ক্ষমা একটি মহৎ গুণ।
কিন্তু সবক্ষেত্রে নয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে তা হীনমন্যতার পরিচয়।
যারা আমাদের কন্যা, মাতা,
ভগিনীদের ধর্ষণ করেছে;
তাদের ক্ষমা করলে আমরা মহান হয়ে যাবো!
আমার দরকার নেই সেই মহত্বের।
যারা হত্যা করেছে,
চরম ধ্বংসলীলা ঘটিয়েছে পরম উল্লাসে
তাদের ক্ষমা ক’রে আমি মহান হতে চাইনা।
তাদের প্রতি আমি
ক্ষমাহীন, রুদ্র, নিষ্ঠুর হতে চাই।
আমি তাদের বিচার চাই।
আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
আমার কাছে তাদের কোন ক্ষমা নাই।
হৃৎপিণ্ডে লাশের বোঝা নিয়ে,
এই রক্তভেজা মাটিতে দাঁড়িয়ে,
এই রক্তসাগরের পারে দাঁড়িয়ে,
এই রক্তমাখা সূর্যের নীচে দাঁড়িয়ে,
এই ক্রন্দনরত আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে,
এই শোকার্ত জনপদে দাঁড়িয়ে,
আমি কীকরে হন্তারকদের ক্ষমা ক’রে দেই!
এই বেদনাতুর ভূখণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে
দীর্ঘশ্বাসে ভরা বাতাসের মাঝে দাঁড়িয়ে
৩০ লক্ষ সন্তানহারা শোকে উন্মাদিনী
মায়ের বিদীর্ণ বক্ষে দাঁড়িয়ে
আমি কীকরে তাদের ক্ষমা ক’রে দেই!
খুনী, ধর্ষক, ডাকাত, প্রতারকদের
ক্ষমা ক’রে আমি মহান হতে চাইনা।
আমার দরকার নেই সেই মহত্বের।
তাদের প্রতি আমি
ক্ষমাহীন, রুদ্র, নিষ্ঠুর হতে চাই।
আমি তাদের বিচার চাই।
আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
“আমি তাদের বিচার চাই।
আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।”
এর চেয়ে বেশি কিছু বলার এখনো সময় আসেনি….
@মাহমুদ মিটুল,
সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলা যায়।
@তামান্না ঝুমু, আপনিও কিন্তু কবিতায় শেষ পর্যন্ত এর বেশি যেতে পারেননি। কেনো? আসলে আমিও আপনার সাথে একমত যে অনেক সময় এরই মধ্যে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনো অগ্রগতি হয়নি। আজো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয়নি। আজো একটি অখণ্ড ইতিহাস আমাদের কাছে প্রস্তুত হয়নি। কিন্তু এই কলঙ্ক মোচন এবং একটি অখণ্ড ও সঠিক ইতিহাস ছাড়া কী করে সামনে এগুতে পারি আমরা? আদৌ তা সম্ভব কিনা? একটি জাতির অগ্রগতির জন্য অখণ্ড জতিসত্ত্বার বিকল্প নেই। সবার জন্য বিজয় মাসের শুভেচ্ছা রইলো…শুভকামনা।।।
অনেক আগেই এর বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই তা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু কে করবে কার বিচার? যেখানে আমাদের একদল, তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, ক্ষমতার স্বার্থে তাদের সাথেই আঁতাত করতে দ্বিধা করে না, আর আরেক দল কুখ্যাত চিহ্নিত রাজাকারদের মন্ত্রী ও রাষ্ট্র ক্ষমতার উচ্চাসনে বসান – সে দেশে এ বিচার আদৌ হবে কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
@গোলাপ,
অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এই দীর্ঘসময়ে বেশিরভাগ যুদ্ধাপরাধীই মরেছে, বাকিরাও মরার পথে। বিচার আর কখন হবে? বিচারের বাণী নির্বিচারে নিভৃতে কেঁদে মরবে।
এ বিচার শুধু অতীতের গ্লানিমুক্তি নয়, ভবিষ্যতের জন্যও জরুরী।
@স্বপন মাঝি,
ঠিক বলেছেন।(Y) (Y)
ভয় হয় না জানি রাজনীতির কুট-চালে নরপশুরা পার পেয়ে যায়।
@হেলাল,
টিভিতে এক জামাতী নেতাকে বলতে শুনেছি “বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই।” লোকটির নাম মনে পড়ছেনা। আসলে ওদেরকে আমার লোক ব’লে মনে হয়না। দেখলে হায়েনার মত লাগে।
@হেলাল,
এইটা হ`ওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইসলামী তেল, সৌদিদের সাথে চুমাচুমি আর আজ তিনিসিয়া এবং মিশরে কী ঘটছে, আর লিবিয়া কিহবে –তা দেখে এবং শুনে আমার ধারণা — ইসলামের দাপটে এই বিচার ভেস্তে যাবে।
যদি কেউ শাস্তি পায়, কয়েক বছর কারাদণ্ডও–তাও আমার কাছে আশ্চর্য্য মনে হবে।
রক্ত আমি আর চাই না,রক্ত আমি আর দিবও না
কে বলেছে আমি গোঃআজম আর নিজামির রক্ত চাই?
আমি বিচার চাই।
আমি চাইনা কাউকে পিটিয়ে মারতে ,চাইনা আমি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে।
আমি বিচার চাই কুলাঙ্গারদের
কেন? কেন আমি বিচার চাই?
আমি বিচার চাই এজন্যে যে তা না হলে সভ্যতা আমার ই বিচার চাইবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাকে ধিক্কার দেবে
আমাকে নপুংসক বলে গালি দেবে
আমি মুখ দেখাব কিভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে?
আমি বিচার চাই কারন বর্বরতার ক্ষমা নাই
ক্ষমা পায় নাই নাৎসি কিম্বা রুয়ান্ডায়
সভ্যতা একাত্তরের বিচার চায়।
যে ঘৃনার ফুলকি জেলেছিলেন শহীদ জননী
তাকে মশাল এ পরিনত করা হয়নি
এই অসমাপ্ত কাজ কে শেষ করবে?
কে সেই ঘৃনার লেলিহান শিখা প্রজ্জলন করবে?
আমি জানি না
আমি শুধু জানি ঘৃনার আগুনে জ্বালানো উচিৎ জানোয়ারদের
জ্বলে পুড়ে যে ছাই পাওয়া যাবে
তা ছড়িয়ে দিতে হবে
বঙ্গপসাগরের অশান্ত ফেনিল চূড়ায়
শান্ত হবে অশান্ত অতৃপ্ত সাগর
মুক্তি পাবে ব দ্বীপ অভিশাপ হতে।
@সপ্তক,
আমরা আইনের মাধ্যমেই তাদের বিচার চাই।
যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সাথে সকল দেশদ্রোহীর বিচার চাই সে যে দলেরই হোক না কেনও। এখন যারা দেশটাকে নষ্ট করে ফেলছে তাদেরকেও ছেড়ে কথা বলা উচিত না বলেই আমি মনে করি। ধন্যবাদ ঝুমু আপু।
@মোজাফফর হোসেন,
দীর্ঘ চল্লিশ বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বেশির ভাগই নিশ্চিন্তে স্বর্গলোকে গমন করেছে। যারা নিশ্চিন্তে সুখে শান্তিতে বেঁচে আছে তারাও স্বর্গে যাবার পথে। তবুও তাদের জীবন-সায়াহ্নে হলেও তাদের বিচার চাই। তাদের অসংখ্য উত্তরসুরীও রয়েছে সারা দেশে। নূতন প্রজন্মের রাজাকার এবং দেশের অনিষ্টকারীদের কী বিচার হবে?
@তামান্না ঝুমু, আমি বলতে চাইছি- খুনী, লম্পট, ঘুষখোর, জালিয়াত এমপি, মন্ত্রীদের কথা। দেশের বারোটা তো তারাই বাজিয়ে ছাড়লো। স্বাধীনতার এই চল্লিশ বছরে এসে কি পেলাম আমরা? এবং সেটা কাদের জন্যে পাইনি। বিষয়টি একটু পরিষ্কার হওয়ার দরকার। জনগনের উন্নতি না হলেও কিছু লোকের উন্নতি রাতারাতি হচ্ছে। তারা কারা এবং কারণটা কি আমরা সবাই জানি। তাই আমি বলতে চাইছি, যুদ্ধপরাধ নিয়ে শুধু পড়ে থাকলে যে তারা পার পেয়ে যাবেন। তাই আগামী দিনের শ্লোগান হোক- সকল ‘সকল দেশদ্রোহীর বিচার চাই’।
@মোজাফফর হোসেন,
কার বিচার কে করবে। পুরো দেশটিকেই ত দুর্নীতির পঙ্কিলে ডুবিয়ে ফেলেছে কিছু মানুষ। সবক্ষেত্রে দুর্নীতি আর ভেজাল। নেতারা কেউ কেউ মিডিয়ার সামনে দুই একটা ভাল কথা বলে থাকেন শুধু মানুষকে বোকা বানিয়ে বাহবা ও ভোট লাভের জন্য। কাজের বেলায় সবাই এক।
@তামান্না ঝুমু, আসলে ইসলামকেই যাদের যুদ্ধাপরাধী মনে হয়, তাদেরকে কিছু বলার থাকে না।
:-Y
চাই চাই !
কিন্তু কার কাছে??
@অরণ্য
আমাদের বিবেক বিচার চাইছে আমাদের কাছে। আমরা চাইব কার কাছে?
@তামান্না ঝুমু: আপনি কি পোস্ট করার সময় পোস্ট স্টিকি করার অপশনে চাপ দিয়েছিলেন? গত ১-২ দিন ধরে আরেকটি পোস্ট স্টিকি হয়ে ছিলো যদিও কোনো মডারেটর স্টিকি করেননি,এই পোস্টের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। যদিও স্টিকি করার অপশনটা সব ব্লগার এক্সেস করতে পারেন তবে মডারেটর ছাড়া কারও পোস্ট স্টিকি করার কথা নয়। পোস্টটি স্টিকি থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। পোস্ট পাবলিশ করার সময় ভুলক্রমে অপশনে চাপ পড়তে পারে,এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকলে ভালো হয়, আমি সময় পেলে অপশনটি ওখান থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করবো।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
না আমি পোস্ট স্টিকি অপশনে চাপ দেইনি। পোস্ট করার সাথে সাথে তা স্টিকি হয়নি। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম স্টিকি হয়ে আছে। জানিনা কি সমস্যা হয়েছিল।
আপনার লেখা “সেতুকে বাঁচাতে” পোস্টটিতে মন্তব্য করতে পারছিলাম না। শুধু অভিদার মন্তব্য আছে আর নীচে মন্তব্যের কোন ব্যবস্থা দেখলাম না। আপনি যে একাউন্ট নম্বরটি দিয়েছেন সে নম্বরে টাকা পাঠালে হবে কি?
@তামান্না ঝুমু,
এডিট করতে গিয়ে ওটাতে ভুলে মন্তব্যের অপশন উঠিয়ে দিয়েছি। এখন মন্তব্য করতে পারবেন। হ্যা ওই নম্বরে পাঠালে হবে,ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
বাংলার নবী,
অন্ধবিধাতার কানটায় ধরে শুনিয়ে দেন দেখি-
আমি যে দেখেছি – প্রতিকারহীন, শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরব নিভৃতে কাঁদে।
আমি যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কী যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিস্ফল মাথা কুটে।।
কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,
অমাবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভূবন দুঃস্বপ্নের তলে।
তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে –
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
@আকাশ মালিক,
বিধাতা যে কেবল অন্ধ নয়,নির্বোধ, বধিরও। যে বিধাতা পৃথিবীকে পাহাড় দিয়ে চাপা দিয়ে হেলে প’ড়ে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছে সে রবীঠাকুরের উচ্চমার্গের কবিতা বুঝবে কেমন ক’রে?
এক্ষুনি বিচার চাই, খুনিদের বিচার চাই। আর বিলম্ব নয়, এক্ষুনি (O)
(Y) @কাজী রহমান,(Y) (Y)
ঠিক। দাবী এখন একটাই – যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ
দিয়েছিলো সেঁটে,
মগজের কোষে কোষে যারা
পুঁতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত,
যারা গনহত্যা
করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড়
করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না
কামনা।
আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিড়ি ভেঙ্গে যেতে
ভাসতে নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে
অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেই খানে দজ্জালদের।
– অভিশাপ দিচ্ছি
শামসুর রাহমান
@অভিজিৎ-দা,
কবির সাথে সহমত!
@অভিজিৎ,
আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। কিছু সংখ্যক অতিমানব আবার তা চাননা। যেসব সৌভাগ্যবান যুদ্ধাপরাধী বিচারের আগেই পটল তুলেছে তদের কী হবে? মরনোত্তর বিচার কি হবে? জীবিতদেরই ত বিচার হচ্ছেনা!
@তামান্না ঝুমু,
যুদ্ধাপরাধীদের মরণোত্তর বিচার ও চাই তাদের অসম্মানারথে মুত্র বিসর্জনের জন্য ফলক নির্মাণ করা হোক।
@মহন,
আইনী প্রক্রিয়ায় বিচার হোক সেটাই চাই আমরা। চল্লিশ বছর কেটে গিয়েছে। আর কী হবে বিচার?