লিখেছেন : হৃদয়াকাশ
কোরান যে আল্লার মুখের কথা নয়, এটা যে হযরত মুহম্মদের চিন্তা চেতনার ফসল -এরকম কথা বলা হলেই ইসলামিস্টরা কল্লা কাটার জন্য তেড়ে আসে। এতে অবশ্য তাদের কোনো দোষ নেই; কারণ, হযরত মুহম্মদ তো নিজেই তাদের এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন। নবী জীবিত থাকতেই কোরানের বাণী চ্যালেঞ্জকারী ও সন্দেহবাদীদের যাকে যেভাবে পেয়েছেন সেভাবেই হত্যা করিয়েছেন। এ বিষয়ে পরে আলাদা একটা পোস্ট লেখার ইচ্ছা আছে।
আসল কথায় আসি, কোরান যে আল্লার বাণী নয় একথা কোরানের ব্যাকরণগত ভুল দিয়েই প্রমাণ করা যায়। যেমন- কোরানের প্রথম বাণী, যা মুসলমানরা – আল্লা যে জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলমানদের কত তাগিদ দিয়েছেন তা বোঝানোর জন্য – বহুলভাবে প্রচার করে থাকে, “পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” এই বাণীটির দিকে একটু ভালো করে তাকালেই বোঝা যায় এই কথাটা নবীর। অথচ কোরান আল্লার বাণী, সেখানে নবীর কথা থাকতে পারে না। আল্লা যদি নিজে এই কথাটা বলতো তাহলে বাক্যটা হয়তো এমন হতে পারতো ,“ পড় তোমরা আমার নামে, কারণ আমি তোমদের সৃষ্টি করেছি।” অথবা, “পড় তোমার সৃষ্টি কর্তার নামে”- এমন হলেও চলতো। অথচ বলা হয়েছে, “পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” এই বাক্যের যিনি শব্দটিই সকল সংশয়ের মূল। যিনি মানেই এখানে তৃতীয় একজনের উপস্থিতি এবং এই ব্যক্তি মুহম্মদ।
কোরান যে আল্লার বাণী নয় এটা অবুঝ মুসলিমদের মাথায় ঢোকানোর জন্য আজকে কিছু বাস্তব ঘটনার কথা লিখবো। এরপরেও যদি তাদের মাথায় এটা না ঢোকে তাহলে জ্ঞানাজর্নের জন্য সুদূর চীন দেশে গিয়েও লাভ নেই। কারণ জ্ঞানাজর্ন করতে হলে মাথায় মগজ থাকতে হয়। মগজ ছাড়া মসজিদ, মন্দির, গির্জায় যাওয়া চলে; কিন্তু জ্ঞানাজর্নের জন্য কোথাও যাওয়া বৃথা।
প্রথম ঘটনা। আল- বারা হতে বণির্ত, একবার নবী; ওহী পেয়ে উপস্থিত সাহাবীদের জানালেন, “যেসব মুসলমান বাড়িতে বসে থাকে এবং যারা আল্লাহর কারণে যুদ্ধ করে, তাদের মযার্দা সমান নয়।” তারপর বললেন, জায়েদ(নবীর পালক পুত্র)কে ডাকো, কালির দোয়াত এবং হাড়ের টুকরো লাগবে লেখার জন্য। কবিতার ভাষায় লেখা শুরু হলো, ‘মযার্দা সমান নয় যেসব মুসলিম বসে থাকে…।’ বিস্তারিত ওহী শুনে সেখানে উপস্থিত এক অন্ধ মুসলমান আমর বিন উম্মে মাকতুম বললো, হুজুর আমি তো অন্ধ, আমার জন্য কী নিদের্শ ? নবী দেখলো বিপদ, তাই তো – যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা কী করবে ? যে ওহী দেওয়া হলো তা তো সব মুসলমানদের জন্য। সঙ্গে সঙ্গে নবী ধ্যান মগ্ন হলেন এবং নাজিল হওয়া ওহীটাকে একটু পরিবতর্ন করে বললেন, “মুসলিমদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে এবং যারা আল্লাহর কারণে যুদ্ধ করে, তাদের মযার্দা সমান নয়।” (সুরা ৪, নিসা, আয়াত ৯৫)। দেখা যাচ্ছে প্যাঁচে পড়লে আল্লাও ওহী পরিবর্তন করে। অথচ কোরানের ১০ নং সূরা ইউনূস এর ৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “আল্লাহর বাণীর কোনো পরিবতর্ন নেই।” একই রকম বলা হয়েছে ১৮ নং সূরা কাহাফ এর ২৭ নম্বর আয়াতে, “ তাঁর বাণী পরিবতর্ন করার কেউ নেই।” এই একই কথা আবার ৬ নং সূরা আনআমের দুই জায়গায় বলা হয়েছে। আয়াত ৩৪ এ বলা হয়েছে ,“ আল্লাহর বাণী কেহ পরিবতর্ন করতে পারবে না” এবং ১১৬ আয়াতে বলা হয়েছে, “সত্য ও ন্যায়ের ক্ষেত্রে তোমার প্রতিপালকের বাণী সম্পূর্ণ ও তাঁর কথা পরিবর্তন করার কেউ নেই।” এই সব দেখে আমার মনে হচ্ছে আল্লার স্মরণশক্তি খুব দুর্বল। কখন কী বলছেন তা তার মনে থাকছে না। তাই একই কথা বারবার চলে আসছে । এই যদি হয় অবস্থা তাহলে এই মহাবিশ্বকে সুশৃঙ্খলভাবে চালানো তার পক্ষে সম্ভব কিভাবে ? এখানে আমরা খেয়াল করতে পারি আল্লার এই বাণীটা কিন্তু পরিবর্তন করে ফেলেছে একজন মুসলমান, যে কিনা অন্ধ।
উপরোক্ত ঘটনা জেনে যারা অবাক হয়েছেন তাদের জন্য আরও বিস্ময় অপক্ষো করছে নিচের ঘটনায়। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমানের বৈমাত্রেয় ভাই আব্দুল্লাহ বিন সাদ বিন আবি সারাহ এক সময় মুহম্মদের খুব প্রিয়পাত্র ছিলেন এবং কোরান লেখায় দীর্ঘদিন মুহম্মদের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছেন। এই লিখতে লিখতেই এক সময় সাদের সন্দেহ হয় আল্লার ওহী বলে মুহম্মদ যা বলে তা ঠিক আল্লার বাণী নয়, এগুলো মুহম্মদের বানানো কথাবার্তা। ‘আছরারুত তানজিল ওয়া আছরারুত তা’য়ীল’ গ্রন্থে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আল বাদাওয়ী এই ঘটনাটি বর্ননা করেছেন এভাবে, একদিন মুহম্মদ ওহী প্রাপ্ত হয়ে ২৩ নং সূরার ১২ থেকে ১৪ আয়াতের “এবং সত্যসত্যই আমি মানব মন্ডলীকে কদর্মের সার দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছি……………তৎপর তাহাকে আমি অন্যসৃষ্টিরূপে সৃষ্টি কারিয়াছি” এই অংশটি বলার পর লিখতে লিখতে সাদ বলে উঠেন, ‘আল্লাহ গৌরবান্বিত অত্যুত্তম সৃষ্টিকর্তা’। শুনে নবী বললেন, ‘লাগিয়ে দাও এই বাক্যটিও’, লাগানো হলো; চমকে উঠলেন সাদ। সন্দেহটি গাঢ় হলো। পরে আরেকবার যখন এক আয়াতের শেষে মুহম্মদ বললেন, “এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞ”- এই বাক্যটি সংশোধন করে সাদ লিখতে বললেন, ‘এবং আল্লাহ সব জানেন ও বিজ্ঞ’। মুহম্মদ অমত করলেন না, লিখতে বললেন। এই ঘটনার পর সাদের আর কোনো সন্দেহ থাকে না যে কোরান আল্লার বাণী নয়, এটা মুহম্মদেরই বানানো । তারপর সাদ প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে কোরায়েশদেরে পক্ষ অবলম্বন করে প্রচার করতে থাকে তার আয়াত সংশোধনের কাহিনি।
এই সাদকে উদ্দেশ্য করেই নাকি ৬ নং সূরা আনআমের ৯৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “এবং এই গ্রন্থ, ইহাকে আমি কল্যাণজনকরূপে ও ইহার পূর্বে যাহা ছিল তাহার সপ্রমানকারীরূপে অবতারণ করিয়াছি, এবং ইহা দ্বারা তুমি মক্কাবাসী ও তাহার চতুষ্পার্শ্ববর্তী লোকদিগকে ভয় প্রদর্শন করিবে।” এই সময় মুহম্মদের তেমন ক্ষমতা ছিলো না বলে কোরানের আয়াত দিয়ে তিনি শুধু ভয় দেখাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু যখন পরবর্তীতে মক্কা দখল করে ফেলেন তখন আর তার ভয় দেখাবার প্রয়োজন ছিলো না। পুরোনো শত্রুদের শায়েস্তা করার জন্য তিনি একটি হিট লিস্ট তৈরী করেন। যার অধিকাংশই ছিলো সেই সময়ের খ্যাতিমান কবি এবং ইসলামের বিরোধিতাকারীরা। এই হিট লিস্টে ছিলেন সাদও। এটা জানার পর হযরত উসমান তার ভাইকে লুকিয়ে রাখেন এবং একদিন সাদ সহ নবীর কাছে গিয়ে হাতে পায়ে ধরে প্রাণভিক্ষা আদায় করেন। মুহম্মদের দুই মেয়ের স্বামী-এছাড়া নিজেরও ডানহাত উসমানের অনুরোধ মুহম্মদ ফেলতে পারলেন না। ক্ষমা করে দিলেন। সাদসহ উসমান চলে যাওয়ার পর মুহম্মদ তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়োজিত ঘাতককে বললেন, “উসমান যখন প্রাণভিক্ষা চাইছিল তাঁর ভাইয়ের, তখন আমি নীরব রইলাম, তুমি কেন তৎক্ষণাৎ আব্দুল্লাহ বিন সাদের গর্দান কেটে ফেললে না?” ঘাতক জবাব দিল, ‘হে আল্লাহর রসুল, বুঝতে পারিনি, আপনি আমাকে সামান্য একটা ইশারা দিলেই আমি সাদের ধড় থেকে মস্তক নামিয়ে ফেলতাম।’ মুহম্মদ পুনরায় বললেন, “নবী ইশারা দিয়ে কাউকে হত্যা করে না।” এর মানে হচ্ছে যখন তিনি কাউকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন তখন সরাসরিই নির্দেশ দেন। বাস্তবে তিনি তা দিয়েছেনও। এই আলোচনা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে।
পরে সাদ যখন বুঝতে পেরেছিলেন যে, মুহম্মদের ইসলামী রাষ্ট্রে মুসলমান না হয়ে বেঁচেবর্তে থাকা কষ্টকর এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা অসম্ভব তখন তিনি ক্ষমতার বলয়ে থাকার জন্য ভাই খলিফা উসমানের শাসনামলে ইসলাম গ্রহন করেন এবং মিশরের গভর্ণর হিসেবে নিযুক্ত হন, যদিও শাসক হিসেবে তিনি খুব দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন নি; স্বজনপ্রীতি করলে যা হয় আর কি।
উপরোক্ত কাহিনিতে এখনও যাদের সন্দেহ আছে, তারা একবার ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে পারেন মুহম্মদ কেনো তৃতীয় খলিফা হযরত উসমানের বৈমাত্রেয় ভাই আব্দুল্লাহ বিন সাদ বিন আবি সারাহ কে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ? এই ইতিহাস কোরান তেলোয়াতকারী কোনো মুসলিম ইতিহাসবিদের লেখা বইয়ে পাওয়া যাবে না। কারণ এই সব ঘটনা নবীর বিরুদ্ধে যায় বলে আসল সত্য জানতে পারলেও তারা পরকালে হুর গেলমান হারানোর ভয়ে লিখবেন না। এই সব ঘটনা জানতে হলে পড়তে হবে The History of Al-Tabari, vol 8, translated by Michael Fishbein, Page 179| The Spirit of Islam, page 295|২৯৫। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আল বাদাওয়ীর তাফসির ‘আছরারুত তানজিল ও আছরারুত তা’য়ীল’ । Twenty Three Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad, page 98| ইবনে সাদের ÔKitab Al-Tabaqat Al-KabirÕ (Vol 2, page 174)|
এখন কথা হচ্ছে, কোরান যদি আল্লার বাণীই হয়ে থাকে তাহলে হযরত মুহম্মদের মুখ দিয়ে তা একবার বের হবার পর আবার তা পরিবতর্ন হচ্ছে কিভাবে ? আল্লা নাকি এই কোরানকে আবার অনেক আগেই লাওহে মাহফুজ নামক কোনো এক স্থানে লিখে রেখেছিলেন। পরে তা দোস্ত হযরত মুহম্মদের মাধ্যমে ডাউনলোড করিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই লিখা থাকলে তা আবার ভুলভাবে অবতীর্ণ হয় কিভাবে ?
