ধার্মিকেরা সর্বদাই দাবী করে ধর্মচারন করে সুখ পাওয়া যায়। ইবাদত বন্দেগী কিম্বা পূজা অর্চনা করার পরে মনে নাকি এক ধরনের ঐশী প্রশান্তি অনুভূত হয়। তা অপার্থিব। সে অনুভুতি প্রকাশ যোগ্য নয়। অধার্মিকেরা কিম্বা নাস্তিকেরা তার মর্ম কখনই বুঝবে না।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ দাবী। ঈশ্বর তার ভক্তবৃন্দের জন্য স্বর্গ থেকে সুখ পাঠিয়ে দেন। সেই সুখে বিশ্বাসীগণ ভড়ে ওঠেন কানায় কানায়। আর অবিশ্বাসীগণ কেবল অশান্তিতে ডুবে দাপাদাপি করে মরে। অবিশ্বাসীগণের জন্য দুঃখ হয়।
খুব জানতে ইচ্ছে করে স্বর্গ থেকে কে সেই সুখ পাঠান? আল্লা, ভববান, গড, জেহোভা নাকি অন্য কেউ? নাকি সবাই। যার যার ভক্তের কাছে সেই সেই ঈশ্বর সুখ নাজেল করেন? তবে কী সব ঈশ্বরই স্বর্গ ভঁরে রয়েছেন? তারা তাদের ভক্তের নানাবিধ বিচিত্র রীতি-পদ্ধতির প্রার্থনা শোনেন আর বিনিময়ে তাদেরকে সুখী করেন? কেননা সব ধর্মের সব ধার্মিকেরাই তো সেই অত্যাশ্চার্য সুখ ভোগ করেন বলে দাবী করে চলেছেন।
প্রার্থনার সেই সুখ দেখবার জন্য ছেলেবালা থেকেই উবুর হয়েছি হাজার বার। প্রহরে প্রহরে। দিনে রাতে। সপ্তায় সপ্তায়। আর সব পুন্য রজনীতে। আমি পাইনি। আমার উবুর হওয়াটা হয়তো ঈশ্বর গ্রহন করেননি। আমি হতভাগা। কিন্তু ভাগ্যবান কে?
আমার শাশুড়ি? দিনে রাতে কত ওক্ত উনি নামাজ পরেন, মনে হয় ঈশ্বরও মনে রাখতে পারবে না। জায়নামাজ তার বিছানোই থাকে। নানাবিধ শারীরিক সমাস্য ভুগছেন। ডাক্তার তাকে রাতে ঘুমুতে বলেছেন। কিন্তু তিনি তো ঘুমনোর বান্দা না। তিনি রাতের পর রাত জেগে ঈশ্বরকে খুশী করে চলেছেন।
কিন্তু আল্লাপাক তাকে খুশী করছেন বলে মনে হয় না। তিনি একজন অসুখী মানুষ। তার দুঃখের শেষ নেই। সংসারে কে কখন একবেলা উবুর হতে ভুলে গেছে – তো তিনি অসুখী হন। তিনি অশান্তিতে থাকেন বউঝিরা স্টার প্লাসে নাটক দেখলে। নাটকে পুজো দেখায়। পুজো দেখা হারাম। পিস টিভি কেউ দেখে না বলে তার দুঃখের শেষ নেই।
তিনি সর্বাপেক্ষা অসুখী থাকেন রমজান মাসে। প্রতিদিনই বাড়ীর বউয়ের সাথে তর্ক হয়। তর্কটা দুপুর গড়ালে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তবে ইফতারটা শান্তিপূর্ণ। দানাপানি পেটে ঢুকলে পরে আল্লাপাক একটু একটু করে প্রশান্তি পাঠাতে থাকেন।
হেকমত উল্লা। ছেলেবেলায় দেখা মহল্লার সবচাইতে প্রভাবশালী অসুখী মানুষ। মহল্লার কোন বেগানা নারী কবে বুরখা ছাড়া ঘর থেকে বের হয়েছে তিনি তার খোজ রাখতেন। কবে কে সিনেমা দেখতে গেছে, কার ছেলে সারাদিন সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়, নামাজকালাম নেই, কোথায় যাত্রার আসর বসেছে- সবই তার দুশ্চিন্তার কারন। তিনি সর্বদা অসুখী থাকতেন- কেননা দেশময় মানুষেরা হাসে, খেলে, মেয়েরা দাপাদাপি করে ছুটে বেড়ায়। যুবকেরা জিকির ফিকির করার চাইতে বাংলা কিম্বা হিন্দি গানের কলি আওরাতেই বেশী উৎসাহী। মহিলারা পোলাপান হতেও হাসপাতালে যায়! সবই নাসারাদের ষড়যন্ত্র!
এলাকায় টেলিভিশন এলো। আরেক গজব। পাড়ার ছেলেরা সেখানে টিভি দেখে। মহিলারাও দলবেঁধে সেখানে যায়। মহিলাদের নানারকম হাঁসিতে শব্দে আল্লার আরশ কেঁপে ওঠে। হেকমত উল্লা কাউকেই আর বেধে রাখতে পারেন না। এমনকি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও না! ( উল্লেখ্য তাঁর প্রথম স্ত্রী কোন এক মাঝ রাতে কুয়োয় পরে মারা গেছিল। মাঝরাতে কেন তিনি জল তুলতে গেছিলেন, এই প্রশ্নের কোন সুরাহা না হলেও তিনি অতি দ্রুত তার শালিকাকে বিয়ে করে পরিস্থিতি সামাল দেন)। তার এই বিবি তাকে সুখ না দিলেও, হেকমত উল্লা গোটা এলাকার মানুষকে তাঁর শাসনের মুখে রাখলেও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে কখনই কোন ব্যপারে ঘাটাননি !
আমার ধার্মিক স্বজনদের বেশ আত্ন তৃপ্তি পেতে দেখেছি, যখন কোন হিন্দু আমাদের বাসায় গোপনে গরুর গোস্ত বেশ মৌজ করে খেত। হিন্দুকে গরু খাওয়াতে পারলে মনে হয় ইসলামের বিজয়ানুভুতি জাগ্রত হয়। তারা হিন্দুর গোমাংস ভক্ষন দেখে সুখ পেত। কিন্তু আমি দুঃখ পেতাম। গরু খাওয়া হিন্দুদের হিংসে হত। তারা স্বাধীন হয়েছে। আমি কবে স্বাধীন হব? কবে শুকুর খাব, কচ্ছপ খাব, মদ্যপান করব!
অবশ্য হিন্দুরাও কম যায় না। কয়েকমাস আগের কথা। আমার অফিসে (ব্যাংকে) এক হিন্দু মহিলার সাথে কথা হচ্ছিল। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। আলোচনার বিষয় হজরত মুহাম্মদ। তিনি আমাকে খুশী করার জন্যে বললেন- দেখুন মুহাম্মদের মত শান্তিকামী মানুষ জগতে কয়জন আছে? তিনারা সারাজীবন জগতে কেবল শান্তি্র বানীই দিয়ে গেছেন! অহিংসার কথা বলেছেন!
আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেমন শান্তি? তিনি মক্কা থেকে মদিনায় গিয়ে একটা দল গঠন করলেন। তাদের পেশা কী ছিল? কৃষিকাজ নাকি ব্যবসা বনিজ্য? কিছুই না। সেটা ছিল মুলত একটা লুটেরার দল। মদিনা আর আশপাশের অঞ্চলে অভিযান চালনোই ছিল তাদের পেশা। লুটের মালামালের নামই গণিমত। তারা রাশি রাশি গণিমত লাভ করতেন। তার মধ্যে অর্থ, সম্পদ, কৃষিজমি, নারী সবই ছিল। এই গণিমত ভাগবাটোয়ারা করার জন্যে দরকার কিছু নিয়ম কানুন। এই নিয়ম কানুনের নামই শরীয়ত।
মহিলা বেশ খুশী হলেন। কিন্তু ধরা দিলেন না। মাথা নীচু করে বললেন- কী যে বলেন ভাই!
কদিন পরে তিনি তার স্বামী সহ এসে একাউন্ট খুললেন। তাদের আশ্রমের একাউন্টাও খোলা হল। তিনি এখন তার বন্ধু বান্ধবদের বলে বেড়ান- ম্যনেজার সাহের অতি অমায়িক মানুষ! অতি প্রগতিশীল!
ভগবানের কৃপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাল ডিপোজিট পাচ্ছি।
তবে ধার্মিকের মত সুখ পেতে এখন আর ইচ্ছে করে না।
ভাল বিষয়।
তবে মনে হয় মূল কারন অনুসন্ধান করেননি।
ধর্ম পালন করে সুখ শান্তি পাওয়া যায়- এটা কি পুরোপুরি ভুল বলে মনে করেন?
আমার মনে হয় না যে এটা ভুল। ধর্ম, তা সে যে কোন ধর্মই হোক পালন করে ফলোয়াররা এক ধরনের সুখ পেতেই পারেন। তবে তার মানে এই না যে ধর্ম যে ব্যাখ্যার অতীত কোন অলৌকিক শক্তির মাজেজা বলেই তারা সুখ শান্তি পান। আপনার মনে যদি গভীর বিশ্বাস থাকে যে ভোর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়লে বেহেশত প্রাপ্তি অনেক সহজ হবে কিংবা কোন সূরা পাঠ করলে সাগরের যত পানি আছে তা খরচ করে লিখেও সোয়াবের হিসেব করা যাবে না তবে আপনি সেসব ক্রিয়াকর্ম করে এক ধরনের মানসিক সুখ অবশ্যই পাবেন। আমার এক বন্ধু গত ১০ বছর প্রতি মাসেই সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন রোজা রাখে, কারন তার বিশ্বাস এতে সে আল্লাহপাককে অত্যন্ত এফিশিয়েন্টলি খুশী করতে পারছে। আল্লাহ কতটা খুশী হচ্ছে তা গ্যরান্টি দিয়ে বলতে পারি না তবে সে যে অসীম মানসিক শান্তি পাচ্ছে তা বলতে পারি।
এই সুখ শান্তির ব্যাখ্যা অতি সরল বলেই আমার মনে হয়। এটা অনেকটা প্লাসিবো এফেক্টের মত। আপনার আগে থেকেই মনে বিশ্বাস গেঁড়ে থাকলে আপনি শান্তি পেতে বাধ্য। তেমনি কারো মনে অবিশ্বাস থাকলে সেও শান্তি পাবে না এটাই স্বাভাবিক। অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার থাকলে পরস্পর বিরোধী ধর্মের লোকেও ধর্ম পালনে নিশ্চয়ই শান্তি পেত না। ভুল বা মিথ্যা ধর্মের লোকে শান্তি পাবে কেমন করে?
ধার্মিকরা ধর্ম পালন (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসলে ধর্ম পুস্তকের নানান অংশ পাঠ করা, কিছু রিচ্যূয়াল পাঠ করা) করে শান্তি পান তাতে সমস্যা নেই, কেবল তারা যদি একই এফোর্ট মানব উপকারের পেছনে সরাসরি ব্যায় করতেন তবে যে অনেক বেশী সুখ পাওয়া যেতে পারে এটা একটু বুঝলে ভাল হত। সে সব কাজের লিষ্ট দিতে গেলে মহাভারত হবে। যেমন বন্যপ্রানী বা প্রকৃতি সংরক্ষনের কাজ করেও যে অপরিসীম শান্তি পাওয়া সম্ভব এটা অনেক ধার্মিক কিছুতেই বুঝবে না বা মানবে না যেহেতু এই রকম ধারনা তাদের কিতাবে নাই। তাদের কাছে সে সময় জিকির বা এ জাতীয় নফল দোয়া নামাজ পূজা করে ব্যায় করাই উত্তম শান্তি লাভের সেরা উপায় মনে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা অনেকটাই ভুল মনে করি। প্রার্থনা করে সুখ পাওয়া যায় না। তবে প্রার্থনা না করার অপরাধ থেকে বাঁচতে পেরে সুখ পাওয়া যায়।
মতিলাল স্যারের কথা মনে পড়ে। আমাদের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। যতটা শেখাতেন, তাঁরচে বেশী পেটাতেন। তাঁর চেয়েও বেশী দিতেন হম ওয়ার্ক। বাড়ী ফিরে যতক্ষণ তাঁর হোম ওয়ার্ক না করা হত, দারুন অশান্তিতে থাকতাম। হোম ওয়ার্ক শেষ হলে পরে হাফ ছেড়ে বাচতাম। বিরাট একটা বোঝা নেমে যেত ঘার থেকে। একধরণের স্বর্গ সুখ পেতাম।
শুক্র বারের প্রার্থনার কথাই ধরেন। ধার্মিকেরা নামায সেরে খেতে বসেন। খাওয়ার পাট চুকিয়ে কেউ মসজিদে যান না। অথচ প্রারথনায় সুখ পাওয়া গেলে সবাই হাতের সব কাছ সেরে মজিদে ছুটত রাশি রাশি সুখ ধরতে। উল্টো প্রার্থনার বোঝাটা কোনমতে নামিয়ে (কেউবা সালাম ফিরেই রাস্তায় গিয়ে মুনাজাতে শরীক হন, যাতে হুড়োহুড়িতে পড়তে না হয়) তারা বাড়ী ছোটেন। তাদের স্ত্রীগণ সাধারণত নামাজই পড়েন না। কেননা তারা ব্যস্ত থাকেন রন্ধনে আর টেবিল সাজানোয়। তাঁরা স্বীকার না করলেও পরিজনের সাথেই সুখ ভোগ করেন।
এরপরে আর কোন কথা নেই।
@ মডারেটরঃ
দুবার পোস্ট করা হয়ে গেছে। একবার লগ ইন করে, অন্যবার লগ ইন না করে। যেহেতু লগ ইন করাটা প্রকাশিত হয়েছে, দয়া করে অন্যটি মুছে দেবেন।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা অনেকটাই ভুল মনে করি। প্রার্থনা করে সুখ পাওয়া যায় না। তবে প্রার্থনা না করার অপরাধ থেকে বাঁচতে পেরে সুখ পাওয়া যায়।
মতিলাল স্যারের কথা মনে পড়ে। আমাদের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। যতটা শেখাতেন, তাঁরচে বেশী পেটাতেন। তাঁর চেয়েও বেশী দিতেন হম ওয়ার্ক। বাড়ী ফিরে যতক্ষণ তাঁর হোম ওয়ার্ক না করা হত, দারুন অশান্তিতে থাকতাম। হোম ওয়ার্ক শেষ হলে পরে হাফ ছেড়ে বাচতাম। বিরাট একটা বোঝা নেমে যেত ঘার থেকে। একধরণের স্বর্গ সুখ পেতাম।
শুক্র বারের প্রার্থনার কথাই ধরেন। ধার্মিকেরা নামায সেরে খেতে বসেন। খাওয়ার পাট চুকিয়ে কেউ মসজিদে যান না। অথচ প্রারথনায় সুখ পাওয়া গেলে সবাই হাতের সব কাছ সেরে মজিদে ছুটত রাশি রাশি সুখ ধরতে। উল্টো প্রার্থনার বোঝাটা কোনমতে নামিয়ে (কেউবা সালাম ফিরেই রাস্তায় গিয়ে মুনাজাতে শরীক হন, যাতে হুড়োহুড়িতে পড়তে না হয়) তারা বাড়ী ছোটেন। তাদের স্ত্রীগণ সাধারণত নামাজই পড়েন না। কেননা তারা ব্যস্ত থাকেন রন্ধনে আর টেবিল সাজানোয়। তাঁরা স্বীকার না করলেও পরিজনের সাথেই সুখ ভোগ করেন।
এরপরে আর কোন কথা নেই।
ভালো। আলোচনা চলুক।
সঠিক পর্যবেক্ষণ।
চমৎকার লিখছেন…………আমার কাছে অন্তত সত্যিকার মুক্ত মনের লেখা মনে হয়েছে। এটা আসলেই সত্যি যে, আমরা মানুষ হওয়ার চেয়ে হিন্দু বা মুসলিম হতেই বেশি আগ্রহ বোধ করি, কিন্তু এই করতে গিয়ে যে আমরা অনেক সময়-ই মনুষ্যত্ব হারিরে ফেলি, এটা আর টের পাই না।
ধার্মিকরা তো সুখ পাবেই, হাজার পাপ করলেও একটা গঙ্গাস্নান বা শবেবরাতের প্রাথনাই সব ধুয়ে দেবে।এটা মনে হয় প্লাসিবো এফেক্ট।
@ করতোয়া,
এই মুহুর্তে কোন আলাপে যোগদান করতে পারছিনা, আল্লাহর গজব পড়েছে আমি সহ ব্লগের কিছু নাস্তিকদের উপর। আপনি যদি সদালাপ ও আমার ব্লগ এর করতোয়া হন, আপনাকে মুক্তমনায় উষ্ণ স্বাগতম।
@আকাশ মালিক,
হ্যাঁ আমি সেই করতোয়া। আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করছি কথা হবে, জানা হবে আনেক অজানা বিষয়।
@আকাশ মালিক,
কি হয়েছে? না জিজ্ঞেস করে পারলাম না!
:lotpot: :hahahee: :hahahee:
অসাধারণ । :guru: জন্মসূত্রে পদবীর কারণে এইরকম পরিস্থিতির শিকার বহুবার হতে হয়েছে।অথচ যারা গরু খাওয়ার জন্য উতসাহিত করত তারাই আবার আমার সাথে খাওয়ার আগে জিজ্ঞাস করত “বলি” না “জব(জবাই)”!!
অবশ্য অনেক হিন্দুই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগে এবং নিজেকে প্রগতিশীল দেখানোর জন্য কিংবা নিজের পৌরুষ দেখানোর জন্য গরু খেয়ে থাকে।এরাই যখন অন্য ধর্মের মেয়ে বিয়ে করে তখন এফিডেভিট করে গোপনে তমুক আলি নামে একটা নাম রাখে অথবা নিজ ধর্মে বিয়ে করলে “স্ববর্ণীয়” মেয়ে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে যায়।ব্রাভো …ব্রাভো। :guli:
@অগ্নি,
আস্তিকের ভণ্ডামির শেষ নেই। তারা এক আসরে বলে ইসলামে সন্ত্রাসের স্থান নেই, সেই আস্তিকই আবার অন্যত্র লাদেনের জন্য গর্ব বোধ করে। তারা একবার বলে বিয়ের সময় আয়শার বয়স ৬ না ১৬ বা ১৮ ছিল, সেই প্রবন্ধেই আবার পাবেন আরব দেশে নাকি কন্যারা ৮/৯ বছরই বিবাহ যোগ্যা হয়। ধার্মিকের মদের গ্লাসে কোক বা জুস ঢেলে অতিথি আপ্যায়ন করে।
@অগ্নি,
কথা সত্য।
শুকর খাওয়া যেতেই পারে, তেমন কিছু নয়। তবে প্রায় সকল পরজীবীর নিরাপদ আশ্রয় শুকর। অনেক সময় ঠিক ভাবে সেদ্ধ করলেও এই প্যারাসাইট গুলোর হাত থেকে মুক্তি মেলে না। এছাড়া লাল মাংশের মধ্যে শুকর খেতে তেমন কোন ঝামেলা নাই।
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড, যে কোন লাল মাংসেই কিছু ঝুকি থাকে। তবে মাংসের প্রক্রিয়াকরনটা স্বাস্থকর কিনা তা দেখা নেয়া উচিৎ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
খুব বাস্তব লেখা। আমাদের চারপাশের দৃশ্য।
কেউ পিস টিভি দেখে না বলে আপনার শাশুড়ি মন খারাপ করেন, এই কথা পড়ে মনে পড়লো কয়েকদিন আগে একটা কার্টুন দেখেছিলাম।
এই অশান্ত জীবনে ধর্ম থেকে যত সরে আসতে পেরেছি ততই শান্তি পেয়েছি। পেয়েছি অনেক প্রশ্নের উত্তর। সব সংশয় দূর হয়েছে, নিজেকে একটি স্বাধীন সত্ত্বা হিসেবে চিন্তা করতে পেরেছি। সকল ভয়, দ্বিধা, দন্দ কে নির্দ্বিধায় ছুড়ে ফেলতে পেরেছি। মুক্তি পেয়েছি চিন্তার দাসত্ব থেকে। এ মুক্তির আনন্দ যে পায়নি, সে সত্তিই দুর্ভাগা।
@নাদিম আহমেদ, ঠিক এই কথাটাই কমেন্ট করতে চাইছিলাম । আগেই বইলা ফেললেন …….. 🙂
@নাদিম আহমেদ, মুক্তি পেয়েছেন ভাল কথা। কবরের আজাবের থেকে কি মুক্তি পেয়েছেন? বিষাক্ত সর্প ছোবল দেবে। প্রতিটা ছোবলে সত্তর হাত মাটির নীচে দেবে যাবেন। তারপর আরেকজন ফেরেশতা এসে গদাম দেবে। আরও কিছু জানতে যান?
মওলানা ফারবীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
@নাদিম আহমেদ,
ধর্ম কে আমিও দাসত্বের আর মুক্ত চিন্তার প্রতিবন্ধক হিসেবেই দেখি, তবে আমি বিশ্বাসী। অবিশ্বাসীদের সাথে ও আমার কোনও দ্বন্দ্ব নেই, কারন এই বিশ্বাস এর পিছনে হয়ত যুক্তি অনেক কম, কিন্ত অবিশ্বাসের পেছনে আছে ভুরি ভুরি। কেন যেন আমি যে কোনও একটাকে বেছে নিতে পারি না।
খুবই প্রাসঙ্গিক একটি লেখা।আমি অনেক চেস্টা করেছি অল্প বয়সে ধর্মের মাধ্যমে শান্তি পাবার পাই নাই,উল্টা নামাজে দাড়ালে যত আজাইরা চিন্তা মাথায় ঢুকে পড়ত। পরাজয় মেনে নেয়া অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয় এই ধর্ম। উপরে যেমন “করতয়া” কিছু প্রশ্ন ছেড়েছেন। এমন মানুষের সংখ্যাই বেশী। ধর্ম আফিম। কিন্তু এই আফিম যুক্তিবাদি মানুষকে নেশাগ্রস্ত করতে পারে না, এখানেই ধর্মের পরাজয়।
@সপ্তক,
এরকম দুচারটি আজাইরা চিন্তা শেয়ার করবেন কি?
আপনার লেখাটি অতি বাস্তবসম্মত,চেনা-জানা,সুপরিচিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সমাজের আস্তিকতা যার উপর ভিত্তি করে আস্থাবান তাকে নিরাকার আল্লা,ভগবান,গড,জেহোবা যে নামে ডাকা হয়না কেন,তাঁর রূপ একই অভিন্ন। আস্তিকবাদের প্রথাগত ধর্ম খুব দুর্বল,ভঙ্গুর,দ্বৈতবাদী,অবৈজ্ঞানিক এবং কল্পকাহিনী দর্শন বিহীন।আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আস্তিকবাদের সামাজিকতার উপর দাঁড়িয়ে আছে।আর এ সামাজিকতার নামে যে ভণ্ডামি,মিথ্যাচার,অবিচার,অনাচার ইত্যাদি যা চলছে তা ভার্চুয়াল সমাজে বড়ই দুঃখময়,হাস্যপ্রদ ব্যাপার।
সমাজে নবী মোহাম্মদ আঃ সম্পর্কে যে প্রচলিত ইতিহাস তা খানিকটা আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে।যাদের দ্বারা বা পৃষ্টপোশকতায় তিনি প্রচারিত, প্রসারিত বা বিখ্যাত এবং যারা তাঁর ধারক-বাহক বলে দাবি করেন আর তাদেরই পূর্বসরিরা তাঁর বংশকে ধংশ করেছেন,অথচ সে বিষয়টা তারা গোপন রাখেন।কিন্তু কেন?তার সদোত্তর তাদের কাছে পাওয়া যায় না!!
