এই পোস্টটি যে মুহুর্তে আপনারা পড়ছেন , তখন সাইবার স্পেসে বাংলাদেশী এবং ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপগুলোর মধ্যে তুমুল সাইবার যুদ্ধ চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশী হ্যাকাররা সহস্রাধিক ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ভারতীয় শীর্ষ হ্যাকার গ্রুপ ইণ্ডিশেল বাংলাদশের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের সাইট হ্যাক করেছে , যার মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশও রয়েছে। ঠিক কি কারনে এই দুই প্রতিবেশী দেশের হ্যাকাররা একে অন্যের সাইবার স্পেসে ব্যাপকহারে হামলা শুরু করেছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না হলেও , ধারনা করা হচ্ছে যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বর্বরতা সর্বকালের সীমা অতিক্রম করার প্রতিবাদে বাংলাদেশী হ্যকার গ্রুপ ‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি’ সর্ব প্রথম শতাধিক ভারতীয় সাইটে হামলা করে বিকৃত করে দেয়। এর জবাবে ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপ ইন্ডিশেল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষনা করে প্রায় ৩০ টি বাংলাদেশী সাইট বিকৃত করে দেয়্। এর জবাবে বাংলাদেশী হ্যাকাররা সহস্রাধিক ভারতীয় সাইট হ্যাক করে একই ঘটনা ঘটায়। ভারত এবং বাংলাদেশ সরকারের দুইটি ‘প্রচন্ড প্রভাবশালী সংস্হার’ ওয়েব সাইট এবং সার্ভারের দখল নিয়ে এই মুহর্তে লড়াই চলছে । এই লড়াইয়ে চীন এবং আরও কয়েকটি দেশের বড় বড় হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশী হ্যাকারদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
আমাদের করনীয়
এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয় কখন এবং কি ভাবে যুদ্ধ বিরতি ঘটবে কারন সেরকম কিছুর প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয় নি। এখানে সরকার পক্ষেরও কিছু করার নেই কারণ এ ধরনের ঘটনা মোকাবেলা করার মত সুযোগ অথবা সামর্থ বাংলাদেশ কিংবা ভারত সরকারের নেই। এর ফলে দুই দেশেরই সাইবার স্পেসের ক্ষতি বৈ লাভ কারও হবে না। এমতাবস্থায় আপনাদের নিজ নিজ সাইটের নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি সার্ভার কোম্পানীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
দেখা যাক মুনতাসির মামুন কি বলেনঃ
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2012-02-16&ni=86721
আর গণতান্ত্রিক ভারত আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নমুনা দেখেও কেউ যদি এদেরকে গণতান্ত্রিক দেশ বলেন, তো আবার অ আ ক খ থেকে শুরু করতে হয়। আমি জানি তথ্যসূত্র চেয়ে বসবে কেউ কেউ, তারাই চেয়ে বসবে যারা সব দেখেও দেখে না, সব শুনেও শুনে না।
@স্বপন মাঝি,
আপনি স্বপন ভাই কিচ্ছু জানেন না। ভারতমাতা গণতান্ত্রিক। যদিও ঐখানে শোষন শুনলাম তীব্র! তারপরেও গণতান্ত্রিক।
আপনিই আমাকে বলেন, এরাই যদি আপনাকে গণতন্ত্র শেখাতে আসে তাহলে কেমন লাগে?
হ্যাকিং কাকে বলে ?
পাঠকদের মধ্যে যারা হ্যাকিং শব্দটা পড়েছেন কিন্তু বিষয়টা সম্পর্কে কিছুই জানেন না , তাঁদের জন্য বিষয়টা যতটা সহজ সম্ভব ব্যখ্যা করার একটু চেষ্টা করি। হ্যাকিং বলতে বোঝায় যে কোন ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমের ( টেলিফোন , কম্পিউটার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদির নেটওয়ার্ক) যে কোন অংশ কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে ঐ সিস্টেমের প্রকৃত মালিকের অনুমতি ব্যতিরেকে অনুপ্রবেশপূর্বক পরিবর্তন করা।
উদাহরণ স্বরূপ, একটা ওয়েব সাইটের এ্যাডমিন একসেস অবৈধভাবে অর্জন করে সেই ওয়েবাসাইটের অ্যাডমিন প্যানেলে আনাগোনা করলে সেটাকে শুধু হ্যাকিং বলা যাবে এবং যিনি এ কাজটি করবেন তাকে বলা হবে ‘হ্যাকার’। এসময় ঐ ওয়েব সাইটে শুধু একটামাত্র বর্ণ যদি পরিবর্তিত বা সংযোজিত হয় , তাহলে তাকে ‘ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকিং’ বলা হবে। এ ধরনের কাজ যার করেন তাদের বলা হয় ‘ব্লাকহ্যাট হ্যাকার’ অথবা ক্র্যাকার ।
বাংলাদেশ যখন ভারতের দ্বারা প্রতারিত হয় বারবার পানি,সিমান্ত চিহ্নিত,ছিট মহল এবং অন্যান্য ব্যাপারে তখন বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করবে ,আমি করি,আপ্নি করবেন সবাই করবে। সম্প্রতি ভারতের বর্ষীয়ান কলামিস্ট কুল দীপ নায়ার এব্যাপারে ভারতকে শুধু হুশিয়ারই করেন নাই সতর্ক করে দিয়েছেন এ বলে যে ভারত বাংলাদেশের জনগণকে আস্থায় না আনতে পারলে ভারতের ভবিষ্যতে হয়ত অনেক বড় সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে,তিনি ভারতের সেভেন সিস্টারের দিকে আঙুল তুলেছেন। বাংলাদেশ সরকার নতজানু সরকার,এ সরকার বা অন্য সরকার আস্লেও জনগন জানে অবস্থার পরিবর্তন হবে না,তাই জনগন এতটা সচ্চার,এটাই উচিৎ এবং বাঞ্ছনিয়। কারন যেহেতু সরকার নতজানু তাই প্রতিবাদের দায়িত্ত জনগন হাতে তুলে নিয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদ যেন ঘৃণায় পরিনত না হয়।বরতমান পৃথিবীতে বর্ণবাদ বা জাতিগত ঘৃণা খুব খারাপ ছখে দেখা হয়। ১লা মার্চ ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে,প্রতীক প্রতিবাদ হিসেবে তা ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের যেকন দেশের পন্যের উপরই নির্ভরশীলতা কমানোর প্রতিযোগিতা করা উচিৎ ,শুধু ভারত না। ভারতের জনগনের কাছে এই সংকেত যেন না যায় আমরা ভারতের পন্য ঘৃণা করি,এটা আমাদের জনগনের প্রতিবাদ ভারত সরকারের প্রতি,জনগনের প্রতি নয়। আমরা যেন আরেকটি স্মপ্রদায়িক সংঘর্ষের দিকে না যাই, এটাই আমার কামনা।
আপডেইট
গনচীনের সরকারী বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার (Xinhua) বরাত দিয়ে সাংহাই ডেইলী এ ব্যপারে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
Nearly 20,000 Indian sites get hacked by Bangladesh groups protesting border killings
আমার মনে হয়-পুরো বিষয়টিতে বুদ্ধিমত্তার চেয়ে আবেগ বেশী কাজ করছে। আবেগ দিয়ে খুব বেশীদুর এগোন যায় না। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে কম্পিউটার টেকনোলজিতে কয়েক দশক এগিয়ে আছে, তাদের আছে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামার, প্রযুক্তিবিদ, যেখানে আমাদের হয়ত কয়েক হাজার থাকতে পারে। শোনা যায় আমেরিকার সিলিকন ভ্যলিতে এক সময় নাকি মোট কর্মির এক চতুর্থাংশেরও বেশী ভারতীয় কাজ করত। টগবগে তরুণদের বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে- কেউ তাদেরকে ব্যবহার করছে না তো ? অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তাদেরকে বিপথগামী করছে না তো ?
এই যুদ্ধে দখলদার কে আর মুক্তি যোদ্ধা কে?? :-s
পুরো ব্যাপারটাই বাল্যখিল্যতার পর্যায়। ভারতের বা বাংলাদেশের কিছুমাত্র ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছেনা। কোন ভারতীয় সংবাদপত্র বা নিউজ চ্যানেলে এই মহাযুদ্ধের তিলমাত্র উল্লেখও দেখলামনা। মজার কথা হল যে সকল মুক্তমনারা অন্য (ভারত ও বাংলাদেশের দুই পক্ষের-ই) অন্য সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গলার শির ফুলিয়ে চেচায়, তারা আজ অনেকেই নিজের পক্ষের হ্যাকারবাহিনির কেরামতিতে উদ্বাহু নৃত্য করছে।এটা ভুলে গেলে চলবে না, যে এই ধরনের কাজকর্মও একপ্রকার সন্ত্রাসবাদ! দুটো গণতান্ত্রিক দেশ নিজেদের পোষা হ্যাকার বাহিনির সন্ত্রাসে নিজেদের সমস্যার সমাধান করবে, নাকি আলোচনার টেবিলে বসবে?
বাংলাদেশী হ্যাকার বাহিনির পরিকল্পনা কি বি এস এফ-এর জওয়ানদের ফেসবুক আকাউন্ট ডিলইট করা? যেন, সাইবার দুনিয়া নিয়ে বি এস এফ-এর বিশাল মাথাব্যাথা।উল্টোদিকে বি ডি আর-ও যে দিন রাত হুমড়ি খেয়ে ইন্টারনেট করে চলেছে, এমন মনে হয়না!
বি এস এফ-এর বদমাইশিগুলোর তীব্র প্রতিবাদ করছি(ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের মানুষের সাথে করা অন্যায়-ই জঘন্য), সেই সাথে এও বলছি, যে বি ডি আর-ও সমান পাজি। এদের ঊর্দি আর পতাকা ছাড়া বিশেষ তফাৎ নেই!
সেই সঙ্গে হ্যাকার নামক মূর্খ গুলোকে বলছিঃ হ্যাক থুঃ!
সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা না চালিয়ে তারা নিজের দেশের সরকারকে প্রশ্ন করুক- “আর্থ সামাজিক অবস্থান এমন কেন্, যেখানে গরীব হাবু শেখদের সীমান্তে গরু চোরাচালান করতে গিয়ে বুটের লাথি খেতে হয়!”
@অনামী,
আপনার সাইকোএনালাইসিসে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।
আমি তাদের মধ্যে একজন। তবে উদ্বাহু নৃত্য করছি না, আবার হাপুস নয়কে কেঁদেও ভাসাচ্ছি না। হ্যাকিং না জানায় নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি শুধু।
আপনার স্মরন শক্তি প্রখর।
আমি যেটা বুঝি না সেটা হল, আপনি অপমানিত, লাঞ্ছিত বাঙালিকে বাই ডিফল্ট ফেরেসতা কেন ধরে নিচ্ছেন? হত্যার বদলা নেওয়ার জেদে যদি কেউ ওয়েবসাইট হ্যাক করে(যেটা সে পারে) তাতে আমি সন্ত্রাসের তো কিছু দেখলাম না। আপনি কেন দেখলেন যদি জানাতেন তাহলে জ্ঞ্যান বৃদ্ধি করতে পারতাম।
অবশ্যই আমরা চাই আলোচনায় বসে ঠিক করুক। কিন্তু এই দুই গণতান্ত্রিক(!) দেশ আলোচনা করার জন্য টেবিল খুজে পাচ্ছে না। সেই টেবিল খুজে দেওয়ার একটা ছোট্ট প্রয়াস হল এই প্রতিবাদ।
খুব জানেন তো আপনি এই প্রতিবাদ সম্পর্কে!! আফসুস, অনেকেই এটা জানে না যে হ্যাকাররা আসলে শুধু বিএসএফ জওয়ানদের ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট করছে!!
দাঁদাঁ কি ওপারের?? সঁত্যি করে বলবেনঁ কিন্তুঁ দাঁদাঁ।
আপনি দেখা যাচ্ছে যারা হ্যাকিং করে তাদের কি বলে তাই জানেন না। যাই হউক অজ্ঞতা দোষের কিছু না। তাছাড়া আপনার নামেই বোঝা যাচ্ছে আপনি শুধু হ্যাকার শব্দটাই না, আপনি আপনার নামও ভুলে যান।
ব্যস, দায়িত্ব শেষ তাই না? আহ এমন করে উপদেশ দিয়ে বাসায় গিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমুতে কি মজা, না দাঁদাঁ?
নিজে কিছু না করে অন্যকে উপদেশ দিতে বাঙালি যে রতিক্রিয়ার চেয়েও বেশী মজা পায় এটা আমি জানি। আপনাকে আলাদা করে দোষ দিয়ে কীই বা লাভ বলেন?
@সাইফুল ইসলাম,
কথাটার মানে মাথা বুঝলাম না! আমার এনালাইসিসে আপনি মুগ্ধ নাকি এই একটি প্যারা পড়েই আপনি আমার সাইকোএনালাইসিস করে ফেললেন।দাদা দেখছি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী! ছদ্মবেশী নবী-টবী নন তো? :guru: :guru:
শুধু মুখে ভারতের গুষ্টি উদ্ধার করছেন আর সামান্য বিরুদ্ধ মত দেখলে রে রে করে তেড়ে যাচ্ছেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ, থুড়ি সাইকোএনালাইসিস করছেন, আর ব্লগগুলো কাঁপিয়ে দিচ্ছেন।
না জেনে একটা জিনিসকে নৈতিক সমর্থন দেওয়া খুব-ই উঁচু দরের বুদ্ধি সন্দেহ নেই।কাজটা শুধু ভারত বিরোধি বলেই? জানেন না যখন, জেনে নিন। যেই জিনিসটা হচ্ছে, সেইটাকে হ্যাকিং বলেনা, ক্র্যাকিং বলে।হ্যাকিং অনৈতিক কিছু নয়। কোন system-এর ভুল ত্রুটি বার করে তাকে শুধরানো হল হ্যাকিং।ক্র্যাকিং হল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কোন system-এর ক্ষতি করা, subversive উদ্দেশ্যে তা দখল/কব্জা করা ইত্যাদি।বেশীরভাগ সময় এই কাজগুলি টাকা আদায় করার জন্যে করা অপরাধ।
এমন তো মনে হয়নি কখনো! উল্টোটাই বেশী মনে হয়। স্মরন শক্তি প্রখর হলে ভালো হত।গৃহিণীর গঞ্জনা কম শুনতে হত!
ফেরেস্তা কেন ধরব! বাঙালী ছাপোষা, নিরীহ, প্রধানত করণিক গুনসম্পন্ন একটা জাতি, যারা নিজেদের অতীত নিয়ে আস্ফালন আর বর্তমান নিয়ে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলার বাইরে আর বিশেষ কিছু করেনা। ও হ্যাঁ, ঝগড়া ভালোই করে, এবং তার চেয়েও বেশী তড়পায়!
কেন সন্ত্রাসবাদ তার সোজা-সাপ্টা কারন হল এই সাইবার সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য মুলত অসামরিক। সামরিক বাহিনির কেশাগ্র স্পর্শ করার-ও ক্ষমতা নেই।ভগৎ সিংহ রাজগুরুরা যখন সন্ডার্স হত্যা করে বা আসেম্ব্লিতে বোমা ফাটায়, তাদের লক্ষ্য অসামরিক ইংরেজ ছিলনা।লালা লাজপত রাই-য়ের হত্যার জন্যে দায়ি বৃটিশ পুলিশের কর্মচারী স্কট লক্ষ্য ছিল(স্কট-কে মারতে গিয়ে সন্ডার্স মারা যায়।)আজমল কাসব-রা যখন ভারত ভ্রমনে আসে তাদের লক্ষ্য ছিল maximum damage করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা। বাংলাদেশি হ্যাকারদের-ও এক-ই উদ্দেশ্য, হাতে বন্দুক নেই এই যা তফাৎ। “cult of the bomb” আর “philosophy of the bomb”-এর মধ্যে আগে ফারাক করতে শিখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন কোনটা সন্ত্রাসবাদ।
দ্বিমত পোষন করি। এই প্রয়াস হল সাইবার সন্ত্রাস আর এর দ্বারা কোন আলোচনার দরজা খুলবে না!
ও হ্যাঁ বাংলাদেশের কথা জানিনা, কিন্তু ভারত গনতান্ত্রিক দেশ!
ফেসবুকের কথাটা মজা করে লিখেছিলাম। দাদা নবী স্তরের মানুষ, রসবোধ নাই থাকতে পারে, মাফ করে দেবেন!
সত্যি জানতামনা এই অপচেষ্টার কথাটা। ভারতের কোন প্রধান খবরের কাগজে বেরোয়নি এখনো, কোন নিউজ চ্যানেল রিপোর্ট করছেনা, আপনাদের এইখানেই প্রথম দেখলাম। তারপর আপনাদের প্রথম আলোতে পড়লাম খবরটা। আমার চেনা জানাদের মধ্যেও কেউ জানেনা। তাহলেই ভাবুন কি অজাযুদ্ধ ঘোষণা করেছেন যে শত্রুপক্ষ পাত্তাই দিচ্ছেনা! তাই শুরুতে বাল্যখিল্য বলেছিলাম।
ওপার মানে কোন পার?? কলকাতায় জন্ম, ভারতীয় নাগরিক।কিন্ত নিজের সম্বন্ধে যদি বিশটা কথা বলতে বলেন, এই দুটো কথা বলাই হবেনা হয়ত।জাতীয়তাবাদী নই আপনার মতন, তাই আমাকে গাল দিয়ে ভারত নিধন করার আনন্দ হয়ত পাবেননা। গায়ের ঝাল মিটবেনা।তার জন্যে দুঃখিত।
এছাড়া আমার ধারনা ছিল যে এই ফোরামটা শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্যে নয়। তাহলে ক্ষণে ক্ষণে লোকে আমার নিবাস কোথা, কোন গাঁ, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটা যুযুধান প্রতিপক্ষ সাজার চেষ্টা করে কেন (এই নিয়ে দ্বিতীয়বার)?
বুঝি।হ্যাকিং আর ক্র্যাকিং-এর তফাৎ আগেই বলেছি।পড়ে নিন।ক্র্যাকিং expert নই, কিন্তু cyber security-র অ আ ক খ ভালোই জানি।পেশাগত কারনে data security-র গুরুত্ব বুঝি।যে এলেবেলে অপকর্ম গুলি আপনাদের cyber সৈনিকরা করে চলেছে, সেইগুলি যে আদতে গুরুত্বহীন, সেইটা আপনি আগে বুঝুন।সত্যিকারের secure system ভাংগার মতন হার্ডওয়্যার এদের আছে কিনা সন্দেহ।
অজ্ঞতা দোষের নয়। কিন্তু অল্পবিদ্যা আর অন্ধ জাতীয়তাবাদে ভুগে প্রতিবেশী নিধন যজ্ঞ-এ নামাকে উৎসাহ দিইনা।
দায়িত্ব শেষ নয় অবশ্য-ই। কিন্তু গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন করাটাও একটা দায়িত্ব।Democracy is not a free ride! এই দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত থাকবেন। তাহলে মাঝে সামরিক শাসন-এর লাথি-ঝাঁটা খেতে হবেনা, আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই বলে মুখের ফেনা তুলতে হবেনা।
আমি কি করি না ভেবে আপনারা কি করেন সেইটা ভাবুন দয়া করে। আমি যদি বলি যে ইরাক যুদ্ধের প্রতিবাদে আমেরিকান এম্ব্যাসী ঘেরাও করেছিলাম, বা এই সেইদিন পুলিশ-এর অত্যাচার থেকে কমরেড-দের বাচাতে মিছিলে হেটেছি, বিশ্বাস করবেন? প্রমান তো দিতে পারবনা। কিন্তু ওই মিছিলগুলোতে যে মুখগুলো ছিল, তার মধ্যে একটা আমার মুখ!আমার বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের মুখ ওই মিছিলগুলোর মুখ!
প্রতিবাদ করতে হলে মাঠে নামুন না! ভারতীয় দুতাবাস ঘেরাও করুন, কালো পতাকা দেখান মিছিলে! সারা পৃথিবীতে তো বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে আছেন। ঢাকায় করুন, দিল্লীতে করুন, লন্ডনে করুন, ডি সি-তে করুন। রাষ্ট্রপুঞ্জে গিয়ে জনমত গঠন করুন।ভারতীয় web site ধসালে যে BSF-এর বুটের ভার-ও কমবে না আর Insas rifle-ও সমান কার্যকর থাকবে।মধ্যিখান থেকে হয়ত কিছু সাধারণ এলে বেলে মধ্যবিত্ত সাধারন মানুষের ক্ষতি হবে যারা ৭১-এ আপনাদের বুকে টেনে নিয়েছিল!
ঠিক বলেছেন। বাড়িতে আয়নায় একবার নিজের মুখ দেখে নিন।
@অনামী,
ঠিক বলেছেন, আমাদের স্বভাব হল যারা আমাদের উপকার করে তাদের আমরা লাথি মারি, আর যারা আমাদের নির্যাতন করে, আমরা তাদের প চাটি। আমরা বলতে বেশিরভাগ বাংলাদেশিদের বলছি যারা আজ মানসিক ভাবে পাকিস্তানের দাসত্ব স্বীকার করে নিয়েছে, কারন পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই সাহসী কথার জন্য।
@অচেনা,
কোথায় পেলেন এই পরিসংখান যে, বেশিরভাগ বাংলাদেশী আজ মানসিক ভাবে পাকিস্তানের দাসত্ব স্বীকার করে নিয়েছে?
এখানে ‘যারা আমাদের উপকার করে’ বলতে কি ভারতীয়দের বোঝাচ্ছেন?
ধন্যবাদ।
@মনজুর মুরশেদ,
আপনি যদি আমাকে ১৬ কোটি মানুষের মধ্য থেকে জরিপ চালাতে বলেন তবে সেটা ত সম্ভব না তাই না? চারপাশ দেখে শিখেছি। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে কে স্বাধীনতার সপক্ষে আর কে বিপক্ষে এই নিয়ে বিদেশি প্রভুদের চক্রান্তে দেশের মানুষ কে ভাগ করার ষড়যন্ত্র কে মেনে নেয়া হবে না, কে বলেছিলেন এই কথা মনে করতে পারেন কি?
আর ক্রিকেট এ পাকিস্তানের সমর্থন কি ব্যাপক দেখেছেন? এদের বেশিরভাগ কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে নৃত্য করে থাকে।এদের মধ্যে যে কজন কে কাছে পেয়েছি, সবার কাছ থেকেই মোটামুটি এক উত্তর পেয়েছি যে মুসলিম হয়ে মুসলিম কে সমর্থন করা কর্তব্য মনে করেই তাঁরা এমনটা করে থাকেন।
একটু ভুল করেছি। আসলে আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম যে উপকার করেছিল যারা। হাঁ আমি মুক্তি যুদ্ধের সময়কার ভারত কেই বুঝিয়েছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
যদি প্রশ্ন করি যে ৭১ এ এই মুসলিম ভাইয়েরা কোথায় ছিল?উত্তর আসে সেতা নিশ্চয় আপনাকে আমার বলে দিতে হবে না :)।
একটু সংশোধন করছি। বলতে চেয়েছি যে ৭১ এর প্রশ্ন টেনে আনলে কি উত্তর আসে তা নিশ্চয়ই আপনাকে বলে দিতে হবে না। ” কি” টা বাদ পড়ে গিয়েছিল।
ধন্যবাদ
@অনামী,
অসাধারন বলেছেন । (Y)
(দুঃখিত আমি বাংলাদেশের একটা ছোট জেলা শহরে থাকি বলে ইন্টারনেট খুব স্লো হবার কারনে বড় পোষ্ট করতে পারিনা,করতে গেলে পুরোটা পোষ্ট না হয়ে বেশিরভাগ সময়ে কেটে পোষ্ট হয়ে যায়, তাই এক পোষ্টে যা বলা সম্ভব সেটা বলতে আমার কয়েকটা পোষ্ট লেগে যায়)
@অনামী,
ঐ বললেন না বালখিল্য! তাইতেই বুঝতে পেরেছিলাম আপনি ফ্রয়েডের ক্লাশমেট ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আমি রে রে করে তেড়ে যাওয়াতেই বিশ্বাসী। পুতুপুতু সোহাগ করাতে নয়। আপনিও করুন না। আমার কোন সমস্যা নেই তো।
আর কাঁপাচ্ছি নাকি? জেনে ভালো লাগল। দাঁদাঁর প্যন্ট ঠিকঠাক মত আছে তো?
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করেছি বলে এসম্পর্কে আমার একটু আধটু জানা আছে। থাক আর কষ্ট করবেন না। আপনি জ্ঞ্যানী মানুষ সেটাতো আমি প্রথমেই বলেছিলাম। ভেবেছিলাম শুধু মনোবিজ্ঞানেই। এখন দেখা যাচ্ছে কম্পিউটার বিজ্ঞানেও আপনি আকাশ ছোঁয়া!
আপনি দেখা যাচ্ছে ভার্সেটাইল জিনিয়াস। কী চমৎকারভাবে ইতিহাসটা আমাকে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু দাঁদাঁ সীমান্তে যেটা হচ্ছে সেটা সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? মানে সেটাও কি অসামরিক(বেসামরিক হবে কি শব্দটা?) নাকি সামরিক বাহিনীর উপরে হামলা চালিয়েছে বিএসএফ? পরের পশ্চাৎ-এ পূরীষ দেখানোর আগে নিজের অনুপস্থিত টয়লেট তৈরী করাই শ্রেয় নয় কি? বিএসএফ যদি অসামরিক লোক মেরে থাকে তাহলে আগে নিজদের ঘেউ ঘেউ করা কুকুরকে সামলান। তারপরে না হয় আরেকজনের কর্মকান্ডে বাধা দিতে আসবেন! চোর যদি আইনের কথা বলে তাহলে আমার কানে সেটা সর্বোচ্চ শব্দ দূষন সৃষ্টি করে।
আপনার দ্বিমতকে শ্রদ্ধা করলাম। আমি তো বলিনি খুলবে। আমি বলেছি কিছুটা হলেও হয়ত এটাকে সাহায্য করবে। কুম্ভকর্নকে ঘুম থেকে ওঠানো তো অত সহজ না। কী বলেন?
ভারতকে গণতান্ত্রিক বলার কারন যতটুকু বুঝতে পারছি, আপনি কম্পিউটার এবং মনোবিজ্ঞানে পর্বতশিখরে উঠলেও, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এখন আন্ডারগ্রাউন্ডেই আছে। গনতন্ত্র সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করুন তাহলে বুঝবেন গর্বে গর্ভবতী হয়ে ইন্ডিয়াকে যে গনতান্ত্রিক বললেন সেটা আসলে কতটা মূর্খতার পরিচয়।
আমি দুদেশের কথাই জানি। দু’দেশই কিছু বরাহশাবকের দ্বারা পরিচালিত।
আসুন তাহলে দেখি ইন্ডিয়ার মিডিয়াতে কি এই ব্যাপারে আসলেই কিছু এসেছে কিনা।
এখানে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছেঃ
Bangladesh group claims hacking 20,000 Indian websites
এখানে বলছেঃ
Bangladesh group hacks BSF website to ‘avenge border killings
দৈনিক ভাস্কর বলছেঃ
Cyber war or revenge: Bangladesh hackers deface BSF website
ডেকান ক্রনিকেলস বলছেঃ
20,000 Indian websites come under attack from Bangladesh hackers
এনডিটিভি বলছে ঃ
Bangladeshis hack 20,000 Indian websites
আরো দরকার?
এখানে দেখুন বলছেঃ
Close to 20,000 websites hacked
আরো অনেক অনেক এবং অনেক লিঙ্ক দেওয়া যাবে। লাগলে আওয়াজ দিবেন। এখন ক্লান্ত বোধ করছি।
এখন বুঝতে পারছেন কেন আপনার সাইকোএনালাইসিসের প্রশংসা করেছিলাম?
আমাকে জাতীয়তাবাদীর সম্মানে সম্মানিত করার সমস্ত প্রশংসা প্রাপ্য কাজি মামুনের। উনি বলা আগে আমিই জানতাম না আমি জাতীয়তাবাদী! বুঝেন অবস্থা!
আপনিও আগে বুঝুন যে যে অপকর্মগুলি আপনাদের পোষা রক্ষীবাহিনী করে যাচ্ছে সেটা মোটেও গুরুত্বহীন নয়। গুরুত্বপূর্ণ কাজে আপনাদের খুজে পাওয়া নে গেলেও কিছু অগুরুত্বপূর্ণ কাজে আপনারা তেড়ে আসছেন। কুকুর কামরালে কামর হয়ত দেব না কিন্তু পিট্টি কিন্তু আমি দেবই।
সেটা হয়ত নেই। আপনারা যেমন মানুষের, বিশেষ করে বাঙলাদেশীদের পুটুমারার জন্য সর্বদা সমরাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উত্তেজিত থাকেন আমরা আবার সেটা করি না। তাই একটু সমস্যা হতে পারে।
সে আপনাদের কুকুরবাহিনীর সম্মিলিত ঘেউ ঘেউ আর কামড়া কামড়াইতেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার আগ বাড়িয়ে বলে নিজেকে মূর্খ প্রমান করার দরকার হবে না।
এই খোটা খেতে আমার একটুও আপত্তি নেই। কিছু শুয়োরের বাচ্চাদের কর্মফলে এটা আমাদের প্রাপ্য। কিন্তু যেটা ভেবে দুঃখ করি তাহল উপদেশবর্শনকারীরা নিজ জাতি সত্তার জন্য একটা আলাদা দেশও গঠন করতে পারে নি। যদিও তারজন্য উপদেশ বিলোতে কোন সমস্যা তার হচ্ছে না।
না না দাঁদাঁ প্রমান করার কোন দরকার নেই। আপনার মুখের বানীই বিশ্বাস করছি। তাছাড়া গণতান্ত্রিক(!) ভারতের পুলিশের বাড়ি কেউ না কেউ তো খেতেই পারে। আর সেটা যদি আপনার বন্ধু হয় তাতে আপনি যোগদান করতেই পারেন। সমস্যার তো কিছু নেই!
এই পরামর্শটা না হয় আপনাদের পোষা বাহিনীকে দিন। যারা বাঙলাদেশের মানুষের পুটু না মারলে পেটের ভাত হজম হয় না। এই পরামর্শটা না হয় আপনার গনতান্ত্রিক(!?) ইন্ডিয়াকে দিন, যেখানে প্রতিদিন বিশ্বের সবচেয়ে বেশী শিশু, মানুষ না খেয়ে থাকে। এই পরামর্শটা না হয় পৃথিবীর সমচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারত মাতাকে দিন, যারা কয়েকসপ্তাহের নামে বছরের পর বছর ধরে ফারাক্কা নামের বাধটি চালিয়ে যাচ্ছে!
বলে লাভ হবে বলে আশা করি না, কারন আমি জানি বাঙালি উপদেশ দিয়ে রতিক্রিয়ার চেয়েও বেশি আনন্দ পায়।
আমরা একাত্তরের কথাও ভুলব না, বর্তমানের কথাও ভুলব না। টেনশন নিয়েন না।
জিনগত অভ্যাস কিভাবে ছাড়বেন বলুন। শেষ লাইনে এসেও একটা উপদেশ দিয়ে গেলেন।
@সাইফুল ইসলাম,
বালখিল্যতাকে বালখিল্যতা বল্লেই “ফ্রয়েডের ক্লাশমেট” হতে হবে!
আর আমি ব্যক্তি আক্রমনে নয়, সুস্থ আলোচনাতে বিশ্বাসী। কুরুচিকর কথা বলা বন্ধ করুন দয়া করে!
আপনি বল্লেন যে হ্যাকিং কি তাই জানিনা, তার উত্তরে লিখেছিলাম।আপনি জানেন দেখে পুলকিত হলাম। মনোবিজ্ঞান জানি এমন কথা কখনোই বলিনি।বরং আপনিই তো আমার সাইকোএনালিইসিস করে চলেছেন।কম্পিউটার বিজ্ঞানেও আকাশ ছোঁয়া নই। কিন্তু পেশাগত ভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদ।বৃহৎ ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থার হয়ে ব্যাঙ্কিং ও সিকিউরিটিজে একটি বিশ্বের অন্যতম ব্যাঙ্কের জন্যে কাজ করি।আকাশ ছোঁয়া নাহলেও পেট চালানোর মতন বিদ্যা আছে বইকি!
ইতিহাসটা বুঝেছেন কিনা সন্দেহ আছে! আর দাদাতে এত ঁ কিসের? ঠান্ডা লেগেছে নাকি?
আশ্চর্য হচ্ছি আপনার প্রশ্নগুলো দেখে! আমাকে কি বিএসএফ-এর মুখপাত্র ঠাউরালেন নাকি?বিএসএফ-এর তীব্র নিন্দা তো করছি! শুধু আমি কেন ভারতের অসংখ্য মুক্তকন্ঠ করছে।বাংলাদেশী হ্যাকাররা ভারতকে আক্রমন করেছে maximum damage-এর লক্ষ্যে।রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এতে ক্ষতিসাধন হবে সাধারন মানুষের।”যদি ভারত আমাদের পাত্তা না দেয় তো শেষ করে দেব!যদি তাতে দু-দশ পিস সাধারন মানুষের ক্ষতি হয় তো হোক।”-এই মানসিকতাকে সন্ত্রাসবাদ বলবনা তো কি বলব?
বিএসএফ আমার বা ভারতের সাধারণ মানুষের পোষা কুত্তা নয় সেইটা আগে বুঝুন।বাংলাদেশী বি ডি আর কি আপনাদের বাজার দোকান করে দেয়??
এর আগে বিপ্লবদা এই সাইটে বিএসএফ-এর এই কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন।ভারতের নাগরিক সমাজ এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা করেছে।কিছু উগ্র জাতীয়তাবাদি বাদ দিলে, সকলেই সমালোচনা করেছে। এবং এরাই ভারতের গনতন্ত্র। বিএসএফ-এর জওয়ানরা নয়।
বিএসএফ অসামরিক লোক মেরেছে বইকি। তার জন্যে যদি মনে করেন অসামরিক ভারতবাসীদের ক্ষতি করা জায়েজ হয়ে গেল, তাহলে তো কথাই নেই। চোখের বদলে চোখ-এর থেকে উত্তম নীতি আর কি হতে পারে!ভারত ঢিল মারল, আপনারা পাটকেল মারলেন, ভারত বোমা মারল আপনারা গ্রেনেড মারলেন;এরপর একটা উৎকৃষ্ট ভারতীয় ছাগল মনে করল যে আণবিক বোমাগুলো পচে যাচ্ছে, চোখের বদলে চোখ-এর নীতি চলছে, একটা মেরেই দেখিনা।পাল্টা কি মারবেন ভেবে দেখেছেন?
বিএসএফ কাউকে কোন আইনের কথাও বলতে যায়নি। ওসব বলতে তাদের বয়ে গেছে।আইনের কথা বলছে ভারতের নাগরিক সমাজ। অবশ্য আপনার চোখে এদের মধ্যে কোন ফারাক নেই।
“বধিরদের শোনাতে বিস্ফোরন প্রয়োজন”। বিশ্বাস করি। কিন্তু এইখানে যে বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে আর আপনাদের হ্যাকারকুল যা করছে তা এক নয়।
পড়ুন
মাঠে ঘাটে নেমে রাজনীতি করেছি, কালিঘাটের যৌনপল্লীর সন্তানদের নিয়ে কাজ করেছি, প্রান্তিক মানুষদের মাঝে সুন্দরবনে গিয়ে আইলা পরবর্তী ত্রাণ শিবিরে গিয়ে কাজ করেছি।সমাজ কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বড় বড় কিতাব না গিলেও দেশের অবস্থা জানি, স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করা আছে। ভারতে বৈষম্য ও শোষণ তীব্র।শ্রেণিবিভেদ-ও চরম। কিন্তু তৎসত্ত্বেও ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। কারনঃ
১।১৯৪৭ সাল থেকে ভারতে সকল প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ভোটাধিকার আছে।একজন মানুষ = একটা ভোট।কোন বিভেদ নেই।
২।ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ-রাও ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি, সব-ই হয়েছেন।
৩।ভারতে স্বাধীন মিডিয়া আছে।তারা কোন সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করতে দ্বিধা করেনা। এরা অনেক সময় biased বা polarized হলেও বিরুদ্ধ মত প্রকাশের জন্যে সরকার কোন ব্যবস্থা নেয় না।
৪।গুজরাট গনহত্যা বা শিখ গনহত্যার বিচার হয়। নাগরিক সমাজ এর তীব্র সমালোচনা করে।
৫।একটা রাজনৈতিক দল ৩৪ বছর গনতান্ত্রিকভাবে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতে পারে।আরেকটি দল তাকে বিনা রক্তপাতে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়।
৬।মাওবাদীরা যখন প্রধান শাসকদলের কর্মীদের নির্বিচারে মেরে চলেছে, তখন রাজ্য-এর মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদী রাজনীতি-কে ব্যান করার বিরুদ্ধে বলেন। মাওবাদীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের রাজনৈতিক মোকাবিলা ও অপরাধমুলক কাজ কর্মের আইন দিয়ে মোকাবিলার কথা বলা হয়।
৭।জেসিকা লাল বা রুচিকা গিরহত্রাদের পরিবার সুবিচার পায়। মনু শর্মা বা রাঠোড়দের শাস্তি হয়।
৮।সেনারা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে বলেনা যে লালকেল্লা দখল করে নেব।যদিও ভারতীয় সেনারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী।
৯।বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন ও পৃথক। বিচারপতিরা রাজনৈতিক দাদাগিরি বরদাস্ত করেনা।নির্বাচন কমিশন নিয়েও এক কথা বলা যায়।
১০।সবচেয়ে বড় কথা ভারতের নাগরিক সমাজ।এর মধ্যে একটা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র-এর শক্ত ভিত আছে। যারা শাসনকারী শুয়োরের বাচ্চাদের ব্যলোটের মাধ্যমে ছুড়ে ফেলে দেয় নিয়মিত।
এরকম ছোট বড় হাজার কথা বলা যায়।প্রতিটি জিনিস ভারতীয় গনতন্ত্র অর্জন করেছে।পৃথিবীর ইতিহাসে কয়টা দেশ দেখাতে পারবেন যাদের এই কৃতিত্বগুলো আছে? বিশেষ করে যাদের সদ্য ঔপনিবেশিক অতীত আছে! ভারতকে অগনতান্ত্রিক বলা মানে এই অর্জিত সম্পদের অপমান। ভারতীয় গনতন্ত্র নিখুত নয়, কিন্তু একটা সজীব সত্ত্বা যার ক্রমিক উন্নতি ঘটছে।
ভারতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবধিকার ইত্যাদি নিয়ে অনেক পথ যেতে হবে, এবং সেই এগিয়ে চলার পথে গনতন্ত্র-ই একমাত্র হাতিয়ার।
@সাইফুল ইসলাম,
লিঙ্কগুলো দেখলাম। সবকটাই বেশ ভিতরের পাতার খবর বলে চোখে পড়েনি। শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
না বুঝছি না। কারন আমি কারো সাইকোএনালাইসিস করেছি বলে তো মনে পড়েনা।
আবার বলছি ভারতের সাধারন মানুষের কোন পোষা রক্ষীবাহিনী নেই। কাজেই এই নিয়ে বলে মুখে ফেনা তুলবেন না। ভারতের সাধারন মানুষ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সেনা অফিসার বা জওয়ানদের এই কুকীর্তিগুলোকে কোনভাবেই সর্মথন করেননা।
বেপাড়ায় গিয়ে কুকুর কামড়ালে কুকুরকে পিট্টি দিন ক্ষমতা থাকলে।পাড়ার মানুষগুলোকে মারতে চাইছেন কেন?
নিজেকে অত গুরুত্ব দেবেন না। “বাঙলাদেশীদের পুটুমারা” যে কি তা ঠিক জানিনা, তবে এইটাও অনেকে বলছে যে আপনারা আপনাদের দেশের নাগরিক-দের ভারতে যেতে দিচ্ছেন কেন?ভারতে ঢোকার বেআইনি চেষ্টা না করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।বি এস এফ তো আর রাজশাহি চট্টগ্রাম বা ঢাকার মানুষ মারছেনা। বি এস এফ তো একটি চোরাচালানকারীকে মেরেছে। BDR কি করে দেখুন।
যাকগে গড়পড়তা ভারতীয়রা গড়পড়তা বাঙলাদেশি-দের নিয়ে কি ভাবে, জানতে, এতে চোখ বোলাতে পারেন।
হাঁসব না কাঁদব! আলাদা দেশ গঠন করে কি দিল্লী মুম্বই ভিসা নিয়ে যাব? ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থান নিয়ে লবডঙ্কা জানেন দেখছি!
গণতান্ত্রিক ভারতে রোজ-ই পুলিশের অত্যাচার ঘটে।গণতান্ত্রিক ভারতে রোজ তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার-ও হয়।
BSF আমার পরামর্শ শুনতে বসে নেই। থাকলে নিশ্চয় দিতাম। BSF মানবধিকার লঙ্ঘন করলে আইনের পথেই তার প্রতিরোধ করা হয়।
ভারতে বহু মানুষ খেতে পাননা। চায়নায় মানুষ খেতে পায়।তাই বলে দলে দলে ভারতীয় চায়নায় প্রবেশ করতে চাইলে যদি চাইনিজ-রা অনুপ্রবেশকারীদের পেটায়, তাহলে দায়টা চায়নায় মানুষ-এর নয়। ভারত সরকারের।
ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে যা হচ্ছে তা অন্যায় বইকি।
এই মুক্তটি কেবল আমার জন্যেই প্রযোজ্য তাই তো?
ঠিক উল্টোটা।৭১ সবার আগে আপনারাই ভুলবেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে কৃতজ্ঞতা বলে কিছু হয়না।নাৎসীদের হাত থেকে মিত্রবাহিনি ফ্রান্স মুক্ত করেছিল। প্রাথমিক ইউফোরিয়া কাটিয়ে ফ্রান্স-আমেরিকার আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক হতে বেশী সময় লাগেনি।পূর্ব ইউরোপ রুশদের বেশীদিন বন্ধু মনে করতে পারেনি। না পারাটাই স্বাভাবিক।অপেক্ষাকৃত শক্তিধর প্রতিবেশীকে সব্বাই সন্দেহ করে।ভারত চিনকে করে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সাথে আপনাদের ভৌগলিক ব্যবধান বিস্তর। ছায়াযুদ্ধ চালাতে ভারতের থেকে বেটার ক্যান্ডিডেট আর কে আছে বলুন?
@অনামী,
@অনামী,
না, ল্যাঠা চুকে যায় না। বেআইনিভাবে বর্ডার অতিক্রম করলেই গুলি করে মেরে কাঁটাতারের উপর ঝুলিয়ে রাখতে হবে বা ন্যাংটো করে পেটাতে হবে কিংবা চোখ উপড়ে নিয়ে মেরে ফেলতে হবে, এর সমর্থন করার মত অশ্লীল দাম্ভিকতা দেখাচ্ছেন কেন? বিশ্বের প্রায় সব বর্ডারেই বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটে। আর কোথাও কি এটা দেখেছেন? যুক্তরাষ্ট্রর সাথে মেক্সিকোর স্থল সীমান্ত রয়েছে, জল সীমান্ত রয়েছে কিউবার সাথে। এই সব সীমান্তে মানুষ কীভাবে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই ধারণা আছে আপনার। কয়জন লোক সেখানে মারা যায় হোমল্যা্ন্ড সিকিউরিউটির হাতে?
আপনি বিডিআরের যে লিংকটা দিয়েছেন, সেটা বোধ হয় ভাল করে পড়ে দেখেন নি। বিডিআর কোনো নীরিহ বেসামরিক ভারতীয়কে হত্যা করে নি। বরং আপনাদের বিএসএফ সশস্ত্র অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল। ওটা ছিল দুটো আধাসামরিক বাহিনীর খণ্ডযুদ্ধ। ওতে বিএসএফের পাশাপাশি বিডিআর জোয়ানও মারা গিয়েছিল।
ভারতীয়দের মধ্যে কেউ কেউ দাবী করেন যে তাঁরা জাতীয়তাবাদী নন, কিন্তু শরীরে একটু উত্তাপ লাগলেই জাতীয়তাবাদের অদৃশ্য বর্ম গায়ে চরিয়ে ফেলেন।
@ফরিদ ভাই,
অনামীর যে অংশটুকু আপনি কোট করলেন, তা পড়ে আমারও খারাপ লেগেছে এবং আমার প্রশ্নের উত্তরে যে অনামীকে পেয়েছিলাম, তাকে এখানে খুঁজে পাইনি; বরং এখানে সে অনেকটাই ভিন্নরূপে আবির্ভূত হয়েছে। আমি উত্তর দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার কাছে পর্যাপ্ত তথ্য ছিল না। তবে আপনার উত্তরটা ভাল হয়েছে, বিশেষ করে মেক্সিকোর স্থল সীমান্ত আর আধাসামরিক বাহিনীর খণ্ডযুদ্ধের ব্যাপারটা। ভাল থাকবেন।
@কাজি মামুন,
কিছু কথা সঠিক ব্যাখা করতে পারিনি আগে, নিচে করে দিলাম।মানবিক অনুভুতিতে আঘাত করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।
নিজের দেশের ঢাক পেটানোতে বাহাদুরির কিছু পাইনা, কিন্তু কোদালকে কোদাল বলতে শিখেছি। বহু সংগ্রামের ফসল, বহু গণ-আন্দোলনের ফসল ভারতীয় গনতন্ত্র। অনেক কঠিন পরীক্ষা দিয়ে তা অর্জন করা হয়েছে।উটকোর মতন তাকে নেই বা অদৃশ্য বলে দিলে বিরক্তিকর লাগে। গজদন্তমিনারে কিছু বরাহ শাবক আছে বলে ভারতীয় গনতন্ত্র মিথ্যা এই কথা বললে, খাদ্য আন্দলোন, তেভাগা আন্দলোনে, এমার্জেন্সিতে যাঁরা লড়াই করেছেন তাদের হেয় করা হয়।তাই অতগুলো কথা বলতে হল্, যার অনেকটাই এখানে হয়ত অপ্রাসংগিক। আশা করি নিজের অবস্থান ব্যক্ত করতে পেরেছি ও ভুল বুঝবেন না।
@ফরিদ আহমেদ,
কথাটা ওই ভাবে বলতে চাইনি।ভাবপ্রকাশে ভুল করেছি বলে দুঃখিত।সংশোধন করার উপায় থাকলে করে দিতাম। যেইটা বলতে চেয়েছিলাম তা হল, ভারতের অনেকে বলছে যে আপনারা আপনাদের দেশের নাগরিক-দের ভারতে যেতে দিচ্ছেন কেন?ভারতে ঢোকার বেআইনি চেষ্টা না করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।বি এস এফ তো আর রাজশাহি চট্টগ্রাম বা ঢাকার মানুষ মারছেনা। বি এস এফ তো একটি চোরাচালানকারীকে মেরেছে। BDR কি করে দেখুন।
এবং আমি তাদের মধ্যে নই।
যারা বলছেন, তারা হচ্ছেন উগ্র বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদীদের জমজ ভাই।বা সকল দেশের সকল জাতিয়তাবাদীদের মাসতুতো পিসতুতো ভাই।ঘটনাচক্রে এনারা বিভিন্ন দেশে জন্মেছেন।জাতিসত্ত্বার লেবেল কোন জাদুমন্ত্রে পাল্টে দিলে দেখবেন উগ্র পাকিস্তানি ভারতীয় হয়ে গিয়ে আস্ফালন করছে পাকিস্তানকে পেড়ে ফেলার।ভারতীয় বীরপুংগব চিনা হয়ে বলছে ভারতকে গুড়িয়ে দেব।এরা সকলেই ভাবে “might is right”-এর থেকে উন্নত যুক্তি হয়না, এবং তাদের দেশ সর্বশক্তিমান, কারন সেটা তাদের দেশ।আমাদের সাইফুল ভাই ভারতে জন্মালে তাঁর কি অবস্থান হত সেইটা আন্দাজ করানোই ছিল লক্ষ্য।
এই অশ্লীল দাম্ভিকতা দেখাচ্ছি না। কারন তা অমানবিক।আমার রাজনৈতিক দর্শণ/শিক্ষা এমন কথা বলেনা। এমন যদি সেইরকম মনে হয়ে থাকে, তাহলে ক্ষমাপ্রার্থী। যে কথাগুলো বলতে চেয়েছি তাহলঃ
১।BSF যা করে চলেছে তা মানব অধিকার লঙ্ঘন।কোন ভাষাই যথেষ্ট নয় তাকে নিন্দা করার জন্যে।
২।রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস যখন সাধারন মানুষের উপর নেমে আসে, তা যেমন সন্ত্রাস, তেমন রাষ্ট্রকে শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে যখন একটি গোষ্ঠী জনজীবন
বিপর্যস্ত করার পথ বেছে নেয়, সেইটাও সমর্থনযোগ্য নয়।সেইটাও সন্ত্রাস।
৩।মানবিকতার বিরুদ্ধে এই অপমানের প্রতিবাদ করা বাঙলাদেশীদের অধিকার ১০০% আছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার উদ্দেশ্যে আর একটি সার্বভৌম দেশের ক্ষতিসাধন করা সমর্থনযোগ্য নয়।তার অন্য অনেক উপায় আছে, যার কিছু বলেছি।
৪।সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ভারতীয়র এই জঘন্য ঘটনাগুলোর নিন্দা উচিত এবং করছেন-ও।
৫।সর্বোপরি ভারত একটি গনতান্ত্রিক দেশ(সাইফুল ভাই কি বলবেন জানিনা।উনি তো মনে করেন ভারতের অংগরাজ্যবাসী বলে আমাদের কোন রাজনৈতিক মতামত থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আগে ভারত থেকে ‘স্বাধীন’ না হলে গনতন্ত্র নিয়ে কিছু বলাও যাবেনা। )।ভারতীয় গনতন্ত্রের মঞ্ছ ব্যবহার করেছি।সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হতে দেখেছি। গনতান্ত্রিক উপায়ে আপনাদের প্রতিবাদ হলে, ভারতীয় জনতা আর বেশী করে এই সমস্যার কথা জানবে, সরকারকে চাপ দেবে এবং সমস্যা সমাধানে ভারতীয় সরকার প্রকৃত সদিচ্ছা দেখাবে।(কিভাবে এইটা করা যায়, তাই নিয়ে চিন্তা ভাবনার কথা লিখেছিলাম আগে)। অন্যথায় এই সব ছায়া যুদ্ধ-টুদ্ধ ঘোষনা করে বসলে, দক্ষিনপন্থী রাজনৈতিক দলেরা দেশাত্ববোধের হাওয়া তুলে বাজার গরম করবে। বি এস এফ-ও মনের সুখে মানব মৃগয়া চালিয়ে যাবে।
পড়ে দেখিনি। আমি ঘটনাটির উল্লেখ করেছিলাম এই কারনে যে এই ঘটনা উগ্র জাতিয়তাবাদী ভারতীয়রা অহরহ উল্লেখ করছেন।কারন বি ডি আর ভারতীয় বন্দি জওয়ানদের উপর অত্যাচার করেছিল বোধহ্য়।যদি বি ডি আর এই জঘন্য কাজ করেও থাকে, তাহলেও বিএসএফের সাধারন অনুপ্রবেশকারীদের সাথে এই কাজগুলো করার মরাল রাইট জন্মে যায়না।
এইটা ভুল বল্লেন বোধহয়। যারা ভারতীয় জাতিয়তাবাদী (তারা আর সকল জাতিয়তাবাদীদের ন্যায়) কর্ণের কবচের মতন জাতীয়তাবাদের অদৃশ্য বর্ম গায়ে সারাক্ষন চড়িয়ে রাখেন। এরা মনে করেন ইচ্ছা মতন পাকিস্তানকে গুড়িয়ে দেওয়া যাবে, বাংলাদেশ দিনে দুইবার সেলাম ঠুকবে, চিন আমাদের হিংসা করে দাবিয়ে রেখেছে।ভারত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ কারন ভারত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ কারন ভারত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ!
তাদের দলে নই একেবারেই। বরং তাদের চোখে আমাদের রাজনৈতিক পরিচিতির কারনে দেশদ্রোহী, চিনের দালাল, রাশিয়ার জারজ সন্তান ইত্যাদি।
ভালো থাকবেন। (F)
@অনামী,
সাইবার যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে আমি অনেক অনেক জ্ঞ্যানী লোকেদের সাথে অনেক অনেক তর্ক করছি। সত্যি বলছি আমি কিছুটা ক্লান্তই বোধ করছি। বাঙালি বিপক্ষদের বোঝাতে পারি নি যেটা সেটা হল, এখানে এমন হাতি ঘোড়া কিছুই অর্জন হবে না, কিন্তু আমি সমর্থন করি শুধুমাত্র ফাইটিং স্পিরিটটাকে। আর আপনাকে বলছি আপনি যে দেশের গুনগান গাইছেন সে দেশের বাহিনীর দ্বারা আমার দেশের সাধারন জনগন নিহত হয়েছে। সুতরাং আপনার দেশের সাধারন জনগনের চাইতে আমি যে আমার দেশের মৃত জনগনের কথা বেশি ভাবব এটা নিশ্চই অস্বাভাবিক কিছু নয় তাই না? সেজন্যেই আপনি যতই ভাই সাধারন জনগন বলে চিৎকার করেন না কেন, আমার কাছে আমার দেশের সাধারন জনগনের দুঃখই প্রাধান্য পাবে। কজ এনড ইফেক্টে আপনার বিশ্বাস করতে হবে। জানতে হবে ঢিল যদি কেউ মারে তাহলে পাটকেল খাবার আশা খেয়েই মারতে হবে। এখন আমাদের দেশের সরকার আপনাদের দেশের সরকারের পদলেহনে ব্যস্ত। যার জন্য পাটকেল না পারলেও, ক্রমাগত গাল দিয়ে যাচ্ছে কিছু প্রতিবাদী কন্ঠস্বর।
প্রশ্ন উঠতে পারে আপনি তাহলে কী করবেন? আপনি নীতিগতভাবে বাঙলাদেশীদের কোনভাবেই এই যুদ্ধটা বন্ধ করতে বলতে পারেন না। কারন আপনার দেশের বন্ধুত্বের আলিঙ্গনে আমার দেশে রীতমতন শিৎকার উঠছে। আপনি চেঁচাবেন আপনার দেশের সরকারের কাছে। বলবেন, এই যে গণতান্ত্রিক ভারত, বাঙলাদেশের উপরে যে নির্মম কার্যক্রম তোমরা চালিয়ে যাচ্ছ, সেটা বন্ধ কর। নইলে আমি কোন বাঙলাদেশীকে বলতে পারছি না আমরা গণতান্ত্রিক, আমি বলতে পারছি না, তোমরা যা করছ তাতে করে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত নির্লজ্যভাবে আপনি আপনার দেশকে গনতান্ত্রিক বলে প্রসংশা করে যাচ্ছেন। আপনি মাঠে নেমে রাজনীতি করা মানুষ, জানি না কেন শুধু ব্লগেই তীব্র নিন্দা করে ঠান্ডা মেরে যাচ্ছেন। এতে আপনাদের নাগরিক গণতান্ত্রিক শক্তিরও অপচয় হচ্ছে। তাই নয় কী?
আপনার প্রত্যকটা পয়েন্টের রিবাটল দেয়া যেত। কয়েকটা বলছি। কারন জানি কাজ হবে না। আপনি গণতান্ত্রিক দেশের জয়গান গাইতেই থাকবেন।
বাহ কী সুন্দর গণতন্ত্রের নমুনা দেখিয়ে গেলেন তাই না? ভারত যদি প্রতি মিনিটে মিনিটে গণতন্ত্র প্রসবই করে থাকে তাহলে সীমান্তে কীভাবে একজন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করতে পারে বলে আপনার মনে হয়? কীভাবে আপনি যে কথাগুলো বললেন সেটা করতে পারে একটা গণতন্ত্রের নিশান ওড়ানো দেশ?
কী মারব সেটা তো প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল খুবই সুন্দরভাবে আপনি ইন্ডিয়ার গণতান্ত্রিক স্বভাবের কথা জানিয়ে দিলেন। জানিয়ে দিলেন ক্ষমতা থাকলেই গণতন্ত্রের বিজ্ঞাপন দেয়া যায়। ক্ষমতা থাকলেই যা ইচ্ছা তাই করা যায় কোন প্রকার যৌক্তিকতা ছাড়াই।
সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষের হত্যার ব্যাপারটা আপনার কী মনে হয়? বন্ধুত্বের আলিঙ্গন? ন্যাংটা করে মানুষ পেটানোকে কী মনে হয়? হাসতে হাসতে বন্ধুর বস্ত্রবিহীন নাচের জলসা উপভোগ?
আপনার মাঠে নেমে রাজনীতি করা মস্তিষ্ক যে পলিটিক্সটা বুঝতে পারছে না তাহল নির্যাতিত জনগনের কখনোই নির্যাতনকারীর উপরে পুতুপুতু ভালোবাসা থাকে না। যেটা থাকে সেটা হল জলন্ত ক্রোধ আর গনগনে ঘৃনা। এবং এটাই স্বাভাবিক। তার ক্ষমতায় যতটুকু কুলোয় সেটা সে করবেই তার ক্ষতি করার জন্য। খুবই স্বাভাবিক সিম্পল গণিত এটা। গাছের আগা কেটে গোড়ায় জল ঢাললে শুধু শক্তিরই অপচয় হবে। গাছ বেড়েই চলবে।
আপনি শ্রদ্ধেয় লোক।
আমি ভারতের সাথে বাঙলাদেশের গণতন্ত্রের তুলনায় যাচ্ছি না। কারন আমার চোখে বাঙলাদেশে বলার মতন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নেই। কিন্তু প্রত্যেকটি জায়গায় ভারতের স্থলে বাঙলাদেশের নাম বসিয়ে দেখুন অবস্থা খুব একটা পালটাবে না। আমি যেটা বুঝি না সেটা হল একটা দল গণতান্ত্রিক হলে সেটা কীভাবে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকে। যদি ভালোই করে ৩৪ বছর ধরে তাহলে কলকাতায় আজকে কেন হিরক খন্ড দিয়ে বাধানো রাস্তা নেই? যদি তাই হয় তাহলে ৩৪ বছর পরে কী এমন ঘটলা যে জণগন তাদের হটিয়ে দিল। ভাই গো, ভারতের সম্পর্কে হয়ত সব খবর রাখ যায় না বা রাখ সম্ভব না, কিন্তু আপনি যে কয়েকটা পয়েন্টের কথা বলে ভারতকে গণতান্ত্রিক বলে পরিচিত করতে চাচ্ছেন এবং চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন যে আর কোন দেশেই এমনটা নেই, তখন সেটা কিন্তু শুধু জাতীয়তাবাদী ঘাড়ত্যাড়ামীই না, নির্লজ্য মূর্খতা। আপনার প্রত্যকটা পয়েন্টের কথাই আমি ধরে ধরে উত্তর দিতাম যদি না আপনি বলতেন,
তাও আবার স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরে!! ভাই এখনও আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন আপনি গণতন্ত্রের সংজ্ঞা জানেন? :-Y
কারন কুকুরগুলোকে খাইয়ে দাইয়ে বড় করছে পাড়ার লোকেরা। এখন কুকুর কামড়ালে কিছুটা দায়ভার তো পাড়ার লোকেদের উপরের বর্তায় কী বলেন? সবচেয়ে বড় কথা পাড়ার লোকেদের কথা নাকি আবার কুকুর সম্রাটেরা শোনে, সেখানে নাকি আবার পৃথিবীর শ্রেষ্ট গণতন্ত্রের আবাসভুমি। যার জন্য বলছি, পাড়ার লোকেরা যাতে একটু আলোচনা করে কুকুর গুলোকে অন্য জায়গায় ঘেউ ঘেউ আর কামড়াতে বলে।
ভিসার টাকা বাঁচাতে বাঙালি জাতির একটা অংশ আলাদা দেশ গঠন করে নি। তথ্যটা জানা থাকল। ধন্যবাদ।
রোজই!!!??? ও। না মানে আমি ভেবেছিলাম গণতন্ত্রে সাধারনত এইটা ঘটার কথা না। মানে উন্নত বিশ্বের গণতন্ত্রে এগুলো ঘটে না আর কী। হতে পারে ওগুলো গণতন্ত্র নয়। অনেক অজানা পৃথিবীতে।
আপনার দেশের বাহিনী আপনার কথা শুনবেনা? দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হয়ে এটা আপনি বলতে পারলেন। যাহ, আপনি নিশ্চই আমার সাথে মজা করছেন। মজা করছেন কেন? সবাইকে সত্যটা জানিয়ে দিন না যে আপনাদের জনগণের কথা সরকার কান পেতে শোনে।
অবশ্যই দায়টা ভারত সরকারের। কিন্তু কোন ভারতীয়কে চীন সরকার যদি গুলি করে মেরে শো পিস হিসেবে, মানে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে সীমান্তে ঝুলিয়ে রাখে সেটার দায় চায়না সরকারের। যদি কোন ভারতীয় অসহায় যুবককে উলঙ্গ করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পেটায় সেটার দায় চায়না সরকারের। তার উপরে যদি সে দেশ হয় স্বঘোষিত বন্ধু রাষ্ট্র তাহলে সেটা চমৎকার বন্ধুত্বের নিদর্শন হয় বই কী। কী বলেন?
তো এটা নিয়ে কী একজন গণতান্ত্রিক দেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে আপনার বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ হয়, যে আপনার দেশের গণতান্ত্রিক সরকার আরেকটি দেশকে তার প্রাপ্য ভাগ থেকে বঞ্চিত করছে? মানে ডাকাতি করছে? যে আপনারা আসলে গণতান্ত্রিক ডাকাত?
কেন কেন? এটা শুধু আপনার জন্যেই প্রযোজ্য কেন হবে? আমাকে কি একনায়ক মনে হয়? এটা নির্যাতন করে নির্যাতিতকে সোজা হয়ে যেতে বলা সমস্ত উপদেশবর্ষনকারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমিও আপনাদের মতন গণতন্ত্রের চর্চা করছি। দোয়া রাখবেন।
সন্দেহের কারন কি বলে মনে হয় আপনার?
কিন্তু আমিতো দেখছি আপনারা ভদ্র সমাজের লোকেরা নিজের দেশের সীমান্তে লোক হত্যা করেও দিব্বি দাত ব্রাশ থেকে শুরু করে জগৎবিখ্যাত ব্যংকে কাজ করে পেট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না আর সমস্যা হয়ে গেল একটা দু’চায় শব্দের কথায়? আমি ভাই একটু অমনই। ভদ্র সমাজের অন্তর্ভুক্ত না। আপনি ইচ্ছা করলে এখনই আমার সাথে বাতচিত বন্ধ করে দিতে পারেন। আমি স্বঘোষিত অসভ্য, অভদ্র। যারা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা সাপোর্ট করে তাদের সাথে ভদ্র ব্যাবহার করি না। আমি একটু এমনই।
@সাইফুল ইসলাম,
কিছু কথা দিয়ে শেষ করতে চাই, কারন এই দীর্ঘ আলোচনাতে আমিও সমান ক্লান্ত! যদি লাস্ট ওয়ার্ড রাখতে চান, আমার উত্তরের পরে রাখতে পারেন, আমার আর উত্তর দেবার ধৈর্য নেই।
১।বি এস এফ
এই সামরিক বাহিনি এবং এদের কীর্তিকলাপ নিয়ে আমার কি অবস্থান, বা ভারতের সাধারন মানুষ তা কি চোখে দেখে, তা বহুবার বলা হয়ে গেছে এই থ্রেডে। আর বলতে পারছিনা।একটু পড়ে নেবেন, অনুরোধ করলাম। একদম শুরুতে বলেছিলাম, “বি এস এফ-এর বদমাইশিগুলোর তীব্র প্রতিবাদ করছি(ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের মানুষের সাথে করা অন্যায়-ই জঘন্য), সেই সাথে এও বলছি, যে বি ডি আর-ও সমান পাজি। এদের ঊর্দি আর পতাকা ছাড়া বিশেষ তফাৎ নেই!”এরা শুধু বাংলাদেশের মানুষ মারেনা, নিজের দেশের মানুষ-ও মারে।মানবাধিকার লঙ্ঘনের কেসগুলোতে ভিক্টিম কোন দেশ, তা নিয়ে বিচার চলেনা।ইরম শর্মিলা চানু ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে এক দশক অনশন করেছেন।তিনিও ভারতের নাগরিক। আপনি যখন বি এস এফ-এর হাতে আপনার বাংলাদেশী সহনাগরিকের হত্যা দেখেন, তখন আমি রাষ্ট্র শক্তির দ্বারা মানুষের উপর সন্ত্রাস দেখি। আমার রাজনৈতিক শিক্ষা এই চোখ আমাকে দিয়েছে। দুটো অবস্থানের মধ্যে অনেক পার্থক্য।
হ্যাকার যুদ্ধ
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস যখন সাধারন মানুষের উপর নেমে আসে, তা যেমন সন্ত্রাস, তেমন রাষ্ট্রকে শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে যখন একটি গোষ্ঠী জনজীবন
বিপর্যস্ত করার পথ বেছে নেয়, সেইটাও সমর্থনযোগ্য নয়।সেইটাও সন্ত্রাস।
মানবিকতার বিরুদ্ধে এই অপমানের প্রতিবাদ করা বাঙলাদেশীদের অধিকার ১০০% আছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার উদ্দেশ্যে আর একটি সার্বভৌম দেশের ক্ষতিসাধন করা সমর্থনযোগ্য নয়।তার অন্য অনেক উপায় আছে, যার কিছু আগে বলেছি।
ভারতীয় গনতন্ত্র
এর সম্বন্ধে আপনার ধারনা নেই বললেই চলে। আমার বলা ১০-টা পয়েন্টের মধ্যে ১,২,৩,৫,৮ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে খাটে কি? তাহলে “প্রত্যেকটি জায়গায় ভারতের স্থলে বাঙলাদেশের নাম বসিয়ে দেখুন অবস্থা খুব একটা পালটাবে না। “ বললেন কি করে।
বুঝবেন-ও না।আগে ভারত বিরোধি রোদচশমা চোখ থেকে নামান।ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি-র লক্ষ্য জনগণের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া ছিল।ভুমি সংস্কার, অপারেশন বর্গার দ্বারা তার কিছুটা হয়েছে।কলকাতায় হিরক খন্ড দিয়ে বাধানো রাস্তা বানানো তাদের উদ্দেশ্য ছিলনা। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থেকেছে, তাও কিনা একটা ফ্রন্টকে সাথে নিয়ে, যখন কেন্দ্রে এরা বিরোধি পক্ষ।নিজেদের বিচ্যুতির কারনে সরে গেছে এই বছর। এটাই বাস্তবিক গনতন্ত্র। আপনি কোন ইউটোপিয়াকে গনতন্ত্র মনে করেন জানিনা।
গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি একটু বলে দেবেন দয়া করে? যে ১০টা কথা বলেছি, তার সাথে আরো হাজারটা কথা বলা যেত। বলেছি কারন এইগুলো সুস্থ গনতন্ত্রের লক্ষণ।কঠিন মুল্য দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে।কঠিন মুল্য দিয়ে ধরে রাখতে হবে।
বাঙলাদেশে রাজাকার বা জামাতিদের দেখিয়ে যেমন, ভাষা আন্দোলনকে ছোট করা যায়না, তেমন ভারতে তীব্র বৈষম্য ও শোষণ দেখিয়ে গন আন্দোলন-এর ইতিহাসকে ছোট করা যায়না।
বল্লাম তো আইনের পথে লড়াই-এর কথা। এখানে ব্যক্তি আমি-র কথা হচ্ছেনা। সমষ্টিগত আমাদের কথা শুনবে সরকার, আর সরকারের আদেশ পালন করবে সৈন্যবাহিনী।সেইটা সব সময় কেন হয় না, তার কারন হিসেবে বলেছিঃ
গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কোন সোনার পাথরবাটি নয়। একটা দীর্ঘ পথচলা।৬৫ বছরে, কিছু হয়েছে, অনেক কিছু হয়নি। যেগুলো হয়নি, তার বিশ্লেষন করে আগামীর পথে এগিয়ে চলাই গনতন্ত্র।শ্লথ হলেও ভারতে সেই প্রক্রিয়া আছে। তাতে আমরা অংশ নিই।ত্বরাণ্বিত করার প্রচেষ্টা করি।উপস্থিত পরিকাঠামো ব্যবহারের চেষ্টা করি। মানুষের অধিকারের জন্যে কমিঊনিস্ট পার্টির হয়ে লড়াই করি।অন্যায় অবিচার দেখলে প্রতিবাদ করি।নিজেদের পার্টির তিক্ত সমালোচনা করতেও কমরেড-দের পিছোতে দেখিনি।মানুষকে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেওয়ার এই লড়াই-এর ক্ষুদ্র অংশ হতে পেরে গর্বিত।
চোখের বদলে চোখের স্বাভাবিক পরিনাম কি, সেইটা বোঝাতে কথাটা বলা। ভেবে বসবেননা আমি(বা সাধারন ভারতীয়-রা) আণবিক বোমা প্রয়োগের পক্ষে সওয়াল করছি।কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বর্ষনের দায় কিছুটা হলেও বিংশ শতাব্দীর সেরা মাথাদের উপর বর্তায়।হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আণবিক বোমা পড়ায় অনেকেই লস এলামাসে সেলিব্রেট করেছিল। যুদ্ধং দেহি মোনোভাব নিয়ে, আলোচনার পথ বন্ধ করে দিলে কি হতে পারে, সেইটা বলতে চেয়েছি।
” ক্ষমতা থাকলেই যা ইচ্ছা তাই করা যায় কোন প্রকার যৌক্তিকতা ছাড়াই”- কিন্তু তাকে সমর্থন করতে হবে এমন কোন কথা নেই।
কতগুলো উন্নত বিশ্বের গণতন্ত্র দেখেছেন জানিনা।এই অধম নিজ চোখে কিছুদিন আগে লন্ডনে দাংগা দেখেছে।ফ্রান্সে জাতি দাংগা বহুবার হযছে।আমেরিকাতেও।বিক্ষুব্ধ জনগোষ্টির ক্ষোভের একটা বড় লক্ষ্য ছিল পুলিশ। ইংল্যান্ড ফ্রান্সে সমাজ ব্যবস্থা তত উন্নত নয় বোধহয়।
পরিশেষ
একি কথা বার বার বলা হয়ে গেল। ফরিদ ভাই আর মামুন ভাইকে আমার অবস্থানের সারমর্মও লিখে দিয়েছি।নিজের অবস্থান বারংবার পরিষ্কার করেছি। কিন্তু আপনি তা না পড়ে, বেছে বেছে কিছু পঙক্তি তুলে জিহাদি জিগির জারি রাখবেন জানি।
ভালো থাকবেন, আরা ভারতের কেল্লা ফতে করে জানাবেন অবশ্যি।
@অনামী,
সমান পাজী না বেশি পাজী সেটা দেখার মতন উচু রাজনৈতিক দর্শনের অধিকারী আমি এখনও হই নি। আমার দর্শন বলে নিজে চুরি করে আরেকজনকে শেখানোটা গণতান্ত্রিক ভন্ডামো, কমিউনিষ্টিক ডাকাতি। আপনি যেটা করতে পারেন এক্ষেত্রে তাহল, বিএসএফ বাঙলাদেশীদের হত্যা করতে থাকাকালীন অবস্থায়, ভারতমাতা বিশ্বের শ্রেষ্ট গণতন্ত্র, বিএসএফ এর মতন বিডিআর ও খারাপ বলতে থাকতে পারেন(যেটা অলড়েডি আপনি করছেন), যদিও আপনাদের মতন মাঠে নেমে রাজনীতি করা উচ্চ রাজনৈতিক দার্শনিকদের বারা ভাতের উপর অধিকার তারা ফলাতে যায় নি। যেটা না করলে আপনাদের গণতান্ত্রিক ভারতের বিএসএফ জওয়ানরা রাতে বদ হজমে ভোগে।
আপনিও আপনার গণতান্ত্রিক ভারতের লুচ্চামীকে ছদ্মবিরোধীতা করে যাচ্ছেন সেই প্রথম থেকেই। তাতে কার কি ছিড়েছে বলতে পারেন? নিজেরা সন্ত্রাসী করে আরেকজনকে এসেছেন রাজনৈতিক দর্শন শেখাতে। আপনার এই উপদেশের উপরে আমি ছ্যাড়ছ্যাড় করে ইয়ে করি।
আপনার কেমন ধারন রয়েছে তা ভারতকে গণতান্ত্রিক দাবী করার পরেই বুঝতে পেরেছি। আমার কথা না হয় বাদই দিলাম, আপনাদের কলকাতার প্রবীর ঘোষের একটা লেখাকেই এখানে কোট করছি। লিঙ্ক দিচ্ছি। যদি মনে না করে থাকেন আপনিই সব জেনে ছিড়ে ফুড়ে পর্বত বানিয়ে ফেলেছেন তাহলে একটু পড়ে দেখেন। তারপরে জানান গণতান্ত্রিকতা বলতে আপনি কী বোঝেন, আর যেটা বোঝেন সেটাকে কী মূর্খতা বলে নাকি ভন্ডামী বলে।
লিঙ্কটা এখানে।
নিজেদের বিচ্যুতির কারনে সরে গেছে? বাহ, বেশ ভালো একটা রাজনৈতিক বিশ্লেষন করলেন তো! জানি না মানে যে কিছুই জানি না তাতো নয়। আপনাদের গণতান্ত্রিক ৩৪ বছরে কালকাতায় কী হয়েছে সেটার খন্ড, ভগ্নাংশ যদি কেউ জানে তাহলে তাকে দূর্ণীতি, দাদাগীরি রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই বলবে না। আপনার কাছে সেটা হয়ে গেছে গণতান্ত্রিক রাজনীতি! আপনার মতন মানুষেরা যে ভারতকে গণতান্ত্রিক বলবে সেটা মোটেও আশ্চর্য নয়। অবাক হচ্ছি না।
সে আপনি গর্বিত গর্ভবতী অনেক কিছুই হতে পারেন। আর যে দেশের শোষন তীব্র, দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী মানুষ দৈনিক না খেয়ে থাকে তাকে আপনি বলছেন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র। আবার কিনা বলছেন আপনি জাতীয়তাবাদী না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আপনার সাথে এতক্ষন প্যাচাল পাড়লাম দেখে এখন নিজেকে কোপাইতে ইচ্ছে করতেছে। অনেষ্টলি বলছি। :-X
যুদ্ধংদেহী মনোভাব আমাদের????? হত্যাগুলো কে করছে? নিশ্চই আমরা তাহলে? মেরে পিটিতে ঝুলিয়ে রাখছে কারা? আমরা নিশ্চই? চোখ নষ্ট করে মেরে ফেলছে কারা? আমরা নিশ্চই?? ন্যাংটো করে পিটিয়ে পেড়ে ফেলছে কারা?? আমরা নিশ্চই?? তাহলে আমরা অবশ্যই যুদ্ধং দেহী মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছি। আর কী করবেন বলুন, আপনাদের আনবিক হ্যাডমটা এবার দেখিয়ে দিন। গণতান্ত্রিক ভারতমাতার আনবিক গোপনাঙ্গটা দেখিয়ে দিন। শিক্ষাটা দিয়েই দিন না এবার তাহলে।
সত্যি বলছি, আমি অন্তত চোখের বদলে চোখই তুলে নিতাম আমার ক্ষমতা থাকলে আজকে মহান গণতান্ত্রিক ভারতের। এটা মোটেই আপনাদের পপুলার কিংবদন্তি “ভারত বিদ্বেষ” থেকে নয়। সেটা আমি কোন দেশের উপরেই পোষন করি না। কিন্তু আপনাদের গণতান্ত্রিক ভারতকে গণতন্ত্র না জানা আমি একটা শিক্ষা দিয়ে দেখিয়ে দিতাম যে কত ধানে কত চাল। আফসোস, আজকে গণতন্ত্রের সার্টিফাইড ডিলাররা গণতন্ত্রকেই উপর্যুপরী ধর্ষন করে যাচ্ছে আর আপনারা গণতান্ত্রিক ভারতের গণতান্ত্রিক নাগরিকেরা সেটা উপভোগ করে রাতে ভেজাস্বপ্ন আক্রান্ত হচ্ছেন!
যে ভারতকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র বলে তার যে দুনিয়া সম্পর্কে কত কি জানা আছে সেটা আমি পানির মতন পরিষ্কার বুঝি।
সেটা মোটেই জানানো লাগবে না। কেল্লাফতে হলে আপনিই জেনে যাবেন।
@সাইফুল ইসলাম,
আপানার মন্তব্য টা প্রথমে যত খানি আগ্রহ নিয়ে পরছিলাম, এইখানে এসে মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
খুব অরুচিকর মন্তব্য।ভদ্রসমাজে এমন মন্তব্য কেউ আশা করে না।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাইজান, এখানে নৈতিক সমর্থন দিচ্ছেন মানে? হ্যাকিং কি নৈতিক সমর্থন পাবার যোগ্য?আর হ্যাকিং জানলে কি ওদের সাথে ওই কাজ টায় লেগে পড়তেন?সত্যি আপনার কাছে আমি এই কথা আশা করি নি ভাই!!এটা তো সাইবার ক্রাইম বলেই জানি আমি।
@অনামী,
অথচ দেখুন প্রথম আলোর মত বাংলাদেশের শীর্ষ পত্রিকা এই নিয়ে মাতা মাতি করছে। এখানেই প্রমাণ হয় যে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা পেশাদার না।
হুম, তবে আমি শুনেছি যে বি এস এফ যাদের গুলি করে মারে তারা অনেকেই নাকি নারী পাচারকারী।আমার এক ভারতীও বন্ধু যে বাংলাদেশের প্রতি খুব সহানুভূতিশীল আর বন্ধু ভাবাপন্ন সে আমাকে এটা বলেছে।জানিনা কতটুক ঠিক জানে সে।
আমি মনে করি যে চোরা চালানীদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা দরকার, কিন্তু নারী পাচার কারী দের কে বিনা দ্বিধায় গুলি করে মারাই দরকার, যদি ধরা অসম্ভব হয়।
@অচেনা,
কথাটা বোধহয় ঠিক নয়। আর পাঁচটা সংগঠনের মতন বি এস এফ-ও সৎ এবং অসৎ দুই প্রকার মানুষ থাকবে। যাঁরা সৎ ও নিয়মনিষ্ঠ অফিসার, তাঁরা আইন মেনেই চলবেন। যারা অসৎ তারা ক্ষমতার দম্ভে দুর্নীতির আশ্রয় নেবে, Insas হাতে পেয়ে অত্যাচার চালিয়ে যাবে। বি এস এফ যদি বেছে বেছে নারী পাচারকারীদেরকে মারত, তাহলে বাংলাদেশ থেকে এত হাজার হাজার নিঃসহায় মেয়েরা দিল্লী-মুম্বাই বা মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয় কি করে? বি এস এফ-এর যে অংশ এই চক্রের মধুপান করে তারা মনে হয়না অবলা নারীর যৌন-নির্যাতন নিয়ে গোপনে অশ্রুপাত করে।
আসলে এই বি এস এফ বা বি ডি আর, বা উপমহাদেশের পুলিশ-আমলারা বৃটিশ ব্যবস্থার ঊচ্ছিষ্ট।যে ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশকে শোষনের মাধ্যমে ছিবডে করে দেওয়ার জন্যে।কালের নিয়মে বৃটিশরা চলে গেল, ‘স্বাধীনতা’ এল।কিন্তু গোরা সাহেবদের জায়গায় কালা সাহেবরা এসে আমলা তান্ত্রিক শোষন ব্যবস্থাটি অটুট রাখলেন।যে পুলিশ-মিলিটারি কাল মাউন্টব্যাটনকে সেলাম ঠুঁকছিল, সে আজ হঠাৎ করে জিন্না বা নেহেরুকে স্যালুট মেরে বসল।শ্বেত সন্ত্রাসের প্রকৃতি বা পুলিশ-মিলিটারির শ্রেণী চরিত্র যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরে-ই থাকল।
@অনামী,
যদিও মুক্তমনায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বেশী, তবু এটি দু’দেশের বাঙ্গালির ব্লগেই ধন্য হয়েছে। উভয়ের দীপ্ত আলোচনা একে মুখরিত ও অনন্য করে তুলেছে। তাই আপনার ধারনা ভুল নয় মোটেই। প্রকৃতপক্ষে, মুক্তমনা একাত্তরের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। একাত্তরে দুদেশের বাঙ্গালিরা এক হয়ে গিয়েছিল মনে-প্রানে! বাঙ্গালির জন্য এমন শুভ সময় আসেনি আর কখনো; সামনে আসবে কিনা সন্দেহ!
এইটাই হল, আসল কথা! ধন্যবাদ এই মূল্যবান বিষয়টি উল্লেখের জন্য! আমরা যতদিন এটি না বুঝব, ততদিন পুলিশ-মিলিটারির শ্রেণী চরিত্রের মত আমাদের সমস্যাও যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই থাকবে! আসলে সমস্যার গোঁড়ায় হাত দেয়া দরকার! সেজন্য পুলিশ-মিলিটারির চরিত্র বদলের কোন বিকল্প নেই।
তবে আপনার কাছে আমার কয়েকটা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন রয়েছে:
(১) বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন আর ভারত সরকারের নীতি পরিবর্তনের মধ্যে যে ধনাত্মক সংশ্লেষ দেখা যায়, তার কারণ কি? দুটি দেশের স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য এটি যে ভয়ানক অসুস্থকর, তা কি আপনি মানেন?
(২) নারী চালান বা গরু চালান- যাই হোক না কেন, মানুষের উপর গুলি চালানোর মত মধ্যযুগীয় কাজ গণতান্ত্রিক ভারতের বিএসএফ অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছে কি করে, যখন এমনকি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারটি বন্ধের ব্যাপারে প্রকাশ্য কমিটমেন্ট করে গেছেন? ভারত সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই? দেখুন বিএসএফের অপকর্ম দুদেশের সম্পর্কোন্নয়নে হাসিনা-মনমোহনের সব শুভ কর্ম কিভাবে বানচাল করে দিচ্ছে! একজন ফেলানির মৃতদেহ দেখে বাংলাদেশীদের মধ্যে যদি যুদ্ধংদেহী মনোভাব তৈরি হয়, তাকে কি আপনি খুব বেশী দোষ দিতে পারেন? এমন দৃশ্য জাতীয়তাবোধ এমনি এমনি জন্ম দেবে! ভারতের ক্ষেত্রেও তাই হত। আর পাইক্কা-রাজাকারদের ক্রমাগত ইন্ধন-উস্কানি তো আছেই!
(৩)বাংলাদেশের বাংলা চ্যানেল ভারতে দেখা যায় না কেন? আমরা তো ভারতের সব চ্যানেলই আগ্রহভরে দেখছি।
(৪)ভারত ব্রহ্মপুত্রের উপর চীনের বাঁধের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন; অথচ টিপাইমুখের ব্যাপারে ভারতের দ্বিমুখী নীতির কারণ কি?
(৫)ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে কেন? কোন বন্ধু কি এই কাজ করবে? চোরাচালান রোধের জন্য আইনের প্রয়োগই যথেষ্ট ইত্যাদি।
ভাল থাকবেন দাদা!
@কাজি মামুন,
অবশ্যই মানি।ব্যাপারটা খুব পরিষ্কার। ভারত অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে বাংলাদেশের থেকে শক্তিশালী দেশ।তাই ভাবে যা খুশি করে, যেমন পারবে তেমন করে চাপ দিয়ে পার পেয়ে যাবে।নতুন সরকার এলে ভারত প্রথম রাতেই কূটনৈতিক বেড়াল মারার চেষ্টা করে।বাংলাদেশ আর ভারতের সম্পর্ক সুস্থ নয় মোটেই।অধিকাংশ ভারতীয়র ধারণা যে বাংলাদেশ কে পাকিস্তানি বুটের নিচ থেকে উদ্ধার করেছে ভারত তাই বাংলাদেশ চিরকাল বশংবদ হয়ে থাকবে। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি।মুক্তিযুদ্ধের মতন সংগ্রামে যে দুটি দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে, তারা এই অবস্থায় কি করে আসে আমাদের তার জবাব আগামী প্রজন্মকে দিতে হবে বইকি!
বি এস এফ-এর এই কুকীর্তির নিন্দা করছি তো! ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে ঠিক-ই।সদিচ্ছা নেই।স্বীকার করতে দ্বিধা করিনা।তার উপর সরকারের আছে বিরোধি দলের ভয়। যদি বাংলাদেশের প্রতি বেশী বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে পড়ে, তাহলে তারা বলবে “ছ্যাঃ! শেষে কিনা বাংলাদেশের কাছে কূটনৈতিক পরাজয়”।
জানিনা! হয়ত টিভি চ্যানেলরা লবি করে আটকে দেয়। বা ডিস্ট্রিবিউটাররা মনে করে যে বাংলাদেশের বাংলা চ্যানেল ভারতে কোন বাজার পাবেনা! আমি অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকা এবং গল্প উপন্যাসের আমদানি চাই।এগুলি বড়ই কম আসে।
কারণ চিন ভারত অপেক্ষা শক্তিশালী। চাইলেই দুই থাবড়া লাগাতে পারে।তিমিকে গেলে তিমিংগিল আর তাকে গেলে তিমিংগিলগিল।
সারা দুনিয়াতেই কাঁটাতার কেন? সীমান্ত-ই বা কেন? মানুষে মানুষে এত বিভেদ কেন? আমরা তো চাই সেইগুলো মুছে দিতে।সীমান্ত আর কাঁটাতার না থাকলে শাসকেরা জনগনকে কোন জুজুর ভয় দেখাবে? সামরিক বাহিনি-ই বা পুষবে কি বলে? মাত্র সত্তর বছর আগে গোটা ইউরোপ একে অপরের সাথে লড়াই দিয়ে মরছিল।হাজার বছরের হানাহানির ইতিহাস নিয়েও তারা ইউরো বানিয়ে ফেলল।আজ ইচ্ছে করলে আপনি ফ্রান্সের থেকে রাস্তা পার হয়ে জার্মানি গিয়ে পাউরুটি কিনে আনতে পারেন। কোন কাঁটাতার বা সীমান্তরক্ষী পাবেননা। গোটা দুনিয়াটাই তো এমন হবার কথা!
আপনিও
@অনামী,
অনেক ধন্যবাদ আপনার জবাবের জন্য। আপনার অবস্থান থেকে যতটুকু বলা সম্ভব , ততটুকুই বলেছেন। আপনার আলোচনায় আপনার আন্তরিকতা, উদারতা আর দূরদর্শিতাই ফুটে উঠেছে! তাই এ বিষয়ে আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করার তেমন সুযোগ নেই। তবু দু’একটা বিষয় তুলে ধরার প্রয়োজন মনে করছি:
আসলে সব যুক্তি, পাল্টা যুক্তির পর এই প্রসঙ্গটাই উঠে আসছে; সব দায়ভার চাপানো হচ্ছে ভারতীয় দর্শকদের উপর। আমি এ বিষয়টি নিয়েই কৌতূহলী; আসলেই ভারতের বাঙ্গালিরা বাংলাদেশের বাংলা চ্যানেলগুলি দেখতে চায় না? আমার এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে এটিএন বাংলার কথা। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট জগতে পদার্পণ এই চ্যানেলের মাধ্যমে। এটিএন বাংলা চ্যানেলের অর্ধেক সময় বরাদ্দ থাকত বাংলাদেশের অনুষ্ঠানের জন্য এবং বাকীটা ভারতের জন্য। দুই দেশেই চ্যানেলটি দেখা যেত তখন। ঐ সময়ে একবার সানন্দা সম্পাদক ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী অপর্ণা সেন বাংলাদেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশের টেলিভিশন সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উনি বলেছিলেন, উনি বিটিভি তেমন দেখেননি। তবে এটিএন চ্যানেলে বাংলাদেশের অনুষ্ঠান দেখেছেন, যা এক কথায় জঘন্য। হয়ত তখনকার ভারতীয় দর্শকদের মতেরই প্রতিধ্বনি করেছিলেন অপর্ণা সেন। এবং সত্যি বলতে কি, এটিএনের ঐ সময়কার অনুষ্ঠানগুলো সত্যি নিম্নমানের ছিল (সস্তা সিগারেটের বিজ্ঞাপনে ভরপুর ছিল চ্যানেলটি); কারণ ওটা একটা নামকাওয়াস্তে চ্যানেল ছিল তখন, কোন শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল না এর। তাই এটিএনের সেই সময়কার মান বাংলাদেশের টিভি জগতের সামগ্রিক মানের প্রতিনিধিত্বমূলক ছিল না। বরং তখন বাংলাদেশের বিটিভি চ্যানেলের নাটক খুব জনপ্রিয় ছিল আমাদের সীমান্তবর্তী ভারতীয় জেলাগুলোতে! এরপর বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। আমাদের চ্যানেলগুলোর সংবাদ, নাটক বা সংগীত অবশ্যই প্রতিযোগী-সক্ষমতা অর্জন করেছে। উদাহরণ দিচ্ছি: পশ্চিমবঙ্গের তারা চ্যানেলে বাংলাদেশের সংগীত ও নাট্যশিল্পীদের অনুষ্ঠান ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। সুতরাং, ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো অবশ্যই দর্শকদের দ্বারা সমাদৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস। আর সমাদৃত না হলে তা তো বন্ধ করে দেয়ারও সুযোগ আছে। কিন্তু আগে তো চ্যানেলগুলোকে ভারতের দর্শকদের সামনে আনতে হবে; অথচ সেখানেই ব্যাপক বাঁধার প্রাচীর সৃষ্টি করা হচ্ছে মনে হয়!
@কাজি মামুন,
সম্পূর্ণ একমত। নিজদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দুর করতে সাংস্কিৃতিক আদানপ্রদানের থেকে কার্যকরী আর কিছু নেই।নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সেই প্রয়াসটা না থাকলে ভুল ধারনাগুলো জেঁকে বসে।ব্যক্তিগতভাবে চাই বাংলাদেশের সাথে আরো বেশী মত বিনিময় হোক, সাংস্কিৃতিক আদানপ্রদান বাড়ুক।এর জন্যে যতগুলো মাধ্যম সম্ভব, তার সদ্ব্যবহার হোক। নয়ত শুধু মন্ত্রী-আমলাদের উপর নির্ভর করলে যা হয়, তা তো হচ্ছেই!
বাংলাদেশী শিল্পীদের মধ্যে অনুশেহ আনাদিল আমার বিশেষ প্রিয়।বাংলাদেশী সিনেমা থিয়েটার দেখার তেমন সুযোগ ঘটে না। কিন্তু মনের মানুষ চলচ্চিত্রে বাংলাদেশী অভিনেতাদের অভিনয় খুব ভালো লেগেছিল।
বাংলাদেশী গল্প-উপন্যাস-কবিতা যেটুকু পড়েছি তাতে মুগ্ধ হয়েছি।সুনীল-শক্তি-সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতন শামসুর রহমান আমার একজন প্রিয় কবি।এখনো মনে আছে তাঁর “আসাদের শার্ট” বা “দঃস্বপ্নের একদিন” কবিতাগুলি পড়ার কথা।আর “পাক সর জমিন সাদ বাদ” পড়ে কিরকম চমকে গেছিলাম, কি বলব! নবারুন ভট্টাচার্য ছাড়া এত বড় ধাক্কা কেউ সাম্প্রতিককালে আমাকে দিয়েছে বলে মনে হয়না।
এক-ই ভাষা, এক-ই কৃষ্টি, এক-ই ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও শুধু কাঁটাতার, সীমান্ত এবং ক্ষুদ্র রাজনীতির কারনে যখন দুই পারের বাঙালীরা আর নিজেদের চিনতে পারেনা, তখন খারাপ লাগে বইকি।
@অনামী,
হাঁ , আসলে শুধু নারী পাচারকারী মারছে না,অন্য চোরাচালানী দের কেও মারছে আর আমিও এটাই বলেছিলাম, আর বি এস এফ এর ( অথবা যারাই করুক না কেন )আর সব হত্যা কাণ্ড কে আমিও তীব্র নিন্দা করি, একজন মানুষ হিসাবে আর অবশ্যই একজন বাংলাদেশী হিসাবে কারন মারা যাচ্ছে আমার নিজের দেশের মানুষ।
যদিও নিজের দেশ হোক, আর অন্যদেশ হোক, নিরীহ মানুষকে যারাই মেরে ফেলছে বা অত্যাচার করছে, এদের প্রতিবাদ করা অবশ্যই সব মানুষেরই কর্তব্য বলে আমি মনে করি।
ঠিক বলেছেন।
আর হাঁ আইন মেনে চলার কথা আসলে অবশ্য কোনভাবেই গুলি করে মারা কে সাপোর্ট করা যায় না।
কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় যে অনেক সময় যারা ( বি এস এফ বা বি ডি আর এর কথা বলছি না) শেষ অবলম্বন হিসাবে আইন কে হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়, জানি না তাদের কে কত খানি দোষ দেয়া যায়।
@অচেনা,
আপনার কথায় বলছে আপনি বাঙলাদেশী বাঙালি, যার জন্য যে যা বলছে তাতেই বাহবা দিচ্ছেন। কে কী বলছে আগে নেড়ে ঘেটে দেখুন তারপরে না হয় যাকে তাকে বাহবা দিবেন। আমি উপরে একটা বিরাআআআট কমেন্ট করেছি সেটা পড়ুন, মস্তিষ্ক খেলাতে শিখুন।
মুক্তিযুদ্ধে বাঙলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নির্মমভাবে পাইক্কা অফিসারদের মেরেছে। এতে আপনার নৈতিক সমর্থন আছে?
@সাইফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ উপদেশের জন্য। আমি নেড়ে ঘেঁটে দেখেই বলেছি। আর হা আমি বাংলাদেশী।
আমি উপরে একটা বিরাআআআট কমেন্ট করেছি সেটা পড়ুন, মস্তিষ্ক খেলাতে শিখুন।
আচ্ছা পড়ব, আর মস্তিষ্ক খেলানোর দায়িত্ব টা আমি আপনাকেই দিলাম যেহেতু আপনার ওইটা (মস্তিষ্ক) অনেক বেশি শার্প। আমি ভাই ছা পোষা মানুষ, লেখা লেখি আসেনা আমার আপনাদের মত ভাল,আদার ব্যাপারী বলতে পারেন, জাহাজের খবর নেয়া কি আমার পোষায় বলেন? 🙂
আপনি কি ধরনের জবাব আশা করেন আমার কাছে? আমি ভাই গান্ধীবাদি না, ক্ষুদিরামের ভক্ত।কারন মহাত্মা গান্ধীর ভয়ে না, ক্ষুদিরাম দের মত লোকদের ভয়েই ইংরেজরা ইন্ডিয়া ছেড়ে পালিয়েছে বলেই মনে করি আমি। আর নিউ টেস্টামেন্ট মানতেও আপত্তি আছে। ৩০ লাখের তুলনায় বাংলাদেশী রা কয়টা পাকিস্তানের অফিসার মেরেছে, পরিসংখ্যানটা জানালে খুশি হতাম 🙂 ।
@সাইফুল ইসলাম, মন্তব্যটির জবাব দিয়েছিলাম মনে হচ্ছে মুছে দেয়া হয়েছে, কারন সেটা আর দেখতে পাচ্ছি না। কাজেই ২য় বার পোষ্ট করাটা সমীচীন মনে করছি না।
আমি যতটুকু ঘাটাঘাটি করেছি এটা ভুল তথ্য।এ এনোনিমাস ইন্দোনেশিয়ান হ্যাকার An0nym0uz17 একটা গ্রুপ। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এনোনিমাস যা করে তা ঘোষণা দিয়ে করে।আর চীনারা যদি যোগ দিত ভারতের প্রতিরক্ষা দূর্বল হয়ে যাওয়ার কথা তাই না ?? চীনারা তো এমনিতেই নানা দেশে সবসময় সাইবার এটাক চালায়। তো ?? ভারত কি এতোই বোকা??আর শেষে যা বলব তা হল আমি যতটুকু চষে বেরিয়েছি তাতে মনে হল এটা আসলে পাকিস্তানি কিছু গ্রুপও জড়িত(মূলত মনে হয় অধিকাংশ) এবং তারা এটাকে ধর্মযুদ্ধে পরিণত করেছে!!কয়েকটা মেসেজ দেখলেই বোঝা যায়।
আমার উপরের কথা গুলো নিজের দেশকে হেয় করার জন্য না।বাংলাদশের সাইট গুলো হ্যাক করার জন্য ইন্ডিয়ান হ্যাকার লাগে না…। অধিকাংশই কমন কিছু CMS…নাইলে সাধারণ কিছু কাজ করে বানানো।ঐ গুলা হ্যাক করা না করা সমান কথা।তবে কথা হচ্ছে ঈন্ডিয়ানরা আমাদের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিকে অনেক উন্নত।আমাদের উচিত এই ফাকে ওরা যেন আমাদের প্রতিরক্ষামূলক কোন তথ্য নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা।
সেই একই ইতিহাস,এর থেকে আমরা আর বের হতে পারলাম না। ভারত আই,টি তে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে কোথায় আমরা ভারতের থেকে আই,টি ব্যবসা একটু হাতিয়ে নেব,তা না শুরু করলাম যুদ্ধ। তাও অসম যুদ্ধ। এর মাধ্যমে আমাদের হ্যাকাররা কি আরও বড় হ্যাকার হবে?,যদি হয় ভাল!হিন্দু- মুসলিম দন্ধ টা জাতিগত না,ধরমগত বা বরনগত অনেকটা পশ্চিমের সাদা কালোদের মত,চিরন্তন,যেন এর শেষ নেই। নতুন প্রজন্মের কাছে আবেদন নতুন করে ভাবুন,অতীতে কে কার ওপর কতটা অত্যাচার করেছে তা এখন শুধুই ইতিহাস, মুসলিম হিন্দুর ওপর এবং হিন্দু মুসলিমের ওপর অত্যাচার করেছে আবার বৃহৎ অংশ একসাথেই থেকেছে এখনো আছে। রাম আর রহীমের কোন যুদ্ধ নেই দন্ধও নেই এখানে রাম রহীম দুজনেই বঞ্চিত শোষিত ,বঙ্গভঙ্গে,দেশভাগে এবং সাইবার যুদ্ধে রাম- রহীমের কোন লাভ নেই ক্ষতি ছাড়া । এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারন মানুষেরও কোন অবদান নেই ৭১ এ বাঙালীর উপর অত্যাচারের ব্যাপারে, পশ্চিম পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙ্গালীদের উপর সাধারন উর্দুভাষীরা তেমন কোন অত্যাচার করেছিল বলে শোনা যায় না,্বরং আমাদের বাংলাদেশের বিহারী উর্দুভাষীরা অত্যাচার করেছিল যারা ভারত থেকে এসেছিল,মায়ের চেয়া মাসির দরদই বেশী ছিলএখন যেমন আমরা আমাদের পাহাড়ি ভাইদের উপর সাধারন বাঙ্গালীরা কোন অত্যাচার করিনা,কিন্তু জিয়ার কল্যানে যেসব বাঙ্গালিকে পাহাড়ে নামিয়ে দিয়েছে তারা পাহাড়িদের উপর অত্যাচার করে,একই ইতিহাস। পাহাড়িদের উপর অত্যাচার করে আমাদের সেনাবাহিনী সেই পাক হানাদারদের মতই। একই ইতিহাসের যেন পুনরাবৃত্তি। এভাবে আর কতদিন?… কতদিন !!!
@সপ্তক, যুদ্ধ দেখলেন কোথায়? প্রথম আলোর পাঠকদের কাণ্ড দেখেন। ভাব দেখে মনে হচ্ছে যে বাংলাদেশী হ্যাকাররা মহাযুদ্ধ করে রীতিমত ভারত দখল করে নিয়েছে 😀
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-13/news/224348
আর এইখানে এই নিউজ টা আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে, আসলে বাংলাদেশি হ্যাকারদের কত ক্ষমতা তা এই নিউজ পড়লেই জানবেন
http://www.nagorikblog.com/node/7597
এটা আসলে হ্যাকথু বলেই আমার মনে হচ্ছে 😛
আমি মোটামুটি কনফিউসড। এই লেখাটা পড়ে দেখুন। ইন্টারেস্টিং কিছু বিষয় উঠে আসছে।
গুরুত্ব পুর্ণ খবরটি দিয়ে সতর্ক করে দিয়ে অনেক উপকার ই করেছেন। তাহলে ব্যাংক ও তো আক্রান্ত হতে পারে!!
সাম্প্রতিক ঢাকায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনীর হত্যা তদন্ত সস্ম্পর্কীয় আসু খবর সমূহও আমরা কারো দ্বারা মুক্তমনায় পাইতে আশা করতেছিলাম।
ধন্যবাদ।
কেউ কি সর্বশেষ খবর বলতে পারবেন, কার কতদুর ক্ষতি হলো? হালার আমি যদি হ্যকার হইতে পারতাম। ;-(
যদি হতাম আমি হ্যাকার
তাহলে থাকতাম না আর বেকার
অনলায়িন এ থাকত আমার হাজার খানেক গাড়ি
এক নিমেষেই কিনে নিতাম টনি ব্লেয়ার এর বাড়ি ।
হ্যাকার গ্রুপ কে সাহায্য করতে মন চাই কিন্তু আমি তো হ্যাক পারিনা। :guli:
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইজান ভালা নি ? আপনি যে সেই উধাও হইয়া গেলেন আর খবর নাই। আপনারে তো হারিকেন দিয়া টোকাইতে আছিলাম , কিন্তু কোন পাত্তা নাই।
@ভবঘুরে,
কাশেম ভাই বে আদপ পোলাকে যে ভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন,তাতে আমার সন্দেহ হচ্ছে বে আদপ পোলা ওখানে আর আসতে বোধ হয় একটু ইতস্ততঃ করছেন।
বে আদপ পোলা আসলে তো বরং আরো ভালই লাগে ।বে আদপ পোলা, আবার আসুন । আপনার যুক্তিগুলী শুনতে খুবই ভাল লাগে।
@ভবঘুরে, হা ভালো, আপনার কি অবস্থা, আমার লেখা না প্রকাশ করা হলে আমি কি করতে পারি, অনেকটা আমার মুখে টেপ আটকিয়ে কথা বলার মতন। :-Y
@বেয়াদপ পোলা,
কন কি ভাইজান। কই আপনার এ লেখা তো ছাপানো বন্দ করে নি। তাহলে? যুক্তি হীন উদ্ভট কথা বার্তা বললে তো এখানে তা ছাপে না জানি, এ সাইটের একটা মান ইজ্জত আছে না? :-s
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইজান, আমি তো আপনার পক্ষেই ছিলাম। বিবর্তনের পক্ষেই তো বললাম। কিন্তু আপনে কই হাওয়া হইয়া গেলেন?
@রনবীর সরকার,
বিবর্তনের পক্ষে বলে বেয়াদপ পোলার পক্ষে থাকলেন কি করে? উনি তো কোন এক আল্লাহ হুট করে দুনিয়াতে এক আদম আর হাওয়ারে পাঠাইছিল এ ধরণের তত্ত্বে বিশ্বাসী।
@ভবঘুরে,
টাইপিং মিসটেক হয়ে গেছে। ওটা হবে বিবর্তনের বিপক্ষে।
স্যাটায়ার একটা মন্তব্য করেছিলাম ওই পোস্টে। পড়ে দেখতে পারেন।
আমার মনে হয় এই যুদ্ধে ভারতের বেশী হরানোর আছে। কেননা ভারত ই কমার্সের দিক দিয়ে অনেক বেশী এগিয়ে। ফলে বাংলাদেশের হ্যাকারদের টার্গেট সংখ্যা অনেক বেশী হবে। সে তুলনায় বাংলাদেশের সাইবার স্পেস খুব কম মানুষই ব্যবহার করে। ফলে যুদ্ধে ক্যাজুল্টির পরিমান ভারতের বেশী হবে মনে হয়।
নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরা তো আমাদের উপমহাদেশের পুরনো ঐতিহ্য !!! তাতে নতুন উদাহরণ যোগ হতে চলেছে সন্দেহ নেই ৷ আসুন চিনা দের আনন্দের ব্যবস্থা করি !!
এই যে সমস্যা উপস্থাপনের পর কি করনীয় সেটা নিয়ে বলেছেন, এইটা ভালো লাগলো খুব।
হ্যাকাররা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পুটার জগতে কি কি ক্ষতি করতে পারে আর কি ভাবে এগুলো একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারতেন কিন্তু। যাই হোক সময় পেলে বলবেন আশা করি।
এই কাজেও যদি চিনের সাহায্য লাগে তাইলে ইন্ডিয়ান গরু ছাড়া কোরবানি যে হইব না তা ত বুঝাই যায় :lotpot:
১ম মহাযুদ্ধ, ২য় মহাযুদ্ধ, স্বাধীনতা যুদ্ধ, আর এখন সাইবার যুদ্ধ, এই কলিকালে বোধকরি কেয়ামতের আলামত স্পষ্টতর হইতেছে! :-O
@রাজেশ তালুকদার, দাদা ভালোই বলেছেন। :lotpot: :guru: ভয় শুধু একটাই যদি শেষে মুক্তমনা সাইটটিও অর্থোডক্স-হ্যাকারদের কবলে পড়ে! 🙁
ওয়েট করছি শেষ দেখবার জন্য। শুনলাম শেল ইন্ডিয়া নাকি হুমকি ধামকি দিয়েছে।
সংখ্যাটা ১০হাজারের উপরে। এদের একজনের সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচিয় আছে। ও একবার গুগলও হ্যাক করেছিল। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো হ্যাকার কমিউনিটি “এনোনিমাস” বাঙলাদেশকে নৈতিক এবং কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে। আমার কাছে কিন্তু চরম লাগছে!
প্রথম আলোতে প্রথম পেজে আজকে খবর এসেছে এই নিয়ে।
@সাইফুল ইসলাম,
এটার কি একটা প্রমাণ দিতে পারবেন? যেমন অ্যানোনিমাসের একটা টুইটার?
@রূপম (ধ্রুব),
না রূপম ভাই, আমার কাছে কোন প্রমান নাই। সাইবার আর্মির অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এইটা ঘোষনা মারছিল। আর আমি মাইরা দিলাম এইহানে। :))
তয় বিডি নিউজ না কোনহানেও জানি দেখছিলাম।
@সাইফুল ইসলাম,
পাইক্কাদের নিয়া হিন্দু-ইহুদি-নাসারা বিরোধী যে যুদ্ধ, তারে কওয়া হইতেছে সীমান্তে হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। দ্যাখেন, আমরা যে হাজার হাজার সাইট হ্যাক করতাছি, তা প্রায় গুরুত্বহীণ ব্যক্তি সাইট। আর ইন্ডিয়া কয়েক মাস আগে যেসব সরকারী সাইট হ্যাক করছিল, তা এখনো ঠিক করতে পারি নাই আমরা। সুতরাং, আমরা কার যুদ্ধ করতাছি? পাইক্কাগো? খেলাফতের?
নীচে নিটোল ভাই লিংক দিছে। সময় পাইলে পইড়া দেইখেন।
@কাজি মামুন,
কোন কিছু না বুইঝ্যা যারে তারে সাপোর্ট দেওয়া আপনার মৌলিক বৈশিষ্ট মনে হয়। সচলে যারে তেল দিতাছিলেন হেই হিমু আমার তিনটা কমেন্ট আটকাইয়া রাখছে। কারে সাপোর্ট মারতাছিলেন বুঝছেন?
এইরকম অভিযোগ অনেক শোনা যাইতাছে কিন্তু হ্যাকার কমিউনিটি কিন্তু এইডা অস্বীকার করছে। চোক খান খোলা রাখলেই জানতে পারতেন।
খবর ভুয়া অয়নের সম্ভবনাই বেশী। দুইএকটা দেহান এইরকম। আর সবচাইয়া বড় কতা আমগোর যে সাইট ঐগুলা বাইচ্যা থাকতেই মূমুর্ষ। হ্যাকড অইলেও তেমন কোন কিছু অইব বইলা মনে অয় না।
আমি পড়ছি। ভালো লাগছে। কিন্তু আশাঙ্কায় পড়ার মতন তেমন কিছু দেখলাম না। খালি কইছে পাইক্কাগুলারে যাতে লগে না লয়। যেইটা আমি উপরেই কইছি যে হ্যাকার কমিউনিটি এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। আপনি এই কাহিনী ভিতরের অনেক খবরই জানেন না। যার জন্যে হিমুর অভিযোগগুলারে আপনার কাছে অকাট্য মনে অইতাছে। আর চামে দিয়া বামে ঐহানে যাইয়া পামাইতাছেন। মৌলিক চ%
@সাইফুল ইসলাম,
তাইলে আফনেই সেই সাইফুল! খুব ভাল লাগতাছে ভাই! আমাগো সাইফুল ভাই দেহি সচলেও ঝড় তুলছে। বিশ্বাস করেন, আমার কিন্তু অহংকার হইতেছে! (আস্তে আস্তে আমার ভিতরও জাতীয়তাবাদ/ব্লগবাদ জাইগা উঠতেছে!) এইডা ঠিক যে, সাইন্সের বিষয়ে বুঝি কম; কিন্তু জানার লাইগগাই তো ব্লগে ঢুকি! তয় আমি কিন্তু হিমু ভাইরে তেলাই নাই এক ফোডাও। আমি নিটোল ভাইয়ের দেয়া লিংক পইড়া যা বুঝছি, তাই লিখছি; নাকি এইডাও দোষের?
চোখ-কান খোলা রাইখ্যাই তো বুঝছি, পাইক্কারা ক্যামনে সুড় সুড় কইরা ঢুইক্কা পড়ছে! ক্যান আফনে নিটোল ভাইয়ের লিংক পড়েন নাই? ঐহানে তো ছবিসহ আছে!
আমাগো হ্যাকাররা মূমুর্ষু সাইটগুলারে একটু বাঁচাইয়া তুলতে পারে না? বিশ হাজার ভারতীয় ব্যক্তিসাইট/ পর্নোসাইট হ্যাক না কইরা ১৮ হাজার হ্যাক করত। আর ঐ টাইমডা দ্যাশের লাইগগা দিলে ভাল হইত না?
বুঝলাম না!