনেকেই লিখেছেন। আমিতো দিনে বহুবার প্রবেশ করি। কোন সমস্যা হচ্ছে না। :rotfl: আমার ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্স।
@ভবঘুরে,
আপনারা অজানা অখ্যাত হতে যাবেন কেন?আপনারা তো সমাজের সমস্যার ভিত্তিমূলে আঘাত করতে চেষ্টা করছেন।
আপনার কি জানা আছে,নবিজীর উপর আল্লাহ কতগুলি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছিলেন?শুধু কি মাত্র ১ টি কোরান? মোটেই নয়। মোট ৯টি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছিলেন। ৭টি ভার্শনের ৭টি কোরান এবং আরো ২টি গ্রন্থ। এর মধ্যে আমাদের কাছে বর্তমানের ১টি মাত্র কোরান।
আর দুইটির একটিতে ছিল,সৃষ্টির আদি হইতে শেষ পর্যন্ত যত ব্যক্তি বেহেশত বাসী হইবে তাদের সবারই নাম, এমনকি তাদের পূর্ব পুরুষদের নাম উল্লেখ সহ।
আর একটি গ্রন্থে ছিল একই ভাবে সৃষ্টির আদি হইতে শেষ পর্যন্ত যত ব্যক্তি জাহান্নামে যাইবে তাদের নাম, এমনকি তাদের পূর্ব পুরুষদের নাম উল্লেখ সহ।
আমি এটা নিজে বানিয়ে বলতেছিনা। বিশ্বাষ না হয় তা হলে স্বয়ং নবিজীর মুখ দিয়েই শুনুন না। আমি এই মাত্র একটা web site এ ঢুকা মাত্রই সামনে পড়ে গেল।
তাহলে দেখুন:
THE OTHER TWO UNKNOWN BOOKS REVEALED TO MUHAMMAD
Recently, I came across the following hadith, which I want to share with the reader. Sometimes, it is funny to read such hadiths with open mind.
Al-Tirmidhi Hadith 96:
Narrated by Abdullah ibn Amr: “Allah’s messenger went out and he had in his hand two books. He said: Do you know what these two books are?
We said: Allah’s Messenger, we do not know but only that you inform us. Thereupon he said: This one which my right hand possesses is a Book from the Lord of the worlds. It contains the names of the inmates of Paradise and the names of their forefathers and those of their tribes. It is most exhaustive and nothing will be added to it nor did anything eliminate from it up to eternity.
He then said: This one in my left hand is a book from the Lord of the worlds. It contains the names of the denizens of Hell and the names of their forefathers and their tribes. It is also exhaustive to the end and nothing will be added to it nor will anything be eliminated from it.
The companions said: Allah’s Messenger, (if this is the case) then where lies the use of doing a deed if the affair is already decided?
Thereupon Muhammad said: stick to the right course and remain as close to it as possible…”
ধন্যবাদ,
ভল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান খুব দ্রুত অনেক তথ্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন দেখি।
মনে হচ্ছে , ভাইজানের ওপর একটা নতুন কিতাব নাজিলের বেশী দেরী নাই। 😀
” মোহাম্মদ ও ইসলাম” শিরোনামের ১২ পর্ব ধারাবাহিক আলোচনায় প্রচলিত ইসলামের বিকৃতরূপটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বারংবার। যা অবৈজ্ঞানিক, কল্পকাহিনী, মিথ্যা ভ্রান্ত মতবাদ, দর্শনবিহীন, রাজকীয়–এজেদি–অহাবি এবং সন্ত্রাসী ভাবধারা। এর বাইরের ভাবধারা চিন্তাচেতনাকে সম্পূর্ণ ভাবে অগ্রাজ্য বা এড়িয়ে যেয়ে একতরফামূলক হয়েছে বলে আমাদের ধারনা ।যার পরনাই নিরপেক্ষতার প্রশ্নে জর্জরিত!!!
“তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬”
সবার ধর্ম একরূপ নয়। প্রত্যেক মানুষের চিন্তা-চেতনার ও কর্ম এবং তাঁর ধর্ম অপর সকল মানুষ হতে ভিন্ন, যেহেতু মানুষের কর্ম ও চিন্তার জগতও ভিন্ন। যে সকল ধর্মরাশির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট থাকবে তাকে পুনরায় বনন্ধে আবদ্ধ করে নব জন্মে লয়ে আসবে । মানুষ আপন ইচ্ছা ও রুচি অনুসারে যে সকল ধর্ম-কর্ম গ্রহন ও বর্জন করে থাকে সেগুলি প্রতিফলন তাঁর উপরে বর্তায়, অন্য ব্যক্তির লালিত ধর্ম তাঁর উপরে কার্যকরী নয়। কাফের এবং আমানুর মধ্যে প্রভেদ হল এ যে, কাফেরগনের ধর্মের মোহ অর্জনমুখি এবং আমানুর ধর্ম মোহ বর্জনমুখী ।
মোট কথা, মানুষের চিন্তা ও কর্মগুলিকেই তাঁর ধর্ম বলে। প্রত্যেকের ধর্ম অন্য প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্ম হতে স্বতন্ত্র তেমনই উহাদের আকর্ষণ-বিকর্ষণের ফলাফলও স্বতন্ত্র ।
‘কাফের”অর্থ ঢেকে রাখা।কোরানের পরিভাষায় সত্যকে যারা সত্য জেনেও ঢেকে রাখে তারা কাফের। এছাড়া সত্য যার মধ্যে ঢাকা পরে আছে সে-ই কাফের।এ প্রসঙ্গে পুরুষোত্তম নজরুল বলেছেন,”আমরা কথায় কথায় জ্ঞানবাদীদের কাফের বলিয়া থাকি। কাফের অর্থ আবরন বা আবৃত করে রাখা। আল্লাহ্ ও আমার মাঝে যতক্ষণ আবরন রইল ততক্ষণ আমি কাফের। যতক্ষণ আবরন অর্থাৎ ভেদাভেদ জ্ঞান, সংস্কার, কোন প্রকার বাঁধা বন্ধন আছে ততক্ষণ আমার মাঝে কুফুর ও আছে। এমনি আবরন মুক্ত, বন্ধনমুক্ত, সংস্কারমুক্ত কেউ যদি থাকে আমি তাঁর কাছে মুরিদ হতে রাজি আছি। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ । আল্লাহর পূর্ণ আত্মসমর্পণ যার হয়েছে তিনি এ দুনিয়াকে এ মুহূর্তে ফেরদৌসে পরিনত করিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেছেন, “আপনাদের দেওয়া কাফের আমি গ্রহন করেছি, তবে লজ্জা হয়েছে এই ভেবে , কাফের আখ্যায় বিভূষিত হওয়ার মত বড়তো আমি হইনি। অথচ হাফেজ, খৈয়াম, মনসুর প্রভৃতি মহাপুরুষদের সাথে কাফেরের পংঙ্কিতে ওঠে গেলাম।” “কাফের ছিল মনসুর- খৈয়াম- হাফেজ এরা, এ ফতোয়া গ্রহন করিলে আমিও তাদের সাথে উন্নীত হই।”
প্রচলিত ভাবধারার বাইরে মতামত হল,”ইসলাম নামে যে ধর্ম প্রচলিত আছে তাঁর ভাবধারা মোটেই আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের দ্বারা প্রচলিত ইসলাম ধর্মের অনুরূপ নহে যদিও তা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের প্রচারিত ধর্মরুপেই মনে করা হচ্ছে। উমাইয়া এবং আব্বাসিয় রাজশক্তির চক্রান্তে ইহা সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ ধারন করেছে।অতএব ইহাকে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের প্রচারিত ধর্ম তথা “আসমানি ধর্ম” না বলে ইহার বর্তমান রূপটিকে “রাজকীয় ধর্ম” বলাই শ্রেয়।যেমন, ১।প্রচলিত মতঃ রাসুলের নিকট যে ধারায় কোরান নাজেল হয়েছিল তা ছিল বিক্ষিপ্ত এবং এলোমেলো ।৩য় খলিফা অধিকতর সামঞ্জস্যশীল করে প্রকাশ করার খাতিরেই একে প্রয়োজন মত আগে পিছে করেছেন। এমনকি প্রয়োজনবোধে এক সুরার অংশবিশেষ কাটিয়া অন্য সুরার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। যে বাক্যগুলি তিনি সন্দেহযুক্ত মনে করেছেন কেবল সেগুলিই তাঁর নিয়োজিত কোরান বোর্ড দ্বারা ফেলে দেয়া হয়েছে। এতে কোরানের ভাবধারা অধিক সুদৃঢ় হয়েছে এবং সমগ্র গ্রন্থটি ভাবগাম্ভীর্যে পরিপূর্ণতা পেয়েছে।
নাজেলের ধারানুসারে রাখলে কোরান এত সুন্দর হতে পারতনা। অতএব মুসলমানের খলিফা হিসাবে এ ছিল কোরানের প্রতি তাঁর সুন্দর একটি অবদান। একারনে আজও তাঁর নামে জুমার খোতবাতে দোয়া করা হয়।”
প্রচলিত মতের বাইরের মতঃ “কোরানের সুরাগুলির শানে নজুল এবং প্রয়োজনবোধে কোন কোন সুরার অবতীর্ণ হওয়ার স্থান পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর রাজকীয় তফসিরের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অনেক অলিক কাহিনী এবং মিথ্যা ঘটনাচক্রের অবতারণা করে কোরানের সঠিক অর্থকে চাপা দেওয়া হয়েছে।নাজেলের ধারাবাহিকতানুসারে কোরান প্রকাশিত থাকলে রাসুল জীবনের ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে কোরানের গতি প্রবাহের মিলেই থাকত। সেবস্থায় কোরানের কথা প্রবাহের শানে নজুল সন্ধান করে বাইর করার কোন প্রয়োজনই থাকত না। সেক্ষেত্রে কোরান নিজেই রাসুল জীবনের ধারাবাহিক আলেখ্য হয়ে বিরাজ করত। তাহলে বিরুধিগনের সপক্ষে মিথ্যা শানে নজুল পরবর্তীকালে সংযুক্ত করার কোনরূপ সুযোগ থাকত না।”
২।প্রচলিত মতঃ “ইমাম বোখারি মোহাদ্দেসগনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য। একারনে ইমাম বোখারি অত্যন্ত সাবধানতার সাথে হাদিস সংগ্রহ করেছেন যেন ভুল না থাকে ।অতএব তাঁর প্রকাশিত হাদিসের সত্যতা উপর অবিশ্বাস করলে জাহান্নামে পড়তে হবে এবং ইসলামি শাসন সমাজে কায়েম থাকালে প্রাণদণ্ডই তাঁর জন্য একমাত্র ব্যবস্থা হিসাবে থাকবে।
বর্তমান জগতে যেরূপ ইসলাম ধর্ম রয়েছে তা মুলতঃ খাটি মুহাম্মদি ইসলাম রয়েছে। শাখা- প্রশাখার বিচার- বিশ্লেষণ বিস্তারিত রূপ ধারন করার কারনে কালক্রমে এতে অনেক মতভেদ এসে হাজির হয়েছে। অবশ্য এ মতভেদ্গুলি তাদের মতে মৌলিক নয়।”
প্রচলিত ধারার বাইরের মতঃ “নবি বংশীয় ইমামগণ যেরূপে ব্যাখ্যা প্রায় দুশত বৎসর যাবত প্রকাশ করে এসেছিলেন তা ছিল রাসুলাল্লার দ্বারা প্রকাশিত ও অনুমোদিত ব্যাখ্যারনুরূপ। কারবালার ঘটনার পর নবি বংশের সমর্থক দল এত কমেছিল যে, সমাজ হতে সত্য একেবারেই লোপ পেতে লাগল। সত্য প্রকাশ করা সরাসরিভাবে প্রাণদণ্ডের কারন হয়ে গেল। মারওয়ানের ছেলে আব্দুল মালেকের রাজত্বকালে মিথ্যা ইসলাম লেখিত পড়িত ভাবে তাঁর আপন স্থান দখল করতে লাগল।
তারপর আব্বাসি রাজত্বকালে ইমাম সাহেবদের প্রকাশিত ব্যাখ্যা ম্রিয়মান অবস্থায় সমাজে তখনও বেঁচে ছিল তা সম্পূর্ণ পালটিয়ে সমাজ হতে একেবারে নিচিহ্ন করার জন্য যে সকল মিথ্যা হাদিস রচয়িতা রাজশক্তিকে সাহায্য করিল বোখারি তাদের মধ্যে সর্বপ্রধান। কোরানের বিশেষ বিশেষ কথার ব্যাখ্যা বোখারির হাদিসে যেখানেই দেখা যায় উহাই এক একটি মিথ্যা ব্যাখ্যা এবং তাঁর রচিত সেই হাদেসটি একটি মিথ্যা হাদিস। বোখারী নিজের নামে কোরানের একটি বিস্তারিত মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রকাশ না করে রাসুলের নাম করে রাসুলের দ্বারাই কোরানের অংশবিশেসর মিথ্যা ব্যাখ্যা হাদিসের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এজন্য দেখা যায় যেখানেই বোখারির হাদিসে কোরানের একটি উদ্ধৃতি সমেত একটি হাদিস লেখা আছে উহাই একটি মিথ্যা হাদিস।
তারপর রাসুল বংশীয় ইমাম সাহেবদের দৈহিক উপস্থিতি শেষ হয়ে যাওয়ার পর মিথ্যার প্রতিষ্ঠা আরও পাকাপোক্ত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিল যেহেতু রাজশক্তির প্রচারিত মিথ্যা ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উত্থাপন করার মত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি জগতে আর থাকল না। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রতিস্থাকল্পে মুহাম্মদি ইসলামকে জগত হতে বিদায় করে দেওয়া হল। যা রইল তা মুহাম্মদের নামে মিথ্যা রাজকীয় ব্যবস্থা মাত্র।”
আস্তিক সমাজের দুপক্ষের(ওয়াহেদাতুল সহুদ ও ওয়াহেদাতুল অজুদ) মতামতের ভিত্তে কিছুটা উল্লেখ করলাম ।ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন আশা করি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
@শামিম মিঠু,
ভাইজান , উক্ত মন্তব্য কার সম্পর্কে করলেন? কিছুই বুঝলাম না। যদি আমার সম্পর্কে করে থাকেন তাহলে আসল ইসলামটি কি জিনিস দয়া করে আমাদেরকে জানাবেন, না হলে আমরা যে ভুল ইসলাম জানছি। আপনি কি চান ভুল ইসলাম জেনে মানুষ ভুল পথে পরিচালিত হোক?
“ভাইজান , উক্ত মন্তব্য কার সম্পর্কে করলেন? কিছুই বুঝলাম না। যদি আমার সম্পর্কে করে থাকেন তাহলে আসল ইসলামটি কি জিনিস দয়া করে আমাদেরকে জানাবেন, না হলে আমরা যে ভুল ইসলাম জানছি। আপনি কি চান ভুল ইসলাম জেনে মানুষ ভুল পথে পরিচালিত হোক?”
আমরা মনে করি, অভিযোগ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হতে পারে না বরং তা কোন নীতি বা আদর্শের হওয়া উচিত,সেক্ষেত্রে সৃষ্টিবাদী আস্তিক সমাজের দুধারা ধারনার*(ওয়াহেদাতুল সহুদ ও ওয়াহেদাতুল অজুদ) নীতি আদর্শের বিরুদ্ধে হওয়া উচিৎ কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় প্রথাগত প্রচলিত তথাকথিত রাজশক্তি-এজেদি-অহাবি-মৌলবাদী(ওয়াহেদাতুল সহুদ) ভাবধারার{ যাকে আপনি ” ভুল ইসলাম”বলে আখ্যায়িত করেছেন} কোরানের অনুবাদ ও ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দিয়ে বা গ্রহণ করে মুহাম্মদি ইসলামের বিভিন্ন আলোচনা- সমালোচনা এবং বিচার- বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।সেক্ষেত্রে এর বাইরে ব্যতিক্রম,ভিন্নধারা,মরমি-সুফিবাদি বা আধ্যাত্মবাদীর( যাকে আপনি আসল ইসলাম বলে আখ্যায়িত করেছেন) ভাবধারার কোরানেরনুবাদ ও ব্যাখ্যাকে তুলে ধরা হয় না। কাজেই দুপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে আলোচনা-সমালোচনা বা গবেষণা করলে বস্তুনিষ্ঠ, গ্রহণযোগ্যতা এবং নিরপেক্ষ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
মানুষ ভুল পথে চলবে, এটা কারোর কাম্য নহে।ব্যক্তিগত ভাবে আমি এ অধম মুক্তমনার একজন ক্ষুদ্র নবীন পাঠক,(গত মাস চারেক ধরে মুক্তমনার সন্ধান পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত পরার চেষ্টা করি এবং বিভিন্ন আলোচনায় মন্তব্য আকারে অংশগ্রহন করে চলছি, যদিও অজ্ঞানতা বা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে ভুল-ভ্রান্তি থাকে)ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে কখনই চাইনা,বরং মুক্তমনার মাধ্যমে আমি আমার নিজের চিন্তা-চেতনার ত্রুটিপূর্ণ নানাদিক গুলি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি…।।
