রাইনের স্বচ্ছ জলের ঢেউ,
পারের দিকে চলতে গিয়ে-
বার বার ফিরে ফিরে আসে।
মৃদু স্বরে নিজেদের মাঝে-
কথা বলাবলি করে।
দুপাশে বিশাল ষ্টিমারেরা,
সার বেঁধে দাঁড়িয়ে –
বুদ্ধের মত ধ্যানী!
আকাশে দুধ সাদা
গাংচিলের দল –
আকাশ মাতিয়েছে।
সাদা নীলের আকাশ বালিকারা –
জলে লুকোচুরি খেলছে।
তীরের পাশ থেকে ড্রাম অর্গানের-
মিউজিক বাতাসে ভেসে ভেসে আসে –
দূরে ষ্ট্রীট ব্যালাডের ঐক্যতানের,
লাল কালো ইউনিফর্মের দল –
চকিতে অদৃশ্য হয়।
রাইনের তীরে ফান ফেয়ার জমেছে-
ফ্যান্টমহাউসের বিশাল বিশাল,
ড্রাগনের মুখে অগ্নিগিরি-
ভয়ার্ত চিৎকার মেশানো হাসিতে –
দেয়াল থর থর করে কাপেঁ!
ঝুলন্ত রেলে সুখী সুখী বালক বালিকা
দলের কল্লোল মেশানো শোরগোল!
ললিপপ, স্যুটিং গ্যালারি।
রাইনের তীর ছুঁয়ে মানুষের মিছিল –
নব্য প্রেমিকের জড়াজড়ি –
লিপষ্টিক মেশানো ঠোঁটে –
বার বার নেমে আসে ঠোঁট।
রাইনের পারে আজ বড় সমাবেশ-
মানব মানবীরা জলের দিকে তাকিয়ে-
গ্লাশে চুমুক দিচ্ছে।
রমনা পার্কের কথা মনে পড়ছে। ঐ দৃশ্য দেখেছি বোটান্যক্যাল গার্ডেনেও।
@মাহফুজ,
ঐ দৃশ্য পৃথিবীর সব দেশেই দেখা যায়!
ক’দিন আগে রাইনের ধারে গিয়েছিলাম। তখন শুধু মনে হচ্ছিল, “কচু – হাতি – ঘন্টা” নামের একটা গল্পের কথা, লেখকের সর্দি জ্বর, তাই এক নাকে রাইন, আরেক নাকে ওডার নদী!
আমি গিয়েছিলাম জার্মানীর কোলন শহরের অংশে। এখন মনে হচ্ছে ইশ, যদি এই কবিতাটা তখন হাতে থাকত!
“দুপাশে বিশাল ষ্টিমারেরা,
সার বেঁধে দাঁড়িয়ে –
বুদ্ধের মত ধ্যানী!” – দারূন।
শুভেচ্ছা রইল।
@নাসিম মাহ্মুদ,
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা পড়ার জন্য!
আপনি কি জার্মানীতে থাকেন?
@লাইজু নাহার,
না।। আমি থাকি (মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝরে 🙂 ) জার্মানীর কাছেই।
তবে লক্ষ্যনীয় যে, কেউ একজন আমনার প্রতি উত্তরটিকে যথেষ্ট কাব্যিক মনে করেন নি, একটা থাম্বস ডাউন পেয়েছেন!
নতুন কি লিখেছেন?
আপনার বর্ণনা এবং উপমাগুলো খুবই সুন্দর এবং প্রাঞ্জল। মনে হচ্ছে চোখের সামনেই রাইনের তীরে ফান-ফেয়ারে আমি নিজেও উপস্হিত আছি। চমৎকার। :yes: :yes:
@হোরাস,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা কবিতা পড়ার জন্য!
আপনাদের অনুপ্রেরনাই চলার পথের পাথেয়!
পড়ামাত্রই মনে অনেক বেশি ভালোলাগার ছবি তৈরি হচ্ছে।ভাবতেই অনেক বেশি ভালো লাগছে।ইচ্ছে করে শহুরে বন্দী জীবন ত্যাগ করে যাযাবর হয়ে যাই।অপেক্ষায় আছি।কোন একদিন ঘর নিশ্চই ছাড়বো।আপনার কবিতাটা আমার মনের কোণায় লুকানো অদম্য ইচ্ছেটাকে আবারও সামনে নিয়ে আসছে।
পড়ামাত্রই মাথায় কয়েকটা লাইন খুব যন্ত্রণা দিচ্ছেঃ
মন চায় হতে যাযাবর।
কোন এক বুদ্ধ পূর্ণিমার রাতে
ঘর ছেড়েছিলো; ধ্যান করবে বলে।
আর আমি কাল অমবশ্যা রাতে।
তারা দেখে চলবো পথ,
বেড়াবো খুঁজে জীবনেরই মানে।
পারবো কি আমি??
………………………………
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
ভাল লাগার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
কামনা করি আপনার ইচ্ছেরা পূরণ হোক!
আর আপনার কবিতাটাও কিন্তু দারুন হয়েছে!
@লাইজু নাহার, ধন্যবাদ। 🙂
@লাইজু নাহার,
কবিতাটি ভূপেন হাজারিকার ‘ আমি এক যাযাবর’ গানটিকে মনে করিয়ে দিয়েছে কেন জানি। হয়ত সাইফুল ইসলামের মন্তব্য দুটো আমাকে এ রকম ভাবতে প্রভাবিত করেছে।
একটা feedback দিতে ইচ্ছে হল। আশা করি মনে কিছু নেবেন না। বিভাগের ঘরে শুধু সাহিত্যের শাখা কবিতা লিখলেই ভাল হয় বলে আমার ধারণা।
আন্তর্জাতিক , সংস্কৃতি অথবা অন্য কোন ব্যাখ্যা আমরা মানে পাঠকরা দিব।
হ্যাঁ, কবিতাটি পড়তে ভালই লেগেছে। আন্তর্জাতিক ফ্লেভার / আমেজ আছে।
@গীতা দাস,
ভাল লাগার জন্য অনেক শুভেচ্ছা!
আমরা যারা বিদেশে থাকি তারা এক অর্থে যাযাবরই তো!
আসলে বিদেশের ওপর কবিতাটা এজন্যই হয়ত আন্তর্জাতিক , সংস্কৃতি
দিয়েছিলাম!
অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ নাকি নেদারল্যান্ডসে। আপনি এখন আছেন কোথায়? :-/ 😀
প্রতিবিম্বের কথা এতো সুন্দর করেও বলা যায় জানতাম না। খুবই সুন্দর লাগল লাইন দুটো।
@লাইজু নাহার,
অবশ্য ফান ফেয়ারটা মনে হয় জার্মানীতে হয় তাই না? :-/
‘আকাশে দুধ সাদা
গাংচিলের দল –
আকাশ মাতিয়েছে।
সাদা নীলের আকাশ বালিকারা –
জলে লুকোচুরি খেলছে।’
অপূর্ব মায়াকাড়া লেখা। একএকটা চিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে। চমৎকার!
@আফরোজা আলম,
কবির কাছ থেকে কবিতার মত মন্তব্যের জন্য
আন্তরিক শুভেচ্ছা!
@সাইফুল ইসলাম,
নেদারল্যান্ডস।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা!