তোমায় নিয়ে ইচ্ছেগুলো

অনিন্দিতা, তোমায় ঘিরে হাজার রকম ইচ্ছে আমার…
কোনোটা তার মধুর অতি, কোনোটা তার বুনো
তবু মানি এবং জানি
ভালো-মন্দ-নষ্ট-মহৎ-শ্লীল এবং নোংরা
সব তোমাকে যায় যে বলা অবলীলায়-অসঙ্কোচে
কারণ একজনই তো তুমি আমার- আমি তোমার
তাই ভাবাভাবির দেয়ালটাকে দিলাম ছুটি চিন্তা নামক জগত থেকে
তোমায় নিয়ে একটা এমন সময় ছিলো
তোমায় কেবল দু’চোখ ভোরে
এক পলকে একটুখানি দেখতে পেলে
হাতটা তোমার পেলে হাতে ধন্য হতাম
ইচ্ছেটা আর এগোতো না
তুমি-আমি যুগের চোখে কেমনতরো শিশু ছিলাম!
শরীর এবং মনের বয়স এখন গেছে বাধ ডিঙিয়ে
তোমায় ঘিরে এখন আমার বুকের ভেতর তৃষ্ণা-সাগর…
তোমায় নিয়ে ইচ্ছে আমার
জোছনা রাতে নিবিড় বনে মাইল মাইল পথ পেরোনো
ইচ্ছে করে- তোমার হরিণ-চোখের ওপর দুচোখ রাখি
পাশাপাশি বসে থাকি দিন পেরিয়ে মাস পেরিয়ে বছর এবং যুগ পেরিয়ে
হাতের ওপর দু’হাত রেখে বুকের মাঝে আগলে থাকি
বাহুডোরে বেঁধে রাখি গ্রীবা তোমার কোচি লাউ-এর ডগার মতো
বুকের ভেতর সিঁধিয়ে নেই লুকোয় রাখি অমন কোমল মুখটা তোমার
তোমার শিশিরভেজা গোলাপ-ঠোঁটে ঠোঁটকে রাখি হাজার বছর
ললাট জুড়ে আঁকি আমি ভালোবাসার অপূর্ব এক চিহ্নরেখা
আপদমস্তক ঢেকে ফেলি মধুর করে অগণিত আদর দিয়ে
বুকের জমিন উত্থিত ওই টোল না-খাওয়া স্তনদ্বয়ের শীর্ষদেশে শিউলি বোঁটায়
মধুর করে ধীরে রাখি বৃদ্ধ এবং তর্জনীটা
আস্তে কোরে পরশ দিয়ে জাগিয়ে তুলি পূর্ণ তোমায়
তোমার অমন বিকশিত দোল খাওয়ানো শুভ্র দেহের ভাঁজে ভাঁজে
রোমন্থনে ঝঞ্ঝা বওয়াই শিহরণে কাঁপন জাগাই
উরুসন্ধির ছোট্ট নোনা সাগরটাতে
ধীরে ধীরে মধুর করে হাতটা রেখে আর্দ্র করি
জোয়ার আনি তুফান তুলি তোমার সারা শরীর জুড়ে
শিশ্নটাকে যত্ন কোরে স্নান করাই ওই সাগরজলে
সাঁতার কাটাই নিয়ম এবং অনিয়মে
তুমি শক্ত কোরে নিবিড়ভাবে বুকের সাথে জড়িয়ে আমায়
লক্ষ-কোটি হাজার বছর আঁকড়ে রাখো মনের সুখে
ভালোবাসার বাঁধন দিয়ে।
…………………………
ইচ্ছে করে জানতে আমার-
তোমারও কি ইচ্ছে করে আমার মতো ভদ্র কিংবা বুনো হতে?