কিছুদিন আগে হাইকোর্ট একটি যুগান্তকারী নির্দেশ দিয়েছিল এ মর্মে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবেনা। বাংলাদেশের নাটোরে অবস্থিত রাণী ভবানী কলেজ়ের গোড়া মুসলিম অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক কলেজের মেয়েদের জন্য সকল প্রকার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করেন এবং সকল ছাত্রীর জন্য বোরকা পরে কলেজে আসা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন। বোরকা না পরে আসায় অনেক ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের গায়েও হাত তোলা হয়েছিল! পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হবার পর কতিপয় আইনজীবী এ ঘোষনার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন এবং হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে উক্ত রায় ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে এর পক্ষে পরিপত্র জারি করে।
এটা তো গেল ঘটনার বর্ণনা। এবার আসা যাক এ রায়ের প্রতিক্রিয়ার কথায়। অনেক মানুষ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ ধর্মের পোশাক পরাকে বাধ্যতামূলক করা এবং কলেজের মেয়েদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়ার মত হঠকারী ও ধর্মীয় গোড়ামিমূলক সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা যে এদেশে একদল মানুষ আছে যাদের ধর্মানুভূতি কারণে অকারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এবং এ নিয়ে তারা হইচই করার জন্য উদগ্রীব থাকে। ফলে কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া ছিল যে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ আর মুসলমান মেয়েদের জন্য অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে পর্দায় থাকা অর্থাৎ বোরকা পরা। তাই হাইকোর্টের উচিত হয়নি ধর্মীয় কোন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা। কিন্তু এই ব্যাক্তিবর্গ হইচই করার প্রস্তুতি নেয়ার তালে আসল খবরটিই পড়তে বা জানতে ভুলে গেছেন। তাদের মাথায় শুধু ঢুকেছে “বোরকা” এবং “নিষিদ্ধ” শব্দ দুটি। তারা বোঝেননি যে জোর করে বোরকা পরতে বাধ্য করা নিষিদ্ধ হয়েছে, বোরকা নয়। কাউকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোন পোশাক পরতে বাধ্য করা যে একরকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত তা বোঝার ইচ্ছে বা ক্ষমতা তাদের নেই। তাছাড়া সেই কলেজে নিশ্চিতভাবেই অন্য ধর্মের ছাত্রীরা ছিল। সেই হিন্দু বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান মেয়েটিকে বোরকা পরতে বাধ্য করা কি ঠিক হবে শুধুমাত্র সে মুসলিমপ্রধান দেশে থাকে বলে? আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যদি আজ মুসলিম ছেলেদেরকে বাধ্য করতে ধুতি পরতে বা মুসলিম মেয়েদেরকে বাধ্য করে বোরকা না পরতে তাহলে তারা কোন মুখে এ ঘটনার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
এবার আরেকটি দলের কথায় আসা যাক যারা এই রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বোরকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন। তাদের ভাষ্য মতে স্কুল কলেজের মেয়েদের বোরকা পরা উচিত তাদের একটি প্রধান সমস্যা “ইভ টিজিং” এর শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। তারা বোরকাকে ইভ টিজিং প্রতিরোধে ব্রক্ষ্মাস্ত্র জ্ঞান করছেন। এখানেই আমার আপত্তি। আমার মতে বোরকা ইভ টিজিং রোধে কখনোই কার্যকরী ভূমিকা নেবেনা। আমাদের দেশের প্রায় সকল নারী তা সে যে ধর্মের বা যে বয়সেরই হোকনা কেন একবার হলেও ইভ টিজিং এর শিকার হয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমি আগে বোরকা পরতাম এখন পরিনা, আমি তখনো রাস্তাঘাটে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হয়েছি আর এখনো মাঝে মাঝে হই। আমি জানি এক্ষেত্রেও নিন্দুকদের মুখে আরেকটি কথা জুটে যাবে যে আমি হয়ত এমন কোন পোষাক পরি যা পুরষদেরকে সুযোগ দেয় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে। তবে যেসব পুরুষেরা এধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে থাকে তাদের কাছে মেয়েদের বয়স বা পোষাক খুব একটা ব্যাপার না বলেই আমার কাছে মনে হয়। আমি নিজের ও আমার মা, বোন, বান্ধবীসহ অনেক মেয়েদের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে একথা বলছি। তবু অনেকেরই স্বভাব ইভ টীজিং এর কারণ হিসেবে সূক্ষ্মভাবে মেয়েদের দোষ দেবার চেষ্টা করা। তারা বলেন, মেয়েরা শালীনভাবে চললে বিশেষত বোরকা পরে চললেই নাকি ইভ টিজিং কমে যাবে। মিসরের ইসলামবিদ সা’দ আরাফাত গত ১১ জুলাই স্থানীয় আল-রাহমা চ্যানেলে বলেই বসেছেন, নিকাব বা হিজাব পরলেও মুসলমান মেয়েরা হয়রানি বা উৎপীড়নের সম্মুখীন হয়, কারণ তারা অহেতুক বের হয় বাড়ি থেকে এবং তাদের চোখ অনবরত ঘুরতে থাকে ডান আর বামে। কি হাস্যকর কথা! আমি মেয়ে বলে আমাকে সবসময় ঘরে বসে থাকতে হবে আর বাইরে বের হলে এটা ভেবে পোষাক পরতে হবে যাতে অসভ্য কোন পুরুষের সন্ধানী চোখ আমার পোষাক বা অবয়বের দিকে পড়ে তার মনে কু-ইচ্ছা জেগে না উঠে! বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) শালীনতা বজায় রাখতে মেয়েদের জন্য ড্রেস কোড করেছে বোরকাকে! আর হাইকোর্টের নির্দেশ ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র জারি সত্ত্বেও ঝিনাইদহের এক স্কুলে এখনো বোরকা পরছে হিন্দু ছাত্রীরাও। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এই মেয়েগুলোকে এমনই ভয়ানক জ্ঞান করা হয় যে তাদেরকে বস্তাবন্দি করে রাখা হচ্ছে শালীনতা বজায় রাখতে! এ ঘটনাগুলোর অপমানজনক দিক কি কেউ ধরতে পারছেনা?
ইভ টিজিং এর সবচেয়ে ভয়াবহ ফলাফল হচ্ছে কিশোরী ও তরুণীদের আত্মহত্যা। আর সকলের অবগতির জন্য বলছি এই আত্মহত্যার কারণ কিন্তু নিছক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও শরীরে অস্বস্তিকর ও অসভ্য স্পর্শ পাওয়া নয়। সে মেয়েরাই সাধারণত ইভ টিজিং এর কারণে আত্মহত্যা করে যারা পাড়ার বা তার স্কুল কলেজের সামনে দাঁড়ানো বখাটে ছেলেদের দ্বারা প্রচন্ডভাবে উত্যক্ত হয়। যে প্রচন্ড মানসিক চাপ সইতে না পেরে তারা আত্মহত্যা করে সেই মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে অবদান রাখে উত্যক্তকারী পুরুষগণ, মেয়েটির পরিবার ও সমাজ। একটি মেয়েকে যখন কোন বখাটে উত্যক্ত করে তখন সমাজের মানুষের মাঝে মেয়েটির সম্পর্কে খারাপ ধারনা গড়ে ওঠে। “নিশ্চয় মেয়েটি কিছু করেছে/ নিশ্চয় মেয়েটি কোন অশালীন পোষাক পরেছিল” এধরণের কথা অধিকাংশ মানুষের মনে ও মুখে ঘুরে ফিরে। মেয়ের মা-বাবা ও পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়।
((আমার মাকে স্কুলে যাওয়ার সময় এক ছেলে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল আর একথা আমার মামাদের কানে যাওয়ায় তারা আমার মার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আমার মাকে নানী মারতে গিয়েছিলেন একথা শুনে। জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার মা কি করেছিল যে ছেলেটি এ কাজ করার সাহস পেল! অবস্থা কিন্তু এখনো অনেক ক্ষেত্রে এরকমই আছে।))
যেহেতু মেয়ে হয়ে জন্মানোই তার আজন্ম পাপ তাই মেয়েটির পায়ে বেড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়, বেড়ির শক্তিও বেড়ে যায় যেমন- অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটির লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে যায়, বাড়ির বাইরে বেরোনোতে আসে নিষেধাজ্ঞা। অনেকক্ষেত্রে মেয়েদের বিয়ের তোড়জোর শুরু হয়ে যায়। বাবা-মা আরেক পুরুষের গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে বেঁচে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবু বখাটে ছেলেটিকে কোন জবাব দিতে পারেনা এই ভয়ে যে সে যদি মেয়েটির কোন ক্ষতি করে দেয়। এদিকে বখাটে ছেলেটি হয়ত প্রতিনিয়ত প্রেমনিবেদন করে চলেছে আর প্রতিনিয়ত প্রত্যাখ্যাত হয়ে মেয়েটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে চলেছে অথবা এসিড মারাসহ নানাবিধ হুমকি দিয়ে চলেছে। মেয়েটির বান্ধবীদের বাবা-মা হয়ত নিজের কন্যার হিতাকাংখায় মেয়েটির সাথে তার সন্তানের মেলেমেশা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। এভাবে বন্দি হয়ে মানসিক চাপে জর্জরিত হয়ে একসময়ে হয়ত মেয়েটি মরে বেঁচে যাওয়ার পথ বেছে নেয়। এখন আমাকে বলুন এক্ষেত্রে বোরকা কি করতে পারে? বোরকা পরলেই কি মেয়েটি বখাটের রক্তচক্ষু থেকে বেঁচে যাবে? পরিবার ও সমাজ থেকে আসা মানসিক চাপ কমে যাবে?
আমাদের শহরে যদি একটি পাগলা বাঘ এসে ঢোকে তাহলে কি আমরা বাঘটিকে মারার চেষ্টা করব বা তাকে ধরে বন্দি করার চেষ্টা করব নাকি সেই বাঘের ভয়ে নিজেরাই খাঁচায় ঢুকে বসে থাকব? আমাদের সমাজের এই তথাকথিত সচেতন মানুষেরা কিন্তু দ্বিতীয় কাজটির পক্ষে রায় দিচ্ছেন। ইভ টিজিং রোধে পদক্ষেপ না নিয়ে তারা আমাদেরকে খাঁচায় ঢুকতে পরামর্শ দিচ্ছেন! এ ব্যাপারটি যে কতটা হাস্যকর তা কি তারা বুঝতে পারছেন?
লেখাটি ভাল হয়ছে। ধন্যবাদ।
লীনা রহমানকে প্রবন্ধটি লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি থাইল্যান্ডে আছি তিন বছর ধরে, থাই মেয়েরা পোষাক পরে খুব চিম্পল, এত অল্প পোষাক পড়েও তারা কিন্তু ইভ টিজিং এর শিকার হয় না। আমাদের দেশে এত পোষাক পড়েও কেনো ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে? আসলে দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। বোরকা পড়ে ইভ টিজিং বন্ধ হবে না। চাই দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন।
@Arupa,
এটাই তো মানুষ বোঝেনা।
@Arupa,
হুমম… এখানে বোরকা শরীরের নয়, বিবেকের উপর হওয়া জরুরী,এই সমাজকে সব দিক থেকে বিবেকের শিক্ষা থাকা জরুরী। ইহা বিভিন্ন অপকর্মের মাঝে একটি। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশ নয় বরং ভারত পাকিস্তানেও আছে (আরও আছে)। হিন্দুদের ভিতর বোরকা নেই তবে সেখানেও এই সমস্যা প্রকট। আবার আপনে বলছেন থাইল্যন্ড এই সমস্যা তেমন নেই। কিসের কারনে নেই? শুধু কি ধর্ম কারন ? নাকি আরও কিছু আছে? ইহা জানা দরকার। শিক্ষা ব্যবস্থা বা কিসের অভাব?
এইক্ষেত্রে মেয়েরাও কম দায়ী নয়, বরং অধিক। এখানে ধর্মীয় মূল একটি ভুমিকা আছে। ধর্মকে বাদ দিয়ে এই সমস্যা শুধু বিজ্ঞান ভিত্তিক, বিজ্ঞান মনষ্ক মুখে চিতকার পাইরে লাভ নাই (অথচ বিজ্ঞানের “ব” বুঝেনা); ধর্মকেও আনতে হবে, ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা পরিবর্তন করতে হবে, বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল-ধর্মও পরিবর্তনশীল। ১৫০০ বছরের পুরনো- অন্য জাতির উপর বর্নিত ধর্ম নিজেদের রক্তে লাগিয়ে আবার সেই ধর্মকে গালাগালি করে লাভ নেই, বা নেই কোন গর্ব। আবার এখন যেহেতু সেই ধর্ম বাংগালী জাতির রক্তে ঢুকে পড়েছে সুতরাং দরকার সেই ধর্মকে নিজেদের মত করে সাজানো, একই ধর্মের কথা, দেশ জাতি ভিন্নতায় তফসির আলাদা। কেননা সকল ধর্মের মূলভিত্তি মানব ধর্ম।
আমার কাছে সমাজের ‘গুরুজন’দের এই চরিত্রটা আজব লাগে না। তারা ইসলামে বিশ্বাস করে, এবং ইসলাম তাদের শেখায় নারী আসলে সম্পত্তি ও ব্যাবহার্য সামগ্রী মাত্র।
নারী তাই কালচে টেট্রাপ্যাকের ভেতর নিজেকে সুরক্ষিত রাখবে মালিক পুরুষটির জন্য। পুরুষটির সতীর্থ সমাজ তাই সদা তৎপর এই টেট্রাপ্যাক বহাল রাখতে। মোড়ক খুলে ফেললে কি কি সমস্যা হতে পারে তার নমুনা হিসেবে কিছু কুকুর ছানা ছড়ানো থাকে রাস্তায় মোল্লামাদবরগুরুজনদের আশীর্বাদ নিয়ে।
@আরিফুর রহমান,
১০০% সহমত- :yes: :yes:
@আরিফুর রহমান,
:yes: বোরখা, হিজাব না পড়লে সমাজে এইসব “কুকুর ছানাদের” উপদ্রব বেড়ে যাবে সেটা প্রমান করাই এইসব “মোল্লামাদবরগুরুজনদের” আসল উদ্দেশ্য।
@আরিফুর রহমান,
ভাই কুকুর ছানা উপমাটা আমার পছন্দ হয়নি। এতে কুকুর জাতির অবমাননা হয়েছে বলে আমি মনে করি। বিশেষত যখন আমি কুকুরের একান্তই ভক্ত। কুকুর পালার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, এরা সৃষ্টির শ্র্রেষ্ঠ জীব মানুষ থেকে অনেক দিকেই শ্রেয়। অন্তত বেঈমান মানব জাতিকে একটা কুকুর খুব ভাল ভাবেই সততা আর পরোপকারের শিক্ষা দিতে পারে। তারপরও কেন যে মানুষ এই জাতিটিকে গালি হিসেবে ব্যবহার করে!! একজন কুকুর প্রেমী হিসেবে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
@মিঠুন,
অত্যন্ত সত্য কথা।
কুকুরের মত একটা মহত প্রানীর নাম করে গালি দেবার বুদ্ধি যে কোন ছাগলের মাথা থেকে বেরিয়েছিল!
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
আমিও বুঝে পাইনা মেয়েরা কিভাবে ইসলামের প্রতি অনুগত থাকে। সকল ধর্মই মেয়েদেরকে অত্যাচার করেছে, অমানুষ ভেবেছে। ইসলামও তাই করেছে কিন্তু ইসলাম কিছু অধিকার দিয়ে মেয়েদেরকে বিভ্রান্তির পট্টি পরিয়ে দিয়েছে। অনেকে মুসলিম মেয়েই মনে করে ইসলাম উৎকৃষ্ট কারণ সে সম্পত্তিতে মেয়েকে অধিকার দিয়েছে, কুরানে মেয়েদেরকে নিয়ে একটি সূরা নাযিল হয়েছে এবং আল্লাহ নবীকে নাকি ৪টি মেয়ে দিয়েছিলেন মেয়ে কত আদরণীয়া তা বোঝানোর জন্য।আমার এক বান্ধবী সেদিন আমাকে বলছিল এসব। আমি তখন বললাম জানিস নবীজি যখন আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল ৫১ আর আয়েশার বয়স ছিল ৬? সে বলল সে জানেনা। এমনকি সে এটাও জানেনা নবীজি যে তার পালক ছেলের বউকে বিয়ে করেছিলেন। সে বলল তুই কি ঠিক জানিস? পরে বলল সে যদি করেও থাকে নিশ্চয় কোন কারণ ছিল। আর পালক ছেলের বউকে হয়ত বিয়ে করা যায়।আমি তখন বললাম আমি কোনদিনও আমার ৬ বছরের মেয়েকে ৫১বছরের মানুষের সাথে বিয়ে দিব না, আমার স্বামীর পালক পিতাকেও বিয়ে করবনা। সে তখন বলে ‘তুই দেখি নাস্তিকের মত কথা বলছিস।কুরান বা নবীকে চ্যালেঞ্জ করিসনা। আর ইসলাম মেয়েদেরকে অনেক অধিকার দিয়েছে, মানুষই এগুলোর ভুল ব্যাখ্যা করে ।’ আমি ভাবলাম আমি তো তাকে কিছুই বলিনি শুধু দুটি তথ্য জানে কিনা জিজ্ঞেস করেছি, তাতেই এই অবস্থা আরো কিছু বললে মনে হয় আমাকে বাসা থেকে বের করে তওবা করত আমার সাথে মেশার জন্য। আমি শুধু তাকে বললাম আগে তুই জান তারপরে কথা বল। কিন্তু তার ঐ এক কথা কুরানকে চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা। :-Y
আর ঠিক ধরেছেন কোন ব্লগের কোন ছাগলু কি বলল তাতে আমার কিছু যাবে আসবেনা। আমি জানি আমি কি বলছি, কি করছি।
আশা করি ভবিষ্যতে আরো লিখব ।
@লীনা রহমান, ধন্যবাদ লীলা রহমান আপনার প্রতিবাদী কন্ঠের জন্য। আপনার কাছ থেকে আরো লেখা আশা করব। এবং আমার তরফ থেকে আপনার মানসিকতার সফলতা কামনা করি। আর মেয়েরা যদি ধর্মের গেড়াকল বুঝতো তা হলে আজ পৃথিবীতে মেয়েদের অবস্থা এই হয়? যে ধর্মগুলি মেয়েদের অধিকার খর্ব করেছে সেই ধর্মকেই মেয়েরা সবচেয়ে বেশী মানে। একটা ঘটনা বলি একদিন আমি আমার এক বন্ধুর বাড়ী বেড়াতে গেছি। তো আমার হাতে একটা ক্যালেন্ডার ছিল। তো ও আমার হাতের ক্যালেন্ডার নিয়ে পড়ছে তাতে কিছু গায়ত্রী মন্ত্র ছিল। তো বন্ধুর মা চা নিয়ে এসেছেন আমাদের জন্য। এবং ক্যালেন্ডারটি উনি হাতে নিয়ে দেখছেন। যখনই তিনি দেখলেন ওতে গায়ত্রী মন্ত্র লেখা বললেন এতো গায়ত্রী এইসব মেয়েদের পড়া পাপ বলে ক্যালেন্ডারটি রেখে দিলেন। আমি বললাম মাসিমণি ওসব তো শাস্ত্রে বলা হয়েছে মেয়েদের অন্ধ করে রাখার জন্য যাতে মেয়েরা ধর্মের আসল রহস্য না বোঝে। তিনি সাথে সাথে দীর্ঘ শাস ফেলে বললেন কলি ঘোর কলি আজকের ছেলেমেয়েরা ধর্ম মানতে চায় না কলি যুগে যে আর কত কি দেখব? কিন্তু তিনি একজন কলাপাতা ধারী এম,এ পাশ এবং টাকা রোজগারের স্বার্থে একটি হাইস্কুলের শিক্ষিকা। হায় :ধর্ম তুমি মানুষকে অন্ধ করতে জান মানুষ করতে জান না।
আপনার পোস্টটি এবং মন্তব্যে অন্যদের সাথে আপনার ইন্টার্যাকশন দেখে অভিভুত হলাম। তবে এই পোস্টটা দিয়ে আপনি ইসলামিস্টদের দিয়েছেন একটি বিশাল বিশাল বড় হৃদয়-ভাঙ্গন। মনোকষ্টে তাদের নাওয়া-খাওয়া যে দু-তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে এই ব্যাপারে আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি। আসলেই কিন্তু মনোকষ্টে মানুষের নাওয়া খাওয়া বন্ধ থাকে, কেননা মনোকষ্ট পেরিস্টালসিস বা খাদ্যগ্রহন ইনহিবিট করে দেয়, অতীতে আমার নিজের পেরিস্টালসিসও ইনহিবিট হয়ে গিয়েছিলো মনোকষ্টে অনেকবার। তবে ইসলামিস্টদের এটা হবে কেনো সেই ব্যাপারে আমার একটা হাইপথেসিসও রয়েছে। সেটি হচ্ছে- ইসলাম প্রকারগতভাবে একটি মিসজিনিস্টিক ধর্ম। এই ধর্মবাদীরা মেয়েদের মনে করে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে। একজন পুরুষ ইসলামের বিরুদ্ধে বললে তাদের অন্তর্জালা যতোটুকু না হয়, একজন মেয়ে বললে তারা তারচেয়ে অনেক অনেক বেশী দুর্বল বোধ করে, তাদের মনোভাবটা হয়- you too, poor woman! এজন্যই দেখবেন যে, তসলিমার চেয়ে অনেক প্রদাহীভাবে ইসলামের সমালোচনা অনেক পুরুষ করে থাকলেও দেশছাড়া কিন্তু ইসলামিস্টেরা করেছে তসলিমাকেই। এবং বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে ইসলামী আবর্জনার অস্তাকুড় সদালাপ ব্লগেও দেখবেন তারা বুলিয়িং করার জন্য বিশেষ করে বেছে নেয় মেয়ে ব্লগারদের, বন্যা আহমেদকে বেছে নেয় কিংবা বেছে নেয় নন্দিনিকে। আপনাকেও খুব সম্ভবত বেছে নিবে, আমি নিশ্চিত এর বিরুদ্ধে আপনার প্রতিক্রিয়া সম্ভবত হবে what makes you think I care? আমি একটা জিনিষ বুঝিনা কি করে একটি মেয়ের পক্ষে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হওয়া সম্ভব। একজন ইহুদি যদি নাতসী পার্টির সদস্য হতে না পারে কিংবা একজন কালো বা এসিয়ান যদি হতে না পারে ক্লু-ক্লাক্স-ক্লানের সদস্য তবে একজন মহিলার কি করে ইসলাম নামক একটি কুচক্রী গ্যাঙ্গএর সদস্য হওয়া সম্ভব, বিশেষ করে ইসলামের একমাত্র লক্ষ্যই কিনা যেখানে মানুষের, প্রথমত মেয়ে মানুষের জীবন থেকে সমস্ত সুখ-স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়ে জীবনকে চুষে ছোবড়া বানিয়ে দেওয়া? কিন্তু আবার ইসলামের এই অত্যাচারের প্রতিবাদে মেয়েদের কন্ঠও কিন্তু অনেকটাই নীচুস্বর। এই নীতির ব্যত্বয় ঘটিয়ে আস্তিক-নাস্তিক সংঘাতের টেস্টস্টেরন-মেদুর যুদ্ধক্ষেত্রে তাই আপনার এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আরেকবিন্দু শিশির। আপনাকেতো আমি বলেছিই কতোটা অমোদিত আমি বোধ করি কোন মেয়েকে ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতে দেখলে। সবার পক্ষ হতে আপনার কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও এই ধরণের পোস্টের জোড়ালো দাবী থাকলো।
@আল্লাচালাইনা,
:yes: সাধুবাদ জানাই আপনার এই realization-এ।
প্রিয় লীনা রহমান,
আপনার সুলিখিতি প্রবন্ধটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রবন্ধটির ভাষায় আরো কিছু গতিময়তা থাকলে তা আরো হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠতো।
আপনার প্রবন্ধটি আমার এক বন্ধুর নতুন ওয়েব পেইজে ছাপানোর জন্য পাঠিয়ে দিতে ইচ্ছুক। ওরা সখের সাহিত্যিক, এজাতীয় লিখা ভালবাসে।
তাই আপনার অনুমতি চাচ্ছি। অনুমতি দেবেন কি ?
উত্তর পুরুষ
@উত্তরপুরুষ,
আসলে লেখাটা একটু দ্রুত লেখা আর ঝামেলার মাঝে লেখা তাই দুর্বলতা রয়ে গেছে অনেক। আমার নিজের কাছেই মনে হয়েছে যা আমি ভেবেছিলাম তার সবকিছু ঠিকভাবে আনতে পারিনি। এর আগে খুব বেশি প্রবন্ধ লিখিনি বলেও কিছু দুর্বলতা রয়ে যায় লেখায়। চর্চা করতে থাকলে এগুলো কেটে যাবে বলে মনে করি। আর আপনি যদি আপনার বন্ধুর ওয়েব পেইজে লেখাটা পাঠাতে চান আপত্তি নেই। কোন ওয়েব পেইজে পাঠাতে চান নামটা বলবেন কি?
খুবই সময়োপযোগী লেখা। আদালতের নির্দেশের সাথে সাথে যথারীতি ধর্ম গেল বলে দিকে দিকে রব উঠেছে।
বোরখার প্রয়োযনীয়তা বিষয়ে সব চেয়ে বড় যুক্তি শোনা যায় মেয়েদের নিরাপত্তা। বিকিনি পরা মেয়ের ছবির পাশে বোরখা আবৃত মেয়ের ছবি দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ; কোন পোশাক বেশী নিরাপদ? সামান্য গভীরে না গেলে এই যুক্তির অসারতা বোঝা যায় না। ইভ টিজিং নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হবার পর এনারা আরো হাতে আরো ভাল অস্ত্র পেয়ে গেছেন। বোরখাই হল ইভ টিজিং বন্ধের মহৌষধ।
ব্যাপারটা কি আসলেই সেভাবে হবে? এটা হতে পারে যে ১০ জন স্কুল কলেজ গামী মেয়ের মাঝে একজনের চেহারা দেখা যায় না এমন টাইপের বোরখা পরলে তার প্রতি বখাটেদের দৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু সব মেয়েই যদি একই কায়দার পোষাক পরা শুরু করে তাহলে বখাটে বৃন্দ বোরখা পরার সুবাদে সবাইকে রেহাই দেবে? বোরখার মহাত্ম দেখে নিজেদের অভ্যাস রাতারাতি পালটে তারা ভালমানুষ বনে যাবে এটা ভাবা যায়? বোরখা পরা মহিলা দেখলেই কামার্ত লোলুপ পুরুষ নিজেদের শুধরে নেবে? তাহলে আর মধ্যপ্রাচ্যীয় দেশগুলির লোকজনের যৌনাচারের ব্যাপারে এত দূর্নাম হত না।
পর্দা বা বোরখা যাই বলা হোক না কেন সবাইই তো তা করে, একমাত্র পশ্চীমের কিছু ন্যূডিষ্ট এলাকা ছাড়া। গায়ে কাপড় পরে না কয়জন? কোরানে কি সহি পর্দা বা বোরখার কোন নিখুত বর্ননা আছে নাকি ছবি দেওয়া আছে? ধর্ম নিয়ে নাকি কোন জোরাজুরি নেই, ইসলাম ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি জোরাজুরি করে না বলে প্রায়ই শুনি। সেটা সত্য হলে জোর করে বোরখা পরাবার দাবী কেন ওঠে? আদালত বোরখা নিষেধ ও করেনি। করা উচিতও নয়। কারো যেমন জিন্স শর্টশ পরার অধিকার আছে তেমনি বোরখা পরার অধিকারও আছে, এরজন্য আদালতের হস্তক্ষেপের দরকারও থাকার কথা না। অথচ হস্তক্ষেপ করতেই হল জোর করে বোরখা পরানোর জন্য। ইসলামে জোরাজুরি নেই বলে যারা দাবী করেন তারা এসব জোরাজুরির ঘটনার সময় কোথায় থাকেন? ব্লগে বড় বড় কথা না বলে ওসব লোকজনকে আসল ইসলাম বোঝাতে পারেন না?
@আদিল মাহমুদ, ভাল বলেছেন। প্রতিটি কথাই আমার মনের কথা। আরো যত্ন করে লিখে এ বিষয়গুলো এরকম বিস্তারিতভাবে এই পোস্টে তুলে আনা উচিত ছিল বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য। :rose:
@আদিল মাহমুদ,
“বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাশ্রম”-টাইপের কিছু ব্যাপারস্যাপার আছে তো! সেইটা ভুললে চলবে ক্যামনে!
@নির্ধর্মী,
hahaha.
@BANGLADESHI AGNOSTIC,
আপনি বাংলায় মন্তব্য করবেন। কারণ এখানে ইংরেজী ভাষায় বা রোমান হরফে মন্তব্য করলে তা গ্রহণ করা হয় না। বামদিকে এগুলোর লিংক আছে, দেখুন-
প্রায়শ জিজ্ঞাস্য বা সাহায্য
বাংলা ঠিকমত দেখতে এবং লিখতে হলে
মুক্তমনা নীতিমালা
:rose: :rose:
হুমম…
অনেক আগে নোভার একটা গান ছিল- “স্কুল পলাতক মেয়ে…”
স্কুল পালিয়ে প্রেম করতে যেত। তো বরকার একটা উপকারী দিকও কিন্তু আছে-এই যেমন ধরুন স্কুল কলেজ পালিয়ে যেই ছেলে মেয়েরা রিকসায়, পার্কে বসে বা রাস্তায় হাত ধরে হাটা,কথা বলা বা …তো এই সময় বোরকা মেয়েদের খুবই দরকার, নয়ত মেয়েরা সারাক্ষন টেনশনে থাকে কখন যেন আবার তার বড় ভাই বা বড় ভাইয়ের বন্ধু, বা পাড়ার বড় ভাই বা চাচারা বাবা বাবা-মা দেখে না ফেলে। এইটা প্রেমের সময় খুবই বিরক্তিকর এক বিষয়। যারা এইরুপ প্রেম করেছে বা এখনও করছে তারাই ভাল বুঝবে। তাই বোরকা পড়ে আসলে রিকসায় বসে আর প্রেমের কথা বলার সময় উকিঝুকি মেরে সময় নষ্ট করতে হয়না, নির্দিধায় সময়টুকু উপভোগ করা যায়…তাই বোরকা এই বিষয়ে খারাপ না, আমার মনে হয়।
আবার ধরেন পরীক্ষার হলে বোরকায় অনেক কিছু চুরি নকল নিয়ে যাওয়া যায়। কম কি বলেন? (কেউ আবার সিরিয়াস ভাবে নিবেন না আশা রাখি)
যাইহোক আমরা আমাদের মুল হারিয়ে ফেলেছি অনেক আগে। আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে আগে এই বোরকার মত ভুতের ছায়া কখনওই ছিল না, যদিও আমরা আমাদের সকল দেশিয় অস্তিত্ব প্রায় হারিয়েছি, গান বলি, নাচ বলি, কথা বলি, চাল চলন, নব বর্ষ বলি, পোষাক…যাই বলিনা কেন। বিভিন্ন দেশের মাল মসলা এনে আমরা আজ ককটেল প্রায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে আমরা ধর্মকেও ধার করে নিয়ে এসেছি। আর এই বিজাতীয় ধর্ম (তথা সৌদি ইসলাম) আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অধিক জব্দ করে, রপ্ত করেছে, আর ভয়ংকর বিষয় হল নিজেরাত করেই সাথে অন্যদের চাপ প্রয়োগ করা এইটা বেশি আকার ধারন করেছে। বোরকা, বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান আমরা হুজুগে পালন করি, তাই হইছে এই দশা, নিজের দেশ মাটির কোন খবর রাখিনাই অপরের কৃষ্টি দিয়েই পেট চালাচ্ছি। পুজো বললে দোষ হয়ে যায় অথচ একই জিনিস অঙ্গভঙ্গির তফাত তাই নমাজ বলতে হবে। আমি নমাজ পড়ি ভাল কথা পুজো বললে সমস্যা কোথায় বুঝিনা। দুইটার ভাবার্থ এক। মাঝে মাঝে মনে হয় যখন এই দেশে মোল্লার দল ঢুকেছিল এই দেশের সংষ্কৃতি নিয়ে টান দিয়েছিল তখনকার সময় টাইম মেশিন দিয়ে ফিরে যাই। আমরাত খারাপ ছিলাম না। এই ব্যটারা দাড়ি টুপি জুব্বা আলখাল্লা এই মাটিতে ঢুকে যত …
এই দেশে ওলী আউলিয়া এসেছিলেন শান্তির বানী নিয়ে, সুফী মতবাদ নিয়ে। ইনাদের পিছন পিছন এই বদমাইশ দাড়ি টুপির জোকারগুলো ঢুকে পুরো সিচুয়েশন নষ্ট করে দিয়েছ। যেই কোরানের বার্তা নিয়ে এসেছে সেইটার অপমান করেছে শুধু তাই নয় বরং এইখানে যেই রীষি মনীষি, পীর-আউলিয়া, যোগীর ইত্যাদির মতবাদ, দিক নির্দেশনা ছিল তাও নষ্ট করেছে। এরা উইপোকার মত।
কোরানে বলছে তোমরা (নারী) আবৃত কর তোমাদেরকে- এখানে নারী অর্থ জৈবিক দেহের নারী নয়, নারী অর্থে বুঝানো হচ্ছে তোমার নফস। অর্থাৎ তোমার চোখ, কান, নাক, মুখ, কান, জিহবা, সাতটি ইন্দ্রিয়। এই সাত ইন্দ্রিয় দিয়ে যেন কখন লোভ, কামনা, বাসনা, অহংকার, হিংসা প্রবেশ না করে। চোখ ইন্দ্রিয় সচল থাকলে সে দেখবেই- চোখের দোষ নেই, কিন্তু এই দৃষ্যের সাথে তোমার ভিতরে চুপি চুপি, অজ্ঞাতভাবে, বা ইচ্ছাকৃত ভাবেই লোভ, কামনা প্রবেশ করছে সুতরাং পর্দা দাও/ আবৃত কর তোমার সেই নফস। নারী অর্থ যা উতপাদনশীল। এখানে মস্তিষ্কে এই সকল দুই নম্বর জিনিস আমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে, উদয় হয়, আবার বিলয় হয়। ইহা মন জগতকে তোমার কলুষিত করে। এই নারী অর্থাৎ নফস একজন জৈবিক পুরুষও হতে পারে, অথবা হতে পারে জৈবিক নারী, সবার জন্য প্রযোজ্য এই বোরকা/আব্রু।
কোরানে নারী বলতে কখনওই জৈবিক নারীর দিকে এক নাগাড়ে দিক নির্দেশ করেনি, অথচ এই বিদ্যান আরবী ভাষার জাহাজ, গন্ডমুর্খ, পশু আত্নার সৌদি বাদশাগন এইসকল দুই নম্বর ব্যাখ্যা দিয়ে বেড়ায়। কোরান রুপক, ইহা যেমন মোহাম্মদ বলেছেন, বলেছেন আলী, বলেছেন ঈসা, মুসা, যুগে যুগে যত মহামানব গন আসছেন, আছেন আসবেন …। কিন্তু ভোগি কামুক পুরুষ দ্বারা রচিত কোরানের তফসির তাদের মতই হবে। কোন জ্ঞানীর কাছে গেলে এর সৌন্দর্য ধরা পড়ত বলে মনে করি।
যাইহোক এই মিথ্যার বোরকা আসলেই আমাদের দেশের নারী কবেযে ছাড়বে, পথে ঘাটে দেখতে পাওয়া যায় ৮০ বছরের বুড়ি বোরকা পড়ে আছে, একজনকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম “নানি আপনে এই গরমে বোরকা পড়ে আছেন কেন” – যত যাইহোক নানি খুব হাসি মুখে বলেছিলেন ভাই আল্লাহর নির্দেশ। বুড়িরে বুঝিয়েত লাভ নাই,তাই চুপ থাকলাম।
যাইহোক মোল্লা তত্ন্র আমাদের রক্তে রক্তে ঢুকিয়ে দিতে সফল হয়েছে, এই বাধ ভাঙ্গতে সময় লাগবে। ১৪০০ বছরের এই অক্লান্ত পরিশ্রম, এখান থেকে বের হয়ে আসতে সময় দিতে হবে। তবে আমাদের ভিতর এই ভ্রান্ত শিক্ষা বাদ দেবার জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়না। মেয়েরা মেয়েদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনা বলে মনে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা নিজেদের এই করুন দশার জন্য নিজেরাই দায়ী বলে মনে হয়।
যাইহোক এত বুঝিনা। লেখিকাকে ধন্যবাদ, নিজে সরে এসেছেন, বুঝেছেন।
@Russell,
একটা গানের লাইন মনে পড়ছে:
এক কোরানের যে কত হাজার রকম অর্থ করে বিশ্বাসিরা আর কোনটা যে ঠিক তা মনে হয় একমাত্র আল্লাহ ই জানেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
সেইটাই দেখছি, কত রকম অর্থ, তফসীর। আল্লাহ আর জানবে কই থেকে? আর যদি জানেও হেতেনের করারই বা কি আছে কন? দেখার বিষয় হল আমরা মানুষরা কিভাবে কি করলাম। আমাদের পৃথিবী আমরা কিভাবে বর্ননা দিয়ে সাজালাম, হেতেনত আমাদের এই পৃথিবী দিয়েই দিছেন। এই যেমন ধরুন এই সাইটে অনেকে আছে এই একই কোরান নিয়ে কত কি বর্ননা দিয়ে কি রঙ তামাশা দিয়ে বর্ননা করে গালাগালি দেয়, আর বাকিরা কি আনন্দে দাত গুলো বের করে ফিকফিক করে হাসে, আবার তালিও দেয়, যে যত জোড়ে গালি দিব সে তত রেটিং ভাল পায়, আর আবার দেখুন মোল্লারা কি সুন্দর গজাখিচুড়ি, পচা দুর্গন্ধ দিয়ে কিন্তু উপরে হাল্কা মিষ্টির প্রলেম দিয়ে সবার সামনে উপস্থাপন করছে। আবার দেখুন এই একই কোরানের ব্যাখ্যা নজরুল, লালন, সুফী মাওলানা রুমী, খাজাবাবা, আব্দুল কাদের জীলানী ইনাদের মত মহামানব কত সুন্দর সাম্য বাদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দিয়ে গেছেন। কোনটা নিবেন সেটা আল্লাহর জানার দরকার আছে নাকি? আল্লাহ জাইনেই কি? আর তিনি না জাইনেই কি? হেতেনত উধাও, নিরাকার; আকারেত আমি আর আপনে আর বিশ্ব।
ধন্যবাদ
@Russell,
আয়াতগুলোর কি নির্দিষ্ট অর্থ নেই? সুন্দর-অসুন্দর অনেক ব্যাখ্যাইতো আছে,আসল কোনটা সেটা বুঝার উপায় কি? নাকি আসল বলতে কিছু নাই? নারী বলতে পুরুষকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে,নফসকে হয়েছে এইটা বুঝার সাধ্য আপনার থাকতে পারে,আমার নাই। নারীর সাথে নফসের সম্পর্ক কি?? :-X :-X । অদ্ভুদ এই দুনিয়া!
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আয়াতগুলোর অর্থ, এর ব্যাখ্যা, এর আবেদন স্থান কাল পাত্র ভেদে ভিন্নতা। কোরান হল কেতাবের এক অংশ যা জ্ঞানীদের উপর বর্তায়, সাধারনের বুঝবার উপযোগী নয়। সাধারনের দরকার জ্ঞানীদের কাছ থেকে সেই জ্ঞান ধারন করে সত্যের পথে চলা।
সুন্দরের কোন সংগা হয়? ফুল সুন্দর, বাড়িটি সুন্দর, মানুষ সুন্দর…সবইত সুন্দর, এর কোন নির্দিষ্ট সঙ্গা হয়? বুঝাতে পারলাম? জানিনা। যাইহোক আপনার দৃষ্টিতে সুন্দর এর গভিরতা যতদুর কোরানের সৌন্দর্য ততদুর। আপনে যেরকম কোরানটাও আপনার বুঝার দুরত্ব সেরকম।
বাদ দেন এই ক্যচাল- আসলে কথা কোরানে বোরকার কথা/আব্রুর কথা বলা হচ্ছে আপনার মনজগতকে/মস্তষ্ক/ঘিলু উপর একটা পর্দা দেয়ার কথা কোরান বলছে যেন বাইরের বস্তুজগতের উপর লোভ, কামনা, মোহ, অহঙ্গকার ভিতরে প্রবেশ না করে। এই জাতীয়… আসলে কি এইটা এমন এক বিষয় এইগুলো বই পুস্তক পড়ে বোধগম্য হবেনা, তাই লালন বলেন সহজ মানুষ ভজন কর। সেই সহজ মানুষের …
যাক বেশি কথা বলে ফেলি সব সময়।
ভাল থাকবেন
@Russell,
কথাটা বুঝতে পেরেছেন দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে আনন্দ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। কিছু না হোক আপনাকে আনন্দত দিতে পারলাম এর থেকে বড় আনন্দ আর কি হতে পারে?
ধন্যবাদ
@Russell,
আমার তেমন কিছু বলার নেই। শুধু এটা আলাদা করে কোট করে দেখানোর প্রয়োজন বোধ করছি। :-Y
@Russell,
কোথায় পেলেন এ তথ্য। সূত্র দেবেন কি?
একই প্রশ্ন এক্ষেত্রেও।
বুঝলামনা কোন জ্ঞানীর কাছে গেলে সৌন্দর্য ধরা পড়বে?
আপনি একদিকে এ কথা বলছেন যে কুরানের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে অন্যদিকে বলছেন
আপনার অবস্থান ঠিক বুঝলামনা। এভাবেই তো মানুষ নিজের মত কুরানকে ব্যাখ্যা করছে , এবং কুরান নিয়ে ইচ্ছেমত মত দিচ্ছে,যেমন আপনি উপরের কথাগুলোকে নিজের মত ব্যাখ্যা করলেন বিশেষ করে প্রথম উদ্ধৃত কথাটি। কারণ কুরান এই সুযোগ দিয়েছে। আবার সুবিধাবাদীর মত কুরানের ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা করেও একে আবার কিনা মানুষ ঐশী গ্রন্থ বলছে। আমি বুঝলামনা আল্লাহ কেন এমন সুযোগ দিয়ে রাখলেন যখন তিনি কুরানকে অপরিবর্তনীয় এবং কালোত্তীর্ণ জীবন বিধান বলে এই কুরানেই বর্ণনা করেছেন।সর্বজ্ঞ আল্লাহর তো মানুষের এসব মনোভাব বুঝে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল।কিজানি, মোটা মাথায় এসব বুঝে আসেনা :-Y
@লীনা রহমান,
হুমম…
উপরে রামগড়ুড়ের ছানা সাহেবকে একটা মন্তব্য করেছি পড়ে নিবেন।
হালকা জেনে রাখুনঃ কোরান হল জীবন দর্শণ, ইহা জীবন বিধান নয়। এই দর্শণে যেই ব্যক্তি সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের, সেই তার অনুসারীগনদের বিধান করে দিবেন।
আর আপনে যেই প্রশ্ন করেছেন এইসব আসলে উত্তর দিতে গেলে বুজাতে গেলে …থাক, এর থেকে আপনার বোরকায় ফিরে আসি। তবে বোরকা সবার জন্য। কোরানের দ্বারাই এই ব্যাখ্যা আপনাকে দিলাম, ভাল লাগলে অন্তরস্থ করুন, নতুবা আর এর থেকেও ভাল কোন দর্শন থাকলে তাহা গ্রহন করুন, মূল বিষয় হল আপনে যা সেইটাই আপনে নিবেন, আপনাকে হাজার ভাল দিলেও আপনে নিবেন না, এইটা হল তকদির। বাঘকে ঘাস দিলে সে খাইতে চায়না, বাঘের মুখে ঘাস তার তকদিরে নাই, এইটাই প্রকৃতির বিধান বাঘের উপর, আর ইহাই তার এক তকদির। হাতিরে মাংস দিলে সে খাবেনা। যাইহোক, সব কথার বড় কথা জ্ঞান অর্জন করুন সুস্থ সুন্দর পবিত্র।
একই কোরান পড়ে কেউ হয় শয়তান, কেউ হয় বিদ্যান আর কেউ হয় জ্ঞানী। ইহা আর এক সৌন্দর্য। এখানে অনেক বৈচিত্রময়তা, জ্ঞানের। যার জ্ঞান পবিত্র, মস্তিষ্ক পবিত্র করতে চাইবে সে নিবে ভাল জ্ঞান, আর যার মস্তিষ্ক কলুষিত সে ঐ খারাপটাই নিবে।
বেশি কথা বলে ফেলি আমি। যাইহোক ভাল থাকবেন।
দেখি বোরকার আর কোন গুন আছে কিনা… :-/ । নাহ নাই। এর গুনের থেকে বেগুনটাই বেশি। ইহা ধারন করলে শয়তানি ভাবটা বাড়ে বেশি। বোরকার ভিতর ছেলে থাকল না মেয়ে থাকল বুঝাই যায়না। তাই এই বোরকা ব্যন্ড করে দেওয়া উচিত, কি বলেন? সরকারী পর্যায় থেকেই। আমি সরকার হলে প্রথমে এই মাদ্রাসাগুলো ব্যন্ড করতাম। সব গুলো আলোর দিসা দেখানোর চেষ্টা করতাম। যদি আমাদের দেশের এই মাদ্রাসাগুলো উঠায় দেয়া যাইত তাহলে আমার মনে হয় আগামী প্রজন্ম প্রকৃত জ্ঞানের আলো পেত। দেশ সত্যই উন্নত হত। আপনার কি মনে হয়? শুধু এক মাদ্রাসা যদি উথায় দেওয়া হয় তাহলেই এই দেশের উন্নতির গ্রাফ হঠাত দেখবেন উপরে টার্ন নেওয়া শুরু করছে…কবে যে হবে :-X
যাইহোক ভাল থাকবেন
@Russell,
কোরানে খারাপ কিছুও আছে, তা স্বীকার করে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
@নির্ধর্মী,
আহারে…আমি কি বাংলায় এতই খারাপ নাকি? বুঝতেছিনা, বললাম এক আর বুঝলেন আর এক। সামান্য এই বাংলায়ই ধরতে পারলেন না, কোরানের ভুল ধরবেন কি আকাশ থেকে?
“ধর্মে আছি জিরাফেও আছি” জাতীয় পিচ্ছিল নীতির অনুসারী এবং অগাধ জ্ঞানের অধিকারী (জ্ঞান বিতরণকালে যিনি বলেন, “হালকা জেনে রাখুন…”) কারুর সঙ্গে বিতর্কে নামার মতো নির্বুদ্ধিতা কেন যে করলাম! বিশেষ করে নিজের ভাষাজ্ঞান যখন এতো দুর্বল!
@নির্ধর্মী,
:laugh:
@Russell,
সেই পুরান কথা। আমি সাধারণ মানুষ তাই আমার পক্ষে যে কোরাব বুঝা সম্ভব না তা তো বুঝতেই পারছেন। আর মাথায় বুদ্ধি এত কম যে কে আসল জ্ঞানী তাই বুঝিনা :-Y
কে যে উচ্চপর্যায়ের তা গবেষনা করার মত এনার্জি ও প্রবৃত্তি নেই। আমি মনে হয় কুরানের জীবনবিধান অনুসরণ না করেই ভাল আছি। আমার জীবনাদর্শ কুরানের অনেক বর্বর বিধান থেকে উন্নত। আমি জানি আমার এ মন্তব্যের জবাবে আপনি বলবেন আমি কুরানের আসল ব্যাখ্যা জানিনা এবং কোন জ্ঞানীর কাছ থেকে এ ব্যাখ্যা পাইনি বলে এমন কথা বলছি। এ ধরণের কথা আমার পূর্বপরিচিত।
আমাকে করা আগের মন্তব্যে কোরানের দ্বারা যে ব্যাখ্যা দিলেন তার সূত্রই তো জানতে চাইলাম, আমরা বোকাসোকা মানুষ দেখে কি ভালভাবে জানারও অধিকার নাই?? আর আপনি যা আমাকে খাওয়াতে চাচ্ছেন তা আসলে ঘাস না কি বস্তু তাই বুঝতে পারলামনা। তাই আপনার ঘাস আপনার কাছেই থাক। আমার মস্তিষ্ক কলুষিত থাকবে এই হয়তো ছিল মহান আল্লাহর ইচ্ছে। আর রামগড়ুড়ের ছানা ভাইকে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তো দেখলাম নানা মুনির নানা মতের মধ্যে যেটা আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য তাই নিয়েছেন তাহলে আমি আমার মত কোন জীবনদর্শনমতে চললে আর তা অন্য কারো ক্ষতির কারণ না হলে তা আমি মানতেই পারি।কিন্তু আপনি বললেন
কোরানের দ্বারাই এই ব্যাখ্যা আপনাকে দিলাম, ভাল লাগলে অন্তরস্থ করুন, নতুবা আর এর থেকেও ভাল কোন দর্শন থাকলে তাহা গ্রহন করুন, মূল বিষয় হল আপনে যা সেইটাই আপনে নিবেন, আপনাকে হাজার ভাল দিলেও আপনে নিবেন না, এইটা হল তকদির। বাঘকে ঘাস দিলে সে খাইতে চায়না, বাঘের মুখে ঘাস তার তকদিরে নাই, এইটাই প্রকৃতির বিধান বাঘের উপর, আর ইহাই তার এক তকদির। হাতিরে মাংস দিলে সে খাবেনা। যাইহোক, সব কথার বড় কথা জ্ঞান অর্জন করুন সুস্থ সুন্দর পবিত্র।
আমার আর কিছু বলার নেই।
@লীনা রহমান,
কেউ যদি ধরেই বসে থাকে আমি বুঝবনা, তাকে সয়ং ভগবান সামনে এসেও যদি যাদু মন্তর করে তাহলেও সম্ভব না তারে বুঝানো।
তাই যদি না বুঝেন তাহলে এত বড় মন্তব্য না করে বলতেই পারতেন দুই লাইনে যে বুঝতে পারিনি। শেষ। কত কি লিখে গেলেন “আপনার পূর্ব পরিচিত”, “সেই পুরান কথা”।
আমি বলেছিঃ ইহা জীবন বিধান নয় অর্থাৎ ইহা কোন বিধান দিবেনা আপনাকে যে আপনে এই করতে হবে, এইরুপ সরাসরি কোন কথাই কোরানে নেই- এইখানে ভাল মন্দ দিক নির্দেশনা অর্থাৎ জ্ঞানের বিষয়বস্তু দেওয়া আছে এবং তাও আপনাকে এই দর্শণে যে উচ্চ তার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। এক কথা বারবার বলা লাগে…যদি না পান তাহলে অন্য কোন জ্ঞানী আছে কিনা সেইটা দেখবনে, সে যদি অন্য ধর্মাবলম্বী হয়, বা ধর্মের বাইরেও হয় তাও হবে। এইটা বলার পরেও বললেন কোরানের দেয়া বিধান- এইটা কোরানের বিধান না, এইটা মোল্লাদের বিধান। তারা কোরান পড়ে এমনটী বুঝে আপনাদের উপর বিধান দিয়েছে। এখন যার দর্শন জ্ঞান যেমন সে তেমন জিনিস বের করবে। যেমন মোল্লাদের দেয়া বিধান, আবার নজরুলের দেয়া বিধান, আবার লালনের দেয়া বিধান- কোনটা আপনার জন্য সেইটাই নিবেন।
কি বলব? কি পূর্বের পরিচিত সেইটা আপনার আসলেই মন্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে।
আচ্ছা বাদ দেন বুঝা হয়ে গেছে, সবইত আপনাদের পূর্ব পরিচিত, পুরান কথা , সুতরাং বইলে লাভ নাই। যাইহোক আপনার টপিকের ভিতরেই থাকিঃ বোরকার ব্যাখ্য দিয়েছিলাম কোরান হতেঃ ঘাস লাগলে খাবেন না, আর খাদ্য লাগলে পেটে-
মানে বস্তু থেকে লোভ মোহ থেকে পর্দা কর। শেষ। ভাল লাগছে? না লাগলে ঘাস ভেবে ফেলায় দেন হয়ে গেল। সব বুঝে গেছেন?আগেই পরিচিত তাইনা?
আর মন্তব্য দরকার নাই করার। ধন্যবাদ।
লেখাটা পড়লাম । চমৎকার লিখেছেন । আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটি মেয়ের জন্য নিজের মা-বাবা তথা পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বিশেষ করে ‘মা’, যিনি নিজেও একজন নারী তিনি কেন মেয়ের সুবিধা অসুবিধা গুলো না বুঝে, প্রয়োজনে পাশে না দাঁড়িয়ে উলটো মেয়েকে দোষারুপ করেন, এই ব্যাপারটা সত্যি আমাকে ভীষণ পিড়ীত করে । অবশ্য এটাও ঠিক যে আমাদের মা’রা এই সমাজেরই সৃষ্টি…
অনেকদিন পর মুক্তমনা খুলে আপনার লেখাটাই পড়লাম। ভাল লিখেছেন। বোরকা নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে। কিছু শেয়ায় করি। যখন মাদ্রাসায় পড়তাম। আমাদের সাথেই ছাত্রীরা পড়ত, কারণ নতুন মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী কম ছিল। ছাত্রীরা সকলেই চোখ ঢাকা বোরখা পড়ত। তো তখন ছিলাম ক্লাস টেনে। আমার এক বন্ধু (যে ক্লাস নাইনে ভর্তি হয়েছিল) এক সহপাঠীর প্রেমে খুবই হাবুডুবু খাচ্ছিল। সেই মেয়ের চোখ দেখেই সে প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। কত কিছু যে সে করেছে সেই মেয়ের মুখ একবার দেখার জন্যে। ছাত্রী মহলে আমি আবার প্রিয় ছিলাম বন্ধু সুলভ আচরণের কারণে। একবার পিকনিকে যাবার পরে স্যারেরা ম্যডামদের দিয়ে ছাত্রীদের আলাদা এক যায়গায় পাঠান। কিন্তু তাদের কাছে ক্যমেরা না থাকায় তারা স্যারের কাছে আমার ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে দিতে অনুরোধ করেন। এই সুযোগে আমি সবার চেহারা দেখে নেই :P। যদিও ক্লাস ফাইভে থাকতে সকলকেই দেখেছিলাম। যাহোক ফিরে আসার পর আমার বন্ধুটি এ ঘটনা জানতে পারে। ছবি ওয়াশ করার পর সে আমাকে অনেক অনুরোধ করে যে সেই মেয়েটির ছবি দেখাতে। আমিতো কোনভাবেই দিব না। অনেক কায়দা কানুন করে পরে সে দেখতে পারে এবং তারপর তার আগ্রহ ফুটুস! ঘটনাটা আমার কাছে বেশ মজার লেগেছিল। তবে এ ঘটনা থেকে ঘিলুলেস পাবলিকেরা আবার দাবী করতে পারে চোখ শুদ্দা ঢেকে রাখা উচিত!
@আনাস,
জানেননা মাইয়ারাই তো যত নষ্টের গোড়া। মাইয়া কেমুন বেহায়া দেখছেন চোখ দিয়া ইশারা কইরা পোলারে বশ কইরা ফালাইল। দেশটা আর সমাজটারে ধ্বংস করল তো মাইয়ারাই। অদের জন্যই তো দেশের যুবসমাজের এই অবস্থা।
অনেকেই এমন ভাবে। আরে বাবা কোরান মানলে ভাল কইরা মান। সবার এইটা মনে থাকে আল্লা লিখছে মেয়েদেরকে ঢাইকা ঢুইকা চলতে (যদিও কোরানেও সরাসরি বোরকার কথা বলে হয়নি বড় চাদরের কথা বলা হয়েছে) কিন্তু পুরষরা ভুলে যায় তাদেরকেও যে নজর সংযত করতে বলা হয়েছে। সবাই ভন্ড আর সুবিধাবাদী।
লীনা রহমানকে প্রবন্ধটি লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখুন বোরকা আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির অঙ্গ নয় এটা জোর করে আরব সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর ইভ টিজিং বোরকা দিয়ে বন্ধ সম্ভব নয় এটা সঠিক পারিবারিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন। নীচে আমি একটা লিঙ্ক দিচ্ছি তা দেখতে পারেন-
লীনা রহমানকে প্রবন্ধটি লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখুন বোরকা আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির অঙ্গ নয় এটা জোর করে আরব সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর ইভ টিজিং বোরকা দিয়ে বন্ধ সম্ভব নয় এটা সঠিক পারিবারিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন। নীচে আমি একটা লিঙ্ক দিচ্ছি তা দেখতে পারেন-http://www.energypublisher.com/article.asp?id=36606
আম িএখন ইউরােপ েভ্রমনরত আছ িও বর্তমান েনদোরল্যান্ড ে। এক ডাচ পরবিার েগছে িবড়োত।ে বাড়ীত ে১৫ বছর বয়সী কন্যার এক ১৮ বছররে বালক বন্ধু থাক।ে কন্যার মা বাবার সাথ েকথা বলছ।ি কন্যা ও তার বালক বন্ধু পাশইে বসা। একসময় দখে িতারা মা- বাবার সামনইে গভীর চুমাচুম িশুরু কর েদলি। বিষয়ট িআমার দৃষ্ট িকাড়াত েআম িতা নয়ি েকথা বললাম। আম িবললাম- এটা হলাে বশেী উদারতার নতেবিাচক দকি। কউে কাউক েভালবাসল েতা মানুষরে সামন েপ্রকাশ্যভাব েদখোত েহব,ে তাও খোদ মা-বাবার সামন েএটা বোধ হয় কোন সৌজন্যতা নয়। দখেলাম তারা একমত হলাে। এর পর আরও অনকেরে সাথ েবিষয়ট িনয়ি েকথা বলছে িঅনকেইে বলছে েবষিয়ট িঠকি নয়। আমার বক্তব্য হলাে- পশ্চমিা সভ্যতার সব কছিুই ভাল নয়।
@ভবঘুরে, পশ্চিমা সভ্যতার সবকিছু যে ভাল নয় তা তো জানি। আর অন্য সংস্কৃতি থেকে আমাদেরকে নিতেই হবে এমন কোন কথা তো নেই। কোন সমস্যা সমাধানে যে জিনিসের ভূমিকা নেই সেই জিনিসকে কেন সেই সমস্যার বিপক্ষে ব্রক্ষ্মাস্ত্র জ্ঞান করব এই ছিল আমার বক্তব্য।
@ভবঘুরে, দেখুন বোরখা না পরা মানে বিকিনি লেডি বনা নয়। আমাদের সংস্কৃতিতে অনেক ভদ্র রুচিশীল ড্রেস আছে। যেমন – শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ। বোরকা যেমন একটি নারীর জন্য লজ্জাকর তেমন একটা পুরুষের জন্যও।
@সুমিত দেবনাথ, ভাই আপনার লেখাটি ভাল, কিন্তু আমি এটাই বলতে ছাই যে বিকিনি কিন্তু অশালিন না। এটাকে আমরা অশালীন বলে থাকি। আমমরা আবার বেশি পুন্যবানতো! আমি বলছিনা যে মেয়েদের বিকিনি পরা উচিত, কিন্তু যদি কেউ তা পরতে ভালবাসে তবে আমরা সেটাকে অশালিন বলার অধিকার রাখি কি?
@ভবঘুরে,
আপনার কাছে বিষয়টিকে খারাপ লাগা আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা। কোনো কিছুই খারাপ নয় যতক্ষণ তা কারো জন্য ক্ষতিকর না হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। ইভ টিজিং আত্মহত্যার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, এটি ভয়ংকর এবং প্রতিহত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ একটি ইসলামী দেশ। আর এই দেশে বোরকা পরা রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করা উচিত। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি, যেদিন হাসিনা ও খালেদা বোরকা পড়ে জনসভা করবেন।
@সোলায়মান, বাংলাদেশ ইসলামী দেশ নয়, মুসলিম দেশ অর্থাৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। আপনি স্বপ্ন দেখতে থাকেন খালেদা হাসিনাকে বোরকা পরে জনসভা করতে দেখার। এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আপনি হয়ত রাষ্ট্রীয় পোশাক হিসেবে মুসলিম নারীদের সাথে সাথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান নারীদেরকেও বোরকা পরানোর স্বপ্ন দেখছেন, যেহেতু তারাও বাংলাদেশে থাকেন।আপনাকে কিছু বলার নেই কারণ আপনি আমার লেখার বিষয়বস্তু বোঝেননি। ইভ টিজিং রোধে বোরকার কি ভূমিকা তা আপনি বলতে পারবেননা, আর এটা রোধে যে বোরকার কোন কার্যকরী ভূমিকা নেই তাও বুঝবেননা এবং স্বীকার করবেননা।
ফ্রি পরামর্শ দেই। আপনি দয়া করে ভারত বা নেপাল বা কোন অন্য ধর্মপ্রধান দেশে যাবেননা। কে জানে তারা হয়ত আপনার মন্তব্যের আলোকে উদবুদ্ধ হয়ে তাদের দেশে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় পোশাক বা চিহ্ন পরার রীতি চালু করে দিতে পারে। আর তা করলে আপনার নীতি অনুযায়ী ভুল হবেনা। কারণ আপনি যদি আপনার দেশের সংখাগরিষ্ঠ মানুষের পোশাক রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার কথা ভাবতে পারেন একই চিন্তা তারা তাদের দেশের প্রেক্ষিতে করলে ভুল হবে কি? আর তাই যদি হয় দেখা যাবে ভারতে গিয়ে আপনাকে ধুতি পরতে হচ্ছে বা আমেরিকা-ইংল্যান্ডে গিয়ে ক্রুশ পরে ঘুরতে হচ্ছে। ক্রুশ পরলে নাকি কাফির হয়ে যায় মেট্রিকের ধর্ম বইতে পড়েছিলাম। :-/
@লীনা রহমান,
সত্যিই এই কথা বইয়ে লেখা আছে? তাহলে এই দেশ তাদের হাতেই তুলে দিন যারা নিজের দেশে বোরকায় মুখঢাকা সরকার দেখতে চায়। সুবহাল্লাহ, ধর্ম বইয়ে এসব আবর্জনা লিখতে পারে এমন আ–লের বাচ্চারাও এদেশে জন্মায়?
@আকাশ মালিক, আমার এস,এস,সি ২০০৬ এ । ২০০৩ সালে পুণমুদ্রিত নবম-দশম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বইতে পৃষ্ঠা ৩ এর শেষ লাইনে বলা আছে “ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ্যে কুফরের চিহ্ন ধারণ করা, ক্রুশ পরিধান করা, পৈতা পরা ইত্যাদিও কুফর।” বই ঘেটে বের করলাম লাইনটা।
আমার এই ব্যাপারটা মনে থাকার কারণ হল আমি আর আমার এক বান্ধবী আমাদের এক খ্রিস্টান বান্ধবীকে ক্রুশের আকারের খুব সুন্দর একটা লকেট কিনে দিতে বলেছিলাম। যেদিন তাকে টাকা দেব তার আগের দিন হঠাৎ এই লাইন চোখে পড়ে যায়। কাফের হয়ে যাওয়া তো অনেক বড় ব্যাপার, তাই ভগ্নহৃদয়ে অই লকেট পরার আশা ছেড়েছিলাম আর আমরা দুজন বলছিলাম ইস এতদিন চোখে পড়েনি লাইনটা আর কদিন পরে চোখে পড়লে বা কোনদিনও চোখে না পড়লে কি এমন ক্ষতি হত?? না জেনে লকেটটা পরে ফেললে কাফিরও হতামনা আবার লকেটটা পরাও হতো!! ভন্ডামি বুদ্ধি আরকি। 😛
@লীনা রহমান,
কোন্ কুত্তায় লিখেছে এ সব? কে বলতো- হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই? আচ্ছা এই ক্লাসে হিন্দু, খৃষ্টান, ইহুদী ছাত্র বসার কোন সুযোগ আছে? হায় বাংলাদেশ, হায় মুসলমান! লীনা, এই দেশে কি বিষের আকাল পড়েছে? তথাকথিত শিক্ষিতরা এইগুলো যদি পাঠ্যপুস্তক থেকে সরাতে সাহস করে মুখ খুলতে না পারে, দু-কলম লিখতে না পারে, প্রতিবাদ করতে না পারে তাহলে বিষ খেয়ে মরেনা কেন? আর না হয় গলায় দড়ি দিয়ে মরুক। পাঠ্যপুস্তকে লিখে, শিক্ষাগারে ট্রেনিং দিয়ে একটা দেশ, একটা সমাজকে সাম্প্রদায়িক করে গড়ে তুলা হচ্ছে আর এ দেশের শিক্ষিতরা চাঁদের ছায়া নিয়ে, কদম ডালের কোকিল নিয়ে মিথ্যে কবিতা লিখে, দুই লাইন সত্যকথা তাদের কলমে উঠেনা হাত কাঁপে। ধিক সেই স্বার্থপর-ভন্ড, ভীরু-কাপুরুষ, নষ্ট শিক্ষিতদের প্রতি, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানেনা।
@সোলায়মান, ইসলাম বলেনি বোরকা পরতে হবে। সাধারণত আপনাদের মতো নীচু মানষিকতার মানুষরাই এই কথা বলবে। মেয়েদের বোরকা পরার কথা বলার আগে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলান।
এই ব্যাপারটা নিয়ে লেখা খুবই দরকার ছিল। ধন্যবাদ লীনাকে। :yes: :yes:
পুরুষরা যতদিন মানুষ না হবে, ততদিন কিছু মানুষকে নারী হিসেবেই দেখবে।
আমার পরিবারে, এ বাড়ি ও বাড়ি কর্তাগন পরিবারে যে আচরন করে
তারই ভিন্ন এটা প্রতিফল/রুপ ইভটিজিং।
(এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা)
আমি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।বিশ্ববিদ্যালযের পাশে দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল থেকে জোবরা গ্রামের মেয়েরা ও মহিলারা মাথায় করে কাঠ বয়ে নিয়ে আসে।ঠিক সকাল বেলায় তারা বের হন এবং প্রচন্ড বিপদসংকুল পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে আবার দুপুরে ফিরে আসেন।আশ্চর্্যের ব্যাপার এই যে প্রচন্ড রৌদ্র থাকা সত্ত্বেও,৬-৭ কি মি গরমে ভিজে সিদ্ধ হলেও,তারা আপাদমস্তক বোরখায় নিজেদের ঢেকে রাখেন।আমি তীব্র গরমেও দেখেছি,আমরা যখন দোকানে ঢুকে খালি গাঁযে বসে থাকি তারা এই বোরখার নিচে তাদের আব্রু রক্ষার্থে ব্যস্ত থাকেন।ধর্ম তাদের এতটাই কূপমন্ডুক বানিয়েছে যে পুরো বিষয়টি তাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।অথবা কিছুই স্বাভাবিক হয়নি।তারা বোরখার নিচে কেঁদে-কেটে শান্ত হয়ে যায়।কেউ দেখতে পায় না।আব্রু রক্ষা তো হয়!!!!!!!!!
@ইমরান মাহমুদ ডালিম,
দুঃখজনক সত্য।
@আসরাফ,
ইভ টিজিং এর মূল কারণ কিন্তু রয়েছে আমাদের পরিবারের কর্তাদের আমাদের প্রতি আচরণের মাঝেই। পরিবার থেকে সমাজে ছড়িয়েছে এই বিষ কারণ পরিবার ও তার মানুষ মিলেই আজকের সমাজ । ইভ টিজিং এর প্রতিকার একটি দীর্ঘমেয়েদী ব্যাপার যেহেতু পুরুষের এবং একই সাথে নারীদের মানসিকতার পরিবির্তন এর সাথে জড়িত।
আমি আশা করি সে দিনটি খুব সামনেই যেদিন ইভটিজাক্রান্ত সাহসী মেয়েটি বর্বর ইভটিজার ছেলেটির গালে কষে একটা থাপ্পড় দেবে জনসমক্ষে।
চমৎকার লিখেছেন ! অভিনন্দন !
বোরখা পরতে বাধ্য করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে লিখব ভাবছিলাম। আলসেমি করায় লেখাটা দিতে দেরি হয়ে গেল। আমি নিজে আগে বোরকা পরতাম এবং বাধ্য হয়ে পরতাম তাই আমি জানি ইচ্ছের বিরুদ্ধে বোরকা পরতে কেমন লাগে। বোরকা ইভ টিজিং রোধে সহায়ক একথা শুনলে গা জ্বলে যায় যারা একথা বলে তাদের মূর্খতা দেখে।
@লীনা রহমান,
এটা তাদের মূর্খতা নয়, এটা তাদের ধূর্ততা। বোরকাকে সর্বস্তরে চালু করবার এটা তাদের একটা ধূর্ত যুক্তি। তারা সুযোগ সন্ধানী এবং বিপদজনক, তাদের আন্ডার এস্টিমেট না করাই উচিৎ।
@লীনা রহমান,
আমি নোতুন সদস্য। বোরকা সম্পর্কে পড়ে ভালো লাগলো। সুন্দর লিখেছেন
ইভটিজিং একটি অনৈতিক কাজ। যে করে সেও জানে। তাই মানষিক ভাবে সে দূর্বল। মেয়েরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে যদি স্যান্ডেল হাতে ঘুরে দাঁড়ায় – বদমাইশগুলো পালাবার পথ পাবে না।
খুব ভাল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন লীনা।
বিপ্লবের মতোই বলি – একদিন নারীরা দলে দলে বোরখা পরা নয় – বরং পোড়াবেন…আমি সেই সোনালী দিনের অপেক্ষা করি। :yes:
বোরখা একটি অবিজ্ঞান। একদিন নারীরা দলে দলে বোরখা পোড়াবেন…আমি সেই সোনালী দিনের অপেক্ষা করি। … :rose:
লীনা রহমান,
বোরকা নামক ড্রেস কোড নিয়ে সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@বিপ্লব রহমান,
বোরকা পোড়ালে সোনালী দিন হয় ” এই কথার ব্যাখ্যা দিলে খুশি হইতাম।
:yes: :yes:
:yes: :yes: