অসম্পূর্ণ একজন মানুষ আমি। কারণ, আমার কোনো শৈশব নেই। শুধু যে শৈশব নেই তাই নয়। কৈশোর এবং প্রথম তারুণ্যেরও কোনো অস্তিত্ব নেই। জীবন চক্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় সীমাহীন শুন্যতা আমার। থিকথিক করে বিশাল অন্ধকার জমাট বেঁধে আছে সেখানে। শৈশব, কৈশোর এবং প্রথম তারুণ্যের ভিত্তিভূমিহীন নির্মাণ আমি। এই নির্মাণ আর যাই হোক না কেন, সম্পূর্ণতা কিংবা সফলতার দাবী করতে পারে না কিছুতেই। সে কারণেই সে দাবী করিও না কখনও। অসম্পূর্ণ এই জীবনকে অগস্ত্যযাত্রা পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যাওয়াটাই নিয়তি বলে নিশ্চুপ মেনে নিয়েছি আমি। সবকিছুর সৌভাগ্য সবার হয় না। সবার কপালে জয়ের তিলক চিহ্ন শোভা পায় না।
শৈশবের সুখস্মৃতিই নাকি মানুষের সবচেয়ে সেরা স্মৃতি। মৃত্যুর আগ মুহুর্তে নাকি ভেসে উঠে শৈশবের কোনো টুকরো ঘটনা। অথচ আমার সেরকম কোনো স্মৃতিই নেই। যা কিছু আছে তাকে সুখের স্মৃতি হিসাবে বিবেচনা করা যায় না কিছুতেই। তমস্যাচ্ছন্ন সেই শৈশব, কৈশোর আর প্রথম তারুণ্যকে তাই আমি তিমিরের হাতেই তুলে দিয়েছি। যে সামান্য এক আধটুকু সুখস্মৃতি ছিল সেগুলোকেও সমূলে উৎপাটিত করেছি আমি। মূলচ্ছেদ করেছি মায়ামমতাহীন মালির মত।
শৈশবের সেই উশকোখুশকো চুলের দুরন্ত বালকটি, যার দুটো ডাগর খয়েরি রঙের চোখে লুকিয়ে থাকতো অনন্ত জিজ্ঞাসা আর অফুরান কৌতুহল কিংবা কৈশোরের মুখচোরা লম্বা লিকলিকে বিপন্ন কিশোরটি, যে কিনা দৃশ্যমান সবকিছু থেকে নিজেকে অদৃশ্য করার সুকঠিন কাজে ব্যস্ত থাকতো, এখন সে আমার কাছে অন্য ভুবনের অচেনা কোনো মানুষ। আয়নাতে জলের ঝাপটা পড়ার পরে যে রকম অপরিচিত দেখায় নিজেকে, ঠিক সেরকমই অপরিচিত এবং ঝাপসা আমার শৈশব এবং কৈশোর। অন্যের কাছে নয়, আমার নিজের কাছেই। এই রোগাপাতলা অচেনা কিশোরটিই একদিন বিপন্ন বিস্ময়ে আবিষ্কার করেছিল অদ্ভুত এক সত্যিকে। ভুল সময়ে, ভুল গ্রহে, ভুল মানুষদের মাঝে তাকে ফেলে দিয়ে গিয়েছে দয়ামায়াহীন চরম নিষ্ঠুর কেউ একজন। জীবনের কোন অভিজ্ঞতা হবার আগেই আচমকা একদিন জেনে গিয়েছিল নিষ্ঠুর বাস্তবকে সে। জীবন বড় কৃপণতা করেছে তার সাথে। বড় অনুদার আচরণ করেছে বিবেকহীন কোনো নির্মম বিমাতার মত। তার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে পায়ে দলে এমনই এক জালে আটকে ফেলা হয়েছে তাকে, যার থেকে কোনো মুক্তি নেই তার কোনোদিন। নেই কোনো নিস্তার এই জনমে আর।
গ্রীক পুরাণের কোনো প্রতিহিংসাপরায়ন দেবীর অযাচিত অভিশাপে অভিশপ্ত জীবন আমার। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে অনিচ্ছুক এবং অবাঞ্ছিত জন্ম পেয়েছি আমি। আশাহীন, স্বপ্নহীন এক জীবনকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে এই ধরায় পাঠিয়ে দিয়েছে বিধাতা আমাকে। জন্মমুহুর্তে চোখ মেলেই দেখেছি চারিদিকে অন্ধকারের শক্ত কালো দেয়াল। জন্মান্ধ ইঁদুর ছানার মত মাথা কু্টে মরেছি সেখানে অনন্ত যুগ, অফুরন্ত সময়। শুধুমাত্র মুক্তির আশায়, বন্ধনমুক্তির প্রত্যাশায়। মুক্তি চাই, মুক্তি চাই বলে ডুকরে ডুকরে কেঁদেছি অসহায় আমি। আলোর জন্য কো্নো আকুতি ছিল না আমার তখন, ছিল না কোনো ভালবাসাও। আলো কী সেটাই আসলে জানা ছিল না আমার। তীব্র প্রয়োজন ছিল শুধু অসহ্য আঁধার থেকে বের হয়ে আসার। পৌরাণিক কাহিনির অভিশপ্ত চরিত্রের মত নক্ষত্র নিয়ন্ত্রিত পথে হেঁটেছি আমি হোঁচট খেতে খেতে, টালমাটাল, তালচিহ্নহীন। এলোমেলো পথে সম্পূর্ণ একাকী ছিল সেই অনন্ত যাত্রা। দ্বিধাগ্রস্ত, দ্বন্দ্বমুখর আর দিশাহীন হেঁটে গিয়েছি আমি সূচিভেদ্য ঘন অন্ধকারের মাঝে। এক জীবনের অর্ধেকটাই কেটে গিয়েছে আমার সেই আঁধার রাজ্যের সীমানা পেরোতেই।
এই জন্ম অভিশপ্ততা এবং অনিরাপদ জীবনের কারণেই হয়তো আজন্ম লড়াকু আমি। কোণঠাসা আহত আক্রান্ত শার্দুলের মতই প্রবল আক্রমণাত্মক, ভয়াবহ বিপদজনক। নিজেকে বাঁচাতেই আমার চারপাশে গড়ে উঠেছে কাঠিন্যে মোড়া দুর্ভেদ্য নিরাপত্তামূলক রক্ষাব্যুহ। সামান্যতম আঘাতে, কণামাত্র হুমকিতে, অতি ক্ষীণ কোনো বিপদের ঝুঁকিতেই শ্বাপদশিকারীর মত সতর্ক হয়ে যাই আমি। লেজে পা পড়া গভীর ঘুমে ঘুমন্ত কালকেউটের মত লেজে ভর দিয়ে কবন্ধ সমান উঁচু হয়ে ফোঁস করে ফণা তুলি। ছোবল মারার প্রতীক্ষায়। অর্থহীন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণঘাতী লড়াইয়ে জড়িয়েও পড়ি অহেতুক। অনাকাঙ্ক্ষিত সেই প্রাণঘাতী লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের সাথে সাথে আমিও ক্ষতবিক্ষত হই, রক্তাক্ত হই, ক্লান্ত হই, রিক্তসিক্ত হই। তুমুল ক্লান্তিতে ঘুমের অতল তলে তলিয়ে যেতে থাকি অনিচ্ছায়। একেকটা অর্থহীন লড়াইয়ের পরে শরীরে ক্ষতের দাগ লুকিয়ে, চোরা রক্তস্রোতকে উপেক্ষা করে বিজয়ের উল্লাসে উল্লসিত হই। জয়ের অপার আনন্দে রোমান ম্যাটাডোরের মত দর্শকদের দিকে বিজয়ীর মত হাত নাড়ি আমি। তারপর ভিতরের পরাজিতকে নিয়ে ফিরে যাই আবারো সেই অতল অন্ধকারে, নিজ গুহায়। নিজে নিজে ক্ষতবিক্ষত শরীরে মলম দেই অযত্নে, ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলি দেহ থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়া রক্তিম রুধিরস্রোত। শরীরের রক্ত-ঘাম মুছে আরেকটি অনাগত এবং অপরিবর্তিত দিনের অপেক্ষায় থাকি আমি। আরেকটি আসন্ন অর্থহীন লড়াইয়ের অনাগ্রহী এবং অনিচ্ছুক প্রস্তুতি নেই।
এক জীবনে দুই বিপ্রতীপ জীবনের ভার বহন করছি আমি। বড় কঠিন এই ভার। সেই বিপুল ভার বহন করতেই সমান্তরাল বিশ্বের মত পাতলা, কিন্তু অস্বচ্ছ এবং অচ্ছেদ্য প্রাচীর দিয়ে আলাদা করে ফেলেছি এদেরকে আমি। নিজেকে রক্ষা করার তীব্র তাগিদে যে স্বেচ্ছা প্রাচীর এবং ব্যুহ তৈরি করেছি আমি আমার চারপাশ ঘিরে, তাকে অবমুক্ত করার সাধ্যি আমার নিজেরও নেই। তাই একদিন যখন গভীর নিশিথে খবর আসে যে, জরাগ্রস্ত জননী আমার আছাড় খেয়ে পড়ে গিয়ে ডান উরুর সংযোগস্থলের হাড় ভেঙে চিরস্থায়ী পঙ্গুত্বের দিকে চলে গিয়েছেন, তখন আমি আলোহীন আকাশের দিকে মুখ করে পাথরের মত স্থাণু হয়ে বসে থাকি নির্ঘুম সারারাত। ছায়াসঙ্গিনীর প্রবল আকুতিমিনতিতেও সেই পাথর গলে না, ফোন করা হয় না আর। নেওয়া হয় না কোনো খোঁজখবর। কেউ জানে না, এই চরম নিষ্ঠুরতার পিছনে রয়েছে কোন নিষ্ঠুরতার কাহিনি। নিজের গড়া দুর্ভেদ্য স্বেচ্ছাপ্রাচীর ভাঙার শক্তি এবং সাহস কোনোটাই আমার নেই। এক জীবনে বসে অন্য জীবনে ফেরা যায় না। অন্য জীবনের মানুষদের দূর থেকে ভালবাসা হয়তো যায়, কিন্তু কাছে যাওয়া যায় না, ছুঁয়ে দেখা যায় না। পরাবাস্তব যে সেই পূর্বজীবন, সমান্তরাল যে সেই সরে যাওয়া সময়।
সে কারণেই যখন গভীর ভালবাসায় সবুজ একখণ্ড জমিন আর তার অধিবাসীদের পক্ষ নিয়ে আমি তুমুল বিতর্ক করি, ক্ষ্যাপা ষাড়ের মত লড়াই করি তাদের হয়ে, তখন কেউ যখন নিঠুরের মতন প্রশ্ন করে, তবে ছেড়ে এলাম কেন এত সব ভালবাসার জিনিস? আমি আচমকাই থমকে যাই, উত্তরহীন একরাশ নির্বাকতা গ্রাস করে আমাকে। শরীরের গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়ে হতাশার তীব্র অনল। বুকের ভিতরে উথলে উঠা একদলা আবেগকে শক্ত হাতে পাথর চাপা দেই। আসলেইতো, কাউকে যে বলতে পারি না, কেন ফেলে এসেছি সবকিছু পিছনে। কেনই বা আর কোনোদিন ফেরা হবে না আমার সবুজ কোমল ওই ভালবাসাময় পরিচিত পলিমাটিতে।
জানি ফেরা হবে না কখনো আর, জানি ওই জীবনকে আর কোনোদিন ছোঁয়া হবে না আমার। তারপরেও কেন যেন মাঝে মাঝেই ঝিলিক দিয়ে উঠে দূর অতীতের শৈশব। মানুষের নাকি বয়স যত বাড়ে ততই সে ফিরে যেতে চায় তার হারানো শৈশব আর কৈশোরের কাছে। যে সময়টার কোন মূল্য এক সময় ছিল না বললেই চলে, সেই সময়টাই অমূল্য হয়ে উঠে তার কাছে তখন। যে স্মৃতিগুলো অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছিল ভাঁড়ার ঘরে, সেই স্মৃতিগুলোই অনেক অনেক দামী হয়ে ফিরে আসে শোবার ঘরে। বুড়ো বয়সের একমাত্র সম্বলই যে হারিয়ে যাওয়া সব স্মৃতিমালা। আমারও হয়তো তাই। কিংবা বলা যায়, না পাবার বেদনার কারণেই হয়তো শৈশব কৈশোর নিয়ে আমার হাহাকারটুকুও অন্য অনেকের চেয়ে অনেক বেশি। একটা আনন্দময় শৈশবের জন্য, একটা দুরন্ত কৈশোরের জন্য, একটা স্বপ্নময় তারুণ্যের বিনিময়ে আমি হয়তো এই বিশাল পৃথিবীটাকেও দিয়ে দিতে পারি যে কাউকে। সে কারণেই কি না কে জানে, তিনদশক আগে ফেলে আসা শৈশব, কৈশোর নিজের অজান্তেই আবারো বাসা বাঁধছে আমার বুকের গহীনে। থেকে থেকে জানান দিচ্ছে আছি আমরা। তুমি ফিরবে না জানি, তাই বলে কী আমরা তোমাকে ফেলে দিতে পারি?
কী করে বোঝাই ওদের। ফেলে আসা শৈশবে যে আর ফেরা হয় না, ইচ্ছে থাকলেও ফেরা যায় না সেই সময়ে। এই সত্য যে আমার জন্য আরো বেশি বেশি সত্য। আমি তো অন্যদের মতন নই। একজন অপূর্ণাঙ্গ এবং অসম্পূর্ণ মানুষ যে আমি।
|
লেখককে অভিনন্দন। প্রতিমুহূর্তের এই ক্ষরণ আর দহনের ভার বয়ে যাওয়া জীবন নদী কোথাও তো পলি ফেলে না, কখনও। মানবরূপী এ জাহাজ হয়তো বহু বন্দরের দেখা পায়, কিন্তু নোঙ্গর করা হয় না তার কোনোদিনও। নিজেকে দেখা, ফিরে ফিরে দেখার এই একাকীত্বে খুব ভীষণ একটি আপন অংশের মত প্রতিফলিত হোলো আপনার লেখাটি। শেয়ার করলাম নিজের বিলুপ্তপ্রায় ধ্বংসস্তুপের সাথে, এও এক দুর্লভ প্রাপ্তি; ক্ষতের উপর প্রশান্তিময় প্রলেপের মত। ভাল থাকুন।
আপনার মূর্ত বিমূর্ত সব লেখারই ভক্ত আমি। এ লেখাটি পছন্দ হয়েছে কিনা জানিনা; তবে চোখ দিয়ে দুফোটা জল বেয়ে পড়েছিলো। ১২ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে আসা বালকটি হয়তো ৪৩ বছরে আবার তার কৈশোরে ফিরে গিয়েছিলো।
ধন্যবাদ, অপূর্ব এ লেখাটির জন্যে। (F)
আপনার স্মৃতিচারণ খুবই ভাল্লাগ্লো। আমি নিজে লিখতে বসলেও হয়তো ঠিক এইরকমই একটা কিছু বা এইরকম কিছুর খুব কাছাকাছি একটা কিছুই, বের হতো। তবে আমার সমস্যা হচ্ছে লিখতে বসাতো দূরে থাক, এইরকম কোনকিছু এমনকি কল্পনা করতে বসলেও অবচেতনার প্যালিওলিথিক বানরটি সরোষে ধমকে উঠে “যথেষ্ট হয়েছে হাইপারকাব্যময়তা, now settle down and man up!” মাঝেমাঝে এমনকিছু নিজের কোন একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে লিখেও এমনকি ফেললে কিংবা কাছের কোন মানুষজনের সাথে ভাগাভাগি করে ফেললেও, মানসিক অবস্থা গ্রাউন্ড স্টেইটে পৌছার সাথেসাথেই যা লিখেছিলাম কিংবা যা বলেছিলাম তা মনে করে লজ্জায় নিজের গা শিরশির করতে থাকে। তাই, ভুখা যেমন কালেভদ্রে অপরের ভক্ষণ দেখে ক্ষুধা নিবৃত্ত করে, প্লেসিবো ইফেক্টে পড়ে- ঠিক তেমনিভাবে আপনার লেখাখানা পড়েও সহচর্য লাভের অনুভুতি হলো! বিশেষভাবে ভালো লাগলো পঞ্চম প্যারাটি।
httpv://www.youtube.com/watch?v=WlBiLNN1NhQ
@আল্লাচালাইনা,
আমারও আপনার বলিষ্ঠ এবং সুস্পষ্ট অবস্থানটা খুব ভাল লাগে। যদিও আপনার শব্দ চয়ন ছুরির ফলার মত বড্ড বেশি ধারালো। এফোঁড় ওফোঁড় করে ছাড়ে প্রতিপক্ষকে। এই ধারালো শব্দমালার ভয়েই আমি কখনই আপনার সাথে বিতর্কে যাবো না। ( চুপি চুপি বলে যাই, মুক্তমনায় আমি আপনাকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পাই)। 😛
বন্যার পোস্টে যকৃত নিয়ে একটা চমৎকার মন্তব্য দেখলাম আপনার। এটা নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ লেখা লিখে ফেলতে পারেন কিন্তু ইচ্ছা করলেই।
ফরিদ ভাই, আপনার হাতে আর কলমে কি যাদু আছে জানি না?
কখনও রোমান্টিকতায় ভাসান, (L) কখনও তীব্র বিরহে (U) আবার কখনও শৈশব কৈশোরের আবেগে। :-s
সুযোগ পাইলে আপনার কলমটা আমি চুরি করতাম। 🙂
ভাল লাগল লেখাটি। সেই সঙ্গে নিজের শৈশব কৈশোরের স্মৃতি ছুয়ে গেল আমাকে। সাধারণত সেদিকে ফিরে তাকানোর সময় পাই না।
ধন্যবাদ আপনাকে। (F)
@সুমিত দেবনাথ,
নারে দাদা, যাদু মেশানো আছে আমার কিবোর্ডে। 🙂
কলমই নাই, তার আর কলম চুরি করা। কিবোর্ড চুরি করতে আসলে অবশ্য দিমু না। কেউটে সাপের মত ফোঁস কইরা ফণা তুলুম কইলাম। 😛
ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য।
আপনার লেখা খুবই ভাল লেগেছে ।
আচ্ছা, কেউই কি তার শৈশব, কৈশোর জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট ?
ধন্যবাদ ।
@রুপম,
শৈশব কৈশোর নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট কি না জানি না। তবে এই অংশটা যে জীবনের শেষ পর্যন্ত মানুষকে ভাবায় সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। অলস কোনো সময়ে শৈশবের সুখ-দুঃখের স্মৃতি এসে ভিড় করে নি স্মৃতিতে, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াটা বোধহয় খুব একটা সহজ নয়।
কি যে লিখলেন ফরিদ ভাই। ভাবলাম শৈশবে দু চারটে বাল্যপ্রেমের গল্প শোনাবেন-তারবদলে এক পিস রিয়ালিস্ট সারিয়ালিজম নামিয়ে দিলেন (U)
@বিপ্লব পাল,
এ্যাঁ, বলে কী বিপ্লব? তুমিও তাইলে প্রেম ভালবাসা বোঝো? 🙂
আছে আছে, থলিতে অনেকগুলো বাল্য প্রেমের গল্প আছে। ধীরে ধীরে ছাড়বো সময় করে। 😛
@ফরিদ আহমেদ,
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@বিপ্লব রহমান,
আরে, এই বিপ্লব আপ্নে না।
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
শুধু শৈশব, কৈশোর, যৌবনই না, প্রৌঢ়ত্ব বা বৃদ্ধকালও বিসর্জন দিতে হয় মানুষকে। মানুষ প্রতিকূল পরিবেশে গড়ে উঠলে দু’টো ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে। প্রথমটি হতে পারে সেও মানুষের জন্য প্রতিকূল হয়ে যাবে। দ্বিতীয় ক্ষেত্র দুর্লভ, প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসকারী মানব সমাজের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসেন। দু’টো ঘটনাই নির্ভর করে টিকে থাকার উপর, টিকে থাকতে না পারলে আবর্জনার মতো ঝেটিয়ে বিদায় করে দেবে প্রকৃতি। মনে হচ্ছে লেখক এখনো টিকে আছেন আবেগকে পুঁজি করে দেবীকে পটানোর ধান্দায়।
@গোল্লা আবুল বাশার,
লেখক যে আবেগকে পুঁজি করে টিকে আছেন সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। কিন্তু দেবীকে পটানোর ধান্ধাটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। কোন দেবীকে পটানোর ধান্ধার কথা বলছেন আপনি? :-s
@ফরিদ আহমেদ, ধন্যবাদ টিকে থাকার জন্য।
‘গ্রীক পুরাণের কোনো প্রতিহিংসাপরায়ন দেবীর অযাচিত অভিশাপে অভিশপ্ত জীবন আমার।’
‘তবে যাই বলুন সৌন্দর্যের দিক দিয়ে ভেনাসের তুলনা হয় না কারো সাথে, এটা হলফ করে বলা যায়। আর আফ্রোকে পেতে হলে ভেনাসের সুপারিশ লাগবে’- অভিশাপ মোচন করতে এ দু’জনের যে কেউ হতে পারে।
@ফরিদ আহমেদ, ভাল থাকুন। টিকে থাকুন। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই একান্ত একারই হয়, বন্ধু। সবচেয়ে কাছের মানুষটিও সেখানে অসহায়, কিছু করার নেই বলে।
টিকে আছি টিকে থাকার শত তাগিদে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আকাশলীনা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
@ফরিদ আহ্মেদ,
আনন্দ এবং দুঃখ মিলিয়েই প্রতিটি মানুষের জীবন।তাই সবার জীবনেই কিছু সুখের স্মৃতি যেমন থাকে তেমনি কিছু দঃখের স্মৃতি ও থাকে।আপনার লেখাটি হৃদয় ছুঁয়ে গেলো,মনে পড়ে গেলো শৈশব কৈশোরের অনেক ঝাপসা স্মৃতি।কিন্তু কেন আপনার এতো কষ্ট,কেন এতো অভিমান সে কারনটা ভালো করে বুঝতে পারলামনা।
@তামান্না ঝুমু,
লেখাটা পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিষয়টা আসলে কারো সংগে কোনোদিন ভাগাভাগি করি নি আমি। কিছু জিনিস আছে একান্তই নিজস্ব, কাউকেই বলা যায় না। ইচ্ছে থাকলেও বলা যায় না। এগুলোও সেরকমই।
ফরিদ ভাই, স্নিগ্ধা যে কই গেল, এই লেখা পড়ে আমি নিশ্চিত ও আপনার নামের আগে পিছে ও আরও অনেকগুলা ‘অ’ যোগ করে দিত!
আপনার এত রোমান্টিক দুঃখের লেখা পড়ে একটা খুবই অ-রোমান্টিক কথা মন হল, মাফ করে দিয়েন। আচ্ছা এইসব পুরানা স্মৃতিই যদি জীবনের সবচেয়ে সেরা ব্যাপার হয়, তাইলে আমার মত আলসাইমারসের রুগীদের জীবনটা কি ষোল আনাই বৃথা :-Y ?
@বন্যা আহমেদ,
হ। ষোল আনা না, একেবারে আঠারো আনাই বৃথা। মরার সময় কোনো স্মৃতিই খুঁইজা পাইবা না। 🙂
সত্যিই তো। এ কেমন ভালবাসা, এ কোন অদৃশ্য বিনিসুতোর মালার বাঁধন, এ কিসের টান, জীবনের প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাসে যাকে অনুভব করি?
বলার ভাষা না জানার কারণে বহুদিনের জমানো অন্তরের অব্যক্ত কথাগুলো যেন আজ আপনার লেখায় খোঁজে পেলাম। (F) (Y)
httpv://www.youtube.com/watch?v=Fe1JLF5rez0&feature=related
@আকাশ মালিক,
অনুভূতি ব্যক্ত করার মত আপনার ভাষা নেই, এটাও শুনতে হলো আমাকে। 🙁 গোলাপের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
খোঁজে পেলেন ????
@ফাহিম রেজা,
না না, খুঁজে পেয়েছি। (Y)
লেখাটি পড়ে কষ্ট পেয়েছি। প্রবাসীদের ভেতরে ভেতরে যে ভাঙ্গন তা শুনছি এবং কি এক আকুতি যেন ঝরে ঝরে পড়ছে প্রত্যেকটি বাক্য থেকে। এ অনুভূতির সাথে একাত্মতা বোধ করছি নিজের প্রবাসী ছেলের কিছু বাক্যালাপের সামঞ্জস্য পেয়ে।
লেখা অব্যাহত থাকুক এবং প্রবাসী হিসেবে যে হতাশা তা কাটিয়ে উঠ তুমিসহ তোমার মত অগণিতরা —- এ প্রত্যাশা করছি।
ফরিদের লেখাটা পড়ে খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম | নিজের মায়ের কথা মনে হচ্ছিল বারবার| মায়ের শ্রবণশক্তি কমে আসছে আস্তে আস্তে | দু’কানে ভারসাম্যও নেই|সারাক্ষন সো সো শব্দ, যন্ত্রনা , অস্টপ্রহর এক অস্বস্থিকর অবস্থা| অথচ মায়ের আক্ষেপ, দৃষ্টিশক্তিটা নষ্ট হয়েও যদি শ্রবণশক্তিটা ঠিক থাকতো? কারণ জিগ্যেস করতেই্ বললেন, তোদের সাথে যোগাযোগ তো কানেই, সেটাও যদি নষ্ট হয়ে বন্ধ হয়ে যায়,তা হলে বাঁচবো কিভাবে বল্?
প্রবাসীদের এই হতাশা আর বুক -নিংড়ানো যন্ত্রনাটাই এ লেখায় উঠে এসেছে| ধন্যবাদ ফরিদ ,আপনাকে এই সুন্দর আর মন ছুঁয়ে যাওয়া এ লেখাটির জন্য| ভাল থাকবেন|
@ভজন সরকার,
সেটাই দাদা। সব প্রবাসীদের বুকের উপর কান রাখলেই এই রকম হতাশা আর বুক নিংড়ানো কষ্টের অনুভূতি টের পাওয়া যাবে। প্রবাস যাত্রাটাই এমন একমুখী শিকড় উপড়ানো যাত্রা যে, এই অনুভূতিগুলো না জন্মে পারে না।
@গীতা দাস,
এই হতাশা আসলে কাটানোর কোনো উপায় নেই দিদি। খুব ছোটবেলায় একজনকে দেখেছি তাঁর গ্রাম ফেলে ঢাকায় চলে আসার ফলে সেকি তীব্র হাহাকার । একই দেশে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বের জন্মস্থান ছেড়ে আসাটাই যদি অমন কষ্টকর হয়, তবে আমাদের অবস্থাটা কল্পনা করুন একবার।
@গীতা দাস,
আপনি বুঝতে পেরেছেন। যে ধরতে জানে সে আসল জিনিষটাই ধরে। মানুষ স্বপনেও কষ্ট পায়। স্বদেশ-জন্মভূমি যেন এক সপ্ন, যাকে শুধু সপ্নেই কল্পনা করা যায়। যেন বাস্তবে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে, অথচ সে আছে দিবানিশী, প্রতিক্ষণে, মনে মানসে, চিন্তায়, ভাবনায়, শিরা-উপশিরায়, রক্তের কণায় কণায়। কিন্তু কেন? আজ তো কেউ নেই, বাবা নেই মা নেই, আত্মীয় স্বজন বলতে কেউ নেই। নেই ছোটবেলার মাদ্রাসার আবুল, স্কুলের বাবলু, সেই কৃষ্ণচুড়াও নেই, নেই সাদা কালো রঙের চান্দ-কপালি প্রীয় কুকুরটি। পথ-ঘাট, গাছ-বিছালি এমন কি নদীর জলও সেই কবে হারিয়ে গেছে তার ঠিকানায়। তবে কার সাথে, কার জন্যে আজও ভালবাসার টান বোধ করি? মাটি? কেন আজও অজানা অপরিচিত কাঁটা তারে গাঁথা ফেলানীর জন্যে প্রান কাঁদে? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজে পাইনা, তখন কষ্টটা আরো ভারী হয়ে উঠে, আড়ষ্ঠ হয় কণ্ঠ, প্রকাশের দুয়ার হয় রুদ্ধ।
যে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই, বারে বারে সেই প্রশ্ন করা হয়, ‘তবে কেন পড়ে আছো এই প্রবাসে’?
httpv://www.youtube.com/watch?v=TAISR9Ma0kw&feature=related
কি অদ্ভুত নস্টালজিয়া। খুব যত্নে আড়াল করে রেখে রেখেও তা লুকানো যায়না। অন্যসব প্রিয় অপ্রিয় ছাপিয়ে বেরিয়ে আসবার জানালা যে দেশ মা কিংবা একটা সরল স্বীকোরক্তি হতে পারে তাই বোধহয় দেখলাম।আড়াল নেওয়াটাই যখন এত পছন্দ, তবে তাই হোক। হোক তবু শুরু। পরবাস তো পরবাসই, তবু অনুভবে ভাগ বসাতে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
@কাজী রহমান,
অনুভবে ভাগ যে বসিয়েছেনে তাতেই অপার আনন্দিত আমি। ধন্যবাদ আপনাকেও।
উঁহু!! রোমান দেবী ভেনাসের চেয়ে, গ্রিক দেবী আফ্রোদিতে বেশি পছন্দ আমার।
@ফরিদ আহমেদ,
কেন কেন? আফ্রো.. দিদি কি ভেনাস দিদির চেয়ে মাসল্-এ বেশি শক্তিশালী? তবে যাই বলুন সৌন্দর্যের দিক দিয়ে ভেনাসের তুলনা হয় না কারো সাথে, এটা হলফ করে বলা যায়। আর আফ্রোকে পেতে হলে ভেনাসের সুপারিশ লাগবে, এটা হয়তো ভুলে গেছেন।
@মাহফুজ,
মাসল দিয়ে কী করবো মশাই? সেটা আমার নিজেরই যথেষ্ট আছে। আমার প্রয়োজন সৌন্দর্য, নমনীয়তা, কোমলতা, পেলবতা। ওতে আমি গ্রিকের পুজারী। গ্রিক সৌন্দর্যের উপরে কোনো কথা নাই।
@ফরিদ আহমেদ,
যে গ্রীক দেবীরা জীবনটাকে অভিশাপ দিয়ে অভিশপ্ত করে তুলল, সেই শত্রুদের কাছেই যাচ্ছেন সৌন্দর্য খুঁজতে। সত্যিই মতি-গতি বুঝা বড়ই কঠিন ব্যাপার! অবশ্য গ্রীক হোক আর রোমানই হোক সব দেবীদের মতি-গতি বুঝাও কঠিন। শুনেছি, ভেনাসের কাউন্টারাপার্ট হচ্ছেন আফ্রোদিতি।
যাহোক, শত্রুকে ভালোবাসতে চাইলে কে আর ঠেকাচ্ছে? সফল হোক আপনার মনোবাঞ্ছা। (Y)
@ফরিদ আহমেদ, আমার বেলাতেও তাই! বলেন তো কেন?
ভেনাস আসলেই দেবী, মনে হয়ে- অনেক দূর জগতের কেউ। আর আফ্রোদিতেকে মনে হয় রক্তমাংসের গড়া, যেন হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়… 😛
আরব্য রজনীর উপাখ্যানের মতই আবেগের দৈত্যটাকে বোতলের ভেতর সযত্নে ছিপি দিয়ে সবসময় আটকে রাখি। তাই আবেগ নিয়ে লেখা কোন কিছুর প্রতিক্রিয়ায় মুক্তমনায় কখনই কিছু লিখি না। আপনার এ লেখাটা পড়ার পর শুধু একটা কথাই আপনকে নিশ্চিত করতে চাই যে , আপনি একা নন। এমন ব্যক্তিও আছেন যিনি শুধুমাত্র শৈশব বা কৈশোর নয় , সম্পূর্ন যৌবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছেন। তারপর সম্পূর্ন অতীতকে মুছে ফেলে তার উপর গড়েছেন অনন্ত বর্তমান। বর্তমানের চেয়ে মধুর সময় আর নেই। আমি সেরকমই একজন। কোথায় যেন দেখেছিলাম :
“Yesterday is history
Tomorrow is mystery
Today is a gift which is why we call it the present.” (8)
@সংশপ্তক,
।
এই লেখার অব্যক্ত অংশগুলো উপলব্ধি করাটা আপনার জন্য যতটা সহজ, অন্যদের ততটা হবে না।।
@সংশপ্তক, কুংফু পান্ডা ছবিতে এই ডায়ালগটা আছে।
একটু কঠিন কবিতার মত শোনাচ্ছে।
তবে কথা সত্য- শৈশবের স্মৃতিচারণে আপনার শৈশবকে পাওয়া গেল না একটুকুও।
@শ্রাবণ আকাশ,
নেই যে, পাবেন কী করে?
@শ্রাবণ আকাশ,
সত্যিই কি তার শৈশব দেখতে চান? আপাতত শুধু এতটুকু বলি- শৈশব সিনেমা হলে রেখে এসেছেন। লিংক দিমু নাকি তাই কন?
@মাহফুজ, অলিভিয়ার কাহিনী তো? 🙂 জানি জানি… 😉
লেখাটা ঠিক স্মৃতিচারণমূলক নয়, মনে হয়েছে অনেকটা গদ্য কবিতার মত। মনে হয় সেজন্যই তেমন কোনো ছবি আঁকেননি। এটা ইচ্ছাকৃত নাকি জাস্ট হয়ে গেছে- বুঝতে পারছি না।
@শ্রাবণ আকাশ,
ইচ্ছাকৃত এটি। খুব সচেতনভাবে পটভূমিকাকে ধূসর রাখার চেষ্টা করেছি আমি। তবে, আমার মনে হয় না যে এতে পাঠকের খুব একটা অসুবিধা হবে। ঘটনার চেয়ে এখানে উপলব্ধিটাই মূখ্য।
@ফরিদ আহমেদ, আবার পড়লাম। চেষ্টা করছি উপলব্ধি করতে।
আমি কিন্তু আগেই বলেছিলাম- আমার কাছে কঠিন গদ্য কবিতার মত লাগছে।
এখন মনে হচ্ছে পাঠোদ্ধার আসলে মুডের ব্যাপার। মনে হচ্ছে দুনিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পাঠে নিমগ্ন না হলে বোঝা সম্ভব নয়। আবার অনেকের অভিজ্ঞতার সাথে মিলে গেলে পটভূমিটা ঝিলিক দিয়ে ওঠে, যেমন হয়েছে সংশপ্তক-এর বেলায়।
@শ্রাবণ আকাশ,
গদ্য কবিতার বিষয়টা ঠিক আছে। আমি চেয়েছি আমার যন্ত্রণাটার একটা বিমূর্ত রূপায়ন দিতে। ফলে, ভাষাটা স্বাভাবিক গদ্যের বদলে হয়তো কিছুটা কবিতার মতই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, কঠিন বলছেন কেন সেটা বুঝতে পারছি না। লেখাটা কি সত্যিই কঠিন হয়ে গিয়েছে? নাকি আপনি পিছনের মূর্ত অংশটাকে খুঁজতে গিয়ে, না পেয়ে কঠিন ভাবছেন? 🙁
আরে না। অত নিমগ্ন হতে হবে না। দুইবার পড়েছেন, তাতেই কৃতার্থ আমি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
কি জানি! প্রথম বার আমার কাছে তাই মনে হয়েছিল। হয়তো পড়ার আগেই আপনার অন্যকিছু লেখার মত আশা করে ভুল করেছিলাম বলেই থিমটা ধরতে পারিনি। এখন সবার কমেন্টগুলো পড়ে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে চেষ্টা করছি।
আচ্ছা কেউ যদি বলে- এটাকে একটা কবিতায় রূপ দেন- তাহলে কী করবেন? 🙂
@শ্রাবণ আকাশ,
আমিই বোধহয় একমাত্র বাঙালি পুরুষ, যে কি না কোনোদিন একটা কবিতা লেখারও অপচেষ্টা করে নি। তুমুল প্রেমে পড়ার বয়সেও নয়। 🙁
আচ্ছা, আমার এই লেখাটার নীচে যে চমৎকার একটা কবিতার আবৃত্তি আপলোড করে দিলাম, সেটা নিয়ে কেউ কিছু বললো না কেন? কবিতাটা কি ভাল লাগে নি কারোরই? :-s
@ফরিদ আহমেদ, ঐ আবৃত্তিগুলো ভালোলাগা-মন্দলাগার উর্দ্ধে চলে গিয়ে আমার তো অনেকটা মুখস্তর মত হয়ে গেছে 🙂
@শ্রাবণ আকাশ,
বলেন কী? মনে হচ্ছে আপনি নিজেও একজন আবৃত্তি শিল্পী।
@ফরিদ আহমেদ, নাহ্ নিজে আবৃত্তি করতে পারি না বলেই হয়তো আরো বেশী ভালোবাসি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ইশ, আস্তে বলেন মশাই।
[img]http://2.bp.blogspot.com/_P1I-Or2ze18/SP5zH4ZibEI/AAAAAAAABH0/b8SiFwbPwcs/s1600/shush.jpg[/img]
চুপি চুপি বলো কেউ জেনে যাবে-
নাহ, এইটা না। এই গান আপনার লেখার সাথে মানায় না। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, বাংলাদেশে আমার সবচেয়ে প্রীয় শিল্পী কে, আমি বলবো- শাহনাজ রহমতুল্লাহ। যে দেশের মাটির গন্ধ পেতে তৃষ্ণার্থ মনটার এত আকুতি, চলুন সে দেশটা একবার ঘুরে আসি-
httpv://www.youtube.com/watch?v=IMg5rFnmIkQ&feature=related
@আকাশ মালিক,
কেন আকাশ ভাই? চুপ করতে বলেন কেন? লোকে জানলে কী ক্ষতি হবে? :-s
আমার নিজস্ব ধারণা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা তিন নারীকণ্ঠ, একই সময়ে জন্মেছে প্রকৃতির এক অদ্ভুত খেয়ালীপনায়। অবশ্য প্রকৃতির এই খেয়ালীপনাতে লাভই হয়েছে আমাদের। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন আর শাহনাজ রহমতুল্লাহ-র মানের আরেকটি নারীকণ্ঠ পেতে বাংলাদেশকে যে কয় শতাব্দী অপেক্ষা করতে হবে কে জানে।
তবে, এই তিনজনের মধ্যে আমার পছন্দের তালিকায় তাঁর অবস্থান সবশেষে। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
আসলে সেই অর্থে বলিনি, একটা ছবির নায়িকার গানের কথা দিয়ে একটু জৌক করেছিলাম। ঐ যে আপনি একবার বলেছিলেন- কিছু জিনিস আছে একান্তই নিজস্ব, কাউকেই বলা যায় না। ইচ্ছে থাকলেও বলা যায় না।
এদিকে বিপ্লব দা আশা করেছিলেন- শৈশবের দু চারটে বাল্যপ্রেমের গল্প শোনাবেন। কিন্তু এখানে আমার কথার উত্তরে আপনার সিরিয়াসনেস ধরার পর তাতক্ষণিকভাবে একটা লেখার কথা মনে পড়ে গেল। আশা করি দেরীতে হলেও আপনার গুরুগম্ভীর ইঙ্গিতপূর্ণ কথার শানে নুজুল এবার ধরতে পেরেছি। তো বলেছিলেন-
চিরদিন তো আর বাঁচতে পারবোনা, বাল্য প্রেমের গল্প শুনতে কার না ভাল লাগে, যদিও নিজের জীবনের দ্বারপ্রান্থে প্রেম নামক কোন বস্তুর ছায়া কোনদিন পড়েনি। মরার পরে আর পড়তে পারবোনা কিন্তু, তাই একটু তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিলে ভাল হয়।
আকাশ ভাই, আমি মোটেও সিরিয়াস হই নি। দুষ্টুমির সুরেই মন্তব্য করেছিলাম। খুবই দুঃখিত যে ঠিকমত বোঝাতে পারি নি। 🙁
আমার বাল্যপ্রেমগুলো সবই একতরফা। ইচঁড়ে পাকা হবার কারণে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণটা একটু বেশি আগেই জন্মেছিল। শেষটাও বোধ হয় হবে এরশাদ দাদুর মতই দীর্ঘ সময় পরে। 🙂 তবে, দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে নারীকুল আমার এই প্রেমাভাবে প্রচণ্ড বিরূপ। বেশিরভাগ সময়ে হয় দাঁত মুখ খিঁচিয়ে এসেছে, না হয়তো নিদারূণ বিতৃষ্ণায় অবহেলা প্রদর্শন করে চলে গেছে অবলীলায়। 🙁
@আকাশ মালিক, গানটি শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ। প্রিয় শিল্পীর প্রিয় একটি গান। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
এই লেখাটা স্মৃতিচারণ – যদিও ঘটনার বাহুল্য নেই, আছে অনুভূতির তীব্রতা আর উপলদ্ধির ব্যjঞ্জনা। তাই পাঠক পারেন ভাগ বসাতে বিনা দ্বিধায়।
আপনি ঠিকই ধরেছেন ইরতিশাদ ভাই। এই স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্য ঘটনার বর্ণনা নয়, বরং ফেলে আসা সময় নিয়ে নিজস্ব অনুভূতি, আবেগ এবং উপলব্ধির বিমূর্ত প্রকাশ।
@ফরিদ ভাই,
অসাধারণ লিখেছেন! (Y)
@বিপ্লব রহমান,
ধন্যবাদ পাঁচুদা। আমার লেখায় প্লাস রেটিং দেখেই বুঝে ফেলেছি যে আপনি এসে গেছেন। 🙂
প্রতিহিংসাপরায়ন দেবী দূরীভূত হয়ে আপনার জীবনে ভেনাসের আগমন ঘটুক এই কামনা করি।