” যারা রাজনীতির সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই বলে দাবী করেন তারা ধর্ম জিনিষটা যে কি সেটাই বোঝেন না। ” – মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী
যারা আমার ধর্ম নিয়ে এলার্জীর কথা জানেন তারা এর মধ্যেই হয়তো এই লেখার শিরোনাম পড়ে কিঞ্চিত ভুরু কুচকাবেন । শুধু ধর্ম নয় , রাজনীতি , লিঙ্গনীতি তথা নৈতিকতার কচকচানী সহ বস্তাপঁচা দর্শনে ভরা বিষাক্ত রাজনৈতিক ‘শুদ্ধতাময়’ লেখালেখি কিংবা বকবকানিতে আমার ভীষণ এলার্জী আছে এবং আমাকে ‘ইম্পিরিক্যালি’ পর্যবেক্ষন করার অভিজ্ঞতা যাদের আছে , তারা এটা জানেন। আমি অবশ্য পয়সা কড়ি এবং আদিমতা নিয়ে একটু আলাদা নীতি অবলম্বন করি। সেখানে কথা (লেখা ?) কম কাজ বেশী- এই নীতি আমার অধিকতর পছন্দ ! তাহলে এই যে, কি যেন কি এক নতুন এক ধর্ম নিয়ে লিখছি ! আমি কি তাহলে আমার ‘সংশপ্তকতাবাদ’ থেকে সরে আসলাম ? আমার নিজের নীতি বিসর্জন দিয়ে দিলাম ? হতে পারে। নীতিতে পারদের মত তারল্য আমার কাছে ভালোই লাগে। আর বিরক্ত করবো না। যে কারনে আমার এই লেখা সেই প্রসঙ্গে এবার আসা যাক।
ইন্টারনেটে ফাইল শেয়ার করা নতুন কিছু নয় যাকে দুর্মুখেরা ‘ ইন্টারনেট পাইরেসি’ বলে থাকেন। টরেন্টে জীবনে একবারও বৈধ-অবৈধ দু একটা ফাইল শেয়ার অথবা ডাউনলোড করেননি এমন একজনের সাক্ষাৎ পাওয়া অন্তত ‘ ইন্টারনেট-শিক্ষিতদের’ মাঝে পাওয়া আজকাল দুষ্কর। তবে ঘটনাচক্রে, আপনি যদি সেই বিরল ‘নন ডাউনলোডস বোরিংগোস’ প্রজাতির কেউ হয়ে থাকেন , তাহলে এখনই আমার বিপ্লবী সেলাম গ্রহন করুন। কপিরাইট পাইরেসী একটা বিতর্কিত বিষয়। যারা কপিরাইটের সংরক্ষক তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটা একটা বেদনাদায়ক বিষয়। সংগীত , চলচ্চিত্র , বই হোক কিংবা সফ্টওয়ারই হোক – অনেক কষ্ট করে সময় এবং অর্থ ব্যয় করার পর এসব পন্য বাজারে আসে। কিছু মানুষ মাউসের এক ক্লিকে মুহুর্তের মধ্যে এসব পন্য বিনা পয়সায় কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে । সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্হারাও বসে নেই। ফাইল শেয়ারিং বন্ধে দেশে দেশে নিত্য নতুন আইন যেমন, Stop Online Piracy Act (SOPA) বানানো হচ্ছে , মামলা মোকদ্দমাও হর হামেশা ঠুকে দেয়া হচ্ছে।
সবাই যে কপিরাইট পাইরেসীর বিপক্ষে এমনটাও নয়। এই ফাইল শেয়ারে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে , সফ্টওয়ার দস্যুদের মক্কা বলে পরিচিত ‘ দ্য পাইরেট বে’ যাদের সমর্থনে কিনা আবার পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে ‘পাইরেট পার্টি’ নামে সক্রিয় রাজনৈতিক দলও আছে। শুধু তাই নয় এরা তাদের নিজ নিজ দেশে নির্বাচনেও অংশ নিয়েছে। এদের মূল উদ্দেশ্য অবাধে ফাইল শেয়ার করার আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা। রাজনীতি থাকবে কিন্তু ধর্ম থাকবে না – এ কি করে হয় ?
এবার একটা খবর দিয়ে শেষ করি । মাত্র কয়েকদিন আগে সুইডিশ সরকার একটা নতুন ধর্মকে আনুষ্ঠানিক সরকারী স্বীকৃতি দিয়েছে। ধর্মটার নাম ‘কপিমিজম’ । এ ধর্মে ইন্টারনেটে ফাইল শেয়ার (পড়ুন পাইরেসি! ) করাকে পবিত্র অধিকার এবং ধর্মীয় প্রার্থনার সমতুল্য বলে গণ্য করা হয় । ধর্মটার প্রতীক হিসেবে নেয়া হয়েছে CTRL+C এবং CTRL+V । এ ধর্মের প্রবর্তক ১৯ বছর বয়সী দর্শনের ছাত্র ইসাক গেরসন যিনি জাতিতে একজন সুইডিশ !!
জয় কপি মাতাকি কি জয়!
এই ধর্মের অনুসারির সংখ্যা ৩০০ কোটি হবে। সফল একজন নবী
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
ব্লগে like মারার বাটন চালু করা উচিৎ
ধর্মের ব্যাপারটা বুঝলাম না। ধর্মের প্রধাণ অস্ত্র জান্নাতের লোভ, জাহান্নমের ভয়, আধ্যাত্বিক অনুপ্রেরণা এসব অদৃশ্য ধরা ছোঁইয়ার বাইরের জিনিস। কম্পিউটারে(ইন্টারনেটে) সর্বোচ্চ আধ্যাত্বিক(উচ্চমার্গীয়) অনুপ্রেরণা থাকতে পারে, কিন্তু বাঁকি গুলি বুঝলাম না। আরো elaborate করে আরেকটা post দেন।
@Anik Samiur Rahman,
ধর্মের ব্যাপারটা বুঝলেন না ? ” যারা রাজনীতির সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন , ধর্মকে আধ্যাত্মবাদের সাথে তুলনা করেন, তারা ধর্ম জিনিষটা যে কি সেটাই বোঝেন না। ”
কপিমিজম ধর্মে যেটাকে সুইডিশ সরকার একটা নতুন ধর্মকে আনুষ্ঠানিক সরকারী স্বীকৃতি দিয়েছে, ইন্টারনেটে ফাইল শেয়ার (পড়ুন পাইরেসি! ) করাকে পবিত্র অধিকার এবং ধর্মীয় প্রার্থনার সমতুল্য বলে গণ্য করা হয় ।
এই ধর্ম গ্রহন করার জন্য কি কোন কলেমা পড়তে হবে?
@অ বিষ শ্বাসী,
আমার মনে হয় যে , এ ধর্মে কলেমার চাইতে , আমল- আাখলাকের উপর বেশী গুরত্ব আরোপ করা হয়। টরেন্ট থেকে উইন্ডোজ ৭ এর একটা পাইরেটেট কপি আপনার ল্যাপটপে ইন্সটল করে যেমন ১০ টেরাবাইট( বোনাস পয়েন্ট তো আাছেই) সওয়াব হাসিল করবেন , তেমনি সাথে সাথে নও- কপিমিসিস্ট হিসেবে আপনার নাম ‘আহলে সাইবারে’ অনন্ত কালের জন্য খোদাই করে হয়ে থাকবে।
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে –
নুতন সীকৃত ধর্ম “কপিমিজম” – এই তথ্য ভিত্তিক লিখাটি মূলত আমি ছিন্নপাতার।
কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনতে অপারগ আমি, ফলাফল? লেখকের নাম সকলে দেখতে পাচ্ছেন সংশপ্তক হিসেবে।
হায়রে “কপিমিজম”!!
[:-) ]
@ছিন্ন পাতা,
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ক্ষেত্রে যেমন এর প্রতিবাদে রাজনৈতিক এবং বিচার বিভাগীয় সমর্থন পাওয়া যায় , অন্যান্য ক্ষেত্রে তা
দেখা যায় না। মানুষের আবেগ ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করে । কেউ অপবিজ্ঞান প্রচার করলে আমরা দেখি না যে , বিজ্ঞানীরা তার প্রতিবাদে মামলা মিছিল করছেন কিংবা হিংসাত্মক বিবৃতি দেয়া হচ্ছে। ধর্ম কিংবা জাতীয়তাবাদী অনুভুতি নিয়েই দেখা যাচ্ছে যে মানুষ খুব বেশী সংবেদনশীল। এর অন্যতম প্রধান কারন এই যে, রাজনীতির সাথে ধার্মিক এবং জাতীয়তাবাদী দর্শনের অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। যে কোন বিষয় কে , যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় সেই বিষয়টিকে ধর্মীয় আবরণ দেয়া। উদাহরণ স্বরূপ, উগ্র পরিবেশবাদ কিংবা উগ্র লিঙ্গবাদ এক সময় এক ধরণের ধর্মে পরিনত হবে এবং তখন সে সব বিষয় নিয়ে আর সহজে বিতর্কে যাওয়া যাবে না যেহেতু সেক্ষেত্রে একটা জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার রাজনৈতিক স্বীকৃতি বলবৎ করা যাবে।
দারুণ বলেছেন। তবে অনেকে একধাপ আগে বেড়ে বলেন, ধর্ম আর রাজনীতি তো একই জিনিস; অনেক চেষ্টা-মেষ্টা করেও কি এদের আলাদা করা সম্ভব?
@কাজি মামুন,
বরফ থেকে পানি কি পৃথক করা যায় ?
এই ধরমে তো দীক্ষা নিতে হবে দেখছি !!!
@মহসিনা খাতুন,
দীক্ষা নিন । অভিজ্ঞতার একটা আলাদা মূল্য আছে বলেই তো এতকাল শুনেছি।
আমার কপিমিজম পছন্দ হইসে। টরেন্ট এ পাইরেটেড মুভি নামালে আমাকে পুলিশ ধরতে পারবে না। আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনা হবে।
@নির্মিতব্য,
আমার মতে ঠিক এই কারনেই এই ধর্ম প্রবর্তিত হয়েছে।
@বিনায়ক হালদার,
ঠিক। যাতে ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজের সুবিধা হাসিল করে নেয়া যায়। (Y) (Y) (Y)
@বিনায়ক হালদার,
আসলেও তাই। আমি একবার একটা সামার ফেস্টিভালে পাইরেট পার্টির স্টলে গেসিলাম। নতুন জেনারেশন এদেরকে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে এমন দেশে সেন্সরশিপ এর বিরুদ্ধে এত বড় সংগঠিত অভিযান কেন, যেখানে অন্য দেশের তুলনায় সেন্সরশিপ নাই বললেই চলে। কপিমিসম কিন্তু কপিরাইটেড জিনিস কে লিগাল বলছে না। এই ধর্ম খুব ভাল সময়ে জনসাধারনের সামনে আসছে যখন আমেরিকায় SOPA নামে একটি বিচ্ছিরি বিল কংগ্রেসে আসছে যা কপিরাইট জিনিসকে রক্ষা করে যাবে, কিন্তু আসলে এটি সেন্সরশিপের আরেক ধাপ। এরকম ক্যাপিটালিস্ট দেশে সব কিছুই কপিরাইট করা যায় টাকা থাকলে, কিন্তু পাইরেট পার্টি বা কপিমিসম এর উদ্ভব ই হয়েছে সোসালিস্ট মুক্তমনার দেশে। এরা তাদের কপিমিসম লোগো প্রকাশ করেছে আর বলেছে আপনি আপনার ইচ্ছামত পাল্টে নিন। আসেন আমরা মুক্তমনায় কপিমিসম এর একটা বাংলা লোগো তৈরি করি। :))
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/01/kopimism1.jpg[/img]
@নির্মিতব্য,
“plagiarism is a crime”. Kopimism এর স্বর্গে তো Plagiarist রাই আগে ঢুকবে। তথ্য স্বাধীণতার চেয়ে আমাকে এটাই বেশি ভাবাচ্ছে।
@Anik Samiur Rahman,
Kopimism -এ ইন্টারনেটে ফাইল শেয়ার করার স্বাধীনতাকে ধর্মীয় আচার হিসেবে দেখানো হয়েছে। আপনি যদি একটা পাইরেটেট মুভি কিংবা সফ্টওয়ার ডাউনলোড অথবা আপলোড করেন – এটা তাদের দৃষ্টি বৈধ। plagiarism এখানে কোন ইস্যু নয় , প্রাসঙ্গিক নয়।
@সংশপ্তক,
দয়া করে আপনার উপরক্ত মন্তব্যের জন্য রেফারেন্স দিবেন কি।
আমি নিচে তাদের ওয়েবসাইট (যেটা অরিজিনালি সুইডিস-এ ওটা গুগোল ট্রান্সলেশনে ইংলিশ হয়) থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি।
আমার কাছে তাদের অনেক কথা পরিষ্কার না। আমি যেই সুইডিস আইন এর কথা বলছে তার সাথে পরিচিত না। আমি ভাবছি ওদের ফোন করে জিজ্ঞেস করবো। সাইটে একটা নাম্বার আছে। :))
@নির্মিতব্য,
এখানে দেখুন এবং এখনও সন্দেহ থাকলে তাদের ফোন করলে আরও ভালো হয় । নিশ্চিত থাকুন যে, তারা ফাইল শেয়ার বলতে সব রকম ফাইল শেয়ার করার কথাই বলছে।
@সংশপ্তক,
নিচের লাইনটি আপনার পাঠানো প্রথম লিংক থেকে নেওয়া।
তাই নিশ্চিত হতে পারলাম না তারা ফাইল শেয়ার বলতে সব রকম ফাইল শেয়ার করার কথাই বলছে কিনা।
@নির্মিতব্য,
আবার পড়ুন । এখানে Although the formal status of the Church doesn’t mean that copyright infringement is now permitted ( by law ) পড়তে হবে। কেননা , দেখুন founder hopes that their beliefs will be considered in future lawmaking। law বা আইন বলতে রাষ্ট্রের আইন বোঝায়।
@সংশপ্তক,
রাষ্ট্রীয় আইন সব রকম ফাইলকে, তথ্যকে ওপেন হিসেবে গন্য করে না। কারন আইন কপিরাইটেড তথ্য-এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কপিমিসম রাষ্ট্রীয় আইনের ভংগ করে কপিরাইটেড তথ্য আদান-প্রদান করা কে লিগাল করে না। আপনি আমাকে আবার পড়তে বললেন কেন বুঝলাম না। আপনাকে তো আমি এই জন্যই এই লাইনটাই উদ্ধৃতি দিয়ে দিলাম। এই কথাটা তো আপনার আগের কথাটাঃ
কথাটাকে সমর্থন করে না। কারন পাইরেটেড মুভি সাধারনত কপিরাইটেড করা মুভিই হয়।
কপিমিসম কোনো চলতি আইনকে বাইপাস করার জন্য আসে নাই। তারা ওপেন ইনফরমেশনকে আরো শক্তিশালী করতে চায়। পাইরেট বে এর মতো ওয়েবসাইট SOPA আইনের কারনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যে কারনে এখন megauploader এর মতো সাইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আইনী জটিলতায়। তথ্য আরো ফ্রি হতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন কোনো app কিনেন আপনাকে ওটার কোডও পাঠাতে হবে। এটা খুবই পরিষ্কার ভাবে রাজনৈতিক দল পাইরেট পার্টির declaration of principle থেকে বোঝা যায়। আমার কাছে কপিমিসম পরিষ্কার না, কারন আমি দর্শন কম বুঝি। কিন্তু এটুকু বুঝি, কপিমিসম কোন আইনের ফাক ফোকর তৈরী করার জন্য আসে নাই, পাইরেটেড মুভি, গেম, গান নামানোর জন্য আসে নাই, এটা আসছে তথ্যকে শক্তিশালী করতে, কপিরাইট বা পেটেন্ট এর নামে যে বানিজ্য চলে তার বিরুদ্ধে দাড়াতে।
@সংশপ্তক,
আমি দুঃখিত যদি আমার কথা কোন কারনে রূঢ় মনে হয়। আমি আসলে খুবই উৎসাহী এই ব্যাপারটা নিয়ে। আমার আরেক বন্ধু কপিমিসম নিয়ে প্রথম শেয়ার করে ফেসবুকে। সে আবার ইনফরমেটিক্স এর ছাত্রী। আমি ওর সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখলাম ওর এটাতে তেমন কোন আইডিয়া নাই। কিন্তু সে আমাকে জানালো, well i do not follow their cause. I share information. And stay individual. আমি ওকে বললাম, আমাদের ওদের কজ্টা কি জানা উচিৎ, কজটা না ফলো করতে চাইলেও।
আপনাকে ধন্যবাদ এ ব্যাপারে আমাকে আগ্রহী করার জন্য। কোনো নতুন তথ্য পেলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। :))
@Anik Samiur Rahman,
আমিও এন্টি-কপিমিসম এর প্রশ্ন গুলোর মধ্যে এই প্রশ্নটাও পেয়েছি। মন মতো উওর পাই নি। আমি যখনি পাব তখনি আপনাকে আবার রিপ্লাই দিব।
@নির্মিতব্য,
সেন্সরশীপ এবং কপিরাইট আইন দুটো সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়। নিজের স্বাধীন মত প্রকাশ করা এক জিনিস আবার কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করা আরেক জিনিস। যে যাই করুক না কেন মেধাস্বত্ত চুরি ঠেকানো না গেলে মেধার চর্চা সম্পূর্ন না হলেও অনেক খানি বাধাগ্রস্ত হবে।
@সংশপ্তক,
এই মেধাস্বত্ত বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি define করে কে এটা কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ। এই জন্যই কপিরাইট আইন আছে। কিন্তু কপিরাইট আইনও এখন কড়াকড়ি করার নামে আসলে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে(sopa বিল)। এই জন্যই হয়তো মেধা খরচ করা তথ্য চুরি যাতে না হয় তার জন্যই তথ্যকে “হোলি” ধরা হচ্ছে নতুন ধর্মে। এবং কপিমিসম এ কপিরাইট করা তথ্য আদান প্রদান লিগাল করছে না। কিন্তু সুইডেন এ কপিরাইট করা একটা ব্যবসা না, আমেরিকায় এটা একটা ব্যবসা। অথচ দুই দেশেই বাক স্বাধীনতা আছে।
আপনি যদি ইউটিউবে the amazing atheist এর ভিডিও দেখেন, সে SOPA নিয়ে অনেক কথা বলে, ওখান থেকেই মূলত বিলটা সম্পর্কে জানতে পারি। আমি এখন বসে আছি সে কপিমিসম নিয়ে কি বলে এটা দেখতে। :))
গতবাধা ধর্ম এর বাইরে Scientology দেখে আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম। :-X কিন্তু কপিমিসম এর এখন পর্যন্ত পাবলিক স্টেটমেন্ট দেখে আমি খুব আনন্দিত হচ্ছি।
একটা ভিডিও পাইলাম। 😀
httpv://www.youtube.com/watch?feature=endscreen&v=HwmrvF-zCLU
আচ্ছা, মুক্তমনা নামের একটা ধর্ম প্রবর্তন করলে কেমন হয় ?
@ভবঘুরে,
এটা তো ইতিমধ্যে আমাদের অগোচরে প্রবর্তিত হয়ে গেছে। ‘মুক্তমনা ধর্ম’ লেখে সার্চ দেন :))
@ভবঘুরে,
করতে পারেন। তবে তখন নাস্তিকতার সমাপ্তি ঘটে আস্তিকতার কক্ষপথে আবর্তন ঘটবে।
গান্ধীর উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু। আশার আলোর দেখতে গিয়ে দেখলাম ‘সংশপ্তকতাবাদ’ । তা এটা কি কোন দর্শন?
রাজনীতিতে ধর্মের প্রয়োগ বা ধর্মে রাজনীতির প্রয়োগ – সাফল্যের চাবিকাঠি নিয়ে নতুন যে সংযোজন তা আর একটু মেলে দিলে, আমার মত অধমরা কিছুটা হলেও দিব্য-শক্তি লাভ করতো।
তবুও স্বাগত!
@স্বপন মাঝি,
নিশ্চয়ই এটা একটা দর্শন। তবে এ বিষয়ে আপাতত নীরবতা অবলম্বন করছি কারণ actions speak louder than words !
খাইসে, এইডা কি হূনি?
নতুন বছরে সংশপ্তক’কে বেশী বেশী দেখতে পেলে ভালো লাগবে।
যথারীতি ভিন্নস্বাদের লেখা।
সহজ উপস্থাপনার জন্য ধইন্যা :))
@কাজী রহমান,
আপনার মনোবাঞ্ছা পূরণ করা হবে।
প্রথমেই নিজের সম্পর্কে ম্যালা লিখে ফেললেন। ইম্প্রিরিক্যালি যারা আপনাকে পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতাহীন তারাও এখন বোধকরি নিশ্চিত বুঝতে পারছে আপনার এলার্জীর কারণ, সহনশীলতা, নীতি আর পছন্দের বিষয়গুলো।
আপনার লেখা পড়তে গিয়ে মনে হোলঃ
যুগে যুগে এভাবেই বিশেষ মানুষের বিশেষ প্রয়োজনেই বিভিন্ন ধর্মের জন্ম দেয়া হয়েছে
এর সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির যোগাযোগ হয়ত অমূলক নয়
পরবর্তীতে এ ধর্মের অনুসারীরা বলতেই পারেন আমি অমুক সিডি কপি করতে চেয়েছি আমায় বাধা দেয়া হয়েছে- আমি বৈষম্যের স্বীকার
আমি কি ঠিক বললাম?
মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে , বলেই ফেলি… আমরা বিভিন্ন শপিং মলে দেখি গোবেচারা মুখে, চোখে চোরা চাউনী নিয়ে পাইরেটেড সিডি বিক্রী করছেন কেউ কেউ , এনারা হয়তো এই নব্য ধর্মের নবী, প্রচারক!!!।
@কেয়া রোজারিও,
নিজেকে নিয়ে লিখলাম আর কোথায় ! পাছে কপি-পেষ্ট হয়ে যায় – এই ভয়ে শুধু ‘ডেমো ভার্সনটা” দিয়ে দিলাম – ফুল ভার্সনটা কেবল প্রকৃত সাবস্ক্রাইবারদের জন্য রেখে দিয়েছি।
হে নবী ইসাক গেরসন (দ:) kopimism ধর্মের অনুসারী না হয়েই utorrent এর মাধ্যমে যে সওয়াব কামাই করতেছি, আশা করি আমি পাব বেহেস্তের সর্বোচ্চ স্থান, নিশ্চয় তুমি ভঙ্গ করোনা অঙ্গিকার (যদিও অঙ্গিকার এখনও করেছ কিনা জানিনা)।
তবে এই কপি-কাই(paste) এর sacred virtue টা কাম নাকি আকাম বুঝতেছিনা। নিজে কষ্ট করে পকেটের সব টাকা উজাড় করে একটা মুভি বানানোর পর kopimism এর অনুসারীরা প্রার্থনায় ঝাঁপিয়ে পড়লে হয়তো বুঝা যেত।
তাছাড়া আপনার (সংশপ্তক) লেখাটা কপি-কাই করে আপনার নামের জায়গায় আমার নাম বসিয়ে দিলেও হয়তো সওয়াবের কেমন পুরস্কার পাওয়া যায় তা জানা যেত।
তবে এই ধর্ম সম্বন্ধে নি:সন্দেহে একটি কথা বলা যায়, kopimism এর স্বীকৃতির দিনই ( ৫ই জানুয়ারি ২০১২) copy paste এর অনুসারীর সংখ্যা অন্য যে কোন ধর্মের চেয়ে বেশী।
হে সুসংবাদ দাতা সংশপ্তক, আপনাকে (F)
@হেলাল,
সাহেব সাধুরা অনেক আগেই বলে গেছেন , “চোর তো চুরি করিবেই , কিন্তু গৃহকর্তাকে সজাগ থাকিতে হইবে…..।”