শুনেছি, অনুবাদকের আরেক নাম বিশ্বাস- ঘাতক! সাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রায়শ এ জিনিসটা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষকরে ইসলামিক ধর্মীয় সাহিত্যে বা কোরানিক সাহিত্যে প্রচুর পরিমানে রয়েছে। সেটা কোরানের সংকলন হতে শুরু করে আজ অবধি পর্যন্ত অব্যহত……।
তার কিছু নুমনা নিন্মে বর্ণিত হলঃ
সুরা ফাতেহাঃ৩। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন।
প্রচলিতনুবাদঃবিচার-দিবসের মালিক।
কিন্তু এখানে ইয়াওম অর্থ বিচার ধরা হয়েছে কিন্তু বিচার এর কোরানিক পরিভাষা “মিজান” বা “হাকিম”
ইয়াওম অর্থ অনির্দিষ্ট একটি কাল বা সময়(a time of indefinite length)।ইহা এক মুহূর্ত হতে পারে বা দীর্ঘকালও হতে পারে।ইয়াওমের বহুবচন আইয়াম। ছয়টি কালে রহস্যজগত ও বস্তজগত সৃষ্টি করা হয়েছে বলে কোরানের যেরূপ উল্লেখ তা এ একটি কাল হয়তো আমাদের লক্ষ লক্ষ বছরের সমতুল্য।
আর দ্বীন অর্থ ধর্ম, যারনুবাদ উল্লেখ করা হয়নি
সুতারাং কোরান মতে এর অর্থ, “ধর্মের কালের রাজা বা মালিক।”
সুরা এখলাসঃ১।”কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ”
প্রচলিতনুবাদঃ বল,” আল্লাহ্ এক।”
“আহাদ” হল ওয়াহেদ বা একের বহুবচন যার অর্থ একক। যেমন ইংরেজি শব্দ” আর্মি “।একজন নিয়ে আর্মি হয়না ।সুতারাং আহাদ কে এক না বলে বলা শ্রেয়।
সুরা তাকবিরের ১৯নং বা সুরা হাক্কার ৪০ নং এ “ইন্না হু লা কাউলিল রসুলিল করিম”
প্রচলিতনুবাদঃ”নিশ্চয় উহা( কোরান) জিব্রাইলের আনিত বানী।”
এখানে জিব্রাইলের কোন নাম গন্ধ নেই।
সুরা হিজরের ৯নং এ”ইন্না- নাহানু নাজ্জালনাজ জিক্রা অইন্না- লাহু- ফিজুন”
প্রচলিতনুবাদঃ”নিশ্চয় আমি (আল্লাহ্) কোরান নাজেল করেছি এবং উহার হেফাজতকারিও আমি”
অথচ কোরানের পরিভাষায় “আনা” অর্থ আমি আর “নাহানু” অর্থ আমরা এবং “জিকির” অর্থ স্মরণ- সংযোগ, কখনই কোরান নহে বরং কোরান অর্থ কোরান।
কাজেই এ বাক্যের অর্থ “নিশ্চয় আমরা সংযোগ নাজেল করেছি এবং উহার জন্য আমরাই হেফাজতকারিরূপে রয়েছি।”
এমনি ভাবে ভুরি ভুরি উদাহারন দেওয়া যেতে পারে।
কোরানের মতে, “ইসলাম ও মুসলিম শব্দদ্বয় আরবি আসলেম শব্দ হতে উৎপত্তি হয়েছে যার অর্থ সমর্পণ,ভক্তি বা আনুগত্য।মুসলিম বা আত্মসমর্পণকারীর ধর্ম হল ইসলাম বা সমর্পণের ধর্ম।এ ভক্তি বা সমর্পণ কোথায় নেই…।এ বিশ্ব সংসারে তাহা সর্বত্র বিরাজিত।ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্র জীব বা প্রাণী বড়,বড় জীব বা প্রাণীর আত্মসমর্পণ করিতেছে।ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্র জ্ঞান বা আলো বৃহৎ জ্ঞান বা আলোর নিকট সমর্পণ করিতেছে।আবার ছোট মনগুলি বৃহৎ বা বড় মনের কাছে সমর্পণ করিতেছে।এরূপে বিশ্ব প্রকৃতিতে সমর্পিত ধর্ম সর্বস্তরে চলিতেছে।ইসলাম ফিতরাতি বা প্রাকৃতিক ধর্ম(৩০:৩০দ্রষ্টব্য)।
ধর্ম মানে স্বভাব-প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য।প্রত্যেকটি ব্যক্তি বা বস্তুর নিজস্ব ধর্ম রয়েছে।মানুষ মাত্রই ধার্মিক,যা তাঁহার আচার-আচারন,স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রকাশিত হইতেছে।এই স্বভাব ধর্ম বিশ্ব প্রকৃতির ধর্মের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ব্যবস্থা বা বিধানও ধর্ম।মানব মন ব্যতীত পৃথিবীর সমগ্র সৃষ্টি প্রকৃতির নিয়মের অর্থাৎ প্রাকৃতিক ধর্মের সঙ্গে মিশিয়াই চলিতেছে।প্রবল আমিত্বের কারনে মিশিতে পারেনা মানব মন।যখন মানুষ আমিত্ব বর্জন করিয়া প্রকৃতির স্বভাব ধর্মের সঙ্গে সার্বঙ্গিন সুন্দর বিধান ধর্ম মতে মনের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করে,কেবল তখনি মানবধর্ম সার্থক সুন্দর মুক্ত হতে পারে।
বিশিষ্ট কোরান গবেষক জনাব সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতি তাঁহার কোরান দর্শন গ্রন্থে বলেছেন,”ধর্ম অর্থ যে সব বিষয় যাহার চিত্ত চেতনায় মধ্যে আগমন করে সেই সব বিষয়গুলিই ধর্ম।ধর্ম গ্রহণীয় নয়,বরং বর্জনীয়,কেননা ধর্ম মানুষকে সৃষ্টির মধ্যে ধরিয়া রাখে।
সপ্ত ইন্দ্রিয় দ্বার পথে যাহাকিছু উদয়-বিলয় হয়;যথা চক্ষু দিয়া দৃশ্য,কর্ণ দিয়া শব্দ,মন দিয়া ভাব,জিহ্বা দিয়া স্বাদ,চর্ম দিয়া স্পর্শ,মুখ দিয়া কথা,নাক দিয়া ঘ্রান প্রভৃতি ধর্ম।কোরআন বলিতেছে,লা ইকরা ফি দ্বীন,ক্কাদ তাবাইয়ানা রুশদ মিনাল গাইয়ে অর্থাৎ ধর্মের মধ্যে ঘৃণা বা অবাঞ্জিত গুন মিশ্রিত নাই,নিশ্চয় ভ্রান্ত পথ হইতে সুপথের বর্ণনা বা প্রকাশ স্পষ্টভাবে করা হইয়াছে।অতএব প্রশ্ন,ধর্ম কিভাবে গ্রহন করিলে ভ্রান্ত পথ হইতে সুপথ গ্রহন করা যায় ।
ইন্দ্রিয় পথে আগত ধর্মরাশি এক এক করে সালাত বা ধ্যানের মাধ্যমে হিসাব করা, জেন একটি বিষয়ও অজ্ঞাতভাবে গননার বাহিরে মন-মস্তিস্কে প্রবেশ করিয়া মোহের কলুষ কালিমার ছাপ ফেলিতে না পারে। এইরূপে ধর্মগুলিকে পুংখানুপুংখভাবে সালাতের মাধ্যমে মন-মস্তিস্কে মোহের ছাপ ফেলিতে না দিলে,যাকাত হইয়া যায়।অর্থাৎ শুদ্ধ হইয়া যায়।ধর্মের মোহে আকৃষ্ট হইলে উহা শেরেক এবং ধর্ম হয় মিথ্যায়িত।”
জনাব,আপনি সহ মুক্তমনার সম্মানিত লেখক মহদয়ের নিকট আমাদের বা মুক্তমনার পাঠকের অনুরুধ রইল,আপনারা যেন কোরানের অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রচলিত ভাবধারা পরিহার করে মুক্তমন নিয়ে নিজস্ব বা বিশুদ্ধ একটি কোরাননুবাদ করে ব্যাখ্যায়িত করেন তাহলে আমাদের বিশ্বাস তা আমাদের জন্য সুন্দর ও ভাল হবে……।
@শামিম মিঠু,
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক কুরআনের অনুবাদটি আপনার নজরে কতটুকু গ্রহনযোগ্য।নিজে আরবি ভাষা শিখে অনুবাদ করে পড়াটা অনেক সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার এক্ষেত্রে দেখা যাবে জানার আগ্রহই স্থবির হয়ে যাচ্ছে এক্ষেত্রে কি করনীয়??
@সত্যের সাধক,
“বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক কুরআনের অনুবাদটি আপনার নজরে কতটুকু গ্রহনযোগ্য।নিজে আরবি ভাষা শিখে অনুবাদ করে পড়াটা অনেক সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার এক্ষেত্রে দেখা যাবে জানার আগ্রহই স্থবির হয়ে যাচ্ছে এক্ষেত্রে কি করনীয়??”
এখানে আমার দৃষ্টিতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য,সেটা কোন প্রশ্ন না।গ্রহণযোগ্য নির্ভর করছে ইসলামিক ফাউন্দেশনের কার্যক্রমের উপর অর্থাৎ কি প্রক্রিয়া বা ভিত্তিতে কোরান অনুবাদ করছে?তা শাব্দিক(আখখরিক)অনুবাদ না ভাবানুবাদ?
কোরান নাজেল হল ইসলামিক আস্তিক সমাজের নবী মোহাম্মদ আঃ উপর আর সে কোরানেরনুবাদ বা ব্যাখ্যাকারী তারা!তারা যেন কোরান দাতা,তাই তারা এর ব্যাখ্যার অধিকার রাখে। এরূপ হওয়াতে কোরানের সম্পূর্ণ মিথ্যা ব্যাখ্যায় জগতের ধর্মীয় সাহিত্য ভরপুর এবং তা পাঠ করে আবার অসংখ্য তথাকথিত আলেম বা শিক্ষিত সমাজ তৈরি হচ্ছে। আগাগোড়াই একটা মিথ্যার প্রবাহ। এ মিথ্যা দিয়ে জগত চলছে।সত্য কি,জগত জানে না। জগত জোড়া আলেম-সমাজ মিথ্যা বলে যাচ্ছে,লেখেও যাচ্ছে।এবং মিথ্যার ধারক-বাহক ও প্রচারক এ আলেম-সমাজ এবং তারাই সমাজের,রাষ্ট্রের এবং বিশ্বের নেতৃত্বে রয়েছেঃ সেহেতু বিশ্বের মানুষকে তারা ছলে-বলে,কৌশলে মিথ্যার অতল তলে ডুবিয়ে রাখছে।মিথ্যার ধারক-বাহক আলেম-সমাজ মানুষকে কাল্পনিক স্বর্গ পাঠায় আর তাদের না মানলে কাল্পনিক নরকে পাঠায়। অথচ এ অন্ধ,মূর্খ আলেম-সমাজ স্বর্গ-নরকের চিহ্ন মাত্র দেখল না।
কোরান গবেষক সদর উদ্দিন আহমদ চিশতির মতে,”হেরা গুহাকে অবলম্বন করে কোরানের আগমন।হেরা গুহায় প্রবেশ করে ধ্যানস্থ না হলে কেউ সত্য উদ্ধার করতে সক্ষম হবে না। অতএব যিনি হেরা গুহায় প্রবেশ করেছেন তিনি সত্যুদ্ধারকারি সাধক হয়েছেন বা হবেন। এ হেরা গুহা প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে। যেহেতু এ হেরাগুহা হল একমাত্র জ্ঞান কেন্দ্র এবং আর এ জ্ঞান কেন্দ্র প্রত্যেক মানুষের নিজের মধ্যেই বিরাজিত সেহেতু আত্মদর্শনে নিমজ্জিত না-হয়ে যে তফসিরই লেখা হোক না কেন তা বাহির হতে আহরণ করা তফসির হবে,আত্মদর্শনের দ্বারা নির্ণীত সঠিক জীবন দর্শনমূলক তফসির হবে না। অতএব সত্যুদ্ধারকারি প্রজ্ঞাময় সাধনের দ্বারাই কোরানের সঠিক অনুবাদও ব্যাখ্যা হওয়া সম্ভব। ঐরূপে সাধক ছাড়া অন্যের দ্বারা বিজ্ঞানময় করানের(কোরানুল হাকিম)অনুবাদ ও ব্যাখ্যা ত্রুটিপূর্ণ। এ কারণে শুধু ভাষাবিদ পণ্ডিতের তফসির কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়,যদি তা উক্তরূপ কোন সাধকের অভিব্যক্তি হয়ে না থাকে। দীর্ঘ দিনের ধ্যান-জনিত সালাতের(মানুসিক ব্যয়াম)মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জিত হয় সে-ই জ্ঞানে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকেও কোরানের তফসির করার অধিকার দেওয়া হয় নাই(৩ঃ৭ দ্রষ্টব্য)”
এ প্রাসঙ্গিক নজরুলের “সাম্যবাদী” কবিতার অংশবিশেসঃ
“তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,
সকল শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রাণ!”
আস্তিক সমাজের মতে,”কোরান দুধরনেরঃ১।কোরানের নাতেক বা সবাক কোরান(জ্যান্ত-কোরান)২।কোরানের মন্তেক বা পাতার কোরান(ভাষার কোরান)।কোরান জীবন বিধান নয় বরং জীবন দর্শন। সালাত এ দর্শন জ্ঞানের উৎস;কোরান-দর্শনে যিনি(নাতেক-কোরান) পরিপক্ক তিনি যখন যে বিধান যাকে দান করবেন তা তখন তার জন্য কোরানের বিধান। বিধান পরিবর্তনশীল কিন্তু দর্শন অপরিবর্তনীয়।কোরান হল কেতাব(মানব-দেহ)কে পরিচয় করার জন্য কিছু কথার সমষ্টি।”
আপনাকে ধন্যবাদ,আপনি ভাল থাকবেন।
@শামিম মিঠু,
আমি বিশেষভাবে এই অনুবাদটার কথা বললাম কারন এখানে অনেকজন মিলে অনুবাদটা করা হয়েছে।একক অনুবাদ পুরোপুরি সঠিক হওয়াটা কঠিন।আর এটাতে confusion সৃষ্টিকারী শব্দগুলো নিচে টিকা আকারে দেওয়া আছে।আপনার ধারনামতে কুরআন পুরোপুরিই রূপক নাকি আংশিক আক্ষরিক আংশিক রূপক,কোনটা???
কুরআন কেন রূপক হবে??? রূপক মানেই confusion, রূপক মানেই ভিন্নঅর্থ প্রকাশ।কুরআনকেতো সহজভাবে নাযিল করা হয়েছে এবং সকল মানুষের জন্য নাযিল করা হয়েছে শুধু মাত্রতো আরবদের জন্য নয়।আর যেটা আম সেটা আরবিতে বললেও আম বাংলাতে বললেও আম।নবীকে যদি সতর্ককারীরূপে পাঠানো হয় তাহলে রূপক জিনিষ পাঠায়ে confusion সৃষ্টি করার মানেটা কি??
আর এক একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে যখন আয়াত নাযিল হয়েছে তখন সেটা কেন রূপক হবে???
রূপক ই যদি হতে হবে তাহলে সকল সূরা একসাথে কেন নাযিল হলোনা???
রূপকের ব্যাখ্যাতো অনেক রকম হতে পারে তাহলে তা দেখে একজন অমুসলিম কিভাবে মুসলিম হবে কোনটাকে সঠিক বলে ধরে নিবে।রূপক জিনিষ পেয়ে কেও বিভ্রান্ত হলে তার জন্য কেন তাকে দায়ী হতে হবে???
@সত্যের সাধক,
” আপনার ধারনামতে কুরআন পুরোপুরিই রূপক নাকি আংশিক আক্ষরিক আংশিক রূপক,কোনটা???
কুরআন কেন রূপক হবে??? রূপক মানেই confusion, রূপক মানেই ভিন্নঅর্থ প্রকাশ।”
রূপক ভাষার ব্যবহার যে কোন উচ্চ মার্গের সাহিত্যের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য। এতে সাহিত্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাই। কোরানের ভাষা সাহিত্যে ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটে নাই। বরং ব্যাপকভাবে রূপক ভাষার লক্ষ্য করা যায়। সুরা আল-ইমরানের ৭নং বাক্যটি লক্ষ্য করলে দেখবেন, তাতে একটি কথা বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য। কেতাবের নিদর্শন বা পরিচয় দুপ্রকার। এক প্রকার হল আদেশমুলক, যা “প্রকৃতির আইন” অর্থাৎ আদেশকৃত নির্ধারিত নিয়ম, যা নিয়তই
যথারীতি সংঘটিত হচ্ছে। কোরানুল হাকিম কেতাবের পরিচায়ক। এজন্য কোরানের কথার মধ্যেও কেতাবের পরিচয়ের দুপ্রকারেরঃ
১। বিশ্বপ্রকৃতি এবং জীবপ্রকৃতির মধ্যে (অর্থাৎ কেতাবসমূহের মধ্যে) আল্লাহ্(?) কর্তৃক আদেশকৃত নির্ধারিত নিয়মগুলি হল কেতাবের মোহকামাত(laws of nature and laws of transformation of the living being)। কোরানের মোহকামাত হল জীবন বিধাননুসরনের সরাসরি আদেশ ও নিষেধ ।
২। রুপকভাবে তুলনার অবতারনার করে এক কথাদ্বারা অন্য কথা বুঝাবার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতি মোতাশাহেবা। আল্লাহ্ এবং তার মনোনীত খাস ব্যক্তিগন যাঁদেরকে জ্ঞানের উপর সুপ্রতিষ্ঠ করেছেন তাঁরাই কেবল রূপক কথার সঠিক পরিচয়দান করতে সক্ষম। তাঁদের হতে ব্যাখ্যা গ্রহণ না করলে কোরানের ও কেতাবের কোনও ব্যাখ্যাই সঠিক হবে না। তাঁরা ব্যতীত অন্য সবার অন্তরে বক্রতা রয়েছে। সঠিক পথে চিন্তাধারা পরিচালনা করার শক্তি যাঁদের নাই, ধর্ম চালনার অধিকার তারা হস্তগত করে রাখলে ধর্মজগতে “ফেতনা” অর্থাৎ অবাঞ্জিত আপদের সৃষ্টি হয়ে থাকে।কোরানের এ মন্তব্য ইসলাম ধর্ম বিষয়ে সর্বাংশে প্রযোজ্য। রূপক কথা না বুঝবার ফলে যে সকল আপদ ও আবর্জনা স্তূপীকৃত হয়েছে তার দুর্ভোগ আমাদের ভুগতেই হবে।
রূপক গ্রহণ না করে শুধু “মোহকামাত” এর ধারা গ্রহণ করলে ধর্মের প্রকাশ মাধুর্যপূর্ণ হত না এবং তাতে জনসাধারণও ধর্ম গ্রহণ করত না। সর্বসাধারণের নিকট হতে অনেক কথা প্রচ্ছন্ন থাকবার প্রয়োজন ছিল এবং এখনও আছে।এছাড়া ভাব-গাম্ভীর্য সৃষ্টি করে সর্বসাধারণের চিন্তা-চেতনা হতে অর্থাৎ ইতর জনতা হতে কৌশলে সহিত এর তথ্য ও তত্ত্ব দূরে রেখে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে।রূপকের ব্যবহার প্রচছন্নতা সৃষ্টিএবং সাহিত্যে সৃষ্টি বিষয়ে অত্যন্ত উপযোগী।
ধর্ম অল্প কয়েকজন জ্ঞানী ব্যক্তির পরিচালনায় অব্যশই থাকতে হবে। কিন্তু আজ লক্ষ লক্ষ তথাকথিত আলেম নামধারী ব্যক্তি এর ধারক-বাহক সেজেছে।
নিচে কিছু রূপক দর্শনের ব্যবহার দেখনো হলঃ
কোরানের অনেক গুলিসুরার নামের ক্ষেত্রে রূপক ব্যবহার দেখা যায়। যেমন, আনাম, ফিল,বাকারা,হিজর, আনকাবুত প্রভৃতি।
আনাম অর্থ পশু তাহলে কোরান কি পশুর জন্য?
কোরান মানুষকে গৃহ পালিত পশু বলে সম্বোধন কেন করেছেন?
এরূপে অনেক কথা আছে, সময়ের সল্পতা জন্য বিস্তারিত লেখতে পারলাম না, এজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।তবে উল্লেখ থাকে যে উপরুক্ত ভাস্যগুলি আস্তিক সমাজের বিভিন্ন বই-পুস্তক হতে সংগৃত।
আপনি ভাল থাকবেন।
@শামিম মিঠু,
তিনিই তোমার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ন করেছেন যার কতক আয়াত মুহকাম এইগুলি কিতাবের মূল,আর অন্যগুলি মুতাশাবিহ।যাদের অন্তরে সত্য লংঘন প্রবনতা রয়েছে শুধু তারাই ফিৎনা এবং ভূল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে মুতাশাবিহাতের অনুসরন করে।আল্লাহ ব্যাতীত্অন্য কেহ ইহার ব্যাখ্যা জানেনা।আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে,’আমরা ইহা বিশ্বাস করি,সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে আগত’;এবং বোধশক্তিসম্পনেরা ব্যতীত অপর কেহ শিক্ষা গ্রহন করেনা।(3:7)
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহ যেহেতু তার ব্যাখ্যা জানেনা তাহলে সেটা কুরআনে থাকার কি দরকার ছিল।কুরআনতো মানুষের জন্যই পাঠানো। বরন্চ ইহা থাকাতে বিভ্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বিপথে যাবার ঘটনা বাড়বে এটা কি আল্লাহ জানতনা?? জ্ঞানীরা কিসের ভিত্তিতে এটা গ্রহন করবে সেটা বোধগম্য হলনা।
”রূপক গ্রহণ না করে শুধু “মোহকামাত” এর ধারা গ্রহণ করলে ধর্মের প্রকাশ মাধুর্যপূর্ণ হত না এবং তাতে জনসাধারণও ধর্ম গ্রহণ করত না। সর্বসাধারণের নিকট হতে অনেক কথা প্রচ্ছন্ন থাকবার প্রয়োজন ছিল এবং এখনও আছে।এছাড়া ভাব-গাম্ভীর্য সৃষ্টি করে সর্বসাধারণের চিন্তা-চেতনা হতে অর্থাৎ ইতর জনতা হতে কৌশলে সহিত এর তথ্য ও তত্ত্ব দূরে রেখে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে।রূপকের ব্যবহার প্রচছন্নতা সৃষ্টিএবং সাহিত্যে সৃষ্টি বিষয়ে অত্যন্ত উপযোগী।”
আল্লাহতো পথ প্রদর্শনের জন্য কুরআন পাঠাইছে সাহিত্য সৃষ্টিতো উদ্দেশ্য নয়।আর ঐ সময় জনসাধারন ভয়ে ও লোভে ধর্ম গ্রহন করেছে যা হাদিস ও কুরান থেকে জানা যায়।প্রচ্ছন্ন থাকার ফল বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা।
আর যে আয়াতগুলি থেকে সত্য বের হয়ে আসে সেগুলোকে রূপক বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হয়।আর বলা আছে আল্লাহর প্রতিটা নির্দেশকে মানতে এবং নবীকে মানলেই আল্লাহকে মানা হবে এবং কুরানের কিছু অংশকে স্বীকার এবং বাকি অংশকে অস্বীকার করা যাবেনা।তাই সঠিক হলে পুরোটা সঠিক হবে একটা অংশ নৈতিকতা বিরোধী,অপ্রমানযোগ্য হলে পরোটাই ভূয়া মনূষ্যরচিত হবে।
লেখা বরাবরের মতোই অসাধারণ ! উপরে যেহেতু প্রসঙ্গটা এসেছে তাই না বলে পারছিনা, মুক্তমনা লোড নিয়ে বেশ প্রব্লেম হচ্ছে। সেদিন এক বন্ধুকে(আস্তিক) কিছু লিঙ্ক দিলাম মেসেজ করে, পরদিন সে আমাকে ফোনে বেশ বিদ্রুপের সা%E
সেই ইহুদি কি বেঁচে ছিলেন তার কাছ থেকে বন্ধক ছোটানোর আগ পর্যন্ত , না কি ইহাও লীলাকেত্তন?? 😛
খুবই ভালোলাগলো। :guru:
আর সাইট এর ব্যাপারে আমিও সমস্যায় পড়ি, কিছুদিন না ঢুকতে পেরে তো ভাবলাম যা হ্যাক হয়ে গেল কি না ?
যাই হোক ওয়ালের সিস্টেমটা পছন্দ হইল না।
@ভবঘুরে
আপনারই প্রবন্ধ হতে:
বংগানুবাদ কোরান হতে উপোরোক্ত আয়াতটির আগে- পরে পড়ে দেখতেছিলাম। তখন ঐ ছুরারই ৮নং আয়াৎটির প্রতি আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হইল। নীচে উক্ত আয়াতটি লক্ষ করুন। এখানে আল্লাহ কে “তিনি”বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাও ১বার বা ২বার নয়। একেবারে পরিস্কার ভাবে পর পর ৩ বার।
এটা যে নবিজী নিজে বলতেছেন তাতে কী আর কিছু অপরিস্কার থাকে?
কী বোঝেন?
আয়াৎটি তাহলে দেখুন।
৪৪:৮
ধন্যবাদ
ভাল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এত দিন সাধে কি আর বলে আসছি যে কোরান হাদিস যদি কোন ব্যক্তি নিজের মাতৃভাষায় পড়ে সে ঐ কিতাব দুটি সম্পর্কে আগের ধারণা আর রাখতে পারবে না। বিশেষত: কোরান যে কোন আল্লাহর কিতাব নয় সেটা সে নিজেই বুঝতে পারবে যদি তার সামান্য একটু সাধারণ জ্ঞান থাকে। কোন এক অজানা অখ্যাত আবুল কাশেম বা ভবঘুরের লেখা পড়া লাগে না। এখন দেখুন আপনিও সেটা ধরতে পারছেন। মোল্লারা কি আর সাধে বলে যে কোরান পড়ার ফজিলত শুধুমাত্র আরবীতে পড়লেই ? অথচ কিছুকাল আগেও আপনি মনে প্রানে বিশ্বাসী একজন মানুষ ছিলেন চোখ বুজেই আপনি বিশ্বাস করতেন কোরান হলো আল্লাহর কিতাব, এতে কোন ভুল নেই। তাই সকল মুসলমান ভাই বোনদের প্রতি অনুরোধ, তারা যা বিশ্বাস করে আসছে তা যেন একটু পড়ে দেখে।
ওঁৎ পাতা লূটেরা গুণ্ডাদের সাথে শুরুতে তা হলে লোকটার কি আর পার্থক্য থাকলো? অন্য সব লূটেরা বদমাশদের মতই লূট, ভাগ আর ভোগ করে দল তৈরী করতে শুরু করলো!
লূটের ধন হালাল করা, গুন্ডাশক্তি আর ঐশী বানী দিয়েই আশেপাশের মানুষদের বোকা বানানো শুরু করলো। সে জন্যই কি ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে ঐশী বানী দিচ্ছিলো এই রকমঃ
সূরা আনফাল, আয়াত ৬১-৬৯
8:67 নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর, অথচ আল্লাহ চান আখেরাত। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা।
8:68 যদি একটি বিষয় না হত যা পূর্ব থেকেই আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করছ সেজন্য বিরাট আযাব এসে পৌছাত।
8:69 সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান।
এটুকুতেই বোঝা যায় যে লূটের জিনিষপত্র ভাগ ভোগ দিয়ে নব্য দস্যূদল ভালোই চালিয়েছে সে। পরে অবশ্য মুমিনদের মালেও ভাগ বসিয়েছে। সেটা নিয়ে আবার না’হয় লেখা যাবে, কি বলেন?
আমি রীতিমত আমার ইন্টেরনেট প্রভাইডারকে হুমকি দিছিলাম আমি কনেকশান বাদ দিয়ে দেব। বেচারারা কিছু করতে পারে নাই। সমস্যা বাধাইছে মুক্তমনা নিজে। এই ঝামেলার কারনে আইপি আড্রেস নিয়া গবেষণা কইরা যা বুঝছি মুক্তমনার আইটি এক্সপার্ট রা নেহাত পোলাপান । মাথা ব্যাথা মাথা কাটো। আমার মাথা গরম হইয়া আছে। নেশা ধরাইয়া মাল সাপ্লাই বন্ধ কইরা দিছে। গজব পড়ুক ।
@ভবঘুরে,
FIRE FOX ও RESTART কোনটাতেই সুবিধা হচ্ছেনা।
আপনারই প্রবন্ধ হতে নীচের মক্কী আয়াৎটি পরবর্তি ২টি মদনী আয়াতের সংগে মারাত্বক সাংঘর্ষিক।
তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬
পরবর্তি মদনী আয়াৎ ২টি লক্ষ করুন।
৯:৫
৩:৮৫
এখানে মক্কী ও মদনী আয়াতের উদ্দেশ্য ও মনোভাব সম্পূর্ণ বিপরীত মুখী। যদি ভিন্ন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতের জন্য হয়ে থাকে,তাহলে আল্লাহ পাক তো সৃষ্টির আদি হইতে সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত সমস্ত পরিপ্রেক্ষিত তার ভাল ভাবেই জানা। কাজেই তার নির্দেশটাও তো এমন একটি সাধারন নির্দেশ হবে যেটা সর্ব কালের এবং সর্ব স্থানের জন্য প্রযোজ্য হইবে।
ক্ষনিকে এক ধরনের সিদ্ধান্ত আবার আবার পরিস্থিতি একটু পরিবর্তিত হলে আবার আর এক ধরনের সিদ্ধান্ত এটা নিতান্ত দুর্বল ও অজ্ঞ মানব জাতির কারবার।
সর্বশক্তিমান ও সর্বোজ্ঞ আল্লাহ পাক এটা কেন করতে যাবেন? তারতো নির্দেশ থাকবে মাত্র একটাই যেটা হবে একেবারে নিরেট ও সর্বকালের জন্য নির্ভূল ও প্রযোজ্য।
কী বলেন
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান আমি আর কি বলব, যা বলার আপনিই তো বলে দিলেন।
তবে কোরানে Abrogation বলে একটা বিষয় আছে এর আলোকে কোরানে একই বিষয়ে পূর্বে যা নাজিল হয়েছিল, পরবর্তীতে একই বিষয়ে যদি অন্য আয়াত নাজিল হয় তাহলে পরবর্তীতে নাজিলকৃত আয়াতটি কার্যকরী হবে। তার অর্থ- মদিনাতে নাজিলকৃত আয়াতে যা বলা আছে সেটাই কার্যকরী হবে এখন। এর মর্ম আশা করি বুঝেছেন। মর্ম হলো- শান্তির সব আয়াত বাতিল। মজার বিষয় হলো- ইসলামী পন্ডিতরা আলোচনার সময় এসব বিষয়কে গোপন রেখে শান্তির আয়াত গুলো আউড়িয়ে ইসলাম যে শান্তির ধর্ম এটা প্রমানের জন্য সরবে আওয়াজ তোলে। এখন আপনি আবিষ্কার করুন ইসলাম কতটা শান্তির ধর্ম।
এ বিষয়ে সত্ত্বরই সবিস্তারে আলোচনার আশা রাখি।
অনেক অজানা তথ্য জানলাম। ভবঘুরে ভাই যা করছেন, তার তুলনা নেই। মুক্তমনার লোডিং নিয়ে আমিও বাংলাদেশ থেকে একই সমস্যায় মাঝেমধ্যে পড়ি। ফায়ারফক্স ব্যবহার করি, কিন্তু মনে হয় DDOS এ্যটাকের শিকার মুক্তমনাকে নিয়মিতই হতে হয়। কি আর করা। আমার মনে হয় বাংলাদেশেও যদি মুক্তমনার কোন একটি সার্ভার থাকত, তাহলে আমাদের খুব উপকার হত।
শেয়ার করলাম।
মুক্তমনা সাইটের সমস্যা যদি ব্রাউজার হিসাবে ফায়ার ফক্স ব্যবহার করেন তাহলে কম হবে বলে মনে হয়। এ ছাড়া সমস্যা হলে পিসি টা একবার রি স্টার্ট দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। আমারও এটা মাঝে মাঝে হয় তবে রিস্টার্ট দিয়ে ঠিক করে ফেলি।
@ভবঘুরে,
আমার একই সমস্যা হয় ঘণ্টায় ৪/৫ বার। পিসি রি স্টার্ট কিভাবে দেব ভাই।অনেক লেখা পড়তেও পারি না। মন্তব্য পোষ্ট হয় না। মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষ কিছু একটা ব্যাবস্থা নিলে ভাল হত সবার জন্য
অপূর্ব।
পরে সুযোগ পেলে আরো মন্তব্য করব। মনে হচ্ছে,কোন একটি চক্র মুক্তমনায় কিছু লিখতে গেলে আমার কম্পিউটারে শুধু মাত্র মুক্তমনা SITE টি বিধ্যস্ত করে দিচ্ছে। এভাবে অন্যস্থান হতে কতদিন চালাতে পারব জানিনা। দেখা যাক।
অনেক পাঠকদের আগে দেখা যেত। এখন তাদের আর মুক্তমনায় দেখতে পাওয়া যায়না। সম্ভবতঃ তাদেরকেও এভাবে এই চক্রটি মুক্তমনা হতে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চকলাদার,
হ্যাঁ, একেবারে সত্য। উপরে দেখুন আপনাকে দেওয়া আমার উত্তর।
মুক্তমনাই একমাত্র সাইট যেখানে দো্যখের এক ভয়ংকর অগ্নিদেয়াল (ফায়ারওয়াল) দায় দাউ করে জ্বলছে এবং যে কেউ ঘন ঘন মুক্তমনায় যাতায়াত করেছে, রচনা পাঠাচ্ছে মন্তব্য আর মন্তব্য নিয়ে ঘ্যানর ঘ্যানর করছে—আল্লা পাকের, রসূলে করিমে এবং সাহাবাদের উলঙ্গ করে দিচ্ছে–তাদেরকে ঐ দোযখের আগুনে পুড়িয়ে ফেলছে।
কি আশ্চর্য্য—আল্লাহ্ যে সর্ব্বশক্তিমান তা মুক্তমনায়ই প্রমাণ করে দিল।
গত তিন সপ্তাহ যাবত মুক্তমনার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আজই আল্লাহ পাকের করুণায় মুক্তমনার সাথে যোগাযোগ হ’ল। এই যোগাযোগ কতদিন থাকবে জানি না। তাই পড়িক্ষামূলক ভাবে এই মন্তব্য পাঠালাম–দেখা যাক আল্লাহর গজব থেকে নিষ্কৃতি পাই কি না।
অর্ধেক পড়লাম। আল্লাহর মেহেরবানি থাকলে–মুক্তমনার সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকলে বাকী অর্ধেক পড়া যাবে এবং আনুসাঙ্গিক মন্তব্য করা যাবে।
তবে উপরের দুইটি মন্তব্য চমৎকার হয়েছে—বুঝা যাচ্ছে অনেক উন্নত মানের লেখকের চারণভূমি এখানে। খুবই আশার কথা।
@আবুল কাশেম,
সারাক্ষন আছেন আল্লাহর সাথে পাল্লা দেয়ার তালে, গজব পড়বে না আপনার ওপর ?
@ভবঘুরে,
আল্লাহ্র গজব শীঘ্রই আপনার উপর পড়বে। আল্লাহ পাক মুক্তমনায় বসিয়েছেন এক ভয়ংকর অগ্নি দেয়াল। সেই অগ্নি থেকে আপনি মুক্তি পাবেন বলে মনে হয় না। যে বেশী বেশী মুক্তমনায় যাতায়াত করবে–আর আল্লা, রসূল, সাহাবায়ে কেরাম, কোরান হাদিস, সুন্না নিয়ে ঘ্যানর ঘ্যনর করবে তাকেই এই বিশাল অগ্নি দেয়াল চারপাশে দিয়ে ঘিরে ধরবে আর পুড়িয়ে শিক কাবাব বানাবে।
@আবুল কাশেম,
সম্ভবতঃ মুক্তমনার সংগে আর যোগযোগ রাখতে সক্ষম হবেননা। আমারো একই অবস্থা।কোন একটি চক্র INTRNET EXPLORER SERVICE এ বসিয়া শুধু মাত্র”মুক্তমনা” SITE টিকে BLOCK , বিবর্যস্ত ,ও বিধ্যস্ত করে দিচ্ছে। আমি MICROSOFT ও INTERNET SERVICE PROVIDER এর সংগে আলাপ করে দেখেছি তারাও বলতে পারতেছেনা যে কেন শুধু মাত্র মুক্তমনা SITE টি আমার P.C.তে আসতে পারতেছেননা বা বিধ্যস্ত আকারে আসতেছে।
এটা পৌছাবে কিনা জানিনা।
@আঃ হাকিম চকলাদার,
এই সমস্যা শুধু আমার আপনার নয়–আরও অনেকেই এর ভুক্তভোগী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেল সমস্যা মাইক্রসফট কিংবা অন্য কিছুর নয়। সমস্যাটার গোড়ায় আছে মুক্তমনার সার্ভার যেখানে বসানো হয়েছে এক ভয়ংকর অগ্নি দেয়াল (ফায়ারওয়াল)। যে কেহ ঘন ঘন মুক্তমনা যাতায়াত করে তাকেই এই অগ্নি দেয়াল গ্রাস করে নিচ্ছে (অনেকটা ইসলামী দোযখের অগ্নির মতই বলা যায়)।
এই ফায়ার ওয়াল আপনার কম্পূটারের আই পি, ব্ল্যাক-লিস্টে (দোযখে) ঢুকাচ্ছে, যার জন্য আপনাকে মুক্তমনায় ঢোকায় বাধা দিচ্ছে।
আপনি নিজে যত চেষ্টায়ই করুণ এই সমস্যার কোন সমাধান পাবেন না। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হবে মুক্তমনা যারা চালায়–অর্থাৎ সার্ভারের ব্যবস্থাপককে ব্যক্তিগত ভাবে দেখতে হবে আপনার কম্পুটারের আই পি ব্ল্যাক লিস্টে আছে কি না। থাকলে তা সরিয়ে দিতে হবে। তা না করলে আপনার জন্য মুক্তমনা চিরদিনের জন্য হারাম।
এই সমস্যা মুক্তমনাকে যে বিপাকে ফেলবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। যদিও সদিচ্ছা যে হ্যাকারদের হাত থেকে মুক্তমনাকে বাঁচান, কিন্তু তা করতে গিয়ে হিতেবিপরীত। হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন, যত বেশী মুক্তমনা যে কেউ ব্যবহার করবে সেই হ্যাকারে পরিণত হবে এবং ঐ বিশাল অগ্নি দেয়াল তাকে গ্রাস করে ফেলবে।
ফলাফল খুবই পরিষ্কার–মুক্তমনা ঐ দোযখী অগ্নিদেয়াল না সরালে–সময়ের সাথে সাথে মুক্তমনার ভিজিটর কমে আসবে।
বলাবাহুল্য–এই সমস্যা আমি মুক্তমনা ছাড়া অন্য কোন সাইটে দেখি নাই। মুক্তমনাই একমাত্র সাইট যেখানে এই নারকীয় অগ্নি দাঊ দাউ করে জ্বলছে–সর্বগ্রাসী হয়ে।
আমি প্রস্তাব দিব আপনি মুক্তমনার অভিভাবকদেরকে আপনার সমস্যাটা জানান। অভিজতকে লিখুন। অভিজিত আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করে এই সমস্যার একটা সমাধান দিয়েছে। তবে ঐ ভয়ংকর দেয়াল আবার আমাকে গ্রাস করবে কি না জানিন না–কিছুদিন লক্ষ্য করব। এই সমাধান স্থায়ী হবে কী না আমি জানিনা—আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
দরকার হলে আপনি আমার সাথে ব্যক্তিগত ই-মেইলে এই ব্যাপারে আলাপ করতে পারেন। আমার ই-মেইল হচ্ছে–
[email protected]
অথবা
[email protected]
@আবুল কাশেম,
তো এই ফায়ার ওয়াল মুক্তমনা সার্ভারে সেট করল কে? মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষ নাকি বাইরের কেউ ?
