এক সমকামীর করুণ কাহিনি
আকাশ মালিক।
সুপরিচিত বিখ্যাত সমকামী কিছু ব্যক্তিত্বের নাম স্ম্বরণে রেখে গল্পটি শুরু করা যাক, যেমন- Alexander the Great, James Baldwin, Lance Bass, Boy George, Julius Caesar, Alan Cumming, Leonardo Da Vinci, Neil Patrick Harris, Elton John, George Michael, Socrates, Rufus Wainwright প্রমুখ। এমন নয় যে, এই বিখ্যাত মানুষজনকে সকলেই সব সময় সুনজরে দেখেছেন বা দেখছেন। তারা সকলেই সমকামী ছিলেন কি না তা নিয়েও অনেক তর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে বিশেষ করে লিওনার্দ দ্যা ভিঞ্চিকে নিয়ে।। এর কারণ সমকামিতা এবং প্রাণীজগত সম্মন্ধে মানুষের এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই।
একটি ফেইসবুকে সুদানের নাগরিক আলী তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা বর্ণনা করেছেন এভাবে-
‘আমার মনে হয় আমি জীবনের শেষ প্রান্থে, মৃত্যুর মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়ে গেছি। এক অন্ধকার বদ্ধঘরে আমি বন্দী। বুঝি পালিয়ে যাওয়ার আর কোন পথই আমার খোলা নেই। আমাকে দেখলে পৃথিবীর মানুষ ঘৃণায় মুখ লুকায়, দরজায় খিল দেয়, কারণ আমি সমকামী। আমার অপরাধ, আমি আমার মতো থাকতে চাই, তাদের মতো নয়।
বৎসরের অন্যান্য দিনের মত সেদিনও সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, বরং বলতে গেলে ঐ দিনটি তুলনামূলকভাবে আমাদের জন্যে একটি বিশেষ দিন ছিল, কারণ ঐ দিনই আমরা গ্রাজুয়েশন ফাইন্যাল পরীক্ষা শেষ করে একটি উৎসবের আয়োজন করেছিলাম। উৎসব হবে আমার ঘনিষ্ট বন্ধু স্টিভেনের ঘরে। সে আমাদের পুরো দলটাকেই (Freedom LGBT group) নিমন্ত্রণ করলো। আমাদের দলের সকলেই সমকামী, আমরা একে ওপরের বন্ধু। আমরা বিশ্বাস করি একদিন জগতের মানুষ বুঝতে পারবে আমরাও যে তাদের মতই মানুষ, আমাদেরও আছে তাদের মত আশা- আকাঙ্ক্ষা, আবেগ-অনুভুতি, সপ্ন-ভালবাসা, আর একদিন এই মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র আমাদেরকে গ্রহণ করে নিবে। আমরা ১২জন ছাত্র-ছাত্রী (১০ ছেলে ও ২ মেয়ে) স্টিভেনের ঘরে জড়ো হলাম। স্টিভেন তার সাধ্যানুযায়ী খাবার সহ ড্রিংক, ফল-ফুল ইত্যাদি ঘরে এনে রেখেছিল। কেউ ড্রিংক হাতে, কেউ মিউজিকের সাথে নৃত্যরত, আবার অনেকেই ফাইন্যাল পরীক্ষা, ইউনিভার্সিটি ও নিজনিজ বিষয়াদি নিয়ে হাসি-খুশি আলোচনায় যখন মূখরিত করে তুলেছেন ঘরটিকে, ঠিক তখনই সুদানি পুলিশের একদল লোক আমাদের ঘরে ঢুকলো। ঘরে ঢুকেই শক্ত ছড়ি দিয়ে তারা আমাদেরকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকলো। আঘাতের চোটে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে গেল। কারো হাতে বেড়ী, কারো পায়ে বেড়ী পরায়ে উলটো করে টেনে হেচড়ে পুলিশ আমাদেরকে তাদের বড় একটি ভ্যানে নিয়ে তুললো। আমি জানি এর শেষ কোথায়। আমার দেশে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। গাড়ি ছুটে চলেছে, আমরা জানিনা আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি অপরিচিত যায়গায় এসে গাড়ি থামলো। দরজা খোলা হল, দেখলাম দরজার সামনে ছড়ি হাতে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক একজন করে গাড়ি থেকে নামানো হলো। বিরাট একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে এক একজনকে ভিন্ন ভিন্ন রুমে নিয়ে টর্চার করা শুরু হলো। কখনো শক্ত লাঠি কখনো লোহার রড দিয়ে হাতের পায়ের নখ, এমন কি আমার পুরুষাঙ্গেও আঘাত করা হলো। আমি অকপটে তাদের কাছে স্বীকার করে নিলাম যে আমি সমকামী। দুই দিন তারা আমাকে কোন প্রকার খাদ্য এমন কি পানীয় কিছু দেয় নাই। আমি অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়ি। তৃতীয় দিনে অপরিচিত একজন লোক এসে আমাকে এমন একটি যায়গায় নিয়ে আসে, যেখান থেকে আমি জীবনের শেষ কথাগুলো লেখার সুযোগ পেয়েছি। এখানে আসার কিছুক্ষণ পরেই আমার মা আমাকে দেখতে আসেন। তিনি বললেন প্রচুর টাকা ঘুষ দিয়ে আমাকে দেখার ব্যবস্তা করেছেন, কিন্তু তিনি চান না আমি জেল থেকে মুক্তি পাই। কারণ আমার বাবা ও ভাই চেষ্টা চালাচ্ছেন আমাকে মুক্ত করার যাতে তারা নিজ হাতে আমাকে জবেহ করতে পারেন। আমি জানিনা আমার বন্ধু-বান্ধবীদের কী হয়েছে বা তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে। আমি এখন প্রহর গুনছি সেই দিনের যেদিন আমাকে কৌর্টের নির্দেশে মাটিতে পুতে পাথর মেরে হত্যা করা হবে। আমি শুধু আমার ব্যথাটুকু দুনিয়ার মানুষকে জানিয়ে দিলাম এই আশায় যে, আমার এই লেখা হয়তো একদিন সমকামিদের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে সহায়ক হতে পারে’।
উপরের কাহিনিটির শেষ পরিণতি জানার বা সত্যতা যাচাইয়ের কোন উপায় নেই, কারণ ফেইসবুক থেকে শুধু লেখাটুকুই কপি করেছিলাম কোন তথ্যসুত্র বা লিংক সেইভ করা হয়নি। তবে এখানে আপনাদেরকে একটি বাস্তব ঘটনার সাক্ষী বানাবো। দেখুন আরেকটি করুণ কাহিনি-
httpv://www.youtube.com/watch?v=iukUiMegits&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=6NunmhkPKnw&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=iEGgFW2ze2c&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=M6M5HQIXpfg&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=GN7aXXF_xDI&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=qH5yO79mb-Y&feature=related
এবার আমার একটি পছন্দের গান-
httpv://www.youtube.com/watch?v=l6k0KO53yiY
সভ্য সমাজের মানুষেরা দেখি আদিকালীন অসভ্যতা(রোগও বলা চলে) সমকামীতা চর্চায় মেতে উঠেছেন। ভদ্রলোকেরা একটু বেশিই মুক্তমনা। সমকামীতায় আক্রান্ত রোগীদের মানসিক চিকিৎসা দেয়া উচিৎ। নইলে জিনিসটা ভাইরাস আকারে ছড়াবে। যদিও মুক্তমনা-বেশধারী চিড়িয়াদের জন্য এগুলো অনেক জায়গায় বৈধতাও পাচ্ছে।
মুক্তমনা হওয়া মানে মানসিক বিকলাংগতাকে সমর্থন করা নয়। বরং এর চিকিৎসা করা। ঠিক যেমনটি করা হয় মাদকাসক্তদের ক্ষেত্রে। কেউ মাদকাসক্ত হয়ে গেলে নিশ্চয়ই তার মাদকাসক্তিকে স্বাভাবিক ঘটনা আখ্যা দিয়ে বৈধতা দিতে বলা হয়না। সমকামীতাও ঠিক এরকমই এক অস্বাভাবিক আসক্তি। দরকার চিকিৎসা।
আমার মনে হয় মুক্তমনা ব্যক্তিগন ইতিমধ্যেই আমার উপর খেপে গিয়ে আমাকে মৌলবাদী, ধর্মের দালাল ইত্যাদি ইত্যাদি বলা শুরু করে দিয়েছেন।
লেখাটা বেশ ভাল লাগল!
আমাদের দেশে যেখানে সেক্স শব্দটাই নিষিদ্ধ,সবাই ভয় পায়;সেখানে সমকামিতাতো রীতিমত আগুনে ঘী ঢালার মত।আপনার সাহসিকতা ভাল লাগল। :clap2:
ধর্ম মানুষের জীবনে অনেক হ্রদয় বিদারক ঘটনার জন্ম দেয়। কিন্তু এর শেষ কোথায়। কোনো একটা সত্য প্রতিষ্ঠিত হতে কারো কারো জীবন ত্যাগ করতে হয় যেমন সক্রেটিসের হয়েছিল। কিন্তু আশার কথা হলো সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই।
@মুহাইমীন,
এই অধিকারটা শুধু জৈবিকভাবে বাধ্য সমকামীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, অন্য কেও যদি কামনা চরিতার্থ করার জন্য সমকামী হয় জৈবিকভাবে বাধ্য না হয়েই তবে তা হবে নিষিদ্ধ
আপনার এ কথাটা আসলে আমি কিছুই বুঝিনি। জৈবিক চাহিদা বাদে সেক্সোয়াল কামনা কিভাবে হয়? যদিও আমি এব্যাপারে খুব একটা জানিনা, হয়তো অভিজিৎদা, বিপ্লবদা বা বন্যাপা ভাল বলতে পারেন, তবু আমার মনে হয় হরমোনাল কারনেই কামনা জাগে। এক্ষেত্রে সকল সমকামীই জৈবিকভাবে বাধ্য।
তাছাড়া আপনার কথা অনুযায়ী কিছু সমকামীর বেলায়( যারা জৈবিক ভাবে বাধ্য) কোন সমস্যা না থাকলে অন্য সমকামীদের বেলায় কেন সমস্যা হবে? আর কে কোন সমকামী সেটাই নির্ণয় করবে কেমনে?
আমি আপনার কথা আর বিপ্লবদার কথা থেকে সমকামীতার যে সমস্ত খারাপ দিক পেলাম তা হল-
১. সমকামিতায় কোন উৎপাদনশীলতা নেই।
২.পায়ু সঙ্গমে নাকি রোগও হয়।
৩. গ্যা’রা ভাল প্যারেন্ট না।( উল্লেখ্য লেসবিয়ান সমকামীরা ভাল প্যারেন্ট- বন্যাপা’র সাথে বিপ্লবদা একমত।)
*উন্নত বিশ্বে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ-মহিলা বিয়ে করেনা। হয় লিভ টুগেদার করে অথবা সিংগেল থাকে সারা জীবন- যেখানে কোন উৎপাদনশীলতা নেয়।
তাহলে সমকামীদের মত তারাও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
*পায়ু সঙ্গমে রোগ হয় তা যেমন ঠিক , তেমনি যোনি (সরি অন্যকোন শব্দ জানিনা।) সঙ্গমেও হয়। দুটু থেকেই রোগ থেকে বাচঁার উপায় আছে। এইড্স এ আক্রান্ত বেশীরভাগ রোগী যোনী সঙ্গমেই রোগ ছড়াচ্ছে।
তাহলে সকল প্রকার সঙ্গমই নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ।
* প্যারেন্টিং এ মহিলারা সব সময়ই ভাল। এটা সমকামী বা বিষমকামীর সাথে কোন ভাবেই সম্পর্কিত না। এমনকি অনেক সন্তান শুধু বাবার কাছে বড় হয় কারন মা না থাকার কারনে।
কেউ কি বলে শুধু বাবা প্যারেন্টিং নিষিদ্ধ? এক্ষেত্রে সরকার কিছু নিয়ম করতে পারে যাতে গ্যা পেরেন্টরা সন্তানের ভাল দেখাশোনা করতে পারে, যারা সন্তান দত্তক নিতে ইচ্ছুক।
আমি এখনো এমন কোন যুক্তিসংগত কারন পাইনি কি কারনে সমকামী নিষিদ্ধ হবে। বিপ্লবদা বলেছেন- সমকামীদের উৎসাহিত করা উচিত না ,যেহেতু সবার মধ্যেই কম বেশী সমকামী ভাব আছে।
প্রথম আমি এখনো পর্যন্ত শুনিনি কেউ কোন লেখায় সমকামী বা বিষমকামী হতে উৎসাহিত করে।
আর দ্বিতীয়ত সমকামীদের নিয়ে করা প্রায় সকল লেখাই থাকে হয় তাদের প্রতি নির্যাতন বন্ধ করা নিয়ে বা তাদের মৌলিক অধিকার নিয়ে। তাই উৎসাহিত করা নিয়ে কথা না বলাই ভাল।
@হেলাল, “প্যারেন্টিং এ মহিলারা সব সময়ই ভাল। এটা সমকামী বা বিষমকামীর সাথে কোন ভাবেই সম্পর্কিত না। এমনকি অনেক সন্তান শুধু বাবার কাছে বড় হয় কারন মা না থাকার কারনে।
কেউ কি বলে শুধু বাবা প্যারেন্টিং নিষিদ্ধ? এক্ষেত্রে সরকার কিছু নিয়ম করতে পারে যাতে গ্যা পেরেন্টরা সন্তানের ভাল দেখাশোনা করতে পারে, যারা সন্তান দত্তক নিতে ইচ্ছুক।”
-একটি সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্য বাবা এবং মা দুজনই প্রয়োজন এবং মার প্রয়োজন বাবার চেয়ে বেশি।সমকামী পুরুষ যুগল বা লেসবিয়ান নারী যুগলদের কেউ কেউ সন্তান দত্তক নিয়ে সংসার পাতার চেষ্টা করছে যা অনেকটাই এক্সপেরিমেন্টের মতো।তারা প্যারেন্ট হিসেবে স্বাভাবিক বাবা-মার চে সফল কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি।
দুদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করলাম। একটা অনির্ণীত বিষয় নিয়ে মুক্তমনায় বিতর্ক হচ্ছে, হবে, এটাই কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু কিছু ব্যাপার এই আলোচনায় আমাকে ভীষণ হতাশা করলো। মন্দ কিছু শুনলে মেজাজ ঠিক রাখা কঠিন, ক্ষেপে যাবার, প্রতিক্রিয়াশীল আচরণের, এই কৈফিয়তটাই আমাকে বেশি হতাশ করলো।
অমুক্তমনাসুলভ কথার বিপরীতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার চর্চা, বহুদিন বহু ব্লগে দেখেছি, কখনো কোনদিন ভালো ফল আনে নি। কিন্তু নির্ঘাত খারাপ ফল এনেছে। সবচেয়ে অন্যায় কথাটাও যদি আমি খোঁচা-খুঁচি না করে বলতে পারি, আমাকে বলতে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কেউ চাই দশবার আমাকে শুধরে দিক, বা আমাকে এখানে লেখার উপযুক্ত মনে না করুক।
কিন্তু ন্যায়ের পক্ষে, মুক্তমনের পক্ষে এই প্রতিক্রিয়াশীলতা আমাকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ থেকে সংকুচিতই করবে। প্রতিক্রিয়াশীলতা মুক্ত ব্লগ চাই।
@ধ্রুব, তীব্রভাবে একমত।
ধর্মে সমকামিতা নিষিদ্ধ। সমকামিতার কারণে ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরা নামে দুটি স্থানকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। বিষয়টি বাইবেলের আদি পুস্তকে রয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে যে সব দেশ সমকামিতাকে বৈধতা দিচ্ছে, ঈশ্বর কেন ধ্বংস করছেন না, সেটা জানতে ইচ্ছে করে।
@মাহফুজ,
:yes: :yes: :yes:
@মাহফুজ,
ভালো প্রশ্ন। আগে ঈশ্বর মনে করতেন সমকামিতা একটা অপরাধ। সমকামিতা নিয়ে পৃথিবীতে অনেক রিসার্স-টিসার্সের ফলে ঈশ্বর শেষ পর্য্যন্ত আগের ভুলটা বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
কিন্তু বান্দাদের বুঝতে দেরি আছে এখনো :-Y
:rotfl:
আমার মনে হয় এই পোষ্টের আলোচনা থেকে আর কিছু পাবার নেই। সবাই যদি যার যার অবস্থানে অনড়ই থাকে সেই ক্ষেত্রে এই ব্লগে কমেন্ট করার অপশন বন্ধ করে দেওইয়াই উত্তম হবে।
অভিজিৎ দা’র থলে থেকে আরো কিছু মাল-মসলা উদ্ধার করার লক্ষ্যে, আমি জেনে বুঝেই বলেছিলাম- ‘আমার বিশ্বাস হিন্দু ধর্মেও সমকামিতা বৈধ নয়’।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে তিনি যা দেখালেন তা রীতিমত এক আজব কান্ড-কারখানা। এতটুকু অবশ্যই আগে জানতাম না। কনফিউজড হয়ে গিয়েছি রামায়ণ- মহাভারতে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে, একই ঘটনার বিভিন্ন রূপ-বর্ণনা দেখে। অভিজিৎ দা’র উল্লেখিত- ‘সগরবংশীয় অংশুমানের নিঃসন্তান পুত্র মহারাজা দিলীপের বংশ শিবের আদেশে রাজার দুই বিধবা স্ত্রীর দৈহিক মিলনে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু সে সন্তান ছিল অস্থিহীন। পরে ঋষি অষ্টাবক্রের বরে সেই সন্তান সুস্থ এবং উত্তমাঙ্গ হন এবং ভগীরথ নামে রাজ্যশাসন করেন’।
আবার এদিকে শান্তনু রাজার পুত্র বিচিত্রবীর্যের বংশরক্ষার জন্য মাতা মৎস্যগন্ধা (পরবর্তীকালে সত্যবতী) পরাশর মুণির পুত্র কৃষ্ণদ্বৈপায়নকে (আরেক নাম বেদব্যাস) বিচিত্রবীর্যের দুই বিধবা স্ত্রী অম্বিকা ও অম্বালিকার সাথে সঙ্গম করে পুত্রোৎপাদনের প্রস্তাব করেন। সন্তান নিখুঁত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দাসীর গর্ভে নিখুঁত ধৃতরাষ্ট্র, পাণ্ডু এবং বিদুরের জন্ম।
এই সমস্ত কাহিনি মানুষ আজও হজম করে কীভাবে ভেবে অবাক হই।
বিপ্লব দা’কে ধন্যবাদ এজন্যে যে, তার মন্তব্যের কারণে অভিজিৎ দা’র কাছ থেকে আমরা আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম। পাল্টা-পাল্টি প্রশ্ন উত্তরে বিভিন্ন এঙ্গোল থেকে বিষয়টাকে দেখার সুযোগ হলো, অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসছিলো। দিনগুলো ভালই কাটছিল হঠাৎ দেখি মুহাইমিন সাহেব এসে ফাহিম রেজাকে একখানা ওয়াজ ফরমাইলেন এভাবে- ‘বলতে অনেক দুঃখবোধ করছি যে, আপনি অনেক অপরিনত। মানুষকে এতটা ঘৃণা করবেন না, তাকে ভালবাসুন। সবসময় নিজ মতের প্রতি অনড় থাকা সবচে’ মূর্খমী কাজ। আপনাদের মধ্যে এই প্রবণতা ব্যাপক, এটা আপনাদেরকে অন্ধ করে দেবে। নিজে কি বিশ্বাস করেন তার দিকে না তাকিয়ে সবসময় সত্য কী তা জানার জন্য চেষ্টা করুন। আপনারা যা বলবেন তাই কি শুধু সঠিক প্রমাণিত হয়। আপনারা যা বলবেন আর যা প্রমাণ করতে চাইবেন তাই সত্য হবে? এর মাধ্যমে কি আপনারা নিজেদেরকেই ঈশ্বর প্রমাণে নামেন নি? এভাবে জগৎটাকে না ভেবে যৌক্তিক চিন্তা করুন আর যৌক্তিক কথা বলুন। আপনাদের আর অন্ধ ধার্মিকদের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখতে পারছি না। নিজেদের জ্ঞানকে ত্রুটিমুক্ত মনে করবেন না, আরো জানুন, বিনয়ী হৌন, বিনয় জ্ঞানীর ভূষণ, এরকম ঔদ্ধত্ব পূর্ণ আচরণ আমি মুক্তমনায় কখনোই আশা করি না। ইদানিং এটা বেশী রকমভাবে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কিছু বলি নি। অপরের মতামতে সহনশীল আচরণ করে পালটা মতামত দিন, অন্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ে নিজেদের অন্ধত্বের প্রকাশ কেন ঘটাচ্ছেন’।
যে মুরুব্বিয়ানা সেয়ানা ওয়াজখানা বিতরণ করলেন, যদি অন্যান্য ব্লগের ইসলামি ভাষার আধুনিক গালি রপ্ত করতে পারতাম তাহলে বলতাম- এ কোন্ বা—– (পশমের) বক্তৃতা শুনালেন? এই আপনারাটা কারা, আর আপনারা’র বিপরীতে ‘আমরা’ কারা? কী বুঝে কিসের লম্ফ-জম্ফ শুরু করলেন? একজন দেখলাম পেছনে হাততালিও দিচ্ছেন। আপনাকে দুটো প্রশ্ন করি-
১) কোনকিছুর বিনিময়ে, সম্পদের লোভে কিংবা নির্যাতনের ভয়ে আপনি সমকামী হতে পারবেন?
২) রাখির প্রোগ্রামটি দেখেছেন, হেলালের বোনের কাহিনিও শুনলেন, এবার বলুন হেলালের বোনের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী? বাংলাদেশের টেলিভিশনে একটি প্রোগাম করে বলতে পারবেন- বোন তুমি এগিয়ে চলো, বাংলার ১৪ কোটি মানুষ তোমার সাথে আছে?
যদি উভয় প্রশ্নের উত্তর হয় ‘না’ তাহলে অন্তত সত্যি করে বলুন তো লেখাটা কি খুব বেশী যন্ত্রণা দিচ্ছে? আঘাতটা লেগেছে কোথায় যে, ফাহিম রেজাকে নসিহত প্রদান করে বেদনামুক্ত হওয়ার এই অপচেষ্টা?
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ আপনাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টে মন্তব্য করার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য।
দিনকাল সব সময় যে মনের মত যেতে হবে এমন কথা জগতে কেঊ সাহস করে বলবে না, কারণ সামান্য পুচকে ছোড়াও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানবলে আপনাকে জানাবে যে, দিনকালে হেরফের থাকবেই। আর প্রতিপক্ষ না থাকলে বীরত্বই বা কোথায় আর মজাই বা কোথায় বলেন? তাই ফাঁকা মাঠে ক্রীড়ারত থাকবার বাসনাটা ত্যাগ করাই বাঞ্চনীয়। আমি যে কথা গুলো ফাহিম রেজাকে বলেছি তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও প্রয়োজনীয় কথা। মনের কথা। এ নিয়ে বেশী বক বক করব না।
বিপ্লব পাল সম্পর্কে যেটা এতদিনে জেনেছিঃ তাঁর অন্তর্জ্ঞান খুবই ভাল মানের, বিশ্লেষনিক ক্ষমতা আর কোন বিষয় নিয়ে তাঁর চিন্তার ব্যপকতা আর বহুমুখীতা সত্যই আমলে আনার মত, তাই সে যে সকল কথা বলে, দেখেছি, তার মধ্যে অবশ্যই আমলে আনার মত যুক্তি থাকে। এখানেও সে অযৌক্তিক কোন কথা বলেনি বলেই দেখলাম,তার স্বপক্ষে সে সবচে’ আধুনিক গবেষনা পত্রগুলোকে রেফার করেছে। তবে কিছু কথা সে অনেক সংক্ষেপে বলে, যাদের ধরতে কষ্ট হয় বা বুদ্ধি তার সম পর্যায়ের না তারা তাকে ভুল বোঝে, আর এর জন্যই তাকে গালাগাল শুনতে হয়। এর জন্য তাকে আরও বিস্তারিত, সকলের কাছে পৌছাবে এমন ভাবে তার মত প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে তার নিজ লেভেলের ভাবলে অনেক বিতর্কের মধ্যে পড়বে বা পড়তে হচ্ছে। আর সব মানুষ যে ত্রুটিমুক্ত আর স্বয়ম্ভু তা নয়, বিপ্লব পাল কোন অযৌক্তিক কথা বলে থাকলে তার যৌক্তিক মোকাবেলা আমরা কেন করি না, ঘৃণামূলক ব্যক্তিগত আক্রমণ করব কেন?
আমার যেটা চোখে পড়েছে সেটা হল ফাহিম সাহেব কোন যৌক্তিক অবতারণা ছাড়াই বিপ্লব পালকে ধুয়ে ফেললেন। আমি মুক্তমনায় আসি একমাত্র কারণ এখানে শালীনতার চর্চা কিছু মাত্র হয়, অন্য কোন ব্লগে যার ছিটে ফোটা আছে কিনা সন্দেহ। আর একটা কারণ এখানে আসারঃ যুক্তিকে এখানে সবচে’ বেশী প্রাধাণ্য দেওয়া হয় তাই কোন বিষয় সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানার সুযোগ এখানে পাই কিছুটা, তার পরও যে পক্ষপাতিত্বমূলক আর অযৌক্তিক কথাবার্তা যে এখানে হয় না তা নয়।সেই এখানে যখন কাউকে দেখি সে মনের বিদ্বেষবশত কথা বলছে কোন যুক্তির অবতারণা ছাড়াই তখন আমি কেন থেমে থাকব? সেজন্যই ফাহিম রেজাকে তার কথাগুলো যুক্তির বাণে সাজিয়ে বলতে বলেছিলাম যাতে তার কথাগুলোর ভিত্তি থাকে, হুট হাট করে কারও উপরে ঝাপিয়ে পড়ে কথা যেন কেঊ না বলে।সে তার কথা গুলো বলুক, সাথে তার পেছনের যুক্তিগুলোও বলুক তা না হলে তো আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় সে কেন কথাগুলো বলল, কোন যুক্তির আলোকে কথাগুলো বলল।
আমার ওয়াজ যে এই মুল্লুকের সীমানা পেরিয়ে বিদেশ বিভুঁই পর্যন্ত মানুষের কর্ণগোচরীভূত হয়েছে তাতে আমি যারপরনাই পুলকিত, আহ এক সুন্দর আত্মপ্রসাদ লাভ করছি। 😛
মুক্তমনার কিছু সদস্যের মন্তব্যে লক্ষ্য করেছি তারা ভাবেন যে তারাই মুক্তবুদ্ধি চর্চার সবচে’ সঠিক পথ বোঝেন, তাদের বিরুদ্ধমত তারা কখনো সহ্য করতে পারেন না, বিরুদ্ধ মত আসলেই তারা একেবারে ধুয়ে ফেলে দেন অনেকটা অযৌক্তিক ভাবে, এই তালিকায় আপনি, আল্লাচালাইনা, ভবঘুরে এরা একেবারে প্রথম সারির, বিশেষ করে ধর্ম বিষয় হলে তো কথাই নেই, প্রতিপক্ষ একেবারে শুরুতেই উধাও হবার জন্যে দরকারি পর্যাপ্ত ভয় পেয়ে যায়।আপনারা মনে করেন আপনারা ধর্ম সম্পর্কে যা জেনেছেন সেটাই একেবারে সঠিক ধারণা আর বাকিদের ভিন্ন ধারণাগুলো একেবারে ভিত্তিহীন, নিজেদের জ্ঞানকে কেন সঠিক মনে করেন তা আমি জানি না। তবে এরকম নিজেরা যা জানি তাই সঠিক তা মনে করতে নেই। কারণ জানার কোন শেষ নেই। আমি বা আপনি যে ধারণাই কোন বিষয় নিয়ে করি না কেন তা ভুল হতেই পারে।
আর, আমি আমার আগের মন্তব্যে আমরা শব্দ ব্যবহার করেছি কিনা বলতে পারি না, তবে যদি সেই রকম কোন ভাবও প্রকাশ পায় তবে আমরা মানে আমি মানে যারা নিজেদেরকে অনেক মূর্খ মনে করি, আর মনে করি আমি যা জানি তা সম্পূর্ণটাই ভূল হতেই পারে, আমি নিজের জ্ঞানকে কখোনোই সঠিক মনে করি না, আজ আমি আমার জ্ঞানের পক্ষে যে সকল যুক্তি দেখাচ্ছি তার মধ্যে ফাঁক থাকতে পারেই আর আমার যুক্তি পর্যাপ্ত না হতেই পারে, তাই না?
আর হাততালি দিতেই পারেন, সমমনা হলে অপরের মতামতে সে হাততালি দিতেই পারে এতে ষড়যন্ত্রের আঁভাস পাচ্ছেন কেন? নাকি ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’ এই বাক্যটিকে স্মরণ করিয়ে দিলেন? সব কিছুর পেছনে বিপক্ষের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইতে নেই। কেও যদি হাত তালি বা তার মত প্রকাশ করতে নাই পারে তবে এই সাইটের নাম মুক্তমনা না হয়ে হওয়া উচিত মূর্খমনা। আর :clap2: :yes: এই স্মাইলি গুলো উঠিয়ে ফেলে দিন বদলে রাখুন শুধু :guli: :-/ এই গুলো আর মহা পন্ডিতদের জন্য রাখুন :laugh: :lotpot: :hahahee: 😎 এইগুলো।
আমি বিনিময় প্রথায় সবসময় আস্থা রাখি না জীবিকা উপার্জন ছাড়া, বাকি সময়টা আমি নিজেকে উজার করতে ভালবাসি বিনিময়ের আশা না করেই। আমি নিজেকে লোভমুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রামে লিপ্ত তাই লোভের প্রশ্ন আসে না, ভয় সবার আছে তবে নীতির ক্ষেত্রে আমি নির্যাতনের ভয় করি না আর যা আমি আমার মনে নাই মননে নেই অভ্যেসে নেই তা হব কেন তবে পরীক্ষা করে দেখার জন্য অথবা জিনিষটির স্বাদ গ্রহণের জন্য আমি সমকামী হতে রাজি আছি, হয়ে যদি আমার ভাল না লাগে তবে তৎক্ষনাৎ তা বাতিল করে দেব, কারণ যেখানে আনন্দ নেই সেখানে আমি নাই।
এবার প্রশ্নটা আপনাকেও করিঃ কোন লোভ না, নির্যাতনের ভয়ও না, আপনি আপনা আপনিই নিশ্চয়ই সমকামী হতে পারবেন, কি পারবেন না?
রাখির প্রোগ্রামটি দেখলাম, বলবঃ এটা একটা টেলিভিশন শো, টেলিভিশন শোগুলোর একটি সত্যের পেছনে যে হাজারটা মিথ্যা আর ভন্ডামি লুকিয়ে থাকে তা নিশ্চয় আপনার মত বুঝবানের জানা থাকে? তার পরেও হেলালের বোনের ঘটনাটার কথা বলবঃ কেউ যদি বাস্তবিক ভাবেই জৈবিক কারণে বাধ্য হয়ে সমকামী হয় তা তার সেই সমকামীতাটা একটা মানবিক অধিকারের মধ্যে পড়বে, এই অধিকারটা শুধু জৈবিকভাবে বাধ্য সমকামীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, অন্য কেও যদি কামনা চরিতার্থ করার জন্য সমকামী হয় জৈবিকভাবে বাধ্য না হয়েই তবে তা হবে নিষিদ্ধ কারণ কামনাকে চরিতার্থ করাটা আসলে মনের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর, এতে মানুষের সততার অবনতি হয়, বুদ্ধি কমে যায়, আত্মার অবনতি হয় ইত্যাদি ইত্যাদি, এটা আমার অভিজ্ঞতা লব্ধজ্ঞান যার সত্যতাটা আরো হয়তো যাচাই করা বাকি, তবে আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে যে কামনা মানে কাম চরিতার্থ করা ক্ষতিকর। আর সমকামীতার কোন উৎপাদনশীলতা নেই, বিপ্লব পাল বললেন পায়ু সঙ্গমে নাকি রোগও হয় তাই বলব জৈবিক ভাবে বাধ্য সমকামী ছাড়া বাকীদেরকে সমকামীতায় নিরুৎসাহিত করা উচিত।
আর আমার কথা বলছেন বিটিভিতে অভয়বাণী শুনাতে? জানুন এই মুহাইমীন সবসময় জান হাতে নিয়ে চলে, তাই এটা তার কাছে কোন ব্যাপারই না যত বাধাই আসুক না কেন। আপনি পারবেন তো আমার মত?
আবারো বলব ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’ আপনি এত সবকিছুতে যন্ত্রনা খোজেন কেন? নিজে কি আমাদের লেখায় খুব যন্ত্রণা বোধ করেন? নিশ্চয় না? তাহলে কেন মনে করছেন আমি এই লেখায় যন্ত্রনা পাচ্ছি? আপনি তো এও জানেন না এই লেখার বিষয় সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তাই না? তাহলে আগে থেকেই কেন যন্ত্রণার গন্ধ পাচ্ছেন? কারণটা খুলে বলুন না? আর নিজে কি সব সময় অপচেষ্টা করে বেড়ান নাকি আমার মতামত না জেনেই আমার দর্শনটা সম্পূর্ণ না জেনেই বলে দিলেন যে আমি অপচেষ্টা করছি? তাহলে একটা প্রবাদ বাক্য বলে নেই শুনেছেন নিশ্চয়ইঃ
আসুন আমরা সবাই আগে নিজের অন্তরটাকে পরিষ্কার করে নেই তাহলে অপরের সম্পর্কে অন্তত না জেনে অশুভ ধারণা থেকে বিরত থাকব, কেমন?
আর নয়, আপনার মঙ্গল হোক। ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আপনার বিরাট বড় মন্তব্য পড়লাম। দেখুন, আপনি যেমন মুক্তমনা সদস্যদের কটাক্ষ করে বলেছেন, সেটা আবার উনারাও ‘আপনাদের’ সম্বন্ধে বলতে পারেন। ‘আমাদের বনাম আপনাদের’ – এই ধরণের কাদা ছোঁড়াছুড়িতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই আপনি, আকাশ মালিক, ফাহিম রেজা সবাইকেই থামাতে বলছি এই অহেতুক বিতর্ক।
আর রাখি কিংবা হেলালের বোন সম্বন্ধে আপনি যে ঢালাওভাবে বলে দিলেন, ‘যে হাজারটা মিথ্যা আর ভন্ডামি লুকিয়ে থাকে’, সেটা তো আপনার অনুমান মাত্র। যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে – সমকামিতা সম্বন্ধে আপনার যে স্ট্যান্ড সেটা যে মিথ্যা আর ভণ্ডামি থেকে দূরে সেটাই বা আপনি কিভাবে বুঝলেন? আর সবচেয়ে বড় কথা আপনি যেভাবে ‘কামনা বাসনা’র দোহাই দিয়ে সমকামিতাকে ‘হবে নিষিদ্ধ ‘ বলে ফতোয়া দিয়ে দিলেন, তার সাথে হয়তো অনেকেই একমত হবেন না। সত্যি কথা বলয়ে কী – কামনা বাসনা সবারই আছে। আমারও, আপনারো। একজন বিষমকামীর যেরককম কামনা বাসনা রয়েছে, সে রকম বাসনা আছে একজন সমকামীরও। বিষমকামীরটা আপনার কাছে খারাপ মনে হয় না, বা সেটা নিয়ে কখনো উচ্চবাচ্য করার দরকারবোধ করেননি, কারণ এ ব্যাপারগুলো আপনি জন্মের পর থেকেই দেখে এসেছেন ‘স্বাভাবিক’ নিয়ম হিসেবে, সমস্যা সম্ভবতঃ কেবল সমকামীদের ‘কামনা’ নিয়ে। ব্যাপারটা অবৈজ্ঞানিক শুধু নয় বিপজ্জনকও বটে। এই যে আমি কিংবা আপনি ব্লগে লিখছি, আলোচনা করছি – সেটাও এক ধরণের ‘কামনা’ই, এই যে ফরিদ ভাই অলিভিয়াকে নিয়ে তথাকথিত ‘লোল ঝরানো’ পোস্ট দিলেন, সেটাও উনার কামনারই বহিঃপ্রকাশ, এমনকি আপনি যে কামনার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে জিহাদে নেমেছেন, সেটাও প্রকারান্তরে আপনার অন্তস্থ কামনাই! সবার কামনা থাকবে কিন্তু সমকামীদের থাকতে পারবেনা – এটা তো ভাই আমার চোখে বৈষম্যমূলক।
যা হোক, এ নিয়ে অনেক কথা ইতোমধ্যেই বলা হয়ে গেছে, চলুন আমরা অন্য পোস্টের দিকে মন দেই।
@অভিজিৎ দা,
ধন্যবাদ সুন্দর উত্তরের জন্য।
আমি কামনা বলতে বলেছি lust কে। শুধুমাত্র লাষ্ট। সেই lust যেটা প্রেম বিবর্জিত। প্রেমটাও জৈবিক, lust টাও জৈবিক তবে তা বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী মানুষের মধ্যে উপস্থিত হয়। সবার মধ্যে যেমন সবসময়ের জন্য প্রেম থাকে না, কর্মফলে, মনের উদ্দেশ্য অনুযায়ী-কর্মগুনে মানুষের মধ্যে প্রেম করার প্রবৃত্তির উদয় হয়।তেমনি সবার মধ্য যৌবন সূর্য আসলেও lust আসে না। মানুষ তার কর্মদোষে নিজের মধ্যে lust নিয়ে আসে এবং এই lustটা একমাত্র দেহের মিলনকামীই হয়, অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালবাসা, অপরের চাহিদা পূরণের বাসনা এর ক্ষেত্রে থাকে না, এই lust আসলে এতই স্বার্থপর হয় যে যার মাধ্যমে এর পূরণ হয় তার প্রতি কোন সম্মানবোধ এই লাষ্টধারী ব্যক্তির থাকে না, একমাত্র ব্যক্তির দেহের চাহিদাই এই lust এর একমাত্র উদ্দেশ্য হয়।
তাই এই lust নিয়ে যে মিলনই হোক, সমকামী মিলন, বিষমকামী মিলন যাই হোক না কেন তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়, তাই তা নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন তাহলে, lust ছাড়া কি দেহের মিলন সম্ভব? হ্যা, দিব্যি সম্ভব একমাত্র ভালবাসাকে, প্রেমকে পুজি করে। মনে রাখতে হবে এই মিলনে অপর মানুষটির প্রতি অনেক অনেক দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ, ভালবাসাবোধ, ভাললাগাবোধ থাকে, এই মিলনে স্বার্থ থাকে না, lust থাকে না।
@অভিজিৎ দা,
এখানে ভূল বুঝেছেন, আমি টেলিভিশন শো গুলোর ভন্ডামীর কথা বলেছি, সব সমকামীদের কথা বলি নাই।আমার মন্তব্য আবার পড়ে দেখেন।
আর আপনি দেখি অতি বিনয়ের সাথে অশালীন কথা বললেন, আমি তো ভন্ডামী করছি না, সেটা আমি ভাল করেই জানি, তবে অবশ্যই আমার জ্ঞান অপূর্ণ বা মিথ্যা বা ভূল হতেই পারে। তবে তা ভন্ডামীপূর্ণ নয়।
ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তরের জন্য।
@মুহাইমীন,
আসুন এ নিয়ে কথা বাড়ানো বন্ধ করি। আপনি যদি অপরপক্ষকে ভণ্ড না বলে থাকেন, তবে আমিও ভণ্ডামির কথা ফিরিয়ে নিলাম।
আর লাস্ট, গ্লুটোনি, স্বার্থপরতা – এগুলোকে আলাদা করে দেখলে হবে না। শারিরীক সম্পর্কে লাস্ট আসবেই, ঠিক যেমন প্রতিযোগিতায় সেলফিশনেস। সপূর্ণ সেলফিশনেস বাদ দেয়া সমাজ যেমন আমরা পাইনা (বরং আমি আমার প্রবন্ধে দেখিয়েছি পরার্থপরতার উদ্ভব ঘটে স্বার্থপর প্রতিযোগিতা থেকে), ঠিক তেমনি সম্পুর্ণ লাস্ট বাদ দিয়ে স্বর্গীয় প্রেমময় সম্পর্কও সবক্ষেত্রে সম্ভব নয়। মানুষ যেভাবে বিবর্তিত হয়েছে, সেইক্রমধারাতেই এই বৈশিষ্টগুলো রয়ে গেছে – জৈবিক ইন্সটিংক্ট হিসেবে। এগুলোকে আসলে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকেই দেখতে হবে, কামনা বাসনা সব বাদ দিয়ে আদর্শ সমাজের দিকে তাকিয়ে না থেকে।
বিপ্লব পালের এই ভাওড়া কথাটার তীব্র তীব্র তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এইটা কোনো শিক্ষিত মানুষের কথা হতে পারে না। আমি মনে করি একটি সংগঠন হিসেবে মুক্তমনা যেই sense of education সমুন্নত করে, অনেকে এইটাকেই হয়তো বলবেন মুক্তমনার সফিস্টিকেইসি, এই সেন্সের সাথেও নোংড়া নোংড়াভাবে সংঘাতপূ্র্ণ একটা বক্তব্য হয়েছে এটি। একযুগল নারী সমকামীর একে অপরকে চুমু খাওয়া দেখে হয়তো বিপ্লব পালের মন গেয়ে উঠে থাকবে (বিপ্লব পালের মন গেয়ে উঠতে জানে এই ধরণের কোন এভিডেন্স এই পর্যন্ত পাওয়া যায়নি) ‘o so hot, what a beauty!’, however যুগলটির লিঙ্গ পরিবর্তন করে শুধু পুরুষ করে দিন, বিপ্লব পালের মনে হতে থাকবে ‘অ্যাহঃ কি নোংড়া আর জঘন্য, এরা চাইল্ড মলেস্টার হবে না তো হবেটা কারা!’
‘পুরুষ সমকামীতা শিশু নির্যাতন বেশী করে’ এইটা একটা অশিক্ষিত সাধারণীকরণ। শুধুমাত্র এই একটি বক্তব্য যদি কোনো ব্যক্তি ইউরোপের রাস্তায় কিংবা সুসভ্য কোনো সমাবেশে উত্থাপন করে, ঘৃণায় গালভর্তি থুতু ফেলে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে মানুষ, তাকে একটি অসভ্য, আনকালচার্ড, অস্পৃষ্হ গুঁইসাপ হিসেবে গন্য করে। এবং সেই সমাবেশে দুর্ভাগ্যক্রমে যদি আমি উপস্থিত থাকি, ভার্বাল এবিউসতো কিছু আমি করবোই বলাই বাহুল্য, হিসেব-নিকেশ করে যদি দেখি যে গায়ে গতরে পরাস্ত করতে পারবো এবং আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তবে খুব সম্ভবত ফিজিকালিও অ্যাসাল্ট করবো।
বিপ্লব পাল তার কল্পনাপ্রসূ্ত হোকাস-পোকাস সুডোস্কলারির মোড়কে খুব বিষাক্ত বিষাক্ত একটা পন্য বেচার ধান্দায় রয়েছে কিন্তু। অসদস্য অবস্থায় আমি যেই বিপ্লব পালকে দেখেছি, যেই বিপ্লব পাল একের পর এক তাইরেনাইরেনা পোস্ট লিখে চলে, সবাই এসে একটা করে বাহবা দিয়ে দেয় দৌড়, কিন্তু সিরিয়াসলি নেয় না তাকে কেউই, সিরিয়াসলি নেওয়া যেতে পারে এমন কোন মহত বাণীও নির্গত হয় না যার আদিগন্তবিস্তৃত বি-শা-ল বি-শা-ল মুখগহ্বরটি হতে, সেই বিপ্লব পাল কিন্তু- আমার ভয় হয়- আমাদের দৃষ্টিপট থেকে খুউব ধীরে ধীরে হাপিস হয়ে যাচ্ছে। তার স্থান দখল করছে বরঞ্চ এসে এমন এক নতুন বিপ্লব পাল যার তলে কিনা জনা দুয়েক লোক তালিও বাজায় সাম্প্রতীক কালে। এবং কারা তালি বাজায়, কি তাদের বক্তব্য, কি আব্দার? ওয়েল, তাদের আব্দার হচ্ছে একটি মাত্র জীবনবৃক্ষে আমার আর চলছে না, এখন থেকে আরও ডজনখানেক জীবনবৃক্ষ আমার চাই, যার ডালে ডালে শাখায় পাতায় চড়ে আমি কল্পনার হাওয়ায় আমার দর্শন আর নৃতত্বের ঘাগড়া ফোলাবো। বিবর্তন নিয়ে মুক্তমনায় এতোদিন যারা যারা লেখালেখি করেছেন আমার তো মনে হয় শুধুমাত্র এই একটি মন্তব্যের প্রেক্ষীতে হতাশায় মাথার চুল ছিড়তে ছিড়তে তাদের প্রত্যেকের এক একবার করে ফাঁসি নিয়ে ফেলা উচিত, অবশ্যই প্রতীকীভাবে। আপেক্ষালৃত বেশী ভাইরুলেন্ট মিউটেশন লাভ করছে বিপ্লব পাল এবং বলাই বাহুল্য রেপ্লিকেটও কিন্তু করছে জীবানুর মতোই, আজই দেখুন নীচে মুহাইমিন নামক আরেকটি জার্ক এসে বিপ্লব পালের তলে তালি বাজাচ্ছে, বিপ্লব পালের মন্তব্যটি কতোটা প্রদাহী প্রদাহী একটি মন্তব্য হয়েছে সেটি একটিবারের জন্যও বিবেচনা না করে।
আর কি কি করে বিপ্লব পাল? ওয়েল, সক্রিয়ভাবে সুডোসায়েন্স, এন্টিসায়েন্স ও কোয়্যাকারিকে ডিফেন্ড করে ও প্রতিষ্ঠিত করে। হোমিওপ্যাথির গুনগান গায়, হোমিওপ্যাথির এফিকেসি পরীক্ষার জন্য ট্রায়াল দাবী করে যেনো হোমিওপ্যাথি একটি ইফেক্টিভ থেরাপিউটিক হওয়ার জন্য কতোটা সম্ভাবনাপূর্ণ; হার্ডএন্ড এভিডেন্সকে ছুড়ে ফেলে নিজের মনগড়া অ্যানেকডোটাল গল্প ঠেঁসে দেয় মানুষের কর্ণকুহরে; আপিল টু অথারিটি, কোট মাইনিঙ্গয়ের মতো অশিক্ষিত লজিকাল ফ্যালাসির ভার্সাটাইল ব্যাবহারের মধ্য দিয়ে নিরীহ মানুষের মননে বপন করে নিজের শূণ্যযোনি সুডোস্কলারির বিষবৃক্ষ। বিপ্লব পাল আক্রমন করে বিজ্ঞানের মূ্লে, রিডাকশনিজমকে, অথচ যেই কম্পিউটারে বসে বিপ্লব পাল তার গোবর্জনা নিষ্ক্রমন করছে সেই কম্পিউটারটি মানুষের রিডিউস করতে পারার ক্ষমতার একটি জয়পতাকা। কিচ্ছু দেখেনা চোখে বিপ্লব পাল, এবং অন্য মানুষ কেনো চোখে দেখছে কেনো উনার মতো একটি দুধেল-নধর কনস্পিরেসি থিওরিস্ট বিরিঞ্চিবাবায় ধর্মান্তরিত হচ্ছে না এটা নিয়ে অভিযোগ অনুযোগ করে চারপাশ বিষিয়ে রাখে।
কমিউনিজম করে বিপ্লব পাল। তার প্রিয় ব্যক্তিত্বে্র তালিকায় থাকে মার্ক্স এবং লেনিন। অথচ এই জানোয়ারগুলো জনমানসে, মিডিয়ায় এবং একাডেমিয়ায় প্রতিষ্ঠিত শতাব্দীর ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য কয়েকটি বিষফোঁড়ার দুটি হিসেবে। এদের হাতে লেগে আছে অসংখ্য মানুষের রক্ত। অথচ শুধুমাত্র নিজের অকর্মা ফ্যান্টাসির অন্তর্বাস ফোলায় দেখে বিপ্লব পাল এদের গ্লরিফাই করে। একটা ইসলামিস্ট যেমন বোগাস শ্রেণীবিভাগ করে বলে ইসলাম দুই প্রকার- বোমা ইসলাম ও ভালো ইসলাম; ঠিক একইভাবে বিপ্লব পাল বলে কমিউনিজম দুই প্রকার- লেনিন কমিউনিজম আর মার্ক্স কমিউনিজম, একটা গুলাগে পাঠালেও আপরটি কোলে বসিয়ে সুন্দর দুধ-ভাত খাওয়ায়; এবং এই চিপশট খেলে শুধুমাত্র এই তথ্যের উপর নির্ভর করে যে- সমাবেশের অন্যান্য সদস্যরা আমার এই পাকনামী ধরে ফেলার মতো পর্যাপ্ত চালাক হয়তো নয়।
ঠেসে ধরলে পরে ঠিক একটি ঘৃণ্য ইসলামিস্টের মতোই ফুচুত-ফুচুত ফচাত-ফচাত পিছলিয়ে যায়। ধরতে পারবেন না আপনি বিপ্লব পালকে কোনোভাবেই। আর তর্ক শেষে তালগাছটিও সবসময় উনার বগল তলায় চাই। জীবনে একটা ভুলও করেনি বিপ্লব পাল, তাকে কখনও বলতে শোনা যায়নি ‘অই কথাটা আমি ভুল বলেছিলাম আমি দুঃখিত।’ মানুষ মাত্রায় ভুল করে এই মূ্লনীতিকে ভুল প্রমান করে বিপ্লব পাল ধরাধামে বর্তমান বলাই বাহুল্য একটি বোধশক্তিহীন জার্ক হিসেবেই, যাকে লক্ষ্য করে এমনকি সদালাপের মতো বাংলা ব্লগের ‘বেহেস্তি কুঞ্জী’ বুলিয়িং এর বুলেট ছুড়লে পরে নিরাপদ-আশ্রিত অন্যান্য মুক্তমনার কিনা হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় ভেবে- ‘now its starting to sound pretty plausible!’ প্রদাহী কথা বলে বলে মানুষের মেজাজ ইচ্ছাকৃতভাবে সপ্তমে চড়িয়ে দেয় বিপ্লব পাল, অথচ ন্যাচ্রাল সিলেকশনের নিয়মে ইটের বিনিময়ে পাটকেল আসলে পরে ঘ্যাও ঘ্যাও ম্যাও ম্যাও করে কাঁদে ‘ব্যক্তিআক্রমন ব্যক্তিআক্রমন’ ঠিক সদালাপের রিংলিডার হয়রান পাগলার মতো। ব্যক্তিয়াক্রমন করবে না তো কি ধরণের আক্রমন করবে? স্টিফেন হকিং কে লক্ষ্য করে উনার করা একটি মন্তব্য অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন যেখানে কিনা বলেছিলো ‘স্টিফেন হকিঙ্গই বোকা’ বা এই ধরণের একটা কিছু। একজন ব্যক্তি স্টিফেন হকিঙ্গকে বোকা বলছে, ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার প্রথম ইম্প্রেশন কি হবে? ওয়েল আমার প্রথম ইম্প্রেশন হবে ‘এই ছোকড়া তো দেখা যাচ্ছে কোন সাধারণ পাগল-ছাগল নয়!’ অবশ্যই হকিঙ্গ এর সাথে আমার মতানৈক্য থাকতে পারে, কিন্তু ওই ব্যক্তিটি যার সাথে কিনা আমি মতানৈক্য প্রকাশ করছি, যদি হয় স্টিফেন হকিং, তাহলে আমার মতানৈক্যের ভাষাটা হয়তো হতে হবে আরও অনেক অনেক নম্র, প্রথম পাঁচ মিনিট আমাকে বলে নিতে হবে স্টিফেন হকিঙ্গ এর কোন কোন বিষয়ের সাথে আমি মতৈক্য প্রকাশ করি, কেবলমাত্র তারপরই আমি তার সাথে মতানৈক্য প্রকাশ করে জনসমাগমে নিজের পাগল-ছাগল প্রমানিত হওয়া রোধ করতে পারি। আর বিপ্লব পাল কি করেছিলো? কতোটা আত্নবিশ্বাসের সাথে করেছিলো? আমার মতো দুই একজন প্রোসায়েন্স এমতাবস্থায় হালকা পাতলা ব্যক্তিআক্রমন করতেই পারে বৈকি। আমিতো মনে করি ঈশ্বর বলে যদি আসলেই কিছু থাকতো, কলিকালে কোন ব্যক্তির এহেন বুদ্ধিবৃত্তিক অনাচার দেখে হয়তো সে ওই ব্যক্তির আত্নবিশ্বাস তার কন্ঠনালী দিয়ে ঠেঁসে দিতো।
আমার প্রতিক্রিয়া কারও কাছে প্রকট মনে হলে বিপ্লব পালের সাথে অসাদৃশ্যপূর্ণভাবে আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করবো। তবে প্রশ্ন কিন্তু আমার থেকেই যাবে, বিপ্লব পালের উপরোক্ত চরম চরম অসভ্য, বর্বর এবং হমোফোবিক বিবৃতিটির বিরুদ্ধে আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে? বা বিপ্লব পাল আরও যা যা কাজ কর্ম ক্রিয়া কলাপ করে এতদপর্যবেক্ষণপূর্বক আপনি কি সিদ্ধান্তে পৌছবেন, বিপ্লব পাল নিছকই আরেকটি বিরিঞ্চিবাবা কি না; বিপ্লব পালেরই মতো হয় এস্পার নয় ওস্পার সিদ্ধান্ত যদি আপনাকে নিতে হয়।
এটা যথেষ্ট সম্ভাবনাপূর্ণ যে বিপ্লব পাল ফ্রয়েডিয়ান ডিনাইয়ালে ভুগছে। অবশ্যই তার উপর এতোটা নির্মোহভাবে একটি মেডিকেল কন্ডিশন চাপিয়ে দেওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তি আমি নই, আমি শুধুই বলছি সম্ভবাবনার কথা। তবে এটা নিয়ে মনে হয়না খুব বেশী দ্বিমত করার কিছু রয়েছে যে তার কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম, আচার-আচরণে ক্রনিকভাবে বিপ্লব পাল প্রদর্শন করে চলছে an astounding deviation from the standard normal modes of human behavior. বিপ্লব পাল যে যা মুখে আসে তাই বলে, এবং কতোটা আত্নবিশ্বাস নিয়ে হোকাস পোকাস কথা বলে যেগুলো কিনা এমনকি কোনো ব্যকরণগত ভাবও প্রকাশ করে না এর একটা প্রমান দেখতে পাবেন এইখানে। আমারতো মনে হয় মুক্তমনার ৫০% এরও বেশী সদস্য যারা কিনা ইতিমধ্যেই হাইস্কুল কেমিস্ট্রি গুলিয়ে খেয়ে বসে নেই, নির্ধারণ করতে পারেন কতোটা কতোটা প্রদর্শনযোগ্যভাবে ভুল বিপ্লব পালের বৈজ্ঞানিক পেপার পাঠ এবং সেই পেপারকে বোঝা? This guy is out…..way out!
@আল্লাচালাইনা,
আমি আমার বক্তব্যের সপক্ষে পেপার দিয়েছি। সেগুলো আগে পড়ে নাও। যে কোন সুস্থ মস্তিস্কের লোক আমার লেখা পড়ে বুঝবে, আমি যুক্তি এবং পেপারের ভিত্তিতেই কথা বলছি। কাওকে ব্যাক্তিগত আক্রমন ও করছি না।
মাথা গরম করার কিছু নেই। আগে ভাল করে পড়, জান।আমার সাথে বিজ্ঞান এবং দর্শন নিয়ে বিতর্ক করার মতন বোধ বুদ্ধি বা জ্ঞান কোনটাই তোমার নেই। তাই আগে পড় এবং জান।
@বিপ্লব পাল, আপনি যে কি পেপার পড়েন, পিড়া কি বোঝেন আর কি ডেইটা ইন্টারপ্রেট করে ন্তার একটা নমুনা দেখাইলাম না? আপনার সাথে বিজ্ঞান-দর্শন নিয়ে বিতর্ক করার বোধ-বুদ্ধি-জ্ঞানের অভাব আমার যথেষ্টই রয়েছে মানি কিন্তু তার চেয়ে বড় অভাব রয়েছে হচ্ছে গিয়ে সময়ের।
@আল্লাচালাইনা,
কিছু বললে হয়তো আমাকে বিপ্লব পালের চ্যালা বানিয়ে দিবেন কিন্তু আপনার মন্তব্য যথেষ্ট আপত্তিজনক ভাষায় লেখা,তাই আপত্তিটা জানিয়ে যাওয়া দরকার মনে করছি। বিপ্লব পালের মন্তব্যে হয়তো বিরক্ত হবার মত অনেক কিছু আছে,সেসব ব্যাপারে যাচ্ছিনা,মুক্তমনায় সব তর্ক-বিতর্ক শালীন ভাষায় হবে এটাই আমরা সবাই চাই।
@রামগড়ুড়ের ছানা, চ্যালা হবার মতো কোনকিছু বলেননি আপনি। আপনি আপত্তি জানাতে পারেন আমিও একই কাজ করেছি, আপত্তি জানিয়েছি। বিপ্লব পালের মন্তব্যে বিরক্ত হবার মতো কিছু আমি পাইনি, তবে ক্রুদ্ধ হবার মতো যথেষ্ট কিছুই ছিলো। বিপ্লব পাল যেটা করেছে এইটাকে বলে হোমোফোবিয়া, এইটা যদি আপনার আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সিমুলেট করা কঠিন হয়, বিপ্লব পালের গেই শব্দটাকে নারী কিংবা হিজড়া কিংবা হিন্দু দ্বা্রা প্রতিস্থাপিত করলে আপনি ব্যাপারটা ভালো সিমুলেট করতে পারবেন। উপরে আরও একডজন মানুষ বিপ্লব পালের ওই বক্তব্যটির বিরোধীতা করেছে, কতোটুকু টলেছে তাতে বিপ্লব পালের অবস্থান?
হার্ড বিহেইভিয়ার আমরা সবাই ই করি, এর আগে বিপ্লব পালের বহু হোকাস পোকাস কথা আমি শুনেও শুনিনি। বিপ্লব পাল মুখ খুলে ১০ টি বাক্য নিষ্ক্রান্ত করলে তার মধ্যে অন্তত দুটি যে হবে going nowhere বাক্য এই ব্যাপারেতো আপনার কোনো সন্দেহ নেই নাকি? আমার মনে হয় বিতর্কের পেটি শালীনতার চেয়ে কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেমন- হোমোফোবিয়া, রেইসিজম, সেক্সিজম ইত্যাদির ক্ষেত্রে তার ভাগের ঐ দুটি going nowhere বাক্য পড়লে দশজনের মধ্যে অন্তত একজনের পরিষ্কার ভাবেই এটা বলতে পারা উচিত who is what. ফেয়ার অনুপাত নাকি? আপত্তিজনক আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু আশালীন আপনার কাছে কি মনে হয়েছে এখনও আমি পরিষ্কার না। ‘I hate fagotts’ এইডা কি আশালীন বাক্য, আপনার কি মতামত?
@আল্লাচালাইনা,
আপত্তিজনক,অশালীন দুটোকেই আমি কাছাকাছি অর্থে ব্যবহার করেছি। “””আপেক্ষালৃত বেশী ভাইরুলেন্ট মিউটেশন লাভ করছে বিপ্লব পাল এবং বলাই বাহুল্য রেপ্লিকেটও কিন্তু করছে জীবানুর মতোই, আজই দেখুন নীচে মুহাইমিন নামক আরেকটি জার্ক এসে বিপ্লব পালের তলে তালি বাজাচ্ছে””” এ ধরনের কথাবার্তা আমার শালীন মনে হয়না,জার্ক শব্দটার এখানে দরকার ছিলনা। সার্বিকভাবে আপনার মন্তব্যটি আমার আপত্তিজনক মনে হয়েছে,এটাই বলতে চাই। কথাও অস্বীকার করছিনা যে বিপ্লব পালের অনেক মন্তব্যই বাকিদের বিরক্তি আর রাগের কারণ হয়ে দাড়ায়। ক্রুদ্ধ হলেই মাথা গরম করা কাজের কথা নয়।
মাথা ঠান্ডা করে বিতর্ক করুন,আমরা সবাই অনেক কিছু শিখতে পারব বিতর্কটা থেকে 🙂 ।
ভালো থাকবেন।
@আল্লাচালাইনা,
তোমার লেখা এবং বক্তব্যে মুসলিমরা বিরক্ত এবং ক্রুদ্ধ। তারা তোমাকে ইসলামোফবিক ভাবে এবং বলে? তুমি কি সেটা মান?
নিশ্চয় মান না। কারন তোমার “ধারনা”, ইসলাম নিয়ে তোমার বক্তব্য যুক্তিপূর্ন এবং বিজ্ঞানভিত্তিক।
আমার পজিশন ও আলাদা না। আমি রেফারেন্স দিয়ে দেখালাম, পেপার দিয়ে দেখালাম আমার পজিশনের ভিত্তি কি। মুসলিমরা যেমন ইসলাম কত বৈজ্ঞানিক সেটা করতে অপবিজ্ঞানের সাহায্য নেয়- বায়োলজিক্যাল বেসিস বা বর্ন গে এর মত অপবিজ্ঞানের সাহায্য গে আক্টিভিস্টরা সমাজে অপবিজ্ঞানের প্রচার করেছে। সেগুলো তোমাকে আগে বুঝতে হবে পেপার পড়ে-আমি কিছু রেফারেন্স দিয়েছি।
ইসলামোফবিক মার্ক হবার ভয়ে যেমন তোমার যুক্তিবাদি বা বিজ্ঞানবাদি কলম থেমে থাকবে না, ঠিক তেমনি, হোমফবিক চিহ্নিত হওয়ার ভয়ে আমার কলম ও থামবে না।
তোমার সাথে আমার পার্থক্য হচ্ছে তুমি ভীতু-তাই ছদ্মনামে লেখ। আমি ভয় পায় না-তাই নিজের নামেই লিখি। কারন সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা আমার কাজ।
বিপ্লব’দা
আপনার সমস্যাটা, আমার মতে, অল্প কথায় আপনার মন্তব্য করার অভ্যেস। অল্প কথায় যদি আপনি লেখার পক্ষে বলেন কেউ হয়তো আপত্তি করবে না। কিন্তু যে কোন সমালোচনা করতে হলে সময় নিয়ে আপনার যুক্তিগুলো সাজিয়ে, যুক্তির সপক্ষে প্রমান সহকারে আপনাকে লিখতে হবে। আপনি শুধু আপনার উপসংহার ১, ২, ৩ এভাবে বলে চলে যাবেন তাহলে যে কেউই আপত্তি জানাবে। উপরে বন্যা’পাও একই কথা বলেছেন। এভাবে এস্পার ওস্পার করে মন্তব্য না করে সময় নিয়ে মন্তব্য করা উচিত। আপনি হয়তো ভাবেন যে সময়ের অভাব। কিন্তু দেখেন যে পরে তো ঠিকই সময় আরো বেশি দিতে হচ্ছে। আপনি হয়তো এটাও ভাবতে পারেন যে মন্তব্য লেখাতে এতো সময় দিলে তো আরেকটি লেখাই নামাতে পারি। সেটাই, মন্তব্যকে লেখার চেয়ে আলাদা করে দেখার কিছু নেই, বিশেষ করে যখন সমালোচানা বা স্রোতের বিপরীতে কিছু বলছেন। বরং লেখার চেয়েও মন্তব্যকে আমি গুরুত্ব দেই বেশি। মন্তব্যের মাধ্যমেই একজন মানুষকে আরো বেশি চেনা যায়। আপনার লেখাগুলো যতটা গুছানো হয়, মন্তব্য ততটাই অগোছালো। যে কারণে আপনার নিজের অবস্থান এখন বিতর্কিত। অবশ্য আপনার ভাব হচ্ছে তাতে কিছু আসে যায় না, আমি তো ঠিক। এটাও ভুল পদক্ষেপ। আপনার উদ্দেশ্য মানুষের কাছে কিছু পৌছানো। সে জন্য আপনাকে সেটা তাঁদের কাছে পৌছানোর মত করেই বলতে হবে, আপনার মত করে নয়। সেটা তো ধর্ম প্রচারকেরা করবে। “আমি তোমাদের জন্য মহান বানী নিয়ে এসেছি, তোমার তাতে বিশ্বাস করো। ওহে মুর্খরা কেন তোমার বুঝতে পারছো না যে এই সে গ্রন্থ যার জন্য তোমার অপেক্ষা ছিলে।” আপনি আপনার মন্তব্যগুলো খেয়াল করুন, দেখবেন এরকম একজন প্রচারকের ইমেজ রয়েছে। এই ইমেজ নিয়ে প্রচার করলে আপনার দর্শন আপনার মাঝেই থাকবে, কেউ সেটাকে গ্রহন করবে না, অথবা তলোয়ার নিয়ে নামতে হবে। আপনি তো সেটাও পারবেন না। আমি মনে করি না যে একজন পূর্ণবয়স্ক কাউকে বুঝানো সম্ভব। যেমন আল্লাচালাইনা কে বুঝানো সম্ভব নয় তেমনি নয় আপনাকে বা অন্য কাউকেই, যদি না নিজে নিজে উপলব্ধি করতে পারেন ভুলগুলো। আল্লাচালাইনার মত ব্যাক্তি কোন দিন নিজের ভুল বুঝবে না, কিন্তু আশা করি আপনি আপনার ভুলগুলো বুঝবেন। ভুল কিন্তু দর্শনের নয়, দর্শনের প্রচারে। আমার মন্তব্যে আল্লাচালাইনা অফেন্ডেড করলেও কিছু আসে যায় না। শুরু তিনিই করেছেন, এখন কিছু পাটকেল উনাকেও খেতে হবে, আমাকেও খেতে হবে। এই ধারা চলবেই এবং এটার দাঁয় মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের।
@স্বাধীন,
আমি একটা থ্রেড দিয়েছিলাম। ওখানে অনেক রেফারেন্স ছিল। দীর্ঘ আলোচনা ছিল। মুক্তমনায় এই যে আলোচনা দেখছ, সেগুলো সবই ওখানে পাবে। আরো বেশী তথ্যপাবে।
জনপ্রিয় হওয়ার জন্যে লেখা উচিত না। জনপ্রিয়তা নেমে যাবার সিঁড়ি এবং নিজেকে বাঁধার দড়ি। আমি হিন্দু, মুসলমান, কমিনিউস্ট, ফেমিনিস্ট-সব ধরনের এক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধেই কলম ধরেছি-তারা গালাগাল ও দিয়েছে। যুক্তি দিতে পারে নি। যেমন আল্লাচালাইনা বা রেজা যুক্তিত কিছু দিতে পারেনি। শুধু গালাগাল দিচ্ছে। এটাত চেনা ছক-অক্ষমের উস্ফালন যা সদালাপে সব থেকে বেশী পাবে।
চিন্তা ভাবনায় গভীরতা আনতে তিনটে জিনিসের দরকার-বোধ, বুদ্ধি এবং সাধারন মানুষের ভালোবাসা।
@স্বাধীন,
আমার মতে বিপ্লবের সমস্যাটা এতো হাল্কা নয়, এর চেয়ে অনেক গুরুতর। 🙂 তার অল্প কথায় মন্তব্য করার অভ্যেস তো আছেই, তার উপর খুব চটুল, প্রচলিত এবং অনেক ক্ষেত্রে অপ্রমাণিত স্টেরিওটাইপিং এর ধারণার উপর ভিত্তি করে বড় ধরণের উপসংহারে চলে যাওয়ার প্রবণতা। এর পাশাপাশি অন্যরা যে ইনকন্সিস্টেন্সির বিষয়ে যেগুলো বলেছেন, সেগুলোও কম বেশি সত্য। একটা খুব সহজ উদাহরণ দেই, যেটা উপরে আলোচনায় অনেকেই বলেছেন। বিপ্লব এই যে হুট করে বলে দিলো – ‘সমকামীরা শিশু নির্যাতন করে’। বহুল প্রচলিত একটি মিথকে সত্য হিসেবে নিয়ে (যদিও আমি বহু অথেন্টিক রেফারেন্স হাজির করে দেখিয়েছি যে এটা মিথ্যা, কারণ বহু স্বনামখ্যাত গবেষকদের গবেষণায় বরং উলটো চিত্রটিই পাওয়া গেছে) চটুলভাবে বলে দেওয়া – রাস্ট্রের উচিৎ নয় এদেরকে উৎসাহিত করা।
দেখো, আমি যদি এরকম বলি – কিরকম শোনাবে? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে কালোরাই (আফ্রিকান আমেরিকান) সাদাদের চেয়ে বেশি অপরাধ করে থাকে (গুগলে সার্চ করলেই এর পক্ষে অনেক লিঙ্ক পাওয়া যাবে, যা ইচ্ছে করলেই বিপ্লবের মতো করে ব্যবহার করা যাবে)। তাহলে এর ভিত্তিতে যদি আমি অভিমত দেই – রাস্ট্রের উচিৎ নয় কালোদেরকে আমেরিকায় বাস করতে দেয়া, কিংবা রাস্ট্রের উচিৎ নয় কালোদের কোন কমিউনিটিতে বাসা কিনতে দেয়া বা উৎসাহিত করা। সিরিয়াসলি – কেমন শোনাবে, বলেনতো?
মনে কী হবে না যে, এই অপরিণত উপসংহারের পেছনে কোন গবেষণা নেই, পেছনের কারণগুলো অনুসন্ধানের স্পৃহা নেই, নেই কোন সামাজিক বাস্তবতা (যেমন, দারিদ্র, শিক্ষা, সেগ্রেগেশনের ইতিহাস, দাসত্ব ইত্যাদি) বোঝার চেষ্টা? অবস্থাটা আরো কেরসিন হয়ে উঠবে যদি আমি এই অর্বাচীন মন্তব্য সমানে ডিফেন্ড করে যাই কখনো ফ্রান্সিস কলিন্সের অভিমত উদ্ধৃত করে, কখনো বা হাবিজাবি কিছু পেপারের রেফারেন্স দিয়ে? এটা যদি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা বা চর্চা হয়, তবে অপবিজ্ঞান বলব কাকে?
দেখো বিপ্লবের মত আমিও ঢালাওভাবে বলে দিতে পারি – সাদাদের রাস্ট্রীয়ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা বা উৎসাহ দেয়া উচিৎ না কারণ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সাদাদের মধ্যেই সিরিয়াল কিলারের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। তাই রাস্ট্রের উচিৎ সাদাদের তক্কে তক্কে রাখা। কেমন শোনাবে – এসমস্ত উক্তি যদি আমি বিজ্ঞানের কিছু পেপার হাজির করে চালাতে চেষ্টা করি?
সমকামীরা সংখ্যালঘু। যেখানে সারা বিশ্ব জুড়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার সচেতনতা ক্রমশঃ বাড়ছে (এমনকি সম্প্রতি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নয়াদিল্লির হাইকোর্ট সমকামিতা অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছে সেটা তো জানেনই ), মুক্তমনার মতো ব্লগে যদি তারা চটুল অপবিজ্ঞানের কৌশলী স্টেরিওটাইপিং এর স্বীকার হয়ে দ্বিতীয়বার প্রান্তিক হিসেবে চিহ্নিত হয়, তা হলে সত্যই বিপদের কথা। শুধু সমকমীদের প্রতিই নয়, ব্লগের নতুন সদস্যদের প্রতিও তার ব্যবহার মাঝে মধ্যেই আশঙ্কা তৈরি করে, অনেকেই এ ব্যাপারে তাকে বারে বারে বলে যাচ্ছেন।
যা হোক এই থ্রেডে এটাই আমার শেষ উত্তর। ব্যক্তি নিয়ে এভাবে লিখতে বা মন্তব্য করতে আমি একদমই পছন্দ করি না। আশা করি, আরেকবার ঢালাও মন্তব্যের আগে বিপ্লব এই ক্ষুদ্র অভিমতগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
@অভিজিৎ,
১। সমকামীদের সংখ্যালঘু বলে মানাটা প্রথম ভুল। সমকামীর থেকে উভকামীর সংখ্যা অনেক বেশী। অনেক সমকামী পরবর্তি জীবনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। অনেকে পারে নি।
২| প্রাভদার রেফারেন্সটা একটি মন্তব্যে জন্যে দিয়েছিলাম-যিনি
আমেরিকার শিশু বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন গে পেরেন্টিং ক্ষতিকর। তার সাথে কেম্ব্রজের একটা রেফারেন্স ও দিয়েছি। যদি বিজ্ঞানের গবেষনা আমাদের চালনা করে, তাহলে তাদের বক্তব্য ফেলে দিয়ে কেন এক্টিভিস্টদের নিয়ে মথা ঘামাব?
৩| সমাকামী এবং কালোদের তুলনাটা ভুল। একজন কালো হয়ে জন্মায়। সমকামী হয়ে জন্মায় না। তাই তুলনাটা লজিক্যাল ভুল।
৪| শিশু মলেস্টেশনের পেপারটা নিয়ে অনেক বলার আছে। গে এবং পিডোফিলিয়া আলাদা এই হিসাবে গবেষণা চালালে, সমকামিরা দায়্মুক্ত হয়, সেটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। কিন্ত ওটা গ্রে এরিয়া।
ফরিদ ভাই এর অপবিজ্ঞানের কথাকে গায়ে মাখছি না। উনি বিজ্ঞানের ছাত্র না-বিজ্ঞান না বুঝলে, সেটাকে দোষের দেখি না। তাই উনি এই আলোচনায় যত খুশু তালি বাজান, তাতে আলোচনার গভীরতা না বাড়বে না কমবে। বাকীরা কোন যুক্তি বা রেফারেন্স দিতে পারছে না -শুধু উলটো পালটা লিখছে। সৈকত, রেজা, আল্লাচালাইনার অন্তসার শুন্য ভাল লাগা বা খারাপ লাগা দিয়ে যুক্তিবাদি বিজ্ঞানচেতনার প্রচার হবে না কি?
বিজ্ঞানচেতনা জাগাতে হলে প্রথমেই এক্টিভিস্ট মনোভাব ছাড়তে হবে। সত্য সন্ধান এবং এক্টিভিস্ট একসাথে হওয়া কঠিন কাজ-কারন সত্যের সাথে এক্টিভিজমের দ্বন্দ থাকতেই পারে।
আমি যা বুঝলাম, একটা পূর্নাঙ্গ প্রবন্ধ এই ব্যাপারে লিখলে ভাল হবে।
শেষের কথা হচ্ছে কাওকে ঘৃণা করার আমি বিরুদ্ধে। সেটা সমকামীদের
জন্যেও প্রযোজ্য।
@বিপ্লব পাল,
আমি বিজ্ঞানের লোক না, সেটা জানি। বিজ্ঞান বুঝি না, সেটাও জানি। এতে আসলেই দোষের কিছু নেই। বিজ্ঞান জানি না বলেই বিজ্ঞানের কোনো লেখায় কখনও খামোখা মাতব্বরিও করি না আমি। তবে, বিজ্ঞান না বুঝলেও একটা জিনিস কিন্তু খুব ভালভাবেই বুঝি আমি। সেটা হচ্ছে, কোনটা বিজ্ঞান আর কোনটা অপ-বিজ্ঞান।
আমি এই আলোচনায় যত খুশিতো অনেক দূরের কথা সামান্য একটা হাততালিও দেই নি আমি। এই তালি না বাজানো লোককে ইগনোর করো, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে, সত্যি সত্যি তোমার পিছনে যারা সশব্দে তালি বাজাচ্ছে তোমাকে তাদের পথে দেখে, তাদের থেকে সাবধান থেকো। তাদেরকে ইগনোর করো না কিছুতেই। 🙂
@বিপ্লব পাল,
তো? অসংখ্য উলটো ঘটনাও তো আছে। তুমি কি দেখনি ৩৫ বছর ধরে ঘর সংস্কার করে কিংবা চার পাঁচটি সন্তান থাকার পরও চার্চের প্রিস্ট ঘোষণা দিচ্ছেন তিনি গে? ‘স্বাভাবিক জীবন’ কোনটা? প্রতারণা করে বিপরীতলিঙ্গের একজনের সাথে থেকে যাওয়া, নাকি নিজের যৌন-প্রবৃত্তি নিয়ে আত্মপ্রবঞ্চনা না করা?
আর থেরাপির নামে ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফেরানোর অপচিকিৎসার নামে যে ভাবে সমকামীদের নির্যাতন করা হয়েছে কয়েক দশক ধরে, তার ইতিহাসে একটু পড়ে দেখো প্লিজ। চিকিৎসার নামে কখনো রোগীদের ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া থেকে শুরু করে বমি চিকিৎসা, মস্তিষ্কে সার্জারি , হরমোন প্রবেশ করানো এমনকি খোঁজা পর্যন্ত সবই করা হচ্ছিলো। কী ফলাফল হয়েছে তাতে? এখন তো চিকিৎসকেরা মেনেই নিয়েছেন এটি কোন রোগ নয়, সমকামীদের প্রবৃত্তি ভিন্নতর, কিন্তু অস্বাভাবিক নয়।
অবশ্যই, যিনি শুরুই করেছেন মেয়রের উদ্ধৃতি দিয়ে যেখানে বলা হয়েছে সমকামীরা ‘স্যাটানিক’ , আর প্রবন্ধটি শেষ করেছেন সমকামিতাকে ‘পার্ভারশন’ বলে? প্রাভাদাই তোমার বিশাসযোগ্য লিঙ্ক হল? ডুবন্ত মানুষ যেমন খর কুটো আঁকড়ে ধরে, তোমার পঐ লেখার রেফারেন্সটা দেখে বগল বাজানো সেরকমই মনে হচ্ছে। তুমি কি উলটো কিছু দেখো নি? আমি যদি এই লিঙ্কটি দেই যেখানে, বলা হয়েছে সমকামী অভিভাবকেরা সন্তানদের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই, তারা বরং সন্তান পালনে অধিকতর দক্ষ?
Same-sex couples can be effective parents, researchers find
ইত্যাদি।
প্রাভাদার নিকৃষ্ট রিপোর্টিং নয়, তুমি অথেন্টিক পেপার দেখতে পারো, উইকিতেও আছে কিছু –
The scientific research that has directly compared outcomes for children with gay and lesbian parents with outcomes for children with heterosexual parents has been remarkably consistent in showing that lesbian and gay parents are as fit and capable as heterosexual parents, and their children are as psychologically healthy and well-adjusted as children reared by heterosexual parents,[5][6][7] despite the reality that considerable legal discrimination and inequity remain significant challenges for these families (রেকারেন্স আছে এখানে, এখানে এবং এখানে)
আর সমকামীদের শিশুনির্যাতন যে মিথ তা অথেন্টিক রেফারেন্স এবং ডেনভারের চিলড্রেন হস্পিটালের স্টাডি উল্লেখ করেই দেখিয়েছি (যেখানে শতকরা একভাগেরও কম গে পাওয়া গেছে যারা চাইল্ড মোলেস্টার), পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজন নেই।
সমকামী হয়ে জন্মায় না – এটা তোমার বক্তব্য। গবেষক এরিক মার্কস ‘ইজ ইট এ চয়েস’ গ্রন্থে সম্পূর্ণ উলটো মত দিয়েছেন। আর সায়েণ্টিফিক আমেরিকান মাইণ্ডের ‘ডু গেস হ্যাভ এ চয়েস’ প্রবন্ধটিও (২০০৬) দেখতে পার। তারপরেও যদি ধরেও নেই, তোমার কথা ঠিক – সমকামী হয়ে জন্মায় না, তারপরেও রাস্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য ‘আলাদা’ ভাবে ট্রিট করার প্রস্তাব গ্রহনীয় হতে পারে না। তুমি নিজেই বুঝতে পারছ না কী মারাত্মক প্রস্তাব তুমি গেলাতো চেষ্টা করছ বিজ্ঞানের ছদ্মদেশ নিয়ে, যখন তুমি রাষ্ট্রকে নাক গলানোর দাবী করছ যৌনপ্রবৃত্তির বিষয়ে, যেটা একেবারেই পার্সোনাল। তাহলে আর আস্তিক, নাস্তিক, পরিবেশবাদী, নিরামিশাষীরাই বা বাদ যাবে কেন রাস্ট্রের বৈষম্য -এর তালিকা থেকে – এগুলোও তো কেউ জন্মগতভাবে হয় না। তুমি বিজ্ঞান নিয়ে লেখো অথচ ‘is এবং ought’ ফ্যালাসিটা মানবে না তা তো হয় না।
উত্তর আগেই দিয়েছি। কিন্তু যদি গ্রে এরিয়া হয়, স্পর্শকাতর বিষয়ে সংযমী মন্তব্যই বরং কাম্য, হঠকারী মন্তব্যের চেয়ে, যেগুলো অন্যদেরকে ভুল ম্যাসেজ দিতে পারে।
কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে। তুমি না কিছুদিন আগে সোশাল নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে যুক্তিবাদী না নাস্তিকতার গ্রুপ খুলে বিজ্ঞানমনস্কতা জাগাতে চেষ্টা করলে? স্বাধীন আবার সেটাতে পূর্ণ সমর্থন যোগালো? কাকে যেন প্রেসিডেন্ট, কাকে সাধারণ সম্পাদক বানালে ‘ নাস্তিকতার ইন্টারনেটভিত্তিক এক্টিভিজম’ করার জন্য? শুধু তাই না, টাকা প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার মতো একটা আম্ব্রেলা সংগঠনের দাবী তুলেছিলে? নাস্তিকতা নিয়ে এক্টিভিজম করলে ঠিক আছে, কিন্তু সমকামিতা নিয়ে করলে নাই? তুমি আসলেই বড্ড ইনকসিস্টেন্ট, বিপ্লব!
আর তাছাড়া, এক্টিভিজমের গুরুত্ব আছে সব সময়ই, সেটা তুমিও জানো। স্টোনওয়াল রায়ট থেকে শুরু করে অন্যান্য ইতিহাস গুলো পড়। সারা দুনিয়া জুড়ে সমকামী মানবাধিকার কর্মীরাই ডাক্তার এবং মনোবিজ্ঞানীদের মনে গেঁথে যাওয়া ‘বৈজ্ঞানিক কুসংস্কার’ ভেঙ্গেছেন, তারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সমকামী হয়েও স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবন যাপন করা যায়। ডঃ এভেলিন হুকার এবং কিন্সের গবেষণার ফলাফল এবং সমকামীদের থেকে আসা বাস্তব জীবনের উদাহরণ এবং তাদের ক্রমাগত আন্দোলন থেকে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন যে, সমকামী হয়েও বহু লোকই সুখী জীবন যাপন করেছে – এ ধরণের বহু উদাহরণ সমকামী অধিকার কর্মীরা সামনে নিয়ে আসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন একমত হয়েছিলো যে সমকামিতা কোন মানসিক ব্যধি নয়, বরং এটি যৌনতার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তারা রোগের তালিকা থেকে সমকামিতাকে বাদ দিয়ে দেন। সমকামিতার আইনী অধিকার এবং সামাজিক স্বীকৃতি আদায়ের লড়াইয়ে বিরাট মাইলফলক অর্জন,এটা এক্টিভিজম ছাড়া হয়নি।
তাড়াহুড়া করে উত্তর না দিয়ে তুমি একটু বোঝার চেষ্টা কর তোমার লেখার দুর্বলতাগুলো।
@অভিজিৎ,
(১) কেও সমকামী হয়ে জন্মায় না। এই ব্যাপারে এখনো সন্দেহ আছে? “বর্ন গে” -এটা সব থেকে বড় অপবিজ্ঞান। নাকি এই ব্যাপারে এখনো কিছু পুরানো তথ্য দিতে চাও। ডিন হ্যামার, যিনি এই গে জিন পেয়েছেন বলে দাবী করেছিলেন ২০০৮ সাল তিনিই বলছেন, সমকামিতা সামাজিক।
(২) গে পেরেন্টিং এর ওপর যেসব রিসার্চ পেপার দেখাচ্ছ, ওগুলো স্ক্রুটিনাইজ কর। দেখবে ওগুলো সব লেসবিয়ান পেরেন্টং, যেখানে রেজাল্ট ভাল পাওয়া যায় । দুজন মা দ্বায়িত্ব নিলে, রেজাল্ট ভাল পাওয়া যাবে। সেখানে দুই বাবার পেরেন্টিং এর রেজাল্ট খুব কম। তাছারা প্রতিটা গবেষনাতেই মেথডলজিক্যাল এই সমস্যটা যে গে পেরেন্ট কম, লেসবিয়ান পেরেন্ট বেশী থাকে। ফলে রেজাল্ট বায়াসড হয়। এই ব্যাপারে অনেক বিজ্ঞানীই প্রশ্ন তুলেছেন এই ধরনের গবেষনার মেথডলজি নিয়ে। আমি বন্যাকে লিংক দিলাম এই নিয়ে।
(৩) রাষ্ট্রকে যৌনতার ব্যাপারে মাথা ঘামানো?
এই ব্যাপারে একটু সতর্কিত কথা বলা দরকার। রাষ্ট্র নিজের স্বার্থে গর্ভ নিরোধ বিলিয়ে থাকে। রাষ্ট্র পায়ু সঙ্গমের বিরুদ্ধেও প্রচার চালায় এইচ আই ভির জন্যে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে রাষ্ট্রকে ভাবতে হবেই। সেটা নিয়ে দ্বিমত আছে বলে শুনি নি।
ভারতে সডমি বা পায়ু সঙ্গম আইনত নিষিদ্ধ ছিল। এটা সমকামী বা নারী পুরুষের প্রশ্ন না। পায়ু সঙ্গমে এইচ আই ভি বৃদ্ধি পায় এবং আরো ৪-৫টা রোগ হতে পারে-তাই নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা মনে রেখে রাষ্ট্র পায়ু সঙ্গমের বিরুদ্ধে আইন আনতেই পারে।
[৪] বিজ্ঞানের জন্যে এক্টিভিজিম আর গে, লেসবিয়ানদের জন্যে এক্টিভিজম এক না। গে গোষ্টি ও প্রচুর অপবিজ্ঞান প্রচার করেছে এবং যার একটি উদাহরন “বর্ন গে”।
সেই সূত্রে বিজ্ঞান কর্মী হিসাবে, এই কোন গোষ্ঠির পাশে দাঁড়ানো সমর্থনযোগ্য না, যারাও অপবিজ্ঞান প্রচার করে থাকে।
@বিপ্লব পাল,
আমি মানিনা কেননা ইসলাম পৃথিবীর কোনোজায়গায় কোনঠাঁসা না। যেনোফোবিয়া হয় কেননা ইহুদীরা সংখ্যালঘু এবং কোনঠাঁসা, হোমোফোবিয়াও হয় একই কারণে। ইসলামের তোএকই কেইস না। ইউরোপ-আমেরিকায় ইসলাম কোনঠাঁশা না, এখন ভারতের হিন্দু অধ্যুষিত কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিংবা সাইবেরিয়ার ইনুইট অধ্যুষিত কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যদি কোন ক্ষুদ্র একদল মুসলমান থেকে থাকে এবং তারা থাকে কোনঠাঁসা অবস্থায় তাহলে অবশ্যই ওয়াইল্ডটাইপ ইসলাম সম্পর্কে আমার যা মতামত তাদের জন্য সেটা প্রযোজ্য হবে না। এই কারণেই ইসলামোফোবিয়া একটি বোগাস টার্ম, এটা জানার জন্য দুই মিনিট উইকিপিডিয়া পড়াই যথেষ্ট।
আপনার হোমোফোবিয়া এটার সাথে তুলনীয় কিভাবে হয়?
@আল্লাচালাইনা,
আমি মানিনা কেননা ইসলাম পৃথিবীর কোনোজায়গায় কোনঠাঁসা না
সেত সমকামীরাও ইউরোপে কোনঠাসা না। সেটা ব্যাপার না। তুমি যে ভাষায় আমাকে আক্রমন করছ, সদালাপ সেই ভাষাতেই তোমাকে আক্রমন করে। তুমি তাদের অজ্ঞান, ব্রেইন ওয়াশড বলে করুণা কর।
কেন কর?
কারন তুমি মনে কর, তারা ইসলামের অপপ্রচারে ব্রেইন খুইয়েছে।
আমিও তাই করছি। আসলেই এই বিষয়টা নিয়ে তুমি গভীরে গিয়ে দেখনি কি হয়েছে। ২০০৯ সালে ভারতে যখন গে সেক্স লিগালাইজ করা হয়-তখন গে দের সপক্ষে লিখতে যায়। কারন আমিও ফ্রাঙ্কলি এগুলো নিয়ে তখন বেশী গভীরে পড়ি নি। আর টিভিতে খবর দেখে আমিও জানতাম রক্ষণশীলদের হোমফোবিয়া চিন্তার কারন।
তবে আমি মেড ইসি পড়ে প্রবন্ধ লিখি না-তাই রিসার্চ করতে গিয়ে দেখলাম বিধি বাম। ” বর্ন গে” বা বিশেষ বায়োলজির কারনে, কেও গে, এটা সাংঘাতিক ধাপ্পাবাজি এবং এর সপক্ষে সব গবেষণালদ্ধ ফল পরবর্তী কালে বাতিল। অথচ এই মিথ্যেটা সাজিয়েই গে এক্টিভিস্টরা নিজেদের বক্তব্য জাস্টিফাই করেছে।
সেই নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখি। সেটা মুক্তমনা দিই নি। কারন ভারতীয় প্রেক্ষাপটে লেখা ছিল। কিন্ত আমাদের দিকে প্রবন্ধটা নিয়ে ঝড় ওঠে। আমি ফোরামে বহু লিবালার, যাদের অনেকেই মাইক্রো বায়োলজি বা বায়োকেমিস্টির লোক, তাদের দ্বারা আক্রান্ত হই। দীর্ঘ তিনমাস ওই থ্রেডে বিতর্ক চলে। দেখ ৪০০০ পোষ্ট আছে। এবং অভিজিত যেসব তথ্য দিয়েছে প্রতিটার ওপর পেপার-পালটা পেপার ওখানে রেফারেন্স হিসাবে পাবে। সেই দীর্ঘ বিতর্কে আরো শিখলাম। জালি কাজ, বিজ্ঞানকে ধর্ষন রক্ষণশীলরা করেছে। সেটাত নতুন কিছু না। কিন্ত দেখলাম গে এক্টিভিস্টরাও অপবৈজ্ঞানিক প্রচার চালিয়েছে যার শিকার তোমার মতন লিব্যারাল মানুষেররা।
তোমার সমস্যা হচ্ছে, এই ফিল্ডে না পড়ে বেশী লাফাচ্ছ। আমার দায়বদ্ধতা বিজ্ঞান এবং মানুষের প্রতি। তাই সমকামিতার ব্যাপারে সহিষ্ণু হতে যেমন বলব-ঠিক তেমনি-তাদের অপপ্রচারের জবাব ও দিয়ে যাব।
অপবিজ্ঞান দিয়ে সমকামিতাকে উৎসাহিত করার ও কারন দেখি না।
@আল্লাচালাইনা,
বিপ্লব পালের মন্তব্যে আপত্তি থাকলে সেটা বন্যা কিংবা অভিজিৎ উনাদের মত করে নিজের যুক্তি দেওয়া যেতো। কিন্তু আল্লাচালাইনার বক্তব্য যথেষ্ট আপত্তিকর, অশালীন এবং ব্যক্তি আক্রমনে ভরপুর। এরকম মন্তব্য আমি মুক্তমনায় দেখতে চাই না, এটা আগেও বলেছি, এখনো বলবো। মন্তব্যটিতে তীব্র আপত্তি জানালাম। সেই সাথে আল্লাচালাইনার মত সদস্যের বিরুদ্ধেও আপত্তি জানাই। একই ব্যক্তি একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য করেই চলেন। এবং এই ব্যাপারে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকেন। আমি এই উদাসীনতার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানালাম। আপত্তি জানানো ছাড়া আমার আর আসলে কিছু করার নেই। নিজেকে অক্ষমতা বড় টের পাই।
@স্বাধীন,
নিন্মোক্ত মন্তব্যটি কিসে ভরপুর বলে আপনি ব্র্যান্ড করবেন? জানার বড়োই ইচ্ছা-
কি ধরণের মন্তব্য দেখতে চান আপনি? বিপ্লব পাল যা মুখে আসবে তাই-ই বলে যাবে, অন্যেরা ভালোভাবে প্রতিবাদ করলে সেটার কোনোপ্রকার তোয়াক্কা না করেই বলবে ‘তুমি বুঝোনি, আমিই ঠিক’, তুচ্ছ করে গালিগালাজ করবে সেইসকল লোকজনকে যাদের কাছে তার নিজের জীবন কয়েকহাজার বার ঋণী, ঐ মন্তব্যগুলাতে আপনার তীব্র আপত্তি কৈ ছিলো?
কার বেনিফিট অফ ডাইট কোনদিকে পড়ছে সেটা দেখে একটা মানুষ কি চিন্তা করে তার একটা ঝাপসা ছবি পাওয়া যায়। বিপ্লব পালের উপরোক্ত প্রচন্ড প্রদাহী এবং হোমোফোবিক মন্তব্যটা ডিফেন্ড করে আপনি যে ‘সময় নিয়ে মন্তব্য না করার কারণে এটা হয়েছে’ ইত্যাদি বলে ডাইলুট করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন?
@স্বাধীন,
এই ধরণের কথাগুলো বললে বা ‘শ্যভেজ,আহমেদিজানরা কত খারাপ কিন্তু দেখুন কাতারের প্রিন্সের মত রোল মডেল হওয়া উচিত’ টাইপের কথাবার্তা বললে আসলেই মন মেজাজ ঠিক রাখা দায় হয়। সমকামীদের মত নির্যাতিত একটি দল সম্পর্কে মুক্তমনার ব্লগে এসে ‘উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়’ বলাটা যথেষ্টই আপত্তিকর। উৎসাহ দেওয়া মানে কী? আর সবার মত তাদেরকেও সমানাধিকার দিতে হলে সেই রাষ্ট্রীয় আইনগুলোও তো প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কানাডা ইউরোপের যে সব দেশে সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে কী সব শিশু খালি মলেস্টেড হয়ে চলেছে? ‘কিছুটা’ এডভার্স ইফেকট তো বাবা মা ঝগড়া করলেও পড়ে, বাবা মায়ের চাকরী না থাকলে পড়ে, অনেকে বলে ধর্ম না মানলেও পড়ে, অভাব থাকলে পড়ে, ডিভোর্স হলেও পড়ে, সিঙ্গেল প্যারন্ট হলেও পড়ে…। চলুন আমরা সবাই মেয়েদের ডিভোর্স করতেও অনুৎসাহিত করি, বাবা মা ঝগরা করলে সোশ্যাল সার্ভিস ডেকে বাচ্চা দিয়ে দেই( যেন সোশ্যাল সার্ভিস বাচ্চা নিয়ে গেলে এডভার্স ইফেকট পড়ে না)। বিপ্লবের কথা শুনলে মনে হয় তার চার পাশের সমকামীরা সবাই চাইল্ড মলেস্টেশন করে বেড়াচ্ছে। প্রাভদার যে রেফারেন্সটা বিপ্লব দিয়েছিল সেটা রীতিমত আপত্তিকর মৌলবাদী একটা প্রবন্ধ ( সমকামীরা নাকি সাটানিক!)। বিপ্লব প্রথমে একটা ক্রিশ্চান সাইটের কতগুলি ফালতুতম রেফারেন্স দিল, ইরতিশাদ আহমেদ এবং ফাহিম রেজা আপত্তি জানানোর পরে বাকি পেপারগুলো পোষ্ট। বিপ্লব এখানে যে পেপারগুলো দিয়েছে সেগুলো মোটেও কনক্লুসিভ কিছু নয়, সেই পেপারগুলোতেও বলছে যে এ নিয়ে আরও গবেষণা হতে হবে। মানুষের জিনোমে এত কম জিন পাওয়ার পর আমরা খুব পরিষ্কারভাবেই বুঝেছি যে জিনের সাথে প্রত্যেকটা ট্রেইটের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয়। ‘জেনেটিক মার্কার পাওয়া যায়নি বলেই ব্যাপারটা জেনেটিক নয়’ এরকম কথা ঢালাওভাবে বলা মোটেও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক নয়। ‘গে জিন’ পাওয়া গিয়েছে বলে যে রিসার্চটা বেড়িয়েছিল সেটা যে সত্যি নয় সেটা জানা লোকের অভাব তো মুক্তমনায় থাকার কথা নয়। বিজ্ঞানকে ভুলভাবে ব্যবহার করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আমরা যদি নির্যাতিত একটা দলের বিরুদ্ধে দাঁড়াই তাহলে তো সেটা নিয়ে আপত্তি জানানোই উচিত।
বিপ্লব মাঝে মাঝেই যেভাবে মন্তব্য করে, নতুন সদস্যদের যেভাবে হুটহাট নাকচ করে দেয়, যেভাবে ‘সব ফালতু’, ‘এ বোঝে না’ ‘ও কিছু জানে না’ ( যার তালিকায় হকিং ও বাদ যায় না)বলে বসে তা তে করে অনেকের পক্ষেই রাগ সংবরণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। মুক্তমনার বেশ কয়েকজন নতুন সদস্যই জানিয়েছেন যে তারা বিল্পবের মন্তব্যের ভয়ে আর লিখতে সাহস করেন না। আমি বিপ্লবকে এই লেখায় প্রথম যে মন্তব্য করেছিলাম সেটাও খুব একটা প্রীতিকর কিছু ছিল না, খুব বিরক্ত না হলে আমি এরকমভাবে কথা বলি না। এর আগেও বেশ কয়েকটা লেখায় এবং মন্তব্যে আমি আমার আপত্তি জানিয়েছিলাম, ফরিদ ভাইও তাকে কয়দিন আগে সবচেয়ে ‘ইনকন্সিস্টেন্ট মন্তব্যকারী’ বলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ঠিক তা বলছি না, কিন্তু বিপ্লবের মত একজন পুরনো সদস্যকে আরও ভেবে চিন্তে মন্তব্য করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
@বন্যা আহমেদ,
পুরো একমত। বিপ্লব পালের এই ধরনের মন্তব্যগুলো প্রচণ্ড বিরক্তিকর ও যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ। নাহ, হতাশার চরম প্রান্তে চলে গেলাম।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার সাথে দ্বিমত নেই। উনি অতিসরলীকরণ মন্তব্য করেছেন তাই সেটার প্রতিবাদ পেয়েছেন। আমি আপনার, অভিজিৎ’দার মন্তব্য দেখেছি, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে বিপ্লব’দার নানান মন্তব্যও দেখেছি। দেখেছি অসংখ্য রেফারেন্স দেওয়ার। আমি জানি না উনি এই কাজগুলো কেন করছেন। অভিজিৎ’দার লেখাতেও এসে একটি মন্তব্য করে গেলেন, কিন্তু নিজের যুক্তিগুলো দিয়ে গেলেন না। তারপর যখন নানান দিক থেকে বিরূপ মন্তব্য আসা শুরু করলো, সময়ের অভাব এই অজুহাতে এক গাদা সেই রেফারেন্স দিয়ে গেল। আমি এই আচরণের সমালোচনা করে বিপ্লব’দাকেও একটি মন্তব্য করেছি। কিন্ত সেসবের কোনটাই আল্লাচালাইনার মন্তব্যকে হালাল করে না।
শুধু সমকামী নয় যে কোন সংখ্যালঘু/নির্যাতিতদের প্রতি আমার সহানূভুতি রয়েছে এবং থাকবে। তাদের সমধিকারের জন্য আইন দরকার সে বিষয়েও দ্বিমত নেই। কেউ যদি সরলীকরণ মন্তব্য করে তবে সেটার সমালোচনা হবে সেই বিষয়েও কোন ছাড় নেই। কিন্তু কোনভাবেই সেটাকে আমি ব্যক্তি আক্রমন, গালাগালের পর্যায়ে নিয়ে যেতে রাজী নই।
@বন্যা আহমেদ,
আবার লিখলাম তোমার পজিশনটা ভুল। ২০১০ সালে এটা বলা চলে সমকামিতা একটি সামাজিক কারনের ঘটা যৌনতা। তার পেছনে জৈবিক কারনগু্লি নিয়ে যত কাজ হয়েছে সবগুলোই বাতিল বা প্রায় বাতিল। তাই জৈবিক কারন থাকলেও, তা সম্ভবত গুরুত্বপূর্ন না।
আরেকটা ব্যাপার এই আলোচনাতে আসে নি। ্পুরুষ এবং নারী সমকামীর মধ্যে পার্থক্য করা হয় নি।
নারী সমকামীতার ক্ষেত্রে কোন হেলথ রিস্ক নেই, চাইল্ড মলেস্টেশনের অভিযোগ ও নেই। এবং নারী সমকামী পেরেন্টদের ছেলে মেয়েরা মোটামুটি হেটারোদের সমানই পারফর্ম করে।
একই কথা গে দের ক্ষেত্রে বলা যাচ্ছে না-কারন সেখানে হেলথ থেকে পেরেন্টং সব জায়গাতেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এগুলো অস্বীকার করে কি ্লাভ?
বিপ্লব পাল, তুমি গায়ের জোরে কথা বললেই তো হবে না। আমি বারবারই বলছি একবিংশ শতাব্দীর জেনেটিক্সের ডেভেলপমেন্টগুলো দেখো ( তোমার দেওয়া পেপারগুলোও তাই বলছে)। জেনেটিক মার্কার না পাওয়া মানেই ‘জেনেটিক ভিত্তি’ নেই নয়। আমাদের ইন্টেলিজেন্সের জন্য কি কোন একটা বিশেষ জেনেটিক মার্কার পাওয়া গেছে? ভাষার জন্য? যৌন প্রবণতার জন্য? না, কারণ যে জেনেটিক্স এভাবে কাজ করে না সেটা আমরা গত কয়েক বছরে অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই বুঝতে শুরু করেছি, হয়তো এদের পিছনে হাজার হাজার জিন কাজ করছে, আবার তাদের সাথে পরিবেশের প্রভাব মিলে এমন এক জটিল বিকাশ ঘটেছে যে এরকম ‘সাদা কালো’ বা ‘মার্কার আছে কি নেই’ টাইপের কথা বলে এসব আর প্রমাণ করা যাবে না। যারা গে জিন পাওয়া গেছে বলে চিল্লামিল্লি করে তারা যেমন ভুল, তেমনি তোমার মত যারা মার্কার পাওয়া যায়নি বলেই এটা জেনেটিক নয় বলে সেটাও ভুল। ডেভেলেপমেন্টাল বায়োলজি, এভুলেশনারী ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজির এক্কেবারে নতুন কাজগুলো পড়ে দেখলে বুঝতে পারবে।
আর প্যারেন্টিং এর উপর পেপার চাও, চল এক কাজ করি আমেরিকান, কেনেডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিকাল এবং পেডিয়াট্রিক সোসাইটির রেকমেন্ডেশনগুলো দেখি। এরা সবাই যদি ফালতু হয় আর ক্রিশ্চান সাইন্স আর প্রাভদার মত ডিস্ক্রিমেনটারি কতগুলো সাইট যদি তোমার কাছে বেশী বৈজ্ঞানিক বলে মনে হয় তাহলে তোমার সাথে বিতর্ক না করাই ভালো বলে ধরে নিয়ে মুখে স্কচটেপ (কী বোর্ডে স্কচটেপ মেরে) মেরে চূপ করে যাবো।
এই ভিডিওটা তোমার সমকামীদের প্যারেন্টিং নিয়ে ক্লেইমগুলোকে সরাসরি নাকচ করে দেবেঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=mwz4mlsBgU8
Canadian psychological Association:
http://www.psychology.org.au/Assets/Files/LGBT-Families-Lit-Review.pdf
The Child Welfare League of America (CWLA)
https://www.cwla.org/programs/culture/glbtqposition.htm
North American Council on Adoptable Children
http://www.nacac.org/policy/positions.html#Gay
Autralian psychological Association
http://www.psychology.org.au/Assets/Files/LGBT-Families-Lit-Review.pdf
Brief of the American Psychological Association, The California Psychological Association, The American Psychiatric Association, and the American Association for Marriage and Family Therapy as Amici Curiae in support of plaintiff-appellees
http://www.ca9.uscourts.gov/datastore/general/2010/10/27/amicus29.pdf
@বন্যা আহমেদ,
দেখ দুজন মা থাকলে, পেরেন্টিং ভাল হবে সে ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই কমন সেন্স। তুমি ওই পেপার গুলো থেকে আমাকে দেখাও
(১) যখন দুজন বাবা থাকে তখন কি হয়? কটা পেপারে দুজন বাবা নিয়ে গবেষনা করেছে? দুজন বাবা আছে এমন পারেন্ট কি রকম রেটে পাওয়া যায়?
(২) স্যাম্পল স্পেসে হোমো বনাম হেটারো ্ফামিলি এক রকম ছিল?
আমি জানি গে পেরেন্ট কত ভাল তাই নিয়ে অনেক গবেষনা আছে। সেগুলো পড়ার পরে একজন স্টানফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিখ্যাত সমাজ বিজ্ঞা্নী [ ডঃ হিক] কি বলছেন দেখ-এটা ২০১০ এর ঘটনা
Setting aside the issue of moral objections, Dr. Stephen Hicks of the University of Salford[61] questions the value of trying to establish that lesbian or gay parents are defective or suitable. He argues such positions are flawed because they are informed by ideologies that either oppose or support such families.[62] In Hicks’ view, “Instead of asking whether gay parenting is bad for kids, I think we should ask how contemporary discourses of sexuality maintain the very idea that lesbian and gay families are essentially different and, indeed, deficient. But, in order to ask this, I think that we need a wider range of research into lesbian and gay parenting… More work of this sort will help us to ask more complex questions about forms of parenting that continue to offer some novel and challenging approaches to family life.” [62]
Gregory M. Herek noted that “empirical research can’t reconcile disputes about core values, but it is very good at addressing questions of fact
http://en.wikipedia.org/wiki/LGBT_parenting
আর সমকামিতা কেন সামাজিক তাই নিয়ে একটা সম্পূর্ন লেখা লিখব।এখানে বিতর্ক বাড়াব না। শু্ধু শেষ দু বছরের ছাপা পেপার গুলো দেখ। দেখবে ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ডি এন এর ভূমিকার চেয়ে সমাজকেই সবাই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। সমকামিতা এর ব্যাতিক্রম না।
@বিপ্লব পাল, নাহ তোমার সাথে আর বিতর্ক করবো না, তুমি ঘুরে ফিরে ঠেলেই যাচ্ছ, আর কষ্ট কর না, তালগাছটা এবার তোমাকে উপহার হিসেবেই দিয়ে গেলাম। তুমি যে উইকি লিঙ্ক ছাড়লে সেটাই বলছেঃ
General consensus
Since the 1970s, it has become increasingly clear that it is family processes (such as the quality of parenting, the psychosocial well-being of parents, the quality of and satisfaction with relationships within the family, and the level of co-operation and harmony between parents) that contribute to determining children’s well-being and ‘outcomes’, rather than family structures, per se, such as the number, gender, sexuality and co-habitation status of parents.[6][12]
The scientific research that has directly compared outcomes for children with gay and lesbian parents with outcomes for children with heterosexual parents has been remarkably consistent in showing that lesbian and gay parents are as fit and capable as heterosexual parents, and their children are as psychologically healthy and well-adjusted as children reared by heterosexual parents,[5][6][7] despite the reality that considerable legal discrimination and inequity remain significant challenges for these families.[6] No credible empirical research suggests otherwise.[dubious – discuss][10][7][8]
আমার শেষের পেপারটা ২০১০ সালের। আমি যে লিঙ্কগুলো দিয়েছি তাদের প্রত্যেকটাই গে প্যারন্টিং এর কোন আলাদা এডভার্স ইফেক্ট নেই বলছে। এরা প্রাভদার খড়ের গাদায় খোঁজা একটা দুটো বিজ্ঞানী নয়, একেকটা ‘আস্ত’ সাইকলজিকাল বা পেডিয়াট্রিক সোসাইটি, হয় কোর্টে সাক্ষী দিচ্ছে আর না হলে স্টেটমেন্ট দিচ্ছে। তুমি এক কাজ কর, এদের বিরুদ্ধে কোর্টের সামনে বা পাব্লিকের সামনে মিথ্যা কথা বলার জন্য মামলা ঠুকে দাও। খালি তালগাছ দিয়ে কী হবে, মিলিয়ন ডলারের ল সুট জিতে যেতে পারো হয়তো।
এটাই আমার শেষ মন্তব্য এই থ্রেডে।
@বন্যা আহমেদ,
তুমি এখনো ধরতে পার নি। ভাল করে সব পেপার গুলো পড়। সব জায়গায় দেখবে লেসবিয়ান পেরেন্টিং এর ওপর বায়াসড রেজাল্ট। যেহেতু দুই মা থাকলে রেজাল্ট ভাল আসে, সেটাকেই কাজ লাগিয়ে গে পেরেন্টিং বলে চালানো হয়, যদিও লেসবিয়ান পেরেন্টিং বলে এই কথাগুলো বলত আপত্তি থাকার কথা নেই।
@বন্যা
http://www.psychology.org.au/Assets/Files/LGBT-Families-Lit-Review.pdf
অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজি এসোশিয়েশন কিন্ত গে পেরেন্টিং এর বিরুদ্ধে নেগেটিভ রিভিউ দিচ্ছে
কাওকেই এই ব্যাপারে খুব বেশী নেরেপেক্ষ ভাবা ভুল। নিজদের বিচার বুদ্ধির ওপর ভরসা রাখা ভাল। সেটা হচ্ছে এই দুই মা পেলে ভাল-দুই বাবা হলে গন্ডোগল আছে। যত রেফারেন্স আমাকে দিয়েছ-দেখবে সব দুই মায়ে দের ফামিলি-যেখানে রে্জাল্ট ভাল আসে। সেটাকে সার্বিক সমকামিতা বলে চালালে মুশকিল আছে।
@বিপ্লব পাল,
এটা খুবই একটা সাধারন হিসাব যেটা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। দেখা যায় যে সিঙ্গেল মায়ের বাচ্চারা সিঙ্গেল বাবার বাচ্চাদের থেকে ভালো অবস্থায় থাকে। ভালো থাকবারই কথা, যেহেতু মেয়েদের বাচ্চা লালন পালন করবার সহজাত প্রবৃত্তি ছেলেদের থেকে ভাল থাকে। সমকামি হয়েছে বলে দুই বাবা বাচ্চা লালন পালন করতে দুই মায়ের চেয়ে ব্যর্থ হচ্ছে এটা কিন্তু তাতে প্রমানিত হয়না।
@স্বাধীন,
কোনো আপত্তিকর মন্তব্যে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকে এটা ঠিক নয়। সেরকম কোনো পরিস্থিতিতে গেলে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিতভাবেই হস্তক্ষেপ করবে। কিন্তু, কথা হচ্ছে যে যার যার নিজের আচরণ বা মন্তব্যের দায়ভারও তার তারই নেওয়া উচিত। কেউ যদি মুক্তমনায় স্যুডো-সায়েন্স প্রমোট করতে চায়, ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়, যেটাই হোক না কেন, তার প্রতিউত্তরটা কঠিন ধরনের হবেই। বিপ্লব যে ধরনের বিষয়গুলোকে ইদানিং টেনে আনছে তা শুধু বিজ্ঞানেরই না, মুক্তমনার মূল আদর্শের ভিত্তিকেও নাড়া দিচ্ছে। ফারুক সাহেবের হাততালি দিতে দিতে হাতে ব্যথা হয়ে যাওয়া দেখলেই সেটা বোঝা যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়াগুলোও হচ্ছে প্রচণ্ড রকমের তীব্রধরনের।
গত দুইদিন ঠিকমত মুক্তমনা অনুসরণ করা হয় নি। এখন বসেছি। অনেক মন্তব্যই দেখলাম। যৌক্তিক, অযৌক্তিক সবই। আল্লাচালাইনার ঝাঁঝালো মন্তব্যও দেখলাম, সেই সাথে বিপ্লবেরও কিছু মন্তব্য দেখলাম। বিপ্লবের ওই মন্তব্যগুলো দেখে এটুকুই শুধু বুঝলাম যে শালীন শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেও চরম অশালীন সব মন্তব্যসমূহ করা সম্ভবপর। বিপ্লবের কিছু অমৃতবচন তুলে ধরছি এখানে।
আমার কাছে আল্লাচালাইনার মন্তব্যের চেয়ে এই সমস্ত দাম্ভিক উক্তিকেই বেশি অশালীন মনে হয়েছে।
@ফরিদ আহমেদ,শুধু হাততালির যে এত ক্ষ্যামতা , তা মুক্তমনায় না আসলে অজানাই থেকে যেত।
আমাদের জ্ঞান অতি সীমিত। সে কারনেই সব জেনে বসে আছি এবং আমার জানায় কোন ভুল নেই , এমনটা অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করিদের কথায় স্মরন করিয়ে দেয়।
@ফারুক,
আপনি এই ঠারেঠোরে কাহাদের কথা বলেন তাহাই বুঝিতে পারি না আমি। যদি সম্ভব হয় তবে এই ভাশুর-ভাদ্রবৌ এর সম্পর্কটা ছাড়েন। মুক্তমনায় কে বা কারা সব জেনে বসে আছে বা জানায় কোনো ভুল নেই এমন দাবী করেছে, পারলে প্রকাশ্যে তার বা তাদের নামগুলো বলেন। আমরা জেনে রাখি।
@ফরিদ আহমেদ,আপনার সাথেতো আর আমার ভাশুর-ভাদ্রবৌ এর সম্পর্কনা। আসলেই আমি সহ মুক্তমনার সকল পাঠক লেখক এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। আলাদা করে নাম বলতে গেলে , লোম বাছতে কম্বল উজাড়ের অবস্থায় হবে।
@ফারুক,
হা হা হা। আপনার সাথে আমার এই সম্পর্ক আসলে সম্ভবও না মনে হয়। আমার ভাইয়েরা সবাই-ই বিষমকামী, সমকামী কেউ-ই নেই। আফসুস!! 😀
@ফরিদ আহমেদ,
আমিও গত কয়েকদিন বসিনি, আজই বসলাম। বিপ্লব’দার মন্তব্য নিয়ে উনাকে আমি আগেও লিখেছি। নুতন সদস্যদের প্রতি উনার মন্তব্যের ভাষার ব্যাপারেও আমি বলেছি। তাই নুতন করে আমার বলার কিছু নেই। আর সমকামিতা নিয়ে উনার অবস্থান নিয়ে নিজে কিছু বলছি না এই বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে। এর মাঝেই বন্যা’পা এবং অভিজিৎ’দাই যা বলার বলে দিয়েছেন। উনাদের বক্তব্যকেই আমার কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নিজের জ্ঞান যেহেতু বেশি নেই তাই চুপ আছি। আমি কোথাও কিন্তু বিপ্লব’দার বক্তব্যকে সমর্থন করে কিছু লিখিনি। আপনি বিপ্লব’দার যে ব্যক্তি আক্রমনের উদাহরণ এনেছেন সেটা অবশ্যই খারাপ। কিন্তু এগুলো উনি বলছেন আল্লাচালাইনার মন্তব্যের পরে। তাই আমি সেটাকে পালটা আক্রমন হিসেবেই দেখবো। না হলে, বিপ্লব’দা উলটাপালটা মন্তব্য করেন, কিন্তু কাউকে ব্যক্তি আক্রমন করে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন বলে আমি দেখিনি। এখন তেমনিভাবে খুজলে আমার আগের মন্তব্যেও আক্রমন পাবেন, আমি অস্বীকার করবো না। আল্লাচালাইনা যে ভাষায় মন্তব্য করে সেগুলো যদি মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের কাছে অশালীন, আক্রমনাত্মক মন্তব্য মনে না হয়, তা হলে আমার কিছু বলার নেই। নিজের অসহায়ত্ব আমি লুকাইনি, এখনো লুকাবো না। ভাল থাকবেন।
@স্বাধীন,
বিপ্লব অশালীন ভাষা ব্যবহার করে না সে ব্যাপারে আমিও একমত। কিন্তু তারমানে এই না যে সে অশালীন কথা বলে না। দাম্ভিক কথাবার্তাও একধরনের অশালীনতা। এই যে আমাকে নিয়েও একটু আগে সে মন্তব্য করেছে আমার বিজ্ঞানের ব্যাকগ্রাউন্ড নেই বলে সে আমাকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এখন আমরা যদি বলি যে, বাপু তোমারওতো সমাজবিজ্ঞানের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তা তুমি কেন প্রায়শই সমাজবিজ্ঞান নিয়ে কথা বলো, তখন কেমন হবে?
আল্লাচালাইনার মন্তব্য যে অশালীন হয় নি সেটা আমি বলি নি। আমি বলেছি যে আল্লাচালাইনার চেয়েও বিপ্লবেরগুলো বেশি অশালীন মনে হয়েছে।
মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ মনে করে যে এর সদস্যরা যথেষ্ট বিজ্ঞ এবং নিজেরাই শালীনতা-অশালীনতার পার্থক্যটা বুঝতে পারেন। কোনটা ব্যক্তি আক্রমণ সে বিষয়টাও তাদের অজানা থাকার কথা নয়। কাজেই, নিজেদের বিবেচনাবোধকে সামান্য একটু কাজে লাগালেই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। পদে পদে যদি রেফারিকে বাঁশি বাজাতে হয়, তাহলে খেলা হয়তো মারামারিশূন্য হয় বটে, তবে তার সৌন্দর্য হারায় বহুলাংশে, সে কথাও অনস্বীকার্য।
@আল্লাচালাইনা, একটা টিপিক্যাল আল্লাচালাইনীয় রিঅ্যাকশনারি গার্বেজ।
সমকামিতার পেছনে সামাজিক ভূমিকার গবেষনাগুলি বেশী কনক্লুসিভ নাকি বায়োলজিক্যাল গবেষনাগুলির ভুমিকা বেশী কনক্লুসিভ এই বিতর্কের কোন শেষ নেই। এটা ঠিক যে সামাজিক গবেষনা বায়োলজিক্যাল গবেষনার থেকে অনেক বেশী সহজ এবং অবৈজ্ঞানিক, তাই সামাজিক গবেষনাগুলিকে বেশী কনক্লুসিভ মনে হওয়ার কারন।
সমকামিতার পেছনে সামাজিক ভূমিকার গবেষনাগুলিকে কনক্লুসিভ মনে হওয়া বা বায়োলজিক্যাল ভূমিকার গবেষনাগুলিকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া আমার মনে হচ্ছে তা সম্পুর্ন নির্ভর করে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর। বটম লাইন হচ্ছে সমকামি হওয়ার পেছনে বিজ্ঞান সম্মত কনক্লুসিভ কোন কারন এখনো হয়তো জানা নেই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হয়। আমি যতটা গে রিসার্চ দেখেছি-তাতে উলটোটাই প্রমানিত।সব বায়োলজিক্যাল রিসার্চ এক দশকের মধ্যে ভুল বা ইনএফেক্টিভ বলে প্রমানিত হয়েছে। সামাজিক গবেষণা গুলি প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে কিন্ত ফালতু বলে কেও ফেলে দেয় নি।
@বিপ্লব পাল,
আমি যতটুকু বুঝি, বায়োলজিক্যাল রিসার্চ ভুল বা ইনএফেক্টিভ প্রমানিত হওয়ার কারনই হলো রিসার্চগুলো সাইন্টেফিক ছিল তাই সাইন্টেফিক রিসার্চের ভূল আবার সাইন্স দিয়েই শুধরানো হবে। সাইন্সে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
আর সামাজিক গবেষণাগুলিকে বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমান করার কোন অবকাশ নাই কারন সামাজিক গবেষণাগুলিতে বেশীরভাগই যাঁরা গবেষনা করেন তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি, পশ্চাদপট, কালচার বা প্রেক্ষাপট ইত্যাদি বেশী প্রতিফলিত হয় এবং সেগুলো সাইন্টেফিক প্রমান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়। সামাজিক গবেষণাগুলিকে ফালতু বলে ফেলে দেওয়া এবং না দেওয়ার মধ্যে আসলে কোন কিছুই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত বা প্রতিষ্ঠিত হয়না।
@ব্রাইট স্মাইল্,
তোমার বক্তব্য হচ্ছে সমাজ বিজ্ঞান বিজ্ঞান না!!!
এর পরে তর্ক চলে না। সেটা অন্য বিতর্ক।
@বিপ্লব পাল,
হ্যা, সেটা অন্য বিতর্ক, বিজ্ঞানের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম হতে পারে, হার্ড কোর অথবা লিবারেল হিসাবে। সে হিসাব করতে গেলেতো সাহিত্য, সংস্কৃতি ইত্যাদিকেও কোন না কোনভাবে বিজ্ঞানের আওতায় আনা যায়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
মরেছে। তোমার কথা শুনে স্যার পপার কবর থেকে উঠে আসবেন।
কোনটা বিজ্ঞান আর কোনটা বিজ্ঞান না-তাই নিয়ে সুর্নিদিষ্ট গবেষনা আছে।
দর্শন আছে। এটা পড়ে ফেল। তিন নাম্বারটা পড়বে- ডিমার্কেশন সমস্যা।
http://plato.stanford.edu/entries/popper/
@বিপ্লব পাল,
কিন্তু কোন গবেষনাই বিতর্কের উর্ধে নয় যতক্ষন না গবেষনার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রমানিত হয়। দর্শন আর বিজ্ঞানকে একই ক্যাটেগরি বা শ্রেণীতে ফেলা হবে কিনা সেটাও একটা বিতর্কিত বিষয়।
@অভিজিৎ,
(১) ডঃ কলিন্সের বক্তব্যকে সমর্থন করার কারন যে ২০০৮-২০১০ সালের গবেষনাগুলি -সেটা বলেছি। সুতরাং তোমার যুক্তি এই ব্যাপারে অসার
(২) একই পরিবেশে বড় হওয়া সত্ত্বেও একজন সমকামী অন্যজন সমকামী হয় না-এই নিয়েও একটা পেপার ছিল। পরে দেখা গেছে সমকামীর ক্ষেত্রে একটা দাদা নির্ভর ইনিশিয়েশন থেকে গেছে। ওই থ্রেডেই দেখবে এটা নিয়ে একটা আলোচনা আছে। সুতরাং এর মধ্যে থেকে কোন বায়োলজি পাওয়া যায় নি। দরকার হলে আমি এই ঘটনার সম্পূর্ন রেফারেন্স দেব।
(৩) এত এসশিয়েশনের প্রশ্ন আসছে কেন? আমরা বিতর্ক করছি-একটা বৈজ্ঞানিক বিষয়ে। যেটা নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে বিতর্ক আছে-সুতরাং এটাত গবেষনার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। তাছারা সমকামিতাকে অস্বাভাবিক বলে ত আমি দাবী করি নি-বিজ্ঞান ও দাবী করে না। কন্যার প্রতি পিতার আকর্ষনকেও কেও অস্বাভাবিক বলে দাবি করেন না। এমন কি শিশুদের প্রতি যৌণ আকর্ষন ও স্বাভাবিক। কিন্ত এই সব ধরনের “স্বাভাবিক” যৌনতাকে সমাজ এপ্রুভাল দেয় না। কারন রাষ্ট্র এবং সমাজ উন্নত
নাগরিক দাবী করে।
(৪) আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ব্লগ ( পেপার না) টা দিলে, ইন্টারনেট খুঁজলে ও ৪-৫ টা বা ডঃ ক্যারোলের অনেক বেশী রিবিউটাল পাবে। ওই পেপারটা নিয়েও ১০০ টা পোষ্টিং আমার দেওয়া থ্রেডেই পাবে। ওই লেখাটা নিয়ে কাঁটা ছেড়া করেই বলছি, সংখ্যাতাত্ত্বিক দিক দিয়ে কোন ভুল নেই এই ব্যাপারে যে সমকামীদের মধ্যে মলেস্টার বেশী। কারন ২০% কেসে গে রা কনভিক্টেড যেখানে সমাজে গে দের সংখ্যা ৫% এর নীচে। আবার এটাও ঠিক, এটার সাথে সমকামিতার সম্পর্ক নেই। কারনটা জটিল-এবং এই নিয়ে অনেক কাজ আছে।এত কাজ আছে এই টপিকটা নিয়ে এটা নিয়ে লিখতে গেলে অনেক লম্বা প্রবন্ধ হবে।
(৫) প্রানী জগতে সমকামিতা স্বাভাবিক সেটাও কেও আপত্তি করছে না। প্রশ্ন হচ্ছে সেটাও স্পেশাল হার্ড ওয়াড়ড কি না। আমি নেচার থেকে একটা কাজ দিলাম-যেটা একটা আর্লি প্রুফ যে সেখানেও সামাজিক ব্যাবহারের ( ওই ক্ষেত্রে পাখিদের পিতামাতা তাদের ছেরে গিয়েছিল) ভূমিকাই মুখ্য হচ্ছে।
(৬) আর ওই ইটালিয়ান কাজটা? ক্যাম্পেরিওদের ওই কাজটা এত কম স্যাম্পলের ওপর করা ওটা কোন গ্রহণ যোগ্য কাজই না।
Helen Wallace, of the UK lobby group GeneWatch, welcomes the new research that moves away from the controversial single-gene theory for homosexuality. “But it’s worth noting that the data on the sexuality of family members may be unreliable, so more studies are likely to be needed to confirm these findings,” she says
এট আসলেই তোমার ভুল-সাবজেক্টটা ধরতেই পার নি। আমি অনেক উদাহরন দিয়েছি যে এটা খুভ ভাল ভাবেই প্রমানিত গে পেরেন্টরা যখন অন্য বাচ্চা দত্তক নিচ্ছে, তাদের মধ্যে ২০-৩০% সন্তান গে হচ্ছে। অন্তত একাধিক পেপার আছে এই নিয়ে। এরপর কি করে সন্দেহ থাকতে পারে যে গে হওয়ার পেছনে সামাজিক ভূমিকাটাই মুখ্য?
বটম লাইন হচ্ছে- গে হওয়ার পেছনে সামাজিক ভূমিকার গবেষনাগুলি অনেক বেশী কনক্লুসিভ এবং খুব বেশী প্রশ্ন বিদ্ধ না। আর বায়োলজিক্যাল প্রমান করার প্রতিটা কাজই মুখ থুবরে বসে গেছে। কোন কাজই রিপ্রোডিউস করতে পারি নি -দেখা আছে স্যাম্পল এরর অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এটাই দীর্ঘ গত দুই দশকের ইতিহাস। তারপরে পজিশন নিতে ভুল হবে কেন?
@বিপ্লব পাল, তোমার রিসার্চগুলোর প্রত্যকটা আমি যা বলতে চাচ্ছিলাম তাই বলছে। প্রথমতঃ এ ব্যাপারে এখনো শেষ সিদ্ধান্তে আসার মত অবস্থা হয়নি আর দ্বিতীয়ত, সমকামিতার পিছনে ‘কোনই’ জেনেটিক ব্যাপার নেই সেটাও ঠিক নয়, এই কথাও তোমার মত ( হয়তো ফ্রান্সিস ক্লিন্সের মত ক্রিশাচনের মত 🙂 ) আর কেউ বলছে না। তোমার দেওয়া পেপারগুলোই কী বলছে দেখো,
•So far, genetically dictated behaviours of the “one-gene-one-trait” variety have been found only in very simple organisms. Generally, geneticists agree that many genes (from at least five or six to many hundreds) contribute to any particular human behaviour.
•Any genetic influence is believed to be weak and indirect.
Genetic content of homosexuality is minimal
——–
The authors suggest that a release from parental duties affords individuals ( in birds) a greater opportunity to interact sexually with multiple partners, including those of the same sex. But they cannot determine the causes of homosexuality based on their analysis
……
scientists now believe large number of genes are involved in
behaviours. The studies on changes in histone proteins (Chapters
One and Eight) suggest that thousands of genes may be involved in
almost any trait and that their expression can be greatly impacted
by environmental events and even social interactions. Gene
patterns may be a recipe for bodies, but are not a reliable recipe for
behaviours. Though much effort has been spent trying to find SSA
genes, none have yet been found.
(আর প্রাভদার যে পেপারটা দিয়েছো সেটা কী পরে দিয়েছো? এটা তো রীতিমতভাবে আপত্তিকর, শুরু করেছে এইভাবে, Moscow mayor Yury Luzhkov was right in describing gay pride parades as “satanic”. এদের সাথে সুদান বা মৌরিতানিয়ার ওই সরকারদের পার্থক্য কী?)
তুমি যদি এখানে বলতে যে সমকামিতার পিছনে এখনো সরাসরি কোন জেনেটিক কারণ পাওয়া যায়নি তাহলে আমার কিছু বলার ছিল না। সব কিছুতেই তোমার ‘হয় এদিক নয় উদিক’ টাইপের কথাগুলো ( তোমার সাথে আমার এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কর্মজীবি মেয়েদের সন্তান পালন থেকে শুরু করে কাতারের প্রিন্সের ভূমিকা পর্যন্ত অনেক কিছু নিয়েই একারণে বিতর্ক হয়েছে) আসলে বেশ বিভ্রান্তি ছড়ায়।
@বন্যা আহমেদ,
আবার বুঝতে ভুল করছ। অনেক জিন করে-সেটাতে কেও আপত্তি করছে না। প্রশ্নটা হচ্ছে কোন স্পেশাল জিন সিকোয়েন্স থাকার জন্যে কেও গে হয় কি না। দ্বিতীয় ব্যাপারটাই আসল বিতর্কের যায়গা-এবং সেখানে ওই কাজ গুলো বলছে-এমন কোন সিকোয়েন্স নেই।
@বিপ্লব পাল, আবারো বলছি তোমার সাথে বিতর্কটা মোটেও জেনেটিক মার্কার নিয়ে ছিল না। তুমিই আসলে আমার কথাটা বুঝতে পারো নি। আজকে দশ বছরের গবেষণার খবর যারা রাখে, তারা কেউ এ কথা বলবে না, এভো ডেভো নিয়ে সিরিজটাতে এ নিয়ে আমি নিজেই বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম তোমার এই কথাটায়,
সরাসরি জেনেটিক সিকোয়েন্স না থাকা মানেই ‘জেনেটিক কারণ নেই’ নয়। আমি তোমাকে বলেছিলাম এভাবে এক্কেবারে জেনেটিক কারণ নেই বলে সবকিছু বাতিল করে দেওয়াটা অবৈজ্ঞানিক। তুমি প্রায়ই এভাবে কথা বল। আমাদের মস্তিষ্ক এবং তার পালস্টিসিটি নিয়েও একই কথা প্রযোজ্য, আমাদের জিনোমে জিনের সংখ্যা এতই কম যে আমাদের সব বৈশিষ্ট্য বা আচার আচরনের পিছনেও সরাসরি কোন জিন হয়তো নেই। অনেক জিন করে বা করতে পারে সেটা যদি মেনে নাও তাহলে তোমার সাথে তো আর কোন বিতর্ক থাকে না, শুধু একটাই অনুরোধ করবো যে দয়া করে এভাবে বলে দিও না যে এর পিছনে ‘কোন জেনেটিক কারণ নেই’। আমরা যারা এই গবেষণাগুলোর খবর রাখি তারা হয়তো বুঝবো কিন্তু অন্যরা তোমার কথা থেকে এর পিছনে ‘কোনই জেনেটিক কারণ নেই’ ধরে নিয়ে নাচানাচি বা তালিয়া দেওয়া শুরু করবে।
আবারও বলছি তুমি যদি বলতে যে এখনো ‘সরাসরি কোন জেনেটিক সিকোয়েন্স’ পাওয়া যায়নি, বা ‘জেনেটিক প্রভাব থাকলেও সেটা হয়তো মিনিমাল’ বা ‘এ নিয়ে গবেষনা চলছে ‘তাহলে তোমার সাথে কোন বিতর্ক থাকতো না। এখানে তুমি যে পেপারগুলো দিয়েছো তাতে একটাও নতুন কোন কথা বলা নেই।
@বন্যা আহমেদ,
বোঝা গেল এটা বোঝার সমস্যা। জেনেটিক কারন নেই না বলে
– ” I am born gay” এটা ঠিক না বললেই ঠিক হত।
@বিপ্লব পাল, ধন্যবাদ ভুলটা স্বীকার করার জন্য। এটা আগেই বলে দিলে আমার কাল রাত থেকে এত সময় নষ্ট করতে হত না :-X ।
আর সঠিকভাবে বললে ‘বোঝা গেল এটা বোঝার সমস্যা’ না বলে ‘বোঝা গেল এটা লেখকের বোঝার বা বোঝানোর সমস্যা’ বলা উচিত ছিল… 🙂 ।
ভালো থাইক্কো, আমি ফুটলাম আজকের জন্য…
@বন্যা আহমেদ,
:rotfl:
আমি ইচ্ছা করেই বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স বেশী দিচ্ছি না, এই আলোচনাকে ভারাক্রান্ত না করার জন্যে। কিন্ত রেজার মনে হয়েছে, এটা নাদিলে না কি বৈজ্ঞানিক আলোচনা হয় না-তাই একটা লিস্টি দিচ্ছি-যা গত দুই এক বছরেরঃ
এখানে সম্পূর্ন ইতিহাস পাওয়া যাবে কিভাবে গে এক্টিভিস্টরা বিজ্ঞানের রেজাল্টকে ভুল ব্যাবহার করেছে
1.
http://www.mygenes.co.nz/PDFs/Ch9.pdf
Summary
The scientific community realises that “our genes do not make us
do it”. Hamer has always believed that. To give him the last word:
“There will never be a test that will say for certain whether a child
will be gay. We know that for certain.”
16
This means as clearly as
anyone could state, that no-one is born ga
এখানে কিছু সামারী আছেঃ
http://www.mygenes.co.nz/summary.htm
And some more good links
http://www.nature.com/news/2010/100709/full/news.2010.344.html
http://209.157.64.200/focus/news/2612411/posts
Dr. Michelle Cretella, a board member of the American College of Pediatricians, stated that all studies reflecting the opposite opinion had a methodological flaw in that they compared the wellbeing of children in homosexual households to those raised in difficult circumstances such as single-parent households that resulted from divorce. None of the studies compared children raised by homosexual parents to children with two heterosexual parents in a stable, loving marriage.
আরো জানতে চান?
http://english.pravda.ru/opinion/columnists/28-06-2010/114036-same_sex-0/
Cretella cited a recent meta-study conducted by two pro-homosexual researchers. It found that girls raised in homosexual households are more likely to be more aggressive, boys are likely to be less masculine and that both girls and boys engage in sexual experimentation at earlier ages and are more sexually promiscuous.
As a result children reared by gay couples have gender confusion and are put at high risk for sexually transmitted diseases.
(১) এখানে খেয়াল রাখতে হবে বৈজ্ঞানিক মনন এবং এক্টিভিস্ট এক জিনিস না।
(২) ধর্মীয় রক্ষণশীলরা সমকামীদের বিরুদ্ধে, তাই আমাদের তাদের পক্ষে যেতে হবে সেটাও লজিক্যালি ভুল। ইসলামের সমালোচনা হিন্দু এবং খ্রীষ্ঠানরাও করে। আবার নাস্তিকরাও করে, তাই নাস্তিক == হিন্দু বা খ্রীষ্ঠান হয় না।
@বিপ্লব,
গে জিন নিয়ে পড়ে থাকার কোন মানে নেই। মানুষের আচরণগত ট্রেইট কম্পলেক্স। কোন আচরণই একটি জিনের উপর নির্ভর করে না। এই গে জিন, এলকোহলের জিন, স্মোকিং জিন – যে কোন কিছু সম্পর্কেই এ কথা বলা যায়। মিডিয়াতেই কেবল এ নিয়ে লাফালাফি হয় – অমুকটার জিন পাওয়া গেছে বলে। আসলে বলা উচিৎ কোন এক জেনেটিক ফ্যাকটর যা হয়তো কোন একটা বিহেভিয়ারাল ট্রেইট গঠনে ভুমিকা রাখতে পারে। এইটুকুই। কোন কিছু বের হলে সাথে সাথেই একে জিন নামে অভিহিহিত করে মিডিয়া ফলাও করে আকর্ষনীয় হেডলাইন দেয়ার জন্য। এটা ভুল পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে।
যা হোক, আগেই বলেছি, প্রাণি জগতের প্রায় সব প্রজাতির যেহেতু করে সমকামিতা পাওয়া যাচ্ছে, হয়তো এর পেছনে কোন জেনেটিক ভুমিকা থাকতে পারে। সেটা বের করারই চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ সংক্রান্ত কিছু ফলাফল পক্ষে গেছে, কিছু বিপক্ষে। কিছু আবার ভুল পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষার ভুল বিজ্ঞানীরাই ধরেছেন। এভাবেই তো বিজ্ঞান এগোয়, এগুবে।
@বিপ্লব পাল, তুমি বোধ হয় একটা খুব সহজ কথা বুঝতে পারছো না। ‘গে জিন’ বলে কিছু নেই বলেই এখানে কোন জেনেতিক ফ্যাক্টর নেই এ ধরণের কথা ভুল। হিউম্যান জিনোম প্রজেক্টের পর এবং এভুলেশিনারী ডেভেলেপমেন্টাল বায়োলজির মত ফিল্ডগুলোর বিকাশের পর এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে একটা জিন একটা কাজ করে না। গে জিনের মত ধারণাগুলো যে ভুল সেটা তো অনেক আগেই প্রমাণ হয়ে গেছে, যৌনতা বা যৌন প্রবনতার পিছনে কয়েক হাজার জিন কাজ করতে পারে। কোন একটা ট্রেইটের জন্য স্পেসিফিক জিন নেই বলেই এটা নয় যে এর পিছনে জেনেটিক কারণ বা প্রভাব নেই।
@বন্যা আহমেদ,
যে ডিবেট থ্রেডটার হদিস আমি দিলাম, সেখানে মাইক্রোবায়োলজির তিনজন পি এই চডিও ছিল। তাদের একজন গে। ওখানে হোমোসেক্সুয়াল সংক্রান্ত ইক্রোবায়োলজির অনেক পেপারের সন্ধান পাবে, যা সাধারনত এইসব ডিবেটে আসে না। হয়ত তোমার কাছেও নেই। তুমি শুধু ভুলে যাচ্ছ, জেনেটিক মার্কার নিয়ে যত গবেষনা গত দুবছরে হয়েছে-কোনটাতেই কোন কিছু কনক্লুসিভ নেই। সব থেকে বড় কথা কলিন্স ও কিন্ত এটাই বলেছে। শুধু শুধু ভদ্রলোক খ্রীষ্ঠান বলে তার পেছনে লেগে লাভ নেই। উনি কোন র্যাডিক্যাল লোক না, এটা একটু ইন্টারনেট ঘাঁটলেই টের পাবে। তোমার এই বক্তব্যের পর আমি নিশ্চিত কলিন্স কি বলেছে, সেটা না বুঝেই লাফাচ্ছ। কারন কলিন্সের বক্তব্যের সাথে তোমার বক্তব্যের পার্থক্য নেই। শুধু একটা পার্ট মিসিং। সেটা হচ্ছে কলিন্স এটাও বলেছেন, ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যাপারটা অনেক বেশী কাজ করে। যে ব্যাপারে ইন্টারনেট ঘাঁটলেই অনেক পেপার পাবে।
@অভিজিত এবং বন্যা
জীবনের সব চেয়ে দীর্ঘ বিতর্ক সমকামিতা নিয়েই করেছি-এবং তাতে ৪০০০ পোষ্টিং আছে। তাতে সব কিছুর জবাব দেওয়া আছে। সেই সূত্রে দুমাস ধরে অনেক পেপার পড়ার পর, এই সিদ্ধান্তে এসেছিলাম, সমকামিতার কোন জৈবিক ভিত্তি নেই-কারন সেই ধরনের সব বৈজ্ঞানিক কাজই ফালতু বলে প্রমানিত হয়েছে।
কিন্সের স্কেল এর মধ্যে কোথা থেকে এল? আমি লিখলাম জৈবিক ভিত্তি নেই। সামাজিক কারনে এই টেন্ডেন্সি ভ্যারি করে। বরং আমি এখানে যেটা জানতে চাইছি কিন্সের স্কেলের ভিত্তি জৈবিক না সামাজিক? আমার বক্তব্য এটাই
ওটা জৈবিক না সামাজিক? ওটা জৈবিক বলে যেকটা পেপার দাবী করেছিল, তার একটাও টেকে নি। কিন্ত জেনোম প্রজেক্টে এই নিয়ে যা কিছু কাজ হয়েছে তা সামাজিকতার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
শিশু নির্যাতন সমকামী পুরুষ বেশী করে না করে না, সেই নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। সংখ্যাতত্ত্বের দিকদিয়ে নিশ্চিত আমেরিকাতে শিশু মলেস্টেশন সমকামীরাই বেশী করে। সেই নিয়ে কোন বিতর্ক নেই-বিতর্ক হচ্ছে এটা জৈবিক বা স্বাভাবিক গে ব্যাবহার? সেখানেই দেখা যায় যে শিশুদের সাথে যৌন মিলনের ইচ্ছা বা অনিচ্ছাতে গে বা বিপরীতকামীদের পার্থক্য নেই।তাছাড়া লেসবিয়ানদের ক্ষেত্রেও এই অভিযোগ ওঠে না। সুতরাং সংখ্যাতত্ত্বে যেটা আসে, সেটার কারন খুব সম্ভবত সামাজিক যে অধিকাংশ গে লোকের সমকামিতাতে হাতে খড়ি-মলেস্টেশনের মাধ্যমেই। পক্ষে বিপক্ষে নানান পেপার পড়ার পর, এটাই আমার গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
আর রাষ্ট্রর উৎপাদন শীলতার প্রশ্ন উঠবে না কেন? আমরা ত সমকামিতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রএর ভূমিকা কি হবে, সেটা নিয়ে বতর্ক করছি। রাষ্ট্র সমাজ না। তার প্রথম প্রায়োরিটি সিস্টেমটা চালু রাখা। সুতরাং উৎপাদনশীলতা ছারা রাষ্ট্রএর ভিত্তিতে প্রেম আসে কোত্থেকে?
জেনোম সিকোয়েন্সে গে সিকোয়েন্স নিয়ে যে কাজ হয়েছিল, এটাই এই ব্যাপারে আমার কাছে গ্রহন যোগ্য মনেহয়েছে। জেনোম প্রজেক্ট অধিকর্তা ডঃ কলিন্স পরিস্কার ভাবেই বলেছেন শিশুটি কি সামাজিক পরিবেশে বড় হয়েছে সেটাই গুরুত্বপূর্ন। কারন জেনেটিক মার্কারের থেকেও পরিবেশ শুধু গের ক্ষেত্রেই না, মানুষের অন্য ব্যাবহারের ক্ষেত্রেও বেশী কাজ করে। এখানে আমি লিংক দিলাম।
সুতরাং আমি বলব গে এর ক্ষেত্রে এটা খুব পরিস্কার ভাবেই নির্নিত এটার পেছনে আসল ভূমিকা তার বেড়ে ওঠার। এই ব্যাপারে যেসব বিতর্ক ছিল-তা আগের ভুল ভাল বৈজ্ঞানিক পেপারের জন্যে। এখন কোন বিতর্ক নেই এই ব্যাপারে। তাই বন্যার বক্তব্য আউটডেটেড।
আর যদি আমেরিকার সাইকোলজিক্যাল এসোশিয়েশনের কথা বা দাবী এখানে টানতে হয়—
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোশিয়েশন এটাও দাবি করে শিশুদের প্রতি যৌন আকর্ষন স্বাভাবিক! পিডোফিলিয়া তাদের কাছে রোগ না। সেটা হতে পারে।
কিন্ত তাদের রেকোমেন্ডেশনের ভিত্তিকে অভিজিত রায় কি সমাজে পিডোফিলিয়াকে উৎসাহিত করবেন?
সমকামিতার কেসটাও তাই। এটাকে অস্বাভাবিক কেও বলছে না। কিন্ত স্বাভাবিক মানেই সমাজ সব কাজকে প্রশয় দেয় না। কন্যার প্রতি পিতার যৌন আকর্ষন ও স্বাভাবিক। কিন্ত সমাজ সেটাকে প্রশয় দেয় না। তাই স্বাভাবিক মানেই সেটাকে প্রশয় দিতে হবে-এই লজিকটা ঠিক না।
এই লিংকে সেই দীর্ঘ বিতর্ক আছে। অভিজিত বা বন্যার প্রশ্নগুলি আমি অনেকবারই ফেস করেছি এই দীর্ঘ থ্রেডে-প্রায় ২০০ এর বেশী পেপার এখানে বিশ্লেষন করা হয়েছিল। এবং আমার সিদ্ধান্তে আমি কোন ভুল দেখছি না। কারন এই ব্যাপারে অনেক নথি ঘাঁটার পরেই আমি আমার পজিশন নিয়েছি।
@বিপ্লব পাল,
অবাক হলাম আপনার লেখায় lifesitenews.com এর লিঙ্ক দেখে। বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় এদেরকে জ্ঞানের উৎস হিসেবে টেনে আনলে আমার মনে হয়ে এ নিয়ে তর্ক করাটাই বৃথা।
এদের নীতিমালার দুই নম্বর আইটেম…
2. LifeSiteNews.com emphasizes the social worth of traditional Judeo-Christian principles but is also respectful of all authentic religions and cultures that esteem life, family and universal norms of morality.
আর জেনোম প্রজেক্টের অন্যতম অধিকর্তা ডঃ কলিন্স, যার বক্তব্য আপনি উল্লেখ করেছেন, তার সম্পর্কে মুক্তমনা পাঠকদের আরো একটু পরিচিত হওয়া দরকার আছে বলে মনে করি…।
উইকিপিডিয়া থেকে…
Francis Sellers Collins (born April 14, 1950), is an American physician-geneticist, noted for his landmark discoveries of disease genes and his leadership of the Human Genome Project (HGP) and described by the Endocrine Society as “one of the most accomplished scientists of our time”.[1] [2] He currently serves as Director of the National Institutes of Health in Bethesda, Maryland. Collins has written a book about his Christian faith. He founded and was president of the BioLogos Foundation before accepting the nomination to lead the NIH. On October 14, 2009, Pope Benedict XVI appointed Francis Collins to the Pontifical Academy of Sciences.[3]
সব বিজ্ঞানীই বিজ্ঞানমনস্ক হন না। কলিন্স একটা ভালো উদাহরণ।
@ইরতিশাদ,
কলিন্স একজন জেনোম বিশেষজ্ঞ এবং জেনোম প্রজেক্টের অধিকর্তা। ওই লাইনে সর্বাধিক বিখ্যাত ও বটে। তবে শুধু তার বক্তব্যের কারনে আমি তার বক্তব্যকে সমর্থন করি নি। পোষ্ট ২০০৮ সালে যত এই ব্যাপারে পেপার এসেছে, তার সব কিছুই কলিন্সের বক্তব্যকে সমর্থন করে। আমি এখানে কিছু দিলামঃ
প্রথম যে জিনিসটা বেড়িয়ে আসছে সেটা হচ্ছে ডি এন এ আমাদের ব্যাবহারের ওপর যতটা প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়েছিল-সেটা ঠিক না।
জ়েনেটিক্স স্টাডিগুলি মোটেও বিশ্বাসযোগ্য না-এটাই আস্তে আস্তে প্রমানিত হয়েছে।
[১]
http://en.wikipedia.org/wiki/Biology_and_sexual_orientation
[২]
http://dujs.dartmouth.edu/winter-2010/the-quest-for-the-%E2%80%9Cgay-gene%E2%80%9D-the-limitations-of-sexual-orientation-research-and-its-future
এখানে পক্ষে এবং বিপক্ষের অনেক যুক্তি আছেঃ যুক্তিদাতাদের সবাই বিজ্ঞানী বা ডাক্তার।
http://borngay.procon.org/view.answers.php?questionID=1335
২০১০ সালে প্রকাশিত একটা বিখ্যাত পেপার দেখুন। এটি কেম্ব্রিজ থেকে প্রকাশিত। ইনারা দেখাচ্ছেন গে পেরেন্টদের ছেলে মেয়েদের ওপর করা স্টাডি থেকে কিভাবে সামাজিক ফ্যাক্টরগুলি গে “বানিয়ে” থাকে।
http://journals.cambridge.org/action/displayAbstract?fromPage=online&aid=7907017
Data from ethnographic sources and from previous studies on gay and lesbian parenting were re-examined and found to support the hypothesis that social and parental influences may influence the expression of non-heterosexual identities and/or behaviour.
@বিপ্লব পাল, আমি এখানে তোমার ‘সমকামী হবার কোন জেনেটিক কারন ও নেই-আসলে সবার মধ্যেই কম বেশী সমকামী প্রবণতা আছে-এটাই সত্য’ কথাটার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। এই কাজতা প্রায়শঃই কর তুমি। আজকের বিজ্ঞান যেমন ‘গে জিন আবিষ্কৃত হয়ে গেছে’ কথাটাকে ভুল বলছে ঠিক তেমনিভাবে এটাও বলছে না সমকামিতার পুরোটাই সাংষ্কৃতিক। শুধু যৌনতা নয় আরও অনেক কিছুই শুধু জেনেটিক নয়, পরিবেশ কম বা বেশী ভূমিকা পালন করে। আমি এখানে তোমাকে একটাই অনুরোধ করেছিলাম যে এস্পার বা ওস্পার জাতীয় কথাগুলো বলাটা ঠিক নয়, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও ঠিক নয়, বিশেষত যে ব্যাপারগুলোর ক্ষেত্রে আমরা এখনো সলিড কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। তুমি গে প্যারেন্টদের ছেলেমেয়েদের কথা বলছো ( সেখানে প্রভাব থাকতেই পারে), আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কয়েকজন সমকামী মানুষ চিনি যাদের বাবা মা কেন তাদের আশে পাশে চোদ্দগুষ্টি এবং চোদ্দ ভূবনের মধ্যে ‘সমকামিতা’ বলে কোন শব্দের অস্তিত্ব ছিল না। তারা এক্কেবারে ছোটবেলা থেকে সমকামী। এর এক্টা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমাদের বের করতে হবে, পরিবেশ বা জেনেটিক বলে ছেড়ে দেওয়াটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যৌন প্রবণতাগুলো খুব সম্ভবত একটা কন্টিনেওয়ামে কাজ করে, সবটাই সাংষ্কৃতিক নয়, কোন কোন ক্ষেত্রে এটা পরিবেশগত হতে পারে কিন্তু সবক্ষেত্রে নয়। আমরা নৈতিকতা থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য বিবর্তনীয় অভিযোজনের কথা বলবো, আর যৌন প্রবণতার মত এত গুরুত্বপূর্ণ এবং বেসিক ব্যাপারটাকে পরিবেশগত বলে এড়িয়ে যাব সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। আর প্রাণীজগতে মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে এই পরিমাণ সমকামিতার অস্তিত্ব রয়েছে যে একে কোনভাবেই শুধুই পরিবেশগত বলে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
একটা কথা আমরা প্রায়শঃই ভুলে যাই, কোন কিছুর সাথে ‘কোরিলেশন’ থাকা মানেই ‘কজেশন’ নয়। আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন কার্যাবলী, আচার আচরন সম্পর্কেই এই কথাটা খাটে। এর কতটুকু জেনেটিক আর কতটুকু সাংষ্কৃতিক সেটা বলার মত অবস্থায় আমরা এখনো আসিনি, সেটা স্বীকার করে নেওয়াটাই এখানে সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক অবস্থান বলে আমি মনে করি।
আর ইরতিশাদ ভাইয়ের আপত্তি জানানোর আগে তুমি যে রেফারেন্সগুলো দিয়েছিলে সেগুলো শুধু আপত্তিকরই নয়, অবৈজ্ঞানিক। কলিন্স এ নিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক পেপার বের করেছে তাও আমার জানা নেই। হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট অনেক কিছুতেই আমাদের অবাক করেছে, তাই বলে এটা নয় যে ওই প্রজেক্ট পরিচালনা করেছে বলেই সে মানুষের সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলার অধিকার পেয়ে গেছে।
@বন্যা আহমেদ,
এটার ওপর ও কাজ আছে। আমি যদ্দুর জানি পাড়ার দাদা বা কাকা, যারা সমকামী তারাই তরুনদের প্রভাবিত করে। এই রকম একটা গবেষনার কাজ এবং তার বিপক্ষেও কিছু লজিক আমি দেখেছি। এটা সমাজ বিজ্ঞানে এতটা অজ্ঞাত টপিক না যতটা ভাবছ।
তুমি লজিকটার গোড়াতে গোলাচ্ছ। যাকে বলে গোড়ায় গলদ। কেও বলছে না, সমকামিতার ভিত্তিতে জেনেটিক মার্কারের ভূমিকা নেই। একাধিক আছে। আবার এটাও সত্য ওই সব জ়েনেটিক মার্কারের সাথে সমকামীতার সম্পর্ক জোরালো না এবং সবার মধ্যে ওগুলো পাওয়া যায়। সমকামিতা কেন ট্রিগার করে, তার সপক্ষে কোন সামাজিক ফ্যাক্টরগুলির যত জোরালো প্রমান আছে, বায়োলজিক্যাল ফ্যাক্টরগুলির নেই।
আর কলিন্স জেনোম প্রজেক্টের ফাইন্ডিং এর একটা সামারি দিয়েছেন।
আর আমি গে রাইট এক্টিভিস্ট নই। আমি মনে করি সমকামিতাতে কোন দোষ না থাকলেও এবং সমকামি সেক্সকে আপত্তি করার কিছু না থাকলে, সমকামী বিবাহ ও পেরেন্টিং কাম্য না। কারন সমকামী পেরেন্টদের ছেলে মেয়েদের মধ্য সেক্সুয়াল আইডেন্টি কনফিউশন খুব বেশী এবং এই ধরনের ছেলে মেয়েরা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে উত্তম নাগরিক হবে না। দ্বিতীয়টি যথেষ্ঠ প্রমানিত।
@বিপ্লব পাল, আপনার অবস্থা যতটুকু খারাপ ভেবেছিলাম এখন তো দেখি তার চেয়েও অনেক বেশী খারাপ। আজকাল প্রায়ই আপনার কথাবার্তা শুনে হোচট খাই, আল্লাচালাইনা মাঝে মাঝেই আপনাকে যে সব কথা বলেন সেগুলোকে আগে বাড়াবাড়ি বলে মনে হত, এখন তো দেখি সেগুলোই ঠিক প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। আজকাল প্রায়শঃই আপনার বক্তব্যে যেসব মানুষেরা হাততালি দিয়ে ব্লগ ফাটায় সেটাও বেশ এলার্মিং। আপনার বুদ্ধিবৃত্তির সিন্দুক এতটাই ব্যাংক্রাপ্ট হয়ে গেছে যে, একটা বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনার একমাত্র ভরসা হচ্ছে ফ্রান্সিস কলিন্স আর lifesitenews.com!!!!! এদের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই আপনি আজকাল বৈজ্ঞানিক লেখা লিখেন নাকি? যাই কই!! আপনার কাছ থেকে এর থেকে আরেকটু বেশী সততা বা বিজ্ঞানমনষ্কতা আশা করেছিলাম।
@ফাহিম রেজা,
আপনার মন্তব্য ব্যাক্তিগত আক্রমন ছাড়া কিছু না।
এই লাইনে পড়াশোনা থাকলে জানতেন কলিন্সের ওই বক্তব্য নিয়ে কত রাজনৈতিক ঝড় আছে এবং তারপরেও অনেক গবেষনাপত্র প্রকাশিত
হয়েছে। কলিন্সের ধর্মীয় পরিচয় আমি ভাল করেই জানি। এবং তারপরেও এই লাইনে প্রকাশিত অনেক নির্ভরযোগ্য পেপার পড়েই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি-২০১০ সালে প্রকাশিত একটি পেপার আমি আপনাদের পড়তে দিলাম।
একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছেন-কলিন্স আপনার বা আমার মতন ব্লগার না। জেনোম প্রজেক্টের একজন অধিকর্তা এবং বিজ্ঞানী। সুতরাং নিজের লাইনে তিনি ভুল বললে বিজ্ঞানীকুল তাকে ছেড়ে দেবে না। তার বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করতে গেলে বৈজ্ঞানিক পেপার বা গবেষনা দিয়েই করতে হবে। কিন্ত গবেষনা যেদিকে এগিয়েছে, তাতে তার বক্তব্যের সমর্থনই বেশী পাওয়া যায়।
বৈজ্ঞানিক মননের অধিকারী হতে গেলে আরো পড়ুন। জানুন। জানবেন এই গে-লেসবিয়ান রাইটিস্টদের সাথে ধার্মিকদের পার্থক্য নেই। ধার্মিকদের মতন তারাও বিজ্ঞানকে প্রচুর ভুল ভাবে ভাবে ব্যাবহার করেছে। তাই এই সব বিতর্কের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন-এবং ভাল করে আগে জানুন কি ঘটছে।
@ফাহিম রেজা,
বলতে অনেক দুঃখবোধ করছি যে, আপনি অনেক অপরিনত। ব্যাক্তি আক্রমণ মানুষ তখনই করে যখন সে যুক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে অক্ষম হয় আর যখন তার ভেতরে বিপক্ষ শক্তির প্রতি ঘৃণা তৈরী হয়। মানুষকে এতটা ঘৃণা করবেন না, তাকে ভালবাসুন। সবসময় নিজ মতের প্রতি অনড় থাকা সবচে’ মূর্খমী কাজ। আপনাদের মধ্যে এই প্রবণতা ব্যাপক, এটা আপনাদেরকে অন্ধ করে দেবে। নিজে কি বিশ্বাস করেন তার দিকে না তাকিয়ে সবসময় সত্য কী তা জানার জন্য চেষ্টা করুন
কোন কথাগুলো শুনে কিভাবে হোচট খান, কেন হোচট খান, ঐ কথাগুলোর বিরুদ্ধে আপনার যুক্তিগুলো কী এগুলো আগে বলুন তাহলেই যৌক্তিক আলোচনা হবে, না হলে শুধু এই কথাটা বলে আপনি ঘৃণাটাই প্রকাশ করলেন।
আপনারা যা বলবেন তাই কি শুধু সঠিক প্রমাণিত হয়। এভাবে কথা না বলে যুক্তির সাথে কথা বলুন, বলুন কী কী জিনিষ আপনাদের চোখে অযৌক্তিক ঠেকে, তার পাল্টা যুক্তি বাৎলে দিন। আপনারা কি এটাই প্রমাণে নেমেছেন যে, আপনারা বিশ্বসংসারের সব নিয়ম জেনে ফেলেছেন আর আপনারা যা বলবেন আর যা প্রমাণ করতে চাইবেন তাই সত্য হবে? এর মাধ্যমে কি আপনারা নিজেদেরকেই ঈশ্বর প্রমাণে নামেন নি? এভাবে জগৎটাকে না ভেবে যৌক্তিক চিন্তা করুন আর যৌক্তিক কথা বলুন। আপনাদের আর অন্ধ ধার্মিকদের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখতে পারছি না, কারণ তারা যেমন যুক্তির কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের মন মত যা ইচ্ছা বিশ্বাস করে নিজেদের কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্য তেমনি আপনারাও নিজেদের জ্ঞান জাহির করার জন্য অথবা নিদেজেরকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্য নিজের মতে অনড় থাকেন; অন্য কেও ভাল যুক্তি নিয়ে আসলেও সেটাকে একবাক্যে ছুড়ে ফেলেন। আপনাদের সাথে অন্ধধার্মিকদের কি কোন পার্থক্য খুজে পাই?
তারাই হাততালি দিয়ে ব্লগ ফাটায় যারা নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করেন, অথবা নিজেদের জ্ঞানকে পরিপূর্ণ মনে করেন। এই প্রবণতা তো আপনার মধ্যেও দেখতে পাচ্ছি। যখনই আপনি মনে করতে শুরু করবেন যে আপনি যেটা জেনেছেন সেটাই একমাত্র সঠিক তখন থেকেই আপনি চরম অন্ধত্বকে বরণ করে নিতে শুরু করবেন। নিজেদের কি আপনারা সবজান্তা প্রমাণ করতে চান? এর চেয়ে কি এটা বেশী উত্তম নয় যে বিপক্ষের যুক্তি যৌক্তিক ছকে খন্ডন করা। ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ এরকম দৃষ্টান্ত কেন স্থাপন করতে যাচ্ছেন?
ফ্রান্সিস কলিন্স আর lifesitenews.com সম্পর্কে যদি কোন কিছু বলার থাকে তবে তা যুক্তি দেখিয়ে বলুন, এভাবে একবাক্যে এদের উড়িয়ে যেভাবে দিলেন তাতে তো কোন যুক্তির ছিটেফোটা দেখলাম না।
নিজেদের জ্ঞানকে ত্রুটিমুক্ত মনে করবেন না, আরো জানুন, বিনয়ী হৌন, বিনয় জ্ঞানীর ভূষণ, এরকম ঔদ্ধত্ব পূর্ণ আচরণ আমি মুক্তমনায় কখনোই আশা করি না। ইদানিং এটা বেশী রকমভাবে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কিছু বলি নি। অপরের মতামতে সহনশীল আচরণ করে পালটা মতামত দিন, অন্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ে নিজেদের অন্ধত্বের প্রকাশ কেন ঘটাচ্ছেন।
আর বলতে ভাল লাগছে না। আপনার মঙ্গল কামনা করি, আরো জানুন, মানুষের প্রতি সহনশীল হৌন এটাই কামনা করি।
@মুহাইমীন, :clap2: :clap2: :clap2:
তালিয়াওয়ালা পাইড পাইপারের শুভ আগমন ঘটে গেছে, আর চিন্তা নাই, সবাই একসাথে তালিয়া দ্যান, নাচা গানা করেন। এই ব্লগের সবাই এতক্ষণ ওনার তালিয়ার জন্যই অপেক্ষা করে ছিলেন। আসুন, ভাইসব, আমরা সবাই এখন পাইড পাইপারের তালিয়ার বাঁশীর গাঞ্জাতে বেহুশ হয়ে বেতাইলা গ্যাঞ্জাম পাকাই।
@ফাহিম রেজা, :no:
@ফাহিম রেজা, বিপ্লব পালকে ব্যক্তিগত আক্রমন করাটা একদমই আপনার উচিত হয়নি, আপনি তাকে সামাজিক আক্রমন করতে পারতেন, কিংবা নৃতাত্বিক আক্রমন বা হোমিওপ্যাথিক আক্রমন, ব্যক্তি আক্রমন করতে গেলেন কেনো শুধু শুধু? আপনি কি সমাজবিজ্ঞান জার্নাল কাটাছেড়া করে হাজার দশেক পেপার খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন যেগুলো কিনা আপনার এহেন কর্ম সমর্থন করে? আশা করি আপনার মন্তব্যের ব্যক্তিআক্রমনসূচক অংশগুলো আপনি তুলে নিবেন, এরপর বিপ্লব পালের সাথে দু-একদিন আলোচনায় বসে নির্ধারণ করবেন কি ধরণের আক্রমন করলে বিপ্লব পালের চিত্ত পরিতুষ্ট হয়। তারপরও কোনই মূ্ল্য থাকবে না আপনার এই সৌজন্যবোধের যদি কিনা তর্কের তালগাছখানি শেষমেশ বিপ্লব পালের বগল ছেড়ে এক ন্যানোমিটারও স্থানচুত্য হয় এমনকি। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার- আপনার নেওয়া পরবর্তী পদক্ষেপ ভৃগুমুনির নাস্তিক্যবাদী দর্শনের সাথে সঙ্গগতিপূ্র্ণ হচ্ছে কিনা এটা বিপ্লব পালের সাথে আলোচনা পূর্বক নির্ধারণ করে নিতে ভুলবেন না যেনো। :laugh:
@ফাহিম রেজা, @আল্লাচালাইনা,
আপনাদের দুজনেরই মন্তব্য ব্যক্তিগত আক্রমণাত্নক ও শিষ্টতা বহির্ভূত। :no:
@বিপ্লব পাল,
কেমন যেন ধর্মগ্রন্থের পয়গম্বরের মত শোনাচ্ছে তোমার কথা। ওই যে ওরা বলে না – ধর্মগ্রন্থের ছ’ হাজার আয়াতের মধ্যেই সব কিছুর জবাব দেয়া আছে! ঐরকম হয়ে যাচ্ছে আর কি! lifesitenews.com এর লিঙ্ক ফ্রান্সিস কলিন্সের উদ্ধৃতির ব্যবহার করে যুক্তিকে রিফিউট করার প্রচেষ্টা দেখে আমি এর আঁচ পাচ্ছি কিছুটা 🙂
তাই নাকি? কলিন্স সাহেব বোধ হয় জানেন না যে, একই পরিবেশে বড় হওয়ার পরও কারো মধ্যে সমকামী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, অন্যদের মধ্যে যায়নি। এই যে উপরে হেলালের চাচাতো বোনের উদাহরণ একটি প্রমাণ। নিশ্চয় তুমি বলবে না যে, উনাকে লেসবিয়ন পর্ণ দেখিয়ে বড় হয়েছিলো – সেজন্যই ওগুলোর প্রভাবে উনি আর ছেলেদের পছন্দ করে না! সবকিছু সামাজিক বলে চালিয়ে দেয়ার আগে একটু আশে পাশের লোকজনের অভিজ্ঞতাগুলো বোঝা দরকার। ডঃ কলিন্স যা বলেন সবই বেদ বাক্যের মত বিশ্বাস করলে তো তার প্রভু যীশুর ভার্জিন বার্থ, পুনর্জন্ম সহ সবকিছুকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হয়!
এটা একটা ‘ফ্যালাসি অব বাইফারকেশনের’ প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কোন জৈবিক ভিত্তি এখনো খুঁজে না পাওয়া গেলেই সেটার পেছনে ‘সামাজিক কারণে’ টেন্ডেন্সি ভ্যারি করবে ভাবা ভুল। পদার্থবিজ্ঞানে প্রকৃতি জগতের চারটি মৌলিক বলকে এখনো এক করা যায় নি, তার মানে এই নয় যে, ওগুলো আলাদা কিংবা এর পেছনে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের টেন্ডেন্সি থাকতে পারে। আসলে বিজ্ঞানীদের আরো সময় দিলে বলগুলো এক করা যাবে বলে প্রায় সব বিজ্ঞানী জানেন। সমকামী প্রবণতার জেনেটিক গবেষণা এখনো সজীব একটি ক্ষেত্র। চারশোরও বেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এ নিয়ে কাজ হচ্ছে, এর পেছনে একটা ভিত্তি থাকতে পারে এ কথা মনে করেই। সময় দিতে হবে সঠিক ফলাফল পেতে।
আমার মতে যৌনপ্রবৃত্তির পেছনে নিঃসন্দেহে বায়োলজিকাল ফ্যাক্টরগুলোই প্রধান হবার কথা। নারী পুরুষের প্রতি পারস্পরিক আকর্ষনের পেছনে বায়োলজিকাল কারণ থেকে থাকবে, কেবল সমকামীদের আকর্ষণের ক্ষেত্রে কিছু নেই, এটা ভাবা বোকামী।
আর জৈবিক ভিত্তিকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়াটাও কাজের কথা নয়। আছে কি নেই এটি এখনো পরিস্কার নয় – এটুকু কেবল বলা যেতে পারে। আর কিছু কিছু গবেষনায় সমকামিতার পরোক্ষ প্রমাণ সত্যই পাওয়া গেছে। ইতালীর একটি গবেষণা (আন্দ্রিয়া ক্যাম্পেরিও-সিয়ানির গবেষণা) থেকে জানা গেছে , যে প্রকরণটি পুরুষদের মধ্যে সমকামিতা ছড়াচ্ছে সেটাই মেয়েদের ক্ষেত্রে আবার উর্বরাশক্তি বাড়াচ্ছে। ব্যাপারটি সঠিক হলে, সমকামিতার মত ট্রেইট টিকে থাকার পেছনে বিবর্তনীয় কারণ থাকতেই পারে – same cause that causes men to like men, also causes women to like men, and as a result to have more children. এজন্যই এই ট্রেইট টিকে আছে।
আর সব চেয়ে বড় কথা হল, বিজ্ঞানীরা প্রানীজগতে ১৫০০‘রও বেশী প্রজাতিতে সমকামিতার সন্ধান পেয়েছেন । আর মেরুদন্ডী প্রাণীর তিনশ’রও বেশী প্রজাতিতে সমকামিতার অস্তিত্ব খুব ভালভাবেই নথিবদ্ধ । সংখ্যাগুলো কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে । এপ্রসঙ্গে জীববিজ্ঞানী পিটার বকম্যানের উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য –
“No species has been found in which homosexual behaviour has not been shown to exist, with the exception of species that never have sex at all, such as sea urchins and aphids. Moreover, a part of the animal kingdom is hermaphroditic, truly bisexual. For them, homosexuality is not an issue.”
যদি সমকামিতার কোন জৈবিক ভিত্তি না থাকে, তবে প্রাণি জগতের প্রায় সব প্রজাতির মধ্যেই কি করে সমকামিতা পাওয়া যাচ্ছে? মানুষেরটা না হয় ‘সামাজিকতার দোহাই’ দিয়ে পার পাওয়া যায়, কিন্তু ভেড়া, আফ্রিকার মোষ, জেব্রা, হাতি, সিংহ, চিতাবাঘ, হায়না, বনোবো, গরিলা, ম্যাকুয়ি, পেঙ্গুইন, ধুসর পাতিহাঁস, কানাডা পাতিহাঁস, কালো রাজহাঁস, বরফী পাতিহাঁস, মিউট রাজহাঁস, শকুনদেরটা সামাজিকতা বলে পার পাওয়া যায় না। আর মানুষ কি প্রানী জগতের বাইরের কিছু নাকি যে কেবল সামাজিক তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করে ছেড়ে দেয়া হবে?
আর চাইল্ড মোলেস্টেশনের ব্যাপারটা আসলেই মিথ। আমি তোমার মত lifesitenews.com বা ফ্রান্সিস কলিন্স নয়, বরং অথেন্টিক ইউনিভার্সিটির সাইট থেকে কিছু রেফারেন্স দেই –
* Dr. Carole Jenny and her colleagues reviewed 352 medical charts, representing all of the sexually abused children seen in the emergency room or child abuse clinic of a Denver children’s hospital during a one-year period (from July 1, 1991 to June 30, 1992). The molester was a gay or lesbian adult in fewer than 1% in which an adult molester could be identified – only 2 of the 269 cases (Jenny et al., 1994). ইত্যাদি…
এবং এটা যে কোন স্টাডিতেই উঠে আসে যে হেটারোস্কসুয়াল পরিবারে অন্ততঃ ১০০ গুন বেশি শিশুনির্যাতন এবং মোলেস্ট করে থাকে হোমোসেক্সুয়ালদের চেয়ে। এটা কোন ফিকশন নয়।
শেষে বলি – আমেরিকার সাইকোলজিক্যাল এসোশিয়েশনের কথা পছন্দ না হলে আরো একগাদা চিকিৎসক এবং মনোবিজ্ঞানীদের সংগঠনের উদাহরণ দিতে পারি (যেমন, আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন, আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন , একাডেমী অব পেডিইয়াট্রিক্স , কাউন্সিল অব চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট হেলথ, আমেরিকান একাডেমী অব পেডিয়াট্রিক্স, আমেরিকান কাউন্সিলিং এসোসিয়েশন ইত্যাদি) – যারা একই ধরণের মত প্রকাশ করেন যা উপরে আমি দিয়েছি। তোমার কথা ‘বৈজ্ঞানিক’ হলে তারা সমকামিতার ব্যাপারে এ ধরণের সিদ্ধান্তে আসতো না।
এ নিয়ে বেশি তর্ক করার আসলেই বৃথা।
@অভিজিৎ,
এটা কি বিশ্বাস? আরো সময় দিলে বলগুলো এক না করার সম্ভাবনা ও তো আছে।
াপনার এই দাবীটিকে ফ্যালাসীর কোন ক্যাটাগরিতে ফেলানো যাবে?
বিপ্লব পালের মন্তব্য সত্যিই আমার কাছে হাস্যকর মনে হচ্ছে। তার কথা থেকে আমি যেটা বুঝতে পারছি,সমকামিরা ইচ্ছা করলেই বিপরীত লিঙ্গকে ভালবাসতে পারে। কারণ এ প্রবণতা সবার মধ্যে আছে, আমরা বেছে নিই বিপরীত লিঙ্গ আর সমকামিরা বেছে নেয় সমলিঙ্গ।
আমরা দির্ঘদিন যাবৎ আমার এক চাচাতো বোনের এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।
আমার পরিবার এবং আমার স্ত্রী কঠিন ভাবে আমাকে বলা আছে কোথাও যাথে তার কোন কাহিনি না বলি। সে তার পরিবারের একমাত্র মেয়ে, তিন ভাই,মোটামুটি আধুনিক পরিবার। শুরুতে সে বলত সে বিয়ে করবেনা। আমার ভাবির সাথে বলত কোন কিছুর বিনিময়েই সে কোন ছেলেকে বিয়ে করতে পারবেনা। প্রথমে তার পরিবার ভাবত তার কোন প্রেম আছে এবং তার পরিবার রাজি আছে যেকোন ছেলের সাথে বিয়ে দিতে।তাতেও সে রাজি না।আজ তার বয়স আটত্রিশ।আমরা দুই বছর আগে দেশে গিয়ে তার সাথে একান্তে কথা বলেছি। কিছু্টা ভয়ে আমি সমকামিতা বিষয়টি কৌশলে তোলার যেই না শুরু করেছি,এমনি সে হরহর করে কেঁদে ফেলে এবং বলল- সে কয়েকবার আত্যহত্যার চেষ্টো করেছে যখন তারা জোর করে তার অমতে বিয়ে ঠিক করেছিল এবং সব স্বীকার করেছে যে মেয়েদেরকে তার কাছে পেতে ভাল লাগে কিন্ত ছেলেদের কথা চিন্তাই করতে পারেনা। এমনকি সে বলেছে, সে তার মায়ের কাছে বহু আগেই এ বিষয়টি বলেছে এবং মা কঠিন ভাবে বলেছে প্রয়োজনে জ্যান্ত পুতে ফেলবে যদি সে কারও কাছে বিষয়টি প্রকাশ করে।
আমি এ ক্ষেত্রে সমকামিতার ব্যাপারে ইচ্ছার কোন পাইনি। তার কোন পছন্দের মেয়েও নেয় যাকে সে পেতে চায় এমনকি সে সব সময় তার বড় ভাইদেরকেই দেখে আসছে ঘরে। সে ঢাবি থেকে অর্থনীতিতে পাশ করেছে এবং নিশ্চয় বহু ছেলেরও কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।
বিপ্লব পাল ,আপনার কথায় সত্যিই আমি মর্মাহত( ক্ষমা করবেন এবং হয়তো আপনার যুক্তি কোন কোন ক্ষেত্রে ঠিক হতে পারে)।
আর একটা কথা। আমার ব্যাচেলরে একটা সাবজেক্ট জেনেটিক ছিল। সেখানে আমি পড়েছিলাম-ক্রমোজোমাল অনুপাতের কারনে প্রাণী সুপার মেল থেকে সুপার ফিমেল বৈশিষ্ঠ্য প্রকাশ করে (যারা এগ্রিকালচারের স্টুডেন বা জেনেটিক্সের টিচার আছেন তারা নিশ্চয় ধরতে পারছেন আমি কি বুঝাতে চাইছি।)
তবে মোটামোটি একই তথ্য নিচের লিঙ্ক থেকেও দেখে নিতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে সবার মধ্যে সমকামিতা আছে , এটা ঠিকনা।
[১] সমকামিতার জন্যে কাউকে জেলে বন্দী করে মারা অমানবিক এবং সমকামীদের বিরুদ্ধে সমস্ত আইন রদ করা উচিত
[২] একই সাথে সমকামিতাকে স্বাভাবিক তাই চালিয়ে যাও- এই বলে দাবী করার ও কারন দেখি না। এটা ঠিক ই যে প্রতিটি নর নারীর মধ্যেই সমকামী প্রবনতা আছে এবং সামাজিক ও নানান ঘটনায় প্রত্যেকের সমকামী ব্যাবহারে তারতম্য হয়। কেও সমকামী হয়ে জন্মায় না। সমকামী হবার কোন জেনেটিক কারন ও নেই-আসলে সবার মধ্যেই কম বেশী সমকামী প্রবণতা আছে-এটাই সত্য।
[৩] সমকামিতা রাষ্ট্রএর উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। পায়ু সঙ্গমে রোগ বেশী হওয়ার সম্ভাবনা এবং সমকামী পিতামাতার কাছে সন্তান বড় হলে, কিছুটা হলেও এডভার্স এফেক্ট পড়েছে। শিশু নির্যাতন পুরুষ সমকামীরাই বেশী করে। সুতরাং শাস্তি না দিলেও, এটাকে এনকারেজ বা উৎসাহ দেওয়ার কারন দেখি না।
@বিপ্লব পাল,
যদি ধরে নেই যে, প্রত্যেক নর নারীর ভেতর সমকামী প্রবণতা আছে, তাহলে বলতে হয় নর নারীর সেই সমকামীতা কামনাবশত, প্রেমবশত নয়। আর কামনাবশত মিলন মনের জন্য অস্বাস্থকর, প্রেমবশত মিলন মনের জন্য স্বাস্থকর। কামনার বশবর্তী হয়ে কিছু করলে তা আমাদের মানষিক অবস্থার অবনতি করে তাই কামনা বর্জনীয়। তবে দুয়েক ক্ষেত্রে মানুষের ভেতর সমকামী প্রবণতা যদি স্বত্তাগত(জীনগত) হয়ে থাকে তাহলে তা কি বৈধ হবে তা এ মূহুর্তে বলতে পারছি না, (সম্ভবত বৈধ হবে)।
তবে সমকামীতার কোন রেপ্রডাক্টিভ ভ্যালু নেই; তাই জীনগত কারণে তা করলেও তাকে সকলের জন্য উৎসাহিত করা একদম উচিত নয়। একমাত্র তারাই এটা করতে পারবে যারা কিনা প্রকৃতিগত ভাবে করতে বাধ্য। তবে এ ব্যাপারে কে বাধ্য আর কে বাধ্য না তা কড়া নজরদারির মধ্যে রাখাটা জরুরী তা না হলে হয়ত মানুষ ঐ জীনের অজুহাত দেখিয়ে তার কামনা মিটিয়ে নিতে পারে যা মানুষটির জন্য ক্ষতিকর হবে।
সমকামীতা বিষয়ে তাই বৈজ্ঞানিক সঠিক অনুসন্ধানটা সবচে’ জরুরী( আমার মনে হয় বর্তমান বৈজ্ঞানিক জরীপগুলো ত্রুটিমুক্ত। কারণঃ সকল বিষয়ের দিক হতে নমুনাকে জেরা করা হয় কিনা সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট সন্ধিহান।)
@মুহাইমীন,
দুঃখিত, মনে হয়না এর জায়গায় মনে হয় লিখেছি। হবে, মনে হয় না।
@মুহাইমীন,
বৈজ্ঞানিক গবেষনাতে খুব নিশ্চিত ভাবেই প্রমানিত যে সমকামিতা সবার মধ্যেই আছে। আপনার মধ্যেও আছে। সামাজিক প্রভাবে তা লুকায়িত।
আর মানুষের কামনা প্রেমের জন্যে না। দৈহিক মিলন ও কামনার জন্যে। প্রেম বলে একটা জিনিস সাহিত্যের সৃষ্টি-
আমি ত মশাই কামনার দ্বারা তাড়িত-প্রেম টেম আমার মধ্যে আছে বলে ত মনে হয় না! তবে কামনাকে যুক্তি দিয়ে বেঁধে রাখা জানতে হয়। যেমন নায়িকা দেখে তার দিকে প্রেম নিবেদন করে হাত পা ভাঙার মতন নির্বোধ যেমন কেও হবে না-আবার সুন্দরী মেয়ে দেখে যদি চিত্ত বিচলিত না হয় সেটাও অস্বাভাবিক জীবনেরই লক্ষণ। কামনা খারাপ না মশাই-আমার বস্তুবাদি উন্নতিতে কামনার ভূমিকাই মুখ্য। শুধু আমার কেন, এই যে ইন্টারনেট সব সব কিছু দেখছেন-সব কিছু আবিস্কার আর সভ্যতার পেছনেই আছে ভাল থাকার তীব্র কামনা।
@বিপ্লব পাল, কোন কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণাতে নিশ্চিত জানা গেছে যে সমকামিতা সবার মধ্যেই আছে একটু লিঙ্ক দিন তো।আর যদি কোন পদ্ধতি জানা থাকে নিজের ভেতরে সমকামী প্রবণতা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার তাহলে তাও জানিয়ে দিন,আমি দেখতে চাই আমার মধ্যে পুরুষ প্রেম আছে কি না ?
@বিপ্লব পাল, ”কামনা খারাপ না মশাই-আমার বস্তুবাদি উন্নতিতে কামনার ভূমিকাই মুখ্য। শুধু আমার কেন, এই যে ইন্টারনেট সব সব কিছু দেখছেন-সব কিছু আবিস্কার আর সভ্যতার পেছনেই আছে ভাল থাকার তীব্র কামনা।”-কীয়ের মধ্যে কি,পান্তা ভাতে ঘি।যৌন কামনা আর ভালো থাকার কামনা কী এক জিনিস হলো ? আর যৌন কামনা-ই বা খারাপ কে বললো ? যৌন কামনা না থাকলে তো আমরাই থাকতাম না।শুধু মানুষের বেলায় কামনার প্রকাশটি পশু বা ইতর প্রানীদের মতো না হলেই হলো।
@মুহাইমীন,
আপনাকে দেয়া অভিজিৎদা’র মন্তব্যের পরে মনে করেছিলাম এই থ্রেডে আর কমেন্ট করা হবেনা। যাক আপনি বলেছেন-
এই স্বীকৃতি, এই মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এত লেখালেখি। খুশি হলাম জেনে যে, আপনি সমাজে সমকামীদের উপস্থিতি মেনে নিয়েছেন। এবার আমরা একজন পুরুষ বা নারী কেন সমকামী হন, তার কারণ খোঁজে বের করার দায়ীত্ব বৈজ্ঞানিকদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি।
‘সমকামিতাকে উৎসাহ দেয়া ঠিক নয়’ বলাটা সত্যিই হাস্যকর। কাউকে উৎসাহ দিয়ে সমকামী বানানো যায়না, একজন সমকামীকেও কোন লোভ দেখায়ে আপনি বিষমকামী বানাতে পারবেন না। যে কারণে আপনি আমি সমকামী হতে পারিনা সেই একই কারণে একজন সমকামীও বিষমকামী হতে পারছেনা, এই সহজ ব্যাপারটা কেন আমাদের বুঝতে এত কষ্ট হয় বুঝিনা। ব্যাপারটা মোটেই ঐচ্ছিক নয়, সামাজিকও নয়। একই মা-বাবার ঘরে, একই সমাজে, সংস্কৃতিতে, পরিবেশে, ধর্মে, শিক্ষায়, বড় হয়ে চার ভাইয়ের একভাই সমকামী হয়েছে। একই ভাবে ছয় বোনের এক বোন লেজবিয়ান হয়েছে।। বলা বাহুল্য, জীববিজ্ঞান ছাড়া বিষয়টা আদৌ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আপনি আরো বলেছেন-
কথাটা ঠিক নয়, দুই সমকামীর মধ্যে প্রেম আছে, আছে ভালবাসা, ঠিক আমাদের যেমন বিপরিত লিঙ্গের প্রতি প্রেম ভালবাসা হয়। এবার নীচের ভিডিওটা দেখুন, সম্পূর্ণ দেখবেন, দেখে আপনার প্রতিক্রীয়া জানাবেন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=kc0vQz0ozjE
@বিপ্লব পাল,
পৃথিবীজোরা যখন সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তখন এই ধরণের মন্তব্যগুলোকে কেমন যেন হাস্যকর বলেই মনে হয়। তোমার এই ধরণের সমীকরণগুলো শুধু ভুল তাই নয়, ভীষণভাবে অবৈজ্ঞানিক, আমরা এখনো জানি না যে সমকামীতার জৈবিক ভিত্তি আছে কি নেই, থাকলেও সেটা কতটুকু! অনেক পরীক্ষায়ই দেখা গেছে যে সমকামীরা অপজিট সেক্সের প্রতি কোন আকর্ষনই বোধ করে না। কিসের ভিত্তিতে তুমি এটা কোনভাবেই জেনেটিক নয়’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছ সেটা কী বলবে? জানি এখন একগাদা গুগুল-করা পেপারের বন্যা বইয়ে দেবে, কিন্তু এ ধরণের কোন থিওরী বিজ্ঞানীরা প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন বলে কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালে পেপার লেখা হয়েছে জানা থাকলে এখানে একটু দিও, অন্য হাজারটা অনুকল্পগুলো না দিলেও চলবে। এখনো এটা প্রমাণিত হয়নি যে সমকামীতার জৈবিক ভিত্তি নেই, এটাও হয়নি যে সমকামীতার ভিত্তি শুধু জৈবিক। অপ্রতিষ্ঠিত কোন বিষয় নিয়ে এভাবে ঢালাওভাবে কথা বলে দেওয়াটা কোন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক নয়।
বিবর্তনের অনেক ধরণের প্রকারণ থাকে, অনেক স্প্যন্ডেল থাকে, সবকিছুকে শুধু রাষ্ট্রের উৎপাদন ব্যবস্থার অজুহাত দিয়ে বিচার করার ব্যাপারটাও কিন্তু বেশ আউটডেটেড। এরকম যুক্তি কাদের কাছ থেকে শুনেছি বলতো, কেমন যেন চেনা চেনা লাগে ব,এ মনে হচ্ছে! সমকামিতা এতটা ক্ষতিকর হলে ( তুমি যেভাবে বলার চেষ্টা করছো) প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে যে পরিমাণ সমকামিতা দেখা যায় তা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল এতদিনে।
আজকাল সবকিছু নিয়েই তোমার ‘এস্পার কী ওস্পার’ জাতীয় চরম মন্তব্যগুলো দেখলে ক্লান্ত লাগে। অনেকেই এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। কদিন আগেই ইরান আর ভেনেজুয়েলার বিরোধিতা করতে গিয়ে কাতারের প্রিন্সকে মাথায় উঠিয়ে ধরলে। বলতে ভুলে গেলে যে, সেখানে এখনো পারিবারিক আইন শারিয়া ল দিয়ে চলে, সেখানে এখনো মধ্যযুগীয় রাজতন্ত্র রয়েছে, মেয়েদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয় না। তোমার এই সব কিছুর মধ্যেই কেমন যেন সেই রদ্দিমার্কা পশ্চিম বাংলার বামদের গন্ধ পাই :-Y । এমন কী হতে পারে যে ওদের সাথে যুদ্ধ করতে করতে কখন তুমি ওদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গেছ তাই বুঝতে পারোনি :-/ ।
@বিপ্লব পাল,
একেবারেই ঠিক না। ব্যাপারটা অনেক আগেই কিন্সে তার স্কেলের মাধ্যমে দেখিয়ে গেছেন। সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন বা যৌনপ্রবৃত্তি একটি বড় পরিসরে ভ্যারি করে। সমকামী আর বিষম কামীরা স্কেলের দুই প্রান্তে বাস করে, আর বাইসেক্সুয়ালরা মাঝখানে। কাজেই কারো ওরিয়েন্টেশন খুব কঠোরভাবেই সমকামীমনোভাবাপন্ন হতে পারে, যেমনি অনেকে কঠোরভাবে বিষমকামী। আবার নারী-পুরুষ দুজনের প্রতি উদ্দীপ্ত হয় এমন মানুষও আছে। যদিও সমকামী প্রবৃত্তি তৈরি করতে অনেক ক্ষত্রে পরিবেশের প্রভাব আছে, তারপরেও বহু কেস স্টাডিতেই দেখা গেছে অনেক সমকামী খুব ছোটবেলা থেকেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণবোধ করে না। আমার পরিচিত অনেক গে-ই আছেন এই দলে। এরিক মার্কোস তার ‘ইস ইট এ চয়েস’ গ্রন্থে পরিস্কারভাবেই বলেছেন, যে তিনি এবং তার মত অনেক সমকামীই জন্মগতভাবে সমকামী, কারণ, তাদের বোধশক্তি হবার পর থেকেই তারা জানেন তারা সমকামী। কাজেই আমি মনে করি ‘কেও সমকামী হয়ে জন্মায় না’ এতো ঢালাওভাবে না বলাই ভাল।
আমার মতে এটা একটা মিথ। ঠিক যেমন সমকামিতার কারণে এইডস হয় – অনেকটা সেরকম। ঢালাওভাবে না মত দিয়ে যারা এ নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের থেকে কিছু উদাহরণ এবং উদ্ধৃতি দেই বরং –
“A child’s risk of being molested by his or her relatives’ heterosexual partner is over one hundred times greater than by someone who might be identifiable as being homosexual.” The study also found that of 269 cases of child sex abuse, only two offenders where found to be gay or lesbian. (Child Welfare Information Gateway, Carrie Craft দ্রঃ)
আমেরিকান সাইকোলজিকাল এসোসিয়েশন এর বক্তব্য দেখা যাক –
The American Psychological Association agrees, “Another myth about homosexuality is the mistaken belief that gay men have more of a tendency than heterosexual men to sexually molest children. There is no evidence to suggest that homosexuals molest children.”
তুমি সাইকোলজি টুডেতে প্রকাশিত Homosexuality and Pedophilia: The False Link প্রবন্ধটিও পড়তে পারো এ প্রসঙ্গে। তাও পছন্দ না হলে আমি ভাল কিছু বইয়ের নামও দিতে পারি।
@বিপ্লব পাল,
এতো এতো কথা ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে যে আপনার অত্যন্ত আপত্তিকর এবং প্রায় হাস্যকর মন্তব্যটার সবগুলো পয়েন্ট নিয়ে কথা বলার আর মানে হয় না – আমার শুধু জানার ইচ্ছা হচ্ছে, সমকামিতা রাষ্ট্রের উৎপাদন বলতে আপনি কী বোঝাতে চাইলেন??
আপনাকে চরম বেনিফিট অফ ডাউট দিয়ে যদিবা মনেও করি যে আপনি ফুকোল্ডিয়ান কনসেপ্টের ওপর ভিত্তি করে এটা বলেছেন, তাহলেও বলতে হচ্ছে – এ কথার কোন অর্থই হয় না! একবার বলছেন সমকামী প্রবণতা সব্বার মধ্যেই আছে, আবার বলছেন কিন্তু তারপরও এটা ‘স্বাভাবিক’ নয়, আবার বলছেন এটা রাষ্ট্রের উৎপাদন – আসলে আপনি বলতে চাইছেনটা কী?! মতের বিভিন্নতার কথা বাদ দিলেও, আপনার বাংলা পড়লে অনেকসময়ই মনে হয় হয় বাংলা ভাষাটা আপনার ভাবকে ধারণ করার মতো যথেষ্ট পরিণত হয় নি!
ওহ, আর সমকামী পুরুষ বেশি শিশু নির্যাতন করে, এটার ব্যাপারে একটু রেফারেন্স/তথ্য/যুক্তি/নিদেন পক্ষে কিছু একটা দেবেন দয়া করে। আর সমকামী বাবাদের/মাদের কাছে বড় হলে বাচ্চাদের ওপর ঠিক কী এডভার্স এফেক্ট পড়ে সেটাও জানাবেন!
আচ্ছা বিবর্তনের ফলে তো সমকামীতার জিন বিলুপ্ত হয়ে যাবার কথা। তবে এটা টিকে রইল কেমন করে?
অ.ট. এখন যদি সমকামীতাকে বৈধতা দেয়া হয় তবে কি ভবিষ্যতে চাইল্ড মলেস্টারদেরকেও বৈধতা দিতে হবে? (এই প্রশ্নটা আমাকে একজন ইসলামিস্ট করেছিল, আমি তাৎক্ষনিক জবাব দিতে পারিনি।)
@রনবীর সরকার,
এটা নিয়ে আমি ব্লগে আগেও আলোচনা করেছি, আর আমার বইয়ে একটা পুরো চ্যাপ্টার লিখেছি এনিয়ে । দেখতে পারেন এখানে –
বিবর্তনের দৃষ্টিতে সমকামিতা
এটা ইসলামিস্টদের খুব পরিচিত স্ট্র্যাটিজি। সুযোগ পেলেই সমকামিতাকে চাইল্ড মোলেস্টেশন, ধর্ষণ প্রভৃতির সাথে তুলনা করে দেন। কিন্তু আসল কথা হল, চাইল্ড মোলেস্টেশন বা ধর্ষণ করা হয় জোর করে – কোন সম্মতি না নিয়েই। সেজন্য এটা রাষ্ট্রীয় অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক দুটি মানুষ নিজেদের অভিরুচি অনুযায়ী সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন অনুযায়ী কাজ করলে সেটা নিয়ে মোল্লাদের এত মাথাব্যাথা কেন বুঝি না। সম্মতি না নিয়ে ধর্ষণ বা মোলেস্টেশন করা হলে – সেটা ব্যক্তি সমকামী হোক আর বিষমকামী হোক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সেজন্য আলাদাভাবে শুধু সমকামীদের হেনস্থা করার কোন কারণ নেই। বিষমকামীরাও তো মানুষজনের ভীরে ট্রামে বাসে নারীদেহের উপর যত্রতত্র আগ্রাসন চালায়, কেউ তো বলছে না বিষমকামীতা বৈধ বলে সেগুলোকেও বৈধতা দিয়ে দেবে রাষ্ট্র।
যখন স্বেচ্ছায় কেউ কারো সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তখন সেই যৌন সম্পর্ক যে ধরনেরই হোক না কেন তাতে তৃতীয় কোন পক্ষের নাক গলানের কিছু নেই আর শাস্তির বিধানতো কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
@রনি,
আপনার মন্তব্যটি অসম্ভব ভালো লাগলো!
@রনি,
এটা কি শুধু সমকামীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, নাকি সব মানুষের জন্যই প্রযোজ্য? যদি সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য হয়, তাহলে একটা কথা আছে। ধরুন, আপনার স্ত্রী স্বেচ্ছায় আপনার ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধুর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাচ্ছে। এখন আপনি কী করবেন? তৃতীয় পক্ষ হয়ে নাক গলাবেন, নাকি উদারতা দেখিয়ে নিজের নাক নিয়ে নিরংকুশ দূরত্বে অবস্থান করবেন?
@ফরিদ আহমেদ,
প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে ঐ দম্পত্তির কাছে বিবাহ বলতে কি বুঝায়। তারা যদি বিবাহ বলতে এই বুঝে যে তাদের দুজনের বাইরে কারো সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন চলবে না বা একজন আরেকজনের অনুমতি ছাড়া অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে না তবে এর অন্যথা করা হবে চুক্তি ভঙ্গ করার অপরাধ। শুধু বিবাহ না, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এরকম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চুক্তি হতে পারে এবং তার ক্ষেত্রেও একই কথা। তবে দুজনের মধ্যে যে কেউ এ ধরনের চুক্তি বাতিল করার অধিকার অবশ্যই রাখেন আর কেউ চুক্তি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার কি হবে(আইনত বা অন্য ধরনের) তা শুধু তাদের বোঝাপড়ার উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। আমার মনে হয় এখানে রনি স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন বলতে যৌন উচ্ছৃখলাকে বুঝান নাই।
@ফরিদ আহমেদ, হাততালিতে আপনার এলার্জি , তাই আর হাততালি দিলাম না। আপনার প্রশ্নটি আমার ভাল লেগেছে। সেটা জানিয়ে গেলাম এবং উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
@রনি, তো কন্যা যদি বাবার সাথে এবং ভাই যদি বোনের সাথে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করে যাকে Incest বলা হয় তাহলে কী রকম হবে? আমেরিকা এবং ইউরোপে এটা কিন্তু বেশ চালু ।এ বিষয়ে রনি এবং লাইজু নাহারের বক্তব্য আশা করছি।
সমকামিতা সমন্ধে মানুষের স্পষ্ট ধারণা নাই সত্য, কিন্তু ধর্মীয় মৌলবাদীরা কোন্ স্পষ্ট ধারনার বশবর্তী হয়ে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড ধার্য্য করে।
ধর্মীয় মৌলবাদীরা সত্য উদ্ঘাটিত হয়ে যাবার ভয়ে যে কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রচারকে ভয় পায়। সমকামিতা যে মানুষের একটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য যার উপর তার নিজের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই ইত্যাদি ধারনাগুলো প্রচার হতে দিতে তারা চায়না। স্টেম সেল রিসার্সের মতো একটি জীবন রক্ষাকারী গবেষণারও তারা বিরোধীতা করে ভাবতেই অবাক লাগে।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই করার নাই। যথা সম্ভব ভূলে থাকারই চেষ্টা করি। কিন্তু আর কতকাল ভূলে থাকব? কিছুই কি করার নাই?
আকাশ মালিক আপনাকে ধন্যবাদ তাদের কষ্টটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@হেলাল,
একটি ব্লগে একজন লেখক সমকামিতার উপর ছোট্ট একটি লেখা দিয়েছিলেন। আল্লাহর হয়তো এত গালি জানা নেই, যত গালি দিলেন তার বান্দারা। লেখকের মা, বাবা, ভাই বোন, স্ত্রী-সন্তান চৌদ্দগুষ্টি্র উপর ধর্মের শেখানো অকথ্য-অশ্রাব্য, অশ্লীল ভাষার একটা গালিও বাদ পড়ে নাই। তা দেখে কিছুদিন মনটাই বড় খারাপ ছিল। মুক্তমনা আর্কাইভ থেকে সমকামিতার উপর অভিজিৎ দা’র কিছু লেখা তুলে দেয়ার পর বোধ হয় তারা কিছুটা গালি-বিরতি নিলেন। আমি জানি কেন তাদের সমকামীদের মেনে নিতে কষ্ট হয়, কারণ এতে ধর্মের ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়, স্রষ্টার বুদ্ধ্বিমত্তার দাবী মিথ্যে হয়ে যায়।
জিহাদীরা দুনিয়াজুড়ে জায়গায়-অজায়গায় বোমাবাজি করলে সমস্যা হয় না, কিন্তু সমকামীদের যৌনাচার একটা বিরাট বড় সমস্যা! ধার্মিকের চোখে সমকামীতা একটা “অস্বাভাবিক” প্রবৃত্তি, কিন্তু অবিশ্বাসীদের আক্রমণ করাটা খুবই “স্বাভাবিক”,
মানসিক রোগী আসলে কারা, সেটাই এখন প্রশ্ন।
@পৃথিবী, এলান টুরিংয়ের জীবনটাও আরেকটা করুণ হোমোফোবিয়ার গল্প। এই ব্যক্তিকে সমকামীতার “দোষে” জেলে না ভরলে বিজ্ঞান এতদিনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত।
@পৃথিবী, দ্বিতীয় বিশ্ব-যুদ্ধে জার্মানীকে পরাজিত করার অন্যতম তথ্য-অস্ত্র এনিগমা কোড ব্রেকার মেশিন আবিস্কারক অসামান্য প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ছিলেন অ্যালান ট্যুরিং।কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে তার ফিল্ডে গবেষণা করে পয়সা খরচ করার প্রয়োজন অনুভব করেনি ব্রিটিশ সরকার।তাই তার ফান্ডিংয়ের সমস্যা হয়।তার বন্ধুরা তার প্রতিভার অপমৃত্যু যাতে না হয় সে জন্যে তাকে যে সব বিষয়ে ভালো অর্থায়ন আছে সেসব বিষয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।কিন্তু তিনি তাতে রাজী হন নি।নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করতে না পারার কারণে তার মধ্যে হতাশা জাগে এবং তিনি এলোমেলো জীবন যাপন করতে শুরু করেন।তার সমকামিতার বিষয়টি যখন আবিস্কৃত হয় তখন তার ক্যারিয়ারের অবস্থা এমনিতেই খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না।
@পৃথিবী,
এই অপমানের শুরু ইসলামের বহু পূর্বে। বাইবেলে (আদিপুস্তক) এর উল্লেখ আছে, মুসলমান শুধুমাত্র তাদের উত্তরসুরী। বাইবেল দেখুন-
Gen 19:5-8 “and they called to Lot and said to him, ‘Where are the men who came to you tonight? Bring them out to us that we may have relations with them.’ But Lot went out to them at the doorway, and shut the door behind him, and said, ‘Please, my brothers, do not act wickedly.'”
এর পর হজরত লুত (আঃ) তাদেরকে বলেছিলেন- ‘তোমরা আমার
দুই যুবতি মেয়ের সাথে সঙ্গম করতে পারো তবু পুরুষগামী হয়োনা’।
আর আমরা তো জানি এক পর্যায়ে ঈশ্বর সমকামিতার অপরাধে সম্পূর্ণ লুত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এখানে আরো দেখুন-
Lev 18:22-23 “You shall not lie with a male as one lies with a female; it is an abomination.” Lev 20:13 “If there is a man who lies with a male as those who lie with a woman, both of them have committed a detestable act; they shall surely be put to death.”
আমার বিশ্বাস হিন্দু ধর্মগ্রন্থেও সমকামিতা বৈধ নয়।
@আকাশ মালিক,
এই ব্যাপারটায় এত সহজে “বিশ্বাস” স্থাপন করা মনে হয় ঠিক হবে না। যদিও এই মুহূর্তে আমি রেফারেন্স দিতে পারবো না তবে আমার ধারণা আমি হিন্দুদের কোনো এক ধর্মগ্রন্থে (খুব সম্ভবত মহাভারত) এর অস্তিত্ব সম্পর্কে পড়েছিলাম। অনেকদিন আগে থেকেই এটা আমার মাথায় ঢুকে আছে। কিন্তু রেফারেন্সটা খুঁজে পাচ্ছি না- আসলে বইগুলো হাতের কাছে নেই।
@আকাশ মালিক,
হিন্দু ধর্মে কিছু পরস্পরবিরোধিতা আছে। এগুলো নিয়ে আমি আমার ‘সমকামিতা‘ বইয়ে লিখেছি (বইয়ের অষ্টম অধ্যায়ে – সমকামিতা : সমাজ, ইতিহাস এবং সাহিত্যে অংশে; ব্লগে দেয়া হয়নি)। যা হোক, রামায়নের একটা ঘটনা বলি। সগরবংশীয় অংশুমানের পুত্র মহারাজা দিলীপ নিঃসন্তান হয়ে মৃত্যুবরণ করলে জন্ম রক্ষায় সমস্যা দেখা দেয়। শিব সে সময় আবির্ভূত হয়ে রাজার দু-জন বিধবা স্ত্রীকে আদেশ করেন সন্তান লাভের জন্য পরষ্পর দেহমিলন করতে। তাদের মিলনে সন্তান জন্মায় বটে কিন্তু সে সন্তান ছিল অস্থিহীন। পরে ঋষি অষ্টাবক্রের বরে সেই সন্তান সুস্থ এবং উত্তমাঙ্গ হন এবং ভগীরথ নামে রাজ্যশাসন করেন। এটিকে (দু-জন বিধবা স্ত্রীর মিলনে ভগীরথের জন্ম) নারী সমকামিতাকে গ্রহনযোগ্য করার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন হিন্দু উদারপন্থীরা।
আরো কিছু দৃষ্টান্ত দেয়া যাবে হিন্দু পুরাণ থেকে। কথিত আছে লঙ্কা পরিভ্রমনের সময় হনুমান রাবনের স্ত্রীগনের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থা চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সমকামিতার উল্লেখ ছাড়াও বৈদিক সাহিত্যে আমরা পাই লিঙ্গ-পরিবর্তনের কাহিনী। বিষ্ণুর মোহিনী অবতাররূপে ধরাধামে এসে শিবকে আকর্ষিত করার কাহিনী এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ছাড়াও যে দুটো চরিত্র সবার আগে আলোচনায় আসবে তা হচ্ছে- মহাভারতের শিখন্ডী ও বৃহন্নলার কাহিনী। এমনকি, নর-নারীর ‘শারীরিক’ মিলন ছাড়াও সন্তান জন্ম নেওয়ার উপকথার সন্ধান মিলে রামায়ন এবং মহাভারতের মত বৈদিক সাহিত্যগুলোতে। যেমন, সীতার জন্ম মাটি থেকে আর দ্রৌপদীর জন্ম যজ্ঞের অগ্নি থেকে। জরাসন্ধের জন্ম হয় দু-জন পৃথক নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া অর্ধ অংগবিশিষ্ট পৃথক সন্তানের সংমিশ্রণে ইত্যাদি। এগুলোকে উদারপন্থিরা ব্যবহার করেন এই বলে যে, হিন্দু ধর্ম সমকামিতা, উভকামিতা, উভলিঙ্গত্ব প্রভৃতি বিষয়ে অনেক উদার।
কিন্তু যেটা তারা বলেন না তা হল এর উলটো চিত্রটি। মনুসংহিতার আইনে উল্লেখ আছে –
‘যদি কোন বয়স্কা নারী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর (কুমারীর) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে বয়স্কা নারীর মস্তক মুণ্ডন করে দুটি আঙ্গুল কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হবে’ (Manu Smriti chapter 8, verse 370.)।
যদি দুই কুমারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি ছিলো দুইশত মূদ্রা জরিমানা এবং দশটি বেত্রাঘাত (Manu Smriti chapter 8, verse 369.)।
সেতুলনায় পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কের শাস্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বলা হয়েছে –
দু’জন পুরুষ অপ্রকৃতিক কার্যে প্রবৃত্ত হলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 68.) এবং জামা পরে তাকে জলে ডুব দিতে হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 175.)। ইত্যাদি।
‘শুশ্রুত’ নামক প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে স্ত্রী-সমকামিতার কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, দুই নারী যদি যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে অস্থিহীন সন্তানের জন্ম হবে। মহাভরতে ভগীরথের জন্মকাহিনীতে (উপরে বলা হয়েছে) এই ধরনের সংস্কারের সমর্থন মেলে।
হিন্দু ধর্ম যে আসলে সমকামিতার ব্যাপারে কত ‘উদার’, তা বোঝা যায় ১৯৯৭ সালে দীপা মেহেতার ‘ফায়ার’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর হিন্দু ধর্মবাদীদের তান্ডব দেখলে। মনে আছে নিশ্চয়।
@আকাশ মালিক,
মহাভারতে অনেক স্থানে গে এবং লেসবিয়ান দুই প্রকারের সমকামীর কথাই আছে।
এক স্থানে আছে যে, রাজা মারা যাবার পর তার কোন সন্তান ছিল না বলে তার দুই স্ত্রীর সঙ্গমে এক স্ত্রীর সন্তান হয়।(অনেকদিন আগে পড়েছিলাম তো তাই পুরোপুরি মনে নেই আর হাতের কাছে রেফারেন্স ও নেই)।
আমার পরিচিত একটি ছেলে আছে ক্রিয়েটিভ আর্ট ভার্সিটির ছাত্র। ভালো আঁকিয়ে। ছেলেটি সমকামী এবং তার স্বপ্ন একটি ছেলেকে বিয়ে করে সে সুখে সংসার করবে। কিন্তু তার (বিপ্লব) সহপাঠী বন্ধুরা তাকে অসুস্থ হিসেবে চিহ্নিত করে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে যাচ্ছে। যদিও পুরো প্রক্রিয়ায় বিপ্লব তার বহু প্রিয় বিষয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিপ্লবের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি তার কাছে সবকিছু অমানবিক ঠেকে।
তাকে নিয়ে একটি ছোট সিনেমা বানানোর ইচ্ছে আছে।
@সবাক,
আমাদের দেখারও ইচ্ছে আছে।
@সবাক,
আপনার সিনেমাটা বানানোর আগেই হিট হয়ে যাবার রহস্য উদ্ধার করতে পারলাম না।
@সৈকত চৌধুরী,
আমার সিনেমা দেখি আপনার মন্তব্যেও হিট খুঁজে যাচ্ছে, এর রহস্য আমি কিভাবে উদ্ধার করি! আগের রহস্য না হয় অনেক চিন্তা করেও উদ্ধারায়িত হলো না 🙂
সমকামিতা যদি সমস্যাই না হবে তাহলে একজন একজন সমকামীর গড় আয়ু কেনো একজন স্বাভাবিক যৌন চাহিদা সম্পুর্ন মানুষের চেয়ে প্রায় ২৪ বছর কম হয়… যেখানে সিগারেট কমায় ১ থেকে ৭ বছর ।
এই তথ্য রিসার্চ এর মাধ্যমেই বেরিয়ে এসছে দয়া করে দেখবেন…
সমকামিতা যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে ড্রাগ এডিকশন ও কোন সমস্যা না..!!
আকাশ মালিক , স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমার সমকামিতা (শুদ্ধস্বর, ২০১০) বইয়ে বেশ কিছু কেস স্টাডির উল্লেখ করেছি। কখনো সময় পেলে ব্লগে দেয়া যাবে।
আর একটা কথা বানানের ব্যাপারে – ‘সমকামি’ হবে না, সঠিক বানান সমকামী। যদিও সমকামিতা বানানটি হ্রস্ব-ইকার।
ঠিক যেমন, প্রতিযোগিতা বানান – হ্রস্ব-ইকার, কিন্তু প্রতিযোগী বানান দীর্ঘ ইকার।
@অভিজিৎ,
থ্যাংক ইউ অভিজিৎ দা, বানান ঠিক করে দিয়েছি।
@আকাশ মালিক,
ভিডিও ক্লিপিং গুলো শুনলাম। চোখে পানি এসে যায়… :brokenheart: