কেমন হয় , যদি বলি বিবর্তনবাদ সত্য , তবে ডারউইন যেটা বলেছিলেন , তার থেকে কিছুটা ভিন্ন?
কেমন হয় , যদি বিবর্তনের এমন একটা নুতন মডেল থাকত , যেটায় জীবাশ্ম ( fossils ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী লক্ষ লক্ষ বছর ধরে জীবের প্রায় কোনই পরিবর্তন না ঘটার ….. অতঃপর হটাৎ ঘটে যাওয়া ক্যাম্ব্রিয়ান বিষ্ফোরনের (Cambrian Explosion) ব্যাখ্যা থাকত? ক্যাম্ব্রিয়ান বিষ্ফোরন: প্রায় রাতারাতিই হাজার হাজার নুতন জীবের প্রেক্ষাপটে আগমন।
কেমন হয় , যদি “বিবর্তনবাদ বনাম সৃষ্টিতত্ত্ববাদ” , হয় এটা নয় ওটা এই অবস্থান না নিয়ে “দুটৈ+আরো কিছু” অবস্থান নিতে পারি?
কেমন হয় , যদি জীবাশ্ম নিয়ে অন্তহীন বিতর্ক না করে , আমরা ‘1’ ও ‘0’ র মতৈ নির্ভুলভাবে বিবর্তনের ইতিহাস জানতে পারতাম?
কেমন হয় , বিজ্ঞান ও বিশ্বাস যদি অনন্তর পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত না থাকে?
এ সকল কিছুই শুধু সম্ভব-ই নয় , বরং বর্তমানের বাস্তবতা। আমি জানি এটা একটা অসম্ভব দাবী , তবে সকলের কাছে অনুরোধ , একটু ধৈর্য ধরে আমার কথাগুলো পড়ে দেখুন নির্বোধের মতো কিছু বলছি কি না।
সত্যি সত্যিই আমার কাছে বিবর্তনের একটি নুতন থিওরী আছে। শুধু তাই নয় , এই নুতন থিওরীর সাহায্যে আগামি ৩-২০ বছরে নুতন কি আবিষ্কৃত হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব হবে।
ডারউইন ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে , জীবাশ্মের সাহায্যে দেখানো সম্ভব হবে , কিভাবে সরল এককোষী জীব নিয়মিত গতিতে ক্রমে ক্রমে বহুকোষী ও জটিল জীবে বিবর্তিত হয়েছে। এখন এটা সর্বজন বিদিত যে , নিয়মিত গতিতে বিবর্তন না ঘটে লাফ দিয়ে দিয়ে বিবর্তন ঘটেছে , অর্থাৎ লম্বা সময় স্থিতীশীল থেকে হটাৎ হটাৎ সামনে ঝাপ দিয়েছে।
স্টিফেন জে গৌল্ড এর নাম দিয়েছেন ‘বিরাম ভারসাম্য’ (punctuated equilibrium)। ঐ সময়ে এটা কিভাবে ঘটেছিল , তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু আজ আমাদের হাতে অনেক যোগসুত্র ( clues ) আছে , যার সাহায্যে এর উত্তর পাওয়া সম্ভব।
ডারউইন বলেছিলেন বিবর্তনের চালিকাশক্তি হলো বিক্ষিপ্ত পরিব্যক্তি (random mutation) ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের যোগফল।
ডারউইনের এই মতবাদ আধা সঠিক এবং আধা ভুল। ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচনের ব্যাপারে অবশ্যই সঠিক ছিলেন।
পক্ষপাতহীন ভাবে বল্তে গেলে প্রাকৃতিক নির্বাচন যে সঠিক , এটা জানতে রকেট সায়েন্স জানা লাগে না। দুর্বলের মৃত্যু ঘটে আর সবলেরা বেচে থাকে। আমার মনে হয় আমাদের গুহা মানবেরা ও এর সাথে পরিচিত ছিল।
(রহিম করিমের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করল এবং মেরে ফেলল। অতঃপর দুজনেই ক্ষুধার্ত বাঘের পেটে গেল। Survival of the fittest…. এটাই স্বাভাবিক।)
প্রাকৃতিক নির্বাচনের কোন সৃজনশক্তি নেই , যেটা করে তা হলো প্রসবকৃত শাবকগুলোর ক্ষুদ্রতমটিকে বা বামন গাছটিকে মেরে ফেলা।
বিবর্তনের মূল চালিকাশক্তির রহস্য বিক্ষিপ্ত পরিব্যক্তির (random mutation) মাঝেই নিহিত হতে হবে।
ডারউইন , তার সময়ে, বিশ্বাস করতেন বিক্ষিপ্ত পরিব্যক্তির বা ভিন্নতার ( variation ) মধ্য দিয়েই সকল প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে। তিনি বলেছিলেন : বেশিরভাগ সময় এটা ক্ষতিকারক , কিন্তু কখনো কখনো এটা সকল ধরনের সুন্দর ও নুতন আকার দিতে সাহায্য করে , মনে হয় যেন নকশা করা।
বিক্ষিপ্ত পরিব্যক্তি কি? সকল জীববিজ্ঞানের বইয়ে বলা হয়েছে- এটা দুর্ঘটনাজনিত ‘ডিএনএ’র ভুল নকল বা প্রতিলিপি। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী , এটা আসলে অবিশুদ্ধ ডাটা ( corrupted data ), যা মাঝে মাঝে ক্ষতি না করে , উপকার করে।
এখানেই ডারউইন ও জীববিজ্ঞানের বইগুলো ভুল করছে।
একজন প্রকৌশলীর দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে এটা ১০০% ভুল। প্রকৌশলের এমন কোন বিভাগ নেই , যেখানে দেখানো সম্ভব অবিশুদ্ধ ডাটা ক্ষতির বদলে উপকার করে। এটা সব সময় ক্ষতিকারক। ভুল নকল বা ভুল ডাটা প্রেরন (data transmission) কখনোই সঙ্কেতকে (signal) কে সাহায্য করে না। তারা শুধু ক্ষতিই করে।
অনুগ্রহ করে ভুল বুঝবেন না। আমি বলছিনা যে বিবর্তন ঘটে নি বা ঘটবে না। এটাই বলতে চাচ্ছি যে , ডারউইন যেভাবে বলেছিলেন , ঠিক সেভাবে ঘটেনি। ভিন্নভাবে বিবর্তন ঘটেছে।
কিভাবে বিবর্তন ঘটেছে তা বিস্তারিতভাবে বলার আগে , বিক্ষিপ্ততা (randomness ) কিভাবে তথ্যকে জঞ্জাল (garbage) বানিয়ে ফেলে তার ব্যাখ্যা করা দরকার।
আমরা নিচের বাক্য দিয়ে শুরু করতে পারি।
“The quick brown fox jumped over the lazy dog”
এখন যদি আমরা বিক্ষিপ্ত বা এলোপাতাড়িভাবে এই বাক্যের বর্ণগুলো পরিবর্তন বা মিউটেট করি , তাহলে নিম্নের বাক্যগুলোর মতো দেখা যাবে।
The 6uHck brown fox jukped over the lazyHdog
Tze quick bro0n foL juXped over the lazy doF
Tae quick browY fox jumped oGer tgePlazy dog
The iuick brown fox jumped lver the lazy dog
The quiikQbKowSwfox .umped oveh the lazy dog
আপনি দুনিয়ার সকল প্রাকৃতিক নির্বাচন এর পরে প্রয়োগ করার পরেও একটি সুন্দর বাক্যকে ধ্বংশ ছাড়া কোন বোধগম্য বাক্য তৈরী করতে পারবেন না। www.RandomMutation.com এই ওয়েবসাইটে যেয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
এটা কেন কাজ করে না? কারন হলো , একেকবারে একটি বর্ণ পরিবর্তন করে একটি বাক্য তৈরি করা কখনৈ সম্ভব নয় , ইচ্ছাকৃত ভাবে চেষ্টা যদি করেন তবু ও।
প্রযুক্তিগতভাবে , এটা হয় কারন সকল বিক্ষিপ্ত পরিব্যক্তি (random mutation) হলো গোলমেলে বা অতিরিক্ত শব্দ (noise) , যা সঙ্কেতকে (signal) ধ্বংশ করে। ক্লড শ্যানন এটাকে বলেছেন – তথ্য এন্ট্রপি। এন্ট্রপি কখনো বিপরিতমুখী হয় না। অতিরিক্ত শব্দ কখনৈ সঙ্কেতের উন্নতি করে না , বরং সঙ্কেতকে গোবর বানিয়ে ফেলে।
বিবর্তন সফল হওয়ার একটাই রাস্তা , আর তা হলো যদি বিবর্তন ভাষার নিয়ম অনুসরন করে।
সুতরাং.. সফল বিবর্তন ঘটলে বাক্যটি এমনটাই দেখাবে
The fast brown fox jumped over the slothful dog.
The dark brown fox jumped over the light brown dog.
The big brown fox leaped over the lazy dog.
The quick black fox sped past the sleeping dog.
The hot blonde fox sauntered past the sunbathing man.
ইংরেজিতে সফল বিবর্তনের জন্য প্রয়োজন বিশেষ্য ও ক্রিয়া পদের নির্ভুল প্রতিস্থাপন এবং ভাষার নিয়ম অনুসরন করা।
‘ডিএনএ’ ও এর ব্যাতিক্রম নয়। কারন ‘ডিএনএ’র নিজস্ব ভাষা আছে। ফ্যাক্ট হলো , হাজার হাজার ভাষাবিদ মানব জেনোম প্রজেক্টে জীনের ডিকোড বা অর্থোদ্ধারে সাহায্য করেছেন। ডজন ডজন ভাষার বইতে বর্ননা করা হয়েছে ‘ডিএনএ’ ও মানুষের মুখের ভাষার মধ্যেকার রহস্যজনক সাদৃশ্য নিয়ে।
পরের পর্বে নুতন বিবর্তনবাদ নিয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হবে।
Newsweek Magazine: “Was Darwin Wrong About Evolution?”
http://www.newsweek.com/id/180103
“Darwin: Brilliantly Half Right, Tragically Half Wrong”
http://www.cosmicfingerprints.com/blog/darwin-half-right/
“A 3rd Way” – James Shapiro’s 21st century view of evolution
http://shapiro.bsd.uchicago.edu/Shapiro.1997.BostonReview1997.ThirdWay.pdf
একটি নুতন বিবর্তনবাদ – ভিন্ন চিন্তা (২) , বেশ কিছুদিন হলো জমা দেয়া হয়েছে প্রকাশের জন্য। সিরিজটা মাঝপথে মডারেশন না করে বিজ্ঞ বিজ্ঞান মনস্ক মুক্তমনা (?) ব্লগারদের বিবেচনার উপরে ছেড়ে দেয়াই কি উচিৎ নয়?
@ফারুক,
আপনার ২য় পর্ব আমাদের এডমিন প্যানেলের জীববিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছিলো। তাদের কাছ থেকে যে মতামত পাওয়া গেছে তা নিম্নরূপ –
প্রোটোজোয়া বর্তমানে কোন জীব বিজ্ঞানের পরিভাষা নয়। এমনকি এটার কোন সঠিক ক্লাসিফিকেশন এখনও সম্পূর্ন হয়নি। এমিবাকে এই গ্রুপে ( Protists) ফেলা যায় একটা পরজীবি এককোষী ইউকারিওট হিসেবে।
Barbara McClintock ভুট্টার বিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন এবং তা প্রতিষ্ঠিত মতবাদের সাথেই সঙ্গতিপূর্ন। মেন্ডেলের মটরশুটির উপর করা কাজটাকে তিনি জেনেটিক ভিত্তি দেন।
আপনার লেখার মুল সমস্যা অন্যত্র। ১ম পর্ব থেকেই আপনি একটি আইডি সাইট থেকে হুবহু কপি এণ্ড পেস্ট করছেন। সাইটটি এখানে –
http://www.cosmicfingerprints.com/blog/new-theory-of-evolution/
ইংরেজী সাইট এবং আপনার লেখা তুলনা করলে যে কোন পাঠকই বুঝবেন যে, আপনি ইংরেজী সাইটটি থেকে থেকে লাইন বাই লাইন লিখে টুকে যাচ্ছেন। এভাবে কোন সাইট থেকে লেখা কপি করে নিজের ব্লগে নিজের নামে পোস্ট করা প্লিইজারিজম এবং আমাদের মুক্তমনার নীতিমালার পরিপন্থি।
এর আগেও বিজ্ঞানের আড়ালে অপবিজ্ঞান প্রচারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিলো। এ ব্যাপারে আমাদের নীতিমালা মেনে আপনি ভবিষ্যতে লিখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
@মুক্তমনা এডমিন,
:-O :-O
এই ধরনের চুরি ঠেকাতে হলে কিছু ব্যবস্থা রাখা দরকার। এই বিষয়টি আরো আগেই এখানে জানিয়ে দিলে অহেতুক ক্যাচাল পারতে হতো না মুক্তমনা ব্লগারদের।
মুক্তমনার এডমিনদের জন্য :clap ।
@মুক্তমনা এডমিন,এইটা কি কইলেন?
আমরা তো স্কুলে প্রোটোজোয়া নামেই পড়ে এসেছি। এখনো গুগলে সার্চ দিলে প্রচুর প্রোটোজোয়া পাওয়া যাইতেছে। :-O
The protozoa are one-celled animals and the smallest of all animals. Most of them can only be seen under a microscope. They do breathe, move, and reproduce like multicelled animals. They live in water or at least where it is damp. Animals in this group include the paramecium, the euglena and the ameba.
Some protozoans are harmful to man as they can cause serious diseases. Others are helpful because they eat harmful bacteria and are food for fish and other animals.
http://www.mcwdn.org/Animals/PROTOZOA.html
নুতন থিওরীটা আমার কাছে বিজ্ঞান-ই মনে হয়েছে , অপবিজ্ঞান নয়। মনে করেছিলাম এই ব্লগের বিজ্ঞান বোদ্ধাদের আলোচনায় এই বিষয়টা পরিস্কার হবে। তাছাড়া আমার নিজস্ব কিছু বক্তব্য ও ২য় পোস্টে আছে। আপনারা প্রকাশ না করলে কি আর করা?
আমি তি আর বিজ্ঞানী নই যে আমি মৌলিক লেখা লিখব। কোথাও না কোথা থেকে কপি সামান্য পরিবর্তনসহ না করলে কি করে লিখব?
তবে বাংলাভাষী ও সকল পাঠকরা যাতে এটা পড়ে তুলনা করতে পারেন , সেকারনে এখানেই মন্তব্য হিসাবে দিলাম। আশাকরি আপনাদের কোপানলে পড়ব না।
@ফারুক,
মুক্তমনা মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব কী হচ্ছে? :-O
এডমিন কোনো লেখা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর উনি তা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মন্তব্যে তা প্রকাশ করে দিলেন!! :-Y এটা কি ব্লগের নীতিমালার সরাসরি বিরোধিতা নয়?
@ফারুক,
মুক্তমনা মডারেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ লেখাটি আমাদের নীতিমালার সাপেক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ এবং ছাপানোর পরিপন্থি। আপনি সেই সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে আপনি লেখা মন্তব্যে প্রকাশ করে দিলেন। আপনার লেখা প্লেইজিয়ারিজমের দায়ে অভিযুক্ত। তারপরেও আপনি সেটার কৈফিয়ত না দিয়ে নিয়ে পুরো লেখা মন্তব্যে প্রকাশ করে দিচ্ছেন।
আপনি নীতিমালা মেনে না চলে খেয়াল খুশি মত আচরণ করলে আপনাকে মডারেশনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে শেষ বারের মতো আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন,
কেন , কৈফিয়ত তো দিয়েছি মন্তব্যে। মন্তব্য থেকেই কোট করছি-
মন্তব্যের মডারেশনের গাইডলাইন দেখেতো মনে হলো না মুক্তমনার আইন ভঙ্গ করেছি। –
৩.১ ও ৩.২ অনুযায়ীই আমার মন্তব্য করেছি বলে আমার ধারনা।
@ফারুক,
না দেননি। আপনি ইংরেজী সাইট থেকে কাট এন্ড পেস্ট করে লেখা লিখছেন। কোন সাইট থেকে কপি করেছেন সেই সাইটের লিঙ্ক দেওয়াই আছে। এ ব্যাপারে আমারদের নীতিমালা অত্যন্ত কঠোর।
আপনি এ নিয়ে আর কথা না বাড়ানোই শোভন হবে।
@মুক্তমনা এডমিন,
ফারুক সাহেবের কাছে পেচানোর মত লম্বা ত্যানার অভাব নেই, তিনি অবশ্যই আসবেন। ইতিমধ্যে আমি জানতে চাই প্লিইজারিজম এর বাংলা কী? কোনদিন হয়তো কাজে লাগতে পারে।
@আকাশ মালিক,
প্লিইজারিজম (আমি উচ্চারণ করি, প্লিজেরিজম) শব্দটি আগে ব্যবহৃত হতো সাহিত্য চুরি বোঝাতে। যেমন ধরুন আমার একটা লেখা অজনপ্রিয় বই থেকে হুবহু কিছু অংশ আপনার বইয়ে লিখে দিলেন, আমাকে কোনো ক্রেডিট না দিয়েই।
কিন্তু এখন এটাকে আসলে বলা উচিত ডিজিটাল প্লিইজারিজম। সার্চ ইঞ্জিনগুলো এই অভ্যাসকে মোটেও দেখতে পারে না। প্রচুরভাবে এই অন্যায় করতে থাকলে ওদের সার্চ-ইনডেক্স থেকেও ব্যান করে দিতে পারে কোনো সাইটকে। কারণ ১) এটা অন্যায়, ২) সার্চ ইঞ্জিন চায়না যে তার ব্যবহারকারী বিভিন্ন সার্চ-ফলাফলে ক্লিক করে বারে বারে একই বিষয় দেখুক।
এর সমাধান হলো, আপনি কোট করতে পারেন blockquote> /blockquote> (সামনে একটা করে “<" বসাতে হবে, আমি বসাতে পারছি না কারন তাহলে মুক্ত-মনা একটা কোট ঘর দেখাবে, ট্যাগটার বদলে।) এই HTML ট্যাগ দিয়ে। এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কনসর্টিজম কতৃক অ্যাপ্রোভড এবং এটি দিয়ে পরিষ্কার বলে দিতে পারেন "ভাই এই এইয়া মোর কনন্টেন্ট না, মাইন্ড খাইয়েন না :)) "
ধন্যবাদ
ফারুক বলেছে শিখতে চায় এবং বেশ কয়েকজন মন্তব্য করেছে যে মুক্তমনার আর্কাইভ পড়ার জন্য । কিন্তু সে সেখান থেকে কোন মতামত দেয় না। তার মানে হল সে তা পড়েনি এবং পড়তে চায়না। তাহলে তার এখানে লেখার উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হতে পারে নিন্মরুপ-
১. মুক্তমনার সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করা। কিভাবে? তার উদ্ভট লেখাগুলো পড়ে কেউ কেউ রেগে মেগে ডাণ্ডা দিয়ে ঠাণ্ডা ( যুক্তিতে কাজ না হলে এমন হওয়ারই কথা।) করার চেষ্টা করবে। এতে অনেক নতুন পাঠক গুঁতাগুঁতি দেখে মুক্তমনা সম্বন্ধে খারাপ ধারনা পোষণ করবে। ফারুকদের উদ্দেশ্য হাসিল হবে।
২. তার আপাত নিরীহ (ভণ্ড পীর টাইপ) মন্তব্যগুলোতে কিছু নতুন পাঠক তার পক্ষে চলে যেতে পারে এবং তাদের আস্তানায় ( ছাগু ব্লগে) তার সাথে গলা মেলাতে পারে। ফারুকদের উদ্দেশ্য হাসিল হবে।
৩. সমালোচিত হয়ে লাইম লাইটে আসতে পারে ( লজ্জা না থাকলে সমস্যা না হওয়ারই কথা)।
জনাব ফারুক, মুক্তমনায় খোলা মন এবং শিখার ইচ্ছা নিয়া আসুন, না হলে স্বেচ্ছায় চলে যান। বিরক্তি উদ্রেক করবেন না প্লিজ।
@হেলাল,অসাধারন বিশ্লেষন। :clap
আল্লাহচাল্লাইনার মন্তব্য পইড়া আমার ধর্মানুনুভূতি পত্থমে লাফাইয়া উঠিছে, তারপর আহত হইচে আর এরপর নিহত হইচে।
নিঃসন্দেহে আল্লায় এই মন্তব্য দেইখা আরশের চিপা দিয়া কচ্ছপের লাহান মাথা বের করতাছে আর ঢুকাইতাছে।
মুক্তমনায় কাটালপাতা সরবরাহ বন্ধ করেন, ছাগুরা এমনিতেই চইলা যাইব।
@মুকুল, হাছা কথা। :-X
আমার মতো আপনাদের যাদের অন্যান্য ব্লগেও ঘোরাফেরার অভ্যাস আছে, আমি নিশ্চিত আর বাকি প্রায় সবকয়টি ব্লগেও আপনি এই ‘ফারুক’ চরিত্রটিকে দেখবেন; আর যদি না দেখেন তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে এই ব্লগ থেকে ফারুককে ইতিমধ্যেই বের করে দেওয়া হয়েছে। বের করে দেওয়াটা হয়তো কর্তৃপক্ষের ব্যাপার, সেটা কোন সমস্যা নয়, তবে ব্লগের অন্যান্য সদস্যদের মাঝেও ফারুকের রিসেপশন কেমন সেটা যদি তদন্ত করে দেখতে চান তবে দেখবেন যে- এ এই কোনা থেকে ওকে গালি মারে, ও ঐ কোনা থেকে জুতা মারে ইত্যাদি ইত্যাদি। কেনো বাংলা ইন্টারনেটের প্রত্যেকটি কোনাকাঞ্চি থেকেই ফারুক পেয়ে আসছে খালি রিজেকশন, রিজেকশন আর রিজেকশন? এর কারন হচ্ছে গিয়ে ফারুক একটি এনয়িং চরিত্র যার কিনা রয়েছে আস্তিক-নাস্তিক উভয়পক্ষ হতেই উপর্যুপোরি গনবলাতকার লাভের এক কিম্ভুত ফেটিশ! আমি যেই দেশে থাকি সেখানে চলিত ভাষায় এই ধরণের কাজকর্মের একটি সুমধুর নামও রয়েছে যাকে কিনা বলা হয় piss taking। আমার প্রশ্ন হচ্ছে মুক্তমনায় ঠিক কতোটুকু piss taking সহ্য করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে? মানে ফারুক এই পর্যন্ত তিনটি চুল-চামড়া পোস্ট লিখেছে, আরও কয়টি চুল-চামড়া পোস্ট লিখার পরে মুক্তমনার মনে হতে থাকবে যে- ‘নাহ! এইবার যথেষ্ট হয়েছে!!আর নয়’? যদি একটা স্পেসিফিক সংখ্যা আমরা জানতে পারি তবে খুউব খুউব ভালো হয়; কিংবা সংখ্যাটা যদি অসীমও হয় যে- ফারুক যতো খুশী ভুত খেদানো পোস্ট লিখে যেতে পারবে, সেটাও সকলকে জানিয়ে দেওয়া উচিত বলেই আমার মত! এছাড়াও এই পর্যন্ত যেই তিনটি পোস্ট ফারুক লিখেছে, এবং এই তিনটির একটিও যে কোনো পোস্ট হয়নি, এটা আপনি বোঝেন আমিও বুঝি এবং আমার সন্দেহ এমনকি ফারুক নিজেও বোঝে। কিছুদিন আগে ফারুক নাকি একটা পোস্ট মুক্তমনায় লিখেছিলো, নিন্মমানের পোস্ট বিধায় যেটা কিনা প্রকাশিত হয়নি। ঠিক হঠাত কি কারণে ফারুকের পরবর্তী তিনটি পোস্ট বহতই উচ্চমানের কোন একটা কিছু বলে বোধ হতে থাকলো মুক্তমনার কাছে?
মুক্তমনায় একটা জিনিষ আমার ভালো লাগে যে বেশীরভাগ সময়ই এখানে প্রথম পাতায় অন্তত একটা পোস্ট থাকে যেটা কিনা পড়া যায়, আলোড়িত হওয়া যায়; যেই জিনিষটা কিনা অন্যান্য বাংলা ব্লগের বেশীরভাগ গুলোতেই থাকে না। আমার মনে হয় এটার কারণ হচ্ছে- মুক্তমনা স্বভাবগতভাবে সমুন্নত করে একটি sense of education. শুধু মুক্তমনাই নয় ব্যক্তিপর্যায়েও প্রত্যেকটি নাস্তিক কিন্তু সমুন্নত করে এই একই সেন্স, কেননা অন্তত কিছুটা পড়াশুনা না জেনে নাস্তিক হওয়া কঠিন, শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন না করে নাস্তিক হওয়া অসম্ভব। এমতাবস্থায় ক লিখতে তেত্রিশ কলম ভাঙ্গা একটা ইসলামিস্টের পক্ষে এটা বলা কিন্তু খুবই সহজ যে-‘প্রত্যেকটি জীববিজ্ঞানের বই-ই ভুল’, এবং এই একটি বাক্যই কিন্তু প্রতিফলিত করে যে- এই বক্তব্যকারী নিজে কতোটুকু পড়াশুনা জানে। এছাড়াও ফারুক কতোটুকু পড়াশুনা জানে এটা কিন্তু তার কর্মকান্ড, তার যা বলার রয়েছে, যা তার বক্তব্য-অভিমত ইত্যাদিও খুবই ভালোভাবে প্রতিফলিত করে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। ইন্টারনেটের যুগে অশিক্ষার দোষ সুযোগের অভাবের উপর চাপিয়ে দেওয়া কঠিন। মুক্তমনাকে হরেকরকমের পাগল-ছাগলের গার্ডেন-পার্টি রুপে দেখতে চাই না।
অনেকে জেনে থাকবেন হয়তো, ইসলামিস্টদেরকে ব্লগীয় বাংলায় একটি সুমধুর এপিথেট দেওয়া হয়েছে স্বতস্ফুর্ত ভাবে, ‘ছাগল’ নামে। সাদালাপের বেড়াভাঙ্গা ছাগল গলার তলায় হাত বুলোতে বুলোতে এনে ধরে আদর করে মুক্তমনায় পুনর্বাসন করানোর মানেটা কি এটা আমার কাছে এখনও পর্যন্ত একটা মিস্ট্রি! মুক্তমনায় প্রায় একবছর ধরে নিয়মিত আছি, এবং প্রতিষ্ঠিত কোর্স অফ কন্ডাক্ট হিসেবে এটা দেখেছি যে- সদালাপ থেকে একটা ছাগল আনা হয়, কয়েকদিন পর ছাগল চলে যায়, আবার নতুন আরেকটা বা দুটো ছাগল আমদানী করা হয়। এটা কি বিনোদনের উদ্দেশ্যে? অস্বীকার করবো না যে আমার নিজেরও ছাগল নিয়ে অনেক ফ্যাসিনেশন আছে, কেননা ছাগল আনন্দ দিতে জানে। আনন্দলাভের জন্য ছাগল দেখতে ব্যক্তিগতভাবে আমি কাঁঠালবাংলা ব্লগে মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়ারই বেশী পক্ষপাতী, কেননা সেখানে একইস্থানে অনেক ছাগল দেখতে পাওয়া যায়। একটা দুটো ছাগল মুক্তমনায় চড়তে দিলে মানুষের বিরক্তি উদ্রেক করা ছাড়া আর কোন লাভই হয়না।
@আল্লাচালাইনা, ধন্যবাদ , বিনা পয়সায় আমার হয়ে প্রচারনার জন্য। (F)
@আল্লাচালাইনা,
(N) (N)
আসলেই মুক্তমনার পাঠক আমরা যারা আছি অপবিজ্ঞান আর ছদ্মবিজ্ঞান ভালই বুঝি।
আপনার লেখার শুরুটা খেয়াল করুন আর দেখুন পুরো লেখাটা। আগামাথা কিছুই তো নাই। এখানে বিবর্তন নিয়ে এত চমৎকার লেখা আছে সেখানে আপনি কিভাবে কোন ভাল অথেনটিক তথ্যসূত্র ছাড়া এই লেখাটা দিলেন? আপনি আবার আপনার ভুল ধরিয়ে দিলে বলছেন
আগাগোড়া হাবিজাবি লিখে আবার বলছেন তার ভুল ধরিয়ে দিতে?? এটা কি একটা কৌতুক?
লেখাটা পড়ে হাসিও পেল, রাগও হল…আপনাকে আর যাই হোক সেন্সিবল মানুষ বলে জানতাম। আর কিছু বলার নেই।আপনার লেখার যুক্তি(!)গুলোর সমস্যা তো অভিদা, বন্যাপু, পৃথিবী, রৌরব, সংশপ্তক প্রমুখেরা ধরিয়ে দিয়েছেনই।
এই লাইনগুলোতেই বোঝা যায় what you are trying to sell!!! bt your strategy is flop! (N)
দয়া করে মুক্তমনায় এ ধরণের কৌতুক আর করবেননা প্লিজ।
@লীনা রহমান,
প্রত্যেক পোস্ট লেখকই লেখেন , কিছু না কিছু sell করার জন্য। আমিই বা ব্যাতিক্রম হব কেন? flop হলে আর কি করা ? অন্তত বলতে তো পারব , চেষ্টা করেছিলাম।
কৌতুক শরীর ও মন দুটোর জন্যই ভাল। আপনি এমন অনুরোধ আর করবেন না , প্লিজ। করলেও , রাখতে পারব না।
বাক স্বাধীনতা মানে এই নয় যে যে কাউকে যা খুশি লিখতে বা বলতে দেওয়ার অধিকার। আগেও সোয়াদের একটি লেখায় বলেছিলাম যে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপপ্রচারের লেখা মুক্তমনায় দেখলে সবার আগে প্রতিবাদ জানাবো। একই কথা প্রযোজ্য উগ্র মৌলবাদী ধরণের লেখা বা অপবিজ্ঞানের লেখার ক্ষেত্রেও।
আপনি ভিন্ন দৃষ্টিতে বিবর্তনকে বুঝতে চাচ্ছেন এটা খারাপ চিন্তা নয়। যে কোন কিছুই অন্ধভাবে অনুকরণের চেয়ে বুঝে অনুসরণ করা ভালো। তবে সমস্যা হলো যে এই পথ যতটুকু সহজ ভাবা হয় তারচেয়ে বেশি কঠিন। ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার আগে আপনাকে পরিষ্কার হতে হবে যে সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিটা কি। আর সবাই কি ভাবে দেখছে। যখন সেটা পরিষ্কার হবে তখন আপনি এগুতে পারেন যে নুতন কোন দৃষ্টিতে দেখা যায়। বলা যায় বিজ্ঞান বা গবেষণাও এভাবেই কাজ করে। আমরা আগে লিটেরাচারা রিভিউ করি, বুঝার চেষ্টা করি যে আগের সবাই কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন একটি বিষয়কে। তারপরে বুঝার চেষ্টা করি আগের গবেষেকেরা কোন কোন দৃষ্টিগুলো এড়িয়ে গিয়েছেন। নুতন দৃষ্টিভঙ্গি কি আগের তত্ত্বকে আরো প্রতিষ্ঠিত করে? বা আগের তত্ত্বকে বাতিল করে আরো নুতন তত্ত্ব প্রদান করে? এভাবেই বিজ্ঞান এগিয়ে যায়।
এখন আপনি নিজে চিন্তা করে দেখুন আপনি কি সেরকম কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবর্তনকে দেখতে পাচ্ছেন? বা এমন কোন নুতন গবেষণা কি এসেছে যেটা বিবর্তনকে বাতিল করে দিয়ে নুতন তত্ত্ব দিচ্ছে? আপনার যুক্তির সাপেক্ষে কি কি রেফারেন্স আছে? এই সব চিন্তা করে একটি লেখা দিন, আমি নিশ্চিত যে সবাই আলোচনা করবে। কিন্তু একটি অসম্পূর্ণ লেখা এবং একটি অস্পষ্ট লেখা দিয়ে যদি আশা করেন সবাই চিলের পেছনে দৌড়াবে তবে ভুল করছেন।
আমার অনুরোধ থাকবে পরের পর্বটি লেখার আগে যথেষ্ট সময় নিন, বিবর্তন আর্কাইভের লেখাগুলো পড়ুন, নিজের প্রশ্নগুলো ঠিক করুন, লেখা পোষ্ট করার আগে আবার নিজের যুক্তিগুলো সাজিয়ে নিন, রেফারেন্সগুলো হাতের কাছেই রাখুন। আমি জানি আপনার সবগুলো প্রশ্নের জবাব দেবার মতো মানুষ এই ব্লগে রয়েছে। সত্যি যদি আপনি জানতে আগ্রহী হোন তবে আপনি নির্ভয়ে লিখে চলুন। আর যদি তালগাছ আমার এই মনোভাব নিয়ে জানতে আগ্রহী হোন তবে অনুরোধ থাকবে আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
@স্বাধীন,
এটা যে কতবড় হিপোক্রেসী তা যদি বুঝতেন? সেই গন্ডির মাঝেই যদি থাকলেন , তাহলে স্বাধীনতা কোথায়? এটা ডিক্টেটরদের দেয়া তার প্রজার স্বাধীনতার সমতুল্য।
তাহলেই হয়েছে। চোখ বুজে অনুসরন ছাড়া আর পথ থাকবে না।
ধন্যবাদ উপদেশের জন্য।
@ফারুক, সব ধরণের স্বাধীনতারই গন্ডি আছে, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। আপনার ধর্ম চর্চা করার অধিকার আছে- আপনি ঘরে বসে ধর্ম চর্চা করতে পারেন, মসজিদে গিয়ে ধর্ম চর্চা করতে পারেন, এমনকি রাস্তায় দাড়িয়েও ধর্মচর্চা করতে পারেন যতক্ষণ না পর্যন্ত্য আপনি কারওর বিরক্তি উদ্রেক করছেন। তবে গীর্জার ভেতরে ঢুকে আপনার ইসলাম ধর্ম প্রচারের অধিকার নাই, আপনার ওই অধিকারটি এখানে শেষ। আপনি চাইলে বই লিখে যুক্তি দেখাতে পারেন আল্লাহ কিভাবে পৃথিবীকে গালিচার মত প্রশস্ত করেছে, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু একাডেমিক কোন জায়গায় এসব মত প্রচার করে জ্ঞানচর্চার পরিবেশ নষ্ট করার অধিকার আপনার নাই।
মুক্তমনা বিজ্ঞানবিরোধী কোন লেখা সহ্য করবে না। আপনার এই রচনাটির উদ্দেশ্য হল দু’টো বিপরীতধর্মী বিষয়ের মাঝে সংযোগ স্থাপন করে সেটিকে বৈজ্ঞানিক দাবি করা, যদিও আপনি মূল রচনায় এবং মন্তব্যের ঘরে এই জগাখিচুড়ীর স্বপক্ষে সমর্থন দানকারী একটা বৈজ্ঞানিক পাবলিকেশনও উদ্ধৃত করতে পারেননি। যে বিষয়ে কোন বৈজ্ঞানিক বিরোধ নেই, সেই বিষয়কে আইডিওলজিক্যাল কারণে বিতর্কিত হিসেবে উপস্থাপন করাটা স্পষ্টভাবেই বিজ্ঞানবিরোধীতা।
আপনার এই পোস্টের আগামাথা কিছু বুঝলাম না। ভুল তথ্যে ভরপুর এটা খুব ভালমতই বুঝতে পারছি(সংবাদপত্র পড়ে বিজ্ঞান শিখতে গেলে হয়ত বুঝতে পারতাম না), কিন্তু আপনার এই “নতুন” মডেল যদি কোন অলৌকিক ক্ষমতাবলে সত্য হয়ে যায়, তবে ধর্মীয় সৃষ্টিকাহিনী কিভাবে সত্যতা পাবে বলবেন কি? এই পোস্টের পেছনে ধর্মীয় মোটিভেশনের অস্তিত্ব তো পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। ধর্মীয় কারণেই সৃষ্টিবাদীরা বিবর্তন তত্ত্বের বিকল্প খুজে, মহাকর্ষ তত্ত্বের কোন “নতুন” মডেল উপস্থাপন করে না। এখন আসি তথ্যগত ক্রুটিতে, তবে আম. এখন আমার পিসির সামনে না থাকায় কোন তথ্যসূত্র দিতে পারব না
“রাতারাতি” বলতে ঠিক কি পরিমাণ সময় বুঝাচ্ছেন? তাছাড়া আপনি ক্যামব্রিয়ান বিষ্ফোরন বলতে কি বুঝাচ্ছেন তাও পরিস্কার নয়, মূল ঘটনা সম্পর্কে পরে সুযোগ পেলে আলোচনা করব।
জ্যোতিষশাস্ত্র আর আধুনিক কসমোলজির মাঝে মিলন সৃষ্টি করা যেমন অসম্ভব, এটাও তেমন অসম্ভব। বিজ্ঞান আর অপবিজ্ঞান মেলানোর চেষ্টা করা প্রতারনা ছাড়া কিছু না। হুদাই সময় নষ্ট করছেন, এর চেয়ে বরং এবাদত-বন্দেগীতে মন দেন।
ডারউইন কখনও একথা বলেননি। অরিজিন গ্রন্থে তিনি জীবাশ্ম তৈরীর প্রক্রিয়াকে পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং এও উল্লেখ করেছেন যে এককোষী জীব সহ শক্ত অস্থিবিহীন প্রাণীর জীবাশ্ম গঠণ অসম্ভব। জীবাশ্ম কেবল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে, এটি পূর্ণ চিত্র তুলে ধরে না।
এই তত্ত্ব মোটেই সর্বজনবিদিত না, আর বিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় বলতে সবসময় ভূতাত্ত্বিক সময় বোঝানো হয়। ভূতাত্ত্বিক সময়ে পঞ্ছাশ হাজার বছর চোখের পলকের চেয়েও কম সময়, তাই এখানে আপনাদের খুশি হওয়ার কোন অবকাশ নেই।
ভুল। প্রাকৃতিক নির্বাচন শুধু যোগ্যতমকেই নির্বাচন করে আর যোগ্যতার সংজ্ঞা সমসাময়িক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। তেলাপোকারা ক্ষুদ্র হলেও জীবন সংগ্রামে এদের চেয়ে আর কোন যোগ্য প্রাণী নেই।
বিবর্তনের চালিকাশক্তি হল প্রকরন, পরিব্যক্তি না। আর তাছাড়া সব পরিব্যক্তি রয়ানডম না।
যদি প্রকরনের কোন নিয়মিত উতস এবং নির্বাচনী শক্তি সক্রিয় থাকে, তবে শেক্সপিয়্রএর যেকোন নাটকের যেকোন বাক্য গঠণ করা সম্ভব। এই পরীক্ষা অনেক আগেই করা হয়েছিল এবং এর জন্য সময় লেগেছিল মাত্র চারদিন। তথ্যসূত্র এখন দিতে পারছি না তবে যতদূর মনে পড়ে, ডকিন্সের “ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার” গ্রন্থে এই পরীক্ষণের কথা পাবেন।
আপনার এই পোস্টের আগামাথা কিছু বুঝলাম না। ভুল তথ্যে ভরপুর এটা খুব ভালমতই বুঝতে পারছি(সংবাদপত্র পড়ে বিজ্ঞান শিখতে গেলে হয়ত বুঝতে পারতাম না), কিন্তু আপনার এই “নতুন” মডেল যদি কোন অলৌকিক ক্ষমতাবলে সত্য হয়ে যায়, তবে ধর্মীয় সৃষ্টিকাহিনী কিভাবে সত্যতা পাবে বলবেন কি? এই পোস্টের পেছনে ধর্মীয় মোটিভেশনের অস্তিত্ব তো পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। ধর্মীয় কারণেই সৃষ্টিবাদীরা বিবর্তন তত্ত্বের বিকল্প খুজে, মহাকর্ষ তত্ত্বের কোন “নতুন” মডেল উপস্থাপন করে না। এখন আসি তথ্যগত ক্রুটিতে, তবে আম. এখন আমার পিসির সামনে না থাকায় কোন তথ্যসূত্র দিতে পারব না
“রাতারাতি” বলতে ঠিক কি পরিমাণ সময় বুঝাচ্ছেন? তাছাড়া আপনি ক্যামব্রিয়ান বিষ্ফোরন বলতে কি বুঝাচ্ছেন তাও পরিস্কার নয়, মূল ঘটনা সম্পর্কে পরে সুযোগ পেলে আলোচনা করব।
জ্যোতিষশাস্ত্র আর আধুনিক কসমোলজির মাঝে মিলন সৃষ্টি করা যেমন অসম্ভব, এটাও তেমন অসম্ভব। বিজ্ঞান আর অপবিজ্ঞান মেলানোর চেষ্টা করা প্রতারনা ছাড়া কিছু না। হুদাই সময় নষ্ট করছেন, এর চেয়ে বরং এবাদত-বন্দেগীতে মন দেন।
ডারউইন কখনও একথা বলেননি। অরিজিন গ্রন্থে তিনি জীবাশ্ম তৈরীর প্রক্রিয়াকে পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং এও উল্লেখ করেছেন যে এককোষী জীব সহ শক্ত অস্থিবিহীন প্রাণীর জীবাশ্ম গঠণ অসম্ভব। জীবাশ্ম কেবল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে, এটি পূর্ণ চিত্র তুলে ধরে না।
এই তত্ত্ব মোটেই সর্বজনবিদিত না, আর বিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় বলতে সবসময় ভূতাত্ত্বিক সময় বোঝানো হয়। ভূতাত্ত্বিক সময়ে পঞ্ছাশ হাজার বছর চোখের পলকের চেয়েও কম সময়, তাই এখানে আপনাদের খুশি হওয়ার কোন অবকাশ নেই।
ভুল। প্রাকৃতিক নির্বাচন শুধু যোগ্যতমকেই নির্বাচন করে আর যোগ্যতার সংজ্ঞা সমসাময়িক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। তেলাপোকারা ক্ষুদ্র হলেও জীবন সংগ্রামে এদের চেয়ে আর কোন যোগ্য প্রাণী নেই।
বিবর্তনের চালিকাশক্তি হল প্রকরন, পরিব্যক্তি না। আর তাছাড়া সব পরিব্যক্তি রয়ানডম না।
যদি প্রকরনের কোন নিয়মিত উতস এবং নির্বাচনী শক্তি সক্রিয় থাকে, তবে শেক্সপিয়্রএর যেকোন নাটকের যেকোন বাক্য গঠণ করা সম্ভব। এই পরীক্ষা অনেক আগেই করা হয়েছিল এবং এর জন্য সময় লেগেছিল মাত্র চারদিন। তথ্যসূত্র এখন দিতে পারছি না তবে যতদূর মনে পড়ে, ডকিন্সের “ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার” গ্রন্থে এই পরীক্ষণের kotha bola ache.
@পৃথিবী, আপনাকে ধন্যবাদ সুনির্দিষ্ট ভাবে ভুলগুলো(?) নিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
কয়জনি বা আর বিজ্ঞানের বই পড়ে বিজ্ঞান শেখে? আর এই ব্লগ তো আর বিজ্ঞানীদের মিলনমেলা নয় বা এদের পাঠকরা ও সকলে বিজ্ঞানী নয় , তাই আমার মতো সংবাদ পাঠক বিজ্ঞানমনস্কদের কি উপায়? Newsweek Magazine কে বা এর পাঠকদের হেলাফেলা কইরেন না। এই পোস্টে Newsweek Magazineএর যে লিঙ্কটি দেয়া হয়েছে , পারলে ওটা পড়ে এসে বলুন , ওরা ভুল কিছু বলেছে কি না?
আমার নুতন মডেল তো পরের পর্বে দেয়ার কথা বলেছি , তা পড়ার আগেই ধর্মীয় মোটিভেশনের অস্তিত্ব খুজে পেলেন , একে আর যাই বলুন বিজ্ঞান সম্মত বলতে পারছি না। দুঃখিত। ধর্মের উপরে আপনার রাগ থাকতেই পারে বা ধর্ম কে গালি দিতে পারেন , সেটা আপনার সমস্যা , এই পোস্টের সাথে তার যোগ কি?
আবারো ভুল বল্লেন। মহাকর্ষ তত্ব নিয়ে সুধীজনেরা কি বলে দেখুন-
a parallel has been drawn by Allen Orr and others between criticisms of Darwinian orthodoxy and assaults on the Law of Gravity, presenting them as equally deplorable examples
of anti-science obscurantism. Yet, if truth be told, gravity is far from a settled matter. The relativistic Law of Gravity at the end of the 20th century is not the same as the classical Law of Gravity at the end of the 19th century, and discovering how the continuous descriptions of general relativity can be integrated into a single theory with the discrete accounts of quantum physics is still an active field of research. From a scientific point of view, then, the Law of
Gravity has quite properly been under continuous challenge.
ভূতাত্ত্বিক সময় অনুযায়ী যেটা বোঝায় , সেই পরিমান।
এই দাবীর পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমানতো দিলেন না। আপনার এই দাবী ও ধর্মীয় মোল্লাদের দাবীর মাঝে কোন পার্থক্য খুজে পাচ্ছি না। দুক্ষেত্রেই ফেইথ ফ্যাক্টর জড়িত।
অবশ্যই ডারউইন একথা বলেন নি। কারন ডারউইন যখন তার origin of the species বই লেখেন , তখন জেনেটিক্স বিদ্যার জন্ম হয় নি বা এক কোষী জীবের অস্তিত্ব জানতেন কিনা সন্দেহ। তবে এগুলো এখন মডার্ন ডারউইনবাদের অন্তর্ভুক্ত। এককোষী জীব সহ শক্ত অস্থিবিহীন প্রাণীর জীবাশ্ম গঠণ অসম্ভব , এটা আপনার ভুল ধারনা। কয়েকবছর আগে ,খুব সম্ভব ক্লিন্টনের আমলে নাসার বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহ থেকে পাওয়া মেটেওরাইটের মাঝে ব্যাক্টেরিয়ার জীবাশ্ম পেয়ে জোরে শোরে প্রচার চালিয়েছিলেন , এই মহাবিশ্বে আর আমরা একা নই , এই বলে।
আমি নিজে খুশি হওয়ার কিছু দেখি না , তবে লাফ দিয়ে দিয়ে যে বিবর্তনগুলো ঘটেছে এটা সকলেই জানে। এট্টু গুগলিং করেন।
তাই যদি হয় , তাহলে দুনিয়াতে তেলাপোকা ছাড়া আর কোন প্রাণী থাকার কথা নয় , কারন ওরাই যোগ্যতম। তাহলে কে ভুল?
আপনি এটা বুঝে বলেছেন তো? আমিও তো এটাই বলতে চাচ্ছি।
নির্বাচন টা কে করবে? নির্বাচনের কোড ‘ ক্রাইটেরিয়া কে ঠিক করবে ? আবার বলেন না কোড এমনি এমনিই হয় কোন বুদ্ধিমানের হস্তক্ষেপ ছাড়া।
(কালকেও জবাব দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য ব্লগের সার্ভার পরিবর্তনের শিকার হয়েছে।)
@ফারুক,
আমার মনে হচ্ছে আপনি বিবর্তনের মেইন বই না পড়ে নোট বই পড়ছেন অথবা বিবর্তনের লেখা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েননি। আপনি পরের পর্বে যায়ই বলুন এ পর্যন্ত যা বলেছ তা মুক্তমনায় ছাপানোর যথেষ্ট অযোগ্য। এটা কিন্তু ভিন্ন মতের জন্য নয়, (আমার জানা মতে মুক্তমনা ভিন্ন মতকে অন্য যে কোন সাইটের চেয়ে বেশিই গুরুত্ব দেয়।) বরং মুক্তমনায় বিবর্তন উপর এত রিসোর্স আছে যে প্রত্যেক সদস্যই আপনার লেখার ভুল ধরতে পারবে।
আপনি বরং মুক্তমনার বিবর্তনের সব গুলো লেখা পড়ে আপনার চোখে ভুল তথ্য ধরা পড়লে সেটা নিয়ে লিখুন অথবা নতুন লেখা যে তথ্য গুলো মুক্তমনায় এখনও নাই। দয়া করে পুরাতন বাতিল তথ্য দিয়ে মুক্তমনায় হাসির খুরাক হয়েন না।
@হেলাল,
ভুল ধরার জন্যই তো এখানে দেয়া। ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। কোন কোন তথ্য পুরাতন ও বাতিল এবং সেটা কেন , জানালে খুশি হব।
ফারুক,
আপনার লেখাটার মধ্যে একটাও তো নতুন যুক্তি বা প্রস্তাব পেলাম না। আপনি যে যে বিষয়গুলো এখান তুলে ধরেছেন তার প্রত্যেকটাই প্রায় একশ’ বছর ধরে বিভিন্ন সুরে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন সময়ে সৃষ্টিতত্ত্ববাদীরা এবং পরে আইডিওয়ালারা বলে আসছে। আপনি যেভাবে গুল্ডের পাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়ামকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন সেটাও বেশ পুরানো টেকনিক। আর বিজ্ঞান তো ঠিক ‘আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে ভাই ভাই হয়ে থাকি’ ভাবে কাজ করে না। এটা ঠিক যে, বিশ্বাস আর বিজ্ঞানকে একসাথে মিলিয়ে মাঝামাঝি একটা হোমিওপ্যাথিক পুড়িয়া বানানো গেলে পৃথিবীতে অনেকেই বেশ খুশী হতেন। তবে সমস্যা হল একটাই, তাহলে বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান থাকবে না, বিশ্বাসের অংগবিশেষ হয়ে যাবে, এই আর কী।
@বন্যা আহমেদ,
আমি তো পোস্টে বলেছি – পরের পর্বে নুতন বিবর্তনবাদ নিয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হবে।
আপনার কাছে শুধু স্টেটমেন্ট নয়, আশা করেছিলাম ক্যাম্ব্রিয়ান বিষ্ফোরন (Cambrian Explosion) নিয়ে কিছু বলবেন।
সৃষ্টিতত্ববাদীরা কিছু বল্লেই সেটা ভুল , এটা মায়োপিক দৃষ্টিভঙ্গি। ভুলে গেলে চলবে না , কপের্নিকাস যাজক ছিলেন।
চিকাগো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জেমস শাপিরোর উক্তি-
Dogmas and taboos may be suitable for religion, but they have no place in science. No theory or viewpoint should ever
become sacrosanct because experience tells us that even the most elegant Laws of Nature ultimately succumb to the inexorable progress of scientific thinking and technological
innovation. The present debate over Darwinism will be more productive if it takes place in recognition of the fact that scientific advances are made not by canonizing our predecessors but by creating intellectual and technical opportunities for our successors.
@ফারুক,
আগের মন্তব্যটা মনে হয় সার্ভার গিলে ফেলেছে, তাই আবার মন্তব্য করলাম :)) ।
কেন বলুন তো? তাহলে ঘুরেফিরে সেইএকই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। চলুন কয়েক সপ্তাহ পরপর আমরা সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, না পংকিল জলাশয়ে ডুবে যায়, নাকি আমাদের মাথাটাই ঘোরে এ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করি। আপনার যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রশ্ন করুন, ধর্ম, বিশ্বাস, এগুলোকে টেনে এনে নয়, এ অনুরোধটা আপনাকে আগেও মনে হয় করেছিলাম। গুগুল থেকে বা নিউজউইকের মত পত্রিকা থেকে কতগুলো লিঙ্ক না দিয়ে এ নিয়ে কোন রিসার্চ পেপার থাকলে দিন, পপুলার মিডিয়ার রেফারেন্স দিয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা করা সম্ভব নয়। কোপার্নিকাস যাজক ছিলেন কী মিষ্টির দোকানদার ছিলেন সেটাতো ব্যাপার নয়, উনি একটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রস্তাব করেছেন, গুগুল ঘেটে ( সে সময়ে যদি গুগুল থাকতোও তাহলেও কোপার্নিকাস সার্চ করে তার তত্ত্বটা সেখানে খুঁজে পেতেন না, কারণ তখনও কেউ এই বৈজ্ঞানিক প্রস্তাবনাটা উপস্থাপণ করেননি) বহুদিনের পুরনো কিছু কথা পুনারাবৃত্তি করেননি, তাই বৈজ্ঞানিক কমিউনিটি কোপার্নিকাসের কথা শুনেছে, একই কথা খাটে মেন্ডেলের ক্ষেত্রেও।
আপনাকে অনুরোধ করবো ইন্টারনেট থেকে বিবর্তন সম্পর্কে না শিখে কয়েকটা বেসিক বই পড়ুন এ বিষয়ে। যেমন ধরুন, ক্যাম্ব্রিয়ান এক্সপ্লোশান নিয়ে আপনি যা বলতে চাইছেন তা নিয়ে রিচার্ড ডকিন্স বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার, উইভিং দ্যা রেইনবো এবং গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বইগুলোতে। আর গুল্ডের পাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম নিয়ে সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের মিথ্যা ক্লেইমগুলোকে গুল্ড নিজেই রিফিউট করেছিলেন এই প্রবন্ধে, পড়ে দেখতে পারেন।
আপনি পৃথিবীকে দেওয়া একটা মন্তব্যে কোথায় যেন শ্যাপিরোর রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন যে মহাকর্ষ সূত্র কত পরিবর্তিত হয়েছে গত কয়েক শতকে। একই কথাই তো খাটে বিবর্তনবাদের প্রসঙ্গেও। উনবিংশ শতাব্দীর বিবর্তনবাদের সাথে বিংশ শতাব্দীর বিবর্তনবাদেরতো অনেক পার্থক্য। বিংশ শতাব্দীতেই তো বহুবার বিবর্তনবাদের বেশ কিছু বিষয় টুইক করতে হয়েছে। বিজ্ঞানের যে কোন তত্ত্বের ক্ষেত্রেই সেটা প্রযোজ্য, তবে এই পরিবর্তনগুলো ঘটে বিজ্ঞানের গন্ডীর মধ্যে থেকে, বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই। এর জন্য বিজ্ঞানের সাথে বিশ্বাস বা অপবিজ্ঞানকে মিলানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে তো মনে হয় না।
বিবর্তনের প্রক্রিয়াকে প্রকৌশলীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেতো ভুল মনে হবেই। সেই একই ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন মার্কা যুক্তি! রামায়ণ ভালো করে না পড়লে সীতাকে কারো না কারো বাপ মনে হতেই পারে।
@ইরতিশাদ,
তাই কি? স্টিফেন হকিং দেখেন কি সুন্দরভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি থেকে মানুষের স্বাধীন (?) চিন্তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন , বিজ্ঞান যেখানে ‘ইউনিফায়েড ল’ খোজার কাজে ব্যাস্ত , সেখানে প্রকৌশলীর সাহায্য কেন নেয়া যাবে না কেন? বিবর্তন ঘটেছে লক্ষ , কোটি বছর ধরে , ফলে যেহেতু এটাকে সরাসরি প্রমানের কোন উপায় নেই , সেকারনে সকলের সাহায্য তো লাগবেই।
সকলের পক্ষে সবকিছু পড়া তো আর সম্ভব না। তখন কাউকে না কাউকে এগিয়ে এসে প্রমান করা লাগবে ,সীতাকে কারো না কারো বাপ মনে হলেও , এটা সত্য নয়।
ফারুক,
র্যান্ডমনেসের দোহাই পেড়ে পুরো বিবর্তবাদকে কিংবা এর পেছনে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা সমীচিন নয়। সৃষ্টিবাদীদের মধ্যে এ প্রচেষ্টা লক্ষ্যনীয় হলেও এটি বৈজ্ঞানিকভাবে ঠিক নয়। এ নিয়ে কিছু কথা বলি।
প্রথম কথা মিউটেশনগুলো আসলেই র্যান্ডম। আমি নির্বিচারী অর্থে র্যান্ডম বলছি (এর পেছনে কারণ নেই, তা কিন্তু বলিছি না)। এরা নির্বিচারী এ কারণে – মিউটেশন কোন সূত্র মেনে হয় না। কিংবা কেউ বলতে পারে না যে, কখন কোন মিঊটেশন ঘটবে। অনেকটা তেজস্ক্রিয় ডিকের মতো। কখনই প্রেডিক্ট করে বলা যাবে না যে, কোন অনুর ভাগ্যে ডিকে ঘটছে – কারণ এটা র্যান্ডম নির্বিচারী প্রক্রিয়ায় ঘটছে। যদিও আমরা বলতে পারব কোন সময়ের মধ্যে তেজস্ত্রিয় পদার্থের কতভাগ ডিকে হবে। অনেকটা সেরকমের ব্যাপার হয় মিউটেশনে।
কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, মিউটেশন র্যান্ডম হলেও বিবর্তন প্রক্রিয়ার পুরোটুকু র্যান্ডম নয়। প্রথমিকভাবে মিউটেশনের ফলে বিভিন্ন প্রকারণের অভ্যুদয় যেহেতু ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্তভাবে (randomly) ঘটে থাকে, অনেকেই ভুলভাবে ধরে নেন পুরো বিবর্তনটাই বোধ হয় কেবল চান্সের খেলা। আসলে কিন্তু তা নয় মোটেই। বিবর্তনের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচন। প্রাকৃতিক নির্বাচন ব্যাপারটি কোন কোন চান্স নয়। প্রাথমিক পরিব্যক্তি (মিউটেশন) গুলো র্যান্ডম হতে পারে, কিন্তু তার পর বৈশিষ্ট্যগুলো ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটি কিন্তু র্যান্ডম নয়, বরং ডিটারমিনিস্টিক, কারণ তা নির্ভর করে বিদ্যমান উপযুক্ত পরিবেশের উপর। সেজন্যই বিবর্তন কেবল চান্সের খেলা নয়। পরিব্যক্তিগুলো র্যান্ডম হবার পরেও কিভাবে তা বিবর্তনকে একটি নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ If Mutation is Random, Why Does Evolution Occur at All ‘ প্রবন্ধটিতে। প্রবন্ধটিতে দুটি চমৎকার উদাহরণ হাজির করে বুঝানো হয়েছে – Mutation was random, but selection provided a direction to the evolution.
ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার গ্রন্থে অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্স ব্যাপারটি পরিস্কার করেছেন এভাবে-
প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটা ডারউইনীয় বিবর্তন কে এলোমেলো (random) মনে করা শুধু ভুলই নয়, চূড়ান্ত বিচারে অসত্য। এটা সত্যের পুরোপুরি বিপরীত। চান্স জিনিসটা ডারউইনীয় রেসিপিতে খুব ছোট একটা উপাদান, কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ বড় উপাদানটির নাম ক্রমবর্ধমান নির্বাচন – যেটা একেবারেই নন-র্যান্ডম।
একটা সহজ উদাহরণ দেই। চোখের উদ্ভবের ক্ষেত্রে। আলোর প্রতি সংবেদনশীল একধরনের স্নায়বিক কোষ থেকে প্রথম চোখের বিকাশ শুরুর ব্যাপারটা কোন এক র্যান্ডম মিউটেশনে হয়েছিলো মনে করা যেতে পারে। এ ধরণের স্পেশিফিক মিউটেশন গুলো রান্ডম হতে পারে, কিন্তু তার পর বৈশিষ্ট্যগুলো ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটি কিন্তু আর রান্ডম থাকে না, বরং হয়ে উঠে অনেক ডিটারমিনিস্টিক। আদি অবস্থার কথা চিন্তা করুন। কানাদের রাজ্যে একচোখা পাইরেটই কিন্তু রাজা আর সে টিকে থাকার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে। সেজন্য সমগ্র অন্ধ জাতির মধ্যে যার সাম্ন্য পরিমান আলোর প্রতি সংবেদনশীল চোখের মত কিছু একটা আছে, সে বাড়তি সুবিধা পাবে বেঁচে থাকায়। অন্যরা শত্রুর আক্রমনে ধ্বংস হয়ে গেলেও সে অনেক ভাল ভাবে টিকে থাকবে এবং তার বৈশিষ্টগুলোকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সঞ্চালিত করবে। এভাবে অন্ধযুগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাপে ধাপে পরিমিত ভিন্নতার মধ্য দিয়ে চোখ বিবর্তিত হতে পারে, এবং হয়েছে। যখনই এ ধরনের কোন পরিবর্তন – যা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা প্রদান করে, তা ধীরে ধীরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জনপুঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই র্যান্ডমনেস থেকে শুরু হলে বিবর্তন হতে পারবে না – এটা কিন্তু ঠিক নয়।
এ নিয়ে আমাদের মুক্তমনা আর্কাইভেও অনেক লেখা আছে, দেখে নিতে পারেন।
আরেকটা ব্যাপার, সংশপ্তকের সাথে একটি বিষয়ে আমার একমত হতে হচ্ছে। আপনি আমাদের মুক্তমনা নীতিমালায় স্পষ্টই আছে –
আপনি জ্ঞানচর্চা চান ভাল কথা, কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠিত বিষয় ভিন্নমত দেখাতে হলে কেবল আপনার অভিমত কিংবা ‘ভিন্ন চিন্তা’ করলেই হবে না। পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স দিতে হবে। কেবল নিউজউইক কিংবা সাইটের কতগুলো রেফারেন্স দিলেই হবে না। চিন্তা করে দেখুন – কেউ যদি এখন পৃথিবী গোল এর বিপক্ষে কোন অভিমত নিয়ে আসে, আর আপনার মত মুক্তমনায় ছাপানোর জন্য পাঠায়, তবে কি সেটা আমাদের প্রকাশ করা উচিৎ হবে? আপনার মনে রাখতে হবে, মুক্তমনা কিন্তু অন্য ব্লগের মতো কেবল লিখন পঠনের সাইট না। আমরা বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেই। আপনার এই লেখাটি আমাদের নীতিমালার প্রেক্ষাপটে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, আমরা এটা প্রকাশ করেছি আপনার অভিমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে। আশা করব ভবিষ্যতে এটার অপব্যবহার আপনি করবেন না।
@অভিজিৎ, প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই , আমার অভিমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এটা প্রকাশ করার জন্য। সত্যি কথা বল্তে আমারো সন্দেহ ছিল , এটা আলোর মুখ দেখবে কিনা? এটার প্রকাশ , আমার প্রতি করুনা হিসাবে না দেখে , মুক্তমনার spiritকে সমুন্নত রেখেছেন ভাবাই বেশি যুক্তিযুক্ত। মাথার উপরে ২.১৮র খড়গ ঝুলিয়ে রাখলে স্বাধীন চিন্তা কি করে আসবে? অপব্যবহারের কোন ক্রাইটেরিয়া কি আছে? একজনের কাছে যেটা অপব্যাবহার , আরেকজনের কাছে তা সদব্যাবহার। সকলেরি একমত হওয়া কখনৈ সম্ভব নয়। আমি জানবুঝ করে অপব্যাবহার যে করব না , সে ব্যাপারে কথা দিতে পারি।
শুধু যদি দাবী করে , তাহলে নিশ্চয় ছাপাবেন না। যদি সাপোর্টিং ডকুমেন্ট নিয়ে অভিমত প্রকাশ করে , যেটা নিয়ে আলোচনা সম্ভব , তবে কেন নয়?
র্যান্ডম মিউটেশন নিয়ে আপনার বক্তব্যের জবাব পরে দেব। কাজের ফাকে ফাকে এই মন্তব্য করছি বলে এখনি জবাব দিতে পারলাম না। দুঃখিত।
@অভিজিৎ,
সমীচিন নয় কেন? এটা তো আর ধর্মীয় মতবাদ নয় যে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তাছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ করাটাই বিজ্ঞান সম্মত। আর প্রশ্নবিদ্ধ করতে হলে , শুধু স্টেটমেন্ট দিলে তো হবে না , কোন না কোন কিছুর দোহাই পাড়তেই হবে , নইলে আপনিই প্রথম আমাকে দুষবেন , অপবিজ্ঞানের প্রসার ঘটানোর দায়ে।
ঠিক কথা। এখানেই আমার দ্বন্দের কথাটা বলি। কেউ যখন বলতে পারে না যে, কখন কোন মিঊটেশন ঘটবে , তাহলে কেন দেখা যায় নুতন এন্টি বায়োটিক আবিস্কারের কয়েকবছর এমনকি কয়েক মাসের মধ্যেই নুতন প্রজন্মের এন্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব ঘটে? কয়েকটি জিনিষ খেয়াল করুন- সময়। এত অল্প সময়ে (ভূতাত্ত্বিক সময়ের হিসাবে ১ সেকেন্ডের ও কম) নির্দিষ্ট একটা নুতন এন্জাইম ( পলিপেপটাইড, যেটা কিনা বহু সংখ্যক এমিনো এসিড নির্দিষ্ট সিকুয়েন্সে সাজানো) র্যান্ডম মিউটেশনএর মাধ্যমে হওয়া পরিসংখ্যান গত ভাবে অসম্ভব। তদুপরি জিনোমের ভিতরে ইন-বিল্ট প্রুফরিডিং ও রিপেয়ারের ব্যাবস্থা আছে। এগুলো কি এটাই ইঙ্গিত করে না , মিউটেশন র্যান্ডম নয় , বরং নিয়ন্ত্রিত ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে ঘটে।
মানলাম , বিবর্তনের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচন। কিন্ত এটা তো ২য় ধাপ। ১ম ধাপ মিউটেশন , এটা না ঘটলেতো প্রাকৃতিক নির্বাচনের কিছু করার নেই। যেহেতু নেও-ডারুইনিস্টদের দাবী মিউটেশন ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্তভাবে (randomly) ঘটে , সুতরাং পুরো বিবর্তনটাই তো কেবল চান্সের খেলা। যে যাই বলুক , আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে তো এটাই বলে।
কাল আপনার আরো একটা কমেন্ট ছিল , অভিযোগ করা না করার ব্যাপারে। আমাকে ছিচকাদুনে ভাবলে ভুল করবেন। আমি জানি এই পৃথিবীটা ফেয়ার না। তাছাড়া আপনার ও ফরিদ সাহেবের সাবধানবাণীর পরে , আর কার কাছেই বা অভিযোগ জানাতে পারি , এই ব্লগে? আমার লেখা ছাপানোর যোগ্য মনে হলে ছাপবেন নইলে না। এতে আমার দুঃখ করার কিছু নেই , কারন আল্লাহ আমাকে ওহী পাঠান নি ধর্ম প্রচারের জন্য বা ব্লগে লিখে আমি পেমেন্ট ও পাই না। এখানে আসি ভাবনা শেয়ার করতে। শেয়ার করতে পারলে ভাল , নইলে নাই।
@ফারুক,
প্রশ্ন করতে তো নিষেধ করিনি। আপনি ভাল করেই জানেন, আপনার লেখা প্রশ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো না। আপনি যদি প্রশ্ন করতেন মিউটেশন র্যান্ডম হলে কিভাবে এত জটিল জীবের উদ্ভব হল – এর উত্তর আমরা দিতে পারতাম অসংখ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকেই। কিন্তু তা না করে আপনি আপনার অভিমত দিয়েছেন, বলেছেন বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের বিরোধ মেটানোর কথা, বলেছেন যেভাবে বিবর্তন হয়েছে বলে ভাবা হচ্ছে সেরকম ভাবে নাকি হয়নি। কিন্তু আপনি যেরকম ভাবে হয়েছে বলে ভাবছেন তার স্বপক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স হাজির করতে পারেননি (কেবল কতগুলো সাইটের লিঙ্ক দিলে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানকে খণ্ডন করা হয়না)। কাজেই পুরটাই আপনার অভিমত, ঠিক যেমন কেউ যদি আজকে ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটির লিঙ্ক হাজির করে মুক্তমনায় ‘প্রমাণ’ করার চেষ্টা করে পৃথিবী গোলাকার নয় সমতল, সেটা মটেই গ্রহণযোগ্য হবে না, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হয়েই রইবে।
এটার কারণ আপনি সত্যই জানেন না? এর কারন তো অজানা নয় আমাদের কাছে। ব্যাকটেরিয়ার জন্মের হার দৃশ্যমান অন্য সব বড় বড় প্রানীর তুলনায় শতগুন বেশি। তাদের এডাপ্টেশন এবং বদলে যাবার হার খুবই দ্রুত। এই ব্যাপারটাই কাজ করে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভবের পেছনে।
আরো একটা বিষয় বলি, এন্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব কেবল মিউটেশনের কারণেই ঘটে না। বরং ঘটে ঠিক উলটো কারণে। হ্যা মিউটেশনের কারণে এটি হতে পারে, তবে সেটা বিরল ঘটনা। আসলে ঐ এন্টিবায়োটিকের প্রতি বেশ শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু ব্যাকটেরিয়া জনপুঞ্জে ছিলোই (কারণ ব্যাকটেরিয়াল বিশাল জনপুঞ্জে ভ্যারিয়েশন অনেক, এবং সেখানে সংখ্যালঘু হিসেবে কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকেই যা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধে সক্ষম) । এখন পরিবেশ বদল অর্থাৎ, এন্টিবায়োটিক আরোপ করা হতে থাকলে কি হবে? অন্য ব্যাক্টেরিয়াগুলো মরে গেলেও এরা মরবে না। দেখা গেল যে অন্য ব্যাকটেরিয়া গুলো মরে গেলেও এই এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াগুলো কিন্তু টিকে থাকে এবং দেদারসে বংশবৃদ্ধি করে এরাই একটা সময় পরে সাধারণ ব্যাক্টেরিয়ায় পরিণত হয়। এরাই একসময় হয়ে উঠবে সংখ্যাগুরু – ডারউইনের বিবর্তনের সাধারণ নিয়মেই। এভাবেই তৈরি হয় এন্টিবায়োটিকপ্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার এক নতুন জনপুঞ্জ যা আগে ছিলো না। এখানে একটা ছবি আছে (বন্যার বিবর্তনে পথ ধরে বইটা থেকে), দেখতে পারেন –
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2009/11/bactaria.jpg[/img]
আবারো আপনি আপনার অভিমত দিচ্ছেন। এ নিয়ে বহু গবেষণা আছে (Negoro et al. 1994; Thomas n.d.; Thwaites 1985, Francis and Hansche 1972; 1973; Hansche 1975, Hall 1981; Hall and Zuzel 1980 …) যারা দেখিয়েছেন যে ব্যাক্টেরিয়ার নাইলন ডাইজেশন থেকে শুরু করে ইস্টের কম ফস্ফেট পরিবেশে এডাপ্টেশন, ইকোলির হাইড্রোলাইস গ্যালাকটোসাইলারাবাইনোসে প্রতিস্থাপন সহ অসংক্য গবেষণার কথাই উদ্ধৃত করা যায়। আর র্যান্ডম মিউটেশনএর যে ব্যাপারটা পরিসংখ্যান গত ভাবে অসম্ভব বলেছেন তা পরিস্কার ভাবেই ভুল। আপনি এ নিয়ে দেখতে পারেন, The Evolution of Improved Fitness By Random Mutation Plus Selection লেখাটি। প্রবন্ধটির বিশেষতঃ Statistical impossibility of proteins? অংশেই আপনার প্রশ্নের উত্তর আছে।
না তা নয়। আপনাকে আগেই বলেছি শুরুটা র্যান্ডম মিউটেশন দিয়ে শুরু হলেও এর পরবর্তী ধাপগুলো ডিটারমিনিস্টিক। ফলে রয়ান্ডমনেস ডারউইনীয় রেসিপিতে খুব ছোট অংশ। সেটা আগেই পরিস্কার করা হয়েছে। আমি ডকিন্সের উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম এ ব্যাপারে আগে। আপনি উপরে ম্যাক্স এডওয়ার্ডের যে প্রবন্ধটির লিংক দিয়েছি সেটাও পড়তে পারেন। সেখানে কিন্তু লেখক দেখিয়েছেনই random mutation + selection এর মাধ্যমেই নতুন অভিযোজন ঘটে। কাজেই পুরো ব্যাপারটাকে চান্সের খেলা বললে ভুল হবে।
আর আপনার মন্তব্যের বাকি অংশ – আপনি ছিঁচকাঁদুনে কিনা, ভাবনা শেয়ার করতে আসেন – ইত্যাদি বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। মুক্তমনায় সুস্পষ্ট নীতিমালা আছে, এর ভিত্তিতেই মডারেটররা ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেবেন আশা করি।
@অভিজিৎ, ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটির লিঙ্ক নিয়ে যখন কেউ হাজির হবে , তখন না হয় ওটা নিয়ে আলাপ করা যাবে , যদি সে সুযোগ থাকে। আপাতত আমরা মিউটেশন ও বিবর্তনেই সীমাবদ্ধ থাকি।
আপনি বলছেন মিউটেশনের কারণে এটি হতে পারে, তবে সেটা বিরল ঘটনা , আর আমি বলেছি র্যান্ডম মিউটেশনের কারনে ঘটা অসম্ভব পরিসংখ্যানগত ভাবে। খুব বেশি মতের পার্থক্য মনে হয় নেই।
তবে খটকাটা লাগে যখন বলেন , এন্টিবায়োটিকের প্রতি বেশ শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু ব্যাকটেরিয়া জনপুঞ্জে ছিলোই । এর অর্থ দাড়ায় , এখন পর্যন্ত যত এন্টিবায়োটিক আবিস্কার হয়েছে ও ভবিষ্যতে (যতদিন পর্যন্ত এই ধরাধামে মানুষ টিকে থাকবে) যত নুতন এন্টিবায়োটিক আবিস্কার হবে সকলেরি শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু ব্যাকটেরিয়া জনপুঞ্জে আগে থেকেই আছে। মানুষের ব্যাকটেরিয়া থেকে বাচার কোন চান্স নেই!! এটা কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
random mutation তো চান্সের উপরে নির্ভরশীল। তাহলে তো ঐ একি কথা হয় , যেটা আমি বলেছি। random mutation হলেই না selectionএর প্রশ্ন।
@ফারুক,
ফ্ল্যাট আর্থের ক্ষেত্রে যা হবে, আপনার লেখাটি তা থেকে ব্যতিক্রম কিছু নয়। অ্যানালজিটা পরিস্কার। ইন্টারনেটের লিঙ্ক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানকে খণ্ডন করার চেষ্টা। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। এর চেয়ে আর কি করে স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব বোঝা মুশকিল।
এটা অগ্রহণযোগ্য ভাবারও কোন কারণ নেই। পৃথিবীতে যে পরিমান ব্যাকটেরিয়া আছে তার তুলনায় মানুষ তো কোন ছাড় পুরো জীবজগতই নস্যি। এখন সব ব্যাকটেরিয়া সব সময় বিপদের কারণ হয় উঠে না, কারণ বিদ্যমান পরিবেশে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে উঠে না। তবে পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে বয়া অন্য কোন বাড়তি সুবিধা পেলে তারা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বৈকি। রোগ জীবানুতে সভ্যতা ধ্বংসের উদাহরণ কিন্তু কম নেই অতীতে। জ্যারেড ডায়মন্ডের guns germs and steel বইটা পড়ে দেখতে পারেন।
একই কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। মিউটেশন চান্স দিয়ে শুরু সেতা তো আর অস্বীকার করছি না, কেবল মিউটেশনের পরের ধাপগুলো র্যান্ডম নয়, তাই বার বার বলছি। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মত প্রক্রিয়াটা যেখানে নন র্যান্ডম, কাজেই বিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটা র্যান্ডম বলাটা যৌক্তিক নয়।
একই উক্তি আবারো পুনরাবৃত্তি করলে এটাই আমার শেষ উত্তর হবে।
ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ,আপনিও ভাল থাকুন। আপনার সাথে বিতর্কে অনেক কিছু শিখলাম ও আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ। (তেল মারতেছি না। Feel free to wipe out or not publish my posts , যদি তা মুক্তমনার নীতি বিরুদ্ধ হয়।)
ঠিক নয়। ডেটার ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য ঠিক আছে, কিন্তু প্রকৌশলের সব ক্ষেত্রে কথাটা খাটেনা। একটা ক্ষেত্রের উদাহরণ দিই। এমন এলগিরদমিক সমস্যা সহজলভ্য যেখানে random সংখ্যার সাহায্য ছাড়া ভালভাবে সমস্যাটির সমাধান সম্ভব নয়। অর্থাৎ
১. এমন কোন অ-random অ্যালগরিদম নেই যা কাজ করে
২. এমন random অ্যালগরিদম আছে যা কাজ করে
আরও একটা বড় ধরণের সমস্যা আছে shannon entropy-র সাথে আপনার তুলনার। ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে আপনি শুরু করছেন “ভাল” তথ্য নিয়ে, random channel যেটাকে কিনা নষ্ট করছে। এই analogy জীববিজ্ঞানে প্রযোজ্য কি? জীবের ক্ষেত্রে random মিউটেশন কে তুলনা করা যায় একটি search অ্যালগিরদমের সাথে, communication over a channel এর সাথে নয়।
আমার বক্তব্য এটা নয় যে ডারউইন “ঠিক”। বরং আমি নিশ্চিত যে ডারউইন বহু অর্থেই “ভুল”। কিন্তু আপনার তুলনাগুলি (যথারীতি) অগ্রহণযোগ্য।
@রৌরব,
আমি প্রকৌশলী নই। যেখান থেকে তথ্যগুলো পেয়েছি , তিনি একজন তথ্য প্রযুক্তিবীদ। আপনি নির্দিষ্ট করে উদাহরন দেন , তাহলে উত্তর জানার চেষ্টা করব।
Information Entropy says that if you take ANY information system and randomly mutate the data, it’s going to be just as unsuccessful as Quick Brown Fox illustration. Doesn’t matter whether it’s English, HTML, Cassette Tapes, Chinese, DVD players or DNA.
@ফারুক,
দেখুন http://en.wikipedia.org/wiki/Randomized_algorithm
এবং সেখানে “Where randomness helps” অংশটি দেখুন।
অ্যালগিরদম নয়, আপনার প্রিয় ইনফরমেশন থিয়োরি দিয়ে একটি উদাহরণ দিই। চ্যানেলে randomness থাকলে ইনফরমেশন এন্ট্রপি বৃদ্ধি পায়, এবং ডেটা “খারাপ” হয়ে যায়। ভাল কথা। এটা প্রতিরোধ করবেন কিভাবে? প্রতিরোধ করার বিদ্যাটির নাম coding theory। Coding theory জুইড়া Randomness-র “ভাল” ব্যবহার। চাইলে গবেষণাপত্রের লিংক দিয়ে দেব।
কিন্তু মূল কথায় ফিরে আসি। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে আবছা তুলনা কোন কাজের কথা নয়। আমার উদাহরণগুলি ডারউইনকে সত্য প্রমাণ করেনা। তেমনি, ইনফরমেশন এনট্রপির ব্যাপারটাও ডারউইনকে মিথ্যা প্রমাণ করেনা।
@রৌরব,
আপনার জানা এমন কোন ‘কোড’ কি জানা আছে , যেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপন্ন হয় , কোন বুদ্ধিমানের হস্তক্ষেপ ছাড়াই?
@ফারুক,
‘সয়ংক্রিয় ভাবে উৎপন্ন’ হওয়া বলতে কি বোঝাতে চাইছেন পরিস্কার নয়। বিবর্তন তো শূন্যের উপর কাজ করে না, করে বিদ্যমান কাঠামোর উপর। কাঠামো বদলে স্বতস্ফুর্তভাবে কিছু উৎপন্ন হবার কথা বুঝিয়ে থাকেন তবে এধরনের উদাহরণ অবশ্যই আছে, জড় জগতে এবং জীবজগতেও। ঠান্ডায় জলীয় বাষ্প জমে তুষারে পরিণত হওয়া, লবনে কেলাস তৈরি, মাটির নীচে হীরক তৈরি, স্পন্টেনিয়াস ম্যাগনেটিজম প্রভৃতির উদাহরণ চোখের সামনেই আছে। বায়োলজিতেও এ ধরনের উদাহরণ প্রচুর। বায়োমলিকিউল থেকে প্রটিন তৈরি, লিপিড বাইলেয়ার মেম্ব্রেন তৈরি, এম্ব্রায়োলজির মরফোজেনেসিস সহ অসংখ্য ব্যপারই স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তৈরই হয়েছে। ব্যাপারগুলোকে বিজ্ঞানে বলে সেলফ অরগানাইজেশন। বহু বইও লেখা হয়েছে এ নিয়ে। যেমন, “Self- Made Tapestry ” নামের বইটিতে লেখক ফিলিপ বল বিভিন্ন জীব ও জড় বস্তুর প্রাকৃতিকভাবে নানা ধরণের নকশায় বিন্যস্ত হবার উদাহরণ দেখিয়েছেন অসংখ্য চিত্র সহকারে। বিভিন্ন জীবিত জৈব তন্ত্রে সন্ধান পাওয়া নকশা একই সাথে মৃত জড় সিসটেমেও দেখতে পাওয়া যায় এবং এগুলো পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নের মৌলিক সূত্র দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায়। আমার আর রায়হানের লেখাতে এবং আমাদের সাম্প্রতিক বইয়ে এর অনেক উদাহরণ আমরা দিয়েছি।
@ফারুক,
“কোড” বলতে কি বুঝাচ্ছেন কে জানে? আমি তো বললামই যে কোডিং থিয়োরির বহু কোডই random। তারপর ধরুন ডিএনএ-র কোড। আপনার এ ব্যাপারে মতামত ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু এই কোড “স্বয়ংক্রিয়” ভাবে উৎপন্ন হয়েছে বলে বৈজ্ঞানিক ভাবে গৃহিত। জেনেটিক প্রোগ্রামিং-এ বহু experiment রয়েছে যেখানে ডারউনীয় ভঙ্গিতে randomly কোড জেনারেট করা হয়, তারপর একটা fitness function কে natural selection এর বিকল্প হিসেবে ধরে random কোডগুলিকে ঝাড়াই বাছাই করে নেয়া হয়।
জীববিজ্ঞানের বইগুলো ভুল করছে।
ডজন ডজন ভাষার বইতে বর্ননা করা হয়েছে ‘ডিএনএ’ ও মানুষে মুখের ভাষার মধ্যেকার রহস্যজনক সাদৃশ্য নিয়ে।
দার্শনিকদের পাশাপাশি ব্যাকরণবিদেরাও আজকাল বিবর্তনতত্ত্ব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন এবং জীববিজ্ঞানের ভুল ধরছেন। খুবই আশার কথা বলতে হয়।
তবে নিরাশার কথা এই যে , ডিএনএ কোন ভাষা নয় । যে কোন ভাষার নিজের কোন ভৌতিক অস্তিত্ব থাকেনা , এটাকে বলতে লিখতে হয়। অপরদিকে ডিএনএ – একটা রাসায়নিক অনু যা একই রকম নিউক্লিয়িক এসিড পলিমার আরএনএ- র মাধ্যমে প্রোটিন গঠন করে। এটা একটা সম্পুর্ন ভৌতিক (physical) এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এখানে ভাষার কিছু নেই। তাহলে তো দেখা যা অক্সিজেন কিংবা কার্বনও একটা ভাষা।
ডিএনএ – র মত প্রতিষ্টিত ধারনার বিপরীতে জীব বিজ্ঞানের ক , খ না জানা লোকদের কিছু buzz word ব্যবহার করে বিভ্রান্ত করা সহজ , – এটা মানি। তবে , এখানে আপনার প্রতি যে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করা হচ্ছে , ‘খামার ব্লগের’ মত ‘বিশেষ আতিথেয়তা’ প্রদান করা হচ্ছে না – এটার অপব্যবহার আশা করি করবেন না। এতে এখানে সকলের শুধু ক্ষতিই হবে। দৃষ্টি আকর্ষন করার অনেক রাস্তা আছে , কিন্তু তার জন্য সব সময় বিতর্ক তৈরী করতে চাওয়াটা একটা নেতিবাচক স্ট্রাটেজি। এটা থেকে বের হয়ে আশা প্রয়োজন যা শুধু এখন একান্ত আপনার নয় – এটার প্রভাব সবার উপরেই বর্তায়।
@সংশপ্তক,
এইটা কি কইলেন?
DNA Language Human Language
Nucleotide Character
Codon Letter
Gene Word
Operon Sentence
Regulon Paragraph
এট্টু গুগলিং করেন , তাহলে জানবেন ডিএনএ ভাষা কি না?
সংযম প্রদর্শন না করলেই আশ্চর্য হতাম। আমরা তো এখানে জ্ঞান চর্চা করছি নাকি? ভিন্ন মত , চিন্তা না শুনলে কি করে হবে? মুক্তমনাই বা কি করে হব?
আমাকে সামহোয়ার ইন ও পীসইনইসলাম ব্লগ সাইটে কেন ব্লক করা হয়েছে জানেন? ব্লগ মোল্লাদের ধারনা , ব্লগ মোল্লারা বিভ্রান্ত না হলে ও , সাধারন মুসলমানরা আমার ইসলামি লেখা পড়ে বিভ্রান্ত হবে , কারন সাধারন মুসলমান/ পাঠকরা বোকা।
ধারনা করি মুক্তমনার পাঠকরা জড়বু্দ্ধি নয় , ওরা নিজের স্বীদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। ওদের কোন প্রটেকশনের দরকার নেই। ওরা নিজেরাই বুঝবে , কোনটা অপবিজ্ঞান আর কোনটা ছদ্মবিজ্ঞান। কোনটা অপবিজ্ঞান আর কোনটা ছদ্মবিজ্ঞান , এটা না বুঝতে দিলে ওরাও কি আস্তিকদের মতো মৌলবাদী হয়ে যাবে না?
মুক্তমনার স্লোগান – তোমার মতের সাথে না মিল্লেও , তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবণ দিতে পারি বা দরজা জানালা বন্ধ রাখলে সত্যের ভ্রমর কোথা দিয়ে ঢুকবে- এগুলো কি শুধুই মুখের কথা হয়েই থাকবে?
@ফারুক,
Junk DNA কোন জীববিজ্ঞানের পরিভাষা নয় , এটা এক সময় পপুলার মিডিয়ায় ব্যবহার করা হত। আসল প্রতিভাষা হচ্ছে নন-কোডিং ডিএনএ (non-coding DNA) যেগুলোর প্রোটিন ফাংশন এখনও অজানা। এই ফাংশনগুলো বের করার চেষ্টা চলছে এবং কিছু ইতিমধ্যে পাওয়াও গেছে। জীববিজ্ঞানের লাইনে থাকলে আপনি সেটা অবশ্যই জানতেন।
ডিএনএকে স্রষ্টার ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা চেষ্টা সৃষ্টিবাদীরা অনেকদিন ধরেই করে যাচ্ছেন যেটার সাথে মূল ধারার জীববিজ্ঞানীদের কোন সম্পর্ক নেই। আপনার যা বিশ্বাস করার আপনি তা করতে পারেন। এটাই এখানে আমার শেষ উত্তর।
@সংশপ্তক,
অভিমান কেন করেন? এখানে আমরা আড্ডা দিতে আসি এবং সেই সাথে যদি কিছু শিখতে পারি , সেটা উপরি। যতদুর বুঝেছি , আপনি মলেকুলার জেনেটিক্সের উপরে কাজ করছেন (ভুল ও হতে পারে) , সুতরাং আপনার অংশগ্রহন অপরিহার্য। আপনার কাছ থেকে বহু কিছু শেখার আছে।
@ফারুক,
মুক্তমনার শ্লোগানকে নিজের মতো ব্যবহার করলে তো চলবে না ব্রাদার। মুক্তমনা যৌক্তিক যে কোন বিরুদ্ধ মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে পারে, কিন্তু অযৌক্তিক ম্যাৎকারকে গলাটিপে হত্যা করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না।
আপনি যদি ভেবে থাকেন মুক্তমনার এই মিঠা মিঠা শ্লোগানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, তার আড়ালে এখানে নির্বিবাদে অপবিজ্ঞান প্রচার করবেন, তবে ভুল করেছেন। মুক্তমনার জন্মই হয়েছে অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কঠিন লড়ায়ের উদ্দেশ্যে, একে সমাজ থেকে উৎখাৎ করার জন্য। বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অপবিজ্ঞানকে প্রচার এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে নয়।
:hahahee:
অপেক্ষায় রইলাম! আরো হাসার! :))
@তানভী,হাসার কারনটা জানান , নইলে তো এটা অন্ধ বিশ্বাস হয়ে যাবে। :-O