ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুব্লক দূরে ( ১৮০ মিটার) প্রস্তাবিত মুসলিম কমিনিউটি সেন্টার-পোষাকি নাম পার্ক ৫১-এখন আমেরিকার মিডিয়া ডার্লিং। এই ১৩ তলা বিলডিংটির পরিকল্পনা এখন সব বিতর্কের শীর্ষে-কিছু কিছু গবেষক বলছেন এই বিতর্কই নাকি আমেরিকায় মুসলিমদের ভবিষ্যত নির্ধারন করবে! যদিও আমি নিশ্চিত নই আজ থেকে ১০০ বছর বাদে ধর্ম বলে কিছু থাকবে কি না-তবে এই নিয়ে বাতবিতন্ডার ফলে অনেক কিছুই মিডিয়াতে সামনে আসছে-যা আগে এত প্রকাশ্যে আসে নি। ৯/১১ এর পর থেকে মুসলিমদের প্রতি আমেরিকানদের রাগ ছাইচাপা আগুনের মতন ছিল। গ্রাউন্ড জিরো বিতর্ককে কেন্দ্র করে অগ্নুৎপাত ( মতান্তরে মিডিয়াপাত) হচ্ছে।
মসজিদ বিরোধিরা বলছেন এর ফলে সন্ত্রাসীরা উৎসাহী হবে। কারন ৯/১১ এর সন্ত্রাসীরা সবাই ধর্মীয় সন্ত্রাসী-যাদের জীবনের একমাত্র ধ্যানজ্ঞানছিল ইসলামের বিজয়।ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারের দু ব্লক দূরে যদি, ইসলামিক কমিনিউটি সেন্টার তৈরী করা যায়, তাদের মনস্বত্ত্বকেই চাঙ্গা করা হবে। এবং ৯/১১ এ যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি এ এক ভয়ানক অবিচার।
মসজিদের পক্ষে যারা আছেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে-এটি প্রাইভেট সম্পতি। ব্যাক্তিগত সম্পত্তির ওপর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সবার আছে। আমেরিকাত আর সৌদি আরব বা ব্রুনেই না, যে সেখানে ইসলাম ছারা অন্য ধর্মপালনের অনুমতি নেই! বিভেদের মাঝে মিলন মহানই আমেরিকার সংবিধানের মূল সূর। ওবামাও আমেরিকার সংবিধানের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। ফলে আমেরিকাতে তার জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে। কিন্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার বক্তব্য নির্ভুল-তিনিই আমেরিকান সংবিধানের প্রথম রক্ষক।
এর বিপক্ষে যে যুক্তি আসছে সেগুলি এই রকম-
প্রথমত আমেরিকাতে ব্যাক্তিস্বাধীনতা থাকলেও কমিনিউটি সেন্টার বা ঐ জাতীয় কিছু গড়তে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমতি লাগে। এই ক্ষেত্রে তাতে আটকায় নি। নিউ ইয়ার্কের মেয়র ব্লুমবার্গের অনুমতি ছিল। সমস্যা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরকানদের তাতে সমর্থন নেই। কিন্ত সেইব্যাপারে ত কোন আইন নেই।
দ্বিতীয় একটা ব্যাপার এই কমিনিউটি সেন্টারের মালিকানা নিয়ে। বর্তমান মালিক ইমাম ফয়জাল আবদুল রাউফ বিতর্কিত ব্যাক্তিত্ব। তিনি একজন বিশিষ্ট মৌলবাদি। অন্যান্য আমেরিকান মুসলিম মৌলবাদিদের মতন তার পদ্ধতিও হচ্ছে ধর মাছ, না ছুঁই পানি। ইসলামিক সন্ত্রাসবাদিদের বিরুদ্ধেও সে কিছু বলবে না-আবার তাদের পক্ষ নিয়েও বলবে না আমেরিকায় থাকার জন্যে। এই ক্যাঙারু সার্কাসে অনেকেই পাকা খিলাড়ি-রাউফ তাদের মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র বিশেষ। সে একদিকে নিজেকে মডারেট বলে দাবি করে- অন্যদিকে বলে-” আসল অকৃত্রিম ইসলামের” কথা! অন্যান্য ধর্মগুরুদের মতন চুড়ান্ত স্ববিরোধিতায় ভর্তি এমন একজনের হাতে এই কমিনিউটি সেন্টারের দ্বায়িত্ব গেলে সেখানে কিসের চাষাবাদ হবে সেটা বলা মুশকিল।
তবে আমেরিকান মুসলিমদের মধ্যেও অনেকেই গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোর বিরুদ্ধে। সুফী মুসলিমরা এমনিতেই মসজিদের গুরুত্বে বিশ্বাস করে না। তারা এর বিরুদ্ধেই কারন তাদের কাছে ইসলাম দ্বীনের ধর্ম-সেখানে এই ধরনের লোক দেখানো ইমারত বানানো ইসলামের মূল দর্শনের বিরুদ্ধে।
এই ব্যাপারে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বক্তব্য রেখেছে এবারের মিস আমেরিকা রিমা ফাকিহা। রিমা প্রথম কোন আরব মুসলিম যে মিস আমেরিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ওর বক্তব্য হল আইনত এবং সংবিধানে কোন সমস্যা না থাকলেও মুসলিমদের উচিত আমেরিকানদের সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে সেখানে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসা।
রিমা আরো কিছু বক্তব্য রেখেছে, যা এখানে আলোচনার দাবি রাখে।যেমন কোন এক মোল্লা রিমাকে বিকিনি পড়ার কারনে বাজে মুসলিম বলে গালাগাল দিয়েছিল। রিমার উত্তর হলে এই এক বিংশ শতকে জন্ম সূত্রে আমাদের একটা ধর্মীয় পরিচয় আছে ঠিকই-কিন্ত আমরা কেওই অতীতের সেই ধর্মাচরন মানি না-বরং একটি ধর্মবিহীন সার্বজনীন আধ্যাত্মিক চেতনার দিকেই বর্তমান বিশ্বের ঝোঁক।
রিমা যেটা বলতে চেয়েছে-সেটা বিবর্তনের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন। আমার ধারনা যেভাবে তথ্য বিস্ফোরন হচ্ছে তাতে ধর্মের গাঁটামো মানার লোক আর কয়েক দশকবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে না-বরং আস্তে আস্তে ধর্ম বিহীন সার্বজনীন কিছু আস্তিক চিন্তা তখনো থেকে যাবে। তখন এই ধরনের মসজিদ, মন্দিরের প্রয়োজন আর থাকবে না। তাই এই বাজে বিতর্কের ও দরকার হবে না।
“মক্কায় মন্দির বানাতে দিবে না বলে আমেরিকায় মসজিদ বানানো যাবে না(হোক না সেটা গ্রাউন্ড জিরো), ব্যাপক বিনোদন তো। সৌদি আরব হইল পৃথিবীর একমাত্র রাজতন্ত্র আর আমেরিকা হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র। গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদের বিরোধীতা করার পক্ষে যুক্তি দেখানো যায়, কিন্তু সৌদি আরবের দোহাই দেওয়া মোটেই কোন যুক্তি না।”
জি, ব্যাপক বিনোদিনই বটে। তবে বিনোদনটা উপভোগ করছেন মুসলমানরা (মডারেট, সুফী, টেররিস্ট সবাই) অমুসলমানদের সহিসন্সুতার সুযোগ নিয়ে। হেড আই উইন, টেল ইউ লুজ। মক্কায় যখন অন্য ধরমের মন্দির/ গিরজা বানাতে দেওয়া হয়না, তখন মক্কার মতন অগণতান্ত্রিক, অন্য ধরমের প্রতি ঘৃণা সৃস্টিকারী অপবিত্র স্থানে হজ করতে না যাওয়ার জন্য গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদের ওকালতি করনেওয়ালারা প্ত্র-পত্রিকায়, মিছিলে মিটিং-এ আওয়াজ তুলুন।
@মিয়া সাহেব,
গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদের করার পক্ষে ওকালতি করতে যেয়ে আজকে যারা আমেরিকার সব ধর্মের সমান অধিকারের মহান বানীকে স্মরন করিয়ে দিচ্ছেন, তারাই কিন্তু তাদের পবিত্র পীঠস্থান সৌদি আরবে যেখানে কনামাত্র ধর্মের সমান অধিকারের চিহ্ন নাই, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা সৃস্টিকারী একটি স্থানে হজব্রত পালন করে নিজদেরকে ধন্য মনে করছেন।
সৌদি আরব পৃথিবীর একমাত্র রাজতন্ত্র তাই তার সাতখুন মাফ, আর আমেরিকা হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ, তার বেলায় ভুলের কোন মাফ নাই। মনে হচ্ছে গণতান্ত্রিক দেশ হওয়াটাই আমেরিকার জন্য একটা অপরাধ হয়ে গেছে, যেটার মাশুল দিতে হচ্ছে তাকে।
@ব্রাইট স্মাইল্, আমি ইস্যুটাকে সরলীকরণ করতে রাজি না।
সৌদি আরব হল একটা ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শ মডেল। গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে আমেরিকার উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে চাপের মুখেও তার আদর্শ সমুন্নত রাখা এবং গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোর অনুমতি দিয়ে আমেরিকা ঠিক সে কাজটাই করেছে। প্রতিহিংসা কখনও কোন উপকার করে না। আমেরিকা এখন যদি মুসলমানদের এক হাত দেখে নেওয়ার জন্য সৌদি মডেলের উপাদান গ্রহণ করা শুরু করে, তবে সৌদি আরব আর আমেরিকার পার্থক্যটা দিন দিন কমে আসতে থাকবে। মসজিদের বিরোধীতা করছে সাধারণ মানুষ এবং আমিও তাদের বিরোধীতার সাথে একমত, আমি কোনদিনই চাইব না শহীদ মিনারের কাছাকাছি কোন প্রকার উর্দু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপিত হোক। শহীদ মিনারের কাছে উর্দু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার আইনত বাধা নেই, তবে সেন্টিমেন্টাল বাধা আসলে অবাক হবার কিছু নেই।
সৌদির সাথে পশ্চিমা বিশ্বের তুলনা কেবল তখনই করা যায় যখন কেউ দাবি করে যে মুসলমানদের নৈতিক চরিত্র অমুসলমানদের থেকে উৎকৃষ্ট, এছাড়া আমি কিছুতেই দু’টোকে একাকার করে ফেলতে রাজি না। এনলাইটেনমেন্টের আদর্শকে সৌদির ইসলামী আদর্শের স্তরে নামিয়ে আনা তো মানুষকে কুকুর-বেড়ালের সাথে তুলনা করার মত হয়ে গেল।
@পৃথিবী,
ইস্যুটাকে সরলীকরণ করা ঠিক নয় বা মানুষকে কুকুর-বেড়ালের সাথে তুলনা করা উচিৎ নয় এই অজুহাতে বাড়তি আরেকটা টেরোরিজমের উৎকৃষ্ট ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়ে আবারও হাজার হাজার লোক মারবার পক্ষপাতী আমি নই। ধর্মীয় উন্মাদনায় এমনিতে সারা পৃথিবী্র লোক অতিষ্ঠ। এর মধ্যে আরো একটা ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরী করে দিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করবার কোন কারন দেখিনা।
@মিয়া সাহেব,
আমি কিন্ত এই কথাটা বার বার করে বলেছি মুসলিম দেশগুলিতে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রকাশ্যে এত জন সমর্থন আছে, যে আমেরিকানদের বিশ্বাস করানো মুশকিল অধিকাংশ মুসলিম সন্ত্রাসবাদের সমর্থক না। ভেবে দেখুন-কোন মুসলিম বিশ্বে কেও কি একটাও মিছিল বার করতে পেরেছে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে ৯/১১ এর এই গত ১০ বছরে? অথচ মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার বিরুদ্ধে মিছিল কিন্ত প্রতি ঘণ্টায় একটা করে হয়ে চলেছে?
ইসলামে কি লেখা আছে তাই দিয়ে কেও মুসলিমদের বিচার করে না-করবেও না। অমুসলিম বিশ্ব পরিস্কারভাবেই দেখতে পাচ্ছে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদিদের প্রতি অধিকাংশ মুসলিমদের প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে-যাকে অস্বীকার করা, দিন এবং রাতকে অস্বীকার করার সমান হবে। এই জায়গাটাতেই আমেরিকা বনাম মুসলমানদের বিশ্বাসের ভিতটা দুর্বল হচ্ছে। এবং এটা কাটানোর উদ্যোগ মুসলিমদেরই নিতে হবে হামাস ও আল কায়দার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক সমাবেশ করে। সেটা ত হয় না-উলটে এদের সমর্থনেই মিছিল হয়। ফলে বিশ্বাসের সেতুটা তৈরী হবে কি করে?
@ পৃথিবী,
দারুন বলছেন নেন :rose2: ,চলুক……।
বিপ্লব পাল গাছেরও খাচ্ছেন এবং তলারও কুড়োচ্ছেন। সুফীওয়ালাদের এটাই ধরম। আগ্রাসী মুসলমান সম্রাটদের লেজুর হয়ে এসে হিন্দু/ বৌদ্ধ মন্দির ভেঙ্গে তার ওপর মাজার বানিয়ে ওয়াহাবীদের চাইতে একটু নরম সুরে শরিয়তি শাসনের ওকালতি করা। যেমন এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ প্রকল্প চালু রাখার প্রচার চালাচ্ছেন। সব মুসলমানকে (সুফী, ওয়াহাবী, মডারেট, বিপ্লবপাল – সবাই) একটাই অনুরোধ – প্রথমে মক্কায় গিরজা বা সিনাগগ স্থাপনের দাবি তুলুন তারপর গ্রাউন্ড জিরো মসজিদের পক্ষে ওকালতি করুন। এই প্রসঙ্গে করাচীর ডন পত্রিকায় ইরফান হুসেনের লেখা পড়ার অনুরোধ করছি – http://www.dawn.com/wps/wcm/connect/dawn-content-library/dawn/the-newspaper/columnists/irfan-husain-the-limits-of-tolerance-680
@মিয়া সাহেব,
উগ্রতা মানুষের শত্রু। আপনি ইসলামকে ঘৃণা করেন, তার উগ্রতা বা রাডিক্যালিজমের জন্যে। আপনার ঘৃণাটা যদি উগ্রতার বিরুদ্ধে থাকত, তাহলে নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারতেন।
পৃথিবীতে ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না-এটাই বাস্তব। আস্তিকতা থাকলেও তা সার্বজনীন আধ্যাত্মিক চিন্তার আকারেই থাকবে।
সুফীরা মিস্টিক। হিন্দু বা খ্রীষ্ঠান মিস্টিকদের সাথে তাদের কোন পার্থক্য নেই। কারন সব মিস্টিকই মানব ধর্মের কথা বলে।
না। আমি কোনদিনই কোন মন্দির বা মসজিদের পক্ষে ওকালতি করছি না। কারন মন্দির বা মসজিদ ধর্মীয় পরিচয়ের জন্ম দেয়, যা অতীত বলে আমি মনে করি।
আপনারা হচ্ছেন ইসলামি মৌলবাদিদের উলটো পিঠ। মৌলবাদের কোন ধর্ম নেই বলে আমি মনে করি।
@মিয়া সাহেব,
মক্কায় মন্দির বানাতে দিবে না বলে আমেরিকায় মসজিদ বানানো যাবে না(হোক না সেটা গ্রাউন্ড জিরো), ব্যাপক বিনোদন তো। সৌদি আরব হইল পৃথিবীর একমাত্র রাজতন্ত্র আর আমেরিকা হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র। গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদের বিরোধীতা করার পক্ষে যুক্তি দেখানো যায়, কিন্তু সৌদি আরবের দোহাই দেওয়া মোটেই কোন যুক্তি না।
একজন দরিদ্র ব্যক্তির চৌর্যবৃত্তি আর একজন শিক্ষকের চোর্যবৃত্তিকে নিশ্চয়ই এক কাতারে ফেলবেন না?
গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মান সম্পর্কে মার্কিন মিডিয়া তিন রকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে । কারণ মার্কিন মিডিয়া ডান, মধ্যপন্থা ও বাম এই ভাগে বিভক্ত । CNN এর ভাষ্য অনুযায়ী ইমাম ফয়সাল আবদুল রাউফ CIA এর লোক । উক্ত মিডিয়ার আরো অভিযোগ CIA বিদেশে জঙ্গীবাদ রপ্তানি করছে । FOX এর ভাষ্য অনুযায়ী প্রকল্পের বিনিয়োককারী সৌদি প্রিন্স বিলিয়নিয়ার আল ওয়ালেদ বিন তালাল । আবদুল রাউফ রাজ পরিবারের বিশস্ত লোক । তাছাড়া মসজিদ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রপার্টি ডেভেলপার শরীফ আল গামাল ইহুদী কমিউনিটির সাথে যুক্ত ।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী ধর্ম রাষ্ট্রীয় কাজে যেমন হস্তক্ষেপ করতে পারে না, তেমনি রাষ্ট্রও ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না । তাই নিউ ইয়ার্কের মেয়র প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু ডান ঘরোণার মিডিয়া প্রচার করছে প্রেসিডেন্ট ওবামার পিতা মুসলমান ছিলেন । তাই ওবামা মুসলমান বিধায় তিনি মসজিদ নির্মানে বাধা দিচ্ছে না । তাছাড়া উক্ত মিডিয়া ওবামার নাগরিকত্ব নিয়াও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ।
তাই ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে যারা জঙ্গী খোঁজ করেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
ঠিক কথা বলেছেন। বাদ দেন আমেরিকার কথা। বাংলাদেশের কথা শুনুন। হুবহু এই কথা নিজামীও বলেছিলেন। বাংলাদেশে জঙ্গীটঙ্গী নাই, ইসলাম জঙ্গী্বাদ সমর্থন করেনা। মুফতি আমিনী সরকারকে ধমক দিয়ে একই সুরে বলেছিলেন- ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে যারা জঙ্গী খোঁজ করে, যারা মাদ্রাসায় অস্ত্র তাল্লাশী করতে চায় তারা ইসলামের শত্রু, তাদের মোকাবেলা করা হবে।
বোকার স্বর্গে বাস করে বাংলাদেশ সরকার যখন মসজিদ মাদ্রাসা থেকে, মুসলমানদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে ইসলামি জঙ্গী বের করে নিয়ে এলো, অনেকজনকে ফাঁসিও দিল, আপনারা বামেরা তখন রাজপথে এদের মুক্তির দাবিতে মিছিল করলেন না কেন?
সবুর করেন, আরো একটা টার্ম যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারে তাহলে মুসলমান আর ইসলামের মিথ্যে স্তবকারি, ইসলামি জঙ্গীদের ছায়াতলে লুকিয়ে থাকা ভন্ড ইসলামপ্রেমী কম্যুনিষ্টদেরও একটা ব্যবস্থা করা হবে ইনশাল্লাহ।
@আকাশ মালিক,
ঠিক কথা।এই জন্য এই সরকারকে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দরকার। আর জানেন কিনা জানিনা,
ইতিমধ্যে “বোরকা” নিষিদ্ধ করা যাবে না কেন? হাইকোর্ট এই মর্মে একটা রুলজারি করে।এর মাঝে কোনো প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক বোরকা পরানো যাবে না।
দেখা যাচ্ছে কিছু কার্যকরি ফলাফল।পাচ্ছি। তবু ঐ যে বলে না,
“যদি সর্ষে ভূত থাকে” তবে তা তাড়ান যাবে কী করে। বড্ড ভাবনার ব্যাপার। :-/
@আফরোজা আলম,
আওয়ামী লীগের শত দূর্বলতা, অপারগতা, একগুয়েমি আর সর্বোপরি ধর্মানুভুতি নামক ভুতের আছরও যে তাদের অনেকের মাঝে আছে জানি। তবুও তারা মন্দের ভাল, যদিও তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এই কম্যুনিষ্টরা আওয়ামীলীগের সমালোচনা ছাড়া কোনদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন নি, বরং দূর থেকে ইসলামিষ্টদেরকে ইন্ধন যুগিয়েছেন বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে।
একটা কথা তারা বোধ হয় বুঝেন না যে, এই বাংলাদেশে ইসলামিজম, কম্যুনিজম আর কোনদিনই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এই দুই ইজমের কবর রচনা করা হয়ে গেছে ৭১এর মুক্তি যুদ্ধে।
মুহাম্মদের অনুসারী ওমর, আলী, উসমান, মুয়াবিয়ার রূপে আমরা বিন-লাদেন, সাদ্দাম, শায়েখ আব্দুর রহমান, মুফতি হান্নানদেরকে দেখেছি, এবার মুয়াবিয়া তার ছেলে এজিদ বা ওমর, ওমরের ছেলে উবায়দুল্লাহদের জীবন কেমন ছিল একটু নমুনা এখানে দেখুন–
@আকাশ মালিক,
এখানে তো গাদ্দাফী সাহেবকে দেখেছি। উনি বছর দুয়েক আগে মনে হয় এমন শো ডাউন করেছিলেন, সম্প্রতি মনে হয় আবারো করলেন।
তবে ওমর পুত্র আব্দুল্লাহ, এজিদ এনাদের কথা কই? নাকি রুপক হিসেবে উল্লেখ করলেন? ওমর এবং তার পুত্রকে নিয়ে কি কি যেন মাঝে মাঝে শুনি, তবে কোন বস্তুনিষ্ঠ রেফারেন্স কখনো দেখিনি।
@আকাশ মালিক, কিন্তু ইতিমধ্যেতো মুসলিম দুনিয়ায় খবর হয়ে গেছে যে গাদ্দাফী ৫০০ মেয়েকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে ফেলেছে! বুঝুন ঠ্যালা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ! আর তার ছেলে শিল্পী ভিয়ন্সের দুই পাহাড়ের মাঝে, মৌলার সন্ধান করতাছে-
@আকাশ মালিক,
গাদ্দাফীর ছেলেদের কীর্তিকলাপ ভালোই জানা গেল।
আপনার সংবাদ ভান্ডারটি বেশ সমৃদ্ধ। এমন আরো লিঙ্ক-এর সংবাদ মধ্যে মধ্যে জানাবেন, তাতে মুসলিম দেশগুলোর ও মুসলিম লিডারদের ধাপ্পাবাজীর খবরগুলো মানুষের জানতে সুবিধা হবে।
@আকাশ মালিক,
আওয়ামী লীগের শত দূর্বলতা, অপারগতা, একগুয়েমি আর সর্বোপরি ধর্মানুভুতি নামক ভুতের আছরও যে তাদের অনেকের মাঝে আছে জানি।
বড়ই অপ্রিয় সত্য।আসলে সরিষায় যে ভূত। কি আর করা এই সব নানা কথায় এই সরকার যে ”
পাগল কে সাঁকো নাড়াচ্ছে কিনা তাই বা কে জানে। হুম ভাবনার বিষয়। 🙁
@আকাশ মালিক,
পাক্কা মুসলমান শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের উপর পাক্কা নাস্তিকদের আস্থা দেখে বুঝা গেল জামাতে ইসলাম এবং ইসলাম ধর্ম ও মুসলমান যে এক জিনিষ নয় তা আকাশ মালিকেরা বুঝতে পেরেছেন । বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮৫% ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মুসলমান । এই লোকগুলি মুক্তিযুদ্ধ করেছে । এদের উপর জঙ্গীবাদের দোষারপ করার অর্থ, এদেরকে অপমান করা । এরা জামাতি নয় ।
সৌদি রাজতন্ত্রের মাধ্যমে CIA জামাতকে নিয়ন্ত্রন করে । মাদ্রাসা ও জঙ্গী সৃষ্টি হয় সৌদি অর্থে । সাম্রাজ্যবাদের রাজনৈতিক স্বার্থে সৌদি আরব ও CIA ইসলামকে ব্যবহার করে । তাই জামাতকে বলা হয় ধর্ম ব্যবসায়ী ।
কমিউনিষ্টরা ইসলামপ্রেমী না হলেও সাধারন মানুষের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংগ্রাম করে । আর্থ-সামাজিক শ্রেনী বিলুপ্তি ছাড়া ধর্ম বিলুপ্তি সম্ভব নয় । কমিউনিষ্টরা শ্রেনী বিলুপ্তির পক্ষে কাজ করছে ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আমি বাম রাজনীতির কিছুই বুঝি না, খুবই বেসিক দুয়েকটা কথা বলি।
১। শ্রেনীহীন সমাজ বলতে কিছু কি বাস্তবিকভাবে সম্ভব?
২। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দলের উপর ভাল আস্থা আছে, এবং কেন?
৩। ৭১ সালে কিছু কম্যুনিষ্ট কিন্তু রাজাকারি করেছিল, মুক্তিযুদ্ধকে কেউ কেউ বলেছিল দুই কুকুরের লড়াই। এটা কি জন মানুষের স্বার্থে বলা যায়?
বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ মানুষ বা সব মুসলমান জংগীবাদে জড়িত বা সমর্থক এমন কথা মালিক ভাই বা কেউ কি এখানে বলেছেন? আমার ঠিক মনে পড়ছে না।
@আদিল মাহমুদ,
বাচ্চা নয় যে আপনাকে রাজনীতি শিখাতে হবে । আপনি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর একজন ব্যক্তিত্ব । সমাজ-বিজ্ঞানীদের মতে এই শ্রেনীটি হলো জ্ঞানী, বিপ্লবী এবং একই সাথে সুবিধাবাদী । সুবিধা আহরণের ঘাটতি হলে সে পর্যায়ক্রমে বিপ্লবী হয়ে উঠে । বিষয়টি ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না । বিষয়টি দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট সমাজের সমকালীন আর্থ-সামাজিক এবং সমষ্টিগত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর আচরণের প্রেক্ষাপটে । চলার পথে আপনি সব কিছু শিখে যাবেন ।
নৃ-বিজ্ঞান, সমাজ-বিজ্ঞান, দর্শন ও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের চালিকা শক্তি হলো শ্রেনী সংগ্রাম । শ্রেনীহীন সমাজ গঠনই হলো মানব আকাঙ্ক্ষা । দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের তত্ত্ব সমূহের উপর জ্ঞান অর্জন করুণ । আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
বঙ্গবন্ধু উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত এবং সকল ধর্মের বাংগালিকে এক করেছিলেন । মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ওয়ার কাউন্সেল গঠন করেন । উক্ত কাউন্সেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন মস্কোপন্থী কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা মনি সিং, খোকা রায় ও মোঃ ফরহাদ এবং মস্কোপন্থী ন্যাপের প্রফেসার মুজফফর আহমেদ । ফলে হাজার বছরের বাঙ্গালির স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে সমর্থ হই । মস্কো-পিকিং বিভাজনে হক-তোহা ১৯৬৪ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে বেড় হয়ে যায় । এদেরই উক্তি হলো দুই কুকুরের লড়াই । কমিউনিষ্ট পার্টিতে অনুপ্রবেশকারী এক সি, আই, এ এজেন্ট আনোয়ার জাহিদকে ১৯৬৩ সালে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয় । এই ভদ্রলোকই একাত্তুর সালে রাজাকার হয়েছিলেন । ছেড়ে যাওয়া বা বহিষ্কৃত লোকদের সাথে কমিউনিষ্ট পার্টির কি সম্পর্ক তা বোধগম্য নয় । ব্যাপারটা দাড়াচ্ছে “যত দোষ, নন্দঘোষ” ।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা স্বমুর্তিতে আবির্ভুত হলেন । লুটপাট আরম্ভ হয়ে গেল । বাধা দিতে গিয়া বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন । আওয়ামী লীগের উঠতি চার নেতাকেও জেলখানায় হত্যা করা হলো । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা (বাংগালি জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র) ভুলুন্ডিত হলো ।
লুটপাটের মাধ্যমে পুজি সংগঠিত হয়েছে । বর্তমানে পুজি তার নিরাপত্তা চায় । পুজির নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন ও গণতন্ত্র । বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট হলো লুটেরা শ্রেনীর কোয়ালিশন । তাদের পক্ষে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র দেয়া সম্ভব নয় । ফলে পুজি আওয়ামী লীগের উপর ভর করেছে । দলটি সুবিধা বঞ্চিত মধ্য ও নিম্নবিত্তকে দিন বদলের স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিয়েছে । এখন দেখার বিষয় মধ্য ও নিম্নবিত্তের ভাগ্য কতটা সে বদলাতে পারে ।
আকাশ মালিকসহ অনেকেই মুসলমান, ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরান ও হাদিসকে কটাক্ষ এবং ইসলামকে জঙ্গীবাদী ধর্ম হিসাবে আখ্যায়িত করেন, যা সাধারন মানুষের পক্ষে হজম করা কষ্টকর ।
আশা করি আমি সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি । :yes:
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
বেশ কদিন পর ব্লগে আসলাম।
আমি বাম রাজনীতির তেমন কিছু বুঝি না স্বীকার করেই আপনাকে প্রশ্নগুলো করেছিলাম। বয়সের উপর বোঝা বা জানা সবসময় নির্ভর করে না মনে রাখলে ভাল করবেন। দেশে বাম ধারার রাজনীতি কোনদিনই (অন্তত আমার দেখা সময়ে) তেমন সক্রিয় বা গুরুত্বপূর্ন ছিল না বলেই জানার আগ্রহ সেভাবে বোধ করিনি।
শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানে কি যদিও নিশ্চিত নই, তাও আমি যে উচ্চবিত্ত নই তা কেমন করে বুঝলেন?
শ্রেনীহীন সমাজ শুনতে যত ভাল লাগে বাস্তবিক অর্থে সম্ভব নয় বলেই আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি। বড়জোর বলা যায় যে সামাজিক বৈষম্য কোথাও কম আর কোথাও বেশী। আপনি তেমন ব্যাখ্যা না করে দ্বান্দিক বস্তুবাদ তত্ত্ব পড়ার পরামর্শ দিলেন। তত্ত্ব কথা না শুনিয়ে উদাহরন দিয়ে দেখানোটা সবচেয়ে ভাল।
কেউ ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মের নামে গোলযোগ সৃষ্টি করলে, বোমা মেরে নিরীহ মানুষ মারলে মানুষ সেই ধর্মকে সমালোচনা করবে না তা কি করে ভাবা যায়? বড়জোর তর্ক করা যায় যে ধর্মের দোষ কতটুকু আর ধার্মিকের দোষ কতটুকু সেটা। যদিও সেটাও হতে পারে খুবই প্রশ্নবিদ্ধ। ৯১১ এর পর বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের ফূর্তির দৃশ্য নিশ্চয়ই দেখেছেন। ধার্মিকের দোষ হলেও সে যেই ধর্মের দোহাই পেড়ে এসব করছে সেই ধর্ম অবশ্যই আলোচনায় আসবে। হিন্দু ধর্মের নামে এককালে মানুষ পোড়ানো হত, করা হত আরো নানান কুকুর্ম। এখন হিন্দু ধর্মের লোকেরা যদি বলেন যে তাদের ধর্মে তেমন কিছুই নেই, সব অন্য ধর্মের লোকদের মিথ্যা প্রচারনা আর অল্প কিছু পুরুত ঠাকুরের নিজস্ব মতামত তো আমরা মেনে নেব?
ধরা যাক আজকে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন মুসলমান দেশে হিন্দু ধর্মের লোকেরা তাদের পূরানের শ্লোকের দোহাই দিয়ে মুসলমান মারা শুরু করলে ধর্মের ভূমিকা আমরা চেপে যাব? বলব যে হিন্দু ধর্মের কোনই দোষ নেই, অল্প কিছু সন্ত্রাসীর নিজস্ব দায়?
@আ. হা. মহিউদ্দীন, শ্রেণী সংগ্রাম পড়তে পড়তে মনে হয় জামায়াতিদের নূরানী বইগুলো পড়ার সৌভাগ্য আপনার হয় নাই। জামায়াতিরা কোরান থেকে যেসব আয়াতের উদ্ধৃতি দেয়, সেগুলা কি সিআইএ বানিয়েছে?
009.029 Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the religion of Truth, (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.
009.073 O Prophet! strive hard against the unbelievers and the Hypocrites, and be firm against them. Their abode is Hell,- an evil refuge indeed.
এখন নিশ্চয়ই বলবেন সাম্রাজ্যবাদীরা এসব আয়াত কোরানের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছে?
তেলের পাশাপাশি সৌদিদের অর্থের আরেকটা উৎস হল হজ্ব-ওমরার টাকা। প্রতি বছর পৃথিবীর লাখ লাখ মুসলমান কোটি কোটি টাকা খরচ করে(আমার এক বিধবা ফুফু তো হজ্বে যাওয়ার জন্য সারা জীবন ধরে টাকা সঞ্চয় করেছেন) একটি সুপ্রাচীন পৌত্তলিক আনুষ্ঠানিকতা পালন করার জন্য সৌদিতে যাচ্ছেন। মুসলমান বিশ্ব খুব ভাল করেই জানে যে সৌদিরা জঙ্গীবাদ অর্থায়ন করছে, কিন্তু কোন এক “রহস্যময়” কারণে উনারা সৌদিদের কনফ্রন্ট করার চেয়ে “ইসলামবিদ্বেষ” খুজতেই বেশি আগ্রহী। এই পরোক্ষ প্যাট্রোনাইজেশনের পেছনে কারণ কি?
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আমেরিকা বা সিআই এ ইসলাম আর তার জঙ্গীবাদী আদর্শকে ব্যবহার করেছে বলে ইসলাম জঙ্গী তৈরী করে না , এ ধরনের অতি সরলীকরন কিভাবে আপনার হলো বুঝলাম না। নইলে উপরের মন্তব্য করতেন না।
@ভবঘুরে,
আপনাকে আমার অনুরোধ The Life and Times of Muhammad by Sir Jonh Glubb এবং The Doubleday Pictorial Library of World History, Civilization from Its Beginning ইতিহাসের এই বই দু’টি পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে । ইতিহাসের আরো কিছু বই আমি পড়েছি ।
আমি ইতিহাসে আস্থাবান । ইতিহাস ইসলামকে জঙ্গী ধর্ম হিসাবে আক্ষায়িত করে না । ষষ্ঠ শতাব্দিতে আরবে ইসলাম ও মুহাম্মদ যা কিছু করেছে, তা তদকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে করেছে । মধ্য যুগে মুসলমান রাজা-বাদশাহরা যা করেছে, তা হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ রাজা-বাদশাহরা করেছে । ওটাকেই বলে সামন্তবাদী আচরণ । সমাজের মূল বিভাজন হলো অর্থনীতি, যা সমাজের চালিকা শক্তি । ধর্মীয় বিভাজন হলো মেকি । এই মেকির পিছনে আপনারা দৌড়াচ্ছেন ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন, আমরা যদি মোহাম্মদকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, তবে মোহাম্মদকে তার সময়ের প্রেক্ষাপটে বিচার করাটাই যৌক্তিক হবে। কিন্তু সমস্যা হল, মোহাম্মদ নিজেই দাবি করেছেন যে তিনি সর্বশেষ নবী এবং বাই ডেফিনেশন, তিনি সবার জন্য অনুকরণীয়। তাই যদি হবে, তাহলে মোহাম্মদকে অবশ্যই বর্তমানের আলোকে বিচার করতে হবে। যে লোকের সাথে আল্লাহর কথোপকথন হয়, তার খুব ভাল করে জানার কথা ১৪০০ বছর পর তার কর্মকান্ডের পরিণতি কি হতে পারে।
আর আপনি যেহেতু মোহাম্মদের জীবন ইতিহাস পড়েছেন, আপনি নিশ্চয়ই জানেন মোহাম্মদ কিভাবে বনু কুরায়জা নামক একটা ইহুদি গোত্রকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছিল। স্বয়ং মুসলমানরা পর্যন্ত্য মোহাম্মদের এই নিষ্ঠুরতাকে অস্বীকার করতে পারে না, তারা শুধু কোন প্রকার প্রমাণ না দেখিয়ে দাবি করে যে বনু কুরায়জা গোত্র নাকি মোহাম্মদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
এর জন্য হিন্দু-খৃষ্টানরা এখনও সমালোচিত হচ্ছে, তাই বলে তারা সমালোচকদের কামড়াইতে যায় না। অন্যদিকে ইসলামের সমালোচনা করলেই “ইসলামবিদ্বেষী” খেতাব পাওয়া যায়। তবে ভাগ্য খারাপ থাকলে জান বাঁচানোই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনি যা বললেন তা যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনাকে সাধুবাদ। এখন মোহাম্মদ ১৪০০ বছর আগে যা করেছেন তা যদি তখনকার প্রেক্ষাপটে করে থাকেন তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা নাই। যদি বলেন তা চিরকালের জন্য সেখানেই সমস্যা। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন- আমাদের যাবতীয় আলোচনার মূল বিষয় ওটাই। অনেকে এটাকে ইসলাম বিদ্বেষ বলে ভূল করে।
@ভবঘুরে, @ পৃথিবী,
ব্যক্তি মহিউদ্দীনের বিশ্বাসের উপর সামাজিক বিবর্তন নির্ভরশীল নয় । দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূল তত্ত্ব হলো বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের সব কিছুই পরিবর্তনশীল । চৌদ্দশত বছর পূর্বে আরবের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মুহাম্মহ যা করেছেন বা বলেছেন তা তখনকার জন্য সঠিক হলেও বর্তমানের জন্য ঠিক নয় । জামাত-ই-ইসলামের কার্যককান্ডকে ইসলাম ধর্মের কার্যকলাপ হিসাবে গণ্য করে ইসলামকে দোষারোপ করার জন্য আপনাদেরকে ইসলাম বিদ্বেষী বলা হয় ।
@পৃথিবী
আপনার এবং আমার মধ্যে পার্থক্যটা হলো সমাজকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গীর । অতীত কখনো বর্তমান বা ভবিষ্যৎ হয় না । মুহম্মদ ও কোরান অতীত বিষয় । অতীত কোরানে অনুপ্রানিত হয়ে বাংলাদেশের মুসলমানেরা একাত্তুর সালে জেহাদ বা সশস্ত্র সংগ্রাম করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না । তাছাড়া জামাতের প্রচারপত্র দ্বারা সমাজ পরিচালিত হয় না । ব্যক্তি স্বার্থে আমার-আপনার মতো মধ্যবিত্তরা জামাতের প্রোপাগান্ডায় অংশ নেয় । সাধারণ মানুষ জামাতকে বিশ্বাসও করেনা এবং ভোটও দেয় না ।
ষষ্ঠ শতাব্দিতে আরবে ট্রাইবল দ্বন্দ্ব বা যুদ্ধ ছিল নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার । The Life and Times of Muhammad শীর্ষক ইতিহাস বইটিতে বর্ণিত বনি কুরাইজা ট্রাইব ট্রাজেডির কারনগুলিকে সঠিক বলে আমি মনে করি । তবে অতীত উক্ত ঘটনার জন্য আপনার উৎকন্ঠা প্রমান করে আপনি ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী । কোন বিশ্বাসী যদি তার ধর্মের সমালোচনা শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে তবে কেন জোর করে তার সমালোচনা করবেন ।
সমাজের চালিকা শক্তি ধর্ম নয়, অর্থনীতি । আর এই অর্থনীতিই মানুষকে অমানুষ ও জামাতকে ধর্ম ব্যবসায়ী বানায় এবং সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট বৃদ্ধি করে, সেই অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে আপনারা সমালোচনা করতে যান ধর্মের । বুঝা যাচ্ছে আপনাদের উদ্দেশ্য সদ নয় ।
ইমাম ফয়জাল আবদুল রাউফ
http://www.youtube.com/watch?v=GDxxCuO1bIM&feature=player_embedded
http://www.youtube.com/watch?v=L-hqVOLEgec&feature=player_embedded
পশ্চিমা আধিপত্য কতকাল থাকবে বা না থাকবে, অর্থনীতির অবস্থা কেমন হবে সেটা ভবিষত্যই বলে দেবে, কিন্তু একটা কথা মনে হয়ে ধরে নেয়া যায়, যৌক্তিক বা অযৌক্তিক ব্যাপার যাই হোক, তা নিয়ে ক্ষ্যাপাটে পাগলামী করাটা আমেরিকানদের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। তাই ধর্ম নিয়ে পাগলামো করা ওদের কাছে অযৌক্তিক না। যখন এইভাবে স্রোতে ভেসে চলা হয়, তখন তাদেরকে বুঝে শুনে পা ফেলতে বলেও লাভ নেই, সে নিয়ে চিন্তা করেও লাভ নেই। সর্বগ্রাসী স্রোতে এই উন্মাদনা হারিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কের মত ব্যাপার আরো ঘটবে।
এই ইষ্যুতে আমাদের দেশের ইসলামিকরা সংগঠিত হওয়ার একটা সুযোগ খুজতে পারে।
যাইহোক আজকেই জানাগেল এই প্রজেক্টের পেছনে আসল ব্যাক্তিটি সৌদি বিলিয়নার আল ওয়ালেদ বিন তালাল–
খবরটি পড়ুন।
বাকী মন্তব্যর দরকার নেই।
@বিপ্লব পাল,
১০০ মিলিয়ন ডলারের অঙ্কটা খুবই সোজা। তার জন্য আল সৌদ বা কারও দরকার নেই। ৫ মিলিয়ন মুসলিম আমেরিকাতে। ২০% মুসলমান যদি গড়ে ১০০ ডলার করে donation দেয়, তাহলেই তো ১০০ মিলিয়ন ডলার।
ধর্ম মানবতার একটা চরম শত্রু। এই জিনিষটি মানুষে মানুষে বিভেদের সৃষ্টি করে। বিভেদ থেকে সৃষ্টি হয় হানাহানি, ধ্বংশাত্বক কার্য কলাপ। প্রস্তাবিত মসজিদ আমেরিকাতে মুসলমানদের অবস্থান দুর্বল করবে বলে মনে হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এই হানাহানি আর ধ্বংশাত্বক কার্য্যকলাপকে উস্কে দিবার জন্যইতো এমন একটি জায়গায় মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা করা। ৯/১১ এর ঘটনা আস্তে করে সময়ের সাথে সাথে জনগন যখন ভুলে যাচ্ছিল ঠিক তখনই এমন একটি প্রস্তাবের উদ্দেশ্য এ ছাড়া আর কি হতে পারে বলুন?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আসলেই পরিস্থিতিটা এমন বিশ্রী হয়েছে যে এখন যাইই হোক অন্য পক্ষ আর সহজ ভাবে নেবে না।
মসজিদ বানানো হলে পাবলিক সেন্টিমেন্টে লাগবে (অত তর্কাতর্কি না হলে সেভাবে লাগত না)। আর না হলে মুসলমানদের প্রেষ্টিজে লাগবে চরমভাবে।
মাঝামাঝি আর কোন সমাধান নেই।
প্রস্তাবিত গ্রাউন্ড জিরো মসজিদের মুল উদ্যোক্তা সম্পর্কে কিছু জানা যাক :
[img]http://img375.imageshack.us/img375/3167/imagesrf.jpg[/img]
শরীফ আল গামাল
প্রস্তাবিত এবং বিতর্কিত গ্রাউন্ড জিরো মসজিদের মুল উদ্যোক্তা শরীফ আল গামাল (খালিজি উচ্চারন : জামাল) । উনা পেশায় একজন প্রপার্টি ডেভেলপার । মা ক্যাথলিক পোলিশ নাগরিক এবং বাবা মিসরীয় । শরীফ আল গামালের জন্ম ব্রুকলিনের মেথডিস্ট হাসপাতালে ।তার স্ত্রী একজন খ্রীস্টান এবং শরীফ ওয়েস্ট সাইড ম্যানহাটনের ইহুদী কমিউনিটিতে যোগ দিয়েছেন । অতি সম্প্রতি সিবিএস এর স্কট পেলীর সাথে শরীফের সাক্ষাৎকারটা এখানে দেখতে পারেন ।
@সংশপ্তক,
গ্রাউন্ড জিরো মসজিদের মুল উদ্যোক্তা পেশায় একজন প্রপার্টি ডেভেলপার। পেশাটাই বড় কথা। মন্দির, মসজিদ, গির্জা, প্যাগোডা এসব বড় ব্যাপার না; টাকাটাই আসল। কথায় বলে- মানি ইজ দ্যা সেকেন্ড গড।
@মাহফুজ,
ময়রা যেমন নিজে মিস্টি খায় না , তেমনি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করতেও ধার্মিক হতে হয় না । শরীফ আল গামাল অন্যের পাকা ধানে মই দিয়ে পয়সা বানানোর তালে আছে । অন্য কিছু না।
বিরোধিরা তো “এর” দুই পাশে কিছু কাম সামগ্রীর দোকান খুলে দিলেই পারে!
আমি খেলার পক্ষে। খেলুক না দুই পক্ষ একটু। ক্ষতি কি? এসব খেলা দেখতে দারুণ লাগে আমার।
বোধ করি ধর্মের টিকে থাকার প্রয়োজন শেষদিন পর্যন্ত, তা না হলে উন্মাদ বা জানোয়ার সনাক্তের উপায় কি হবে?
হাজার হাজার বছরের পুরোনো ধর্ম নতুন ভাবে নতুন রূপে আবির্ভাব হয়েছে। ধর্ম ঠিকই থাকবে, তবে আরো বিবর্তিত হয়ে দেখা দেবে। একটা উদাহরণ দেই- এক সময় শার্ট প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়াটাকে ভালো চোখে দেখা হতো না। এখন আর সে সমস্যা নেই।
এখন হাফ প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়া জায়েজ নয়।
ভবিষ্যতে, অর্থাৎ ১০০ বছর পরে হাফ প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়া হবে, ইনশাল্লাহ। নারী-পুরুষ সমবেতভাবে নামাজ পড়বে, যেমনটি গির্জায় হচ্ছে।
@মাহফুজ,
আমেরিকায় হাটু পর্যন্ত লম্বা শর্টস পরে নামাজ পড়তে দেখেছি।
@মাহফুজ,আদিল মাহমুদ,
আমিও দেখেছি।
তাছাড়া ওহায়োর টলিডো মসজিদে এবং নিও ইয়র্কের পার্ক ৫১ মসজিদে (যেখানকার মসজিদ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সেই একই বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে) ছেলেমেয়ে একই কাতারে (সামনে পিছনে নয়) দাড়িয়ে নামাজ পড়ে।
এই ব্যবস্থাগূলো এখন নয়, বহুদিন ধরে চালু আছে। দ্বিতীয় মসজিদের ইমাম হলেন ফায়সাল আবদেল রউফ। এই ভদ্রলোকের কোন কাজে কর্মে তাকে “মৌলবাদী” মনে হয়না বরং মৌলবাদীরা তাকে “মোনাফেক” জাতীয় কিছু মনে করতে পারে। তবে তৈরী করা কৃত্রিম বিরোধ নিয়ে বাতাসের সাথে
সাথে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে বেচারার কপালে অনেক বিপদ আছে। আমেরিকাতে উনি “মৌলবাদী” । আর মধ্যপ্রাচ্যে উনি এর মধ্যে “আমেরিকার এজেন্ট” উপাধি পেয়েছেন।
এই সংকটের একমাত্র সন্মানজনক সমাধান হল আদিল মাহমুদ যা বলেছেন মুসলমানদের তা করা।
@বিপ্লব পাল,
ফয়সাল আবদুল রাউফ সন্মন্ধে আপনার মতামতের ভিত্তি কি বুঝতে পারছিনা। আশা করি ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগ থেকে আপনার মতামত যোগাড় করেননি। আমি যা জানতে পেরেছি ভদ্রলোক আজীবন সূফীবাদের অনূসারী।
আমিও এই অবস্থানটা সমর্থন করি।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
রাবণের দশমুখ ছিল, রাউফের কত মুখ আছে জানি না। তবে আমি নিজে একজন সুফী অনুরাগী বলে এটুকু বেসিক জানা আছে, সুফীরা মসজিদ সহ ইসলামের অনেক রিচুয়ালকেই তারা ভাল চোখে দেখে না-কারন তারা আল্লার সন্ধান করে নিজের মধ্যে-মসজিদ বা মক্কাতে নয়।
রাউফ আদি ইসলামের ফিরতে চান-আশা করি জানেন আর কারা কারা আদি ইসলামে ফিরতে চায়!
@বিপ্লব পাল,
সুন্দর কথা।
গুরুর জয় হোক।
আইনগত কোন সমশা না থাকলে মসজিদ না তুলতে দেবার দাবী করাটা তো রেসিজমের মধ্যে পরা উচিত। এমন দাবী তো সরাসরি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধেও তো যায়।
যদিও মুসলমানেরা যদি মানুষের অনুভূতিকে সম্মান করে অন্তত এই এলাকায় মসজিত না গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তা তাদের ইমেজকে শতগুনে বাড়িয়ে দেবে বলেই আমি মনে করি। মুসলিম মানেই ইন্টলারেন্ট এই জাতীয় অপবাদ অনেকটাই দূর করতে পারে এমন দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
@আদিল মাহমুদ,
দুঃখের কথা হল এ রকম দূরদর্শী চিন্তার অধিকারী মুসলমানেরা নয় 🙁 । তারা চিন্তা করবে এখন পিছিয়ে পড়া মানে হার স্বীকার করা 😀 । সুতরাং আগে যদি নাও করতো, এখন তো করবেই :-Y । দেখাতে হবে না সারা বিশ্বকে যে তাঁদের জয় সুনিশ্চিত 😀 ।
@স্বাধীন,
সেটা আমি জানি। এটাকে তারা প্রেষ্টিজ ইস্যূ হিসেবে নেবে, আরো বিতর্ক, মসজিদ বিরোধী মিছিল তাদের ইন্ধন যোগাবে। আস্তে আস্তে দুনিয়াময়ই উগ্রপন্থীদেরই জয়জয়কার হতে চলেছে।
যারা মসজিদ চায় না তারাও জেহাদী/ টেরোরিষ্ট এসব হোলসেল কথা না বলে অন্যভাবে বক্তব্য দিলে পারত। এসব উষ্কানিমূলক কথাবার্তা অপরপক্ষের উগ্র লোকজনকে তো উষ্কাবেই, নরমপন্থীদেরও খেপিয়ে তুলবে।
@আদিল ভাই,
আর কি ধরনের খুচরো কথা বলা যায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে আদিল ভাই?? :-/
@সাইফুল ইসলাম,
এখানেই তারা ভুলটা করেছে, আপনিও করলেন।
মুসলমান পরিচয়টাই হাইলাইট করা উচিত হয়নি, মুসলমান হওয়া আমেরিকান আইনে নিষিদ্ধ বা গোপনীয় কিছু না। একজনের খৃষ্টান বা ইহুদী বা হিন্দু হবার যতটুকু অধিকার মুসলমান হবারও ততটুকু অধিকার।
আপনি কোন কমিউনিটিকে তার আইন সম্মত ধর্ম পরিচয়ের জন্য হোলসেল গালিগালাজ করতে পারেন না।
এখানে বিরোধী পক্ষের উচিত ছিল মুসলমান মসজিদ এসব বড় করে না হাইলাইট করে এমন শোকাবহ যায়গার পবিত্রতা রক্ষার্থে কোনরকম ধর্মীয় স্থাপনা করা উচিত নয় সেভাবে ব্যাপারটাকে দেখানো। হাজার হোক ধর্মীয় পরিচয় ঐক্যের ডাক দেয় না, উল্টাটাই করে। সেভাবে এপ্রোচ করা উচিত ছিল। কোন নির্দিষ্ট কমিউনিটিকে টার্গেট করবেন আর তারাও আপনাকে ছেড়ে দেবে তা কি হয়?
আমেরিকায় শত শত মসজিদ আছে। কয়টির সাথে জেহাদীরা জড়িত কেউ নিশ্চিত বলতে পারবেন? যেই মসজিদ এখনো হয়ইনি, সেখানে জিহাদী পয়দা করা হবে এমনতর ভাবনা একজন যুক্তিবাদী হিসেবে আপনি কতটুকু সমর্থন করেন? যেসব মসজিদে জিহাদী পয়দা হচ্ছে সেগুলি বন্ধ করে দিলেই তো চুকে। তাতে তো কেউ মানা করছে না। আমি নিজে মসজিদ করার বিন্দুমাত্র পক্ষেও না, সেটা বলে নেই। এই টাকা দিয়ে জগতে করার মত অনেক কিছুই আছে। কিন্তু একে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ ধর্মের লোকদের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন বানানোর পায়তারা আমেরিকার মত দেশকে খুব ভালবাসি বলেই চাই না এদেশে কখনো হোক।
@আদিল মাহমুদ,
কিছুদিন পড়াশুনার পর আমার ধারনা হয়েছে ইসলাম ও অন্য ধর্ম এদের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। অন্য ধর্মগুলো যেখানে নিতান্তই ঐচ্ছিক, ইসলাম সেখানে সর্বাত্মক। আমেরিকাতে যখন সংবিধান প্রনীত হয় তখন তো তারা ইসলামের স্বরূপ জানতো না। তা ছাড়া ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ কিছুকাল আগেও তারা ভাল জানত না। তাই মনে হয় আমেরিকা বা ইউরোপ খুব বেশীদিন ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ দেবে না। অন্য ধর্মের স্বাধীনতা আর ইসলামের স্বাধীনতা এক কথা নয়। ইসলাম ধর্মের স্বাধীনতা মানে যে খাল কেটে কুমীর আনা তা এখন অনেকটাই প্রমানিত।
@ভবঘুরে,
কথায় সত্যতা আছে। ইউরোপে তো সংঘর্ষ বাধার ঘনঘটা মাঝে মাঝেই অনুভূত হচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
খুব ভাল বলেছেন।আপনার প্রত্যেকটা কথাই ঠিক। আমাদের মুসলমান ভাইদের আর নিওকন চাচাদের I.Q যদি একটু বাড়ানো যেত, তাহলে পৃথিবীটা আর একটু ভাল জায়গা হত। :-Y
@মোঃ হারুন উজ জামান,
খুব খারাপ লাগলে ভাবলে যে মানুষে কত অর্থহীন ব্যাপারে সময় শ্রম নষ্ট করে। এই আমেরিকার কথাই ধরেন। অর্থনীতি খারাপ থেকে খারাপতরই হচ্ছে, পতনের কোন সীমা নেই মনে হচ্ছে। সেদিকে চোখ নেই। কোথায় মসজিদ বানানো হচ্ছে সে নিয়ে তোলপাড়। পেটে ভাত না থাকলে মসজিদ আর গ্রাউন্ড জিরো ভাংগিয়ে খাবে?
সূস্থ মানুষের সংখ্যাই মনে হয় দিন দিন কমে আসছে, চরমপন্থীরা সংখ্যায় কম হলেও সবাই তাদের তালেই মনে হয় নাচ্ছে।
হুমম…ধর্ম থাকবে কিনা জানিনা, কিছুইত চিরস্থায়ী নয় এই পৃথিবীতে। হয়ত ধর্মও শেষ হবে। তবে এই ধর্মের বিনিময়ে নতুন কিছু এই ধর্মের মত অন্য নামে কিছু একটা হয়ত আসবে। আইনষ্টাইন সাহেবের বানী হলঃ “ধর্ম ব্যতীত বিজ্ঞান হল খোড়া, বিজ্ঞান ব্যতীত ধর্ম হল অন্ধ”- সেই মর্মে ধর্ম নিঃশ্বেষ হবেনা, তবে আনুষ্ঠানিক অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে। মূল একটাই থাকবে।
নবী (সাঃ) এর একটি কথা ছিল এমনঃ “সামনে এমন এক সময় আসবে যখন ধর্ম বলে কিছুই থাকবেনা, শুধু থাকবে খোসা” ; “আলেমদের ভিতর থেকে দজ্জাল দল বাহির হবে, তারা সবার ঈমান নষ্ট করবে” (সে সময় চলছে বলে মনে হয়)
আবার তিনি বলেছিলেনঃ “বিধর্মীদের হাতেই ইসলাম রক্ষা হবে” ইহা সামনে আসছে বলে হচ্ছে। সুতরাং হয়ত পরিবর্তন হবেই ইহা সত্য তবে তা হবে প্রতিটি ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা। যদিও ইহা যুগে যুগে সর্বদা পরিবর্তনশীল হয়েই আসছে।
যাইহোক ধন্যবাদ
@Russell,
আপনার কি মনে হয় সেই সময় আসে নি? যদি বাংলাদেশ পাকিস্তান ভারতের লোকের ধর্ম বলে কিছু থাকে এই দেশগুলিতে এত অসৎ লোক থাকে কি করে?
@বিপ্লব পাল,
হুমম সেই সময় চলছে…
@ বিপ্লব,
আর একে এই অবস্থানে টেনে উঠিয়েছে কে? গত ৮-১০ বছর ধরে বুশ এবং ওবামা সরকারের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতার ফলেই সে এত প্রভাবশালী হতে পেরেছে।
@বন্যা আহমেদ,
রাজনীতি সিম্বায়োসিসের খেলা। বুশ লাদেনদের নিজস্ব ইকোসিস্টেম আছে। কি অবাক ব্যাপার! আমেরিকার অর্থনীতি এর পরের চারমাস আবার ডুবতে চলেছে-১১% লোক বেকার-ওবামার স্টিমুলাসে কিভাবে এখানে কিছু সরকারি কনট্রাক্টর ফুলছে সেটা দেখছি-পাশাপাশি আমেরিকার মধ্যবিত্তদের জীবন আরো কঠিন হচ্ছে। সেসব থেকে আলো ঘোরাতে ইসলামের মোল্লাদের চেয়ে আর ভাল কে আছে!!
সামনে ইলেকশন আসছে fox নিউজ ও নিউ কনদের জন্য এর চেয়ে ভালো ইস্যু আর কি হতে পারে রিপাবলিকান পার্টি গ্রাউন জিরোকে ইনডিয়ার রাম মন্দির এর মতো আমেরিকানদের জন্য পুণ্য ভূমি বানিয়ে পলিটিক্স করতে চায় তবে তবে এই sort time gain নেওয়ার চেষ্টা মুশলিম বিশ্বে আমেরিকার ইমেজ demolish করবার ইসলামিষ্টদের long term goal কে সহায়তা করবে
@কালো ওঝা, মুসলমান বিশ্বে এইটা নিয়ে আরেক দফা রাজনীতি হবে, মোল্লারা বয়ান করবে যে আমেরিকা মুসলমানদের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে, মুসলমানদের দিন শেষ যদি না আগামী ইলেকশনে ইসলামরে ভোট দেওয়া না হয়। দুই পক্ষই এই ইস্যু থেকে লাভবান হচ্ছে, মনে হয় না এই বিতর্ক থেকে কোন ইতিবাচক আউটকাম পাওয়া যাবে।
এটা মধ্যে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর চেয়ে এতে অনেক রাজনৈতিক দিক আছে। এটা মাইনোরিটি (সংখ্যালঘুদের) ভোটের একটি বড় প্রচেষ্টা দুই পার্টির জন্যই। জিওপিদের এটা একটা পদ্ধতি তাদের গোড়া দিকগুলো দেখানোর যাতে তারা দেখাতে পারে আফগানিস্তানের যুদ্ধ যুক্তিযুক্ত, ইরাকেরটাও যুক্তিযুক্ত কারণ মুসলীমরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
বিস্ফোরিত তথ্য চারিদিকে ছড়িয়ে থাকলেও। সেই তথ্য শুধু মাত্র ‘যে গ্রহণ করতে চায়’ সেই গ্রহণ করবে। ‘পেডাগজি’ নিয়ে আপনার মতটাও এমনই।
সে অনুযায়ী তথ্য বিপ্লব হলেও ধর্মের হানাহানি তখন এমনিতেই থেমে যাবে ভাবতে পারছি না।
আজকের একটা তাজা খবর দেখুন।
@তানভীরুল ইসলাম,
আমি অবশ্য একটা মাত্রয় ‘পেডাগজি’তে সাফল্য সম্ভব মনে করি। মানবতা বোধ থেকে শুরু করে, অনেক ধরণের জ্ঞানই শেখানো সম্ভব। তার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টিও সম্বভব।
তথ্য তো আছেই। তবে চাইলে একটা ‘গুগল সার্চ করার’ ইন্ধন যোগানোই যায়। এবং সে ইন্ধন না দিলে অনেকেই ও কষ্টটুকু হয়তো করবে না।
@তানভীরুল ইসলাম,
Interesting. ভাববার বিষয় বটে!
সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে ১৯৪৭ এ ভারত ভাগ হয়। পাকিস্তান ধর্মভিত্তিক রাস্ট্র হয়। ভারত হয় ধর্ম নিরপেক্ষ। তারপরেও পাকিস্তান এবং ভারতের অভ্যন্তরে সংঘাতের মাত্রা তীব্র ছিল না। দিনে দিনে তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় বিশেষত ভারতে। অনেকে এর জন্য মুসলমানদের অসহনীয় মনোভাবকে দায়ী করে। ১৯৯১ সালে সাউথ ইন্ডিয়ার এক প্রফেসর ইন্ডিয়া ঘুরে এসে বলছিলেন তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলছিলেন – তাঁর বাবা সব সময়ই উদার পন্থী ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। কিন্তু সেবার যেয়ে তিনি তাঁর বাবার সাম্প্রদায়িক মনোভাব লক্ষ্য করেছেন।
অবস্থা দৃষ্টে একই প্রেক্ষিত মনে হচ্ছে এখানেও। আমার ধারণা আমেরিক্যানরা সহনশীল জাতি। মনে হচ্ছে দিন দিন এরা অসহনীয় হয়ে উঠছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মসজিদ নির্মানে কোন বাধা নেই। কিন্তু মসজিদ প্রবক্তারা যেমন বলছেন এই মসজিদ সাম্প্রদায়িক যোগসূত্র রচনা করবে। কিন্তু বিষয়টা বিভেদ দিয়ে শুরু হচ্ছে। কোথায় যেয়ে দাঁড়াবে কে জানে। কেউ বলেছেন নিউ ইয়র্কে ইতিমধ্যে ১০০ মসজিদ আছে। এতগুলো যদি কোন অবদান না রাখতে পারে, তা হলে এই বিশেষ একটি মসজিদ কী ভাবে রাখবে?
কে জানে হয়তো মসজিদ বিষয়ক জটিলতা উপরোক্ত তাজা খবরটিতে ইন্ধন যোগানদার। ভেবে দেখা দরকার।
আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন ছিল।সেদিন হিস্ট্রি চ্যনেলে দেখলাম আফগানিস্তানের তালেবানদের ওপর একটা ডকুমেন্টারী দেখাচ্ছে। তাতে দেখলাম , জংলী চেহারার লোকজন , সবারই মাথায় পাগড়ী, লম্বা দাড়ী, আলখাল্লা পরনে, দারুন রুক্ষ দেখতে। কিন্তু সবার কাধেই আধুনিক রাইফেল। তারা পাহাড়ী রাস্তায় চলাচল করছে কোথাও কোন গাছ পালার চিহ্ণ নেই। আমার প্রশ্ন হলো- এ ধরনের রুক্ষ পরিবেশে ওরা খায় কি ? ওদের সংসার চলে কিভাবে? জিব্রাইল ফিরিস্তা কি ওদের জন্য খাবার ভর্তি বস্তা বা টাকা পয়সা নিয়মিত পৌছে দেয় নাকি ?
ঐসব সোনালী দিনের প্রতিক্ষায়। :yes:
হাঁ কয়েক শতক পরে এই ধর্মীয় গোঁড়ামী হয়ত থাকবে না। তবে এই ধরি মাছ না ছুঁই পানি টাইপের মৌলবাদীরা আরো মারাত্মক। এরা সুযোগ পেলেই ধর্মের বিষবাষ্প ছড়াতে থাকবে। আর মন্দির মসজিদ নিয়ে বিতর্ক এ আর নতুন কি? রিমা ঠিকই বলেছেন পরবর্তীতে গোড়ামী কম দেখা যাবে। আর তা যত তাড়াতাড়ি হয় পৃথিবীর জন্য মঙ্গল।
লেখকের মত যতটুকু অনুমান করতে পারি, তিনি সকল প্রকার মসজিদ-মন্দির স্থাপণের বিপক্ষে।
কিন্তু এহেন ‘কৃত্রিম ভাবে তৈরী সংকট’ মোকাবিলায় আপনার অবস্থানটি কোথায়? নিরপেক্ষ?
@তনুশ্রী রয়,
নিরেপেক্ষ বলে কিছু হয় না। সামাজিক সিদ্ধান্ততের ক্ষেত্রে আমরা সবাই পক্ষপাত দুষ্ট। তবে আমেরিকাতে আমার অভিজ্ঞতা হল ধর্মীয় কমিনিউটি সেন্টারগুলি
প্রবাসীদের প্রাণ ভোমরার কাজ করে। ইসলাম ব্যাতিক্রম। এখানে যেমন ওয়াশিংটন কালি টেম্পল বা দুর্গাবাড়িতে সারা বছর বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেই জন্যে এই কমিনিউটি সেন্টারগুলি বাঙালীদের প্রাণ ভোমরা হয়ে উঠেছে। মুসকিল হচ্ছে ইসলাম একটি আরব সংস্কৃতি ভিত্তিক হজপজ-সেখানে গিয়ে কি কমিউনিটি তৈরী হবে আমি জানি না।
সেপ্টেম্বর ১১ তে নিরীহ সাধারণ জনগনের উপর হামলা চালিয়ে ২০০০ মানুষ মেরে ফেলতে সক্ষম হয় ইসলাম। বলাই বাহুল্য এটা ইসলামের জন্য অনেক অনেক বড় সাফল্য। আমি আল্লা হলে কোরান এডিট করে এরশাদ করতাম যে- এখন থেকে কাবা না, গ্রাউন্ড জিরোই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় পুন্যভূমি। চাঁদ কিংবা এভারেস্ট জয় করে মানুষ পতাকা উড়িয়েছিলো, নাইন ইলেভেন করেও একইভাবে ইসলাম গ্রাউন্ড জিরোতে একটা মসজিদ বা মক্তব বানাতেই পারে। ব্যক্তিগভাবে আমি মনে করি- কোন প্রাইভেট প্রপার্টি নিজের টাকায় কিনে সেখানে কোন ব্যক্তি মসজিদ বা পতিতালয় যাই বানাক না কেনো, কারও এটা নিয়ে কোন অভিযোগ থাকা উচিত নয়। একটি ফ্রি কান্ট্রিতে এই ঠুনকো অভিযোগ ধোপে টিকবে না। আর এইসব ঠুনকো অভিযোগ-অভিমান করে ইসলাম নির্মুল করাও সম্ভবপর হবে বলে মনে হয় না।
@আল্লাচালাইনা,
আপনি ঠিক বলেছেন। সবচাইতে বড় সমস্যা হলো- আমেরিকার অধিকাংশ মানুষই জানে না ইসলাম কি বস্তু। সেখানে সব সময় প্রচার করা হয়- ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম আর তার স্বপক্ষে কোরান থেকে আয়াত উদ্ধৃত করে দেখানো হয়, হিংসাত্মক আয়াতগুলো ভুলেও উল্লেখ করা হয় না। ইসলাম সম্পর্কে বিরাট অজ্ঞতার সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী মোল্লা সৌদি পেট্রো ডলারের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে আমেরিকা তথা পশ্চিমা সমাজকে ধ্বংশ করার নীল নকশা এটেছে। পশ্চিমারা তা এখনও বুঝতে পারছে না । যখন বুঝতে পারবে তখন হয়ত বেশ দেরী হয়ে যাবে আর যার সংশোধন হয়ত বড় বেশী চড়া মূল্যে পরিশোধ করতে হতে পারে ভবিষ্যতে।
@ভবঘুরে, পশ্চিমা সমাজকে ধ্বংসের নীলনকশা!!! একই তো ব্যাপার। হয় পশ্চিম ধ্বংস হবে নয়ত পূব। এই করে আর কত?
পেট্রোলিয়ামের মালিক কে? যার জমিতে পাওয়া গেলো সে? নাকি জমি যে দখল করলো সে? নাকি আমরা সবাই?
@তনুশ্রী রয়,
পশ্চিম ধ্বংস হলে কিন্তু আমরাও ধ্বংশ হয়ে যাব । কারন পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর আমরা এমন ভাবে নির্ভরশীল হয়ে আছি যে , পশ্চিমের সাথে আমাদের ও ধ্বংস অনিবার্য। অন্যথায় আমাদেরকে আবার গুহার যুগে ফিরে যেতে হবে আর তাতেও সুবিধা হবে না কারন এত গুহা যুগের পরিবেশে যত মানুষ বেচে থাকতে পারবে তার চাইতে কয়েক হাজার গুন মানুষ এখন আমরা , তার অর্থ মহামারী আর দুর্ভিক্ষে আমরাও শেষ হয়ে যাবে, মন্দির মসজিদে যাওয়ার কোন লোক পাওয়া যাবে না তখন।
@ভবঘুরে,
পশ্চিমাদের এতখানি ‘নাইভ’ ভাবার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। তাদের স্বার্থে তারা ( এবং শুধু পশ্চিম নয় যে কেউই সেটা করতে পারে) করতে পারে না এমন কিছু নেই। তাদের স্বার্থে তারা শুধু ধর্ম কেন যে কোন কিছুকেই কাজে লাগাতে পারে এবং লাগিয়েছেও। আমেরিকা ( এবং পশ্চিম) যখনই দরকার পড়েছে ইসলামকে ব্যবহার করেছে নিজের স্বার্থে একথাটা তো কারও অজানা থাকার কথা নয়। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো এখানে খুব বড় ভূমিকা পালন করে। ইসলামের সমালোচনা করার জন্য অযথাই পশ্চিমকে সাধু বানিয়ে ফেলার তো দরকার নেই। আজকে ইসলাম এবং মৌলবাদ একটা বিশাল সমস্যা এ নিয়ে কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু সমালোচনাগুলোকে এত সরল করে ফেললে একতরফা ঘৃণা ছড়ানো হয়, সমস্যার মূলে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
আর পশ্চিম ধ্বংস হয়ে গেলেই সব ধ্বংস হয়ে যাবে এটাও কেমন যেন শোনালো। পশ্চিম নিজেকে রক্ষা করার জন্য যা করা দরকার তা যে কোন কিছুর বিনিময়েই করতে সক্ষম, দরকার হলে অন্যদের ধ্বংস করে দিতেও দ্বিধা করবে না। তার প্রমাণতো ইতিহাস জুড়েই রয়েছে। আসলে কোন সভ্যতাই বোধ হয় ধুম করে ধ্বংস হয়ে যায় না ( বিশাল কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে বা নিউক মেরে উড়িয়ে দিলে অবশ্য আলাদা কথা 🙂 ) ।আর সমাজ বিবর্তনের নিয়ম অনুযায়ী এক সময় না এক সময় সব সভ্যতাই ধ্বংস হতে পারে। এক সভ্যতা ধ্বংস হলে আরো হাজার সভ্যতা গড়ে উঠতে পারে। আমি নিশ্চিত যে এক সময় অনেকেই ভাবতো যে রোম সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেলে পৃথিবীই ধ্বংস হয়ে যাবে 🙂 ।
@বন্যা আহমেদ,
তার মানে দাড়াচ্ছে ইসলামকে ব্যবহার করার মত উপাদান আছে ইসলামে। নইলে তো তাকে ব্যবহার করা যেত না। আমার মূল পয়েন্ট ওটাই। আর আমার দুশ্চিন্তাও ওটা যে অধিকাংশ মুসলমান মোটেই বিশ্বাস করে না যে ইসলামকে ব্যবহার করার অনেক মাল মশলা খোদ ইসলামের মধ্যেই আছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সব সময় দুর্বল জাতিগুলোর দুর্বল বিষয়গুলোকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটেছে এখনও লুটছে, আমার প্রশ্ন আমি কেন আমার দুর্বল পয়েন্টটাকে সবল করতে পারছি না? পারছি না, তার কারন কোরান হাদিসে এত পরিমান দুর্বল পয়েন্ট আছে যে তাকে বাদ দিতে গেলে খোদ ইসলামই আর থাকে না। আপনি ঘরের দরজা খুলে রাতের বেলা ঘুমাবেন আর মনে করবেন আপনার ঘরে চোর ঢুকে চুরি করবে না , তাহলে আপনি সর্বপ্রথম কাকে দোষ দেবেন ? আপনার নিজেকে নাকি চোরকে ?
বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির যে প্রকৃতি , তাতে শুধু মাত্র যদি আমেরিকার কোন বিরাট ধ্বংস সাধন হয় তাতে গোটা পৃথিবীর অর্থনীতিরই বারোটা বেজে যাবে। যেমন আমরা ইতোমধ্যে গত কয় বছরের আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দার প্রচন্ডতা টের পাচ্ছি হাজার হাজার মাইল দুরে বসেও।
এই একটা যথার্থ কথা বলেছেন একেবারে আমার মনের কথা। কিন্তু আক্রমনটা যদি ভিতর থেকে ঘটে তখন ? মনে করুন, আমেরিকা বা ইউরোপের একটা উল্লেখযোগ্য মানুষ মুসলমান আর তারা মৌলবাদী চরিত্রের যারা গনতান্ত্রিক ভাবধারায় বিশ্বাস করে না, আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের জন্য জান দিতে রাজি , তখন কি ঘটবে ? বাইরের আক্রমন প্রতিহত করার জন্য দরকার হলে তাদের ধ্বংস করে দেবে , আর সেটা খুব সোজাও কিন্তু ভিতর থেকে আক্রমন আসলে কি ভাবে তাকে প্রতিহত করবে ? আপনার নিশ্চয়ই রোম সভ্যতার ইতিহাসের কথা জানা আছে। এ সভ্যতা কিন্তু ধ্বংস হয়েছিল খৃস্ট ধর্মের আভ্যন্তরীন আঘাতেই। পরে বর্বররা শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল।
এ ঘটনা কিন্তু সত্য হতো যদি রোম সাম্রাজ্য আজকের মত উন্নত প্রযুক্তির ওপর দাড়িয়ে থাকত আর বিশ্ব অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হতো। ঐ সভ্যতা দাড়িয়েছিল দাসপ্রথার ওপর তাই রোম সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর বিশ্ব একটু ধাক্কা খেয়েছিল ঠিকই তবে আবার উঠে দাড়াতে সময় লাগেনি। আপনাকে একটা উদাহরন দেই। আজকে কোন বিশেষ ম্যাজিক দিয়ে যদি পৃথিবীর সকল বৈদ্যুতিক সরবরাহ কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করে দেয়া যায়, তাহলে মানব সভ্যতা স্রেফ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় উপনীত হবে। এর পরেও যারা টিকে থাকবে তারা আইনস্টাইনের মত করে বললে বলতে হবে- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি দিয়ে হবে জানি তবে চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ হবে পাথরের তৈরী অস্ত্র দিয়ে এটা নিশ্চিত।
@ভবঘুরে, আপনার সাথে প্রতিটা বিষয় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছি, আপনার এবং আমার বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিগুলো মনে হচ্ছে একেবারেই উলটো মেরুর বাসিন্দা। রোম শুধু খ্রীষ্ট ধর্মের কারণে ধ্বংস হয়নি, ইসলামের মত সব ধর্মকেই ব্যবহার করা যায়, তা এখনো করা হচ্ছে এবং অতীতেও হয়েছেও, পশ্চিম (এবং তাদের প্রাচ্যের পার্টনাররা) খুব ভালো করে জেনে শুনেই ইসলামকে ব্যবহার করছে, এরকম হাজারো বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আমি একমত নই…… আমি মনে করি, আজকে যারা শুধু ইসলামের মধ্যে মুখ গুজে থেকে বিষোদগার করেন তারা হয় আজকের পৃথিবীর বৃহত্তর চিত্রটা বোঝেন না বা বুঝতে অক্ষম। হ্যা, এটা একটা সমস্যা, তবে একে বৈশ্বিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কন্টেক্সটে ফেলে দেখতে না পারলে আলোচনাগুলো অর্থহীন হয়ে যায়। এ নিয়ে বিতর্ক করতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে, যা বলার বা লেখার সময় আপাতত আমার হাতে নেই। ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য।
@বন্যা আহমেদ,
মানুষে মানুষে দৃষ্টি ভঙ্গী ও মতের তারতম্য তো থাকবেই। আর সেজন্যই আমরা গনতন্ত্রের চর্চা করি। যে কোন বিষয়ে আলোচনা করলে অনেক পয়েন্টই আসবে। কিন্তু মূল পয়েন্টার গুরুত্ব মনে হয় বেশী। এখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমি সেই মূল পয়েন্টার ওপরেই আলোকপাত করেছি। আপনি অর্থনৈতিক, নৃতাত্ত্বিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে আলোচ্য বিষয়ের ওপর বিরাট আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার সোজা বক্তব্য- ইসলামের মধ্যেই এত বেশী হিংসাত্মক উপাদান আছে যে এ ধর্মকে ব্যবহার করা খুব সোজা আর সে সুযোগটাই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠি সব সময় নিয়েছে । আমি আগেই বলেছি সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠি সব সময় অনগ্রসর জাতির দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়েই তাদের সাম্রাজ্যবাদী শোষণ ও নিয়ন্ত্রন বজায় রেখেছে। মুসলমান জাতিগোষ্ঠির সবচাইতে বড় দুর্বলতা হলো তার স্ববিরোধিতা আর হিংসাত্মক বানী সম্মলিত সর্বাত্মক ধর্ম। এটাই ছিল আমার মূল বক্তব্য। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবার।
@ভবঘুরে,
আমার তো মনে হয় আমেরিকা ভালভাবেই জানে ইসলাম কি বস্তু, জানে আমেরিকার সাধারণ মানুষও। মুসলমানের গলায় বড়শি গেঁথে লটকায়ে রাখতে হলে টোপ লাগবে না? মুসলমান জন-বাচ্চাসহ মসজিদে এসে ভিড় করুক, ইসলামের আফিম খেয়ে মাতাল হউক, কোরান গিলুক, দেখবেন সঠিক সময়ে ছিপে টান দিতে আমেরিকা ভুল করবেনা।
@আকাশ মালিক,
একবার কোন একটা চ্যানেলে দেখেছিলাম, সাগরে নৌকা থেকে এক লোক বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল। একবার তার বরশিতে এত বড় এক মাছ ধরল যে তার ধাক্কায় খোদ নৌকা শুদ্ধ উল্টে গিয়ে শিকারী সাগরে ভাসতে লাগল। পরে তাকে বহু কষ্টে উদ্ধার করা হয়। তাই মাছ কিন্তু বেশী বড় হয়ে গেলে শিকারীর পতন ঘটাও অসম্ভব নয়।
@আল্লাচালাইনা, আপনি তো দেখি ফ্রি কান্ট্রির ভক্ত!
আমি কয়েক দিন ধরে ভাবছিলাম গ্রাউন্ড জিরোর কাছে মসজিদ নিয়ে মিডিয়াতে এত কান্ড ঘটে যাচ্ছে কেউ কেন এ ব্যপারে মুক্ত মনাতে লিখছে না। একবার ভাবছিলাম আমিই একটা নিবন্ধ ফেদে বসি। যাই হোক বিপ্লব পালকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। তবে আপনি আরও সবিস্তারে লিখলে ভাল হতো যেমন- ন্যূট গিংরিচ বা সারাহ পেলিন এর তীব্র প্রতিক্রিয়ার বিষয়টাও উল্লেখ করতে পারতেন। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে- বিষয়টার একটা ফয়সালা হওয়া আবশ্যক। ,
আপনি বারবার বলছেন যে সামাজিক বিবর্তনের ধারায় আগামীতে ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। ধর্ম যদি সম্পূর্ণ একটা সামাজিক কন্সট্রাক্ট হত, তাহলে হয়ত এ কথা বলা যেত। ধর্মীয় শাস্ত্র সামাজিক কনস্ট্রাক্ট হলেও সেই শাস্ত্র মেনে চলার প্রোপেনসিটির সাথে মানব প্রকৃতির সংশ্রব আছে বলেই মনে করি(কগনিটিভ সায়েন্স অব রিলিজিয়ন তো মনে হয় তাই বলে)। মোহাম্মদের যুগের মুসলমানদের সাথে আজকের যুগের মুসলমানদের অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকলেও গোঁড়ামী খুব একটা কমেছে বলে মনে হয় না। অতীতের মুসলমানরা আসমানী জ্ঞানকে যুক্তির উপর স্থান দিত। আজকের মুসলমানরা যুক্তিকে আসমানী জ্ঞানের সাথে মিলিয়ে ফেলছে। এটা revelation over reason পন্থার থেকেও ভয়ংকর।
আরেকটা ব্যাপার মনে রাখা দরকার যে এখন বিশ্বায়নের যুগ হলেও পশ্চিমের সাথে প্রাচ্যের সংস্কৃতি ও লোকবল আদান-প্রদানের হারে বিস্তর ফারাক রয়েছে। পশ্চিমের সংস্কৃতি প্রাচ্য গ্রহণ করছে কিন্তু প্রাচ্যের সংস্কৃতি পশ্চিম গ্রহণ করছে না। অভিবাসনের স্রোতটাও কিন্তু একমুখী। পশ্চিমা বিশ্ব হয়ত ধীরে ধীরে ধর্ম হতে নিজেকে মুক্ত করছে, কিন্তু এও মনে রাখতে হবে যে প্রাচ্যের মুসলমানরা পশ্চিমে গিয়ে কালচারাল শকের কারণে সাংস্কৃতিকভাবে অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। এর ফলে তারা স্বদেশে তেমন ধর্ম পালন না করলেও পশ্চিমে গিয়ে রীতিমত মৌলবাদী হয়ে উঠছে। আপনি হয়ত বলতে পারেন যে প্রজন্মান্তরে এই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা কমে আসবে। আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা কমে আসলেও এটা কখনওই বিলুপ্ত হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত্য সমগ্র বিশ্ব শুধু একটি সংস্কৃতির আওতায় আসছে। ঠিক এই কারণে বর্তমানের এই গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কের কারণে নতুন প্রজন্মের মুসলমানরা নিজেদের পরিচয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। একারণে আমি “ভবিষ্যতে ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবে” এই মডেলের আলোকে বর্তমানকে বিচার করার পক্ষপাতি না।
এই বিতর্কের অবসানের কোন ইঙ্গিত আপাতত দেখছি না। মসজিদ কর্তৃপক্ষ পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে মসজিদ স্থানান্তর করার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।
@পৃথিবী,
উৎপাদন শক্তির পরিবর্তন সামাজিক বিবর্তনের চালিকা শক্তি। ধর্ম না। আমি আগেও লিখেছি ধর্মটা মানুষের সামাজিক পরিচয়-কেওই ধর্ম মানে না- নিজেকে হিন্দু বা মুসলিম বলে চালিয়ে নিজেদের সামাজিক ইউটিলিটি বাড়ায়। বাংলাদেশ বা ভারতের লোকেরা সত্যিকারের ধর্মে বিশ্বাস করলে এই দেশগুলি দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হত না-সুতরাং আসলেই সবাই চাইছে তাদের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বা সংক্ষেপে ছেলে মেয়েরা যেন থাকে দুধে ভাতে। সেই জন্যেই একজন চরম মুসলিম বাংলাদেশ থেকে কাফেরদের দেশ আমেরিকাতে যাবে, আরবে যাবে না। অথচ মুখে বলবে অন্য কথা। যারা ধর্ম ধর্ম করে-তারা আকুন্ঠ ভন্ড-যদি অন্য কিছু করে ভাল থাকা যায়, তাহলে তারা তাই করবে। আর এখানেই লুকিয়ে আছে সমাজ পরিবর্তনের বীজ। মধ্যপ্রাচ্যের টাকা যেমন ইসলামাইজেশনে সাহায্য করেছে-ঠিক তেমনই বিকল্প শক্তির আবিস্কার এবং সফল প্রয়োগ, সেই স্টিম শুষে নেবে। ৪০ বছর আগে ইসলামের উৎপাত ছিল না-কারন মধ্যপ্রাচ্যের টাকা ছিল না। ৪০ বছর বাদে সেই উৎপাত থাকবে না-কারন মধ্যপ্রাচ্যের টাকা থাকবে না।