এম্বে অম্বে পঁ ও বাংগালী, য্যাম্নে কবি ক,
অ আ কখগ, লইয়া ডাইনে বাঁয়ে ক,
হেইল্ল্যা দুইল্ল্যা ক তরা, য্যাম্নে খুশী ক,
বাংগালী এম্বে অম্বে পঁ, হাস্য কান্দায় ক।
প্রমিত রঙ্গ কইরা গো তরা, কইত্থ্য ভাষায় ক,
মনের সুখে বাংলা ভাষা, তরা পরাণ ভইরা ক,
চাষাভূষা কামার কুমার, ক্ষ্যাতে কামে বইয়া ক,
বন্দুরে য্যাম্বে কবি ক ও বাংগালী বাংলায় কথা ক।
মানুষ লইয়া ক, তরা মাটি লয়া ক,
বলে যারা বাংলা ভাষা বুইজ্জ্যা লৈব ক,
দখলদারের চাবুক ভাষা, দূরে ফিক্ক্যা দিয়া ক,
বন্ধু, তরা বাংলা কথা ক’রে, মানুষ বাংলাডারে ক।
সাহেব টুপি পাগড়ী হগল, গাঙ্গে ফালাইয়া ক,
ঢ্যাপের খৈ আর মোয়ামুড়ি, বন্ধু, মিঠাই খায়া ক,
গ্যান্দামালা আলতা পইরা রে, নাইচ্চা কুইদ্দ্যা ক,
বাংলা তোমায় ভালোবাসি, ও বন্ধুরে য্যাম্নে খুশী ক।
অতন্ত্য জরুরী কথা। “ক” কবিতাটি আমার এক বন্ধুকে পাঠ করে শুনিয়েছিলাম প্রায় এক মাস আগে। কবিতাটি শুনে তার মন্তব্য ছিল- এ কবিতাকে যদি সুন্দর একটি সুর দেয়া যায় তবে খুব ভালো একটি বাংলা গান হয়। “মেলায় যাইরে” যেমন সারাদেশ মাতানো একটি গান, “ক” কে সেভাবে গাইলে এটাও ওই পর্যায়ের একটি গান হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় বন্ধুর মন্তব্য – অল্প কথায় অনেক জায়গায় খোঁচা দেয়া হয়েছে এ কবিতায়।
(ওরা দুজনই অলস বলে এখানে এসে মন্তব্য করবেনা, তাই আমিও আর বলিনা। আর আমি ইচ্ছাপ্রিয় মানুষ বলে গত এক মাস আগে যে মন্তব্য করার কথা ছিল, তা আজ করলাম। 🙂 )
@ছিন্ন পাতা,
চমৎকার আইডিয়া। সত্যি সত্যিই যদি সূর করে কেউ গায় তাহলে তো কথাই নেই। কৃতজ্ঞ এবং সূখী হব। কবিতাটা নিয়ে দূর থেকে এত চমৎকার মন্তব্যে প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেলো।
আহা! ক্যামন শান্তি শান্তি লাগতেছে। কী আরাম!
জ্যাম্নে খুশী অম্নে কতা কউয়ার যে কী আনন্দ!
এইডাই অরিজিনাল মাতৃভাষা! :))
@অরণ্য,
হহ হেইডাইতো হেইডাইতো আমি মনের সুখে কই
শুদ্ধ বাংলা রক্ষা করুক মহাবিদ্যান হগল ওই
কোটকাচারী কইয়া দিবো আমি ক্যাম্বে কথা কই
পাকির লগে তাইলে এগো তফাত রইলো কই :-s
@কাজী রহমান
ক কাব্য নিরবদ্য।
ধন্যবাদ। (C)
@আহমেদ সায়েম,
হ’ মইন-তইব্য অনবদ্য (B)
কবিতা বুঝি কম, তবে এটা যেন হৃদয় ছুঁয়ে গেল… (F)
@প্রতিফলন,
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যে ভাষাতৃপ্তির প্রতিফলন দেখে ভালো লাগলো। আনন্দে থাকুন (C)
চমৎকার এবং চমৎকার লাগল। কবি আপনি য্যাম্নে খুশি কন,আমাদের ভাল লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হলেও হল। শুধু ভাল লাগার অনুভূতি নয়, আপনি ব্যতিক্রম একটি আঙ্গিকও সৃষ্টি করলেন। এমন আরও সৃষ্টির অপেক্ষায়।
@গীতা দাস,
আপ্লুত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যগুলো খুব স্পষ্ট তাই ওগুলো নিয়ে ভাবি। ভাষার মাসে আমাদের ব্লগে ভাষা নিয়ে খুব বেশী লেখা না দেখে মনটা খারাপ হয়েছে।
ভালো থাকুন (F)
“ক” নিয়ে এমন সুন্দর হৃদয় গ্রাহী কবিতা সত্যি অসাধারণ লাগল। কবিতাটির যেমন কাব্যিক ছন্দ তেমন রসবোধ।
সমস্বরে আমিও বলি -ক আজী সাহেবেক কবিতা খানি একুশের মাসে এই বার হইলেও ক
(F) (F) (F) (F) (F)
@রাজেশ তালুকদার,
হ বাঙ্গালী ক।
দেখা যাক বাঙালীর ক শুনতে পাই না কি। মন্তব্য আর ফুলের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন (C)
মাটির গন্ধ পাচ্ছি, ঘামের গন্ধ পাচ্ছি। ক নিয়ে কোন সমস্যা নেই, সমস্যা হলো ল নিয়ে। ল তে এসেই সব লেজেগুবরে হয়ে যাচ্ছে।
তবে প্রচার মাধ্যমগুলোতে ক-ও নেই, ল-ও নেই, সে এক নতুন, একেবারে বিশ্বায়ণের উপযোগী ভাষা উৎপাদন করা হচ্ছে।
ফাল্গুনের ঝরা পাতায় একটুখানি বাতাস দিয়ে, মনটাকে আর একটুখানি উড়িয়ে নিয়ে গেলেন –
@স্বপন মাঝি,
সে তো বুঝলাম, ধন্যবাদ, ‘ল’ বুঝলাম না যে। একটু বুঝিয়ে দিন :-s