আপনাকে ধন্যবাদ এবং আপনি ভালো থাকবেন।
@শামিম মিঠু, পড়ার ও মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সহমত।
শুকর খেতে চান? তাহলে ফার্মগেট হোটেল ও আনন্দ সিনেমা হলের মাঝের গলিতে ঢুকে পড়েন। শুকরের মাংসের সুপারমার্কেট পেয়ে যাবেন। যতবার শুকর খেয়েছি, ততবার আগে না খাওয়ার জন্য আফসোস করেছি। তবে এ কথা তো সত্যি যে সভ্যতা বিকাশে শুকর খাওয়া মানুষদের অবদান সবচাইতে বেশি। যারা শুকর খায়না, তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বসভ্যতায় কি এমন অবদান রেখেছে, জানতে মন চায়।
@মুক্তা, কী বলে যে আপনার ঋণ শোধ করব? ঠিকানাটা টুকে নিলাম। (জানিনা, শুকুরগন আপনাকে আভিশাপ দিচ্ছে কিনা?
শুকর খেতে অরুচি নেই । তবে খাদ্য হিসাবে যতক্ষন অন্য অপশন আছে ততক্ষন শুকর খাইতে চাইনা। তয় বোতল থাকলে দুই এক ঢোক হতেই পারে। স্বর্গে যদি সুরা পান সম্মত হয় তবে দুনিয়াতে কেন নয়।
শুকর ভক্ষণে মুসলমানদের যত ঘৃণা, আপত্তি, নাক সিটকাতে দেখি মদ্যপানে দেখেছি উল্টো কারবার। শুকরের মাংস অতিব সুস্বাদু হলেও মদের চেয়ে শুকরের মাতাল করার ক্ষমতা বেশি কিনা জানা নেই। যাই হোক এতে বরং শুকরদের লাভ হয়েছে ঢের বেশি, কোন বিশেষ দিন উপলক্ষে তাদের অন্তত চকচকে ধারালো ছুরির নীচে মাথা দিতে বাধ্য হতে হয় না। শুকরের বংশটাকে আরো কিছু কাল পৃথিবীর বুকে চড়ে বেরানোর সুযোগ সৃষ্টি করায় সর্ব প্রথম ইহুদি ও তারপর মুসলমানদের প্রতি শুকর জাতির আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
@রাজেশ তালুকদার,
শুকুরেরা কি মুহাম্মদ ও মোজেস কে ঘুস দিয়ে এই ব্যবস্থা করেছিল? বুঝলাম না, মাঝখানে জেসাস কে তারা ম্যানেজ করতে পারল না কেন?
@মুরশেদ,
মনে হয় জেসাস ঘুষ খেতে পছন্দ করেন না, না হলে বেশি ঘুষ দাবি করেছিলেন, আর সেটা শুওর সম্প্রদায় পূরণ করতে পারেনি, তাই বেচারাদের এই দুর্গতি।
@রাজেশ তালুকদার,
কচ্ছপ না খাওয়াই ভালো! বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি।আর শূকর খেতে দিব্য।খেয়ে দেখতে পারেন।তবে দেখেশুনে ভালো জায়গা থেকে, কষে রান্না করা। নয়ত রিং ওয়ার্ম হবে পেটে। :))
@মুরশেদ
কী যে বলেন ভাই, নামাজ না পড়লে তাঁরা বেহেস্তে যাবে কিভাবে, আপনার আর আমাদের কথায় চাবিটা হারাবে না কি … 😀
অনুগ্রহ করে যদি নিচের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা করেন তবে আপনার লেখাটি থেকে কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি।
১। “ধার্মিক” এবং “নাস্তিক” কি আলাদা কোন বিষয়?
২। মানুষ আর পশু’র মধ্য পার্থক্য বলতে আপনার কাছে কি মনে হয়? যেমন আমরা প্রায়ই কোন মানুষকে “কুকুর”, “শুওর” বলে গালি দিয়ে থাকি। এগুলো কখন এবং কোন পর্যায়ে অপর একটি মানুষের জন্য ব্যবহার করে থাকি?
৩। “আত্না (soul)” সম্পর্কে আপনার ধারনা কি?
৪। মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনার ধারনা কি?
৫। স্বর্গ বলতে আপনার কেছে কি মনে হয়? এবং সবশেষে
৬। সুখি বা (Satisfaction) বলতে আপনার কাছে কি মনে হয়?
@করতোয়া, জ্ঞান অর্জন করার জন্য চীন দেশে যেতে পারেন। আমার লেখাটা জ্ঞান বিতরন মুলক কিছু না। আমি নিজেই জ্ঞানী না। তবে আপনার প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করা যাক।
প্রশ্নটা তেমন বুঝি নাই। জগতে নানা পদের ধার্মিক আছে। ধামিকেরা সাধারণত বিশ্বাসে মিল না হলে পরস্পরকে ঘৃণা করে কিম্বা খুন করে। নাস্তিকেরা কোন পৌরাণিক বিশ্বাসের জন্যে কাউকে খুন করার চিন্তা ভাবনা করে না। তবে আস্তিক নাস্তিক উভয়েই মানুষ। হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স।
যুক্তিবাদ। মানুষ যুক্তিবাদী। অন্যান্য পশুরা তেমন একটা যুক্তিবাদী না। খুব নিম্ন শ্রেণীর লজিক তাদের মধ্য থাকতে পারে।
নাহ, তেমন ধারনা নেই। আপনার বোধ হয় আত্না সম্পর্কে ভাল ধারনা আছে।আত্না সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকার জন্যে আপনাকে অভিনন্দন। আশা করি সেই ধারনা থেকে আমাদিগকে নিম্নের প্রস্নগুলি সম্পর্কে জ্ঞান দান করবেনঃ
ক) আত্না কীসের তৈরি? তাঁর কী ওজন বা আয়তন আছে? ওজন কত?
খ) আত্না কি ভাগ করা যায়, নাকি অভিভাজ্য? একটা আত্নাকে যদি দুই টুকরা করা হয়, তবে কি দুটি আত্না পাওয়া যাবে, নাকি দুটোই মারা যাবে? আত্নার কি মৃত্যু আছে?
গ) গাছ পালা পশু পাখি তাদেরও কি আত্না আছে? তাদের আত্না কে হরণ করে? একটা শস্য কনা যতক্ষণ আমরা তুলে রাখি, তা মৃত থাকে। মাটিতে ফেল্লেই জেগে ওঠে কেন? আত্না কি তাঁর মধ্য ঘুমিয়ে থাকে?
ঘ) লাবে নারীর ডিম্ব ও পুরষের শুক্রের নিষেক ঘটিয়ে বছরের পর বছর সংরক্ষণ করা যায়। তারপর সেটা নারীর জরায়ুতে স্থাপন করলে বাড়তে থাকে? আত্না কী টেস্ট টিউবেও থাকতে পারে?
স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল।
কিছু মনে হয় না। হুর পরী কিম্বা দ্রাক্ষা রসে ভরপুর এমন কোন উদ্যানের খবর নাসার কোন টেলিস্কোপ এখনও বের করতে পারে নি। দুর্ভাগ্য নাসার!
মরণোত্তর সুখ লাভের চিন্তা ভাবনা করিনা ভাইজান। জগত মোটেও খারাপ জায়গা না। সেটা সুখকর ও বাসোপযোগী। আর তৃপ্তি (Satisfaction) বলতে বুঝি সন্তোষজনক ভাবে কোন চাহিদা পুরনের অনুভুতি।
@মুরশেদ,
আপনাকে ধন্যবাদ উত্তর দেবার জন্য। আমি জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশেই আছি, কোন চিন্তা নাই। সে জন্যই প্রশ্ন করেছিলাম যে আপনি কোন স্তরের জ্ঞান থেকে এই লেখাটি লিখেছেন। আমিও কিছু জানলাম। তবে আত্না সম্পর্কে আপনার পুনঃপৌনিক প্রশ্নগুরো ইন্টারেষ্টিং। চেষ্টা করলে আপনি নিজেই এর উত্তর খুজে পাবেন আশা করছি।