আবুল কাশেম
ভূমিকা
উম হানী এবং নবী মুহাম্মদের মাঝে পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে আলোকপাত করা অত্যন্ত জটিল এবং বিপদজনক। জটিল এই কারণে যে উম হানীর ব্যাপারে আধুনিক ইসলামী পণ্ডিতেরা কোন কিছুই জানাতে চান না। কারণ নবীর জীবনের এই অধ্যায় তেমন আনন্দদায়ক নয়। নবীর শিশু স্ত্রী আয়েশা, পালকপুত্রের স্ত্রী যয়নবের সাথে নবীর বিবাহ, এবং আরও অন্যান্য নারীদের সাথে নবীর যৌন এবং অ-যৌন সম্পর্কের ব্যাপার আজ আমরা বেশ ভাল ভাবেই জানতে পারি। তা সম্ভব হয়েছে আন্তর্জালের অবাধ শক্তির জন্যে। আজকাল এই সব নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে এবং আমরা নবীর জীবনের অনেক অপ্রকাশিত অন্ধকার দিকগুলি অবলোকন করতে পারছি। কিন্তু উম হানীর সাথে যে নবী আজীবন পরকীয়া প্রেম করে গেছেন—অগুনতি স্ত্রী ও যৌন দাসী থাকা সত্যেও—তা নিয়ে আজ পর্যন্ত তেমন উল্লেখযোগ্য কোন প্রবন্ধ লিখা হয় নি। উম হানী ছিলেন নবী মুহাম্মদের প্রথম এবং আজীবন প্রেম। ধরা যায় নবী উম হানীকে মনঃপ্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন এবং কোন দিন এক মুহূর্তের জন্য উম হানীকে ভুলেন নাই। ইসলামের প্রাচীন এবং নির্ভরযোগ্য উৎস ঘেঁটে এই রচনা লিখা হয়েছে যাতে নবী জীবনের এই উপাখ্যান দীর্ঘ জানা যায়। যেহেতু উম হানীর জীবন এবং নবীর সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কোন ইসলামী পণ্ডিত ইচ্ছাকৃত ভাবেই তেমন মাথা ঘামাননি তাই অনেক কিছুই অনুমান করে নিতে হয়েছে। জোরালো হাদিস এবং প্রাচীন জীবনীকারদের থেকে জানা তথ্যই হচ্ছে এই অনুমানের ভিত্তি। এই রচনাতে নবী মুহাম্মদের পরকীয়া প্রেমের অনেক প্রশ্নের উত্তর পাঠকেরা হয়ত পাবেন।
এই রচনা লিখা বিপদজনক এই কারণে যে ইসলামি জিহাদিদের কাছে নবীর জীবনের এই গহীন গোপনীয় ব্যাপার খুবই স্পর্শকাতর। যে লেখকই এই উপাখ্যান লিখবে সেই ইসলামী সন্ত্রাসীদের শিকার হবে তা বলা বাহুল্য।
উম হানীর এবং মুহাম্মদের সম্পর্কের সাথে আয়েশা, সওদা, মেরাজ, মক্কা বিজয় এবং আরও কিছু প্রসঙ্গ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিছু প্রসঙ্গের পুনরাবৃত্তি করতে হয়েছে—উপায় ছিল না। ইসলামি কিতাবসমূহ যে পুনরাবৃত্তিতে ভরপুর,
উম হানীর পরিচয়
নবী মুহাম্মদ জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা আবদুল্লাহকে হারান। ছয় বছর বয়সে নবীর মাতা আমিনাও মারা যান (ইবনে ইসহাক, পৃঃ ৭৪)। মুহাম্মদের আট বছর বয়স পর্যন্ত উনাকে লালন পালন করেন নবীর পিতামহ আবদুল মুত্তালিব। আবদুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর মুহাম্মদের ভরণ পোষণের ভার ন্যস্ত হয় চাচা আবু তালেবের উপর। আবু তালেব নবীকে নিজের সন্তানের মতই লালন পালন করেন আমৃত্যু পর্যন্ত।
আমরা ইতিহাস থেকে আবু তালিব সম্পর্কে যা জানতে পাই তা হল এই:
আবু তালেব অর্থ হল তালেবের পিতা। আবু তালেবের আপন নাম ছিল আব্দ মানাফ। তালেব ছিল তাঁর জ্যৈষ্ঠ পুত্র। আব্দ মানাফের হয়ত অনেক স্ত্রী ছিল, কিন্তু ইসলামের ইতিহাস ঘেঁটে তাঁর দুই স্ত্রীর নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন—
ফাতেমা বিন্ত আসাদ। এঁর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন চার পুত্র এবং তিন কন্যা। পুত্ররা হলেন—যথাক্রমে তালিব, আকিল, জাফর এবং আলী। আর কন্যারা হলেন—উম হানী, জুমানা এবং রায়তা (আসমা বিন্ত আবু তালেব) (ইবনে সা’দ, খণ্ড ১, পৃঃ ১৩৫)।
আবু তালেবের অপর স্ত্রীর নাম ছিল ইল্লাহ বা এলাহ্। উনার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন এক পুত্র, তুলায়ক। এছাড়াও ইল্লাহ্র আগের স্বামীর ঔরসে জন্ম গ্রহণ করছিল আর এক পুত্র যার নাম ছিল আল হুয়েরেথ বিন আবু দুবাব (ঐ একই সূত্র)।
ইসলামের ইতিহাসে আব্দ মানাফের দুই ছেলে জাফর এবং আলী সম্বন্ধে প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু আকিল ও তালেব সম্বদ্ধে তেমন কিছু জানা যায় না। ইবনে সা’দ লিখেছেন তালেবকে বদর যুদ্ধে জোরপূর্বক যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়। কিন্তু তালেব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন কি না তা পরিষ্কার নয়। কারণ বদর যুদ্ধে তাঁর মৃত দেহ কেউ পায়নি, আবার তাঁকে জীবিতও কেউ দেখেনি। ধরা যায় তালেব বদর যুদ্ধ থেকে পালিয়ে কোথাও চলে যান। এর পর থেকে আর কেউ তার খবর জানেনা—তালেব চিরকালের জন্য নিখোঁজ হয়ে গেলেন; তার কোন উত্তরসূরিও ছিল না (ইবনে সা’দ, খণ্ড-১, পৃঃ ১৩৫)।
আকিলের ব্যাপারেও কোন তথ্য পাওয়া যায় না। শুধু এইটুকু জানা যায় যে যখন নবী এবং আলী মদিনা চলে যান, আর জাফর যখন আবিসিনিয়ায় নির্বাসিত ছিলেন তখন আকিল আবু তালেবের মৃত্যুর পর সমস্ত পৈত্রিক সম্পত্তি নিজের হাতে নিয়ে নেন। কারণ নবী মুহাম্মদ যখন মক্কা জয় করেন তখন অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন উনি আবু তালেবের গৃহে যাবেন কি না। উত্তরে মুহাম্মদ বলেছিলেন যে ঐ গৃহে যাবার তাঁর কোন ইচ্ছাই নাই—কারণ আকিল তাঁদের জন্য কিছুই রাখে নাই। বলা যায় যে নবী যখন মক্কায় বিজয় পতাকা নিয়ে প্রবেশ করলেন তখন হয়ত আকিল কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এই সময় উম হানী মক্কায় ছিলেন, এবং অনুমান করা যেতে পারে উম হানী তাঁর পিতার ভিটেমাটির দখল পান।
ধরা যায় উম হানী ছিলেন আবু তালেবের জ্যৈষ্ঠ কন্যা। উম হানীর অর্থ হচ্ছে হানীর জননী বা মা। উম হানীর নিজস্ব নাম নিয়ে কিছু অস্পষ্টতা আছে।
ইবনে ইসহাক (পৃঃ ৫৫৭) লিখেছেন উম হানীর নাম ছিল হিন্দ । ইবনে সা’দও (খণ্ড ১, পৃঃ ১৩৫) তাই বলেন।
এদিকে মার্টিন লিঙ্গস্ (পৃঃ ১৩৫) লিখেছেন উম হানীর নাম ছিল ফাকিতাহ্।সে যাই হোক, ইসলামের ইতিহাসে এই নারী উম হানী হিসাবেই অধিক পরিচিত।
মার্টিন লিঙ্গস্ লিখেছেন তালেব এবং নবী প্রায় একই বয়সের ছিলেন। বাল্য বয়সে নবীর সাথে জাফরের বিশেষ অন্তরঙ্গতা ছিল। এই সময় মুহাম্মদের বয়স ছিল ১২, আকিলের ১৩ আর জাফরের ৪। উম হানী ছিলেন মুহাম্মদের চাচাত বোন। অনুমান করা যায় উম হানী কিশোর মুহাম্মদের খেলার সাথী ছিলেন। এবং এই সময় মুহাম্মদ উম হানির প্রেমে পড়ে যান (লিঙ্গস্, পৃঃ ৩৩)।
যদি আমরা ধরে নেই যে উম হানী ছিলেন আবু তালেবের জ্যৈষ্ঠ কন্যা তখন আমরা অনুমান করে নিতে পারি যে উম হানীর বয়স নবীর বয়সের কাছাকাছি অথবা কিছু অল্প ছিল। অর্থাৎ, ১২ বছর বয়স থেকেই নবী মুহাম্মদ উম হানীর সাথে প্রেমে আবদ্ধ ছিলেন। এই প্রেম শুধু এক তরফা ছিল কি না বলা দায়, তবে এই রচনা সম্পূর্ণ পড়লে অনুমান করা যাবে যে উম হানীরও কিছু সাড়া ছিল মুহাম্মদের এই নিভৃত প্রেমের প্রতি।
হানী কি পুত্র না কন্যা? এই সরল প্রশ্নের উত্তর কোন জীবনীকার সহজ ভাবে দেন নাই। উইকিতে দেখা যায় হানীকে উম হানীর পুত্র বলা হয়েছে। কিন্তু এই তথ্যের কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র নাই। আরবিতে হানী সাধারণতঃ মেয়েদের নাম হয়—তবে পুরুষের নাম হওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। যেমন বাঙ্গলাদেশে ‘শামিম’ ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ের নাম হতে পারে।
উম হানী কবে মারা যান তার তথ্য ভাল ভাবে পাওয়া যায় না। তবে মুহাম্মদের মৃত্যুর পর উম হানী অনেক দিন জীবিত ছিলেন অনুমান করা যায়।
উম হানীর উপর নবীর আসক্তি
মুহাম্মদের জীবনী পড়লে বুঝা যায় যে উম হানীর প্রভাব মুহাম্মদের জীবনে ছিল অপরিসীম। মুহাম্মদ কোন দিনই উম হানীর প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ভুলেন নাই। আমরা লক্ষ্য করি বাল্য বয়সের সেই প্রেমের উচ্ছ্বাস নবী কোন দিনই দমিয়ে রাখতে পারেন নাই। মুহাম্মদের জীবনী রচয়িতারা উম হানীর সাথে মুহাম্মদের প্রেমের ব্যাপারটা যে ভাবেই হোক এড়িয়ে যেতে চান—যার ফলস্বরূপ নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং প্রচুর আজগুবি কাহিনী প্রচার করেন। মুহাম্মদ ছিলেন রক্ত মাংসের মানুষ। তাঁর মাঝেও ছিল অনেক কামনা বাসনা—ব্যর্থ প্রেমের আকুলতা এবং নিজের রিপু চরিতার্থ করার তীব্র অভিপ্রায়। জীবনীকারের যতই চেষ্টা করুন নবীর এই স্বাভাবিক বাসনাকে ধামা চাপা দিবার—মুহাম্মদ এবং উম হানীর জীবনের অনেক ঘটনার ফাঁক ফোঁকর থেকে অনেক সত্যই আমরা অনুমান করে নিতে পারি।
অনেক ইসলামী পণ্ডিতেরা উম হানীর সাথে নবীর প্রেমের ব্যাপারটা ধামা চাপা দিতে চান এই বলে যে মুহাম্মদ উম হানীকে নিজের ভগিনী হিসাবে জানতেন। প্রেম বলতে আমরা সাধারণভাবে যা বুঝি, অর্থাৎ দেহ এবং মনের সম্পর্ক—তা বিবাহ প্রসূতই হোক অথবা অন্য কোন ভাবে, তা ইসলামী পণ্ডিতেরা কোন ভাবেই স্বীকার করতে চান না। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় যে মুহাম্মদ চেয়েছিলেন উম হানীকে বিবাহ করে সংসার পাততে। বিবি খদেজার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হবার আগে নবী চেয়েছিলেন উম হানীকে নিজের স্ত্রী বানাতে।
মুহাম্মদের জীবনী লেখক রডিন্সন লিখেছেন যে উম হানীকে বিবাহ করার জন্য নবী পিতৃব্য আবু তালেবের কাছে প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু তালেব তা নাকচ করে দেন। এর কারণ কি হতে পারে তা সম্বন্ধে অনেক কিছুই ভাবা যেতে পারে। যতটুকু জানা যায় এই সময় নিরক্ষর মুহাম্মদ ভেড়ার রাখালের কাজ ছাড়া আর কিছু করতেননা বা জানতেননা। হয়ত আবু তালেব চাননি এক ভেড়ার রাখালের সাথে তাঁর কন্যাকে সঁপে দিতে। আবু তালেব বেশ প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন—আমরা ধরে নিতে পারি আবু তালেব উচ্চ শিক্ষিত না হলেও নিরক্ষর ছিলেন না। তাই অনেক ভেবেচিন্তেই উনি হয়ত ঠিক করেছিলেন নিরক্ষর, সহায় সম্বলহীন, বেকার ভাতিজার সাথে উম হানীর বিবাহ শোভা পাবে না।
রডিন্সন লিখেছেন:
মুহাম্মদের সময় কেউ বেশী বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থাকত না। সেই অনুযায়ী মনে হয় মুহাম্মদের বিবাহের বয়স অনেক পেরিয়ে গিয়েছিল। এর কারণ হয়ত দরিদ্রতা। অনেকে বলেন মুহাম্মদ আবু তালেবের কাছে উম হানীকে বিবাহের প্রস্তাব করলেন। বেদুঈন সমাজে চাচাত, মামাত খালাত, ফুফাতো ভাই অথবা বোনদের সাথে বিবাহ প্রচলিত ছিল। কিন্তু আবু তালেব এই প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। এর কারণ হতে পারে যে আবু তালেব চাইছিলেন আরও যোগ্য পাত্রের হাতে কন্যার হাত সমর্পণ করতে। এর বেশ কিছুদিন পরে উম হানী বিধবা হয়ে যান। তখন হয়ত উম হানী চেয়েছিলেন মুহাম্মদ আবার তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মুহাম্মদ এই ব্যাপারে আর আগ্রহী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক থেকে যায়। যে রাত্রে উনি স্বর্গ ভ্রমণে যান সেই রাত্রে উনি উম হানীর গৃহে ঘুমিয়ে ছিলেন (রডিন্সন, পৃঃ ৪৯)
উম হানীর সাথে এই ভাল সম্পর্ক বলতে কি বুঝায়?
রডিন্সন আরও লিখেছেন:
আরবদের যৌন ক্ষুধা অতিশয় প্রবল। তলমুদ আইনজ্ঞ নাথন বলেছেন আরবদের মাঝে যৌন সম্ভোগের যে প্রবণতা আছে বিশ্বের আর কোন জাতির মাঝে তা নাই। পারস্যের যে বিশাল ক্ষমতার আধার, আর রোমানদের যেই বিশাল বিত্ত অথবা মিশরের যে মায়া ইন্দ্রজাল, আরবদের মাঝে সেই রকম হচ্ছে তাদের যৌন ক্ষুধা। এই আইনজ্ঞ আরও বলেছেন যে বিশ্বের যৌন ক্ষুধাকে দশ ভাগ করলে তার নয় ভাগ পড়বে আরবদের পাল্লায় আর এক ভাগ থাকবে বিশ্বের বাকী জাতিদের মাঝে। (রডিন্সন, পৃঃ ৫৪)
মুহাম্মদ কেন আরবদের মাঝে ব্যতিক্রম হবেন?
এদিকে ইসলামের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক তাবারি লিখেছেন মুহাম্মদ উম হানীকে বিবাহের প্রস্তাব দেন, কিন্তু উম হানী তা গ্রহণ করলেন না—কারণ উম হানীর সাথে তাঁর শিশু ছিল (খণ্ড ৯, পৃঃ ১৪০)।
এই দুই ঘটনা কিছুটা পরস্পর বিরোধী হলেও আমরা অনুমান করতে পারি যে নবী উম হানীকে হয়ত দুবার বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন—প্রথমবার উম হানীর পিতা আবু তালেবের কাছে। সেই সময় মুহাম্মদ নিজেকে নবী বলে ঘোষণা দেন নাই; অর্থাৎ মুহাম্মদের বয়স অল্প ছিল, খুব সম্ভবত কুড়ি কিম্বা বাইশ। দ্বিতীয় বার উম হানীকে প্রস্তাব দেন আবু তালেবের মৃত্যুর পর, উম হানীর স্বামী যখন নিখোঁজ হয়ে যান (অনেকে, যেমন উপরে রডিন্সন লিখেছেন মারা যান) অথবা মুহাম্মদের প্রথম স্ত্রী খদেজার মৃত্যুর পর। মুহাম্মদ নিজেকে নবী বলে ঘোষণা দেন যার ফলে সমগ্র কুরাইশদের বিরাগভাজন হন। এই সময় মুহাম্মদের বয়স সম্ভবত ৫০ অথবা ৫১ হবে। কারণ খদেজা এবং আবু তালেব মারা যাবার অল্প কিছু সময়ের মাঝেই মুহাম্মদ বিধবা সওদাকে বিবাহ করেন আর আাবু বকরকে প্রস্তাব দেন তাঁর কন্যা আয়েশাকে বিবাহ করার। সামান্য সময়ের ব্যবধানেই মুহাম্মদ ছয় বছরের শিশু আয়েশাকে বিবাহ করেন।
অনুমান করা যায় মুহাম্মদের এই দুই বিবাহের ব্যাপারে উম হানী জ্ঞাত ছিলেন। তাই মুহাম্মদ উম হানীকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে উম হানী আর এক সতীন হতে চাইলেন না। উম হানী স্বামী ছাড়া, এক সন্তানের মা হয়ে একা থাকা পছন্দ করলেন। কিন্তু মুহাম্মদের সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে কুণ্ঠিত হলেন না। তার প্রমাণ আমরা দেখব নিচের অংশগুলিতে।
খদেজা মারা যাবার পর, উম হানীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না করতে পারলেও মুহাম্মদ হাল ছেড়ে দিলেন না। আল্লাহ নবীর সাহায্যে দ্রুত এগিয়ে আসলেন। আল্লা পাঠিয়ে দিলেন আয়াত ৩৩:৫০ যে আয়াতে নবীকে বলা হল উনি ইচ্ছে করলেই উনার যে কোন চাচাত, ফুফাতো, মামাত, খালাত বোনদের সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত হতে পারবেন বিবাহ ছাড়াই—শুধু এই হবে যে ঐ বোনদেরকে মদিনায় হিজরত করতে হবে। কিন্তু নবী অত বোকা ছিলেন না। তিনি জানতেন এই আয়াতের প্রতিফল কি হবে তাঁর অনুসারীদের মাঝে। তাই আল্লা তাঁকে জানিয়ে দিলেন যে এই অতি নিকট আত্মীয়দের সাথে বিবাহ বহির্ভূত যৌন-লীলার অনুমতি শুধুমাত্র নবীর জন্যই বহাল থাকবে অন্য মুসলিমদের জন্য নয়।
আমরা আয়াত ৩৩:৫০ পড়ে নেই।
হে নবী। আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ্ আপনার করায়ত্ত করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি ও খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সে—ও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য—অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দিন খান, তাফসীর মাআরেফুল কোরআন)
এই বাঙলা অনুবাদে যে কারচুপি আছে তা পরিষ্কার হয় যখন ইংরাজি অনুবাদ দেখা যায়। আল্লাহ ত সব মুসলিমদের জন্যই তাদের চাচাত, ফুফাতো, খালাত, মামাত বোনদের বিবাহ হালাল করেছেন। কাজেই এই আয়াতে নতুনত্বের কি আছে? দেখা যাক ইংরাজি অনুবাদ:
033.050
YUSUFALI: O Prophet! We have made lawful to thee thy wives to whom thou hast paid their dowers; and those whom thy right hand possesses out of the prisoners of war whom Allah has assigned to thee; and daughters of thy paternal uncles and aunts, and daughters of thy maternal uncles and aunts, who migrated (from Makka) with thee; and any believing woman who dedicates her soul to the Prophet if the Prophet wishes to wed her;- this only for thee, and not for the Believers (at large); We know what We have appointed for them as to their wives and the captives whom their right hands possess;- in order that there should be no difficulty for thee. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
Hilali and Khan
33:50. O Prophet (Muhammad)! Verily, We have made lawful to you your wives, to whom you have paid their Mahr (bridal money given by the husband to his wife at the time of marriage), and those (captives or slaves) whom your right hand possesses whom Allâh has given to you, and the daughters of your ‘Amm (paternal uncles) and the daughters of your ‘Ammah (paternal aunts) and the daughters of your Khâl (maternal uncles) and the daughters of your Khâlah (maternal aunts) who migrated (from Makkah) with you, and a believing woman if she offers herself to the Prophet, and the Prophet wishes to marry her; a privilege for you only, not for the (rest of) the believers. Indeed We know what We have enjoined upon them about their wives and those (captives or slaves) whom their right hands possess, – in order that there should be no difficulty on you. And Allâh is Ever Oft¬Forgiving, Most Merciful.
আয়াত ৩৩:৫০ সম্পর্কে ইবনে কাসীর লিখেছেন:
মহান আল্লাহ বলেন: যারা তোমার সাথে দেশ ত্যাগ করেছে। হযরত উম্মে হানী (রাঃ) বলেন: “আমার কাছে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর পয়গাম এলো। আমি আমার অপরাগতা প্রকাশ করলাম। তিনি তা মেনে নিলেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা এই আয়াতটি নাযিল করলেন। আমি তাঁর জন্য বৈধকৃত স্ত্রীদের মধ্যেও ছিলাম না এবং তাঁর সাথে হিজরতকারিদের অন্তর্ভূক্তও না। বরং আমি মক্কা বিজয়ের পর ঈমান এনেছিলাম। আমি ছিলাম আযাদকৃতদের অন্তর্ভূক্ত।“ তাফসীর কারকগণও একথাই বলেছেন। আসল কথা হল যারা মদীনায় রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে হিজরত করেছেন। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর কিরআতে রয়েছে।
এরপর মহামহিমাম্বিত আল্লাহ বলেছেনঃ কোন মুমিনা নারী নবী (সঃ)-এর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী (সঃ) তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। এ আদেশ দু’টি শর্তের উপর প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ হে নবী (সঃ)! মুমিনা নারী তোমার জন্য বৈধ যদি সে নিজেকে তোমার নিকট নিবেদন করে যে, তুমি ইচ্ছা করলে তাকে বিনা মহরে বিয়ে করতে পার। (তাফসীর ইবনে কাসীর, পঞ্চদশ খণ্ড, অনুবাদ ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত, পৃঃ ৮২৯)
এবার আমরা তিরমিজি শরীফ থেকে একটা হাদীস পড়ব:
উম হানী বিন্ত আবু তালেব বর্ণনা করলেন: “আল্লাহর রসুল আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু আমি উনার কাছে মাফ চাইলাম। উনিও আমাকে আর পীড়াপীড়ি করলেন না। এর পর আল্লাহ (সর্ব্বোচ্চ) নাজেল করলেন (৩৩:৫০) [এইখানে পাঠকেরা উপরে উদ্ধৃত আয়াতটা পড়ে নিতে পারেন]। উনি (উম হানী) বললেন: ‘এটা এই জন্য যে আমি উনার জন্য আইন সঙ্গত ছিলাম না কারণ আমি হিজরত করি নাই। আমি তুলাকাদের মধ্যে একজন ছিলাম ‘।
[পাদটীকা ২। তুলাকার অর্থ হল ঐসব ব্যক্তি যারা মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিল] (জামি আত তিরমিজি, খণ্ড ৫, হাদিস নম্বর ৩২১৪, পৃঃ ৫২২; অনুবাদ লেখকের)
এই আয়াতের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা নিম্নলিখিত ধারণা করতে পারি।
খদেজা মারা যাবার পর উম হানীকে মুহাম্মদ বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। উম হানী তা নাকচ করে দিলেন। মুহাম্মদ বিবাহ করলেন সওদাকে আর বগদত্ত হয়ে থাকলেন আবু বকরের ছয় বয়সের শিশু কন্যা আয়েশার সাথে। এর পর মুহাম্মদ মদিনায় হিজরতের আয়োজন করলেন। চাইলেন উম হানীকে সাথে নিতে। তাই উম হানিকে আবার প্রস্তাব দিলেন বিবাহের। উম হানী রাজী হলেন না, হয়ত উম হানী চাননি সতিনদের সাথে মুহাম্মদের সংসারে ঢুকতে। আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন আয়াত ৩৩:৫০। মুহাম্মদ উম হানীকে জানালেন আল্লাহ তাঁকে অনুমতি দিয়েছেন যে চাচাত (অথবা ফুফাতো, মামাত, খালাত) বোন যেই তাঁর সাথে হিজরত করবে তাকে বিবাহ করতে পারবেন। উম হানি বললেন যে তিনি হিজরতে যাবেন না। তাই মুহাম্মদের স্ত্রী হতে পারবেন না।
মুহাম্মদ এবার আর এক কৌশল করলেন। আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন আয়াত ৩৩:৫০-এর বাকী অংশটুকু। মুহাম্মদ উম হানীকে জানালেন যে হিজরত না করলেও অসুবিধা নাই—কারণ আল্লাহ্ বলেছেন যে কোন মুসলিম নারী যদি নিজের ইচ্ছায় মুহাম্মদের সঙ্গ পেতে চায় মুহাম্মদ তাকে নিতে পারবেন—তার জন্য কোন দেনমোহর দিতে হবে না। কিন্তু উম হানী মুসলিম হতে চাইলেন না। তাই অগত্যা মুহাম্মদকে উম হানী ছাড়াই মদিনায় হিজরত করতে হল।
এখানে স্মরণ রাখা দরকার যে বর পক্ষ কনেকে দেনমোহর না দিলে অথবা তার প্রতিজ্ঞা না করলে কোন বিবাহ-ই ইসলামী আইন অনুযায়ী ন্যায় সঙ্গত নয়। তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে উম হানী যখন মুহাম্মদের কোন প্রস্তাবেই রাজি হলেন না তখন মুহাম্মদ এই ফাঁদ পাতলেন—অর্থাৎ উম হানীকে ইসলামী বিবাহ ছাড়াই তাঁর হেরেমে নিতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে মুহাম্মদের ফুফাতো বোন যয়নব বিন্ত জাহশের কথা উল্লেখ করা যায়। যয়নবের সাথে বিবাহ হয়েছিল মুহাম্মদের পালিত পুত্র যায়েদের সাথে। কিন্তু মুহাম্মদ যয়নবের রূপ দেখে তাকে বিবাহ করতে চাইলেন। যায়েদ যয়নবকে তালাক দিয়ে দিলে মুহাম্মদ যয়নবকে বিছানায় টেনে নিলেন—আরবেরা এই সম্পর্ককে ঢি ঢি করতে শুরু করলে মুহাম্মদ প্রচার করতে লাগলেন এই বিবাহে আল্লাহর অনুমতি আছে–আল্লাহ-পাক তাঁদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছেন। যয়নব নবীর সাথে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। তাই দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদ আয়াত ৩৩:৫০ ঠিক মতই প্রয়োগ করে নিয়েছিলেন।
কিন্তু মদিনা চলে গেলেও এবং অগুনতি স্ত্রী ও যৌন দাসী থাকা সত্ত্বেও নবী তাঁর বাল্য প্রেম ভুলেন নাই। উম হানীর সাথে নবীর প্রেম যে উনার প্রথম প্রেম ছিল তাতে আমাদের সন্দেহ থাকে না। সেই প্রথম প্রেমকে নবী কোন দিনই তাঁর হৃদয় থেকে বিতাড়িত করতে পারলেন না।
মক্কায় অবস্থানকালে এবং খাদিজাকে বিবাহ করার আগে মুহাম্মদ কি ভাবে উম হানীর সাথে মিলিত হতেন? নিচের কিছু হাদিস পড়লে অনুমান করা যায় যে, উম হানির গৃহে মুহাম্মদ প্রায়ই যাতায়াত করতেন।
এ ব্যাপারে দেখা যাক কয়েকটি হাদিস।
উম হানী বর্ণনা করলেন: “আমি নবীর সান্নিধ্যে বসে ছিলাম। এই সময় কেউ পানীয় কিছু নিয়ে আসল। উনি তা পান করলেন। তারপর আমাকে পান করতে বললেন। আমি পান করলাম। তারপর আমি বললাম: ‘আমি সত্যই পাপ করছি। আমার জন্য আপনি ক্ষমা প্রার্থনা করুন’। নবী বললেন: ‘কি হয়েছে?’ আমি বললাম; আমি যে রোজা (উপবাস) ছিলাম। এখন আমি তা ভেঙ্গে ফেলেছি।‘ উনি বললেন: ‘তুমি কি এমন রোজা রেখেছ যা ভেঙ্গে ফেললে আবার রাখতে হবে?’ আমি বললাম: ‘না’। উনি বললেন: ‘তাহলে তোমার কোন ক্ষতি নাই’ (জাইফ) । (জামি আত তিরমিজি, খণ্ড ২, হাদিস নম্বর ৭৩১, পৃঃ ১৭২; অনুবাদ লেখকের)
সিমাক বিন হার্ব বর্ণনা করলেন: “ উম হানীর এক সন্তান আমাকে বলল—আর সে ছিল সর্বাপেক্ষা ধার্মিক ব্যক্তি। তার নাম ছিল জা’দাহ্। উম হানী ছিলেন ঐ ব্যক্তির দাদীমা। সে তার দাদীমার কাছ থেকে শুনেছিল যে আল্লার রসূল উনার (উম হানীর) কাছে আসলেন এবং কিছু পানীয় চাইলেন। তিনি তা পান করলেন। তারপর উনি সেই পানীয় উম হানীকে দিলেন। উম হানী তা পান করলেন। উম হানী বললেন: ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি যে রোজা ছিলাম। তখন রসূলুল্লাহ বললেন: “নফল (ঐচ্ছিক) রোজা নির্ভর করে রোজদারের উপর। সে চাইলে রোজাটা পূর্ণ করতে পারে, চাইলে ভাঙ্গতে পারে।” শুবাহ্ (আরেকজন বর্ণনাকারী) বললেন: ‘আমি তাকে (জা’দাহকে ) জিজ্ঞাসা করলাম: ‘তুমি কি এটা উম হানীর কাছ থেকে শুনেছ?’ সে উত্তর দিল: ‘না। আবু সালেহ্ এবং আমাদের পরিবারের সদস্যরা আমাকে এই ব্যাপারটা জানিয়েছেন। (জাইফ) (জামি আত তিরমিজি, খণ্ড ৫, হাদিস নম্বর ৭৩২, পৃঃ ১৭৩; অনুবাদ লেখকের)
উম হানী বিন্তি আবু তালেব বর্ণনা করলেন: “আল্লার রসূল আমার ঘরে আসলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কাছে কি কিছু আছে?’ আমি বললাম, ‘না, শুধুমাত্র এক টুকরো শক্ত রুটি আর সির্কা ছাড়া।‘ তিনি উত্তর দিলেন: ‘তাই নিয়ে এস, কারণ যে গৃহে সির্কা থাকে সেই গৃহে মসল্লার অভাব থাকে না।‘ (হাসান) (জামি আত তিরমিজি, খণ্ড ৩, হাদিস নম্বর ১৮৪১, পৃঃ ৫৩৩; অনুবাদ লেখকের)
এই সব হাদিস থেকে অনুমান করা যেতে পারে উম হানীর সাথে নবী প্রায়ই মিলিত হতেন, একান্ত নিভৃতে। এই সব ঘটনা খুব সম্ভবত: নবীর মদিনায় হিজরতের আগেই ঘটেছিল। ধরা যেতে পারে উম হানী হয়ত নবীর কাছাকাছি কোথায় থাকতেন। এমনও হতে পারে যে উম হানী গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। উম হানী যে নবীর খুব সান্নিধ্যে থাকতেন তাও কয়েকটা হাদিস থেকে বুঝা যায়।
ইবনে মাজা ও বায়হাকী রেওয়ায়েত করেন যে, উম্মে হানী (রাঃ) বলেছেন—নবী করীম (সাঃ) কা’বার প্রাঙ্গণে রাতে যে কেরাত পাঠ করতেন, তা আমি আপন গৃহে শুয়ে শুনতে পেতাম। (খাসায়েসুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃঃ ১২৫)
আর এই হাদিস:
তায়ালাসী, ইবনে সা’দ তিবরানী ও ইবনে আসাকিরের রেওয়ায়েতে হযরত উম্মে হানী (রাঃ) বলেন: আমি নবী করীম (সাঃ)—এর পেটের দিকে তাকালে মনে হত যেন উপরে নীচে সাদা কাগজ জড়িয়ে আছে। (খাসায়েসুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃঃ ১৩১)
এখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যা শুধু উম হানীই নয় অন্য এক বিবাহিতা মহিলার সাথেও নবীর বেশ সখ্যতা ছিল। সেটা নিচের হাদিস থেকে জানা যায়।
যায়দ ইবনে আলী ইবনে হুসায়ন রেওয়ায়েত করেন: নবুওয়তপ্রাপ্তির পর রসূলুল্লাহ (সাঃ) হালাল নয়—এমন কোন মহিলার কোলে আপন মস্তক রাখেননি; কিন্তু আব্বাস পত্নী উম্মুল ফযলের কোলে তিনি মস্তক রেখেছেন। উম্মুল ফযল তাঁর মাথায় উকুন তালাশ করতেন এবং চোখে সুরমা লাগাতেন। একদিন তিনি যখন সুরমা লাগাচ্ছিলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু রসূলুল্লাহর (সাঃ) গণ্ডদেশে পতিত হল। হুযুর (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন: তোমার কি হল? উম্মুল ফযল বললেন: আল্লাহ তা”আলা আপনার ওফাতের খবর আমাদের দিয়েছেন। আপনার পরে কে আপনার স্থলাভিষিক্ত হবে—একথা বলে গেলে ভাল হত। হুযুর (সাঃ) বললেন: আমার পর তোমরা নিগৃহিত ও অবহেলিত বিবেচিত হবে। (খাসায়েসুল কুবরা, খণ্ড ২, পৃঃ ১৫৪)
বলা বাহুল্য শারিয়া আইন অনুযায়ী এই ধরণের আচরণ একবারেই বে আইনী। দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদ নিজের রচিত আইনের থোড়াই পাত্তা দিতেন।
মদিনায় যেয়ে নবী লুট তরাজ, ডাকাতি এবং জিহাদে মনোনিবেশ করলেন। কিন্তু উম হানীকে ভুললেন না। যখন লুটের মাল ভাগ হত নবী উম হানীকে কিছু ভাগ দিয়ে দিতেন। ওয়াকেদি লিখেছেন যে মুহাম্মদ খায়বারের লুটের মালের কিছু অংশ উম হানীকে দিয়েছিলেন। এখানে বলা প্রয়োজন খায়বার ছিল মদিনার ইহুদীদের এক বিশাল বাসস্থল। মদিনার শস্যভাণ্ডার এই খায়বার ইহুদীদের হাতেই ছিল। নবী অতর্কিতে খায়বার আক্রমণ করেন, প্রচুর খাদ্যশস্য পেয়ে যান, যা উনি উনার নিকট আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ করেন।
আল ওয়াকেদি লিখেছেন:
খায়বার লুটের পর মুহাম্মদ আশী ওয়াসাক খেজুর এবং বিশ ওয়াসাক যব দিলেন তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীকে। এ ছাড়াও নবী উম হানী বিন্ত আবু তালেবকে দিলেন তিরিশ ওয়াসাক যব [তিনশত কিলোগ্রামের কিছু বেশী]। (আল ওয়াকেদী, পৃঃ ৩৪২)
অনুমান করা যায় উম হানী বেশ কষ্টের সাথে সংসার চালাতেন। তাই মুহাম্মদ প্রেরিত এই সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। উম হানীর স্বামী যে তাঁর সাথে থাকতেন না এও তার প্রমাণ হতে পারে।
উম হানী যে নবীর দেহের খুব সন্নিকটে থাকতেন তা বুঝা যায় উম হানী যখন নবীর দেহের বর্ণনা দেন, বিশেষত্ব উম হানী দেখা যায় নবীর পেটের চামড়ার ধরণ খুব ভালভাবে জানতেন। উম হানী ছাড়া নবীর এইরূপ উলঙ্গ দেহের এই বর্ণনা আর কারও কাছ থেকে পাওয়া যায় না—এমনকি নবীর অগুনতি স্ত্রীদের কাছ থেকেও নয়।
উম হানী বলতেন, “আমি আল্লাহর রসুলের চাইতে সুন্দর হাসি আর কারও মুখে দেখি নাই। আর আমি যখনই আল্লাহর রসূলের পেট দেখতাম তখনই আমার মনে পড়ে যেত। [এই খানে কিতাব আল মাগহাযির ইংরাজি অনুবাদক ব্র্যাকেটে লিখেছেন: উম হানী এখানে নবীর ত্বকের ভাঁজের কথা বলছেন—অর্থাৎ নগ্ন পেটের] আমি মক্কা বিজয়ের দিনে উনার মাথায় চারটি বেণী বাঁধা দেখেছি। (আল ওয়াকেদী, পৃঃ ৪২৭)
চলবে (২য় পর্বে)…
ইয়া আল্লাহ তুমি তোমার এইসব বান্দাদের হেফাজত দান কর। আ– মী— ন।।।
আসলে এখানে মক্তমনার নামে মানুষের চরিত্র হরন করা হচ্ছে, লেখায় সবিরুধিতায় ভরা,মহাম্মদের চাচাত ভাইয়ের খবর বলতে পারেননি কিন্তু জয়নবকে জাপটে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছেন এ গুলো ঠিকই আবিস্কার করতে পেরেছেন মুক্তমন বলে কথা লেখকের পছন্দ সই সব কিছুই পাওয়া যাবে চরিত্র হরনের জন্য,যে বই গুলো মহাম্মদের পক্ষে যাবে সে গুলোর উল্লেখ থাকবেনা, যে গুলোর সুত্র দিয়ে নবির চরিত্র হরন করা যায় সে বই গুলো আসমানি চার কিতাবের চেয়েও আর বেশী বিশ্বাস যোগ্যে কারণ ওগুলো ছাড়া নবির ছরিত্র কিভাবে হরন করবেন, চৌদ্দ শত বচর আগের চরিত্র গুলো চৌদ্দশ বচর পরের লেখা বই দিয়ে প্রমাণ কি ভাবে করবেন? যখন খারাপ কিছু পাবেননা তখন বলবেন লেখকরা এড়িয়ে গেছেন অর্থাৎ আপনাদের জন্য কেন নবীর কিছু মুখ রুচক যৌন কাহিনি রেখে গেলেনা এইত? যারা বচরের পর বচর সাথে রইলেন তারা এমন কিছু জানতে না পারলেও আপনারা আজ কত সহজে পেয়ে জাচ্ছেন সেই সব তত্ত্ব বিচিত্র সেলুকাস,
@ম হুসেন,
ভাই ভাল মত পরেন
http://blog.mukto-mona.com/?p=19631#comment-95843
এই লাইনটাই সরাসরি কপি পেস্ট মারেন……।।
উক্ত ৩৩: ৫০ আয়াতের একটি লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো – কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। – তার অর্থ নবী যত খুশী তত বিয়ে করতে পারবেন। আর এটা নবীর জন্য বিশেষ আল্লাহ বিশেষ আনুকূল্য। তার কি অসুবিধা? অনেকগুলো স্ত্রী না থাকলে তার কি অসুবিধা হয় ?
:guru: কষ্ট করেছেন অনেক বোঝা যায়। :guru:
কষ্ট লাগছে। এমন কাহিনি শুনে মুমিনরা কী করবে। :hahahee:
ভাই, এসব কি সত্য……??? আমি তো নাস্তিক হয়ে যাব ……
নবীর কর্ম আমাদের ধর্ম।নবী ধর্ম মানতে বাধ্য নন
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ
অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছেন।
তবে কোরানের নিম্নোক্ত আয়াত টি একটু প্রেক্ষিত সহ ভাল করিয়া ব্যাখ্যা করিয়া বুঝাইয়া দিবেন?
এখানে নবীর জন্য “বিশেষ করে হালাল করার” এমন কি প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল? তার জীবনটাই তো ছিল ইছলাম প্রচারের জন্য।এটা কি ইছলাম প্রচারের জন্য এতটা খুব বেশী প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল?
একটু ব্যাখ্যা করিয়ে বুঝিয়ে দিবেন?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
আপনি যা লিখেছেন বিষয়গুলো ১০০% ভুল।
আমি দেখেছি যারা মোটর সাইকেল এর মিস্ত্রী তাদের কখনও মোটর সাইকেল থাকে না আর থাকলেও তার শব্দ হয় খুব বেশি, গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে অতি ঘরামির ঘরের চালে ছন থাকে না।
আইন এ আছে ১০ বছর একজন শিক্ষক শিক্ষকতা করলে আদালত তাঁর জবান বন্দি নেয় না, কারণ তাঁর জ্ঞান দিতে দিতে জ্ঞানের কমতি হয়।
প্রশ্নঃ আপনার নাম কি? উত্তরঃ কমলাপুর।
প্রশ্নঃ আপনার বাড়ি কোথায়? বসিরুদ্দিন।
দুনিয়াটা একটা রঙ্গ মঞ্চ এখানে সবাই অভিনেতা (সবাই যদি অভিনেতা হবে, স্টেজে উইঠে বইশে থাকবে তাহলে দেখবে কিডা শনবে কিডা আর গেট মানই বা কে হবে লোক ফাকি দিয়ে ঢুকে পরবে না)
ভোর বেলা ৩ জন পুকুর ঘাটে গছল করতে নেমেছে…
১ম জন চোর
২য় জন বেভিচারি
৩য় জন আল্লাহ ভক্ত নামাযি মানুষ।
১ম জন ভাবতেছে এই হালারাও মন কয় আমার নাগাল চুরি করছে।
২য় জন ভাবতেছে এই দুই জনও বোধ হয় আমার মত সারারাত বেভিচারি করে এখন গছল করতেছে।
৩য় জন ভাবতেছে আহা এই বান্দারা হয়ত সারা রাত আল্লাহর ইবাদত করেছে এখন গছল করে হয়ত ঘুমাবে।
হা হা হা…
সোনা মনে হয় পৃথিবীতে খুব অল্প আছে তাই এর দাম এত বেশি আর মাটি তো সব খানেই আছে তাই এক ট্রাক এর দাম ৫০০ টাকা।
মায়ের গর্ভে যখন ছিলাম তখন আমিই ছিলাম তখনকার কোন কিচ্ছুই মনে নেই
দুনিয়ার সব কিছু মনে আছে
মৃত্যুর পড়ে কিছু একটা তো হবে যেমন মায়ের পেটের মধ্যে ছিলাম অমন কিছু।
দুনিয়ায় খারাপ কাজ করলে শাস্তি পেতে হয় মরার পরেও তো হবে (মায়ের গর্ভে থাকার মত)
আল্লাহ বলেন তোমারা অপেক্ষা করো আর আমিও অপেক্ষা করছি।
এইত আর কয়তা দিন। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু তো হবেই নাকি তাতেও শন্দেহ আছে?
জাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হত না তাঁকে নিয়ে বাজে কথা, হয়ত এরই জন্য ঘোষণা করা হয়েছে জাহান্নামের আগুন জ্বালানো হবে পাথর আর মানুষ দিয়ে। সবাই যদি জান্নাতে যাবে তাহলে জাহান্নামের আগুন জ্বালানো হবে কি দিয়ে?
আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত ডান করুন
এই কামনায়…
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
আচ্ছা আল্লাহপাক অপেক্ষায় থাকুন। আমিও উনার সাথে মোলাকাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দেখাই যাক না, আল্লাহ আর বান্দার দেখা হলে আল্লাহ পাক কি ব্যবস্থা করতে পারেন।
আপনার মন্তব্যের বাকি অংশটুকু আর quote করার রুচি হল না। কারন অতি সস্তা ২টা কৌতুক, দিয়ে আপনি কি প্রমান করতে চেয়েছেন তা আপনি নিজেই ভাল জানেন।
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
ভাইজান মাফ করেন, এখানে কাঠালপাতা পাওয়া যায়না।
@আকাশ মালিক, (Y) :rotfl: (F)
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
চোখে জল এসে গেলো! ;-( ;-( ;-( ;-( ;-( ;-(
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
ধন্যবাদ। মুক্তমনার মাধ্যমে আপনিও হেদায়েত প্রাপ্ত হয়ে মনকে আলোকিত করবেন, এই ইচ্ছাই পোষন করি। আমিন।
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
এ প্রবন্ধটির মধ্যে কোন লাইনটি আপনার কাছে ভুল মনে হয়েছে? সেটা হাদিস কোরানের আলোকে খন্ডন করুন।
এখানে কারো সম্পর্কে বাজে কতা বলা হচ্ছেনা। এটা বাজে কথা বলার জায়গা না। বাজে কথা পড়ার জন্য এখানে কেউ বসেও নেই। পৃথিবীর বাজেতম লোকের,বাজেভাবে ঘটানো, বাজে ঘটনাগুলো,কিছু বাজে পুস্তক যা কিনা সেসব বাজে ঘটনাগুলোর সাক্ষী, যা হাদিস কোরান নামে খ্যাত তাদের আলোকে আলোচনা করা হচ্ছে। আপনি পারলে তাই করুন।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত বাম করেছেন। আপনাকেই নাহয় ডান করুন।
@তামান্না ঝুমু, আমি কিন্তু ওই ভদ্রলোকের এই প্রলাপ গুলো এড়িয়ে গেছি একটাই কারনে যে ওগুলা আমাকে প্রত্যেকদিন শুনতে হত, আর আমার তা মুখস্থ হয়ে গেছে 😀 ।
আপনিও দেখে নিবেন আপু যে, উনি (মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ )আপনাকে হয় এড়িয়ে যাবেন, না হয় আর কিছু আগডম বাগডুম বুলি কপচিয়ে হেদায়েত করবেন। 🙂
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
ভাইজান, এই রচনার সাথে, আপনার মন্তব্যের কী সম্পর্ক জানাবেন কী?
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
ভাই এটা ফাতরামি করার যায়গা না। যুক্তিযুক্ত কিছু থাকলে বলতে পারেন না হলে চুপ থাকেন দয়া করে।
@মডারেটর
মন্তব্যেরও একটা ন্যূনতম মানদন্ড থাকা দরকার। ফালতু কথা লিখে মুক্তমনার পরিবেশ নষ্ট যারা করতে চায় তাদের দিকে একটু বিশেষ দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
@ভবঘুরে,
ভাই, এত কঠিন হৃদয় হইয়েন না। ওনাদের মত লোকেরা মন্তব্য করে বলেই আমরা ফ্রীতে এত নির্মল বিনোদন পাই। উনার এই মন্তব্য না থাকলে আকাশ মালিক ভাইয়ের ওই দমফাটানো জবাবটাও থাকতো না। মুক্তমনায় সব কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনার ফাঁকে এই মন্তব্যগুলি দারুণ লাগে। মজা পাই আর একই সাথে ধার্মিক ভাইদের যুক্তির দৌড়ও বোঝা হয়ে যায়।
@মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আলিফ,
একবার ভাবুনতো, আপনি জাহান্নাম এর আগুনে জ্বলছেন ( যদি ও কামনা করি না) আর আমরা বেহেস্তে… তখন তো বলবেন, আমারে তো কেউ বুইল্লোনা ধার্মিকদের পরিণাম জাহান্নাম। জেগে উঠুন। ভাল থাকবেন।
কাশেম ভাই,
এই সিরিজটা মনে হয় জমবে ভাল।
দারুন মজা পেয়েছি।
চলুক।
(Y)
@আবুল কাশেম ভাই,
আসলে এটা আমি আপনাকে লিখেছি, কিন্তু এখন মনে হল যে এটা সাইফুল ইসলাম সাহেবের অনুবাদ। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী আপনাদের ২জনের কাছেই।
খুব ভাল লাগলো ।
দীনের নবী মোস্তফা বইলা কথা বুজলেন ভাই। কত্ত বড় ধূরন্ধর চিন্তা কইরা দ্যাখেন দুনিয়া জুইরা কত্ত মানুষ দীনের পথে এনে গহীন অন্ধকারে ডুবাইয়া দিল।
খুব ভাল হয়েছে কাশেম ভাইয়া। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। তবে বেচারা মহাম্মদ কে আমার কেমন জানি ট্রু লাভার বলে মনে হচ্ছে,যদিও লম্পট, তবু বাল্যকালের প্রেম কে ভুলতে পারে নাই। আহারে!!! 🙂
@অচেনা,
হাঁ, ভাই। আমি আপনার সাথে একমত। আমি নবীর চরিত্রের ভাল-মন্দ সমালোচনা করছি। না পাঠকরা যা বুঝবার বুঝে যাবে। তবে নবী যে আমদের মতই এক মানুষ ছিলেন–সেটাই দেখা যাচ্ছে।
উম হানীর সাথে নবীজির প্রেমের সম্পর্কে আমি মন্দ কিম্বা অনৈতিকতার কিছুই দেখিনা। শৈশবের প্রথম প্রেম ভুলা খুবই কষ্টকর। আর উম হানীর সাথে নবীজি যদি দৈহিক সম্পর্ক ছিল, তাতেই বা কি অসুবিধা। নবীজি ত সারা জীবনে অগুনতি মহিলার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে গেছেন–বেশীর ভাগই প্রেম ছাড়াই।
তাই উম হানীর সাথে নবী মুহাম্মদের প্রেম আমি মানবিক দিক থেকে খুব ভাল দৃষ্টিতে দেখছি।
অসুবিধা হচ্ছে যখন ইসলামী পণ্ডিতেরা এই সহজ, সরল, স্বাভাবিক, হৃদয় নিংড়ানো প্রেমের উপাখ্যানটি একেবারেই গুম করে দিতে চান।
@আবুল কাশেম, জি ভাইয়া থিকই বলেছেন। আমিও মহাম্মদের বাল্য প্রেমে কোন দোষ দেখি না। কিন্তু আমার আপত্তি হল তার পরের অধ্যায়।মানে নবী সেজে তার বহুগামিতা। কেউ যদি বহুগামি হয়, তাতে আমার কিচ্ছু এসে যায় না,কিন্তু বহুগামীর বৈধতার জন্য ওহী নাজিল করাটাই অসুস্থ কাজ।অবশ্য তার আর অন্য পথও খোলা ছিলনা এটা বুঝি। তবে আমি স্বীকার করব যে নিরক্ষর হলেও সে ছিল খুব ঘোড়েল লোক। না হলে এত ভয়াবহ একটা কাল্ট কে প্রতিষ্ঠা করে ফেলল, যা আজ কিনা দুনিয়ার জন্য কান্স্যার।যদিও আপনার অনুবাদ পড়ে মহাম্মদের সাফল্য রহস্য অনেকটাই বুঝেছি। কিন্তু তবু যেভাবেই হোক সে সফল হয়েছে, এটাই এখন সবথেকে বাজে আর তিক্ত সত্য। আর মহাম্মদ ত আসলেই সাধারন মানুষই। নবি হতে যাবে কেন। আমি আপনার পুর লেখাটাই বুঝেছি। অসাধারন হয়েছে বলেই বেশি কিছু মন্ত্যব্য না করে মহাম্মদ কে একটু খোঁচা মেরে কাজ সেরেছি। যাহোক ভাইয়া, পরের পর্ব আশা করি তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব। অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন। (F)
আরবদের যৌণক্ষুধা নিয়ে যেসব উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেটা কি racism হয়ে গেল না!
@আতিকুর রহমান সুমন,
এ সব কি আমার নিজস্ব কথা? আমি ত শুধুমাত্র অন্যের উধৃতি দিয়েছি। আমাকে বর্ণবৈষ্যম্যের অপবাদ দিচ্ছেন কেন?–রডিন্সন সাহেবকে দিন–যাঁর বই আমি ভালভাবে পড়েছি–এবং রডিন্সনের এই বইটি ইসলামী বিশ্বে খুব সমাদৃত। উনি ছিলেন (হয়ত এখনও জীবিত আছেন–আমি সঠিক জানি না) এক জন ফরাসী। আমি উনার বইটার ইংরাজি অনুবাদ পড়েছি।
উনি যা লিখেছেন আপনি তার বিরুদ্ধে–প্রমাণ সহ লিখুন। শুধু শুধু আমাকে দোষ দেওয়া সঠিক হবে না।
ইশহাকের বর্ণনায় আমরা পাই, উম্মে হানি বলছেন-
“It was from nowhere but my home that the Messenger of God (SAAS) made his night journey. He slept that night after having made the final evening prayer. When it was just before dawn he woke up and when it was morning we prayed together and he said, O Umm Hani, last evening I prayed with you in this valley, then I went to Jerusalem and prayed there. And now here I am having said the morning prayer with you, as you see.’
“He then arose to leave, but I took hold of the hem of his cloak ( নাকি Cock আল্লায়ই জানে ) and said, O Messenger of God, do not make that statement to the people; they will surely disbelieve you and do you harm.’
জুলেখা যেমন ইউসুফের শার্ট ধরেছিলেন আর কি? রাতভর আকাশে মেরাজের এতোবড় আয়োজন চলছে আর মুহাম্মদ উম্মে হানির ঘরে? বিশ্বের সেরা চমৎকার নাটক।
@আকাশ মালিক,
ডিকসনারী word web হতে:
Hem এর অর্থ: “The edge of a piece of cloth; especially the finished edge that has been doubled under and stitched down”
এবং cloak এর অর্থ:
“১। Anything that covers or conceals
২। A loose outer garment”
তাহলে দেখা যাচ্ছে “cloak” শব্দটি ঠিকই আছে এবং অর্থ সামঞ্জস্য পূর্ণ হয়। বরং “cock” শব্দ হলে কোন অর্থই প্রকাশ করেনা।
এত ক্ষুদ্র অথচ অতিব তীক্ষ্ন ধারাল তথ্য বের করাটা এতটা সহজ কথা নয়। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আকাশ মালিক,
তাই-ই হবে মনে হচ্ছে।
এত বড় ধাপ্পাবাজী বিশ্বে কোনদিন হয়নি আর হবেও না। সমস্ত ইসলামী বিশ্ব আজ এই বেকুফিতে ডুবে আছে।
মিথ্যা প্রচারে নবীজি হিটলার-গোয়েবলস্কেও হার মানিয়ে দিলেন।
সাবাস নবী! মারহাবা!
@আবুল কাশেম,
দারুন হচ্ছে। (F) (F) এরপর ও যদি ছাগুদের বোধদয় হয়। গতকাল এক বিশিষ্ট ছাগুবিদ এক দৈনিকে কি লিখেছেন দেখেন এখানে
আমি তো চিৎ পটাং খাইছি আপেক্ষিক তও্বের বর্নণা শুনে।
@আমি আমার,
দেখলাম। এই প্রবন্ধের লেখক কোন মৌলভী, মোল্লা নয়। লেখক হচ্ছেন–
সেই জন্যই ত আমাদের দেশ এখন ইসলামি বন্যায় প্লাবিত। এই বন্যায় সবই ভেসে যাচ্ছে খড়কুটোর মত।
ইসলামের অবসানের পথের সবচাইতে বড় অন্তরায় কিন্তু অশিক্ষিত মৌলভী, মোল্লা, ইমাম, ফতয়াবাজ, জিহাদি, আত্মঘাতী ইসলামি বোমারু বা সন্ত্রাসিরা নয়। এই ধরণের অধ্যাপক এবং বেশ কিছু উচ্চ শিক্ষিত পেশাদায়ী ব্যক্তি–যেমন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, অধ্যাপক, শিক্ষক, প্রধাণ মন্ত্রী, সরকারি বেসরকারী আমলা…এরাই হচ্ছেন প্রধাণ অন্তরায়।
@আমি আমার,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষকটির লেখা পড়ে আমারও ভিমড়ি খাবার যোগার। এই যদি হয় উচ্চ শিক্ষিত লোকের জ্ঞানের নমুনা তা হলে আর থাকি কই? লিখেছেন,
হাসবো না কাঁদব বুঝতে পারছিনা। :lotpot: ;-(
@আবুল কাশেম,
সহমত পোষন করি আপনার সাথে। এইসব স্বশিক্ষিত দের ছেড়ে দেওয়া যাবেনা অতি সহজে। আমি পত্রিকা এডিটর কে মেইল করেছি ঐ শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ এর ব্যাপারে। দেখি কি হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমার কষ্ট হয় যখন এদের মত লোক বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে অযৌক্তিক ঘটনাকে প্রমাণ করতে। আমি তো ভেবেই পাচ্ছিনা ওরা নতুন কি আখ্যা দিবে যখন ভূল প্রমাণিত হবে যে নিউট্রিনো এর গতি আলোর চেয়ে ও বেশী।
“আর এ ক্ষমতা স্বয়ং আল্লাহপাকই তাঁকে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনিই সম্পূর্ণ সফল এবং এটাই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বর বড় প্রমাণ।”-কি অকাট্য যুক্তি। ২+২=কোরানে বলে ১০ এবং এটাই ঠিক। ভাই আমারে একটা কোরান দেন, বিজ্ঞানী হমু। :-Y
@আমি আমার,
“ভূল” শব্দটার পরিবর্তে “সত্য” পড়তে হবে। অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্য দুঃখিত।
@আমি আমার,
(Y)
@ব্রাইট স্মাইল্,
হাসতে পারেন কারন এইগুলা পাগলের প্রলাপ। আর কাঁদতেও পারেন কারন এইসব পাগল গুলোর জন্যেই যেকোনো সময় আমরা শেষ হয়ে যেতে পারি।যে পাগল রাস্তায় নগ্ন হয়ে হাঁটে তাদের ভয় পাবার কিছু নেই। কিন্তু যে পাগল রা বুকেতে কোরান, মাথায় কাফন, আর হাতে তলোয়ার নিয়ে চলাচল করে, এদের সাথে নিয়েই দেখবেন একদিন, বর্তমানের মোডারেট মুসলিম পীর সাহেব রা ( তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিরা) একদিন সোজা সাপটা শারিয়াহ আইন চালু করবে। আগে তাদের প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয়ে নিক পশ্চিমা গনতন্ত্রের হাত ধরে 🙂
@অচেনা,
ভাই, সেই ভয়ইতো সারাক্ষন বুকে নিয়ে বসে আছি। ;-(
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমিও একই ভয় নিয়ে বসে আছি ভাই। আর এই কাল্ট এর অবসানের কোন সম্ভাবনা আমি অন্তত দেখিনা \ , আমি এটাকে প্রকৃতির এক প্রলয়ঙ্করী শক্তি হিসাবে নিয়েছি যা মানবতা কে ধ্বংস করবে । যেমন ডাইনোসররা প্রাকৃতিক কারনে বিলুপ্ত হয়েছিল, তেমনি মানব জাতিও বিলুপ্ত হবে ইসলামের হাতেই । ;-( ;-(
@আবুল কাশেম, নবীজি আপনি যখন মেরাজে গেলেন তখন আকাশ থেকে কেন পৃথিবীকে ভালকরে দেখলেন না? যদি দেখতেন আর একবার বলে দিতে পারতেন পৃথিবী গোল! তাহলে আমরা মোল্লারা সারা দুনিয়ায় ইসলাম কায়েম করতে পারতাম!
অনেক ইমানদারকে দেখি সব জটিলতা এড়াতে গিয়ে উম্মে হানীকে সোজা মুহাম্মদের স্ত্রী বানিয়ে দেন। ‘উম্মে হানী’ লেখে সার্চ দিয়ে একটা দেখেন। এগুলো নিয়ে ইমানদারদের হৈচৈ করতে দেখা যায় না। শুধু মুক্তমনায় তা নিয়ে লেখলে সদাপ্রলাপ মার্কা ব্লগগুলোতে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন এর সুরা বনী ইসরাঈল অংশে দেওয়া আছে-
>গুড! আর কাউকে না বলে উম্মে হানীকে বললেন। 😛
> সুন্দর ব্যাখ্যা। কে কইছে মুমিন-মুছলগণের ঘিলু নাই।
মেরাজ হওয়ার তারিখ ও বিবরণ নিয়ে যে বিভ্রান্তি তাতে মনে হয় মুহাম্মদ কয়েকবার মেরাজে যাওনের দাবি করেছিল। একবার নাকি আয়েশার আলিঙ্গনে থেকে মেরাজ কইরা এসেছিলেন (হাদিস খুঁজলে পাবেন)।
উম্মে হানীকে নিয়ে কাশেম ভাইয়ের এ অনুসন্ধানমূলক লেখাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। (Y)
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ।
সামনের পর্বগুলিতে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।
কাশেম ভাই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক নতুন তথ্য জানলাম। (F)
কয়েক দিন বাদেই (৭ই নভেম্বর নাকি দিন ধার্য হয়েছ)এক দিনেই লক্ষ লক্ষ পশু হযরত ইব্রাহিমের সৃতি উপলক্ষে মুসলমানেরা উৎসর্গ করতে চলেছেন।
এর কি এতটা প্রয়োজন আছে?
অথচ পূর্ববর্তি সমস্ত ধর্ম বাতিল বলিয়াও ঘোষনার কথা সব সময় বলা হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে কিছু লিখতে পারেন ?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
সেই যুগে অধিকাংশ আরব বাসীর একাধিক স্ত্রী ছিল। যেমন – মোহাম্মদের নিজেরই ছিল ১৩ টা। তাহলে প্রশ্ন জাগে- সে যুগে যদি মেয়ে শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো, তাহলে এত নারী পেত কোথায় তারা বিয়ে করার জন্য? তাই এটা ভাবাই যৌক্তিক যে- হয়ত বা কদাচিত কেউ দারিদ্রের কারনে তার কন্যা শিশুকে পরিত্যাগ করত ( আজকের যুগেও যা বিরল নয়) আর সেটাকেই বড় করে মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা প্রচার করেছে, তথাকথিত আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের চেয়ে ইসলামের যুগকে মহিমান্বিত করার জন্যে।
@ভবঘুরে,
সেইটা আমারও প্রশ্ন। কোরানে দুই এক জায়গায় একটু উল্লেখ থাকলেও হাদিসে তেমন কিছু উল্লেখ বা উদাহরণ নাই। জীবন্ত কন্যাকে কবর দেওয়া যদি এতই ব্যাপক থাকত তবে হাদিসে তার ভুরিভুরি উল্লেখ পাওয়া যেত। কিন্তু তেমনটি দেখা যায় না।
হয়ত এই প্রথা অবলুপ্তির পথে ছিল। অর্থাৎ আরবদের মাঝে এই প্রথা ছিল অতি বিরল।
মোহাম্মদ আসলেই একজন ভালো রাখাল ছিলেন। প্রথম ৪০ বছর ৪ পায়ের ওঁ পরবর্তি ২৪ বছর ২ পায়ের ভেড়া পালন করেছেন দক্ষতার সাথে।
@জাহিদ রাসেল,
এর কারনটাও আপনার জানা দরকার। একটা হাদিসে আছে – আল্লাহ মোহাম্মদকে ৩০ টা মরদের শক্তি দিয়েছিল।
@জাহিদ রাসেল, বেচারা মহাম্মদ, যৌবন কালে যেতা পায় নাই, ৪০ এর পর থেকে নবী হয়ে সেই জিনিস পেল। এমন কি একটা শিশুকেও।Pedophile লম্পট একটা।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টির একটা বিস্তারিত ফয়সালা করার জন্য। উম্মে হানি মোহাম্মদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য চরিত্র অথচ কোন হাদিসেই তার কথা (মোহাম্মদের সাথে প্রেম) নেই। তাই একটু আশ্চর্য লাগছিল।অন্য বিভিন্ন সোর্সে (সেগুলোও ইসলামী সোর্স বলাবাহুল্য)আমি উম্মে হানির সাথে মোহাম্মদের প্রেমের বিষয়টা পড়েছি। এখন বিষয়টা নিয়ে আপনি লেখাতে আমি যার পর নাই আনন্দিত।
@ভবঘুরে,
সেই জন্যই এই রচনা লেখা।
উম হানী যে মুহাম্মদের জীবনে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তাতে কোন সন্দেহ থাকবে না–সম্পুর্ণ এই প্রবন্ধটি পড়লে।
সম্ভবতঃ”উম হানী “এর স্থলে “উম্মে হানী” হইবে। ভূল হয়ে থাকলে সংশোধন করে দেওয়া যেতে পারে।
কোরানের এই আয়াত এর ব্যাখ্যা পরিপ্রেক্ষিত, হাদিছ সমূহ গুলী আগে কখনো জানতামনা।
অজ্ঞাত বিষয় জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আঃ হাকিম চকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দুটোই চলতে পারে। আমি ওনেক বইতে উম্মে দেখেছি, অনেক বইতে উম দেখেছি—অর্থ একই, মা বা জননী।
@আবুল কাশেম,
নবীর স্ত্রীগন মা পদমর্যাদা ভুক্ত, নবীর প্রিয় প্রেমিকা বান্ধবী রক্ষিতা সে সম্মান দাবী হয়ত করেছিল, তাই সে উম্মে হানি। যব আর লূটের মালের বড় ভাগ তো সে ঠিকই পেত, বিশেষ সম্পর্কের কারনে। সম্ভাবনার সবটাই টেবিলে থাকা উচিৎ, কি বলেন?
@কাজী রহমান,
অনুমান করা যায় উম হানী (হিন্দ) নবীর রক্ষিতা ছিলেন–নবী তাকে মদিনা থেকে লুটের মালের কিয়দংশ পাঠিয়ে দিতেন। এ দিয়েই হয়ত চলত হিন্দের সংসার। এর পরের পর্বে জানবেন যে উমা হানীর স্বামী মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন–তাই তিনি যে উমা হানীর সাথে হয়ত একত্রে থাকতেন না।
আমাদের নবী এই সুযোগের পূর্ণ সদব্যবহার করলেন।
” আরবদের যৌন ক্ষুধা অতিশয় প্রবল। তলমুদ আইনজ্ঞ নাথন বলেছেন আরবদের মাঝে যৌন সম্ভোগের যে প্রবণতা আছে বিশ্বের আর কোন জাতির মাঝে তা নাই। এই আইনজ্ঞ আরও বলেছেন যে বিশ্বের যৌন ক্ষুধাকে দশ ভাগ করলে তার নয় ভাগ পড়বে আরবদের পাল্লায় আর এক ভাগ থাকবে বিশ্বের বাকী জাতিদের মাঝে। (রডিন্সন, পৃঃ ৫৪)”
এর কি কোন জৈব বিবরতনীয় ব্যাখ্যা রয়েছে?
@সাজ্জাদ,
জৈব ব্যাখ্যা দিতে পারবোনা তবে অনুমান করি প্রধান তিনজন নবীর আগমন ঘটেছে শুধু এই কারনেই। ইসলামেতো নারীদের প্রতি আলাদা রকম বিজাতীয় একটা অবসেশন কাজ করে। :-Y
@সাজ্জাদ,
”আরবদের যৌন ক্ষুধা অতিশয় প্রবল। তলমুদ আইনজ্ঞ নাথন বলেছেন আরবদের মাঝে যৌন সম্ভোগের যে প্রবণতা আছে বিশ্বের আর কোন জাতির মাঝে তা নাই। এই আইনজ্ঞ আরও বলেছেন যে বিশ্বের যৌন ক্ষুধাকে দশ ভাগ করলে তার নয় ভাগ পড়বে আরবদের পাল্লায় আর এক ভাগ থাকবে বিশ্বের বাকী জাতিদের মাঝে। (রডিন্সন, পৃঃ ৫৪)”
– তালমুদ আইনজ্ঞ ! তালমুদ আইনজ্ঞ আবার মানব জাতির যৌন ক্ষুধা বিশেষজ্ঞ ! যত সব বানোয়াট, ফালতু কথা-বার্তা । মডুভাই, আবার ও আটকাইয়া দিলেন না কী ?
@সাজ্জাদ,
মনে হয় নারী-স্ত্রীর অবাধ মেলামেশায় কঠোর নিয়ন্ত্রণের জন্য।
তবে প্রাক-ইসলামী যুগে নারী-স্ত্রীর মেলামেশায় অনেক স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু তখনও আরবদের মাঝে অসীম যৌন ক্ষুধা বিদ্যমান ছিল–তা আরব পুরুষই হঊক বা আরব নারী-ই হউক। সিরাতে দেখা যায় যখন নবীর পিতা আবদুল্লা বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন আমিনাকে, তখন পথে এক সুন্দরী নারী আবদুল্লাকে সরাসরি বলল তার সাথে যৌন সঙ্গমের জন্য। কিন্তু আবদুল্লা তাড়াহুড়ায় বিয়েতে যাচ্ছিলেন তাই ঐ নারীকে একটু অপেক্ষা করতে বললেন। পরে স্বীয় স্ত্রী আমিনার সাথে যৌন সঙ্গমের পর আবার ঐ নারীর কাছে গেলেন আবদুল্লা। কিন্তু তখন ঐ নারী মন পরিবর্তন করল।
এ ছাড়া হয়ত জৈবিক কারণও থাকতে পারে। আমি সঠিক জানি না। জীব-বিজ্ঞানীরা হয়ত উত্তর দিতে পারবেন।
আগে জানলে নিজের মাকে কষ্ট দিয়ে,মুসলমান হতাম না। নবীদের চরিত্র এত পবিত্র জানাছিলনা,ছি ছি ছি
@সুবির সরকার,
,
ছি ছি বলছেন কেন? এই হচ্ছেন আল্লপাকের সর্বস্রেষ্ট সৃষ্টি; যাঁর জন্য জিহাদীরা কোমরে বোমা নিয়ে অকাতরে নিজেদের জীবন দিয়ে দিচ্ছে। এই ছি ছি নবীর জন্যেই তারা মরছে এবং অন্যকে মারছে।
বলুন, কি অপূর্ব নবী! মানবতার ইতিহাসে উনার মত আর কেউ জন্মায় নি, জন্মাবেও না।
চমত্কার নবী একখান মোহামমদ
তালেবকে হয়ত আল্লাহ তালা, ঈসা নবীর মত উঠিয়ে নিয়েছেন।
বিনা মোহরে বিবাহ করার সুবিধা শুধু নবীর জন্য কেন, আর সব মুমিন এই সুবর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত কেন? আল্লার এ কেমন সুবিচার?
@তামান্না ঝুমু,
জী হাঁ। বিনা মূল্যে (দেনমোহর ছাড়া) বিবাহ মানে হচ্ছে বিবাহ ছাড়া যৌন সঙ্গম—
মুহাম্মদ ভাল করেই জানতেন যে ইসলামী বিবাহে যে মন্ত্রতন্ত্র উচ্চারণ করা হয় তা শুধু বেকুফদের জন্য। তাই নিজের শিষ্যদের বেকুফ বানিয়ে রাখলেন, আর আল্লাপাকের পরামর্শ মত অগুনতি নারীকে বিছানায় নিবার অনুমতিও পেয়ে গেলেন।
চিন্তা করুন:
দেনমোহর দেওয়া স্ত্রী —অনেক
চাচাত, ফুফাত বোন
অগুনতি যৌন দাসী
যুদ্ধ্বে লব্ধ্ব যুদ্ধ্ব বন্দী নারী
যে কোন নারী–তার দেহ দান করতে রাজী
……….আর কিসের দরকার? তাই, রডিন্সন ঠিকই লিখেছেন—আরবদের যৌন ক্ষুধার কোন সীমা নাই। আমাদের পয়গাম্বার তার ব্যতিক্রম হলেন না।
”আহা!
এ জন্যেই বোধ হয় বলা হয়- দীনেরও নবী, প্রেমেরও ছবি…………!”
– চমৎকার বলেছেন। প্রেম ছাড়া কী কিছু হয় ? আর ইসলামে প্রেম থাকবে না তা কী করে হয় ? অর্থাৎ মুহম্মদ শুধু নবী নন, এক জন প্রেমিক পুরুষ ও ছিলেন।
@মোহিত,
হাঁ, এটাই ত স্বাভাবিক। মুহাম্মদ যে অতিমানব, পয়গাম্বার ছিলেন না—এই উপাখ্যান তাইই প্রমাণ করে।
আহা!
এ জন্যেই বোধ হয় বলা হয়- দীনেরও নবী, প্রেমেরও ছবি…………!
ভালবাসার এই উপাখ্যান পুরোটা শুনতে চাই।
চলুক (Y)
আবুল কাশেম সাহেব ত দেখি বিগ ব্যাং থিউরি’র চেয়ে বড় কিছু আবিষ্কার করে ফেলছেন। আবুল কাশেম সাহেব ভাল ই নবী চরিত রচনা করছেন, এইবার কোরাআন রচনা করে আমাদের কে কৃতার্থ করেন। পাঠক ভাইদেরকে বলছি শব্দ এবং এর ব্যবহার হলো পৃথীবির সবচেয়ে জটিলতর বিষয়। আল্লাহ পবিত্র কোরাআন এ বলছেন “তোমরা সত্যকে মিথ্যার সহিত মিশ্রিত করোনা”।
আবুল কাশেম কে ও তাই বলব। কতগুলো আয়াত ও হাদিস কে মিশ্রিত করে আগে পরে ব্যবহার করে আপনি কোরাআন কেও মিথ্যা প্রমান করতে পারেন। এটা কোন বিষয় না। বিষয় হলো রাসুল (সাঃ) এর মতো একজন মানুষ হয়ে দেখান যাকে সবাই ফলো করবে। এইসব বিষয় প্রমান করে কি হবে। নবী বা আল্লাহ কি মানুষের কাছে ছোট হয়ে যাবেন। তাই আল্লাহ যে মেধা দিছে সেইটা কে এমন কিছু কাজে লাগান যেন মুসলমান সহ দেশ জাতি উপকৃত হয়।
@জিয়া,
আপনি তো দেখি এখনো ১ নং পর্বে আটকে আছেন!!! সময় নিন হজম করার জন্য। অপেক্ষা করুন, কোরান রচনা হচ্ছে বিশেষত আপনাদের মত বিশিষ্ট জ্ঞ্যানীদের জন্য।
আপনার কাছে যদি জটিলতর বিষয় মনে হয় তবে নিজেকে নিষ্ক্রিয় করুন মন্তব্য করার ক্ষেত্রে। কেন শুধুশুধু জটিলতর বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো? আর দয়া করে আল্ল্যাফাক এর কথা বলার সময় যুক্তি ও প্রমাণ সহ উপস্হাপন করবেন আশা করি।
— এটা কি কইলেন??????? যদি প্রমাণ-ই করা যায় যে কুরান মিথ্যা তবে কেন চেষ্টা করছেন প্রমাণ করার যে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্হ???? :-Y কই যে যাই আপনাদের নিয়ে?
@আমি আমার, ঠিক আছে আপনাদের রচিত কিতাব এর একটা কপি আপলোড কইরেন। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
“যদি প্রমাণ-ই করা যায় যে কুরান মিথ্যা তবে কেন চেষ্টা করছেন প্রমাণ করার যে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্হ?” কেন করি কারনঃ
“This is the Book about which there is no doubt, a guidance for those conscious of Allah -” 2:2 “Indeed, those who disbelieve – it is all the same for them whether you warn them or do not warn them – they will not believe.” 2:6
“They [think to] deceive Allah and those who believe, but they deceive not except themselves and perceive [it] not.”2:9
স্রষ্টা আছে এবং নেই দুই ই আপনার নিজস্ব বিশ্বাস এর অন্তর্ভুক্ত। তাই বিশ্বাস করুন আর না ই করুন কিন্তু আপনার ভিতরে যে আপনি বাস করেন সে তা জানে।
“In their hearts is disease, so Allah has increased their disease; and for them is a painful punishment because they [habitually] used to lie.” 2:10
“And when it is said to them, “Believe as the people have believed,” they say, “Should we believe as the foolish have believed?” Unquestionably, it is they who are the foolish, but they know [it] not.”2:13
@জিয়া,
মুক্তমনাতে-ই আবুল কাশেম, ভবঘুরে এবং আরো অনেকের অনেক তথ্যবহুল লেখা আছে যেগুলো আপনার অন্ধ বিশ্বাস দূর করতে সহায়ক হবে যদি আপনি খোলা মনের মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। এই ব্লগে আপনি পূর্ণ স্বাধীন আপনার ভিন্ন মতামত জানানোর তবে তা অবশ্যই যুক্তির মাধ্যমে কাম্য। আপনি ইংরেজীতে ( বাংলায় তর্জমা হলে আমার মত মূর্খের বুঝতে একটু সুবিধা হতো বৈকি) যে সূত্রগুলো দিয়েছেন সেইগুলো কিসের ভিত্তি তে, তা বোধগম্য নয় তবে আশংকা করছি এগুলো কোরানের তথ্য। যদি এই আশংকা সত্যি হয় তাহলে একই বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে ঐ বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ থাকবে, বস্তুতঃ যখন ঐ বইয়ের একজন ই লেখক হয়। তাছাড়া বিতর্কে যাওয়ার আগে আরেকবার ভাবুন আপনি কতটুকু যু্ক্তিবাদী। বুঝতেই পারছেন মুক্তমনাতে সবাই জ্ঞ্যান, বিজ্ঞান, যুক্তি নিয়ে চিন্তা করার পক্ষপাতি, অন্ধ বিশ্বাস নয়। যাই হোক, বিতর্কের জন্য মুক্তমনার দরজা সব সময় খোলা। মানবতার জয় হোক। ভাল থাকবেন।