আবুল কাশেম
মার্চ ১৮, ২০১১
৪র্থ পর্বের পর।
স্ত্রীর ভরণপোষণ
এই ব্যাপারে শারিয়া আইন একেবারে জলবৎতরলং। দেখুন:
শারিয়া আইন এম ১১.২ (ঐ বই পৃঃ ৫৪২)
স্বামীকে স্ত্রীর দৈনিক ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে হবে। স্বামী সচ্ছল হলে স্ত্রীকে প্রতিদিন এক লিটার শস্য দিতে হবে যা কিনা ঐ অঞ্চলের প্রধান খাদ্য। (O. এখানে প্রধান খাদ্য বলতে বুঝান হচ্ছে যা ঐ অঞ্চলের লোকেরা সর্বদা খায়, এমনকি তা যদি শক্ত, সাদা পনিরও হয়। স্ত্রী যদি তা গ্রহণ না করে অন্য কিছু খেতে চায়, তবে স্বামী তা সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। স্বামী যদি প্রধান খাদ্য ছাড়াও স্ত্রীকে অন্য কিছু খেতে দেয় তা স্ত্রী গ্রহণ না করলেও করতে পারে।) অসচ্ছল স্বামী প্রতিদিন তার স্ত্রীকে ০.৫১ লিটার খাদ্যশস্য দিবে। আর যদি স্বামীর সামর্থ্য এর মাঝামাঝি হয় তবে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রতিদিন ০.৭৭ লিটার খাদ্যশস্য দিতে বাধ্য থাকবে।
এছাড়াও স্বামীকে শস্য পেষণের খরচ দিতে হবে যাতে ঐ শস্য আটা করে রুটি বানানো হয়। (O. স্ত্রী একাজ নিজে করলেও স্বামীকে খরচটা দিতে হবে স্ত্রীকে।) রুটি খাওয়ার জন্য অন্য যে সব সামগ্রী দরকার, যেমন, মাংস, তেল, লবণ, খেজুর, সির্কা, পনীর ইত্যাদি তা ও সরবরাহ করতে হবে। এসবের পরিমাণ নির্ভর করবে মরশুমের উপর। ফলের মরশুমে যে ফল পাওয়া যাবে তাই হবে প্রধান। ঐ শহরের লোকেরা যে পরিমাণ মাংস খায় স্ত্রীকেও সেই পরিমাণ মাংস দিতে হবে।
স্বামী স্ত্রী উভয়ে রাজী থাকলে স্ত্রীর দৈনিক খোরপোষের খরচ স্বামী টাকায় অথবা কাপড়ে দিতে পারবে।
এখন ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসাব করুন: প্রতিদিন আপনার স্ত্রীকে কয় মুঠো চাল (বাংলাদেশে), কয় মুঠো ডাল, কি পরিমান লবণ, তেল, শাকসব্জি, মাংস, মাছ ইত্যাদি আপনি দিচ্ছেন! এর পরে এর টাকার পরিমাণটাও হিসেব করে নিন। এইই হবে আপনার স্ত্রীর দৈনিক ভাতা। এর বেশী আপনার স্ত্রী আপনার কাছে চাইতে পারবে না। ঐ দৈনিক খাদ্য দিয়েই আপনার স্ত্রীকে বেঁচে থাকতে হবে। এটাই হোল ইসলামী নিয়ম। আপনি দয়াপরবেশ হয়ে স্ত্রীকে বেশী দৈনিক ভাতা দিলে তা আপনার মর্জি।
শারিয়া আইন ১১.৩ (ঐ বই, পৃঃ ৫৪৩) স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি বস্তু সমূহ:
স্ত্রী তার কেশবিন্যাসের জন্য তেল, শ্যাম্পু, সাবান, চিরুনি পাবে। (যা সেই সহরে সচরাচর ব্যবহার হয়।) স্বামীকে তার স্ত্রীর বগলের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যে সুগন্ধির প্রয়োজন তা দিতে হবে। যৌন সংগমের পূর্বে ও পরে স্ত্রীর গোসলের যে পানি দরকার তা স্বামীকে দিতে হবে। সন্তান প্রসবের পরে রক্ত ধৌত করার জন্য যে পানির প্রয়োজন তাও স্বামীকে দিতে হবে। এই দুটি কারণ ছাড়া স্বামী তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসল অথবা ধৌতের জন্যে যে পানির প্রয়োজন তার খরচ দিতে বাধ্য থাকবে না।
শারিয়া আইন এম ১১.৫ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪) কাপড় চোপড়ের খরচ:
স্ত্রী যে অঞ্চলে থাকবে ঐ অঞ্চলের যা প্রধান পোশাক স্ত্রী তা পাবে। (O. পোশাক নির্ভর করবে স্ত্রী লম্বা না বেঁটে, খর্ব না স্থূল এবং মরশুম গ্রীষ্ম না শীত কাল।) গ্রীষ্ম কালে স্বামী বাধ্য থাকবে স্ত্রীকে মাথা ঢাকার কাপড় দিতে। এছাড়া গায়ের লম্বা জামা, অন্তর্বাস, জুতা ও একটা গায়ের চাদর দিতে হবে, কেননা স্ত্রীকে হয়ত বাইরে যেতে হতে পারে। শীতের মরশুমে ঐ একই পোশাক দিতে হবে এবং অতিরিক্ত হিসাবে একটা লেপের মত সুতি বস্ত্রও দিতে হবে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য। শীতের সময় প্রয়োজন পড়লে গরম করার তেল অথবা লাকড়ি যা দরকার তাও দিতে হবে। এ ছাড়াও সামর্থ্য অনুযায়ী স্বামীকে দিতে হবে, কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ ইত্যাদি। (O. খাওয়াদাওয়া ও পান করার জন্য যেসব সামগ্রী দরকার তাও স্ত্রীকে দেওয়া দরকার।)
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই সব কাপড় পোশাক স্ত্রী পাবে এক মরশুমের জন্য। অর্থাৎ এক মরশুমে যদি কাপড় পোশাক ছিঁড়ে যায় বা অকেজো হয়ে যায় তবে স্বামী আবার তা সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। তাই শীতের পোশাক যদি শীত শেষ হবার আগেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তবে স্বামী আবার শীতের পোশাক সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। এই আইনটিই বলা হয়েছে এম ১১.৭ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪) এ।
অনেকে ভাববেন এতো মন্দ নয়। ইসলাম স্ত্রীকে কিছু না কিছু অধিকার দিয়েছে তার স্বামীর কাছ থেকে পাওনার জন্য। কিন্তু এর মাঝে যথেষ্ট হেরফের আছে। দেখুন এই আইনটি।
শারিয়া আইন এম ১১.৯ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৫): স্বামীর ভরণপোষণ শর্তযুক্ত:
স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামী সে পর্যন্তই বহন করবে যে পর্যন্ত চাহিবার মাত্র স্ত্রী তার স্বামীকে দেহদান করে অথবা দেহদানের প্রস্তুতি দেখায়। এর অর্থ হচ্ছে স্ত্রী স্বামীকে পূর্ণ যৌন উপভোগ করতে দিবে এবং কোন অবস্থাতেই স্বামীর যৌন চাহিদার প্রত্যাখ্যান করবে না। স্বামীর ভরণপোষণ স্ত্রী পাবেনা যখন:স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হবে, তার মানে যখন স্ত্রী স্বামীর আদেশ অমান্য করবে এক মুহূর্তের জন্যে হলেও।
স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে ভ্রমণে যায় অথবা স্বামীর অনুমতি নেয়, কিন্তু ভ্রমণ করে নিজের প্রয়োজনে।
স্ত্রী হজ্জ অথবা ওমরা করার উদ্দেশ্যে এহরাম করে।
স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখে।
এখানে একটা প্রশ্ন এসে যায় কোন সময় যদি স্ত্রী অসুখে পড়ে যায় তবে তার কি হবে? কেই বা তার অসুখবিসুখের খরচা চালাবে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্যি যে শারিয়া আইন বলছে স্ত্রীর অসুখবিসুখ, ঔষধ পত্র অথবা চিকিৎসকের খরচ স্বামী বহন করতে বাধ্য নয়। যদি স্ত্রীর মেডিকেল খরচ স্বামী বহন করে তবে সেটা স্বামীর মানবিকতা—ইসলামী পুণ্য নয়।
এবার দেখা যাক আরও কতকগুলো ইসলামী আইন যা আমাদের মহিলাদেরকে বানিয়ে রেখেছে ক্রীতদাসী হিসাবে।
আইন এম ১১.৪ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪)
স্বামী তার স্ত্রীর প্রসাধন সামগ্রী, চিকিৎসকের খরচ, ঔষধের খরচ অথবা এই ধরনের অন্যান্য খরচ বহন করতে বাধ্য থাকবে না, যদিও স্বামী চাইলে তা করতে পারে। এটা শুধু সুপারিশ, বাধ্যবাধকতা নয়। কিন্তু শিশু জন্মের সাথে জড়িত খরচ স্বামীকে বহন করতে হবে।
আরও একটি অমানুষিক ব্যাপার হচ্ছে যে স্ত্রী তার ভরণপোষণ পাবে দৈনিক ভাবে—মানে দিন কে দিন। তার অর্থ হল, স্ত্রীর খাওয়া দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থার নিরাপত্তা মাত্র এক দিনের জন্য। স্বামী চাইলে যে কোন সময় তুচ্ছ অজুহাত তুলে স্ত্রীর ভরণপোষণ বন্ধ করে দিতে পারে।
আইন এম ১১.৬ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪)
দৈনিক ভাতা শুরু হবে দিনের শুরুতে। স্বামী তার স্ত্রীকে দিনের প্রথমে স্ত্রীর দৈনিক ভাতা দিতে বাধ্য থাকবে। মরশুমের শুরুতেই স্বামী তার স্ত্রীকে পোশাকের কাপড় দিয়ে দিবে।
তালাক প্রাপ্ত ও গর্ভবতী স্ত্রীদের কি অবস্থা?
আইন এম ১১.১০ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৬)
যে স্ত্রী ইদ্দতে থাকবে, সে তালাক (অস্থায়ী) অথবা বিধবার জন্যই হোক, তার অধিকার থাকবে স্বামীর গৃহে থাকার ইদ্দতের সময় পর্যন্ত। এরপর ভরণপোষণের ব্যাপারটা এই রকম:১। তিন তালাক (স্থায়ী তালাক) হয়ে গেলে স্ত্রী ইদ্দতের সময় ভরণপোষণ অথবা ইদ্দতের পর কোন প্রকার ভরণপোষণ পাবে না। বিধবা নারীও কোন দৈনিক ভাতা পাবে না।
২। ভরণপোষণ হবে একমাত্র ইদ্দতের সময়, তাও যদি তালাক অস্থায়ী হয় যথা এক তালাক অথবা দুই তালাক, যেখানে সম্ভাবনা আছে যে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফেরত চাইবে।
৩। তিন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকে সে দৈনিক ভাতা পাবে (A. শিশু ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত। এর পর শিশুর দেখা শোনা ও লালনপালনের জন্যে।)। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা না থাকলে সে কোন ভাতাই পাবে না।
স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
আসুন এবার আমরা দেখি স্বামী কি চায় স্ত্রীর কাছ হতে। শারিয়া আইন অনুযায়ী যে মুহূর্তে স্বামী স্ত্রীকে মোহরানার টাকা দিয়ে দিবে অথবা পরে দিবার অঙ্গীকার করবে সেই মুহূর্তে স্বামী নারীটির দেহ বল্লরী কিনে নিলো—অথবা নারীটির আপাদমস্তক দেহের পূর্ণ মালিকানা পেয়ে গেল। অবশ্যই এ বলতে নারীটির যৌনাঙ্গ বলা হচ্ছে। শারিয়ার নিয়ম অনুযায়ী নারীটির শরীরের অস্থি, মজ্জা, মাংস, পেশী, রক্ত, চুল, চামড়া…ইত্যাদি সহ সন্তানধারণের যন্ত্রটি স্বামীর এখতিয়ারে চলে আসবে। নারীর অন্যতম কর্তব্য হবে তার যৌনাঙ্গ ও গর্ভকে সর্বদা ক্রিয়াশীল করে রাখা—যেমন ভাবে এক কারিগর তার কাজের যন্ত্রপাতি তেল, ঘষামাজা দিয়ে প্রস্তুত রাখে। এসবের জন্যে মুসলমানদের দরকার স্ত্রীকে ব্যাবহারের নিয়মাবলী। দেখ যাক, এই সব নিয়মাবলী কি রকম।
শারিয়া আইন (উমদাত আল-সালিক) নম্বর এম ৫.৪ (পৃঃ ৫২৬):
স্ত্রীর দেহকে উপভোগ করার পূর্ণ অধিকার থাকবে স্বামীর। (A: আপাদমস্তক পর্যন্ত, তথা পায়ের পাতা পর্যন্ত। কিন্তু পায়ু পথে সঙ্গম করা যাবেনা—এটা বে-আইনি)। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যৌনসংগম কালে স্ত্রী যেন ব্যথা না পায়। স্বামী তার স্ত্রীকে যেখানে খুশী নিয়ে যেতে পারবে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করা বে আইনি শুধুমাত্র সুন্নীদের জন্যে। শিয়াদের জন্য আইন অন্য রকম। একজন শিয়া স্বামী তার স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সঙ্গম করতে পারবে। এই ব্যাপারে সুনান আবু দাউদের ইংরাজি অনুবাদক অধ্যাপক আহমদ হাসানের মন্তব্য পড়া যেতে পারে (দেখুন, সুনান আবু দাউদের ইংরাজি ছাপানো অনুবাদ, ভলুম ২, হাদিস ২১৫৭ এর মন্তব্য ১৪৮৩, পৃঃ ৫৭৯)।
শারিয়া আইন (ঐ বই) নম্বর এম ৫.৬:
স্ত্রী তার যৌনাঙ্গকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বাধ্য থাকবে—এটা স্বামীর অন্যতম অধিকার। এই জন্য স্ত্রীকে মাসিক স্রাবের পর গোসল নিতে হবে এবং স্বামীর পূর্ণ যৌন উপভোগ করার জন্য যা যা দরকার তা তাকে করতে হবে। এর মাঝে থাকছে নিয়মিত যৌনাঙ্গের কেশ কামানো, এবং যৌনাঙ্গের ভিতরে জমে যাওয়া ময়লা দূর করা।
স্ত্রীর করনীয় কি?
এক মুসলিম নারীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও মূখ্য কর্তব্য হবে তার স্বামীর যৌন ক্ষুধা নিবৃত করা। আপনার তা বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে তাই না? কিন্তু একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝব যে মোহরানার উদ্দেশ্যই হচ্ছে নারীর যৌনাঙ্গের মালিকানা স্বামীর আয়ত্তে আনা যাতে সে স্ত্রীর দেহকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারে। শারিয়ার নিয়ম অনুযায়ী কোন মুসলিম নারী কস্মিনকালেও তার স্বামীর যৌন ক্ষুধা মিটাতে ‘না’ বলতে পারবে না। অবশ্য স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা কোন কারণে তার যৌনাঙ্গে গোলযোগ দেখা যায় তখন তা আলাদা।
এখন আমরা দেখব এ ব্যাপারে হাদিস কি বলছে।
সহিহ মুসলিম বই ৮, নম্বর ৩৩৬৬:
আবু হুরায়রা বললেন: আল্লার রসুল (সঃ) বলেছেন যদি কোন রমণী তার স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাত্রি যাপন করে তবে ফেরেশতারা সেই নারীকে অভিশাপ দেয় ভোরবেলা পর্যন্ত। এই হাদিসটা অন্যের ভাষ্য দিয়েও বলা হয়েছে—যাতে বলা হয়েছে: যতক্ষণ না স্ত্রী স্বামীর বিছানায় ফিরে আসে।
এ সম্পর্কে সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৩৬৭ ও দেখা যেতে পারে।
দেখা যাক ইমাম গাজ্জালী কি বলেছেন এ প্রসঙ্গে।
এহিয়া উলুম আল-দীন, ভলুম ১ পৃঃ ২৩৫
স্ত্রী তার স্বামীকে নিজের এবং তার আত্মীয়ের চাইতেও বেশী ভালবাসবে। স্ত্রীকে সদা সর্বদা পরিষ্কার ছিমছাম থাকতে হবে যাতে করে স্বামী যখন খুশী তাকে উপভোগ করতে পারে।
ঐ বই, পৃঃ ২৩৬
স্ত্রীকে সর্বদা ন্যায়পরায়ণতা মেনে চলতে হবে। স্ত্রীকে স্বামীর অবর্তমানে দুঃখিত হতে হবে। যখন স্বামী ফিরে আসবে তখন স্ত্রীকে হাসিখুশি দেখাতে হবে এবং নিজের দেহকে প্রস্তুত রাখবে স্বামীর আনন্দের জন্যে।
শারিয়া আইন এম ১০.৪ (উমদাত আল-সালিক, পৃঃ ৫৩৮)
স্ত্রীর গৃহ ত্যাগ করা যাবে না। স্বামীর অধিকার থাকবে স্ত্রীকে গৃহের বাইরে না যেতে দেওয়া। (O. এটা এ কারণে যে বাইহাকী বলেছেন যে রসুলুল্লাহ বলেছেন: যে রমণী আল্লাহ ও কেয়ামতে বিশ্বাস করে সে কখনো তার স্বামীর অবর্তমানে কোন বেগানা লোককে তার গৃহে প্রকাশের অনুমতি দিবে না, অথবা সেই রমণী গৃহের বাইরে যাবে যখন তার স্বামী বিক্ষুব্ধ হবে।কিন্তু স্ত্রীর কোন আত্মীয় মারা গেলে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে গৃহ ত্যাগের অনুমতি দিতে পারে।
এখানে হানাফি শারিয়ার একটি নিয়ম ইমাম শাফী দিয়েছেন। সেই আইনটি পড়ে নিন।
শারিয়া আইন (হানাফি) ডবলু ৪৫.২ (ঐ বই পৃঃ ৯৪৯):
স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর সেবা পরিচর্যা করা। এই কর্তব্য স্ত্রীর কাছে ধর্মের অঙ্গ। সেবা বলতে ধরা হচ্ছে রান্না করা, গৃহ পরিষ্কার করা, রুটি বানানো…ইত্যাদি। স্ত্রীর এসব কাজে বিমুখতা পাপ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু আদালত স্ত্রীকে জোরপূর্বক এই সব কাজ করতে হুকুম দিতে পারবে না।
চলবে (৬ষ্ঠ পর্বে)।
লেখক কি বলবেন আপনি নারীকে কি ভাবে দেখতে চান?
হৃদয়াকাশ মে ২৩, ২০১১ at ২:৩৭ অপরাহ্ন
@তামান্না ঝুমু,
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নাস্তিক ছিলেন বলেই কি তাঁকে পরকালে পুঁজ খাওয়ানো হবে? যেকোন ধর্মগুরুর সাথে তাঁর তুলনা করে দেখুন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর :guru: এর মতো মহান মানুষ পৃথিবীতে আর একটাও পাইনি। হযরত মহাউম্মাদ তো তাঁর পায়ের নখেরও যোগ্য না।
অনেক কিছু জানতে পারলাম উপরের পোস্ট ও কমেন্টগুলো পড়ে । কিন্তু ””হৃদয়াকাশের “ এই” কমেন্টা আমার ব্যাক্তিগতভাবেই ভালো লাগে নাই । তখনকার সময়ও হযরত মুহাম্মাদ ( সা:) মহামানব ছিলেন, জ্ঞানীব্যাক্তি ছিলেন, আমাদের মুসলমানদের কাছে এখনো তিনি সেই অবস্থানেই আছেন, আশা করি প্রত্যেকটা সত্যিকার মুসলমানের ভিতর এই বিশ্বাসটুকু থাকবে । তাঁকে এভাবে ছোট করে দেখাটা উচিত নয় । কাউকে ছোট করে দেখাটা ঠিক হবে না । তাই নয় কী ?? যাইহোক, আমি ব্লগে এই প্রথম আসছি, ব্লগ পড়ে আমার ভালো লেগেছে । আমি কন্টিনিউ পড়বো ইনশাল্লাহ । আমার কিছু প্রশ্ন আপনাদের কাছে করছি, দয়া করে যে কেউ উত্তর দিলে খুশি হবো । ধর্ম কী ? ধর্ম আমাদের কী শিক্ষা দেয় ? ধর্ম থাকলে আমাদের উপকার কী বা ক্ষতি কী ? ( প্রতিটি ধর্ম )
হাদিস গুলো পড়েছি.. কম্টেন্স গুলোও পড়েছি, আমার ব্লগ লেখার অভ্যাস নাই,, যা বুঝলাম ইসলাম একটি জগন্য (?) ধর্ম , কিন্তু হয়তো অনেক খারাপ দিক আছে কিন্তু ভালদিক ও তো আছে , যে রেফারেন্সগুলো দেয়া আছে তা বাংলা ও ইংরেজী….. অনুবাদ সবটাই যে সঠিক তা নাও তো হতে পারে
কেউ যদি আমাদের ডাকদেয় তাহলে আমরা উত্তর কি দেয়ই . এই তো আসছি কিন্তু কলকাতার কিছু অঞ্চল আছে উত্তর দেয় এই তো যাচ্চি
উদাহরন মনমত হলো না
একটি ঘটনা বলি..আমার ছেলে নার্সারীতে পড়ে… তাকে সেইদিন ইংরেজী পড়াচ্চি মা সম্পর্কে বাক্য
কয়েকটি বাক্যর মধ্যে একটি হলো She cooks for us. সে ভুল করে পড়ছিল She cooks us… যাতে করে অর্থটাই পরিবর্তন হয়েগেল
সেই দিন টয়লেট টিস্যু শেষ হয়ে যাওয়া ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে কাজটি সারলাম তাই বলে কি ফেসিয়াল টিস্যু আর ফেসিয়াল এর কাজে ব্যবহার করা যাবে না
পুরোন কয়েকটি কথা…
বিরাট গরু ছাগলের হাট আর গরু ছাগলের বিরাট হাট কোনটি সঠিক?
উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় আর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কোনটি সঠিক?
ঈদের চাঁদ উঠেছে কাল ঈদ বাক্যটি সঠিক?
ঈদের চাঁদ উঠেছে আগামী কাল ঈদ এটা কি সঠিক?
আসলে আমি বলতে চাচ্ছি উপরের বাক্যগুলোতে ব্যাকরণগত ভুলক্রটি থাকতে পারে আবার নাও পারে
কিন্তু অর্থ একই
আবার একটি পুরোন গল্প বলতে ইচ্ছে করছে….
ভোর রাতে ফজর নামাজের সময় (গল্পটা আমরা সবাই জানি) পুকুরের দু’পাশে দুজন লোক, একজন নামাজ পড়তে অজু করতে এসেছে অন্য জন চুরি করে এসেছে যে লোক নামাজ পড়তে উঠেছে সে পুকুরের অন্য পাশের লোকটিকে দেখে মনে মনে ভাবছে আমি কত গুনাগার শুধু অজু করে নামাজ পড়ছি ঐ লোকটি কত ভাল যে কিনা গোসল করে নামাজ পড়তে যাচ্ছে অপর পক্ষে চোর ভাবছে শালা কি চুরি করে শুধু হাত মুখ ধুয়েই চলে যাচ্ছে….. গল্পটার মূল বক্তব্য আমারা সবাই জানি যার যার অবস্থানে থেকে চিন্তা করে আধা গ্লাস পানিকে কেউ বলে আধা গ্লাস পানি একেক জন একেক ভাবে দেখেন হাদিসে আছে নামাজ পড়া হারাম. নাপাক শরীরে এখন যদি কেউ মন্তব্য করেন যে হাদিসে তো আছেই নামাজ পড়া হারাম… তো এটা তো সঠিক হলো না
নারীকে ইসলাম পর্দা করতে বলেছে, স্বামীর সেবা করতে বলেছে….শুধু ছোটই করেছে , অনেকে মন্তব্য করেছেন,,,
খাস বাংলায় যদি বলি
বাংলাদেশের মত দেশের মত দেশে পার্টিতে যেতে সো কল বান্ধবীকে নিয়ে যেতে বলে সর্ট আর জিন্স পড়তে আর নিজের স্ত্রীকে বলেন পর্দা করে যেতে বিয়ের করতে গেলে মেয়ে পক্ষের লোক বলেন আমার মেয়ে পর্দা করে চলে নামাজ পড়ে…… কেউ কিন্তু বলেন না আমার মেয়ে ডিসকো তে যায় ডিংক্স করে, বন্ধুদের সাথে একই বিচানায় ঘুমায়(?) আর বাংলাদেশের এমন কোন ছেলে নাই যে এমন মেয়ে বিয়ে করতে রাজি যে কিনা অন্য বন্ধুদের সাথে নির্বিচারে চলা ফেরা করে তাকেই বিয়ে করবে যিনারা মন্তুব্য গুলো করেছেন বুকে হাত দিয়ে বলেন তো যদি ছেলে হন আপনার স্ত্রী একই বিছানায় অন্য পুরুসের সাথে রাত কাটান শারীরিক জাতিয় কোন সম্পর্ক না হলেও আপনি মন থেকে পারবেন হাসি মুখে মেনে নিতে……….. প্রশ্ন থাকলো
ইসলাম কিন্তু নারীদের বন্দী করে রাখতে বলেনি বলেছেন তাদের সম্মানের সহিত রাখতে..এক মাত্র ইসলামই বলেছে নারীরা সম্পত্তির ভাগ পাবেন স্বামীর ও বাবার অন্য কোন ধর্মে কিন্তু নেই
ছোট একটা হাদিস বলি..
হাটুর উপর কাপড় উঠলে আমরা অনেকে বলি অজু নষ্ট হয়েগেছে তা কি ঠিক… না তা ঠিক না
কিন্তু বলা আছে হাটুর উপর যেন কাপড় না উঠে…
এখন একটু ভাবেন যদি তা না বলা হতো তা হলে আমরা কি করতাম মোটা মুটি কাপড় ভাল ভাবে গুটিয়ে নিয়ে অজু করতাম বা মসজিদে বসতাম তা কিন্তু খুব শোভন দেখাতো না
যাই হোক অনেক কিছু লিখে ফেলাম,,, শেষ করি ইসলাম খারাপ না ভাল না ভেবে যদি ইসলামের ভাল দিক গুলো মেনে চলি আর খারাপ ব্যাখ্যা গুলোকে আমার ছেলের পড়ার মত ভুল (She cooks us) মনে করি তাহলেই কিন্তু হয় আস্তিক নাস্তিক যাই হোন না কেন একটু চিন্তু করেন যে কিনা আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তিনি আল্লাহ বা বিধাতা যাই বলুন না কেন তিনি আছেন, যিনি সর্বশক্তিমান সর্বজ্ঞানী, যিনি কিনা শুধু মাত্র একটি সিলেবাস আমাদের দিয়েছেন সেই সিলেবাসের সাজেশন আমাদের তাঁর মত করে চিন্তা করতে হবে আমার নিজের মত করে নয়….. তাহলে কিন্তু আপনি হেরে যাবেন,,,এটা আমার বিশ্বাস…
বিশ্বাস এমন জিনিস যা কিনা শুধুই বিশ্বাস করতে হয় আমার মা যে আমা্রই মা আমার বাবা যে আমারই বাবা আমার সন্তান যে আমারই সন্তান তা কিন্তু বিশ্বাস এর মাধ্যমেই বিশ্বাস করতে হয় প্রমান করে কেউ কিন্তু আমারা বিশ্বাস করি না কুরআন হলো একটি সিলেবাস আমার জীবন হলো পুরো বই সিলেবাসের নির্দেশনা যদি সিলেবাসের মত চিন্তা না করে আমার মন মত চিন্তা করি আর ব্যর্থ হই তা দোষ কিন্তু সিলেবাসের নয় আমার…
ধন্যবাদ…
@কবির,
এইগুলাতো হিপোক্রিসি!!গার্ল ফ্রেন্ড আর বউকে সমান চোখে ট্রিট করতে হবে, আর গার্লফ্রেন্ড চিটিং জাতীয় অন্য কাজ না করলে তাকে পরিত্যাগ করার কি আছে? কমিটমেন্টের সংজ্ঞা সত্যি জটিল।
বাঙালীর কমিটমেন্ট আর আমেরিকানের টা একরকম আশা করাটা মনে হয় ঠিক না। তবে যারা স্ত্রী এবং গার্লফ্রেন্ড কে ভিন্ন ট্রিটমেন্ট দিতে ভালবাসেন তবে সেটাকে আমি ভন্ডামিই বলব, আর এই ভন্ডামী না করতেতো ভাই ইসলাম মানা লাগে না।ইসলাম মেনেও ভন্ডামী করা যায়, না মেনেও সৎ থাকা যায়।এখানে আপনি ধর্মের সার্থকতা দেখছেন খুব বেশি, যেখানে আমি ব্যক্তির সার্থকতাই দেখতে পছন্দ করব। মনে রাখা ভাল যে আখেরাতে আগুনে পুড়ব, এই ভয়ে সৎ থাকার চেয়ে আপনি যদি আগুনকে অবিশ্বাস করে সৎ থাকার মানসিক তাগিদেই সৎ থাকতে পারেন। এটাই কি ভাল না?
এমন দাবী কেউ করেছে নাকি? সব মন্তব্য পড়া হয়নি। বলাই বাহুল্য লেখাটাই আমার চোখে পড়ল আপনার মন্তব্য ফলো করতে যেয়ে। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
আপনি যে কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা মুসলমানদের জন্য দলীল নয়। মুসলমানদের জন্য দলীল হলো কুরআন ও সহীহ হাদীস। এখন বহু শরয়ী গ্রন্থ রচনা করছে ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা। আর তা প্রচার ও করছে ইহুদী, খ্রীষ্টান এবং তাদের দোসররা। তাই বর্তমান সময়ে কোন গ্রন্থই সাধারণ মুসলমানদের জন্য দলীল নয়। দলীল একমাত্র কুরআন ও হাদীস। তাই লেখকে বিনয়ের সাথে বলব, আপনি তথাকথিত এই গ্রন্থের রেফারেন্স না দিয়ে যদি আসলেই ইসলামে নারীর বর্বরতা প্রমান করতে চান তাহলে কুরআন ও সহীহ হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে লিখুন। চেলেঞ্জ দিলাম। সাহস থাকলে লিখুন । আপনার মুখোশ খুলে যাবে ইনশাল্লাহ।
@ ফারুক
মুশকিলে ফেললেন। কোরান তন্ন তন্ন করে খুজেও মোহাম্মদ ৫৭০ খৃঃ জন্ম গ্রহন করেন, ৬৩২ খৃঃ মারা যান। তার মায়ের নাম আমীনা, বাবার নাম আবদুল্লাহ, বৌয়ের নাম খাদিজা, আয়েশা, যয়নব, ইত্যাদি ইত্যাদি। কবে কখন কোখায় এত যুদ্ধ করেছেন,কি ভাবে খেতেন, কি ভাবে বাথরুম ব্যবহার
করতেন, কি ভাবে নামাজ পড়তে হবে, কি ভাবে স্ত্রীদের সংগে ব্যবহার করতেন, উনার সাহাবা কারা ছিলেন, কিছুই পাই নি। এগুলো সহি ভাবে জানতে হলে কি ভাবে জানব। অন্য কোন বই পড়ে? মর জ্বালা !! আপনিতো
আবার অন্য কোন বইতে বিশ্বাস করেন না। প্লিজ একটু হেল্পান।
@ফরহাদ,
এগুলো আপনার কি কাজে লাগবে? ধর্ম কর্মের জন্য এগুলো কেন জরুরী? এটা কি কখনো নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছেন? আমি নিজেকে ও অন্যান্য ধার্মিকদের জিজ্ঞাসা করেছি। কোন সদুত্তর পাই নি। আপনার কাছে কি কোন সদুত্তর আছে?
@ফারুক,হায় হায়! ফারুক ভাই কি বলেন।
এইগুলি না জানলে আমরা কিভাবে মোহাম্মদকে অনুসরন করব?
পড়ুন ৩৩:২১
আরো পড়ুন….।
২:২৮৫, ৩:৩২,৩:৫০,৩:১৩২,৪:১৩,৪:৫৯,৪:৬৪,৪:৮০,৫:৯২,৮:১,৮:২০,৮:৪৬,
৯:২৯,৯:৭১,২০:৯০,২৬:১০৮,২৬:১১০,২৬:১২৬,২৬;১৩১,২৬:১৪৯,
২৬:১৫০,২৬:১৬৩,২৬:১৭৯
মোহাম্মদের জীবনী না জানলে হইব কেমনে?
@ফরহাদ,বুঝলাম আপনি জ্ঞানপাপী।
৬০:৪ আয়াতে দেখেন ইব্রাহিম ও তার সাথিদের ও a good example বলা হয়েছে। তা ওদের জীবণী কোথায় পাব?
মোল্লারা কোরানের এই আয়াতগুলো দেখিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হাদীস ও শারিয়ার যৌক্তিকতা প্রমান করে। পুরা কোরান পড়লেই বোঝা যায় , এটা ভুল শিক্ষা।
কোরানে অনেক আয়াত আছে যেখানে আল্লাহর আনুগত্য করার সাথে সাথে রসূলের আনুগত্য ও করতে বলা হয়েছে। এই আয়াতগুলোর উপরে ভিত্তি করে ঐতিহ্যবাহী মুসলমানরা ১০০০ বছর পূর্বে সঙ্কলিত তথাকথিত মুহম্মদের কথা , কাজ ও আচরন সম্বলিত হাদীসগুলোকে পরম পবিত্র ও অবশ্য পালনীয় বলে বিবেচনা করছে। আসলে কি তাই?
কোরান তো সর্বকাল সর্বযূগের জন্য নাযিল হয়েছে। তাহলে স্বভাবতই মনে যে প্রশ্নটা প্রথমেই জাগে , তা হলো , কোন সে রসূল , যার আনুগত্য করার কথা কোরানে বলা হয়েছে? আল্লাহ তো কোরানের কোথাও বলেন নি , তোমরা মুহম্মদের আনুগত্য কর। সকল আয়াতেই তার রসূলের আনুগত্য করার কথা বলা হয়েছে। কোরানে অনেক রসূলের নাম উল্লেখ আছে , আবার কোরানেই বলা হয়েছে , এমন অনেক রসূল আছে যাদের নাম কোরানে উল্লেখ করা হয় নি। তাহলে অনেক রসূলকে বাদ দিয়ে কেবল মুহম্মদের অনুসরন কোন যুক্তিতে করব? আল্লাহ যদি চাইতেন যে আমরা মুহম্মদের আনুগত্য ও অনুসরন করি , তাহলে তো উনি পরিস্কার বলতে পারতেন , তোমরা আল্লাহ ও মুহম্মদের আনুগত্য ও অনুসরন কর। এমন না যে উনি মুহম্মদের নাম জানতেন না। মুহম্মদের নাম নিয়ে কোরানে আয়াত আছে।
সর্বশক্তিমান বলেছেন : “আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়।” (৩:১৩২)। তিনি আরো বলেছেন : “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের।”(৪:৫৯)।
আমাদের ধর্মে কয়জনের আনুগত্য বা মান্য করার আদেশ করা হয়েছে? এক জনের , দুই জনের নাকি তিন বা ততোধিকের? আসলেই আমরা এক জনকেই মানতে বাধ্য , তিনি আল্লাহ। আমারা পালন করি আল্লাহ্র বানীকে বা আদেশকে , যা রসূল উচ্চারন করেন এবং রসূলের মৃত্যুর পরে যে বা যারা আল্লাহ্র বানী উচ্চারন করেন , তাদের। কোরানের মূল নীতি অনুযায়ী , আল্লাহ্র বানী অমান্য করে , এমন কাউকে বা আল্লাহ্কে অমান্য করার কোন আদেশ মানা যাবে না। নবী যখন জীবিত ছিলেন , তখন তাকে মান্য করা বা আনুগত্য করা অত্যাবশ্যকীয় , যখন তাহার সকল কাজ ও বাণীর উৎস আল্লাহ। এটা আমরা বুঝতে পারি নিম্নের আয়াত থেকে। “ও নবী, যদি তোমার কাছে মুমিন নারীগণ আসিয়া বয়াত করিল যে, তাহারা আল্লাহর সহিত কোন কিছুর শরীক করিবে না, চুরি, জেনা ও সন্তান হত্যা করিবে না, অথবা নিজেদের হাত পার মধ্যে মিথ্যা সৃষ্টি ( বানাইয়া মিথ্যা বলা) করিবে না বা তোমাকে অমান্য করিবে না যখন তুমি সঠিক নির্দেশ দাও, তবে তাহাদিগকে বয়াত কর ও তাহাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।” ৬০:১২।
লক্ষ্য করুন , উপরের আয়াতে বলা হয়েছে “ও নবী”। নবী ও রসূলের মধ্যে মূলগত কিছু পার্থক্য আছে। রসূল মুহম্মদ এবং কোরান বা আল্লাহ্র বানী সমার্থক। কোরানের বানীকেও রসূল বলা হইয়াছে। যেকারনে রসূলকে মান্য করা বাধ্যতামূলক। রসূলের বাইরে ও মানুষ মুহম্মদের একটি জীবন আছে , সেই মানুষ মুহম্মদকেই নবী বলা হয়। এই নবী মুহম্মদের ভুল ত্রুটির কথা কোরানে উল্লেখ করা হইয়াছে। উপরের আয়াত থেকে আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে , আল্লাহ নবীকে মানার ব্যাপারে কিছু বিধি নিশেধ আরোপ করেছেন। নবী যখন সঠিক নির্দেশ দেন , তখন তাকে মানা বাধ্যতামূলক। বেঠিক নির্দেশ না মানলে ও চলবে। কোন নির্দেশ সঠিক আর কোন নির্দেশ বেঠিক , তা নির্নয়ের মাপকাঠি কোরান।
আল্লাহ বলেছেন: “বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়।(৪:৬৪)”।
“যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে , তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।(৪:৮০)”। একারনেই প্রতিটি নবী এসেছিলেন রসূলরুপে আল্লাহ্র বানীকে মানুষের কাছে প্রচারের উদ্দশ্যে এবং এই বানীর উপরে ভিত্তি করেই মানুষকে অনুরোধ করেছেন তাকে অনুসরন করার জন্য। “আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত রসূল। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।” (২৬:১০৭/১০৮ এবং ১২৫/১২৬ ও ১৬২/১৬৩)। উনারা বলেন নি , আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত নবী। রসূলকে মান্য করার অর্থই হলো কোরানকে মান্য করা, যা আল্লাহ রসূলের কাছে প্রকাশ করেছেন। কোরানই রসূল , যা আমাদের মাঝে বর্তমান আছে।
“অনুসরন কর সে আলোকে , যা তার কাছে নাযিল হয়েছে।”
মুসলমানদেরকে মানুষ মুহম্মদকে নয় বরং আল্লাহ্র বানীকেই বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। “আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন।(৪৭:২)”
আমরা মানুষ মুহম্মদকে অনুসরন করি না ; আমরা অনুসরন করি সেই আলো’কে , যা মুহম্মদের কাছে এসেছে। অর্থাৎ কোরানকে। কোরান নিজেই এ ব্যাপারে বলেছে : “সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।৭:১৫৭”
লক্ষ্য করুন এই আয়াতে মুহম্মদকে অনুসরন করতে না বলে সেই নূরের অনুসরন করতে বলা হয়েছে , যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে। যদি আয়াতটি এমন হইত “সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং তার অনুসরন করেছে” তাহলে কোরানকে অনুসরন না করে মুহম্মদকেই অনুসরন করতে হতো।
মুহম্মদ প্রথম ব্যাক্তি , যিনি সকলের আগে কোরানকে অনুসরন করেছেন। আল্লাহ তাকে আদেশ করেছেন – “আপনি তাই অনুসরণ করুন, যার আদেশ পালনকর্তার পক্ষ থেকে আসে। ৬:১০৬” এবং “আর তুমি চল সে অনুযায়ী যেমন নির্দেশ আসে তোমার প্রতি এবং সবর কর, যতক্ষণ না ফয়সালা করেন আল্লাহ।১০:১০৯” এবং “আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়, আপনি তার অনুসরণ করুন। ৩৩:২” এবং “অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন।৭৫:১৮” । রসূলকে বলতে বলা হয়েছে (সহী হাদীস) – ” বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই। ৪৬:৯” এবং “…আপনি বলে দিন, আমি তো সে মতেই চলি যে হুকুম আমার নিকট আসে আমার পরওয়ারদেগারের কাছ থেকে।৭:২০৩”
রসূল মুহম্মদ যখন কোরানকে অনুসরন করতেন, তখন তার উম্মত হিসাবে আমাদেরও কোরানকেই অনুসরন করা উচিৎ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদেরকে এবং নবীকে একি সাথে উদ্দেশ্য করে বলেছেন : “এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব, এটি পৌছে দিতে আপনার মনে কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়। আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ। তোমরা সকলে অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না। আর তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। ৭:২-৩” “আল্লাহকে বাদে অন্য সাথীদের অনুসরন করো না”, অনেকেই এর অর্থ করেছেন এভাবে – কোরানকে বাদে অন্য কিছু অনুসরন করতে নিশেধ করা হয়েছে। আল্লাহকে অনুসরন করা সম্ভব একমাত্র কোরানকে অনুসরনের মাধ্যমে। আল্লাহর আদেশ নির্দেশ একমাত্র কোরানেই লিপিবদ্ধ আছে। কোরানের বাইরে অন্য কিছুকে অনুসরনের মানেই দাড়ায় , অন্য সাথীদের অনুসরন করা। কোরানের বাইরে অন্য কিছুকে অনুসরন করার মানেই দাড়ায় , সেই অন্য কিছুকে কোরানের সমকক্ষ করা , প্রকারান্তরে আল্লাহর সমকক্ষ করা , যা শির্ক। এটা আল্লাহ্র তরফ থেকে আদেশ এবং এনিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই।
স্বভাবতই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে , তাই যদি হয় , তাহলে নবীকে কিভাবে অনুসরন করব? সহজ উত্তর হলো – নবী যখন কোরানকে অনুসরন করতেন , তখন কোরানকে অনুসরন করলেই নবীকে অনুসরন করা হবে। আর কোরানকে অনুসরন করলে রসূলকেও অনুসরন করা হবে , কারন কোরান ও রসূল সমার্থক।
বেশিরভাগ মুসলমান আজ কোরান ছাড়া বা কোরানের পাশাপাশি অন্য কিছু ও অনুসরন করে। তারাই সংখ্যায় ভারী। সংখ্যায় ভারী হলেই যে তারা সত্যপথে আছে এটা ভাবার কোন কারন নেই। কোরানের বানীই সত্য , বেশিরভাগ লোক কি বল্লো তাতে কিছুই যায় আসে না। “আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে।৬:১১৬”
“আর তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর” , এই বাক্য দ্বারা আল্লাহ মানুষের স্বাভাবিক চরিত্রের কথাই বলেছেন।
“রসূলের দায়িত্ব শুধু পৌছিয়ে দেওয়া। আল্লাহ জানেন, যা কিছু তোমরা প্রকাশ্যে কর এবং যা কিছু গোপন কর। বলে দিনঃ অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে বিস্মিত করে। অতএব, হে বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় কর-যাতে তোমরা মুক্তি পাও। ৫:৯৯-১০০”
@ফারুক,
“এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে”
এইসব মোল্লারা আমাদের ধুনফুন বুঝিয়ে, ভুল শিক্ষা দিয়ে আমাদের জাহান্নামের পথে পাঠানোর ব্যবস্হা করেছে। কিছু একটা করুন, এইসব
মোল্লাদের হাত থেকে আমাদের বাচানোর। চিন্তা করুন কিভাবে এরা আমাদের
ধোকা দিয়ে চলেছে। যেমন এই আয়াতটি….
৪:৮০: যে লোক রসুলের (কোন রসুল? মোহাম্মদ?) হকুম মান্য করবে সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা করল, আমি আপনাকে (হে মোহাম্মদ) তাদের জন্য রক্ষনাবেক্ষনকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।
He who obeys the Messenger (Muhammad SAW), has indeed obeyed Allâh, but he who turns away, then we have not sent you (O Muhammad SAW) as a watcher over them.
এই সব কোরানের ভুল অনুবাদকারীরা আমাদের জাহান্নামের পথে আরো এগিয়ে দেওয়ার জন্য এদের কি শাস্তি দেওয়া যায়, একটু ভেবে দেখবেন।
@ফরহাদ,
এতক্ষনে না , গত দুই বছর ধরে একথাগুলৈ আমি বাংলা ব্লগে ব্লগে বলে আসছি। ফলে দুই জায়গায় ব্লক্ড।
শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা কি আমার আছে? মানুষকে শিক্ষিত করা ও তাদের চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমেই মনে হয় এ ব্যাধী দুরীকরন সম্ভব।
@ফারুক,
অতিব সত্য কথা। মানুষকে শিক্ষিত করে ও তাদের চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করার
মাধ্যমেই মনে হয় “ধর্ম” নামক এ ব্যাধী দূরীকরন সম্ভব।
@ফরহাদ,আমার তো মনে হয় অধর্ম এবং ধর্মের অপব্যাখ্যা ও অপব্যাবহার দূরীকরন সম্ভব।
সহমত।
তাদের অধিকাংশেরই ‘ইসলামী’ জ্ঞ্যান লোকাল মসজিদের ইমাম সাহেবের বক্তৃতা /বিবৃতির মধ্যেই সিমিত। অনেকেই আবার ফারুক ভাইয়ের মত দাবী করেন ‘বর্বর’ আইনগুলোর সাথে কোরান হাদিসের কো্ন সম্পর্ক নেই, ওগুলো চক্রান্তকারীদের অপব্যাখ্যা মাত্র।
@গোলাপ,
ঠিক (Y) ১০০ ভাগ।এই নিয়ে আমি একবার বলেছিলাম অন্য একপোষ্টে।
@গোলাপ,
এর কারনও আছে ভাই। তা হলো এরা স্পেশাল লাইনে পড়তে গিয়ে দুনিয়ার আর কোন বিষয় জানার সময় পায় না তাই এদের মনোবিকাশ ঘটে না। তার পর আছে ব্যপক প্রপাগান্ডা রেডিও টেলিভিশন পত্র পত্রিকায়। তাই এরা নিশ্চিত নির্ভয় জীবনে অভ্যস্থ অন্য কোন বিষয় জানার আগ্রহও প্রকাশ করে না। যার ফল এসব পেশাদারীরা ব্যপকভাবে তাবলিগী জামাতে ঢুকে পড়ে। অন্য সব উগ্রপন্থী দলে এরা তেমন ভেড়ে না তার কারন তারা নিশ্চিত ও শান্তিময় জীবনে কোন রকম ঝুকি নিতে চায় না।
চমৎকার এবং ‘পাশবিক’ পোস্ট। শরিয়া আইন নিয়ে প্রায়ই পরিচিত নব্য-মুসলিম হয়ে ওঠা কারো কারো সাথে তর্ক শুরু হয়ে যায়। ইদানিং এগুলো বাদ দিয়েছি, কারণ যুক্তি দিয়ে কোন আর্গুমেন্টে গেলেই খামাখা কাফের, মুরতাদ ইত্যাদি বলা শুরু করে। এমন না যে শব্দগুলোতে আমার কোনো ভয় বা আপত্তি আছে, কিন্তু বিনাযুক্তিতে একগুঁয়ে আলাপ বিরক্তিকর লাগে।
সবচেয়ে আশঙ্কার ব্যাপার, শরিয়া আইনের এরকম বিষয়গুলো এড়িয়ে, পড়াশোনা করা “শিক্ষিত” ডাক্তার-প্রকৌশলীরা যখন শরিয়া আইনের ওকালতি করে, তখন অনেকেই প্রভাবিত হয়। না জেনে, না বুঝে এমন একটা কুৎসিত ব্যবস্থার প্রশংসা করতে থাকেন, যেটা মানতে গেলে বর্বরের মতো জীবন-যাপন করতে হবে!
এরকম খুঁটিনাটি বিষয়কে রেফারেন্সসহ তুলে আনার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ! :clap
মজার ব্যাপার হল যেসব আইনের জন্য ইসলামকে তিরস্কার করতে চাইছেন সেসব আইনের কারনেই ইসলাম অনেকের মনোযোগ আকর্ষন করবে।
এর চেয়ে জিহাদ সম্পর্কে উল্লেখিত কথাগুলো ফ্যাব্রিকেট করুন অথবা ৭০ হুর নিয়ে নারীবাদী বক্তব্য রাখুন।বেশী বেশী সফলতা আসবে।
আপনার লেখাটার অল্প কিছু ব্যাক্তিগত মন্তব্য মুছে দিয়ে একে ইসলামের পক্ষের লেখা দেখিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব।
শুধু উপরে লিখলেই হবে যে, নিখুত ইসলাম যা
স্ত্রী’র প্রতি নুন্যতম কর্তব্য।
যৌনমিলনের প্রাক প্রস্তুতি।
বহুগামীতা বন্ধে আইন।
তালাকের পরেও স্ত্রীর অধিকার। (গর্ভবতীর জন্য ভাতা)
এবং
স্বামী ও স্ত্রী’র একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা’র কথা বলে!
@অসামাজিক, :clap
@আদিল মাহমুদ , কেন আমি এই পোস্টের শারিয়া আইনগুলোকে মানবিক আইন বলেছি , তা অসামাজিক এই মন্তব্যে সুন্দরভাবে বলেছেন।
@ফারুক,
আপনি মনে হয় অসামাজিকের কথার অন্তঃনিহিত তাতপর্য বুঝতে ভুল করেছেন। 🙂
@আদিল মাহমুদ,আমি ঠিকি বুঝেছি। প্রথম অংশটা পোস্টের লেখকের জন্য উপদেশ। নিচের অংশ টা পড়ুন-
@ফারুক, এটাই তো ১৪০০ বছর ধরে চলে আসছে আর অনেকে অন্ধের মত ফলো করছে!
আর এখন এই সব আয়াতের ফাক-ফোকরে এসব ব্যাপারে দু-একটা যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেই মোমিনদের লুঙ্গির গিট ধরে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যাচ্ছে।
@অসামাজিক,
এটা যে কোন রচনার ব্যাপারে প্রজোয্য, শুধু আমারই নয়।
@অসামাজিক, চমৎকার বলেছেন (Y)
কেয়ামতের পর মেয়েদের কি অবস্থা হবে এবং জান্নাতে কি কি মিলবে তা নিয়ে আপনার একটি আলাদা পোস্ট দেয়া উচিৎ।
@বিনায়ক হালদার,
সময় পেলে ্লেখা যাবে।
সামুতে প্রায়ই দেখি ইসলামে নারীর অধিকার নামের কিছু পোস্ট আসে কিছুদিন পরপর। কি মনে হয়, তাদেরকে আপনার লেখাটি দেখালে তারা মত পরিবর্তন করবে যে ইসলাম নারীদের মাথায় করে রাখে না, কেনা দাসীর সমান মর্যাদা দেয় ? আপনার লেখাটি আমাদের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় কারন আমরা নারীকে দেখতে চাই স্বাধীন এবং স্বাবলম্বী। আমরা নারীকে ধর্মের হাজার বছরের শিকল ভেঙ্গে বের করে আনতে চাই। কিন্তু ওদের কাছে মনে হয় মেয়েদের গুরুত্ব বাচ্চা ঊৎপাদন ও ঘর সংসারের মাঝে সীমাবদ্ধ। তাই মুখে এবং লেখায় নারীকে সম্মানের কথা বললেও ব্যবহারে এর থেকে বিরাট পার্থক্য দেখতে পাই।
চমতকার, চলতে থাকুক, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
স্ত্রী এর বেশি চাইতে পারবে না , এর স্বপক্ষে দলিল আছে কি , নাকি বানিয়ে বল্লেন?
@ফারুক,
দয়া করে পয়সা খরচ করে ঐ শরীয়ার বইটি কিনে নিন–পড়ুন এবং তার পর মন্তব্য করুন।
আমাকে দেখান আমি যা লিখেছি তা ভুল এবং বানানো। অনেক ব্যাপারে সাধারণ জ্ঞান ব্যাবহার করা দরকার।
@আবুল কাশেম, এত কথা না বলে , দলিলটি দেখিয়ে দিলেই তো হয়। আমাকে যখন খুজে পড়তে বলছেন, তখন মনে হচ্ছে বানিয়েই বলেছেন। :-O
@ফারুক,
আপনার যা মর্জি। অন্যান্য পাঠকেরা যা বুঝার বুঝে নিয়েছে। সব সূত্রই দেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃতি তে আপনি কি দেখছেন—আমার ্ মনগড়া কথা। যে বাক্য গুলি উদ্ধৃতিতে নাই সেগুলো বুঝতে কী মহাপণ্ডিতের প্রয়োজন?
আচ্ছা এবারে বলুন, শরীয়া আইন অনুযায়ী, স্ত্রঈর বেশি চাইলে স্বামী কী তা স্ত্রঈকে দিতে বাধ্য থাকবে?
এই অবঅস্থায় আমরা কী বুঝি–স্ত্রঈর বেশী চাইবার অধিকার আছে?
যাই হোক, আপনি কোন এক মন্তব্যে লিখেছেন—আপনি শারিয়া এবং হাদিসে বিশ্বাস করেন না। ভাল কথা। তাই যদি হয় তবে আমরা শারীয়া এবং হাদিস থেকে যখন ইসলামের বর্বর রূপ তুলে ধরছি তখন আপনি এত ক্ষাপ্পা হচ্ছেন কেন?
তা আপনি যদি কুরানমাত্র মুসলিম হয়ে থাকেন তবে দেখান না কোরান কেমন করে এই সব শারিয়া এবং হাদিস নাকচ করে দিয়েছে।
এ যদি প্রমান না করতে পারেন তবে আপনার সাথে ইসলাম নিয়ে আলোচনা করা বৃথা। আপনি আপনার মতে চলুন–কোন অসুবিধা নাই।
@আবুল কাশেম,
ঠিকি বলেছি- শারিয়া এবং হাদিসে বিশ্বাস করি না। শারিয়া এবং হাদিস ইসলামের অঙ্গ নয় , এগুলো গত ১৪০০ বছরের রাজা বাদশাহদের নিজ স্বার্থে ইসলামের নাম ব্যাবহার করে দরবারী আলেম দ্বারা সৃষ্ট পুন্জীভূত জন্জাল। আপনি যত ইচ্ছা শারিয়া এবং হাদিসের বর্বর দিক তুলে ধরুন আমার আপত্তি নেই , কিন্ত এর সাথে ইসলামকে জড়িয়ে ফেল্লে তো ক্ষ্যাপারি কথা। আগে জানুন ইসলাম কি , তারপরে ইসলামের সমালোচনা করুন , তাহলেই না বুঝব আপনার উদ্দেশ্য মহৎ। আমার নিজেরি অনেক পোস্ট আছে হাদীসের অসারতা প্রমান করে।
তামান্না ঝুমুর মন্তব্যের উত্তরে দেখুন কোরান কিভাবে চোরের হাত কাটার শারিয়া ও হাদীসের আইন বাতিল করেছে। একে একে তামান্না ঝুমুর উল্লিখিত বাকি আইনগুলোর অসারতা কোরান থেকে প্রমান করব ইনশাল্লাহ।
@ফারুক,
আল্লাহ আপনার হায়াত দরাজ করুন। আপনি ভালোই লড়াই করতে পারেন বাহ বাহ– তাই আপনাকে (W)
সাথে এক পেগ (D)
@আবুল কাশেম,
ফারুক সাহেবরা জেগে ঘুমান। এদেরকে নিদ্রাভঙ্গের আর্তি জানানো উলুবনে মুক্ত ছড়ানোর নামান্তর।
@স্বপ্নিল,
হাঁ, তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে উনার অযুক্তি এবং কুযুক্তিতে। সূত্র দেবার পরও উনি বলছেন সূত্র দেবার জন্য–হাসব না কাঁদব বুঝছি না।
এইসব কোথা থেকে বের করেন!
ইসলাম ডিফেন্ডার ভাইয়েরা এইসব ইসলামী আইন কানুন জোরে শোরে প্রচার করলে আর কাফের নাসারা ইহুদীদের গাঁটের পয়সা খরচ করে আপনাদের এম্পলয় করতে হত না 🙂 ।
লিটারে খাদ্য শস্যের হিসেবে নতুনত্বের খোরাক আছে। লিটারের বোতলে আলগা ভাবে ঢেলে দিয়ে তো স্ত্রীকে কম পরিমানে খাদ্য শস্য দিয়েও লিটার পুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। এই ব্যাপারে মনে হয় শরিয়া আইন উদার।
আরো কিছু বিখ্যাত আলেম মাওলানাদের বইতে আরো মজাদার নারী মাছালা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
অনেকদিন পর আপনাকে মুক্তমনায় দেখে ভাল লাগল।
আপনি যা লিখেছেন তা খুব সত্যি।
কিছু উদাহরণ দিলে বাধিত থাকব।
@আবুল কাশেম,
এখানে ১৮৩ পৃষ্ঠায় দেখুন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর দৃষ্টিতে নারী।
বই এর নাম বেহেশতি জেওহর, অনেক মুসলমান ভাই এর অতি প্রিয় কিতাব।
ওনার আরেক কিতাব “কোরান হাদীসের আলোকে পারিবারিক জীবন” পাঠ করেও অনেক মূল্যবাদ মাসালা জানা যায়। পৃঃ ৫৭- পড়ুন। স্বামীর কাছে স্ত্রী হল কৃতদাসীর চেয়েও নীচু। স্বামী সফর থেকে এলে স্ত্রীর কি করনীয় তা পাঠ করলে সবাই নিঃসন্দেহে উপকৃত হবেন। স্বামী নিজ দোষে স্ত্রীকে বকা ঝকা করলেও স্ত্রীকে নীরবে হাসিমুখে হজম করে যাওয়ার মূল্যবান পরামর্শ তিনি দিয়েছেন।
১৩৩ পৃষ্ঠায় দেখুন, স্ত্রীকে পুরোপুরি সংশোধন করা অবান্তর (কারন মনে হয় স্ত্রীরা প্রকৃতিগত ভাবেই এতই খারাপ চরিত্রের)ঃ
এ ব্যাপারে নারী জাতির তূলনা করা হয়েছে কুকুরের লেজের সাথে। কুকুরের লেজ ১২ বছর চোংগায় পুরে রাখলেও যেমন সোজা করা যাবে না তেমনি নারী জাতিকেও কোনদিন পূর্ন হেদায়েত করা যাবে না
আরেক হাই প্রোফাইল আলেম যাকে নাকি অনেকে নবীজির পরেই ইসলামী জগতে স্থান দেন সেই ইমাম গাজ্জালী তাঁর কিমিয়ায়ে সাদাত গ্রন্থে স্ত্রী পোষনের তরিকা বাতলিয়েছেন। স্ত্রীর সাথে রং তামাশা করা যাবে তবে স্ত্রী যেন মাথায় চড়ে না বসে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, কারন স্বামীকে হতে হবে প্রবল শাসক। “তাহাদের মধ্যে বক্রতা আছে, শাসনই তাহাদের ঔষধ”। এই বক্রতার কারন হল নারীকে পুরুষের পাঁজরের বক্র হাঁড় হতে বানানো হয়েছে। স্ত্রীকে ঘরের দরজার বাইরে বা বাড়ির ছাদে যেতে দিতেও উনি নিষেধ করে গেছেন। (পৃঃ ৪০-৪১)
কোন স্ত্রীর সাথে আর সহবাসের ইচ্ছে না হইলে তালাক দিয়া দেওয়া উচিত, আবদ্ধ করিয়া রাখা উচিত নহে (পৃঃ ৪৩)
উনি স্ত্রীকে মারধোরেরও সহি তরিকা বাতলে গেছেন। মুখমন্ডলে আঘাত না করে মারধোর করার বিজ্ঞান সম্মত মানবিক বিধানও উনি বাতলে গেছেন।
আর কত উদাহরন দেওয়া যায়।
এসব মোল্লা আলেমে কোন যুগে কি বলে গেছে তা বড় কথা নয়। বড় কথা হল এখনো এনাদের এসব মূল্যবান কিতাব মাছালা পরম যত্নে লালন পালন করা হয় সেটা। আর এসব তুলে এনাদের সমালোচনা করলে যেভাবে মানুষের গায়ে লাগে সেটা দেখলে।
@আদিল মাহমুদ,
মারহাবা। মারহাবা। আমি যা উদ্ধৃতি দিয়েছি তা সঠিক প্রমান করলেন।
কি সুন্দর ইসলামী ব্যবহার নারীদের প্রতি। একজন শিক্ষিতা মহিলা এই মন্তব্য পড়লে কি বুঝবে?
মহিলাদের কুকুরের সাথে তুলনার কিছু হাদিস ও আছে। হাতের কাছে হাদিস বই নাই–তাই হাদিস নম্বর দিতে পারলাম না।
আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ। আমি বই দুটি ডাউনলোড করেছি। সময়মত পড়ে নিব।
@আবুল কাশেম,
ফারুক ভাইদের মত কোরান ওনলীরা জোর গলায় তর্ক করে যাবেন যে এসব কোরানে নেই, কাজেই গুরুত্ব দেবার কিছু নেই। এ সহি ইসলাম নহে। মুশকিল হল যে জগতের তাবদ মুসলমানে এ জাতীয় বই পুস্তক আলেমদের পরম সম্মানের চোখে দেখেন। ইসলাম সম্পর্কিত যে কোন তর্কেই শোনা যায় যে দয়া করে ভুল ইসলাম জানবেন না। আসল জ্ঞানী আলেমদের কাছে জানুন। সেসব বহুল জনপ্রিয় শীর্ষ জ্ঞানী আলেমদের পান্ডিত্যদের এই হল উদাহরন।
আর কোরানে নেই বলেই ইসলামী নয় এমন গা বাঁচানো কথাবার্তাও টেকে না। কোরানে অনেক কিছুই নেই যা ইসলাম সম্মত, যেগুলি এসব নানান আলেম মোল্লাদের ফতোয়া বা হাদীস, ঐতিহাসি সূত্র থেকেই ইসলামে এসেছে। পরীক্ষায় নকল করা সম্পর্কে কি কোরানে কিছু আছে? এখন আমি যদি দাবী করি যে পরীক্ষার নকল করার সাথে হাদীস কোরানের কোন বিরোধ নেই তো কেমন শোনাবে? আবহ থেকেও অনেক কিছু বুঝতে হয় যা সরাসরি নাও থাকতে পারে।
এসব নারী বিদ্বেষী কালাকানুন এসব জ্ঞানী বুজুর্গ আলেমগণ পয়দা করেছেন কোরান হাদীসের আলোকেই। কোরান হাদীসে নারীকে যেভাবে দেখা হয়েছে, বিবাহকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে তারাও সেভাবেই করেছেন, শুধু ভাষা নিজেদের।
ঐ সাইটে আরো মজার মজার বই আছে। জ্বীন বিষয়ক এই বইটি বিনোদন হিসেবে সবাই পড়তে পারেন। শুধু সূচিপত্র পড়লেই হবে, আর পয়সা দিয়ে জোক্সের বই পড়তে হবে না। এটার খবর অবশ্য লীনা দিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে।
@আদিল মাহমুদ, ডাউনলোড করলাম এইমাত্র। পড়ব কিনা বুঝতেসি না। তবে সুচিপত্র আসলেই দারুন, পড়তে মন চাইতেসেরে ভাই।আফটারঅল জিন মানুষের সঙ্গম হয় এবং এতে বাচ্চাও হয়, বিষয়টি আগে কোনদিন শুনিনি।যা এই বইয়ের সুচিপত্র পড়ে জানলাম। এই জিনিস আপনি পাইলেন কই? :-s
@অর্ফিউস,
জানার আছে অনেক কিছু। আমি ধার্মিক ভাইদের পরামর্শ অনুযায়ী সহি সূত্র থেকে আসল ইসলাম কি বলে তা জানার চেষ্টা করার সময় এই জাতীয় সূত্রের সন্ধান পাই। এই গ্রন্থের লেখক কিন্তু যে সে ব্যাক্তিত্ব নন যে কোথাকার কে লিখেছে বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়। উনি প্রথম যুগের একজন শীর্ষ আলেম, কোরানের তাফসিরও আছে ওনার লিখিত।
জ্ঞানী আলেম সাহেব ধর্মীয় জ্ঞান খাটিয়ে জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ লিখেছেন, শিক্ষিত ভক্তকূলও তা পরম পবিত্র জ্ঞানে পরম যত্নের সাথে নানান ভাবে প্রচার করে যাচ্ছেন। চক্র খুবই পরিষ্কার। এর পরের ধাপ হল গম্ভীর থাকার অনেক চেষ্টা করার পরেও আপনার দাঁত বার হয়ে গেলে দেশে ইসলাম বিপন্ন………ইসলাম বিদ্বেষীরা ধর্ম নিয়ে হাঁসিঠাট্টা করে……নাস্তিক মুরতাদের ফাঁসী দাও……ইসলামে এসব নেই, বিদ্বেষীরা বানিয়েছে……
@আদিল মাহমুদ,
তাহলে তো বইটা মন দিয়ে পড়তেই হয়।তবে যাদের বিশ্বাস করার দরকার তারা ঠিকই করবে বিশ্বাস।না হলে কারো বাচ্চা হয়ে মারা যাবার পরেও কেন শুনতে হয় যে আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যেই করেন? সবই বিশ্বাস আর আশা ভাইরে, আল্লায় বিশ্বাস, আর আখিরাতের জান্নাতের আশা।এইসব আপনার মত নাসারার মাথায় ঢুকবে না।আপনাদের কু সংসর্গে পড়ে আমার ইমানটাও গেছে প্রায় 😀 দেখি জিন মানুষের বাচ্চার কাহিনী পড়ে ইমানের কিছুটা ফিরিয়ে আনা যায় কিনা :-s
ইসলাম যদি এত সহজেই বিপন্ন হবে তবে আল্লাহ এই জিনিসকে কেন পাঠিয়েছেন দুনিয়ার মানুষের হিদায়াতের জন্য সেইটাই আমার ভুঝে আসে না।এইটাতো আসলে সদ্যজাত শিশুর গায়ের চামড়ার চেয়েও মোলায়েম , মানে ঈমান আর ধর্মানুভুতি, খুব সহজেই আহত হয়।এই জিনিস দিয়ে জিহাদ কি করে চলবে সেটা নিয়েই ভাবছি।
যে বলে ইসলাম শান্তির ধর্ম না, তার কল্লা ফেলে দে……..!!! কোথায় যেন এক কার্টুনে দেখেছিলাম ছবি সহ। হাঁসতে গিয়েও হাসি আসেনি শান্তির এই মহান বানী দেখে।
@আদিল মাহমুদ,
“কোরান হাদীসের আলোকে পারিবারিক জীবন” আরবিতে এর নাম ‘হুকুকে মোয়াশারাত’, বাংলায় অনুবাদ করেছেন মৌলানা আবু তাহের রাহমানী। এই বই অবলম্বনে ‘ইসলামি নারী’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম আজ থেকে বহু বছর পূর্বে। নীচে দেখুন-
http://www.mukto-mona.com/Articles/akash/islami_nari2.pdf
১ম পর্ব-
৩য় পর্ব-
@আকাশ মালিক,
সেই জন্যেই কী আমাদের দেশের মহিলারা বলেনঃ “ওর নাম মুখা নেওয়া যায় না”?
একমাত্র বাংলাদেশ (ভারতও, পাকিস্তানও হয়ত জো্গ দেওয়া যায়) ছাড়া আমি বিশ্বের কোথাও এই বিচিত্র প্রথা দেখি নাই বা শুনি নাই।
আচ্ছা, এই বইটা কোথায় পাওয়া যায় অথবা কোথায় পড়তে পারি?
@আদিল মাহমুদ, হয়তো বা আমারি বুদ্ধি শুদ্ধি কম। আমি সব সময় উল্টাটাই বুঝি। শরিয়া আইনকে আমি যদিও মানি না , তবুও আমার তো মনে হয় এই মানবিক আইনগুলো , সত্য সত্যই জোরেশোরে প্রচার করা উচিৎ।
ভরনপোষনের এই আইনগুলো তখনি প্রযোজ্য , যখন স্বামী স্ত্রীকে কোন ভরন পোষন দিতে অস্বীকার করে। এটাতো মিনিমাম। এর বেশি দিতে কি মানা করা হয়েছে? দৈনন্দিন জীবণে কয়টা মুসলমানকে এরূপ মেপে মেপে ভরনপোষন দিতে দেখি? একটা ও না , কারন বেশি দিতে তো মানা করা হয় নি। যে সকল সংসারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে শান্তি , ভালবাসা বিদ্যমান , সেখানে তো সমস্যা নেই। সমস্যা হয় তখনি , যখন স্বামী ভরনপোষন দিতে অস্বীকার করে। শারিয়া এই আইন কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ হলে কোন স্বামী পরিতিক্তা মহিলাদের (বাংলাদেশে যাদের সংখ্যা প্রচুর , আয়ের কোন উৎস নেই) আর ভিক্ষা করা লাগত না বা লোকের বাড়ি কাজের বুয়া হওয়াও লাগত না বা মানবেতর জীবণ যাপন ও করা লাগত না। আমাদের দেশে বহু বিবাহের সমস্যা রিকশা ঔয়ালা , ঠেলা চালক , বস্তি বাসী গরিবদের মাঝে বেশি। ভরনপোষন দিতে হলে আর বহু বিবাহ করা লাগত না।
এই পর্বের আইনগুলোর মাঝে খারাপ কিছু তো চোখে পড়ল না। কোনটা কোনটা খারাপ বলেন তো।
আবারো বলি -আমার বিশ্বাস মতে এই সকল শরিয়া আইন মানা না মানা ঐচ্ছিক , এর সাথে ইসলামের কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
@ফারুক,
আপনি খারাপ কিছু দেখবেন তেমন আশাও আমি করিনি 🙂 ।
ইসলামী মতে বিবাহ ব্যাপারটাই তো মোটামুটি অর্থ দ্বারা একজন যৌনদাসী খরিদ করা ছাড়া ভিন্ন কিছু মনে হয় না। এই সম্পর্কের মাঝে ভাব ভালবাসা বা মন দেওয়া নেওয়া এসবের কোন ব্যাপার আছে বলে তো মনে হয় না। আমি আমার স্ত্রীকে বিবাহ করেছি নগদ মূল্যে (বাকিটুকু বললাম না এতই অশ্লীল লাগছে) ভাবলেই আমার গা রিরি করে উঠছে। আপনার হয়ত এসবে তেমন আপত্তিকর লাগে না।
আগের পর্বে পড়েছেন মোহরানা কেন জরুরী? এটা হল স্ত্রীর যৌনাংগের উপর স্বামীর অধিকারের মূল্য। যা একাধিক হাদিসের মাধ্যমে জানা যায় (আপনি হাদীস মানেন কি না মানেন সে আপনার ব্যাপার, হাদীস হল ইসলামী বিশ্বে স্বীকৃত নবী বিধান)। এই কন্সেপ্টেও নিশ্চয়ই কোন ভালগার বা কিছু দেখেন না? এই ধারনার উপর ভিত্তি করেই ইসলামী বিবাহ আইন চরিত হয়েছে। সার কথা হল স্বামী স্ত্রীকে খরিদ করে ফেলল তার যৌণ দাসী হিসেবে কিছু নগদ মূল্যে। যার বিনিময়ে স্ত্রীকে যেভাবে খুশী যখন খুশী সে উপভোগ করতে পারবে (এটা আপনার কোরান স্বীকৃত), মারধোরও করতে পারবে। তবে স্ত্রীর প্রতি অমানবিক বলা যাবে না। কারন স্বামীকে ন্যূনতম দৈনিক ১ লিটার খাদ্য শস্য দেবার বাধ্যতামূলক ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। বস্ত্র দিতেও বলা হয়েছে।
অর্থের বিনিময়ের যৌন সহবাসের ধারনাই ইসলামী আইনে লিখিত হয়েছে তা মনে হয় আপনি দেখবেন না।
– অর্থাৎ স্ত্রী কোন কারনে দেহদানে অস্বীকৃতি জানালেই (এমনকি শারীরিক ভাবে অসমর্থ হলেও এই আইনের আওতায় পড়তে পারে বলে মনে হয়) স্বামী বাবাজী ১ লিটার খাদ্য এবং বস্ত্র দিতেও বাধ্য নয়। এমন আধুনিক যুগোপযুগি মানবিক আইন ব্যাবস্থায় মন্দ কিছু যে কি আছে তা খুবই বিস্ময়কর।
স্ত্রীর চিকিতসার খরচ যোগাতেও স্বামী বাধ্য নয়? করলে তা হবে স্বামী বাবাজির মহত্ব?
স্ত্রীর উপরোল্লিখিত মহা অধিকার গুলি আবার দিন আনি দিন খাই বেসিসে। অর্থাৎ, স্ত্রী সামান্য বেঁকে করলে পরের দিনই চুক্তি বাতিল, রাস্তা মাপো? স্ত্রী বেচারীর তো মুখ ফুটে রাঁ করারও উপায় রাখা হয়নি। এমনিতে কোরান মতে সে উপার্জন করে না বলে তার মর্যাদা কম, আবার স্বামী বাবাজি উপার্যন বিহীন স্ত্রীকে পরের দিনই দৈনিক ১ লিটার খাদ্য প্রাপ্তিও বন্ধ করে দিতে পারে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, দৈন্দিন জীবনে বেশী লোকে এসব আইন কানুনের ধার ধারে না বলেই জগত এখনো টিকে আছে। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমত যে মানুষ সহি ইসলামী আইন কানুন শরীয়া এসবের ধার ধারে না। আর ধার ধারে না বলেই আলেম মোল্লা শ্রেনীর লোকে দিবা রাত আহাজারি করে কেয়ামতের আর দেরী নাই বলে, নারী দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে, এবং তারা এসব সহি ইসলামী শরীয়া আইনের নাগপাশ কায়েমের দাবীতে দুনিয়া তোলপাড় করার অংগীকার করে। ছেলেমেয়ের সমান সম্পত্তি দেবার কথা হলেও তারা ইসলাম বিপন্ন বলে দাবী করে।
আইনের বই রীতিমত ইসলামী আইন আকারে ছাপিয়ে বার করবেন আবার বলবেন যে মানা না মানা ইচ্ছে, বাধ্যবাধকতা নেই, শরীয়া মানা ঐচ্ছিক – এর মাজেজ ভাই আমি বুঝতে অক্ষম। শয়তানে আমার দিল পুরোই কব্জা করে নিয়েছে।
স্ত্রীকে জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম মেনে শুধুমাত্র যৌনদাসী কাম গৃহকর্মী হিসেবে না দেখে স্বাবলম্বী হবার সুযোগ দিলে, পৈত্রিক সম্পত্তির সমান ভাগ দিলে আপনার শরীয়া খোরপোশের তেমন কোন দরকার নেই। স্বামীর সাথে ঝামেলা হলে সে নিজের পথ নিজেই দেখতে পারে।
এসব ইসলামী আইন নিয়ে আমার বলার তেমন কিছু নেই। প্রাচীনপন্থী সেকেলে মূল্যবোধের আইন কানুন সে আমলে চলতেই পারে। এই আমলে যারা ছাপার হরফেও এসব ছাপায় তাদের মানসিক হাসপাতালে জনস্বার্থেই ভর্তি করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর যারা এসব কায়েম করার খায়েশ পোষন করে তাদের কথা আর কি বলব। কাশেম সাহেবকে আরো কিছু ইসলামী মাছালার উদাহরন দিয়েছি দেখতে পারেন। আপনি দাবী করেই যেতে পারেন যে এসব কোরানে নেই। মুশকিল হল যে এসব কিতাবের লেখকেরা ইসলামী জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত এবং তাদের এসব মনিমুক্তা খচিত পুস্তক পরম যত্নে লালিত।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার এই মন্তব্য সত্যিই অমূল্য। আমি এই বাক্যগুলি কোনদিন ভুলব না। বেশীরভাগ মুসলিম পুরুষদের মাঝে এখনও মানবতাবোধ আছে তাই তারা তাদের স্ত্রই কে শরীয়াতের অমানুষিক যাঁতাকলে পেষণ করে না।
কিন্তু এই মানবতাবোধ সম্পন্ন মুসলিমরা যখন শতকরা ১০০% ইসলাম মান্য করে, শারিয়া আইন মত চলতে চায় তখন তাদের অমানুষিক হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
আইন আইনই–কেউ মানুক না মানুক তার অর্থ এই নয় যে আইন বাতিল হয়ে গেছে। শারিয়া আইন আল্লার আইন–এই আইনের পরিবর্তন করা মানুষের জন্য অসম্ভব।
@আবুল কাশেম,
মানুষের শুভ অশুভ বোধ সজহাত ভাবেই থাকে। তাই রক্ষা। সে সব সহজাত প্রবৃত্তির টুটি চিপে ধরতে এসব শরিয়াবিদ গনের চেষ্টা নিরন্তর। জগতের সব পুরুষে এসব ইসলামী আইন কানুনের বই আমল করা শুরু করলে ফারুক সাহেব হয়ত খুব উজ্জ্বল কোন চিত্র দেখেন, আমি তো দেখি না।
সমস্যা হল এসব তথাকথিত আলোর দিশারী বই পুস্তকের অর্থহীন অমানবিক কালাকানুন মানুষ না মানলেও সরাসরি অস্বীকারের মানসিকতা সেভাবে এখনো ডেভেলপ করতে পারেননি। যার প্রমান হল এসব কিতাব পরম যত্নে লালন পালন করা। এসব মোল্লা আলেম সম্পর্কে কোন রকম সমালোচনাও বেশীরভাগ লোকেই সহ্য করতে পারেন না। এই অভিজ্ঞতা ফারুক সাহেবের নিজেরই হাঁড়ে হাঁড়ে হয়েছে। এসব আবর্জনা সরাসরি প্রত্যাখান করতে না পারলে এসব আবর্জনা থেকে শক্তি নিয়ে যারা সমাজের ওপর ছড়ি ঘোরাতে চায় তাদের কোনদিন নির্মূল করা যাবে না।
@আদিল মাহমুদ,
চমৎকার জবাব (Y)
স্বামী বাবাজি হবে কীভাবে?:lotpot:
@তামান্না ঝুমু,
স্বামীর সম্মান অধিক, কারন সে অর্থ উপার্জন করে, তাই সম্মানের সাথে তাকে বাবাজি বলা যেতে পারে।
@আদিল ভাই, অনেক দিন আগের পোষ্টে অনেক পুরানো মন্তব্য।তবু মজা পেলাম লেখাটি পড়ে আর কিছু কুরান অনলি মুসলিমদের মন্তব্য পড়ে।
তথাকথিত আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে কি বর্তমানকালের মেয়েদের মত অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা ছিল না? নবীজি নিজেই তো প্রথম বউয়ের পোষ্য ছিলেন!তাহলে এমন সব যুক্তি কেন নবীজি দিয়ে গেছেন বুঝি না। আরেকটু শক্ত যুক্তি আমার মনে হয় উনি চেষ্টা করলেই দিতে পারতেন! তবে কি সময়ের সাথে তাঁর যুক্তি খারিজ হয়ে যাবে, এই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই উনি এমনসব যুক্তি দিয়েছেন যা ধোপের টেকে না??
কুরান অনলি মুসলিমরা যদি হাদিস তথা নবীজির বানীকে নাই মানবেন তবে নবীজির মাহাত্ম আর থাকল কোথায় এইটাই তো আমার এই ক্ষুদ্র খুপড়িতে ঢুকছে না :-s
@অর্ফিউস,
নবীজির স্ত্রী বিবি খাদিজা বিশাল ধনাঢ্য হলেও তার অফিশিয়াল কাককর্ম দেখভাল করার জন্য নবীজিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেটা খুব বড় কথা নয়।
মুশকিল হল এই যুগে বহু দম্পতি আছে যেখানে স্ত্রীর উপার্জন স্বামীর বহুগুনে বেশী। তারাও নিশ্চয়ই এই আয়াত মুগ্ধতার সাথে পাঠ করেন, অলৌকিক আবেশে মন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
@আদিল মাহমুদ,
অবশ্যই, বিশেষ করে নামাজ পড়ার সময়ে।বুঝলেন আদিল ভাই কোরানে যেখানে পুরুষের চার বিয়ের ফতোয়া আছে, সেই আয়াত পাঠ করেও এইসব নারীরা ৪ ওয়াক্ত ( অনেকেই ফজর পড়েন না 😉 ) সালাতের কয়েকটি রাকাতে পাঠ করে থাকেন তখন মনে হয় না যে,তাঁরা কিছু বুঝে পাঠ করেন। বুঝলে মনে হয় না এতো দরদ দিয়ে পড়তেন 😀
@আদিল মাহমুদ,
আপনার চোখে আমি খারাপ লোক হতেই পারি এবং আমার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা নাও করতে পারেন (যদিও আমাকে আপনি ব্যাক্তগত ভাবে চেনেন না) , তবে এখানে আমার বিচার হচ্ছে না বা আমার আশা আকাংখার উপরে ও ইসলাম নির্ভর নয় , এটা নিশ্চয় মানবেন। আমার চারিত্রিক সার্টিফিকেট না দিয়ে , যদি আমার প্রশ্নটির –
পয়েন্ট বাই পয়েন্ট উত্তর দিতেন , তাহলেই শোভন হোত।
আমাদের দেশে সাধারনত যেটা ঘটে থাকে , যৌনদাসী খরিদ করার দাবীটা মনে হয় কেউ করতে পারবেনা , কেননা মোহরানা শোধ মনে হয় কেউ করে না দু একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া। যারা পুরো টা শোধ করে , ইসলামি দৃষ্টিতে সে সত্যিকারের মানুষ , এমং সত্যিকারের মানুষের কাছে অবিচার পাবেন না , তা আপনি যতই উল্টা পাল্টা যুক্তি দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করুন না কেন। বরং উল্টাটাই ঘটে , মেয়েরাই যৌনদাস খরিদ করে। যৌতুক ছাড়া বিয়ে এখনো আমাদের দেশে কমি হয়।
আপনার কথা জানি না , তবে আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে কোন প্রকার মোহরানা দেয়া বা দেয়ার অঙ্গীকার ছাড়াই বিয়ে করে থাকেন , তাহলে বুঝব আপনার গা রি রি করার দাবীটা যথার্ত। বিয়ের সাথে যৌণতা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত , তা আপনি মানুন আর নাই মানুন। বিয়ে করলেন আর বৌ আপনার যৌণসণ্গী হতে অনিচ্ছুক হবে বা যার তার সাথে আপনার বৌ ঘুরে বেড়াবে এবং নিজের যৌণচাহিদা পুরন করে বেড়াবে আপনারি চোখের সামনে দিয়ে এবং এরপরে ও আপনি বৌর সাথে ভাব ভালবাসা বজায় রাখবেন ও ভরনপোষন দেবেন , তেমন মহাপুরুষ আপনি হতে পারলেও আমি হতে পারব না। দুঃখিত।
ভাল করে পড়ুন , তাহলে বুঝবেন এই সকল শরিয়া আইনের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই । এগুলো যূগে যূগে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে ইসলামি(?) শাসকদের শাসনামলে তাদের যূগের চিন্তার সাথে সঙ্গতি রেখে তাদেরি দরবারী বেতনভূক আলেম/ আইন প্রনেতা কর্তৃক রচিত।
হাত তালি পাওয়ার উদ্দেশ্যে মন্তব্য না করে , মন্তব্য ভাল করে পড়ে উত্তর দেয়ার অনুরোধ রইল।
@ফারুক,
আপনার আজকাল ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে তা আমি টের পাই। আপনি ইসলামের খারাপ কিছু দেখেন না কারন আপনি ইসলামে পূর্ন বিশ্বাসী বলে। এর সাথে আপনি ব্যাক্তিগতভাবে ভাল না খারাপ তার কি যোগ? ব্যাক্তিগত জীবনে ভাল মানূষও চেষ্টা করবে যেভাবেই হোক তার ধর্ম ডিফেণ্ড করে যেতে। সেটাই স্বাভাবিক, ধর্ম আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন, কাজেই আপনি সে চেষ্টাই করবেন সেটাই স্বাভাবিক।
পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আর কি জবাব দেব? এই সিরিজে তাহলে কি লেখা হয়েছে? আপনি তাতেও আপত্তির কিছু দেখছেন না দেখে কিছু মূল অংশ হাইলাইট করেছি।
আমি দেশের প্রচলিত সংস্কৃতি মেনে বিয়ে করেছি বা করতে বাধ্য হয়েছি। নিঃসন্দেহে সে সময় আমি মোহরানার মূল উদ্দেশ্য যে মেয়ের যৌনাংগ খরিদ করার অধিকার ক্রয় করা তা জানতাম না। জানলে নিঃসন্দেহে এ প্রথায় সংগত কারনেই আপত্তি করতাম। আপনার ধারনা দেশের সব বিবাহিত লোকে এই মহান ক্রয় বিক্রয় প্রথা জানে?
কোন ভদ্রলোককে বিবাহের আসরে বলা হল, “ওহে, তোমার স্ত্রীর যৌনাংগের অধিকারের বিনিময়ে তোমাকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে হে, তুমি কি রাজী আছো?” সেই বিয়ের আসরে উপস্থিত জামাই বাবা আর অন্য দর্শকদের মুখের চেহারা কেমন হবে বলে আপনার মনে হয়?
যে সব মোল্লা আলেম আসল মাজেজা জানেন তারাও জানেন যে এসব সেকেলে মূল্যবোধের কথা বললে প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে। তাই রেখে ঢেকে কাজ চালিয়ে দেন।
মেয়েরা কিভাবে যৌন দাস খরিদ করে বুঝলাম না।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে অবশ্যই যৌনতা খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাই বলে অর্থের বিনিময়ে স্বামী স্ত্রীর যৌনাংগের অধিকার ক্রয় করে- এটা হল বিবাহের মূল ফিলোসপি? বিবাহ আইন পড়লে তো সেটা ভিন্ন কিছু মনে হয় না। আর নগদ অর্থের পরে দিন আনি দিন খাই ভিত্তিতে দৈনিক পেট চুক্তি ১ লিটার শস্য?
– আমি স্ত্রী পরকিয়া করে যাবে আর স্বামী তা চেয়ে চেয়ে দেখবে এমন কিছু দাবী করেছি কোথায় দেখান। আপনি আজকাল উদ্ভট সব কথাবার্তা দাবী করে যান। আমার কথা আদৌ পড়েছেন, বা বুঝেছেন? আবারো পড়েন।
– স্ত্রী কোন কারনে কোন বিশেষ দিন বা সময়ে যৌন সম্পর্কে অস্বীকৃত জানানো আর তার পর পুরুষের সাথে পরকিয়া বেড়ানো এক হল?
কোরানে বলা নেই, যে স্ত্রীরা হল স্বামীর জন্য শস্য ক্ষেত্র? তাতে যেভাবে খুশী গমন করা যায়? স্বামীর যৌন আহবানে স্ত্রীকে সর্বদাই সাড়া দিতে হবে (অর্ত্থাত তার নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছের ব্যাপার নেই) এই ধারনা ইসলামে নেই?
এসব আইন তো বানানোই হয়েছে সেসব মূল্যবোধের ওপর। কারন পরিষ্কার। নগদ অর্থে কোন বস্তু খরিদ করলে তার ওপর ক্রেতার পূর্ন অধিকার থাকে। খরিদকৃত বস্তুর সেক্ষেত্রে কোন ইচ্ছে অনিচ্ছের ব্যাপার থাকে না। যে স্ত্রীকে নগদে খরিদ করা হয় সে আর ভিন্ন হবে কিভাবে। এই মূল্যবোধও নি:সন্দেহে খুবই মহান।
– ইসলামের সম্পর্ক নেই তা কি ভাবে বলি? তাহলে ইসলামী আইন নামক সেসব পুস্তক আগে পুড়িয়ে আসুন। ইসলামী বা মুসলমান পারিবারিক আইন তো আর কোরান নয়। কোরান হাদীসের ভিত্তিতে রচিত আইন গ্রন্থ। আর আপনি এসব আইনে ভাল ছাড়া খারাপ কিছু না দেখলে দরবারি বেতনভুক আলেম/আইন প্রনেতা এদের ষড়যন্ত্র কেন দেখেন?