যা হোক এ ব্যাপারে এখনও যাদের সন্দেহ আছে তাদের জন্য আরো কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করছি। এই ঘটনা ইসলামের আরেক খলিফা হযরত ওমরের। তিনি বলেছেন, ‘আমার নেতা-প্রভু আমার সঙ্গে তিনটি বিষয়ে একমত হয়েছেন। প্রথমত আমি বললাম, ‘হে আল্লার নবী, আব্রাহামের স্থানকেই ( কাবা) আমাদের প্রার্থনার ঘর রূপে নিতে চাই।’ পরে সূরা বাকারার ১২৫ নং আয়াতে নাজিল হয়, “এবং তোমরা এব্রাহিমের স্থানকে উপাসনা ভূমি কর।” উল্লেখ্য এই ঘটনার পূর্বে মুসলমানরা বায়তুল মুকাদ্দাসকে কিবলা করে নামাজ পড়তো। দ্বিতীয় ঘটনায় আলী বলেন, আমি বললাম, “হে আল্লাহর নবী, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে আদেশ দিন, তারা যেন সাধারণ মানুষ থেকে পর্দা মেনে চলে, কারণ যেকোনো সময় তাঁদেরকে খারাপ-ভালো কোনো কিছু কেউ বলে ফেলতে পারে।” পরবর্তীতে সূরা নূর এর ২৪ নং আয়াতের মাধ্যমে নবীপত্নীদের প্রতি পর্দা মেনে চলার আয়াত নাজিল হয়। ঘটনাটি এরকম : একরাতে হয়রত ওমর নবীর বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। বাড়ি না বলে একে হেরেম বলাই ভালো। কারণ যে বাড়িতে ১০/১২ জন স্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন ভোগ্য হালাল দাসী থাকে তাকে হেরেম ছাড়া আর কী ই বা বলা যায়। যা হোক, রাতের অন্ধকারে এক জায়গায় ঘুপটি মেরে বসে আছেন হযরত ওমর। এমন সময় নবীর দ্বিতীয় পত্নী বৃদ্ধা সওদা প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার জন্য যেই না স্বল্প বসনে বাইরে গিয়ে এক জায়গায় কাপড় তুলে বসেছেন, অমনি ওমর বলে উঠে, বসার আর জায়গা পেলি না। এই ঘটনার পরেই নাকি ওমর নবী পত্নীদিগের রাত বিরাতে বাড়ির বাহির হওয়ার ব্যাপারে নবীকে সাবধান করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই উপযুর্ক্ত আয়াতটি নাজিল হয়।
তৃতীয় ঘটনাটি বেশ উপভোগ্য। প্রায় ডজন খানেক স্ত্রীকে সম অধিকার দিতে গিয়ে নবীকে পালা করে প্রত্যেক স্ত্রীর ঘরে এক রাত করে কাটাতে হয়। যে দিনের ঘটনা সেদিনের পালা ছিলো ওমরের মেয়ে হাফসার । এর কিছুদিন আগেই মিশরের অমুসলিম শাসক নবীকে খুশি করার জন্য দুজন সুন্দরী ক্রীতদাসীকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন নবীর কাছে। নবী যাতে মিশর আক্রমন না করেন সেজন্য। গনিমতে মাল এবং ক্রীতদাসীদের ভোগ করার সার্টিফিকেট (ওহী ) তিনি আগেই আল্লার কাছে থেকে নিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে সমস্যা ছিলো না। সমস্যা ছিলো ঘর নিয়ে। কারণ নবীর হেরেমে অতগুলো ঘর ছিলো না। দুজন সুন্দরী দাসীর একজনকে অন্য এক সাহাবীকে দিয়ে তিনি নিজের জন্য রেখেছিলেন মারিয়া কিবতিয়া নামক মিশরিয়ান সুন্দরীকে। নিজের বাড়িতে জায়গা না থাকায় সেই সুন্দরীকে আবার রেখেছেন অন্য এক সাহাবীর বাড়ি। মন কি আর মানে ? দিন যায় রাত যায়, কিন্তু কিবতিয়াকে আর ভোগ করতে পারেন না। শেষে নবী এক ফন্দি আঁটলেন, মা দেখা করতে বলেছে বলে হাফসাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। হাফসা চলে গেলে সেই ঘরে এনে তুললেন মারিয়াকে। এই ঘটনা হাতে নাতে ধরে ফেলেন আয়েশা। অন্যদিকে হাফসা বাপের বাড়িতে গিয়ে বুঝতে পারে নবী তাকে মিথ্যে বলেছে। পরদিন তিনি ফিরে এলে আয়েশা সব ঘটনা বলে দেন হাফসাকে। পুরো কাহিনি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় হাফসাতো মহা ক্ষ্যাপা, সেই সাথে আয়েশা সহ অন্যরাও। শেষে নবী ভুল টুল স্বীকার করেও পত্নীদের মান ভাঙাতে পারেন না। অবশেষে নবী প্রায় একমাস সেক্স স্ট্রাইক করলেন। কোনো স্ত্রীর ঘরেই যান না। পরিশেষে এই ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে আসেন হযরত ওমর। তিনি নবী পত্নীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তিনি যদি তোমাদেরকে তালাক দিয়ে দেন, তবে আল্লাহতালা নবীকে তোমাদের থেকে অনেক ভালো স্ত্রী দেবেন।’ আলী বলেন পরবর্তীতে ঠিক এই রকম বক্তব্য নিয়েই ৬৬ নং সূরা তাহরিম এর ৫ নং আয়াত নাজিল হয়।
ক্ষমতা এবং ধর্মান্ধতা মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়! নবীর এই স্ত্রীদের মধ্যে নিজেরও যে একটি যুবতী মেয়ে আছে, যাকে নিয়েই এই মূল ঘটনা, ওমর নবীর পক্ষ হয়ে নবীর স্ত্রীদের হুমকি দেওয়ার সময় সে কথা মাথায় আনলেন না। তিনি আরও তাদেরকে তালাক দেওয়ার জন্য নবীকে উৎসাহিত করলেন! এই ঘটনা জানার জন্য পড়তে হবে সহি বোখারি শরিফ, ভলিউম ১, বুক ৮, নম্বর ৩৯৫।
উপরের এই আলোচনা থেকে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি, কোরানের আয়াতগুলো অবস্থার প্যাঁচে পড়ে বা অন্যের ইচ্ছার মূল্য দিতে গিয়ে যেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, তেমনি ঘটনার সাপেক্ষেও নাজিল হচ্ছে। এটা কী প্রমাণ করে, এগুলো আল্লার বাণী না স্বঘোষিত শেষ নবী হযরত মুহম্মদ এর ?
কৃতজ্ঞতা স্বীকার, মুক্তমনা ব্লগার (১) আবুল কাশেম এবং (২) আকাশ মালিক।
জনাব হৃদয়াকাশ,আপনার পছন্দ মতো যায়গায় আলোচনা করতে আমাকে কি করতে হব ?
যতই পড়ি ততই জানিতে পারি , বেশী বেশী জানিয়া চিত্ত অলৌকিক আনন্দ লাভ করে !
বটে !
মুক্তমনা,
কোরানের একটি বানী পড়লেই সব জানা যায়না।কমপক্ষে একটি অধ্যায় পড়ুন।বুঝবেন,মুহম্মদ তো নিরক্ষর ছিলেন।এই বিজ্ঞান এর যুগের সমস্ত বিজ্ঞানী আর পন্ডিত মিলে কোরানের মত একটি অধ্যায় রচনা করতে সক্ষম হবেনা।এটা আল্লাহর চ্যালেঞ্জ।
পারলে করে দেখান।
ইসলাম এর কাছ বারবার পরাজিত হওয়াই আপনারা ইসলাম এর উপর রেগে আছেন…।
@Russell,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনি যে বইটির কথা বলছেন তার কথা আমার জানা নেই। তবে চমৎকার একটা সাইটের সন্ধান দিচ্ছি, এখানে।
কেমন লাগলো জানাবেন।
চমৎকারভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
হাফসা-মারিয়া ঘটনাটা একটু ভিন্ন। ঘটনাটা হাতে-নাতে ধরে ফেলেন হাফসাই। নবীর সাথে শেষ পর্যন্ত রফা হয় হাফসা ব্যাপারটা গোপণ রাখবেন, কিন্তু হাফসা এটা গোপণ না করে তাঁর সতীন কাম বন্ধু আয়েশাকে বলে দেন। ব্যাপারটা জটিল আকার ধারণ করলে নবী যথারীতি আয়াত নাজিল করান।পুরো ঘটনাটা বুঝতে চাইলে এখানে দেখুন।
@softdoc,
এই লিংকটি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এটা আগে পেলে আরও ভালো হতো।
@হৃদয়াকাশ,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার প্রবন্ধটি ভাল হয়েছে।
ধর্মকারী থেকে দারুন একখান বই প্রকাশিত হয়েছে। ডাউনলোড করে পড়লাম। বইটিতে কোরান আল্লার বাণী কি না এ বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
ধর্মকারী থেকে প্রকাশিত প্রথম কুফরী কিতাব
সবার জন্য বইটি ফ্রি, বইটির ডাউনলোড লিংক। সাইজঃ মাত্র ১০ মেগাবাইট। কোরান ও হাদিসের রেফারেন্সসহ এরকম বই দুর্লভ।
@বোধ,
ইসলাম ও মোহাম্মদকে জানতে হলে এখানে দেখুন।
হাস্যকর লেখাটি আমাকে হাসালো……………
আমার মনে হয় লেখকের অল্প বিদ্যা এখানে প্রকাশিত হল । ইসলাম কে জানার জন্যে ইসলামিক বই পড়া দরকার আমার মনে হয় । ইসলাম বিরোধী বই পড়ে ইসলামের সমালচনা হাস্যকরই বটে ।
লেখক বললেন লেখাটিতে রস মিশাইলেন । আপনি ইসলাম এ মিথ্যা রস কেন মিশাইবেন?
