বই শব্দটির সংজ্ঞা কি আমার সঠিক জানা নেই-তবে মিশরের প্যাপিরাসে লেখা পাতা গ্রীকদের হাতে গুঁতো খেয়ে, মানব সভ্যতার বিবর্তনে বই এর জন্ম।ছাপাখানার জন্মের সাথে সাথে বই এর বিতরন সুলভ হয়-বলা যেতে পারে ১৪৪০ সালে গুটেনবার্গের ছাপাখানা ছিল বই এর প্রথম প্রযুক্তি বিপ্লব। আগে মুখে মুখে জ্ঞান ছড়াত-ফলে জ্ঞানের চর্চা ছিল সীমাবদ্ধ। গুটেনবার্গের আবিস্কারে দেশের সীমানা ভাংল জ্ঞান-বিজ্ঞান। মনে রাখতে হবে উনবিংশ শতাব্দিতে বাংলার রেনেসাঁসের অনেকটা জুরে আছে সেই সময় ইউরোপ থেকে আসা ইংরেজি বই এর সহজলভ্যতা।
প্রিন্ট মিডিয়া প্রায় পাঁচশো বছর ধরে রাজত্ব করেছে বা এখনো করছে। ইন্টারনেটের মিডিয়া বিপ্লবের সামনে বই এর ভবিষ্যত কি-সেটা খুব একটা পরিস্কার না। তবে কিছু কিছু চিত্র পরিস্কার হচ্ছে
১। নিউজ মিডিয়া সম্পূর্ন ইন্টারনেট ভিত্তিক হবে-কারন অনেক। এখন একজন সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকেই সংবাদ তার পত্রিকাতে ছাপাতে পারে। সংবাদ সময়ের সাথে সাথে বাসি হয়। তার ওপর আছে মাত্রারিক্ত প্রিন্টের খরচ। ফলে আমেরিকাতে নিউজ পেপারের প্রিন্ট এডিশন কমছে দ্রুত হারে- গত দশকে এখানে মারা গেছে প্রায় ৮০০ সংবাদপত্র। আবার ইন্টারনেটে খুলছে নতুন কমিউনিটি বেসড সংবাদপত্র-তার সংখ্যা হাজার হাজার।
২। কিন্ত বই এর কি হবে? ইন্টারনেটে উপন্যাস পড়া প্রায় অসম্ভব। রবীন্দ্রনাথ অনলাইন এখন সম্পূর্ন ভাবে পাওয়া যায়। কিন্ত ইন্টারনেটে বই পড়াটা চাপের। কারন আমাদের চোখের যে ফোকাল ভিষন সেটা দিয়ে গোটা স্ক্রীনের ওপর চোখ রেখে পাতার ওপর পাতা উপন্যাস পড়-মোটেও আনন্দদায়ক না।
৩। অন্য দিকে প্রিন্টিং খরচ বেড়েছে হু হু করে। আগে লাইব্রেরী বই কিনত। লোকে লাইব্রেরী মেম্বারশিপ দিয়ে পড়ত। এখন আমরা সবাই বিশ্ববাসী। হাতের কাছে লাইব্রেরী কোথায় পাব? প্রিন্ট বই এর যা দাম কিনে পড়া মধ্যবিত্তর জন্যে বেশ চাপের। আমার কাছে আবার অন্য সমস্যা। ঘরে যথেষ্ট জায়গা নেই বই রাখার।
৪। তাহলে বই এর ডিজিটাল ফর্মাট ছারা উপায় নেই। ডিজিটাল ফর্মাটে বই নিয়ে আসার দুটি মূল সমস্যা। বই এর এডব পিডিএফ বা পোর্টেবল ডিজিটাল ফর্মাট সবথেকে জনপ্রিয়। সমস্যা হচ্ছে পি ডি এফ কেনার পরে যে কেও সেই পি ডি এফ তার বন্ধুকে ইমেল করতে পারে বা ইস্নাইপস বা অন্য হাজার হাজার সাইটে ডকুমেন্টটা তুলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারে। এই পাইরেসি ঠেকাতে ডিজিটাল রাইট ম্যানেজমেন্ট লাগাতে হয় পিডিএফে। তবে সেটাও সেফ না। কারন সেখানে পিডিএফের সাথে পাসওয়ার্ডটা শেয়ার করলে-সেই পাইরেসি চলতেই থাকবে। ফলে ইবুকের জন্যে আরো উন্নত ডিজিটাল রাইট ম্যানেজমেন্ট এসেছে যেখানে আমরা প্রতিটা আই পি এড্রেস থেকে রিডিং ট্রাক করতে পারি। এই প্রযুক্তি আমরা এখন পরিক্ষামূলক ভাবে বই বাজারে চালাচ্ছি। এই মাসের মধ্যেই কমার্শিয়াল ভাবে এটাকে চালানো ইচ্ছা আছে। তবে প্রযুক্তিতে সমস্যা না থাকলেও বাংলা প্রকাশনা শিল্পের অধিকাংশই ব্যাপারটা বুঝতে চাইছে না। ফলে বই এর স্বত্ত্ব পেতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। অথচ এটা পেলে নানান সাইটে যেসব বই স্ক্যান করে তুলে দেওয়া হচ্ছে এবং তাতে প্রকাশকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, সেটা