আমার হাততালির তেমন দরকার নেই। তেমন দরকার পড়লে এসব নিয়ে নিজে নিজে পোষ্ট দিতে পারি। তাতে তেমন কৃতিত্বের কিছু দেখি না কারন এইগুলি নিয়ে ইসলাম সমালোচনা এতই সহজ কাজ। তবে এইগুলির স্বপক্ষে যখন উদ্ভট হাস্যকর যুক্তি নিয়ে হাজির হন, আর একদিকে বলেন ইসলামের সাথে সম্পর্ক নেই, আবার আরেক দিকে ডিফেন্ড করে যান তখন বেশ মজাই লাগে। হয়ত কারো থাকে হাততালির লোভ আর কারো পরকালের অসীম আনন্দের লোভ।
@আদিল মাহমুদ,
আপনাকে আমি আগেও বলেছি , আমার কোন ধৈর্য্যচ্যুত ঘটেনি। দুই দিকের চরমপন্থী বদ্ধমনারা যখন উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে , তখন কোন প্রতিক্রিয়া দেখাই না। কারন লাভ নেই। ওদের সাথে যুক্তি তর্ক চলে না। কিন্তু আপনাকে ভালা পাই। সেকারনে যুক্তির বাইরে চরিত্র হনন দিয়ে কোন মন্তব্য যখন শুরু করেন , তখন তো প্রতিক্রিয়া দেখাতেই হয়। বিতর্ক হবে যুক্তি দিয়ে বস্তু নির্ভর , মন্তব্যকারীর পরিচয়ের কোন স্থান থাকা উচিৎ নয়। কাউকে বিতর্কে হারানোর জন্য চরিত্র হননে আমি বিশ্বাসী নই। আমি বিতর্ক করি সত্য জানার উদ্দেশ্যে , জেতার জন্য নয়।
মন্তব্যের শুরুতেই এমন বক্তব্য , চরিত্র হননের শামিল। এগুলো যুক্তির অংশ হওয়া উচিৎ নয়। এগুলো উকিল ও রাজনৈতিক নেতাদের কাজ , জনমত ও আদালতকে প্রভাবিত করার জন্য।
জানতে চেয়েছি এই পোস্টের (অন্য কোন পোস্ট বা এর শাখা প্রশাখা ও নয়) কোন আইনগুলো খারাপ এবং কেন? আপনার উত্তর হবে নির্দিষ্ট। সেই অপেক্ষায় রইলাম।
উত্তর পেলে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আলোচনা করব।
@ফারুক,
আপনার সাথে আমার পূর্ব পরিচয় আছে লেখালেখির সুবাদে, কাজেই সেই অর্থে আপনি যে এসব বিধিবিধানে আপত্তিকর কিছু দেখবেন না তা আন্দাজ করা খুবই সহজ। এর মাঝে কি খুব গুরুতর কিছু বা ব্যাক্তি আক্রমনের মত ব্যাপার আছে?
কোন লোক যে মনে প্রানে ইসলাম বা কোরান বিশ্বাস করে সে কোনদিন খোলাখুলি স্বীকার করবে যে কোরানে অমানবিক বা আপত্তিকর কিছু আছে? এটা তো কমন সেন্স। এটা আঁচ করায় ব্যাক্তিগত আক্রমনের কিছু আছে কি? এর সাথে ব্যাক্তি জীবনে কে ভাল কে মন্দ তার কোন সম্পর্ক কিভাবে থাকে?
আপনি নিজে খোলা মনে বলেন তো; কোরান ঘটিত কোন তর্কে আপনি কোনদিন মেনে নেবেন যে কোরানের এই অংশটা আসলেই আপত্তিকর? এখন আমি এ কথা আগাম বলে থাকলে আমি আপনাকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করে ফেললাম?
আমার উত্তর আর কিভাবে নির্দিষ্ট হবে আমি জানি না। বহু কথাই বলেছি। তেমন দরকারও নেই। আপনার ভাবনা আপনারই, তা পরিবর্তনের সাধ্য আমার নেই।
@আদিল মাহমুদ,
আসলেই কেউ কারো ভাবনার পরিবর্তন করতে পারে না , যদি না সে নিজেই নিজের ভাবনার পরিবর্তন করে। সুতরাং হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
এখানেই সকলে ভুল করে। সকলেই মনে করে সে যেটা ভাবে বা জানে সেটাই ধ্রুব সত্য , প্রতিপক্ষ ইচ্ছা করেই সত্যটা মেনে নিচ্ছে না। আপনার কাছে কোরানের যে অংশটা আপত্তিকর মনে হয় , সেটা আমার কাছে আপত্তিকর নাও হতে পারে। আমার কাছে আপত্তিকর না হলে , তা কিভাবে আপত্তিকর মেনে নেব? দ্বিচারিতা হয়ে যাবে না? পৃথিবীতে এত ভিন্ন মত ও পথ কেন? আপনার কি ধারনা , একটি দল বাদে বাকি সকলেই ইচ্ছা করেই বিরোধীতা করছে? নিজের সাথে দ্বিচারিতা করছে?
@ফারুক,
আপনি আমার কথার সরাসরি জবাব দেননি। আপনার সাথে আমার সব সময় বা সব কিছু নিয়েই কি আপত্তিকর লাগতে পারে বা কি আপত্তিকর লাগতে না পারে তা নিয়ে একমত নাও হতে পারে। এতে কোন ভুল নেই। আমি কি তেমন দাবী তুলছি নাকি যে আপনাকে আমার সব আপত্তির বিষয় মেনে নিতেই হবে?
আমার প্রশ্ন ছিল যে, আপনি কোরানে আপত্তির কিছু আছে – এই সম্ভাবনা মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেন কিনা?
মেনে নিতে যদি পারেন তবে আমার কথা ফিরিয়ে নেব।
আর যদি বলেন যে; নাহ, কোরান যেহেতু আল্লাহর পাঠানো জীবন বিধান তাই এতে আপত্তির কিছুই থাকতে পারে না (যা কে কোন কোরান বিশ্বাসী লোকেরই বলার কথা) তাহলে তো আমার কথাই ঠিক প্রমান হল।
কারা কিভাবে দ্বি-চারিতা করছে তা নিয়ে গত পরশুই আপনার সাথে আমার অন্য যায়গায় কথা হয়েছে। সোজা কথায়, মুখে বললাম যে কোন সমস্যা দেখি না, বক্তব্যের স্বপক্ষে নানান তত্ত্বীয় যুক্তি কথামালা সাজিয়ে গেলাম আর কাজের বেলায় কোরানিক আইনের তোয়াক্কা করলাম না এই আচরনকে দ্বি-চারিতা ছাড়া আর কি বলা যায় আমি জানি না। কয়জন এই দলের তা আমি গুনে দেখিনি।
@ফারুক,
আইনে বলা হয়েছে- পুরুষেরা চাহিবামাত্র স্ত্রীদেরকে শুয়ে পড়তে হবে। এবং আগে থেকেই ক্লিন থাকতে হবে। না থাকলে সেটাই আবার এক সমস্যা। তাহলে মেয়েরা কি সবসময় এই একটা চিন্তা আর এই একটা জিনিসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েই ২৪/৭/৩৭৫ থাকবে? এদের জীবনে কি আর কোনো কাজ নেই?
@ফারুক,
“…মেয়েরাই যৌনদাস খরিদ করে। যৌতুক ছাড়া বিয়ে এখনো আমাদের দেশে কমি হয়।”
মেয়েপক্ষ যৌতুক দেয় মানেই কি মেয়ের জন্য যৌনদাস খরিদ করা? যৌতুক কি মেয়েপক্ষ খুশি হয়ে নিজের ইচ্ছেয় দেয় নাকি ছেলেপক্ষ দাবী করে, জোর করে এটা আদায় করে?
@শ্রাবণ আকাশ, দেনমোহর দেওয়াকে যদি যৌনদাসী খরিদ করার সমতুল্য ধরা যায় , তাহলে যৌতুক দেয়া মানে মেয়ের জন্য যৌনদাস খরিদ করা হবে না কেন? দেনমোহর নিয়ে ও কিন্তু দর কষাকষি হয়। ছেলে পক্ষ চায় কমাতে আর মেয়ে পক্ষ চায় বাড়াতে।
@ফারুক,
দিতেই যখন হবে তখন কে বেশী দিতে চায়? আর নিতেই যখন হবে তখন কে কম নিতে চায়? মগজ হাঁটুতে থাকলেও এই সব স্বার্থসিদ্ধির বেলায় সবাই কমবেশী সিদ্ধহস্ত!
কিন্তু ২য় প্রশ্নের উত্তর তো এড়িয়ে গেলেন? কোনো প্যাচ ছিল না তো।
ধর্মীয় প্রথা বলে দেনমোহর দিতে হবে। সো দেবো। আবার জোর করে যৌতুকের নাম করে সেটা ফিরিয়েও নেব। মাঝখান থেকে লাভ হলো- জলজ্যান্ত একটা মানুষের সমস্ত কিছু ভোগ করার অধিকার। পুরাটাই ঐ “খাদ্যের বিনিময়ে শরীর ভোগের কর্মসূচী”! এ যে টাকার বিনিময়ে পতিতালয়ে গমন থেকেও বেশী লাভ। সার্বক্ষণিকের জন্য একটা কাজের মেয়ে যে কিনা সমস্ত গেরস্থালীর কাজ করতে বাধ্য। আবার চাহিবা মাত্র উলঙ্গ হয়ে শুয়ে পড়তেও বাধ্য!
আবার শরীর ছেনে সাধ মিটে গেলে যখন-তখন তালাক দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার অপূর্ব বিধান! একটা উন্নত বিশ্বের পতিতারাও কি এর চেয়ে ভালো লাইফ লীড করে না?
এবার আমার প্রশ্ন এবং আপনার উত্তর।
প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আপনি কিন্তু এক প্রকার স্বীকার করলেন- দেনমোহর = যৌতুক।
দেনমোহর+ডেইলি ভরণ-পোষণের বিনিময়ে একটা পুরুষ যে অধিকার আর সুবিধা লাভ করে, নারীরা ঐ যৌতুকের বিনিময়ে তার অর্ধেকও কি পায়?
আবার ধরেন নারী যদি রোজগার করে…ওহ সরি, এখানে তো নারীর ঘরের বাইরে বের হওয়াই নিষেধ!
সামাজিক প্রথা হিসাবে যৌতুক একটি নিন্দিত প্রথা। এই হিসাবে দেনমোহরের বিধানও কেন “ধর্মীয় প্রথা” হিসাবে নিন্দিত হবে না?
এবার একটা পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিবাহের মানেটা আসলে কি দাঁড়াল?
@শ্রাবণ আকাশ,
আবারো করুন , হয়তো বা চোখ এড়িয়ে গেছে।
যৌতুকের কথা কিন্ত ধর্মীয় প্রথা বলে না। খামাকা এখানে ধর্মকে দূষছেন।
“খাদ্যের বিনিময়ে শরীর ভোগের কর্মসূচী” শুনতে যতই খারাপ লাগুক , এটাই বাস্তবতা। যারা ( সুশীল , নাস্তিক , নারীবাদী) একে বর্বর বলছেন , তারা সকলেই মোনাফেক – মুখে এক কথা কাজে ভিন্ন। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে ‘put your money where your mouth is’. এদেরকে বিয়ের আগে কনের বাবাকে বলতে বলুন , “বিয়ে করব কিন্তু দেনমোহর দেব না বা আপনার কন্যার ভরনপোষনের দায়িত্ব ও নেব না”। দেখি এদের বিয়ে হয় কি না বা একথা বলার সাহস(বোমা খাওয়ার ভয় না , বিয়ে না হওয়ার ভয়) এদের হয় কি না? মুখে হাতি ঘোড়া অনেকেই মারতে পারে।
আপনার বাঙালি মুসলমানের বৌদের দাপট তো দেখা ও জানার কথা। তারপরেও এই পোস্ট ও আপনার সমর্থন এবং উন্নত বিশ্বের পতিতাদের সাথে তুলনা করতে চাওয়া কে কি বলব? অজ্ঞতা , বিদ্বেষ , নারিবাদী সাজা?
@ফারুক,
আমি যৌতুককে ধর্মীয় প্রথা হিসাবে বলি নাই, বলেছি সামাজিক প্রথা। এবং সেটা সমাজে এখন ঘৃণিত। দেনমোহরটা বরং ধর্মীয়, এটা ধর্মের নামেই হয়। ধর্মকে দূষণ করার আগে এই প্রথার ভালো-মন্দটাই দেখতে চেয়েছি আগে। প্রথা খারাপ হলে ধর্ম দূষণ আপনা থেকেই হবে।
এই বাস্তবতা যে সমাজে, সেই সমাজে মেয়েদের বাস্তব চিত্রটা কেমন?
বাঙালী মুসলমানের বৌদের দাপটের যে কথা বললেন শুনে আহ্লাদিত হলাম! ভাগ্যিস শারিয়া আইন পুরোটা চালু হয় নাই। কিন্তু অনেকেই এই আইনের দাবীতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে, আর মেয়েরাও এই আইনের আসল চেহারা না বুঝেই চুপ করে আছে শুধু আল্লার আইন বলে! যেখানে ১০০% চালু আছে, সেখানকার অবস্থার কথা আশা করি মনে করিয়ে দিতে হবে না।
উন্নত বিশ্বের পতিতাদের সাথে তুলনা বাঙালি মুসলমানের বৌদের দেইনি। দিয়েছি যদি এটা ১০০% চালু হয় বা যেখানে হয়েছে, সেখানকার পরিপ্রক্ষিতে।
@শ্রাবণ আকাশ,
চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে চিলের পিছে না দৌড়ে , আগে কানে হাত দিয়ে তো দেখুন।
আবুল কাশেম সাহেব বল্লেন আর আপনারা দৌড় শুরু করলেন! কোন দেশে বা সমাজে ১০০% শারিয়া আইন চালু আছে সেটা তো বলবেন? কোথায় কোন দেশে স্বামীরা মেপে মেপে ১ লিটার শস্য স্ত্রীকে দিচ্ছে ও যৌণ দাসী করে রেখেছে , সেটাতো বলবেন? গুজবে কান দিলেই হবে?
আমাদের দেশে একটা কথা আছে- ‘ভাত দেয়ার ভাতার না , কিল মারার গোঁসাই’। আমার তো মনে হয় এদের জন্য শারিয়া আইন চালু হলে ভালই হোত , যদিও আমি শারিয়া আইনকে মানি না।
@ফারুক,
কতই না হাস্যকর মন্তব্য। আল্লাহ শারিয়া আইন বানিয়েছেন—আবার বলছেন এই মানা না মান ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে।
বলুন, বাংলাদেশে কি শারিয়া আইন চলছে? বিশেষতঃ বিবাহ, ভরণপোষণ, তালাক ইত্যাদি নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মুসলিম পারিবারিক আইন কী বলছে?
আপনার বাকী প্রসঙ্গের উত্তর এই রচনাতেই আছে। আমার উত্তর দেবার কিছুই নাই–ভাল করে পড়ে নিন আবার।
@আবুল কাশেম,
ফারুক ভাই কিন্তু খুবই উদার ধার্মিক। তিনি এমনকি কোরানের সরাসরি আইন মানার ব্যাপারেও ১০০% ফ্লেক্সিবেল। ওনার মতে কোরানের কথাও যা ভাল লাগবে না তা মানার বাধ্যবাধকতা নেই।
@আদিল মাহমুদ,
এটা ভুল বল্লেন। কোরানের ব্যাপারে আমি ফ্লেক্সিবেল নই বা কোরানের কথাও যা ভাল লাগবে না তা মানার বাধ্যবাধকতা নেই, এমন দাবী ও করি নি
@ফারুক,
আপনি তেমন দাবী আগে করেছেন, আজ মনে করতে পারছি না, তবে মিথ্যা বলছি না।
@আদিল মাহমুদ, আমি আমার জানা মতে এমন দাবী আগে করিনি , তবে আপনাকে মিথ্যাবাদী ও বলছি না। হতে পারে , আমি একটা বলেছি , আপনি বুঝেছেন অন্যটা (যেটা সচরাচর ঘটে থাকে)। অথবা আমি বলতে চেয়েছি একটা , কিন্তু ভাষার মারপ্যাচে বুঝাচ্ছে উল্টোটা। যেটাই ঘটুক , কোরান মানা মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক , এটাই বটম লাইন। কেমন ও কতটুকু মানবেন? যেমন ও যতটুকু আপনি নিজে বুঝবেন।
@ফারুক, ধরে নিচ্ছি আপনি কোরআন ১০০% আপনার বুঝ অনুসারে মানেন। তাহলে একটা প্রশ্ন- কোরআনে যখন- বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করো না…তাদের যেখানেই পাও, সেখানেই কোতল কর- এধরনের আয়াত পান, তখন কি এগুলো হ্যান্ডল করার জন্য কি পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন বা নিজে কি করেন?
@শ্রাবণ আকাশ,
বোঝার চেষ্টা করি কোরান আসলেই কি বলছে , কাকে বলছে , কেন বলছে? কোরানে এ প্রসঙ্গে আর কোন এমন আয়াত আছে কিনা? কোরান থেকেই এর উত্তর খোজার চেষ্টা করি।
@ফারুক,
অমুসলিমদের প্রতি অসহিষ্ণু ভাবধারার আয়াতের সংখ্যা ৫২৭টিঃ http://dttj.blogspot.com/2010/08/intolerance-toward-non-muslims-in-quran.html
অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহ্বানসম্বলিত আয়াতের সংখ্যা ১০৯টিঃ
http://www.thereligionofpeace.com/Quran/023-violence.htm
দেখে বলুন তো কি মনে হয়? এখান থেকে কি ধরনের উত্তর পান, দেখে একটু বলুন।
@আবুল কাশেম, বাংলাদেশে কয়টা স্বামিকে দেখেছেন প্রতিদিন লিটার মেপে স্ত্রীকে খাবার দিতে বা স্বামীকে দেহদান না করার জন্য সেইদিনের খাবার বন্ধ করতে? আপনার এই দৃষ্টিতে দেখলে তো বাংলাদেশে এক্টাও মুসলমান নেই। তাহলে আপনি কাদের জন্য মায়া কান্না কাদছেন?
আমার তো মনে হয় এই পোস্টের শরীয়া আইনগুলো বর্বর নয়। তাদের জন্যই এটা বর্বর যারা নারীদের/স্ত্রীদের এই নিম্মতম ভরনপোষন দিতে অস্বীকার করেন , যার ফলশ্রুতিতে নারীদের/স্ত্রীদের আদালতে যাওয়া লাগে এবং তখনি শরিয়া আইন প্রয়োগ করা সমাজের জন্য ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য অবধারিত হয়ে ওঠে। সেই সকল নারীদের জন্য ও শারিয়া আইন বর্বর , যারা তাদের কর্তব্য পালন করতে চান না। কর্তব্যটা কি?
আমার হাসি লাগে যখন , আপনার মতো ইসলাম বিদ্বেষীরা মেয়েদের যৌণ কার্যে অংশগ্রহনকে দেহদান বলে উল্লেখ করেন। ভাবটা এমন সকল মুসলমান নারী বাধ্য হয়েই স্বামির সাথে মিলিত হোন। এতে তাদের কোন সুখ নেই , শান্তি নেই , পরিবর্তে তারা দেনমোহর ও ভরন পোষন পেয়ে থাকেন।
এই আইনগুলো বর্বর সেইসকল বর্বর পুরুষ ও নারীদের জন্য , যাদেরকে এই আইনের মাধ্যমে ভরনপোষন দিতে ও পরকিয়া থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়।
প্রমান দেখান আল্লাহ শারিয়া আইন বানিয়েছেন। কোরান আল্লাহর বাণী , অন্য কিছু নয়। সুতরাং কোরান থেকেই প্রমান দেখান আল্লাহ শারিয়া আইন বানিয়েছেন।
@ফারুক,
আপনার এই দাবীটা তো আগে প্রমাণিত হোক!
@শ্রাবণ আকাশ, ভাল প্রশ্ন। এর উত্তর মনে হয় আবুল কাশেম সাহেবের কাছে চাওয়া উচিৎ। কারন উনার দাবী ‘আল্লাহ শারিয়া আইন বানিয়েছেন’ , যার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ঐ জবাব। ওনার দাবীটা অর্থাৎ আল্লাহ কিভাবে শারিয়া আইন বানিয়েছেন , সেটা প্রমান করতে বলুন। দেখবেন স্বয়ংক্রিয় ভাবে আমার দাবীটাও প্রমান হয়ে গেছে।
@ফারুক,
ভাই আপনার যুক্তি দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয় , আল্লাহ আপনার মাথায় ঘিলু নামক বস্তুটি দিয়েছেন কি না। আলোচ্য নিবন্ধের মূল বিষয় হলো- যেহেতু কোরানে এ ধরনের অমানবিক, অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক আই্নের কথা বলা আছে, তাই কোরান আল্লাহর বানী হতে পারে না। যেটা পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছে।আর আপনি বলছেন আবুল কাশেমকে প্রমান করতে? হাসি পায় আপনার যুক্তি দেখলে।
@ভবঘুরে,কেমন আছেন? অনেকদিন পরে দেখলাম। আসলে আমারো মাঝে মাঝে হিংসা হয় , আপনার মাথাভর্তি ঘিলু দেখে। :-O
@ফারুক,
শারিয়া আইনগুলো সবই কোরান-হাদিসকে অনুসরন করে বানানো হয়েছে, তা না হলে শারিয়া আইনগুলো কেন সব মুসলিম দেশগুলোতে প্রচলিত আছে? এটাই সত্য, আপনি স্বীকার করুন আর না করুন। আপনার দুঃখ বুঝি, কোরানকে অভ্রান্ত প্রমান করার জন্য আপনাকে একবার বলতে হচ্ছে ‘হাদিস মানিনা’, আরেকবার বলতে হচ্ছে ‘শারিয়া আইনগুলো কোরানকে অনুসরন করে নয়’ ইত্যাদি ইত্যাদি……। কি করবেন বলুন সত্য যে সবসময়ই অপ্রিয় হয়।
আপনিতো মনে করেন কোরান আল্লাহর বানী, তা কোরান যে আল্লাহরই বানী, অন্য কারো নয়, আপনার সেই দাবীটা আগে প্রমান করে দেখান না ভাই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এটাই। ১০০% সত্য। নাস্তিক আস্তিক সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
কেমন প্রমাণ আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য সেটা জানান , নইলে অনন্তকাল ধরে আপনাকে প্রমাণ দেখিয়েই যেতে হবে।
@ফারুক,
বলাই বাহুল্য, খুবই সোজা কথায় আমার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে সেটাই যাঁর বানী তিনি অর্থাৎ আল্লাহ এসে সরাসরি এই পৃথিবীর মানুষের কাছে বলবেন কোরান তাঁর বানী। তারপরেও ব্যাপার আছে, সর্বপ্রথমে সেই আল্লাহকে আগে প্রমান দিতে হবে যে তিনি অথেন্টিক্ আল্লাহ, এর মধ্যে কোন বুজুরকি নাই।
যাই বলেন, এ ছাড়াতো কোন উপায় দেখছিনা। আর সেটা যদি না হয় তো আপনাকে অনন্তকাল ধরে আমাকে প্রমাণ দেখানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কি আর করা!:-Y
কোরানের বানী পড়ে আর কোরান অনুসারীদের কথা শুনেতো মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকে গেছে, আর সে সন্দেহ দূর করার জন্য উপরিল্লেখিত একটি পথই খোলা আছে বলে মনে হয়। এখন আপনি জানাতে পারেন প্রমান দেখানোর জন্য মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় এমন কোন পথ আপনার জানা আছে কিনা বা আপনি কি চিন্তা করছেন।:-?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কথাটা খুবি সোজা হলেও আমার জন্য কঠিন, কারন আমি বল্লে যদি আপনি বিশ্বাস করতেন , তাহলে না হয় আমি বলেই দিতাম। কিন্তু আপনি চাচ্ছেন আল্লাহ স্বয়ং এসে বলুক। আমি তো আর আল্লাহকে নির্দেশ দিতে পারিনা , শুধু দো’য়াই করতে পারি। দো’য়া করি আল্লাহ যেন আপনার এই আক্ঙ্খা অনুযায়ী এসে সরাসরি এই পৃথিবীর মানুষের কাছে বলেন কোরান তাঁর বানী এবং প্রমান দেন যে তিনি অথেন্টিক্ আল্লাহ, এর মধ্যে কোন বুজুরকি নাই।
যতদিন পর্যন্ত আপনার এই আক্ঙ্খা পুরন না হচ্ছে , ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া তো আর কোন গত্যান্তর দেখি না। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কি করবেন না , ঠিক করুন।
@ফারুক,
সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করা আর না করার মধ্যে পার্থক্য আছে কি? অপেক্ষা না করলেতো সন্দেহ থেকে গেল, আর অপেক্ষা করলে আমার সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হবে বলে কি আপনার মনে হয়? অবশ্য আপনি যদি মনে করেন যে আপনার দো’য়া কাজে লাগবে। তথাস্তু, সেই গায়েবি আওয়াজের অপেক্ষায় রইলাম। 🙂
@ফারুক,বিশ্বাসে মিলায় বস্তু , তর্কে বহুদুর। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু , তর্কে বহুদুর। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার নাম সার্থক। সত্যিই আপনি আমারে হাসাইলেন। :lotpot:
@ফারুক, চ্রম পিছলামী = চরম বিনুদন! সেই কখন থেকে হাসতেই আছি! কিছু মনে করবেন না- এখনো হাসি থামাতে পারছি না। :lotpot:
@শ্রাবণ আকাশ, বিনুদুন আমি ও কম পাইতেছি না যুক্তিবাদী দাবীদারদের অযৌক্তিক মন্তব্য দেইখা। :lotpot:
@ফারুক,
শরিয়া আইনগুলো তো কোরান হাদিসের আলোকে তৈরি। চোরের হাত কেটে দেয়া, দোররা মারা, যুদ্ধবন্দিনী ও দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের অনুমোদন, কন্যা সন্তানদেরকে পুত্রের অর্ধেক সম্পদ প্রদান, সাক্ষীর ক্ষেত্রে একজন পুরুষের জায়গায় দু’জন নারী, পত্নী প্রহার, বহু বিবাহ এগুলো তো পবিত্র কোরানের বাণী।
@তামান্না ঝুমু,
না এগুলোর সাথে কোরানের সম্পর্ক নেই। হাদীস ও শরিয়া আইনগুলো যূগে যূগে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে ইসলামি(?) শাসকদের শাসনামলে তাদের যূগের চিন্তা ও সমাজব্যাবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে তাদেরি দরবারী বেতনভূক আলেম/ আইন প্রনেতা কর্তৃক রচিত।
কোরানের সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক কেন নেই , সেটা এক কথায় বলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। এটা জানতে হলে পড়তে হবে। আপনার জানার ইচ্ছা থাকলে , আমার লেখা পোস্টগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন। সেগুলো পাবেন এখানে।
@ফারুক,
নিম্নোক্ত আইনগুলোর সাথে কি কোরানের কোন সম্পর্ক আছে?
@তামান্না ঝুমু,একটা একটা করেই উত্তর দেই-
চোরের শাস্তি।
কোরআনে চুরির শাস্তির কথা কি বলা হয়েছে?
৫:৩৮ আয়াতে চুরির জন্য জন্য নির্ধারিত শাস্তির বর্ননা দেয়া আছে।
৫:৩৮ “যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে ‘এক্তা’উ’ ‘আইদিয়াহুমা’ তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।”
৫:৩৯ “অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
আরবি শব্দ ‘এক্তা’উ’ অর্থ “কাটো” , আর ‘আইদিয়াহুমা’ অর্থ “হাতগুলো” (তিন বা ততোধিক)।
৫:৩৮ শাব্দিক অর্থ দাড়ায় – “যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাতগুলো (তিন বা ততোধিক) কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।”
হাতগুলো কতটুকু কাটতে হবে , তার দুই ধরনের মত পাওয়া যায়।
১ম মতানুযায়ী হাতগুলো একেবারে কেটে ফেলে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর সাথে একমত হওয়া যাচ্ছে না নিম্নোক্ত কারনে। প্রথমত আরবি শব্দ ‘আইদিয়াহুমা’ , ‘ইয়াদ’ বা দুই হাতের বহুবচন। এক হাতের আরবি ‘ইদ’। আমরা জানি প্রতিটি মানুষের এমনকি চোরের ও দুইটার বেশি হাত নেই। তাহলে আমরা তিন বা ততোধিক হাত কেমনে কাটব? যদি আমরা স্বীকার ও করে নেই যে এই আয়াতে পুরুষ ও নারী দুই চোরের কথা বলা হয়েছে , তাহলে কি আমাদের চোরের দুটো হাতই কেটে ফেলতে বলা হয়েছে?
দ্বিতীয়ত যদি কাউকে ভুলবশত চোর সাব্যস্ত করা হয় বা কাউকে শত্রুতাকরে চোর হিসাবে ফাসানো হয় অতঃপর তাদের দুই হাত কেটে ফেলা হয় , তখন কিভাবে শুধরানো হবে? আবার এমন ও তো হতে পারে , এমন কেউ যার হাত নেই কিন্ত বুদ্ধি দিয়ে চুরি করতে সহায়তা করেছে, তার কি শাস্তি?
তৃতীয়ত হাত কেটে ফেলা হলে , ৫:৩৯ আয়াতে আল্লাহ যে বলেছেন চোর যদি তওবা করে ও সংশোধিত হয় , তো আল্লাহ নিশ্চয় তার তওবা কবুল করেবেন। এই আয়াতের প্রোয়োগ কিভাবে হবে? হাত তো ফিরে আসবে না!! এর অর্থ দাড়ায় হাত সম্পুর্ন কেটে ফেল্লে ৫:৩৯ আয়াতের কোন কার্যকারীতাই থাকে না। কোরানের আয়াত তো আর মিথ্যা হতে পারে না!!
২য় মতানুযায়ী হাত একেবারে কেটে না ফেলে , হাতে cut mark বা দাগ চিহ্ন রেখে দিতে। এর স্বপক্ষে যুক্তি হিসাবে তারা কোরআনের ১২:৩১ ও ১২:৫০ আয়াতদ্বয়ের উল্লেখ করেন , যেখানে মহিলারা ছুরি দিয়ে নিজেই নিজের হাত কেটেছিল। নিজেই নিজের হাত নিশ্চয় সম্পুর্ন কেটে ফেলা সম্ভব না। কমনসেন্স তাই বলে।
১২:৩১ “…. সে তাদের প্রত্যেককে একটি ছুরি দিয়ে বললঃ ইউসুফ এদের সামনে চলে এস। যখন তারা তাকে দেখল, হতভম্ব হয়ে গেল এবং আপন হাত কেটে ফেলল। তারা বললঃ কখনই নয় এ ব্যক্তি মানব নয়। এ তো কোন মহান ফেরেশতা।”
১২:৫০ “বাদশাহ বললঃ ফিরে যাও তোমাদের প্রভুর কাছে এবং জিজ্ঞেস কর তাকে ঐ মহিলার স্বরূপ কি, যারা স্বীয় হস্ত কর্তন করেছিল! আমার পালনকর্তা তো তাদের ছলনা সবই জানেন।”
যদিও হাতে দাগ দেয়া মানবিক ও ব্যাবহারিকভাবে অধিক গ্রহনযোগ্য তবুও এই মতের সাথেও একমত হওয়া যাচ্ছে না। কারন ১ম মতের বিরুদ্ধে যে কারন গুলো উল্লেখ করা হয়েছে , তা এই মতের বিরুদ্ধেও খাটে। তাছাড়াও বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এতই উন্নতি হয়েছে যে প্লাস্টিক সার্জারী করে দাগ তুলে ফেলা কোন ব্যাপারই নয়।
তদুপরি ৫:৩৮ আয়াতে ‘কাতা’আ’ আর ১২:৩১ আয়াতে ‘কাত্তা’আ’ শব্দ ব্যবহার হয়েছে। যদিও দুটো শব্দই আরবিতে একই শব্দের ভিন্ন রুপ এবং ‘কাত্তা’আ’ শব্দের মানে কোরানের অন্য আয়াতগুলোতে (৫:৩৩, ৭:১২৪, ২০:৭১ ও ২৬:৪৯) সম্পুর্ন কেটে ফেলা বলা হয়েছে। তাহলে আমরা কোন মানেটা নিব?
হাত সম্পুর্ন কেটে ফেলা নাকি হাতে কেটে দাগ বা চিহ্ন দিয়ে দেয়া? কোরানের আলোকে উত্তর-
৩য় মতানুযায়ী কুরআনের নৈতিকতা স্মরনে রেখে বলা হয়েছে চোরদের হাত নয় , তাদের চুরির সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের কেটে ফেলতে অর্থাৎ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে বলা হয়েছে। এই মতের সমর্থনে ৩টি কারন দর্শানো হয়েছে।
১ম কারন – সকলেই জানেন বাংলায় কিছু শব্দ আছে যার আক্ষরিক ও আলঙ্করিক দুই ধরনের মানে করা হয়। যেমন – যদি বলা হয় আমার হাত ব্যাথা করছে। এখানে ‘হাত’ শব্দটি আক্ষরিক অর্থেই হাতকে বোঝায়। কিন্তু যদি বলি , আমার খুব হাত টানাটানি যাচ্ছে। এখানে নিশ্চয় কেউ আমার হাত ধরে টানাটানি করছে না। এখানে হাতের আলঙ্করিক অর্থ বোঝানো হয়েছে , অর্থাৎ আমার টাকা বা সম্পদের অভাব ঘটেছে।
সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের বুঝাতে বাংলায় বা ইংরাজীতে বা আরবিতেও ‘হাত’ শব্দটি ব্যাবহৃত হয়। যেমন এরশাদ শিকদারের ডান হাত বা right hand man ছিল অমুক , এটা বলতে আমরা বুঝি এরশাদ শিকদারের প্রধান সহায়তাকারী ছিল অমুক। অমুকের পক্ষে এ কাজটা করা সম্ভব ছিল না , যদি না তমুকের হাত ওর পিছনে থাকত!! এখানে পৃষ্ঠপোষককে বুঝানো হয়েছে। কোন চোরের পক্ষে সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষক ছাড়া একা চুরি করা দূরুহ। তাকে চুরির মাল কারো না কারো কাছে বেচা লাগবে , কারো না কারো সহায়তা তার লাগবে। একারনেই সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের তার কাছ থেকে কেটে বা বিচ্ছিন্ন করে ফেল্লেই , তার চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিচ্ছিন্ন কিভাবে করতে হবে তার বর্ননাও কুরআনে আছে। সে বর্ননায় পরে আসছি।
তদ্রুপ কুরআনেও ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আক্ষরিক ও আলঙ্করিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। প্রমানস্বরুপ ২৭:১২ , ৫:৬৪ , ৩৮:৪৫ আয়াতগুলো পড়ে দেখুন।
২৭:১২ “আপনার হাত আপনার বগলে ঢুকিয়ে দিন, সুশুভ্র হয়ে বের হবে নির্দোষ অবস্থায়। এগুলো ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের কাছে আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্যতম। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।”
এই আয়াতে ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আক্ষরিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে।
৫:৬৪ “আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।….” এই আয়াতে ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আলঙ্করিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। এখানে হাত বন্ধ বলতে কৃপনতা বোঝায়।
৩৮:৪৫ “স্মরণ করুন, হাত ও চোখের অধিকারী আমার বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা।” এখানেও ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আলঙ্করিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। আরো দেখতে পারেন ২:১৯৫, ২:২৩৭ ও ২২:১০ আয়াতগুলি।
তাহলে ৫:৩৮ আয়াতের তর্জমা যদি “যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের তাদের কাছ থেকে কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।” এভাবে করা হয় তাহলে দেখুন ৫:৩৯ নং আয়াতের সাথেও কোন বিরোধ থাকে না।
৫:৩৯ “অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
২য় কারন – মানুষ খুন করা নিশ্চয় চুরি করার থেকেও জঘন্য অপরাধ। কুরআনে খুনীর জন্য দুই ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ৪:৯২ আয়াতে বিশ্বাসীদের অনিচ্ছাকৃত খুনের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। এই শাস্তি মৃত্যুদন্ড ও নয় বা জেল বাস ও নয়। ৪:৯২ “মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।”
ইচ্ছাকৃত খুনের শাস্তি – ২:১৭৮ “হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।”
দুটো আয়াতেই দেখুন ক্ষতিপুরন দেয়া ও ক্ষতিপুরন দিয়ে মৃত্যুদন্ড রহিতের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। এটা হয়তোবা খুন হওয়া ব্যাক্তির পরিবারের ভরনপোষনের স্বার্থে করা হয়েছে। খুনীর এই যে শাস্তি , এটা নিশ্চয় চোরের হাত কেটে ফেলার শাস্তির চেয়ে বেশী নয়। চুরির শাস্তি তো আর খুনের শাস্তির চেয়ে বেশি হতে পারেনা?
৩য় বা শেষ কারন আল্লাহ সুরা ইউসুফে (১২) উদাহরন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন , চোরের শাস্তি কিভাবে দিতে হবে।
১২:৭০ অতঃপর যখন ইউসুফ তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন পানপাত্র আপন ভাইয়ের রসদের মধ্যে রেখে দিল। অতঃপর একজন ঘোষক ডেকে বললঃ হে কাফেলার লোকজন, তোমরা অবশ্যই চোর।
১২:৭১ তারা ওদের দিকে মুখ করে বললঃ তোমাদের কি হারিয়েছে?
১২:৭২ তারা বললঃ আমরা বাদশাহর পানপাত্র হারিয়েছি এবং যে কেউ এটা এনে দেবে সে এক উটের বোঝা পরিমাণ মাল পাবে এবং আমি এর যামিন।
১২:৭৩ তারা বললঃ আল্লাহর কসম, তোমরা তো জান, আমরা অনর্থ ঘটাতে এদেশে আসিনি এবং আমরা কখনও চোর ছিলাম না।
১২:৭৪ তারা বললঃ যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও, তবে যে, চুরি করেছে তার কি শাস্তি?
১২:৭৫ তারা বললঃ এর শাস্তি এই যে, যার রসদপত্র থেকে তা পাওয়া যাবে, এর প্রতিদানে সে দাসত্বে যাবে। আমরা যালেমদেরকে এভাবেই শাস্তি দেই।
১২:৭৬ অতঃপর ইউসুফ আপন ভাইদের থলের পূর্বে তাদের থলে তল্লাশী শুরু করলেন। অবশেষে সেই পাত্র আপন ভাইয়ের থলের মধ্য থেকে বের করলেন। এমনিভাবে আমি ইউসুফকে কৌশল শিক্ষা দিয়েছিলাম। সে বাদশাহর আইনে আপন ভাইকে কখনও দাসত্বে দিতে পারত না, যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন। আমি যাকে ইচ্ছা, মর্যাদায় উন্নীত করি এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপরে আছে অধিকতর এক জ্ঞানীজন।
১২:৭৭ তারা বলতে লাগলঃ যদি সে চুরি করে থাকে, তবে তার এক ভাইও ইতিপূর্বে চুরি করেছিল। তখন ইউসুফ প্রকৃত ব্যাপার নিজের মনে রাখলেন এবং তাদেরকে জানালেন না। মনে মনে বললেনঃ তোমরা লোক হিসাবে নিতান্ত মন্দ এবং আল্লাহ খুব জ্ঞাত রয়েছেন, যা তোমরা বর্ণনা করছ;
১২:৭৮ তারা বলতে লাগলঃ হে আযীয, তার পিতা আছেন, যিনি খুবই বৃদ্ধ বয়স্ক। সুতরাং আপনি আমাদের একজনকে তার বদলে রেখে দিন। আমরা আপনাকে অনুগ্রহশীল ব্যক্তিদের একজন দেখতে পাচ্ছি।
১২:৭৯ তিনি বললেনঃ যার কাছে আমরা আমাদের মাল পেয়েছি, তাকে ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। তা হলে তো আমরা নিশ্চিতই অন্যায়কারী হয়ে যাব।”
উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহর আইনে চুরির শাস্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে তা দেখানো হয়েছে।
১২:৭ “অবশ্য ইউসুফ ও তাঁর ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসুদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।”
১২:৩৮ “আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি। আমাদের জন্য শোভা পায় না যে, কোন বস্তুকে আল্লাহর অংশীদার করি। এটা আমাদের প্রতি এবং অন্য সব লোকের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্ত অধিকাংশ লোক অনুগ্রহ স্বীকার করে না।”
উপরের আয়াতগুলো থেকে এটা পরিস্কার তারা রাজার আইন (১২:৭৬) অনুসরন করেনি , বরং চোরকে শাস্তি দিয়েছে আল্লাহর আইনে(১২:৭৫)। লক্ষ করুন ওরা ১২:৩৮ “আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি।”
দেখা যাচ্ছে আল্লাহর আইনে চোরের শাস্তি নিম্নরুপ :
১) সন্দেহভাজন চোরকে প্রথমেই চুরি স্বীকার করার সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং স্বীকার করে চুরির মাল ফেরৎ দিলে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।১২:৭২
২)৫:৩৮ চুরি প্রমান হলে তার সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের থেকে কেটে ফেলা হবে অর্থাৎ সে দাসত্বে যাবে।১২:৭৫ এর অর্থ দাড়ায় চোরাই মালের টাকা বা জরিমানার সমপরিমান অর্থ চোর শ্রম মজুরি দিয়ে শোধ দিবে।
এখন দেখুন এরপরে যদি চোর ক্ষমা চায় ও অনুতপ্ত হয় , তাহলে তাকে ক্ষমা করা সম্ভব।
আয়াতগুলো থেকে আমরা আরো জানতে পারি যে কাউকে চুরির দায়ে ফাসানো সম্ভব। হাত কেটে ফেল্লে যার চুরির মিথ্যা অভিযোগে হাত কাটা গেছে , তার হাত কিভাবে ফেরৎ দেয়া যাবে। আর চুরির শাস্তি যদি হাত কেটেই ফেলা হবে , তাহলে নিশ্চয় ইউসুফ নিজের আদরের ভাইকে চুরির দায়ে ফাসাতো না।
আজকের মুসলমান ভাইয়েরা বলতে পারেন , এই আইন সেই ইউসুফের জমানার জন্য প্রযোজ্য ছিল , আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এর উত্তরে বলব , আল্লাহ আমাদের এই কাহিনী শুনিয়েছেন কিছু শেখানোর জন্য , আনন্দ উপভোগের জন্য নয়।
শুরু করেছিলাম সূরা ইউসুফের ১ম আয়াত দিয়ে , শেষ করছি শেষ আয়াত দিয়ে।
@ফারুক,
তত্ত্বীয় ভাবে অন্তত কাল তর্ক করতে পারেন কোন সন্দেহ নেই।
তবে হাত কাটার বিধান কোরানে আছে এটা সবাই মানে, এমনকি যেসব মুসলমান দেশ এই নিয়ম পালন করে না তারাও মানে। তারা এই নিয়ম পালন করে না আধুনিক মানবিকতার দাবীতে, ইসলামে নেই বলে নয়।
হাত কাটার আইন যে শুধু কোরানের অক্ষরের মাঝেই আছে তা নয়। নবীজিও এই হাত পা কাটা প্রথা অনুযায়ীই বিচার কার্য চালাতেন তা একাধিক হাদিস কর্তৃক স্বীকৃত। এসব সহি হাদিসের অনন্য উদাহরন বাদ দিতে যাবে এমন বুকের পাটা কার?
Book 38, Number 4396:
Narrated Jabir ibn Abdullah:
A thief was brought to the Prophet (peace_be_upon_him). He said: Kill him. The people said: He has committed theft, Apostle of Allah! Then he said: Cut off his hand. So his (right) hand was cut off. He was brought a second time and he said: Kill him. The people said: He has committed theft, Apostle of Allah! Then he said: Cut off his foot.
So his (left) foot was cut off.
He was brought a third time and he said: Kill him.
The people said: He has committed theft, Apostle of Allah!
So he said: Cut off his hand. (So his (left) hand was cut off.)
He was brought a fourth time and he said: Kill him.
The people said: He has committed theft, Apostle of Allah!
So he said: Cut off his foot. So his (right) foot was cut off.
He was brought a fifth time and he said: Kill him.
So we took him away and killed him. We then dragged him and cast him into a well and threw stones over him.
তাহলে দেখা যায় যে উপুর্যপুরি চুরি করলে দুই হাত, এমনকি দুই পাও কেটে ফেলা যেতে পারে? আপনার ২/৩ রহস্য আশা করি পরিষ্কার হয়েছে।
যদিও ৪ হাত পা কাটার পরেও কেউ কিভাবে চুরি করে তা আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না 🙂 । হতে পারে তা আপনার জিজ্ঞাসিত “এমন কেউ যার হাত নেই কিন্ত বুদ্ধি দিয়ে চুরি করতে সহায়তা করেছে” এই পদের চুরির শাস্তি। কারন চার হাত পা নেই এমন কেউ নিশ্চয়ই ফিজিক্যালী চুরি করতে পারবে না (মুখ দিয়ে করা যেতে পারে কি)?
এখানে কিন্তু কোন হাতে দাগ দেওয়া বা তত্ত্বীয় হাত কাটার কোন ব্যাপার নেই। সরাসরি লিংগচ্ছেদ, এতে এমন অবাক হবার কিছু নেই। তেমন শাস্তি না থাকলেই বরং হবার থাকত, কারন সে কালে হাত পা কাটাকাটি, চোখ গেলে দেওয়া, জিহবা কেটে নেওয়া এসব ছিল খুবই সাধারন। মুঘল আমলেও এসব শাস্তি ছিল ডালভাত। সম্রাট জাহাংগীর তার এক বিদ্রোহী ছেলেকে অন্ধ করে দেন (নাম মনে পড়ছে না)। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো মাঝে মাঝে কান কেটে নেওয়া জাতীয় শাস্তি শোনা যায়। তত্ত্বীয় গবেষনা করে প্রাচীন ইতিহাস বদলে দেবেন?
Volume 8, Book 81, Number 774:
Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “Allah curses a man who steals an egg and gets his hand cut off, or steals a rope and gets his hands cut off.” Al-A’mash said, “People used to interpret the Baida as an iron helmet, and they used to think that the rope may cost a few dirhams.”
Volume 8, Book 81, Number 778:
Narrated ‘Aisha:
Usama approached the Prophet on behalf of a woman (who had committed theft). The Prophet said, “The people before you were destroyed because they used to inflict the legal punishments on the poor and forgive the rich. By Him in Whose Hand my soul is! If Fatima (the daughter of the Prophet ) did that (i.e. stole), I would cut off her hand.”
Volume 8, Book 81, Number 779:
Narrated ‘Aisha:
The Quraish people became very worried about the Makhzumiya lady who had committed theft. They said, “Nobody can speak (in favor of the lady) to Allah’s Apostle and nobody dares do that except Usama who is the favorite of Allah’s Apostle. ” When Usama spoke to Allah’s Apostle about that matter, Allah’s Apostle said, “Do you intercede (with me) to violate one of the legal punishment of Allah?” Then he got up and addressed the people, saying, “O people! The nations before you went astray because if a noble person committed theft, they used to leave him, but if a weak person among them committed theft, they used to inflict the legal punishment on him. By Allah, if Fatima, the daughter of Muhammad committed theft, Muhammad will cut off her hand.!”
Volume 8, Book 81, Number 780:
Narrated ‘Aisha:
The Prophet said, “The hand should be cut off for stealing something that is worth a quarter of a Dinar or more.”
Volume 8, Book 81, Number 783:
Narrated ‘Aisha:
The hand of a thief was not cut off during the lifetime of the Prophet except for stealing something equal to a shield in value
Volume 8, Book 81, Number 792:
Narrated ‘Aisha:
The Prophet cut off the hand of a lady, and that lady used to come to me, and I used to convey her message to the Prophet and she repented, and her repentance was sincere.
দাউদ হাদীসেও এই জাতীয় উদাহরন আছে।
এত সব হাদীসের বিপক্ষে আপনার তত্ত্বীয় গবেষনার মূল্য ইসলামী জগতে কতটা মূল্যবান বলে মনে করেন (আমার কথা বাদ দেন)? এ সব হাত কাটার উদাহরন আসলে প্রতীকি?
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক কথা , যদি না বিতর্কের আগে gold standard ঠিক করে নেন। কোনটাকে সত্য মানব বা কিসের উপরে ভিত্তি করে বিতর্ক হবে , সেটা আগে থেকেই নির্ধারন করে না নিলে অন্তত কাল তর্ক চলবেই।
আমি এই পোস্টের প্রতিটি মন্তব্যেই বলেছি , হাদীস বা শরিয়া আইন আমি মানি না। কারন আমি মনে করি এগুলো তথাকথিত আলেমগণের সৃষ্টি। তামান্না ঝুমুর মন্তব্যে ও একি কথা বলেছি। উনি যখন কোরানের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে চেয়েছেন তখনি কোরান থেকে চোরের শাস্তির জবাব দিয়েছি। এখন যদি আপনি হাদিস দিয়ে এটা উল্টাতে চান , তাহলে আমি অপারগ। কোরান থেকে যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি , তাতে ভুল থাকলে বলুন/ তর্ক করুন , কোন অসুবিধা নাই। এখন আপনি বা অন্য যে কেউ কোরান মানবেন নাকি হাদীস মানবেন বা কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন , সেটা আপনার বা যার যার নিজের ব্যাপার।
আমি কেন হাদীস মানি না , সেটা নিয়ে অনেক পোস্ট আছে। যারা আগ্রহী , তারা আমার পোস্টগুলো পড়তে পারেন।
@ফারুক,
মুশকিল হল যে আপনি আর ইসলামী বিশ্ব এক নয়।
আপনি কি মানেন না মানেন তা দিয়ে মূল ধারার মুসলমানেরা মাথা ঘামায় না, তাদের অনেকের চোখে এমনকি আপনি মুসলমানও নন। দূঃখজনক হলেও আপনার কথা ব্যাক্তিগত মতামতের বেশী নয়, যা প্রকাশ করলে সহি ইসলামী দেশে আপনার জীবন সংশয় হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
আর আপনি যেভাবে কোরানের এক এক আয়াতের ব্যাখ্যা রীতিমত মাষ্টার্স থিসিস করার মত করে বের করেন তাতে তো কোরানের সেই বানী “সোজা সরল ভাষায় পাঠিয়েছি যাতে মক্কাবাসী সহজে বুঝতে পারে” (হুবহু আয়াত নয়, ভাবার্থ) এই আয়াতের সরাসরি কন্ট্রাডিকশন।
এই আয়াত মেনে নিলে, সরাসরি চুরির শাস্তি হাত কাটার নিদান বাদ দিয়ে আপনার মূল্যবান গবেষনা বুঝতে যাবে কোন জ্ঞানী লোকে?
আপনার কি মনে হয় যে সেকালের আরবে চুরির শাস্তি হাত কাটা ছিল না? বা নবীজি এসে সেই বিধান বন্ধ করে দেন? এটা কিন্তু ইতিহাসের প্রশ্ন।
আপনি হাদীস মানেন না জানি। তবে তাফসীর?
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক বলেছেন। এ কারনেই আমি নাস্তিক ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞ ,যারা মূল ধারার মুসলমানদের বিশ্বাসের ভুল ও অসার অংশটিকে তাদের সামনে তুলে ধরছেন। আপনি তো জানেন , একারনেই তাদের এই ভাল কাজের জন্য নিজের পকেট থেকে টোকেন উপহার/মজুরি দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয় উপহার/মজুরি নিতে কেউ এগিয়ে আসেন নি। লাভ যে একেবারে হচ্ছেনা তা নয়। যাদের মন সীল্ড বা মোহর হয়ে গেছে , তারা ছাড়া বাকি মুসলমানরা যদি নিজের ধর্মকে জানার জন্য মাথা ঘামায় , সেটাই বা কম কি?
১৪০০ বছরের স্তুপীকৃত মিথ্যা ও জন্জালের মধ্যে থেকে এরা সত্যকে মিথ্যা দেখছে , অনেকটা নীল চশমার ভিতর দিয়ে দেখলে পৃথিবীটা যেমন নীল দেখায় তেমনি। কোরান পড়ার সময় ১৪০০ বছরের স্তুপীকৃত মিথ্যা ও জন্জাল যদি মাথায় না থাকত , তাহলে কোরানের সহজ বার্তা বুঝতে কারো অসুবিধা হোত না।
মজার ব্যাপার হলো নবীজির সময়ের কোন নিরপেক্ষ ইতিহাস আজ আর পাওয়া যায় না। আমরা যে ইতিহাসটা জানি , তা ইসলাম বিকৃতকারীদের লেখা ইতিহাস। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা , এটা জানার আজ আর কোন উপায় নেই। একারনেই জার্মান এক প্রফেসর স্বয়ং নবীকেই মীথ বলে উল্লেখ করেছে। মুহম্মদ নামে কেউ ছিল কি ছিল না তা প্রমান করার কোন উপায় নেই।
MÜNSTER, Germany — Muhammad Sven Kalisch, a Muslim convert and Germany’s first professor of Islamic theology, fasts during the Muslim holy month, doesn’t like to shake hands with Muslim women and has spent years studying Islamic scripture. Islam, he says, guides his life.
So it came as something of a surprise when Prof. Kalisch announced the fruit of his theological research. His conclusion: The Prophet Muhammad probably never existed
http://online.wsj.com/article/SB122669909279629451.html#
@ফারুক,
নাস্তিকদের জন্য আপনার সেই রিওয়ার্ড মানি এখানেও দিন না? তারপর মজা দেখি 🙂 ।
আপনার রিসার্চ এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি (আমি আসলেই বিশ্বাস করতে চাই যে আপনার মত করে হাজার বছর ধরে মুসলমানেরা চিন্তা করলে আর আর ধর্ম নিয়ে এত তর্কাতর্কি সমস্যা হত না), কোরানের হাত কাটার বিধান আসলেই আছে কি নেই তা জেনে কি আমাদের ব্যাবহাতিক জীবনে কোন ফায়দা আছে? চুরির শাস্তি কি, স্ত্রীর সাথে কেমন ব্যাবহার করতে হবে, যুদ্ধবন্দীর সাথে সেক্স করা যায় কিনা, কোরানে বিজ্ঞান আছে কি নেই এসবের কোন গুরুত্ব ব্যাবহারিক জীবনে আছে? সরাসরি স্বীকার করলে ভাল হয় না যে কোরানের সেকেলে এসব প্রথা সে যুগের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, আজ এসব নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই?
প্রশ্ন তুললে তো যে কোন ইতিহাস নিয়েই তোলা যায়। অত আগের ইতিহাস কে নিশ্চয়তা দিতে পারে ১০০% খাঁটী? তাহলে তো কোরান নাজিল কিভাবে হয়েছে তাও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে আমার কাছে মজার লাগে তাদের যারা একই পুস্তকের যা নিজের দাবীর পক্ষে যায় তা মানেন, আর যা নিজের বিপক্ষে যায় সেগুলি সব ভুল, বিকৃত করা হয়েছে এই নীতিতে চলেন।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি আছেন মিয়া মজা দেখার তালে। সত্যি করে বলুন তো , মজার কি অভাব ঘটছে এই পোস্টে?
এখানকার নাস্তিকদের রিওয়ার্ড দেয়ার মানে হয়না। এদের হ্যডম নেই। এরা মডারেশনের আচলের তলায় লুকিয়ে বাঘ সেজেছে। হ্যাডম থাকলে , (মুক্ত ব্লগ) আমার ব্লগে যেতে বলুন। একারনেই তো আমার ব্লগের নাস্তিকদের জন্য রিওয়ার্ড মানি ঘোষনা করেছি।
মুস্কিল হলো এখানের কোন কোন পোস্টদাতা আগের ইতিহাস কে ১০০% খাঁটী নিশ্চয়তা দিয়ে পোস্ট দেন। একথাটা বল্লে তখন হয় দোষ।
@আদিল মাহমুদ,
ইংরেজিতে হাদিস না লিখে এগুলো বাংলায় দিলে সবারই পড়তে সুবিধা হয়। (I)
@হৃদয়াকাশ,
বাংলা হাদীস অন্তত নেটে মনে হয় ইংরেজীর মত অত সহজলভ্য নয়। যা দুয়েকটি আছে দেখেছি ফর্ম্যাট খুবই বাজে। আসল কথা বার করাই দুরূহ মনে হয়েছে। বাংলা অনুবাদের ফাঁকে ফাঁকে আবার আরবী কথাবার্তা। তার চাইতে ইংরেজীই তো ভাল, বেশ সহজ সরল ভাষা।
@আদিল মাহমুদ,
আমি সেই সহজ সরল ভাষাকেই একটু বাংলায় লিখতে বলেছি, হুবহু অনুবাদের কথা বলছি না, যাতে আমরা সারমর্মটা বুঝতে পারি। 🙁
@ফারুক,
আপনি যে মত সমুহ উল্লেখ করেছেন তা নিশ্চই কোরানের বাহির থেকে। শরিয়া আইন মানতে আপনার আপত্তি থাকলেও ভিত্তিহীন মতসমুহ মানতে কোন সমস্যা নেই। আপনি আবার প্রমান করলেন কোরান ব্যাখ্যার জন্য আপনার মত মতবাদীর প্রয়োজন। রাজা-বাদশার আমলে বেতনভূক্তরা যেমন ছিল তেমনি এখন আছেন আপনারা।
@ফারুক,
আপনি শুধু হাত কাটা নিয়ে আলোচনা করেছেন আরও কয়েকটি কোরানি আইন বাদ পড়ে গেছে। অবশ্য আপনি বলেছেন একটা একটা করে উত্তর দেবেন।
হাতকাটা যদি রূপক অর্থে ব্যবহারিত হয়ে থাকে তাহলে সৌদি আরব সহ আরও কয়েকটি মুসলিম দেশে সহস্রাব্দী ধরে চুরির শাস্তি হিসাবে মানুষের হাত কাটা হয়ে আসছে কিভাবে? আরবি ভাষী মানুষ কি আরবি ভাষা বুঝতে পারেনা? হাতকাটা, মাথাকাটা, দোররা মারা প্রভৃতি ভয়াবহ আইনের প্রয়োগ জনসমক্ষে বিপুল আয়োজনে আনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেউ টু শব্দটি করতে পারছেনা। এ রকম দৃশ্য দেখে যেকোন সুস্থ্য মানুষ অসুস্থ্য হয়ে যেতে পারে, মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটতে পারে।
হাত সম্পুর্ন না কেটে ফেলে তাতে দাগ দিয়ে দেয়াও কতটুকু মানবিক? কোন অপরাধি তার অপরাধের শাস্তি পেয়ে যাওয়া মানে সে আর অপরাধি নয়। তাহলে সে তার শাস্তি ভোগ করার পরেও সারা জীবন তার চিহ্ন বহন করে বেড়াবে কেন? উন্নত বিশ্বে এমনকি বাংলাদেশেও কোন অপরাধিকে টিভিতে দেখানোর সময় মুখ ঝাপসা করে দেখায়। কাউকে তার কৃত অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া মানে তার মান হানি করা নয়। হাতে কাটা দাগটি নিয়ে যেকোথাও গেলেই সবাই বুঝতে পারবে সে চোর। এর মানে হচ্ছে কারো গায়ে চিরস্থায়ী ভাবে লিখে দেয়া “আমি চোর”।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর কোন প্রবন্ধে লিখেছেন , “কোন অপরাধিকে যখন জন্তুর মত হাত বেঁধে হাজতে নেয়া হয় এটা চরম অসম্মানের , তার পরেও তার আর কী শাস্তি বাকি থাকে?”বিল ক্লিন্টন তাঁর ‘গিভিং’ বইয়ে লিখেছেন, “প্রতিটি মানুষই মর্যাদাশীল, প্রতিটি জীবনই মূল্যবান”। পূরবী বসু তাঁর “নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান” বইতে লিখেছেন ,” শারীরিক আঘাত কোন অপরাধের শাস্তি হতে পারেনা”। আর মাহা বিশ্বের মালিক মহান আল্লাতালা তাঁর লিখিত আসমানি কিতাবে কি লিখলেন! যেকোন অন্যায়ের শাস্তিই শারীরিক আঘাত আর অপমান!
@তামান্না ঝুমু, আপনি মনে হয় আমার মন্তব্যটি ভাল করে পড়েন্নি।
সুতরাং আপনার দেয়া রবীন্দ্রনাথ , বিল ক্লিন্টন প্রমুখের কোটগুলো মাঠে মারা গেল। :))
মহা বিশ্বের মালিক মহান আল্লাতালা তাঁর লিখিত আসমানি কিতাবে কি লিখলেন – সেটা আগে জানুন।
@ফারুক,
৫ঃ৩৮ যেকোন অনুবাদেই এই আয়াতটির অনুবাদে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে চোরের হাত কেটে দেয়ার কথা। আপনার এ অনুবাদটি নতুন পড়লাম। আপনি লিখেছেন ‘আইদাহুমা’ হচ্ছে তিনটি হাতের বহুবচন। তাহলে চোরের হাত দুটি আর পৃষ্ঠপোষকের হাত কি একটি? যারা অনুবাদ করেন দুটি ভাষাতেই তাদের ভাল দখল থাকে। আর বইটি প্রকাশের আগে তা ভাল ভাবে সম্পাদনা করা হয়। সম্পূর্ন বিপরীত অর্থের কোরান বাজারে বের হতে দেয়া তো অসম্ভব ব্যাপার।
এখানে স্বামী স্ত্রঈর সমান অধিকার কোথায়? এখানেতো স্বামীকে স্ত্রঈর উপরে কর্তৃত্ব করার অধিকার দেয়া হয়েছে সে তার জন্য অর্থ ব্যায় করে বলে। বর্তমানে অনেক স্ত্রঈই স্বামীর চেয়ে বেশি অর্থ রোজগার করে থাকে। এক্ষেত্রে কি স্ত্রঈ স্বামীর উপর কর্তৃত্ব করবে? পতি পত্নী একে অপরের জীবন সাথী, তারা একে অপরকে ভালবাসবে, সম্মান করবে । এখানেতো কারো উপরে কেউ কর্তৃত্ব করার কোন দরকার নেই। যত মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছে, যত মানুষ অধিকার সচেতন হচ্ছে তত ইসলামের শুভাকাঙ্খীরা তাদের নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে কোরানের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এতো কোরান বিকৃত করা।সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে জিব্রাঈল ওহি নিয়ে নবীর কাছে এসেছে। তাদের কথোপকথন হয়েছে, কিন্তু সে জিব্রাঈলকে কেউ কখনো দেখিনি তার আওয়াজও কেউ শোনেনি। মা্নুষ তাকে দেখলেতো এতো রক্তপাতের দরকার হতোনা।
শুধু হাতকাটা নয় আরো অনেক শাস্তির ক্ষেত্রেই শারীরিক আঘাতের কথা বলা হয়েছে। আর দোযখের শাস্তির কথা কি আর বলবো? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নাস্তিক ছিলেন বলেই কি তাঁকে পরকালে পুঁজ খাওয়ানো হবে? যেকোন ধর্মগুরুর সাথে তাঁর তুলনা করে দেখুন।
@তামান্না ঝুমু,
ফারুক সাহেব কে এতো কথা বলে লাভ নেই। উনি জেগে ঘুমান। তাই ওনার ঘুম ভাংগানো সম্ভব নয়। অধিকাংশ মানুষই এরকম জেগে ঘুমায়। বিষয়টি অতীব স্পর্শকাতর বিধায় প্রকাশ্যে এ নিয়ে তেমন কেউ বলতে সাহস পায় না। যারাই বলে বা বলেছে তাদেরকে কাফের মুরতাদ বলে আখ্যায়িত করে তাদের মাথা কাটার ঘোষণা দেয়া হয়। বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আজকে সাইবার জগতে এসে সব জানতে পারছে আর আস্তে আস্তে তাদের চোখ ফুটছে। যেমন ধরেন- কোরানে পরিস্কার ভাষায় হাত কাটার কথা থাকলেও উনি এর মারেফতী ব্যখ্যা হাজির করছেন। স্বয়ং নবী বিচার করে নিজে হাত কেটেছিলেন, তা হাদিসে আছে , তাই উনি হাদিস বিশ্বাস করেন না। কোরান সরাসরি নারীকে পুরুষের অধীন থাকার কথা বলছে, সরাসরি একজন পুরুষের সমান দুইজন নারীর কথা বলছে, তার পরেও এনারা চিৎকার করে বলছেন ইসলাম নারীকে সমান অধিকার দিয়েছে। কি মজা , তাই না ? এনাদের মত মানুষ আরও কিছুদিন মানুষকে ধোকা দিতে পারবেন তবে আর বেশী দিন না, এনাদের মত লোকদের কারসাজি ও জারি জুরি শেষ হওয়ার দিন ঘনিয়ে এসেছে।
@ভবঘুরে, তামান্না ঝুমু,
তাই কি?
@ভবঘুরে,
এক্কেবারে হক কথা। :guru:
@তামান্না ঝুমু,
আপনি কি ইচ্ছাকৃত ভাবে বক্তব্য বিকৃত করেন? তিনটি হাতের বহুবচনতো লিখিনি, আবারো পড়ুন। এখানে আরবি ব্যকরন জানা দরকার।
বাংলায় ২টি বচন- একবচন আর বহুবচন।
আরবিতে ৩টি বচন- একবচন , দ্বিবচন(দুইটা) ও বহুবচন(তিন বা ততোধিক)।
কর্তৃত্বের জন্য অর্থব্যায় দুটো কারনের একটি। আরেকটি কারন হলো “আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন” যেটা ঐ একি আয়াতের অংশ। সমান কতৃত্ব মানব আচরনের সাথেই শুধু নয় পশুর আচরনের সাথেও (ন্যাশনাল জিওগ্রাফীতে পশুদের জীবণমযাত্রা দেখায় , দেখতে পারেন) খাপ খায় না। আপনি চাইলেই তো আর হবে না বা এমন কোন সংসার দেখাতে পারবেন না , যেখানে স্বামি বা স্ত্রী একে অন্যের উপরে কর্তৃত্ব করে না। থিওরীতে পাবেন, ব্যাবহারিক জীবণে পাবেন না। মুখে অনেককেই দাবী করতে শুনবেন , কাজের বেলায় – ফক্কা।
@ফারুক,
আমি জানতে চেয়েছি তিনটি হাত কিভাবে হতে পারে?
যে পরিবারে নারী বেশি অর্থ উপার্জন ও ব্যায় করে সেখানে কর্তৃত্ব কে করবে? আল্লাহ পুরুষকে নারীর উপরে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন কেন ? এতে করে নারী জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়নি কি? নারীরা কি পরীক্ষায় প্রথম হচ্ছেনা, তারা কি সেনা বাহিনিতে কাজ করছেনা, তারা কি রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেনা? যে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী প্রিনসিপাল বা এরকম অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নারী কর্মকর্তী। লিঙ্গ ভেদে কেউ কারো উপরে কর্তৃত্ব পেতে পারেনা , পেতে পারে যোগ্যতা বলে। আর সাধারন ভাবে সব মানুষ সমান সেটা বর্তমানে সভ্য মানুষ সকলেই জানে। অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় আছে যা সমন্ধে কোরানে কিছু লেখা হয়নি। যেমন চিকিৎসা। কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা কিভাবে করা হবে, কিভাবে ওষুধ বানাতে হবে এসব কিছুইতো লেখা হয়নি। পুরুষকে নারীর উপর স্বৈরাচারী হতে,একনায়ক হতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে আল্লাহর দোহায় দিয়ে, যার কোন আস্তিত্বই নেই।
@ফারুক,
জাকির নায়েক মার্কা কুযুক্তি। যদি পুরুষ একজন না পাওয়া যায় তবেই বা কেন দুইজন নারী সাক্ষী নিতে হবে? নারীর শারিরিক সীমাবদ্ধতা আছে তাই? আপনি তো আল্লার মনও বুঝতে পারেন! শারিরিক সীমাবদ্ধতা থাকলে আরেকজন সাক্ষী বাড়াতে হবে? শারিরিক সীমাবদ্ধতা থাকলে তো এর জন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু তা না করে সাক্ষী বাড়াবেন কেন? আর পুরুষেরও তো শারিরিক সমস্যা থাকতে পারে, এগুলো বিষয়ে আপনার আল্লা কিছু বলেছে?
মানে পুরুষ ছাড়া সাক্ষীই হবে না? নাকি অন্য কিছু?
আর এইযে দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিলেন ওটা কোত্থেকে পেয়েছেন? কোরানের কোনো একটা আয়াত কোন পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে না জেনে এর প্রকৃত অর্থ কিভাবে নিরুপন করেন? কোরান যে আল্লার কথা তা মুহাম্মদ সম্পর্কে না জেনে নিশ্চিত হওয়াটা কিরুপ?
@তামান্না ঝুমু,
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর :guru: এর মতো মহান মানুষ পৃথিবীতে আর একটাও পাইনি। হযরত মহাউম্মাদ তো তাঁর পায়ের নখেরও যোগ্য না।
@ফারুক,
আফসোস, এতজন অনুবাদকও আপনার আসল অনুবাদকে বুঝতে পারল না। আল্লায়ও বুঝল না যে এভাবে বললে তার ২/৪ জন ছাড়া সব বান্দারাই ভুল বুঝবে।
তো যাই হোক, চোরদের কথা বলে যখন বলা হয় তাদের হাতগুলো কেটে ফেলার কথা (ওই আয়াতে যেরকম) তাতে সব চেয়ে গ্রহণযোগ্য অর্থ দাঁড়ায় তাদের হাত কেটে ফেলাই, ভিন্ন অর্থ বা ব্যাখ্যা নিয়ে আসার অবকাশ নেই। কোরানে যতদূর জানি খুব একটা শক্তভাবে ব্যাকরণ অনুসরণ করা হয়নি। আর আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা দিতে চাইলেন তা একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায় যে ওটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরকম ব্যাখ্যা দিলে তো পুঁথিকে মহাগ্রন্থে রুপান্তর সম্ভব।
আপনাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোরানের অলৌকিকতার পক্ষে কোনো প্রমাণ দিবেন না, আবার প্রমাণের অভাবের কারণে হাদিস বাদ দিবেন, আবার কোরানের বাণী যত্র তত্র বিলিয়ে বেড়াবেন এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি যার প্রমাণ দিতে পারবেন না তা প্রচার করে বেড়াবেন কেন?
@সৈকত চৌধুরী,
কোথায় কখন অনুরোধ করলেন?
অলৌকিক ঘটনা যার জীবণে ঘটে বা যে এর দেখা পায় শুধু সেই বল্তে পারে। অন্যদের পক্ষে এটা বিশ্বাস করা কঠিন। এটা যার যার অনুভূতি ও বোঝার ব্যাপার। কোরান নিজেই আমার কাছে অলৌকিক মনে হয় , আপনার কাছে নাও মনে হতে পারে। তাহলে কোনটা সত্য? আমার অনুভূতি নাকি আপনার টা? একটি আপেল দেখে আপনি বিস্মিত না হতেই পারেন , কিন্তু আমি হই। আমি বিস্মিত হয়েছি একথা কাউকে বল্তে পারব না , এমন কথা বলার আপনার কি অধিকার আছে? আমার মাছ খেতে ভাল লাগে , আমার ছেলে মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ছেলের প্রশ্নের উত্তরে আমি ব্যাখ্যা করতে পারি না , কেন আমার মাছ ভাল লাগে? তাই বলে কি আমি বলতে পারব না , আমার মাছ খেতে ভাল লাগে।
আমি কি প্রচার করব আর কি প্রচার করব না , সেটা আমার ব্যাপার। মানা বা না মানা, শোনা বা না শোনার ইচ্ছা বা অধিকার আপনার। আমি যদি আপনার সরাসরি কোন ক্ষতি না করি , তাহলে ‘এমন কথা বলার আপনার কি অধিকার আছে’ এমন প্রশ্ন করার বা কোনটি গ্রহনযোগ্য আর কোনটি নয় এটা বলার অধিকার আপনার নেই।
@ফারুক,
এটি মনে হওয়ার বিষয় না। প্রমাণ করতে না পারলে যেকোনো কিছু প্রচার করা থেকে বিরত থাকাই উচিত। আপনি নিজে বিশ্বাস করে ফেললেই কি সব কিছু সত্য হয়ে যায়? আপনি বিশ্বাস করেন কোরানের প্রতিটি আয়াত আল্লা নামক আজগুবি কারো বাণী, সেটা আবার মুহাম্মদের কাছে এসেছে। আবার মুহাম্মদের জীবন ইতিহাসের কিছুই আপনি মানতে চাইবেন না- সব ফেলে দিবেন । মুহাম্মদের জীবন সম্পর্কে স্পষ্টভাবে না জেনে, মুহাম্মদ কি ছিলেন তা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কোরানের অলৌকিকতার ব্যাপারে যে নিশ্চিত হতে পারে সে মানসিকভাবে সুস্থ কিনা তা জানার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। আর যদি বলেন মুহাম্মদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব না তবে এটাই হবে কোরানের অলৌকিকতার বিরুদ্ধে একটা বড় যুক্তি। হাদিসকে ফেলে দিবেন এক ধাক্কায় আবার কোথাকার কোনো এক মুহাম্মদ এসে বলল সে নবি-রসুল, তার উপর আয়াত নাজিল হয়েছে আপনি তা বিশ্বাস করে ফেলবেন, কারণ আয়াতগুলোকে আপনার কাছে মনে হচ্ছে আলৌকিক। আবার এই মুহাম্মদ সম্পর্কে না জানলেও চলবে( যদিও এমনকি কোরানেও মুহাম্মদের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কিত আয়াত রয়েছে)। আবার আপনার আল্লা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে সে কোনো অশুভ সত্তা নয়(যদিও কোরানে হুমকি-ধামকির কোনো অভাব নাই এমনকি অনন্তকাল নরক বাসের হুমকিও আছে)। স্রেফ হাস্যকর।
তারপরো কোথাও সমস্যা নেই। কিন্তু তখনই সমস্যা ধারণ করবে যখন আপনি আপনার এই মতকে প্রতিষ্টিত করতে বা এটি নিয়ে বিতর্ক করতে চাইবেন।
একদম প্রমাণ ছাড়া কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ককে মুক্ত-মনায় নিরুৎসাহিত করা হয়। এটি ধর্মপ্রচারের অংশ এবং তার জন্য উপযুক্ত জায়গা মুক্ত-মনা না। আপনি বারবার মুক্ত-মনার উদারতার সুযোগ নিয়ে এর নীতিমালার অপব্যবহার করেছেন। এগুলো বন্ধ করুন ।
@সৈকত চৌধুরী,আপনাদের নীতিমালা আবারো পড়লাম।
১
ধর্মীয় আলোচনা তো নিষিদ্ধ নয়। যার প্রমান এই পোস্টটি। ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচারনা যে কেউ করতেই পারে , তাতে আমার আপত্তি নেই এবং দেখা যাচ্ছে আপনাদের ও আপত্তি নেই। তবে সেটা সত্য নির্ভর হতে হবে। কেউ যদি ধর্মের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয় তাতে আপনাদের আপত্তি নেই , তবে যুক্তি দিয়ে সেই ভুল ধরানোটা কিভাবে ধর্মপ্রচারের অংশ হয় একটু বলবেন কি? আমার কোন মন্তব্যটি বিষয়বহির্ভুত জানাবেন কি? আর যদি নিজেদেরি ঘোষিত নীতিমালা ভেঙ্গে একপাক্ষিক প্রচারণা উৎসাহিত করতে চান আমার কিছু বলার নেই , তবে নীতিমালা পরিবর্তন করুন।
@ফারুক,
কেন আপনি কি সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে বিবর্তনকে গুলিয়ে পোস্ট দেন নাই?
ধর্মের অলৌকিকতার কোনো প্রকার দাবিই কেউ প্রমাণ করতে পারে নাই। কোরানের মত কোনো গ্রন্থ কোনো সভ্য সত্তার দ্বারা রচিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই । আপনি খেয়াল করেন, কোনো একটা ধর্ম হয় সত্য অথবা মিথ্যা, মাঝখানে কোনো পথ খোলা নেই আর বলাবাহুল্য সকল ধর্মই মিথ্যাচারের সমষ্টি। এগুলোকে নিয়ে যারা যত্র তত্র প্রচার করে বেড়িয়ে গৌরব বোধ করেন তারা মানবতার শত্রু ও প্রতারক ছাড়া আর কিছুই নয়। ধর্মের সূচনাই প্রতারনার মাধ্যমে। আর এগুলোকে দিনের পর দিন বাচিয়ে রাখে কিছু নির্লজ্জ প্রতারক। এদেরকে গদাম ছাড়া আর কিছুই দেয়া ঠিক হবে না।
ধর্মে সত্য নাকি মিথ্যা এগুলো নিয়ে বিতর্কেরও কোনো মানে হয় না বরং আমাদের বিতর্ক করা উচিত ওগুলোকে কোন ডাস্টবিনে ফেলা যাবে তা নিয়ে।
@ফারুক, ভাই জান
আপনি আমার চোখ খুলে দিছেন । আপনারে ধন্যবাদ । পবিত্র কোরান শরীফ যে আপনার উপর পরতে গিয়ে ভুল করে মহম্মাদের উপর পরছে তা বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি কি কালিমা শিকার করেন??? ‘লা ইলাহা ইল্লালাহু মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’
সম্ভবত না । আপনার মত হচ্ছে সম্ভবত ‘ লা ইলাহা ইল্লালাহু ‘ এতটুকু পর্যন্ত ।আমার মত আরেকটু কম ,’লা ইলাহা’ 🙂 😛
আপনার মতামত অনুযায়ী মহম্মাদ নিজেও পুরোপুরি কোরান বুঝতেন না??? ঠিক তো???
আর এই মহাম্মাদ সম্পর্কেই আল্লাহ বলছেন যে পৃথিবী সৃষ্টির আগেও মহাম্মাদ ছিল ।এবং সম্ভবত আল্লাহ সবচেয়ে যোগ্য লোক টাকেই বেছে নিয়েছিলেন??? নাকি??’সবার উপর শ্রেষ্ঠ আল্লাহ’ এ ক্ষেত্রে ভুল করেছিলেন??? আর কোরান ও আল্লাহ কে পৃথিবিতে promote \featuring \ introduce করেছিলেন কিন্তু মহাম্মাদ নিজেই ।তাই দয়া করে কি বলতে চান তা নিজে ভাল করে জেনে তারপর প্রকাশ করবেন ।
অন্যান্য বিশিষ্ট অনুবাদকদের সাথে ফারুক ভাই একমত নন, আর উনার মনগড়া পান্ডিত্যপূর্ন “কোরানিক” অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে আমেরিকায় আমার এক প্রফেসারের কথা মনে পড়ছে। বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে উনি Joke করে বলেছিলেন,
A scholar is a person who has the ability to explain ‘simple thing’ in a very confused way to make you understand that the confusion is from your part. So, never ask a ‘scholar’ for an explanation of a simple and easily understandable text.
ফারুক ভাই শুরু করেছেন,
সুস্পষ্ঠ ও সহজ ভাবে বর্নিত মহান আল্লাহ পাকের কিতাবের ‘বিশেষ’ ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই। আর তার প্রয়োজন হলে ‘সুস্পষ্ঠ ও সহজ ভাবে বর্নিত’ অর্থের কোনই মানে থাকে না।
@গোলাপ,
ঠিকি বলেছেন , তবুও একটি কথা থেকে যায়। আস্তিক ও নাস্তিকরা কোরান বহির্ভূত কিতাব (হাদীস , সুন্নাহ , তাফসীর , বেহেশ্তি জেওর , মকসুদুল মুমেনিন ইত্যাদি) দিয়ে যেভাবে কোরানের সুস্পষ্ঠ ও সহজ ভাবে বর্নিত অর্থের বিকৃতি ঘটিয়েছে , যে কোরানের সুস্পষ্ঠ ও সহজ ভাবে বর্নিত আয়াত দিয়েই সেই বিকৃতি তুলে ধরা হচ্ছে।
এই কারনেই কি স্ত্রীকে মারধরের সময় বলে স্বামী- এই বেটি তোর ভাত আইজ থেইকা বন্ধ। :-Y
কী সাংঘাতিক ব্যাপার ! :-O অথচ বাংলাদেশে ফতোয়া বন্ধ করতে চাইছে যখন সরকার ( আসলে হবে কিনা সন্দেহ) তখন ইসলামী দল গুলো হরতাল করার হুমকি দিচ্ছে। আসলে আদৌ এই আইন হবে কিনা জানিনা।
তবে এই লেখা পড়ে মনে হচ্ছে। গ্রামে গঞ্জে দোররা মারে, কত কী কান্ড হয়ে যায়। কদিন হৈ চৈ সংবাদপত্রে মধ্যমে চলে। পরে দেখি সে সব খবরের টিকিটি ও নেই।
তাহলে সাচ্চা মুসলমান এই গ্রামের মাতব্বর বা মুনশিরাই। এইটাই আমার ধারণা।
আধুনিক মুসলিমরা বলে আলাদা কথা-। সে যাগগে – 😕
সে কথা উঠলে কিসসা হয়ে যাবে।
@আফরোজা আলম, আরে দোররা মারা তো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এইগুলা নিয়া টেনশন লন কেন? “একটা মানুষও যদি ফতোয়ার কারণে বিনা দোষএ মারা যায় বা কষ্ট পায় তাও আমাদের চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত” এইসব ফালতু কথা ভুইলা যান, নইলে আপনেরে আমারেও দোররা মারতে আসবে :guli: আরে এইটা ভাবেন এই দেশে কুরানের আইন মানা না হলে কেনে আগুন জালাবেন :-Y
@লীনা রহমান,
ইশশ! ভয় পেলাম – :-[ (U)
@আফরোজা আলম,
আমার মনে হয়না বাংলাদেশের কোন সরকারের এমন বুকের পাটা আছে মোল্লাদের শাসান দিবে। সমস্যটা মোল্লারা নয়। সমস্যটা হচ্ছে ইসলাম।
গুটি কয়েক, হাতে গোনা যায়, এই রকম কয়েকজন মোর্তাদ ছাড়া ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার মত দুঃসাহস বাংলাদেশের খুব কম ব্যক্তিরই আছে। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিদের মাঝে মাঝে মিন করতে শুনি—কিন্তু তা ঐ পর্য্যন্তই।
তাই আমাদের দেশের নারীদের আশু কোন মঙ্গল আমি দেখছিনা। যতদিন না তারা নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং যৌ্ন স্বাধী্নতা না আদায় করবে ততদিন তাদেরকে ক্রীতদাসের মত জীবনযাপন করতে হবে।
@আবুল কাশেম,
একটি জোস মন্তব্য। (Y)
কাশেম ভাই,
মাসিকের সুন্নতি ত্যানা না মুশরিকি প্যাড বা ন্যাপি দেয়া হবে তা তো দেখলাম না।
@আকাশ মালিক,
মনে হয় তখন মহিলারা ঐ সব ব্যবহার করতেন না। খুব সম্ভবতঃ গাছের পাতা অথবা ছেঁড়া কোন কাপড়ের ব্যবহার ছিল। আর এই সময় মহিলারা বাড়ির বাইহে যেতেন না, নামাজ রোজা করতেন না।
এক হাদিসে জানা যায় নবীজি উনার এক স্ত্রীর দীর্ঘ রক্ত স্রাবের জন্য এক পাত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন যখন দেখলেন ঐ স্ত্রীর নামাজ অনেক কাজা হয়ে যাচ্ছে।
@আবুল কাশেম,
এই হাদিস আমিও পড়েছি, হলে তাই রেফারেন্স দিতে পারলামনা। আয়েশাকে নিয়ে হয়েছিল এই কাহিনি, আরো আছে নবীজী নামাজ পড়ার সময় আয়েশা নাকি জায়নামাজের উপর পা তুলে রাখতেন, এমনকি রক্তস্রাবে অসুস্থ থাকা অবস্থাতেও একাজ ক্রতেন, নবী নাকি সিজদায় যাবার সময় তার পা সরিয়ে তারপর সিজদা দিতেন
@লীনা রহমান,
এই ধরণের বেশ কয়েকটি হাদিস আছে।
এখানে ্মাত্র দুইটি দিলাম বোখারী শরীফ থেকে–অনুবাদ করেছেন–
মাওলানা আজিজুল হক সাহেব
মহাদ্দেছ জামিয়া কোরআনিয়া, লালবাগ ঢাকা কর্তৃক অনুদিত
১.২১৭ আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের কোন এক বিবি তাঁহার সঙ্গে এস্তেহাজা অবস্থায়ে এ’তেকাফ করিয়াছিলেন। (এ অবস্থায় তিনি মসজিদে অতি সতর্কতার সহিত থাকিতেব, এমনকি) এক প্রকার বিশেষ পাত্রের উপর বসিতেন। (যেন মসজিদে কোন রকম নাপাকি লাগিতে না পারে।)
Volume 1, Book 6, Number 306:
Narrated ‘Aisha:
Once one of the wives of the Prophet did Itikaf along with him and she was getting bleeding in between her periods. She used to see the blood (from her private parts) and she would perhaps put a dish under her for the blood. (The sub-narrator ‘Ikrima added, ‘Aisha once saw the liquid of safflower and said, “It looks like what so and so used to have.”)
১.২১৮ আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন। রসূলুল্লাহ ছাল্লালাহু আলাইহে অসাল্লামের সময় (মোসলমানদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল, তখন) আমাদের প্রত্যেকরই একটি মাত্র কাপড় থাকিত, হায়েজের সময় উহাই পরা হইত; কোন স্থানে হায়েজের রক্ত লাগিলে থুথুর সাহায্যে নখ দ্বারা আঁচড়াইয়া ঐ স্থানেকে পানি দ্বারা ধুইয়া নামায পড়িতাম।
Volume 1, Book 6, Number 309:
Narrated ‘Aisha:
None of us had more than a single garment and we used to have our menses while wearing it. Whenever it got soiled with blood of menses we used to apply saliva to the blood spot and rub off the blood with our nails.
বলা বাহুল্য আমি ইংরাজি অনুবাদে বেশী বিশ্বাসী–কেননা বাংলা অনুবাদে অনেক কারচুপি আছে।
@লীনা রহমান,
নবীর ওয়াইফগন ত্যানা পরলেন আর এখনকার মুসলিম নারীগণ ন্যাপি পরেন এটা মুনাসিব হলোনা। দেখুন তাদের সুন্নতি তরিকা-
Sahih Bukhari Shareef
Chapter 6. Book of Menstruation
304. It is related that ‘A’isha said, “One of the wives of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did i’tikaf with him. She used to see blood and yellow discharge and would put a dish under her while she was praying.”
306. It is related that ‘A’isha said, “None of us had more than a single garment and we menstruated while wearing it. When a drop blood fell on it, we would spit on it and scratch it off with our nails.”
we would spit on it and scratch it off with our nails.” আল্লাহ নিশ্চয়ই পাক-পবিত্র, সকল সাস্থ্যবিজ্ঞানের মালিক।
আর এখানে দেখুন সন্তান ছেলে না মেয়ে, আগাম বলার জন্যে আজকের বিজ্ঞান কোত্থেকে স্কান করা শিখলো।
312. It is related from Anas ibn Malik that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, “Allah the Mighty and Majestic appoints an angel to every womb who says, ‘O Lord! A sperm drop! O Lord A clot! O Lord! A lump of flesh! ‘ Then if He desires to complete His creation, He does so and the angel asks, ‘Is it to be male or female? Wretched or happy? What is its provision? What is its life-span?’ This is all decreed in the mother’s womb.”
সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ।
কেউ কোন বিষয় না জেনে কথা বললে তাকে বলা হতো, “হুইন্যা মুসলমান”। গ্রামে থাকতে কথায় কথায় এটা শুনতাম, শহরে এসে শুনিনি। গ্রামে যখন ছিলাম, তখন এর মর্ম বুঝিনি।
কথাটা ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে পড়ে গেলো। আমাদের দেশের মুসলমানরা ধর্ম মানে, কিন্তু ইসলাম কি সেটা জানে না।
অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে জেনেও গ্রাম্য জীবনে শুনাঃ
গ্রামের মসজিদে বাহাস হবে। অনেক বড় এক মাওলানা এসেছেন, তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারছে না। একে একে আশপাশের গ্রামের ইমামরা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, বাহাসের শর্তানুযায়ী। তো সেই মসজিদের ইমামও শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পথে দেখা হলো জমিতে কর্মরত এক কৃষকের সাথে।
ইমাম সাবের কাছ থেকে সব শুনে সে বললো, “আপনে বাড়িতে যান, আমি একটা বিহিত করতাছি।“
সে রওনা হলো সেই মসজিদের উদ্দেশ্যে। পথে যেতে যেতে সে গ্রামের উলুন্তুসকে যার গায়ের রঙ ছিল কালো কুকুরের মত, দেখলো গাছের নিচে প্যাঁচার মত মুখ করে বসে আছে।
সেই জাঁদরেল মাওলানার সামনে উপস্থিত হয়ে বললো, “ আমি আপনার সাথে বাহাস করতে আইছি।
তাচ্ছিল্যের হাসি। চারদিকে গুঞ্জন।
মাওলানা হুকুম দিলেন, “বল কি বলবি?”
“আমি যে হাদিছটা কমু, আপনার কইতে অইবো, এইডা কোন হাদিছ, বলেই সে শুরু করে দিল তার হাদিছ, “ উলুন্তুস মুছ, ফেসাতুল বাহার, কালা কুতুবিহি। এইবার কন?”
মাওলানার ঘাম ছুটলো, এত হাদিছ পড়েছেন কিন্তু এ হাদিছ তো তার চোখে পড়েনি। শেষ পর্যন্ত বলেই বসলেন, “এটা কোন হাদিছ?”
কৃষক অম্লান বদনে উত্তর দিল, “চেচড়াতুল কিতাব।“
মাওলানা গ্রাম ছাড়লেন।
এই হলো সাধারণভাবে সনাতন ধর্ম থেকে উন্নত ধর্মে আগত মুসলমানদের ধর্মীয় জ্ঞান।
আর এই উন্নত ধর্মের কতটুকু আমরা জানি?
বলতে লজ্জা নেই, আমিও জানতাম না শরিয়া আইন।
আমিনি সাহেবদের মাথা গরমের আসল কারণটা এবার বুঝা গেল।
@স্বপন মাঝি,
:lotpot: :lotpot: :lotpot: 😀 😀 😀
@স্বপন মাঝি,
এই হাদিস আমি লিখে রাখলাম।
এই হাদিসের লেখক হচ্ছেন মানাস ইবনে ইবলিস।
@স্বপন মাঝি,
:hahahee: (Y) :hahahee:
@স্বপন মাঝি,
একটা সহি মন্তব্য। (Y)