লিখেছেনঃ নুরুল হক
১ম অধ্যায়ঃ
ঈশ্বর শব্দটি আদি মানুষের কাল্পনিক সৃষ্টি একটি নাম। ভাব বাদি গুরুরা মানুষকে নরক নামক একটি কল্পিত নামের ভয় দেখিয়ে ঈশ্বর ভক্তি আদায় করেছেন। ভক্তি আদায়ের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে এই নরক। আর অনুসারিগনকে পুরষ্কৃত করার মাধ্যম দেখানো হয়েছে আরেকটি কল্পিত মহা সুখের স্থান,যাহার নাম স্বর্গ। ভাববাদী ব্যবসাকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করার জন্য অফুরন্ত পুজি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে শয়তান নামক একটি বিশেষ সৃষ্ট নাম।
পৃথিবীর প্রত্যেক ভাববাদী গোত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায়-ঈশ্বর, স্বর্গ-নরক এবং শয়তানের অবস্থান। ভাববাদি ব্যবসায় এই তিনটি নামের বসতি এক বারে অভিন্ন কার্বন কপি যাহা একজনের নিকট হইতে অন্য জনে গ্রহন করেছে বলে মনে হয়।
জলে ডুবে খালি চোখে সবকিছু দেখা যায় না, কিন্তু বিজ্ঞান অনুপরমানু হতে শুরু করে সবকিছু দেখাচ্ছে। ভাববাদী গ্রন্থগুলি আমরা জলে ডুবে খালি চোখে দেখার মত দেখি। চিন্তা করার বা তলিয়ে দেখার সুযোগ খর্ব করা হয়েছে। যারা চিন্তা করে বাস্তব সত্যকে উৎঘাটন করেছে, তাদেরকে পৃথিবী হতে সরে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। ভাববাদী সমাজ ব্যবস্থা সত্যপ্রকাশের প্রধান অন্তরায়, তাই এখনো মানুষ অন্ধকারে আসন্ন। আজকের সমাজ ভাববাদী ফাদানো গল্পে মশগুল। বাস্তবতা ভোগ করে অনুধাবন করে না। অনুধাবনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। মাথার উপর মহাস্ত্র তাক করা আছে। পা পিছানোর সাহস নেই। একটু নড়াচড়া করলেই বা সত্যের দিকে তাকালেই নরক বাসি। অনাদি অনন্তকাল নরকের আগুনে দূর্ভিসহ ভাবে বাস করতে হবে। তাই এই অবস্থায় সত্যকে জেনেও অনেকে না জানার ভান করে। এই হলো ইসলামী ভাববাদীদের অবস্থা আর সনাতন ভাববাদীদের গ্রন্থ সমূহ স্পর্শ মহা পাপ, ব্রহ্ম সমাজ ছাড়া এত বিধি নিষেধ কেন? ব্যবসা অচল হওয়ার ভয়ে। ভাববাদী গ্রন্থগুলির অনেক বক্তব্য বিচার বিশ্লেষণ করলে বোকাকে ধোকা দেওয়া বেরিয়ে পড়বে ভয়ে এত বিধি নিষেধ। তবে কি ডাল মে কুচ্ কালা হ্যায়?
যুগে যুগে পৃথিবীতে অনেক মহামুল্যবান প্রাণকে বলি দেওয়া হয়েছে। তাতে ভাববাদী ব্যবসার পতন অনিবার্য ভেবে। তাদের অপরাধ তারা গবেষনার মাধ্যমে মহা সত্যকে উৎঘাটন করেছেন।
ভাববাদীদের ঘৃন্য কর্মকান্ডে এখন মুক্ত মনের মানুষগুলো স্বাধীন ভাবে বাস্তব সত্য মতামতগুলি প্রচার ও প্রসার ঘটাইতে পারছেন না, তাই একটি ছোট্ট গানের মধ্যে বলতে চাইঃ-
বিশ্ব বিবেক কাঁদেরে ভাই, মুক্ত মনায় কাঁদে ॥
যুগে যুগে সত্য মরে, মিথ্যা পড়ে ফাঁদে ॥
ভাববাদীরা মেলছে ডানা, দেশে দেশে দিচ্ছে হানা ॥
প্রাণ কাঁদে তার কর্ম দেখে, সত্যবধে মিথ্যা খুজে ॥
ভাববাদের মুখোশ জানা, ঢং দেখে যায় না চেনা ॥
ওরা রং মেখে সঙ সেজেছে, আসল রুপ আড়াল রেখে ॥
ভাববাদী ব্যবসা জানি, অমূল্য প্রাণের করছে হানি ॥
জাগ্রত হোক বিশ্ব বিবেক, আলোর মশাল নিয়ে হাতে ॥
প্রানী মাত্রই প্রকৃতির সৃষ্টি, বিজ্ঞান প্রমান করে। আদিকালে মানুষ ছিল একান্ত অসহায়। আদি মানুষের ছিলনা জীবনের নিরাপত্তা ও খাদ্যের সু-ব্যবস্থা। নিরাপদ বাস স্থানের অভাব, আদি মানুষকে একান্ত ভাবে অসহায় করে তুলে। এই অবস্থায় বন্য হিংস্র জীব জন্তুু আক্রমন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিত্যদিন অসংখ্য মানুষের প্রান হানী ঘটে। বর্জ্র্য বৃষ্টি, ঝড়-বাদলে মানুষ ছিল অরক্ষিত ও অসহায়। মানুষের অসহায়ত্বের কারনে প্রানে বাঁচা জীবন্ত মানুষের মনে বাঁচার আকুতি জাগে কিন্তু বাঁচার পদ খুজে পায় না। আদি মানুষ এই অসহায়ত্বের ধারা থেকে মুক্তি পেতে শুরু করে বাঁচার চিন্তা-ভাবনা। আর এই চিন্তা ধারায় স্রষ্টা চিন্তার ভাব জাগে আদি মানুষের মনে। আদি মানুষ খুজে কাহাকে সন্তুষ্ট করলে শান্তি পাওয়া যায় কাহার সন্তুষ্টিতে প্রানে রক্ষা পাওয়া যায় আর বাঁচা যায় নিরাপদে। ক্ষুধায় মানুষ খোজে খাদ্য দাতা। অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত আদি মানুষ পরিত্রানের আশায় ত্রান কর্তা খোজে আর এই ত্রানকর্তার খোজে মানুষ শুরু করে ভক্তি নিবেদন। কালক্রমে এই ভক্তি নিবেদন গনহারে শুরু হয়। পৃথিবীর অনেক বস্তু, জীবজন্তু, গাছপালা, পাহাড় পর্বত-নদী-সমুদ্র, আগুন-পানি এমনকি কোন কোন অঞ্চলের আদিম মানুষ ছোট্ট প্রাণী খরগোস কেও স্রষ্টা হিসাবে ভক্তি নিবেদন করে। এই ভাবে শুরু হয় আদি মানুষের শ্রষ্টাভক্তি। শুরু হয় ব্যাপক হারে স্রষ্টার ভক্তির আনুষ্ঠানিকতা। এই ভাবে আদি মানুষ সৃষ্টি করে অসংখ্য স্রষ্টা। তাদের কাছে শুরু করে ভক্তি নিবেদন। এই হলো আদি মানুষের স্রষ্টা সৃষ্টির ধারা। বর্তমান অনেক ভাববাদী সমাজে যাহা লক্ষনীয়। আদি মানুষের সৃষ্ট কাল্পনিক এই স্রষ্টাই হচ্ছে বর্তমান ভাববাদী সমাজের স্রষ্টা বা ঈশ্বর। ভাববাদী সমাজে এই সৃষ্টাই হচ্ছে মুখ্য সঞ্চালক আর রক্ষকও বটে যাহা মানুষই সৃষ্টি করেছে।
আদি মানুষের প্রজনন ক্রিয়া চলে বন্য পশুদের মত। এই প্রক্রিয়ায় সন্তান সন্ততির দায়িত্ব শুধু মাতাকেই বহন করতে হতো। সদ্য প্রসুতিগন থাকত একান্ত অসহায়। এই অসহায় ধারায় মানুষের বংশ বিস্তার চলতে থাকে নানা সমস্যার মধ্যে। আদিম পুর্বপুরুষেরা যৌনক্রিয়া সম্পাদনের কারনে শুধু মাত্র মানবীদের সঙ্গ দিত। আদিম পুরুষেরা সন্তানের দাবীদার ছিল না এবং দায়দায়িত্ব বহন করত না। এভাবে চলতে চলতে বন্য পশু পাখিদের দেখে জুটি বদ্ধ হয়ে বসবাসের শিক্ষা নেয়। বর্তমান সময়ে যাহা বিবাহ প্রথায় স্বীকৃত সামাজিক প্রথা। এই বিবাহ প্রথায় মুসলমান সমাজের নিয়ম হলো একজন পূরষ ও একজন নারীর মধ্যে জুটিবদ্দ হয়ে বসবাসে রাজী হওয়া। এখানের বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। সমাজ তাদেরকে যৌনক্রিয়া সম্পাদনের স্বীকৃত দিল, এই হলো বিবাহ।
জুটিবদ্দ হয়ে বসবাসের ফলে গোত্রতন্ত্রের উদ্ভব হয় এবং শুরু হয় গোত্রতন্ত্র। গোত্রতন্ত্রের ফলে মানুষের মাঝে হানাহানী কাটাকাটি কলহ বিবাদ চলতে থাকে। আর এই সমস্ত কারনের প্রধান উৎস্য হচ্ছে নারী, খাদ্য দ্রব্য ও পালিত পশু। যাদের যত বেশী শক্তি, তারা তত বেশি সুবিধা ভোগী ও অত্যাচারীতে পরিনত হয়। দুর্বলেরা হয় নির্যাতিত ,তারা সুবিচার পায় না। দুর্বলকে সবলের অত্যাচার হতে রক্ষা করতে আদি সমাজের কিছু কিছু চিন্তাশীল মানুষ ভালমন্দ, ন্যায় অন্যায় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। তারা অনেক ক্ষেত্রে হিতোপদেশ দান করেন। এই হিতোপদেশ দানকারীগন তৎকালিন সমাজে তাদের স্থান করে নেন। কালক্রমে তারা ভাববাদী গুরু রুপে আখ্যায়িত হন। ভাববাদী সমাজে গুরুদের হিতাপদেশ আদি সমাজের উৎশৃখল মানুষকে সংযত করতে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যার্থ হয়। তারা আরো গভীর ভাবে চিন্তা করেন কিভাবে মানুষকে সু-নিয়ন্ত্রন রাখা যায়।
মানুষ চিন্তা করে মৃত্যুর পরের কথা। শুরু হয় মৃত্যুর পরে আরেকটি কাল্পনিক জীবনের চিন্তা। মৃত্যুপর পর আরেকটি জীবনের কথা মানুষের মনে জাগে। মৃত্যুপর পর জীবনে শান্তি ও পুরস্কারের মাধ্যম হিসাবে ২টি কল্পিত নামের উৎদ্ভব ঘটান, যাহা ভাববাদী সমাজে স্বর্গ ও নরক নামে সুপরিচিত ও প্রচারিত। চিন্তা শীল মানুষ খোজে পেলো মাধ্যম। যাহার দ্বারা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। আদি মানুষরা মহাপুরস্কার ও মহাশান্তির জায়গার আমেজ পেল। ইহা তৎকালিন চিন্তাশীল মাণুষের কলা কৌশল বললেও ভুল হবে না।
এই সব ভাববাদী আদিমানুষেরা তৎকালিন সমাজে ভাববাদী গুরু হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তাদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। তারা সমাজের মধ্য মনি হিসাবে গন্য হন। এই ভাবে হাজার হাজার বছর চলতে চলতে ভাববাদী গুরুতন্ত্র বা গোত্রতন্ত্রের সুবাদে ছোট্ট বড় রাজতন্ত্রের সুত্রপাত ঘটে। রাজতন্ত্র শুরু করে মানুষকে শোষন ও বসে রাখার কলাকৌশল। আর এই কলাকৌশলে তারা ভাববাদী গুরুদের আশ্রয় নেন। রাজতন্ত্রকে টিকে রাখার জন্য বিশেষ বাহিনী ও তৈরী করা হয়। বাহিনীকে প্রতিপালন করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর রসদ। এই সমস্ত রসদ পত্র সংগ্রহ করা হতো গনমানুষের নিকট হতে,স্বেচ্ছায় অথবা জোর করে। আবার রাজতন্ত্রে ভাববাদী গুরুদের ভুমিকা ও সম্মান লক্ষনীয়। ভাববাদী গুরুদের কলাকৌশলে রাজাগন একান্ত ভাবে বসিভুত হয়ে যায়। গুরুগন পান রাজার বিশেষ আর্শিবাদ আর বিশেষ সু-নজর।
মানুষ সৃষ্টিকুলে সেরা কিন্তুু পশুত্বও কম কিসে। মানুষের পশুত্বকে নিয়ন্ত্রনের জন্য ভাববাদী গরুরা ক্ষেত্র বিশেষ চেষ্টা চালান। সফলতা ও পান তাদের নিজস্ব কৌশলে। ইহাতে সমাজের প্রভুত মঙ্গল সাদিত হয়েছে। যাহা অস্বীকার করা যায় না। যাহা সমাজ স্বীকার করে। কিন্তু এখানে আর একটি কথা বলতে হয় যে, তারা বাস্তব সত্য কে পদ-দলীত করে সমাজকে সত্য দর্শনে বঞ্চিত করেছে, এর ফলে সমাজ এখনও অন্ধকারে নিমজ্জিত।
ভাববাদী প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে তৎকালিন সময়ে কিছু উচ্চাভিলাসী মানুষ তাদের প্রভার প্রতিপত্তি/ ক্ষমতা লাভের আশায় পূর্ববর্তী ভাববাদী মানুষের ভাল কিছু কথা/উপদেশ বানী গ্রহন করেন এবং তাঁদের নিজস্ব কিছু কাল্পনিক চিন্তা সংমিশ্রন করে স্রষ্টা প্রেরিত কথা বলে চালিয়ে যান, নিজের প্রভাব ও ক্ষমতা লাভের আশায়। তাদের মতবাদকে প্রতিষ্টিত করার জন্য তারা অনুসারী তৈরি করার আপ্রান চেষ্টা চালান এবং অনুসারী তৈরী করতে তারা সক্ষম হন।
অনুসারীগন ভাববাদী গুরুদের একান্ত বাহিনী হিসাবে পরিগনিত হয়। অনুসারিগনের মগজ ধোলাই কাজে ভাববাদী গুরুরা অনেক অভিনব পন্থা গ্রহন করেন। যাহার ফলে অনুসারিগন একান্ত অনুগত হয়ে যান। তারা নিজদের জানমাল দিতেও কন্ঠিত হন না। কারন স্বরুপ বলা যায় মৃত্যুর পর ঈশ্বর অনুসারীগনকে মহা পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন। যাহার নাম স্বর্গ। এই স্বর্গের লোভে অনুসারিগন গুরুদের পদসেবায় গাফিলাতি করেন না। তারা হয়ে যান একান্ত অনুগত। আমাদের দেশে প্রখ্যাত কবি সুুকুমার বড়–য়া তাঁর একটি বিখ্যাত কবিতায় গাঁধার নাকের ডোগায় বিশেষ ব্যবস্থায় মুলা ঝুলিয়ে গাধাকে অতিমাত্রায় সচল দেখিয়েছেন। আর ঝুলন্ত মুলার লোভে গাধা শুধু ছুটেই চলছে। তদ্রুপ ভাবে ভাববাদী গুরুরা স্বর্গ নামক কল্পিত পুরস্কার দেখিয়ে তাদের অনুসারীগনের মগজ ধোলাই করে উগ্র ভাববাদী তথা ভাববাদী পান্ডায় পরিনত করেছেন। এই পান্ডারা সেই মহা পুরস্কারের আশায় ছুটেই চলেছে, দিক বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে।
ভাববাদীগন সব সময় বুক ফুলে বলে বেড়ান যে, হায়াত মৌওয়ত, রেজেক ধৌলত এই ৪টি বস্তু স্রষ্টার হাতে। তাদের ঐ সকল যুক্তি বিজ্ঞানের কাছে ছেলে খেলা। বিজ্ঞানীগন প্রাণ সৃষ্টিতেও সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত কোথায় কি ঘটছে তাহা আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে জানতে পারছি। কোন কোন গরীব দেশে লক্ষ লক্ষ শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে অকালে প্রান হারাচ্ছে। এখানে ঈশ্বরের হায়াত দানের কারিশমা কোথায়। গরীব দেশকে কি ঈশ্বর নেক নজরে দেখেন না? এখানে আজরাইল/ যম দুতের কার্যকারীতা লক্ষ্যনীয়। আবার দেখা যায় জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশের শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে না আর অকালেও প্রান দেয় না, এখানে কি আজরাইল/ যম দুতের ক্ষমতা কম। ঈশ্বরের মৌয়ত দানের কার্যারিতার গন্ধ পাওয়া যায় কি?
আমি এখানে আর একটি বাস্তব ভিক্তি আলোচনা করতে চাই। যাহা ১৯৭০ইং সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে ছিল। ১৯৭০ইং সালে এদেশের উপকুলিয় অঞ্চলে ঘুির্নঝড় ও জলোশ্বাসে কয়েক লক্ষ লোকের অকালে প্রান হানি ঘটে। বর্তমান সময়ে ঘুর্নি ঝড় ও জলোচ্ছাস সহ প্রাকৃতির দুর্যোগে সর্তকতা সংকেত আমরা বিজ্ঞানের সুবাদে জানতে পাই আর এই বিজ্ঞানের দানে ব্যাপক হারে প্রান হানি ঘটে না। কারন হলো বিজ্ঞানের উন্নতির মাধ্যমে মানুষকে আগাম শর্তকতা বানী প্রদান করা। ঘুির্নঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রোগ ব্যাধির জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চলছে। এখন আর মানুষ মসজিদ মন্দিরে পুরোহিত/মৌলভিদের নিকট রোগ ব্যাধি নিরাময়ের জন্য যায় না। যারা সতর্কতা স্বরুপ আশ্রয় কেন্দ্র অথবা হাসপাতালে যায় তারা অনেক ক্ষেত্রে প্রানে বেচে যায়। যেমন ঘুর্নি ঝড়ের সময় যারা আশ্রয় গ্রহন করে তারা ১০০ ভাগ প্রাণে বেঁচে যান। আর যারা কল্পিত ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে আশ্রয় নেয় না তারা ব্যাপক হারে প্রানহাণীর স্বীকার হন। এখানে ভাববাদীদের ঈশ্বর ঠুটো জগৎনাথ নয় কি? ভাববাদীদের ঈশ্বরের হায়াত মৌয়ত দানের মহিমা কি খুজে পাওয়া যায়? বিজ্ঞানের আলোকে মানুষ অজানে কে জানতে পারছে ভাব-বাদ বিজ্ঞানের কাছে পরাজিত এবং নিছক ছেলে ভুলানো গল্পরুপে পরিগনিত হয়েছে। ভবিষ্যতে ভাব-বাদ পৃথিবী হতে মুছে যাবে, সেদিন আর বেশি দুরে নয়। ভাব-বাদী উপসনালয় গুলি হয়তো বা কালের সাক্ষীরুপে দাঁড়িয়ে থাকবে যাদুঘর হিসাবে। এর স্বাক্ষী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যাহা হউকঃ এ-বিষয়ে আর আলোচনা না বাড়িয়ে আমি বলতে চাই যে, বর্তমান যুগটা একান্ত বিজ্ঞানের যুগ। এই বিজ্ঞানের যুগে আমরা বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। আমাদের হাতের কাছে এমন কিছু নাই, যাহাতে বিজ্ঞানের অবদান নাই। মানুষের উন্নত জীবনে ভাব-বাদ একটি সূচ পর্যন্ত উপহার দিতে পারে নাই। যদি বলি স্রষ্টা তাঁর বাহক মারফৎ তাঁর নিজস্ব বাণী মনোনীত ব্যাক্তির নিকট প্রেরণ করলেন তবে, প্রেরিত বাণী সংরক্ষনের জন্য কাগজ কেন প্রেরণ করতে পারলেন না?
বিজ্ঞানের মতবাদের সাথে ভাব-বাদের মতবাদের বিস্তর ফারাক লক্ষ করা যায়। বিজ্ঞানের মতবাদ গুলির বাস্তব ভিত্তিক প্রমাণ আমরা উপলদ্ধি করছি। কিন্তু ভাব-বাদের মতবাদ গুলি নিছক কল্পনা প্রসুত। ভাব-বাদের গ্রন্থ গুলিতে সৃষ্টি এবং সৃষ্ট বস্তুগুলির সম্পর্কে যে প্রকার থিওরী দেয়া আছে, তাহা বিজ্ঞানের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় না এবং নিছক সাজানো গল্প বলে মনে হয়।
বিজ্ঞান ও ভাববাদের বিষয় সমুহ নিয়ে যখন আমি আমার বন্ধু মহলে বিজ্ঞানের সুত্র গুলি নিয়ে আলোচনা করি এবং যুক্তি দেখাই যে, ভাব-বাদের কথা গুলি যদি ঈশ্বর প্রেরীত হয় তবে বিজ্ঞানের সাথে বা বাস্তবতায় মিল নাই কেন? তখন অনেকেই বলেন, যে বিজ্ঞান মানুষের সৃষ্টি। বিজ্ঞানের সুত্র গুলি অনেক ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার মনে তাদের এই সকল যুক্তি বা উপদেশ মোটেই গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হয় না। আমি নিত্য দিন বিভিন্ন জনের সাথে প্রসঙ্গ ক্রমে আলোচনা করি বিষয়গুলি নিয়ে। অনেকেই বুঝে আবার অনেকেই না বুঝার ভান করে অথবা ভাব-বাদী আদলে নাস্তিক হিসাবে আখ্যায়িত করে ভাববাদী ধাঁছে ফতোয়া দেন। যাহা হউক আলোচনা সমালোচনার মধ্যে একজন বন্ধু বর আমাকে উপদেশ দিলেন যে, নাস্তিকতাবাদী কথাবার্তা বাদ দিয়ে আগে কোরআন পড় এবং জান, তখন সবকিছু বুঝতে পাবে। আমি বললাম যে, ভাই আমিতো আরবী ভাষা জানি না কিভাবে কোরান পড়ব বা বুঝবো, তখন তিনি বললেন কোরানের বাংলা অনুবাদ পড়। আমি নাস্তিকতা হতে রক্ষা পেতে তার উপদেশ গ্রহণ করলাম। আমি এই বন্ধু বরের উপদেশ মতে কোরান শরীফের একখানা বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ করে মনযোগ সহকারে পড়তে শুরু করি এবং কয়েক দিনের মধ্যে পড়া শেষ করি। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু কথা আমাকে চিন্তিত করে। তখন আবার আমি উক্ত গ্রন্থের অনুবাদটি ভালভাবে পড়তে শুরু করি। সেখানে যে আয়াতে আমার মনে প্রশ্ন জাগে তখন আলাদা কাগজে চিহ্নিত করি। এভাবে দ্বিতীয় বার অনুবাদটি পড়া শেষ করি। আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু বর হয়তো মনে মনে অনুধাবন করছেন যে, আমি হয়তো অনুবাদটি পড়ে সুবোধ বালকের মত জ্বি-হুজুর জ্বি-হুজুর বলে একান্ত অনুগত হব, কিন্তু ফল হলো উল্টো। আমি কিনা পুরোপুরি নাস্তিক হলাম। আমার নাস্তিকী ধারনার একটি বিষয়ে এখানে আলোকপাত করে ১ম অধ্যায় শেষ করবো।
প্রথমে শুরু করি আদম সৃষ্টি দিয়ে। সুরা আল-বাকারা আয়াত-(৩০) (হে নবী, সরণ কর) যখন তোমার মালিক (তাঁর) ফেরেস্তাদের (সম্মোধন করে) বললেন, আমি পৃথিবীতে (আমার) খলিফা বানাতে চাই তারা বললো, তুমি কি এমন কাউকে (খলিফা বানাতে) চাও যে (তোমার) জমীনে (বিশৃংখলাও) বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং (স্বার্থের জন্য) তারা রক্তপাত করবে, আমরাই তো তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তজবীহ পড়ছি এবং (প্রতি নিয়ত) তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আল্লাহ তায়লা বললেন আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।
সুরা আল বাকারা আয়াত (৩১) আল্লাহ তায়লা অতঃপর (তাঁর খলিফা) আদম কে (প্রয়োজনীয়) সব জিনিসের নাম শিখিয়ে দিলেন, পরে তিনি সেগলো ফেরেস্তাদের কাছে পেশ করে বললেন, (তোমাদের আশংকার ব্যাপারে) তোমরা যদি সত্যবাদী হও (তাহলে) তোমরা আমাকে এই নাম গুলো বলতো।
সুরুা-আল-বাকারা আয়াত (৩২) ফেরেস্তারা বললো (হে আল্লাহ তায়ালা) তুমি-পবিত্র। আমাদের তো এর বাইরে আর কিছুই জানা নেই, যা তুমি আমাদের শিক্ষা দিয়েছ, তুমি একমাত্র জ্ঞানী একমাত্র কুশলী।
সূরা আল বাকারা আয়াত (৩৩) আল্লাহ তায়ালা (এবার) আদমকে বললেন তুমি তাদের কাছে তাদের নাম গুলো বলে দাও, অতএব আদম (আল্লাহর নির্দ্দেশে) তাদের (সামনে) তাদেরে নাম গুলো যখন (সুন্দর ভাবে) বলে দিলো, তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আমি আসমান সমুহ ও যমীনের যাবতীয় গোপন বস্তু জানি এবং তোমরা যা কিছু প্রকাশ কর এবং যা কিছু গোপন কর আমি তাও ভালভাবে জানি।
সূরা আল বাকারা আয়াত (৩৪) আল্লাহ তায়ালা যখন ফেরেস্তাদের বললেন তোমরা (সম্মানের প্রতীক হিসাবে) আদমের জন্য সাজদা করো, অতঃপর তারা (আল্লাহ আদেশে) আদমের সামনে সাজদা বনত হলো শুধু ইবলিশ ছাড়া, সে সাজদা করতে অস্বীকার করলো এবং অহংকার কারলো, অতঃপর সে না-ফরমানদের দলে সামীল হয়ে গেল।
উপরোক্ত আয়াত সমুহ পর্যালোচনার আগে একটি বিখ্যাত বানী যাহা মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন করেছেন। তাঁর বিখ্যাত বানীটি হলঃ
You may fool all the people some of the time. You can never fool some of the people all the time, But you can’t fool all of the people all the time.
বানীটির অর্থ হলো সকল মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় কিন্তু সকল মানুষকে সকল সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় না। সাবেক মার্কিন প্রেসিন্টে বিখ্যাত বানিটির বাস্তবতা আমি খুজে পেলাম।
কোরানের সূরা আল বাকারা এর ৩০,৩১,৩২,৩৩,এবং ৩৪ নম্বর আয়াতে। আলকোরানের আয়াত সমুহ অনুধাবন করলে নিন্মরুপ তথ্য পাওয়া যায় ঃ-
১) আল কোরানের সুরা আলবাকার আয়াত (৩০) এখানে দেখা যায় সৃস্ট ফেরেস্তাগন অতিশয় জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান। ফেরেস্তাগন ভুত ভবিষ্যত একেবারে নির্ভুল ভাবে বলতে পারে। তারা পাকা জ্যোতিষি ও আল্লাহ তায়ালার বড় মাপের পরামর্শক।
এর পর দেখা যায় আল্লাহ তালা ফেরেস্তা গনের উপদেশ বানী শ্রবন করতঃ আমলে না নিয়ে বলেন যে, আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না। তিনি তার কার্যসম্পাদন করলেন এই ভাবে। ইবাদত পাগল আল্লাহ তাল্লা তার আদম সৃষ্টির মহিমা প্রকাশ করলেন।
এই আয়াতে আরো দেখা যায় যে, ফেরেস্তাদের কথার বাস্তবতা আছে। কিন্তু সর্বজান্তা আল্লাহ তায়ালার ভাষ্যে বাস্তবতার অভাব। ফেরেস্তাগনের ভাষ্য ১০০ ভাগ সঠিক কারন মানুষ তো এখন সব সময় খুন খারাবি কলহ বিবাদ অন্যায় অবিচার করে চলছে। পৃথিীতে কতভাগ মানুষ আল্লাহ তায়ালার ইবাদত বন্দেগী করছে? এখানে কি আল্লাহ তায়ালার সবজান্তা বিষয়ের বাস্তবতা খুজে পাওয়া যায়? কত ভাগ মানুষ মুসলমান হয়ে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করছে? আল্লাহ দৃশ্য অদৃশ্য সব বস্তুর খবর রাখেন তবে উত্তর আমিরিকা, দক্ষিন আমিরিকা, অষ্ট্রোলিয়া ও এন্টার্টিকা মহাদেশের খবর রাখেন না কেন? ভাববাদী গুরুদের জানাইলেন না কেন? ভাববাদী গুরুদের কি ধোকাবাজি প্রকাশ পায় না। সমুদ্র পারের তিনটি মহাদেশের মানুষের জন্য কি কোন প্রেরিত মহা পুরুষের দরকার ছিল না। তবে কি আল্লাহ জলজানের অভাব ছিল বলে মহা সমুদ্রের ওপারে মহাপুরুষ প্রেরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ভাববাদীদেরকে কি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখে দিতে হবে।
২) আল কোরানের সুরা আলবাকারার ৩১ নম্বর আয়াতে আদম কে আল্লাহ তায়ালা প্রয়োজনীয় সব জিনিষের নাম শিখে দিলেন একান্ত গোপনে অতঃপর আল্লাহ তায়লা ফেরেস্তাগনকে শিক্ষা না দিয়ে আক্কেল পরীক্ষার জন্য ঐ সকল জিনিষ ফেরেস্তাগনের নিকট পেশ করলেন ।
উক্ত সুরার ৩২ নম্বর আয়াতে দেখা যায় যে, আল্লাহ মহান সত্বা এই ছাড়া ফেরেস্তাগন আর কিছুই জানে না । আল্লাহ তায়লা যাহা জানান ফেরেস্তাগন তাহাই জানেন। এই সুরার ৩৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়লা আদমের আক্কেল পরীক্ষা নিলেন। পক্ষপাত দুষ্টু পরীক্ষায় আদম পেল ফাষ্ট কা¬শ ফাষ্ট। আল্লাহর সৃষ্ট রাজ্যে তখন আদমই হল সর্বস্রেষ্ট আর এভাবেই আদমের স্রেষ্টত্ব ঘোষনা করে, সম্ভোধনার আয়োজন করলো।
কথা আসে পরীক্ষকের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে। পরীক্ষক নিজেই আদমের একান্ত গৃহ শিক্ষক, তিনি আদমকে একান্ত ভাবে শিক্ষা দিলেন আর এই সুবাদে আক্কেল পরীক্ষায় আদম ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করলো। শিক্ষক মহোদয়ের ফেরেস্তা ছাত্রগন অভিযোগ তুললো যে, তিনি তাদেরকে ঐ সকল বিষয়ে শিক্ষা দেন নাই তাই তারা তাহা জানে না। তিনি আদমকে গৃহ শিক্ষকের মত শিক্ষা দিয়ে পরীক্ষা নিলেন আর ফেরেস্তা ছাত্র গনকে শিক্ষা না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন এই পরীক্ষা কি সুধী পাঠক মহলে গ্রহন যোগ্য হবে। এখানে পরীক্ষকের এত পক্ষ পাতিত্ব কিসে। তবে কি শিক্ষক মহোদয়ের সততার অভাব। আর পক্ষপাত দুষ্টে শিক্ষক মহোদয়কে কি অভিযুক্ত করা যায় না ।
সম্মানীত পাঠক সমাজের কাছে আমি একটি ছোট্ট উদাহরণ পেশ করতে চাই। মনে করুন একজন শিক্ষক তিনি একটি আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেন আর তিনি সেখানে আবাসিক ছাত্র ভর্তি করলেন। সারা বছর শিক্ষক মহোদয় ছাত্রগনকে পাঠ দান করলেন না। পরীক্ষার আগে একজন নতুন ছাত্রকে তার বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন এবং গোপনে তাকে বর্ণমালা পরিচয় শিক্ষিয়ে দিলেন। পরীক্ষায় যথারীতি ভাবে ছাত্রগনকে বর্ণমালা লিখতে বললেন। নতুন ছাত্রটি যেহেতু বর্ণমালা বিষয়ে শিক্ষক মহোদয়ের নিকট গোপনে শিক্ষা গ্রহন করছে, তাই সে সুন্দর ভাবে উত্তর পত্রে বর্ণমালা লিপি বন্ধ করল। অন্য আবাসিক ছাত্ররা অভিযোগ করল যে, তাদেরকে তো বর্ণমালা শিক্ষা দেওয়া হয়নি তবে কি ভাবে তারা উত্তর লিখবে? ছাত্রগনের অভিযোগ শিক্ষক মহোদয় আমলে নিলেন না। তিনি ঐ নতুন ছাত্রকে যাকে তিনি গোপনে শিক্ষা দিয়েছেন তাকেই কৃতকার্যের ঘোষনা দিলেন আর সেই ছাত্রের সম্মাননার ব্যবস্থা নিলেন একান্ত তারিফের সাথে।
শিক্ষক মহোদয়ের তেলেছমাতি মতিভ্রম কান্ড কারখানা কি সম্মনিত পাঠক সমাজ মেনে নিতে পারবেন? তার যদি নুন্যতম বিবেক/সততা থাকত তবে কি তিনি ঐ রুপ প্রহসন মূলক পরীক্ষ গ্রহন করতে পারতেন না নুন্যতম বিবেক থাকলে তিনি তা পারতেন না।
সুরা আল কোরানের সুরা আলবাকারার ৩৪ নম্বর আয়াতে দেখা গেল আল্লাহ তায়ালা আদমের শ্রেষ্টত্বের কারনে সম্মাননার ব্যবস্থা করলেন। সম্মাননার বিষয় হলো, আদম শ্রেষ্ট ছাত্র। তাই অকৃতকার্য ছাত্র গন আদমের কাছে মাথা নত করবে (সেজদা করবে)। একজন ছাড়া সকল অকৃতকার্য ছাত্র আদমের সম্মুখে মাথা নত করল। যে ছাত্র মাথা নত করল না তাকে অভিশপ্ত ঘোষনা করা হলো।
আল কোরআন প্রমান করে আল্লাহ হুকুম ছাড়া কোন কিছু ঘটে না। একটি গাছের পাতা ও আল্লাহ হুকুম ছাড়া নড়ে না। তবে আল্লাহ হুকুম অমান্য হয় কিভাবে? যে হেতু আ আল্লাহর হুকুম অমান্য হয়েছে তাতে কি আল্লাহর অসারত্ব¡ প্রমান হয় না। কোন ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই পুজি দরকার হয়। তাই আমার মনে হয় ভাববাদী ব্যবসার পুজি হিসাবে শয়তানকে রাখা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়টি শেষ করার আগে আমি আবারো বলতে চাই ভাববাদী ব্যবসার প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ঈশ্বর, স্বর্গ – নরক ও শয়তান। যে কোন একটির অনুপস্থিতি অন্য গুলি অচল।
(বিঃ দ্রঃ আয়াত সমূহের বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ ঃ হাফেজ মনির উদ্দিন আহম্মদের আল-কোরানের বাংলা অনুবাদ থেকে সংগৃহিত এবং প্রেসিডেন্ট আব্রহাম লিংকনের উক্তিটি আকাশ মালিকের বোকার স্বর্গ নামক গ্রন্থ হতে সংগৃহীত। আর সার্বিক ধারনা প্রাপ্ত হই আরজ আলি মাতুব্বর সাহেবের রচনা সমূহ হতে। আমি এনাদের নিকট কৃতজ্ঞ)
@নুরুল হক,
দেরিতে হলেও লিখাটি পড়লাম, আরো আগেই পড়া উচিত ছিল। যুক্তিগুলো বেশ প্রাঞ্জল, মানুষের ‘ঈশ্বর-স্বর্গ-মর্ত্য’ তৈরীর উপাখ্যান, বিজ্ঞানের অবদান – কিছুই বাদ দেন নাই।এক কথায় খুব ভাল লেগেছে।
কাকতলীয়ভাবে আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতার অদ্ভুত মিল পেলাম। পার্থক্য ভাল ধার্মিক ছিলাম বলে নিজের “ধর্মটাকে” ভালভাবে জানার আগ্রহ নিয়ে শুরু।
যতার্থ বলেছেন। লিখতে থাকুন।
লেখাটা অসমাপ্ত। দ্রুত শেষ করুন।
চারদিকে এত ভালোবাসার ছড়াছড়ি দেখতে দেখতে আমার কেন জানি মনে হয় এই পরকালের ধারনাটা প্রথমে এই প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেমালাপ থেকেই এসেছে; ধর্মগুরুদের মাথা থেকে নয়। 🙂
প্রেমিক-প্রেমিকাদের একটা অন্যতম প্রেমালাপ হলো- আমি মরে গেলে তুমি কি করবে?
মানে অন্য কাউকে ভালোবাসবে কিনা, অন্য কারো সাথে প্রেম করবে কিনা, অন্য কাউকে বিয়ে করবে কিনা- ইত্যাদি ইত্যাদি। তো তখন কিন্তু দুজনই কথা দেয়- “না”।
তাহলে?
তাহলে আর কি! জন্ম জন্মান্তরে, থাকবে এই অন্তরে, একজন প্রিয়া তুমি… ব্যাস্ এসে গেল পরজন্মের ভাবনা!
হিন্দুদের সহমরণটাও এই ধারনা থেকে এসেছে কিনা- কে জানে! 😉
তুমি মরলে আমিও তোমার সাথে চিতায় ঝাপ দেব। তারপর বাকি জীবন স্বর্গে বসে ভালোবাসতে বাসতে ফুতুর হয়ে যাব।
কিন্তু নারীরা কথা রেখেছিল, পুরুষেরা নয়- পার্থক্যটা মনে হয় শুধু এখানেই।
এখন নাস্তিকেরাই শুধু ধর্মকে হেয় করার জন্য উলটা বলে। 🙂
@এন এস,
ধন্যবাদ লিংকটি দেয়ার জন্য।
আমি সবাইকে অনুরোধ জানাই, “এ অসাধারণ ইবইটির বহুল প্রচার এ সাহায্য করুন।”
লেখাটি আলোচনাসাপেক্ষে সার্বিক এবং সরল। ভালো হয়েছে। (F)
মানবেতিহাস আর ঈশ্বর-জন্মোপাখ্যানটা সহজ ভাষায় একবার ঝালাই হয়ে গেল। আরো লিখবেন আশা করি।
বানান শুদ্ধির ব্যাপারে খেয়াল রাখার অনুরোধ থাকলো।
@পাপিয়া চৌধুরী,
আমার নিজস্ব কম্পিউটার নেই বা আমি নিজে টাইপ করতে পারিনা। অন্যের মাধ্যমে টাইপ করিয়েছি। ভুল-ত্রুটি ধরার চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু তার পরেও বেশ কিছু বানানের ভুল থেকেই গেছে।মুক্তমনায় আমার কোন আইডি না থাকায় লেখাটির কোন সংশোধন করতে পারছি না।
লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে উৎসাহ পেলাম। আরও কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দারুন লেখেছেন। ধর্ম সবচেয়ে বড় প্রতারণার নাম। শুধু প্রতারণা নয়, ধর্মের চেয়ে হাস্যকর আর কিছু হতে পারে না। বিস্তারিত পড়ুন-
ধর্মকারী থেকে প্রকাশিত প্রথম কুফরী কিতাব: হজরত মহাউন্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ
[img]http://4.bp.blogspot.com/-NJHROQ51fP4/TgJSuyc4fWI/AAAAAAAACwA/Rx-mJrMmxCY/s400/moha+mad.jpg[/img]
ডাউনলোড লিংক এটি
সবার জন্য বইটি ফ্রি (সাইজঃ মাত্র ১০ মেগাবাইট)।
@এন এস,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।বইটির লিংক দেয়ার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ জানালাম।
অনেক জায়গায় বানান ভূল, ভূল গুলো সংশোধন করবেন বলে আশা রাখি, লেখা মোটামুটি ভাল হয়েছে, আয়াত গুলোতে অনেক ফাক ফোকোর আছে তাই হুজুরদের সাথে তালগাছ লড়াইয়ে না নামাই ভাল; কারন তাদের চোখ এবং কান মিথ্যার পর্দা দিয়ে ঢাকা আছে, আশা কারি সত্যর আলো একদিন তাদের কাছেও পৌছে যাবে। 🙂
১১৮ বার পঠিত , কিন্তু একটিও মন্তব্য নেই। আশ্চর্য!!
মহা-প্রতারণাটা কে করল? ভাববাদীরা নাকি ঈশ্বর? সকল ভাববাদীই প্রতারক , এমন দাবী করাটা মনে হয় যুক্তিসঙ্গত নয়। আর ঈশ্বরকে যদি মহা-প্রতারক দাবী করেন , তাহলে আপনার প্রথম ভুলটা দিয়েই শুরু করি–
এই আয়াতটি নিয়ে আমি ও বহু দিন চিন্তিত ছিলাম। বলা হয়ে থাকে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ভবিষ্যত জানে না। তাহলে যে মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন তারা জমীনে (বিশৃংখলাও) বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং (স্বার্থের জন্য) তারা রক্তপাত করবে , এটা ফেরেশ্তারা জানল কিভাবে ?
এর উত্তর পেয়েছি অনেক অনেক পরে। আসলে আয়াতটিতে আদমকে সৃষ্টির কথা বলা হয় নি। সৃষ্টির আরবি ‘খালাকা’। ২:৩০ এ যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে , সেটা হলো ‘জায়ালা’ (جاعل) , যার অর্থ নিয়োগ দেয়া (appoint)। অনেকটা প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার মতো আল্লাহ আদমকে পৃথিবীতে খলিফা নিয়োগ দিলেন , অর্থাৎ পৃথিবীর সকল কিছুর উপরে আদমকে কতৃত্ব দিলেন।
এই আদম কে ? ১ম হোমোস্যাপিয়েনস যে কি না নিয়ান্ডারথাল মানুষ দের মধ্য থেকে নিয়োগ পাওয়া ১ম খলিফা। ফেরেশতারা যেহেতু দেখেছে যে নিয়ান্ডারথালরা জমীনে (বিশৃংখলাও) বিপর্যয় সৃষ্টি এবং (স্বার্থের জন্য) তারা রক্তপাত করে থাকে , সেকারনেই আদমকে খলিফা নিয়োগ দেয়ার বিপক্ষে এই যুক্তিটাই তাদের মাথায় এসেছে। (হাইপোথেসিসটা কি উদ্ভট লাগছে?)
বাকিগুলোর ও জবাব দেয়া যায়। লাভ নেই।
১৭:৪৫-৪৬
যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন, তখন আমি আপনার মধ্যে ও পরকালে অবিশ্বাসীদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন পর্দা ফেলে দেই। আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই।
@ফারুক,
১৭:৪৫-৪৬
যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন,
তখন আমি আপনার মধ্যে ও
পরকালে অবিশ্বাসীদের
মধ্যে প্রচ্ছন্ন পর্দা ফেলে দেই।
আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ
রেখে দেই,
যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের
কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই।
প্রশ্নটা তো ঐ খানেই। আল্লাহ যদি মানুষের অন্তরের উপর আবরণ রেথে দেয়, তবে তারা ঈমানের পথে আসবে কিভাবে ? যদি বলেন বিশ্বাসের সাথে কোরান পাঠ করতে হবে, তাহলে বলুন তো, একজন বিধর্মী কি কোরান পাঠ না করেই তা বিশ্বাস করবে ?
আর একজন জন্মগতভাবে মুসলমানের কথায় যদি আসি তবে বলি একজন মুসলমান কিন্তু জন্ম থেকেই নাস্তিক হয় না । আপনি যদি খোঁজ করেন তবে দেখবেন তাঁরা সবাই কোরান কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেই তা পাঠ করা শুরু করেছিল । তাহলে তাদের অন্তর চোখ কেন কোরানের সত্যতাকে দেখতে পেল না ? আর যদি নিরপেক্ষতার কথা বলেন, তাহলে বলতে হয় আমার জানা সকল নাস্তিকই নিরপেক্ষ ভাবেই কোরান পাঠ করেছিল । তার পরও আজ তারা নাস্তিক কেন ?
@ছদ্মবেশী,
জান্তাম ঠিক এই প্রশ্নটিই আসবে। তাই আয়াতে আল্লাহ কাদের অন্তরের উপর আবরণ রেথে দেন , সেটাকে বোল্ড করে দিয়েছিলাম। পরকালে বিশ্বাস , কোরান বোঝার বা কোরানের সত্যতাকে দেখতে পাওয়ার পূর্বশর্ত। যার পরকালে বিশ্বাস নেই , তার জন্য কোরান না পড়াই ভাল। তাহলে সে এই পোস্টের লেখকের মতোই পুরোপুরি নাস্তিক হবেন।
এমনটি যে ঘটবে , তাও কিন্তু কোরানেই বলে দেয়া হয়েছে।
‘পরকালে বিশ্বাসের’ গুরুত্ব অপরিসীম। পরকালে যার বিশ্বাস আছে , তার কাছে যতই বিজ্ঞানের মহিমা প্রচার করুন না কেন বা কোরানের অসারতা (?) প্রমান করুন না কেন বা মুহম্মদের গীবত গান না কেন , লাভ নেই। বিশ্বাসীর বিশ্বাসকে টলাতে পারবেন না। তার প্রমাণ আজকের বিশ্ব। শিক্ষিতই বলুন আর অশিক্ষিতই বলুন , এদের মাঝে বিশ্বাসীর সংখ্যা নিঃসন্দেহে বেশি। যে কারনে দেখা যায় , বহু নাস্তিক যেমন আবার আস্তিক হয়ে ওঠে , তেমনি উল্টোটাও ঘটে। পরকালে বিশ্বাসটা কিন্তু , কোন বই পড়ে বা যুক্তি তর্কের মাধ্যমে হয় না।
বিধর্মীরা (পরকালে বিশ্বাসী) যে মুসলমান হচ্ছে তার প্রমাণ তো ভুরি ভুরি দেয়া যায়।
নিরপেক্ষতা নিয়ে আমার আপত্তি আছে। পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয় , খালেদা জিয়ার এই উক্তিতে আমি বিশ্বাসী। তবে নাস্তিকদের জন্য কোরান পাঠ যে কোন উপকারে আসবে না , তা ১৭:৪৫-৪৬ নং আয়াতের আলোকে নির্দ্বীধায় বলা যায়।
@ফারুক,
ফারুক ভাই, কেমন আছেন? অনেকদিন পর আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি। আমি জানি আপনি বহুবার কুরান পড়েছেন,”আপনার মনের মত” করে তার ব্যাখা পাঠকদের উপাহার দিয়েছেন এবং হাদিসে সম্পূর্ন অবিশ্বাস করেন। আপনার মনগড়া ব্যাখার সাথে আমার (আমাদের) মতের মিল হয় না। তবে আজকে আপনার এ বক্তব্যের সাথে আমি ‘সম্পূর্ন একমত’। কারন এটা ‘মহাজ্ঞানী আল্লাহ’ পাকেরই কথা যা তিনি উস্মান সঙ্কলিত কুরানে ‘একদম প্রথম’ কয়েকটি বাক্যেই ‘মানব জাতিকে’ হুশিয়ারের সাথে জানিয়েছেন: সুরা বাকারা, ভার্স ২-৫.