আটকানো যেত। সুনীল হুমায়ুনের সব বই স্ক্যান করা পিডিএফ ফর্মাটে একাধিক সাইট থেকে পাওয়া যায়। মুর্ছনা বলে একটা সাইট এই চোর্য্যবৃত্তি বেশ পেশাদারি ভাবে করছে। সে হয়ত বাংলা সাহিত্য লোককে পড়াতেই এটা করছে-কিন্ত এতে বাংলা সাহিত্যিকদের ক্ষতি হচ্ছে-প্রকাশকদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশকদের আরো ক্ষতি অপেক্ষা করছে। অথচ আমাদের বইবাজার সংস্থার সাথে প্রকাশকরা সহযোগিতা করলে, আমরা এটা আটকাতে পারতাম এবং লোকেরা অনেক সুলভে বাংলা বই পড়ার সুযোগ পেত। তবে অনেকেই এটা বুঝতে পেরেছেন। যারা বুঝেছেন, তাদের ই-বইগুলি সুলভে সেপটেম্বর মাসেই চলে আসবে।
৫। আমাজন ডট কম (www.amazon.com) আবিস্কার করে কিন্ডল বলে একটি ডিভাইস। যা বই এর মতন দেখতে। এবং সেই ডিভাইসে একদম বই এর মতন করে ৩০০০ পিডিএফ রাখা যায়। মানে আই টিউনে লোকে যেভাবে গান শোনে ঠিক সেই ভাবে একটা ডিজিটাল বই-লাইব্রেরীই লোকেরা এখন নিয়ে ঘোরা ফেরা করতে পারে। সমস্যা হচ্ছে কিন্ডল এখনো বাংলা পিডিএফ সাপোর্ট করে না। কিন্ডলের পিডিএফ আলাদা সফটয়আরে বানাতে হয়। আমরা কিন্ডলের সাথে কথাবার্তা বলছি। মুশকিল হচ্ছে আমার কাছে এখন খুব সীমিত সংখ্যায় বাংলা বই এর ডিজিটাল কপিরাইট আছে। এটা বেশী থাকলে আমাজনের কাছে অনেক বেশী শক্তিশালী দাবী জানানো যেত। তবে আমার ধারনা আস্তে আস্তে সবাই এর গুরুত্ব বুঝবে।
৬। এর মধ্যে বাংলা বই আমরা আমাজন ডট কম (www.amazon.com) এ তুলে দিচ্ছি। আমাজন বই এর বৃহত্তম অনলাইন মার্কেট। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলা বই বিক্রি হত দু একটা। আমাদের প্রায় ১৯,০০০ বাংলা বই এখানে তোলার পরিকল্পনা এই বছরের মধ্যে । এখন শারদিয়া সংখ্যা গুলি এই লিংকে পাওয়া যাবে –সব বাংলা পত্রিকার গ্রাহক হওয়াও যাবে। তবে এখন শুধু উত্তর আমেরিকাতে। এর পরে ইউরোপ, ভারত এবং বাংলাদেশেও চালু হবে-তবে দাম সব দেশের জন্যে আলাদা হবে। এই সপ্তাহের শেষেই আমাজনে হাজারের বেশী বাংলা বই চলে আসবে ( এখানে চোখ রাখুন)। এবং পরের মাস থেকে যারা আমাদের ডিজিটাল কপিরাইট দেবেন, তারাদের বইগুলির পিডিএফ ও আমাজন থেকেই কেনা যাবে। বা বই বাজার সাইট থেকেও কেনা যেতে পারে। পি ডি এফ ফর্মাটে বিদেশে বাংলা বই এর দাম ৮০% কমে যাবে বা ১/৫ হয়ে যাবে-এবং তার পরেও লেখকরা অনেক বেশী টাকা পাবেন। এখন ত অধিকাংশ লেখক প্রকাশকদের কাছ থেকে টাকাই পান না।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বই এর ব্যাবসার সাথে জড়িত কেও না-কিন্ত গত দুবছর থেকে যখন দেখলাম প্রবাসী বাঙালীরা নিজেদের দলাদলি নিয়েই বেশী ব্যাস্ত, ঠিক করলাম নিজেরাই করব। আগের বছরই এই বই বাজারের
পরিকল্পনা শুরু করেছিলাম। তবে সফটওয়ার বানানোর কাজ শুরু হয়েছে এপ্রিল থেকে। স্যোশাল মিডিয়া টেকনোলজি এই কাজ করছে এবং আই বি এমের অভিজিৎ দেব সরকার প্রজেক্টটির প্রযুক্তি লিডার। এছারাও মনোজিত, সৌমেন্দু এবং রাহুল গুহ নানা ভাবে সাহায্য করছেন।
নিউ ইয়ার্কের মুক্তধারা সংস্থার বিশ্বজিত সাহা আমার এই কাজে এগিয়ে না আসলে , বই বাজারকে দিনের আলো দেখাতে অনেক দেরী হত। প্রযুক্তি এবং মার্কেটিং আমি ভাল জানলেও বই এর ব্যাবসাটাই জানতাম না। তার ওপর কোলকাতার বুকফেয়ার্স গীল্ড আমার আমার আবেদন নাকচ করে দেয়!
তবে এখন দ্রুত গতিতে আমাদের কাজ হচ্ছে এবং আশা করব এক দু বছর বাদে মাসিক গ্রাহক হওয়ার বিনিময়ে বাঙালীরা যে কোন সাহিত্য বা বাংলা বই অনলাইন পড়তে পারবে্ন।
বাংলা ভাষার ভবিষ্যত এমনিতেই খুব উজ্জ্বল না। এর পর বই এর যদি মাত্রছারা দাম হয়-তাহলে বাংলা প্রকাশনা শিল্প ডুবে যাবে। সুতরাং বাংলা বই কে সুলভে অনলাইন করতেই হবে।
প্রকাশকরা বা গ্রাহকরা আমার সাথে এই ইমেলে যোগাযোগ করতে পারেনঃ [email protected]
আর যারা নতুন কি কি বই আসছে জানতে চান-তারা ফেসবুকে বই বাজার পেজে জয়েন করুন। আপনাদের প্রোফাইলে নতুন বই এর সংবাদ চলে আসবে।
আংশিক দ্বিমত।
এরপরেও প্রিন্ট মিডিয়া বেশ খানিকটা দাপটের সঙ্গেই টিকে থাকবে। কারণ, প্রিন্ট মিডিয়া পাঠক আস্তে-ধীরে, শুয়ে-বসে পড়তে পারেন। এটি চোখের ওপরে তেমন চাপ ফেলে না। এছাড়া ব্রেকিং নিউজ/ ফটো, স্বতন্ত্র সংবাদ বিশ্লেষণ ও কলাম তো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, প্রিন্ট মিডিয়া একটি অভ্যাস; সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ভাঁজ খুলে সংবাদপত্রে চোখ বুলিয়ে নেওয়ার মজাই আলাদা। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
কথাটা ঠিক, কিন্তু বিদেশে এই মজা নেওয়ার স্কোপ খুব সীমিত। আমেরিকায় লোকজন কাজের জায়গায় যাওয়ার পথে যে সময়টুকু পাওয়া যায় সেটারই সদব্যবহার করে। ব্লেকবেরির ইন্টারনেটে সংবাদ পড়তে পড়তেই সকালে তারা কাজের জায়গায় ছোটে। আমেরিকায় প্রিন্টেড নিউজ পেপারের সংখ্যা তাই দিনে দিনে কমেই যাচ্ছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হুমম… :-/
@বিপ্লব রহমান,
আমার কোনো অসুবিধা হয় না ডিজিটাল মিডিয়াতে কারণ আমার নেটবুক কম্পিউটার, সর্বাধিক বহনযোগ্য।
@মুহাইমীন,
ওহ…আচ্ছা। :rose:
@বিপ্লব রহমান,
প্রিন্ট সংবাদপত্র আমেরিকাতে মারা যাচ্ছে। আর ১০ বছর বাদে এখানে প্রিন্ট সংবাদপত্র থাকবে না। কিন্ত বই থাকবে।
@বিপ্লব পাল, কিন্ডল ব্যবহার করার পর পেপারব্যাক বইয়ের ব্যবহার আর কত বছর টিকে থাকবে সেটাও সন্দেহ করি।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমার ও তাই মনে হয়। আমাজনকে আমি বাংলা সাহিত্যের এবং মার্কেটের ডিটেলস জানিয়ে লিখেছিলাম-কালকে আমাজন আমাকে লিখেছে কিন্ডলে বাংলা বই এর দাবী তারা সহানুভূতির সাথে আলোচনা করছে। অপেক্ষাই থাকি সেই সুসংবাদের। তাহলে বাংলা বইকে অনেক সুলভ হয়ে যাবে যদি আমাজন আমাদের কথা শোনে।
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন দৈনিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম– এ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চার বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, চূড়ান্ত অর্থে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ডিজিটাল নিউজ বুলেটিন-ই শেষ গন্তব্য। কারণ, এর খরচ অনেক কম, তড়িৎ সংবাদ, ছবি, বিশ্লেষণ– সবই প্রকাশ সম্ভব। আর এটিই সবচেয়ে আধুনিক।
তবে আমেরিকার মত তৃতীয় বিশ্বে ডিজিটাল/ অনলাইন দৈনিকের সর্বত্র জয় হতে আরো হয়তো বেশ কয়েকটি শতাব্দি লেগে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
এ্যাঁ, কস্কি মুমিন? আমেরিকা তৃতীয় বিশ্ব, আর আমরা প্রথম না দ্বিতীয়???
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ঞঁ!! 😛
মন্তব্য বড় হয়ে গেলে লিখতে সমস্যা হয় কেন? আমার তো শেষের দিকে “এ”,”ই” এগুলো কপি পেষ্ট করে দিতে হলো।সমস্যাটি কোথায়?
আপনার লেখার অনেক দিন থেকেই আমি ভক্ত,যদিও মন্তব্য করি না।আপনি ইসলাম সম্পর্কিত যে কোন লেখা আসলেই যে তার “নৃতাত্ত্বিক”,”সামাজিক” কারন খোজেন বা খুজতে পরামর্শ দেন,আমি সেটাও যুক্তিযুক্ত মনে করি। কিন্তু এই পোস্টটা দেখে আমার আপনাকে একজন চরম সুবিধাবাদী বলে মনে হয়েছে। কারন,
**আপনি বাংলাদেশ এর আর্থ-সামাজিক অবস্থা কে আপনার লেখায় উপস্থাপন করেননি। বর্তমানে এদেশে বই পড়ুয়ার হার খুবই কম,বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের যারা প্রযুক্তিপ্রেমী তাদের মধ্যে। তারা এত সময় ধরে বই পড়াকে বিরক্তি মনে করে,তাদের কাছে গেমস (অবশ্যই পাইরেটেড) তুমুল জনপ্রিয়। তাই এই মুর্চ্ছনা সাইটটি কিছু কিছু বইপাগল লোকের কুবই প্রিয় সাইট। আর পিডিএফ তো কখনও পেপারব্যাক এর সমান হতে পারে না,তাই সুযোগ আসলে অবশ্যই পছন্দের বইটার প্রিন্টেড কপি কিনে রাখা হয়। আমার নিজের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে মূর্চ্ছনা না থাকলে বাংলা বইয়ের প্রতি আরও বিপুল সংখ্যক লোক(প্রযুক্তিনির্ভর) আগ্রহ হারাবে।
****আপনি মূর্চ্ছনাকে চোর বলেছেন। কিন্তু আপনি একটা লাইব্রেরীকে কি বলবেন? সেখানেও তো একটা বই এর ব্যবহারকারী হাজার হাজার। তারা ইচ্ছা করলে যে কোন বই পড়তে পারে। আবার কপিও করে রাখতে পারে।
তাহলে সব লাইব্রেরী থেকে কপিরাইট বইগুলা সরিয়ে ফেলা দরকার,কি বলেন? আমি জানি আপনি বলবেন,’লাইব্রেরীর বই তো ব্যক্তিগত ভাবে রাখা যায় না।’ তাই কি? আমি যদি আমার পছন্দের বইটা ফটোকপি করে রাখি,কে আমাকে আটকাবে? চোর চুরি করে কি জনসেবা করার জন্য? মূর্চ্ছনা কি লাভজনক প্রজেক্ট?
***আপনি প্রকাশক,লেখকদের স্বার্থরক্ষা করতে চান,ভাল কথা। আপনি যদি অরিজিনাল প্রিন্ট টা দিতে পারেন(যেটা দিলে বইটার সাইজ অনেক কমে যাবে),তাহলে এইদিকে না গিয়ে তারা আপনার কাছ থেকেই কিনবে। আর আপনি যদি আরও অতিরিক্ত কিছু দিতে পারেন,ধরেন আপনার প্রকল্পে বই দেওয়া উপলক্ষে লেখকের দুপাতা সুমিষ্ঠ লেখা,তাহলে সেইটাও ভিন্ন মাত্রা পাবে।
**** আপনি এই অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে এরকম মানসিকতা পরিত্যাগ করুন। সিনেমা রিলিজ হওয়ার গ যেখানে গান রিলিজ হচ্ছে,তাও আবার ফ্রি পাওয়া যায়,সেখানে আপনার এহেন উপলব্ধি হাস্যকর।বাংলাদেশে যেখানে জাফর ইকবালের সমস্ত বই অনলানে থাকা সত্বেও কিন্তু উনি কোন প্রতিবাদ করেননি,কারন এতে নার বই এর বিক্রি ন্যুনতম না কমে বরং বেড়ে যাচ্ছে,তাহলে আপনি অতি অর্বাচীন এর ন্যায় সাইট বন্ধ করার কথা বললেন কিভাবে?
বিপ্লব পাল,আমরা ধর্মব্যবসায়ীকে ভয় পাই,এখন দেখছি নব্য বই ব্যবসায়ীর বির্ভাব ঘটছে। আপনি প্রবাসীদের কথা চিন্তা করলেন,কিন্তু দেশীদের কথা চিন্তা করলেন না। কি আফসুস!!! অর্থের চিন্তা একজন নৃতাত্ত্বিককেও তার অবস্থান ভুলিয়ে দেয়!!!!
@রুশদি,
[১] লাইব্রেরীর সাথে ডিজিটাল লাইব্রেরীর তুলনা হয় না। কারন এখানে ডিজিটাল লাইব্রেরীতে সব সময় বইটা আপনি নিজে পাচ্ছেন। লাইব্রেরীতে বইটা ফেরত দিতে হয়।
[২] আপনি স্ক্যান করে বই যেকোন সাইটে তুলতে পারেন। আমেরিকার আইন সেই স্বাধীনতা দেয়। আবার সেই বই এর যার কপিরাইট আছে সে যদি মনে করে, সেটা ঠিক না-তাহলে সেই সাইটকে বইটা নামাতে হবে। না নামালে জেল হয় আমেরিকাতে। অথবা বিশাল ফাইন। ভারতে আবার তোলাটাও অপরাধ। আরো কঠিন আইন সেখানে।
[৩] জাফর ইকবাল যদি মনে করেন তার বই এর পাইরেসিতে লাভ হচ্ছে-তাহলে মূর্ছনাতে জাফর ইকবাল থাকবে। কিন্ত হুমায়ুন আহমেদের ডিজিটাল কপিরাইট মুক্তধারার। তারা যদি মনে করে, সেটা ক্ষতিকর-তাহলে ত মূর্ছনা রাখতে পারে না। আমি এই ব্যাপারে সুনীল, শীর্ষেন্দু, সমরেশের সাথে বঙ্গ সম্মেলনে কথা বলেছি। সবাই তাদের পাইরেসি নিয়ে উদ্গিগ্ন। সুতরাং চোরের সপক্ষে এরকম মিথ্যা সাফাই গেয়ে লাভ নেই। কাজে দেবে না।
[৪] যারা বইকে মুক্ত করতে চান করুন না। আমি নিজের সব লেখা ফ্রি করে দেব। আরো অনেকেই দেবে। আমি সেগুলোও ত রাখব। জাফর ইকবাল যদি মুক্ত করে দেন , তা মুক্তই থাকবে। সেটাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্ত যাদের লেখা বেচে খেতে হয়, তাদের পকেট চুরি করা কি ঠিক?
[৫] দেখুন বই বেচে আমি সংসার চালায় না-আমি একজন পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার। নিজের পেশায় যা উপায় করি, তা আমার জন্যে যথেষ্ট। এই প্রজেক্টের ফলে বাংলা বই অনেক সুলভ হবে-সেটাই আমি দেখে যেতে চাই। যে উপায় হবে, খরচ বাদ দিয়ে সেটার লভ্যাংশ আমি বাংলা বই এর অনুবাদের জন্যে ব্যায় করব। বাংলা সাহিত্যের ভাল ইংরেজি অনুবাদ হওয়া দরকার।
বাংলার প্রতিটা প্রকাশনা সংস্থার নিজের ঘরে চুল্লি জ্বলছে না। কে দেবে অনুবাদের টাকা?
মুর্ছনার উদ্দেশ্য খারাপ এটাও আমি বলছি না। কিন্ত চুরি করে মহৎ সাজা ঠিক না। উনি কি সুনীল বা শীর্ষেন্দুর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তাদের বই স্ক্যান করে দিয়েছেন? আমিত উনাকে আমাদের সাথে কাজ করার জন্যে স্বাগতম জানিয়েছি যদি উনার উদ্দেশ্য মহৎ হয়।
@বিপ্লব পাল, ১ নং এর উত্তর আমার আগের কমেন্টসেই আছে। তাই আবা দিলাম না।
২নং এর ক্ষেত্রে বলবো,বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের কড়াকড়ি কোন সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না। কতিপয় প্রবাসী হয়ত আপনার ব্যবসাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে তুলবে,কিন্তু সিংহভাগ সে পথে যাবে না।
৩ নং এর ক্ষেত্রে বলতে হয়,আপনি কি বলতে চান ইন্টারনেটের কারণে ওনারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন? কিছুটা হচ্ছেন সেটা মানি,কিন্তু তার বিনিময়ে যে ব্যাপক পাঠককুল তাদের বিভিন্ন বইয়ের প্রতি আকর্ষন বোধ করতেছে,সেটাই পরে তাদের রয়্যালটি পাইয়ে দেবে।
৪ নং এ আপনাকে অভিনন্দন।আপনার বইগুলি ফ্রি দেওয়ার জন্য। তবে যারা ব্যাপক জনপ্রিয়,তাদের উচিত প্রিন্ট পাইরেসি নিয়ন্ত্রন করা। পশ্চিমবাংলার সব লেখকের বইই প্রায় বাংলাদেশে পাইরেসি হয়। এটা ঠিক করতে পারলে ওনাদের ব্যাংক ব্যালেন্স আরও বাড়বে।
৫ নং এ আপনার ব্যবসার শুভকামনা জানাই। কারন আপনি অনুবাদের ন্যঅয় একটি মহান কাজে হাত দিতে চাইছেন।
আপনার কাছে একান্ত অনুরোধ, যে যেখানে আছে থাক,আপনি এগিয়ে যান। কাউকে নিষিদ্ধ করার দরকার নেই।আমাদের ব্যাপকসংখ্যক নিরুপায় পাঠককে আপনি মুর্চ্ছনা থেকে বঞ্চিত করবেন না।
@রুশদি,
আপনি আরেকটু গভীরে ভাবুন। মুর্ছনা বই তুলুক-কিন্ত লেখকের অনুমতি না নিয়ে সেটা যদি তোলে সেটা চোর্য্য বৃত্তিই। আমি কি সুনীলের বইগুলির পিডিএফ সবাইকে ফ্রিতে সাইট থেকে বিতরন করে বলতে পারি, আমি তার জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছি ? সুনীলের ভাল হবে না খারাপ হবে, সেটার মালিক আমি নিজে হতে পারি কি?
আমি পারি না। এবং সেটা অনৈতিক একটা কাজ। আর যদি আমার কথায় বিশ্বাস না হয়, আমি ওই সাইটে যে সব লেখক আছে তাদের দিয়েই একটি বিবৃত্তি বার করছি। তাহলেই লোকে বুঝবে আপনার এই যুক্তি প্রলাপ ছারা কিছু না। জাপানিজ ওয়াইফ সিনেমাটা লোকে ইউটিউবে তুলে দিল-এর জন্যে আমাদের ডেটাবাজারের আসল অনলাইনে একটিও কেও জাপানিজ ওয়াইফ দেখে নি! আপনি বলবেন ইউটিউবে সিনেমাটির জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে পাইরেসি করে? এমন দূরাবস্থা কোন আমেরিকান বাঙালী সংস্থা
এর হল শো করতে চাইছে না-কারন সবাই সিনেমাটা দেখে নিয়েছে। আমি ত নিজেই দেখলাম পাইরেসি কিভাবে ক্ষতি করে। অপর্না সেনের সিনেমাটা চললো না -অথচ রিঙ্গোর যদি এক দিন অনলাইনে ভালোই চলছে-কারন পাইরেসি হয় নি।
সুতরাং পাইরেসি থামাতেই হবে।
@বিপ্লব পাল,
তবে আমি রুশদির সমস্যাটা বুঝতে পারছি। উনি বলছেন বাংলাদেশের সবারত ক্রেডিট কার্ড নেই-বা টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই-তারা বাংলা সাহিত্য এখন যেমন ফ্রি তে পাচ্ছেন ( তা সে যতই চুরি করে হোক না), সেটা পাবে না। এটার জন্যে সমাধান এই নয় যে মুর্ছনা চুরি চালিয়ে যাবে। আমি যেটা ভাবছি-সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্যে একটা অলটারনেটিভ সস্তার ডিজিটাল লাইব্রেরী করায় যায় যার মেম্বারশিপ অনেক কম থাকবে। এবং ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই লোকে মেম্বার হতে পারবে। আমরা যেহেতু আই পি ট্রাক করি-এটা সমস্যা না।
@রুশদি,
আপনার কথা গুলো অন্যভাবে বললেও পারতেন। বিপ্লব পাল তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন। আমরা আপনার কথাও শুনতে চাই। কিন্তু বিশেষন প্রয়োগটা অযথাই হলো বলে মনে হচ্ছে।
বাঙ্গালীর এই একটা স্বভাব , সব কিছু মাগনা চায়। যে লোকটা একটা বই কষ্ট করে লিখল সে যদি কিছু টাকা পয়সা না পায় তাহলে বউ বাল বাচ্চা নিয়ে বাচবে কিভাবে? বই লেখে বলে তো আর চালচুলোহীন হতচ্ছাড়া তো কেউ না লেখকটি। তবে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে বই কেন যে কোন কিছুই কেনা খুব কম মানুষের পক্ষেই সম্ভব কারন খুব বেশী মানুষের ফরেন কারেন্সির একাউন্ট নেই ব্যাংকে।
@ভবঘুরে,
এখন আমাদের কাজ প্রথমে আমেরিকাতে। তারপরে ভারতের জন্যে।
বাংলাদেশের জন্যে অন্য রকমের কর্মাসের কথা আমরা ভাবছি। যেখানে ক্রেডিট কার্ড লাগবে না।ফরেন কারেন্সির প্রশ্ন ও নেই।
@ভবঘুরে, এটা একটা প্রচার বলতে পারেন। এতে লেখকের বা প্রকাশকের ক্ষতি হয় না।কারন যার ভাল লাগে সে বইটার প্রিন্টেড কপি কিনে আনে।
কাগজের বই শুয়ে পড়ার যে মজা তা কি আর কম্পুটার মনিটর এ পাওয়া যাবে?
>>
সেই জন্যেই কিন্ডলের জন্ম এবং জন প্রিয়তা। এটি বই এর মতন শুয়ে বসে পড়তে পারবেন। লেপের তলায় উপন্যাস না পড়তে পারলে, কিছুই হইল না
@বিপ্লব পাল,
বলি, ওলো সই-
তোর এক সতীন কম্পিউটার
আর এক সতীন বই।
@বিপ্লব পাল,
কিন্ডলের কথা শুনেছি, ওদের সাইটেও দেখি কিন্তু কখনো সেভাবে জানতাম না ব্যাপারটা কি। দেখতে হবে দেখছি।
ভাল লাগল। যদিও আমি নিজে মোটেও ডিজিটাল বই এর ভক্ত না। কাগজের বই শুয়ে পড়ার যে মজা তা কি আর কম্পুটার মনিটর এ পাওয়া যাবে? শুধু প্রিন্ট করা যায় না দেখে বেশ কিছু বই পড়াই হয়নি।
তারপরেও বিদেশে বসে পছন্দমত যে কোন বই পড়া গেলে তাকে স্বাগত জানাতেই হয়।
জনাব টাকা ছাড়া বই পাবো কিভাবে বলবেন কি?
@রিমন,
যেসব লেখক তাদের বইকে ফ্রি করে দেবেন, তাদের বই পাবেন। সেরকম অনেক বই থাকবে বইবাজারে। বই সুলভ হোক সেটা আমরাও চাই।
খুবই ভাল কাজ করছো বিপ্লব তোমরা। তবে শুধু ফিকশন বইতেই সীমাবদ্ধ থেকো না। ভাল ভাল নন-ফিকশন বই-ও যেন থাকে।
@ফরিদ আহমেদ,
নিশ্চয়। মুক্তমনা প্রকাশিত বইগুলি শনিবার রাতের মধ্যেই আমাজনে চলে আসবে।
বই বাজার ওয়েবসাইটটা দেখলাম। সাইটটির নির্মাণ কি এখনো চলছে? আমি স্যাম্পল পাতা পড়ার জন্য লিঙ্কে ক্লিক করলাম দেখি হাবিজাবি কোড ওপেন হয়েছে। যা হোক, শুভ কামনা রইল ব্যবসার।
@স্বাধীন,
এখনো একমাস লাগবে।
আপাতত আমরা আমাজন সাইট থেকেই বিক্রি করছি-আমাজন সাইট অপারেশনাল
ভালো লাগলো। অনেক তথ্য জানলাম।
এখন বলুন, ফ্রি ফ্রি বাংলা ই-বই কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে। অভ্র যেমন ফ্রি, লিনাক্স যেমন ফ্রি, সেই রকম ফ্রি বই চাই। মুক্তমনা থেকে যেরকম ফ্রি পাওয়া যায়, তদ্রুপ।
আচ্ছা একটা কিনডলের দাম কত? কিভাবে সেটা পাওয়া যেতে পারে। একটু বিস্তারিত জানাবেন কি?
বলেন কি? ডেড ল্যাংগুয়েজ হয়ে যাবে নাকি? সালাম রফিক জব্বার, এদের রক্ত বৃথা যাবে!! যাদের প্রচেষ্টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হ’ল। তাদের প্রচেষ্টাও বৃথা!
@মাহফুজ,
যেসব লেখকরা তাদের বই ফ্রি করে দেবে তাদের লেখা ফ্রি তেই পাবেন। কিন্ত পেশাদার লেখকদের বই ফ্রি হবে না-যারা স্কান করে চুরি করে ফ্রি করেছে-সেই সাইটগুলো আমরা তুলে নিতে অনুরোধ করব। তাতে রাজি না হলে, সাইটগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য তাদের সার্ভার।
@মাহফুজ,
অসংখ্য বাংলা সাইট আছে যেখানে বিনে মাগনায় বহু বই পাওয়া যায়। কিছু বই রাইট প্রটেক্টেড থাকে, আপনি প্রিন্ট করতে পারবেন না, শুধুই পড়তে পারবেন, কিছু আবার যা খুশী করা যায়। তবে সাইট অসংখ্য হলেও বই এর সংখ্যা আসলে কম বেশী প্রায় একই। কারন সব সাইটই অন্য সাইট থেকে কপি করা। মূর্ছনার সংগ্রহই মনে হয় মূল।
@আদিল মাহমুদ,
এই ধরনের চৌর্য্য বৃত্তিতে কোন মহত্ত্ব নেই। যেসব লেখকরা তাদের বই ফ্রি করে দেবেন, নিশ্চয়-সেগুলো ফ্রিতেই লোকে বিতরন করুক। কিন্ত
হুমায়ুন আহমেদের বইকে স্কয়ান করে এই ভাবে তুলে দিলে ত বাংলা সাহিত্য শিল্পই আখেরে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্রের ওপর ও এখন কপিরাইট নেই। সেগুলো তুলে দিক। সেটা ত বেশ ভাল কাজ। কিন্ত
একটা উপন্যাসিক সারা বছর খেটে যেটা লিখল-সেটাকে এই ভাবে চুরি করা নিন্দানীয়।
@বিপ্লব পাল,
সেজন্যই মাহফুজকে আমি কোন লিঙ্ক দেইনি 🙂 ।
চৌর্যবৃত্তি সেটা বুঝি, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের প্রকাশনা শিল্প এমনিতেই রুগ্ন। তার উপর এভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হলে মহাবিপদ। সুখের কথা হল যে অনলাইনে বই পড়ে শুধু প্রবাসীরা আমি ধারনা করি। তাদের সংখ্যা মূল গ্রাহকদের তূলনায় বেশী নয়।
এখন ব্লগের যুগ হবার পর আরো সুবিধে হয়েছে। ওয়েবস সাইটও খুলতে হচ্ছে না। দিব্বী অনেকে বই এর ব্লগ বানিয়ে যাচ্ছেন।
আপনাদের ওদিকে জানি না, আমাদের এদিকে মানে বাংলাদেশে এত বিশাল জনসংখ্যা হলেও পাঠকের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার হিসেব করেছেন যে ছাত্রছাত্রীদের মাত্র ৬% পড়ার বই এর বাইরে অন্য বই পড়ে। চিন্তা করতে পারেন কি হতাশাজনক একটা চিত্র? গ্রাহক কম হলে প্রকাশকদের পক্ষে বই কিভাবে সূলভে দেওয়া সম্ভব হবে? ফলে প্রকাশনা শিল্পই হল ঝুকিপূর্ন।
@আদিল মাহমুদ,
জানি। সেগুলো নিয়ে সমস্যা কম-গুগলকে কপিরাইট নিয়ে একটা চিঠি দিলে তার এত দিনের সাধের ব্লগ ডিলিট করে দেবে। গুগলের এঅ ব্যাপারে ০ টলারেন্স। মুর্ছনার মতন যারা সাইট বানিয়ে চৌর্য্য বৃত্তি করছে, তাদের ধরতে তাদের সার্ভারকে নোটিশ দিতে হবে না হলে তাদের ডোমেন নেম যারা ইস্যু করেছে, তাদের কপিরাইট ভায়োলেশনের নোটিশ দিতে হবে। ফলে তারা ডোমেন এবং সার্ভার দুটোই হারাবেন। যদি মূর্ছনা সাইটের মালিক আমাদের প্রজেক্টে যোগ দিতে চান-তাহলে স্বাগতম। চৌর্য্যবৃত্তি ছেরে ভাল কিছু করার সুযোগ পাবেন।
আমাদের ছেলেরা বাংলা বই পড়া ছেরেই দিয়েছে। সেই জন্যেই ডিজিটাল বাংলা লাইব্রেরী দরকার যাতে ইন্টারনেটেই খুব তাড়াতারি সব সাহিত্য পড়তে পারে।