মেয়েটি কাশফুল হতে চেয়েছিল
রসুনের শাড়ী পরে ভেসে যেতে
চেয়েছিল মেঘের দেশে।

মেয়েটি কবিতা হতে চেয়েছিল
রঙধনু হয়ে গেঁথে যেতে চেয়েছিল
বৃষ্টির ফোটায়।

মেয়েটি ঝড় হতে চেয়েছিল
বৃক্ষ শাখায় শাখায় ছন্দে ছন্দে
নেচে নেচে গেয়ে গেয়ে…।

মেয়েটি নদী হতে চেয়েছিল।
হতে চেয়েছিল ঘাসফড়িং ।
দূর্বা ঘাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃষ্টি
ছুঁতে চেয়েছিল।

মেয়েটি শেষ পর্যন্ত কারও ঘরনী হয়েছে,
মা হয়েছে, পেয়েছে মাথার ওপর মস্ত বড় সাদ!
এখন সে রান্নাঘরের ছিদ্র দিয়ে মেঘেদের ছুটোছুটি দেখে;-
সারি সারি উড়ে যায় সাদা বক- ঠিকানাহীন, বহুদূর।
চুলার আগুনে চোখ বন্ধ হয়ে আসে মেয়েটির
ধুয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আকাশ দেখার শেষ পথটিও।
চোখ গড়িয়ে ফোটায় ফোটায় ঝড়ে পড়ে অশ্রু

মেয়েটি একদা নদী হতে চেয়েছিল!


প্রণয়

শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে
তোমাকে লিখি আমার ভেতরের
প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথরের কথা;
জমাট বাধা স্বপ্নগুলো গলে
গড়ে তোলে কামনার স্রোতধারা;
ইচ্ছেগুলো মিশে যায় তোমার
আভিজাত্যের মেঝেতে;
আমার বহু যত্নে গড়া
ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ ক্লান্ত
হয়ে নুইয়ে পড়ে বেশ্যার সস্তা সাজে;
আমি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে
লিখে চলি তোমাকে…