লিখেছেন – নির্মিতব্য
কম বেশী আমরা সবাই জীবনের কোন এক সময়ে কমিকস্ পড়েছি, বিশেষ করে ছোট্টবেলায় পড়ার বই এর তলে লুকিয়ে লুকিয়ে! চাচা চৌধুরী, পিংকি, বিল্লু এগুলো আমাদের এই দক্ষিণ এশিয় চরিত্র; অন্যদিকে টিনটিন, এসট্রিক্স ইউরোপিয়ান চরিত্র; আর মারভেল আর ডি.সি. কমিকস এর প্যান্ট এর উপর হাফ প্যান্ট পরা superhero কমিকস তো আছেই। প্রায় এই সবগুলো কমিকস্ এর উপর নির্ভর করে অনেক বিদেশী ব্যবসা সফল সিনেমা আমরা গত কয়েক বছর ধরে দেখে আসছি। অবশেষে আমার বহুল প্রতীক্ষিত, রঙ্গিন পাতার 2D টিনটিন আসছে 3D পর্দায়। তাও আবার এই সিনেমা এর নির্মাতা হচ্ছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। যদিও ইউরোপবাসীরা গত দুই মাস আগ থেকে তাদের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন, কিন্তু আমার বর্তমান আবাস আমেরিকা, যেখানে টিনটিন এক অভিযানে ১৯৩১ ঘুরে গেছে, সেই আমেরিকাতে টিনটিন এর সিনেমা আসছে আগামীকাল ২১শে ডিসেম্বর! আমার শিশুকালের hero কে দেখব আরেকটা dimension যোগ করে, 3D তে।
অনেকে হয়তো ভাবছেন একটা কার্টুন চরিত্র কি করে একজন মানুষের হিরো বা আদর্শ হতে পারে! এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখন আপনাদের সবাইকে নিয়ে যাব টিনটিন এর কয়েকটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কাহিনীর অংশ বিশেষে। টিনটিন এর নির্মাতা হলেন বেলজিয়ান এক অসাধারন শিল্পী যার ছদ্দনাম ছিল ‘হার্জ’। সর্বপ্রথম ১৯২৬ এ টিনটিন এর ভ্রমন কাহিনী শুরু হয়। আমরা বেশীর ভাগ পাঠক ১৯৩৪ পরবর্তী তরুন টিনটিন এর সাথে পরিচিত, যার পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা, সে একজন সৎ, মার্জিত এবং কর্মঠ টগবগে তরুণ যার রক্তে আছে অজানাকে জয় করার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু, ১৯৩৪ এর আগের টিনটিন লেখা হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে। বালক টিনটিন চরিত্রটি ছিল একটি হাতিয়ার মাত্র, যা ব্যবহার করা হয়েছিল বেলজিয়ান শিশুদের কমিকস্ এর নামে ডানপন্থি সোস্যাল ক্যাথলিক রাজনীতির সাথে পরিচয় করাতে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর হার্জ এর চিন্তাধারা তুমুলভাবে পরিবর্তিত হয় এবং এর প্রভাব পড়ে তরুণ টিনটিনের পরবর্তী সবকটি ভ্রমন কাহিনীতে। আজ পর্যন্ত টিনটিন প্রকাশিত হয়েছে ৫০টিরও বেশী ভাষায়, কিন্তু সব কমিকস্ পড়েও আপনি বলতে পারবেন না টিনটিন ইউরোপ এর কোন্ দেশ এর নাগরিক। এমনকি তরুণ টিনটিন এর ধর্মীয় কোনো আনুগত্যও তার কোনো কমিকস এ খুঁজে পাবেন না। যদিও টিনটিন কে দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে সৌহার্দমূলকভাবে চলতে, এবং পথিমধ্যে যে কোন ধর্মীয় অনাচার এর উপর প্রতিবাদ করতে। এর কিছু উদাহরণ আরেকটু পরই পাবেন।
