“That which can be asserted without evidence, can be dismissed without evidence.” – Christopher Hitchens
কোরানের অলৌকিকতা প্রমাণে প্রদত্ত যুক্তিগুলো খণ্ডনঃ
কোরানকে বিশ্বাসীরা নানাভাবে অলৌকিক বলে প্রমাণ করতে চান। তাদের দেয়া যুক্তিগুলো এখানে উপস্থাপন করে খণ্ডন করা হলো।
১। কোরান সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ। আজ পর্যন্ত কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনা করতে সক্ষম হয় নাই। সুতরাং এটা আল্লাহর রচিত।
এ যুক্তিটি কোরান থেকে আহরিত। নিম্নোক্ত আয়াত তিনটি মনোযোগ সহকারে পড়ি-
“তারা যদি (তাদের দাবিতে) সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে কোরানের মত কোনো গ্রন্থ তারা রচনা করুক”(সূরা তূরঃ ৩৪)
“আপনি বলে দিন, “কোরানের অনুরূপ কোন কিছু রচনা করার জন্য যদি সকল মানুষ ও জিন একত্রিত হয় ও তারা পরস্পর সহযোগিতা করে, তবুও তারা এর অনুরূপ কোন কিছু রচনা করতে পারবে না”(সূরা বনি ইসরাঈলঃ৮৮)
“আমি আমার বান্দার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তার অনূরুপ কোন সূরা আনয়ন কর এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর। যদি তোমরা আনয়ন না কর এবং কখনই পারবে না, তবে ভয় কর সেই আগুনকে, মানুষ ও পাথর হবে যার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে”(সূরা বাকারাঃ ২৩, ২৪)
এবার মূল আলোচনায় আসি। কোরানের শ্রেষ্টত্বের এই দাবি কতটা হাস্যকর তা যেকোনো যুক্তিবাদিই উপলব্ধি করতে পারবেন। আসলে আমার গ্রন্থই শ্রেষ্ট, এর মত গ্রন্থ রচনা সম্ভব নয় এ ধরণের দাবির কোনো অর্থই হয় না। যখন কোরানেই এধরণের দাবি থাকে তখন তা একে কতটা নিম্নমানের দিকে নিয়ে যায় তা ভাববার বিষয়। কোরান শ্রেষ্ট গ্রন্থ- এর মত কোনো গ্রন্থ রচনা অসম্ভব এরকম দাবী কেউ করলে যে প্রশ্ন সর্বাগ্রে চলে আসে তাহলো কোন দিক থেকে কোরান শ্রেষ্ট? কিসের দিক থেকে কোরান অনন্য? আর কে কিভাবে কোরানের এই শ্রেষ্টত্ব নিরুপণ করেছেন ?
বিষয়বস্তুর দিক থেকে কোরান আন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলোর মতই খেলো। কিছু বিষয় আমরা বিবেচনা করি-
>ছন্দ- কোরানকে খু-উ-ব ছন্দময় গ্রন্থ বলতে শুনি অনেককে। এই ছন্দময়তার বিষয়টি কোরানের বেলায় একেবারেই খাটে না। সূরা নাসে আমরা দেখতে পাই প্রতিটি আয়াতের শেষে “স” রয়েছে, এটি উন্নতমানের কোনো ছন্দ বলা যায় না কারণ এই ধরণের ছন্দ একঘেয়েমির সৃষ্টি করে এবং তা একে নিছক নিম্নমানের পদ্য বা ছন্দবন্ধ ছড়ার মত করে তোলে। এছাড়া কোরানের বেশির ভাগ আয়াতে এই ছন্দ-বদ্ধতাটাও নেই। আর ছন্দ থাকা অলৌকিকতার প্রমাণ নয়- মানুষ অজস্র ছন্দময় কবিতা-ছড়া-গান রচনা করেছে। আমাদের সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দের জাদুকর হিসাবে বিখ্যাত, তিনি কখনো তার এই ছন্দ বা ছন্দ প্রতিভা অলৌকিক ভাবে পেয়েছেন বলে দাবি করেন নাই।
> সুরেলা- কোরান নাকি খুব সুরেলা গ্রন্থ। কোরান যেহেতু একটা গ্রন্থ এবং “সুর” বিষয়টি কৃত্রিম বা মানুষ আরোপিত তাই এটি কোরানের মৌলিক ধর্ম নয়। কোরান যখন সুর করে পড়া হয় তখন তা বিশ্বাসীদের আবেগে সুড়সুড়ি দেয় তাই তারা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। কোরানের সুরে ইচ্ছে করলে আরবি গালিও পাঠ করা সম্ভব এবং বলাবাহুল্য আমি নিজেই পরীক্ষা করে দেখেছি যিনি কোরানের অলৌকিকতায় বিশ্বাসী অথচ জানেন না ইহা কোরানের অংশ নয় তিনি এতে কোরান পাঠ শোনার সময়ের মতই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আর কোনো কিছু সুরেলা হওয়াটা পাঠক বা গায়কের অবদান। এটা তো ঐশ্বরিক না বা আল্লা কোরানকে অডিও আকারে মানুষের কাছে পাঠিয়েছেন এমনও তো না। এছাড়া কেউ যদি হেড়ে গলায় কোরান পাঠ করে তবে তা যতই শুদ্ধ হোক না কেন বিরক্তির উদ্রেক করে। তাই “কোরান তেলওয়াত শুনলেই মনে হয় তা অলৌকিক গ্রন্থ” এরকম দাবিরও কোনো অর্থই হয় না। এছাড়া কোরান শুনলেই বা পড়লেই যদি কারো একে অলৌকিক বলে মনে হয় তবে তাও একে অলৌকিক বলে প্রমাণ করে না। এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কাছে ঠিক কোন কারণে একে অলৌকিক বলে মনে হচ্ছে তা-ই গবেষণার বিষয়।
কেউ যদি আপনাকে ওমর খৈয়ামের কবিতার মত কবিতা লেখতে বলে আপনি তাকে কি বলবেন? কেউ যদি চর্যাপদকে অলৌকিক বলে দাবি করে তবে এর জবাবে কি কেউ এ ধরণের কোনো গ্রন্থ রচনা করবে বা করতে যাবে? আল্লার যুক্তিবোধের এই নমুনা দেখে যে কেউ ভড়কে যেতে পারে। উপরের এক আয়াতে আল্লা বলছেন মানুষ ও জ্বীন সবাই মিলেও কোরানের মত কিছু রচনা করতে পারবে না। এ ধরনের কথার অর্থ উদ্ধারও একজন বোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য দূরহ বঠে। আচ্ছা, মানুষ আর জ্বীন জাতি কিভাবে একত্রিত হবে আর কে তাদের একত্রিত করবে? কোরান রচনার জন্য সকল মানুষই বা এক হবে কেন? সকল মানুষের তো একসাথে মতিভ্রম হতে পারে না। আর কোরানে এমন কি আহামরি আছে যে ওটা নিয়ে এরকম উদ্ধত ও একগুঁয়ে দম্ভোক্তি করতে হবে? আর কোরানে সন্দেহকারীদের কি বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে দেখেন, “যদি তোমরা(সূরা রচনা করে তা) আনয়ন না কর এবং কখনই পারবে না, তবে ভয় কর সেই আগুনকে, মানুষ ও পাথর হবে যার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে”(উপরে আয়াতটি উল্লেখিত হয়েছে)। এই হলো পরম করুণাময়ের করুণাময়তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সন্দেহ করার প্রতি মানুষকে এভাবে হুমকি কোনো সভ্য সত্ত্বার কাছ থেকে আসতে আরে না। সন্দেহ করা মানুষের অনেক বড় গুণ, মানুষ যদি সন্দেহ করতে না পারত বা না করত তবে সভ্যতা কখনো এ পর্যায়ে আসতে পারত না, মানুষ সন্দেহ করতে পারে বলেই সে সত্যের কাছাকাছি পৌছতে পারে।
কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনায় অক্ষম হলে তা কোরানকে অলৌকিক প্রমাণ করে না। যদি কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনা করতে না পারে তবে হয়ত বলা যাবে কোরান “অনন্য” , এর লেখকরা সর্ব শ্রেষ্ট লেখক ইত্যাদি- কিন্তু এটা অলৌকিকতার প্রমাণ তো হতে পারে না।
২। কোরান সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস। আর তা আল্লার বাণী বা অলৌকিক গ্রন্থ বলেই সম্ভব।
এ ধরণের দাবি শুধু হাস্যকর নয় নির্বুদ্ধিতার পরিচায়কও বটে। কোরান যদি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস তবে মানুষ কেন যুগ-যুগ ধরে জ্ঞান অর্জনের নেশায় এত শ্রম দিচ্ছে এমনকি জীবন পর্যন্তও দিয়ে দিচ্ছে। তাহলে তো সব কিছু বাদ দিয়ে একখান কোরান খুলে বসলেই যে কেউ সর্ব-জ্ঞানী হয়ে উঠত। অথচ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মুসলমান জাতিই সবার চেয়ে পিছিয়ে।
বিজ্ঞান কিছু আবিষ্কারের পর পরই আমাদের ধর্মগ্রন্থে ওটা আগে থেকেই ছিল এ ধরণের দাবি অনেক ধর্মাবলম্বীরাই করে থাকেন তবে মুসলমানরা এ বিষয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে। খ্রিস্টানরা যতই বাইবেলের সায়েন্স অথবা হিন্দুরা বেদিক সায়েন্স নিয়ে লাফালাফি করুক না কেন মুসলমানদের কাছে সবাই এ বিষয়ে হার না মেনে উপায় নেই। বিজ্ঞান কোনো কিছু আবিষ্কারের পর পরই তা তারা কোরান থেকে অভিনব উপায়ে আবিষ্কার করেন কিন্তু তাদেরকে যদি আপনি শত অনুরোধ করেন যে বিজ্ঞান আজ যেসব বিষয় আবিষ্কার করতে পারছে না বা দূর ভবিষ্যতে যেসব বিষয় আবিষ্কার হবে তা কোরান থেকে আগেই খুঁজে বের করে দিতে তবে তা তারা পারবেন না।
যারা মনে করেন কোরান জ্ঞানের উৎস তাদের অনেককে আমি অনুরোধ করেছি কিছু উদাহরণ দেয়ার জন্য যে জ্ঞান তারা কোরান থেকে পেয়েছেন এবং যা অন্য কোনো উৎস থেকে জানা সম্ভব নয়, কিন্তু কেউ একটিও দেখাতে পারেন নি।
এছাড়া ধর্মগ্রন্থগুলোতে আদৌ কোনো জ্ঞান রয়েছে কি না তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ কেননা যেকোনো জ্ঞানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত ব্যাখ্যা ও দলিল যা ধর্মগ্রন্থগুলো সরবরাহে অক্ষম।
আরেকটি কথা, এমনকি কোনো শাস্ত্র যদি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস হয়ে যায় তবে তাও একে অলৌকিক বলে প্রমাণ করে না। বরং তা একে “জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস” বলেই প্রমাণ করে 🙂 ।
সমস্যার বিষয় হল অধিকাংশ মুসলিমই ইসলাম পূর্ব মানুষের অগ্রগতি সম্পর্কে খুব কম জানে বা একেবারেই জানে না আর কোরান পরবর্তী সকল আগ্রগতিতে কোনো না কোনো ভাবে কোরানের অবদান রয়েছে বলে মনে করে। তারা আয়নীয় দার্শনিকদের কথা জানে না, তারা সক্রেটিস-এরিস্টটল-প্লেটোর অবদানের খবর রাখে না, ফিরাউনীয় সভ্যতার নামও শুনে নি, হিব্রু সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি তাদের কাছে অজানা কিছু ।
৩। কোরান যদি অলৌকিক গ্রন্থ না হত তবে তাতে অনেক পরস্পর-বিরোধী কথা বা অসঙ্গতি থাকত। কোরান যদি অলৌকিক গ্রন্থ না হত তবে তা বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হত না। যেহেতু কোরানে বিজ্ঞানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছুই পাওয়া যায় নি তাই এটি অলৌকিক গ্রন্থ।
এ কথাটিও কোরান থেকে উৎসরিত। কোরানে আছে,
“তারা কি কোরান অনুধাবন করে না? তা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও পক্ষ থেকে নাজিল হত তবে তারা এতে বহু অসঙ্গতি পেত”। (সূরা-নিসাঃ৮২)
আবারো আল্লার যুক্তিবোধ দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না। কোনো গ্রন্থ যদি আল্লা না লেখে তবে তাতে অসঙ্গতি পেতে হবে কেন? আল্লা ছাড়া যারাই বই লেখেছে তাদের বইতে কি নানা রকম অসঙ্গতি রয়েছে? আর কোনো গ্রন্থে অসঙ্গতি পেতে হলে ঐ গ্রন্থ সম্পর্কে নির্মোহ থাকতে হয়। যে গ্রন্থকে আপনি আল্লাহ প্রেরিত গ্রন্থ বলে গভীর ভাবে বিশ্বাস করেন এতে অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু আছে বলে আপনি কি মনে করবেন বা মেনে নিবেন? একটা গল্প বলি- “এক লোক একবার বলেছিল সে কোনো একদিন সারা দিন ঘুমিয়েছিল। পরে দেখা গেল সে ঐ দিনে মোটেও ঘুমায় নি, রাত্রে ঘুমিয়েছিল। পরে তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, আরে দিন তো সূর্যের আলো যুক্ত রাত। আমি দিনে ঘুমাই নি তো কি হয়েছে রাতে ঘুমিয়েছি। আর দুটোই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আমার কথার সত্যতা বুঝতে হলে তা বুঝার মত জ্ঞান থাকতে হবে”। এ ধরণের কথা শুনলে কি বলবেন? বস্তুত কোরানে অনেক পরস্পর বিরোধি কথা রয়েছে কিন্তু এগুলোকে ঐ গল্পের মত করে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারের সাথে একদল খোদার খাসী কোরানের বিভিন্ন শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে বিজ্ঞানময় করার মহান কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছেন। এরা এতই নির্লজ্জ যে বিজ্ঞানের কোনো কিছু কোরানের সাথে সংঘাত তৈরী করলে সাথে সাথে শব্দের অর্থ-ব্যাখ্যা পরিবর্তন করবেন, নতুন অভিধান তৈরী করবেন, আধুনিক তফসির বানাবেন আর অবশেষে দাবি করবেন তাদের কোরানে সবই ছিল ঐ বিষয়টি বিজ্ঞান খোঁজে পাবার আগেই।
কোরানে প্রচুর অসংগতিপূর্ণ আয়াত আছে। কিন্তু এগুলো ধরলে ঈমানদাররা বলবেন, ‘ঊহা রুপক’, নতুবা বলবেন, ‘এই হুকুম রহিত করা হয়েছে ‘। রহিত বা মনসুখ আয়াত সম্পর্কে আপত্তি তোলা যায় এই বলে যে – এ হুকুম পরবর্তীতে রহিত হয়ে যাবে জেনেও আল্লা কেন এই আয়াত নাজিল করলেন, যেহেতু কোরান কিয়ামতের আগ পর্যন্ত সর্ব কালের জন্য অনুসরণ যোগ্য গ্রন্থ। আর কোরানে রুপকের এত প্রাদুর্ভাব কেন, কেন আল্লার সাহিত্যরস কোরান রচনার সময় এভাবে উছলে পড়ে বিরুপ হয়ে দাড়াল যে একে রুপক না বললে ইমান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে? আর দিনদিন কোরানের আয়াতগুলোকে যে হারে রুপক বানানোর হিড়িক পড়েছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে স্বয়ং আল্লার অস্তিত্বই রুপক হয়ে যায় কিনা কে জানে।
কোনো শাস্ত্রের অলৌকিকতায় অতিমাত্রায় বিশ্বাসে কারো যদি বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায় তাহলে আসলেই সমস্যা বটে। কেউ যদি কোনো পুঁথি শাস্ত্রে বিজ্ঞান রয়েছে বলে মাত্রাতিরিক্ত বিশ্বাস করেন তবে তা থেকেও বিজ্ঞান উদ্ধার করতে পারবেন।
এই আয়াতটি দেখেন-
আর আমি পাঠাইলাম নূহকে তাহার ক্বওমের প্রতি, অতঃপর তিনি উহাদের মধ্যে অবস্থান করিলেন পঞ্চাশ বৎসর কম এক হাজার বৎসর, অনন্তর প্লাবন আসিয়া তাহাদিগকে পাকড়াও করিল, বস্তুত তাহারা বড়ই অনাচারী লোক ছিল। (সূরা আনকাবুত, ২৯: আয়াত ১৪)
আয়াতটির “আলফা সানাতিন ইল্লা খামছিনা আ’মা” মানে হল –“পঞ্চাশ বৎসর কম এক হাজার বৎসর”। অর্থাৎ নূহ নূন্যতম ৯৫০ বৎসর বেচেছিলেন। (এই সানাতুন শব্দ থেকে বাংলা “সন” শব্দটি এসেছে)
আজ আমরা জানি মানুষ কখনো এত বৎসর বেচে থাকতে পারে না এবং ব্যাপারটা রীতিমত উদ্ভট। ইমানের জোরে কেউ যদি এ আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে চান যে নূহের উম্মতেরা ১২ মাসে বছর হওয়াটা জানত না, তারা অপেক্ষাকৃত কম দিনকে বছর বলে মনে করত তবুও এই ব্যাখ্যাটা ধোপে টিকে না। কারণ এখানে আল্লা বক্তা, তিনি তো ১২ মাসে বছর হওয়ার ব্যাপারটা জানতেন। আর তিনি এটাও জানতেন যে, তিনি যদি বলেন নূহ নূন্যতম ৯৫০ বছর বেচে থাকেন তবে আরবের মানুষেরা এর মানে কি বুঝবে, আরবের মানুষেরা ঠিকই ১২ মাসেই বছর পরিমাপ করত। ধরেন আমি কোনো এক দ্বীপে ৩ বছর কাঠিয়ে এলাম যা ওই দ্বীপের পশ্চাদ পদ বাসিন্দাদের হিসাবে ৫ বছর। এখন আমি কি ফিরে এসে সকলকে বলে বেড়াব যে, আমি ঐ দ্বীপে ৫ বছর ছিলাম? এছাড়া নূহের উম্মতেরা কম দিনে বছর পরিমাপ করত এ কথার একেবারেই কোনো প্রমাণ নেই এবং কোরানে কোথাও এ কথার উল্লেখ নেই।
আরেকটি আয়াত দেখেন-
আর তিনি এমন যে, সমস্ত আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করিয়াছেন ছয় দিনে, তখন তার আরশ(সিংহাসন) ছিল পানির উপরে(সূরা হূদ,১১: আয়াত ৭)
আয়াতটি একেবারেই সরল। এই আয়াতে “সিত্তাতি আইয়্যাম” বলতে সরলভাবেই ছয় দিন বুঝাচ্ছে আর “মাউন” মানে পানি। এবার প্রশ্ন, সৃষ্টির পূর্বে দিন এলো কোথা থেকে, পানিই বা এলো কোথা থেকে? আর সিংহাসন ছিল পানির উপরে শুনেই তো হাসতে হাসতে হাসপাতালে যাবার যোগাড়। আবার ধর্মবাদিরা তাদের ইমান ঠিকিয়ে রাখতে এই আয়াতের যেসব ব্যাখ্যা দেন তা এই আয়াতটি থেকে কম উপভোগ্য নয়।
আরো কিছু আয়াত বলি-
“আর তিনিই প্রতিরোধ করিয়া রাখিতেছেন আসমান সমূহকে পড়িয়া যাওয়া হইতে” (সূরা আল-হাজ্জ, ২২: আয়াত ৬৫)
>>এত বড় নীল আকাশ কিভাবে উপরে কিভাবে ঠিকে থাকে তা তখনকার মানুষের জন্য একটা বিস্ময় ও জিজ্ঞাসা ছিল। আল্লাহ চমৎকার ভাবে তাদের এ জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন। আবার কোরানে অন্যত্র বলেছেন –
“লোকদের উপর প্রতিষ্টিত আকাশমণ্ডলের প্রতি কি ওরা কখনও তাকিয়ে দেখে নি, কিভাবে আমরা সেটি নির্মাণ করেছি এবং সেটিকে চাকচিক্যময় বানিয়েছি এবং তাতে কোন ফাটল নেই(সূরা ক্বাফ, ৫০: আয়াত ৬)
>>হুম, কোনোই ফাটল নাই! এ জন্যই তো তিনি সর্বজ্ঞ আর মহান!
“তোমরা কি জাননা আল্লাহ কেমন ভাবে সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন?” (সূরা নূহ, ৭১: আয়াত ১৫)
>> আল্লা যে স্তরে স্তরে সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন তা আমরা জানব না কেন? আমরা না আল্ল্যা সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার গর্বিত ব্যান্দা।
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই উপযোগী যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা যিনি ফেরেশতাকে সংবাদবাহী বানান যাহাদের দুই দুইটি, তিন তিনটি ও চার চারটি পালক বিশিষ্ট ডানা আছে। (চারিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নহে) বরং তিনি সৃষ্টিতে যত ইচ্ছা অধিক করিয়া থাকেন(হাদিসে বর্ণীত আছে, জিবরাইলের ছয় শত ডানা রয়েছে), (সূরা ফাতির,৩৫: আয়াত১)
>>অতি উত্তম! তিনি সৃষ্টিতে যত ইচ্ছা অধিক করিয়া থাকেন!! ফেরেশতা সেমেটিক উর্বর মস্তিষ্কের বাজে চিন্তার ফসল। রাজাধিরাজ আল্লার মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য তো দূত প্রয়োজন!! তাই এই ফেরেশতার ব্যবস্থা। আর আল্লা কেন পাইক পেয়াদা ছাড়া সরাসরি মানুষের সাথে যোগাযোগ করেন না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই, আর আল্লার যদি এক পাল ফেরেশতা রয়েছে তবে তাদের মাধ্যমেই অন্তত মানুষের সাথে যোগাযোগ করে মানুষের আধুনিক যত সমস্যা তা নিরসনের কোনো উদ্যোগ কেন নেন না সর্ব-শক্তিমান ও অসীম করুণাময় তাও এক প্রশ্ন বঠে। যাই হোক, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পরেই যে সব শূন্য, সেখানে ডানার সাহায্যে উড়া সম্ভব নয় তা যদি সর্বজ্ঞ আল্লার জানা থাকত তাহলে নিশ্চয় তিনি ফেরেশতার ডানার কথা বলতেন না। আর তা জানতেন না বলেই তো, “সমস্ত প্রশংসা তার জন্যই” !!
বেশি না বলে কোরানের অসংগতি একটা তালিকা দেই Quranic contradictions
আর আগেই বলেছি, এটা কোনো যুক্তি নয়। কোনো গ্রন্থে যদি কোনো অসংগতি না থাকে তবেই তা আল্লা কতৃক রচিত গ্রন্থ হয়ে যায় না যদিও আল্লার মত কোনো মহা মহা জ্ঞানী এমন দাবী করে থাকেন( উপরোল্লিখিত সূরা নিসার৮২ নং আয়াত দ্রষ্টব্য)।
৪। বিশ্বের কোটি কোটি লোক কোরানকে আল্লাহ রচিত বলে রায় দিয়েছে।
এটা কোনো প্রমাণ নয়। সত্যতা ভোট দ্বারা নির্বাচিত হয় না। বিশ্বের কোটি কোটি লোক কোরানকে অলৌকিক মনে করে বলেই যদি তা অলৌকিক হয়ে যায় তবে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ যেগুলোও কোটি কোটি লোক অলৌকিক বলে মনে করে সেগুলো অলৌকিক হবে না কেন? আবার, কোরানকে যত লোক অলৌকিক বলে মনে করে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ একে অলৌকিক বলে মনে করে না, তাহলে এই যুক্তিতে কোরানকে অলৌকিক নয় বলে কেউ যদি মনে করে তবে সমস্যা কোথায়? এক সময় বিশ্বের প্রায় সকল লোকই বিশ্বাস করত সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে, তাই বলে কি তা সত্য হয়ে গিয়েছিল? অনেক লোক কোনো কিছু বললেই বা বিশ্বাস করলেই তা সত্য হয়ে যায় এ ধরণের আর্গুমেন্টকে বলে Argumentum ad populum যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
৫। যেহেতু আল্লা আছেন তাই তিনি অবশ্যই মানুষের জন্য একটা গাইডলাইন দিবেন আর এটাই আসমানী কিতাব আল-কোরান।
ঈশ্বর যে মানুষের কল্পনার সৃষ্টি তা এই ধরণের দাবি থেকে উপলব্ধি করা সহজ। আল্লা যে মানুষের জন্য গাইড লাইন দিবেন বা এর প্রয়োজন অনুভব করবেন তা নিশ্চিত হলেন কিভাবে? মানুষ ঈশ্বরকে নিজের মত কল্পনা করে- ফলে মনে করে মানুষের সকল বৈশিষ্ট্য যেমন খুশি হওয়া, রাগ করা, সৃষ্টি হিসাবে মানুষের খোঁজখবর নেয়া ইত্যাদি মনুষ্যসুলভ বৈশিষ্ট্য তার রয়েছে এবং সে ইবাদত করলেই তিনি খুশি হয়ে যাবেন।
আরো সমস্যা হল, আল্লা বলি আর ঈশ্বর বলি সে যে খুব একটা শুভকর কিছু সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হলাম কিভাবে? আমরা যদি আমাদের আনন্দে থাকাটাকে ঈশ্বরের অবদান বলে মনেও করি তাহলেও তাকে শুভকর কিছু বলে মেনে নিতে আমার আপত্তি আছে, কেননা অশুভ কিছু কি মানুষকে আনন্দ দিতে পারে না? এখানে যুগের পর যুগ মানুষের অফুরন্ত দুর্দশার কথা নাইবা বললাম যা ঈশ্বরের দ্বারা এক মূহুর্তে সমাধান যোগ্য। এছাড়া ঈশ্বর অধিকাংশ মানুষকে অনন্ত কাল নরক বাসের জন্যই সৃষ্টি করেছেন (কারণ কে কি করবে তা জেনেও তাকে সৃষ্টি করেছেন আর মানুষকে পাপ প্রবণ করে তৈরী না করলে তো সে পাপ করত না। অনেকে বলবেন তাহলে আল্লা তাদের পরীক্ষা করবে কিভাবে? আমি বলব, আল্লার পরীক্ষা করার দরকারটা কি? তার কিসের অভাব? মানুষকে সে যদি ইবাদত/স্তুতি পাবার জন্য সৃষ্টি করে তবে তো বলব সে সফল না, কারণ বেশির ভাগ মানুষ তার ইবাদত করা তো দূরে থাক বিশ্বাসও করে নি। এছাড়া আল্লার ইবাদত পাবার অভিলাষটা তাকে নিদারুণ খাটো করে তোলে।) ঈশ্বর যদি মানুষের জন্য অনন্ত কাল নরক বাসের শাস্তি দিতে চান তবে আমি নির্দ্বিধায় বলব সে অসীম অশুভকর ও চরম নিন্দনীয় সত্ত্বা এবং সেই সাথে তাকে না মানাটাও নিদারুন গর্বের বিষয় বলে মনে করব। আর যদি কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের ঈশ্বর ও ঈশ্বরের গুণাবলি ঐ ধর্মের প্রচারকের বুজরুকি হয় তবে আমি বলব ওই ধর্মপ্রচারকটা তার কল্পিত ঈশ্বরের মতই নিন্দনীয়। এই ধরনের একটা ঈশ্বর যে নাকি মানুষকে অনন্তকাল( এর কম হলে সমস্যা কি ছিল?) আগুনে পোড়াতে চায় সে আবার মানুষের ভালোর জন্য নবী-রচুল পাঠায়, কোরান পাঠায়। তিনি যদি মানুষের এত ভাল চান তবে চরম বিপদ গ্রস্ত মানুষকে একটু সাহায্য করলে সমস্যা কি ছিল? যদিও সাহায্য করলে তার কোনো ক্ষতি নেই এবং তিনি যদি চাইতেন তবে নাকি মানুষ এই ধরণের বিপদেও পড়ত না। দেখি মানুষ হজে গিয়ে একেবারে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেও আল্লার কোনো খুঁজ নাই!! লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে আছে, মারা যাচ্ছে অহরহ কিন্তু আল্লা কারো ডাক শুনেনি, অথচ মানুষের জন্য তার কি দরদ, নবি-রচুল-কোরান পাঠাচ্ছেন হেদায়াতের জন্য। কেন, মানুষ কোরানের আইন না মেনে কি খুব খারাপ অবস্থায় আছে- উন্নত বিশ্বের কোনো দেশে কি কোরানের আইন চলে?
আরো সমস্যা আছে। মহাবিশ্বের কোনো স্রষ্টা আছে মানেই ধর্মবাদীরা মনে করেন তিনি কোনো একটি ধর্মের বর্ণিত ঈশ্বর হবেন আর ঐ ধর্ম তাদের-ই ধর্ম। অন্য ধর্মে জোর করে হলেও বা যত মত তত পথ জাতীয় বুলি আউড়িয়ে হলেও মানুষকে কিছুটা শান্ত রাখা সম্ভব কিন্তু মুসলমানরা এ ব্যাপারে একেবারেই নাছোড়বান্দা। তাদের ধর্মের বাইরে যে ঈশ্বর থাকতে পারে তা তাদের চিন্তারও বাইরে। তাদের কথা হল- ঈশ্বর আছে, তিনি ধর্মের জগতের বাইরের কেউ নন এবং তিনিই আল্লা , আল্লা ছাড়া আর কোনো মাবুদ নাই। অনেককে দেখেছি আল্লার পরিবর্তে ঈশ্বর শব্দটার ব্যবহার নিয়েও আপত্তি তুলতে আবার আল্লা শব্দটি ব্যবহার করে এ নামে মন্দ কিছু বললে মাথা নিয়ে ঠিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
৬। কোরান রচনায় মুহাম্মদের স্বার্থ কি ছিল? তিনি যদি কোরানকে নিজের রচিত বলে প্রচার করতেন তবে যুগ শ্রেষ্ট কবি হতে পারতেন।
মুহাম্মদ “মুহাম্মদ” হতে পেরেছিলেন কোরানকে আল্লার বাণী বলে প্রচারের মাধ্যমে। আজ থেকে ১৪০০ বছরের অধিক সময় আগে এরকম প্রচার ও তাতে বিশ্বাস করার মত লোকের অভাব ছিল না যেখানে আজকের যুগেও এমন উদ্ভট বিষয়ে বিশ্বাসের মত মানুষের সংখ্যা কম নয়। এখনো অনেক ভণ্ড পীরের হাজার হাজার মুরিদের খোঁজ পাবেন একটু খবর নিলেই। মুহাম্মদ একজন নারীর(খাদিজা) ব্যবসা দেখাশুনাকারী থেকে একটা জাতির নেতা হতে পেরেছিলেন কোরানকে অলৌকিক বলে প্রচারের মাধ্যমে। মুহাম্মদের যা কিছু অর্জন সব এর মাধ্যমেই। নিচের কয়েকটি আয়াত লক্ষ্য করি-
“হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে”। (৩৩:৪৫-৪৬)
“হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ্ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে,নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল,দয়ালু”।(৩৩:৫০)
“আল্লাহ্ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর”।(৩৩:৫৬ )
স্বীয় পোষ্যপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করলে তা জায়েজ করার জন্য নিম্নোক্ত আয়াত নাজিল করানো হল-
“অতঃপর জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে”। (সূরা আহযাব,৩৩:৩৭)
(এই আয়াতটি নিয়ে পরে বলছি)
অবশ্যই বিদ্যমান আছে রসুলুল্লার মধ্যে সর্বোত্তম আদর্শ (সূরা আহযাব, ৩৩:২১)
কী অবস্থা ভেবে দেখেন। এভাবে নিজেকে মহিমান্বিত করতে, সুবিধা আদায় করতে এমনকি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যায় পড়লেও তা সমাধানের জন্য মুহাম্মদ নিজের ইচ্ছেমত আয়াত নাজিল করে নিয়েছেন।
কোরান যে খুব একটা ভাল কাব্যগুণ রয়েছে তা কোনো নিরপেক্ষ বিচারে নির্ধারিত করা যায় নি। বরং কোরানের কাব্যগুণকে ফেলনা বলে প্রত্যাখ্যাত হতে দেখি প্রায়ই। কোরানের উপর অলৌকিকতা আরোপ ছাড়া কোরানের প্রতি মানুষের এত সমীহ আনা সম্ভব ছিল না কোনোকালেই।
৭। মুহাম্মদ উম্মী বা নিরক্ষর ছিলেন। তার মত একজন মানুষের পক্ষে কোরানের মত অসাধারণ একটা গ্রন্থ রচনা সম্ভব নয়। সুতরাং উহা অলৌকিক গ্রন্থ।
এটি একটি খোঁড়া যুক্তি। এর সমস্যা অনেক-
– ১) মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন তার স্বপক্ষে নিশ্চিত হবার মত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। অনেকেই মনে করেন তিনি অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন। তিনি প্রথম জীবনে সফলভাবে খাদিজার ব্যবসা পরিচালনা করেছেন যা তার দক্ষতা ও বিচক্ষণতার প্রমাণ।
– ২) কোরান রচনার জন্য অক্ষর জ্ঞান থাকতে হবে কেন? কোরান লেখার জন্য সব সময় কাতিবে ওহী বা ওহী লেখকরা প্রস্তুত ছিলেন।
– ৩) আমাদের দেশের বাউলদের কথা ধরেন। এদের প্রায় সবাই নিরক্ষর বা একেবারেই শিক্ষা-দীক্ষা নেই। কিন্তু লালন শাহ, আব্দুল করিম এঁরা এমন অনেক কিছু রচনা করে গেছেন যেগুলো কোরানের যেকোনো আয়াতের চেয়ে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ ও মানবিক।
– ৪) কোরান অতি এলোমেলো ভাবে সংকলিত হয়েছে। যা প্রথমে রচিত হয়েছে তা গেছে শেষে আবার যা শেষে তার অনেক কিছু প্রথম দিকে, এভাবে এলোমেলো ভাবে জোড়াতালি দেয়া এক অদ্ভুত গ্রন্থ এই কোরান। একে অসাধারণ বলার কোনো কারণ নেই।
– ৫) ধারণা করা যায় যে মুহাম্মদ তার মাথায় কোনো ভাবনা আসলে তিনি সর্বদা নিযুক্ত থাকা ওহী লেখকদের তা বলতেন আর ওরাই তা কাব্যে রুপ দিত। হয়ত ওহী লেখকদের বলতেন যে তিনি ওই ধারণা বা মত বা আদেশ আল্লার কাছ থেকে পেয়েছেন। পরবর্তীতে মানুষ মনে করতে লাগল যে কোরান যেভাবে তারা দেখতে পাচ্ছে অবিকল সেভাবেই আল্লা মুহাম্মদের কাছে তা নাজিল করেছেন।
৮। মুহাম্মদ এতই সৎ ছিলেন যে কাফিরেরা পর্যন্ত থাকে আল-আমিন বা বিশ্বাসী বলত। তার মত একজন মানুষ কোরান নিজে রচনা করে আল্লার নামে চালিয়ে দেয়ার মত প্রতারণা করতে পারেন না।
আসলে তথাকথিত এই সব নবি-রচুলদের নিয়ে সমস্যা বঠে। ওরা কে ছিলেন, কি রকম ছিলেন তা নির্ধারণ করা বেশ জটিল। মুহাম্মদকে নিয়ে আরো সমস্যার বিষয় হল তিনি মক্কা বিজয়ের পর সেখানে রাজার মতই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেন। প্রকাশ্যে তার নিন্দা করার মত সাহস কারো ছিল না। এছাড়া যারাই মুহাম্মদের জীবন ইতিহাস লিখেছে ও সংরক্ষণ করেছে তারা সবাই মুসলমান ছিল অর্থাৎ মুহাম্মদকে আল্লা প্রেরিত রসুল বলে বিশ্বাস করত। (পরবর্তীতে মুসলিম-অমুসলিম সকলেই এই সব উৎসকে ব্যবহার করেই মুহাম্মদকে জেনেছে।) একজন মানুষ যিনি কাউকে নবী-রসুল বলে বিশ্বাস করেন তিনি কি পারবেন ওর জীবন ইতিহাস লিখতে? স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যা লিখবেন তা হবে নবি-প্রশস্তি। আমরা দেখেছি মুহাম্মদের জন্মের সময়কালকে আইয়্যামে জাহেলিয়াত বলে প্রচার করে মুহাম্মদের আগমনকে আবশ্যক ছিল বলে প্রচার করতে। আরো দেখেছি মুহাম্মদের নামে অনেক আজেবাজে কাহিনী প্রচার করতে যেমন মেরাজের ঘটনা, কেউ দেখেনি অথচ সকালে উঠে মুহাম্মদ বললেন বলেই তা বিশ্বাস যোগ্য হয়ে গেল? আমরা জেনেছি অনেকেই তা মেনে নেয় নি, অনেকেই হাসি-ঠাট্টা করেছে, অবিশ্বাস করেছে। আজো মানুষ প্রশ্ন তুলছে মুহাম্মদ যদি মেরাজে যাবেন তো সবার সামনে গেলে সমস্যা কি ছিল? কেন শুধু রাতের বেলাতেই আর গোপনে চুপিচুপি তিনি আল্লার সাথে কারবার করেন?
