(১)
গদ্দাফির লিবিয়া-হিরক রাজার দেশে
যেদিন লিবিয়াতে গণবিদ্রোহ শুরু হল, 15 ই ফেব্রুয়ারী। সবে টিউনিশিয়া এবং মিশরে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রায় সেই দিনই লিখতে যাচ্ছিলাম, এবার আরব বসন্ত লিবিয়াতে। সাদ্দাম হুসেনের পর মধ্যপ্রাচ্য বা উত্তর আফ্রিকার আরেকটা সব থেকে বড় নর-জানোয়ারের পতন আসন্ন।
তবে পতন এত সহজে আসল না। গদ্দাফি এবং তার পরিবার গত চল্লিশ বছরে লিবিয়ার সম্পদ এবং বাণিজ্য কব্জা করে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়। শুধু তাই না, লিবিয়ার লোকজন বিদ্রোহ করতে পারে এই আশঙ্কাতে তার পরিবার আফ্রিকান, পাকিস্তানী বাংলাদেশীদের নিয়ে এক বিরাট প্রাইভেট আর্মিও পুষত। ফলত ফেব্রুয়ারী মাসে লিবিয়ান সেনা বাহিনী যখন বিদ্রোহীদের ওপর গুলি চালাতে অসম্মত হয়, তখন এই সব ভারাটে সৈন্য দিয়েই নিজের দেশের লোক মেরেছে গদ্দাফি। ফলে গৃহযুদ্ধ ছিল আসন্ন, এবং সেই যুদ্ধে ন্যাটো যখন বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়ায় তখন গদ্দাফির পতন ছিল সময়ের অপেক্ষা। তৈল সমৃদ্ধ একটা দেশ-যাদের জিডিপি বেশ বেশী-কিন্ত সেখানে চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি প্রায় সব ধ্বংস হয়েছে গদ্দাফি শাসনে।
যদিও অনেকেই সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে দেখাবে উত্তর আফ্রিকাতে শিক্ষা এবং জিডিপিতে লিবিয়া এগিয়ে, কিন্ত এটা ভুললে চলবে না, উত্তর আফ্রিকাতে মাথাপিছু তেলের সম্পদ লিবিয়াতেই সব থেকে বেশী। সুতরাং তেলের টাকার সদ্বাব্যবহার করলে, লিবিয়ার অবস্থা হওয়া উচিত ইউরোপের দেশগুলির সমগোত্র।
গদ্দাফি বিরোধিতা ছিল আইনত নিশিদ্ধ এবং মৃত্যুদন্ড ছিল তার সাজা!
হ্যা লিবিয়া ছিল সেই হিরক রাজার দেশ-যেখানে ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ পড়ানো হত না সরকারি স্কুলে। বিদেশীদের সাথে কথা বলার জন্যে প্রশাসনের অনুমতি লাগত। সরকারি টিভি এবং নিউজপেপার ছারা অন্য কিছুর অনুমতি ছিল না লিবিয়াতে।
তবে গদ্দাফি একটা ছোট্ট ভুল করেছিলেন। স্যোশাল মিডিয়ার যুগে মেইন স্ট্রিমে সেন্সর করে কিছু হয় না। ফেসবুক, টুইটারের মাধ্যমে লিবিয়ানরা অনেকদিন থেকেই সংঘবদ্ধ হচ্ছিলেন।
গদ্দাফির হাতে অনেক সময় ছিল তৈল সম্পদ ব্যবহার করে লিবিয়ার ২০% বেকারত্বকে কমানো। চিকিৎসা, শিক্ষা কৃষির উন্নতি করা।
কিছুটা বুঝেছিলেন গদ্দাফি-উন্নয়নের কিছু কাজ শুরু করেছিলেন। বন্ধুবর সাদ্দাম হুসেনের মৃত্যুর পর, ওর মাথায় ঢুকেছিল, আমেরিকা আর বৃটেনকে হাতে রাখতেই পারলেই, মারে কে! ফলে আমেরিকাকে প্রায় আড়াই বিলিয়ান ডলারের ঘুঁষ আর বৃটেনকে দেড় বিলিয়ান ডলার খাইয়ে, আমেরিকা এবং বৃটেনকে হাত করে ফেলেছিলেন গদ্দাফি। আমেরিকা তার ওপর থেকে সন্ত্রাসবাদি তকমা তুলে নিয়েছিল। বৃটেন ও তাই। চিরকাল আমেরিকা বিরোধিতা করার পরে, যখন দেখলেন আর উপায় নেই, ঠিক টাকা দিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে মাখো মাখো একটা সম্পর্ক তৈরী করে ফেলেছিলেন গদ্দাফি।
কিন্ত বিধি বাম! আরব বসন্তের জোয়ারে আমেরিকাও বাধ্য হল তার বিরুদ্ধে যেতে। বিশেষত প্যান এম বম্বিং এ যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাদের পরিবার ওবামা প্রশাসনের ওপর নিরন্তর চাপ রেখেছিল গদ্দাফিকে হটানোর জন্যে। নইলে গদ্দাফি বাম হাতে আমেরিকাকে আরো পাঁচ বিলিয়ান ডলার দিতে রাজি ছিলেন ন্যাটোকে তুলে নেওয়ার জন্যে!
(২)
বিশ্বের সফলতম এবং বৃহত্তম গিরগিটীর জীবনী
গদ্দাফি চরিত্র নিয়ে লিখতে বসলে দস্তভয়েস্কিও হাত তুলে দিতেন। আমি অনেকদিন ধরেই ওর জীবনী পড়ছিলাম। সত্যিই এই চরিত্র বিশ্বইতিহাসে ইউনিক।
এই লোকটা একাধারে চূড়ান্ত রকমের ইসলামিক মৌলবাদি যে প্রকাশ্যে সর্বত্র বলে বেড়াত ইসলাম হচ্ছে একমাত্র ধর্ম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্ম “ডাইল্যুটেড” -অন্যদিকে যখন ইসলামি মৌলবাদিরা আশির দশকে
তাকে হত্যার চেষ্টা শুরু করে-তখন থেকে পালটি খেয়ে এই লোকটাই হয়ে গেল ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধি। তার আগে পর্যন্ত সে নিজে ছিল ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সব থেকে বড় টাকা জোগানদার!
আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিয়ার সাথে তার সম্পর্ক অদ্ভুত। সিয়া এত সাহায্য আর কারুর কাছ থেকে পায় নি! তাই আজ যখন কিছু কিছু বাম বাঙালী তাকে আমেরিকান সম্রাজ্যবাদ বিরোধি এক চরিত্র বলে হিরো বানানোর চেষ্টা করছে-তাদের দুটো তথ্য জানা উচিতঃ
এক -১৯৮০ থেকে প্যান এম বোম্বিং- সিয়া আফ্রিকা এবং ইউরোপের প্রচুর রাষ্ট্রনেতা এবং জার্নালিস্টদের হত্যা করেছে গদ্দাফির ঘাতক বাহিনী কাজে লাগিয়ে। গদ্দাফির অন্যতম বড় সমর্থক ছিল আমেরিকা। দীর্ঘদিন।
কেন গদ্দাফি-আমেরিকার সম্পর্ক ভেঙে শত্রুতা শুরু হল-সেটা লম্বা কাহিনী।
দুই-১৯৮৪ সালে তাকে খুন করার জন্যে বৃটিশ ইন্টালিজেন্সের ছক ও ভেস্তে দেয় সিয়া! কারন? কারন লিবিয়ার টাকা খাটত অনেক কমিনিউস্ট “বিপ্লবী” পার্টিতে। ব্রাজিল থেকে অস্ট্রেলিয়া-অনেক জায়গাতে কমিনিউস্ট আন্দোলনে টাকা ঢালতেন গদ্দাফি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এগুলো গদ্দাফি করত সিয়ার নির্দেশে। কারন ওইসব পার্টিগুলিতে লিবিয়ান ইন্টালিজেন্সির মাথাগুলি ঢুকে যেত। আর খবর পাচার হয়ে যেত সিয়ার কাছে।
যাইহোক, রঙ বদলাতে এমন ওস্তাদ সার্কাসের খেলোয়ার বিশ্বে আর আসে নি।
গদ্দাফি শুরু করছিল প্যান আরব স্যোশালিজম প্রতিষ্ঠার জন্যে। সে খেলা জমলো না-আরব নেশন তৈরী হল না। তখন সে শুরু করল, প্যান আফ্রিকান জাতিয়তাবাদ। সেখানে অবশ্য গদ্দাফির কিছু সাফল্য আছে।
আরো মজার ব্যাপার হল, চাদ আক্রমন করে লিবিয়া যখন খুব একটা সুবিধা করতে পারল না-রাতারাতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে গদ্দাফি তাদের ত্রাতা হিসাবে আবির্ভুত হয়েছিলেন। তাদের জন্য ঘরবারি বানানো থেকে অনেক কিছুই দিতে চেয়েছিলেন যাতে তার প্যান আফ্রিকান নেতার ইমেজে চোট না লাগে।
১৯৭০-১৯৮০, এক নাগাড়ে তিনি টাকা দিয়েছেন বিশ্বের অনেক মুসলিম সন্ত্রাসবাদি সংস্থাকে। আবার যখন নিজের দেশের ইসলামিক মৌলবাদিরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, হঠাৎ করে পাশ্চাত্যের কাছে নিজের ইমেজ বানালেন ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।
মোদ্দা কথা রং বদল করার ব্যপারে গদ্দাফি ছিলেন অদ্বিতীয়। ফলে যে আমেরিকা তার প্রাসাদ বম্বিং করেছিল এবং লিবিয়ার ওপর নিশেধাজ্ঞা আনে-শেষে বিরাট টাকার বিনিময়ে, তাদের সাথেই ঘনিষ্ট হবার চেষ্টা করেছেন। আবার একদম শেষের দিকে যখন তার মনে হয়েছে গণতন্ত্রকে বেশীদিন টুটি চিপে রাখা যাবে না-তখন ২০০৯ সালে তিনি ঘোষণা দেন কিছু কিছু মন্ত্রীর জন্যে নির্বাচন হবে! যদিও তা কোনদিনই হয় নি।
মোটামুটি হাওয়া মোরগ ছিলেন গদ্দাফি-ঠিক ঠাক সময়ে রং বদলাতে তার জুরি মেলা ভার।
গদ্দাফি এবং তার পরিবারের নিষ্ঠুরতা বা লালসা নিয়ে শব্দ খরচ করে লাভ নেই। তবে গিরগিটির শেষ রং টা নিয়ে না লিখে পারছি না।
গদ্দাফির দেশে অবৈধ সঙ্গমের শাস্তি হচ্ছে শরিয়া আইন অনুযায়ী ৫ বছরের জেল আর বেত্রাঘাত। আর এই গদ্দাফিই বিদেশে ভ্রুমন কালে বিদেশীনী সাংবাদিকদের সাথে শোয়ার ব্যপারটা রুটিন করে ফেলেছিলেন। তার ফর্মুলা ছিল সিম্পল-যদি আমার ইন্টারভিউ চাও, আমার সাথে শুতে হবে! শরিয়া আইন অবশ্যই তার জন্যে চলবে না। কারন এই সব সাংবাদিকদের সাথে শোয়ার ব্যপারটা তার কাছে এক সময় এমন প্রেস্টিজের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়, বিদেশ সফর শেষে ফিরে এসে উনি গুনতেন এবার কজন হল এবং সেটা নিয়ে তার তাবুতে টোস্টিং ও হত!
যাইহোক হুগো শ্যাভেজ এবং ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন গদ্দাফির সমর্থক! কারন গদ্দাফি আমেরিকার বিরুদ্ধে এক সময় সন্ত্রাসের চেষ্টা করেছে। বেশ এক দশক আমেরিকা বিরোধিতা চালিয়েছিলেন গদ্দাফি এবং সাদ্দাম হুসেনের উৎখাতে পর বুঝেছিলেন আমেরিকা বিরোধিতা মানে নিজের কবর খোঁজা। সেই মত টাকা ঢেলে পালটিও খেয়েছেন ঠিক সময়ে। গুগো শ্যাভেজ বা ফিদেলের পিঠ চাপড়ানোতে পিঠ বাঁচবেনা-এটা বুঝতেন গদ্দাফি।
অধিকাংশ বাম বাঙালী এবং ইসলামিস্ট ন্যাটোর বিরুদ্ধে গদ্দাফির সমর্থক ছিল। ইসলামিস্টদের ব্যপারটা
বোধগম্য। তবে বামেদের সমর্থনটা আরেকটা বামপন্থী অগভীরতার ফল। গদ্দাফি লোকটা কে, সেটা জানার কোন চেষ্টাই তারা করে নি।
মন্তব্য… .আমি মুহম্মাদী ধম্মকে শয়তানের তাবিজ বলে মনে করি। মুহম্মদ ছিল লুচ্চা,বদমাশ, শয়তানের পুত্র
“মুসলমান জাতি” কথাটা কি ঠিক ?
বিপ্লব পাল,
লিবিয়ার ট্রানজিশনাল কমিটির নেতা লিবিয়াতে শরীয়া আইন চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং ইসলাম ও মুসলিম নিয়ে আপনার বিবর্তনীয় চিন্তা ভাবনার সমাধি ঘটতে চলেছে মনে হয়। আর এটা যে হবে আপনি না বুঝলেও ইসলাম ও মুসলমান জাতি সম্পর্কে যাদের ভাল ধারণা তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল।
@ভবঘুরে,
হ্যা-আমি উনার বক্তব্য পড়লাম। উনি আবার এই কাউন্সিলের আইন মন্ত্রী। গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে যতক্ষন না পর্যন্ত সেটা আইন হচ্ছে , ক্রস দি ফিঙ্গার।
@অরণ্য,
আমি একজন আসামের অসমীয়া । ভাল বাংলা লিখতে জানিনা । কিন্তু পঢ়তে পারি ।
আপনার লেখাটার যুক্তি-বিন্যাস বলিষ্ঠ । মাননীয় বিপ্লব পালের অন্য রচনার মতোই এইটাও একদেশদর্শী । কমিউনিজমের ভূত কেন যে ওনাকে বার বার বিভ্রান্ত করে, তা বুঝতে পারি না । এই ভূতটা দূর হলে তিনি ভাল লিখক হবেন । আমি এই কথাটা বলেছি নির্মোহ নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে, যান্ত্রিক মার্ক্সবাদীর কাছ থেকে লাল চছমা ধার করে আমি ওনার রচনার পঢ়িনি !
@কৌশিক দাস,
আপনার নিরপেক্ষ অবস্থানের জন্যে ধন্যবাদ। (F)
সত্যিকার অর্থে মুক্ত-মনার সকল লেখক পাঠকই নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। অনেক সময় হয়ত আমাদের মজ্জাগত মতাদর্শ কে উপেক্ষা করা যায় না। সকল মানুষই কম বেশী পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
আংশিক সত্য। আমিও তার কাছে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ আসা করি । তবে, ড. বিপ্লব পালের লেখা বেশ প্রগতিশীল। উনার মত তথ্য উপাত্ত নির্ভর যৌক্তিক বিশ্লেষণ অনেকেই পারেন না। কিন্তু কষ্ট লাগে যখন এক তরফা ভাবে কাউকে ভিলেন বানাতে গিয়ে নিজেই ভিলেন হয়ে যান। 🙁
@কৌশিক দাস,
নির্মোহ নিরেপেক্ষ অবস্থান বলে কিছু হয় না। যেকোন অবস্থানের পক্ষে ( থিসিস), বিপক্ষে ( এন্টিথিসিস) মত, যুক্তি এবং প্রমান থাকবে এবং তার থেকে একটা দ্বান্দিক সংশ্লেষণ হবে। এটাই বৈজ্ঞানিক সত্যের একমাত্র রূপ।
@বিপ্লব পাল,
মাননীয় বিপ্লব পাল, আপনার এই উক্তিতে লেলিন-চিন্তার ছাঁয়া দেখা যেন বোধ হ’ল (Collected Works (1908), Vol. 14, p. 358.)। যা হোক, একটা পক্ষ নিলেন অবশেষে !!
একটা কথা বলি অত্যন্ত বিনয়ে, খারাপ পাবেন না । এইযে বললেন:
……এইজাতীয় চিন্তা-চর্চা সত্যি অনেক উচ্চস্তরের । তেমন পর্যায়ের চিন্তা-চর্চার জন্যে, অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্যে আলোচ্য বিষয়টাও কিন্তু এক গভীরতা দাবী করে । আমি বলছিনা যে আমাদের এই বিশেষ আলোচ্য বিষয়টা অগভীর । কিন্তু, যথেষ্ট দুঃখে বলতে হয়েছে : শ্রদ্ধেয় বিপ্লব পালর রচনাটি এতই অগভীর যে “দ্বান্দিক সংশ্লেষণে”র মতন গভীর কথা-বার্তাকে ভিত্তি করে উক্ত রচনার সমালোচনা করা কাজটা বান্দরের কাছে কার্ল পপার পাঠ করা সদৃশ হবে । বাহুল্য না করে ছোট্ট এক উদাহরণ দিয়েছি:
শ্রদ্ধেয় বিপ্লব পাল মহাশয় কি বলতে চেয়েছেন প্রথম বাক্যটিতে ? দস্তভয়েস্কিও হাত তুলে দিতেন : এইটা কি তিনি প্রমান করতে সক্ষম হবেন ? কথাটা falsifiable কি না ? এই জাতীয় গালভরা শব্দ এবং প্রশ্ন বিপ্লব পাল মহাশয়ের অগভীর রচনার আলোচনায় অবান্তর । আর একটা প্রশ্ন উঠবে, শ্রদ্ধেয় বিপ্লব পাল কার লেখা “গদ্দাফি চরিত্র” অধ্যয়ন করলেন যেটা নাকি দস্তভয়েস্কির জন্যেও লেখা অসম্ভব !!
শ্রদ্ধেয় বিপ্লব পাল মহাশয়ের লেখার ধরণটা আমি অগ্রাহ্য করছিনা । কিন্তু হাল্কা আর তরলভাবে কিছু লিখে, পরে তা ব্যাখ্যার জন্যে গভীর দার্শনিক কথা-বার্তা ভালো লাগে না।
আমি বাংলাভাষী নই। অনেক কষ্টে এইটুকু লিখলাম । অনেক ভুলতো হয়েছেই, তা জানি । মাফ করবেন এবং বলবেন কত ভুল হল !! আর অবশ্যেই, শ্রদ্ধেয় বিপ্লব পাল মহাশয় খারাপ পাবেন না , এইটা আমার বিনম্র অনুরোধ ।
@কৌশিক দাস,
দেখুন, আপনি একটা মৌলিক ভুল করলেন এখানে। এবং সেটাও দর্শন থেকেই আমাকে ব্যখ্যা করতে হবে।
এখানে গদ্দাফি চরিত্র নিয়ে আমি খুব সামান্য আলোকপাত করেছি। একটা মানুষের চরিত্র নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ সম্ভব না যেহেতু মানব চরিত্রে যৌত্বিকতা এবং অযৌতিকতা দুটোরই সমান অবস্থান। এখানে কার্য-কারন-সিস্টেম নেই-আছে শুধু একটা চরিত্র। আর সেই চরিত্র বিশ্লেষনে ওস্তাদ সাহিত্যিকরা। এটা বিজ্ঞান ডিঙিয়ে সাহিত্যের আঙিনা।
ডস্টভয়েস্কি হাত তুলে দিতেন -এই বাক্যটার মানে আপনি বোঝেন নি। এর মানে গদ্দাফি চরিত্র এত জটিল- জটিলের জটিলতম চরিত্র রচয়িতা ডস্টভয়েস্কির পক্ষেও এই চরিত্র কোন উপন্যাসে সৃষ্টি করা সম্ভব ছিল না। এটা একটি সাহিত্য বাক্য। পছন্দ অপছন্দ সাহিত্যিকদের ওপর।
প্রথম আলোর http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-23/news/196077 এই খবরে যা লিখেছে সেগুলো কি সত্য? মন্তব্যে অংশে দেখলাম গাদ্দাফির প্রশংসায় ভেসে যাচ্ছে সবাই। (আমি এগুলো বুঝি একটু কম,তাই জানতে চাচ্ছি)।
দুঃখজনক! 🙁
আবারও সেই ইসলাম নামক লেবু নিয়ে কচলাকচলি (W)
আপনি ১৯৬৯ এর পূর্বের লিবিয়ার কথা বলবেন না? পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশটি কার হাত ধরে এতটা সমৃদ্ধি পেলে ?
কোন দেশ আছে যেখানে উচ্চ শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা ১০০ ভাগ সরকার বহন করে?
০% সুধে ঋণ কোন দেশ এ দেয়া হয়??
কোন দেশের কৃষক চাষাবাদের জমি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরকার থেকে পায়?
সকল নাগরীকের বাসস্থানের ব্যবস্থা কোন সরকার করে দেয়?
এ কোন সরকার যে আমেরিকা কে তেল দিতে চায় না?
দুঃখজনক হলেও সত্য অনেকটা এরকম ই ছিল গদ্দাফির সরকারি ব্যবস্থাপনা।
যদিও আপনার মতে,
শুধু জিডিপি না মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকে (HDI) যে লিবিয়ার অবস্থান উচ্চ তা জাতিসংঘের জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর (UNDP) আওতাধীন মানব সম্পদ রিপোর্ট থেকে যে কেউ জেনে নিতে পারবেন।
আপনার এই কাল্পনিক তথ্য কোন জিবরাঈল নাজিল করছেন একটু বলবেন কি??
তথ্য সূত্র গুল কিন্ত ভিন্ন কথা বলছে। বাংলাদেশ এর হাজারও লিবিয়া প্রবাসীরাও।
https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/ly.html
http://bn.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_Human_Development_Index
এ কোন স্বৈরশাসকের কথা বলছেন আপনি যার নামে নেলসন ম্যান্ডেলার মতো ব্যক্তিত্ব তাঁর নাতির নাম রাখেন ??? 😛
তেল সমৃদ্ধ দেশ গুলির প্রতি ন্যাটোর এত আগ্রহ কেন?? মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত হাজির হয়! ইস্রেয়াল যখন ফিলিস্তিনের শত শত নিরীহ নারী শিশু হত্যা করে তখন কেন আপনার ভাল মানুষদের ন্যাটো এগিয়ে আসেনা?
বিশেষ কিছু দেশের গণতন্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের এত মাথা ব্যথা কেন? হায়রে গণতন্ত্র!
কেউ ই ১০০ ভাগ ভাল নয়। কারো সমালোচনা করতে হলে সমান ভাবে আলোচনা করেন।
এরকম একরোখা লেবু কচলানো আর কতকাল?
@অরণ্য,
গদ্দাফি লিবিয়ার উন্নতির জন্যে কিছু করেন নি-এমনটা প্রবন্ধে বলা হয় নি-নিজের শহর বা নিজের ট্রাইবাল বেল্টে উনি টাকা ঢেলেছেন লয়ালিস্ট বানাতে। তেমন পূর্বের শহরগুলি কিছুই পায় নি।
আর লিবিয়ার কৃষি এবং স্বাস্থ্য ধ্বংসের ব্যাপারটা মোটেও ভুল না। মনে রাখতে হবে, লিবিয়াতে তেল পাওয়া গেছে ১৯৫৯ সালে।
১৯৮০ সালে তেলের সম্পদের জন্যে লিবিয়া ইটালি বা সাউথ ইউরোপের দেশগুলির সমান ধনী ছিল। নিউজিল্যান্ডের থেকেও বেশী ধনী ছিল।
http://en.wikipedia.org/wiki/Libya
কিন্ত শেষ ত্রিশ বছরে কি হাল হয়েছে? আজ লিবিয়া কোথায়? আজকে লিবিয়ার ইনকাম এদের ২০-৩০% লেভেলে। ২০% যুবক বেকার।
সুতরাং একটা দেশ, তেলের জন্যে যাদের উপায় ইউরোপের ধনী দেশগুলির থেকে বেশী ছিল, তাদের সাথে আফ্রিকার ভিখিরি দেশগুলির তুলনা করা টা কি যুক্তি সঙ্গত????
@বিপ্লব পাল,
লিবিয়ার ৯০% এরও বেশি জায়গা মরুভূমি, আর পানি ০% 😛
এই মরু সাহারার মধ্যেদিয়ে মানুষ নির্মিত সবচে বড় পানি সরবাহর ব্যবস্থা কিন্তু এই স্বৈর শাসক ই করেছেন। আর এর উপর নির্ভর করে চলে লিবিয়ার ৮০% কৃষিকাজ।
[img]http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/05/Libyan_pivot_irrigation_460142568_02e969004a_o.jpg/320px-Libyan_pivot_irrigation_460142568_02e969004a_o.jpg[/img]
প্রত্যেক কৃষক কে জমি এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সরকার থেকে দেয়া হোতো। লিবিয়ায় সকল ঋণ ০% সুধ এ দেয়া হয়। কৃষি কে ধ্বংস করার জন্যেই এত আয়োজন???
http://www.nationmaster.com/country/ly-libya/agr-agriculture
স্বাস্থ্য ধ্বংসের ব্যাপারটা আর একবার দেখেনেবেন কি?
http://www.who.int/countries/lby/en/
http://www.nationmaster.com/red/country/ly-libya/hea-health&all=1
লিবিয়ার ২০% বেকার কে কি ন্যাটো ৩৫% করে দেবে? খোদ আমেরিকার ৯.৪% যুবক বেকার এবং তা দিন দিন বাড়ছেই।
হয়ত গদ্দাফি আর ভাল করতে পারতেন, হয়ত অনেক ব্যর্থতাই তার ছিল। কিন্তু শুধু মুসলিম শাসক বলে তাকে এরকম হেনস্থা করা মটেই উচিৎ হয় নাই। আমি তো কল্পনা ও করতে পারি না যে আমার দেশের নাগরিক কে আমার ই সামনে তথা কথিত ভিনদেশী ভালমানুষের দল নির্মম ভাবে হত্যা করবে :-X
আমাদের হাসিনা খালেদার চোরের মত ক্ষমতায় আসা আবার চোরের মতই বিদায় নেয়ার চেয়ে গদ্দাফির স্বৈর তন্ত্রও অনেক ভাল।
ইচ্ছা মত একের পর এক আগ্রাশন চালিয়ে যাচ্ছে আর আমরা বাহ বা দিচ্ছি। একের পর এক স্বাধীন দেশ গুলি আগ্রাশনের শিকার হচ্ছে। ভাবতেই লজ্জা হয়!
@অরণ্য,
১৯৮০ সালে লিবিয়া ইটালির থেকেও ধনী ছিল পার ক্যাপিটা ইনকামে। সেই দেশের চিকিৎসা বা শিক্ষার সাথে বাংলাদেশ বা ভারতের তুলনা করাটা হাস্যকর না? এপেলের সাথে ওরেঞ্জের কি তুলনা হয়?
লিবিয়ার চিকিৎসা মোটেও ভাল ছিল না। একটু ক্রিটিক্যাল কিছু হলেই সবাই মিশরে ছুটত। এখন যেমন বাংলাদেশের লোকেরা মাদ্রাস বা ব্যাঙ্গালোরে ছোটে।
ও তাই? তাহলে গদ্দাফি পা্কিস্তানি বা আফ্রিকান ভারাটে সৈন্য নিয়ে যে নিজের দেশের লোকেদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিলেন, তাই নিয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?
লিবিয়ার গণবিদ্রোহের এটাই ছিল মূল কারন।
@বিপ্লব পাল,
ভাল চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে যাওয়া লাগতেই পারে। ১০০% স্বয়ংসম্পূর্ণতা শুধু স্বর্গ রাজ্যেই সম্ভব!
মজাটা হচ্ছে বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন পরলে গদ্দাফি সরকার তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করত (H)
মিশরের কথা কেন বললেন জানি না. মিশরের স্বাস্থ্য খাত যে লিবিয়া থেকে অনেক পিছিয়ে, তা স্পষ্ট।
http://www.who.int/countries/egy/en/
http://www.who.int/countries/lby/en/
http://en.wikipedia.org/wiki/Health_in_Libya
http://en.wikipedia.org/wiki/Health_in_Egypt
তবে আমি নিশ্চিত যে মিশরের বর্তমান সরকারের পতনের পর আপনি বলবেন “একটু ক্রিটিক্যাল কিছু হলেই মিশের সবাই অমুক দেশে ছুটত” 😛
১৯৮০ সালটা কিন্তু গদ্দাফির ই। ধন জমিয়ে রাখার জিনিস কি? মরুভূমি কে একটা আধুনিক শহরে পরিণত করতে অবশ্যই প্রচুর খরচ ও পরিশ্রমের প্রয়োজন। তাছাড়া ধনী সব সময় ই ধনী থাকবে আর গরীবকে আজীবন গরীবই থাকতে হবে, এরকম পুঁজিবাদী মনোভাব যৌক্তিক না।
অর্থহীন শব্দ। আমি তো একজন। “আপনাদের” পেলেন কোথায়??
ভারাটে সৈন্য নিয়ে নিজের দেশের লোকেদের ওপর হত্যাযজ্ঞ অবশ্যই নির্মম জঘণ্য কাজ। আদালতে এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিৎ ছিল।
“চোখের বদলে চোখ, খুনের বদলে খুন” এই মৌলবাদী নীতি টা প্রয়োগ না করলে হয়ত আপনার লিখার কোন বিরোধিতা করতাম না।
আর একটা বেপার, যদি বেশীরভাগ জনগণ ই গদ্দাফির পতন চাইত তাহলে কাজ টা তারাই করত।
কিছু মানুষ কে উস্কে দিয়ে তাদেরকে ঢাল বানিয়ে ন্যাটোর এই আগ্রাশন অবশ্যই নিন্দনীয়।
পারলে দেশ গঠনে সাহায্য করা উচিৎ, ধ্বংসে নয়।
@অরণ্য,
সেই আদালতটা কি মঙ্গল গ্রহের? ধরুক ক একজন কে খুন করল। আদালত বললো এসো বিচার হবে। সে আদালতকে বললো তুই কে?
ইন্টারন্যাশানাল ট্রাইবুনালের সাথে গদ্দাফি ঠিক তাই করেছে। যেকোন দেশে সেই অপরাধি তখন আউটল । তাকে ধরাটাই প্রথম কাজ থাকে। ন্যাটো সেটাই করেছে।
বেশীর ভাগ জনগন গদ্দাফির পতন চাই নি এই মহামুল্যাবান তথ্যের উৎস কি? সির্তে ছারা আর কোথায় গদ্দাফির লয়ালিস্টরা ছিল?
@বিপ্লব পাল,
ও তাই? তাকে কীরকম নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। এ কেমন বিচার?? আদালত ও বিচার সবই তো দেখলাম। নাকি আপনি পরীক্ষাগারে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণ পেয়েছেন যে এই হত্যা Western God দের নামে, সুতরাং এই বিচারে সত্য।
খুন করে গুম করে ফেলে বড় বড় নীতি বাক্য ছড়ানো! আসল কথা হচ্ছে, ” বড়লোকের সবই Right হয় গরীব করলে Wrong”।
স্মারকসৌধে পরিণত হতে পারে তার কবর, পাছে দালাল সরকারের পতনের পর গাদ্দাফি কে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়! এই ভয়?
ইরাক আফগান তো স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। তাই কোন কথা নাই! আসলেই কি তাই?
আপনি এই খবরটি কি দেখেছেনঃ Religious leaders hold out against Gaddafi
আহমদ ছফা প্রায় বিকারগ্রস্থ একজন লেখক। যদিও তিনি প্রগতিশীল ছিলেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই হীন্যমনের কাজ করেছেন। হুমায়ুন আজাদ’কে “সাজারু” বলা কিংবা @সপ্তক যেটি বললেন।
সিয়া বলতে কি সি,আই,এ বুঝানো হয়েছে ?
@সুমন সাত্তার,
হ্যা।
“তবে বামেদের সমর্থনটা আরেকটা বামপন্থী অগভীরতার ফল। ”
অগভীরতা না দাদা, ধান্দা! বাংলাদেশের বিশিষ্ট বুধিজিবি এবং বামপন্থী চিন্তাবিদ আহমদ ছফা গাদ্দাফির অতিথি হয়ে লিবিয়া গিয়েছিলেন এবং অনেকদিন ছিলেন, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর ছফা সাহেবের আর্থিক বেশ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়,পশ্রয় দিয়েছিল এই নরাধম গাদ্দাফি। কর্নেল রশিদ,ডালিম গাদ্দাফির সন্ত্রাসিদের ট্রৈইনার ছিল। এই কারনে ঐ বেটা গাদ্দাফিকে আমি ঘৃণা করতাম। ৭৩ সালে এই গাদ্দাফি জোট নিরেপেক্ষ সম্মেলন এ বঙ্গবন্ধুর সাথে হাত মিলানোর জন্য লাইন এ দাড়াইছিল।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোও গাদ্দাফির জীবনী নিয়ে বেশ বিস্তারিত জানিয়েছে, তবে বেশ কিছু লেখায় গাদ্দাফির জন্য কেমন যেন ব্যথা জাগানিয়া ভাব !!!!!!!!!!!!!
পরবর্তী টার্গেট ইরান । কিছু কিছু ভুল কনসেপ্ট নিয়ে সবাই মাতামাতি করছে । কেউ কেউ বলে মধ্যপ্রাচ্চের তেল পেতে আমেরিকা এই সব করে ।তেল যদি আমেরিকার টার্গেট হত তাহলে বর্তমানে আমেরিকার ইকোনমি এত খারাপ হতনা ।স্বৈরাচার দূর করাও তাদের টার্গেট না । আরো অনেক দেশে স্বৈরাচারী আছে । তাদের নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথা নেথা নেই ।আসল সমসসা হচ্ছে জিহাদিদের নিয়ে । এই জিহাদী ছাগল গুলা জানেনা ধর্ম যে তাদের কে মৃত্যু ফাদে ফেলে দিয়েছে । জিহাদী ছাগল গুলা আছে “আল্লাহ কে মান নাহলে মর ” কনসেপ্ট নিয়ে । কাজেই পশ্চিমা দের উপায় নাই এদের কে সাইজে না এনে । নাহলে তো শক্তি অর্জন করে এরাই একদিন বলবে ইসলাম গ্রহণ কর নাহলে মর । মানুষ একদিন হয়ত E=Mc2 পুরোপরি কাজে লাগাতে পারবে । এই অনন্ত শক্তি যদি উম্মাদ জিহাদিদের হাতে পরে তাহলে সভ্ভতার জন্য তা হবে সবচাইতে বড় হুমকি । 9/11 এর পরে মুসলমান দের কে যে কোনো পশ্চিমা দেশে মারেনি এই তা দেখলেই তো বোঝা উচিত আসল মানবতা কাদের মাঝে আছে ।
@আরজ আলী,
চমৎকার বললেন দাদা। কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝলাম না, রাশিয়ার সাথে যখন আফগানিস্তানের যুদ্ধ হয় তখন তালেবানদের কেন আমেরিকা সাহায্য করেছিল? মাথায় আসতেছে না।
ইসলামের সমালোচনা করবেন ভালো কথা, কিন্তু একটু দেখেশুনে করলেই কি ভালো হয় না? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
মনে হয় তালেবানরা তখনও আমেরিকার হুমকি হয়ে প্রকৃত জিহাদিতে পরিনত হয় নাই। রাশিয়াকে পরাস্ত করাই ছিল আমেরিকার তখনকার প্রধান উদ্দেশ্য।
@সাইফুল ভাই যারে ইচ্ছা তারে মারলাম এই তা আমেরিকা তে সম্ভব না | জিহাদিরা খারাপ কিন্তু তাই বলে প্রমান ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা সম্ভব না | কাজেই পশ্চিমা রা যা করছে লাদেন ,সাদ্দাম ,গাদ্দাফি তাদের কে সাপোর্ট দিয়ে তাদের আসল রূপ একটু আগেই বের করে আনছে|যাতে মারতে সমসসা না হয়| রাশিয়ার বিরুদ্ধে তালেবান কে সাপোর্ট দিচ্ছে কারণ রাশিয়া তো এমনিতেই চির শত্রু | সেই সাথে তালেবান দের কে তাদের শত্রু বানালো আর একই ভাবে রাশিয়া নিজেও তালেবান দের শত্রু হয়ে গেল | উভয় শত্রুর নতুন শত্রু তৈরী করতে পারাটাও তো একটু এগিয়ে থাকা এটা বোঝাতে কষ্টের কি আছে? ইসলামের পক্ষে আর কি বলব ? ৯ বছরের বাচ্চা ও বিয়ে করতে পারবনা …৪ তা বিয়ে ও একসাথে করতে পারবনা | চুন্নত পালনে করার বিবেক না থাকলে কিভাবে পক্ষে বলি ?
ছাত্র জীবনে গাদ্দাফির সমর্থক ছিলাম। ১৯৭৩ সালের আরব ইজরায়েল যুদ্ধের পর “তেল অবরোধ” যা পশ্চিমা বিশ্বকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল তার রুপকার ছিলেন গাদ্দাফী। আবার পশ্চিমা তেল কোম্পানীগুলো যা লিবিয়ার উত্তলিত তেলের ৫০ ভাগ নিয়ে যেত , তা তিনি খর্ব করে উৎপাদন বন্টন চুক্তিকে নিয়ে আসেন ৮০/২০ এ।
লিবিয়ার জীবন যাত্রা, শিক্ষিতের হার, স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা, সব কিছুই ছিল আফ্রিকাতে সবার উপরে। এগুলো হল তার ভাল দিক।
তেল বিক্রির পয়সা ৬৬ লক্ষ লিবিয়া বাসীর জীবনযাত্রাকে হয়ত আরো ভাল করতে পারত।
গাদ্দাফি বিপ্লব রফতানী, গুপ্তহত্যা, বিমান ছিনতাই, অন্য দেশের সাথে লিবিয়ার একত্রীকরন, বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সঙ্গঠনকে মদদ ইত্যাদি হঠকারী কাজ ও করেছেন।
এই সমস্ত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে তেল সম্পদের মালিক লিবিয়ার জনগনের টাকা। যেমন লকারবি বিমান হামলার জন্য ক্ষতি পূরন দিয়েছেন ১১০ কোটী ডলার।
লিবিয়ার জনগনের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার এই অধিকার তাকে কেউ দেয় নি। সামরিক অভ্যুথানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে যা ইচ্ছে তাই করে গেছেন। তারই ফল তাকে ভোগ করতে হল।
নতুন যারা ক্ষমতা নিলেন, তারা লিবিয়ার জনগনের জন্য কি করতে পারবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
@বীরেন্দ্র,
সেটা কি আর লিবিয়ার জন্যে করেছেন? লিবিয়ার পকেটে ৮০% যাওয়া মানে, তার ফামিলির পকেটস্থ হওয়া। লিবিয়ার জনগণের পকেটেত আর গেল না। এবার দেখা যাক কি হয়। লিবিয়ার জনগণ তার হিস্যা পাবেন না ব্যবসায়ীরা পাবেন-সেটা দেখা যাক।
ঠিক ঠাক সময়ে রং বদলানোতে ওস্তাদ ছিল বলেইতো চার দশক লিবিয়াতে ডিক্টেটরশিপ চালিয়ে গেল। তবে শেষ রক্ষা হলোনা। দুনিয়ার তাবৎ স্বৈরশাসকরা যদি এর থেকে শিক্ষা গ্রহন করে যে রং বদলালেই ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায়না।
ধন্যবাদ ডঃ বিপ্লব পাল,
গাদ্দাফি সম্পর্কে,তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
বিপ্লব-দা,
ধন্যবাদ আপনাকে আবারো ‘সময়ের প্রয়োজনে সময়ের বিষয়’ নিয়ে লেখার জন্য!
কিছুদিন আগেই এক পাঠক আপনার লেখার উপর কমেন্ট করতে গিয়ে লিবিয়াকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু লিবিয়া কি আসলেই উন্নত? ‘উন্নতি’র সংজ্ঞা কি? আমি তো সৌদি আরবসহ সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য তেল সমৃদ্ধ দেশকেও (যারা আবার বাংলাদেশের মত দেশগুলোর বৈদেশিক কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস) উন্নত মনে করি না; আমার কাছে উন্নত হওয়া বলতে অন্তত শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, জীবন-মান ও সমাজ-ব্যবস্থার উন্নতি বোঝায়!
দাদা, গাদ্দাফি কি শুধুই খেলোয়াড়? সে কি খেলার পাত্র নয়? সে রঙ বদল করে বেশীদিন টিকেছিল, তা সত্য; কিন্তু তার টাকা ব্যবহার করে খেলছিল যে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা, তার কি হল? সাদ্দাম, লাদেন, গাদ্দাফি (এবং আরও অনেকে) এরা সবাই চলে গেছে; কিন্তু এদের যারা খেলিয়েছে তারা কিন্তু ভালভাবেই টিকে আছে ‘ন্যয় ও গণতন্ত্রের’ প্রতীক হয়ে। তাই, গাদ্দাফির মত সার্কাসের খেলোয়াড় আবার তৈরি হবে না এবং বিশ্বকে ভোগাবে না, তার গ্যারান্টি কি?
সত্যি বলতে কি, আমিও বড় হয়েছি গাদ্দাফিকে একজন হিরো জেনে। তবে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল, চরম বাম ও চরম ডানের মধ্যে শুধু এই ব্যাপারে না, আরও অনেক বিষয়ে মিল খুঁজে পাই। যেমন: পদ্ধতিগত, বিষয়গত আর ভাবজগতের মিল। এই কারণেই কি বাংলাদেশের অনেক বামপন্থি চরম ডানপন্থীতে রূপান্তরিত হয়েছে? দাদা, আপনার কাছে কোন উত্তর আছে এ ব্যাপারে?
@কাজি মামুন,
এটা খুব সহজ প্রশ্ন। বাম এবং ডান তারা হয়, যাদের মধ্যে ক্রিটিক্যাল চিন্তাধারা নেই। আবেগের বশে একটা আদর্শবাদি পৃথিবীর বাসিন্দা হতে চেয়েছে তারা। মনের প্রগতির জন্যে মনের মধ্যে দ্বন্দ থাকা জরুরী। মনের মধ্যে থাকা সংশয় এবং দ্বন্দগুলি থেকেই উন্নত উপলদ্ধি এবং জ্ঞানের জন্ম হয়। যারা কোন একটা ব্যাপারে বিশ্বাস করা শুরু করেছে, তাদের মনের মধ্যে এই দ্বন্দটা নেই-ফলে আস্তে আস্তে তারা জড়বুদ্ধতে পরিণত হয়।
আমি এই একই সমস্যা এই ফোরামের কট্টর ইসলাম বিরোধিদের মধ্যে দেখতে পাই। এরাও ইসলামের ব্যাপারে ইসলামপন্থীদের মতন সংশয়হীন। শুধু মুদ্রার অন্য পিঠ। এটা ঠিক না। মনের মধ্যে দ্বন্দ না থাকলে তা উন্নত উপলদ্ধি বা জ্ঞানের জন্ম দিতে পারবে না।
@বিপ্লব পাল,
ছোটবেলা থেকে ইসলামের একটা দোআ আমাদের দেশের অনেক মুসলিম পরিবারে শেখানো হয়, যার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে মৃত বিধর্মী প্রতিবেশীর (আমাদের দেশে হিন্দুদেরই বোঝান হয় মূলত) জন্য নির্মম শাস্তি প্রার্থনা করা হয়। যাহোক একদিন বাংলাদেশের এক বিশিষ্ট আলেমকে বলতে শুনেছিলাম যে, উনি নিজেও ছোটবেলায় ঔ দোআ পড়তেন; কিন্তু উনার মনে দ্বিধা জাগে একটা ধর্ম এতটা নির্মম হতে পারে না যে, একজন ব্যক্তির মৃত্যুতে শোকার্ত না হয়ে তার শাস্তি কামনা করার বিধান দেয়। এমন চিন্তা থেকে ঐ আলেম কোরান-হাদিস চষে বেড়াতে লাগলেন এবং আবিষ্কার করলেন যে, এই দোয়াটির কোন অস্তিত্ব নেই; এটা খুব সম্ভবত বাংলাদেশের অতি উৎসাহি হুজুরদের বানানো। তো আমি আমার এক বড় ভাই যিনি অতি শিক্ষিত ও সৎ ব্যক্তি, তাকে ঘটনাটা জানালাম। উনি বললেন যে, দোআটি সত্য, যা তার এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে জেনেছেন। সেদিন আমি খুব অবাক হয়েছিলাম এই কারণে যে, আমার ঐ বড় ভাই একজন দেশ-খ্যত আলেমকে নাকচ করে দিলেন এবং একজন তুলনামূলক কম জ্ঞানী হুজুরের কথা আঁকড়ে ধরে থাকলেন। দাদা, আপনার উপরের উদ্ধৃত থেকে আমার ঐ ভাইয়ের মনোজগতটা আজ ভালভাবেই অনুধাবন করতে পারছি! ধন্যবাদ, দাদা!
@কাজি মামুন,
এর একমাত্র গ্যারান্টি দিতে পারে যদি আমেরিকাতে সরাসরি গণতন্ত্র আসে। এই আমেরিকাতে সেনেটর, কংগ্রেসম্যানগুলো হচ্ছে সব থেকে বেশী কোরাপ্ট- সব দেশ থেকে টাকা পায়। টাকা পেলে, আমেরিকার ক্ষতি করতেও এরা ছাড়ে না। অন্যদেশের কি হাল করে ছারতে পারে, সেটা ভাবলে শিঁউড়ে উঠতে হয়।
@বিপ্লব পাল,
বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে সরাসরি গণতন্ত্রতো খুব সহজেই আনা যায়।
কোরান বলছে- একজন মুসলমান অমুসলিম রমনীর সাথে যৌনকাজ করতে পারবে বিয়ে ছাড়াই, সেটা ব্যভিচার হবে না। কারন ইসলাম একমাত্র মুসলমান ছাড়া বাকী সবাইকে দাস দাসী শ্রেনীর ইতর মানুষ মনে করে আর তাই তাদের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সেক্স জায়েজ। সুতরাং গাদ্দাফী ১০০% ইসলামী শরিয়া মোতাবেক আচরন পালন করত।
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ জনাব ভবঘুরে,
ইসলাম ধর্মের একটি উদ্ভট শারিয়া নীতি জানতে পারলাম।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@ভবঘুরে,
আপনার বক্তব্যের সমর্থনে কোরানের সুরা , আয়াত উল্লেখ করলে ভাল হত। আমি জানতে আগ্রহী স্বয়ং “আল্লাহ” মুসলমানদের জন্য কি কি অপকর্মের লাইসেন্স দিয়েছেন।
@ভবঘুরে,
আবুবকর, ওমর, উসমান, আলী, মুয়াবিয়ার কথা মনে আছে? তিনজনই মুসলমানদের হাতে খুন হয়েছিলেন, কেউই সেচ্ছায় গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা ত্যাগ করেন নি। মনে আছে সেদিনের মুয়াবিয়ার লিবিয়া-ত্রিপলি, আলীর ইরাক তথা কুফা ও বসরা, আবু বকরের পুত্র মুহাম্মদের মিশর, উসমানের মক্কা ও মদীনা, মাঝখানে ভিন্নরূপে আরবের ইতিহাস লেখার আয়েশার ব্যর্থ চেষ্টা? কি অদ্ভুত মিল সেই ১৪শো বছরের আরবের ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই।
আজকের গাদ্দাফি (লিবিয়া), সাদ্দাম (ইরাক), হোসনে মোবারক (মিশর), রাজ পরিবার (মদীনা) আর সেদিনের উসমান, আলী, মুহাম্মদ ও মুয়াবিয়ার মধ্যে ১৪শো বছরের ব্যবধানে খুব একটা পার্থক্য কি হয়েছে?
আরবের মুক্তিকামী তরুণ সমাজ একটি নতুন ইতিহাস লিখবে, আমরা তাদের কাছে সেটাই প্রত্যাশা করি।
@আকাশ মালিক,
ভাল কথা। তবে মনে হচ্ছে এই ইতিহাস ইসলাম দিয়ে লিখা হবে। যা দেখছি–লিবিয়ার নতুন সরকারের পিছনে, দাড়ি, আলখাল্লা, জায়নামাজ, আযান, হিজাব, বোরখা, পতাকায় ইসলামের নিদর্শন।
লিবিয়ায় শিঘ্রই হতে যাচ্ছে ১০০% শরিয়া আইন–যা মিশরেও হবে, তিউনিসিয়ায় হতে যাচ্ছে, ইয়েমেনে হবে, এবং সিরিয়াতেও হবে।
মনে হচ্ছে মার্কিন সরকার এবং নাটো খাল কেটে কুমীর আনলো–এই আর কি।
@আবুল কাশেম,
লিবিয়ার আইন ১০০% শরিয়া আইন ই ছিল। কিছু বদলাতে বরং এবার পারে।
@বিপ্লব পাল,
ইরাকে ০% শরিয়া(সাদ্দাম) —–> ১০০% শরিয়া
লিবিয়াতে ৫০% শরিয়া (গাদ্দাফি) —–> ১০০% শরিয়া
হ্যাঁ বদলাতে পারে এবং বদলাবে নিশ্চয়।
@আকাশ মালিক,
মুসলিম ইতিহাসেই কি ক্ষমতালোভ সীমাবদ্ধ? লোভ-লালসা সর্বত্র ব্যাপ্তি।
ক্যাস্ট্রো আমেরিকার দিকে মধ্যমা তাক করে জনগনের পিঠে হাত বুলায়ে ৪৯ বছর একহাতে রাজত্ব করল। ভিতরে কী হচ্ছে কে জানে?
শাভেজ সবে শুরু করেছে (১৯৯৯)। শেষ হবে কে জানে?
জ্যোতি বাবু তিন দশকের উপর নজরদারী করল।
মাঝখান থেকে রুমানিয়ার একনায়ক, বেটা, Nicolae Ceauşescu স্ত্রীসহ বেগোরে প্রাণ দিল। কিন্তু চালিয়েছে দীর্ঘদিন (1967 to 1989.)
@ভবঘুরে,
” কোরান বলছে- একজন মুসলমান অমুসলিম রমনীর সাথে যৌনকাজ করতে পারবে বিয়ে ছাড়াই, সেটা ব্যভিচার হবে না।”
আপনার দাবীর সপক্ষে কোরানের আয়াত নম্বর দিন।না পারলে বক্তব্য প্রত্যাহার করুন।
@মঙ্গনুল,
আপনি হেদাইয়া শারিয়া আইন দেখতে পারেন।
এই আইন অনুযায়ী, কোন মুসলিম বিদেশে গিয়ে অমুসলিম কোন নারীর সাথে যৌন মিলনে আবদ্ধ হলে তার শরিয়া আইনে বিচার হবে না।
এই মর্মে আমি একটি রচনা লিখেছিলাম অনেক দিন আগে–খুব সম্ভবতঃ শিরোনাম ছিল–সেক্স অ্যান্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম-। এর বাঙলা অনুবাদ পড়তে পারেন এই মুক্তমনায়–ইসলামে কাম ও কামকেলি।
@মঙ্গনুল,
এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে , কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী। সূরা আল মারিজ-৪৪: ২৯-৩১
ইসলাম মুসলমান ছাড়া বাকী সবাইকে দাস দাসী শ্রেনীর মনে করে। উক্ত আয়াতে দেখুন, আল্লাহ বলছেন দাসীর সাথে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স করলে তাকে কিছু বলা হবে না। আবার এই মোহাম্মদই বলছে ব্যাভিচারের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। আসলে মোহাম্মদ ঠিকই আছে। কোন মুসলমান নারীর সাথে ব্যভিচার করলে তার শাস্তি মৃত্যু। এর পরেও কি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে ?
@ভবঘুরে,
“ইসলাম মুসলমান ছাড়া বাকী সবাইকে দাস দাসী শ্রেনীর মনে করে।” এই যে কথাটা বললেন এর সপক্ষে কোরানের কোন আয়াত দিতে পারবেন ?
@মঙ্গনুল,
কুরআনের আয়াত ছাড়াও, ইসলামে মুতআ বিয়ে বলে একটা ব্যপার আছে যেখানে ৩ দিনের জন্য কোন নারীর সাথে শোয়ার লাইসেসন্স দেয়া হয়েছে। সেজন্য অবশ্য মেযেটিকে কিছু টাকা পয়শা দেয়া লাগে, তা গাদ্দাফীর জন্য মনে হয়, কোন ব্যপারই ছিল না। মুতা বিয়ের রেফারেন্স টা আমি আকাশ মালিকের ‘বোকার স্বর্গ’ বইয়ে দেখেছিলাম, এই মুহুর্তে হাতের কাছে নেই, কিন্তু ঐ বইয়ে খুজলেই পাওয়া যাবে।