পোষ্টমর্ডানিজমের শুরু সেখান থেকে, যেখানে এসে বাস্তবতার দর্পনে ক্লাসিসিজম, রিয়ালিজম আর রোমান্টিসিজম বাকহারা হয়ে পরে। পোষ্টমর্ডানিজম মানে প্রচলিত সাহিত্য থেকে নজর সরিয়ে এমন এক সৃষ্টির সন্ধানে ধেয়ে যাওয়া যেখানে খুলে যাবে মুক্ত চিন্তার শত রুদ্ধদ্বার, দ্যুতি ছড়াবে ভাষার সাধারন শব্দ ভান্ডার, যোগাযোগ বাড়বে কবিতার সাথে পাঠকের, কবির এবং কবিতার।
সে সকল তত্ত্ব যার উত্পত্তি ভাষাভিত্তিক, মনোজাগতিক, প্রাচিন প্রাচ্য দার্শনিকতা ও বাম রাজনীতির বুদ্ধি ভিত্তিক সংগ্রাম থেকে উদ্ভব পোষ্টমর্ডানিজম সেসবের পূনঃভাবনার রেখা পথ ধরে হাটতে চায়। পালাতে চায় অতীতমূখীনতা থেকে, দৃঢ় হেটে যেতে চায় ভবিষ্যত অভিমূখে কোটারি ভিত্তিক সাহিত্যিক অনুপান ভেঙে প্রবল ভাবে অস্বীকার করে চলে আসা সকল মহান শিল্পরীতি নীতি, গন্ডিবদ্ধ চেতনা থেকে মুক্তি দিতে চায় পাঠকের ভাবনাকে।
আটলান্টিকের দুপারে ষাটের দশকে যখন এই মত প্রবল হচ্ছিল যে কবিতা ক্রমে দুবোর্ধ্য, অতীতপ্রিয় আর সংযমী হয়ে উঠছে তখন চলমান সকল ফর্ম ভেঙে ফেলে কবিতাকে গোঁড়াদের হাত থেকে মুক্ত করার তাড়না থেকে জন্ম নেয় পোষ্টমর্ডানিজম। মূলত তখন লক্ষ্য করা গিয়েছিল যে চলমান সকল ধারার খ্যাতিমান বাহকেরা ক্রমে গোঁড়া হয়ে উঠেছিলেন, ক্রমাগত গোঁড়াদের হাতে নির্দিষ্ট ফর্মে বন্দি হয়ে পড়ছিল কবিতা তার সকল সৌন্দর্য নিয়ে, পোষ্ট মর্ডানিস্টরা তা থেকে মুক্তি চাইছিলেন। কবিতার উত্তরণে তখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নতুন ক্রিটিসিজম এর গুরুরা। যারা নিজেদের স্বয়ংসিদ্ধ, যুক্তিঋদ্ধ এবং প্যারাডক্সিক্যাল ভাবতেন। স্বভাবতই ভাবনা হিসেবে এটি খুবই চালু যে তাদের হাত ধরে কবিতা দ্বান্ধিক দৃশ্যায়নের সাথে প্রতিকায়নের উপর ভর করে অর্থনীতির গতি রসায়নের ভিত্তায়ন ঘটাচ্ছিল, চুড়ান্ত ভাবে এটি ভবিষ্যত বিমূখ বলেই ভাবা হচ্ছিল।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে আসে প্রায় সাবেকী মর্ডানিস্টদের উদ্ভাবিত তরিকাগুলির কি হলো তখন! ক্যাপিটালিজমের বিকল্প নিয়ে বা আধুনিক রাষ্ট ভাবনা নিয়ে পাউন্ড বা লরেন্সের ভাবনাগুলোরই বা কি গতি! বিপরীতমূখী এই আন্দোলনগুলি যদিও তখনো চলছিল, কিন্ত ততদিনে এর অসংগঠিত রুপটা প্রকট হয়ে উঠেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইংল্যান্ডে জন্ম নিল নিও রোমান্টিসিজম। আর ইউরোপ জুড়ে Milosz, Kundera, Ponge ও Herbert এর রাজত্ব তখনো যদিও চলছিল কিন্তু একমঞ্চে দাড়ানোর মতো কোন কারন বা কমন ফিলসফি না থাকায় মর্ডানিজম তত্ত্বের পক্ষে বুদ্ধিভিত্তিক যে স্টান্ড গড়ে উঠার কথা ছিলো সেটি আর হয়ে উঠল না। ফলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা পূরণ করতে এগিয়ে এলো পোষ্টমর্ডানিস্টরা।
মূলত চারটি ভিত্তির উপর ভর করে দাড়িয়েছে পোষ্টমর্ডানিজম। এগুলো যথাক্রমে আলোচনা করা হলো…
১। প্রতিকায়নের বিরোধিতাঃ সাংস্কৃতিক তুলাদন্ডের মাপকাটিকে অস্বীকার করে পূর্ববতী সকল শিল্প যা মহান সৃষ্টি বলে স্বীকৃত তাকে বাতিলের ঘোষনা দিয়ে তার উদ্দেশ্য বা কীর্তিটিকে প্রশ্নের মুখোমুখি করে সকল নৈতিকতা, এথনিক সত্বা, লিঙ্গ বৈষম্য না মেনে র্যািডিকেল সাহিত্য চর্চার সকল চৌহদ্ধি মাড়িয়ে সবার উপরে মানুষ সত্যের জয়জয়কার ঘোষনাই পোষ্ট মর্ডানিজমের প্রতিকায়নের বিরোধিতার মুল উদ্দেশ্য।
২। যুক্তিহীনতাঃ পোষ্টমর্ডানিজম কোন যুক্তি প্রতিষ্টার লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চায়নি। সাধারন ভাবে শ্রেষ্টত্বের যে সংজ্ঞা পোষ্ট মর্ডানিজম তা মানতে চায়নি। জীবন ও শিল্পের যে দ্বান্ধিকতা তার মাত্রায় ভর করে পরাবাস্তবাতার মিশেল বা বহুমূখী সমাপ্তির সন্ধান খুজতে চান পোষ্ট মর্ডানিস্টরা। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার দায়টা পাঠকের উপরই চেড়ে দিতে চান তারা। তারা পাঠকের পছন্দনীয় মতের প্রতিষ্টার অগ্রাধিকার চান। পাঠক খুজে নিক কবিতায় তার স্পেস। নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা।
৩। ফর্মহীনতাঃ বিশিষ্ট মর্ডানিস্টরা কবিতায় সুর, ছন্দ আর সৌন্দর্যচর্চার বহুমূখীনতা নিয়ে কাজ করেছিলেন। পোষ্টমর্ডানিজম সে ধারাটিকে ভেঙে ফেলতে চাইল। আর তাই আবেগকে রুপদানের ক্ষেত্রে তারা ফলো করল সার্বজনীন গল্প বলার স্টাইল, কৌতুক উদ্দীপক বা হাস্যরসাত্বকাতার, কখনোবা উপস্থাপন করল প্রচলিত কোন ধ্যানধারনার মতো করে যা তেমন কোন অর্থবোধক নয়। আর তাতে মিশ্রন হযে এল নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক উপজীব্য।
৪। জনপ্রিয়তাঃ পোষ্টমর্ডানিজরা চাইল তাদের সৃষ্টি জনপ্রিয় হয়ে উঠুক। তাই তারা ফলো করল সাধারন গণমানুষের কথ্যভাষা, কখনো বা প্রচলিত সাধারন শব্দ সমষ্টি। আর তা বৃহত্তর জনগোষ্টির কাছে আকর্ষনীয় নিস্পৃহ ভংগিতে উপস্থাপনের মাধ্যমে বাস্তবতার কঠিন অনুষঙ্গগুলি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াই হল মূখ্য উদ্দেশ্য। মোট কথা এমন মিডিয়া ইমেজ সৃষ্টি করা যাতে মাত্রাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির কঠিন ইটে নির্মিত শিল্পবাড়িটাকে সজোরে নাড়িয়ে দেয়া যায়।
অনেক পাঠকই পোষ্টমর্ডান কবিতাকে কোন কবিতা বলে স্বীকার করতে চান না। পোষ্টমর্ডানিজমের সংজ্ঞাটিকেও মানতে চান না তারা। এর কারন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কতিপয় পোষ্টমর্ডানিজের স্ব তরিকায় নির্মিত কাব্য সৃষ্টি সমূহকে। যা মূখ্যত তাদের সুবিধার জন্যে পোষ্টমর্ডান বলে দাবি করেন। কিন্তু তা বলে পোষ্ট মর্ডানিজরা দমে যায়নি। জীবন ও তত্ত্ব এড়িয়ে তাদের হাতে জন্ম নিয়েছে এবং নিচ্ছে অসাধারন সব সৃষ্টি। হয়ত খুব দ্রতই আবার পরিত্যক্ত হবে এ মতবাদ পুরোনো সকলের মতো। তবু পোষ্ট মর্ডানিজম শিল্পকে প্রাত্যাহিক লোকমানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে আসার যে সফলতা দেখিয়েছে সেটিই তাকে আয়ু দেবে বহুদিন।
Meaningful Love by John Ashbery
What the bad news was
became apparent too late
for us to do anything good about it.
I was offered no urgent dreaming,
didn’t need a name or anything.
Everything was taken care of.
In the medium-size city of my awareness
voles are building colossi.
The blue room is over there.
He put out no feelers.
The day was all as one to him.
Some days he never leaves his room
and those are the best days,
by far.
There were morose gardens farther down the slope,
anthills that looked like they belonged there.
The sausages were undercooked,
the wine too cold, the bread molten.
Who said to bring sweaters?
The climate’s not that dependable.
The Atlantic crawled slowly to the left
pinning a message on the unbound golden hair of sleeping maidens,
a ruse for next time,
where fire and water are rampant in the streets,
the gate closed—no visitors today
or any evident heartbeat.
I got rid of the book of fairy tales,
pawned my old car, bought a ticket to the funhouse,
found myself back here at six o’clock,
pondering “possible side effects.”
There was no harm in loving then,
no certain good either. But love was loving servants
or bosses. No straight road issuing from it.
Leaves around the door are penciled losses.
Twenty years to fix it.
Asters bloom one way or another.
“আটলান্টিকের দুপারে ষাটের দশকে যখন এই মত প্রবল হচ্ছিল যে কবিতা ক্রমে দুবোর্ধ্য, অতীতপ্রিয় আর সংযমী হয়ে উঠছে তখন চলমান সকল ফর্ম ভেঙে ফেলে কবিতাকে গোঁড়াদের হাত থেকে মুক্ত করার তাড়না থেকে জন্ম নেয় পোষ্টমর্ডানিজম।” আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত নই। এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য উপস্থাপনের আগে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই সুচিন্তিত একটি প্রবন্ধ লেখার জন্যে।
“…পশ্চিমের শেখানো ভাষায়ও সরাসরি কথা বলা যুক্তিযুক্ত বলে সবক্ষেত্রে মনে হয় না। যেমন ’নরটন’ থেকে প্রকাশিত পোস্টমডার্ন আমেরিকান ফিকশন’ সম্পাদক পলা গে , ডানিয়েল বেল বা ইহাব হাসানের মতোই মার্কিন পোস্টমডার্নিজমের উদ্ভব ষাট দশকে–এ কথা স্বীকার করে যখন এই প্রজন্মের সফল কবি হিসেবে এলেন গিন্সবার্গের কথা তোলেন–গোলমালটা তখনই লাগে। গিন্সবার্গ বিট গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান কবি হলেও মার্কিন কবিতার প্রেক্ষিতে কোনো বড়ো কবি নন, পুরো ইংরেজী কবিতার প্রেক্ষিতে তো নয়ই। আর ইংরেজী কবিতায় গিন্সবার্গই যদি উত্তরাধুনিকতার উদ্ভাবক হন, ডেরেক ওয়ালকট, সীমাস হিনি, জন অ্যাসবারিদের জায়গা কোথায়? এই পর্যায়ে বাংলা আধুনিকতার সাথে ইংরেজী আধুনিকতার একটি মিল খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার ধারণা: ইংরেজী কবিতায় এজরা পাউন্ড, টি. এস. এলিয়ট, এডিথ সিটওয়েল মিলে যে আধুনিকতার শুরু করেছিলেন–সীমাস হিনি, ডেরেক ওয়ালকট, জন অ্যাসবারিরা তার পূর্ণতা টেনেছেন। ঠিক যেমনটি ঘটেছে বাংলা কবিতার তিরিশ ও পঞ্চাশের কবিদের দ্বারা। আর মার্কিনী উত্তরাধুনিকতার শুরু ষাটের দশকে নয়, আশির দশকের প্রারম্ভে–ইউসেফ কুমেনয়েকা, রবার্ট পিনসকি, জে. ডি. ম্যাক্লাচি প্রমুখ কবিদের হাতে। ভাব ভাষা ও ছন্দকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে কবিতার কাঠামো গড়ার শৈল্পিক প্রক্রিয়া মূলতঃ এঁরাই শুরু করেন।” (কবিতার জন্মদাগ, ‘উত্তরাধুনিক কবিতা: প্রচ্ছদে দুই বাংলা’, মাওলা ব্রাদার্স, ২০০৮)
নতুন করে কিছু না লিখে আগের লেখা থেকে তুলে দিলাম। তাছাড়া, ষাটের দশকে বাংলা উত্তরাধুনিকতার শুরু তা এই প্রথম কারো লেখায় দেখলাম। এই সিদ্ধান্তটি চরম ভুল বলে মনে হয়। বাংলাদেশের ষাটের কবিরাও আধুনিক কবি। তাদের কবিতার ভাষা ও বুনন আধুনিকদের থেকে তেমন বেশী দূরে নয়। …আশির শেষের দিক থেকে আমাদের ভাষা বদলে যেতে থাকে। উদ্ভব হতে থাকে নতুন ধারার কবিতার–উত্তরাধুনিক কবিতার। তবে, প্রকৃত সফলতা আসে নব্বই দশকে।
আমাদের অতি পরিচিত রিচার্ড ডকিন্স সাহেব পোষ্টমর্ডানিজম সম্পর্কে কি বলেন তা এবার দেখা যাক । রিচার্ড ডকিন্স বিষয়টা তার Postmodernism disrobed(1998) প্রবন্ধে ঠিক এভাবে দেখেন :
মাননীয় আদালত , আমার আর অন্য কোন প্রশ্ন নেই । 😀
@সংশপ্তক,
আধুনিকোত্তরবাদের গোমর ফাক করার এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৬ সালে। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালান সোকাল “Social Text” নামে একটি নামকরা একটি আধুনিকোত্তরবাদী পত্রিকায় তাঁর লেখা একটি প্রবন্ধ ছাপানোর জন্য পাঠান। পত্রিকাটি নির্দ্বিধায় তাঁর লেখাটি ছাপাল। কিন্তু লেখাটি ছিল অর্থহীন কিছু বাক্যের সমষ্টি। সোকাল ইচ্ছাকৃতভাবেই একটা হজবরল লেখা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কততগুলি আকর্ষণীয় শব্দ জুড়ে দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখান যে সামাজিক বিজ্ঞানে আধুনিকোত্তরবাদ নামে কি নিম্নমানের হজবরল লেখা ছাপান হচ্ছে ও সাহিত্য সৃষ্ট হচ্ছে এবং যেখানে পিয়ার রিভিঊ এর কোন বালাই নেই। যেমন খুশি তেমন সাজের মত যেমন খুশী তেমন লেখর মত ব্যাপার।পত্রিকাটি তাঁর লেখা ছাপানোর পর সোকাল আসল কথাটি বলে দিলেন। বলাই বাহুল্য পত্রিকাটী যার পর নাই বিব্রত হয়েছিল। লেখাটি থেকে কিছু উদ্ধৃতিঃ
“the pi of Euclid and the G of Newton, formerly thought to be constant and universal, are now perceived in their ineluctable historicity; and the putative observer becomes fatally de-centered, disconnected from any epistemic link to a space-time point that can no longer be defined by geometry alone.”
এছাড়া সোকাল ঐ প্রবন্ধে খুব সিরিয়াসলি “মর্ফোজেনেটিক ফিল্ড” নামক আরেক অর্থহীন এক ধারণা নিয়ে আসেন। নোবেল পদার্থবিজ্ঞানী ওয়াইনবার্গ নিউ ইয়র্ক টাইম্সে সোকাল হোক্স এর উপর এক রিভিউ লেখেন। এই লিঙ্কে রিভিউটি পড়া যাবে। এই ঘটনার পর সোকাল “Fashionable Nonsense” একটা বই লেখেন যেখানে তিনিত আধুনিকোত্তরবাদীদের ভুল ভ্রান্তিমূলক, ছদ্মবৈজ্ঞানিক ও নিচুমানের লেখার প্রতি মনোযোগ আকর্ষন করেন।
আধুনিকোত্তরবাদ নিয়ে অনেক কিছু লেখা যায়। সেটার জন্য স্বতন্ত্র লেখা দরকার।
@অপার্থিব,
অ্যালান সোকালের “Fashionable Nonsense” পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে , PostModern essay generator তৈরী করা হয় । ঐ সাইটে গিয়ে রিফ্রেস বাটনে চাপ দিলে প্রতিবারই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন এক একেকটা পোস্ট মডার্ন প্রবন্ধ তৈরী হয় যা আসলে Fashionable Nonsense বৈ কিছু নয় । একইভাবে আধুনিকোত্তরবাদী ম্যানেজমেন্ট পন্ডিতদের জন্য Buzzword Bingo বানানো হয়েছে ।
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ আধুনিকোত্তর প্রবন্ধ উৎপাদকের সন্ধান দেয়ায়। এটার কথা জানতাম না আগে। এখন প্রয়োজন হল বাংলায় আধুনিকোত্তর কবিতা উৎপাদকের। তাহলে আর কষ্ট করে কবিতা লিখতে হবে না। যে কোন কবিতাই, তা সে যতই অর্থহীন হোক না কেন এই ব্লগে দেখি বাহবা কুড়ায়। আধুনিকোত্তর কবিতা উৎপাদক থাকলে বিনা কষ্টে, নিখরচায় বাহবা কুড়ান যেত। 🙂
@অপার্থিব,
আপনি চাইলে আমার মহাব্যস্ত কোডারকে বলে দেখতে পারি । মাঝে মাঝে তো সে বসে বসে বেতন নেয় । এবার আপনাদের জন্য না হয় একটা বাংলা আধুনিকোত্তর কবিতা উৎপাদকের প্রোগ্রাম লিখুক । তবে আগে ভাগে বলে রাখছি যে, পরে আমাকে মুরতাদ বলে ঘোষণা দিলে আমাকে বাঁচানোর দায় কিন্তু আপনার ।
@অপার্থিব,
মুক্তমনাতে উত্তরাধুনিক কবিতা নিয়ে একটা বিতর্ক হয়েছিল। এখানে গেলেই দেখতে পাবেন সেটা।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার দেয়া লিঙ্কে গিয়ে সেই পোস্টে একটা মন্তব্য করেছি। সেই মন্তব্যের প্রাসঙ্গিক অংশ এখানে উদ্ধৃত করলাম।
@অপার্থিব,
আল্লায় বাছাইছে, আমি ইতাত নায়।
@আকাশ মালিক,
মাইনষে এখন উত্তরোত্তরাধুনিক কবিতা লেখতাছে ।
@অপার্থিব,
ওয়াইনবার্গের লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। দারুণ
:yes:
@সংশপ্তক,
দেখুন,
সকল মতবাদের সমালোচনা আছে। উত্তরাধুনিক মতবাদ ঐশী কিছু নয়। কবিতার সর্বসাম্প্রতিকতা নিয়ে বাংলায় তেমন কাজ হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। সমস্যাটা হলো আমরা যখন কোন কিছু উত্তরাদুনিক বলে দাবী করতে দেখি তখনই একটা হালকা সেন্স নিয়ে সেটা পড়ি বা দেখি এবং উড়িযে দিতে যাই। একটা কবিতা পয়ার, ছন্দ মিলেই কি কবিতা হয়ে যায়? কবিতায় আমরা কি খুজি? আমারদের ভাবনার কোন বিস্তারটা চাই কবিতায়? আমার কাছে তো কিছু সংখ্যার পাশাপাশি বিন্যাস কেও কবিতা মনে হয়। দেখুন তো আপনার কাছে লাগে কিনা।
১১১১ ২১২ ৩২১১ ১১১
৩২১১ ১১১ ১১১১ ২১২
২১৫২ ১০০ ১১১১ ২২২
০২০২ ১২১ ০০০০ ৩৩৩
আমরা অনেকে শিল্পের সজ্ঞাটাকে নিজেদের মগজের চাচে মেপে নেই। মর্ডানিজম এখন ক্লাসিক বিষয়। আর পোষ্ট মর্ডানিজম হাতের পাশের পানির মগটার মতোই সার্বক্ষনিক কাছাকাছি এবং প্রিয়। দেখুন আমাদের মগজে কিছু প্রাচিন ভন্ডামি কাজ করে। চোর চুরি করেছে বক্তব্যটিকে কেউ একজন এখান হইতে কিছু জিনিষ না বলে নিয়ে গেছে বলাই দস্তুর হয় তাহলে আমার বলার কিছু নেই। উত্তরাধুনিক মতবাদ কবিতাকে সার্বজনীন করেছে।
(এখন একটু ব্যস্ত।পরে আবার আসছি।)
:yes: ভালো লাগল
@হিমু ব্রাউন,
আপনাকে দেখেও ভাল লাগল।
ভাল লাগল!
কবিতাটাও!
@লাইজু নাহার,
এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতাদের একটি। পোষ্ট মর্ডানিজম মানে যে বাজে বকবক নয় তার উপযুক্ত জবাব বলেই মনে হয। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ লেখাটা ভালই হয়েছে। :rose2:
@সুমিত দেবনাথ,
ধন্যবাদ।