সোজা কথায় যারা ঈমান এনেছে (মুত্তাকী) তাদের জন্যই কুরান।যারা “ঈমান আনে নাই” তাদের জন্য এ ‘মহা-গ্রন্থের’ কোনই উপকারীতা নাই। আল্লাহ-পাক খুব স্পষ্ঠ করে তার পরের আয়াতে তা (২:৬) জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি তা আরো জানিয়েছেন নিম্নলিখিখিত কুরানের আয়াত গুলোতে(অল্প কিছু উদাহরন)
Surah Baqara (Chapter 2) –Medina
2:7 (Allâh has set a seal on their hearts and on their hearings, and on their eyes there is a covering).
2:10 (In their hearts is a disease and Allâh has increased their disease)
2:15 (Allâh mocks at them and gives them increase in their wrong-doings to wander blindly)
2:17 (Allâh took away their light and left them in darkness. (So) they could not see).
2:26 (He misleads thereby only those who are Al-Fâsiqûn (the rebellious, disobedient to Allâh).
2:88 (Allâh has cursed them for their disbelief)
2:161 (on whom is the Curse of Allâh and of the angels and of mankind, combined).
Sura Al- Imran (Chapter 3) -Medina
3:61- ”Come, let us call our sons and your sons, our women and your women, ourselves and yourselves – then we pray and invoke (sincerely) the Curse of Allâh upon those who lie.”)
3:87 -They are those whose recompense is that on them (rests) the Curse of Allâh, of the angels, and of all mankind.
3:178- We postpone the punishment only so that they may increase in sinfulness
Sura Nesa (Chapter 4) – Medina
4:46 (cursed Jews for disbelief),
4:47 (Cursed Sabbath breaker),
4:51-52,
4:88 (Allah made them to go to astray),
4:115 (Allah keep them in wrong path),
4:143 (sends astray),
4:155 (set seal on their heart).
Sura Maidah (chapter 5)
5:13 (We cursed them, and made their hearts grow hard).
5:14 (We planted amongst them enmity and hatred till the Day of Resurrection)
5:41 (And whomsoever Allâh wants to put in Al¬Fitnah, you can do nothing for him against Allâh.).
5:49 (Allâh’s Will is to punish them)
5:60 (those (Jews) who incurred the Curse of Allâh and His Wrath, those of whom (some) He transformed into monkeys and swines)
5:64 (Be their hands tied up and be they accursed for what they uttered)
5:67 (Verily, Allâh guides not the people who disbelieve).
Surah Al Anam (chapter 6) – Mecca
6:25 – We have set veils on their hearts, so they understand it not, and deafness in their ears; – the disbelievers say:”These are nothing but tales of the men of old.
6:110 -And We shall turn their hearts and their eyes away (from guidance), – and We shall leave them in their trespass to wander blindly.)
6:123- And thus We have set up in every town great ones of its wicked people to plot therein
প্রশ্ন হচ্ছে, “ঈমানদার” দের জন্য এত বড় ‘মহাগ্রন্থ” “সর্বজ্ঞানী” আল্লাহর লিখার কি দরকার ছিল (তারা তো ইমান এনেই ফেলেছে)? যে গ্রন্থ “বে-ঈমান দের’ শুধু যে কোন কাজেই লাগে না তাইই নয়, উপর্যুপরি তাদের বিভ্রান্তি আরো বৃদ্ধি করে তার বানানো “চিরস্থায়ী” দোজখের পথ প্রসস্থ করেন। ইনিই হলেন মুহাম্মাদের বর্নিত আল্লাহ!
৪৬.৫ বিলিয়ন আলোক-বর্ষ মহাবিশ্বের স্রষ্ঠাকে নিয়ে মস্করা করা কি ঠিক? মহাম্মাদ ছিলেন ৭ম শতাব্দির একজন নিরক্ষর মানুষ, সে সময়ের পরিপেক্ষিতে তার চিন্তার সীমাবদ্ধতা স্বাবাভিক (জানি চরম বিশ্বাসীরা এ সত্য মানতে নারাজ)। তার জন্য যা স্বাবাভিক ছিল, আমাদের জন্য (একুবিংশ সতাব্দীর জ্ঞান বিজ্ঞনের যুগে) তা শুধু অস্বাভিক নয়; রিতীমত পাগলামোপনা।
ভাল থাকুন।
@ফারুক,
আমার আল্লাহ, রাসুল, কোরান ও পরকালে ১০০% বিশ্বাস ছিল,আমি মনে প্রাণে মুসলিম ছিলাম।সেই আমিই কোরানের অনুবাদ পড়ে ১০০% নাস্তিক হয়ে গিয়েছি।কারণ কোরান অমানবিক ও আজগবী।
@ফারুক,
আর মুসলমানরা যে দলেদলে বিধর্মী হচ্ছে তা দেখতে চাইলে ঢু মারেন নিচের লিংকে
http://wikiislam.net/wiki/People_Who_Left_Islam
@ফারুক,
বিজ্ঞানের জগতে ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নাই।কাজেই তার প্রতারণা করার সুযোগ কোথায়?আর ভাববাদী; তারা দুটি ভাগে বিভক্ত।১. একদল সহজ সরল,তারা ঠকে।২.অপরদল ভন্ড,তারা ঠকায়।কাজেই কারা প্রতারক কারা তা সহজেই অনুমেয়।
@বোকা বলাকা, ভাই আপনার কথাটা খুব মনে লেগেছে।
১. একদল সহজ সরল,তারা ঠকে।২.অপরদল ভন্ড,তারা ঠকায়।
কেউ বলতে পারবেন,ঈদের দিন সকালে নামায পড়তে,মায়ের হাতে রান্না করা সেমাই খেতে আনন্দ হয়নি?জুমআর নামাজে বাবার হাত ধরে মসজিদে যেতে ভালো লাগেনি?কত সহজ আর কত সুন্দর।কিন্তু ঐ ভন্ডেরা যখন অস্ত্র দিয়ে ইসলামের শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলে, :-X উহঃ মাথায় রক্ত উঠে গেছে আর লিখতে পারবনা…
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ পৃথিবীর সব দেশই সমর্থন করে। সামরিক বাহিনী, পরমানু অস্ত্র এগুলো অমুসিলমদের হাতেই বেশি । এর ব্যবহার তারাই বেশি করে।
@বোকা বলাকা,
ঠিকই বলেছেন। একমত। বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনস্তিত্ব নিয়ে গবেষনা করে না। আমরাই , আস্তিক ও নাস্তিকরা নিজের নিজের মতের সমর্থনে বিজ্ঞানকে নিয়ে টানাটানি করি।
.
এই ভন্ডদের মুখোশ উম্মেচনে ও এদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আপনার সাথে যোগ দিতে রাজি আছি।
@ফারুক, তা হলে তো মানুষের কোন দোষই নেই।সৃষ্টিকর্তা নিজেই চান না মানুষ দ্বিনের পথে আসুক।এ কেমন ইশ্বর??? তার চেয়ে তো অন্য ধর্মের ইশ্বরই অনেক ভাল, কি বলেন???
@আস্তরিন,
দ্বিন বলতে কি বোঝেন , সেটা জানলেই না আপনার উত্তর দেয়া সম্ভব। মানুষ দ্বিনের পথে আসল কি না , তাতে আল্লাহর কিছুই যায় আসে না। নিজের ভাল চাইলে , নিজের গরজেই দ্বিনের পথে আসা উচিৎ। কোরান পড়ে আমি এমনটাই বুঝেছি।
আমার আপত্তি নেই , আপনারা আপত্তি না থাকলেই হলো। আমি আবার সকল একেশ্বরবাদী ধর্মেই বিশ্বাসী। সকল একেশ্বরবাদী ধর্মের ঈশ্বর , একি ঈশ্বর।
@ফারুক, আপনি আবারও ভূল বল্লেন ইস্লাম এতটা উদার না,কারণ কোরান এর ভাষ্য অনুযায়ি মুসলমান ব্যথিত কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না,কাযেই আপনি অন্য একঈশ্বরবাদের সাথে ইস্লামকে মেলাতে পারেন না, ঠিক বল্লাম কিনা? যদিও আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসি না তবুও বলি ঈশ্বর মানে হতে পারে প্রেম , নির্দয় হতে পারে না ইস্লামের মত।
@আস্তরিন, ঠিক কথা , কিন্তু এটা ফারুক বা ঐ সব তথাকথিত মধ্যপন্থী মুসলিম রা বুঝবে কি? নাকি তারা বুঝেও না বোঝার ভান করে? অতা মনে হয় তারা আর তাদের ইষ্টদেবতা মহান আল্লাহপাক ভাল বলতে পারবেন।
@আস্তরিন,
না , আমি ভুল বলিনি বা এটা আমার নিজস্ব বক্তব্য ও নয়। আপনার ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই , তাতে কোন অসুবিধা নেই। এটা আপনার ও ঈশ্বরের মাঝের বোঝাপড়ার ব্যাপার। তবে আপনি যেহেতু মুক্তমনা , সেহেতো আপনার বক্তব্য হওয়া উচিৎ বস্তুনিষ্ঠ। কোরান ঠিক নাকি ভুল , সে বিতর্ক আপনার সাথে নয় , তবে কোরানের নামে যখন কথা বলেন , তখন তা বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিৎ।
আপনি বলছেন – “কোরান এর ভাষ্য অনুযায়ি মুসলমান ব্যথিত কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না”। কথাটি সর্বৈব ভুল। দেখুন কোরান কি বলছে-
দেখুন হিন্দু মুসলমান বা সকল মানুষের জন্যই পরকালে মুক্তির একটি রাস্তাই আল্লাহ বাতলে দিয়েছেন। সেটা হলো –
১) আল্লাহ বিশ্বাস(সৃষ্টিকর্তা , ঈশ্বর, ভগবাণ , ইয়াহয়ে , গড যে নামেই ডাকুন , আপত্তি নেই)
২) পরকালে বিশ্বাস
৩) সৎকাজ (ভালকাজ)
এই মাপকাঠিতেই বিচার করতে হবে।
এই মন্তব্যের স্বপক্ষে তিনি উল্লেখ করেছেন দুটো আয়াত:
@ফারুক, আবার মিথ্যা, রসুলে বিশ্বাষ কথা্টাতো বল্লেন না, রসুল ছারা বেহেস্ত imposible (N) আপনারতো কোরাণের কোন ধারনাই নেই,sorry
@আস্তরিন,আরে ভাই মিথ্যা বল্লাম কিভাবে? আমিতো আপনাকে কোরানের আয়াত থেকেই উদ্ধৃতি দিলাম। এগুলো আমার কথা তো নয়।
আপনার সমস্যাটা হলো আপনার কোরানের ধারনা হলো , কাঠ মোল্লাদের বয়ান। নিজে কোরান পড়লে একথা বল্তে পারতেন না। বেহেস্তে যাওয়া রসূলের উপরে নির্ভরশীল নয়। আপনার কর্মই ঠিক করবে , আপনি কোথায় যাবেন।
@ফারুক, তাহলেতো হিন্দু বোদ্ধদের জন্য দোজক অনিবার্য।
@ফারুক, শাবাস, আপনি দেখি রোমান ক্যাথলিক পোপ, সব একেশ্বর বাদি ধর্মে মুক্তি পাবার সুযোগ রেখে দিলেন। যাহোক, প্রচলিত ধারার মুসলিম থেকে আপনি দেখি একেবারেই আলাদা। নাকি এটাও আপনার মুখোশ একটা?
@অচেনা, আপনার কেন মনে হলো মুখোশের কথা? অবশ্য মুখোশের কথা যদি বলেন তো , মুখোশবিহীন একজন মানুষও আমার চোখে এখনো পড়ে নি।
সব একেশ্বর বাদি ধর্মে মুক্তি পাবার সুযোগ আমি রেখে দেই নি , এটা কোরানের আয়াত। যদিও এই আয়াতগুলো আপনার জন্য , প্রযোজ্য নয়। আপনার তো আবার বিশ্বাস বলে কিছু নেই।
@ফারুক, আপনি সুরা দেখাচ্ছেন? তবু আমার মনে হল সুরা তাওবা পরে।
5. But when the forbidden months are past, then fight and slay the Pagans wherever ye find them, an seize them, beleaguer them, and lie in wait for them in every stratagem (of war); but if they repent, and establish regular prayers and practise regular charity, then open the way for them: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
29. Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the religion of Truth, (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.
আমাকে মেরে ফেলুন দয়া করে কিন্তু তবু আমি জিজিয়ার মত অসম্মানজনক কর দিতে পারব না। আমিও কাগজে কলমে মুসলিম,তবু করানের ভাষায় মুনাফিক, কি বলেন? এই জন্য আপনার কোরান কে আমরা অপছন্দ করি। আরো বহু ভার্স পোস্ট করতে পারতাম কিন্তু কি লাভ বলেন? আর মুখোশের কথা বলছেন? মডারেট ইসলাম হল সেই মুখোশ ,যা আসলে ইসলামের সবথেকে বড় মগজ ধোলাই অস্ত্র।আর অবিশ্বাসীদের কোন মুখোশ পরার দরকার হয় না। ধন্যবাদ।
@ফারুক,
আমার মনে হয় প্রবন্ধটি ভালভাবে পড়েননি।মহা প্রতারণা কারা করেছেন তাতো আমার প্রবন্ধের মধ্যেই আছে।
ভাববাদী গুরুদের শিষ্য কি তাদের থেকে আলাদা হতে পারে? ‘গাব গাছে আম ধরে’?
আল্লাহ্ যদি বিধর্মীদের অন্তরে সীল মেরে দেন তাহলে তারা আল্লার পথে আসবে কিভাবে? কিভাবে আল্লাকে উপলব্ধি করতে পারবে? উক্ত আয়াতটি বিধর্মীদের দলে ভিড়ানোর অপকৌশল নয় কি?
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মানুষ সৃষ্টির আগে মহান আল্লাহ ‘জিন’ জাতিকে সৃষ্টি করেছিলেন । তারা জমিনে নানান বিশৃংখলা সৃইষ্ট করেছিল । আদম সৃষ্টির ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা মত প্রকাশ করলে ফেরেস্তারা জিন জাতির অবক্ষয়ের কথা চিন্তা করে কথাটি বলে ।
সুরা আল-বাকারা আয়াত-(৩০) (হে নবী, সরণ কর) যখন তোমার মালিক (তাঁর) ফেরেস্তাদের (সম্মোধন করে) বললেন, আমি পৃথিবীতে (আমার) খলিফা বানাতে চাই তারা বললো, তুমি কি এমন কাউকে (খলিফা বানাতে) চাও যে (তোমার) জমীনে (বিশৃংখলাও) বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং (স্বার্থের জন্য) তারা রক্তপাত করবে, আমরাই তো তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তজবীহ পড়ছি এবং (প্রতি নিয়ত) তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি,