১ মার্চ

গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বপালন আইনগত
ভাবে বৈধ নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচীব এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পরিচালনা
পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। ( প্রথম আলো)

৩ মার্চ
বড় বড় লাল অক্ষরে সেদিন প্রথম আলো পত্রিকার হেডিং ছিল,

ডঃ ইউনূসকে অব্যহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরো আছে এমন খবর আরো আছে যেমন,
ডঃ ইউনূসকে নিয়ে মার্কিন দূতাবাস ও ‘ ফ্রেন্ডস অব গ্রামীণের উদ্বেগ’।

৪ মার্চ-

আদালতে গেলেন ডঃ ইউনূস আরো হেডিং – ‘অসন্তুষ্ট ও বিচলিত কূটনিকেরা’

আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে এই সব খবর পড়ছি। আর অবলীলায় হজম করে যাচ্ছি। সাধারণ জনগনের মনের কথা তাদের ক্ষোভ তাদের আহাজারি শোনার সময় নেই আমাদের বিজ্ঞ সরকারের। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের।
কেননা এখন তাদের অবস্থান আকাশের চাইতেও উঁচুতে। যেখানে তাকাতে গেলে ঘাড় শরীর নুইয়ে তাকাতে হবে। ব্যাকা হয়ে যাবে আমাদের মাথা আমাদের দেহ। কেননা ইনারাই দেশের ভাগ্য বিধাতা ইনারাই দেশের মালিক। সাধারণ মানুষের অনুভূতির কথা ভাবার মত তুচ্ছ সময় তাঁদের হাতে নেই। তাই তো দেখি একজন নোবেল বিজয়ীকে জামিনের জন্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটোছুটি করতে।
কি লজ্জ্বা কি লজ্জ্বা! আমরা দেখছি। আমরা কিছুই পারছিনা করতে?
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যখন এই ব্যক্তিত্বকে ‘রক্ত চোষা” বলে আখ্যায়িত করেন তখন ব্যাথায় বুক ভারি হয়ে ওঠে।
যে মানুষটি পৃথিবীর সব চাইতে সম্মানী মানুষের একজন, তাকে এই দেশের সরকার এই দেশের এমন অসম্মান উক্তি করতে পারে তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
সাধারণ মানুষ এতো সচেতন তারা জানে এটি হচ্ছে প্রফেসর ইউনূসকে হেনস্থা করার এক একটা হিংস্র প্রচেষ্টা।
কি অকৃজ্ঞ আমরা। যে মানুষটা এই দেশের জন্য একটা বিরল সম্মান বয়ে আনলেন তাঁর আজকে এমন অবস্থা
আমরা প্রতক্ষ্য করছি।
আমরা কি কিছুই পারিনা করতে এর বিরুদ্ধে? কেবল রুদ্ধ রোষে নিজ বিবেক’কে কুটি কুটি করা ছাড়া?
তাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের কথার পুনুরুক্তি করি,

‘ সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে পরিচিত হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে।
এই সরকার বিশ্বাস করুক আর না-ই করুক, এই দশকে পৃথিবীতে বাংলাদেশ পরিচিত হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস’কে দিয়ে। “

দুষ্টু জনের উক্তি- নোবেল প্রাইজটা ছিনিয়ে নিলেই এতো রস মজে যেত- কি জঘন্য বাক্য। যখন এই সব চলছে তখন আমাদের দেশেই অন্যদেশ হতে আগত নোবেল বিজয়ী’কে আমরা কি অভ্যার্থনা জানাচ্ছি। তাঁকে নিয়ে কি আদর আপ্যায়ন চলছে। তা চলুক। সম্মানি যিনি সব দেশেই তাঁর সমান সম্মান প্রাপ্য। কিন্তু তাই বলে আমাদের সরকার কী নোবেল বিজয়ীকে নূনতম সম্মান জানিয়ে বিদায় দিতে পারেনা?

আমাদের প্রতিবাদের সময় কি এখনো আসেনি? কি ভাষায় কোন ভাষায় এই ঘৃন্য কাজের নিন্দা জানাবো?
কী ভাবে করতে পারি এর প্রতিকার আপনারা কেউ জানেন কী?