আজকের একটি মর্মান্তিক সংবাদ: আমার প্রতিক্রিয়া
সকালে আমি প্রথম আলোর আজকের আ্যলবামখানা দেখছিলাম। তার আগে পড়ছিলাম এই সংবাদ। একটি মন্তব্য সেখানে লিখেছিলাম বটে, যদিও প্রথম আলোর মডারেশন বোর্ড পরবর্তিতে তা ছাপেনি, অন্ততঃ এই লেখাটি এখানে পোষ্ট করা অবধি আমার চোখে পরেনি। ওখানে সাইফুল ইসলাম কল্লোলের তোলা ৩টি ছবি আছে আ্যলবামে। ছবিগুলোর ক্যাপশন নিয়ে আমার কয়েকটা কথা বলার ছিলো। ক্যাপশন গুলো পড়ার পরে আমি যারপরনাই হতাশ হয়েছি। আমার হতাশার কারণ নিয়েই দু-চারটি কথা বলার ইচ্ছে পোষন করছি। তার আগে ক্যাপশন গুলো দেখেনিন:
১। এই ট্রেনটিই কেড়ে নিয়েছে পাঁচজনের জীবন। আর তাই অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আক্রোশ ঝাড়ছে বিক্ষুব্ধ জনতা
ছবি: সাইফুল ইসলাম কল্লোল
২। অগ্নিসংযোগের পরও ক্ষান্ত নয় জনতা। ঘাতক ট্রেনে ছুড়ে মারছে ইটপাটকেল। একদিকে সমাবেশ, অন্যদিকে মৃত্যু। সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকায় তাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় জনতা
ছবি: সাইফুল ইসলাম কল্লোল
৩। ঘাতক ট্রেনে জনতার অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ
ছবি: সাইফুল ইসলাম কল্লোল
প্রথম ক্যাপশনটির দিকে দেখুন, আগ্নি সংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের দায়টি বর্তেছে জনতার ঘাড়ে। ঐ জনসমাবেশে নিরীহ জনগন অগ্নি সংযোগের উদ্দ্যেশ্যে সমবেত নিশ্চই হয়নি। যারা এই ধরনের কর্মকান্ডের সংগে জড়িত এরা সবাই সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সংগেই জড়িত বলে আমি বিশ্বাস করি। তাছাড়া দেখুন কতো দ্রুত ঐ ট্রেনটির ৩টি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হলো! এর জন্যে নিশ্চই কোন না কোন পূর্বপ্রস্তুতি ছিলো। এটি একটি স্পষ্ট নাশকতামূলক কর্মকান্ড। এই সংগঠনটির অতীতেও এধরনের ঘটনা ঘটাবার রেকর্ড রয়েছে। এইতো কিছুদিন আগেই এক প্রাইভেট গাড়ির চালককে জামায়াতের সহায়তায় এরা ঢাকার রাস্তায় পুড়িয়ে মারলো! একটি আন্তঃনগর ট্রেন যেখানে থামাবার কথা নয় সেখানে ওকে জোড় করে থামাবার স্পর্ধা এরা পেলো কোথায়? কার ইঙ্গিতে? নাশকতার পূর্বপ্রস্তুতির এটিই এক যথার্থ প্রমান। অথচ ক্যপশন লেখার সময় তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের মতো প্রথম আলো জনতার কাঁধে ভর করে পার পাবার পাঁয়তারা খুঁজছে বলেই আমার ধারনা। ঐ আক্রমনকারীরা জনতার অন্তর্ভুক্ত হলেও এখানে তারা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কোন না কোন অংশের সাথে সম্পৃক্ত। সাধারন জনতা কখনোই এই ধরনের নাশকতায় সম্পৃক্ত হয় না। অথচ আমি নিজে সাধারন জনতার একজন হিসেবে অপমানিত বোধ করছি পথম আলোর এই ধরনের কৌশলী ক্যপশনের কারনে।
জনতা বিক্ষুব্ধ হয় এদেশেও, তবে তার যথার্থ কারন থাকে। বাংলাদেশের মানুষ বারংবার তার প্রমান দিয়েছে। যখনই এদেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ভূখন্ড, ঐতিহ্য কখনো কোন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে কিংবা হবার উপক্রম হয়েছে তখনই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এদেশের মানুষ। অথচ দেখুন, এখানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশ এবং সম্ভবতঃ কোন এক নেতার বিতর্কিত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তা হচ্ছিল। আর সেখানে নিকেশ করা হলো ৬টি তাজা প্রাণ! এই হলো রাজনীতি ওদের! সেই দায় ওদের মতো প্রথম আলো পুরো ব্যাপারটিই জনতার কর্মকান্ড বলে চালিয়ে দিলো!
২য় ক্যাপশনটিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জনতা অগ্নি সংযোগের পরেও ক্ষান্ত নয়! জনতা যদি কিংকর্তব্যবিমূঢ়ই হবে তবে অগ্নি সংযোগ করলো কিকরে? কাজেই জনতা ঠিকই ছিলো কিংকর্তব্যবিমূঢ়। যার অগ্নি সংযোগ করার কথা সেই করেছে অগ্নিসংযোগ, প্রথম আলো শুধুমাত্র ক্যমেরার লেন্সের ভেতরদিয়ে দুর্বৃত্তের সাথে জনতাকে গুলিয়ে ফেলেছিলো! প্রথম আলোর সংবাদেই দেখুন, ট্রেনটি হুইসেল বাজিয়ে আগমন বার্তা জানালেও তথাকথিত ক্ষুব্ধেরা সরে না গিয়ে ট্রেনটির গতিরোধের চেষ্টা করে। চালক ভারী যান মুহুর্তেই থামাতে অবধারিত ভাবেই ব্যার্থ হলে ঐ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সুত্রপাত। এখন প্রশ্ন হলো, এই ট্রেন আক্রমনকারীরা যদি জনতা হয় তবে ট্রেনে যাত্রা করছিলো কারা? এই যাত্রীদের নির্যাতন এবং লুটপাট করলো কারা? প্রথম আলোর ক্যাপশন মোতাবেক সমাবেশ করছিলো নিরীহ জনতা আর ট্রেনে করে আসছিলো দুর্বৃত্তরা! তাই ট্রেনটি জনতা জ্বালিয়ে দিয়েছে আর দুর্বৃত্তদের পিটিয়ে সিধে করে দেওয়া হয়েছে!
৩য় ক্যাপশনটি আরো মজার! ট্রেনটি স্বয়ং ঘাতক! কারন, এটি এসেছিলো প্রাণসংহারে! যে দুর্বৃত্তেরা নাশকতার প্রস্তুতি নিয়ে বসেছিলো, এরা রাজনৈতিক নেতা! আমি জনতার হয়ে প্রথম আলোর এই ধরনের দায়িত্ত্ব এড়ানো ক্যাপশনের নিন্দা করি। সেই সাথে এই সব দুর্বৃত্ত কবলিত রাজনৈতিক দল (এরা যেদলেই থাকুক না কেনো) গুলো বয়কট করার আহবান জানাই এদেশের সব শ্রেণীর মানুষকে। আজকের এই ঘটনায় আমি মনে করি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতার উচিৎ হবে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতির সকল দায়িত্ত্ব নিজ কাঁধে নেওয়া। এই ঘটনাটি এদেশের মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন ইস্যু নয় বরং কোন এক রাজনৈতিক পরিবারের ক্ষমতা পুনঃপ্রাপ্তির ইস্যু। সুতরাং কোন ভাবেই সাধারন জনগন এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
কেশব অধিকারী, তানিয়া এবং ফালগুন,
ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
পি. পত্রপূট
তানিয়া এবং ফালগুন,
আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ বিষয়টি অনুধাবনের জন্যে। এধরনের মানসিকতা থেকে বের না হতে পারলে সাধারন মানুষ জনকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া সত্যিই কঠিন। আর এই দিক নির্দ্দেশনা দেবার কাজটি মূলতঃ করে গনমাধ্যম গুলো। আর যে দেশের জনসাধারনের সিংহভাগই ন্যূনতম সুশিক্ষাগত স্তরের নীচে অবস্থান করে সে দেশে আমার ধারনা গনমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক। আর এব্যাপারে আমাদের সবারই দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন দরকার। ধন্যবাদ সবাইকে।
বিপলব রহমান, আপনি তো একজন বড়মাপের লেখক এবং বিচক্ষণ লোক।
আপনিই যদি এমন ভাবে বলেন, তাহলেতো এদেশ থেকে ভাংচূড় আর অরাজকতা কোনদিনই যাবে না। সবধরণের অপরাধেরই কোন না কোন কারণ
থাকে, তাই বলে কি সেইসব অপরাধের বৈধতা দিতে হবে? রেলকর্তৃপক্ষ রেলযাত্রীদের সেবায় মনোনিবেশ করুণ আর আসুন আমরা তাদের সহযোগীতা করি । ভাংচূড় নয়!
ধন্যবাদ চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য। :yes:
সম্মানিত মন্তব্যকারীবৃন্দ,
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের জন্যে। তবে আমি যা বলতে চেয়েছি, হয়তো ত্রুটিপূর্ণ উপস্থাপনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। সে জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি গাছকে গাছ আর মাছকে মাছ বলতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। পোষ্টটি আমি দিয়েছিলাম প্রথম আলোর ক্যাপশন সংক্রান্ত ব্যাপারে। ওদের ক্যাপশনের ভাবখানা আমার মনে হয়েছে অনেকটা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো। তদুপরি গোটা ব্যাপারটা একটা রাজনৈতিক সংগঠনের (এখানে বি. এন. পি) দ্বারা সংগঠিত হলেও প্রথম আলো দায়টি চাপিয়েছে জনতার কাঁধে। ওদের খবর অনুযায়ী অনেকটা জনতা স্বউদ্যোগী হয়েই ঐসব নাশকতা চালিয়েছে, ওখানে যেনো সংশ্লিষ্ট দলটির কোন ভুমিকা ছিলোনা! একটি গনমাধ্যমের এহেনো মানসিকতাই আমার উষ্মার কারন। ধন্যবাদ সবাইকে। যারা নিহত হলো মর্মান্তিক ভাবে তাদের জন্যে আমি মর্মাহত। ভালো থাকুন সবাই। ধন্যবাদ।
ট্রেনটা কেন মানুষ দেখে ধানক্ষেতে বা জলায় নেমে গেলো না, তার জন্যে ট্রেনের বিচার চাই। ড্রাইভারকে হাসপাতালের বিছানা থেকে তুলে এনে বিচার করা হোক। সরকারের পদত্যাগ দাবি করি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এবং যোগাযোগ মন্ত্রীর ফাঁসি চাই। বিএনপিকে আবারো ক্ষমতা দেওয়া হোক।
বিপ্লব রহমান, আপনি অন্য একটা লেখায় আপনার মন্তব্যে অনিন্দ্যের ফেসবুকের কমেন্টটা মুছে দিন, সেটা আপনার এই লেখার সাথে যাচ্ছে না।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ফুরাই একমত বাইজান। টেরেনডার কাম দেকছেন বাই, অত্ত গুলা মাইষ্যে রেল লাইনে বইয়া গাঞ্জা টানতে আছিল আর হেয় কিনা হেগোর গায়ের উফরে উইড্ডা গেলো? এইডা সরকারের কাম না অইয়া ফারে? বিএনপির দোষ যে দ্যায় হেতে দ্যশ বিরোদি। আরে বাই, দেশে কি ঐ রেল লাইন ছাড়া আর জাগা আছে নি? এইডা সরকার পক্ষ জানে না? ফাউল সরকার। যুগাযুগ মন্ত্রীর ফাসি চাই। 😀
@ আদিল মাহমুদ, @ সাইফুল ইসলাম, @ ব্লাডি সিভিলিয়ান,
১। ট্রেন লাইনের বাইরে কাউকে চাপা দিতে পারে না।
২। প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসা ট্রেন দ্রুত ব্রেক কষে থামানো যায় না।
৩। হুইসেল দেওয়ার পরও সমাবেশের মানুষ রেল লাইন থেকে সরে যায়নি– এ সবই মানছি। তাই ফেসবুকের ওই উদ্ধৃতি।
কিন্তু এরপরও কথা থেকে যায়। এ কারণেই আমি বলেছি (খুব খেয়াল করে) :
অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
– আপনার এই কথা কোনমতেই মানা যায় না। যতটুকু জানি যে রেললাইনে কেউ চাপা পড়ে মারলে আইনতই রেল কোম্পানী দায়মুক্ত। এই আইন খুবই যৌক্তিক।
ট্রেন লাইন ধরে চলাচল করা উচিত নয় এটা বুঝতে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতাও লাগে না, বাচ্চা বুড়ো সবাই বোঝে। কোন ট্রেন ড্রাইভার যদি লাইনে আগে থেকে কাউকে দেখতে পেয়ে থামিয়ে বাঁচাতে পারে তবে সেটা তার কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়, বাঁচাতে না পারলে কেউ তাকে দোষ দেয় না। বলে না যে সেই মৃত্যুর দায় ড্রাইভারের (যদি না সিগনাল ভংগ বা তেমন আর কোন অনিয়ম না ঘটে)। বলে কি?
– আগেভাগে বোঝার দায়িত্ব ছিল কার? রেল লাইনের কাজ কি, হাট বাজার সমাবেশ এসব করা নাকি ট্রেন চলা? রেল কর্তৃপক্ষের কি দায় পড়েছে শত শত মাইল লাইনে কে সভা করছে কে বাজার বসাচ্ছে এসব খবর নিয়ে সে অনুযায়ী সময়সূচী বানানো? নাকি যারা বে-আইনী ভাবে রেলের যায়গায় ঝুকি নিয়ে সভা সমিতি করবেন দায়টা তাদের ছিল?
মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করছেন অথচ মন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিচ্ছেন না।
– বিরোধী দল সেদিন সেই স্থানে সমাবেশের অনুমোদন নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে? না নিলে কিভাবে বলেন রেল কর্তৃপক্ষের বোঝা উচিত ছিল? রেল কর্তৃপক্ষকে সেই আবেদন জানানো হলেও সেটা মঞ্জুর করা হবে কিনা তা রেলের মর্জি, এটা কোন রাইট নয়; ফেবার। আর তারা মঞ্জুর না করলে কোনক্রমেই লাইনের এত কাছে সভা করা উচিত হয়নি। এক্ষেত্রে বিরোধী দল তেমন কোন আবেদন আদৌ করেছিল বলেই এখনো শোনা যায়নি।
রেল কর্তৃপক্ষ নিজে দায়িত্বে খবর রাখবেন তাদের পুরো পথে কে কিসের সভা বা হাট বাজার বসাচ্ছে? সে অনুযায়ী তারা তাদের সময়সূচী পেছাবেন? ভাল আবদার। এহেন মামা বাড়ির আবদার আমাদের দেশেই মনে হয় কেবল সম্ভব। এই কালচার চালু হলে দেখা যাবে ঢাকা চট্টগ্রাম পৌছাতে ২ দিন লাগছে। কেউ সভা বসিয়েছেন, কেউ হাট বাজার খুলে বসেছেন, কেউ হয়ত গানের জলসা বসিয়েছেন।
মন্ত্রী বাহাদুরের পদত্যাগের দাবীর যৌক্তিকতা থাকে কোথায়? পদত্যাগ কারো করলে করা উচিত যে দলের সভা তাদের নেতাদের।
@আদিল মাহমুদ,
সহমত। :yes:
@আদিল মাহমুদ,
এমন কথা আল্লাহর দুনিয়ায় বাঙ্গালি ছাড়া আর কে বলতে পারে?
তার দলের লোকেরা ট্রেইন ডাকাতি করেছে। তাই শুধু পদত্যাগ নয়, তদন্ত করে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া উচিৎ।
@আকাশ মালিক,
আসলেই এমন আবদার কেবল আমাদের দ্বারাই সম্ভব। যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দলীয় সম্মেলন হয় এবং তাতে এমনকি বিরোধী দলও আপত্তি করে না সে দেশে এমন দাবী খুবই স্বাভাবিক ঠেকার কথা।
ভ্রাতঃ বিপ্লবের কথা শুনে বাংগালীর হাসির গল্পের কথা মনে পড়ছে।
এক চোর চুরি করতে গিয়ে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গেছে। চোরের বউ দিয়েছে হত্যা মামলা ঠুকে। বিচারে অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়েছে বাড়ির মালিক। কারন তার বাড়ির দূর্বল দেওয়াল ভেঙ্গেই চোর বেচারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মারা গেছে।
গল্পটির নাম “কে আগে শুলে যাইবে”।
@আদিল মাহমুদ,
বোধহয় সামান্য বোঝার ভুল হচ্ছে। আপনি যান্ত্রিকভাবে আইনের কথা বলছেন। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে আপনার কথাই ঠিক। আর আমি বলছি, বাস্তব অবস্থার বাস্তব বিশ্লেষণ করে আগাম এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা। এখানে আইনকে কিছুটা পিছু হটতে হয় বৈকি। কিন্তু মানুষের জন্যই তো আইন, তাই না?
অনেক ধন্যবাদ। :rose:
@বিপ্লব রহমান,
ঠিক। আইন মানুষের জন্য, তাইতো আইন পরিবর্তনশীল। যখন দরকার মনে করা হয় তখন মানুষই আইন বদল করে।
তবে যে আইন যে সময়ে প্রচলিত আছে সেই সময় সেই আইনকেই পূর্ন সম্মান দেখাতে নয়। নয়ত সভ্য সমাজ বলে কিছু থাকে না।
আপনার পরামর্শমত রেল কর্তৃপক্ষকে রেলের সময়সূচী বদলে দেবার দাবী কতটা বাস্তব বলে মনে করেন? যদিও এ দূর্ঘটনায় এ প্রশ্ন অবান্তর, কারন তেমন কোন অনুরোধ রেল কর্তৃপক্ষকে কেই জানায়নি।
@বিপ্লব রহমান,
এই জন্যেই কিন্তু বাংলাদেশে আইনের প্রয়োগ কদাচিৎ হয়। কি করবে বলেন, মানুষের জন্য শেষ পর্যন্ত আইনকেই পিছু হটতে হয়। :rotfl: :rotfl:
এটা একটা স্টাইল হয়ে গেছে কিছু হলেই জনতা উত্তেজিত হয়ে মেরে ফেলো পুড়ে ফেলো রূপ ধারণ করা।তাতে তো জাতীয় সম্পদ নষ্ট হয় তা ছাড়া কার কি হয়? দুঘটনার জন্য শূধু কতৃপক্ষকে দোষে লাভ নেই।জনগনেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
মানব জীবন অমূল্য। অকালে এমন প্রানহানী যে কোন বিচারেই চরম দূঃখজনক।
তবে এ বিষয়ে কিছু মৌলিক প্রশ্ন আসে, সরাসরি না লিখলেও প্রথম আলোর ছবির ক্যাপশন পড়লে কেমন মনে হয় যে দোষ পুরোপুরি ট্রেনের। তারাই অন্যায় ভাবে সকল নিয়ম নীতি ভংগ করে রেললাইন ধরে ট্রেন চালিয়েছে। তাদের ট্রেন চালাবারই কোন কথা নয়, নয়ত চালাবার কথা মাঠ জলার উপর দিয়ে।
ব্যাপারটা কি আদতে তাই? লাইনের উপর দিয়ে ট্রেন চলবে নাতো কিসের উপর দিয়ে চলবে? তাতে যারা দন্ডায়মান ছিল মূল দায় কি তাদের উপরই বর্তায় না? ট্রেনের মত একটি বিশাল ভরবেগের যানবাহন থামতে অনেক্ষন লাগে, এই সোজা কথা তো বাচ্চা ছেলেও জানে। রেলওয়েকে কি আগে থেকে সেই সভা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল বা অনুরোধ করা হয়েছিল সেই সময় নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে?
কোনো সমাবেশের মানুষ সব সময়ই সুশৃঙ্খল হবেন, এমনটি আশা না করাই ভাল। তাই রেল কর্তারাই প্রথমত ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সমাবেশস্থলের মাত্র ২০ গজের মধ্যে ট্রেন চলাকালে অমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তা তাদের আগেভাগেই বোঝা উচিত ছিল। অথচ যাত্রী নিরাপত্তার কথা রেল কর্তারা মোটেই আমলে নেননি। ট্রেনের সময় খানিকটা পিছিয়ে দিয়ে সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই তারা ট্রেন চালাতে পারতেন। তাহলে সহজেই অমন দুঃখজনক দুর্ঘটনা এড়ানো যেতো।
কোনো সভ্য দেশ হলে ওই ঘটনার জন্য যারাই দায়ী হোক না কেনো এর দায় নিজের কাঁধে নিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রী পদত্যাগ করতেন। অথচ আমাদের মন্ত্রী বাহাদুর ঘটনা সম্পর্কে উল্টো বলেছেন:
[লিংক]
বড়োই আজব! 🙁
@বিপ্লব রহমান,
ভারতীয় স্টাইলে বাংলাদেশেও ট্রেনে আগুন। কুৎসিৎ রাজনীতির বলি সবদেশেই সাধারণ জনগণ।
@বিপ্লব রহমান,
– দ্বি-মত করছি। রেললাইন কি জনসভা করার যায়গা নাকি ট্রেন চলাচলের যায়গা? সতর্ক হবার কথা কার বেশী? রেলের নীচে কেউ আত্মহত্যা করলে তার জন্য তাহলে কেন রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করবেন না? সমাবেশের আয়োযনকারীদেরই কি দায়িত্ব ছিল না জনসাধারনকে এই অতি মৌলিক বিষয়টি স্মরন করিয়ে দেওয়া? তাদের ভূমিকা কি? কোন দলের জনসভার জন্য কেন সময়সূচি পিছিয়ে সাধারন যাত্রীদের অসুবিধে করতে হবে?
বিরোধী দল পরিকল্পিতভাবে এটা ঘটিয়েছে বাড়াবাড়ি হলেও মন্ত্রীর এই কথায় কি যুক্তি নেই?
@আদিল মাহমুদ,
হুমম… :-/
@বিপ্লব রহমান,
একটা ট্রেন আসছে কুউউউউউউউউউ ঝিক ঝিক করে। আর ট্রেন লাইন থেকে সরে না দাঁড়ানোর জন্য মানুষজন মারা গেছে। সে জন্য কেউ কেউ দোষ দিচ্ছে সরকারকে, কেউ রেল কর্মকর্তাদেরকে। বলিহারি বাংলাদেশের মানুষ।
মরে যাওয়া ঐ মানুষগুলো কি দেখে নাই যে ট্রেন আসতেছিল?
বলদ হওয়া ছাড়া তো আর উফায় দেখতাছি না। সরকার, রেলের কর্মকর্তারা কি আমাদের পকেটে পকেটে থাকবে নাকি বিপ্লব দা, যে যখন রেল আসবে তখন তাদেরকে বাবু সোনা বলে রেল লাইন থেকে সরিয়ে নিতে হবে?
আমিতো বলব এই মৃত্যুর জন্য দায়ী যারা মরেছে তারাই। গৌণভাবে দায়ী করা যায় বিএনপিকে। দুনিয়াতে আর কোন জায়গা ছিল না সমাবেশ করার? কেন তাকে ঐরকম একটি জায়গাতেই সমাবেশ করতে হল?
অত্যন্ত অযৌক্তিক দাবী। কোন খানের কোন আবুলরা নিজের ভুলে রেলে কাটা পড়বে সে জন্য মন্ত্রী কেন পদত্যিগ করবে? অদ্ভুদ কথা বললেন বিপ্লব দা।
আমি মন্ত্রীর জায়গাতে হলে পিটিয়ে পিটিয়ে জনগনকে রেলগাড়ি আসলে যে রেল লাইন থেকে সরে যেতে হয় তা শিখাতাম।
@সাইফুল ইসলাম,
অ্যাঁ!! 😕