মেয়েটি কাশফুল হতে চেয়েছিল
রসুনের শাড়ী পরে ভেসে যেতে
চেয়েছিল মেঘের দেশে।
মেয়েটি কবিতা হতে চেয়েছিল
রঙধনু হয়ে গেঁথে যেতে চেয়েছিল
বৃষ্টির ফোটায়।
মেয়েটি ঝড় হতে চেয়েছিল
বৃক্ষ শাখায় শাখায় ছন্দে ছন্দে
নেচে নেচে গেয়ে গেয়ে…।
মেয়েটি নদী হতে চেয়েছিল।
হতে চেয়েছিল ঘাসফড়িং ।
দূর্বা ঘাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃষ্টি
ছুঁতে চেয়েছিল।
মেয়েটি শেষ পর্যন্ত কারও ঘরনী হয়েছে,
মা হয়েছে, পেয়েছে মাথার ওপর মস্ত বড় সাদ!
এখন সে রান্নাঘরের ছিদ্র দিয়ে মেঘেদের ছুটোছুটি দেখে;-
সারি সারি উড়ে যায় সাদা বক- ঠিকানাহীন, বহুদূর।
চুলার আগুনে চোখ বন্ধ হয়ে আসে মেয়েটির
ধুয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আকাশ দেখার শেষ পথটিও।
চোখ গড়িয়ে ফোটায় ফোটায় ঝড়ে পড়ে অশ্রু
মেয়েটি একদা নদী হতে চেয়েছিল!
প্রণয়
শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে
তোমাকে লিখি আমার ভেতরের
প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথরের কথা;
জমাট বাধা স্বপ্নগুলো গলে
গড়ে তোলে কামনার স্রোতধারা;
ইচ্ছেগুলো মিশে যায় তোমার
আভিজাত্যের মেঝেতে;
আমার বহু যত্নে গড়া
ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ ক্লান্ত
হয়ে নুইয়ে পড়ে বেশ্যার সস্তা সাজে;
আমি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে
লিখে চলি তোমাকে…
@ মোজাফফর,
‘মেয়েটি’ কবিতা পড়ার পর ড. হুমায়ুন আজাদে ‘ওর নাম মেয়ে’ মনে পড়লো। কিছু অংশ তুলে দিলাম-
ওর নাম মেয়ে। ওকে কোনো কিছুর সাথে তুলনা করতে চাই না। ওর কোনো উপমা নেই। ওকে গোলাপ বলতে চাই না; গোলাপ সুন্দর, খুব সুগন্ধ গোলাপের। কিন্তু গোলাপ মেয়ে নয়, গোলাপ মানুষ নয়। ওকে চাদ বলবো না। চাদ সুন্দর, চাদের খুব জোস্না; কিন্তু চাদ মেয়ে নয়, চাদ মানুষ নয়। ওকে মিছে করে আলো বলবো না। আলোতে অন্ধকার কেটে যায়। কিন্তু আলো মেয়ে নয়, আলো মানুষ নয়। ও মানুষ, ও মেয়ে। ওর নাম মেয়ে, ও পৃথিবীর অর্ধেক। চাদ ছাড়া চলে, গোলাপ ছাড়া চলে। ওকে ছাড়া চলে না।
প্রণয় কবিতাটি চমৎকার লাগলো।
মোজাফফর,
কবিতা দু’টি ভালো লিখেছো। তোমাকে অভিনন্দন। …ছন্দ কিন্তু কবিতার সাবলীলতা নষ্ট করে না। এ কথা ভুলে না গেলে তোমার থেকে আরো উজ্জ্বল কবিতা পাওয়া যাবে বলে মনে হয়। …আলোর মতো ভালো থেকো।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ, ভাইয়া, আপনি আমার লেখা পড়ে কমেন্ট করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি কবিতার ছন্দ, honestly, বুঝি কম। যে কারণে কবিতা লেখার সাহস পাই না। তবে বুঝবার চেষ্টা করবো…। আপনাকে ধন্যবাদ।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
আপনাকে পক্ষপাতদোষে দোষী করলাম 🙂
আমার একটা কবিতাতেও আজ পর্যন্ত মতব্য করেননি হাসান ভাই। :-X 🙁 :-Y
@আফরোজা আলম,
তাহলে সম্ভবত আমার পক্ষপাতটি আপনার দিকে বেশী পড়লো। কারণ, এনওয়াইনিউজ৫২.কম ওয়েব পত্রিকায় আপনার কবিতা ছেপেছি। ….আমার ধারণা, ব্যক্তি থেকে কবিতার প্রতিই আমার পক্ষপাত বেশী। হয়তো একমত হবেন।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
ভালো লাগছে, আফরোজা আলমের ‘একজন কবিই পারে’ কবিতাটি আপনার ওয়েব পত্রিকায় ছাপিয়েছেন ব’লে। আশা করি আপনার ওয়েব পত্রিকায় মাঝে মাঝে ঢু মারবো।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
.
ইশশ! লজ্জায় পড়ে গেলাম। হাসান ভাই ,আপনার কথা ১০০ ভাগ ঠিক। 🙂
অসাধারন…
@শিরোনামহীন, ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর!
@লাইজু নাহার, আমার লেখা কেউ পড়ছে এটা ভাবতেই ভাল লাগে, আর পছন্দ করলে তো বোনাস। ধন্যবাদ।
প্রথম কবিতার চেয়ে পরেরটা খুব বেশী ভালো লাগল। পুরো কবিতাটাই উদ্ধৃতি দেয়ার মত। বেশি অসাধারন লাগল।
আপনার গল্পের মত কবিতাও অনেক ভালো লাগছে ইদানিং।।
@সাইফুল ইসলাম, আপনরা কথায় অনুপ্রানিত হলাম। আরো ভাল করার চেষ্টা চলতে থাকবে। আমার লেখা আপনি নিয়োমিত পড়েন, এটাই আমার জন্য অনেক।
সত্যি দারুণ লাগল দুটি কবিতাই। দ্বিতীয়টি বেশি ভাল লেগেছে। :rose:
এটা কি ছাদ হবে?
@লীনা রহমান, ছাদ হবে অবশ্যই। আমি নিজের লেখার বানান কিছুতেই ঠিক করতে পারি না–ক্ষমা করবেন নিশ্চয়। আমার লেখা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
অনেকদিন পরে আপনার কবিতা পড়লাম।ভালো লাগল।
@আফরোজা আলম, সত্যি বলতে কবিতা পোস্ট করতে লজ্জা লাগে। আমার ভাল লাগল জেনে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। ধন্যবাদ।