আপনি যে রেফারেন্স গুলো দেখাইলেন সেগুলোর সত্যতার গ্যারান্টি কতটুকু?
যে লোক ইসলাম ত্যাগ করে তার কথাতে ইসলামের বিরোধিতা থাকবে, তার কথাকে রেফারেন্স কেন করবেন?
আপনি বিনা স্টেইটমেন্ট এ মুহাম্মদের চরিত্রের কুতসা রটাইলেন(আপনার ভাষায় রস মিশানো)
@বোধ,
আপনার বেশি বিদ্যা একটু দেখান না।
কোনটা মিথ্যা আপনি যদি তা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আপনার কাছে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাবো। আপনার জন্য এ এক দারুন সুযোগ বেহেশত নিশ্চিত করে ৭২ জন স্বর্গীয় বেশ্যা আর বেশ কিছু গেলমান মানে হিজড়া পাবার। এখনই কাজে নেমে যান। কারণ, এই অফার সীমিত সময়ের জন্য।
গ্যারান্টি এটুকুই যে মুক্তমনায় কেউ কখনও কোনো কিছু মিথ্যা লেখে না। কোনো কিছু মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জ রইলো। বেহেশতি অফার তো রয়েছেই।
সে কেনো ইসলাম ত্যাগ করেছিলো সেটা আগে ভাবেন। মুহম্মদের ওহী পাওয়া যে বোগাস সেটা বুঝতে পেরেই তো সে ইসলাম ত্যাগ করেছিলো।
তো তার কথা কোট করলে সমস্যা কী। সত্য চিরদিনই সত্য।
সবে তো শুরু। Wait & See. এতদিন ইসলামিস্টদের ভয়ে যুক্তিবাদীরা মুখ খুলতে পারে নি। প্রযুক্তি সেই অসহায়ত্ব থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে। এখন শুধু দেখেন যুক্তিবাদীরা কিভাবে আপনার পেয়ারের রসূল ও আল্লাহকে টেনে নামায়। ধার্মিকদের এখন শুধু দাঁত কামড়ানোর পালা।
@হৃদয়াকাশ,
আপনি কুর’আন এর চেলেঞ্জ পুরন করেন…। আজাইরা ফালাইয়া লাভ নাই।
আমাদেরও সুযোগ এসেছে ইসলাম ছড়িয়ে দেওয়ার। খিলাফত আসছে।
The next super power….
@আসেফ,
ঐ স্বপ্ন নিয়েই থাকেন। এটা মধ্য যুগ না যে সারা রাত চাচাতো বোন উম্মে হানির সঙ্গে রাত কাটিয়ে ধরা পড়ার পর আপনার নবী জনতার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য মেরাজের মতো কাল্পনিক কাহিনির বর্ণনা করবে আর এ যুগের মানুষ সেটাকে সত্য বলে মেনে নেবে। আর এখন তরবারীর যুগও নাই, যে যুদ্ধ করে রাজ্য জয় করে ইসলামিস্টরা বলবে, হয় ইসলামকে মেনে নাও না হলে মৃত্যু। এখন জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগ। আর ইসলোমের তো প্রধান শত্রু জ্ঞান। সুতরাং আপনার স্বপ্ন দিবা না, জাগনা।
আপনি বলতে চাইছেন কোরানের মতো একটি আয়াতও কেউ লিখতে পারবে না এই তো। বাংলা কোরান একটু মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলেই বুঝতে পারবেন ওগুলো কী রাবিশ। রামায়ণ, মহাভারতের তুলনা দেবো না। কারণ, তাহলে আমাকে সাম্প্রদায়িক ভাববেন; মাইকেলের মেঘনাদ বধ কাব্যের কথাই বলি। মেঘনাদ বধ কাব্যের ছন্দ, অলংকার, ভাব, ভাষা ও গাম্ভীর্যের তুলনায় আপনার কোরান সব দিক থেকেই শিশু। ক্লাস থ্রি ফোরের ছেলে মেয়েরাও ওর চেয়ে ভালো কবিতা লিখতে পারে। এখন আপনার মনে হতে পারে তাহলে কোরানের চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে কেউ এগিয়ে আসে না কেনো ? কারণ, আপনাদের মতো ইসলামিস্টদের ভয়ে। এরকম কেউ কিছু করলেই তো তার গর্দান আপনারা নামিয়ে ফেলবেন। আপনার নবীও তো তাই করে গেছে। আর তাই করতে বলে গেছে আপনাদেরও। নবী কিভাবে কোরানের আয়াত চ্যালেঞ্জকারীদের শায়েস্তা করে গেছে এ বিষয়ে একটা পোস্ট লেখার কাজে অলরেডি হাত দিয়েছি, কিছুদিনের মধ্যেই সেটা পড়তে পারবেন বলে আশা করছি।
এই যে কোরান সম্পর্কে এত কিছু আপনাকে বলছি, এটা কি আপনার সামনে বসে আমার পক্ষে বলা সম্ভব ছিলো ? তাহলে এতক্ষণ তো আমার মাথা ধর থেকে আলাদা হয়ে যেতো। আমি কোরানের সমালোচনা করছি কিন্ত হাত কামড়ানো ছাড়া আপনি কিছু করতে পারছেন না। ইসলামিস্টদের এই যে পরাজয়, সেটা কিন্তু সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আর আপনি স্বপ্ন দেখছেন নেক্সট সুপার পাওয়ারের…. হা হা হা !!!! :rotfl: :lotpot:
@হৃদয়াকাশ,
ইসলাম এর কাছ বারবার পরাজিত হওয়াই আপনারা ইসলাম এর উপর রেগে আছেন…। তা বুঝতে পারছি। কাপুরুষ এর মত র কত থাকবেন।
@আসেফ,
রাগটা সে কারণে না। রাগটা ইসলামকে নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে। ফোর্থ ক্লাস একটা গ্রন্থ কোরান, তাকে আপনারা বলবেন মহাগ্রন্থ। বিজ্ঞানীরা রাত দিন গবেষণা করে একটা কিছু আবিষ্কার করে, আর অমনি আপনারা বলবেন, এটা কোরানেই আছে। এই সব আর কতদিন সহ্য করা যায় ? এতদিন বলার উপায় ছিলো না বলে কেউ মুখ খুলে নি। কিন্তু এখন ইসলামকে নিয়ে এত সমালোচনা হচ্ছে কেনো ? আমার তো মনে হয় ইন্টারনেটে সেক্সের পর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ইসলাম। কিন্তু কেনো ? ইসলামের চেয়ে অন্য ধর্মগুলো খুব যে ভালো তা কিন্তু কেউ বলছে না। তারপরও তাদের সমালোচনা কিন্তু তেমন একটা নেই। এর মূল কারণ ইসলাম নিয়ে মুসলামদের এত বাড়াবাড়ি। আপনারা বাড়বাড়ি বন্ধ করেন, দেখবেন কেউ আর ইসলাম নিয়ে কথা বলছে না।
আর ইসলামের কাছে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি যদি বলেন, তাহলে বলি, আপনার নবী আরব এলাকা থেকে যেভাবে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের তাড়িয়েছে অথবা হত্যা করেছে বা জীবনের বিনিময়ে জোর করে মুসলমান বানিয়েছে সে কথা মনে রাখলে ইউরোপ আমেরিকায় মুসলমানরা ঢুকতে পারতো না, মসজিদ নির্মান করা দূরে থাক। আপনারা মুসলমানেরা কেমন উদার একটু চিন্তা করেন, ইউরোপ আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে আপনারা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারছেন, অথচ সৌদি আরবে অন্য কোনো জাতি প্রকাশ্যে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে না; মন্দির গির্জা বানানো দূরের কথা। অথচ আপনারা যেখানে খুশি মসজিদ বানাচ্ছেন। এছাড়াও পৃথিবীর প্রায় সকল মুসলিম দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর ধর্ম পালন, কোনো না কেনোভাবে বাধাগ্রস্ত। এর কী জবাব আছে আপনার কাছে ?
মুসলমানদের আরেকটা বায়বীয় ধারণা ’ইসলামিক রাষ্ট্র’। ধর্মের পরিচয়ে রাষ্ট্র পৃথিবীর আর কোথায় আছে ? রাষ্ট্রকে যে মুসলমান বানান, তার খৎনা করান কোথায় ? নির্বোধ না হলে এরকম কেউ ভাবতে পারে ? আবার আপনারাই ভাবেন আপনারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি, বেহেশত আপনারা ছাড়া কেউ পাবে না। শুধু শুধু হুর গেলমানের লোভে মগজে তালা দিয়া রাখেন না, এগুলো একটু ভাবেন।
নবী তো নিরক্ষর ছিল। অনি কিভাবে লিখতেন?
