কি নিয়ে এত ভাবছেন? এত পেরেশানি , এত চিন্তা – সবি বৃথা। জানেন না , কুয়ান্টাম ফিজিক্স আপনার অস্তিত্বকেই নাই করে দিয়েছে। আপনার কোন চিন্তা নেই , কারন চিন্তা করার জন্য আপনার কোন শরীর বা মন বা জীবণ নেই। সকলি মায়া। চিন্তা নেই , কারন চিন্তা করার মানুষ নেই। যদি ভেবে থাকেন পাগলের প্রলাপ বকছি , তাহলে এই শতাব্দির অনেক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক , দার্শনিক ও কিছু ধার্মিক আপনাকেই পাগল ভাববে। মানুষের কোন অস্তিত্বই নেই , আধুনিক বিজ্ঞান ও গণিত এমনটিই প্রস্তাব করছে বা সম্ভাবনার কথা বলছে। আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান ও কুয়ান্টাম মেকানিক্সের যত অগ্রগতি হচ্ছে , ততই এটা পরিস্কার হয়ে উঠছে যে মানুষ হিসাবে আমাদের অস্তিত্ব একপ্রকার মায়া ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা ভেবে থাকি আমরা মানুষ , আমাদের শরীর আছে , ব্রেণ আছে যা দিয়ে চিন্তা করি। ভুল , এই ভাবনাটাই ভুল। আমরা কেউ নই। আমরা একেকজন বহুসংখ্যক মৌলিক পদার্থের অনু, পরমানু ও অন্যান্য আন্তঃআনবিক কণিকার সমষ্টি। আমাদের কল্পনাতেই শুধুমাত্র শরীর ব্রেণ ও মনের অবস্থান।
মায়া – এর সবটুকুই মায়া। এই শতাব্দির বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী অথার এডিংটন কুয়ান্টাম থিওরি সম্পর্কে বলেছেন : পদার্থ বিজ্ঞানের জগতে …. আমার কনুইয়ের ছায়া একটি টেবিলের ছায়ার উপরে সেভাবেই ঠেক দিয়ে থাকে , যেভাবে কাগজের ছায়ার উপরে কালির ছায়া গড়িয়ে যায়….. বাস্তবতা হলো , পদার্থবিজ্ঞান যতই উন্নতি করছে , ততই ছায়ার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। ছায়া বলতে অথার এডিংটন মায়া বা illusionকেই বুঝিয়েছেন। বিজ্ঞানের অনেক শাখা থাকলেও কণিকা বিজ্ঞান বা পার্টিকেল ফিজিক্স বাস্তবতার মৌলিক ধারনায় আঘাত করেছে এবং যত বেশি সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাচ্ছে , ততই ‘বাস্তবতা বলে কিছু নেই’ এমনটাই মনে হচ্ছে। গত ৩০০ বছর ধরে বিজ্ঞান এমনটাই ধারনা করে এসেছে যে , সকল বস্তু ‘পরমানূ’ বা ‘এটম’ দ্বারা গঠিত। স্যার আইজাক নিউটন এই ধারনাকে আরো মজবুত করেছেন পরমানূকে বিলিয়ার্ড বলের সাথে তুলনা করে। যথেষ্ঠ সংখ্যক এই বল একটার পরে একটা রেখে একজায়গায় জড়ো করুন এবং তারপরে গুতো দিয়ে বলগুলোকে গড়িয়ে দিন। আপনি পাবেন পাথর , গাছপালা , জীবজন্তু ও মানুষ। তবে ১৯০০ সালে আইন্সটাইনের হিরো , প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্ক শক্তির রেডিয়েশন নিয়ে গবেষনা করার সময় কিছু অস্বস্তিকর আবিস্কার করে বসেন। সংক্ষেপে- মৌলিক লেভেলে বস্তু কঠিন/শক্ত (solid) নয় বা লাগাতার (continuous) ও নয়। কোন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিলিয়ার্ড বল ও নয়। একটি পরমানূকে ভাঙলে আপনি পাবেন এক বা একাধিক ইলেক্ট্রন , প্রটন এবং হয়তো বা নিউট্রন। এখন আমরা জানি এখানেই শেষ নয় , এগুলোকে ভেঙ্গে আপনি পেতে পারেন বোসন , কুয়ার্ক , টাখিওন এবং আরো বহু ‘ছায়া কণিকা’ , যেগুলো এই আছে তো এই নেই। চোখের পলকে এগুলো আবির্ভুত হচ্ছে আবার অদৃশ্য ও হচ্ছে।
এই ছায়া কণিকা যখন অদৃশ্য হয় , তখন কোথায় যায়? কোথাও যায় না , এদের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যায়। আবার পরক্ষনেই এরা আবির্ভূত হয়। তাতে কী? এমন প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে। তাতে কিছু না , তবে কিনা আমাদের মানুষের শরীর এই সকল মৌলিক ভুতুড়ে ছায়া কণিকা দিয়ে তৈরি। তাই একটু চিন্তা হয় বৈ কি। আমাদের বেশিরভাগই পানি , আর রক্তে আছে কিছু লোহা , হাড়ে ক্যালসিয়াম ও কম বেশি অন্যান্য মৌলিক উপাদান। এই সকল উপাদানের প্রত্যেকটিই পরমানূ দিয়ে তৈরি। পরমানূগুলো আবার ভুতুড়ে ছায়া কণিকা দিয়ে তৈরি। এই আছে তো এই নেই। একমুহুর্তে বাস্তব তো পরমুহুর্তে অবাস্তব। বিজ্ঞানীরা বাস্তব ও অবাস্তবের মধ্যকার মুহুর্মুহ এই অবস্থানের পরিবর্তনকে নাম দিয়েছেন – “quantum fluctuation”. ছায়া কণিকাগুলোর দোদুল্যমানতার সাথে সাথে আপনার শরীর দোদুল্যমান হয় , সেই সাথে আপনি। আপনার ব্রেণ ও ব্রেনের ভিতরের রাসায়নিক কণিকাগুলো ও ফ্লাকচুয়েট করে। ফ্যাক্ট হলো হয়তো বা এই মুহুর্তে আপনি ‘কিছুই না'(nothingness) , তো পরক্ষনেই ‘কিছু’ একটা(somethingness)।
এমনকি সবচেয়ে কঠিন শক্ত পদার্থের পরমানূ ও কঠিন নয়। পরমানূর ৯৯.৯৯৯৯৯ ভাগই হলো শুন্য স্পেস। আমরা যদি একটি পরমানূর নিউক্লিয়াসকে পিং পং বলের সমান কল্পনা করি এবং এটাকে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের কেন্দ্রে তথা মাঝখানে রাখি , তাহলে যে ইলেক্ট্রনটি এই নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ঘোরে , সেটার অবস্থান স্টেডিয়ামের বাইরের দেয়াল বরাবর। নিউক্লিয়াস ও ইলেক্ট্রনের মাঝে কী আছে? কিছুই না , শুন্য স্পেস। এই নিউক্লিয়াস ও ইলেক্ট্রন কী দিয়ে তৈরী? এগুলো আরো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণিকা বোসন , কুয়ার্ক , টাখিওন এবং আরো বহু ‘ছায়া কণিকা’ দ্বারা গঠিত। এগুলো কঠিন , তরল নাকি বায়বীয়? সেটা জানা না গেলেও ধারনা করা হয় এগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি , যেটাকে স্ট্রীং বা তারের ভিন্ন ফ্রিকুয়েন্সির ধ্বণির সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। তাহলে বুঝলাম একটি সোনার বার বা আপনার বাড়ি বা আপনি নিজে আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি/ধ্বণির সমষ্টি এবং ৯৯.৯৯৯৯৯ ভাগ শুন্য স্পেস ছাড়া আর কিছুই না।
বুঝলাম সবি মায়া , শুন্য। এখন আমি যদি আপনাকে একটা কষে চড় মারি , তাহলে আপনি তো ব্যাথা পাবেন , নাকি এটাও মায়া?
এটার উত্তর জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে মায়া কিভাবে কাজ করে। মায়া কিভাবে কাজ করে সেটা জানতে হলে গোডেলের অসম্পুর্ন থিওরেম( Incompleteness Theorm) , হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার সুত্র (Heisenbreg Uncertainty principle) জানা লাগবে। এছাড়াও জানা লাগবে মানুষের ভাষা ও বিতর্ক কিভাবে মায়ার অংশ হয়ে আমাদেরকে মায়ার আরো গভিরে ঠেলে দিয়েছে। পাঠক আগ্রহী হলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে লিখতেও পারি।
তারপরো লেখাটা থাকনা, ভাই।
@বাসার, আপনাকে ধন্যবাদ। গ্রীষ্মের দুপুরের এক পশলা বৃষ্টির মতোই স্বস্তিদায়ক আপনার মন্তব্য।
ওই সাইটে একটা মজার কমেন্টস পেলাম
মুক্তমনা সমন্ধে আমাদের ইম্প্রেশন নষ্ট করার জন্য এই একটি লেখাই যথেষ্ঠ।
@সহৃদয়,ঠিক কিভাবে মুক্তমনা সমন্ধে আপনাদের (আপনি কি দলগতভাবে ব্লগিং করেন?) ইম্প্রেশন নষ্ট হচ্ছে , একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
উদ্ভট কল্পনা কে নিরুৎসাহিত করার অর্থই হলো , বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া। একারনেই মানুষ দলে দলে Matrix দেখে।
@সহৃদয়, আমি একজন পাঠক। সেই ২০০৭ সালের শুরু থেকে। সেই হিসাবে বলতে পারি এত সহজে মুক্তমনার মুক্তমনার ইম্প্রেশন নষ্ট হবার কথা নয়। তাছাড়া আমার মতো পাঠক, যারা নতুন কিছু পড়তে পারলেই খুশি তাদের জন্য লেখাটা ঠিক অতটা খারাপ নয় বলেই মনে হচ্ছে। মুক্তমনার অনেকেই কপি করছে, একই জিনিস বারবার লিখছে কেউতো খুব একটা উচ্চ বাচ্চ করেননা। লেখকের উচিৎ ছিল সঠিক লিংক দিয়ে দেয়া। ধন্যবাদ মুক্তমনাকে আরো সহনশীল হবার জন্য।
@এডমিন,
ফারুক এখনও রেফারেন্সটা ঠিক করেনি। হয়তো করবেওনা। এছাড়া মুল লেখককে অপরিচিত বলাটা অপ্রাসঙ্গিক এবং অপমানেরও সামিল। তারপরও লেখাটি কি প্রথম পাতায় রাখা যায়?
তাছাড়া তার পরবর্তি সমস্ত লেখা মডারেশনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি। মুক্তমনায় তার মত জোকারের লেখা না থাকলে ভাল বৈ খারাপ হবেনা।
@হেলাল,
ভাল কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ। “পাগলকে পাগল বলিও না।”
জোকার থেকে বিজ্ঞানী হতে কতক্ষন? মুহুর্তের ব্যাপার। আপনার দাবী অনুযায়ী জোকারের লেখা মডারেশনের আওতায় আনার টেকনিক্যাল কিছু অসুবিধা আছে। মডারেশনের আওতায় আনার সময় দেখা গেল , জোকারের বিজ্ঞানীতে রুপান্তর ঘটেছে!! 😀
@মুক্তমনা এডমিন,
ফারুক সাহেবের লেখা মডারেশনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
@নীল রোদ্দুর,বোঝাই যাচ্ছে নষ্ট করার মতো সময় আপনার প্রচুর আছে। দাবী দাওয়া করে সময় নষ্ট না করে , “মুক্তমনা কি?” পড়ে ফেলুন।
মুক্তমনা এডমিন,
আমিও হেলাল আর নীল রোদ্দুরের মন্তব্য রিজোনেট করছি। প্রতিবার হযরত ফারুক একএকটা ইনফ্লামেটোরি পোস্ট লেখে, এডমিনের পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, ফারুক বলে ‘ঠিকাছে এডমিন ভাই, এক্কেবারে আলিফের মতো সোজা হই গেলাম ফ্রম নাও অনওয়ার্ডস!’, অতপর ফারুক মাস দুয়েকের জন্য সোনার মদীনায় হিযরত করে, হিযরত শেষে ফিরে এসে আবারও আরেকটা চুলকামানী পোস্ট লেখে, চক্র পুনরায় শুরু হয়। আমার কোন আপত্তি থাকতো না এই চক্র যদি এডমিনের সারা জীবন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ফারুক কেনো তবে, আরকি কোন ইসলামিস্ট নেই বাংলাদেশে? মুক্তমনা একটি কেন্দ্রীয় চেতনা হিসেবে বলে প্রোসায়েন্টিসমকে নির্ধারণ করে থাকে, ফারুকের এই এন্টিসোস্যাল পোস্টগুলো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প কিছু দিয়ে কি প্রোসায়েন্টিজমের এই মনোহরণকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায় না মুক্তমনার প্রথম পাতায়??!! যেমন- খাঁজা হযরত হয়রানের দুই-একটি পোস্ট প্রকাশ করা যেতে পারে, এপারেন্টলি ইছলামের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করেনা এমন কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে খাঁজা হয়রানের কোন সমস্যা নেই, কিংবা বিজ্ঞান শব্দটাই যে ইসলামের সাথে সবচেয়ে বাজেভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত এটা অনুধাবন করার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান-বুদ্ধিও নেই। এই দৃষ্টিতে হয়রানতো খাঁজা ফারুকের চেয়ে মুক্তমনার জন্য অনেক অনেক বেশী ফেভারেবল একটা ইসলামিস্ট তাই না, সে অন্তত ফারুকের মতো আগাগোড়া এন্টিসায়েন্স নয়। মুক্তমনায় খাঁজা হযরত হয়রানের একটি লেখা দেখতে চাই, প্রেফারেবলি ওই পোস্টটি যেখানে এই তথ্যটি খাঁজা গভীর বিশ্লেষণ এবং ডিকন্সট্রাক্টিভ পোস্টমডার্ন বগেষণা করে বের করেছেন যে- ‘মোছল্মানরা সন্ত্রাস করে না, টুইন টাওয়ার মোছল্মানরা ফুটায়নি’। কিংবা এডমিনওতো একজন মানুষ, এইধরণের লেখা পড়ে এডমিনের নিজেরও কি মাঝে মাঝে ইচ্ছা করেনা হার্ডকভার একটা কোরানশরীফ দিয়ে লেখকের দাঁতের উপর আস্তে আস্তে দুইডা বাড়ি দিতে 😀 , সচেতনভাবে না হলেও অবচেতন মনের গহীন কোন গোপনে?
খাঁজা ফারুক কিন্তু এই পোস্টটি আমার ব্লগেও দিতে পারতো, তবে সে কিন্তু খুব ভালোভাবেই জানে যে আমারব্লগে এটি দিলে পাঁচজন মানুষও পড়বে না; ছায়া-মায়া নিয়ে আন্তর্জালের অজানা কোন কোনা কাঞ্চি হতে মেরে দেওয়া একটি কপি-পেস্ট পোস্ট খুব একটা সমাদৃত হয়না সাধারণত। কিন্তু এটা না করে ফারুক এই নিন্মমানের কপি-পেস্ট উদগিরিত করেছে মুক্তমনায় কেননা সবাই একবার করে গদাম দিতে আসলেও পোস্টটি তার অনেকবারই পড়া হয়ে যাবে। প্লিইইজ এই পোস্টটি ট্রাশ করুন এবং এইবার না হলেও তার পরবর্তী গরুবান্ধা পোস্টটি সে প্রকাশ করার পর (অবভিয়াসলি যেটা কিনা সে নিশ্চিতভাবেই করতে যাচ্ছে) ফারুক সমস্যারও একটা সমাধান করুন। অর এল্স অন্তত একটা উত্তর দিন যে- ‘না, ফারুকের এই পোস্টটি হরেক রকমের চমতকার চমতকার সায়েন্টিফিকপ তথ্যাদি দ্বারা ঠাঁসা বিধায় এটিকে আমরা ট্রাশ না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেননা মুক্তমনা একটি প্রোসায়েন্স ব্লগ।’ এই সিকোয়েন্স অফ ইভেন্ট আমি মনে করি পাঠকদেরকে কিনারার দিকে ঠেলছে ক্রমাগত। একে অভিহিত করা যেতে পারে প্রচন্ড প্রচন্ড বিকর্ষণীয় হিসেবে, কিংবা যদি সন্দেহ করেন কারও কারও কাছে এটা আকর্ষণীয় মনে হলেও হতে পারে, তাহলে তাকে/তাদেরকে হাত তুলে সম্মতি জানান দিতে অনুরোধ করুন! :-[
ফারুক,
আপনার লেখার নীচে রেফারেন্সগুলো সঠিকভাবে দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কোন লেখা অনুবাদ করলে লিখুন অমুক লেখকের অমুক লেখার অনুবাদ। মূল লেখাটিরও লিঙ্ক দিন। তা না করে ‘অপরিচিত এক কলাম লেখকের লেখা অবলম্বনে’ লিখে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল হবে। এর আগেও আপনার লেখা নিয়ে ব্লগে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিলো। পুরো লেখা কপি করে পোস্ট দিয়েছিলেন রেফারেন্স ছাড়াই। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আপনাকে যত্নবান হতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন, ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরো যত্নবান হতে সচেষ্ট হব।
মায়া মায়া সবই মায়া!!!
আপনার লেখাও মনে হয় সেই প্রকৃতির…এই কিছু না আবার এই তো সব!!!
@বুনো বিড়াল, সবি যখন মায়া , তখন আমার লেখাটাও যে মায়া/ছায়া , সেটা কি আর আলাদা করে বলা লাগে?
এমন ও হতে পারে এই দেখছেন নীড় পাতায় এ লেখাটি আছে , পরক্ষনেই দেখবেন নেই। আমার একটি পোস্ট এভাবেই মায়া হয়ে গিয়েছিল 🙂
অনুগ্রহ করে লেখাটি এডিট করে ঠিকমত রেফারেন্স দিন,এভাবে রেফারেন্স দেয়া মুক্তমনার ইমেজের জন্য ভালো নয়।
@রামগড়ুড়ের ছানা,এমন পোস্টের জন্য আসলেই কি রেফারেন্সের প্রয়োজন আছে? এটা তো আর গবেষণামূলক কোন প্রবন্ধ নয় বা কোন থিসিস ও নয়। সাধারন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কিছু ভাবনার কথাই এই পোস্টে লেখা হয়েছে। বিজ্ঞানের যে সকল তথ্য উপাত্ত এখানে দেয়া হয়েছে , সেগুলো তো সর্বজন বিদিত। ভুল তো মনে হয় নেই , তবু ও ভুল তথ্য উপাত্ত থাকলে রেফারেন্সসহ ধরিয়ে দিন।
তাছাড়া যে কলাম লেখকের লেখাকে অবলম্বন করে এই পোস্ট লেখা , তিনি সত্যিই অপরিচিত ও অখ্যাত একজন লেখক। ১০ দিন আগে পর্যন্ত তার নাম ও শুনিনি। তার রেফারেন্স দিয়ে পাঠকের খুব একটা কাজে আসবে বলে মনে হয় না। তবু ও কেউ চাইলে টেকি সাফির ৩ নং মন্তব্যটি পড়লেই এই পোস্টের রেফারেন্স পাবেন।
@ফারুক,
রেফারেন্স দরকার না থাকলে দিবেননা,কিন্তু দিলে ঠিকভাবে দেয়া উচিত,সেটাই বলতে চাচ্ছি। এছাড়াও আকাশ মালিক বলছেন এটা সম্পূর্ণ অনুবাদ,আমি যাচাই করে দেখিনি তবে যদি অনুবাদ হয় অথবা ৭০-৮০% ভাগের বেশি মিল থাকে তাহলে অখ্যাত হোক আর যাই হোক,মূল লেখার লিংক দেয়া উচিত,তাহলে আপনাকেও কেও এই নিয়ে আক্রমণ করবেনা,লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করবে। টেকি সাফি দিয়েছেন ভালো কথা,কিন্তু আপনার উচিত ছিল নিজেরই লিংকটা দেয়া। আশা করি বুঝাতে পেরেছি আমার কথা 🙂 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা, রেফারেন্স নিয়ে এত এত তুলকালাম কান্ড ঘটে গেছে যে , ইচ্ছা ও দরকার না থাকলেও , যেটুকু দিয়েছি অনিচ্ছা সত্বেও দিয়েছি। তাও দেখুন না , চুরির দায় এড়াতে পারছি কই? :-X
সম্পূর্ণই তো সরাসরি অনুবাদ। আপনি জানেন এই লেখাটা বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষের ভিড়ে, মুক্তমনার মত ব্লগে প্রকাশ করার পরে পাঠকের প্রতিক্রীয়া কেমন হবে। জেনে বুঝে নিজেকে বিতর্কিত করে তুলবেন আর শেষে দোষ দিবেন মুক্তমনার। কেন যে এসব করেন ভাই বুঝিনা?
@আকাশ মালিক, আমি ও বুঝিনি , আপনি কী জেনে বুঝেই এই মন্তব্য করেছেন? মুক্তমনার সকল বিজ্ঞানমনষ্ক পাঠক যে আপনারি মতো প্রতিক্রীয়া দেখাবে , এমনটি ভাবলেন কেন?
কেন যে এমন মন্তব্য করেন ভাই বুঝিনা?
জনাব ফারুক এখান থেকে লিখেছেন। ওয়েবসাইটটার নাম লোকে না জানলে কী হবে? এখানে সব দুনিয়ার বাঘা বাঘা থিউরির জন্ম হয়। :lotpot:
@টেকি সাফি,
ঐখানে পাঠকদের মন্তব্যগুলো দেখেছেন? কী আজব এই দুনিয়ারে ভাই। আপনারা পৃথিবীকে সত্যটা জানিয়ে দিন। এই পৃথিবীর আপনাদের মত বিজ্ঞানমনষ্ক যুবক মানুষের বড়ই প্রয়োজন।
@আকাশ মালিক,
পৃথিবী সেই দিনের অপেক্ষায় আছে। তবে আপনি মনে হয় ভুল পাত্রে আপনার বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। উনি সত্য উদ্ঘাটনের চেয়ে ওয়েবসাইট উদ্ঘাটনে বেশি পারদর্শী। :hahahee: :hahahee:
@টেকি সাফি, 😀 😀 :lotpot: :lotpot:
বড়োই মজা পেলুম!
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@টেকি সাফি, খাঁজা হযরত ফারুক ছাল্লাল্লাহের লুঙ্গি খুলে দেওয়ার জন্য টেকি সাফিকে কষে মাইনাস!! :lotpot:
এই প্যাটার্নের পোস্টতো ফারুক এর আগেও দুই-এক হালি লিখছে। ওইসব পোস্টে পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখার পরও ফারুকের মনে দ্বন্দ্ব রয়ে গিয়েছে যে- “সম্ভবত এখনও মুক্তমনা পাঠকেরা আমার এইসমস্ত লেখা নিয়ে আগ্রহী হলেও হতে পারে, you never know, afterall সবইতো ছায়া-মায়া”? :-[ নাকি ছায়া-মায়া তত্ব ফারুককে এতোটাই কনফিউস করে রেখেছে যে- কইষা গদাম আর আগ্রহান্বিত হওয়ার মধ্যকার পার্থক্যও বিলিন হয়ে গিয়েছে তার চিত্ত হতে?
আরও একটা ব্যাপার, কোনখান থেকে মারছে এইটা ফারুক নিজে উল্লেখ করলো না কেনো, টেকি সাফিকে করতে হলো কেনো? এইটা কি অসততাপুর্ণ প্লেইগিয়ারিজম নয়? মানে যেইধরণের অসততাপুর্ণ আচরণ আমরা কিনা আশা করি একটি সংবেদনবোধহীন জড় মুসলমান জীবের কাছ থেকে? রিমোর্স রেসপন্স এবডোমিনাল ক্যাভিটিতে সেঁধিয়ে রাখা নির্লজ্জ এটেনশন হোরদের পুনরায় কইষা গদাম! (N)
@টেকি সাফি,আপনি আসলেই টেকি। এত তাড়াতাড়ি আমার গুমোর ফাঁস করে ফেলবেন , স্বপ্নেও ভাবিনি। :clap
বৃক্ষের পরিচয় নামে নয় , ফলে। ওয়েবসাইটটার নাম হয়তো বা কারো কাজে লাগবে , তবে পাব্লিকের আরো বেশি উপকারে আসবে পোস্টের বক্তব্যের টেকি ভুল গলো ধরিয়ে দিলে। সেটি করে আপনার নামের সার্থকতা প্রমাণ করুন। ততক্ষন পর্যন্ত :lotpot:
@ফারুক, সাফি কে নিয়ে আপনি হাসছেন কি করে! সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে আপনি যে উৎস উল্লেখ করেননি, সাফি সেটাই বলে দিয়েছে।
আর সাফি এখানে এই লেখার ব্যাপারে কোন কথা বলেনি, কারণ সে এটুকু জানে, এই লেখার আলোচনা সমালোচনা যদি করতেই হয়, তাহলে সেটা মূল লেখাতেই করা উচিত, মেরে দেয়া লেখাতে না। আর এইভাবে লেখা মেরে যে দেয়, তার পোষ্টে বসে বসে সময় নষ্ট করার মত সময় আমাদের অনেকেরই নেই।
আচ্ছা ভাই, যেখান থেকে পারেন অথেন্টিক রেফারেন্স দিয়ে বলেন তো, বিবেচনা বোধ কারে কয়? এইটা যদি বুঝতেন, তাহলে দিনের পর দিন আপনি এভাবে মুক্তমনায় এসে সার্কাস দেখাতেন না মনে হয়। 🙂
আপনার সার্কাস ব্লগের পরবর্তী শো এর অপেক্ষায় রইলাম। 😀
@নীল রোদ্দুর,
আপনি সাফির মনের কথা ও জানেন!! :-O
আমার সকল লেখায় এভাবে মেরে দেয়া। সময় , বিবেচনা বোধ এগুলো কী জিনিষ? খায় না মাথায় দেয়?:-s
@নীল রোদ্দুর,
ঠিক উনাকে ব্যাখ্যা করলে উনি আরেকদিকে লম্ফ মারবেন বুঝার চেষ্টা করাতো দুরের কথা।
প্রথমে ভাবলাম একটু লিখি পরে উনার কোয়ান্টাম কে কুয়ান্টাম লেখা দেখেই মেজাজ খারাপ হয়েছে।
আর উনাকে কে বুঝানোর ক্ষমতা রাখে মায়া ততক্ষন যতক্ষণ আমরা পর্যবেক্ষন না করছি, পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে আমরা বাস্তবতা নির্ধারন করি। ফোটন একই সাথে মাল্টিপল প্লেসে আছে, হ্যা একই সাথে আমার ঘরের চিপায় ও অ্যান্ড্রোমিডার কোন কক্ষপথে কিন্তু যেই মাত্র একে আমরা ডিটেক্ট করব সেই সময়ে এর অবস্থান পরিস্কার হয়ে যায়।
দুই স্লিটের মধ্যে দিয়ে এক প্রোটন যায় সত্য কথা, কিন্তু যেকোন একটা স্লিটে একটা পার্টিকেল ডিটেক্টর বসিয়ে দিলে সেটা যেকোন একটা স্লিট দিয়েই যাবে।
এমন মনে হতে পারে, ফারুক মশায় একই সাথে আমেরিকা,বাংলাদেশে অবস্থান করছে না কেন! উত্তর সোজা, উনি পারিপার্শিকের সাথে আন্তঃপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যবেক্ষিত হচ্ছেন, আমরা কিছু দেখার মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করি মানে ফোটন সেই জিনিসটাকে পর্যবেক্ষন করছে, অর্থাৎ তিনি সবসময় ডিটেক্টরের সামনে থাকছেন তাই একই সাথে দুই জায়গায় থাকার আর প্রশ্ন আসে না।
স্রোডিংগার এইটাই দেখিয়েছিলেন তার থট এক্সপেরিমেন্টে, বিড়াল ততক্ষন পর্যন্ত জীবিত এবং মৃত যতক্ষন আমরা একে ফোটন পাঠিয়ে দেখছি, বায়ু তরংগ দিয়ে শব্দ মাপছি মোদ্দা কথা অবসার্ভ না করছি, একবার বাক্স খোলা মাত্র সেটা হয় মৃত হবে নইলে জীবিত হবে, তখন আর জীবিত ও মৃত বলে কিছু নেই। এইটাই হচ্ছে পর্যবেক্ষন নির্ভর বাস্তবতা।
আর উনার ব্যাপারটা হইসে কি? মনে করুন একটা কথা লেখা আছে মানুষ বাঘের খাদ্য খায়। কারন মানুষ হরিণ খায়। উনি করলেন কি প্রথম লাইন পড়েই
হায় হায় মানুষ নাকি বাঘের খাদ্য খায়! ভাগ্যিস বাঘ গু খায় না, নাহলে মানুষ ও খাইতো।
এই হলো উনার হাল, কোয়ান্টাম মেকানিক্স উনার মূল লেখক বুঝেন না উনিও বুঝেন না, প্রথম লাইন পড়সে, কোয়ান্টাম মেকানিক্সে পরম রিয়েলিটি বলে কিছু নেই। আর উনি এসে মায়া মায়া লাগাই দিলেন 😀 পরের লাইনে যে লেখা ছিলো Until you observe it! সেইটা উনি খেয়াল করেন নাই :lotpot:
@টেকি সাফি, তা মেজাজ কিসে ভাল হলো? যাই হোক , আপনিই প্রথম ব্যাক্তি যে এই পোস্টের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা/সমালোচনা শুরু করল , একারনে আপনাকে ধন্যবাদ।
কুয়ান্টাম ইংরেজি শব্দ। পর্যবেক্ষকভেদে এর উচ্চারন একেকজনের কাছে একেকরকম শোনায়।
quality – কুয়ালিটি নাকি কোয়ালিটি?
quick – কুইক নাকি কোইক?
এবার কুয়ান্টামের উচ্চারন শুনুন – quantum
দুই স্লিটেই যদি একটি করে দুটি পার্টিকেল ডিটেক্টর বসিয়ে দেই , তাহলে কোন স্লিট দিয়ে প্রোটনটি যাবে? (প্রোটন তো অনেক বড় হয়ে গেল , বোসন , কুয়ার্ক বা অন্যান্য ছায়া কণিকা যারা আবিস্কারের অপেক্ষায় আছে তাদের কথাই বলা ভাল নয় কী? কুয়ান্টাম ফিজিক্স বলে কথা!)
একটু ভুল হয়ে গেল না? একি সাথে আমেরিকা ও বাংলাদেশে আমি অবস্থান না করলেও একি সাথে বাংলাদেশে ও অন্য কোন ভার্সে বা অন্য কোন ডাইমেনশনে অবস্থান করছি না , সে ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে? অন্যভার্সে বা ডাইমেনশনে হয়তো বা অন্য কেউ আমাকে ঠিকি পর্যবেক্ষন করছে , যেটা আপনি জানেন না। এমনটা কি হতে পারে না? আপনার মাল্টিভার্স থিওরী বা কুয়ান্টাম ফিজিক্স এব্যাপারে কি বলে?
এতদিন জানতাম (নিউটন আইন্সটাইন যূগের ধারনা) বাস্তবতা (সত্য)পর্যবেক্ষন অনির্ভর। স্রোডিংগার দেখালেন- পর্যবেক্ষন নির্ভর বাস্তবতা। এর অর্থ দাড়ায় ভিন্ন পর্যবেক্ষকের জন্য বাস্তবতা ভিন্ন। সুতরাং আপনার পর্যবেক্ষন আমার থেকে ভিন্ন হবে , এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু আছে কী?
আচার্য শঙ্কর বেদান্ত ভাষ্যে বলেছিলেন ব্রহ্ম সত্য , জগত মিথ্যা এবং জীব প্রকৃত অর্থে ব্রহ্ম। জগত যে মিথ্যা বা মায়া সেটা ত অনেকদিন আগেই বলা হয়েছিল এখন শুধু প্রমানিত হচ্ছে।
@শেষাদ্রী শেখর বাগচী, মনে হয় ঠিকি বলেছেন। কোরানেও এমন একটি আয়াত আছে-
3:185 Every person tastes death, then you receive your recompense on the Day of Resurrection. Whoever misses Hell, barely, and makes it to Paradise, has attained a great triumph. The life of this world is no more than an illusion.
@ফারুক, আপনি কি খেয়াল করেছেন যে জিব প্রকিত অর্থে ব্রহ্ম এই কথাটা বলা আছে? এর মানে সত্যকে জানতে হলে নিজেকে জানার দরকার আছে। যাকে গীতায় বলা হয়েছে আত্মজ্ঞান।
কে যেন আমাকে বললো যে ঐ মায়ার আবার একটা জমজ আছে, আপনার লেখায় কোয়ান্টাম ওকে বা ঐ সব মায়া সমষ্টিকে দেখলাম না যে? :-s
@কাজী রহমান, আপনার সুত্র আপনাকে বল্লেও আমাকে এখনো মায়ার জমজের কথা বলে নি। 🙁 অসুবিধা নেই , আপনিই ঐ জমজের কথা লিখে ফেলুন। :))
অবশ্যই আগ্রহি। চালিয়ে যান…
@কবির বিটু, ধন্যবাদ আগ্রহ প্রকাশের জন্য। দেখি…..
কুয়ান্টাম :hahahee: :hahahee:
@শুভজিৎ ভৌমিক,হাসির কারনটা বুঝলাম না। তবুও আপনার হাসি দেখে বোকার প্রথম হাসিটা দিলাম। :hahahee: :hahahee:
কারন জানালে ২য় হাসিটা দেয়ার অঙ্গিকার করলাম।
@ফারুক,
হাসির কারণ জেনে লাভ কী ? দুনিয়ার সব কারণই হচ্ছে একেকটা মায়া। মায়া, সব মায়া। আল্লাহ-ভগবান-রাসুল-অবতার-কোরান-বেদ-গীতা-বাইবেল, সবই মায়া। তাই হাসিও একটা মায়া। :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@শুভজিৎ ভৌমিক, আপনার গতকাল করা মন্তব্য , আজ অবমুক্ত হয়েছে। এই দেরিটাও মনে হয় মায়া।
২য় হাসির আঙ্গিকার পুরণ করলাম , এটা যদিও মায়া- :hahahee: :hahahee: