আমায় যে ঝড় বাদলে আচ্ছন্ন
যমুনায় ঝাঁপ দিতে বল
বিনিময়ে কি দেবে বল-
অদ্বিতীয় কাঠুরে আমার, বলো দেখি
ইস্পাতের আঁচড় ছাড়া
আর কি কি দিতে পারো তুমি
সীমানার বাইরে গিয়ে, পরিচিত পৃথিবীর বাইরে গিয়ে
জন্ম থেকে বয়ে চলা কাঠকয়লার বাইরে গিয়ে…
ভেবে চিন্তে বল দেখি
কি আছে তোমার, দেবে বলে যাকে তুমি
আর কারো মালিকানায় সমর্পণ করনি?
আমি তো তোমার মত
অস্ত্রশস্ত্র চিনিনা তেমন কিছু
তোমার মতন আমি আপন সিন্দুক খুলে
তদারকি জানিনা তেমন
তারপরও যাবো আমি, যমুনাকে এনে দেব
তোমার খাঁচায়,
জেনেছি অনেক পরে উন্মত্তা নদী
বড় দরকারী তোমার
তখনো কোপাই জুড়ে
পাথরের উড়ু উড়ু জল নিয়ে খেলা
জোয়ারে টিলারা নড়ে, আমি শুধু
সে নদীই ধরে রাখি
স্রোতের ভূমিকা পাতায়
নদীর শরীর দেখে তাদের এখন আর আলাদা লাগে না
বলেই বসেছো, তবে, ঝাঁপ দিয়ে দেখি
নিয়ে নাও সুখী সুখী জীবন রসদ;
যমুনা কিংবা আমি-
একজন তো ফিরবেই!
ভাল লাগল,বেশ ভাল।সুন্দর একটা কবিতার গন্ধ মাখলাম,না বুঝেই। 😀
(কিভাবে এত সুন্দর কবিতা লেখেন,আমি পারিনা কেন!why why why 😥 ,technique টা বলেন না প্লিজ। 🙁 )
@ভূইফোঁড়,
কবিতা লেখার টেকনিক…ভালো বলেছেন তো!
@ মণিকা রশিদ
‘তোকে ছুঁতে চেয়ে’ কবিতার মতই স্বাদ পেলাম।
উন্মত্ত যমুনা, গোয়াড় কাঠুরের কাছে আত্মসমর্পন মিলেমিশে একটি মোহনীয় কবিতা।
অনেকদিন পরে মণিকার পদধূলি পড়লো মুক্তমনায়। ভুল করে নাতো? 🙂
ফরিদ ভাই,
হাহাহা…
মণিকা, অনেকদিন পরে লিখলেন। আরো নিয়মিত লিখুন।
আর সুন্দর কবিতাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
অনেক ধন্যবাদ, অভিজিৎ দা। লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু মুক্ত-মনায় এসে পড়তে পড়তে সময় শেষ! এত কিছু পড়ার থাকে যে…।
– গতকাল আমার এক কলিগ তার জি-টকের স্ট্যাটাসে লিখেছিলো। আজ আপনার কবিতায় পেলাম –
কলিগের স্ট্যাটাস এবং আপনার কবিতা, দুই মিলিয়ে সুন্দর লাগলো।
@সবাক,
অনেক ধন্যবাদ!ভাল থাকুন।
কবিতা খুব একটা ভালো বুঝি এমন নয়, তবে আপনার কবিতার ছন্দের স্টাইলটা ভালো লাগলো। কয়েকবার পড়লাম, শুরুটা মনে হয় বুঝেছি, কিন্তু শেষের অংশটা ঠিকমত বুঝতে পারলাম কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত নই :-/ ।
@ফাহিম রেজা,
ভালো লাগলো পড়েছেন জেনে।