টিনটিন তার সব অভিযানে নিয়ে গেছে তার পোষা কুকুর, ‘স্নোয়ি’কে। স্নোয়ি একদম তার নাম এরই মত। একদলা তুষারের টুকরো। সে তার মনিবের মতই বুদ্ধিমান, লড়াকু, loyal। কিন্তু মাঝে মাঝে একটু তরল পানীয় পেলে স্নোয়ি লোভ সামলাতে পারে না। কলকাতার আনন্দ প্রকাশনী টিনটিন এর official বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে। জানি না কেন তারা অনুবাদ করার সময় স্নোয়ি এর নাম পাল্টে রাখে কুট্টুস! কি জানি হয়তো original ভাষাতে ‘স্নোয়ি’ এর নাম ‘স্নোয়ি’ না। যাক! টিনটিন এর আরেক বন্ধু, সুযোগ পেলেই মাতাল হয়ে যাওয়া সমুদ্র পাগল captain Haddock। এই চরিত্রটি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বদরাগী। সে খুব অল্পতেই রেগে যায়, আর রেগে গেলে পুরাদ্দমে অসম্ভব মজাদার সব creative গালি শুরু করে। টিনটিন কিন্তু কখনোই অতি সহজে রাগে না, কিন্তু তার হরহামেশা দেখা হয় সমাজের সবচেয়ে নীচু মানের মানুষের সাথে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সাথে। অনেক সময় মনে হয় টিনটিন এর মনের ক্ষোভ প্রকাশিত হয় তার সহ সঙ্গীদের মাধ্যমে; কুট্টুস/স্নোয়ি আর হ্যাডক এর মাধ্যমে।
কথা অনেক হলো, এবার যাই বই এর পাতায়। নিচে একটি উদাহরণ হল, Cigars of the Pharaoh অভিযানের, যেখানে টিনটিন একটি ভুল বুঝাবুঝি থামাতে এগিয়ে আসে-
এখানে ‘রাস্তাপপুলস’ খুবই হোমড়া-চোমড়া লোক, কিন্তু টিনটিন তার সাথে ভাব না দেখালেও, স্নোয়ি কিন্তু ঠিকই উত্তর দিচ্ছে, “তো তুমি বিশাল বড় কেউ, তাতে কি হয়সে।” যদিও স্নোয়ি এখানে কথা বলছে, কিন্তু কেউ তার কথা শুনতে পায় না, শুধু পাঠকরাই বুঝতে পারছে! আমার কাছে সব সময় এজন্য মনে হয়েছে স্নোয়ি যেন টিনটিন এর মন এর কথা গুলো বলে। কারণ ভদ্র টিনটিন কিন্তু কখনোই কারও সাথে বাজে কথা বলে না।
তাই বলে টিনটিনকে দুর্বল ভাববেন না, টিনটিন শক্তের শক্ত, নরমের নরম। নীচের দুইটি উদাহরণ হলো যেখানে টিনটিন কোন কিছুর পরোয়া না করে দুর্বলের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে; প্রথমটি চীন এর কোনো রাস্তায় The Blue Lotus অভিযানে-
আর নীচের উদাহরণটি পেরুতে, টিনটিন এর Prisoners of the Sun অভিযানের-
আমাদের নিজেদের সমাজেই আমরা প্রতিনিয়ত এরকম অনাচার দেখি। টিনটিন আমাকে শিখিয়েছে কখনো দুর্বলের উপর অন্যায় সহ্য না করতে, সব সময় অন্যায় এর কালো হাত থামাতে। যদিও এর জন্য অনেকবার টিনটিনকে এই দুষ্টু লোকদের সাথে মারামারি করতে হয়েছে, আর মাঝে মাঝে হাসপাতালো যেতে হয়েছে। তারপরো, এই পাগল সাংবাদিক বিশ্বের আনাচে-কানাচে যখনি অত্যাচার এর সম্মুখীন হয়েছে, থামিয়েছে, প্রথমে কথায়, না হলে আক্রমণ করে।
কিন্তু আমরা লড়াকুর মত সবসময় অন্যকে কথা শুনাতে উঠেপড়ে লেগে থাকি। টিনটিন এর অনেক রাগই প্রকাশ হয় চোখের ভাষায়। যেমন নীচের উদাহরণে মনে হয় টিনটিন এই স্বার্থপর মহিলাকে কিছু বলেনি, হয়তো ইনি একজন বয়স্ক মহিলা তাই!
তাই বলে মনে করবেন না টিনটিন অভিযানে আমাদের মত কারও গায়ের রক্ত গরম হয় না। ভুলে গেলে চলবে না ক্যাপ্টেন হ্যাডোক এর কথা। তার মনের মত না হলে গলা ফাটিয়ে চারপাশ বড় সরগরম করে তুলে। যেমন ধরুণ, নীচের একটি দৃশ্যে Red Rackham’s Treasure এ হ্যাডক ক্ষেপে গেচ্ছে একদল গুপ্তধনলোভী মিথ্যে উত্তরাধিকারীদের উপর;
যদিও হ্যাডক মোড়লের মত অকারণে সবসময় চিৎকার করে না, কিন্তু মাঝে মাঝে তার মেজাজ একটু সহজেই ভড়কে যায়। টিনটিন যখন তিব্বত গেল তার এক নিখোঁজ বন্ধুর সন্ধানে, তখন হ্যাডক কে নেপালী ভাষায় ঝাড়ি খেতে হয়েছিল রাগ সামলাতে না পারার কারণে-
শুনেছি যাদের নাকি বেশী মাথা গরম তারা একবারে ঠেকে শিখে না, বেশ কবার উল্টো ঝাড়ি খেলে তারপর দীক্ষা হয়-
টিনটিন পড়তে গিয়ে একটা যেটা বোধ হল, বাংলাদেশে যে গৎবাঁধা সমস্যা সেগুলো অন্য উন্নয়ণশীল দেশেও আছে। রাজধানী সুন্দর সাজানো গুছানো, বড় বড় অট্টালিকা, কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। মানুষের মৌলিক চাহিদাই মেটে না। কিন্তু টিনটিন অভিযানে কোন গরীব দেশকে দেখাতে গেলে সাধারণত একটি কাল্পনিক শহরের কথা বলা হয়, টিনটিন এর অনেক কাহিনীতেই San Theodoros নামক এক দেশের কথা বার বার আসে, কিন্তু এমন দেশ বাস্তবে নেই! নীচে দেখতে পাচ্ছেন এই দেশের রাজধানী Tapiocapolis-
তাই বলে হার্জ সবসময় কল্পকথার পিছে লুকিয়ে থাকেন নি। টিনটিন যখন আমেরিকা আসে তখন তার অভিযানের এক ভাগে Red Indian দের এলাকায় চলে যায়। আর বেপক হট্টগোলের মাঝে ধুম করে Red Indian দের মাটিতে আবিষ্কৃত হয় কালো সোনা, খনিজ তেল। নামমাত্র মূল্যে আদিবাসীদের জমি নিয়ে নেওয়া হয়। এই তেল যেখানে, সৈন্য সেখানে। তেল নিয়ে power play টিনটিন এর আরও অনেক কাহিনীতেই পাওয়া যায়।
টিনটিন তার অভিযানের কারণে অনেক জায়গায় গেছে। কাহিনীগুলো বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তাই ধর্মীয় গোড়ামীর অনেক উদাহরণ আছে টিনটিন-এ। ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীরা তখনো এত মাথা চাড়া দিয়ে উঠে নি, তাই তাদের না পাওয়া গেলেও আরবীয় শেখরা যে দাস ব্যবসা মনের আনন্দে করছে, নিরীহ হজ্ব যাত্রীদের দাস হিসেবে বিক্রী করছে তার উদাহরণ এবং হ্যাডক এর প্রতিউত্তর নীচে-
আমার নিজের সবচেয়ে মজা লাগে নিচের অংশটি, The Shooting Star এ যখন একটি বিশাল উল্কাপাতের কারণে পৃথিবী ধ্বংস হতে নেয় তখন আবির্ভাব হয় এক পাগল prophet এর, যার ঘ্যানঘ্যানময় ধর্মীয় ভাষণ থামাতে হয় এক বালতি পানি মাথায় ঢেলে দিয়ে-
আগেই বলেছিলাম হার্জ এর লেখা এবং কমিকস্ নানান সময়ে পরিবর্তিত হয়েছে, সবসময় উনি তার মন মানুসিকতার উন্নয়ণ করে গেছেন যার প্রকাশ ঘটেছে তার কমিকস-এ। একসময় Black লোকদের বিরুদ্ধে ভুল এবং বিরূপ ধারণা ছিলো বলেই হয়তো প্রথম দিকের টিনটিনে তাদের আঁকা হতো খুব দৃষ্টিকটু ভাবে। নীচে টিনটিন The Broken Ear এ ছদ্মবেশ নিয়েছিল একজন আফ্রিকান হিসেবে-
কিন্তু কালের সাথে সাথে টিনটিন শেষের দিকের অভিযানগুলো আরও তথ্যবহুল হয়েছে, মজার হয়েছে। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি হার্জ টিনটিনকে একবিংশ শতাব্দীর কোন্ কোন্ আন্তর্জাতিক ঘটনার মধ্যখানে নিয়ে যেতেন। দুঃখজনক হল, এই শিল্পী আমার জন্মের আগেই মারা গেছেন। কিন্তু তার কমিকস্ থেমে থাকে নি। টিনটিন এর আরো কিছু অভিযান বের হয়েছিল। কিন্তু কোনটাই “হার্জ এর আঁকা দুনিয়া” এর মত আমার মনে সাড়া জাগাতে পারে নি।
