লিখেছেনঃ নুরুল হক

১ম অধ্যায়ঃ

ঈশ্বর শব্দটি আদি মানুষের কাল্পনিক সৃষ্টি একটি নাম। ভাব বাদি গুরুরা মানুষকে নরক নামক একটি কল্পিত নামের ভয় দেখিয়ে ঈশ্বর ভক্তি আদায় করেছেন। ভক্তি আদায়ের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে এই নরক। আর অনুসারিগনকে পুরষ্কৃত করার মাধ্যম দেখানো হয়েছে আরেকটি কল্পিত মহা সুখের স্থান,যাহার নাম স্বর্গ। ভাববাদী ব্যবসাকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করার জন্য অফুরন্ত পুজি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে শয়তান নামক একটি বিশেষ সৃষ্ট নাম।

পৃথিবীর প্রত্যেক ভাববাদী গোত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায়-ঈশ্বর, স্বর্গ-নরক এবং শয়তানের অবস্থান। ভাববাদি ব্যবসায় এই তিনটি নামের বসতি এক বারে অভিন্ন কার্বন কপি যাহা একজনের নিকট হইতে অন্য জনে গ্রহন করেছে বলে মনে হয়।

জলে ডুবে খালি চোখে সবকিছু দেখা যায় না, কিন্তু বিজ্ঞান অনুপরমানু হতে শুরু করে সবকিছু দেখাচ্ছে। ভাববাদী গ্রন্থগুলি আমরা জলে ডুবে খালি চোখে দেখার মত দেখি। চিন্তা করার বা তলিয়ে দেখার সুযোগ খর্ব করা হয়েছে। যারা চিন্তা করে বাস্তব সত্যকে উৎঘাটন করেছে, তাদেরকে পৃথিবী হতে সরে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। ভাববাদী সমাজ ব্যবস্থা সত্যপ্রকাশের প্রধান অন্তরায়, তাই এখনো মানুষ অন্ধকারে আসন্ন। আজকের সমাজ ভাববাদী ফাদানো গল্পে মশগুল। বাস্তবতা ভোগ করে অনুধাবন করে না। অনুধাবনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। মাথার উপর মহাস্ত্র তাক করা আছে। পা পিছানোর সাহস নেই। একটু নড়াচড়া করলেই বা সত্যের দিকে তাকালেই নরক বাসি। অনাদি অনন্তকাল নরকের আগুনে দূর্ভিসহ ভাবে বাস করতে হবে। তাই এই অবস্থায় সত্যকে জেনেও অনেকে না জানার ভান করে। এই হলো ইসলামী ভাববাদীদের অবস্থা আর সনাতন ভাববাদীদের গ্রন্থ সমূহ স্পর্শ মহা পাপ, ব্রহ্ম সমাজ ছাড়া এত বিধি নিষেধ কেন? ব্যবসা অচল হওয়ার ভয়ে। ভাববাদী গ্রন্থগুলির অনেক বক্তব্য বিচার বিশ্লেষণ করলে বোকাকে ধোকা দেওয়া বেরিয়ে পড়বে ভয়ে এত বিধি নিষেধ। তবে কি ডাল মে কুচ্ কালা হ্যায়?

যুগে যুগে পৃথিবীতে অনেক মহামুল্যবান প্রাণকে বলি দেওয়া হয়েছে। তাতে ভাববাদী ব্যবসার পতন অনিবার্য ভেবে। তাদের অপরাধ তারা গবেষনার মাধ্যমে মহা সত্যকে উৎঘাটন করেছেন।

ভাববাদীদের ঘৃন্য কর্মকান্ডে এখন মুক্ত মনের মানুষগুলো স্বাধীন ভাবে বাস্তব সত্য মতামতগুলি প্রচার ও প্রসার ঘটাইতে পারছেন না, তাই একটি ছোট্ট গানের মধ্যে বলতে চাইঃ-

বিশ্ব বিবেক কাঁদেরে ভাই, মুক্ত মনায় কাঁদে ॥

যুগে যুগে সত্য মরে, মিথ্যা পড়ে ফাঁদে ॥

ভাববাদীরা মেলছে ডানা, দেশে দেশে দিচ্ছে হানা ॥

প্রাণ কাঁদে তার কর্ম দেখে, সত্যবধে মিথ্যা খুজে ॥

ভাববাদের মুখোশ জানা, ঢং দেখে যায় না চেনা ॥

ওরা রং মেখে সঙ সেজেছে, আসল রুপ আড়াল রেখে ॥

ভাববাদী ব্যবসা জানি, অমূল্য প্রাণের করছে হানি ॥

জাগ্রত হোক বিশ্ব বিবেক, আলোর মশাল নিয়ে হাতে ॥

প্রানী মাত্রই প্রকৃতির সৃষ্টি, বিজ্ঞান প্রমান করে। আদিকালে মানুষ ছিল একান্ত অসহায়। আদি মানুষের ছিলনা জীবনের নিরাপত্তা ও খাদ্যের সু-ব্যবস্থা। নিরাপদ বাস স্থানের অভাব, আদি মানুষকে একান্ত ভাবে অসহায় করে তুলে।  এই অবস্থায় বন্য হিংস্র জীব জন্তুু আক্রমন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিত্যদিন অসংখ্য মানুষের প্রান হানী ঘটে। বর্জ্র্য বৃষ্টি, ঝড়-বাদলে মানুষ ছিল অরক্ষিত ও অসহায়। মানুষের অসহায়ত্বের কারনে প্রানে বাঁচা জীবন্ত মানুষের মনে বাঁচার আকুতি জাগে কিন্তু বাঁচার পদ খুজে পায় না। আদি মানুষ এই অসহায়ত্বের ধারা থেকে মুক্তি পেতে শুরু করে বাঁচার চিন্তা-ভাবনা। আর এই চিন্তা ধারায় স্রষ্টা চিন্তার ভাব জাগে আদি মানুষের মনে। আদি মানুষ  খুজে কাহাকে সন্তুষ্ট করলে শান্তি পাওয়া যায় কাহার সন্তুষ্টিতে প্রানে রক্ষা পাওয়া যায় আর বাঁচা যায় নিরাপদে। ক্ষুধায় মানুষ খোজে খাদ্য দাতা। অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত আদি মানুষ পরিত্রানের আশায় ত্রান কর্তা খোজে আর এই ত্রানকর্তার খোজে  মানুষ শুরু করে ভক্তি নিবেদন। কালক্রমে এই ভক্তি নিবেদন গনহারে শুরু হয়। পৃথিবীর অনেক বস্তু, জীবজন্তু, গাছপালা, পাহাড় পর্বত-নদী-সমুদ্র, আগুন-পানি এমনকি কোন কোন অঞ্চলের আদিম মানুষ ছোট্ট প্রাণী খরগোস কেও স্রষ্টা হিসাবে ভক্তি নিবেদন করে। এই ভাবে শুরু হয় আদি মানুষের শ্রষ্টাভক্তি। শুরু হয় ব্যাপক হারে স্রষ্টার ভক্তির আনুষ্ঠানিকতা। এই ভাবে আদি মানুষ সৃষ্টি করে অসংখ্য স্রষ্টা। তাদের কাছে শুরু করে ভক্তি নিবেদন। এই হলো আদি মানুষের স্রষ্টা সৃষ্টির ধারা। বর্তমান অনেক ভাববাদী সমাজে যাহা লক্ষনীয়। আদি মানুষের সৃষ্ট কাল্পনিক এই স্রষ্টাই হচ্ছে বর্তমান ভাববাদী সমাজের স্রষ্টা বা ঈশ্বর। ভাববাদী সমাজে এই সৃষ্টাই হচ্ছে মুখ্য সঞ্চালক আর রক্ষকও বটে যাহা মানুষই সৃষ্টি করেছে।

আদি মানুষের প্রজনন ক্রিয়া চলে বন্য পশুদের মত। এই প্রক্রিয়ায় সন্তান সন্ততির দায়িত্ব শুধু মাতাকেই বহন করতে হতো। সদ্য প্রসুতিগন থাকত একান্ত অসহায়। এই অসহায় ধারায় মানুষের বংশ বিস্তার চলতে থাকে নানা সমস্যার মধ্যে। আদিম পুর্বপুরুষেরা যৌনক্রিয়া সম্পাদনের কারনে শুধু মাত্র মানবীদের সঙ্গ দিত। আদিম পুরুষেরা     সন্তানের দাবীদার ছিল না এবং দায়দায়িত্ব বহন করত না। এভাবে চলতে চলতে বন্য পশু পাখিদের দেখে জুটি বদ্ধ হয়ে বসবাসের শিক্ষা নেয়।  বর্তমান সময়ে যাহা বিবাহ প্রথায় স্বীকৃত সামাজিক প্রথা। এই বিবাহ প্রথায় মুসলমান সমাজের নিয়ম হলো একজন পূরষ ও একজন নারীর মধ্যে জুটিবদ্দ হয়ে বসবাসে রাজী হওয়া। এখানের বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। সমাজ তাদেরকে যৌনক্রিয়া সম্পাদনের স্বীকৃত দিল, এই হলো বিবাহ।

জুটিবদ্দ হয়ে বসবাসের ফলে গোত্রতন্ত্রের উদ্ভব হয় এবং শুরু হয় গোত্রতন্ত্র। গোত্রতন্ত্রের ফলে মানুষের মাঝে  হানাহানী কাটাকাটি কলহ বিবাদ চলতে থাকে। আর এই সমস্ত কারনের প্রধান উৎস্য হচ্ছে নারী, খাদ্য দ্রব্য ও পালিত পশু। যাদের যত বেশী শক্তি, তারা তত বেশি সুবিধা ভোগী ও অত্যাচারীতে পরিনত হয়। দুর্বলেরা হয় নির্যাতিত ,তারা সুবিচার পায় না। দুর্বলকে সবলের অত্যাচার হতে রক্ষা করতে আদি সমাজের কিছু কিছু  চিন্তাশীল মানুষ ভালমন্দ, ন্যায় অন্যায় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। তারা অনেক ক্ষেত্রে হিতোপদেশ দান করেন। এই হিতোপদেশ দানকারীগন তৎকালিন সমাজে তাদের স্থান করে নেন। কালক্রমে তারা ভাববাদী গুরু রুপে আখ্যায়িত হন। ভাববাদী সমাজে গুরুদের হিতাপদেশ আদি সমাজের উৎশৃখল মানুষকে সংযত করতে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যার্থ হয়। তারা আরো গভীর ভাবে চিন্তা করেন কিভাবে মানুষকে সু-নিয়ন্ত্রন রাখা যায়।

মানুষ চিন্তা করে মৃত্যুর পরের কথা। শুরু হয় মৃত্যুর পরে আরেকটি  কাল্পনিক জীবনের চিন্তা। মৃত্যুপর পর আরেকটি জীবনের কথা মানুষের মনে জাগে। মৃত্যুপর পর জীবনে শান্তি ও পুরস্কারের মাধ্যম হিসাবে ২টি কল্পিত নামের উৎদ্ভব ঘটান, যাহা ভাববাদী সমাজে স্বর্গ ও নরক নামে সুপরিচিত ও প্রচারিত। চিন্তা শীল মানুষ খোজে পেলো মাধ্যম। যাহার দ্বারা  মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। আদি মানুষরা মহাপুরস্কার ও মহাশান্তির জায়গার আমেজ পেল। ইহা তৎকালিন চিন্তাশীল মাণুষের কলা কৌশল বললেও ভুল হবে না।

এই সব ভাববাদী আদিমানুষেরা তৎকালিন সমাজে ভাববাদী গুরু হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তাদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। তারা সমাজের মধ্য মনি হিসাবে গন্য হন। এই ভাবে হাজার হাজার বছর চলতে চলতে ভাববাদী গুরুতন্ত্র বা গোত্রতন্ত্রের সুবাদে ছোট্ট বড় রাজতন্ত্রের সুত্রপাত ঘটে। রাজতন্ত্র শুরু করে মানুষকে শোষন ও বসে রাখার কলাকৌশল। আর এই কলাকৌশলে তারা ভাববাদী গুরুদের আশ্রয় নেন। রাজতন্ত্রকে টিকে রাখার জন্য বিশেষ বাহিনী ও তৈরী করা হয়। বাহিনীকে প্রতিপালন করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর রসদ। এই সমস্ত রসদ পত্র সংগ্রহ করা হতো গনমানুষের নিকট হতে,স্বেচ্ছায় অথবা জোর করে। আবার রাজতন্ত্রে  ভাববাদী গুরুদের ভুমিকা ও সম্মান লক্ষনীয়।  ভাববাদী গুরুদের কলাকৌশলে রাজাগন একান্ত ভাবে বসিভুত হয়ে যায়। গুরুগন পান রাজার বিশেষ আর্শিবাদ আর বিশেষ সু-নজর।

মানুষ সৃষ্টিকুলে সেরা কিন্তুু পশুত্বও কম কিসে। মানুষের পশুত্বকে নিয়ন্ত্রনের জন্য ভাববাদী গরুরা ক্ষেত্র বিশেষ চেষ্টা চালান। সফলতা ও পান তাদের নিজস্ব কৌশলে। ইহাতে সমাজের প্রভুত মঙ্গল সাদিত হয়েছে।  যাহা অস্বীকার করা যায় না। যাহা সমাজ স্বীকার করে। কিন্তু এখানে আর একটি কথা বলতে হয় যে, তারা বাস্তব সত্য কে পদ-দলীত করে সমাজকে সত্য দর্শনে বঞ্চিত করেছে, এর ফলে সমাজ এখনও অন্ধকারে নিমজ্জিত।

ভাববাদী প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে তৎকালিন সময়ে কিছু উচ্চাভিলাসী মানুষ তাদের প্রভার প্রতিপত্তি/ ক্ষমতা লাভের আশায় পূর্ববর্তী ভাববাদী মানুষের ভাল কিছু কথা/উপদেশ বানী গ্রহন করেন এবং তাঁদের নিজস্ব কিছু কাল্পনিক চিন্তা সংমিশ্রন করে স্রষ্টা প্রেরিত কথা বলে চালিয়ে যান, নিজের প্রভাব ও ক্ষমতা লাভের আশায়। তাদের মতবাদকে প্রতিষ্টিত করার জন্য তারা অনুসারী তৈরি করার আপ্রান চেষ্টা চালান এবং অনুসারী তৈরী করতে তারা সক্ষম হন।

অনুসারীগন ভাববাদী গুরুদের একান্ত বাহিনী হিসাবে পরিগনিত হয়। অনুসারিগনের মগজ ধোলাই কাজে ভাববাদী গুরুরা অনেক অভিনব পন্থা গ্রহন করেন। যাহার ফলে অনুসারিগন একান্ত অনুগত হয়ে যান। তারা নিজদের জানমাল দিতেও কন্ঠিত হন না। কারন স্বরুপ বলা যায় মৃত্যুর পর ঈশ্বর অনুসারীগনকে মহা পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন। যাহার নাম স্বর্গ। এই স্বর্গের লোভে অনুসারিগন গুরুদের পদসেবায় গাফিলাতি করেন না। তারা হয়ে যান একান্ত অনুগত। আমাদের দেশে প্রখ্যাত কবি সুুকুমার বড়–য়া তাঁর একটি বিখ্যাত কবিতায় গাঁধার নাকের ডোগায় বিশেষ ব্যবস্থায় মুলা ঝুলিয়ে গাধাকে অতিমাত্রায় সচল দেখিয়েছেন। আর ঝুলন্ত মুলার লোভে গাধা শুধু ছুটেই চলছে। তদ্রুপ ভাবে ভাববাদী গুরুরা স্বর্গ নামক কল্পিত পুরস্কার দেখিয়ে তাদের অনুসারীগনের মগজ ধোলাই করে উগ্র ভাববাদী তথা ভাববাদী পান্ডায় পরিনত করেছেন। এই পান্ডারা সেই মহা পুরস্কারের আশায় ছুটেই চলেছে, দিক বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে।

ভাববাদীগন সব সময় বুক ফুলে বলে বেড়ান যে, হায়াত মৌওয়ত, রেজেক ধৌলত এই ৪টি বস্তু স্রষ্টার হাতে। তাদের ঐ সকল যুক্তি বিজ্ঞানের কাছে ছেলে খেলা। বিজ্ঞানীগন প্রাণ সৃষ্টিতেও সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত কোথায় কি ঘটছে তাহা আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে জানতে পারছি। কোন কোন গরীব দেশে লক্ষ লক্ষ শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে অকালে প্রান হারাচ্ছে। এখানে ঈশ্বরের হায়াত দানের কারিশমা কোথায়। গরীব দেশকে কি ঈশ্বর নেক নজরে দেখেন না? এখানে আজরাইল/ যম দুতের কার্যকারীতা লক্ষ্যনীয়। আবার দেখা যায় জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশের শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে না আর অকালেও প্রান দেয় না, এখানে কি আজরাইল/ যম দুতের ক্ষমতা কম। ঈশ্বরের মৌয়ত দানের কার্যারিতার গন্ধ পাওয়া যায় কি?

আমি এখানে আর একটি বাস্তব ভিক্তি আলোচনা করতে চাই। যাহা ১৯৭০ইং সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে ছিল। ১৯৭০ইং সালে এদেশের উপকুলিয় অঞ্চলে ঘুির্নঝড় ও জলোশ্বাসে কয়েক লক্ষ লোকের অকালে প্রান হানি ঘটে। বর্তমান সময়ে ঘুর্নি ঝড় ও জলোচ্ছাস সহ প্রাকৃতির দুর্যোগে সর্তকতা সংকেত আমরা বিজ্ঞানের সুবাদে জানতে পাই আর এই বিজ্ঞানের দানে ব্যাপক হারে প্রান হানি ঘটে না। কারন হলো বিজ্ঞানের উন্নতির মাধ্যমে মানুষকে আগাম শর্তকতা বানী প্রদান করা। ঘুির্নঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রোগ ব্যাধির জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চলছে। এখন আর মানুষ মসজিদ মন্দিরে পুরোহিত/মৌলভিদের নিকট রোগ ব্যাধি নিরাময়ের জন্য যায় না। যারা সতর্কতা স্বরুপ আশ্রয় কেন্দ্র অথবা হাসপাতালে যায় তারা অনেক ক্ষেত্রে প্রানে বেচে যায়। যেমন ঘুর্নি ঝড়ের সময় যারা আশ্রয় গ্রহন করে তারা ১০০ ভাগ প্রাণে বেঁচে যান। আর যারা কল্পিত ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে আশ্রয় নেয় না তারা ব্যাপক হারে প্রানহাণীর স্বীকার হন। এখানে ভাববাদীদের ঈশ্বর ঠুটো জগৎনাথ নয় কি? ভাববাদীদের  ঈশ্বরের হায়াত মৌয়ত দানের মহিমা কি খুজে পাওয়া যায়? বিজ্ঞানের আলোকে মানুষ অজানে কে জানতে পারছে ভাব-বাদ বিজ্ঞানের কাছে পরাজিত এবং নিছক ছেলে ভুলানো গল্পরুপে পরিগনিত হয়েছে। ভবিষ্যতে ভাব-বাদ পৃথিবী হতে মুছে যাবে, সেদিন আর বেশি দুরে নয়। ভাব-বাদী উপসনালয় গুলি হয়তো বা কালের সাক্ষীরুপে দাঁড়িয়ে থাকবে যাদুঘর হিসাবে। এর স্বাক্ষী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যাহা হউকঃ এ-বিষয়ে আর আলোচনা না বাড়িয়ে আমি বলতে চাই যে, বর্তমান যুগটা একান্ত  বিজ্ঞানের যুগ। এই বিজ্ঞানের যুগে আমরা বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। আমাদের হাতের কাছে এমন কিছু নাই, যাহাতে বিজ্ঞানের অবদান নাই। মানুষের উন্নত জীবনে ভাব-বাদ একটি সূচ পর্যন্ত উপহার দিতে পারে নাই। যদি বলি স্রষ্টা তাঁর বাহক মারফৎ তাঁর নিজস্ব বাণী মনোনীত ব্যাক্তির নিকট প্রেরণ করলেন তবে, প্রেরিত বাণী সংরক্ষনের জন্য কাগজ কেন প্রেরণ করতে পারলেন না?

বিজ্ঞানের মতবাদের সাথে ভাব-বাদের মতবাদের বিস্তর ফারাক লক্ষ করা যায়। বিজ্ঞানের মতবাদ গুলির বাস্তব ভিত্তিক প্রমাণ আমরা উপলদ্ধি করছি। কিন্তু ভাব-বাদের মতবাদ গুলি নিছক কল্পনা প্রসুত। ভাব-বাদের গ্রন্থ গুলিতে সৃষ্টি এবং সৃষ্ট বস্তুগুলির সম্পর্কে যে প্রকার থিওরী দেয়া আছে, তাহা বিজ্ঞানের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় না এবং নিছক সাজানো গল্প বলে মনে হয়।

বিজ্ঞান ও ভাববাদের বিষয় সমুহ নিয়ে যখন আমি আমার বন্ধু মহলে বিজ্ঞানের সুত্র গুলি নিয়ে আলোচনা করি এবং যুক্তি দেখাই যে, ভাব-বাদের কথা গুলি যদি ঈশ্বর প্রেরীত হয় তবে বিজ্ঞানের সাথে বা বাস্তবতায় মিল নাই কেন? তখন অনেকেই বলেন, যে বিজ্ঞান মানুষের সৃষ্টি। বিজ্ঞানের সুত্র গুলি অনেক ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার মনে তাদের এই সকল যুক্তি বা উপদেশ মোটেই গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হয় না। আমি নিত্য দিন বিভিন্ন জনের সাথে প্রসঙ্গ ক্রমে আলোচনা করি বিষয়গুলি নিয়ে। অনেকেই বুঝে আবার অনেকেই না বুঝার ভান করে অথবা ভাব-বাদী আদলে নাস্তিক হিসাবে আখ্যায়িত করে ভাববাদী ধাঁছে ফতোয়া দেন। যাহা হউক আলোচনা সমালোচনার মধ্যে একজন বন্ধু বর আমাকে উপদেশ দিলেন যে, নাস্তিকতাবাদী কথাবার্তা বাদ দিয়ে আগে কোরআন পড় এবং জান, তখন সবকিছু বুঝতে পাবে। আমি বললাম যে, ভাই আমিতো আরবী ভাষা জানি না কিভাবে কোরান পড়ব বা বুঝবো, তখন তিনি বললেন কোরানের বাংলা অনুবাদ পড়। আমি নাস্তিকতা হতে রক্ষা পেতে তার উপদেশ গ্রহণ করলাম। আমি এই বন্ধু বরের উপদেশ মতে কোরান শরীফের একখানা বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ করে মনযোগ সহকারে পড়তে শুরু করি এবং কয়েক দিনের মধ্যে পড়া শেষ করি। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু কথা আমাকে চিন্তিত করে। তখন আবার আমি উক্ত গ্রন্থের অনুবাদটি ভালভাবে পড়তে শুরু করি। সেখানে যে আয়াতে আমার মনে প্রশ্ন জাগে তখন আলাদা কাগজে চিহ্নিত করি। এভাবে দ্বিতীয় বার অনুবাদটি পড়া শেষ করি। আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু বর হয়তো মনে মনে অনুধাবন করছেন যে, আমি হয়তো অনুবাদটি পড়ে সুবোধ বালকের মত জ্বি-হুজুর জ্বি-হুজুর বলে একান্ত অনুগত হব, কিন্তু ফল হলো উল্টো। আমি কিনা পুরোপুরি নাস্তিক হলাম। আমার নাস্তিকী  ধারনার একটি বিষয়ে এখানে আলোকপাত করে ১ম অধ্যায় শেষ করবো।

প্রথমে শুরু করি আদম সৃষ্টি দিয়ে। সুরা আল-বাকারা আয়াত-(৩০) (হে নবী, সরণ কর) যখন তোমার মালিক (তাঁর) ফেরেস্তাদের (সম্মোধন করে) বললেন, আমি পৃথিবীতে (আমার) খলিফা বানাতে চাই তারা বললো, তুমি কি এমন কাউকে (খলিফা বানাতে) চাও যে (তোমার) জমীনে (বিশৃংখলাও) বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং (স্বার্থের জন্য) তারা রক্তপাত করবে, আমরাই তো তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তজবীহ পড়ছি এবং (প্রতি নিয়ত) তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আল্লাহ তায়লা বললেন আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।

সুরা আল বাকারা আয়াত (৩১) আল্লাহ তায়লা অতঃপর (তাঁর খলিফা) আদম কে (প্রয়োজনীয়) সব জিনিসের নাম শিখিয়ে দিলেন, পরে তিনি সেগলো ফেরেস্তাদের কাছে পেশ করে বললেন, (তোমাদের আশংকার ব্যাপারে) তোমরা যদি সত্যবাদী হও (তাহলে) তোমরা আমাকে এই নাম গুলো বলতো।

সুরুা-আল-বাকারা আয়াত (৩২) ফেরেস্তারা বললো (হে আল্লাহ তায়ালা) তুমি-পবিত্র। আমাদের তো এর বাইরে আর কিছুই জানা নেই, যা তুমি আমাদের শিক্ষা দিয়েছ, তুমি একমাত্র জ্ঞানী একমাত্র কুশলী।

সূরা আল বাকারা আয়াত (৩৩) আল্লাহ তায়ালা (এবার) আদমকে বললেন তুমি তাদের কাছে তাদের নাম গুলো বলে দাও, অতএব আদম (আল্লাহর নির্দ্দেশে) তাদের (সামনে) তাদেরে নাম গুলো যখন (সুন্দর ভাবে) বলে দিলো, তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আমি আসমান সমুহ ও যমীনের যাবতীয় গোপন বস্তু জানি এবং তোমরা যা কিছু প্রকাশ কর এবং যা কিছু গোপন কর আমি তাও ভালভাবে জানি।

সূরা আল বাকারা আয়াত (৩৪) আল্লাহ তায়ালা যখন ফেরেস্তাদের বললেন তোমরা (সম্মানের প্রতীক হিসাবে) আদমের জন্য সাজদা করো, অতঃপর তারা (আল্লাহ আদেশে) আদমের সামনে সাজদা বনত হলো শুধু ইবলিশ ছাড়া, সে সাজদা করতে অস্বীকার করলো এবং অহংকার কারলো, অতঃপর সে না-ফরমানদের দলে সামীল হয়ে গেল।

উপরোক্ত আয়াত সমুহ পর্যালোচনার আগে একটি বিখ্যাত বানী যাহা মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন করেছেন। তাঁর বিখ্যাত বানীটি হলঃ

You may fool all the people some of the time. You can never fool some of the people all the time, But you can’t fool all of the people all the time.

বানীটির অর্থ হলো সকল মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় কিন্তু সকল মানুষকে সকল সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় না। সাবেক মার্কিন প্রেসিন্টে বিখ্যাত বানিটির বাস্তবতা আমি খুজে পেলাম।

কোরানের সূরা আল বাকারা এর ৩০,৩১,৩২,৩৩,এবং ৩৪ নম্বর আয়াতে। আলকোরানের আয়াত সমুহ অনুধাবন করলে নিন্মরুপ তথ্য পাওয়া যায় ঃ-

১) আল কোরানের সুরা আলবাকার আয়াত (৩০) এখানে দেখা যায় সৃস্ট ফেরেস্তাগন অতিশয় জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান। ফেরেস্তাগন ভুত ভবিষ্যত একেবারে নির্ভুল ভাবে বলতে পারে। তারা পাকা জ্যোতিষি ও আল্লাহ তায়ালার বড় মাপের পরামর্শক।

এর পর দেখা যায় আল্লাহ তালা ফেরেস্তা গনের উপদেশ বানী শ্রবন করতঃ আমলে না নিয়ে বলেন যে, আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না। তিনি তার কার্যসম্পাদন করলেন এই ভাবে। ইবাদত পাগল আল্লাহ তাল্লা তার আদম সৃষ্টির মহিমা প্রকাশ করলেন।

এই আয়াতে আরো দেখা যায় যে, ফেরেস্তাদের কথার বাস্তবতা আছে। কিন্তু সর্বজান্তা আল্লাহ তায়ালার ভাষ্যে বাস্তবতার অভাব। ফেরেস্তাগনের ভাষ্য ১০০ ভাগ সঠিক কারন মানুষ তো এখন সব সময় খুন খারাবি কলহ বিবাদ অন্যায় অবিচার করে চলছে। পৃথিীতে কতভাগ মানুষ আল্লাহ তায়ালার ইবাদত বন্দেগী করছে? এখানে কি আল্লাহ তায়ালার সবজান্তা বিষয়ের বাস্তবতা খুজে পাওয়া যায়? কত ভাগ মানুষ মুসলমান হয়ে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করছে? আল্লাহ দৃশ্য অদৃশ্য সব বস্তুর খবর রাখেন তবে উত্তর আমিরিকা, দক্ষিন আমিরিকা, অষ্ট্রোলিয়া ও এন্টার্টিকা মহাদেশের খবর রাখেন না কেন? ভাববাদী গুরুদের জানাইলেন না কেন? ভাববাদী গুরুদের কি ধোকাবাজি প্রকাশ পায় না। সমুদ্র পারের তিনটি মহাদেশের মানুষের জন্য কি কোন প্রেরিত মহা পুরুষের দরকার ছিল না। তবে কি আল্লাহ জলজানের অভাব ছিল বলে মহা সমুদ্রের ওপারে মহাপুরুষ প্রেরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ভাববাদীদেরকে কি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখে দিতে হবে।

২) আল কোরানের সুরা আলবাকারার ৩১ নম্বর আয়াতে আদম কে আল্লাহ তায়ালা প্রয়োজনীয় সব জিনিষের নাম শিখে দিলেন একান্ত গোপনে অতঃপর আল্লাহ তায়লা ফেরেস্তাগনকে শিক্ষা না দিয়ে আক্কেল পরীক্ষার জন্য ঐ সকল জিনিষ ফেরেস্তাগনের নিকট পেশ করলেন ।

উক্ত সুরার ৩২ নম্বর আয়াতে দেখা যায় যে, আল্লাহ মহান সত্বা এই ছাড়া ফেরেস্তাগন আর কিছুই জানে না । আল্লাহ তায়লা যাহা জানান ফেরেস্তাগন তাহাই জানেন। এই সুরার ৩৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়লা আদমের আক্কেল পরীক্ষা নিলেন। পক্ষপাত দুষ্টু পরীক্ষায় আদম পেল ফাষ্ট কা¬শ ফাষ্ট। আল্লাহর সৃষ্ট রাজ্যে তখন আদমই হল সর্বস্রেষ্ট আর এভাবেই আদমের স্রেষ্টত্ব ঘোষনা করে, সম্ভোধনার আয়োজন করলো।

কথা আসে পরীক্ষকের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে। পরীক্ষক নিজেই আদমের একান্ত গৃহ শিক্ষক, তিনি আদমকে একান্ত ভাবে শিক্ষা দিলেন আর এই সুবাদে আক্কেল পরীক্ষায় আদম ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করলো। শিক্ষক মহোদয়ের ফেরেস্তা ছাত্রগন অভিযোগ তুললো যে, তিনি তাদেরকে ঐ সকল বিষয়ে শিক্ষা দেন নাই তাই তারা তাহা জানে না। তিনি আদমকে গৃহ শিক্ষকের মত শিক্ষা দিয়ে পরীক্ষা নিলেন আর ফেরেস্তা ছাত্র গনকে শিক্ষা না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন এই পরীক্ষা কি সুধী  পাঠক  মহলে  গ্রহন যোগ্য হবে। এখানে পরীক্ষকের এত পক্ষ পাতিত্ব কিসে। তবে কি শিক্ষক মহোদয়ের সততার অভাব। আর পক্ষপাত দুষ্টে শিক্ষক মহোদয়কে কি অভিযুক্ত করা যায় না ।

সম্মানীত পাঠক সমাজের কাছে আমি একটি ছোট্ট উদাহরণ পেশ করতে চাই। মনে করুন একজন শিক্ষক তিনি একটি আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেন আর তিনি সেখানে আবাসিক ছাত্র ভর্তি করলেন। সারা বছর শিক্ষক মহোদয় ছাত্রগনকে পাঠ দান করলেন না। পরীক্ষার আগে একজন নতুন ছাত্রকে তার বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন এবং গোপনে তাকে বর্ণমালা পরিচয় শিক্ষিয়ে দিলেন। পরীক্ষায় যথারীতি ভাবে ছাত্রগনকে বর্ণমালা লিখতে বললেন। নতুন ছাত্রটি যেহেতু বর্ণমালা বিষয়ে শিক্ষক মহোদয়ের নিকট গোপনে শিক্ষা গ্রহন করছে, তাই সে সুন্দর ভাবে উত্তর পত্রে বর্ণমালা লিপি বন্ধ করল। অন্য আবাসিক ছাত্ররা অভিযোগ করল যে, তাদেরকে তো বর্ণমালা শিক্ষা দেওয়া হয়নি তবে কি ভাবে তারা উত্তর লিখবে? ছাত্রগনের অভিযোগ শিক্ষক মহোদয় আমলে নিলেন না। তিনি ঐ নতুন ছাত্রকে যাকে তিনি গোপনে শিক্ষা দিয়েছেন তাকেই কৃতকার্যের ঘোষনা দিলেন আর সেই ছাত্রের সম্মাননার ব্যবস্থা নিলেন একান্ত তারিফের সাথে।

শিক্ষক মহোদয়ের তেলেছমাতি মতিভ্রম কান্ড কারখানা কি সম্মনিত পাঠক সমাজ মেনে নিতে পারবেন? তার যদি নুন্যতম বিবেক/সততা থাকত তবে কি তিনি ঐ রুপ প্রহসন মূলক পরীক্ষ গ্রহন করতে পারতেন না নুন্যতম বিবেক থাকলে তিনি তা পারতেন না।

সুরা আল কোরানের সুরা আলবাকারার ৩৪ নম্বর আয়াতে দেখা গেল আল্লাহ তায়ালা আদমের শ্রেষ্টত্বের কারনে সম্মাননার ব্যবস্থা করলেন। সম্মাননার বিষয় হলো, আদম শ্রেষ্ট ছাত্র। তাই অকৃতকার্য ছাত্র গন আদমের কাছে মাথা নত করবে (সেজদা করবে)। একজন ছাড়া সকল অকৃতকার্য ছাত্র আদমের সম্মুখে মাথা নত করল। যে ছাত্র মাথা নত করল না তাকে অভিশপ্ত ঘোষনা করা হলো।

আল কোরআন প্রমান করে আল্লাহ হুকুম ছাড়া কোন কিছু ঘটে না। একটি গাছের পাতা ও আল্লাহ হুকুম ছাড়া নড়ে না। তবে আল্লাহ হুকুম অমান্য হয় কিভাবে? যে হেতু আ আল্লাহর হুকুম অমান্য হয়েছে তাতে কি আল্লাহর অসারত্ব¡ প্রমান হয় না। কোন ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই পুজি দরকার হয়। তাই আমার মনে হয় ভাববাদী ব্যবসার পুজি হিসাবে শয়তানকে রাখা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়টি শেষ করার আগে আমি আবারো বলতে চাই ভাববাদী ব্যবসার প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ঈশ্বর, স্বর্গ – নরক ও শয়তান। যে কোন একটির অনুপস্থিতি অন্য গুলি অচল।

(বিঃ দ্রঃ আয়াত সমূহের বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ ঃ হাফেজ মনির উদ্দিন আহম্মদের আল-কোরানের বাংলা অনুবাদ থেকে সংগৃহিত এবং প্রেসিডেন্ট আব্রহাম লিংকনের উক্তিটি আকাশ মালিকের বোকার স্বর্গ নামক গ্রন্থ হতে সংগৃহীত। আর সার্বিক ধারনা প্রাপ্ত হই আরজ আলি মাতুব্বর সাহেবের রচনা সমূহ হতে। আমি এনাদের নিকট কৃতজ্ঞ)