ইদানিং লেখার খুব বেশী ইচ্ছা হয় না। কিন্ত সদালাপের এই লেখাটা পড়ে এত হাঁসি পেল, দু লাইন না লিখে স্বস্তি পাচ্ছি না।

রায়হান বলে সেই বিখ্যাত সদালাপী দাবী করেছে, নাস্তিকদের কোরানের মতন “প্রমান্য” ধর্মগ্রন্থ নেই, তাই নাস্তিকতা “ফালতু”!

আমি গত ১০ বছর ধরে এই “নাবালক” ইসলামিক ভদ্রলোককে দেখে এবং এর লেখা পড়ে ও এর অনাবিল পান্ডিত্যে এত বিনা পয়সার আমোদ লাভ করেছি-না লিখলেও বিদগ্ধ পাঠকরা নিশ্চয় বোঝেন!

তবে এটা সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেল!!!!

সত্যিই নাস্তিকদের কোন “প্রমান্য” ধর্মগ্রন্থ নেই!! আমার মনে হয়, রায়হান সাহেবের জন্যে একটা নাস্তিক কোরান লেখার সময় এসেছে!!!

ব্যপারটা দাঁড়াল এই-দর্শন এবং বিজ্ঞানে মানুষ এই যে এত এত গ্রন্থ বার করেছে-তা সব ফালতু- ধর্মগ্রন্থ গুলিই সব! লোকে যা মানে তাই সত্য!

সমস্যা টা এই যে মুসলিমরা যেমন কোরান মানে, অমুসলিমদের একটা বড় অংশই একে শয়তানের ধর্মগ্রন্থ বলে মনে করে! এটা অন্য ধর্ম গ্রন্থের জন্যেও সত্য। তাহলে বেসিক প্রশ্নটা হচ্ছে, এসব রেখে লাভ কি?

নাস্তিকতা বা আস্তিকতা কোন জীবনচারনের শর্ত না- একজন আস্তিক এবং নাস্তিক একই ধরনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ধারনার অধিকারী হতে পারে। ঈশ্বরের বিশ্বাস অবিশ্বাসে কিছু পার্থক্য হয় না। হয় ধর্মগ্রন্তগুলির রাজনৈতিক লাইনে। যেগুলোর পেছনে আবার সামাজিক ইতিহাস আছে। আর ধর্ম গ্রন্থগুলো ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক দলিল ছারা কিছু না। এগুলোর গুরুত্ব অস্বীকার করছি না-কিন্ত এই ধরনের কোন ” স্থির রাজনৈতিক লাইন” নিলে নাস্তিকতা ও আস্তিকতার মতন নিকৃষ্ট ধর্মে পরিনত হবে।

ইসলাম বা ধর্মগুলির পচনের কারন-কিছু স্থির ধারনার সাপেক্ষে রাজনৈতিক শক্তিগুলির বিন্যাস। যার উৎসমূখ ধর্মগ্রন্থ গুলি।যা আবার এসেছে ঐতিহাসিক পটভূমিকা থেকে। সুতরাং এই ধরনের ধর্মগ্রন্থ ভিত্তিক ধর্ম আসলেই সমাজের জন্যে ক্ষতিকর-কারন এগুলো ক্ষমতার কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। যা ধর্মের পচনের মূল কারন।

সব থেকে বড় কথা আমাদের ভবিষ্যত জীবন নিয়ন্ত্রিত হবে এলগোরিদম দিয়ে- ধর্ম গ্রন্থ দিয়ে না। উন্নত বিশ্বের অনেক কিছুই এখন এলগোরিদম নিয়ন্ত্রিত-সব জিনিসের দাম, মাইনা-রাজনীতি- আমেরিকাতে সব কিছুতেই এখন এলগোরিদমের ছাপ। ধর্মগ্রন্থ আর রাজনীতিকে বা সমাজকে নিয়ন্ত্রন করবে না। তা করবে মানুষ এবং এলগোরিদম। এর সাথে কেও ঈশ্বরে বিশ্বাস করলো কি না করলো তার সম্পর্ক নেই। কিন্ত ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস করলো কি না-তার সাথে সম্পর্ক আছে। ঈশ্বরে বিশ্বাস নিরীহ-মনের দিক দিয়ে ভালও হতে পারে-কিন্ত ধর্ম গ্রন্থে বিশ্বাস, এইডস রোগে আক্রান্ত রুগীর সাথে সঙ্গম-যা
বিশ্বাসীকে এইডস রোগে আক্রান্ত করবেই। এবং সে সমাজে সেই রোগ ছড়ানোর চেষ্টা করবে। অন্য ভাইরাসের মতন ধর্মের ভাইরাসও সেই ভাবেই ডিজাইন্ড।