@রাসেল
আপনি যে সমস্যায় ভোগেন, সেই সমস্যাটি আমারও । বড় বড় মুক্তমনাদের কাছে আমি নিজেই একটি সমস্যা । এদের অনেকেই আমাকে অজ্ঞ, কান্ডজ্ঞানহীন, অভদ্র ও গাধা বলে মনে করেন । এছাড়াও আরো অনেক খারাব বিশেষণ ব্যবহার করেন । তারপরেও সামাজিক দায়বদ্ধতার কারনে মুক্তমনায় লিখে চলছি ।
মুক্তমনা মতপ্রকাশে আস্থাবান, কিন্তু নিজ মতের সমালোচনার ক্ষেত্রে স্বৈরাচারি আচরণ করে । তাই আলোচ্য লেখাটি প্রকাশ পাবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না ।
বিকৃত ইতিহাস।কোরান যদি মোহাম্মদের কথা বা বানানো হয় তাহলে বলবো উনি অনেক উচু স্তরের জ্ঞ্যানী।লেখক লিখলেনঃ“লিখতে লিখতেই এক সময় সাদের সন্দেহ হয় আল্লার ওহী বলে মুহম্মদ যা বলে তা ঠিক আল্লার বাণী নয়, এগুলো মুহম্মদের বানানো কথাবার্তা। ‘আছরারুত তানজিল ওয়া আছরারুত তা’য়ীল’ গ্রন্থে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আল বাদাওয়ী এই ঘটনাটি বর্ননা করেছেন এভাবে, একদিন মুহম্মদ ওহী প্রাপ্ত হয়ে ২৩ নং সূরার ১২ থেকে ১৪ আয়াতের “এবং সত্যসত্যই আমি মানব মন্ডলীকে কদর্মের সার দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছি……………তৎপর তাহাকে আমি অন্যসৃষ্টিরূপে সৃষ্টি কারিয়াছি” এই অংশটি বলার পর লিখতে লিখতে সাদ বলে উঠেন, ‘আল্লাহ গৌরবান্বিত অত্যুত্তম সৃষ্টিকর্তা’। শুনে নবী বললেন, ‘লাগিয়ে দাও এই বাক্যটিও’, লাগানো হলো; চমকে উঠলেন সাদ।”এই ধরনের বোকামী মোহাম্মদ অবশ্যই করবেন না যদি মোহাম্মদ কোরানের বানীর সৃষ্টিকর্তা হয়(লেখকের ভাষ্য অনুযায়ী)।নিজের ক্ষোভ,হিংসা,অহংকার ও অল্প বিস্তর জ্ঞ্যান নিয়ে এই ধরনের হাস্যকর লেখা না লেখাই উওম।ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ।
@পলাশ,
আপনি প্রকৃত ইতিহাসটা জানান না। আমি আপনার পথ চেয়ে বসে আছি।
জ্ঞান অন্বেষা ও যুক্তি খোঁজা তারুন্যের স্বভাব । পরিবারের সকলেই যেহেতু যুক্তিহীন ভাবে ধর্ম পালন করে, সেহেতু প্রথমে সে ধর্মগ্রন্থের মধ্যে যুক্তি খোঁজে এবং জ্ঞান অন্বেষণের চেষ্টা করে । কিন্তু ধর্মগ্রন্থের মধ্যে যুক্তি ও জ্ঞান খুঁজে পায় না বিধায় তার উপর আক্রোশ সৃষ্টি হয় । কিন্তু তরুনদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের পরিধি সীমিত বিধায় জীবনের জটিলতা এবং অনিশ্চয়তা বুঝতে পারে না । ফলে ধর্মের কার্য্যকারিতা সে বুঝতে পারে না । দর্শনশাস্ত্রের বস্তুবাদের পরিবর্তে প্রকৃতি-বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ধর্মকে অবলোকন করে বিধায় সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি বুঝতে পারে না ।
অর্থ ও অস্ত্রের বিনিময় কট্টরপন্থী ওহাবী মুসলমান দ্বারা সৃষ্ট আল-কায়দাকে কমিউনিষ্ট শাসনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া এবং কমিউনিষ্ট শাসন বিলুপ্তি শেষে অর্থ ও অস্ত্র সরবারহ বন্ধের ফলে ইসলামি সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়, যা বুঝার জন্য রাজনৈতিক যে জ্ঞানের প্রয়োজন, তা এই তরুনদের থাকে না বিধায় সকল দোষ ইসলাম ও মুসলমানদের উপর অর্পিত করতঃ উক্ত ধর্ম ও তার বিশ্বাসীদেরকে সে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
একটা বিষয় ভাল লাগেনা, সেটা হল কোন মন্তব্য করলে ২দিন পর তা প্রকাশ হয়।
যাকগে, ]
আপনার মন্তব্য দারুন লাগল মশাই।
ভাল লাগল।
কিছুদুর যাবার পর যেই মন্তব্য মূলক লেখা শুরু হল তা কি আপনার নিজস্ব মতবাদ,
প্রায় ডজন খানেক স্ত্রীকে সম অধিকার দিতে গিয়ে নবীকে পালা করে প্রত্যেক স্ত্রীর ঘরে এক রাত করে কাটাতে হয়। যে দিনের ঘটনা সেদিনের পালা ছিলো ওমরের মেয়ে হাফসার । এর কিছুদিন আগেই মিশরের অমুসলিম শাসক নবীকে খুশি করার জন্য দুজন সুন্দরী ক্রীতদাসীকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন নবীর কাছে। নবী যাতে মিশর আক্রমন না করেন সেজন্য। গনিমতে মাল এবং ক্রীতদাসীদের ভোগ করার সার্টিফিকেট (ওহী ) তিনি আগেই আল্লার কাছে থেকে নিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে সমস্যা ছিলো না। সমস্যা ছিলো ঘর নিয়ে। কারণ নবীর হেরেমে অতগুলো ঘর ছিলো না। দুজন সুন্দরী দাসীর একজনকে অন্য এক সাহাবীকে দিয়ে তিনি নিজের জন্য রেখেছিলেন মারিয়া কিবতিয়া নামক মিশরিয়ান সুন্দরীকে। নিজের বাড়িতে জায়গা না থাকায় সেই সুন্দরীকে আবার রেখেছেন অন্য এক সাহাবীর বাড়ি। মন কি আর মানে ? দিন যায় রাত যায়, কিন্তু কিবতিয়াকে আর ভোগ করতে পারেন না। শেষে নবী এক ফন্দি আঁটলেন, মা দেখা করতে বলেছে বলে হাফসাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। হাফসা চলে গেলে সেই ঘরে এনে তুললেন মারিয়াকে। এই ঘটনা হাতে নাতে ধরে ফেলেন আয়েশা। অন্যদিকে হাফসা বাপের বাড়িতে গিয়ে বুঝতে পারে নবী তাকে মিথ্যে বলেছে। পরদিন তিনি ফিরে এলে আয়েশা সব ঘটনা বলে দেন হাফসাকে। পুরো কাহিনি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় হাফসাতো মহা ক্ষ্যাপা, সেই সাথে আয়েশা সহ অন্যরাও। শেষে নবী ভুল টুল স্বীকার করেও পত্নীদের মান ভাঙাতে পারেন না
প্রায় সমগ্র জায়গায় এইরকম ভাষা। অর্থাৎ একজনকে খোটা মেরে, বা কুৎসা রটানোর মত করে বর্ননা করা। প্রশ্ন হল যাদের নাম আপনে বলছেন ইতিহাস থেকে নেয়া- আল তাবারি, ইবনে ইশাক —- ইনারা কি এইভাবেই বর্ননা করেছেন নাকই তারা যেভাবে করেছেন পরবর্তিতে আপনার নিজের বিদ্যা কাজে লাগিয়ে রম্য ময় গল্প করে দিয়েছেন? মনে হয় আপনারই সেই কারসাজি। দেখুন এইযে কথা গুলো আপনে বলছেন- নবী ভোগ করতে পারছেনা, তিনি ফন্দি আটলেন–বিভিন্ন জায়গায় এইধরনের কথা নিশ্চয়ই উনাদের ইতিহাসে এইভাবে বর্ননা করা নেই। নাকি আছে?
জানি যেখানে যেইরকম সেইরকম লিখতে হয়। এখানে সবাইর একটি ধর্ম- নবী মোহাম্মদ, ইসলাম নামের গালাগালিতে অনেক ভাল বাহ বাহ পাওয়া যায়।
প্রথম দুইটি ঘটনা ভাল লেগেছে। পরের গুলোতে আপনার আক্রোশ প্রকাশ পেয়েছে বেশি, আপনেও আবেগি হয়ে পড়েছিলেন, তাই সত্য হারিয়ে রম্যতা বেশি পেয়েছে বলে মনে হয়েছে। যদিও এতে হাতের তালি পেয়েছেন অনেকের।
ধন্যবাদ
@Russell,
আমি বিচ্ছিন্নভাবে কোরান হাদিসে যে ঘটনাগুলো পেয়েছি সেগুলোই গল্পের আকারে তা বর্ণনা করেছি। লেখাটাকে আকর্ষণীয় করার জন্য একটু রস তো আমি দিতেই পারি, নাকি ? না হলে পাঠক তা পড়বে কেনো ? তবে একটা সিচুয়েশনে একজনের মনের অবস্থা যা হয় আমি নিশ্চয় তার বাইরে যাই নি। সেজন্যই আপনি বলেছেন,
না, এখানে আমার নিজের কোনো মতবাদ নেই। যে রেফারেন্সগুলো দেওয়া আছে সেগুলো আপনি ঘেঁটে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।
@হৃদয়াকাশ,
যাইহোক তবে এইখানে যে যাই বলুক, সত্য হল মোহাম্মদ (সাঃ) কে বুঝতে, জানতে হাযার লক্ষ জনম পার হয়ে যাবে হয়ত তাও জানা যাবে কিনা সন্দেহ। মনে হয়না।
আমাদের জানার পরিধি অনেক কম, আর মোহাম্মদ (সাঃ) কে জানতে শুধু বস্তু জ্ঞান না, বরং আধ্যাত্ন জ্ঞানের মহারাজা হতে হয়।
যাইহোক এত কিছুর দরকার ছিলনা,
কোরান বলছেঃ
“ইন্নাহু লাকাউলু রাসুলীন করিম”- ইহা অবশ্যই রসুল করিমের বানী (৮১-১৯)
যাইহোক এইসব নিইয়ে আলোচনা করতে গেলে শেষ হবেনা। নিজে সত্য হলে সত্য পাওয়া যাবে, নচেৎ সব কিছুই ঘাপলা লাগবে।
লালন বলেছিলেনঃ সহজ মানুষ ভোজে দেখনারে মন দিব্য জ্ঞানে। পাবিরে অমুল্য নীধি বর্তমানে।
অমুল্য সম্পদের ভিতরে দেখবেন সেই মোহাম্মদ লুকিয়ে আছে।
ভাল থাকবেন
@Russell,
ইসলামিস্টদের মতো আপনি যথার্থই বলেছেন। ইসলামি জ্ঞানের ক্ষমতার পরিধি ঐ পর্যন্তই। তবে আমাদের না। আমরা যুক্তি দিয়ে বিচার করে ভালো কে ভালো খারাপকে খারাপ বলতে পারি। বিশ্বাসের কাছে আমরা অসহায় নই।
আধ্যাত্ম জ্ঞান নামে বিজ্ঞান স্বীকৃত কোনো জ্ঞানের শাখা আছে নাকি ?
@হৃদয়াকাশ,
হা…।হা…হা…ভাই না হেসে পারলামই না। আর তাই বুঝি আপনে উপরের মন্তব্য করেছেনঃ
যাইহোক এখনও এই সকল বিষয়ে আপনার বিবেক এর উন্মেচন হয়নি। তাই বলে আমি আপনাদের খোটা বা ছোট করে দেখছি না। আপনার কথার সাথে আমিও একমত যে না দেখে বিশ্বাস স্থাপন হয়।
বিশ্বাস নিয়ে একটি লেখা আছে-পড়তে চাইলে পড়তে পারেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/joyguru007/29393405
তাইত লালন বলেছিলেন – কথায় ত আর চিড়ে ভিজেনা, জলে কিংবা দুধ না দিলে।
আর আমিত বলেছি আপনাদের লেখা পড়তে আমার খারাপ লাগেনি। আপনারা সত্য জানেন না, তাই আপনারা যত জানেন, মোল্লা, আলেমদের কাছ থেকে যা শুনেছেন সেই গন্ডির ভিতরে যা বুঝেছেন তাই লিখেছেন। তাদের হিসাবে আপনার লেখা ঠিকি আছে। কিন্তু ইহা সত্য নয়। অনেক কিছু আছে যা প্রকাশ করা যায়না। সেই জগতে প্রবেশের আনন্দ, গভিরতাই আলাদা। খালি চোখে, আপনার ভাষা মতে শুধু ঐ বস্তু বিজ্ঞানের চোখে দেখলে অনেক কিছুই একটু অন্য রকম লাগা স্বাভাবিক, আর সেই মোহাম্মদ পর্যন্ত ধরা আগেই বলেছি হাযার জনমের পরেও জানা যাবে কিনা সন্দেহ।
সবাই অনেক কিছু প্রমান করতে চাচ্ছেন নীচে দেখলাম। আমি কিছুতেই বিচলিত নই। আরও ভাল লাগছে যে আপনারা সবাই অন্ধে বিশ্বাসী নন। ইহা সত্য। হ্যা, আল্লাহ ও তার রসুলকে মানতে হবে ইহা কোথাও লেখা নেই, তবে মানবতা যেন এক চিলতে এদিক থেকে ওদিকে না যায় সেই বিষয় সর্বত্র পাই।
ভাল থাকবেন।
@Russell,
আপনি এখনও বিশ্বাস নিয়েই আছেন ? বিশ্বাস তো শিশুর ধর্ম। বুঝতে পারলাম আপনার শৈশবত্ব এখনও কাটে নি। আগে শৈশবত্ব কাটান, তারপর জ্ঞান দিয়েন।
আর আধ্যাত্ম কোনো বিজ্ঞান নয়। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। পারলে প্রমাণ করে জবাব দিয়েন। রেফারেন্স এবং প্রমাণ ছাড়া মুক্তমনায় কোনো বক্তব্য গ্রহণ করা হয় না এটা খেয়াল রাখবেন।
@হৃদয়াকাশ,
আচ্ছা ভাইজান আপনে যা বললেন তাই। আপনে কি লেখাটা পড়ে তারপর কথাটা বলেছেন নাকই না পড়েই বলে দিলেন?
যাইহোক ব্যপার না। ভাল থাকবেন।
@Russell,
আপনি যদি এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করেন তাহলে আপনার হাতে এমন কিছু বই বা তথ্য আসবে যাতে আপনার বিশ্বাস হতে বাধ্য যে আদিম পৃথিবীতে এলিয়েন এসেছিলো।
কিন্তু বিজ্ঞানীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আপনি যদি জানতে পারেন ভিন গ্রহে কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু সেটা পৃথিবী থেকে কমপক্ষে ১ কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বের বাইরে এবং সেখান থেকে তারা যদি আলোর গতিতেও পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে থাকে তাহলেও তাদের পৃথিবীতে আসতে সময় লাগবে ১ কোটি বছর। এই দীর্ঘ সময় তাদের আবার সেই নভোযানের মধ্যে বেঁচে থাকতে হবে। কোনো প্রাণীর পক্ষে এটা কি সম্ভব ? না সম্ভব আলোর গতিতে ছুটে আসা ?
এখন ভাবেন, কোনো কোনো অপবিজ্ঞান লেখক, পৃথিবীতে এলিয়েন এসেছিলো বলে যে সব কুযুক্তির কথা বলে সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য কিনা ?
আপনার বিশ্বাস আর আধ্যাত্ম বিজ্ঞানের ব্যাপারটাও আমার কাছে সেরকম। এগুলো নিয়ে এত পড়েছি যে এখন আর এসবের পেছনে সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন বোধ করি না। তবে মানুষের জীবনে উন্নতির জন্য বা কোনো কিছু অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত বিশ্বাসের একটা ভূমিকা আছে, এটা আমি স্বীকার করি। কিন্তু এই বিশ্বাস আর ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পূর্ণ আলাদা।
@হৃদয়াকাশ,
একটু বেশিই কি বলে ফেললেন না? আপনাকেত বলেছি আপনে যা বলেছেন তাই। এরপরেও ত্যানা পেচায় যাচ্ছেন। যদিও আপনার লেখা ব্লগ, আপনে বলতেই পারেন।
আপনার বিশ্বাস আর আধ্যাত্ম বিজ্ঞানের ব্যাপারটাও আমার কাছে সেরকম। এগুলো নিয়ে এত পড়েছি যে এখন আর এসবের পেছনে সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন বোধ করি না।
হতে পারে আমার লেখা ও জ্ঞান বুদ্ধি নিন্ম মানের, কিন্তু আপনারা বিজ্ঞানী বিজ্ঞান মনষ্ক, বিজ্ঞানের দাসি বান্দিরা যা বললেন তাতে আপনাদের চরিত্র সমেৎ আপনাদের জ্ঞান বুদ্ধি সব কিছুই প্রকাশ পেয়ে গেল।।
পাঠ্য পুস্তকের বিজ্ঞানী, আর পাঠ্য কাগজে কালি দিয়ে ছাপানো কোরানের হাফেজ আলেম একই জাতের।
আপনার এই কথায় আমার মত এক নগন্য পাঠক ও খুবই নগন্য মানের লেখক আপনার মন্তব্যকে থু মেরে গেল। অনেক কিছুই অক্ষরে কাগজে বইতে শিখেছেন, কিন্তু বিবেক উন্মচিত হয়নি। আগে সেইটা ক্লিয়ার করুন অতঃপর নবী মোহাম্মদ (সাঃ ) এর কথা চিন্তা করুন।যাইহোক এইসব বলা হল নিজেরই ভাঙ্গা মান সন্মানে আরও ছেদ করা। আপনে সব আগের থেকেই যেনে গেছেন। যেমন মোল্লারাও সব জেনে গেছে।
তাও ভাল ও সুস্থ হবার আহবান রইল এই নগন্য লেখকের তরফ থেকে।
ভাল থাকবেন।
@Russell,
বিবেক কিভাবে উম্মোচিত হবে ? আপনার নবী যেভাবে পালক ছেলের বউকে বিয়ে করে তার সঙ্গে সেক্স করেছে; সেটা জানলে, আর করলে ? যেভাবে তিনি দাসীদের ভোগ করতেন, সেরকম করলে ? না যেভাবে যখন খুশি সেক্স করতে ইচ্ছুক যেকোনো মেয়ের সঙ্গে এক বিছানায় শুলে ? বলেন আমার বিবেক কিভাবে উম্মোচিত হবে?
বলে যাদের গালি দিলেন, বেঁচে থাকার জন্য আপনি যা কিছু ভোগ করছেন সবই তাদের অবদান। আপনার নবী , আল্লা আর কোরানের এর পেছনে এক তিলও অবদান নেই। অবশ্য আপনার বিশ্বাস অন্য রকম হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি আর ১০টা স্টুপিড এর মতো হয়তো বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা সবই আবিষ্কার করেছে কোরান গবেষণা করে।
এটা খুবই সত্যি কথা। জ্ঞান বুদ্ধির স্তর অতি নিম্নমানের না হলে আপনার মতো বিশ্বাস করাই তো সম্ভব না।
শেষে একটা কথা, ব্লগার হিসেবে আমার কর্তব্য হচ্ছে সকল মন্তব্যের জবাব দেওয়া। আপনি যদি না চান তাহলে আর জবাব দিয়েন না। আপনি জবাব দিলে আমাকে জবাব দিতেই হবে।
@Russell,
বহু আগে আমি আপনার মন্তব্য পড়ে জানতে চেয়েছিলাম,
“জনাব রাসেল এ পাক, আপনার পবিত্র খানকা-শরীফটা কোথায়?” এখন তো দেখছি সত্যি সত্যি এমন একটা কিছু আছে, আমি খুবই অবাক হলাম।
:-s
কাদেরিয়া দরবার শরীফ!
‘মুক্তমনা’ এসব দরবার শরীফের মতবাদ প্রচার প্রসারের উপযুক্ত স্থান বলে তো মনে হয় না। ওপরের লিঙ্কটা তো আপনারই দেয়া, তাই না?
@হৃদয়াকাশ,
আপনাদের বিচার করার ক্ষমতা আছে নাকি?
@আসেফ,
বিচার করার ক্ষমতা না থাকলে ধর্মীয় ভূতকে মাথা থেকে নামানো যায় না। মানুষ জন্ম থেকেই ধর্ম বিশ্বাসী। তারপর জ্ঞান বুদ্ধি বাড়া শুরু হলে যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করেই আস্তে আস্তে নাস্তিক হয়ে উঠতে হয়। মায়ের পেট থেকে কেউ নাস্তিক হয়ে বের হয় না। আমিও এক সময় আস্তিক ছিলাম এবং ধর্ম নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রচুর তর্ক করেছি। কিন্তু যখন ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর পরিমানে পড়াশুনা করতে লাগলাম তখন দেখলাম বিজ্ঞানের হাতুড়ির কাছে ধর্মের কোনো যুক্তিই টিকছে না। এভাবে এক সময় আমি নাস্তিক হয়ে যাই। আমার আস্তিকতা যে থাকলো না, এ ব্যর্থতা কিন্তু ধর্মের। এটা কি বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে হয়েছে, না অন্য কোনো ভাবে ?
আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না। আপনারা ধার্মিকরা জ্ঞান হওয়ার পর ৫ বছর বয়সে যা বিশ্বাস করেন, সেই একই বিশ্বাস করেন ১০, ১৫, ২০, ২৫ বা ৩০ বছর বয়স থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। এটা কিভাবে সম্ভব ? ৫ এর পর থেকে মোটামুটি ২৫ বছর পর্যন্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়লেন তা রাখলেন কোথায় ? নাকি সেগুলো শুধু পাস করার জন্য পড়লেন ? ৫ বছর বয়সে বিশ্বাস করতেন পৃথিবী নয়, সূর্য ঘুরে। কারণ, সৌরজগত সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে এটাই বিশ্বাস করা স্বাভাবিক। সব শিশু তাই বিশ্বাস করে। ২৫ / ৩০ বছর বয়সেও যদি সেই একই বিশ্বাস আপনার থাকে তাহলে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে লাভটা হলো কী ?
এইসব একটু ভাবেন। তারপর সিদ্ধান্তে আসেন, বিচার বুদ্ধি কার নেই; আমার না আপনার ? অবশ্য এই সব আপনারা ভাবতে ইচ্ছুক নন। কারণ, আপনারা তো সবসময় ভাবেন ৭২ জন হুর গেলমান নিয়ে। অন্য কিছু ভাববার সময় কোথায় আপনাদের ? ভাবলেই ভয় বেহেশত হারানোর, সেই সঙ্গে হুর গেলমান। দরকার কী ? তারচেয়ে যে বিশ্বাস নিয়ে আছি সেটা নিয়েই থাকি। মরার পর বেহেশতে যাবো, ৭২ জন হুর আর কিছু গেলমান নিয়ে পালা করে মজা করবো। ব্যস।
এই চিন্তা যাদের মাথায় তারা লম্পট না অন্য কিছু ? কোনো নাস্তিক কিন্তু এই ধরণের লম্পট চিন্তা করে না। ভাবেন এই সব একটু ভাবেন। তারপর নিজেদের সঙ্গে আমাদের মানে নাস্তিকদের তুলনা করেন।
@Russell,
অাল্লাহ্ ও তার পেয়ারা রসুলকে জানতে এখানে দেখুন।
@softdoc,
ধন্যবাদ এইরকম একটা বই দেয়ার জন্য। এই ধরনের আরও কিছু বই থাকলে দিবেন। আমার ই-মেইল হল
[email protected]
The history of the connection of the Quran- john barton এই বইটা খুব খুজতেছি। যদি পান তাহলে দিবেন।
আবারও ধন্যবাদ
@Russell,
এ ঘটনাটা বুঝতে আপনার যদি কষ্ট হয়ে থাকে তা’হলে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন <a href="http://prophetmuhammadillustrated.com/muhammad-and-hafsa.html"এখানে ।
কুর’আন যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে তা পূর্ণ করেন…।। কুর’আন-এ বলেছে পারলে কুর’আন-এর মত একটা সুরা বানান…।
@আসেফ,
খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি পোস্ট লেখার ইচ্ছে আমার আছে। কুরানের এই চ্যালেঞ্জ সেই সময় অনেকেই নিয়েছিলো। তাদের কী অবস্থা আপনার নবী করেছিলো সবই থাকবে সেই লেখায়, পড়ে নিয়েন।
@হৃদয়াকাশ,
দেখা যাচ্ছে আপনার রাগ ইসলামিষ্টদের উপর । আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার মন্তব্য, যা ১৯নম্বর মিন্তব্যে স্থান পেয়েছে, পাবেন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
জেনে শুনে তাদের ফাঁদে পা না দিলেই হয়। ওরা না হয় অর্থ আর অস্ত্র দেয়, কিন্তু জিহাদিরা আমৃত্যু জিহাদ করার অনুপ্রেরণা পায় কোথা থেকে ? সেটা নিশ্চয় ইসলাম থেকেই পায়। এই ইসলামকে যারা কঠোরভাবে মেনে চলে আমি মূলত তাদের উদ্দেশ্যে করেই ইসলামিস্ট শব্দটা ব্যবহার করি। মুসলমান বললে সব মুসলমানকে বোঝায়। কিন্তু সব মুসলমান এক রকম নয়।
@হৃদয়াকাশ,
আমার যে মন্তব্যটি আপনি কোটেশনের মধ্যে নিয়ে এসেছেন, তাতে রাজনীতি না বুঝার কথা ছিল । রাজনীতি আবার সমাজনীতি ও অর্থনীতির সাথে জড়িত । ধর্ম বা ইসলাম এই সমাজনীতির সাথে সম্পর্কীত । তাই ধর্ম বা ইসলামের উপর সরাসরি আঘাত করলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয় । মৌলবাদীরা এই সুযোগটি গ্রহন করে । ফলে হিতে বিপরীত হয় । আপনার মতো শিক্ষিত তরুণ যখন বিষয়টি বুঝে না, সেখানে একজন অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ কি করে বুঝবে বলে আশা করেন । তাই নাবুঝে তারা ফাঁদে পা দেয় ।
ছুরি দিয়ে মানুষ খুন করা যায়, আবার তরকারি কাটার কাজে ব্যবহার করা যায় । তাই ছুরির কর্ম নির্ভর করে ব্যবহারকারীর উপর । অতএব ইসলাম কাউকে জিহাদি হতে অনুপ্রেরণা দেয় না । ইসলাম ব্যবহারকারীর অনুপ্রেরণা আসে অর্থ ও অস্ত্রের মাধ্যমে ।
আপনি কি অর্থে ইসলামিষ্ট শব্দটি ব্যবহার করেছেন তাতে কিছু আসে যায় না । সাধারণ মানুষ শব্দটির কি অর্থ করলো সেটাই আসল কথা । তারা শব্দটি ভাল ভাবে গ্রহন করেনি ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
যুক্তির ঢিলেমী প্রকটভাবে দৃশ্যমান। অর্থ ও অস্ত্র কি অণুপ্রেরণার উৎস, নাকি অণুপ্রেরণা কে বাস্তবায়িত করার সাধনী? অণুপ্রেরণা আসে কোথা থেকে সেটা তো মহিউদ্দীন সাহেবের উপরের বাক্যেই আছে। “ইসলাম ব্যবহারকারীর অনুপ্রেরণা” থেকে কি বোঝা যায়? ইসলাম ব্যবহার করলেই (মানে ইসলাম থেকেই) অণুপ্রেরণা আসে, আর সেটা বাস্তবায়িত করতে অস্ত্র আর অর্থে পেলে তো আরো ভাল। তো অর্থ আর অস্ত্র বৌদ্ধ/হিন্দু/খ্রীষ্টান দের জিহাদী সন্ত্রাসে অণুপ্রাণিত করছে না কেন বা তাদেরকে অর্থ আর অস্ত্র কেন দেয়া হচ্ছে না?
@যাযাবর,
Thanks. (Y)
@যাযাবর,
দর্শনশাস্ত্র মতে কোন কিছুর অংশ পূর্ণকে প্রতিনিধিত্ব করে না । অনুরূপ ভাবে আপনার কোটেশনে উদ্ধৃত বাক্যটি আমার একটি প্যারাগ্রাফের অংশ । তাই বাক্যটির দ্বারা পূর্ণ প্যারাগ্রাফের অর্থ প্রকাশ পায় না । ব্যবহারকারী ছাড়া ছুরি যেমন মানুষ খুন বা তরকারি কাটতে পাড়ে না, তেমনি ব্যবহারকারী ছাড়া ইসলাম সন্ত্রাসী হতে পাড়ে না । তাই ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে ইসলামের সন্ত্রাসী হওয়া বা না হওয়া ।
বৌদ্ধ, হিন্দু, খৃষ্টানকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে কেন সন্ত্রাসী বানানো হচ্ছে না বুঝতে হলে রাজনীতির উপর জ্ঞান থাকতে হবে । আগা-মাথা না বুঝে বিছিন্ন ভাবে যারা ইসলাম ও মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বানিয়ে গালাগাল করে, তারা যুক্তির অ-ক-খ বুঝে কিনা সন্দেহ হয় । যুক্তি বা দর্শনের পূর্ব শর্ত হলো বিশ্ব-ব্রষ্মান্ডের কোন কিছুই বিছিন্ন কোন ঘটনা নয়, সকল ঘটনাই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও নির্ভরশীল বলে জানা । তাই গুটি কয়েক মুসলমান কেন সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম গ্রহন করলো বুঝতে হলে সংশ্লিষ্ট সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি বুঝতে হবে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
ইসলামের ইতিহাস আরও ভালো করে পড়েন, তারপর সিদ্ধান্তে আসেন। এত তাড়াতাড়ি
বলেন না। অন্তত মুক্তমনায় রাখা আকাশ মালিকের ই বুক যে সত্য হয় নি বলা পড়েন, তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েন।
@হৃদয়াকাশ,
ইসলামের ইতিহাস ভাল করে পড়ার উপদেশ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । তবে যিনি আকাশ মালিকের লেখা ইতিহাসের রেফারেন্স হিসাবে উল্লেখ করেণ, আমার চেয়ে তার ইতিহাস পড়ার প্রয়োজন বেশি । আকাশ মালিক কোন ইতিহাসবিদ নন । তিনি একজন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী মানুষ । কিন্তু ইতিহাস হয় নিরাপেক্ষ । আপনি এরকম ইতিহাস জ্ঞান নিয়ে কি ভাবে বিতর্কে আসেন, তা দেখে অবাক হই । তবে Sir John Glubb এর The Life and Time of Muhammad বা The Doubleday Pictorial Library of World History, Civilization From Its Beginnings বই দু’টি পড়তে পারেন । বই দু’টি পড়ে তারপর আলোচনায় আসুন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
বাল্মিকী রচিত রামায়ণ অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে পড়লে রামকে আপনার ভগবানই মনে হবে। কিন্তু রাম যে ভগবান নয়, সেটা বুঝার জন্য উদার বা সন্দেহবাদী দৃষ্টি নিয়ে রামায়ণ পড়তে হয়। তাহলেই একজন বুঝতে পারে বা পারবে রামের স্থান রাবনের অনেক নিচে।
একইভাবে পরকালে বিশ্বাসী কোনো মানুষের লেখা কোনো ইতিহাস বা বইয়ে; আল্লা, নবী বা ধর্ম; এ বিষয়ে কোনো সমালোচনা কি আপনি প্রত্যাশা করতে পারেন? বেহেশতের হুর গেলমান প্রত্যাশী অনেক বাঙ্গালি মুসলমানও কিন্তু কম বেশি ইসলামের ইতিহাস লিখেছে। সে সব বইয়ে দেখেছি কিভাবে তারা ইসলামের নেগেটিভ বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যায়। যেমন- জিহাদ বা যুদ্ধ । কয়েকদিন আগে ঢাকার সুলেখা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত
নামক মাওলানা মোঃ আশরাফ উজ্জামান এর লেখা একটি বই পড়লাম। সেই বইয়ের ২৩৯ নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন,
এখন আপনিই বলেন এই কথার সত্যতা কতটুকু ? মুহম্মদের জীবনের ৯৮টি যুদ্ধের মধ্যে ৯৫টিই ছিলো আক্রমনাত্মক। এইটা জানার পর কীভাবে এই মাওলানার কথা বিশ্বাস করি ?
আমার ধারণা, আপনি উপরে যাদের বইয়ের কথা লিখেছেন তাদের ইতিহাসও ঐ মাওলানার ইতিহাসের মতোই হবে। আমার ধারণা যদি ভুল হয় সেই ভুল, তথ্য প্রমাণ দিয়ে ভাঙানোর দায়িত্ব আপনার। আমি মনের দরজায় তালা লাগিয়ে রাখিনি, যে কোনো যুক্তিকে সাদরে গ্রহণ করার জন্য তা সর্বদায় উম্মুক্ত আছে।
আর একটা কথা, এভাবে অযথা প্যাচাল না পেরে আকাশ মালিক যা লিখেছেন তার বিপরীতে কিছু লিখলেও তো পারেন। মুক্তমনা প্রকাশ না করলে অন্য কোথাও প্রকাশ করেন। আমাদের লিঙ্ক দ্যান, আমরা পড়ি, দেখি কোনটা সত্য ? না হলে মন্তব্যে যুক্তি প্রমাণসহ লিখেন। শুধু শুধু বেহুদা কথা বলে সময় নষ্ট করে লাভ কী ?
@হৃদয়াকাশ,
“আমার উল্লেখিত বই দু’টিতে বর্ণিত ইতিহাসও মাওলানা মোঃ আশরাফ উজ্জামানের ইতিহাসের মতো হবে”। বই দু’টি না পড়ে এই ধরাণের মন্তব্য করা থেকে প্রমান হয়, ইতিহাস কাহাকে বলে ও কত প্রকার তাহা আপনি জানেন না ।
মুহাম্মদ যে সকল যুদ্ধ করেছেন তার প্রত্যেকটির আর্থ-সামাজিক কারন উল্লেখ হয়েছে স্যার জন গ্লুবের বইটিতে । আরবের আর্থ-সামাজিক কারনের জন্য কোরাইশ বংশের ভাগ্য বঞ্চিত এবং উক্ত বংশ কর্তৃক নিগৃহীত লোকদের কারণে ইসলামের আগমন ঘটে । যেমন তদকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চিত লোকদের কারনে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয় ।
আপনার ভুল ধারণা ভাঙ্গার দায়ীত্ব আমার না । এই দায়ীত্বটি আপনার । আমি বইএর নাম উল্লেখ করতে পারি । কিন্তু বইগুলো পড়ার দায়ীত্ব আপনার ।
আকাশ মালিক একজন উগ্র নাস্তিক । তিনি ইতিহাসের ও নাস্তিকতার সংজ্ঞা জানেন না । তার আবস্থাও আপনার মতো । আপনার সাথে একমত যে বেহুদা কথা বলে লাভ নাই । তাই তর্কের ইতি টানলাম ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আমার অনুরোধ আাপনি সেই আর্থ সামাজিক কারণগুলো উল্লেখ করে একটা পোস্ট ছাড়েন, আমরাও সেগুলো দেখি; তারপর যুক্তি দিয়ে বিচার করি কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা ? ইসলাম মানে শান্তি; এটা শুধু মুখে বলবেন কিন্তু কাজে অশান্তি করবেন, সেটা তো হবে না। আপনি সারা পৃথিবী থেকে উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করবেন যে ইসলাম মানে সত্যিই শান্তি। শুধু শুধু মুখে বললে তো হবে না। আপনি যা বলবেন সেটা আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে। আমরা যা বলি তার স্বপক্ষে যুক্তি প্রমাণ হাজির করি। আপনি সেটা না করে পিছলান কেনো ? ব্লগ যা খুশি লেখার জায়গা। কারো অমত থাকলে সে প্রতিবাদও করতে পারে। কেউ তো কাউকে বাধা দিচ্ছে না।
এইটা দ্বারা কী বুঝাইলেন, একটু পরিষ্কার করবেন ? আরবের আর্থ-সামাজিক কারণের জন্য কোরাইশ বংশের ভাগ্য বঞ্চিত এবং আবার তারাই কী অন্য লোকজনদের উপর অত্যাচার করছে ? আর সেই কারণেই কী ইসলামের আগমন ? ব্যপারটা কেমন জানি প্যাঁচ লেগে যাচ্ছে। জটটা একটু ছাড়ান। যা বলতে চান তা ক্লিয়ার করে বলেন।
আকাশ মালিক একজন উগ্র নাস্তিক। কিন্তু আপনার উগ্র ধার্মিক হতে দোষ কী ? তিনি ইতিহাসের ও নাস্তিকতার সংজ্ঞা জানেন না । সংজ্ঞাটা আপনি ক্লিয়ার করে বলেন। আমরাও একটু শিখি। তার আবস্থাও আপনার মতো।আপনি বোধ হয় লিখতে চেয়েছিলেন, আপনার অবস্থাও তার মতো । কিন্তু উল্টো করে ফেলেছেন। যা হোক, বক্তব্য পরিষ্কার করে বলতে না জানলে এরকম হয়। যেমন আপনি আরব- কোরাইশ- ভাগ্য বঞ্চিত- নিগৃহীত- ইসলামের আগমন- দ্বারা কী বোঝইতে চাইলেন। বুঝতে :-X ।
শেষে বলি, আমি যদি আকাশ মালিকের মতো হই সেটা আমার গর্ব। কারণ. তিনি ইসলামিস্টদের মতো সভ্যতার জন্য হুমকী না।
আর যারা যুক্তি দেখাতে পারে না তাদের তর্কে ইতি টানা ছাড়া উপায় কী ? কিন্তু সত্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা তর্ক চালিয়ে যেতে চাই।
@হৃদয়াকাশ,
দেখা যাবে
@আসেফ,
এখানে দেখুন, সাম্প্রতিক সুরা ।
কেমন লাগলো, জানান।
ধর্ম ও ধর্মীয় গ্রন্থের বানীর উপর মানুষের বংশপরাম্পরায় বিশ্বাস । এই বিশ্বাসের কারণ নৃ-বিজ্ঞানে বিশ্লেষণ করা হয়েছে । বিশ্বাস যুক্তির উপর নির্ভরশীল নয় । তাই কোরাণে বর্ণিত বক্তব্য আল্লাহর বানী কিনা এ ধরণের মন্তব্য করা বোকামি । যেমন বাংলা পুথী, যা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ, তে বর্ণিত বক্তব্যকে অবাস্তব বলে সমালোচনা করি না । পুথীর নিম্ন উল্লেখিত পন্থিগুলো দেখুনঃ-
“ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল/কিছু দূর গিয়া মর্দ রওয়ানা হইল ।” বা “লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার/শু্মার করিয়া দেখি চল্লিশ হাজার ।”
@আ হা মহিউদ্দীন,
আর এইটা নিয়া ইসলামিস্টরা যখন ফাল পাড়ে, বলে কোরানে কোনো ভুল নাই, তখন সেইটা কী ? কোনো ধর্মকে নিয়ে এত সমালোচনা হয় না। ইসলামকে নিয়ে এত সমালোচনার কারণ কী ? কারণ একটাই, ইসলামিস্টদের বেশি লাফালাফি। ইসলামিস্টরা আগে বাড়াবাড়ি বন্ধ করুক, তখন আমরাও কিছু বলবো না।
““পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” এই বাণীটির দিকে একটু ভালো করে তাকালেই বোঝা যায় এই কথাটা নবীর। অথচ কোরান আল্লার বাণী, সেখানে নবীর কথা থাকতে পারে না। আল্লা যদি নিজে এই কথাটা বলতো তাহলে বাক্যটা হয়তো এমন হতে পারতো ,“ পড় তোমরা আমার নামে, কারণ আমি তোমদের সৃষ্টি করেছি।” অথবা, “পড় তোমার সৃষ্টি কর্তার নামে”- এমন হলেও চলতো।” এখানে যদি আমার শব্দটা বসত তাহলে তাহলে শিক্ষক ছাত্রদের পড়ানোর সময় বলত পড় তোমরা আমার নামে মানে শিক্ষকের নামে তিনি সৃষ্টি করছেন এমন অর্থ দাড়ায় নয় কি?আর এটা মনে রাখবেন এটা বাংলা অনুবাদ মূল আরবী নয়।
@মাহমুদুল হাসান,
মূল আরবিতে কথাটা কেমন ? একটু ব্যাখ্যা করেন না।
:lotpot: :lotpot: লেখা খুব ভাল হয়েছে। তবে কিছু বাক্য আপত্তি জনক।
@সীমান্ত ঈগল,
ভাই,
এত হাসছেন কেনো ? বলবেন কী ?
@হৃদয়াকাশ,
লেখাটা পড়ে খুব মজাপেয়েছি তাই এই হাসি :lotpot: কারন খুব সহজ সরল যুক্তিসংগত কথা, সত্যই যদি কোরান লাওহে মাহফুজে লেখা থাকত তবে এত পরিবর্তন এবং আরবের সংস্কৃতি এর মধ্যে থাকত না।
ভালো লাগল।
আবেগের বশে অনেক কথাই এসে পড়ে যা সবসময় গ্রহনযোগ্যতা পায় না।যুক্তিকে সাথে নিয়ে ধৈর্য ধরে এগুতো হয়।
এইসব অলৌকিকত্বে কোন সুখ ও কোন মুক্তি তা আমি বুঝি না!!!
সত্যি বুঝি না।ধার্মিকদের প্রতি করুনা ও আপনার জন্য শুভকামনা।
@রাহনুমা রাখী,
জন্য শুভকামনা আপনার জন্যও।
আল্লা নাকি এই কোরানকে আবার অনেক আগেই লাওহে মাহফুজ নামক কোনো এক স্থানে লিখে রেখেছিলেন। পরে তা দোস্ত হযরত মুহম্মদের মাধ্যমে ডাউনলোড করিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই লিখা থাকলে তা আবার ভুলভাবে অবতীর্ণ হয় কিভাবে ?
আমার মনে হয় net (ঐশী) লাইনে মাঝে মাঝে disconnection হইসে আর নয়তো tiger mate রা হ্যাক করছিল , পড়ে তাদের ইচ্ছা মতো এড কইরা নিসে !! :hahahee: :lotpot:
আল্লাহর দুনিয়ায় এতো নাম থাকতে এই নিকটাই কি পছন্দ হলো ভাই? আমি তো লেখা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। কী জন্যে তা বলবোনা। তবে এডমিন যে কারণে একটি লাইন মুছে দিয়েছেন সেই দিকটা খেয়াল রাখবেন। ক্ষোভ ও আবেগের বসে আমরা অনেকেই তা করি ( আমিও করেছি) যা আমাদের লেখার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে।
আরো একটা কথা, হাফসা ও আয়েশার ঘটনা, কোরানে ওমর ও আলীর অবদান, এ সমস্ত বিষয়ে একটা প্রবন্ধ লিখতে হলে শুধু আকাশ মালিক বা কাশেম ভাইয়ের লেখার রেফারেন্স দিলে চলবেনা। আপনাকে একই বিষয়ের উপর বিভিন্ন ঐতিহাসিক, অনুবাদক, মুফাসসিরিনদের বই পড়তে হবে, তাদের বক্তব্য নিয়ে আসতে হবে।
এটাই যদি মুক্তমনায় আপনার প্রথম লেখা হয়, লেখার ভুবনে আপনাকে স্বাগতম- (Y) (F)
@আকাশ মালিক, :guru:
ভাই,
কারণটা যদি পোস্টে জানানো সম্ভব না হয় তাহলে দয়া করে আমাকে পার্সোনালি জানান। আমার অশেষ উপকার হবে। নিচে ঠিকানা দিলাম
[email protected]
@আকাশ মালিক,
ভাই, আপনার যে সত্য হয় নি বলা বইয়ের রেফারেন্স দেওয়ায় আ হা মহিউদ্দীন আমাকে তো ডুবিয়ে ছাড়লো, দেখুন মন্তব্য নং ১৭।
দয়া করে আপনি এর একটা জবাব দ্যান।
বেশিরভাগ সাধারণ মুসলমানেরা ইসলামকে জানার ব্যাপারে তেমন কোন প্রয়োজনই অনুভব করেন না। তাতে করে তাদের বিশ্বাসটা আরো দৃঢ় হয়। পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিকোন ব্যতিরেকে কোরানসহ ইসলামী সংক্রান্ত পড়াশোনা করলে তাঁদের কোরানের উপর আস্তাটা কমে আসত বলে মনে হয়। এমন মুসলমানের সংখ্যা নেহাত কম নয়, যারা জীবনে কোনদিন কোরান ও হাদীসের নিজ ভাষার অনুবাদ পড়েনি। অথচ কোরানকে আল্লাহর গ্রন্থ অস্বীকার করে তাদের সামনে থেকে সুস্বাস্থ্য নিয়ে ফেরত আসতে পারা প্রায় অসম্ভব। আপনার যুক্তি নির্ভর লেখাটি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
@বাদল চৌধুরী,
কষ্ট করে পড়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ আপনাকেও।
ইন্টারেস্টিং।
@অথর্ব,
কোন কোন বিষয় ? না পুরোটাই ? একটু কষ্ট করে জানান না।
কুরাণ নাকি একটি কবিতা!! আর এটা বুঝতে হলে নাকি ঈমান লাগে!! :lotpot: :lotpot:
ঈমান নামক অস্ত্র পাচারটি যে- মানুষের বিচার বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া থেকে যুক্তির অপসারণ করে প্রশ্নহীন অন্ধ আনুগত্যের প্রতিস্থাপনের একটা কালো প্রক্রিয়া মাত্র তা ধর্ম বিশ্বাসীরা মানতে চান না!- আর তাই তো তিলকে তাল করেন; আর ধর্ম গ্রন্থকে মনে করেন ঐশী।
অনেকদিন মুক্তমনা ভালমত দেখা হয়নি। আজ আপনার এই লেখাটি পড়ে ভাল লাগল।
আপনার সূত্র সঠিক হয়েছে–সব সূত্রই ইসলামী বিশারদদের–ওনারা সবাই পাক্কা মুসলমান ছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে তাবারি, ইবনে ইশহাক, ইবনে সা’দ একেবারে অবিচ্ছদ্য। এঁদের ছাড়া ইসলামী ইতিহাস–তথা নবীজির জীবনি জানা যায় না। এর পরের যারা নবীর জীবনি রচনা করেছেন–তাঁদের সবারই প্রাথমিক সূত্র ওনারাই ছিলেন।
আচ্ছা একটা ব্যাপারঃ
এই হাদিস দেখিয়ে অনেক ইসলামী লেখক পাঠকদের ধোঁকা দিবার চেষ্টা করেন। হাদিস নাকি এই–নবী বলেছেন জ্ঞাণার্জনের প্রয়োজনে সূদুর চীন দেশে যাও।
আসল কথা হল এই ধরণের কোন হাদিসই নাই। আমি দশ বছর যাবৎ হাদিস পড়ছি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে—এই হাদিস আমি কোথাও পড়িনি। এমনকি অনেক ইসলামী পণ্ডিতেরা স্বীকার করেছেন এই হদিসের কোন সত্যতা নাই।
আমি অনুরোধ করব, কোন পাঠক যদি কোথাও এই হাদিস দেখে থাকেন, তবে হাদিস বই এবং নম্বর আমাকে জানান। আমি ভুল করে থাকলে তা স্বীকার করে নিব, মার্জনা চেয়ে নিব এবং আমার মন্তব্য উঠিয়ে নিব।
এই ইতিহাস কোরান তেলোয়াতকারী কোনো মুসলিম ইতিহাসবিদের লেখা বইয়ে পাওয়া যাবে না।
@গোলাপ,
টেকি সাফির মন্তব্যের জবাব দেওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এটা বলতে আসলে আমি বুঝাতে চেয়েছি যারা না বুঝে কোরান আবৃত্তি করে, ধর্মীয় ভাষায় যাকে বলে তেলোয়াত। আপনিই বলেন – দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া – কোনো মানুষ যদি তার মাতৃভাষায় কোরান না পড়ে তাহলে তার কতটুকু বুঝবে ? আবার শুধু কোরান পড়লেই হয় না, এর তাফসির জানতে হয়, আবার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইতিহাসও জানতে হয়, না হলে একটা আয়াত পড়ে এর বেশিরভাগেরই কিছুই বোঝা যায় না। আর আমাদের বাঙ্গালি মুসলমানরা কী করছে ?এদেশে ইসলাম আগমনের ৮০০ বছর পরেও তারা না বুঝে কোরান তেলোয়াত করে যাচ্ছে। এখনো অধিকাংশ মুসলমান নামাজে দাঁড়িয়ে কী বলে তা তারা জানে না।
রেফারেন্সে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাঁরা এই শ্রেণির মধ্যে পড়ে না। এরা কোরান পড়েছে বা অধ্যয়ন করেছে, তেলোয়াত করে নি।
ধন্যবাদ।
@হৃদয়াকাশ
এটা আসলে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে কোরান অলৌকিক নয়।কিন্তু যা্রা চোখ থাকতেও দেখেনা তাদের কি দেখানো যায় ?উল্টো তারা বড় গলা করে বলে আমরাই কিছু দেখতে পাই না।।আমরা হলাম কাফির মুরতাদ ।এসব শোনালে বলে এগুলো খ্রিস্টান নাসারাদের ষড়যন্ত্র…এই ইতিহাস তারাই লিখছে…সেজন্য এগুলোর কোন মূল্য নাই তাদের কাছে…কারন তারা অন্ধবিশ্বাসী।তবুও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে লেখার জন্যে ।
@পাপী মনা,
ধন্যবাদ আপনাকেও। কিন্তু আপনি পাপী মনা কেনো ?
আপত্তিকর এবং অর্থহীন একটি লাইন যা লেখার মানকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। আশা করি লেখক ব্যাপারটি বুঝবেন।
লাইনটি মুছে দেওয়া হলো। মুক্তমনায় ঢালাওভাবে জাতিবিদ্বেষকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আশা করি লেখক বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখবেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
ভাই আমার অবস্থা এখন নজরুলের মতো। তাই নজরুলের কবিতার উদ্ধৃতি দিলাম।
কত আর সহ্য করা যায় বলেন? এই একটা জাতির ধর্মান্ধতা, অজ্ঞানতা আর মূর্খামিতে পৃথিবী আজ টালমাটাল। তাই হয়তো, দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি।
যারা আমাকে উপর্যুক্ত লাইনটার জন্য সতর্ক করেছেন তাদের ধন্যবাদ। :guru:
@হৃদয়াকাশ,
when a particular religious people are at darkness we have to literate them through our writings & continuous effort. its not against a community its for the betterment of human being.
@Nafees Sobhan,
It doesn`t understand many people.
এর পর থেকে সবার বোঝার সুবিধার্থে বাংলায় মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ। (F)
@রামগড়ুড়ের ছানা, (Y)
পুরো লেখার মানই এই এক লাইনই ভীষন ভাবে মেরে দিয়েছে।
বিশ্বাসগত ব্যাপারে মানুষ সবসময়ই যুক্তির ওপরে, শুধু তার জন্যই মানুষকে মোটা মাথা বলতে গেলে জগতের বেশীরভাগ মানুষই তাই, কারন বেশীরভাগ মানূষই কোন না কোন প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাস করে যেগুলি জাষ্টিফাই করতে গেলে অন্ধবিশ্বাস ছাড়া উপায় নেই।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বুঝেছি।
ধন্যবাদ
এই ধরণের লেখাতে একটাই সমস্যা, ঐতিহাসিকভাবে কোন ঘটনার কারন সম্পর্কে ঐক্যমতে পৌঁছানো যায় না। কারন রেফারেন্স হিসেবে যাদের লেখা ব্যবহার করা হয় তারাতো আবার মুসলিম না।
তাই আমার কাছে সবচেয়ে ভাল রেফারেন্স হবে সেগুলো যাতে শুধু কোন ব্যক্তি (যেমন মুহাম্মদ) কেন্দ্রিক ইতিহাস নয় বরং আগে পিছের সব ইতিহাস পাওয়া যায় এমন বর্ননা। যানিনা এমন বই/কিতাব পাওয়া যায় কিনা।
@টেকি সাফি,
এই ধরণের লেখাতে একটাই সমস্যা, ঐতিহাসিকভাবে কোন ঘটনার কারন সম্পর্কে ঐক্যমতে পৌঁছানো যায় না। কারন রেফারেন্স হিসেবে যাদের লেখা ব্যবহার করা হয় তারাতো আবার মুসলিম না।
@গোলাপ,
দুঃখিত মনে হচ্ছে আমার বক্তব্য ঠিক ভাবে বুঝাতে পারিনি। মুসলমান না বলতে আমি বুঝাচ্ছি, আপনি বলছেন সাদ কী কারনে ইসলাম ত্যাগ করে তার কথা, আরেকজন আস্তিক যদি এসে উলটে দিয়ে বলে আপনার কথা মানিনা। আপনি আবার ওদের কায়দা করে লেখা (ধরুন সেখানে দেখানো হয়েছে সাদ কোন একটা কারনে ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল বা বললো না ত্যাগই করেনি) আরেক হুযুরের লেখা মানবেন না।
যাকগে এ নিয়ে আমার জ্ঞ্যান খুব কম। তাই আমার বক্তব্যও পরিস্কার করতে পারলাম না মনে হয়।
@সৈকত চৌধুরী,
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কিছু লিংক দেবার জন্য ।
একজন যুক্তিবাদি কোনো গ্রন্থকেই অলৌকিক বলে মেনে নিতে পারেন না। আমি কোরানের অলৌকিকতার উপর ২ পর্ব লেখেছিলাম। আমার কথা ছিল একদম সরল- কোরানকে যারা অলৌকিক বলে দাবি করে তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে কোরান অলৌকিক, তারা তা করতে ব্যর্থ হলে তাদের এ দাবির আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকল না।
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? – ১
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? -২
এ বিষয়ে নাস্তিকতার ধর্মকথার অসাধারণ একটা লেখা –
আল্লাহ, মুহম্মদ সা এবং আল-কোরআন বিষয়ক কিছু আলোচনার জবাবে.. –
বাংলা কোরান পাবেন এই লিংকে।
বোখারি হাদিস
আল-কোরান