যাই হোক, যা বলতে চাচ্ছি- মুহাম্মদ যে একজন সৎ মানুষ ছিলেন আর কাফিররা পর্যন্ত তাকে আল-আমিন বা বিশ্বাসী বলত তা আমরা জানতে পারছি তার অনুসারীদের কাছ থেকে যারা নাকি তাকে নবি-রসুল বলে বিশ্বাস করে।
এছাড়া মুহাম্মদের সততা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোরান বা ইসলামের অভ্রান্ততা একটা অনিবার্য বিষয়- এটি সার্কুলার লজিকের মত একটা অবস্থার সৃষ্টি করে-“যেহেতু মুহাম্মদ সৎ ছিলেন সুতরাং কোরান আল্লার বাণী “ আবার, “যেহেতু কোরান আল্লার বাণী সুতরাং মুহাম্মদ সৎ ছিলেন”। তাই এর কোনো গুরুত্ব নেই। এছাড়া ২৫ বছর বয়সে খাদিজাকে বিয়ে করার পর মুহাম্মদের অর্থের অভাব ছিল না। নিন্দুকরা বলে, তিনি নবুয়তি দাবীর আগ পর্যন্ত খাদিজার অঢেল সম্পদ বসে বসে ভোগ করেছেন আর নবুয়তির স্বপ্নে দিন গুজরান করেছেন(খাদিজাকে বিয়ে করার পর থেকে তার আর কোনো পেশা ছিল বলে জানা যায় নি)।
মুহাম্মদ সৎ ছিলেন কিনা তা নিয়ে অনেক কিছুই বলা সম্ভব। এখানে শুধু কোরানের একটা আয়াত দেই-
“ইহারা আপনাকে গণিমতের মাল(যুদ্ধলব্ধ মালের) বিধান জিজ্ঞাসা করিতেছে, আপনি বলিয়া দিন এই গণিমতসমূহ আল্লাহর ও রসূলের। অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের সংস্কার কর, আর আল্লাহ ও তার রসূলের আদেশ মানিয়া চল যদি তোমরা মুমিন হও”।(সূরা আনফাল,৮:আয়াত ১)
এখানে আল্লাহ তো মাল নিতে আসবেন না, তাহলে সব মাল কার হল?
নিজ (পালক)পুত্রবধূ জয়নবকে যে কৌশল অবলম্বন করে তিনি বিয়ে করেছেন তাকে সততা বলা সম্ভব নয়। মুহাম্মদ বিষয়টাকে এমন করে তুললেন যেন তার পালক পুত্র যায়েদ নিজেই তার স্ত্রীকে স্বেচ্ছায় তালাক দিচ্ছে তার সাথে বিয়ে হওয়ার জন্য যদিও মুহাম্মদের ঘরে একাধিক স্ত্রী ছিল তখন। অথচ মুহাম্মদ যায়েদের স্ত্রীকে স্বামীর প্রতি সৎ থাকার জন্য আদেশ করতে পারতেন । কিন্তু তা না করে আয়াত নাজিল করিয়ে নিলেন যেখানে সরাসরি মুহাম্মদকে (যায়েদের স্ত্রী) জয়নবের সাথে বিয়ের বৈধতা দেয়া হচ্ছে। আয়াতটিতে বলা হয়েছে, পালক পুত্রের স্ত্রী বিয়ে করার ব্যাপারে মুসলমানদের যাতে কোনো সংকীর্ণতা না থাকে সে জন্যই নাকি জয়নবের স্ত্রীর সাথে মুহাম্মদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে( ভণ্ডামির সীমা নেই?)। আয়াতটি দেখি,
“অতঃপর জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে”। (সূরা আহযাব, ৩৩:৩৭)
এ আয়াত থেকে জানতে পারলাম, মুমিন-মুসলমানরা তদের পালক পুত্রের স্ত্রী বিয়ে করতে পারছে না তা আল্লার নিকট অনেক বড় সমস্যা!!
মোটকথা, মুহাম্মদ ব্যক্তিগত জীবনে খুব সৎ ছিলেন বলেই কোরান আল্লার বাণী এ যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় , কারণ
– ১) মুহাম্মদ সৎ ছিলেন তা নিরপেক্ষ উৎস থেকে যাচাই করা সম্ভব নয়।
– ২) মুহাম্মদের সততা আর কোরান আল্লার বাণী হওয়া ভিন্ন দুটি ব্যাপার। কেউ সৎ ছিলেন তার মানেই তিনি সব কাজেই সৎ ছিলেন তা না। আর মুহাম্মদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি হল ইসলাম প্রচার যার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন ২৩ বছর। এখন ইসলাম প্রচারের বিষয়টাকে বাদ দিয়ে তাকে সৎ বা অসৎ বলে প্রমাণ করে কি লাভ?
– ৩) তার জীবনে তিনি এমন অনেক কাজ করেছেন যেগুলোকে সততা বলা অসম্ভব।
– ৪) অনেকে মনে করেন মুহাম্মদের মানসিক বা মনোদৈহিক রোগ ছিল, তিনি প্রায়ই কল্পনা আর বাস্তবতার পার্থক্য্ বুঝতে অক্ষম হয়ে পরতেন। এখন মুহাম্মদ যদি অসচেতন ভাবে কোরানকে আল্লা কর্তৃক প্রেরিত বলে মনে করেন ও তা প্রচার করেন তবে অবশ্য ভিন্ন বিষয়।
– ৫) মুহাম্মদ নবুয়তির এমন কোনো অকাট্য প্রমাণ রেখে যান নি যার জন্য আমরা আজো তাকে নবী বলে মেনে নেব অথচ তার নবুয়তীর প্রমাণের দায়িত্ব তার উপরই ছিল। কারো নবী হয়ে যাওয়ার দাবী নিঃসন্দেহে অতি হাস্যকর আর এরকম উদ্ভট একটা দাবীকে কেন আমরা মেনে নেব সততার দোহাই দিয়ে?
– ৬) ভিন্ন ধর্মের অনেকেই বিভিন্ন অশুভ সত্তা যেমন শয়তানের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। এখন তাদের কেউ যদি কোরানকে শয়তানের বাণী বা ধোঁকা বলে দাবী করেন তবে এর প্রত্যুত্তরে কি বলা যেতে পারে যেখানে স্বয়ং কোরানও এরকম অশুভ সত্তার অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেয়। অনেকেই বলে, কোরান শয়তানের বাণী এবং মুহাম্মদের সাথে শয়তান লেগেছিল এবং তাকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছিল, এরকম দাবী মুহাম্মদের সময়ও অনেকে করত।
– ৭) মুহাম্মদ যদি এতটা সৎ ছিলেন যে তার কথা বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়া যায় তবে তার সময় কালেই লোকেরা তাকে বিশ্বাস করে নি কেন? কেন অনেকে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত? মুহাম্মদের সময়কালেই যেখানে লোকেরা তার নবুয়তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেখানে আমরা মুহাম্মদের মৃত্যুর এতকাল পরে এসে কিভাবে তা বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করব?
৯। কোরান দুর্বোধ্য। আল্লার বাণী তো দুর্বোধ্য হবেই। এছাড়া কোরান অনুবাদ পড়ে বুঝা সম্ভব হয় না। আর এর ফলে মানুষ তা আল্লার কিতাব বলে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়।
আল্লা যদি মানুষের সাথে কোনো বিষয়ে কথা বলেন তবে নিশ্চয়ই তা মানুষের কাছে বোধগম্য করে তোলার দায়িত্ব তারই। কেননা মানুষ কি বুঝবে, আর কি বুঝবে না, কোন বিষয়টা কতটুকু বুঝবে তা আল্লা জানেন(কারণ তিনি সর্বজ্ঞ)। সুতরাং তিনি যদি মানুষকে এমন ভাষায় উপদেশ বা আদেশ দেন যা মানুষ বুঝতেই পারল না বা ভুল বুঝল তবে সে দোষ নিঃসন্দেহে আল্লারই এবং এ ধরণের কাজ আল্লার মহানত্বের সাথে সাংঘর্ষিক। কোরানেও অনেক আয়াতে কোরানকে সহজ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কোরান দুর্বোধ্য এ দাবিটা তখনই শুনি যখন কেউ কোরান নিয়ে কোনো বিরুপ প্রশ্ন করে ফেলেন। আর ধর্ম-ব্যবসায়ী মোল্লারা চায় না মানুষ কোরান ভাল করে বুঝুক, তারা মানুষকে কোরান পাঠ শিক্ষা দিলেও আরবি ভাষাটা কাউকে শিখাতে চায় না কারণ এতে করে তাদের ব্যবসা লাটে উঠবে।
আচ্ছা, কোরান দুর্বোধ্য, মানলাম কিন্তু তা কি সবার কাছেই দুর্বোধ্য? যিনি তা বুঝতে পারেন তিনি ব্যাখ্যা করে সকলকে বুঝিয়ে দিলেও সবাই কি তা বুঝবে না? আর যেটা বললাম, কোরানের দুর্বোধ্যতার জন্য কেউ যদি কোরান পড়ে এটা অনুধাবন করতে অক্ষম হয় যে কোরান আল্লার গ্রন্থ তবে তার দায় তো আল্লারই, তাই না?
অনেকে আবার দাবি তোলেন তাদের কোরান নাকি অনুবাদ পড়ে বুঝা সম্ভব না। পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান মানুষ বিনিময় করেছে, অর্জন করেছে অনুবাদের সাহায্যে কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে বলে শোনা গেল না, শুধু কোরানের বেলায়ই যত বিপত্তি। আর মহা-সর্বজ্ঞ আল্লা এমনভাবে কেন কোরান নাজিল করবেন যে তা আর কোনো ভাষায় সঠিক অনুবাদ সম্ভব নয়! এখন শুধু কোরান বুঝার জন্যই নতুন একটা ভাষা শিখতে হবে! একটি ভাষা শিখা নিঃসন্দেহে একটা জটিল কাজ। এভাবে একেকটি ধর্ম যাচাই করার জন্য যদি শুধু একেকটা ভাষা শিখতে হয় তাহলে ভাষা শিখতে শিখতেই জীবন পার হয়ে যাবে। কোরান বুঝার জন্য যেমন আরবি শিখছি তেমনি বেদ বুঝার জন্য এবার সংস্কৃত শিখি, ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ বুঝার জন্য হিব্রু শিখি এভাবে চলুক।
আর কোরান যদি জ্ঞানের ভাণ্ডার হয় তাহলে তো যাদের মাতৃভাষা আরবি বা যারা আরবি জানে তারা আরবিতে কোরান পড়ে জ্ঞানের সেই ভাণ্ডার আত্মস্থ করে টাইটুম্বুর হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আমরা কি তা দেখতে পাচ্ছি? আর কোরানের অনুবাদ পড়ে কোরান ঠিকমত বুঝা হয় নি যারা দাবী করেন তারা কি অন্য ধর্মগুলোকে যাচাই করেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন? আর যাচাই করতে গিয়ে ঐসব ধর্মগ্রন্থ মূল ভাষায় পড়েছেন নাকি অনুবাদ পড়েছেন? অবশ্য আদৌ কিছু যাচাই-বাছাই না করে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ইমান নিয়ে লম্ফ-ঝম্প করলে ভিন্ন কথা।
আমরা দেখেছি আরবি ভাষাভাষি বা আরবি ভাষা জানে এমন অনেক অমুসলিম আছে। মুহাম্মদের সময় তার প্রতিবেশিরা নিশ্চয় আরবি জানত বা অন্তত কোরান বুঝত। তাবে তাদের কাছে কোরানকে আল্লার বাণী বলে মনে হয় নি কেন? তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি কোরানে এমন কোনো গুণ নেই যে কোরান বুঝলেই মনে হবে তা আল্লার প্রেরিত গ্রন্থ।
কোরানে অনেকগুলো আয়াতে কোরানকে সহজ-সরল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-
নিশ্চয় আমি এ কোরানকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। (৪৪, সূরা দুখান:আয়াত ৫৮)
আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। (১৪, সূরা ইব্রাহিম:আয়াত ৪)
নিশ্চয় আমি কোরানকে আরবি ভাষায় নাজিল করেছি, যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পার। (১২, সূরা ইউসুফ:আয়াত ২)
আমি কোরানকে আপনার ভাষায় এই জন্য সহজবোধ্য করিয়াছি যেন আপনি উহার সাহায্যে খোদাভীরুগণকে সুসংবাদ দিতে পারেন। (১৯, সূরা মারইয়ামঃ ৯৭)
আর আমি সহজ করিয়া দিয়াছি কোরানকে উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব, কেহ উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি। (৫৪, সূরা ক্বামারঃ আয়াত ১৭)
এরপর আর কোরানকে দুর্বোধ্য, অনুবাদ পড়ে বুঝা সম্ভব নয় ইত্যাদি বলা কি চলে?
১০। কোরানের সাংখ্যিক মাহাত্ম রয়েছে। সুতরাং কোরান অলৌকিক গ্রন্থ।
এই অভিনব দাবীর জবাব এখানে দেয়া হয়েছে- কোরানের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ! । তাই নতুন করে আর কিছু না বলে এই লেখাটা একটু পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
আরেকটি প্রাসঙ্গিক লেখা পড়ার জন্য সকলকে অনুরোধ- আল্লাহ, মুহম্মদ সা এবং আল-কোরআন বিষয়ক কিছু আলোচনার জবাবে..
বাক্যের ছন্দের সাথে ছন্দের মিল থাকলেই সেটা কাব্য বলে বিবেচনা করা একটা মুর্খামির কাজ যাদের কাব্য সমন্ধে জ্ঞান নেই তারাই এসব বলে থাকে আর এ ধরনের লেখা পড়ে হাসি পাওয়া যায়। বিভিন্ন ভাষায় কাব্য রয়েছে তাতে কোন ছন্দের সাথে ছন্দের মিল নেই। একটা কাব্য গ্রন্থ তখনই মানুষের মনে স্থান পায় যখন কাব্যের ভাষা সুন্দর হয় মনোমুগ্ধকর হয়, যার ভাষা মানুষের পরিবর্তন এনে দেয়। এভাবে উলটা পাল্টা লিখে নিজেকে বোকামির পরিচয় দেয়া ছাড়া কিছুই না
সাবধান হোন
আপনি চিন্তা করে দেখুন এই কোরান যদি আল্লাহ থেকে আগত না হত তাহলে আল্লাহ কি মুহাম্মদ স) কে ধংস করে দিতেন না।
নি সন্দেহে এটা আল্লাহর কিতাব, তাই সব কিছুর চেয়ে ইহা আমার প্রিয়
অনেকে মনে করেন মুহাম্মদের মানসিক বা মনোদৈহিক রোগ ছিল, তিনি প্রায়ই কল্পনা আর বাস্তবতার পার্থক্য্ বুঝতে অক্ষম হয়ে পরতেন। এখন মুহাম্মদ যদি অসচেতন ভাবে কোরানকে আল্লা কর্তৃক প্রেরিত বলে মনে করেন ও তা প্রচার করেন তবে অবশ্য ভিন্ন বিষয়।
আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো দরকার …
এক কথায় অসাধারন!!!! :rose2: :rose2:
আরো একটি ব্যাপার, এক নম্বর দৃষ্টিকোণ (point) নিয়ে। ছন্দ বিষয়টা সুস্পষ্টভাবে আপেক্ষিক। একেক সংস্কৃতিতে একেক ছন্দের সমাদর। হয়তো আরবীতে ওইটাই অনেক সুন্দর একটা ছন্দ। আর আমরা যেহেতু ছোটবেলা থেকে শুনে অভ্যস্ত নই, তাই আরবী নিয়ে অনেক পরাশুনা সত্ত্বেও তা আমাদের ভালো লাগছে না।
ছোটবেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাল।
একটা বই নিয়ে এত মাথাব্যাথার দরকার কি? ব্যাক্তিগত জীবনে ‘এটা কুরআন শরীফে আছে তাই এটা মানতে হবে’, ‘এটা তো অমুক সূরায় অনেক আগেই আছে’ জাতীয় কথা কম শুনতে হয় নি। আমি কেবল তাদের এটাই বলেছি, “আমি পবিত্র কুরআন শরীফ মানতে বাধ্যও না, আগ্রহীও না, রাজিও না।” ব্যস! শান্তি!
যার যার ধর্ম তার তার কাছেই থাকুক। সে যদি তার ধর্ম পালন করে আনন্দ পায় তবে ক্ষতি কি?
মানুষের একমাত্র ধর্ম মানবতা। মানবতা ব্যাতীত কোন প্রাণী Homo sapiens হতে পারে, কিন্তু কখনই মানুষ হতে পারে না।
আসুন আমরা এত ঝামেলা না করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করি। ধর্ম নিয়ে বিরোধিতা যারা পেশা হিসেবে নিয়েছে, তাদেরকেই কাজটা করতে দেই। কারণ ধর্ম নিয়ে গবেষণা করাটা তাদের ‘পেশা’। আমরাও আমাদের পেশায় মনোযোগী হই।
মানবতার জয় হোক।
:cigarette: :coffee:
প্রীয় ভাই ও বোনেরা,
আপনাদের লেখা গুলো পরে বিশ্বাস করতে হলো যে আপনারা অনেক পরিশ্রম করতেছেন ইসলাম কে মিথ্যা প্রমান করার জন্য। আপনাদের আসলে কোন দোস নেই। আমাদের দেশ ইসলামিক দেশ হিসাবে পরিচিত হলেও আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলাম সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞ্যন আহরন করতে পারি না। আমাদের দেশের মুল সমস্যা হল রাজনীতির অশ্লীল চর্চা। আপনাদের মনে যে সকল প্রশ্ন জেগেছে তার সদুত্তর আমি এখন না দিতে পারলেও সময় করে একদিন বসব।
ধন্নবাদ
@পথভোলা,
ইসলাম সত্য হলো কবে? ইসলামকে যদি সত্য ধর্ম বলেন তবে আপনাকেই আগে প্রমাণ করতে হবে যে তা সঠিক। কেউ যদি বলেন তার ধর্ম “ক” আর ওটাই সঠিক ধর্ম তবে তার কথা প্রমাণ করার দায়িত্ব তারই।
সুন্দর বলেছেন 🙂 ।
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
@পথভোলা,
কেউ কোনদিন কথা দিয়ে কথা রাখেন না, সময় নিয়ে উত্তর খোঁজে খোঁজে তারাই নিখোঁজ হয়ে যান। আশা করি আপনিও তাদের একজন হবেন না।
@পথভোলা,
শুনে খুবই খুশী হলাম। আপনার সদুত্তরের অপেক্ষায় রইলাম। সদুত্তর খুঁজতে গেলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে। Devils are in detail. ইসলামিক ideology পুরো মানব জাতির জন্যই হুমকি স্বরুপ। কারন তা
মানব জাতিকে মুসলমান ও কাফির রুপে শুধু বিভক্তই করে না, তা মানুষকে প্রত্যক্ষরুপে ঘৃনা (কাফিরদের) ও পদানত করার শিক্ষা দেয় – ইসলামের সাথে অন্যান্য ধর্মের পার্থক্য স্পষ্ঠঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=S0deanRGb8w&feature=related
বিষয় কি ? লোকজন কি সব আস্তে আস্তে কাফের মুরতাদ হয়ে যাচ্ছে নাকি ? তার মানে কিয়ামত সন্নিকটে। হাদিসে আছে যেদিন দুনিয়ায় কেউ আর মুমিন বান্দা থাকবে না , কেউ নামাজ রোজা পড়বে না , মসজিদে যাবে না তখন ইস্রাফিল ফিরিস্তা তার সিঙ্গা ফুকে দেবে। বেচারা সেই কবে থেকে হাতে সিঙ্গা নিয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে, একবারও ফুকার সুযোগ পাইল না। এবার বোধ হয় সে সুযোগটা পাবে। তাই ভাই-বোন সকল, আপনাদের মনে যে ইচ্ছা আছে তা পুরন করে ফেলেন , কারও কোন কিছু খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে খেতে পারেন। পরে আর সুযোগ পাওয়া নাও যেতে পারে। আমার ইচ্ছা পদ্মার ইলিশ খাওয়া , কিন্তু তা এত দুষ্প্রাপ্য আর দামী যে , মনে হয় তা না খেয়েই আমাকে পরপারে যেতে হবে। তাই সবাই আমার জন্য একটু দোয়া করবেন , আমিন।
আমরা অনেক সময় সঠিক বিষয়টা না জেনে এমন সব মন্তব্য করি যা হাস্যকর ঠেকে। আমরা যে জানিনা তাও আমদের জানা নাই । এধরনের মূর্খদের আরবীতে বলে جاهل مركب (স্তরবিশিষ্ট মূর্খ)এধরনের মূর্খতার প্রমাণ দিয়েছেন লেখক । কোরআন অলৌকিক হওয়ার মানদন্ড কী তাই তার জানা নাই তা সত্তেও এসেছেন কোরআন অলৌকিক না হওয়ার দাবি নিয়ে । মূর্খতা আর কাকে বলে। কোরানের অলৌকিকত্ত বিভিন্ন মানদণ্ডে বিচার করা যায় এর মধ্যে অন্যতম হল কোরআন সাহিত্যপূর্ণ হওয়া। কারণ কোরআন এসেছে এমন সময় যখন তার প্রথম শ্রোতাদের মাঝে চলছে সাহিত্যের প্রবল জোয়ার । যার দম্ভে তারা অনারবদেরকে عجمى(আজমি) বা বাকহীন বলে অভিহিত করত ।(এর বাবহার এখনো প্রচলিত )অর্থাৎ আরবদের তুলনায় অনারবদের কথা বার্তা ও সাহিত্য এতটাই নিম্নমানের ছিল যে সাধারণ কথা বার্তা তো দূরে থাক মানুষের কথা বার্তার মধ্যে গণ্য করতনা ।এতটাই ছিল তাদের সাহিত্যের দম্ভ । এবং এর বাস্তবতা ও ছিল। এমন সব বিশ্বসেরা সাহিত্যিকদের মাঝে অবতীর্ণ হয়েছিল কোরআন । তাই কোরআন ও তাদের প্রতি ছুড়ে দিয়েছে সাহিত্যের চ্যলেঞ্জ যেন চ্যলেঞ্জের মোকাবেলা করা তাদের সাধ্য ও সামর্থের মধ্যে থাকে। গোটা আরব বিশ্বে শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসাবে পরিচিত ছিল কাহতান আর অদনান গোত্র । তারা কোরানের চ্যলেঞ্জ মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে ।
কোরনের অলৌকিকত্ত বুঝতে হলে প্রথমে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান । মূর্খতা নিয়ে كتاب حكىم (কিতাবুন হাকিম )সুক্ষজ্ঞান সমৃদ্ধ কিতাব বোঝা সম্ভব নয় । পৃথিবীশ্রেষ্ঠ এমন তাবড় তাবড় সাহিত্যিকদের যে কোরআন অক্ষম করে দিল তাদের সাহিত্য তো পরের কথা তাদের ভাষা যখন আপনার জানা নাই তখন কোরআন অলৌকিক নয় এমন মূর্খতাপূর্ণ আর পাগলের প্রলাপ বকা আপনাকে ই সাজে ।
اعجازالقران( কোরানের অলৌকিকত্ত)বুঝার প্রথম শর্ত হল আরবী সাহিত্যে পূর্ণ পারদর্শী হওয়া । অদনান, কাহতান ও তাদের পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সাহিত্যিক যেমন লাকিত ইবনে য়ামার ,উমর ইবনে মালিক ইবনে সবিত,আদি ইবনে রবীয়া,ইমরাউল কায়েস থেকে নিয়ে হালের নাগিব মাহফুজ ,তালাল হামজা,ফাহদুল মুসায়েদ,ফয়সল য়ামি,সালেম মনায়ি প্রমুখ (আরবী নাম দেইখা তাগো মুমিন -মুসলমান মনে কইরেন না তাদের অনেকেই আপনাগো দলের লোক)এদের সাহিত্য সম্পর্কে শুধু অবগতি ই নয় বরং রীতিমত বিশ্লেষণ ও গঠনমূলক সমালোচনার যোগ্যতা আপনার থাকতে হবে তারপর বুঝতে পারবেন কোরআন তাদেরকে কিভাবে অক্ষম করে নিজের অলৌকিকতা প্রকাশ করেছে। কোরানের রচনাশৈলী,বাক্যবিন্যাস ও শব্দগাথুনি এবং তাদের রচনাশৈলী,বাক্যবিন্যাস ও শব্দগাথুনিকে পাশাপাশি রেখে যখন বিশ্লেষণ করবেন সমালোচনা করতে সক্ষম হবেন তখনই আপনার সামনে জলজল করে উঠবে কোরানের অলৌকিকত্ত । অলৌকিকত্ত কোন দৃশ্যমান বস্তূ নয় যে হাতে ধরে দেখে নিবেন । আপনি আরবীর নহু, সরফ,বালাগত,বয়ান,করজে শের,কাফিয়া, সাজা,ওজনে শের,ইজাজ,ইতনাব(এগুলো আরবি সাহিত্যের কয়েকটা পরিভাষা) কিছুই জানবেন না আর দাবি করবেন কোরআন অলৌকিক নয় তখন আপনার মূর্খতা কে আমরা কোন শব্দে প্রকাশ করব? আমরা বলতে বাধ্য হলাম কোরানের মত আপনার মূর্খতা ও আমদেরকে معجز(মুজেজ) তথা অক্ষম করে দিয়েছে ।
আপনি সূরা নাসের সাহিত্য বিচার করেছেন বাংলা সাহিত্য দিয়ে । আপনার মূর্খতা দেখে হাসতে হল । কোন পাগল ছাড়া এক ভাষার শব্দগাথুনি ও বাক্যবিন্ন্যাস কে অন্য ভাষা দ্বারা বিচার করতে পারে ।মূর্খতার ও একটা সীমা থাকে ।ভাই পাগলামি আর মূর্খতা নিয়ে কতকাল আর নাস্তিক্যবাদের প্রচার করবেন । আপনারই বলেন জ্ঞান হল নাস্তিক্যবাদের ভিত্তি এখন দেখছি এর বিপরীত টা মূর্খতা ই হচ্ছে নাস্তিক্যবাদের ভিত্তি ।
@bisam,
আপনি তো মাত্র একটা মানদণ্ডের কথা বলেছেন যা লেখাটায় সুন্দর ভাবে খণ্ডিত হয়েছে।
সাহিত্যপূর্ণ হওয়ার সাথে অলৌকিকতার সম্পর্কটা কি একটু বুঝিয়ে বলেন। লেখাটি কষ্ট করে কি আবার পড়ে দেখবেন? আর ১ম পর্বটার লিংক- কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? -১
এমনকি যদি কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনা করতে নাও পারে তবে হয়ত বলা যাবে কোরান “অনন্য” , এর লেখকরা সর্ব শ্রেষ্ট লেখক ইত্যাদি- কিন্তু এটা অলৌকিকতার প্রমাণ তো হতে পারে না।
সেই সব পৃথিবীশ্রেষ্ঠ এমন তাবড় তাবড় সাহিত্যিক কারা যাদের কোরান অক্ষম করে দিয়েছে? আর অক্ষম করে দিলেই কি এটা প্রমাণ হয়ে যায় যে কোরান আল্ল্যা নামক কারো দ্বারা রচিত?
আর ৯ নম্বর আর্গুমেন্টের জবাব বিশেষ ভাবে দ্রষ্টব্য।
বাংলা সাহিত্য দিয়ে বিচার করলাম কিভাবে? “স” না বলে “সিন” বলব?
আর যা না বলে পারছি না, আপনার এচলামি শিষ্টাচারে আমি মুগ্ধ।
@bisam,
অথচ
এই মন্তব্য তৎসত্বেও আমাদের মানতে হবে শুধু তাই নয়, উদ্বাহু নৃত্য করতে হবে আনন্দে। :-X :-Y :laugh:
@bisam,
আমি আগেও লিখেছি ধর্মান্ধরা হয় তিন প্রকৃতির। অজ্ঞ, পাগল বা ধান্দাবাজ।
আপনার প্রকৃতিটা হচ্ছে অজ্ঞ। কোরান লেখার বহুদিন আগেই, ইলিয়াড, অডিসি, মহাভারত লেখা হয়েছে। জন্মেছেন হোমার, কালিদাসের মতন কবি।
আরবদের সাহিত্যজ্ঞান ভাল ছিল-এটা ঘটনা। কিন্ত তার আগের গ্রীক, রোমান এবং ভারতীয়রা প্রভূত সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছে। হিন্দুদের মধ্যেও একটা শ্রেনী গীতাকে শ্রেষ্ঠ সাহিত্য বলে চালানোর চেষ্টা করে। এসবই অজ্ঞতার ফসল। বাস্তবে মহাভারত, মেঘদূতম বা ইলিয়াডের সাহিত্যমূল্য ধর্মগ্রন্থগুলি থেকে হাজার গুনে বেশী। কোরান লেখার অনেকদিন আগে ক্লাসিক্যাল গ্রীক সাহিত্যের জন্ম-জন্ম উপনিষদের ও। যেগুলি সাহিত্যজ্ঞানে কোরানের থেকে অনেক উচ্চমানের বলেই আমি মনে করি।
@বিপ্লব পাল,
আপনি তো মনে হয় এসব ভাল জানেন।
কোরানের কি কম্পারেটিভ লিটারেচর হিসেবে কোন রেপুটেড কোন ষ্টাডি আছে? সাহিত্যের বিচারে কোরানের স্থান আসলেই কেমন কেউ জানেন?
@bisam,
কোরান কেন অলৌকিক তার স্বপক্ষে ইসলামী জ্ঞানীদের প্রচলিত যুক্তিগুলিই এই লেখায় আলচিত হয়েছে। লেখক কিন্তু এই লেখায় দেখাতে চেয়েছেন যে যে সব যুক্তিতে কোরান অলৌকিক বলে ইসলামী পন্ডিতগন দাবী করেন সেসব যুক্তির দূর্বলতা। এসব পয়েন্ট ওনার নিজের বানানো নয়। এসব পয়েন্ট মুসলমানদেরই প্রচলিত ধারনা। উনি শুধু সেসব প্রচলিত ধারনার দূর্বলতা ধরেছেন। আপনি মূর্খ পাগল এসব বললে যারা এসব পয়েন্ট নিয়ে কোরান অলৌকিক বলে দাবী করেন আগে তাদেরই তো বলা উচিত।
তারাও নিঃসন্দেহে না জেনেই কোরান অলৌকিক এই সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেছে। যারা কোরান অলৌকিক বলে দাবী করে তারা কি সবাই আপনার মত নহু, সরফ,বালাগত,বয়ান,করজে শের,কাফিয়া, সাজা,ওজনে শের,ইজাজ,ইতনাব এসব জেনে বুঝে তারপরই দাবী করে? তাহলে তাদেরও কি অন্ধবিশ্বাস বশত এহেন দাবী করার দায়ে মূর্খ পাগল এসব বলা যায় না? আমার তো সন্দেহ আছে বেশীরভাগ লোকে আদৌ নাম শুনেছে কিনা। আপনার যুক্তিতে যা মনে হচ্ছে খাঁটি আরবী ভাষীই শুধু নয়, আরবী ব্যাকরন একেবারে গুলে না খেলে কোরানের অলৌকিকত্ব বোঝা যাবে না। তার মানে দাঁড়ায় আমরা নন-আরবদের এই সত্যতা সম্পর্কে জেনে বুঝে নিশ্চিত হবার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কোরান পৃথিবীর সব ভাষার লোকের জন্যই নাজিল হলে এই তত্ত্ব কেমন যেন খাপ খায় না।
আমি নিজে আরবী জানি না, কোরানের সাহিত্য গুন জানি না। তবে জিজ্ঞাসা করছি, কোন গ্রন্থ যদি শুধু সাহিত্য মানে খুব উন্নত তাহলেই সে গ্রন্থকে অলৌকিক বলা যেতে পারে কি?
আপনার বলা প্রাচীন আরব গোত্রের রেফারেন্স কি জানি না, কিসের ভিত্তিতে তখন কোরানের ভাষা অলৌকিক প্রমানিত হয়েছিল তাও মনে হয় না এ আমলে আর নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে। তবে Comparative literature নামের একটি সাহিত্যের একটি আধুনিক শাখা আছে যা ভিন্ন ভিন্ন ভাষার সাহিত্য কর্মের তূলনামূলক ষ্টাডি করে জানেন তো? এই যুগের তেমন কোন ষ্টাডি কি কোরান বিষয়ে আছে যা আপনার দাবীকে সমর্থন করে? তাহলে অন্তত কোরানের সাহিত্য গুন নিয়ে সংশয় থাকত না। কোরানের সাহিত্য গুন নিয়ে আরবী ভাষীদের মাঝেই ষ্পষ্ট দ্বি-মত দেখা যায়।
@bisam, অনেক ধন্যবাদ এই থ্রেডে অংশ নেওয়ার জন্য। এই ধরনের লেখা মুক্তমনায় দেওয়ার একটা বড় অসুবিধা হল বিপক্ষ মতের অনুপস্থিতি। একটা ট্যাগের কারনে মুক্তমনায় মুমিন বান্দারা আসতে চান না,অনেকে আসলেও চুপি চুপ স্ক্রিনশট নিয়ে নিজেদের আলাপের সাইটে গিয়ে মসগুল হন। আর আমরা ঈমানহীন বলে ঠিকমত যুক্তিও মাথায় আসে না,দেখেন না,আমি প্রথমেই আপনাদের পক্ষ থেকে লেখকের বিরুদ্ধে কিছু যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম,কেউ গুরুত্ত্ব দিল না। আসলে ঈমান না থাকার জন্যই এই অবস্থা।
আপনি অংশ নিতে থাকুন,ভবিষ্যতেও আপনার পান্ডিত্যপূর্ন অংশগ্রহন আশা করছি।
এবার একটু মূল বক্তব্যে যাই।
কথাটার সপক্ষে কিছু প্রমান দিলে ভাল হত না? আমরা কিন্তু জেনে আসছি ইসলাম পূর্ব আরব ছিল অনাচারপূর্ন। এমন পরিবেশে সাহিত্যের জোয়ার কিভাবে আসা সম্ভব,মাথায় আসছে না।
ভাই,আপনি কি মেঘদুতম,অভিজ্ঞান শকুন্তলা পড়েছেন? ইলিয়ড,ওডেসী পড়েছেন? এর সাথে কোরানের সাহিত্যগুন বিচার করা আমার পক্ষে অসম্ভব।কোরান একটি থার্ডক্লাস ম্যাদামারা গ্রন্থ,এটি বুঝে পড়লে একপাতার বেশি পড়তে কারও ইচ্ছা হবে না,যদি বাইবেলের পুরাতন নিয়ম পড়া থাকে।এতে সাহিত্যের আছে? কিছু গল্প আছে,যা ইহুদীদের থেকে ধার করা। আর যা আছে,তাকে সাহিত্য বললে রসময় গুপ্তকেও মহান সাহিত্যিক বলতে হবে। নবীর কোন বউ রাগ করেছে তার মান ভাঙ্গানোর সুরা, বউকে নবীর হাতে তুলে দিতে চাইছে না তার প্রতিকারমূলক সুরা,র অসংখ্য হুমকী ধামকী।ফুল বাকোয়াস একটা গ্রন্থ।
@bisam,
লেখক আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্নগুলোর উত্তর আশা করি দিবেন।
এখন এ কাজটি করার দায়ীত্ব আপনার। আপনি কোরানের রচনাশৈলী, বাক্যবিন্যাস ও শব্দগাথুনি পাশাপাশি রেখে বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করে দিন যে, কোরান একখানি অলৌকিক গ্রন্থ, কোরান আল্লাহর মুখের বাণী।
@bisam,
এধরনের মূর্খদের আরবীতে বলে جاهل مركب (স্তরবিশিষ্ট মূর্খ) এধরনের মূর্খতার প্রমাণ দিয়েছেন লেখক । কোরআন অলৌকিক হওয়ার মানদন্ড কী তাই তার জানা নাই তা সত্তেও এসেছেন কোরআন অলৌকিক না হওয়ার দাবি নিয়ে । মূর্খতা আর কাকে বলে। কোরনের অলৌকিকত্ত বুঝতে হলে প্রথমে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান । মূর্খতা নিয়ে كتاب حكىم (কিতাবুন হাকিম ) সুক্ষজ্ঞান সমৃদ্ধ কিতাব বোঝা সম্ভব নয় । তাদের ভাষা যখন আপনার জানা নাই তখন কোরআন অলৌকিক নয় এমন মূর্খতাপূর্ণ আর পাগলের প্রলাপ বকা আপনাকে ই সাজে । কিছুই জানবেন না আর দাবি করবেন কোরআন অলৌকিক নয় তখন আপনার মূর্খতা কে আমরা কোন শব্দে প্রকাশ করব? আমরা বলতে বাধ্য হলাম কোরানের মত আপনার মূর্খতা ও আমদেরকে معجز ( মুজেজ) তথা অক্ষম করে দিয়েছে । আপনি সূরা নাসের সাহিত্য বিচার করেছেন বাংলা সাহিত্য দিয়ে । আপনার মূর্খতা দেখে হাসতে হল । মূর্খতার ও একটা সীমা থাকে । ভাই পাগলামি আর মূর্খতা নিয়ে কতকাল আর নাস্তিক্যবাদের প্রচার করবেন । আপনারই বলেন জ্ঞান হল নাস্তিক্যবাদের ভিত্তি এখন দেখছি এর বিপরীত টা মূর্খতাই হচ্ছে নাস্তিক্যবাদের ভিত্তি।
ভাই কই গেলেন? আপনি তো আরবীর নহু, সরফ, বালাগত, বয়ান, করজে শের, কাফিয়া, সাজা, ওজনে শের, ইজাজ, ইতনাব, এসকল আরবি সাহিত্যের পরিভাষা জানেন। মূর্খদেরকে জ্ঞানের আলো না দেখিয়ে, কোরান অলৌকিক গ্রন্থ প্রমাণ না করে যাবেন না প্লীজ, আপনার জন্যে অধীর অপেক্ষায় আছি।
আর হ্যাঁ, মেহেরবানি করে আমার এই লেখাটায় কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে একটু দেখিয়ে দিবেন।
@আকাশ মালিক, অলৌকিক শব্দের আরবী হল معجزة (মুজেজা ) যার শাব্দিক অর্থ অক্ষমকারী। যেহেতু কোরআন মানুষদেরকে তার মত সাহিত্যপূর্ণ আয়াত বা সূরা সৃষ্টি করতে অক্ষম করে দিয়েছে তাই কোরআন কে معجزة বা অলৌকিক বলা হয়।এখন আপনি বলতে পারেন তাহলে তো যে কোন লেখকের লেখাকেই অলৌকিক বলতে হয় কারণ তার মত লেখা আরেক জন লিখতে পারেনা। তার মত হয়ত লিখতে পারেনা ঠিক কিন্তু তার চেয়ে মানের দিক থেকে উন্নত এবং ভাল লেখা অবশ্যই লিখতে পারে । কিন্তু কোরানের বেলায় উন্নত তো পরের কথা সমমানের লেখা কেউ লিখতে পারে নাই।
উল্লেখ্য অলৌকিকত্ত দৃশ্যমান কিছু নয় তাই হাতে ধরে দেখানো সম্ভব না।
@bisam,
শুধুমাত্র আপনাদের মত অন্ধ বিশ্বাসীদের কাছেই কোরানের সমমানের বই আর সারা জাহানে নেই। যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না , চার পঞ্চমাংশ দুনিয়ার মানুষ কোরানকে সেরা তো বহু দুরের কথা একটা তৃতীয় শ্রেনীর বইয়ের মর্যাদা দেয় না। আপনি কোরান, বাইবেল, গীতা , ত্রিপিটক ইত্যাদি গ্রন্থ গুলো পাশা পাশি রেখে পড়লে দেখবেন ,বাইবেল গীতা ত্রিপিটকের রচনার মান যদি বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের হয়, কোরান হলো একটা প্রাইমারী লেভেলের বই। সেটা হলো – বাক্য রচনা, ব্যকরন গত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। অসুবিধা হলো আপনি সারা জীবনে ঐ কোরান ছাড়া আর কিছুই পড়েন নি। তাহলে কোরানের চাইতে ভাল রচনা দুনিয়াতে আর আছে কি না তা জানবেন কিভাবে? আমি যদি চ্যলেঞ্জ দেই যে – আমার মত লেখা আর কেউ লিখতে পারবে না , তাহলে তা কি অলৌকিক বলে প্রমানিত হবে ? বাস্তবেও তো আমার মত কেউ লিখতে পারবে না , তাই না ? হয় আমার চাইতে ভাল লিখবে , নয়ত খারাপ লিখবে , কিন্তু নিখুতভাবে আমার মত স্টাইল ও ভাবধারায় দুনিয়ার আর একটা মানুষও লিখতে পারবে না , যেমন পারবে না আপনার মত লিখতে।কোরানে এ ধরনের চ্যলেঞ্জ ছিল অর্ধ সভ্য আরবদের সামনে একটা তৃতীয় শ্রেনীর চ্যলেঞ্জ, যে দু একজন কবি সেসময় চ্যলেঞ্জ দিতে পারত তাদেরকে মক্কা বিজয়ের পর মোহাম্মদ লোক পাঠিয়ে আগেই হত্যা করে ফেলেছিল। মনে হয় এ তথ্য আপনার অজ্ঞাত। পরিশেষে, কোন মানে বা কোন আদর্শের ভিত্তিতে কোরান দুনিয়ার অন্য সমস্ত কিতাব থেকে শ্রেষ্ট সেটা নিয়ে দুচার কথা লেখেন। খামোখা , পাখোয়াজী কথাবার্তা বলে মানুষের কাছে হাস্যাষ্পদ না হওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনি যে ধরনের যুক্তি প্রদর্শন করছেন( আদৌ সেটা যুক্তি নয়, নিজের বিশ্বাস মাত্র) সেটা বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে অর্ধশিক্ষিত বা নিরক্ষর মানুষজনদের কাছে গ্রহন যোগ্য হবে , মুক্তমনার পাঠক/পাঠিকাদের কাছে নয়। এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
@bisam,
যে ছিফারা ফারলায়রে ভাই। মিয়াছাব বেটা অনে কই গেলায় তে? আইলায় যুদি তে আনা মাইততা গেলায় গি দু?
@আকাশ মালিক,
অন্নের রণ হুংকার হুনি ইবা ভাগি যারগৈ মনে লয় বদ্দা। এডি বুঝিত ন ফারের এ্যডে অন্নের লাহান বেডা বই আছের ঘাপডি মারি। তয় আঁর মনে লয় এডি এক্কেরে নতুন, অন্নে কি কন ?
@bisam, ঈশ্বরের বাণী সবার জন্য, সব ভাষার মানুষের জন্য।
যদি আরবী না জানলে কোরানের, হিব্রু না জানলে বাইবেলের এবং সংস্কৃত না জানলে বেদ ও গীতার মাহাত্ম্য বোঝা না যায়, মানবজাতির এই ৩ টার কোনটিরই প্রয়োজন নেই।
সৈকত, ভাল একটা লেখা। তোমার লেখাগুলো সংকলিত করে রাখার সময় হয়েছে। এরকম আরো কয়েকটা পিস নামায় ফেললেই সংকলন করার মতো কিছু একটা দাঁড়িয়ে যাবে!
একটা পয়েন্ট আরো কিছুটা ইলাবোরেট করতে পার।
যদিও আল-আমিন বলতে সধারণভাবে বিশ্বাসী বলে বহুলভাবে প্রচারিত, এবং সেই মোতাবেক ধরে নেয়া হয় যে সেই উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন সৎ, ন্যায়পরায়ণ ইত্যাদি (কাজেই তিনি কেন কোরাণ বা এ ধরণের কিছু নিয়ে অযথা মিথ্যাচার করবেন), কিন্তু সত্যই কি উপাধিটা তাই ছিলো?
আমিন মানে সম্ভবত ব্যবসায়ী ধরণের কিছু, যারা অর্থ লগ্নি বিশ্বস্ততার সাথে সমাপন করতো। অনেকটা ‘ট্রাস্টি’ ধরণের কিছু। স্কুল ট্রস্টি, নগর ট্রাস্টি এই ধরণের শব্দের সাথে আমরা পরিচিত। আরবীতে ওটা সম্ভবতঃ সমার্থক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন,
আমীন -এল- মক্তবা – মানে মক্তবের ট্রাস্টি
আমীন -এল- সর্তা – মানে পুলিশের ট্রাস্টি ইত্যাদি।
জয়নবের স্বামী আব্দুল আ’স এর উপাধিও ছিলো আমীন। কিন্তু সেটা আব্দুল আ’স কত সৎ বা ন্যায়পরায়ণ ছিলেন সেজন্য নয়, উপাধি আমীন ছিল, কারণ তিনি মানুষের কাছ থেকে দ্রব্য নিয়ে অন্যের কাছে বিক্রয় করতেন তাদের হয়ে। এটা একটা পেশা। সততার সাথে কোন সম্পর্ক সম্ভবত নেই (মুক্তমনার আরবী জানা সদস্যরা ভাল বলতে পারবেন অবশ্য)।
মুহম্মদ আব্দুল আ’সকে দিয়ে জোর করে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে কি ভাবে বিয়ে করেছিলেনন তা ইতিহাসে পাওয়া যায়। পাওয়া যায় কীভাবে মুহম্মদ হাফসাকে মিথ্যে কথা বলে ওমরের বাড়ি পাঠিয়ে ক্রীত দাসী মারিয়ার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন (এখানে দেখুন)। এগুলো সত্যবাদিতার সাথে কোন সম্পর্ক তুলে ধরে কি?
মুহাম্মাদ সৎ এবং বিশ্বাসী হলে তার পরিবারের লোকেরাই সবার আগে তার কথাকে বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহন করতো। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় তার পরিবারের একমাত্র চাচা হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব, তার পোষ্য ৯ বছর বয়েসী আলী ইবনে আবু তালিব, এবং স্ত্রী খাদিজা ছাড়া তার আর কোন পরিবার সদস্যই তার কথা বিশ্বাস তো করেনই নাই, বরং সক্রিয় বিরোধিতা করেছিলেন। রাতের অন্ধকারে বানিজ্য ফেরৎ কুরাইশ কাফেলার উপর হামলা করে তাদের মালামাল লুন্ঠন, আরোহীদের খুন করা এবং ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবী (সোজা ভাষায় ডকাতি/সন্ত্রাস) কোন সৎ লোকের কার্য্য হতে পারে না।মুহাম্মাদের এমনি অত্যচারে অতিষ্ঠ কুরাইশরা বানিজ্য ফেরৎ আবু সুফিয়ানের মালামাল রক্ষার্তে (মুহাম্মাদ তাকে পথিমধ্যে এ্যটাক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবৎ তার ৩ মাস আগে (ডিসেম্বর, ৬২৩) তার সাঙ্গরা “নাখালায়” অনুরুপ হামলায় এক কুরাইশকে খুন (সর্ব প্রথম খুনের দৃষ্টান্ত স্থাপন, এর আগে কুরাইশরা কোন মুসল্মানকে কখনো খুন করেছে বলে কোন নির্ভরযোগ্য প্রমান ইতিহাসে নাই) কুরাইশ ও মুস্লমানদের মধ্যে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ (বদর যুদ্ধ – মার্চ, ৬২৪) হয় সেখানে মুহাম্মদের নিজস্ব পরিবারের যে সকল সদস্য তার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন করেন তারা হলেনঃ
১) আল-আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব – নিজের চাচা
২) তালিব ইবনে আবু তালিব (আলীর ভাই, মুহাম্মাদের চাচাত ভাই)
৩) আকিল ইবনে আবু তালিব (আলীর আরেক ভাই)
৪) নওফল ইবনে আল-হারিথ বিন আব্দুল মুত্তালেব(আরেক চাচাত ভাই)
৫) আবু আল-আস ইবনে আল রাব্বি (জামাই, মেয়ে জয়নাবের স্বামী)
৬) আবু লাহাব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (আরেক চাচা) – নিজে অংশ গ্রহন
করতে পারেন নাই, তার নিজস্ব লোক পাঠায়েছিলেন।
আল-আব্বাস, আকিল, নওফল এবং আবু আল-আস বন্দী হন। মুক্তিপনের মাধ্যমে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। (সুত্র -তাবারি, পৃঃ ১২৮৪-১৩৫১)।
ইতিহাস আরো সাক্ষ্য দেয় যে মুহাম্মাদ বহু বহু নৃশংস ঘটনা, মালামাল লু্ন্ঠন, ভুমি-দখল, সন্ত্রাস, গুপ্তহত্যার (assassination) প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অংশীদার। ওহুদ এবং খন্দক যুদ্ধ ছাড়া (সেটাও ছিল তার পূর্ববর্তী আক্রমনে অতিষ্ঠ কুরাইশদের পাল্টা আক্রমণ) সবখানে মুহাম্মাদের বাহিনীই ১ম হামলা করেছে (offensive), আক্রান্ত জনগোষ্ঠি করেছে তাদের জান মাল রক্ষার চেষ্টা (defensive). ইহুদীদের জান-মালের উপর নৃশংস হামলার ঘটনা (বনি কুরাইজা, বনি নাদির, বনি কুইনাকা, বনি মুত্তালিক, খাইবার ইত্যদি) অনেকই জানেন। যা অনেকেই জানেন না তেমনি একটি নৃশংস ঘটনার বর্ননা নিম্নরুপঃ
মুহাম্মদকে নিয়ে আরো সমস্যার বিষয় হল তিনি মক্কা বিজয়ের পর সেখানে রাজার মতই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেন। প্রকাশ্যে তার নিন্দা করার মত সাহস কারো ছিল না।
Volume 5, Book 59, Number 369:
Narrated Jabir bin ‘Abdullah:
Allah’s Apostle said, “Who is willing to kill Ka’b bin Al-Ashraf who has hurt Allah and His Apostle?” Thereupon Muhammad bin Maslama got up saying, “O Allah’s Apostle! Would you like that I kill him?” The Prophet said, “Yes,” Muhammad bin Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Kab). “The Prophet said, “You may say it.” Then Muhammad bin Maslama went to Kab and said, “That man (i.e. Muhammad demands Sadaqa (i.e. Zakat) from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Kab said, “By Allah, you will get tired of him!” Muhammad bin Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” (Some difference between narrators about a camel load or two.) Kab said, “Yes, (I will lend you), but you should mortgage something to me.” Muhammad bin Mas-lama and his companion said, “What do you want?” Ka’b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the ‘Arabs?” Ka’b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so-and-so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.” Muhammad bin Maslama and his companion promised Kab that Muhammad would return to him. He came to Kab at night along with Kab’s foster brother, Abu Na’ila. Kab invited them to come into his fort, and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Kab replied, “None but Muhammad bin Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if dropping blood is from him, Ka’b said. “They are none but my brother Muhammad bin Maslama and my foster brother Abu Naila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.” Muhammad bin Maslama went with two men. (Some narrators mention the men as ‘Abu bin Jabr. Al Harith bin Aus and Abbad bin Bishr). So Muhammad bin Maslama went in together with two men, and sail to them, “When Ka’b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strip him. I will let you smell his head.” Kab bin Al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Muhammad bin Maslama said. ” have never smelt a better scent than this. Ka’b replied. “I have got the best ‘Arab women who know how to use the high class of perfume.” Muhammad bin Maslama requested Ka’b “Will you allow me to smell your head?” Ka’b said, “Yes.” Muhammad smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka’b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka’b said, “Yes.” When Muhammad got a strong hold of him, he said (to his companions), “Get at him!” So they killed him and went to the Prophet and informed him. (Abu Rafi) was killed after Ka’b bin Al-Ashraf.”
References:
1. “Tarikh Rasul Wal Muluq” by Al Tabari (839-923 CE), page 1368-71
2. “ Kitab Al- Maghazi” by Al Waqidi (747-823 CE), page 184-93
3. ‘Sirat Rasul Allah by Ibne Ishaq (704-768 CE), compiled Ibne Hisham (d 833 CE)
– Translated by A. Guillaume, page 548-55
4. Al Bukahri- as above
সংশোধনঃ
ইহুদী কবি ‘ক্বাব বিন আল-আশরাফের’ গুপ্ত হত্যার বর্ননা
@গোলাপ, ইসলামের অ্যাপোষ্টাটরা নির্লজ্জ এবং শিয়ালের ন্যায় ধূর্ত। তারা উপরোক্ত ঘটনার এন ব্যাখ্যা দিবে যে আপনার তখন মনে হবে,ঠিকই তো,তারা তো আল্লাহর দোস্তকে অমান্য করেছে,তাদের এই আল্লার দুনিয়ায় থাকার কোনও অধিকার নেই। দুঃখের বিষয় হলো আল্লার দুনিয়ায় আল্লার যাতায়াত শুধুমাত্র কিছু মসজিদে ও নিম্নবুদ্ধির মানুষদের মস্তিস্কে।
@রুশদি,
:yes: :yes: :yes:
@রুশদি,
যখন এমন দু-একটি ঘটনার বিবরন জানতাম, অস্বীকার করবো না এক সময় আমি নিজেও ওমনটি মনে করে পরম ভক্তিভরে ধর্ম পালন করতাম এবং অপরকেও ‘তাবলীগি’ দাওয়াত দিতাম। বাধ সাধলো তখন যখন নিজের ধর্মটাকে গভীরভাবে Root থেকে জানার ও বুঝার চেষ্টায় ব্রতি হলাম। জানলাম এটা দু-একটি বিছন্ন ঘটনা নয়, বহু বহু ঘটনা – যার আসল উদ্দেশ্য হলো পার্থিব ‘প্রাপ্তি’ঃ ক্ষমতা, জান (দাসী ও দাস) এবং মাল (সম্পদ) -under the banner of Religious deity.
@রুশদি, //দুঃখের বিষয় হলো আল্লার দুনিয়ায় আল্লার যাতায়াত শুধুমাত্র কিছু মসজিদে ও নিম্নবুদ্ধির মানুষদের মস্তিস্কে।//
:yes: :yes: :yes:
//ঈশ্বর থাকেন ভদ্রপল্লীতে………………।// – পদ্মা নদীর মাঝি।
:coffee:
@গোলাপ,
এসব নিয়ে কথা বলে আসলে তেমন লাভ নেই। যুক্তিতর্ক রেফারেন্স সবই বৃথা।
তাবারি ইবনে ইশাক এদের রেফারেন্স নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হবে। সহি হাদীসেও নাকি সব হাদীস ঠিক নয়। অন্য কথায় যা সরাসরি বলতে পারেন না তা হল যা কিছু নিজেদের পক্ষে যায় সেগুলি সঠিক আর বিপক্ষে যায় সেগুলি ভুল বা ষড়যন্ত্র।
@আদিল মাহমুদ, সেক্ষেত্রে এদের নিম্ণবুদ্ধির বলা আমার ঠিক হয়নি মনে হয়। ব্যাটারা শিয়ালের থেকেও চালাক।
@রুশদি, :laugh:
তা জানি না; তবে পৃথিবী গোল বলে পূর্ব ও পশ্চীম যেদিকেই রওনা দেওয়া হোক না কেন এক যায়গায় যেমনি মেলে তেমনি বেশী চালাকি আর বেশী বোকামীও এক রকমই হয়।
এসব ঐতিহাসিক ঘটনার আধুনিক ব্যাখ্যা ইসলামিষ্টদের থেকে যা শুনি তাতে আগে যা বলেছি তাতে কোন সংশয় থাকে না। আপত্তিকর হাদীস সে সহি হাদীস থেকে কোট করা হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তবে নিজেদের দাবির পক্ষে যেখানে যেইই লিখে থাকুক না কেন তা হয় প্রামান্য দলিল।
@আদিল মাহমুদ,
সহমত।
কিছু লোককে আপনি কখনোই convince করতে পারবেন না।তারা তাদের বদ্ধমূল বিশ্বাস ও ধারনাকেই আঁকড়ে থাকবে।
সহমত নই!
যুক্তিতর্ক ও রেফারেন্স সহ এসব নিয়ে বেশী বেশী কথা বলার ও লিখার অবশ্যই দরকার আছে, এতে ওনেক লাভ। আমাদের যাবতিয় জ্ঞান ও শিক্ষা কোন না কোন উৎস থেকে সংগ্রিহিত। অন্ধ বিশ্বাস বিরোধী এরুপ তথ্যের আদান-প্রদান বন্ধ হলে যা অবশিষ্ট থাকবে তা হলো “মৌলবাদী” শিক্ষা, আর যার ব্যপ্তি আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিশাল পরিষরে মানুষকে আবদ্ধ রাখার ব্রতে ব্রতী। অত্যন্ত শক্তিশালী একটি Institution যা ৬ হাজারের ও অধিক সময় ধরে চলে আসছে। আমি মুক্তমনার অনেক পুরনো পাঠক, এখান থেকে অনেক অনেক কিছু শিখেছি, এখনো শিক্ষছি।
অভিজিৎ, অপার্থিব, আকাশ মালিক, আবুল কাছেম, ভবঘুরে, সৈকত- এমনি বহু লেখকের লিখা থেকে অনেক কিছু পাঠকেরা জানতে পারছে।, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের অনেকই এ ব্যপারে সোচ্চার হচ্ছেন। প্রচলিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলা ইন্টার-নেট প্রযুক্তিতে অনেক সহজ হয়েছে, বেনামে হলেও নিজস্ব ভাবনা অপরকে জানাতে পারছি (মুন্ডপাত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে গিয়েছে, যদিও সম্ভবনা এখনো প্রবল)। এ সুযোগটা হেলায় হারানো উচিৎ নয়। পরিবর্তন আসছে, আমি আশাবাদী।
তবে সময় লাগবে। হাজার হাজার বছর ব্যাপি প্রতিষ্ঠিত ব্যাবস্হার ‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার’ ভাঙ্গা সহজ নয়।
@গোলাপ,
আপনার কথা ঠিক। যুক্তিতর্কে অবশ্যই ধীরে ধীরে হলেও অনেকেরই ভুল ভাংগবে। তবে সবার এক সাথে এই পরিবর্তন হবে তা আশা করা যায় না।
এক শ্রেনীর লোকের জন্য এই হার খুবই ধীর বা শূন্য, আমি তাদের কথাই বলেছিলাম। তাদের যেকোন ভাবে বোঝালেও কোন লাভ হবে না। বাংগলা বিভিন্ন ব্লগে গেলেও বোঝা যায় যে আজকাল মানুষ ধর্ম বিষয়ে অনেক যুক্তিপূর্ন চিন্তা ভাবনা করে। আগের মত মোল্লা আলেমে কি বলল আর কোন বড়পীর বাবারা কি বই লিখে গেল সেসব চোখ বূঁজে বিশ্বাস করে ফেলার দিন প্রায় শেষ। এ ধরনের এত লোক যে আছে তা নিশ্চিত ভাবেই রিয়েল লাইফে বোঝা যায় না। কারন রিয়েল লাইফে এসব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার বা তর্ক করার পরিবেশ নেই।
@গোলাপ,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রয়োজনীয় ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
@অভিজিৎ,
এ অংশটা লেখায় বাদ পড়ে গেছে।
সততা মানুষের সহজাত গুণ। সততার জন্য কাউকে “বিশ্বাসী” উপাধি দিতে হবে কেন? এরকম নজির আর কি কোথাও আছে? সততার জন্য যদি বিশ্বাসী উপাধি দিতে হয় তবে বর্তমানে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা এগুলোর কর্মকর্তাদের দিতে হবে। এছাড়া আমি আমার আশে-পাশে যাদেরই দেখছি সবাই সৎ, আমি যদি তাদের কাছে প্রচুর টাকা-পয়সা আমানত রাখি তবে আমি নিশ্চিত যে তারা তা খিয়ানত করবেন না। আমানতদারিকে মুহাম্মদের বড় গুণ বলা হয়। একজনকে মন্তব্য করতে দেখলাম-
@সৈকত চৌধুরী,
অসাধারন!
কোরাণ হইল একটা দ্বিতীয় শ্রেণীর গ্রন্হ। সে গ্রন্হে অসংখ্য ভুলের সাথে সাথে একই কথা অপ্রয়োজনীয় ভাবে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। একটা উদাহরণ দেই। চাঁদ, তারা এবং সূর্যকে মানুষের অনুগত এবং সেবা করার জন্য বানানো হয়েছে এই সিম্পল কথাটি কোরানে কমপক্ষে ৮ টি ভিন্ন ভিন্ন আয়াতে বলা হয়েছে। এতো গেলো একই শব্দ ব্যবহারের কথা। আর সমার্থক ভাবে আরও অন্য অনেক যায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। এই হইল অলৌকিক লেখকের আলৌকিক বইয়ের নমুনা। :-Y
শাকির:
7:54 ……. and (He created) the sun and the moon and the stars, made subservient by His command;
13:02 …….. and He made the sun and the moon subservient (to you);
14:33 …….. And He has made subservient to you the sun and the moon pursuing their courses, and He has made subservient to you the night and the day.
16:12 …… And He has made subservient for you the night and the day and the sun and the moon, and the stars are made subservient by His commandment;
29:61 …..And if you ask them, Who created the heavens and the earth and made the sun and the moon subservient, they will certainly say, Allah. Whence are they then turned away?
31:29 …… and He has made the sun and the moon subservient (to you);
35:13 …… and He causes the day to enter in upon the night, and He has made subservient (to you) the sun and the moon;
39:05 …. He makes the night cover the day and makes the day overtake the night, and He has made the sun and the moon subservient
মুক্তমনায় পোস্ট প্রইয়তে নেয়ার অপশন নাই? থাকলে ভালো হতো।
@হোরাস,
আগে এক লেখায় মন্তব্যে বলেছিলাম, কোরানে নাকি ৮২ বার নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতবার বলার প্রয়োজনটা কি ছিল? আল্লায় তো একবার বললেই হত, তাই না?
@সৈকত চৌধুরী,
আগে এক লেখায় মন্তব্যে বলেছিলাম, কোরানে নাকি ৮২ বার নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতবার বলার প্রয়োজনটা কি ছিল? আল্লায় তো একবার বললেই হত, তাই না?
ভাইরে, কোন জিনিস একবার করলে তো আল্লার সাধ মেটে না। মানব বাগান করতে গিয়েই একটার পিছন দিয়ে আর একটা বের করেছে! এখনও করছে। (অন্নান্য প্রাণীর কথা বাদই দিলাম)।
এক আদমে পুসায় নাই, সব আদম এক সাথেও বানায়নাই।
ভাবতে খারাপ বোঝা গেলেও কথা কিন্তু ভুল না। :-/
পুরো লেখাটাই চমৎকার, যুক্তিযুক্ত।
কিন্তু হায়! ধার্মিকে না শোনে যুক্তির কাহিনী।
যুক্তি মানলে আল্লাহর দুনিয়ায় ধর্মবিশ্বাসী বলে কোনও প্রাণী থাকতো না।
সেটাই।
অন্ধ আরবিভক্তি প্রসঙ্গে একটা আইডিয়া মাথায় এলো: আরবীয় রসময় গুপ্তের যে কোনও একটি বইয়ের রগরগে বর্ণনাসমৃদ্ধ ছবিহীন একটি পাতা ছিঁড়ে লোকসমক্ষে ফেলে রেখে তাদের আচরণ হিডেন ক্যামেরায় তোলা যেতে পারে 😉
@নির্ধর্মী,
:hahahee: :hahahee:
@লীনা রহমান,
:lotpot:
খুব ভাল লাগল সৈকত ভাই।
আমার কাছে সবচেয়ে মজাদার যুক্তি মনে হয় এ যুক্তিটাকেঃ
মোহাম্মদ বলেছেন কোরান সঠিক, কোরান বলেছে আল্লাহ সঠিক, আল্লাহ বলেছেন মুহাম্মদ সঠিক।
“কোরান যখন সুর করে পড়া হয় তখন তা বিশ্বাসীদের আবেগে সুড়সুড়ি দেয় তাই তারা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। কোরানের সুরে ইচ্ছে করলে আরবি গালিও পাঠ করা সম্ভব ”
এই উদ্ধৃতিটা শতভাগ খাঁটি। একটা ঘটনার উল্লেখ করি, আমাকে একবার ছোট্ট একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বাধ্য হয়ে মুনাজাত পরিচালনা করতে হয়, তো আমি মুনাজাতের দোয়া সুরা এগুলো অচর্চার কারণে অধিকাংশ ভূলে গিয়েছিলাম, বোধের মধ্যে শেকঢ় গেড়ে বসেছে: বিশ্বাসের চাইতে যুক্তি বড়, তো এই অবস্থায় একটা আরবী গালী মনে পড়ে গেল যেটা আমাকে আমার এক সৌদী প্রবাসী আত্মীয় শিখিয়েছিলেন তা এরকমঃ আনা উদখুলুল হাফসী ফি উম্মিক, আনা নিক উম্মি আনতি; কুসুমমুক। মুনাজাতের শেষাংশে এটা জোর দিয়ে পড়লাম, এর মধ্যে কয়েকজন আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ; এই তরুন বয়সেও ধর্ম-কর্ম বজায় রেখেছে ইত্যাদি..। সে যাই হোক অই আরবীর প্রথম অংশটার মানে ছিল: তোর …জননীরে…. চু……, পরের গুলো আরো খারাপ। 😀
এরকম আরো যুক্তিপুর্ণ লেখা চাই।
@আলী রেজা,
জব্বর মন্তব্য করেছেন ভাই। আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে গেছে।
@আলী রেজা,
নায়ুজুবিল্লাহি মিন জা-লিক
সুম্মুউন বুকমুন উময়ুন (আপনাকে নয়)
ফাহুম লা-ইয়ারজিয়ুন
(They are deaf, dumb and blind. They will not return to truth)
@আলী রেজা, নিক শব্দটার অর্থ কি? এটাই নাকি নায়েক শব্দের রুট? তাইলে জাকির নায়েকের নামের অর্থটা কি দাড়ায়?
@আলী রেজা,
মুখস্থ করে রাখলাম, কাজে লাগতে পারে 😛
কোরানে বিজ্ঞান আবিষ্কার নিয়ে কথা বলতে বলতে আমি আজকাল ক্লান্ত বোধ করি। তাই এখন চিন্তা করছি একই কায়দায় লালন গীতি রবীন্দ্র সংগীতেও বিজ্ঞান আবিষ্কারের প্রজেক্ট নিয়ে মাঠে নামব।
কোরানের অনেক আয়াতই রূপক যার মানে আল্লাহ ছারা কেই জানেন না কথাটা প্রায়ই শুনি, একটি আয়াতও আছে এ নিয়ে। সেটা হতে পারে। তবে কোন আয়াত রূপক কোন আয়াত রূপক না তা বোঝার কি উপায়? কোরানে তো তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই। এর জবাব কি হতে পারে? আল্লাহ ইচ্ছে করে এত বড় একটা কনফিউশন কেন রেখে দিলেন? আমি আদম হাওয়া, নূহ নবীর বয়স, মেরাজের কাহিনী রূপক দাবী করতে পারি না?
কোরানের অমূক আয়াত মানসুখ হয়ে গেছে, আপনাআপনিই বাতিল হয়ে গেছে এমন আজকাল প্রায়ই শুনি। যদিও এমন যুক্তি মনে হয় কোরানের মূল স্পিরিটের সাথে পরিপন্থি। কোরানের সব আয়াত নাকি সব যুগের সব মানুষের জন্য অবশ্যই পালনীয়। তার সাথে এই বাতিল হওয়া কিভাবে মেলানো যায়? মেলানো যায় কেবল মাত্র একভাবে যদি কোরানেই আল্লাহ বলে দিতেন যে এই এই আয়াত বাতিল করে দেওয়া হল কোন বিশেষ কারনে। আল্লাহ হয়ত ট্রায়াল এরোর করে দেখছিলেন তা হতে পারে, হয়ত নিজেই বুঝতে পারেননি যে আগের নির্দেশনায় সমস্যা ছিল। কিছু আয়াত আছে যেগুলি কেবল নবীজির জন্য নাজিল হয়েছে সেগুলি বাদে আর কোন আয়াত বাতিল তা মানুষের সাহায্য না নিয়ে কেবল কোরান থেকে কিভাবে জানা সম্ভব? এই ইচ্ছেমত বাতিল করাকে খোদার উপর খোদগারি করা বলা যেতে পারে না?
জাকির নায়েক দেখলাম দাসীর সাথে সেক্স করা বিষয়ক আয়াত সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবেও এই আয়াত আজকের দিনে আর কার্যকরি নেই বলে মত দিয়েছেন। প্রশ্ন হল, এটা কি কোরান পড়ে উনি জেনেছেন, নাকি কাফের নাসারারা দাস প্রথা খারাপ সেই ধারনা প্রথম আনার কারনেই জানতে পেরেছেন? এত বড় অমানবিক ব্যাপার কোরানে কেন সরাসরি বাতিল না করে তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এর জবাব কি? আল্লাহ মানুষের ভরসায় ছিলেন যে তারা আরো ১০০০ বছর পর এই আয়াত বাতিল তা সিদ্ধান্ত নেবে? কোরানের মহাত্ম তাহলে আমি কিভাবে বুঝি?
মুশকিল হল এতদিন বলপূর্বক চেপে রেখে, জোড়াতালি দিয়ে কেবল নিজের দাবীর পক্ষেই যায় এসব এক তরফা প্রচার করা যাচ্ছিল। ইন্টারনেট আসার পর এতে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ এসেছে। পাল্লা দিতে বাড়াতে হবে উদ্ভট যুক্তি, কোরানে বিজ্ঞান আবিষ্কার। এখন তাই জ্বীনেরও পার্টিক্যাল ফিজিক্স ব্যাখ্যা হাজির হচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
কোরানের আয়াতের কার্যকারিতা নির্ধারনের দায়িত্ব বা অধিকার তাঁকে কে দিলেন? কোরানের আয়াত দিয়েই তো এই ব্যাক্তির ভবলীলা সাঙ্গ করিয়ে দেওয়া সম্ভব। :laugh:
আছেন কোন মুমিন মুসল্লী ভাই, যে এই গুরু দায়িত্ব হাতে নেবেন?
@তুহিন তালুকদার,
সেটাই তো আমার কথা।
খোদার উপর খোদগারি করার এই রাইট তাদের দিল কে? এনাদের কল্লা চেয়ে কেন ফতোয়া দেওয়া হয় না 🙂 ?
@আদিল মাহমুদ,
একজন মানুষ আপনাকে এত করে ব্যাখ্যা করলো যে, ইসলামের দাসপ্রথাই বিবর্তনের পথ ধরে দাসত্ব থেকে চাকুরি হয়েছে। জ্বীনের অস্থিত্ব নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেখালেও আপনি মানেন না, ব্যাপারটা কী সাহেব?
@আকাশ মালিক, :laugh:
ঈমান কম বলে কথা।
@আদিল মাহমুদ,
আমি ইতিমধ্যে তা শুরু করে দিয়েছি। লালনের এক বিখ্যাত গানের মধ্যে ব্যাপক বিজ্ঞান আবিষ্কার করে বিকট বিস্ময়ে নিজেকে বিপন্ন করে তুললাম 😥 । “চাঁদের সাথে চাঁদ লেগেছে” গানটি নিশ্চয় শুনেছেন, কিন্তু এর মধ্যকার বিজ্ঞান ধরার হিম্মত কয়জন মানুষের হয়? 😕
লালন মারা গেছেন ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ অক্টোবর। দেখেন কত আগে, এমনকি কোরানেও পাবার আগে এখানে তিনি অতি স্পষ্টভাবে, দ্ব্যার্থহীন ভাষায় সময়ের আপেক্ষিকতার কথা , টাইম মেশিন যেগুলো নিয়ে আমরা আজকের যুগে ভাবতে পারছি তার কথা বলেছেন। চাঁদের সাথে চাঁদ লাগার বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য বুঝতে হলে সম্ভবত আমাদের ভবিষ্যত জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির দিকে তাকাতে হবে, হতে পারে এটি রুপক :-/ । গানটি হল –
চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে
আমরা ভেবে করব কি।
ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম;
তারে তোমরা বলবে কে।
৬ মাসের এক কন্যা ছিল
৯ মাসে তার গর্ভ হল;
১১ মাসে তিনটি সন্তান
কোনটা করবে ফকিরি?
ফকির লালন ভেবে বলে:
ছেলে মরে মাকে ছুঁলে,
আবার এই কয় কথার অর্থ নৈলে
তার হবে না ফকিরি ..
গানটি শুনি –-
httpv://www.youtube.com/watch?v=nKoQFK2EzWI
গানটি লালনের রচিত নাকি অন্য কেউ এটি তাঁর উপর নাজিল করেছে তা নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক(সত্যিই বিতর্ক রয়েছে)।
@সৈকত চৌধুরী,
সম্পূর্ন একমত।
খর বায়ু বয় বেগে– এই সামান্য কটি কথার মাঝে কবিগুরু সেই যুগেই বিজ্ঞানের কত গুঢ় তত্ত্ব, ভবিষ্যতবানী করে গেছিলেন তা ভাবলেই আমার গায়ে কাঁটা দেয়।
এখানে আসলে উইন্ড পাওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উতপাদনের কথা উনি বলে গেছেন। আজ আমরা আধুনিক কালের গবেষনায় জানতে পেরেছি যে বায়ু কেবল মাত্র বেগে বইলেই তা থেকে বিদ্যুৎ উতপাদন সম্ভব, নইলে নয়। সে আমলে উনি উইন্ড মিলের সাহায্যে বিদ্যুৎ কিভাবে চিন্তা করলেন?
এছাড়া খর শব্দটির সংস্কৃত আদিমূলে (রেফারেন্সঃ আচার্য নাস্তিকারত্ম গবেষক গবচন্দ্র মহারাজের অনুবাদ) দেখতে পাবেন যে খর এর অর্থ হল এসিড। কবিগুরুর আমলে বাতাসে এসিড রেইনের কথা কেউ চিন্তাই করতে পারেনি। অথচ আজ শিল্পান্নয়নের ফলে বিশ্ব এই এসিড রেইন থেকে কি মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মূখীন।
কবিগুরু কি ভাবে ১০০ বছর আগে এসব জানলেন? অলৌকিক ক্ষমতা ছাড়া আমি তো আর কোন ব্যাখ্যা পাই না।
এরপর ধরেন জল পড়ে পাতা নড়ে – আপাত চোখে নি নিরীক অর্থহীন শিশুতোষ ছড়া। কিন্তু সামান্য ভেবে দেখলেই বোঝা যায় যে এর মাঝে আধুনিক এপ্লাইড সায়েন্সের কি গুঢ় ইংগিত উনি দিয়ে গেছেন। আমার তো পরিষ্কার মনে হয় যে এখানে উনি জলের শক্তির ইঙ্গিত করেছেন। জল পড়ে পাতা কেন নড়বে? জলের শক্তি আছে বলেই তো, নাকি? অর্থাৎ, এই ছড়ায় উনি হাইড্রো পাওয়ারের কথা বলে গেছেন।
দূঃখের বিষয় হল আমরা অলস বাংগালৈ জাতি এসব বুঝে বুঝে পড়লাম না, গবেষনা করলাম না, অথচ আজ ভারতীয়রা তার এসব ছড়া থেকে বিজ্ঞান আবিষ্কার করে কত এগিয়ে গেছে। এমনকি আমাদেরই ফারাক্কা টিপাইমুখ এসব বানিয়ে হুমকির দিচ্ছে 🙁 ।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
উনি? উনি কে? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিরচিত এই বৈজ্ঞানিক মহামন্ত্রের যাবতীয় কৃতিত্ব চুরি করবার অপচেষ্টা রবীন্দ্রীয়ানী ঠাকুর-ফেকদেরই শোভা পায়। এখনও সময় আছে, তওবা পড়ে ঠাকুর-ফেকি ছেড়ে দিয়ে “ঈশ্বর”-এর চরণে আত্ম-সমর্পণ করুন।
@রৌরব,
এই হল আপনাদের দোষ। আগেই জানতাম যে পাক পবিত্র ছড়ায় বিজ্ঞান আবিষ্কার আপনারা নাস্তিক মুশরিকেরা সহজভাবে নিতে পারবেন না, নানান ছলছূতা বের করে ঈমান্দারদের বেপথে নেবার চেষ্টা করবেন।
আপনাদের জন্য ভয়াবহ পরিনতি অপেক্ষা করছে। এত প্রমান দেখানোর পরেও যদি অস্বীকার করেন তো আর কি বলব?
@আদিল মাহমুদ, সৈকত চৌধুরী,
আপনাদের দুজনের রাবীন্দ্রিক ও লালনীক রুপক সৃস্টির ইতিহাসের এই প্রজেক্টটির সাফল্য কামনা করছি। আশা করছি এই প্রজেক্ট ভবিষ্যতে আমাদের জন্য ব্যাপক বিনোদনের উৎস হবে। ওফ, কোরানিক রুপকের বিনোদন নিতে নিতে ইতিমধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছি। :-X
@আদিল মাহমুদ, @রৌরব
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@লীনা রহমান,
দেখেন সাম্রাজ্যবাদের পেইড এজেন্ট রৌরব আমার মূল যুক্তিতে কিন্তু বিন্দুমাত্রও ফাঁক বের করতে পারেননি। সেটা না পেরে উনি কি সব ঈশ্বর ফিশ্বর টেনে ত্যাঁনা প্যাঁচাতে চাইছেন। আরে এত জ্ঞানী হলে ভূয়া নাম ছেড়ে আসল নামে আমার যুক্তির কাউন্টার দিন না দেখি?
এসব বেনামী ফেক নামধারীদের দৌড় জানা আছে। এদের পার্শ্ববর্তি একটি রাষ্ট্র নিয়োগ দিয়েছে একটি বিশেষ সাহিত্যের ধারাকে প্রমোট করার জন্য। পেছনে আছে আরো বড় শক্তি। এদের সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
সাবধান। আমরা “ঈশ্বর”-বিশ্বাসীরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, কিন্তু “ঈশ্বর”-এর অপমান হলে কিন্তু ঘাড়ে মাথা রাখব না। আপনার জন্য পরকালে কি অপেক্ষা করছে আশা করি জানেন। কবরে আপনার দুঘাড়ের ওপর বসে টাকমাথা পৈতে পরা দুই পুরোহিত অনবরত জিজ্ঞেস করবে “বল্ বেটা জল পড়ে পাতা নড়ে কার লেখা”, আপনি কিছুতেই সে প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না, আর না পারলেই আপনার মুখে তাজা তাজা গোবর ঠেসে দেয়া হবে।
@রৌরব,
পরবর্তি অধ্যায়ে “পাখী পাকা পেপে খায়” এ বাক্যের অভ্যন্তরের জটিল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা হবে।
আপনার পরকাল বিষয়ক জ্ঞান একেবারেই শূন্য বুঝলাম। ইশ্বর চন্দ্র ভক্তদের ফিক সাইট পড়া বিদ্যা আর কতদুর হবে? পৈতে পরা পুরোহিত ঠিকই আছে, তবে তারা জিজ্ঞাসা প্রথম সওয়াল জবাব শুরু করবে এই “পাখী পাকা পেপে খায়” থেকেই।
@আদিল মাহমুদ, “আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা……।।” এটা ১০০% বৈজ্ঞানিক একটা লাইন। ফুল তুলে মানুষ কি করে? প্রথমেই ব্যাবচ্ছেদ করে, অমরাবিন্যাস খেয়াল করে, দল কয়টা, বৃতি কয়টা গোনে, মাল্ভেসি না সোলানেসি পরীক্ষা করে।
Another research of mine – http://www.facebook.com/note.php?saved&¬e_id=10150307742805154#!/note.php?note_id=10150307742805154
মানুষ facebook এ যে স্ট্যাটাস দেয়, সেটাও বৈজ্ঞানিক।
@আদিল মাহমুদ, :hahahee: :lotpot: :yes:
আমার মনে হয় মুসলিমদের কোরানের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসকে আলাদা ভাবে না ভেবে, এই অন্ধ বিশ্বাসের ভাইরাল ব্যাধি যে সব ধর্মেই আছে, সেই ব্যাপার গুলোকেও প্রকাশ করা হোক। ইসলামে খোদার খাসিদের পার্সেন্টেজ বেশী-কিন্ত খোদার খাসিরা সব ধর্মেই বিরাজমান।
এই ব্যাপারগুলো ঠিক যুক্তি তর্ক দিয়ে যাবে না। যেকোন সুস্থ লোক কোরান পড়ার পর, সেটিকে যদি আল্লা প্রেরিত বলে দাবি করে সে হয় বুদ্ধিহীন বা ধর্মভূরুতার কারনে তার লজিক্যাল ব্রেইন কাজ করছে না। অর্থাৎ ছোটবেলাতে পারিবারিক শিক্ষার কারনে তাদের পার্মানেন্ট ব্রেইন ড্যামেজ হয়েছে। এই ধরনের ধার্মিকতাকে মানসিক রোগ হিসাবেই দেখা উচিত। ধর্মভীরুতা ব্যাপারটাই একটা মানসিক রোগ।
তার মানে আমি বলছি না জীবন জিজ্ঞাসা বা আধ্যাত্মিক চিন্তার অবকাশ কোরানে নেই। কোরানেও বেশ ভাল কিছু চিন্তার আধার আছে যা তৎ কালীন কিছু বিজ্ঞ ঋষিরাই লিখে গেছেন। সেগুলো নিয়ে মুসলিমরা চর্চা করলে এবং খুশী থাকলে, নিশ্চয় ভাল ব্যাপার।
@বিপ্লব পাল,
কুরানে এত আপত্তিকর আয়াত আছে যে সেই গ্রন্থে চিন্তার খোরাক বিশেষভাবে খোঁজার কোন অবকাশ আমি রাখিনা। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।
@লীনা রহমান,
এই ব্যাপারে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন।
পড়ে ভালো লাগলে পুরো সিরিজটিই পড়ে দেখতে পারেন।
@তুহিন তালুকদার,
ধন্যবাদ। ধর্মকারীর এই সিরিজটি অ-সা-ধা-র-ণ।
@তুহিন তালুকদার, আমি ধর্মকারীর নিয়মিত একজন পাঠক। আমার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে যেই দুইটা জিনিসের জন্য কাইন্দা মরি সেগুলা হইল মুক্তমনা আর ধর্মকারী। ধর্মকারী তো সেইরকম জায়গা।আমার অতিইইইইইইইইই প্রিয়। 😀
এখন বুঝছেন বুড়া বয়সে হজ্ব আমার জন্য কেন ফরজ??? 😉
ওহ! কি খাসা একখানা লেখা। এই লেখা পড়ার পর মানুষ আর মুসলিম থাকবে কি করে? সবাই ইসলাম থেকে বেড়িয়ে আসুক। আসতেই হবে।এই রকম লেখাই তো দরকার।বেশি বেশি করে লিখুন, এবং আরো সত্য সবাই কে বলুন।মানুষকে সরাসরি বলতে হবে,সরাসরি পথে নেমে বলুন তাহলেই সবার বোধ আসবে। এরকম লেখা তো শুধু ইনার সার্কেল নাস্তিকদের মাঝে রাখা পাপ।পথে ঘাটেও শুনতে চাই এরকম কথা।বলবেন?
@Theist,
বলতে পারলে নিশ্চয়ই মন্দ হত না। তবে, তাতে মুমিন মুসলমানেরা ঈমানী জোশ সামলাতে না পেরে, মাঝ রাস্তায় বক্তাকে ধরে আল্লাহর নামে কতোল করে দিলে? ধার্মিকেরা তো যুক্তিযুক্ত সমালোচনা, বিদ্রুপ, ব্যঙ্গ ইত্যাদিকে বরদাশতই করতে পারে না। আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলা কাফেরকে হত্যা করলে বেহেস্ত তো confirm-ই, উপরন্তু খুশীর আধিক্যে আল্লাহ তাঁর পেয়ারের খুনী বান্দার জন্য বরাদ্দকৃত হুরের সংখ্যাও বাড়িয়ে দিতে পারেন।
এমন সুবর্ণ সুযোগ কোন ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসল্লী হাত ছাড়া করতে চাইবে না।
@Theist,
কি ব্যপার ভাই, আপনি মনে হয় একেবারে থ খেয়ে গেছেন। আপনার কোন যুক্তি নেই একেবারে? আপনার মন দিল একটু খোলা রেখে কোরান পড়ে আপনিও ঠিক একই রকম লেখা লিখতে পারবেন। আর দেখবেন ছোট বেলা থেকে কোরান সম্পর্কে যা বিশ্বাস করে এসেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা।
তোমার লেখাটি অন্ধকার মনোভাবাপন্ন মানুষের জন্য চিন্তাজাগানিয়া লেখা।
ভালো থেকো।
দারুণ লিখেছেন সৈকত ভাই!
@তানভীর চৌধুরী পিয়েল,
অনেক শুভেচ্ছা। তোমাকে দেখে ভাল লাগল।
লেখাটা আসলেই ভাল হয়েছে। যুক্তিগুলো হয়েছে ক্ষুরধার। তবে একটা বিষয় উল্লেখ করতে বোধ হয় ভুলে গেছেন। তা হলো- আপনি যখননই কোন মোল্লাকে কোরান বা হাদিসের স্ববিরোধিতার বিষয়ে প্রশ্ন করবেন- তারা প্রথমেই বলবে- এ ধরনের প্রশ্নে ইমান নষ্ট হয়ে যায়। পরিনামে জাহান্নাম। তার মানে – প্রশ্ন করারই সুযোগ নেই। এই হলো ইসলাম। তাই ইসলাম অর্থ হলো- submission. কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই নিজেকে আত্মসমর্পন করতে হবে, তাহলেই আপনি হবেন মুমিন বান্দা। পুরস্কার হলো- কেয়ামতের পর ৭২ টা হুরের সাথে বেহেস্তে পরমানন্দে অনন্তকাল সহবাস।
প্রথম পর্বটা পড়লাম গতকাল। ২য় পর্বটা বেশি ভাল হয়েছে। আপনার এই সিরিজটা তো মাস্টারপিস এক্কেবারে। :yes।।
এই একই বিষয়গুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা জায়গায় পড়েছিলাম। একসাথে দেখে ভাল লাগছে।
এ প্রসঙ্গে আমার মায়ের কাছে শোনা একটি মজার কাহিনি বলি। আমার নানীর বাড়ি থেকে একটু দূরের পাড়ায় একবার একজন মারা গিয়েছিল আর আম্মুরা তাকে দেখতে গিয়েছিল। কেউ মারা যাবার পর অবধারিতভাবে অনেকবার কুরান খতম(!) দেয়া হয়। সে বাড়িতে মানুষজন বেশির ভাগই কুরান ভাল পড়তে পারতনা(গ্রামের অনেক মানুষই এটা জানেনা কিন্তু কুরানের কথা শুনলে বা কারো তেলাওয়াত শুনলে কেঁদে বুক ভাসায়)। যাহোক দেখা গেল ছোট একটি মেয়ে (যার নাম উকুনী (!)) কাঁদতে কাঁদতে খুব সুর করে নিচুস্বরে কুরান তেলাওয়াত করছিল আর আশেপাশের বুড়ি ও মহিলারা সব কেঁদে বুক ভাসাচ্ছিল। তখম আম্মু তার পাশে বসে সে কি পড়ছে তা জেনে হতভম্ভ হয়ে গেল। সে পড়ছিল “উমমম (সুরের টান) নানীগর বাড়িত যায়াম, আম দিয়া দুধ দিয়া খায়াম…” :lotpot: :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@লীনা রহমান,
আপনার এ মন্তব্যটি সবচাইতে জম্পেস হয়েছে।
@লীনা রহমান,
আপনার লেখা পড়ে হাসব নাকি কাদবো বুঝতে পারছিনা। :lotpot:
এই প্রসঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা বলি,আমার খুব কাছের এক আত্মীয় মারা গিয়েছেন। অবধারিত ভাবেই কুরান পড়া ফরজ এবং তা নাকি মৃত দেহের পাশে আপনজনেরা পড়লে আরো ভালো হয়। আমাকে নিয়ে অনেক টানা টানি হল। না পেরে আমার কন্যাকে টেনে নিয়ে গেলো। বেচারি মাত্র আমসিপারা পড়ে তখন
ভয়ে কি যে পড়ল কে জানে।উফফ কি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। এমনিতেই লাশ দেখে বাচ্চা মানুষ ভয় পেয়েছে,তার মাঝে এই জুলুম। কি করা এই বিচিত্র দুনিয়াতেই বাস করি যে আমরা।
@লীনা রহমান, :laugh:
@লীনা রহমান,
বাংগালীর হাসির গল্পে এমন একটা গল্প আছে। “গুরু ঠাকুরের গীতা পাঠ”।
মূল কথা এক দুই নম্বর গুরু ঠাকুর নমঃ শুদ্রদের গ্রামে গীতা পাঠ করে দুটো পয়সা হাতাতে গেছে। সে আসলে সংস্কৃতও কিছুই জানে না। সে এক পুরনো চটি পত্রিকা খুলে গুরুগম্ভীর সুরে সুর করে পড়ে, “কিয় ক্ষিয় ঘিয়।।” সাথে চোখের পানি মোছে। সাথে সাথে উপস্থিত নমঃ শুদ্ররাও চীতকার করে চোখের পানি ছেড়ে ভক্তিতে কাঁদে 🙂 ।
মোল্লা মুনশীদের প্রায়ই শুনতাম ওয়াজের ফাঁকে আহবান জানাতে, দুই ফোঁটা চোখের পানি ফেলেন সবাই। তাতে কাজও হত। কষ্ট করে হলেও সোয়াবের আশায় চোখের পানি ফেলতেন অনেকেই। অনেককে মসজিদে মিলাদেও দেখতাম অনেক কষ্ট করে চোখের পানি ফেলছেন পরিষ্কার বোঝা যেত। একজনকে দেখতাম নিয়মিত উঁ উঁ করে কান্নার শব্দ নকল করতে। কত বিচিত্র মানুষ আমরা।
@আদিল মাহমুদ, আমার কেন জানি কখনোই নামাজে বা মোনাজাতে কান্না আসতনা। এজন্য এক সময় নিজেকে অপরাধী মনে হত, মনে হত আমার ঈমান এত দুর্বল আল্লাহ তো আমাকে মাফ করবেনা। এমন মনে করার আরেকটা কারণ হল আমার মনে অনেক ছোটবেলা থেকেই সংশয়বাদী চিন্তা ঘুরত। কিন্তু ওগুলো ভাবতেও তখন ভয় পেতাম আর আল্লাহকে বলতাম আমাকে সঠিক পথ দেখাতে। আল্লা সঠিক পথই দেখিয়েছেন অবশেষে 😉
@লীনা রহমান,
জাহান্নামে আপনার জন্য টিকেট কনফার্ম হয়ে গেছে। :laugh:
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
রুশদী ‘সজীব আকিব’ বললেন কেন? সজীব ও সৈকত কি একই লোক?
@মিথুন, একমোদ্বিতীয়ম।
বিষয়টি বেশ কঠিন, আরো লজিক্যাল ও তথ্যবহুল লেখা চাই। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
খুব ভাল লাগছে লেখাটা। পুরোটা এখনো খুঁটিয়ে পড়তে পারিনি। কতগুলো কথা খুব হাসিয়েছে।যেমন-
যে লোকের উপর এক্সপেরিমেন্টটা চালালেন ,পরে কি তাকে বলেছিলেন তার উজবুকির কথা?
মোক্ষম কথা। তারপরও বুঝিনা কেন সব ধর্মের সর্বজ্ঞ ঈশ্বরেরা ভাষার এতো বহ্বারম্ভ করেন?? :-/
ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। :rose:
হাসতে হাসতে শ্যাষ সজীব আকীব ভাই।
এখানে যেহেতু লেজওয়ালারা মন্তব্য করেন না বা খুবই কম করেন,আমি তাদের হয়ে কিছু “আধুনিক” কোরাণীয় ব্যাখ্যা দিলাম।
আল্লাহর নুরই এই দিনের উৎস। এখন আপনি বলতে পারেন,তাহলে দিন থাকলে রাত ছিল কি?
নিশ্চয়ই ছিল,আল্যা যখন চাদর গায়ে ঘুমাতেন,তখন নুর ঢাকা পড়ে রাত নেমে আসত।
আর পানির ব্যাপারটা বলে লজ্জা দিবেন না,আল্যার কিডনী ছিল বলেই মনে হয়……. 😀
দেখেন,আল্যার বাণী কিন্তু বিজ্ঞান ভিত্তিক। আকাশে আসলেই ফাটল ছিল না,কিন্তু ইহুদী নাসারা মালাউন গোষ্ঠী আল্যার সাথে নাফরমানি করে সেই আকাশ ফুটো করে দিয়েছে,আবার একে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট বলে চালাচ্ছে।
হে,হে,হে,একেই বলে অবিশ্বাসীর শাস্তি! দ্যাখেন,সেই মানতেই হলো যে আসমান স্তর বিশিষ্ট,সাত না হলেও কাছাকাছি তো বটেই।বেম কটি স্ফিয়ার নাসারা ইহুদীরা নির্ণয় করেছেন,আর বাকীগুলি মুমিন কোরান বিজ্ঞানীর জন্য সরক্ষিত আছে। তবে সব থেকে উপরের স্তরটি আমিই আবিস্কার করিয়াছি,এবং এর নাম দিয়াছি “আল্যাস্ফিয়ার”।
না,এই অবিশ্বাসী মুরতাদদের নিয়ে আর পারা গেল না। ওরে ভাই,বোরাকের ক্ষমতাটা জানেন তো? তো প্রতি ফেরেস্তাকে ওই বোরাকের একটা ভার্সান দেওয়া হত,আ্যাভাটারে যেমন প্রাইভেট পাখী ছিল।এবার নাছারা কম্পিউটারে হিসাব করে কনওড়া সম্ভব কিনা।
নাউযুবিল্লাহ,আল্লা কি তার দোস্তের জন্য এটুকু করতে পারেন না? ময়ুরাক্ষী,তুমি দিলে নামক বইটা পড়বেন,দেখবেন সেখানে দোস্তের জন্য একজন নারী কি দিয়েছে।
না,আর না। এখনই একবার অযুপূর্বক ৫০ রাকাত নমাজ পড়ে নিই। এই মুরতাদী ব্লগের ওপর আল্যার লানত পড়ুক,আল্যার আরশ কেপে উঠুক,আর এর সার্ভারে কঠিন একটা রুটকিট ঢুকায়ে দাও আল্য,আমিন।
@রুশদি,
দারুন বিদ্রুপাত্মক হাস্যরস। মহান আল্লাহতালার যদি কিডনির পাশাপাশি ব্রেন আর হার্ট বলে কিছু থাকে তো আপনার উপর তাঁর লানত অবশ্যই পড়বে।
:hahahee:
ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। :clap2:
@রুশদি,
আরে সজীব আকীব না, সৈকত। ওইখানে দেয়ালে কিন্তু আমার নামটা লেখা রয়েছে 🙂 ।
আপনাকে দেখে খুশি হলাম। মুক্ত-মনায় আপনার লেখা কামনা করছি। Why I am not a muslim বইটির অনুবাদ কি পর্যন্ত এগিয়েছে? শেষ হয়ে গেলে বলবেন, মুক্ত-মনায় ওটাকে ই-বুক আকারে রেখে দেয়া যেতে পারে।
আর কোরান নিয়ে লেখার সময় গুরুগম্ভীর উপায়ে লেখার উপায় নেই, কিছুক্ষণ পরেই হাসি উপছে পড়বেই। ধর্মকারীর জিজ্ঞাসা – কোরানের বাণী, কেন এত ফানি? 🙂
@সৈকত চৌধুরী, আমি জানি তো,আপনি সৈকত। মজা করে লিখলাম।
মাঝে কিছু সময় নেটে দিতে পারি নি।আপনি বললেন বলে উৎসাহ পেলাম। দেখেন না,আজকেই একটা পার্ট নামিয়ে দিলাম।এখানে ক্লিক করে Why I am not a Muslim এর অনুবাদটি পড়তে পারবেন। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি পার্ট লিখতে চেষ্টা করব।
কোরানের বাণী যে খুবই ফানি,তা তো আমি জানি,কিন্তু কিছু মুসলিম গুণী জ্ঞাণী,দাবী করেন ধরে তালগাছখানি,কোরানে নাকি বিজ্ঞানের খনি।
@রুশদি,
Why I am not a Muslim এর অনুবাদটি মুক্তমনায় না দেয়ার জন্যে আমি আপনার উপর যে বেজার হইলাম, তা জানাইয়া গেলাম। শুধু তা’ই নয় কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ এর বিচার করবো কইলাম।
‘যে সত্য বলা হয় নি’ বইয়ের বেশ কিছু যায়গা জুড়ে ইবনে-ওয়ারাক আছেন। বহুদিন পূর্বে আমার প্রীয়ভাজন অনন্ত বিজয় দাস বইটির অনুবাদ করার অনুরুধ করেছিল। সময়ের অভাব, শারিরিক দূর্বলতায় আমি তাতে সায় দেইনি, আর করলেও আপনার মত অবশ্যই পারতামনা। অনুরুধ করবো সবগুলো পর্ব একত্রিত করে ই-বুক বানিয়ে নিন।
@আকাশ মালিক, আসলে এই অনুবাদটি মুক্তমনায় না দেওয়ার ২ টি কারণ আছে,প্রথমত; আমি দুই-তিন পৃষ্ঠার বেশি অনুবাদ একসাথে করতে পারছি না।তাই সিরিজটি শতাধিক পর্বে হওয়াই স্বাভাবিক। এক বই নিয়েই একশ পোষ্ট দেওয়া মুক্তমনার পক্ষে মনে হয় খুব উপকারী হবে না। দ্বীতীয়ত; আমি একটা Why I am not a Muslim অনুবাদ করতে গিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছি,আর এর সাথে যদি Why I am not a (Christian,Hindu,Buddist,Jew,Shikh,Zorathrostian) এই গুলো অনুবাদ করা লাগে,তা হলে আমি আর আমার মাঝে থাকবো না। কেন বললাম এই কথা? নিচে দেখেন,একজন হেভিওয়েট ইলেক্টোম্যাগনেটিক্যাল ব্যালেন্স নিয়ে হাজির হয়েছেন,আরও কিছু হেভিওয়েট ওনার মনোভাবসম্পন্ন,তাদের মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। ইসলাম ‘ব্যাশিং’ লেখা নাই বা দিলাম,মনে করছি একটা ছোটগল্প দিয়ে শুরু করব হালখাতা।
‘যে সত্য বলা হয়নি’ তে যে আপনি ওয়াকফের বই এর সাহায্য নিয়েছেন,তা আমি দেখেছি। তবে আপনি তো খুবই অল্প পরিমানে নিয়েছেন,আমি পুরোটাই দিচ্ছি। আপনার বইটি কি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হবে? না হলে ইন্ডিয়া থেকে করার চেষ্টা করতে পারেন,বইটি আসলেই দরকার।সাধারন ধমর্ভীরু মানুষের জন্য দরকার।
কিয়ামতের দিন আল্লায় আমার বিচার করব না,আমি তো শেষ জীবনে হজ্জ করমু,আর শিশুর লাহান হইয়া হুর লইয়া পুতুল খেলমু।
@রুশদি,
আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য ধর্মপালন সহজ করে দিয়েছেন একথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বলেই মুক্তমনায় আসার সাহস পাই। বুড়া হইয়া আমারো আপনার মত একই মতলব।আমরা সবাই একত্রে যামু। ঠিকাছে? :rotfl:
@লীনা রহমান, একটা কথা চুপিচুপি বলি,যে যতই ফালাফালি করুক না কেন,আমি নিশ্চিত ইনিংস ডিক্লেয়ারের আগে সবাই পানি পান করবে অর্থাৎ মরার আগে হজ্জপূর্বক তওবা করে হুরী সুরীর নিশ্চয়তা নিয়ে তাই আউট হবে।মুক্তমনায় যত মুসলিম নাস্তিক আছে,আমি মোটামুটি শিওর সবাই আল্লাপ্যাঁক প্রদত্ত এই ক্রাকটি জানে বলেই সুযোগটি নিচ্ছে।শেষ জমানায় সবাই টুপি আর দাড়ি হবে।
এখন আপনি আমার সাথে বেহেশতের ট্যুরে সঙ্গী হলে ভ্রমনটা ভাল হলেও পরিণামে একটু সমস্যা আছে–আমি হুরী পেলেও আপনার জন্য এ ধরনের কিছু নেই বলেই জানি। তবে আপত্তি না থাকলে আমার হুরীবাহিনীর সর্দারনী হতে পারেন,চলবে?? 😀
@রুশদি,
এইটাই তো দুঃখ। আপনাদের তো মজাই, দুনিয়েতেও মজা মারলেন পরেও মজা মারবেন…আমরা তো আজীবনের বঞ্চিত রইলাম 😥 😛
@লীনা রহমান, নাফরমানী করিবেন না,আল্যাপ্যাক নিশ্চয়ই সব জানেন,সব বোঝেন। তিনি কি আর আপনাদের কোনো কষ্ট রাখবেন? ঈমান জোরদার করেন,কষ্টের কথা ভুলে যাবেন। আর আল্লার কষ্টটা বুঝেন,তিনি তো উভলিঙ্গ,তার দুঃখের কথা চিন্তা করলে আপনার আর দুঃক থাকবে না। 😀
@রুশদি,
আল্লাহ উভলিঙ্গ হলেতো তিনি ঘরেরটাও খাচ্ছেন, বনেরটাও কুড়াচ্ছেন। তার আবার দুঃখ কিসের?
@রুশদি,
আপনাকে মাইনাচ। আপনি এটাও জানেন না যে আল্ল্যা পুরুষ( হুজুরেরা এতবার আমাদের মূর্খ বলে কেন বুঝে নেন)। অতি সত্বর এখানে ঢুকুন- কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ১২
সম্পূর্ণ সিরিজ এখান থেকে উপভোগ করে নিন।
@লীনা রহমান, সময় পাবে না।
অনেক সময় নিয়ে পড়লাম।
আরেকটি অসাধারণ লেখা সৈকত ভাই।
@আলিম আল রাজি,
অনেক ধন্যবাদ রাজি। :rose2: তোমাকে এখানে নিয়মিত চাই।
@সৈকত চৌধুরী, (N)
আপাদমস্তক বোকা না হলে কেউ এরকম কথা বলতে পারেনা। কখনই পারবে না এর মা’নেটা কী? তাহলে একটা কেন দশটা সুরা লিখলেও তো কোন লাভ নাই। আল্লাহ তো মানবেন না, কারণ আগেই বলে দিয়েছেন তোমরা কখনই পারবে না।
আচ্ছা কোন মুসলমান কি আমাকে বলবেন নীচের আয়াতগুলো কোরানের কোন সুরার-
بسم الله الرحمن الرحيم
فِي الْبَدْءِ خَلَقَ اللهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
وَكَانَتِ الأَرْضُ خَرِبَةً وَخَالِيَةً، وَعَلَى
وَجْهِ الْغَمْرِ ظُلْمَةٌ، وَرُوحُ اللهِ يَرِفُّ عَلَى
وَجْهِ الْمِيَاهِ.
وَقَالَ اللهُ: لِيَكُنْ نُورٌ، فَكَانَ نُورٌ
وَرَأَى اللهُ النُّورَ أَنَّهُ حَسَنٌ. وَفَصَلَ اللهُ
بَيْنَ النُّورِ وَالظُّلْمَةِ.
وَدَعَا اللهُ النُّورَ نَهَارًا، وَالظُّلْمَةُ دَعَاهَا
لَيْلاً. وَكَانَ مَسَاءٌ وَكَانَ صَبَاحٌ يَوْمًا
وَاحِدًا.
বাংলা অনুবাদ-
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে
আদিতে আল্লাহ যখন আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির কাজ শুরু করলেন, তখন পৃথিবী নিরাকার ও শুন্যময় ছিল, অতল গহবরের ভিতর অন্ধকার বিরাজ করতো এবং আল্লাহর রুহ জলরাশির উপর ভেসে বেড়াতো। তখন আল্লাহ বললেন, আলো হউক আর আলো হল। আল্লাহ দেখলেন, আলো সুন্দর, তিনি অন্ধকার থেকে আলো পৃথক করে দিলেন। আল্লাহ আলোর নাম রাখলেন দিন আর অন্ধকারের নাম রাখলেন রাত্রি। রাত হল, প্রভাত হল, এ হল সৃষ্টির প্রথম দিন।
@আকাশ মালিক,
হাঃ হা। আল্লা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নিজেই তা খেয়ে ফেলছেন :lotpot: । আর থ্রেটটা দেখছেন-
” যদি তোমরা আনয়ন না কর এবং কখনই পারবে না, তবে ভয় কর সেই আগুনকে, মানুষ ও পাথর হবে যার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে”(সূরা বাকারাঃ ২৩, ২৪)
>নিশ্চয়ই আল্ল্যার যুক্তিবোধ অনন্ত, অসীম!! 😛
@আকাশ মালিক,
এটা আছে নাকি কোন সূরায়? পড়িনি তো কোথাও। তবে বাইবেলের পুরাতন নিয়মের জেনেসিসে ১ম অধ্যায়ের ১-৫ পর্যন্ত একথাই বলা হয়েছে। মনে হয় আপনার ধাধার মধ্যে কোন গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে। 😉
@ভবঘুরে,
এই সূরার রচয়িতা আকাশ মালিক 🙂 ।
@ভবঘুরে,
শুস-শুস, আর বলবেন না। এখান থেকে একটি লেখা শুরু করেছি, সময়ের অভাবে এগুতে পারছিনা।
আরবি বাক্য ও শব্দগুলো লক্ষ্য করেছেন? পাঁচটি আয়াতেই ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহার হয়েছে, ঠিক যেভাবে মুহাম্মদ কোরানে করছেন।
وَرَأَى اللهُ النُّورَ أَنَّهُ
حَسَنٌ. وَفَصَلَ اللهُبَيْنَ النُّورِ وَالظُّلْمَةِ.
আকাশের বড় দুই বাতি (চন্দ্র ও সূর্য ) বাইবেলেও বাতি কোরানেও বাতি।
কথা হলো উপরের বাক্যগুলো কোরানের মত হলো কি হলোনা? কোন মানদন্ডে এগুলো কোরানের আয়াত হতে পারেনা? বাইবেলের আয়াতকে মুহাম্মদ চেইঞ্জ করতে পারতেন না, যদি না তাকে সালমান ফার্সীর মত বাইবেল বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য কবি সাহিত্যিকরা সাহায্য করতেন।
@আকাশ মালিক/ আমি আরবী সম্পর্কে অজ্ঞ, তাই জিজ্ঞাসি, আরবীতে বাক্যগুলো ছন্দময় তো?
😉