১ মার্চ
গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বপালন আইনগত
ভাবে বৈধ নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচীব এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পরিচালনা
পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। ( প্রথম আলো)
৩ মার্চ
বড় বড় লাল অক্ষরে সেদিন প্রথম আলো পত্রিকার হেডিং ছিল,
ডঃ ইউনূসকে অব্যহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরো আছে এমন খবর আরো আছে যেমন,
ডঃ ইউনূসকে নিয়ে মার্কিন দূতাবাস ও ‘ ফ্রেন্ডস অব গ্রামীণের উদ্বেগ’।
৪ মার্চ-
আদালতে গেলেন ডঃ ইউনূস আরো হেডিং – ‘অসন্তুষ্ট ও বিচলিত কূটনিকেরা’
আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে এই সব খবর পড়ছি। আর অবলীলায় হজম করে যাচ্ছি। সাধারণ জনগনের মনের কথা তাদের ক্ষোভ তাদের আহাজারি শোনার সময় নেই আমাদের বিজ্ঞ সরকারের। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের।
কেননা এখন তাদের অবস্থান আকাশের চাইতেও উঁচুতে। যেখানে তাকাতে গেলে ঘাড় শরীর নুইয়ে তাকাতে হবে। ব্যাকা হয়ে যাবে আমাদের মাথা আমাদের দেহ। কেননা ইনারাই দেশের ভাগ্য বিধাতা ইনারাই দেশের মালিক। সাধারণ মানুষের অনুভূতির কথা ভাবার মত তুচ্ছ সময় তাঁদের হাতে নেই। তাই তো দেখি একজন নোবেল বিজয়ীকে জামিনের জন্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটোছুটি করতে।
কি লজ্জ্বা কি লজ্জ্বা! আমরা দেখছি। আমরা কিছুই পারছিনা করতে?
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যখন এই ব্যক্তিত্বকে ‘রক্ত চোষা” বলে আখ্যায়িত করেন তখন ব্যাথায় বুক ভারি হয়ে ওঠে।
যে মানুষটি পৃথিবীর সব চাইতে সম্মানী মানুষের একজন, তাকে এই দেশের সরকার এই দেশের এমন অসম্মান উক্তি করতে পারে তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
সাধারণ মানুষ এতো সচেতন তারা জানে এটি হচ্ছে প্রফেসর ইউনূসকে হেনস্থা করার এক একটা হিংস্র প্রচেষ্টা।
কি অকৃজ্ঞ আমরা। যে মানুষটা এই দেশের জন্য একটা বিরল সম্মান বয়ে আনলেন তাঁর আজকে এমন অবস্থা
আমরা প্রতক্ষ্য করছি।
আমরা কি কিছুই পারিনা করতে এর বিরুদ্ধে? কেবল রুদ্ধ রোষে নিজ বিবেক’কে কুটি কুটি করা ছাড়া?
তাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের কথার পুনুরুক্তি করি,
‘ সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে পরিচিত হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে।
এই সরকার বিশ্বাস করুক আর না-ই করুক, এই দশকে পৃথিবীতে বাংলাদেশ পরিচিত হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস’কে দিয়ে। “
দুষ্টু জনের উক্তি- নোবেল প্রাইজটা ছিনিয়ে নিলেই এতো রস মজে যেত- কি জঘন্য বাক্য। যখন এই সব চলছে তখন আমাদের দেশেই অন্যদেশ হতে আগত নোবেল বিজয়ী’কে আমরা কি অভ্যার্থনা জানাচ্ছি। তাঁকে নিয়ে কি আদর আপ্যায়ন চলছে। তা চলুক। সম্মানি যিনি সব দেশেই তাঁর সমান সম্মান প্রাপ্য। কিন্তু তাই বলে আমাদের সরকার কী নোবেল বিজয়ীকে নূনতম সম্মান জানিয়ে বিদায় দিতে পারেনা?
আমাদের প্রতিবাদের সময় কি এখনো আসেনি? কি ভাষায় কোন ভাষায় এই ঘৃন্য কাজের নিন্দা জানাবো?
কী ভাবে করতে পারি এর প্রতিকার আপনারা কেউ জানেন কী?
কিছু মনে করবেন না। আসলে কুকুরের পেটে, ঘি হজম হয় না, আর তাই আমাদেরও নোবেল হজম হবে না।নোবেল পাবার পর অসংখ্য মানুষ ডঃ ইউনুস সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছে “সুদখোর শেষকালে নোবেল ও পেয়ে গেল”। ত এমন মহান দেশের সরকার যে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে বিস্মিত হবার কি আছে?
আমাদের বাংলাদেশীদের মানসিকতা আজ অনেক সঙ্কীর্ণ হয়ে গেছে, আর তাইতো ভোট এলেই, আমরা ভুলে যাই যে আমরা বাংলাদেশি। আর তাইত ঐ দুই দলই বার বার ক্ষমতায় আসে।
স্পীড রিডিং করে সব মন্তব্য পড়ে গেলাম। আপনাদের আলোচনার বিষয়বস্তুর সারাংশ এবং আমার কিছু প্রশ্ন তুলে ধরলাম
১) ইউনুস এবং/অথবা গ্রামীন ব্যাংক মানুষের জন্য কতটা করতে পেরেছে বা পারেনি?
আমার মতামতঃ কিছু পরিসংখ্যান দেখান। যেমন, ঋণ গ্রহিতার সংখ্যা, সুদ খেলাপির সংখ্যা, সফল ঋণ ফেরতের পরিমান, গ্রামীন ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের পরিসংখ্যান (আমি যতদূর শুনেছি, ঋণ গ্রহিতারা ব্যাংকের মালিকানা পায় কিছুটা হলেও)।
সম্ভব হলে, ঋণ গ্রহিতাদের, ঋণ খাটিয়ে মোট লাভের পরিমান।
পরিসংখ্যানের স্বচ্ছতা নিয়ে এবং ইউনুসের কর্মকাণ্ড বিচারে নোবেল পরিষদের মূল্যায়নের বিপক্ষে অবশ্যই প্রশ্ন তুলতে পারেন, কিন্তু সেজন্য কিছু facts দিন।
২) ইউনুসের অপসারণ রাজনৈতিক।
আমার মতামতঃ হোক রাজনৈতিক। অপসারণ রাজনৈতিক কিনা সেটা নিয়ে মুক্তমনারা অবশ্যই ভাববে, কিন্তু তার আগে ইউনুসের কর্মকান্ডের জন্য তাকে অপসারণ করা উচিৎ কিনা তা ভাববে। Process-এর থেকে outcome গুরুত্বপূর্ণ। তার কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে হয়তো সরাসরি আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো সম্ভব না। আইনসিদ্ধ বলেই কারো কর্মকাণ্ডে মানুষের কোন ক্ষতি হচ্ছে না এমন আশা করা অযৌক্তিক। সেক্ষেত্রে, বয়সের মতন তুচ্ছ একটা বিষয় টেনে এনে তাকে অপসারণ করা হয়তো আপাতদৃষ্টিতে রাজনৈতিক কিন্তু সে সিদ্ধান্ত দেশের জন্য মঙ্গলময় হলেও হতে পারে।
দ্বিতীয়ত যদি রাজনৈতিক কোন হিংসা লুকিয়ে থাকে এই অপসারণে, সেজন্য মুক্তমনারা রাজনীতিবিদদের judge করবে। রাজনৈতিক হিংসা তার অপসারনের যদি একটা কারন হয়ে থাকে, তার মানে এই না যে তাকে অপসারণ করে দেশের অবশ্যই ক্ষতি হবে।
৩) ইউনুস এর অপসারণে দেশের ভাবমূর্তি।
আমার মতামতঃ মুক্তমনাদের তো ভাবমূর্তি নিয়ে এত ভাবার দারকার নেই, পলটী-শেয়ালরা এসব নিয়ে বেশি ভাববে। মুক্তমনারা আগে লোকটার কর্মকাণ্ড বিচার করবে, দেশের কি লাভ ক্ষতি করেছে সেটা ভাববে।
ভাবমূর্তি শব্দতার মধ্যেই আমি নষ্টামির গন্ধ পাই।
বিচার বিবেচনা মাথায় তুলে show-off করার অভিপ্রায়। ভাবমূর্তি নিয়ে যদি ভাবতেই হয় সেটা হবে, মানুষটার বিচার করার পরে, রাজনৈতিক ব্যাপারগুলো চিন্তা করে।
খুব সংক্ষেপে,
সরকারের রোষানলে পড়ে মুহাম্মদ ইউনুস তার পদ হারিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে তার অনুকূলে যে প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে, এ রকম প্রতিক্রিয়া যদি শ্রমিক ছাটাই বা সরকারি কর্মচারি বা কর্মকর্তা যখন রাজনৈতিক নেতাদের রোষানলে পড়ে চাকরি হারান, তখন হতো, তাহলে প্রতিবাদকারীদের মানবিক অভিধায় আখ্যায়িত করা যেত। একজন মানুষ (সফল সুদের কারবারি) কিভাবে অতি-মানব হয়ে ওঠলেন, আমরা তা দেখলাম। পরলৌকিক ঈশ্বর মরে গেলেও জাগতিক ঈশ্বররা হয়তো টিকে থাকবে আরো অনেকদিন।
দুনিয়াজুরা পচুর গিয়ানজাম।
ইউনূসকে নিয়ে আমার ভাবনাঃ
– শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার মত কিছু করেছেন? এটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই কম। মহাকালের বিচারে জিনিসটা খুব সম্মানের না।
– উনি দেশের সম্মান বয়ে এনেছেন? সম্মানটা কে দিচ্ছে সেটা দেখতে হবে। সম্মানটা কিসে কর্নভার্ট হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। আমার নিজের ব্যক্তিগত লাভ কিছু হয় নি। দেশের কোন ভৌত লাভ ক্ষতি হয়েছে বলেও মনে করতে পারছি না। বাদবাকি হল বায়বীয় গর্ব।
– উনি কি সৎ লোক? হয় তো, হয় তো না। তবে ওনার চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণ অসৎ ব্যবসায়ীকে সরকারের সাথে ঘোরাফিরা করতে দেখি।
– ইউনূস গুরুত্বপূর্ণ কেন? আমার মনে হয় পুঁজিবাদকে কদর করেন এমন যে কারও কাছেই তিনি স্বকীয়ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হবেন। পুঁজিবিকাশের সম্ভাবনাকে তিনি একটা সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছেন। এতে দারিদ্র দূর হবে? এগুলো হল কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপনের মত মিথ্যে কথা। তবে পুঁজিবাদের কারণে তাত্ত্বিকভাবে যেসব ‘পুঁজিবাদী’ কল্যাণ হবার কথা, সে কল্যাণকে তিনি ত্বরান্বিতই তো করলেন। ফলে তিনি আমার কাছে হলেন একজন পুঁজিবাদী হিরো। পুঁজিবাদী হিরো হবার জন্যে মহৎ বা দয়াময় হতে হয় না, যেমন বিজ্ঞানের হিরো হতে হলে মহৎ বা দয়াময় হতে হয় না বা জনগণের হিরো হতে হলে বিজ্ঞান জানতে হয় না। উনি ওনার ফ্যাকাল্টিতে সেরা।
@রূপম (ধ্রুব),
(Y)
@রূপম (ধ্রুব),
বুড়াঙ্গুল দেখালাম আপনাকে। সহমত!
@রূপম (ধ্রুব),
আপনার পক্ষপাতমুক্ত, নির্মোহ মন্তব্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ। (Y)
আমি কিছু প্রতিমন্তব্য করছি।
“মহাকালের বিচারে” প্রায় সবকিছুই মুল্যহীন। কারন অর্থনীতিবিদ লর্ড কেইনসের ভাষায়, “In the long run, we are all dead.” যেকোন জিনিষের মুল্যায়ন সসীম সময়ের কাঠামোতেই অর্থবহ হতে পারে। অতএব সেই সসীম সময়ের কাঠামোতেই ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার মত কিছু করেছেন কিনা, এবং জিনিষটা সম্মানের কিনা এগুলো সন্গত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন । অবশ্য যেকোন বিষয়ে মাথা ঘামানো কিংবা না ঘামানো প্রত্যেকের নিজস্ব বিচারের ব্যাপার।
একমত। কিন্তু এর চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আপনিই করেছেন। নীচে দেখুন।
একটা দেশের কেউ কোন স্বীকৃতি বা পুরষ্কার পেলে সেই দেশের অন্য কারো প্রত্যক্ষ বা ভৌত ব্যক্তিগত লাভ সাধারনত হয়না; মনস্তাত্বিক লাভ হয়ত হতে পারে যদি সেখানে কোন ব্যাক্তিগত সম্পর্ক কিংবা “দেশপ্রেমিক” অনুভুতি জড়িত থাকে।
এই মুল্যায়নটা করতে হলে অনেক তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও এবং গবেষণার দরকার আছে। আমি শুধু নোবেল প্রাপ্তির কথা বলছিনা, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাবস্থার কার্যকারিতা এবং বাংলাদেশে এটার সাফল্যের (কিংবা ব্যর্থতার) পর্যবেক্ষনলব্ধ মুল্যায়নের কথা বলছি। গ্রামীণ ব্যাংকের সমর্থকরা আমাদের জানাবেন যে মফিজন নেসা একটা গরু দিয়ে শুরু করে ক্ষুদ্র ঋণের কল্যানে দশটা গরু করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সমালোচকরা জানাবেন যে ক্ষুদ্র ঋণ করিমন নেসাকে কপর্দকশূন্য করেছে, এমনকি তার ঘরের চালটিও নিয়ে গেছে। এদুটো কাহিনীই হয়ত সত্যি। আমাদের জানা দরকার যে বাংলাদেশের যে কয়েক হাজার গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংক কাজ করে, সেখানে মফিজনদের সংখ্যা কত আর করিমনদের সংখ্যাই বা কত।
গ্রামীণ ব্যাংকের সমর্থকরা এবং সমালোচকরা যদি একটু কষ্ট করে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে কিছু গবেষণাপত্র তৈরী করে প্রকাশ করতেন তাহলে দেশের মানুষের খুব উপকার হত।
ভাবাবেগের আতিশায্য সবসময় “বায়বীয়।” এ ব্যপারে আমার নিজের মানসিকতা আপনার মতই। তবে “দেশপ্রেমিকতার” ভাবাবেগকে বেশী কটাক্ষ করা বোধহয় আমাদের জন্য শোভন হবেনা।
কিন্তু এই বিষয়ের উপর অধিকাংশ আলোচনাই আমার কাছে বায়বীয় মনে হয়। যেমন দেশের তথাকথিত “ভাবমুর্তি,” ইউনুসের তথাকথিত “ধুর্ততা,” এসব আমাদের জন্য কোন “ভৌত” (আপনার ভাষায়) লাভ বা ক্ষতি করবেনা। এগুলো বায়বীয় ইস্যু।
আজ এই পর্যন্তই থাক । অনেক রাত হয়েছে। বাকী মন্তব্য পরে করব।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আলোচনা হওয়া উচিৎ ছিল। এখানে (গ্রামীণ ব্যাংক) হাজার হাজার কর্মচারী আছেন যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে একপ্রকার ব্রোকারের বা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এজেন্টদের মত মরিয়া হয়ে গ্রাহকদেরকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করেন, কারণ বেশী লোন-গ্রহীতা সংগ্রহের সাথে তাদের অতিরিক্ত বোনাস জড়িত। তারা কাস্টমারদেরকে কীভাবে ইনফ্লুয়েন্স করেন তা উপর থেকে পর্যবেক্ষণ করার হয়তো সুযোগ নেই। বলা বাহুল্য তবুও এর দায়ভার যে ডঃ ইউনুসের উপরেই বর্তাবে।
দেশের ভাবমূর্তি! এ আবার কোনটা? ৯৮ সালে ২২ বছরের সুন্দরী তরুণী মনিকা- ক্লিন্টন সেক্স-স্ক্যান্ডেল যদি আমেরিকার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে না পারে, ২০১১ সালে লেবার এম পি’র ( Eric Illsley) পাবলিকের ১৪হাজার পাউন্ড চুরি (১২মাসের জেল) যদি বৃটেনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে না পারে, ডঃ ইউনুসের কোন অপকর্মের কারণে বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার কোন কারণ দেখিনা। তার নোবেল প্রাপ্তিতে হিংসাপরায়ণ কথিপয় বামপন্থিদের গাত্রদাহের কারণ বুঝা খুব একটা কঠিন নয়। এ দেশের মানুষ ইউনুসকে নিয়ে গর্ব করতেই পারে, হোক তা বায়বীয় আবেগে, এখানে ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির কিছু নেই।
তবে যে কথা বলতে চাই, গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নিয়ে ১০ জন মানুষ যদি স্বাবলম্বী হয়ে উঠে আর বিপরীতে একজন মানুষও বাস্তুহীন হয়, সেই একজন মানুষের পরিণতি বড় হয়ে দৃষ্টিগোচর হবে এবং তা সকল অর্জন ম্লান করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।
শোনা যায় সরকার তাকে সসম্মানেই বিদায় দিতে চেয়েছিল, তিনি সে সুযোগ নেন নি। সরকার কেন তাকে বিদায় দিতে চায় এবং তা কতটকু গ্রহণযোগ্য-যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। ব্যক্তি ইউনুস সৎ না অসৎ, ক্ষমতা লোভী না সম্পদলোভী, দারিদ্র-বিমোচনকারী, না রক্ত-শোষক, সম্মানী ব্যক্তি না সাধারণ ব্যক্তি, লরিয়েট হিসেবে তার জন্যে আইনের নেট-লুজ করে দেয়া যাবে কি যাবেনা, আগে দেখা হয় নাই এখন কেন দেখা, পূর্বে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা ছাড় পেয়েছেন ইউনুস কেন পাবেন না, এ সবই অর্থহীন কথা।
এখানে তার নোবেল পুরুস্কার ইস্যু টেনে আনার কোন প্রয়োজন দেখিনা। প্রয়োজন হল, গ্রামীন ব্যাংকের কাছে সঠিক তথ্যভিত্তিক পূর্ন স্টেইটমেন্ট, রিপোর্ট দাবী করা।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তিন দিনের ভারত সফরের সময় হিলারি ক্লিনটনের স্বল্পতম সময়ের জন্য ঢাকায় আসার কথা ছিল। ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির পর তাঁর ঢাকা সফরটি ক্যানসেল হয়ে গেছে। এপ্রিল মাসেই ওয়াশিংটনে বিশ্ব ইসলামিক ফোরামের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যে শেখ হাসিনা আমেরিকা যাচ্ছেন, সেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল, সে সাক্ষাৎও হচ্ছে না। এই ইস্যুতে আমেরিকার অত্যাধিক মাথা-ব্যাথা বা গোস্বার কারণটা ভেবে দেখার বিষয়।
@আকাশ মালিক,
==>> ইউনুসের অপকর্মে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার ভয়ের চেয়ে পাবলিকে তো অপকর্মের জন্য ইউনুসরে কোনরূপ সাজা দিলে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়- এমন কথাই বেশী বলছেন! গোটা দুনিয়ায় নাকি তার নামেই সবাই বাংলাদেশরে চেনে- তাই ইউনুসের সাত খুন মাফ করতে হবে আর কি- এই হলো আমাদের সবার দাবী!! বড়ই অদ্ভুত!!!!
==>>> হিংসাপরায়ন কতিপয় বামপন্থী কাদের বলছেন এবং কেন বলছেন? ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তিতে তাদের গাত্রদাহের কারণ বুঝিয়ে বলবেন কি?
===>>> গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নিয়ে ১০ জন স্বাবলম্বী হওয়ার বিপরীতে ১জন বাস্তুহীন হয়ে উঠার কোন চিত্র বোধ করি নাই, বরং চিত্রটা ভীষণভাবেই উল্টো। ১০০ জন ঋণের জালে বোতলবন্দী-বাস্তুহীন হলে হয়তো বা ১ জন কিছুটা অর্থনৈতিক হয়েছে- এমনই রেশিও। আমার নিজেরও কিছু অভিজ্ঞতা আছে এ ব্যাপারে (যদিও বাইরে থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা)- আমি কাউরে পাই নাই এর থেকে উপকৃত হয়েছে এমন। ঐ ফিল্মটা বাংলাদেশের যিনি টেক করেছেন- তিনিও আমাদের বন্ধু মানুষ, সরেজমিনে যেসব ঐ ফিল্মে তুলে ধরেছে- সবই সত্য।
পরিশেষে কেবল এতটুকু বলবো- যে একেবারে সহায় সম্বল হীন, নি:স দরিদ্র তার পক্ষে এমন সুদে কিভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব- আপনি একটু ক্যালকুলেশন করে দেখুন না! আগে একজন গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নিয়ে ছেলেকে বুয়েটে পড়ানোর কথা বললেন। কিন্তু আমরা এমনো দেখে এসেছি যে, শিক্ষালোন নিয়ে বড় ছেলেকে কোনমতে ইন্টারমেডিয়েট পর্যন্ত নিতে পেরেছে কিন্তু ছোট ছেলেকে স্কুল থেকে সরিয়ে এনেছে এবং অনেকগুলো লোনে জর্জরিত হয়ে করুন অবস্থায় দিন যাপন করছে।
স্বাবলম্বী হওয়ার যে গল্প প্রচার করা হয়- তাতেও আসলে ফাঁক আছে। দেখা গেছে এদের একটা অংশ আগে থেকে স্বাবলম্বী বা কিছুটা অবস্থাপন্ন, এরা ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসা বা ফার্মকে আরেকটু চাঙ্গা করলো- পরে দেখা গেল এদের নাম ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে (এমন পেয়েছি)। একদম দুঃস্থ অবস্থা ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাড়িয়েছে এদের সংখ্যা একদমই নগন্য- তারা মূলত একদম শুরুর দিকে ঋণ নিয়ে কোন ছোটখাট ব্যবসা শুরু করেছিল। কিন্তু পরে যারা ঐরকম ব্যবসা টাইপের কিছু শুরু করতে চেয়েছিল- বেশীরভাগই টিকে নাই- এমনও দেখা গেছে। (ধরেন, একটা গঞ্জে মোবাইল ফোনের দোকান নিয়ে বসলো একজন, তারে দেখে আরো দুজন- এমন করে কয়জন বসতে পারবে বলেন? দেখা গেছে মোটামুটি ভালো জায়গায় প্রথম ৩/৪ জন হয়তো স্ট্যাবলিশ হতে পেরেছে কিন্তু বাকিরা আর পারেনি। আবার এমনও দেখা গেছে, গঞ্জে যার একটা মুদিখানা বা স্টেশনারি দোকান আগে থেকেই আছে, সেই ফোন/ফ্যাক্সের ব্যবসাও শুরু করলো, তার পুজি ও পরিচিতির দরুন- নতুন দরিদ্র একজন ঋণ নিয়ে শুরু করেও টিকতে পারলো না!)
তবে, এটাও ঠিক যে- বিগত ১০ বছরে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেকে, বিশেষ করে নারীরা। কিন্তু সেটাকে যেভাবে গ্রামীণ ব্যাংক বা অন্যান্য এনজিও রা নিজেদের কর্ম বলে ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা করে- আসলে তা নয়। সীমাহীন দারিদ্রই এই নারীদের ঘরের বাইরে এনেছে, কাজে নামিয়েছে এবং নিজের আয় নিজেই করতে শিখিয়েছে তথা বাধ্য করেছে। আমাদের কৃষিজীবি মানুষেরা প্রতিবছরই জমি হারাচ্ছে, জমি হারিয়ে তারা বাধ্য হচ্ছে পেশা পাল্টাতে। যে জমি এককালে পুরো পরিবারকে অন্ন দিতো, আজ জমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিনমজুরি, শহরে এসে রিকশা চালানো এসব কাজে আর পুরো পরিবার চলছে না। ফলে কাজ করার হাতও বাড়াতে হচ্ছে- কেননা একজনের আয়ে সংসার চলে না। ফলে চালের মিল, ইটভাটা, মাটি কাটা, শহরে গার্মেন্টস এসব জায়গায় নারীরা কাজ নিচ্ছেন। কেউ কেউ হয়তো এনজিওগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ নিচ্ছেন।
আমেরিকার এইরকম বাড়াবাড়িকে কি চোখে দেখেন? ভয় পেয়ে কি ইউনুসরেই রাষ্ট্রপতি বানিয়ে ফেলতে হবে?
@মোঃ হারুন উজ জামান,
(Y)
গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহক তালিকার একটা লিস্ট হাতে নিয়ে, র্যান্ডম ভাবে ১০০০ জনকে বেছে নিয়ে একটা পর্যালোচনা হোক। যারা গ্রামীণের ব্যাপারে খুব শক্ত মতের অধিকারি (ভাল বা মন্দ) তারা এটা করে প্রমাণ দেখাতে পারেন। ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, এরকম একটা কাজে টাকা ঢালতেও আপত্তি নেই আমার।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
ঠিকোয়ই! কিন্তু আমার বিচারের মহাকালটা একটু ছোট এখানে। পশ্চিমা বিশ্বের মোড়লিপনা পতন পরবর্তী সময়কাল পর্যন্ত ব্যাপ্ত কেবল। সে সময় শান্তিতে নোবেল জিনিসটার নির্মোহ পর্যালোচনা হলে এটাকে সম্মানজনক কিছু মনে করা হবে না আরকি!
“দেশের কোন ভৌত লাভ ক্ষতি হয়েছে বলেও মনে করতে পারছি না।” – রূপম।
“আমি শুধু নোবেল প্রাপ্তির কথা বলছিনা, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাবস্থার কার্যকারিতা এবং বাংলাদেশে এটার সাফল্যের (কিংবা ব্যর্থতার) পর্যবেক্ষনলব্ধ মুল্যায়নের কথা বলছি।” – আপনি।
কিন্তু আমি কিন্তু এই বাক্যে শুধু নোবেল পাওয়ার কথাই বলছি। সেটা থেকে পাওয়া সম্মানের ভৌত লাভ-ক্ষতির কথা বলছি। প্যারাটা লক্ষ্য করুন। সেটাও গবেষণা করে দেখা যেতে পারে বটে। তবে সেটায় লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনা ক্ষুদ্রঋণের দ্বারা ভৌত লাভক্ষতির তুলনায় অতি নগণ্য হবে বলেই মনে হয়। সম্মানের উপর ভিত্তি করে রাজনীতি চলে হয়তো, যৌক্তিক আর্গুমেন্ট চলে না।
আমার ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে বিশেষ আপত্তি নেই। গ্রহীতার অধিকার রক্ষার উপায়গুলো সুনিশ্চিত করা দরকার। সে অবস্থায় যেকোন দুজনের মধ্যে যে কোন স্বজ্ঞানে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে বৈধ মনে করি। অনেকে পুঁজিবাদের সাথে গরীবের পারস্পরিক কামনাটাকে জেনা বানিয়ে দিয়ে সেই জেনার হাত থেকে গরীবের পর্দাকে পাহারা দেয়ার চেষ্টা করে। যেন অপুঁজির সাথে গরীবের নিকাহ হয়েছে। ওরা হল পরচর্চা করা মোল্লা। আর ক্ষুদ্র ঋণে কি ধরনের ভৌত ক্ষতি হলে সেটা বাতিল করা যেতে পারে, সে নিয়ে আলোচনা দরকার। মোল্লারা অবশ্য তাদের গরীবানুভূতিতে আঘাতকেই ক্ষুদ্র ঋণ বাতিলের সবচেয়ে বড় পয়েন্ট মনে করে।
আপনার বিশ্লেষণের ধরন ভালো লাগলো।
@রূপম (ধ্রুব),
আপনার সুক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণবাদী ক্ষমতায় মোহিত হলাম। আপনার পর্যবেক্ষণ ১০০% সমর্থন করছি আমি।
তবে আপনার খুবই খুবই পলিটিকালি কারেক্ট সুশ্রবণীয় কথাটির পাশে আমি কি একটা ছোট্ট ইনফ্লামেটোরি কথা বলতে পারি, ভয়ে কিংবা নির্ভয়ে?
বাঙ্গালী হিসেবে যেই ইতিহাস আমাদের রয়েছে এটার মধ্যে বেশ দৃষ্টিকটুভাবেই দৃষ্টিগ্রাহ্য আমাদের গুণীর কদর বুঝতে না পারা, গুণীকে পায়ে ঠেলে দেওয়া এবং নির্গুনকে ক্রনিকভাবে গ্লিরিফাই করে চলা! আমার সন্দেহ হয় অনেকগুলো কারণের মধ্যে এইটিও একটা কারণ নয়তো আবার, যার জন্য কিনা সাধারণ বাঙ্গালীর গড় অর্জনসীমাকে ছাড়িয়ে যাওয়া মহত বাঙ্গালীদের প্রত্যেকেই যেমন- রবীন্দ্রনাথ, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, হুমায়ুন আজাদ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি বেশ দৃষ্টিকটুভাবেই নিজেদের কথায় কাজে ও কর্মে প্রকাশ করে গিয়েছেন বাঙ্গালীত্ব সম্পর্কে নিজেদের প্রগাড় কনটেম্পট এবং ডিসডেইন? তাছাড়াও একজন এসে বলে যাচ্ছে ‘বাঙ্গালী করেছো মানুষ করোনি’, আরেকজন বলছে ‘কি বিচিত্র দেশ সেলুকাস’, অন্যজন বলছে তিনি বাঙ্গালী না হয়ে বরং আরব বেদুইন হতে চান ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলোওতো জাতিগতভাবে আমাদের খুব একটা গ্লরিয়াস কোন পিকচার দেয় না তাই না? কেউ না কেউ আমাদেরকে এসে শিখিয়ে যাচ্ছে ‘এটা হচ্ছে ইসলাম’, আমরা সেটা কিনছি; কেউ না কেউ এসে কমিউনিজম শিখিয়ে যায় সেটাও কিনি; কেউ আবার এসে বলে ‘এটা হচ্ছে পার্টিকেল ফিজিক্স’ আমরা বলি ‘আচ্ছা’। কারণ, আমাদের নিজস্ব কালেক্টিভ মগজ দিয়ে এগুলোর একটাও ফিগার আউট করার হিম্মত আমাদের নেই। So, কেউ না কেউ যখন এসে বলছে- ‘এইটা হচ্ছে গিয়ে শান্তি’, মাতবরি না করে perhaps we should listen. Afterall, কোনকিছুই যখন ফিগার আউট করিনি এই পর্যন্ত, শান্তি কাকে বলে এটাযে ফিগার আউট করতে পারবো, সেটার নিশ্চয়তা তো দেওয়া যায় না, তাই না? দেখা যাবে শান্তির ধর্ম ইসলামের ডন হযরত মুহাম্মদকেই শান্তিতে নোবেল দেওয়ার জন্য মনোনীত করে বসে আছি, কিংবা পাকিয়ে বসে আছি এর চেয়েও অনেক বেশী হাস্যকর কোন mess up!
যখন গ্রামীন ব্যাঙ্কের কাস্টমার ছিলো ১ মিলিয়ন তখন ভূ-উপগ্রহ ছিলো না, থাকলে খুব সম্ভবত মহাশূণ্য থেকে ১ মিলিয়ন অনাবৃত বাড়ি দেখা যেতো যাদের টিনের চাল কিনা খুলে নেওয়া হয়েছে। এখন গ্রামীন ব্যাঙ্কের কাস্টমার ৭ মিলিয়ন, গুগোল আর্থের সহায়তায় কোন সাম্যাজ্যবাবা ভলান্টিয়ার যদি ৭ মিলিয়ন টিনের চালবিহীন বাড়ির অস্তিত্ব সনাক্ত ও নিশ্চিত করেন, খুউব খুউব ভালো হয় তাইলে। 😀 😀
@রূপম (ধ্রুব), (Y) (Y) (Y) (C)
এই থ্রেডে মন্তব্যই করতেই চাইনি। প্রথম থেকেই তথ্য প্রযুক্তিময় কাব্যিক দুর্গন্ধ আসছিল। কিন্তু এর তীব্রতা এখন এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছে যে না বলে থাকতে পারলাম না। মডারেটররা একটু লক্ষ রেখে ঘাসের জমি লিজ দিলে বোধহয় এই সমস্যাটা হতনা।
@সাইফুল ইসলাম,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
ডঃ ইউনূস ধোয়া তুলসী পাতা কিনা, বা রক্তচোষা কিনা, শান্তিতে নোবেল প্রহসন কিনা এমন কোন বিতর্কে যাচ্ছিনা, শুধু আমাদের এক্সট্রিমিজমের প্রতি বিতৃষ্ণা পোষন করছি। আমরা নোবেল পাবার পরে এই ইউনূসকে মাথায় নিয়ে নেচেছি আবার এখন হঠাৎ
@টেকি সওদাগর,
তসলিমা যে কথা বলেছেন সেটা ভুল। আপনার সাথে আমার কথা হল আপনি বললেন- আমার আরো ৩/৪ জন বন্ধু (ইন্টামিডিয়েট ১ম বর্ষ) এখানে নিয়মিত আসে, কিন্তু কোনদিনও মন্তব্য করতে সাহস পায়না। সদস্য হওয়াতো দুরের কথা। প্রশ্ন করতেও ভয় পায়, পাছে যদি দেখে বোকামি হয়েছে।
বোকামি না করে বুদ্ধিমানের মত আলোচনায় যোগ দিলেই হয়। ইন্টারমিডিয়েট ছাত্রদের কাছ থেকে আমরা বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনাই তো আশা করি। আমি ভাই সব সময় নবীণের পক্ষে, এ পৃথিবীর ভাঙ্গা-গড়ায় নবীণদেরই অবদান বেশী। সুতরাং আপনারা আসুন নির্ভয়ে, নতুন ঊষার আলো নিয়ে। ব্যক্তিগত আক্রমণ, কাদা ছোঁড়াছুড়ি সহজেই এভয়েড করা যায় যদি ইচ্ছে থাকে। এক পরিবারে, সমাবেশে, আডডায় আলোচনায় তর্ক-বিতর্ক হবে, মতবিরোধ-মতানৈক্য হবে, মাঝে মাঝে উত্তপ্ত পরিবেশ, আবার শীতলও হবে, তাই বলে আলোচনা থেকে বিরত থাকা তো ঠিক না। বন্যা আপনাকে যা বলেছেন এর পরে এ নিয়ে আর কথা বাড়ানো উচিৎ না। পুরাতন সব দুঃখ-গ্লানি, ক্লেশ-যাতনা, অভিযোগ-অভিমান দূরে ছোঁড়ে ফেলে দিয়ে, নতুন একটা লখা মুক্তমনায় ছাড়ুন, আমরা নতুনত্বের স্বাধ নিয়ে তৃপ্ত হই। মুক্তমনা আপনাদেরকেই চায়, এটা আপনাদেরই স্থান, নবীনদের আগমনে মুক্তমনা আরো সুন্দর থেকে সুন্দরতম হয়ে উঠুক।
@লীনা রহমান,
যার যে বিষয়ে যতটুকু প্রাপ্য তা তো দিতে বা পেতেই হয়, ঠিক না? কেউ কেউ বলেন জ্ঞাণী লোকের মান আল্লায় রাখে। আমি যদি বলি, জ্ঞাণ অর্জন করে জ্ঞাণী হওয়া যায় ভাল মানুষ হওয়া যায়না, আমার কথা কি ফেলতে পারবেন? দোষে গুণে মানুষ থাকবে, তাকে সেভাবেই মুল্যায়ণ করা উচিৎ বলে মনে করি। নীচের মন্তব্যটিতে ভাবনার খোরাক আছে-
আমার গ্রামে একটা ছেলে ছিল। বস্তিতে থাকতো। বাবা দিনমজুরের কাজ করত। তার এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের টাকা গ্রমীন ব্যাংক শিক্ষা লোন কার্যক্রম থেকে নেয়া। প্রংসগত সেই ছেলে এখন বুয়েটে পড়ে।
আমি এও দেখেছি মেয়ের বিয়ের জন্যে টাকা নিয়ে নিজে দ্বিত্বীয় বিয়ে করে বড়ি এসেছে। এই রকম লোকের টিনের চালা খুলে নিলে আমার অন্ততঃ কোন আপত্তি নেই।
বিশ পার্সেন্ট লাভের আশায় তেত্রিশ পার্সেন্ট সুদে অশিক্ষিত অদক্ষ কৃষকের লোন নেয়ার পরণতি কী হতে পারে ডঃ ইউনুসের অজানা থাকার কথা নয়। আমি তাকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবেই দেখি, দারিদ্র-বিমোচনকারী মোটেই নয়।
@আকাশ মালিক, আমার মন্তব্যটা পুরোটা আসেনি টেকনিক্যাল গন্ডগোলের জন্য, আমি বলতে চেয়েছিলাম
আপনারা কেউ কাজী ফারুক আহমেদ এর নাম শুনেছেন? ভদ্রলোক প্রশিকা নামে একটি প্রতিস্ঠানের প্রতিস্ঠাতা।আজ তিনি কোথায়? যিনি কিনা শুন্য থেকে তিল তিল করে প্রশিকাকে গ্রামীন ব্যংক বা ব্র্যাক এর মত উচ্চতায় নিয়ে
গিয়েছিলেন। আজ তিনি প্রশিকা ভবনে প্রবেশ পর্যন্ত করতে পারেন না। কেন?
আদালতের আদেশ।কেন? কারন একই। যে কারনে আজ প্রফেসর ইউনুস গ্রামীন ব্যংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের পদ হারালেন, কারন একই। প্রফেসর ইউনুস নিশ্চয় গ্রামীন ব্যাংকের প্রবেশাধিকার হারাননি। নিশ্চয় তিনি কোন না কোন ভাবে গ্রামীন ব্যাংকরে সংগে জড়িত থাকবেন। কেউ তার সে অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কোন আদালতও নয়। যারা আজ ইউনুসের জন্য এত লেখালেখি করছেন (যা অবশ্যই প্রয়োজন) তারা কোথায় ছিলেন, যখন কাজী ফারুক কে তার প্রতিস্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয় (হ্যা, বের করে দেওয়া হয়) কেও তার জন্য একটি শব্দও লিখেন নি। লিখবেন কেন, তিনি তো আর
নোবেল পাননি। যদিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গ্রামীন নারী উন্নয়নে প্রশিকার অবদান কোন অংশেই গ্রামীন ব্যাংকের চেয়ে কম নয়, বরং একটু বেশি ই।
@ফরহাদ,
বিতর্ক সৃষ্টির জন্য ইস্যু না তুললেই ভাল। প্রশিকার যে কোন কর্মীর সাথে কথা বলেই বুঝতে পারবেন কাজী ফারুক নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল ( জাতীয় সংসদ সদস্য হবার জন্য নির্বাচন করা পর্যন্ত, যদিও এন জি ও ব্যুরো কর্তৃক যে কোন এন জি ও এর রাজনীতি আইনত নিষিদ্ধ) এবং পারিবারিকভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া ( ছেলেকে বিশেষ পদে অধিষ্ঠিত করা) সহ কি কি করেছেন। আর কাজী ফারুকের রাজনৈতিক কর্মের জন্য অনেকদিন দাতাদের আর্থিক অনুদান সরকার কর্তৃক অনুমোদন পায়নি বলে কর্মীরা মাসের মাসের পর বিনা বেতনে খেটেছে।
তবে, আপনার মন্তব্য —
এ বিষয়ে আংশিক একমত। কারণ আমি তুলনামূলক কোন গবেষনা পত্র পড়িনি। তবে প্রশিকা right based এপ্রোচে প্রচুর কাজ করেছে। এ বিষয়ে পাবলিকেশনও আছে। প্রশিকার কাজ নিয়ে গবেষণার রেফারেন্স হাতের কাছে এ মূহুর্তে নেই বলে দিতে পারছি না।
প্রশিকা নারী
@গীতা দাস,
আর প্রফেসর ইউনুস নিজেই একটি দল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কাজী ফারুক যে কারনে আইন বিরুদ্ধ কাজ করে তার ফল ভোগ করছেন, প্রফেসর
ইউনুস তা করলে তার বিরুদ্ধ কোন ব্যাবস্হা নিলে, তা হল হয়রানী।
আমরা এক সময় বিদেশে তসলিমা নাসরিন এর দেশের লোক বলে পরিচিত হতাম। এখন তার কথা আমরা বা তার বিদেশী বন্ধুরা ভুলেও উচ্চারন করি না।
ভালো খবর আরো একটা আছে। হাসিনার ছেলে নাকি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে,
গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ডঃ ইউনূসেরই না :-O
এখন তিনি নিশ্চয় মায়ের জন্য নোবেল পাইয়ে দেবার ব্যপারে দেন দরবার করবেন- কি বিচিত্র -সেলুকাস এই দেশে আমরা বসবাস করছি :-s
@আফরোজা আলম,
আপনার জন্য আজকে প্রকাশিত আরেকটি লিংক–
পরাশক্তির অতিউৎসাহ কি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন
@গীতা দাস,
আমি একজন শ্রদ্ধ্বেয় ব্যক্তিকে সম্মানজনক ভাবে বিদায় জানানোর প্রসঙ্গ তুলেছিলাম। তাতে আপনাদের কষ্ট লাগছে দেখে আর কিছু বলছি না।
আপনারা যত খুশি বিষোদ্গার করুন তাতে করে এই সম্মানীয় মানুষের সম্মান খসে পড়বে না আশা করি।
এইটাই আমার শেষ পোষ্ট। আমাকে আক্রমন শুরু করলে আমাকে তো নিজকে সরিয়ে নিতেই হবে। এখন আপনারা মনের সুখে ঝাল ঝাড়েন আর গালাগালি দেন তাতে কারো কিছু আসবে যাবে না। বিদায়।
@আফরোজা আলম,
দুঃখিত। আমি সচেতনভাবে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য কখনও মন্তব্য করি না এবং ব্লগে কারও মন্তব্য ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণও করতে চাই না।
আমি যেমন আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই, তেমনি অন্যের মতামত ভিন্ন হলেও প্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করার মত মানসিকতা পোষণ করি।
যাহোক, আপনি বলেছেন ——
আমার প্রথম করা মন্তব্যটিতে কী এরকম কোন ইঙ্গিত ছিল? আর কিছু বলবেন না শুনে ভাল লাগল। তা না হলে আমাদের কারও কারও বিতর্ক যুক্তিবিহীন হয়ে পড়েছিল এবং ডঃ ইউনূসের সম্মান বাঁচাতে অন্যের সম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু করেছিলাম। আমিও দুঃখ প্রকাশ করে ইস্তফা দিলাম।
যদিও ডঃ ইউনূস তার নোবেল প্রাপ্তির টাকায় দরিদ্র নারীদের জন্য কোন পরিকল্পনা করেছেন কি না তা এখনও জানতে পারিনি।
@গীতা দাস, উইকিপেডিয়ায় Mohammad Yunus এন্ট্রিতে আছে,
” After receiving the news of the important award, Yunus announced that he would use part of his share of the $1.4 million award money to create a company to make low-cost, high-nutrition food for the poor; while the rest would go toward setting up an eye hospital for the poor in Bangladesh.”
অত্যন্ত আনন্দের সাথে নাকি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, অবশেষে থলের বিড়াল বের হয়ে এলো একলাফে, কী ভাবে?
কথাটা আগে কান কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম এখন দেখছি।সত্যি তাই। :-O
হায় হায় , এমন নির্লজ্জ আর হিংসাপরায়নতার নমুনা বটে।
তাই বলি কি আমরা এক কাজ করি,
মহাসুখী মহাজন
যে পথে করে গমন
আমরাও সে পথে
আমরাও হব — ইত্যাদি ইত্যাদি —
এই পথে আমরাও এগোই। হায় সন্তু লারমা কেন নোবেল পেলনা :-Y
হায় – ইয়ে তিনিও কেন পেলেন না- :-Y
@আফরোজা আলম,
ডঃ ইউনুসের আলোচনায় সন্তু লারমাকে এনে তার প্রতি অবজ্ঞা করাটা পঠনকটূ লাগছে। (N)
@আফরোজা আলম,
৩ই ফেব্রুয়ারীর সম্পাদকীয় খুজে বের করে আবার মিলিয়ে নিলাম। তখন ভেবেছিলাম কাদের সিদ্দিকী বোধহয় একটু বাড়িয়ে বলছেন এখনতো আমি স্তভিত!! বাহ! :clap :clap কিছুই বলার নেই 🙁
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=03-2-2011&type=gold&data=Mobile&pub_no=279&cat_id=2&menu_id=30&news_type_id=1&index=0
হুম! আরো কত কী বাকী আছে-
বাংলাদেশ তো কারো কারো পৈত্রিক সম্পদ তাই এঁরা মনে করেন। নির্বাচনী
ওয়াদা ছিল ২০ টাকার বেশী চাউলের দাম হবে না।
কিন্তু ,সেটা নিয়ে এই সব আঁতেল মানুষজনের মাথা ব্যথা নেই। আছে কেবল এক সম্মানী মানুষের চরিত্রে কি করে কালি লেপন করা যায় সেই চিন্তা। চামচারা করুতে থাকুক, আমরাও দেখতে থাকি।
@টেকি সওদাগর,
সত্যি অভিভূত- যারা পড়তে চান তাদের উদ্যেশ্যে শেষ উদাহরণ,
নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস -“এক স্বপ্নচারী মানুষের স্বপ্নের মুখোশ” ( লেখার তারিখ ফেব্রুয়ারি ,২০০৭) মুক্তমনা থেকেই এখানে লিঙ্ক দিলামঃ
http://www.mukto-mona.com/Articles/bhajan_sarker/Dr.Yunus.pdf
@ভজন সরকার,
আগেও পড়েছিলাম। আজকেও আবার পড়লাম। আপনি ২০০৭ সালে যা বুঝেছিলেন তা আজও অনেকে বুঝতে চাচ্ছে তো না-ই, উপরন্তু !!!!!!
@গীতা দাস,
সন্তু লারমার কথা উঠত না যদি তা পত্রিকায় না বলতো। এটর্নী জেনারেল নিজেই বলেছেন। আমি কেবল সেই উদ্ধৃতি দিয়েছি মাত্র। তিনি কেন সন্তু লারমার কথা বলেছেন তা তাকে জিজ্ঞেস করা দরকার। আমাকে একলা দোষারোপ করলে হবে না। আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে যে শুধু শুধু সন্তু লারমার কথা বলতে যাবো?
ডঃ ইউনুস ইস্যু থেকে কার কি লাভ হলো তার একটা ভিজুয়াল সমীকরন দেখানো হলো 😛 (কার্টুনিস্ট হতে চলেছি :)) )
[img]http://techysafi.files.wordpress.com/2011/03/hillaryleak-cartoon.jpg[/img]
:lotpot:
@টেকি সওদাগর,
খুব মজা পেলাম!
অনেক ধন্যবাদ!
যে দেশের লোক জাতির জনক শেখ মুজিবকে পরিবার সহ হত্যা করতে পারে সে জাতি যে নোবেল বিজয়ী আধ্যাপক ইউনুস`কে চরিত্র হত্যা করবে তাতে আশ্চর্য্য হবার কিছু নাই।
আমি বিদেশে থেকে জেনেছি যে বাংলদেশের কিছু গর্বের থাকলে তা ডঃ ইউনুস`ই হবেন। অনেক বিদেশী বাংলাদেশের নামই জানেনা–কিন্তু তাদের মুখে গ্রা্মী্ন এবং মাইক্রোক্রেডিট শব্দগুলো শুনেছি। এসব কি ডঃ ইউনুসের অবদান নয়?
আমার মনে হয় আমরা ভীষণভাবে পরশ্রীকাতর। কেঊ উচ্চে উঠলে তাকে নীচে না নামান পর্য্যন্ত শান্তি পাই না।
@আবুল কাশেম,
না এই দেশে কারো কোনো অবদান থাকতে পারেনা। এতো রক্ত দিয়েছিল এই দেশের জনগন সেই সময় ৭১ যুদ্ধে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ কী অবর্ননীয় কষ্টে ছিল। তা থাকলে কি হবে। পাকা ফল পেলে এমনই হবে। যারা দেখে রাতা রাতি দেশ স্বাধীণ হয়ে গিয়েছে। গদিতে বসে তারা ভাবেন -সবই আমার -সবই আমার- এই খাই খাই – ব্যপারটা এখন বাংলাদেশের এক পুচকে বাচ্চা ছেলেও জানে।
@আবুল কাশেম,
“আমার মনে হয় আমরা ভীষণভাবে পরশ্রীকাতর। কেঊ উচ্চে উঠলে তাকে নীচে না নামান পর্য্যন্ত শান্তি পাই না।”
খুব সুন্দর বলেছেন ভাইয়া। (Y)
এখানে ডঃ ইউনুস সম্পর্কে বদরুদ্দীন উমরের লেখা লিংকটি পড়ার অনুরোধ করছি যা কল্যাণ আমাকে একটু আগে পাঠাল।
http://jugantor.us/enews/issue/2011/03/06/news0607.php
@গীতা দাস, ডঃ ইউনুস সম্পর্কে বদরুদ্দীন উমরের লেখা লিংকটি
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এই বিতর্কের বাইরের একটি প্রশ্ন যদি কেউ জবাব দিতে পারেন। নেহায়েতই কৌতূহল।
ক্লিন্টনের মত লোকের বন্ধুত্ব পাওয়া নিশ্চয়ই সহজ ব্যাপার না। এই প্রতিযোগিতায় নিশ্চয়ই বহু রথি মহারথিই ছিল। তৃতীয় বিশ্বের এই এক অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারকে ক্লিন্টন সাহেব এমন জিগরী দোস্ত বানাতে গেলেন কিসের ভিত্তিতে? এমনই বন্ধু যাকে নোবেল পর্যন্ত পাইয়ে দিলেন?
@আদিল মাহমুদ,
হিংসা মানুষকে অমানুষ বানিয়ে দেয়। গায়ে ছাল চামড়া থাকলেই সে মানুষ হয় না।তাই না @ আদিল মাহমুদ?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কি শূণ্যগর্ভ একটা অনুচ্ছেদ।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
সেই সময় সামরিক সরকার চালু ছিল।তাই কেনো কিসের ভিত্তিতে এই সব
কথা উঠেছিল তা পর্যবেক্ষনের দরকার আছে। আন্দাজে ঢালাও ভাবে কেউ বলে দিলেই হবে না। তা যিনিই বলুন না কেন।
মানী লোকের সম্মান নাকি আল্লায় রাখে। দেখা যাক উনার ক্ষেত্রে কী হয়? তবে আর যাই হোক, একজন বয়স্ক সম্মানী ব্যক্তিকে এমন অপমান করাটা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করতে পারছি না (বাকি সব আলোচনা একপাশে রেখে)।
@নিটোল,
এই সহজ সরল কথাটা আপনি কত সহজে বুঝতে পারলেন, কিন্তু জটিল মনের মানুষদের কে বোঝানো বড় কঠিন।
(মুক্তমনার কাউকে বলিনি। ভুল বুঝবেন না)
এখানে পক্ষে বিপক্ষে কথা হচ্ছে। আর কিছু না।
‘নোবেল’ পুরস্কারটার ভার এমনই যে- আমরা সবাই ১ম নোবেল জয়কে (স্বাধীন বাংলায়) অন্য উচ্চতায় নিতে চেয়েছি, খুশিতে-গর্বে আত্মহারা হয়েছি ….। ফলে- প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশের শান্তিতে কি অবদান রেখেছেন- তার ক্ষুদ্র ঋণ- গ্রামীণ ব্যাংক আসলে কি করেছে- করছে, কেন ও কোন অবদানে তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন- এগুলো আমরা ভাবতে চাইনি। মোদ্দা কথা আমরা গর্বিত হতে চেয়েছি- দুনিয়ায় আমাদের কিছু কদর হোক সেটা চেয়েছি – ব্যাস। ফলে, নোবেল পাওয়ায় আমরা খুশী। ‘নোবেল’ পুরস্কারটাই যে এখন অনেক বিতর্কিত- বিশেষ করে ‘শান্তিতে নোবেল’ যে পুরাটাই হাস্যকর ব্যাপার-স্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে- এটা ওবামা-এবাদি-পেরেস-রবিন এমন বিভিন্ন জনের বেলায় অনেকবারই আমরা ভ্রু কুচকালেও ইউনুসের বেলায় আমরা ওসব মাথায় আনতে চাইনি। কেননা- বাংলাদেশে প্রথম নোবেল বলে কথা। এই হচ্ছে- আসল সমস্যা আমাদের। আর এই জায়গা থেকেই- আজকে যখন আমাদের সবেধন নীলমনি নোবেলবিজয়ী ইউনুস সাহেবকে তার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করা হলো- সবার মাথায় বাজ এসে পড়েছে! গুনীর (!) সম্মান নিয়ে আমরা ভয়াবহ চিন্তিত!! আমাদের, আমাদের দেশের ভাবমুর্তি নিয়ে খুব ব্যস্ত! আজব! আজব সব যুক্তি! বহির্বিশ্বে ইউনুস আমাদের দেশের নামডাক উজ্জ্বল করেছেন- সে জন্য তার সাত খুন মাফ? বিগত ১০ বছরে একটা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হলো কেন এ প্রশ্ন সঙ্গত হতে পারে, হাসিনা/হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্য নিয়েও কথা উঠতে পারে- কিন্তু পূর্বে পদক্ষেপ না নিলে এখন নেয়া যাবে না- এটা কেমন যুক্তি? “এই দশকে পৃথিবীতে বাংলাদেশ পরিচিত হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস’কে দিয়ে”- আর সে কারণেই তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকাটা ফরয কাম! এই পোস্টে যেমন আমরা হয়ে গেলাম ‘অকৃতজ্ঞ’- তেমনি ফেসবুকে “শেম অন আস” স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি !!!!
আর, এত কিছুর মাঝখান দিয়ে ক্ষুদ্রঋণের মরণ ফাঁদ, গরিবী নিয়ে ব্যবসা, ইউনুসের দুর্নীতি এগুলো কি সুন্দর আড়ালে পড়ে গেল !!!!
এই কারণে, যারা সরকারকে বাহবা দিচ্ছেন (উমর সহ)- ইউনুসের পতনের কথা ভেবে খুশীতে মিষ্টি বিতরণের কথা বলছেন- তাদেরো বলি- ইউনুসকে সরানো মানে- গ্রামীণ ব্যাংক-ক্ষুদ্রঋণের সরা নয়, বয়সের কথা বলে ইউনুসকে সরানো মানে- ইউনুস নামক প্রতিষ্ঠানকে কেশাগ্রও ছোয়া নয় – বরং তাকে আরো ভালোভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে হাজির করা। দেশের সমস্ত মিডিয়া- সমস্ত বুদ্ধি(!)জীবিরা লেখছেন- হোমড়া চোমড়ারা আওয়াজ তুলছেন- সাম্রাজ্যবাদী মোড়লরা এগিয়ে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন …
(হাসিনা সরকার আসলেই যদি ইউনুসকে ঘাটতে চাইতো- তবে দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতো- বা দুদককে ইনভল্ভ করতে পারতো, ক্ষুদ্রঋণ-মাহাজনি ব্যবসাকে ধরতে পারতো- কিন্তু সেটা আওয়ামিলীগ-বিএনপি যে করবে না- সেটা সকলেই বুঝে।)
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আপনার মতের সাথে সহমত পোষন করছি :guru: :clap
ভাল থাকবেন
বাহ দারুণ কথা বলেছেন। এতো জানতাম না। আসলে আমার মত মূর্খ কেন অনেক জ্ঞানী গুনীজনেরাই জানতেন না এই সব কথা। নোবেল পুরষ্কার যে হাস্যকর তা জেনে আরো হাসি আসছে :lotpot:
যাগগে !
বাংলাদেশ আসলে দুই দলে বিভক্তিকরণ যতোদিন যাবে না। ততদিন এই দেশে কোনো উন্নতি তো দুরের কথা চোর বাটপারের দেশ বলে এবং দূর্নীতিতে ১ ক্লাস পাবে সব সময়।
আপনারা যারা ডঃ ইউনূস’কে ঘৃনা করেন তাঁর কূকীর্তির (?) জন্য তাদের জন্য বিরাট সু-খবর আছ-
।
এইমাত্র টিভিতে জানতে পারলাম
ডঃ ইউনূসের রিট আবেদন হাসিনা সরকার খারিজ করে দিয়েছে। এইবার নিশ্চয় আনন্দিত হওয়া উচিত। কী বলেন? ? (N)
এইটা জানা কথা। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকারের অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে টু শব্দ করার উপায় কারো নেই।
আমরা তো ভেড়ার দল, যে দল ক্ষমতায় আসে তার পেছনে দৌড়াই।
@আফরোজা আলম,
ডঃ ইউনূসের রিট আবেদন হাসিনা সরকার খারিজ করে দিয়েছে।
এ কথার মানে কি? হাইকোট কি হাসিনা সরকার চালায় ? যদি তাই হয় তা হলে ডঃ ইউনূসের তো বড় ভুল হাইকোটে আবেদন করা । আপনি তো দেখছি রাজনিতিবিদের মত কথা বলেন যেমনঃ আজকে যদি ডঃ ইউনূসের পক্ষে রায় যেত তবে আপনারাই বলতেন “সত্যের জয় হইছে” ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু হেরে জাবার ফলে বলছেন “ডঃ ইউনূসের রিট আবেদন হাসিনা সরকার খারিজ করে দিয়েছে।” “এইটা জানা কথা। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকারের অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে টু শব্দ করার উপায় কারো নেই।”
এটা কেমন যুক্তি?
ভাল থাকবেন
@আফরোজা আলম,
===>>>>হাসি আসলে হাসুন- কিন্তু তার আগে একটু ভাবুন- তারপরে ভেবে বলুন- শান্তিতে ইউনুসের কি অবদান? শান্তিতে ওবামা’র কি অবদান? শান্তিতে কিসিঞ্জারের কি অবদান? রবিন-পেরেস এর? আপনি শান্তিতে নোবেলের তালিকা দেখে আমাকে জানান- এর মধ্যে কয়টা যৌক্তিক ও সঠিক কারণে দেয়া আর, কয়টা রাজনৈতিক!
(আর, আমি কিন্তু ‘শান্তিতে নোবেল’ কে হাস্যকর বলেছি- ‘নোবেল’কে নয়। মোটের উপর নোবেল পুরস্কারকে বলছি বিতর্কিত- কারণ শান্তিতে নোবেলের হাস্যকর মনোনায়নের সাথে সাথে সাহিত্য-অর্থনীতিতেও এক ধরণেরে প্যাটার্ণ পাওয়া যায়!- আশা করবো, আলোচনায়/ তর্কে অপরকে ভুলভাবে কোট করবেন না।)
আমার কাছে এটাকে উন্নতির অন্তরায় মনে হয় না, বরং- নানা মত-পথ থাকাটাই স্বাভাবিক ও ভালো মনে করি। ভিন্নমতে হতাশ কেন, বরং এটা কি নিজের ভুলকে সঠিক করার বা নিজের জানাকে আরো ভালো করে জানার সুযোগ করে দেয় না?
এটা খুবই খাঁটি কথা। তবে- আপনার আর আমার টু শব্দ নিশ্চয়ই ভিন্ন। আপনি চান- সরকার ইউনুসরে মাথায় তুলে রাখুক- আর আমি চাই- ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কেবল অপসারণই নয়- পুরো গ্রামীণ ব্যাংককে করায়ত্ত করে- নাম পরিবর্তন করে কৃষি ব্যাংকে রূপান্তর করা হোক এবং এর মাধ্যমে সহজ শর্তে-নামমাত্র সুদে কৃষকদের ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ঋণ দেয়া হোক।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
:lotpot: :hahahee: :lotpot:
খুব ভাল বলেছেন :lotpot: কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন? সরকারি মালিকানাধীন হয়ে গেলে কয়দিন পর সোদি,কুয়েতের শেখদের হারিকেন জ্বালিয়ে খুজতে হবে। কেন? সোনালী,রুপালী,জনতা এই ব্যাংকগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কাস্টমার সার্ভিসতো গোল্লায় গেছে গেছেই, এখন সরকার এগুলিকে অনেক কষ্টেও বেসরকারী করতে পারছে না। নামের শেষে খালি একটা “লিমিটেড” শব্দ যোগ করতে পেরেছে। :clap
তারপর, কৃষি ব্যাংকতো আছেই :-O ২০ কোটি মূলধন নিয়ে বসে আছে। আমার দাদা,নানারা সবাই কৃষক বলতে পারেন, কই আমরা অফিসটাও চোখে দেখেনি, পরে বড় হয়ে দেখি অফিস একটা আছে কিন্তু ৪৫ মাইল দূরে, শহরে।
তাই আপনার মন্তব্য পড়ে মজা লাগলো। জানি বেয়াদবি হচ্ছে, তাই দুঃখিত। কিন্তু বাস্তব সত্যগুলো খুব কাছে থেকে যেমনটা দেখছি তাই বললাম আরকি।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আলোচনায়/ তর্কে অপরকে ভুলভাবে কোট করবেন না।)
এখন আমরা সবাই আলোচনা করছি। কোট করাকে ভিন্ন খাতে দেখবেন না প্লিজ। মুক্তমনায় একটা হেডিং প্রায় দেখি তর্ক আনে যুক্তি, যুক্তি দেয় সচেতনতা( ভুল বা এলো মেলো হতে পারে, ক্ষমা করবেন প্রিয় এডমিন)
আমার এই বাক্য খুব পছন্দের। আমরা আলোচনা করতেই পারি, তার মানে কেউ কারো ওপরে বিরাগ ভাজন হব তা নিশ্চয় কাম্য নয়। আমি কি বোঝাতে পারলাম? আশা করি ভুল বুঝবেন না।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
গ্রামীণ ব্যাংককে করায়ত্ত করবার প্রয়োজনটা হচ্ছে কেন? বাংলাদেশে সরকারী ব্যাংক তো আছে অনেকগুলি, যেমন কৃষি ব্যাংক। সেগুলির উন্নতি ঘটিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রাসঙ্গিকতা কমিয়ে ফেললেই হয়। গ্রামীন ব্যাংক তো মনোপলি নয়, সেখানে লোকে যাচ্ছে নিশ্চয়ই অন্য ব্যাংকগুলির চেয়ে সেগুলি ভাল বলে।
@রৌরব,
খুব ভাল বলেছেন। (Y)
আর সেটা যদি পারা না যায়, তাহলে একটা নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের মাধ্যমে গ্রামীণের ত্রুটিবিচ্যুতি সনাক্ত করে, কার্যকারিতার মূল্যায়ন করে, ব্যাংকটাকে জনস্বার্থে সংস্কার করার ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমি প্রত্যন্ত গ্রামে বড় হয়েছি। আমাদের বাড়ি প্রথম বিদ্যুতের লাইন আসে আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি। আমাদের পাশের বাড়িতে থাকতেন এক মহাজন। তিনি বিপদে পড়া মানুষকে লোন দিতেন ১০% মাসিক সুদে!!! মানে ১০০ টাকায় ১২০ টাকা বছরে। এটা বেশীদিন আগের কথা না। বড়জোর ১৫ বছর হবে।
এখন চিত্রটা ভিন্ন। আমাদের গ্রামে ২০০২ শাল থেকে গ্রামীন ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন সেই মহাজনের ব্যবসা খারাপ। কারণ গ্রামীন ব্যাংক মহাজনের চেয়ে ভাল বিকল্প। ক্ষুদ্রঋণের ধারণা আপেক্ষাকৃত নতুন। এর প্রায়োগিক বিভিন্ন বিষয়ে ত্রুটি থাকতে পারে। তাই বলে যখনই ক্ষুদ্রঋণের কথা আসে তখুনি মরণ ফাদ, রক্তচোষা, আত্মহত্যা, টিনের চাল খোলা ইত্যাদি নিয়ে আসবেন না দয়াকরে।
গ্রামীন ব্যাঙ্কের কার্যক্রম এবং গ্রহীতা দের অভিজ্ঞতা জানার জন্যে আমাকে কোন পত্রিকা, ব্লগ বা ফেসবুকের স্ট্যটাসের উপর নির্ভর করতে হয়নি। নিজের বাড়ীর উঠন থেকে ১০ হাতদুরে থাকা কার্যালয় এবং কাছের মানুষের অভিজ্ঞতা থেকেই আমার মুল্যায়ন।
আমার গ্রামে একটা ছেলে ছিল। বস্তিতে থাকতো। বাবা দিনমজুরের কাজ করত। তার এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের টাকা গ্রমীন ব্যাংক শিক্ষা লোন কার্যক্রম থেকে নেয়া। প্রংসগত সেই ছেলে এখন বুয়েটে পড়ে।
আমি এও দেখেছি মেয়ের বিয়ের জন্যে টাকা নিয়ে নিজে দ্বিত্বীয় বিয়ে করে বড়ি এসেছে। এই রকম লোকের টিনের চালা খুলে নিলে আমার অন্ততঃ কোন আপত্তি নেই।
যেদিন আপনি গ্রামীন ব্যাংকের চেয়ে ভাল কোন বিকল্প দিবেন সেদিন আপনা থেকেই বন্ধহয়ে যাবে সেই মহাজনী ব্যাবসার মতো।
@নিদ্রালু,
গ্রামীন ব্যাংককে পুরোপুরি ফেরেশতা বানানো ঠিক হবে না। কাগজে কলমে অনেক নীতিই দেখতে ভাল লাগে,যেমনটা ভাল লাগে সমাজতন্ত্রের কথা শুনতে।(কেও আবার এখন সমাজতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক শুরু করবেন না, অফ-টপিক হয়ে যাবে।) কিন্তু বাস্তবের সাথে মিলাতে গেলে চিত্র হয়ে যায় পুরোপুরি উলটো। (হিতে বিপরীত?)
তাহলে তার পরেও সেই নীতিগুলোকে কাজে লাগাতে যাওয়ার আমি আমি দাম দেইনা।
(Y)
একটু বলি, @নিদ্রালু যে লোক এমন করবে (বরং বলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই হয়েছে) ওকে আপনি ঋণ দিলেনইবা কোন যুক্তিতে? ওইযে হিতে বিপরীত!
তাহলে আমি (Y) দিলাম কেন তাইতো? সোজা উত্তর হিত করার চেষ্টাতো করা হয়েছিল! বিপরীত হয়েছে বাঙ্গালী বলে 🙁
@নিদ্রালু,
ব্যাখ্যা করতে যাবোনা, কথা বলা কমিয়ে দেয়ার চেষ্টায় আছি। মোঃ হারুন উজ জামান ও নিদ্রালু বিষয়টার গভীরে ঢুকতে পেরেছেন। তাদের কথা ও মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
@নিদ্রালু,
ঠিক (Y)
এমন হাজার হাজার উদাহরণ আছে।
একদম অতি কাছের উদাহরণ। এর চাইতে আর কি বলার আছে।
@নাস্তিকের ধর্মকথা, (Y) (Y) (Y) .
সম্ভবত, এরপর গ্রামীণের আরো নানান কীর্তিকাহিনি আসবে গণমাধ্যমে। সরকারের হাতে লাগাম নেওয়াটা যৌক্তিক করতে হবে তো! কিন্তু, ইউনূসের কী হবে! কে নেবে তাঁকে?
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
বিলকুল ঠিক বলেছেন, নিজ দেশের দারিদ্র বিমোচন করার কারনে তাঁর
ফাসি দেওয়া হোক। অথবা ১০০০ দোররা মারা হোক :clap
@আফরোজা আলম,
দারিদ্র বিমোচন!!!!
প্রফেসর ইউনুস নিজ দেশের দারিদ্র বিমোচন করেছেন/করছেন?
আপনি কি জানেন- কিস্তি দিতে না পেরে অপমানে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে? টিনের চাল খুলে নিয়ে যাওয়া, এমনকি ছাগল-মুরগীও নিয়ে যাওয়া, কোমরে দড়ি বাধা, লোকসমাজে অপমান করা- এগুলো গ্রামীণ ব্যাংক/ ব্র্যাক কর্মীদের প্রাত্যহিক কাজ- সেটা সম্ভবত আপনার জানা নাই।
যাহোক- ফেসবুকের একজনের নীচের স্ট্যাটাসটা এখানে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, হিলারি নেবে তাঁকে । যেহেতু ফোন করে নাকি আশ্বাস দিয়েছেন । মিডিয়া তো তাই বলছে কিছুদিন যাবৎ ।
একজন কে করা হলো বাড়িছাড়া, এখন একজন ব্যাংক ছাড়া, ভাবছি পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে? তবে এটা ঠিক দখল, পাল্টা-দখল, বহিঃস্কার, অবাঞ্ছিত ঘোষনা, ফতোয়া এগুলো আমাদের কাছে পানিভাত। একেবারে ছোট পর্যায় থেকে শুরু করে জাতিয় পর্যায় পর্যন্ত এগুলো প্রতিনিয়ত ঘটছে। রাজনীতির ক্ষমতা তার প্রবল থাবা সর্বস্ত বিস্তার করে চলছে।
@Atiqur Rahman Sumon,
(Y) ঠিক বলেছেন, এরপরবর্তি পদক্ষেপ কি কী হতে পারেতা- একজন শিশুও বলতে পারে।
আমি আসলে কিছুই বুঝি নাই। গ্রামীণ ব্যাংক কি একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান? সেখানকার পরিচালককে সরকার কিভাবে ফায়ার করে?
@রৌরব,
সরকারের শেয়ারও আছে বটে। আর এটার পরিচালনা পর্ষদেও সরকারি লোক থাকেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে যিনি বসবেন, তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত হওয়ার বাধ্যবাধকতাও আছে।
@রৌরব,
আপনি জানেন না দেখছি, কিছুটা সংগ্রহ করে জানাই আপনাকে,
শুনুন তবে,
এইবার বোঝান গেলো?
@আফরোজা আলম,
মনে হয় বুঝলাম।
এই ক্ষমতাই বা বাংলাদেশ ব্যাংক কেন পেল? সরকারি শেয়ার আছে বলে (ব্লাডি সিভিলিয়ান যা বললেন)? নাকি সব ব্যাংকের ক্ষেত্রেই সরকারের এই ক্ষমতা রয়েছে।
@রৌরব, ব্যস্ততার কারনে অনেকদিন মুক্তমনায় আসা হয় নি। একটু সময় পেয়ে আপনার হায়েক সিরিজটি পড়ে ফেললাম। ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। লেখাটিকে আরকটু পালিশ (একটু ডাম্বিং ডাউন!!) করে দেশের ভালো কোনো ডেড ট্রি প্রকাশনায় পাঠানোর চিন্তা করলে কেমন হয়? রাজনীতি আর আদর্শের এতো উলটপালটের পরে, বাংলাদেশে অনেকেই মনে হয় ঠিক বুঝেনা যে তারা আসলে কি বিশ্বাস করে। হায়েকের এই স্বাশত লেখাটি অনেকের চিন্তার খোরাক হতে পারে।
আপনাকে এখানে পাকড়াও করার চেষ্টার আরেকটা কারন আছে। গত কয়েকমাস ধরে গ্রামীন ব্যাংক এবং মাইক্রোক্রডিট নিয়ে বিতর্কে আবারো দেখলাম যে বাংগালী কুয়ার সমাজতন্ত্রী আর ধর্মীয় মৌলবাদীদের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতা আর ব্যাক্তিগত জবাবদিহীতার ক্ষেত্রে আসলেই কতো মিল। একদল মনে করে সরকারী নিয়ন্ত্রনে স্বল্পসুদে সাবসিডাইজড ধার দেয়াতেই দারিদ্রমুক্তি। আরেকদল তো মনে করে সুদ খাওয়া হারাম আর জাকাত-সদকাতেই দরিদ্রের উন্নতি। ইউনুসের কাছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বার বার প্রস্তাব এসেছিলো যে সুদের নাম পরিবর্তন করে আর একটু ইন্টারেস্ট কমিয়ে দিলেই জাকাতের বিপুল ভান্ডার মুক্ত হয়ে যাবে।
গ্রামীন ব্যাংকের মূল দর্শন নিয়ে আলোচনা করার মতো সু্যোগ এখানে নেই। তবে শুধু দুটি কথা। ইউনুস মনে করেন দারিদ্রমুক্তির প্রথম ধাপ নি:স্বদের বাজার অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত করা এবং দ্বিতীয়ত মালিকানা এবং জবাবদিহীতার মাধ্যমে সম্পদের প্রোডাকটিভ ব্যবহার নিশ্চিত করা। গত ৫০ বছরে দুনিয়াজুড়ে সুদবিহীন সাহায্য আর হাজার বছর ধরে দান খয়রাতে দরিদ্রতা হ্রাস হয়েছে নাকি চিরস্থয়ী পেশাজীবী সাহা্য্য-সম্প্রদায় গড়ে উঠেছে তা ভেবে দেখার মতো। অনেকের ‘ব্যাক্তিগত’ অভিজ্ঞতাই বলছে গ্রামীন পুরো ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থ ‘রক্তহীনের রক্তচোষার’ সিস্টেমটি যে কেনো সারা দুনিয়ায় ছড়ানোর চেষ্টা চলছে তা এক রহস্য বটে।
হাসিনা যতো মহৎ উদ্দেশ্যেই ইউনুসকে সরাক না কেনো, কতো কয়েক দিনে বিশ্বের প্রতিটি নামীদামী মাধ্যমে আসছে কেবল জেলাসী, প্রতিহিংসা এবং তার ভুলে যাওয়া বাপের নামের কথা। অবশ্য হাসিনাও বাপের বেটির মতো দেখিয়ে দিচ্ছে যে সে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির লেজুড়বৃত্তি করে না।
@সফিক,
আপনে সিলেন কই!
ডেড ট্রি প্রকাশনা কথাটা বুঝলাম না! আর এমনিতে প্রকাশের ব্যাপারে…একটু ছোট হয়ে যাচ্ছে না? ভাবছি আর কয়েকটা লেখা অনুবাদ করে একটা কালেকশন মত করা যায় কিনা। পেইনের একটা ছোট লেখা আগে অনুবাদ করেছি।
সে আর বলতে! তবে আমাকে আর “পাকড়াও” করে কি হবে? গ্রামীণের ব্যাপারে বাস্তব জ্ঞানটা আমার বড়ই কম। তবে ইউনুস সম্বন্ধে আলোচনাটা যেন “লোকটা দেবতা” এবং “লোকটা দুপেয়ো মানুষরূপী রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার” এই দুই ডাইকোটোমির মধ্যে দুলতে থাকে বাদুড় সুলভ (এই থ্রেডে অবশ্যি অনেক সুচিন্তিত মত দেখতে পাচ্ছি, আদিল মাহমুদের মন্তব্যগুলি যার উদাহরণ)।
(Y)
সেই উদ্দেশ্যটা কি? আমি অন্ধকারে এবিষয়টা এমুহূর্তে।
@রৌরব,
একমাত্র বাঙালিরাই এব্যাপারে অদ্বীতিয়!
আপনার এই মন্তব্যটা দেয়ালে বাধিঁয়ে রাখব ভাবছি!:-)
“এই সরকার বিশ্বাস করুক আর না-ই করুক, এই দশকে পৃথিবীতে বাংলাদেশ পরিচিত হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস’কে দিয়ে”।
জাফর ইকবালকে খুবই শ্রদ্ধা করি। তবে প্রথম আলোয় লেখা তাঁর সাম্প্রতিক সেই আবেগসর্বস্ব ফাঁপা কথার নিবন্ধ খুবই হতাশ করেছে। ওপরের কথার সত্যতা একেবারেই নেই।
অনেক বছর ধরে বিদেশে আছি। অনেক দেশভ্রমণও করেছি। বাংলাদেশকে বিদেশীরা চেনে মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে। বিরাট একটা অংশ বাংলাদেশের নাম জানে জর্জ হ্যারিসনের কনসার্টের সুবাদে। তারপর আসে বঙ্গবন্ধুর নাম। ডক্টর ইউনূসের নাম দিয়ে মানুষ বাংলাদেশকে চেনে, কথাটা একেবারেই সত্যি নয়। বলছি না যে, তাঁকে কেউ চেনে না বিদেশে। তবে তাঁর অপমান (এখনও প্রমাণিত নয়) মানেই বাংলাদেশের অপমান, এ কথা অতিরঞ্জনের পরাকাষ্ঠা। প্রতি বছর গুচ্ছের লোক নোবেল পায়। অনেক দেশের লোকজন তাদের নিজেদের দেশের নোবেল পাওয়া মানুষদের নামও জানে না। বাংলাদেশের জন্য নোবেল পাওয়া বিরাট ব্যাপার বলেই সেটার মাহাত্য অতিরঞ্জন করা হয়েছে ও হচ্ছে।
@রা নাহি দেয় রাধা,
তাই নাকি? এতো বিজ্ঞ জ্ঞ্যানী লোকেরা তবে মূর্খের রাজত্ত্বে বসবাস করে।
আপনার কাছেই তবে সঠিক তথ্য তালাশ আছে জেনে খুব আনন্দিত হলাম। 🙂
@রা নাহি দেয় রাধা, (Y)
সত্যি বড় দুঃখ হয়!
রাজনীতিবিদরা যে কত নীচ হয় এ ঘটনা দিয়ে বোঝা যায়।
বর্হিবিশ্বে এখন আমরা ডঃ ইউনুসের বদলে পরিচিতি পাব
প্রতিহিংসার দেশ হিসেবে!
এ গৌরব কোথায় রাখি!
ব্যাপারটা অন্য ভাবেও হ্যান্ডেল করা যেত!
সেলুকস, বিচিত্র এই দেশ!
ডঃ জাফর ইকবালকে সেলুট!
@লাইজু নাহার,
আপনার কথার সাথে আমি একমত।
সরকারের হাবেভাবে মনে হয় যে আমাদের দেশে বয়স জাতীয় ফর্মালিটির নীতিমালা খুব কঠোর ও সততার সাথেই সবাই মেনে থাকেন, ব্যাতিক্রম হলেন কেবল এই এক ইউনুস। হাসিও পায়। আমার নিজের সার্টিফিকেটের জন্মসালও প্রথা অনুযায়ী দুবছর কমানো আছে। এসব নিয়ে বিদেশে মাঝে মাঝে মজার কান্ডও হয়। সিংগাপুরে একবার এক অফিসে দেখা গেছে সব বাংগলাদেশী কর্মীয় জন্মদিন পহেলা জানুয়ারী।
যাইহোক, আইনে না থাকলে তা মেনে নিতেই হবে। তাই বলে এভাবে? অন্যভাবে বা সমঝোতার মাধ্যমে ব্যাবস্থা করানো যেত না? যে কেউই বুঝবে যে এটা যত না আইন মানার তাড়না তার থেকে বেশী ব্যাক্তি প্রতিহিংসা।
ইউনুস সাহেব নোবেল পাওয়ার পর শোনা যেতে লাগল তিনি কত জঘন্য লোক, তার লোভ লালসা শাইলকের মতই। হতেও পারে। তার ব্যাংকের সুদের হার, ঋন প্রদানে ব্যার্থ হলে বাড়ির চালা খুলে নেওয়া, হালের বলদ কেড়ে নেওয়া এসব শুনে তেমন ধারনা হওয়া বিচিত্র নয়। তবে তিনি ছাড়া এই শ্রেনীতে আর কেউ নেই? তার চাইতে বড় বড় আরো কত শাইলক ঘুরে বেড়াচ্ছে না? তারা কয়জনে কয়টা নোবেল পুরষ্কার আনতে পেরেছে?
@আদিল মাহমুদ,
নোবেল পুরস্কার পেলেই কি সব জায়েজ হয়ে যায় নাকি? আপনার কাছ থেকে অন্তত এই যুক্তিটি আশা করি নি। আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন তিনি অর্থনীতিতে নোবেল না পেয়ে শান্তিতে পেলেন?
শান্তিতে কিসিঞ্জার আর ভিয়েতনামের লু ডক থো একসাথে নোবেল পান এবং দ্বিতীয়জন তা বর্জন করেন। আপনি কি পুরস্কারটার পক্ষে থাকবেন না বর্জনের পক্ষে?
ইথজাক রবিন আর শিমন পেরেজের শান্তিতে নোবেল নিয়েও আপ্লুত হন নাকি?
সম্প্রতি চিনের শান্তিতে তোলপাড় করে নোবেল-পাওয়া জিয়াওবাও কোথায় যেন বললেন, “আমেরিকার ইরাক যুদ্ধ, আফগানিস্তান হামলা-সব ঠিক আছে।” শান্তিতে নোবেল পাওয়ার কারণে তার এই মত মেনে নিন তাহলে।
ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার ব্যাপারটায় আপনার সাথে একমত। তবে, কেউ মহামানব বা আদর্শ মানব নন তো!
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
:-s
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
– নাহ, অবশ্যই যায় না। তাকে কি আমি আদর্শ মহামানব দাবী করেছি? আমি নিজেই আগে বলেছি যে তার নামে সূদের অমানবিক কারবার সত্য বলেই মনে হয়েছে। সে কথা তো ভিন্ন।
আমাদের দেশের গোটা আর্থ সামাজিক পরিবেশটাই এমন যে মিঃ ক্লীন বলে কেউ নেই, প্র্যাক্টিকেলি থাকা অসম্ভবের কাছাকাছি। খোজ করলে কিছু না কিছু বিচ্যূতি ত্রুটি সব কিছুর মাঝেই পাওয়া যাবে। এ দেশের অন্যতম বৃহত্তম জনপ্রিয় দলের নেত্রী ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করেন, আমরা সেই দেশেরই নাগরিক। এখানে আইন করা হয়েছি এমন কিছু চিহ্নিত লোকের লূটপাটের টাকার বৈধতা দিতে। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধের প্রসংশা করতেই হয়, কি বলেন? এমন ন্যায়পরায়ন দেশের নাগরিক আমরা সেই দেশে কিভাবে বয়স সংক্রান্ত অনিয়ম সহ্য করা যায়? এমন দেশে শুধু মাত্র বয়স সংক্রান্ত কি এক কাগুজে আইনের কারনে এই ভদ্রলোককে হেনস্থা করা খুব স্বাভাবিক বা স্বাগত জানানো যায় না। আইন কানুন মানুষের প্রয়োযনেই বানানো হয়। যে আইন প্রয়োগে কল্যানের থেকে বেশী অকল্যানই হয় সে আইনের প্রয়োগের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। গত জোট সরকারের আমলে কি কি সব আইনগত জটিলতার কারনে (আগেই বলেছি যে আমাদের দেশে খোজ করলে সব কিছুর মাঝেই অনিয়ম বের করা এমন কোন ব্যাপার নয়) একুশে টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেটা আইনগতভাবে ঠিকই ছিল, কিন্তু জনমানুষ ভালভাবে নেয়নি একই কারনে। কারন সেখানে আইনগত কূটকচালীর কারনে ভাল থেকে খারাপই হয়েছিল বেশী।
ওনার ক্ষেত্রে আমার কাছে যেটা আজব লাগে তা হচ্ছে যে উনি নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর পরই দেখা গেল হঠাত করেই উনি একজন মূর্তিমান ভিলেনে পরিনত হয়েছেন। এই মানসিকতার কারন কি? নোবেল প্রাইজ না পেলে মনে হয় না এভাবে তার বিরুদ্ধে প্রচারনা হত। এতে অবশ্যই আমার আপত্তি আছে।
আপনার ধারনা যে আইনী প্যাঁচে ইউনুস সাহেবকে ধরা হয়েছে তেমন ভাবে খোঁজ করলে দেশের আর আর কেউ বিপাকে পড়বে না? আমি ডিটেলস জানি না, তবে নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে বহুভাবেই বহুজনকে ফাঁসানো যায়। আর মূল আপত্তি সেখানেই, এটা ষ্পষ্টভাবেই আইন রক্ষার মহান প্রচেষ্টা থেকে ব্যাক্তিগত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশই বেশী। হাবে ভাবে মনে হয় যে আমাদের দেশে আইনের ন্যায় শাসনের একেবারে ফল্গুধারা বইছে, কেবল এই ইউনিস সাহেবই এই শ্বেত ফল্গুধারায় কালিমা লেপন করে দিয়েছেন। এই ভাবটার মাঝেই একটা বড় ধরনের ভন্ডামি আছে যা খুবই দৃষ্টিকটূ মনে হয়।
আইন ভংগ করার পরামর্শ আমি কেন দেব? আইন রক্ষাই মূল ইস্যু হলে অন্যভাবেও এটা সামাল দেওয়া যেত। হয়ত কোর্ট কাচারি বা এত মিডিয়া প্রচারের দরকার হত না। কোনভাবে সমঝোতার চেষ্টা করা যেত। দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েটকে এক কাগুজে আইনী প্যাচে আদালতে দৌড়াদৌড়ি থেকে মুক্তির ঔদার্য দেখানো যেত। এইটুকু ছাড় অন্তত তিনি আশা করতে পারেন।
– ওনার শান্তিতেই নোবেল বিজয়ের সময় প্রথম প্রশ্ন নিয়ে রাজপথে গেলে ভাল করতেন। আপনার কি মনে হয় মানুষ কোনদিকে মত দিত? আজকেও যদি আরেকজন কেউ নোবেল শান্তি পান তাতে কি কেউ বলবে যে নাহ, নোবেল শান্তি পুরষ্কার আসলে একটা প্রহসন, এতে আপ্লুত হবার কিছুই নেই?
আর অন্য দেশের লোকের পুরষ্কার প্রাপ্তিতে আমি কেন আপ্লুত হতে যাব? আমার নিজের দেশের লোকে পেলে অবশ্যই হই, এবং হব। আর অতি অবশ্যই মনে করি যে তেমন ক্যাটগরির লোক দেশের কাছ থেকে সামান্য কিছু ছাড় আশা করতেই পারেন যাতে কাগুজে কিছু আইনের বাত্যয় ছাড়া কারো এমন কোন ক্ষতি হয়নি। ওনাকে যেই অপরাধে আদালতে দৌড়াতে হচ্ছে সেই অপরাধে তো সব সরকারকেও অপরাধী বলা যায়।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-03-08/news/136850
– সরকারেরই একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক কিভাবে এই অবৈধ ব্যাক্তির অবৈধ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে চোখে ঠুলি দিয়ে বৈধতা দিয়ে এসেছিল? তাদেরও কি আদালতে হাজির করা উচিত নয়? ওনার বয়স কত, দেশের প্রচলিত আইন কি তারা এত বছরে খবর পায়নি?
যেখানে আইনের ছত্রছায়ায় ব্যাক্তিগত প্রতিহিংসা হল মোটিভ তাকে সমর্থন করা যায় না।
@আদিল মাহমুদ, :guru:
@আদিল মাহমুদ,
আপনি মনে হয় ইয়াজউদ্দীন নামের বিএনপির এক পাপেটের সময়কার দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলে গিয়েছেন। এই লোকের ষড়যন্ত্রে যখন দেশ বিপন্ন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চার উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন ইয়াজুর ষড়োযন্ত্রের প্রতিবাদে। যখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে মানুষ, রাস্তায় রাস্তায় প্রাণ দিচ্ছে, তখন প্রফেসর ইউনুস খোকাবাবুর দেয়া নাগরিক সম্বর্ধনায় যোগ দিচ্ছে। বিদেশে যাবার আগে ইয়াজউদ্দীনকে বলে যাচ্ছে, আপনি যা করছেন ঠিক করছেন, আরো কঠোর হাতে সবকিছু দমন করুন।
এখানেই শেষ নয়, আর্মির ডান্ডা পেটা খেয়ে হঠাৎ করে একদিন ইয়াজউদ্দীন জাতির কাছে মাফটাফ চেয়ে পদত্যাগের পরে যে ছদ্ম সেনাশাসন এসেছিল তখন তিনি রাজনীতিবিদদের দুরাবস্থার সুযোগ নিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে নেমেছিলেন। রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন। যখন দেশে রাজনীতি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তখন তিনি বিনাবাধায় রাজনীতি করে গেছেন সেনা সমর্থনের সুযোগ নিয়ে।
তাঁর এই সব সুবিধাবাদী জনবিরোধী আচরণই তাঁর জনপ্রিয়তাকে ধ্বসে দিয়েছে। তিনি ভিলেনে পরিণত হয়েছেন নোবেল পাওয়ার ঈর্ষা থেকে নয়, বরং তাঁর এই সমস্ত সুবিধাবাদী কর্মকাণ্ড থেকে।
আর নোবেল পাওয়ার পর বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর হাস্যকর ছেলেমানুষী প্রতিক্রিয়াসমূহর কথা আর কী বলবো। আমার নিজেরই লজ্জা লাগতো নোবেল প্রাপ্তি পরবর্তী তাঁর প্রবল উচ্ছ্বাসময় বালসুলভ আচরণসমূহ দেখে। একজন নোবেলপ্রাপ্ত প্রবীন ব্যক্তি এই রকম ছাগলামি আচরণ করে কী করে?
প্রফেসর ইউনুস নোবেল পাবার পরপরই আনন্দে উদ্বেলিত আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটা লেখা লিখেছিলাম মুক্তমনায়। আমি আমার কোনো লেখা নিয়েই পরে কখনো অনুতাপ করি না, কিন্তু এই একটা লেখা নিয়ে আমার প্রবল অনুতাপ রয়েছে অদ্যাবধি।
অটঃ সময়ের বড় টানাটানিতে আছি। ইউনুস বিতর্কে অংশ নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, এতে অংশ নিতে পারবো বলে মনে হয় না।
@ফরিদ আহমেদ,
এই কথাটির মধ্যে কিছুটা হলেও সত্যতা আছে। নোবেল পাওয়ার পরই দেশে এসে রাজনীতিতে আগমন নির্গমনের যে নাটক তিনি দেখিয়েছলেন তিনখান চিঠি চালালচালির মাধ্যমে সেটা এখনো মনে হয় অনেকেরই আনন্দের উৎস।
[img]http://farm3.static.flickr.com/2620/3846086324_20127b7ae8.jpg[/img]
(Y) আমারও। আমি একটা লেখা লিখেছিলাম সে সময়, বিভিন্ন দৈনিকে লেখাটি প্রকাশিতও হয়েছিলো। অনেকটা শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবালের মতোই আবেগ দিয়ে লিখেছিলাম বেশ কিছু কথা। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি ভাবি – এমন একটা লেখা হয়তো আমি আজ লিখতাম না। লিখতাম কি?
কিন্তু তারপরেও অস্বীকার করার উপায় নেই , অধ্যাপক ইউনুস বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এমনিতেই কম, এই তলানির দেশেও পুঁজিবাদের সাথে আপোষ করেই হোক, আর সুদের ব্যাবসা করেই হোক, তিনি পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিতি আদায় করে নিয়েছেন। বার্নস এণ্ড নোবেলে হাজারো বইয়ের ভীরে যখন ইউনুসকে নিয়ে লেখা বই দেখি, বুঝতে পারি তার কাজের প্রভাবের ব্যাপকতা। ইউনুসের কর্মকান্ডের সাথে আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু সরকারীভাবে হেনস্তা করা থেকে তিনি রেহাই পেতে পারেন অন্ততঃ। এইটা আমিও চাই।
এই পোস্টটা মুক্তমনায় আসার পরেই বুঝেছিলাম এর পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা উঠে আসবে। তাই আসছে। বোঝা যাচ্ছে ব্যাপারগুলো ভুল ঠিক কিংবা পক্ষে বিপক্ষের মতো এত সরলরৈখিক নয়। ইউনুসকে নিয়ে মতান্তর আছে আমাদের নিজেদের মধ্যেই। এটা কি আমাদের কোন ম্যাসেজ দেয় ?
@অভিজিৎ,
ইউনুস কত ভাল লোক বা মহত, নোবেল বিজয় করে দেশ কিভাবে উদ্ধার করেছেন এসব আমার বিবেচ্য নয়।
যেসময় বহিঃবিশ্বে বাংলা বাহিনী/রাজনৈতিক অস্থিরতা এসবের দৌলতে আমার দ্রুত পরিচিতি হতে যাচ্ছিল আরেক পাকিস্তান/আফগানিস্তান হিসেবে সে সময় তার নোবেল বিজয়ের ভূমিকা নিয়েও আমি কোন কথা বলছি না।
আমার শুধু সার বক্তব্য হল যে দেশে যারা বড় বড় ব্যাবসা বানিজ্য করেন তাদের মাঝে ইউনুসের সম পর্যায়ের ক্রিমিনাল আর কেউ নেই? তাদের আমরা চিনি না?
@অভিজিৎ,
এই কথাটাই বলা আমার উদ্যেশ্য। আর কিছু নয়। এতো হেনস্থা করে সরকারের ভাবমূর্তি কি একটুকুও ক্ষুন্ন হয়নি? অবশ্যই হয়েছে।
@অভিজিৎ,
উনিতো নোবেল পেয়ে নেচেছেন, তারপর নোবেলটাও তার নিজেরই অর্জন।আর এখানে দেখুন,
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=03-2-2011&type=gold&data=Mobile&pub_no=279&cat_id=2&menu_id=30&news_type_id=1&index=0
@টেকি সওদাগর,
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে তার কিছু বিতর্কিত কাজের জন্য
অপছন্দ করা শুরু করেছিলাম!
তবে এই লেখাটির জন্য তাকে (*) (*) (*) (*) (*) (*) (*) (*) (*) (*)
@টেকি সওদাগর,
কাদের সিদ্দিকী এই উক্তিতে বুঝা গেলো একজন মুসলিম মহিলা নাচবেন এটা উনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। যাক এটা ওনার ব্যাক্তিগত মতামত হতে পারে, কিন্তু উনি কি করে ভাবেন যে শতকরা ৯০ জন মুসলমানের দেশের নেতার নাচ দেশবাসী ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। নাচটা হলো মনের একটা উচ্ছাস এবং দেশবাসীদের এতে কিছু মনে করার কোন কারন দেখিনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সহমত। (Y)
আমি কিন্তু আপনার কথাটাই বলতে চেয়েছি, হয়
@ব্রাইট স্মাইল্,
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমি কিন্তু আপনার কথাটাই বলতে চেয়েছি, হয়তো ঠিক বোঝাতে পারিনি। উপরে ফরিদ আহমেদ (ও অভিজিৎ সহমত দিয়েছেন) বললেন
তাই আমি উপরের মন্তব্যটা করেছি। আপনার এই মন্তব্যের সাথে সহমত। ->
(Y)
@ফরিদ আহমেদ,
ইউনুস সাহেব সাধু সন্ত প্রকৃতির লোক, মানব উপকার ব্যাতীত তার আর কোন উদ্দেশ্য নেই এমন দাবী তো আমি করিনি। তার অবশ্যই দোষ ত্রুটি আছে। তাকে পূর্ন মূল্যায়ন এখানে হচ্ছে না। হচ্ছে তার প্রতি সরকারের বিশেষ আলোচবনা।
তিনি সাদেক হোসেন খোকার সংবর্ধনা নিয়েছিলেন ভালই মনে আছে, তাতে তার খুব বেশী অপরাধ কি হয়েছিল তা বুঝতে আমি অক্ষম। খোকা বিএনপির নেতা হিসেবে নয়, ঢাকার মেয়র হিসেবে তাকে সেই সংবর্ধনা দিয়েছিলেন বলেই মনে পড়ে। খোকা তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলেই আমি মনে করি। আর যদি বিএনপির তরফ থেকেও দেওয়া সংবর্নায় তিনি যোগ দিতেন তো তাতেও কি তার বিরাট কোন অপরাধ হত বলে মনে করেন? বিএনপি তো নিষিদ্ধ কোন দল নয়, দেশের অন্যতম বৃহত জনপ্রিয় দল। তখন মানুষ আন্দোলন করছিল ঠিকই, কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি। তার নোবেল বিজয়ে আনন্দ উচ্ছাস সাধারন মানুষই করেছিল। তার প্রসংশা, বাংলাদেশের মুখ কত উজ্জ্বল তিনি করেছিলেন তার আলোচনাই সবাই করত।
ওনাকে সেনা সরকার ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিল। ঠিক। এতে নৈতিকতার দৃষ্টিতে সায় দেওয়া হয়ত ওনার উচিত হয়নি। তবে আমরা কি সে ঘটনার সবটুকু জানি? সেই সময় উর্দি পরারা কি চাল চালছিল, কাকে কি করতে বাধ্য করেছিল সেসব খুবই ধোঁয়াটে ব্যাপার। সে সময় দুই দলের শীর্ষ নেতা নেত্রীর নামের যেসব কাহিনী বেরিয়েছিল তারপর তো তাদের চৌদ্দ শিকের বাইরেই থাকার কোন কারন নেই। তাদের বাদ দিয়ে ইউনুস সাহেব বড় অপরাধী হয়ে গেলেন কি করে আমি বুঝি না। হতে পারে উনি দুই দলের বিকল্প হিসেবে নিজেকে ভাল চিন্তা করেছিলেন, তাই সেনা ওয়ালাদের মদদে সায় দিয়েছিলেন? আমি বলতে পারি না। ক্ষমতায় আরোহনের উচ্চাভিলাস খুব বড় অপরাধ নয় বলেই মনে করি। উনি ক্ষমতায় বসলে অন্তত দুই নেত্রীর চেয়ে ভাল হতে বলেই আমি মনে করি, যদিও হাইপোথিটিক্যাল।
আমি ওনার সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানি নাই আসলে। যেটুকু জানি তাতে মনে হয় যে ওনার লোভ উচ্চাভিলাস এসব খুব বেশী হলে উনি তার নোবেল বিজয়ের আগের অবস্থান ব্যাবহার করেই আরো বহু কিছুই করতে পারতেন।
তবে উনি বিদেশ যাবার আগে ইয়াজউদ্দিনকে সার্টিফাই করে গেছিলেন এমন কিছু আমার মনে পড়ছে না এখন। সাধারনভাবে তাকে বিএনপিপন্থী বলেই মনে করা হয় বলে শুনি।
সংক্ষেপে এ সম্পর্কে আমার ভাবনা বলিঃ
১। ইউনুস সাহেব পরোপকারী, নিঃস্বার্থ, মহত কোন ব্যাক্তি নন। তার অর্থ লিপ্সা বা উচ্চাভিলাস ভালই আছে। এসব নিয়ে তর্ক করা গেলেও মেনে নিচ্ছি।
২। কিছুটা অপ্রাসংগিক হলেও আমিও স্বীকার করি যে জাফর ইকবাল সাহেবের ওনাকে নিয়ে আবেগমইয় লেখা আমার কাছেও বাড়াবাড়িঈ মনে হয়েছে। প্রাপ্তির চাইতে স্তুতি অনেক বেশী হয়েছে বলেই মনে হয়।
৩। এই আলোচিত অপসারন আইন অনুযায়ী ঠিকই আছে তাও মনে হয় ঠিকই আছে।
আমার কথা হল যে দেশে কি এই রকম আর কেউ নেই? এক তরফা ওনার পেছনেই লাগা কেন? ওনার থেকে আরো বহু জঘন্য লোকে সরকার বিরোধী দলের সাথে অংগাঅংগীভাবে জড়িত। তাদের ছেড়ে ওনার পেছনেই আদাজল খেয়ে লেগে থাকাটা ভন্ডামীর মতই লাগে। এতে কি ভুল আছে? আপনার কি মনে হয় দেশে যারা বড় বড় ব্যাবসার মালিক তারা সবাই ১০০% আইন মেনে ব্যাবসা চালাচ্ছে? একা খালি ইউনিস সাহেবই এদের সবার থেকে বড় অপরাধ করে ফেলেছেন? এখানেই আমার সবচেয়ে বড় আপত্তি।
ওনার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আছে। পারলে সেসব প্রমান করুক না সরকার, অভিযোগ প্রমান করে পাচারকৃত টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনতে পারলে সরকারকে সাধুবাদই দেব। প্রধানমন্ত্রী তো নিশ্চিত এই ব্যাপারে, খোলামেলাই ঘোষনা দিয়েছেন। তো প্রমান করে দিচ্ছেন না কেন? আসল অভিযোগ বাদ দিয়ে কি এক বয়সের হাস্যকর ধূয়া তুলে তাকে অপদস্থ করার মানে কি? নাকি আসল অভিযোগ এভাবেই ধামাচাপা দেওয়া হবে? নিজেরা যথারীতি কিছু শেয়ার জেবে ভরবেন?
কেউই আইনের উর্ধ্বে নয় খুবই ভাল কথা। আমিও তাই চাই। ইউনুস অপরাধী হলে শাস্তি তার প্রাপ্য। কিন্তু তার চাইতে বড় বড় ঘাগু ক্রিমিনালদের কোলে বসিয়ে তাকে প্রতিহিংসা বশত ফাঁসানোর চেষ্টাকে আইনের কোন মহান প্রয়োগ বলব না, বলব ভন্ডামি। আইন কারো জন্য রক্ষচক্ষু দেখিয়ে সামান্য ব্যাপারে ছুটে আসবে আরো দিনে ডাকাতি চোখ বুজে সয়ে যাবে তেমন আইনী ব্যাবস্থায় আমি তেমন শ্রদ্ধাশীল না।
@আদিল মাহমুদ,
ডঃ ইউনূস এর মতন বিচক্ষন মানুষ একটা দেশ পরিচালনা করুন এইটা আমাদের মত হাজারো মানুষ চেয়েছিল। তাতে আমার এতোটুকু আফসোস নেই।
কেননা দেশ কেবল দুই নেত্রী সারা জীবন চালাবেন এমন কোথাও দলিল করা নেই। আমরা নিশ্চয় চাইবনা যে জয়নুল হাজারীর মত কেউ বা বিএনপি নেত্রীর ছেলে বলেই আর কেউ চালাক দেশ বা মির্জা আব্বাসের মত লোকই চালাবে দেশ? বা হাসিনার ছেলে বলেই দেশ চালাবে? তাহলে রাজতন্ত্রের বাকী থাকে কোথায়?
একজন শিক্ষিত এবং সৃজনশীল কেউ কদিন দেশ চালান না কেন?
আমরাও একটু হাঁপ ছেড়ে বাঁচি। অন্ততঃ এই দুজনের হাত থেকে পরিত্রান পাই?
@আফরোজা আলম,
উনি ক্ষমতায় আসলে সামগ্রিকভাবে ভালই হত আমার বিশ্বাস। তবে যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আসছিলেন বলে শোনা যায় তা সমর্থনীয় না। তবে চূড়ান্ত কথা হল সে পথে তিনি আর যাননি।
@আফরোজা আলম,
(Y)
@আদিল মাহমুদ,
আগ্রহের সাথেই একমত!
আফরোজা আলম ঠিকই বলেছেন এই অযোগ্য রাজতন্ত্র যুগলের অবসান হোক!
@আদিল মাহমুদ,
প্রথমে বেশ কিছু নির্মোহ এবং বস্তুনিষ্ঠ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারপর আপনার কিছু মন্তব্যের উপর মন্তব্য করছি।
আমি বলব ইউনুস সাহেব পরোপকারী লোক কিন্তু নিঃস্বার্থ অবশ্যই নন। পরোপকারী হতে গেলে নিঃস্বার্থ হতেই হবে এমন কোন কথাও নেই। বিল গেইটস থেকে মাদার টেরেসা এরা কেওই নিঃস্বার্থ নন/ছিলেননা। কিন্তু তারা যে পরোপকারী সেসম্পর্কে মনে হয় কেও কোন সন্দেহ প্রকাশ করবেন।
একেকজনের স্বার্থ এক এক রকম থাকে। কেও চায় বিত্ত্ব, কেও চায় খ্যাতি, আবার কেও চায় ক্ষমতা। আবার কেও এর যেকোন দুটো কিংবা তিনটাই চাইতে পারে। আমার মনে হয় ইউনুস সাহেবের সবচাইতে বড় লক্ষ্য ছিল খ্যাতি এবং তারপরে ক্ষমতা। তিনি বিত্ত্ববান পরিবারে জন্মেছিলেন; সম্বভত: সেই কারনে বিত্ত্বের জন্য তার তেমন কোন আকর্ষণ ছিলনা। খ্যাতি অর্জনের লক্ষ্যে যখন যা করা দরকার বা সুযোগ পেয়েছেন তাই করেছেন। ক্লিন্টনদের সাথে খাতির করেছেন; আত্মপ্রচারের কোন সুযোগ হেলায় হারাননি। অন্যের ক্ষতি না করলে নিজের স্বার্থের পেছনে ছোটার ভিতরে আমি কোন অপরাধ দেখিনা।
আগের আলোচনার জের ধরে বলতে পারি তার উচ্চাভিলাস শুধু ভাল না বরং প্রচন্ড পরিমানেই আছে, কিন্তু ব্যাক্তিগত অর্থ লিপ্সা তেমন নেই। তবে গ্রামীণ ব্যাংককে সচ্ছল রাখা এবং প্রবৃদ্ধ করার জন্য অন্য যেকোন ব্যাবসায়ের মতই সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মুনাফা করার চেষ্টা করেছেন নিশ্চয়।
জাফর ইকবাল নিজেই মনে হয় আপনার সাথে একমত হবেন। উনিত বলে কয়েই এটা করেছেন। উনি প্রবন্ধের ভূমিকাতেই লিখেছেন এটা একটা পক্ষপাতমূলক, আবেগময় লেখা। এধরনের লেখাতে বাড়াবাড়ি থাকবে সেটাত আশ্চর্য্যজনক কিছু নয়।
পুরো ঘটনা সম্বন্ধে যা পড়েছি তাতে আমার মনে হয় অপসারনটা আইনগতভাবে বেশ বিতর্কসাপেক্ষ।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মনে হয় এই ইউনুস সাহেব সম্পর্কে শিক্ষিত সুধীজনদের মাঝে এক ধরনের এপ্যাথী কাজ করে। এটা মনে হয় অনেকটা তাদের আশা ভংগের কারনেই। মনে হয় নোবেল বিজয়ের আগ পর্যন্ত সবার ধারনা ছিল তিনি আসমান থেকে নাজিল হওয়া ফেরেশতাসম কোন ব্যাক্তি বহিঃবিশ্বে যার ইমেজ ৭১ সালের বংগবন্ধুর মত, দেশ থেকে যিনি সম্পূর্নরূপে দারিদ্র দূর করে দেবেন।
এই মুদ্রার বিপরীত চিত্র দ্রুত প্রকাশ হবার পর সবাই মনে হয় মানসিকভাবে এটাকে ঠকে যাবার মত নিয়েছেন।
যেই নোবেল নিয়ে দেশ বিদেশ জুড়ে ধন্য ধন্য পড়েছিল এমনকি এই একই শান্তির নোবেল এখন হয়ে পড়েছে গুরুত্বহীন, রহিম করিম যদু মধু যে কেউই পেতে পারে 🙂 । এককালে যা ছিল বিরাট বিরল সম্মানের, দ্রত তা হয়ে গেল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ক্লিন্টনের কৃপাধন্য। আরে ভাই, ইউনুস সাহেব মন্দ হতে পারেন, কিন্তু তার ২০০৬ সালে পাওয়া নোবেল তো আর মন্দ হয়ে যায়নি।
ইউনুস সাহেব নিঃস্বার্থ লোক নন, যে কোন মানুষের মতই তারও উচ্চাভিলাস অর্থলিপ্সা আছে। একই সাথে বর্তমান যুগে বাংলাদেশের জন্য একক ভাবে সবচেয়ে বড় সম্মান বয়ে এনেছেন তিনিই এটাও সত্য। এই সম্মান যেভাবেই বয়ে আনুন না কেন তা শুধু তার একার কাজে লাগেনি, পুরো দেশের কাজেই লেগেছে। এটা কিভাবে অস্বীকার করি? এমন একজন লোকের প্রতি সরকারের এক কাগুজে আইন নিয়ে খড়্গহস্ত হওয়াটা স্বাভাবিক বলা যায় না।
ওনার গ্রামীন ব্যাংকের গরীব মানুষের টিনের চাল হালের বলদ কেড়ে নেবার কাহিনী মনে হয় গনমানসে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে, ওনাকে রাতারাতি হিরো থেকে রক্তপিপাসু শাইলক বানিয়ে দিয়েছে।
মুশকিল হল সুদ ছাড়া বা ঋণপালীদের থেকে ডিফ্ল্ট মানি উদ্ধার ছাড়া কিভাবে ব্যাংকিং ব্যাবসা চালানো সম্ভব তা আমি জানি না। ঋণের টাকা সময়মত দিতে না পারলে যে কোন দেশেরই যে কোন ব্যাংক জামানতকৃত সম্পত্তি দখল করতেই পারে। ওনার ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটূ হয় মনে হয় ডিফল্টাররা হতদরিদ্র শ্রেনীর বলে। এর সমাধান কি আমি জানি না। একদিকে মানবিকতার দাবী, আবার অন্যদিকে ঋনের টাকা আদায় না করলে মজা পেয়ে আরো অনেকেই টাকা মেরে দেবে, ফলে পুরো প্রজেক্টই লাটে উঠবে। উনি তো আর দানছত্র খুলে বসেননি। হয়ত ডিফল্ট মানি আদায়ের ব্যাপারে আরো নমনীয় কিন্তু কার্যকরি নীতি ওনারা নিতে পারেন।
তার অপসারনের আইনী দিক নিঃসন্দেহে আমি তেমন জানি না। যা মনে হয়েছে তার ভিত্তিতেই বলেছি। ইউনুস সাহেবের আইনজীবিরাও কিন্তু জোর দিচ্ছেন সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের এতদিনে কেন এটা নজরে পড়ল না এই পয়েন্টের ওপর বলে মনে হল। তাদের কথা হল তিনি অবৈধ ভাবে পদ আঁকড়ে থাকলে ৯৯ সাল থেকেই কেন সে ব্যাপারে কোন নোটিস দেওয়া হল না অনেকটা এমন।
আসল কথা হল এমন কাগুজে বহু আইন দেশে আছে, সেসব কে মানল না মানল তা নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকও একই কারনেই আগে মাথা ঘামায়নি। এখন ঘামাতে বাধ্য হয়েছে কারন প্রতিপক্ষ হল ইউনুস।
@ফরিদ আহমেদ,
হুমমম!
আচ্ছা।
তাহলে এটা?
আপনি এখানের একজন গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তি হয়ে এভাবে বলাটা ঠিক হয়নি। আপনি আপনারই করা নিয়ম ভাঙ্গছেন। 🙁 (আমার অভিমত)
@টেকি সাফি,
নীতিমালাটা আসলে ব্লগারদের কথা মনে রেখে তৈরী করা হয়েছে। যাতে ব্লগারদের কেউ ব্যক্তি আক্রমনে মেতে উঠতে না পারেন সেটাই ছিল লক্ষ্য। ইউনুস সাহেব যেহেতু মুক্ত-মনার ব্লগার নন ও তিনি যেভাবেই হোক একটা বিশেষ উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পেরেছেন তাই তার বিশেষ কিছু কাজকে উদ্দেশ্য করে এটি বলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। লক্ষ করুন, এখানে ইউনুসকে সরাসরি বলা হচ্ছে না বরং তার বিশেষ কিছু আচরণকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে। আর মুক্ত-মনায় ছাগল, পাগল শব্দগুলোকে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এরকমও নয়। আবার পড়ে দেখুন-
আপনার মন্তব্যে বেশ বিরক্ত না হয়ে পারলাম না। এভাবে নীতিমালা দেখানোর মানে কি এটাই যে তিনি এগুলো সম্পর্কে জানেন না বা বুঝেন না? আর তিনি যে মোটেও নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক কিছু করেন নাই তা আমার মন্তব্যে আগেই পরিষ্কার করেছি।
@সৈকত চৌধুরী,
অহ! ঠিক আছে তাহলে। বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। এখানে নতুন আমি, শুরুই করলাম ভুল বোঝা দিয়ে :-X যাকগে।
অন্য প্রসঙ্গে বলি,
এই কথাটায় খানিক যৌক্তিক ভুল আছে মনে হচ্ছে। খেয়াল করুন, “ক” এর আচরনকে যদি ছাগলামি/পাগলামি বলা হয়, তাহলে “ক”ই ছাগল/পাগল। (বিঃদ্রঃ এই মন্তব্যটি ব্যাক্যের ভুল নিয়ে, আগের মন্তব্যের উত্তর নয়।)
@টেকি সাফি,
আলোচনাটি হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে। কারো আচরণকে ছাগলামি বলা আর তাকে সরাসরি ছাগল বলার মধ্যে ব্যবধান আছে।
আপনি নতুন তাই একটা অনুরোধ করি। আমরা চাই কোনো অহেতুক বিতর্ক না হোক। তাই এমন কোনো মন্তব্য না করতে চেষ্টা করবেন যা অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করে। আর কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা মুক্ত-মনার ব্যাপারে পূর্ণ সজাগ রয়েছেন। যাই হোক, ভাল থাকুন।
@সৈকত চৌধুরী,
আমি সত্যি হাসছি :)) কারন আমি মোটেও ব্যবধান বুঝছি না ! ব্যাক্তিগতভাবে বার্তা টার্তা পাঠানো যায়না? ইউজার-ইউজার? বাংলাতেও আমি এত কম বুঝি আগে নিজেও জানতাম না 😀 😀
@টেকি সাফি,
ছাগল ছাগলামি করে না, ছাগলামি করে মানুষে। কেউ ছাগলামি আচরণ করছে বলা মানে তাকে ছাগল বলা না। তাহলেতো কেউ গাধামি করছে বললে তাকে আসলে আসল গাধা বলা হয়।
প্রফেসর ইউনুস নিঃসন্দেহে চার পা বিশিষ্ট, থুতনিতে ছাগলা দাঁড়িসমৃদ্ধ ছাগল নন। সেটা তাঁকে বলিও নি আমি। তবে, তিনি নোবেল পাবার অতি আনন্দে ছাগলামি আচরণ যে করেছেন তাতে কোনো সন্দেহই নেই। তাঁর আচরণ শুধু ছাগলামির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ভীমমরতিতে ধরা বাহত্তুরে বুড়োদের মত পাগলামির সীমাও অতিক্রম করে গিয়েছিল কোনো কোনো সময়ে। ইয়াজুর সময়ের গণবিরোধী আচরণ এবং সেনা সরকারের সময়ে পিছনের দরজা দিয়ে রাজমুকুট মাথায় পরার ধূর্তামি আচরণের কথা আর না হয় নাই বা বললাম।
কাউকে অভিযুক্ত করার আগে অভিযোগ করার মত যথার্থ মেরিট আছে কি না সেটা যাচাই-বাছাই করে নিলেই সবচেয়ে ভাল হয়।
@ফরিদ আহমেদ,
বুঝেছি, আবার ভুল করেছি। “রুপক” ব্যাপারটা মাথায়ই আসেনি, চিন্তা করছিলাম নিশ্চয়ই কোনো গূঢ় অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আছে। :-Y
একটু খারাপ লাগলো, পরবর্তীতে আপনাদের উপর মন্তুব্য করতে সাহস পাবো না এবং করবোও না । 🙁
দুঃখিত এবং ধন্যবাদ।
@টেকি সাফি,
আপনি যেভাবে আমাকে সিঙ্গল আউট করে নীতিমালা তুলে এনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগনামা দাঁড় করিয়েছেন তাতে আমার প্রতিক্রিয়াটা কঠোরই হবার কথা। দুঃখ যে অফিসে ছিলাম। সেখানে অভ্র নেই। মন্তব্যের উইন্ডোর অভ্র ব্যবহার করে উত্তর লিখেছি। এটা দিয়ে অনেক শব্দই লেখা যায় না। ফলে, সঠিক শব্দচয়ন করতে পারি নি। সেটা করতে পারলে এর চেয়েও কঠোরতর হত প্রতিমন্তব্যটা।
এই লেখার থ্রেডে একগাদা মন্তব্য আছে, যেগুলোকে অনায়াসেই ছাগলামি মন্তব্য হিসাবে আখ্যায়িত করে ফেলতে পারতাম, যদি না মুক্তমনার নীতিমালা দ্বারা আমার হাত পা বাঁধা থাকতো। সেই সমস্ত মন্তব্যের কোনোটাই কিন্তু আপনার চোখে পড়ে নি। হুট করেই ইউনুস প্রেমে মত্ত হয়ে আপনি সম্পূর্ণ বিনা কারণে আমার পিছনে আদাজল খেয়ে লাগলেন। একটা মাত্র মন্তব্য করলে হয়তো বুঝতাম যে, না বুঝেই করেছেন। কিন্তু ইউনুস বিষয়ক আমার বক্তব্য নিয়ে আপনি একাধিক মন্তব্য করেছেন। কাজেই, স্বাভাবিকভাবে আমাকে ধরে নিতে হয়েছে যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আপনি এই কাজটা করেছেন।
কেউ আমার দিকে ভালবাসার একটা গোলাপ নিয়ে এগিয়ে এলে, আমি দুটো গোলাপ হাতে এগিয়ে যাই তার দিকে। কিন্তু কেউ অযথা ঢিল ছুড়তে এলে, পাটকেল নয়, একেবারে পটকা-বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি তার উপরে।
@ফরিদ আহমেদ,
আমার অবস্থা আরো শোচনীয়। কী-বোর্ডের কাস্টম লে-আউট করতে গিয়ে কি যে করেছি এখন “E” চাপলে “we” “c” চাপলে “Xc” হচ্ছে। শব্দ খুজে কপি-পেস্ট করতে হচ্ছে।
উহু! আপনার সাথে মতের অমিল থাকতে পারে কিন্তু ওখানে এই উদ্দেশ্যে কিছু বলিনি। নিতান্ত বোকামি করেছি। দুঃখিত! নিচে গোলাপও দিলাম।
(W) (F) (W) (F) (W) (F) (W) (F) (W) (F) (বিশটা প্রাপ্য)
আমার বিপরীত চরিত্র 🙁
আমরা যা শুরু করেছি, অন্যরা রাগ করতে পারে। এখান্বেই শেষ করতে চাচ্ছি কিন্তু গোলাপ দিয়ে যাবেন। 🙂
@টেকি সাফি,
আপনি বরং আগে বলেন, কখনো টেকি সাফি কখনো টেকি সওদাগর নামে মন্তব্য করেছেন কেন? যে কোন একটি নামে থাকুন।
আরো একটা কথা বলি। ইরেজীতে যে অংশ গুলো কোট করেছেন – Mukto-Mona website is maintained by বলে, সেটি পুরোন সাইটের জন্য। বাংলা ব্লগের জন্য ঠিক নয়। জাহেদ আহমেদ ব্লগের সাথে যুক্ত নন অনেক দিন ধরেই, বন্যাও এডমিনের সাথে যুক্ত নন। আবার শাফেয়েত, আতিক, সৈকত সহ অনেকেই মডারেশন এবং টেকনিকাল বিষয় দেখাশোনা করেন, যাদের কথা ইংরেজীতে কোটেশনে নেই।
ব্লগের সদস্যদের ব্যাপারে মন্তব্য আর জাতীয় কিংবা পরিচিত ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনায় তো কিছুটা পার্থক্য থাকবেই। এখানে ঘটা করে নীতিমালা দেখানোর কিছু নেই। তারপরেও যতদূর সম্ভব কম বিশেষণ প্রয়োগ কাম্য।
অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
নাম পরিবর্তন সখ করে করিনি। :-X প্রোফাইল ঠিক করছিলাম খেয়াল করিনি ডিসপ্লে নেইম পরির্বতন করে ফেলেছি ড্রপ-ডাউন মেনুতে ভুল ক্লিক করে তারপর ওভাবেই একটা কমেন্ট করে করে ফেলি। এখন আবার পাল্টাবো? এই ভেবে পাল্টাইনি। এবং এই নামেই থাকব।
এটা আগে জানলে এভাবে বলতাম না অবশ্যয়ই!
অনেক ধন্যবাদ।
@টেকি সাফি,
হা হা হা। বোঝা গেল যে, আপনি প্রথমে পটকা বন্দুক দিয়ে আক্রমণ চালান, পরে প্রতি আক্রমণের শিকার হলে পিছিয়ে গিয়ে দুইহাতে গোলাপ বিলোন। আপনার মত এরকম বিপরীত চরিত্র আমার হলে মন্দ হত না। 🙂
ঠিক আছে। শেষ করছি। অনেকদিন পরে যুদ্ধংদেহী মুডে গিয়েছিলাম। এই ভদ্র-নম্র আচরণ করে দিলেন সেটাকে মাটি করে। 🙁
মুক্তমনায় স্বাগতম। আর, এই নিন এক কুড়ি গোলাপ (এই প্রথম কোনো ছেলেকে বাধ্য হয়ে দিলাম। 🙁 মেয়েদের গোলাপ দিতেই অভ্যস্ত আমি। 🙂 )
(F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
@ফরিদ আহমেদ,
উহু! ভুল করলে লজ্জা পাই কিন্তু ভুলকে যেদিন থেকে সংশোধন করতে শিখেছি, নিজের মতকেও মীজানের পাল্লায় তুলে মাপতে শিখেছি সেদিনই আমি আজন্ম লালিত সংস্কারকে বিসর্জন দিতে পেরেছি। আর যখন কোনো কিছু সত্য হিসেবে জেনেছি সেটার পক্ষে পুরো পরিবার,সমাজ,বন্ধু-বর্গ এমনকি কলেজের জীব-বিজ্ঞান ম্যাডামের চোখ-রাঙ্গানীও বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। শুধু একটা কথাই বলি স্কুল পড়ুয়া এক ছেলে/মেয়ের জন্য যুগ-যুগের পালিত অন্ধ-বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে, নাস্তিক (তাও হার্ডকোর :)) ) হওয়া অমন চরিত্র দিয়ে হবে না। খুব বেশি হলে শংসয়-বাদী, এর বেশী নয়।
এই নিয়ে একটা গল্প আছে, আমাদের এক নাস্তিক স্যার ছিলেন। উনি আমাদের যুক্তিকে ছিন্ন-ভিন্ন করে আমাদেরকে রসাতলেরও তল দর্শন করিয়ে ছাড়তেন। বির্তক হতো, শুক্রবার সন্ধ্যার পর। আমরা যেতাম,অন্যতম শর্ত ছিলো রেগে-গেলেন তো হেরে গেলেন। একজনের বক্তব্যের মধ্যে আরেকজন সাইকেল চালাতে পারবে না। সবার সামনে অবাক হয়ে দেখতাম তার সদা স্মিত হাসি আর তার আক্রমনে আমাদের বিশ্বাসের নগ্ন চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ায় আমরা কি চেহারা ধারন করেছি, ক্রোধে, আক্রোশে। উনি একটা কিছু বলার আগেই হাউ-কাউ লাগিয়ে যা-তা বলছি। পরে বুঝতে পেরে সবার সামনে তখন লজ্জার সীমা থাকতো না। যাইহোক গল্পগুলো লিখছি, মুক্ত-মনাতে ছাপানোর জন্য। সেখানে আর বিস্তারিত লিখব।
আবার উলটো চরিত্র! একটু কুল আর রকিং (দাত বের করে হাসি :)) ) হওয়ায় আমার গ্যাটের পয়সা খরচ করতে হয় খুব কম। 😀
ভাল থাকবেন। আর একটাও ফালতু কমেন্ট নয়, বিদায় এখান থেকে 😛 (আসল কথা হলো আমার কী-বোর্ডটা গেছে 🙁 )
@টেকি সাফি,
আপনার এই কথাগুলো বেশ ভাল লেগেছে। যদিও বলেছিলেন- পরবর্তীতে আপনাদের উপর মন্তুব্য করতে সাহস পাবো না এবং করবোও না ।
আমি বলি ওয়েল্কাম ব্যাক। আচ্ছা এবার এই প্রবন্ধের উপর ডঃ ইউনুস নিয়ে আলোচনা হবে নাকি আরো কিছুদিন ফুল / পটকার গুলি বিনিময় দেখতে হবে?
@আকাশ মালিক,
একটা কথা বলি, উনি মেরিটের প্রশ্ন তুলেছেন এবং আমি জানি আমার মেরিট নাই বললেই চলে। আপনারা অনেক বড় মাপের ব্লগার কিন্তু একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেন আপনাদের এখানে আমার বয়সী কোনো সদস্য নেই। আপমার আরো ৩/৪ জন বন্ধু (ইন্টামিডিয়েট ১ম বর্ষ) এখানে নিয়মিত আসে, কিন্তু কোনদিনও মন্তব্য করতে সাহস পায়না। সদস্য হওয়াতো দুরের কথা। প্রশ্ন করতেও ভয় পায়, পাছে যদি দেখে বোকামি হয়েছে।
যাকগে আপনারা অনেক অনেক বড় মাপের মানুষ, আর আমরা, তুলনায় চলে না। যুক্তিগত ভুল আমার হবেই, তাই আমি অমন করে বলেছি। ২দিনে যা দেখলাম আমার মত অধম ও মগার জন্য মুক্ত-মনা বন্ধু-মনা হবে না। কিন্তু হলে একটু ভালো হতো না? আমাদের মনে অনেক বোকা-বোকা প্রশ্ন থাকে, কিন্তু এখন দেখছি ভবিষ্যতে তার জন্য হাসির পাত্র হতে হবে।
তবে আমি ডরাই না :)) :)) এখানে অনেক অনেক কিছু শিখছি বদলে একটু খানি তেতো স্বাদ পেলামই নাহয়। কমেন্ট করবো কিন্তু এখন থেকে আর বুঝেশুনে 😛 😛
ধন্যবাদ! 🙂
@টেকি সাফি,
মোটেও তা ভাববেন না ।এখানে কয়েকজন তথাকথিত আতেঁল ব্লগার কথায় ও কাজে বিপরীত মত প্রচার করে নিজেদের কথার জালে আঁটকে যায়!
ইন্টারমিডিয়েটে পড়েন তো কি হয়েছে?
অনেক পড়াশোনা করুন ও নিজেকে তৈরী করুন।
ভাল থাকবেন!
@লাইজু নাহার,
আপনার এই কথাটি অত্যন্ত আপত্তিকর, এটা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। মুক্তমনায় কে ‘আঁতেল’ কে ‘আঁতেল না’ সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব বা অধিকার যে আপনার নেই এটুকু মনে রাখলে অত্যন্ত খুশী হব। এ ধরণের মন্তব্য করে অযথা ঝামেলা পাকানোর মত ইচ্ছা বা সাহস যে আপনার হল তাতেই বেশ অবাক হলাম।
@লাইজু নাহার,
পুরো ব্যাপারটা যেখানে কালকেই থেমে গিয়েছিলো, সেখানে আবার নতুন করে ক্যাচাল উজ্জীবিত হল আকাশ মালিকের বক্তব্যের সূত্র ধরে, এখন আবার আপনি ‘আঁতেল ব্লগার’ প্রভৃতি বিশেষন ব্যবহার করে অনর্থক খোঁচাখুঁচি করছেন। এ ধরণের বিশেষণ আপনার সম্পর্কেও যে কেউ কিন্তু ব্যবহার করতে পারে, এবং এতে পরিস্থিতি ঘোলা করা ছাড়া আর কোন ফায়দা হয় না।
আশা করি এই থ্রেডে আর বক্তব্য দিয়ে এটাকে দীর্ঘায়িত করবেন না, এবং ভবিষ্যতেও এ ধরণের অনর্থক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
@টেকি সাফি,
কথাটা বোধ হয় ঠিক নয়, মুক্তমনায় আরও কয়েকজন ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র এবং সদ্য ইউনিভার্সিটিতে ঢোকা ছাত্রও লেখেলিখি করেন। মুক্তমনার একজন মডারেটরই ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আপনাদের মত বয়সের ব্লগাররা এখানে যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটা অবশ্যই সবার দেখা উচিত।
আমি আসলে এই থ্রেডটা তেমনভাবে ফলো করিনি ইউনুস নিয়ে আমার আগ্রহ শূন্যের কোঠায় বলে। আপনার সাথে ফরিদ আহমেদের বাতচিত দেখে এই ব্লগটাতে ঢুকেছিলাম গতকাল। আমার তো মনে হয় ফরিদ আহমেদ আপনার সাথে যথেষ্ট গ্রেসফুলি ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলেছিলেন। সে যাক, শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, আপনি এই সামান্য ব্যাপারটির কারনে মুক্তমনায় লেখা ছেড়ে দিন এটা আমাদের কাম্য নয়। মুক্তমনা যেন আর দশটা ব্লগের মত খামার ব্লগে পরিনত না হয় সেজন্য এখানকার মডারেটর এবং সদস্যরা একটু কড়া নিয়মকানুন প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন, আশা করি আপনিও অচিরেই মুক্তমনার পরিবারের সদস্য হিসেবে সেগুলোতে অভিযোজিত হয়ে যাবেন। ব্লগে কখনও কখনও এরকম কিছু আদানপ্রদান হতেই পারে, তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনার চিন্তাভাবনা লেখার স্টাইল বেশ আকর্ষনীয়, আশা করি ভবিষ্যতে আপনাকে মুক্তমনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করতে দেখা যাবে। (আপনার শেষের মন্তব্যের নীচে মন্তব্য করাআ অপশান দিচ্ছে না বলে এখানে করলাম)।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার কথাটা ঠিক। বয়সে অনেক ছোট পোলাপানও এখানকার সদস্য। যেমন- আমি :)) (মাত্র প্রথম বর্ষ শেষ করলাম ভার্সিটিতে)। এমনকি আমার সমবয়সী আছে তানভী। আরো ছোটও আছে- পৃথিবী(কলেজে পড়ে)।
@বন্যা আহমেদ,
ধন্যবাদ। ভরসা পাচ্ছি। :))
@নিটোল বাহ! বাহ! পোলাপাইন পাইছি 😛
@সবাই এখানেই শেষ করলে দেশ ও দশের ভালো হয়। 🙂
@টেকি সাফি,
আপনার মেরিট নিয়ে প্রশ্ন তুলি নি আমি। প্রশ্ন তুলেছিলাম অভিযোগের মেরিট নিয়ে।
আপনি এরকম একটা বাচ্চা ছেলে জানলে হয়তো কোনো প্রতিক্রিয়াই জানাতাম না আমি। পুরোপুরি উপেক্ষা করতাম আপনার অভিযোগনামার। প্রফাইল পিকচার দেখে কারো বয়স আন্দাজ করাটা একটু মুশকিলই। এই মুক্তমনাতেইএকজন পূর্ণ বয়ষ্ক ব্যক্তি আছেন, যিনি তাঁর প্রফাইল পিকচারে বালকের ছবি ব্যবহার করেন।
আমার কঠোর পালটা প্রতিক্রিয়া দেখে যদি মুক্তমনা ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন, তবে খুবই দুঃখ পাবো। লড়াইয়ে আমি দয়ামায়াহীন নির্মম সত্যি, তবে তার চেয়েও বড় সত্যি মনে হয়, ভালবাসাতেও অনুপম আমি। 🙂
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, (Y)
@আদিল মাহমুদ,
ভালো বলেছেন এবং যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন। এই কারনেই কথা ওঠে,
যে দেশে গুনীর কদর হয়না, সে দেশে গুনী জন্ম হয়না।এরপর কেউ নোবেল পেলে হয়তো দেশে ফিরে আসবেন না।
পরবর্তিতে এমনই হবে আর এমন পরিণতি হওয়া বিচিত্র নয়।
@আদিল মাহমুদ,
কথাটা ঠিক নয়। নোবেল পাওয়ার অনেক আগেই বদরুদ্দীন ওমর এ নিয়ে লেখালেখি করেছেন। একটা চটি বইও বেরিয়েছিল।
@স্বপন মাঝি,
ইউনূসের হয়ে আমি কোন চারিত্রিক সার্টিফিকেট কিন্তু দেইনি। তার বিরুদ্ধে যা যেসব অভিযোগ শুনেছি তা মোটামুটি সত্য বলেই মনে হয়।
তবে বদরুদ্দিন ওমরের রেফারেন্স শুনে একটু হাসি পেল। আমি আপনি আমেরিকায় কোনদিন থেকেছি শুধু এই অভিযোগে ভদ্রলোক আমাদেরও ফাঁসির আসামী বানিয়ে ছাড়তে পারেন 🙂 ।
আমাদের দেশে কোন মিঃ ক্লীন পাওয়া যাবে বলে মনে করেন?
আমার এ সম্পর্কে মতামত কি তা খুব সংক্ষেপে লীনা ও রূপম ধ্রুবর দুটি কমেন্ট থেকে বলছি।
– আমাদের দেশে যে পরিমান চোর ডাকাত সবার চোখের সামনে, সরকারের ভেতরে ঘুরে বেড়ায় তাদের সবাইকে বাদ দিয়ে ইউনুস সাহেবকে কি এক বয়স সংক্রান্ত কাগুজে আইনের ছূতায় হয়রানি করাটা অতিরিক্ত রকমের দৃষ্টিকটূ ঠেকছে। আমি জানি না তার বিরোধী পক্ষ যারা আছেন তারাও কেউ এই জ্বলজ্যান্ত সত্যটা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ধরা যাক আপনার আশে পাশে বহু খুন ধর্ষন এসবের আসামী হাসিমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনার বাড়িতে এসে দাওয়াত খাচ্ছে তাদের সাথে দোস্তিতে আপনি কোন সমস্যা দেখছেন না, কিন্তু একজন লোক যার অপরাধ হয়ত ট্রাফিক ভায়োলেশন তার সাথে আপনি নৈতিকতার কারনে বন্ধুত্ব করবেন না এটা কেমন শোনায়?
– এটা অনেকটা আমাদের জাতীয় চরিত্র। যার ভাল তার সবই ভাল, যার খারাপ তার সবই খারাপ। ইউনুসকে নিয়ে দুই দিক দিয়েই এটাই প্রমান হয়েছে। যুক্তিবাদী লোকজনেও যখন এই মানসিকতা পোষন করেন তখন কিছুটা হতাশ লাগে।
এই লেখার মূল বক্তব্য কিন্তু ইউনুস কতটা সত লোক বা দেশ ও দশের জন্য তার অবদান আলোচনা নয়। মূল বক্তব্য তাকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে বিতাড়নের সরকারী উদ্যোগের আলোচনা। এই দিক থেকে কি খুব বেশী লোকে এখানে আলোচনা করেছেন? মনে তো হয় না।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে সমস্যাটা ডঃ ইউনুস কে নিয়ে নয়। সমস্যাটা হচ্ছে দুইটি বড় দলের। একটি দলের লোকজনের কাছে একজন লোক যখন খারাপ ব্যাক্তি হিসাবে চিন্হিত হয়, তখন প্রতিপক্ষ দলের লোকজনের কাছে সে ভাল লোক হতে বাধ্য বা ভালো লোক হতেই হবে, এছাড়া কোন উপায় নাই, হউক না সে একজন চোর কিংবা বদমায়েশ। আবার উল্টাটাও প্রযোজ্য। লোকটি আসলে ভাল বা খারাপ এটা কোন মুখ্য ব্যাপার নয় আর কিছু জনগনের কাছে, কারন ওদের কাছে নৈতিকতা বড় নয়, বড় হলো দল। আপনি নিরপেক্ষভাবে যতই সেই লোকটিকে বিচার করুন না কেন, ভাল বা খারাপ মতামত দিতে পারেন, যদিও সব কিছুই প্রমান সাপেক্ষ, আপনার মতামত কোন এক পক্ষ লোকের কাছে কখনই গ্রহনযোগ্য হবেনা।
লেখাটি খবর প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই লেখা, তাই হুবহু কপি -পেস্ট করে দিলাম।
কিছুক্ষণ আগে তসলিমা নাসরিনের একটা টুইট দেখে ব্যাপারটা জানতে পারলাম। ড.মুহম্মদ ইউনুস কে তাঁর গড়ে তোলা গ্রামীন ব্যাংক ছেড়ে দিতে হচ্ছে। নিঊজ
দেখুন, http://www.dawn.com/2011/03/02/bangladesh-nobel-winner-yunus-fired-bank-chairman.html
যে কারণটা দেখানো হয়েছে সেটা খুবই হাস্যকর, বাংলদেশ যেহেতু।
সুইডেন,নরওয়ে মত দেশ হলে আলাদা কথা ছিল। বোঝাই যাচ্ছে রাজনৈতিক ইস্যু থেকেই এটা হয়েছে।
এখন আমার কথা হলো, এতে কতটা লাভ হলো আর কতটা ক্ষতি হলো। মূলকথায় যাওয়ার আগে আমার একটা দু’টো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অভিমত নিয়ে বলি।প্রধানমন্ত্রী এক ভাষনে বললেন গ্রামীন ব্যাংক জনগনের রক্ত চুষে খাচ্ছে।
হ্যা, কথাটা সত্ত্য। আপনি শুধু গ্রামীন ব্যাংকের সুদের হারটা দেখুন,
বুঝতে পারবেন। আমি গ্রামের ছেলে, গ্রামীন ব্যাংকে খুব কাছে থেকে দেখেছি।ব্যাবসার একটা মোবাইল নিতে হলে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত দিতে হয়েছে। মোবাইল হারিয়ে গেছে,নষ্ট হয়ে গেছে, জামানত ও গেছে। এগুলো শুধু এক, দুইটা উদাহরন দিলাম।
আমি বলতে চাচ্ছি, আমিও মানি কথাটা যেটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
আরো একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি, আমি একসময় mahalo.com,ehow.com এসব সাইটের জন্য কনটেন্ট লিখতাম। একবার হলো কি, মাহালো ডট কমে কে একজন যেন প্রশ্ন করলো (ফোরাম এর মত) যে কে কোন চ্যারিটি সংস্থাকে পছন্দ করে, আমি অবাক হয়ে দেখলাম একটা বড় অংশ কথা বলছে ব্র্যাক এবং গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে। ওরা সবাই কিন্তু বিদেশী মানুষ অথচ গ্রামীন ব্যাংকে, ফজলে আবেদ এদেরকে চেনে এবং ভাল মানুষ হিসেবে চেনে।
আরো একটা অভিজ্ঞতা হলো খানিকক্ষণ আগে, তসলিমা নাসরিন কি টুইট করেছে জানেন? “Muhammad Yunus is fired from #Grameen bank. He should now give back his #Nobel to Noway. ; )” (উনি noway ভুলে লিখেছেন, আসলে norway
বুঝিয়েছেন) দেখুন এখানে,
http://twitter.com/#!/taslimanasreen/status/42900053190393856
উনি দেশের মানুষ হয়ে এভাবে বললে, ওই মাহালো ডট কমের মানুষগুলো কি বলবে আর কি ভাববে?? বলেছিতো মানছি উনার গ্রামীন ব্যাংক এতটা ফেরেসতা নয়, তাই বলে বাঙ্গালিদের এভাবে ছোট করা ঠিক হলো? বাইরের বিশ্বে ক্রিকেট আর ইঊনুস
এর জন্যয় বাংলাদেশকে একটু চিনলে চিনে। লাভ ক্ষতি নিয়ে আপনারা ভাবুনগে,আমি বলব আমার লজ্জা লাগছে।
@টেকি সওদাগর, তসলিমা নাসরিনকে আমি অভিহিত করবো একটি জার্ক হিসেবেই, ঠিকাছে? এর কারণ হচ্ছে গিয়ে, কেউ যদি কোন কথা বলার জন্য মুখগহ্বর উন্মিলিত করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার উপর একতা দায়িত্ব বর্তিয়ে যায়, যা সে বলছে তা যেনো সেন্স মেইক করে এটা নিশ্চিত করা। আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় তসলিমাকে একাধিকবার আমি বলতে শুনেছি এমন কিছু কথা যেটা কিনা কোনজাগায় গিয়ে পৌছে না। গ্রামীন ব্যাঙ্ক থেকে ডক্টর ইউনুসকে ফায়ার করা হয়েছে এখন তার নোবেল কেনো নরওয়েতে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে? এটা কি শিশুসুলভ এবং অতিবাঙ্গালীসুলভ একটা ছ্যাচড়া আব্দার না? তসলিমার প্রতি সহানুভুতি আমার যথেষ্টই আছে, কিন্তু চামচামী (বা যেকোন ধরণের ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয়বহনকারী আচরণ) হচ্ছে এমন একটা জিনিষ, এটার প্রসংসা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। এটা খুবই খুবই পরিষ্কার যে ডক্টর ইউনুসকে অব্যহতি দেবার পেছনে রাজনৈতিক অসদিচ্ছা কাজ করছে, যেমন অসদিচ্ছা কাজ করছিলো কিনা কোন গাওগেরামের ভিত্রে গিয়া বিমান না কি ছাতা বানানোর শখ মাথায় চাগা দেওয়ার পিছনে!
@আল্লাচালাইনা,
খুব সত্য কথা। এই সব কথা এখন একজন বালকও বুঝে গেছে।
@টেকি সওদাগর,
আর উনি নির্বাচনের ওয়াদা দিয়েছিলেন ২০ টাকার বেশী চাউলের দাম হবে না কিছুতেই। আর এখন তাই আমরা ৬০ টাকা কেজি চাউল খাচ্ছি। কে কী ভাবে রক্ত চোষে কে জানে।
@ প্রিয় মডারেটর মুক্তমনা,
আমার একটা লেখা প্রথম পেজে থাকার পরেও দ্বীতিয় লেখা দিয়েছি। কিছু মানসিক তাড়নায়। কেননা এ লেখাটার বিষয় বস্তু সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাই। দুঃখিত করার কিছু ছিলনা।
@আফরোজা আলম,
ডঃ ইউনুস নোবেল পুরষ্কার পাবার আগে থাকতেই বিতর্কিত তার ক্ষুদ্র ঋণের আওতাধীন নারীদের সাফল্য নিয়ে এবং তার নোবেল পুরষ্কার নিয়ে বিশ্ব রাজনীতির মারপ্যাঁচ সত্ত্বেও খুশি ছিলাম একজন বাঙালী ও বাংলাদেশীর এ পুরষ্কার প্রাপ্তিতে। পরে তাকে ঘিরে যে সব কাহিনী পত্র পত্রিকায় পড়ছি এতে তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ফকরুদ্দিনের সাহেবের আমলে তার রাজনীতিতে নাম লিখানো নিয়ে তার কাছ থেকে ই-মেইল পাবার পর।একজন মানুষের আকাঙ্ক্ষার বৈচিত্র্য দেখুন।
ডঃ ইউনুস পুরষ্কার হিসেবে প্পৃথিবীর সর্বোচ্চ নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। তাকে কেন এখন বাংলাদেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদটি আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে তা আমার বোধগম্য নয়।
অন্যদিকে, অমর্ত্য সেন তার নোবেল পুরষ্কারের টাকা দিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতে কি করছেন আমরা জানি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে ডঃ ইউনুস তার নোবেল পুরষ্কারের টাকা দিয়ে কি করার পরিকল্পনা করছেন।
তার পরিকল্পনাটি কেউ জেনে থাকলে জানাবেন কি?
@গীতা দাস,
ব্যাপারটা স্পর্শ কাতর এবং অনৈতিক বটে।
নিশ্চয় জানবেন। এমন নিশ্চয় হবে না যে নোবেল পুরষ্কার উত্তর সূরি হিসেবে রাজনৈতিক দলের মত কারো পুত্র ,বা কারো কন্যাকে বসিয়ে দিবেন।
আমার উলটো পত্র পত্রিকায় যা পড়ছি আমার তাতে করে তার প্রতি শ্রদ্ধা আরো গভীর হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এই দশ বছর কোথায় ছিলো তাও জানতে ইচ্ছে করে।
দুষ্টু লোকের কথা। প্রধানমন্ত্রী এক সময় শান্তি চুক্তির করার কারনে নোবেল পাবার জন্যে অনেক দহররম মহররম করেছিলেন। তাও লাভ হল না।
আর কোথাকার কে রক্তচোষা ইউনূস কিনা নোবেল পেয়ে গেলেন? হিংসা মানুষ কোথায় নিয়ে যায়। হায় হায়। :-Y
@গীতা দাস,
গ্রামীণ ব্যান্কের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির কথিত সাফল্য এবং কিছু কর্মপন্থা (যেমন অত্যন্ত উঁচু হারের সুদ, বকেয়া পাওনা আদায়ের কঠোর ব্যবস্থা, ইত্যাদি) কে বৈধভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। কিন্তু সেসব নিয়ে বর্তমান সরকারের কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয়না। তারা অবসর গ্রহনের বয়সের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভয়ানক ব্যস্ত আছেন বলে মনে হচ্ছে।
ডঃ ইউনুসের নোবেল পাওয়ার পিছনে কিধরনের “বিশ্ব রাজনীতির মারপ্যাঁচ” ছিল তা জানতে ইচ্ছে করছে। ইউনুসের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি; কিন্তু এই অভিযোগটা আগে শুনিনি। হেনরী কিসিন্গার, ইয়াসের আরাফাত কিংবা মেনাকেম বেগিন এর মত কেও নোবেল পুরষ্কার পেলে সন্গতভাবেই সেখানে রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে অনুমান করা যায়। কিন্তু ইউনুস নোবেল পেলে তাতে কোন দেশের কি রাজনৈতিক সুবিধা/অসুবিধা হতে পারে বা হয়েছে সেটা ঠিক বুঝতে পারছিনা। আপনার জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
আপনি আশা করি মুক্তমনায় প্রকাশিত ড: মিজান রহমানের “শূ্ন্য” প্রবন্ধটা পড়েছেন। সেখানে অনেক মানুষের কথা আছে যারা একাধিক ক্ষেত্রে মৌলিক অবদান রেখেছেন এবং নাম করেছেন (যেমন ওমর খৈয়াম, দেকার্ত, ইত্যাদি)। আমেরিকার ইতিহাসে বেন্জামিন ফ্রান্কলিন একাধারে নামকরা লেখক, রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানী ছিলেন। তাদের “আকাঙ্ক্ষার বৈচিত্র্য” আপনার কাছে কেমন মনে হয় জানাবেন।
সরকারি কর্মচারিদের জন্য প্রযোজ্য আইন কিভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য “প্রচলিত আইন” হয়ে গেল, সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদটি আঁকড়ে ধরে থাকতে ড: ইউনুস মোটেই চাননি; এক বছর আগেই অবসর গ্রহনের ইচ্ছ প্রকাশ করেছিলেন। ডেইলি ষ্টারে প্রকাশিত ইউনুসের লেখা একটা চিঠির অংশ বিশেষ দেখুন।
15 March, 2010
Dear Muhith Bhai,
Grameen Bank was created at your own initiative. Now is the time for the bank to move to its next phase. I will have to step down from the post of managing director of Grameen Bank. I’ll hand over the responsibilities of this organisation to the second generation. But the handover process must be smooth. I am really fortunate that the responsibility of overseeing this transition has fallen on you.
The transition process may begin in the following way:
The tenure of the present chairman of Grameen Bank board, Mr. Tabarak Hossain, will end on 26 April, 2010. We can begin the transition process keeping this date in mind.
………………………..
………………………..
Please accept my best wishes.
Yours truly,
Muhammad Yunus
পুরো চিঠিটা নীচের লিন্কে পাবেন।
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=176460
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ইউনুস নাকি গরিবের রক্ত চোষেন। অন্যেরা অভিযোগ করেছেন গ্রামীণ অত্যন্ত উঁচু হারের সুদে টাকা ধার দেয় এবং বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্য অতিরিক্ত কঠোর ব্যবস্থা নেয়। এগুলো গুরতর অভিযোগ। এগুলোর পূর্ণ তদন্ত দরকার বিশেষ করে যখন শত শত গরিব মহিলাদের ভাগ্য এর সাথে জড়িত। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে ইউনুস চলে যাওয়ার পরেও গরিব মহিলাদের ভোগান্তি হতে থাকবে। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে অবসর গ্রহনের বয়স নিয়ে এত বাকবিতন্ডা আমার কাছে রীতিমত বালখিল্যতা মনে হচ্ছে।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
আপনার সুন্দর ও যুক্তি পূর্ণ বক্তব্য’কে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই বিষয়ে আমি একটু নিচের দিকে গেলে কিছু আইনি তত্থ্ব তালাশ দিয়েছি। আপনি দয়া করে দেখে নেবেন কি, আমি ঠিক ঠাক লিখেছি কিনা। লেখা যেখান থেকে সংগ্রহ করেছি নামও উল্লেখ করেছি।
@আফরোজা আলম,
আপনার “স্বাগতম” এর জন্য ধন্যবাদ।
আমি আইন বিশেষজ্ঞ নই। আপনার উদ্বৃতির মধ্যে আমার চোখে কোন অসংগতি বা ত্রুটি ধরা পড়েনি।
@গীতা দাস,
গীতাদি আপনার কথার সাথে আমি শতভাগ একমত| এ নিয়ে ২০০৭-এ ( আমার লেখার সন-টা ভুল উঠেছে)মুক্তমনাতেই “এক স্বপ্নচারী মানুষের স্বপ্নের মুখোশ” শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম| এখানে লিঙ্ক দিলামঃ
http://www.mukto-mona.com/Articles/bhajan_sarker/Dr.Yunus.pdf
ধন্যবাদ|
@গীতা দাস,
সাধু, সাধু।