হাঁদাভোঁদা, নন্টে ফন্টে আর বাটুল দি গ্রেট এরাই ছিলো আমার ছোটবেলার জিগ্রি দোস্ত । একবার এক হাই ফাই ক্লাসমেট এর বাসায় গিয়ে প্রথম টিনটিন এর সাথে পরিচয়। প্রথম পরিচয় তেমন সুখকর ছিলো না। কমিকস্ এর প্রচ্ছদ ছেড়া ছিল (তাই কোনটা পড়েছিলাম জানিনা), প্রথম এবং শেষ এর দিকের পাতা ছিলোনা। মাঝখানের কতগুলো পাতা আবার ইদুঁরে খাওয়া। তাই নিজের প্রখর কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে বুঝাতে পেরেছিলাম কিভাবে শুরু আর কিভাবে শেষ।
যাই হোক, এতে আমার কিছুটা ক্ষতি হলো। আমার আগের হিরোগলোকে কেমন যেন বাচ্চা বাচ্চা মনে হতে লাগলো। তারপর আরো বেশি কস্টো পেলাম যখন জানতে পারলাম জনাব হার্জ মারা গেছেন আমার জন্মের অনেক আগেই।
যাই হোক, লেখক কে ধন্যবাদ এরকম একটি স্মৃতি জাগানিয়া লেখার জন্ন।
কি বলবো! সবই তো জানি, সবই বুঝি… উত্তর যেটা দেব সেটাও সবারই জানা! তাই লেখাটার কোন আলোচনায় যাব না… তার চেয়ে একটা অভিজ্ঞতা বলি।
আমার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্রের রচনা এসেছিল ‘প্রিয় ব্যাক্তিত্ব’। রচনাটী আমার পড়ে যাওয়া রচনা ছিল, যেটাকে আমরা বলতাম ‘কমন পরা’। বঙ্গবন্ধু/আইনস্টাইন/নিউটন এই ধরনের কয়েক জনের জীবনী পড়ে গিয়েছিলাম পরীক্ষায় লিখবো বলে। পরীক্ষার শেষাংশে সাধারনত সবাই রচনা লিখে, আমিও তাই… তা রচনা লিখতে গিয়ে দেখি হাতে ঘন্টাখানেক সময় আছে, রচনা লিখতে বসে কি মনে হলো জানি না… পড়ে যাওয়া মনীষীদের জীবনী দেয়া হলো না। পুরো একঘন্টা টিনটিনের ব্যাক্তিত্ব বিশ্লেষন করলাম, তা হবে হয়তো প্রায় ১০/১২ পাতা। আক্ষেপ ঐ রচনাটার কোন কপি রাখার উপায় ছিল না! বাংলা ২য়পত্রের নাম্বার যে ৭০ এর আসেপাশে ছিল সেটা বিলক্ষন মনে আছে!
@থাবা, টিন টিন অনেক খুজা খুজি করেও অন লাইনে পডিএফ পাই নি… হয়তো আমি খুজে পাই নি… দেওয়া কি যাবে সেগুলো?
টিন টিন আর বলতে। তবে ইংরেজী গুলো পড়তে পারিনি বেশী। একজনের বাসায় পাইসিলাম ।
অবশ্য নিজেকে কিনতে হয় নি, ধার করেই মজা নিয়েছি।
@রঞ্জন বর্মন, এখন আমার সেল ফোনে টিনটিনএর সবগুলো বই আছে… যখন ইচ্ছী পড়ি। কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না!
@থাবা, হুম, তাহলে তো ভালই। অনেক খুজা খুজি করেও পাইনি অনলাইনে… কিছু দেওয়া যাবে নাকি আমাকে?
@রঞ্জন বর্মন, যে কোন সময়… তবে ইংরেজীগুলো কিন্তু!
“মহান টিন টিনের জয় হোক”
প্রথম লেখনীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার মন্তব্য অনেক দিন ধরে দেখতাম, ভাল লাগত, ভাবতাম কবে লিখবেন আর পড়ব। ভাল লাগা আরো বাড়ল বিশেষ করে টিন টিনের মত একটি লেখার কারনে যা কিনা সবার ছোট বেলার স্মৃতিকে একটানে সামনে নিয়ে আসবে।
একদম আমার কথা!(Y)
তবে আমার ক্ষেত্রে ঠিক শিশুকালের নয়, ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস নাইন অব্দি টানা তিন বছর ডুবেছিলাম হার্জএর টিন টিনীয় জাদুতে।
অভিজিত দা’র
কথাটির সাথে সম্পুর্ণ সহমত। তবে, পড়েছি বাংলাটা। ইংরেজীটা কোনোদিন পড়িনি। তাই কম্পেয়ারের প্রশ্ন আসে না।
এটা আমার মনে হওয়া অসম্ভব। কিন্তু আমার কাছে ঐ বাংলা টিন টিন চরম লেগেছে। টিন টিন আমাকে তখন অন্য জগতে রাখত। সাবু-চাচৌ-পিঙ্কি-বিল্লু-ফান্টম এগুলোর চেয়ে একদম অন্য রকম। ওগুলো আমার কাছে হাল্কা চালের মনে হত।
ঐ কুট্টুস নামটাই আমার কাছে বেশি ভাল লাগে। সব সময় স্নোয়ি কে ‘কুট্টুস’ জেনে এসেছি ত!
The Blue Lotus-নীল কমল-এটা ছিল আমার জীবনে পড়া প্রথম টিন টিন। অসম্ভব থ্রীল্ড হয়েছিলাম।
The Shooting Star-এর বাংলা নামটা কী যেন… বিশাল উল্কা?…পড়েছিলাম কিন্তু বোধহয় পুরোটা শেষ করতে পারিনি…তখন নবী-টবী আর তাদের ভন্ডামী বুঝতাম না ত তাই হয়ত আগাগোড়া কিছুই বুঝিনি আর মজা পাইনি।
কিন্তু, সত্যি বলতে, এখন আর মজা পাব না বোধহয়। এই কিছুদিন আগে একটি বাচ্চার কাছে ‘আফ্রিকায় টিন টিন’ (আমার আগের অপড়া) পড়তে গিয়ে অতীতের মত লাগল না। এখন ঐ বইটির মান খারাপ না কি এখন পড়তে গেলে সব গুলিই বেখাপ্পা আর হাস্যকর মনে হবে কে জানে!
মাননীয় মডারেটর, এই মন্তব্যটি পাঠানোর সময় একটি ভুল হয়ে গিয়েছিল। সেটি হচ্ছে, আমি আমার নামের ফিল্ডে ‘আরিফ খান’ দিতে চেয়েছিলাম, ভুলে ‘শান্তি পাই না’ হয়ে গিয়েছে, দয়া করে এটা সংশোধন করে দিলে ভাল হত।
@আরিফ খান(শান্তি পাই না),
আপনার অনুরোধে নামটি সংশোধন করে দেয়া হলো। আশা করি পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হবেন। ধন্যবাদ।
@মডারেটর, ধন্যবাদ; পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হবো। কিন্তু সশোধনের অনুরোধের মন্তব্যটি প্রকাশ না করলে ভালো হোত না? থাক, এখন আর দরকার নেই, এখন মুছলে আরো কয়েকটি মন্তব্য মুছতে হয়।
@আরিফ খান,
“অবশেষে জনাব আরিফ খান শান্তি পাইলেন” :lotpot:
@নির্মিতব্য,
@শান্তি পাই না,
আমি আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই আনন্দিত হয়েছি। :)) আনন্দ লুকাতে পারছি না। আমি মনে হয় শিশুকাল থেকে কদিন আগে বের হয়েছি। দিন হিসাব করে শিশু না, মন হিসাব করে! :)) প্রথম লেখা তাই একটু তুলনামূলক ভাবে সহজ বিষয় নিয়ে লিখেছি। সবার response দেখে এতো উৎসাহিত হয়েছি বলার মতো না। আমার ভাষাগত দূর্বলতা আছে। কিন্তু সেটাও দেখছি খুব তাড়াতাড়ি কেঁটে যাচ্ছে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের উৎসাহেই একসময় ভাল লিখব, একসময় মজার লিখব, আবার একসময়ে বস্তা পঁচা লিখব। মাঝে মাঝে একটু জ্ঞানী জ্ঞানী-ও লিখব। 😀
@নির্মিতব্য,
অবশ্যই! এগিয়ে যান, সাথে আছি সবসময়।
মুক্তমনার সাথে আমার তিন বছরের ওপর সম্পর্ক। মাঝে প্রায় বছর খানেক দূরে ছিলাম নানা সমস্যার কারণে। আবার ফিরে এসেছি কিছদিন হল। অনেক নতুন নতুন মুখ এসেছে। লিখছেও তারা জম
@নির্মিতব্য,
টিন টিন কার্টুন হিসেবে দেখতাম কিন্তু এর পেছনে যে এতো ঘটনা তা তো জানতাম না। মুক্তমনায় আপনার প্রথম লেখার জন্যে- (F) (F) (F) (F) (F) আশা করি আমাদেরকে নিয়মিত লেখা উপহার দিবেন।
মুভিটা দেখা হল। কিছু জায়গায় ঝুলে গেলেও সব মিলিয়ে খারাপ না।
ভালই লেগেছে।
টিনটিন কমিক্স এর চরিত্র গুলোর, এমন কি টিনটিন এর ও, বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নাম আছে ৷ সেটা সম্ভবত ওই ভাষার spirit তা ধরার জন্য ৷ নিচের লিঙ্কটা দেখতে পারেন ৷
http://www.letintinmovie.com/tintin-characters-in-different-languages
@শোভন,
ধন্যবাদ লিঙ্ক শেয়ার এর জন্য। খুব মজা পেলাম জনসন আর রনসন-এর নানা দেশে নানান নাম দেখে। 🙂 আপনার সাথেও আরেকটি তথ্য শেয়ার করি। ইংরেজি তে অরিজিনাল ফ্রেন্চ থেকে অনুবাদের সময় হার্জ নিজে অনেক সহায়তা করেছেন, যাতে অরিজিনাল বইগুলোর যথাসম্ভব কাছাকাছি অর্থগুলো থাকে। পরবর্তী সময়ে কিছু শব্দ পরিবর্তিত হয়, কারন অনেক শব্দের ব্যবহার সময়ের সাথে কমে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
পড়শুদিন টিনটিন থ্রিডিতে দেখলাম।
আমি স্পিলবার্গ এবং টিনটিন দুজনেরই ভক্ত। কিন্ত সিনেমাটা দেখে আশাহত। সব কিছু পারফেক্ট হলেও সিনেমা হয় না যতক্ষন না পর্যন্ত তা হৃদয়কে টাচ করে। Tintin is all about fine touch in life!
সিনেমাটার সব কিছু দুর্দান্ত -কিন্ত তবুও আমিস্টাড বা এ আই দেখে যে “অনুভূতি” হয়েছিল-সেটাই হল না! হাস্যরসটা কোথাও একটু কম হয়েছে! ফাইনটাচ গুলো ঠিক সেভাবে এল না সিনেমাতে।
তবে সবাইকে দেখতেই অনুরোধ করব।
তবে বাংলা অনুবাদটা খারাপ এটা মানতে রাজী না। টিনটিন কমিক আকারে বেড়ত আনন্দবাজার গ্রুপের ছোটদের পত্রিকা আনন্দমেলা থেকে। সপ্তাহে একবার তখন। ছোট আকারে বেড়ত। আনন্দমেলাতে তখন সব চরিত্রের সমাহার- প্রফেসর শঙ্কু, কাকাবাবু, টিনটিন, সদাশিব ( যে মারাঠা বালক স্বাধীনতার জন্যে মুঘলদের সাথে যুদ্ধ করত-ভারতের এস্টারিক্স ), এস্টারিক্স। আনন্দমেলাতে বাংলার মান বেশ ভাল ছিল- অভিজিত কোন অনুবাদ দেখে এটা লিখল জানি না।
অভিজিৎ লিখেছেন
আমি শুধু বাংলাটাই পড়েছি । ইংরেজিটা পড়া হয় নাই । আর মুভীও দেখিনাই । টিনটিনের চন্দ্রালোকের অভিযান টা আমার ও সবথেকে বেশি ভাল লেগেছিল ।
সোভিয়েট দেশে টিনটীন রাজনৈতিক প্রভাবদুষ্ট ছিল
কংগোয় টিনটিনের বিপক্ষে র্যাসিজমের অভিযোগ উঠে
@kd,
খুবই ঠিক কথা। তখন টিনটিন-এর রূপকারের সেটাই মনোভাব ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই ইমেজ অনেক পরিবর্তিত হয়। হার্জ এর মানবিক গুনাবলী ছিল, আর তার সাথেও ছিল তার নিজের শিল্পমান ও মনমানসিকতা পরিবর্তনের ইচ্ছা। পরবর্তী সকল টিনটিন কমিকস্ সিরিজে তারই বহির্প্রকাশ ঘটেছে। আপনি যেই দুটি বই এর কথা বললেন, ওগুলো ১৯৩১ এর আগের বই/কমিকস্।
টিনটিনের চন্দ্রালোকের অভিযান আমার সবচেয়ে বেশী মনে গেথে রয়েছে। আপনাদের প্রিয় টিনটিনের চ্যাপ্টার কোনটা ?
@বিনায়ক হালদার,
আমারো ওটা খুব প্রিয়। তারপর আছে কাকড়া রহস্য আর আটলান্টিকের হাঙর। আমেরিকায় টিনটিন টাও দারুণ। লিস্ট করলে শেষ হবেনা।
@বিনায়ক হালদার,
আমার সবগুলো পছন্দ। আসলে যে কোনটা বেশি পছন্দ ঠিক করতে পারলাম না। কিন্তু একটা বাংলা অনুবাদের নাম আমার খুব বেশি পছন্দ ছিল, পান্না কোথায়। আমার কাছে এখন ২৪টা ডিজিটাল কমিকস্ আছে, এই পান্না কোথায় ছাড়া।
বাই দ্য ওয়ে,
আমি কিন্তু টিনটিনকে বেলজিয়ান রিপোর্টার বলেই জানতাম। উইকিতেও দেখলাম –
Set during a largely realistic 20th century, the hero of the series is Tintin, a young Belgian reporter. He is aided in his adventures by his faithful fox terrier dog Snowy (Milou in French). Later, popular additions to the cast included the brash and cynical Captain Haddock, the highly intelligent but hearing-impaired Professor Calculus (Professeur Tournesol) and other supporting characters such as the incompetent detectives Thomson and Thompson (Dupont et Dupond). Hergé himself features in several of the comics as a background character, as do his assistants in some instances.
@অভিজিৎ,
আমিও তাই জানতাম। আসলে টিনটিন এর প্রথম কমিকস্, Land of Soviets যেটা ১৯২৯ এ প্রকাশিত হয়, সেখানে টিনটিন কে পরিচয় করানো হয় “লো পেতিত্ ভিংতিম” এর রিপোর্টার হিসেবে; বেলজিয়ান খ্রিস্টিয়ান বালক হিসেবে।১৯৩০ এ প্রকাশিত হয় Tintin in the Congo। লেখাতে একটু বলেছি যে ১৯৩৪ এর পরবর্তি হার্জ এর চিন্তাধারারি আমূল পরিবর্তন হয়। আপনি ইউকি এর এই পেইজ টি পড়ে দেখতে পারেন, Ideology of TinTin।
বাহ প্রফেসর শঙ্কুর পর এবার টিনটিন নিয়ে লেখা!! ছোটোবেলায় পড়ে শেষ করেছি সবগুলো,দারুণ মজার। টিনটিনের 2d কার্টুনও আছে তবে কমিকস হাতে নিয়ে পড়ার মজাই আলাদা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
টিনটিন এর 2D কার্টুনগুলো-এর সাথে আসলে কমিকস্-এর “ছবি আঁকার” দৃষ্টিকোণ থেকে তেমন পার্থক্য নেই। বরং কমিকস্ এর side note গুলো বেশি মজার। কার্টুনগুলোর back ground sound খুব শ্রুতিমধুর না।
চমৎকার। আমার মতে টিনটিন যে পড়ে নাই, তার পাঠক এবং লেখক হিসেবে পৃথিবীতে থাকার দরকার নাই 🙂 আর হ্যা, আমিও ছোটবেলায় নানা পদের কমিক গোগ্রাসে গিলেছি। কিন্তু টিনটিনের মতো মজা আমি আর কিছুতেই পাইনি। অবশ্য আমি কেবল হার্জকেই এর জন্য ক্রেডিট দেব না, পাশাপাশি টিনটিনের কমিকগুলোর ইংরেজী অনুবাদকেও দিব। এমন চমৎকার ইংরেজী অনুবাদ যদি ছোটবেলায় না পেতাম তবে মজাটাই মাটি হয়ে যেত। পরে কলকাতা থেকে এর বাংলা অনুবাদও বেরিয়েছিলো। বাংলা অনুবাদ ঠিক ততোটাই অখ্যাদ্য। বাংলায় অনুবাদগুলো পড়ে আমার মনে হত অনুবাদককে গিয়ে এক থাবড়া মেরে আসি; পয়সার কী নিদারুণ অপচয়!
কাকতালীয়ভাবে টিনটিনের উপর মুভিটা আজকেই দেখবো বলে ঠিক করেছি, আর আজকেই আপনার দারুণ পোস্ট।
আপনি দেখেছেন মুভিটা? কেমন?
@অভিজিৎ,
আমিতো খালি বাংলাটাই পড়েছি ,অখাদ্যতো মনে হয়নি। কি জানি হয়তো ইংরেজীটা অনেক বেশি ভালো। মুভি শুনলাম তেমন ভালো হয়নি।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আর ইউ সিরিয়াস? তুমি ইংরেজীগুলো পড়ে দেখো। তাইলেই পার্থক্য বুঝবা।
@অভিজিৎ,
একমত। ইংরেজি অনুবাদে শব্দ নিয়ে অনেক বেশী খেলা হয়েছে। আমি ছোটবেলাতে বাংলা আর ইংলিশ দুই অনুবাদই পড়েছি। বাংলা তে কমিকস্ ছিল ১০০ টাকা আর ইংলিশে ৪০০-৫০০। আর সবগুলোর বাংলা অনুবাদ পাওয়াও যেত না। তাই অংকে ১০ এ ১০ পেতে হতো আমাকে ইংলিশ কমিকস্ আদায়ের জন্য! আপনি এখন ইন্টারনেট থেকে সব ইংলিশ ভার্সান নামায় পড়তে পারেন। চরম মজার।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
দিলাতো সব শেষ করে। আজকে বিকালে টিনটিন দেখতে যাব, আর সকালে বলছো মুভ্যি ভালো হয়নি।
স্পিলবার্গ বলে কথা। দাঁড়াও, দেখে এসে জবাব দিচ্ছি তোমাকে। 🙂
@মইনুল রাজু,
মুভিটা মজাই হয়েছে। দেখে হতাশ হবেন না।
@বিনায়ক হালদার,
স্পিলবার্গ আসলেই অসাধারণ। খুবই চমৎকার নির্মাণ আর নির্দেশনা। আমি শিকাগোর সবচেয়ে বড় স্ক্রিন আর সর্বাধুনিক সাউন্ড কোয়ালিটিতে ৩ডি দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে। 🙂
@অভিজিৎ,
মুক্তমনা লেখা পোস্ট করলো, এখন এটা সেলিব্রেট করতে 3D তে দেখতে যাব। 😉 আপনার কেমন লাগলো জানাবেন। আমি skeptic। আগে অনেকবার চিত্র নির্মাতারা আমার পড়া বইগুলো তছনচ করেছে।
@অভিজিৎ,
“চমৎকার। আমার মতে টিনটিন যে পড়ে নাই, তার পাঠক এবং লেখক হিসেবে পৃথিবীতে থাকার দরকার নাই “কঙ্খাঙ্কার
মডুগো প্রধান হিসাবে এই ধরনের মন্তব্ব্য করনের অধিকার আপ্নের নাই। টিন টিন আর ফিন ফিন না পড়লে লেখক পাঠক হওন যাইব না এইডা কেমতে কইলেন?… উক্তির পক্ষে যুক্তি নিক্ষেপ করেন। 🙁
@অভিজিৎ,
মুভিটা দেখে আসলাম। আমি স্পিলবার্গের কাজে আবারো মুগ্ধ। উনি আমার মনের মত করেই সব মূল চরিত্রগুলো ফোটাতে পেরেছেন। হার্জ-এর আঁকা পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে একদম ভালো ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। খালি এ্যালেন-কে আরো নিষ্ঠুর, থমসন আর থম্পসনকে আরো অগোছালো, নেলসনকে আরেকটু উদাস দেখালে ভালো লাগত মনে হয়। প্রফেসর ক্যালকুলাসকে একবার দেখালেও পারতো, রাস্তায় হেঁটে যাওয়া ক্যালকুলাস!! স্পিলবার্গ তার মতো করে অনেকগুলো গল্প মিশিয়ে কাহিনী দেখালেও আমি অখুশি হই নি! কারণ 3D তে অ্যাকশন গুলো awesome ছিল, কাহিনীর ফ্লো ছিল, আর movie এর sound ও এ্যানিমেশন খুব ভালো ছিল।
@নির্মিতব্য,
খুব সুন্দর একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন ভাই। টিনটিন অসাধারণ একটা সিরিজ। ছোটবেলায় এক বন্ধুর কাছে প্রথম টিনটিন দেখি। আর তাতেই love at first sight হয়ে যায়। এরপর ওই বন্ধুর কাছ থেকে নিয়ে বেশ কয়েকটা গল্প পড়েছিলাম। ছবিওয়ালা চকচকে বইগুলো পড়তে জটিল লাগত। প্রফেসর ক্যালকুলাস এর কানে কম শোনা নিয়ে ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সাথে যে মজাগুলো হতো ওগুলো দারুণ লাগত। কুট্টুসকেও কিউট লাগত খুব। সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
@আলোকের অভিযাত্রী,
এই লেখা যে আপনার ছোটবেলার আনন্দের দিনগুলোতে নিয়ে গেছে এটা ভেবেই ভাল লাগছে। :))
মুক্তমনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার প্রথম লেখা প্রকাশ করার জন্য। :))