@ভবঘুরে,
এই সর্বগ্রাসী অগ্নি দেয়াল বসিয়েছে মুক্তমনা–অর্থাৎ যারা মুক্তমনার কারিগরী ব্যাপার দেখাশোনা করেন। আমি কম্পুটারে নিরক্ষর বলতে পারেন। তবে আমি কিছু বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করে জানলাম এই ফায়ার ওয়াল কত বিপদজনক।
তবে আল্লাহও হয়ত বসাতে পারেন!
আর মুক্তমনার সার্ভার কিংবা ঐ সব যিনি দেখাশোনা করেন তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে, ঐ অগ্নিদেয়ালের জন্য মুক্তমনার অনেক ব্যবহারকারিই মুক্তমনা থেকে বঞ্চিত হবেন–অর্থাৎ মুক্তমনার ভিজিটর কমে যাবে। আর এই সব ব্যবস্থা (অর্থাৎ অগ্নিদেয়াল) বসানো হয়েছে মুক্তমনার নিরাপত্তার জন্য—হ্যাকারদের হাত থেকে মুক্তমনাকে রক্ষা করার জন্য।
আল্লাহ্র কী কুদরত।
ফলাফল হচ্ছে এই যে, যারাই মুক্তমনায় ঘন ঘন যাতায়াত করবে, মুক্তমনায় আল্লা বিল্লা নিয়ে ঘ্যানর ঘ্যানর করবে তাদেরকেই ঐ অগ্নিদেয়াল হ্যাকার সন্দেহে বন্দী করে নিবে—অর্থাৎ ব্ল্যক লিস্টে বসাবে এবং মুক্তমনায় ঢুকতে দিবে না। আমার নাম (কম্পুটার আই পি) এই ভাবেই হ্যাকার সন্দেহে ব্ল্যাক লিস্টে চলে যায়।
হায় আল্লাহ–তোমার লীলা বুঝা ভার।
@আবুল কাশেম,
ভাইয়া যদি ভিজিটরই কমে যায় তবে মুক্ত মনা কাদের জন্য বলুন?মানুষ যদি আপনাদের মুল্যবান লেখাগুলো পড়তেই না পারে তবে জানবে কিভাবে? 🙁 । আর এতে মুক্ত মনার যে সৎ উদ্দেশ্য ( মানুষ কে ইসলাম ধর্মের মিথ্যাচার সম্পর্কে সচেতন করা) আছে সেটাই তো ভণ্ডুল হয়ে যাবে।আপনারা ( যাদের অ্যাডমিন দের সাথে ভাল পরিচয় আছে) কি কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে কোন বিকল্প ব্যাবস্থার কথা চিন্তা করতে পারেন না যাতে সবাই উপকৃত হয়?আপনার মত এমন ভয়াবহ না হলেও আমিও অনেক সমস্যা ফেস করছি আর এ জন্যই অনেক লেখা পড়তে পারছি না। আজব ব্যাপার হল আপনার, আকাশ মালিক ভাইয়ের আর অভিজিৎ দার প্রোফাইল ওপেন করাই যায়না বলা চলে। প্রোফাইল ওপেন করলে লেখকদের লেখা গুলো খুব সহজেই খুঁজে বের করা যায়।
@অচেনা,
আপনার সাথে দ্বিমতের কোন উপায় নেই।
মুক্তমনা যাঁরা চালান তাঁরাই পারবেন এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান করতে। আমাদের মতো সাধারণ পাঠকের করার কিছুই নেই।
যারাই মুক্তমনার পিছে বেশী ঘুরাঘুরি করবে ঐ অগ্নি প্রাচীর তাদেরকেই হ্যাকার সন্দেহ করবে—তার আই পি ব্ল্যাক লিস্টে ঢুকাবে।
তাই মুকমনা কর্তৃপক্ষের উচিত হবে অহরহ ঐ ব্ল্যাক লিস্ট পরীক্ষা করা এবং কোন আপত্তিকর কিছু দেখলে সাথে সাথে তা সরিয়ে দেওয়া। আমি এই ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ। তাই আর বেশী কিছু লিখতে বা জানাতে পারছি না। আমি অনুরোধ করব আপনি মুক্তমনা যাঁরা দেখাশোনা করেন তাঁদেরকে আপনার সমস্যা জানান।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের কাছ থেকেই ই-মেইল পেয়েছি যাঁরা এই সমস্যার ভুক্তভোগী—সবাই বলছেন একমাত্র মুক্তমনাতেই এই সমস্যা বিরাজমান—আর কোন সাইটে এই সমস্যা দেখা যায় নি।
ভাই, আমি দুঃখিত—আমার করার কিছুই নাই; মুক্তমনাকে এগিয়ে আসতে হবে।
@আঃ হাকিম চকলাদার,
মজিলা ফায়ার ফক্স এ মুক্ত মনা ওপেন হয়। আমি এটা ব্যাবহার করি, কিন্তু আজকাল দেখ যায় যে প্রথমবার যে পেজগুলো ওপেন করি, সেগুলো পড়তে পড়তে অন্য কোন পেজ লিঙ্ক দেয়া থাকলে ওপেন হয় না। server not found দেখায়।এবং আবার ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট করে আবার কানেক্ট করলে আবার প্রথমের দিকে ওপেন হয়ে কিছুক্ষন পর একি সমস্যা আপনি বা কেউ কি বলতে পারেন কারনটা?আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে নেট সমস্যা, পরে দেখলাম যে সেই অবস্থায় সব সাইট এ ওপেন হচ্ছে সাবলীল ভাবে ( যেমন সচলায়তন), শুধু মুক্ত মনা ছাড়া কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। এর কি সমাধান নেই মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষের কাছে, যদি এটা সেইসব বদমাশ চক্রের কাজ হয়? মুক্ত মনা পড়তে না পারলে বিরাট কিছু হারিয়ে ফেলব আমি। অনেক কিছু জানতে পারছি, আর নিজেও মুসলিমদের সাথে এইগুলো প্রয়োগ করতে পারছি লেখাগুলো কে রেফফেরেন্সে হিসাবে দেখিয়ে।
এ ছাড়া মুহাম্মদের কোন উপায় ও ছিল না। সত্য হচ্ছে মুহাম্মদকে হত্যার গল্পটাই যে শুধু বানানো তাই নয়, কুরান-সিরাত-হাদিসের পর্যালোচনা করলে যে সত্যটা স্পষ্ট হয় তা হলো “মুহাম্মদকে তাড়ানোর গল্পটার” সপক্ষেও তেমন কোন প্রমাণ নাই। “তোমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তোমাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে” এ সমস্ত অস্পষ্ট (Non-specific) কথা-বার্তা মুহাম্মদ শুরু করেছে মদিনায় এসে (মক্কায় নয়)। বিশেষ করে নাখালায় তার প্রথম সফল ডাকাতির পর। বদর যুদ্ধের সময় এবং তার পরবর্তীতে এটা সে আরও জোরে শোরে প্রচার করতে থাকে। উদ্দেশ্য অনিচ্ছুক মুহাজিরদের ডাকাতি, হামলা-যুদ্ধ ও খুন খারাবীতে উদ্বুদ্ধ করা। তার এই ভিত্তিহীন অভিযোগই যদি তাকে এবং তার সাহাবিদের ‘বিতারনের প্রমাণ হয়’, তবে তাকে যে তাড়ানো হয় নাই তার সপক্ষে অনেক অনেক বেশি প্রমাণ আছে। যাতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে মুহাম্মদ নিজেই তার অনুসারীদের মক্কা ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন, কুরাইশরা নয়।
যেমন:
১) হিজরতে অনিচ্ছুক সাহাবীদের খুন করার হুমকি দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা (৪ঃ৮৯-৯১)
২) তাদের পিতা-মাতা-আত্মীয়স্বজনদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঐশী বানীর অবতারণা (৫৮:২২, ৯:২৩-২৪, ৩১:১৫, ৬০:১)
৩) হিজরতকারীদের পার্থিব সুখ-সম্পত্তি ও বেহেস্তের লোভ দেখানো, যেমন
তাই মদিনায় এসে যখন মুহাজিররা ‘পার্থিব সুখ-শান্তি’ কিছুই দেখতে পেল না। পরিবর্তে খাদ্য-বস্ত্র ও
বাসস্থানের জন্য পদে পদে তাদেরকে আনসারদের মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছিল, মুহাজিররা ক্রমান্বয়ে হচ্ছিল হতাসাগ্রস্থ । এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে মুহাম্মদ ‘কাফেলা ডাকাতির” পথটা বেছে নিয়েছিল। বিনা-পুঁজিতে সবচেয়ে দ্রুত সচ্ছল হবার একমাত্র পথ ‘অপরের সম্পত্তি লুট’। এ লুট-তারাজকে বৈধতা দেয়ার জন্য যথারীতি ঐশী বানীর অবতারণা করতেও দেরী হয় নাই।
মজার ব্যাপার হচ্ছে মুহাম্মদ এবং তার সাহাবিদেরকে কুরাইশরা ঠিক ‘কি অত্যাচার করতো‘ তা সুনির্দিষ্টভাবে (Specifically) কুরানের কোথাও উল্লেখ নাই। সমগ্র কুরানে কুরাইশরা কোন মুসলমানকে খুন করেছে, মরুভূমির মধ্যে বালিতে শোয়ায়ে রেখে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে (বেলালের গল্প) কিংবা কোন শারীরিক আঘাত করেছে এমন “একটি উদাহরণ ও নাই , Not a single one!” কিন্তু মুহাম্মদ (আল্লাহ) কুরাইশ ও অমুসলিমদের কিভাবে অভিশাপ দিয়েছে, হুমকি দিয়েছে, তাদেরকে বাড়িঘর থেকে উৎখাত করেছে, তাদের জান-মাল লুট করে ভাগাভাগি করেছে (১/৫ মুহাম্মদ +৪/৫ অন্যান্যরা) তার বিষদ বিবরণ কুরানে লিপিবদ্ধ আছে।
জলজ্যান্ত উদাহরণ, খাদিজার চাচাতো ভাই ‘ওয়ারাকা বিন নওফল’। মুহাম্মদের আগে মক্কায় “ধর্ম” নিয়ে মক্কাবাসিরা খুনাখুনি করেছে এমন ইতিহাস নাই।
না ভাই, মুহাম্মদকে এত নরম-হৃদয় ভাবার কোন কারণ নাই। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ পর পর তিনটি কাজ করেন:
১) প্রথমে ক্বাবার ভিতরে নামাজ আদায় করেন, তারপর
২) কুরাইশদের প্রত্যেকটা দেব-মূর্তিকে নিজ দায়িত্বে লাঠি দিয়ে ‘ভেঙ্গে টুকারা টুকরা করেন’, তারপর
৩) দশজন লোককে খুন করার সমন জারি করেন (যেখানেই তাদেরকে পাওয়া যাবে, এমনকি তা যদি ক্বাবা শরিফের মধ্যেও হয়’)। এই দশ জনের চার জনই ছিল মহিলা।
**Muhammad destroyed all the idols in Kaba
@ভবঘুরে,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। গবেষনালব্ধ আপনার এগুলো থেকে পাঠকরা ইসলামের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছেন, মুক্ত চিন্তায় উৎসাহী হচ্ছেন। (F) (F)
Correction:
গবেষনালব্ধ আপনার এ লেখা গুলো থেকে
@গোলাপ,
এ ধারনাটা আমি আপনার কাছ থেকে প্রথম জানতে পারি, পরে ভাল করে পড়াশুনা করে এর সত্যতা বুঝতে পারি। স্ত্রী খাদিজা ও চাচা আবু তালিব মারা যাওয়ার পর মক্কাতে মোহাম্মদ খুব অসহায় হয়ে পড়ে। এমতাব্স্থায় তার পক্ষে মক্কাতে ইসলাম প্রচার অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন তার ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য অন্যত্র যাওয়া ছাড়া গতি ছিল না। এটা শুধু মোহাম্মদ নয় দুনিয়ায় নবী ও অবতার নামধারী সকল মানুষের ক্ষেত্রেও প্রজোয্য। এজন্যেই বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- পীর ফকিররা নিজের গ্রামে ভিক্ষা পায় না।
তাঁর মক্কা ত্যাগের পিছনে উম্মে হানীর সঙ্গে মেরাজ কেলেঙ্কারীও একটা কারন ছিল বলে শোনা যায়। বিষয়টা এড়িয়ে গেলেন কেন?
মুহাম্মদের নিকটাত্মীয় দের মধ্য সম্পর্কের টানাপোড়নের যে চিত্র তুলে ধরেছেন- তা সব সময়ই মুমিন মুসলমানদের জন্য খুবই বিব্রত কর। তারা সাহাবীদের যে চমৎকার বর্ণনা দিয়ে ভক্তদের চোখে জল ভঁরে দেন, এসব হাদিস তাঁর সাথে যায় না। তাই এগুলি কেউ আলোচনায় আনে না।
আপনার আলোচনায় ফাতিমার গর্ভপাত আর অকাল মৃত্যুর বিষয়টা পরিস্কার হয় নি। শিয়া মতে উমর আবুবকরের পক্ষে আলীর বায়াত সংগ্রহে আলী বাড়ী অবরোধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে আলী সাড়া না দিলে তিনি ফাতিমার ঘরের দরোজা ভেঙে জোর পূর্বক প্রবেশ করেন, দরোজার ধাক্কাতেই ফাতিমা পড়ে যান ও মহসিন নামে এক মৃত সন্তানের জন্ম দেন। এই আধাতের ধকল তিনি আর সামলাতের পারেননি। তাঁর শরীর ভেঙে পড়ে ও অত্যত্ন দারিদ্রের মধ্যে তিন মাসের মাথায় তিনি মারা যান।
শিয়াগন এমনকি নবীজীকে বিষ প্রয়োগের ব্যাপারেও জনৈক ইহুদী রমনী নয় বরং স্বয়ং আয়েশকেই সন্দেহ করেন। কেননা খায়ববারের ইহুদী রমনী কর্তৃক বিষ মেশানো মাংস পরিবেশনের প্রায় তিন বৎসর পরে নবীজি মারা যান। তাই তিন বৎসর পরে তাঁর দেহে বিষক্রিয়া দেখা দিয়েছিল -এটা শিয়ামতে বিশ্বাস যোগ্য নয়। বরং আয়েশা আবুবকর উমর তালহা জুবায়ের গং এর সমন্বিত চক্রান্তই নবীর মৃত্যুর কারন হতে পারে বলে অনেক শিয়া বিশ্লেষক মনে করেন।
আপনার এবারের ডাকপত্র টি অসাধারন।
@মুরশেদ,
সব কথা আমি বললে আপনারা মন্তব্য করবেন কি নিয়ে ?
@ভবঘুরে,
মন্তব্য করার মনে হয় বিশেষ কিছু নেইও।আপনার এই সিরিজ টা গো গ্রাসে গিলছি বলতে পারেন। :-)।অসাধারণ লাগছে। এটা কত পর্ব পর্যন্ত চলবে?আমি আবার কয়েক পর্ব একসাথে পড়েই তৃপ্তি পাই বে
@ভবঘুরে, আগের মন্তব্য পুরো পোষ্ট হয় নি তাই আবার দিচ্ছি।
মন্তব্য করার মনে হয় বিশেষ কিছু নেইও।আপনার এই সিরিজ টা গো গ্রাসে গিলছি বলতে পারেন। :-)।অসাধারণ লাগছে। এটা কত পর্ব পর্যন্ত চল%E
@ভবঘুরে, @ভবঘুরে, আগের মন্তব্য পুরো পোষ্ট হয় নি তাই আবার দিচ্ছি।
মন্তব্য করার মনে হয় বিশেষ কিছু নেইও।আপনার এই সিরিজ টা গো গ্রাসে গিলছি বলতে পারেন। :-)।অসাধারণ লাগছে। এটা কত পর্ব পর্যন্ত চলবে?আমি আবার কয়েক পর্ব একসাথে পড়েই তৃপ্তি পাই বেশি। তাই একটা ধারনা থাকলে আপনার সবগুলো পর্ব প্রকাশ হবার পরে একসাথে সিরিজের বাকি অংশ পড়তাম।
যেসব যুদ্ধবন্দিনীদের গনীমতের মাল হিসেবে দখল করা হত তাদের ক্ষেত্রেও কি এক-পঞ্চমাংস মোহাম্মদ ভোগ করত?
@অ বিষ শ্বাসী,
সে তো বলাই বাহুল্য। আতর্কিতে খায়বার আক্রমন করে সেখানকার ইহুদিদেরকে মেরে কেটে সাফ করে তাদের নারী ও শিশুদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়, মোহাম্মদের ভাগে পড়ে ইহুদি সর্দারের স্ত্রী সাফিয়া, যেদিন সাফিয়ার স্বামী, বাপ, ভাই সবাইকে কচুকাটা করা হয় মোহাম্মদ সে রাতেই সাফিয়াকে নিয়ে রাত কাটায় , পরদিন তাকে বিয়ে করেন। এখন বুঝুন ঠেলা। কিভাবে একটা মানুষ একটা নারীর স্বামী , পিতা , ভাই সহ সব আত্মীয় স্বজনকে যে দিনে নির্মমভাবে খুন করে সেই নারীর সাথে সেই রাতেই রাত কাটাতে পারে ? অবশ্য ইসলামী পন্ডিতরা একে মোহাম্মদের বিশাল মহানুভবতা হিসাবে প্রচার করে। বলে- তখন সাফিয়া ছিল নিরাশ্রয়, মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করে তাকে আশ্রয় ও সম্মান প্রদর্শন করেন।
শয়তানের আয়াত সম্পর্কে দয়া করে কেহ কিছু কি জানাবেন?
@আবুল হোসেন মিঞা,
শয়তানের আয়াত সম্পর্কে জানতে চাইলে সিরিজের ২য় পর্ব পড়তে পারেন।