তোমার কণ্ঠ শোনা যায়
প্রেতাত্মার ভয়ে ভীত তুমি।
যা যা একসময় তোমার ছিলো সবই এখন তোমার,
এপারের খুঁটিটা থেকে ওপারের সীমান্ত চৌকি বরাবর।
আর আমি তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে,
তোমার চোখে চোখ রেখে ।
তোমার কণ্ঠ আবার শোনা যায় ;
প্রেতাত্মার ভয়ে ভীত তুমি
তোমার জীবনে এরা এখন পরজীবি
অন্তরের অন্তস্থল পর্যন্ত একই সুরে বাঁধা।
তোমার নাম চুরি করে তোমারই সমাধিতে বসবাস
সেখানে চলে তাদের সৈন্যদলের কুচকাওয়াজ।
এখন তোমার সব ভাবনাগুলো ধুলায় লুটোপুটি খায়;
অবিশ্বাসের কাছে এভাবেই সব লড়াইয়ের অকাল সমাপ্তি।
তোমার বিকৃতির আবরণে এখন রংতুলির প্রয়োজন;
ভয় পেও না যখন তারা বাতি নিভিয়ে দেবে,
ভয় পেও না আলোর মধ্যকার অন্ধকারে,
ভয় পেও না সমুদ্রের আর্তনাদে।
তোমার কণ্ঠ আবার শোনা যায়;
যদি মৃত হয়ে থাকো তাতে অবাক হবার কিছু নেই ।
জীবনের ভয়ে ভীত এক প্রেতাত্মা তুমি !
শব্দের আড়ালে লুকিয়ে উল্টে দাও এবার পাশার দান।
প্রতিবাদের শক্ত ভাষার চেয়ে স্পস্ট ভাষাকেই আরো অনেকের মত সহজে বুঝতে পারি।
লেখাটা আমার ভালো লেগেছে।
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ। আমরা অনেকে ছদ্মনামে লিখি এবং সুযোগ থাকার পরও কাউকে বা কোন কিছুকে অপমান করে সুকৌশল লেখা দেই না। প্রতিবাদ এবং অপমানের ভাষার মধ্যে পরিস্কার পার্থক্য রয়েছে তা যত শক্ত কিংবা স্পষ্টই হোক না কেন। একজন প্রতিবাদীকে ইতিহাস স্মরণ করে আর ঔদ্ধত অপমানকারীদের স্থান হয় ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েতে। কিভাবে মাপা যাবে কাকে ইতিহাস স্মরণ করে ? কারও মৃত্যুবার্ষিকীতে দৈনিক পত্রিকাগুলোয় চোখ বুলালে কিছু সূচক অন্তত আমাদের এ বিষয়ে জানান দেয়।
অনেক দিন পরে আপনাকে দেখা গেল নতুন লেখা নিয়ে। থাকেন কোথায়?
আপনি ফেসবুকে আছেন? থাকলে লিঙ্ক দেন। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
মনে হচ্ছে নিজের অজান্তেই দিন দিন stealth হয়ে যাচ্ছি। ফেসবুকে আজ পর্যন্ত একটা একাউন্ট খুলিনি তবে এবছরের শেষে খোলার পরিকল্পনা আছে। একাউন্ট খোলার পরপরই আপনাকে লিঙ্ক পাঠিয়ে দেবো। (@)