স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের পক্ষে এম আর আখতার মুকুলের অবদানের কথা ভুলে যাওয়া সহজ নয়।
স্বাধীন বাংলাদেশ বেতার মুক্তিযুদ্ধের প্রধান প্রচার মাধ্যম। দেশাত্মমূলক গান প্রচার ও মুক্তিযুদ্ধের খবর পরিবেশন করে স্বাধীনতায় বিরাট ভূমিকা রাখে। কিন্তু যে অনুষ্ঠানটির জন্য প্রতিটা দিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম তার নাম ছিল “চরম পত্র”। পাঠক এম আর মুকুল। পাকসেনা আর রাজাকারদের দিকে একরাশ ঘৃনা ছড়ানো বিকৃত কন্ঠে তিনি পড়তেন – “আইজ ভেড়ামারার কাছে আমাগো বিচ্চু পোলাপাইনরা এমুন মাইর দিচে, কমসে কম তেরজন পাকি সৈন্য প্যাঁকের মধ্যে পইড়্যা কাঁতরাইতাছে”। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তিনি বিচ্চু বলতেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে স্বাভাবিক কারণেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময়ের দরকার হয়। গোটা দেশে মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব তখন স্তিমিত। পাকিস্তানীরা সেই সময়টা স্বাভাবিক অবস্থা দাবী করে। ১৩ই জুলাই আমি ঢাকা, দাউদকান্দি, ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট ও কুমিল্লা হয়ে আগরতলার সোনামুড়া যাওয়ার পথে পাকিস্তানীদের দাবীর যৌক্তিকতা লক্ষ্য করি। জরুরী অবস্থা। আর্মী ট্রাকে পাক সেনারা ঘুরে বেড়ায়। স্থানে স্থানে চেকপোস্ট। স্বাধীনতা সংগ্রাম বুঝি বা স্তব্ধ। এরকম হতাশাব্যাঞ্জক সময়ে চরম পত্রই দেশবাসীকে চাঙ্গা করে রেখেছিল। বর্ষা আগত। সারাদেশ জলমগ্ন হবে। পাকীরা সাঁতার জানেনা। বিচ্চুরা শুধু ওদের স্পীড বোট ফুটো করে দেবে। তারপরই কেল্লা ফতে। শত শত পাকসেনা ডুবে মারা পড়বে। চরমপত্রের এরকম কল্প কাহিনী হতাশার মাঝে নিয়ে আসত সাহস আর আশার আলো। মনে হত যুদ্ধ জয়ের বুঝি আর দেরী নেই।
চরম পত্র স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের যেমনি শক্তি, সাহস, মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল, তেমনি বিপক্ষ শক্তিকে নিরোৎসাহ ও দূর্বল করে রাখত। চরম পত্র যুবকদেরকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রানিত করেছে। জয় সুনিশ্চিত জেনে অনেক বিপথগামী যুবক রাজাকারের দলে নাম লিখাতে বিরত থেকেছে।
এম আর মুকুল আমাদের মাঝে আর নেই। স্বাধীনতার দিনগুলোর কথা মনে হলেই তাঁর চরম পত্রের কথা মনে পড়ে। মনে হয় আমরা কি তাঁর যথাযোগ্য মূল্যায়ন করতে পেরেছি? তাঁর চরম পত্র গুলো কোথাও সংরক্ষিত আছে কিনা জানিনা। কেউ শেয়ার করলে ভাল হত। কিছু অডিও থাকলে ত সোনায় সোহাগা। নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতা যুদ্ধের আর একটি বিশেষ দিকের কথা জানতে পারত।
আমাকে কেউ এই চরমপত্রের অডিও ফাইলটা দিতে পারবেন।
বিভিন্ন লিংক খুজে সঠিকটা পাইনি।
আমার খুব উপকার হতো। আমি টাঙ্গাইল থেকে বলছি।
[email protected]
‘জল্লাদের দরবার’ অনুষ্ঠানে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের পাশবিক চরিত্রটি ছিল ‘কেল্লা ফতেহ খান’। এই ভূমিকায় অভিনয় করতেন রাজু আহমেদ।
@মাহফুজ, চরমপত্র শ্রবনে শরীরে বল আসত। মনে সাহস আসত। মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে অনুপ্রেরণা আসত। বিপরীতমূখী অনুষ্ঠান, “জল্লাদের দরবারের” কাজ ছিল মুক্তিকামী মানুষের সাহস, মনোবলে ভেংগে তচনস করে দেওয়া। প্রতিটি সংলাপ বেয়োনেটের খোঁচার মত লাগত।
সাজ্জাদ হোসেন নামে কেউ এই সিরিজে ছিল বলে মনে পড়ে।
@ নৃপেনদা,
আজ ৯ আগস্ট, এম আর আখতার মুকুলের ৮১তম জন্মদিন। শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাই এই সরলমনা, ভয়হীন, লোভহীন, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে।
স্বাধীন বাংলা বেতারের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল চরম পত্র। আরেকটি ছিল জল্লাদের দরবার। চরমপত্র সিরিজিটি পরিকল্পনা করেন আব্দুল মান্নান এবং ঢাকাইয়া উপভাষায় এর স্ক্রিপ্ট তৈরী করেন এম আর আখতার মুকুল। আর তিনি নিজেই এর উপস্থাপক ছিলেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানটি তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ এবং জাতীয়তা বোধের প্রকাশকারী সাড়া জাগানো অনুষ্ঠান। নৈতিক মনোবল শক্তিশালীকরণ স্বাধীনতা মুক্তিকামীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিশাল অবদান ছিল এই চরমপত্রের ।
@মাহফুজ,
ঠিক জন্মদিনে তোমার মন্তব্যটি দেখে ভাল লাগছে। মূল পোস্টিংটি আমি দিয়েছি কিন্তু তাঁর জন্মদিনের খবরটি রাখিনি। নিশ্চয় তোমার নোটবুকটি বিশাল আকৃতির।
তোমার সাথে আমাকেও শরিক করে নাও উনাকে শ্রদ্ধা জানাতে। ধন্যবাদ, মাহফুজ।
@নৃপেন দাদা,
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেই গেছেন-যে দেশে গুণীর কদর হয় না সে দেশে গুণীরা জন্মায় না।
আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কদর সম্মান করা আমাদের জন্য ফরজ। তানাহলে যে দেশের প্রতি মহব্বত জন্মায় না। নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ইতিহাস। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানের পরিবর্তে ভুলচুক নিয়ে মেতে উঠি। গুণগুলোকে ঢেকে ফেলি। এঁদেরকে সম্মান হয় ব্যক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয়, সকল পর্যায় থেকে। একক এবং সম্মিলিত ভাবে।
ঢাকায় তার নিজস্ব কোন বাড়ি ছিল না, ব্যাপারটা চিন্তা করলেই বুঝা যায় উনি সৎ জীবন যাপন করতেন, তিনি নির্লোভ ছিলেন। আমাদের দেশে এই রকম সৎ ও দেশপ্রেমিকের খুবই প্রয়োজন।
@মাহফুজ, কিছু তথ্য এসেছে যা জানতাম না। সত্যতাও অস্বীকার করতে পারিনা। বাংলাদেশে কত লোক অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। কিন্তু এম আর মুকুল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে মূল্যবান অবদান রেখে গেছেন আমি তাকেই শ্রদ্ধাভরে মনে রাখতে চাইব।
@নৃপেন দাদা,
অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করে ব্যক্তিগত অনুভুতি প্রকাশের উপযোগীতা কি? দোষত্রুটি নিয়েই তো মানুষ, নির্ভুল মানুষ কি একটি স্বপ্নে নাম নয়? যে লেখা পড়লে সন্তানদের মন ছোট হয়ে যায় সে লিখা নাই বা ছাপালাম?
আমি নিজে এখন এই উপলব্ধি পেয়েছি- “সব কথা লিখার নয়, সব লিখা ছাপার নয়, সব ছাপা পড়ার নয়, সব পড়া মনে রাখার নয়।”
@মাহফুজ,
কাউকে সম্মান করা আর দেব জ্ঞানে পূজা করা এক নয়। খোদ বংগবন্ধুরও সমালোচনা হয়, তাতে বাধা না দিয়ে উতসাহই দেওয়া উচিত। যৌক্তিক সমালোচনা সব সময়ই সুফল আনে। অনেক বংগবন্ধু ভক্তর মন ছোট হয়ে যাবে বলে সমালোচনার পথ কি রুদ্ধ করা যায়?
কারো ছিদ্র অন্বেষন নাই করতে চাইলে আর নবী রসূলদের পিছু লাগারই বা মানে কি বলেন? কবে তারা ধরাধম ত্যাগ করেছেন আর তাদের দোষ ত্রুটি নিয়ে এত কথা চালাচালি, মন কষাকষি?
যে কোন ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্বই সমালোচনার উর্ধ্বে নন।
@আদিল মাহমুদ ও মাহফূজ,
আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তাতে এম আর আখতারের অবদান আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না।
চলুন আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর অবদানের কথা মনে রেখে শ্রদ্ধা জানাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
তাতে কোনই সমস্যা নেই। তাঁর যে অবদান তা কোনমতেই খাট বা অস্বীকার করা যাবে না। শ্রদ্ধা তো জানাতেই হবে। মাহফুজ তার জন্মদিন মনে রেখেছেন, তাকেও এজন্য ধন্যবাদ।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার এই মন্তব্যের সাথে আমি একমত।
কিন্তু আমি দেখেছি- ব্যক্তি আক্রমণ করতে করতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যে শেষ পর্যন্ত শেষে শান্তির বদলে অশান্তি এসে বাসা বাধে। মনের শান্তি বিনষ্ট করে।
মনে করুন, এখানে আপনার গোপন বিষয়ে কেউ কিছু প্রকাশ করলো, সেটা আপনার জন্য সম্মানহানিকর। আপনার সন্তানেরা জানলো সেই বিষয়টি। আপনার সন্তানেরা আপনার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলল। প্রকাশকের সাথে শুরু হয়ে গেলো আপনার দ্বন্দ্ব। এভাবে পুরু পরিবেশটা কেমন হয়ে গেল ভাবুন তো!
আমাদের মুক্তমনার পাতাতেও এরূপ ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ তুচ্ছ ঘটনা থেকে তুলকালাম ঘটনা। অন্যেরা এসে সেই পরিবেশটাকে শান্ত করেছে। সব মানুষের টেম্পারমেন্ট তো আর এক নয়।
সেইজন্য আমি আমার ব্যক্তি উপলব্ধি চেতনার কথা বলেছিলাম
স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও সমালোচনা উর্ধে নয়।
আপনার ঐ কথার সাথেও পুরোপুরি একমত। তাদের ভুল-ত্রুটি থেকেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষা নিবে। যেটা ভালো সেটা গ্রহণ করবে আর যেটা মন্দ সেটা ত্যাগ করবে। অর্থাৎ গুণগুলোর চর্চা আর দোষগুলো ত্যাগ।
দেশের রাজনৈতিক নেতাগুলো পরষ্পর পরষ্পরের কাদা ছোড়াছুড়ি করে। এতে কী দেশের কোনো মঙ্গল হয়েছে?
@মাহফুজ,
যৌক্তিক সমালোচনা বা সত্য হজম করার ক্ষমতা অন্তত মুক্তমনা সদস্যেদের থাকা উচিত, তা যথেষ্ট আছে বলেই আমি এখনো মনে করি।
কাদা ছোঁড়াছুড়ি আর যৌক্তিক সমালোচনা বা ঐতিহাসিক সত্য জানা এক নয়। এর তফাত করতে না পারাটা অপরিপক্কতার লক্ষন। তেমন কিছু অন্তত এই প্রসংগে হয়েছে বলে মনে হয় না।
তার জন্মদিন উপলক্ষে এই পোষ্ট দেওয়া হলে আমি নির্ঘাত তাতে বেরসিকের মত এই তথ্য দিতাম না, সেটা অন্তত নিশ্চিত থাকতে পারেন।
@আদিল মাহমুদ,
একদম খাঁটি কথা বলেছেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই পর্যায়ে এখনও যেতে পারিনি। আমি এগিয়ে চলছি মাত্র, বলা যায় শিক্ষানবিস। সেই ক্ষমতা অর্জনের জন্যই তো মুক্তমনায় ঢুকি।
এই প্যারার প্রথম বাক্যের সাথে একমত হয়েই বলছি- আমরা (বিশেষ করে আমি) অধিকাংশ সময়ই তা থেকে দূরে সরে যাই। আর তখনই বুঝা যায় এই অপরিপক্কতা।
এখানে হয়তো সেই পর্যায়ে যাই নি।
নায়েব ভাইয়ের বিষয় নিয়ে কুলদা রায় এবং ফরিদ ভাইয়ের বাদানুবাদ হয়েছিল। আর সেটা তথ্যগত বিষয় নিয়েই। এতে কুলদা রায় সাময়িক সময়ের জন্য ওয়াক আউট করেন।
আপনার বিষয়ে হয়তো অতদূর গড়াই নি। আপনি হয়তো এম আকতার সম্পর্কে ঠিক তথ্য তুলে ধরছেন বলে ধারণা বা বিশ্বাস করছেন। কিন্তু অন্যরা আপনার সেই তথ্যকে সঠিক বলে গ্রহণ নাও করতে পারে।
তবে আপনার এইসব মন্তব্য থেকেও আমি শিখছি। আমার উপলব্ধিরও পরিবর্তন ঘটছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য।
এ ব্যাপারে কাদের সিদ্দিকীর তুলনা নাই। একাত্তরের পরে উনি সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে দুজন রাজাকারকে নৃশংসভাবে হত্যা করছিলেন। এই ছবিটা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন করেছিল। গোলাম আযমরা ছবিটা বাংলাশ বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহার করেছিল। সিদ্দিকী ঐ সময় বিহারীদের বাড়ি দখল করেছিলেন। এখন কাদের সিদ্দিকী গোয়া আযম-নিজামীদের পক্ষে কথা বলছেন।
@কুলদা রায়,
আসলেই তাই। সেনাবাহিনীর বাইরের একমাত্র বীর উত্তম বংগবীর কাদের সিদ্দিকী আজ সরকারী সম্পত্তি জবরদখলকারি, কাজ না করেই টেন্ডারের টাকা তুলে নেন, এমনকি বাড়ির টেলিফোন বিল পর্যন্ত বহু হাজার টাকার বাকি রাখেন।
এই দেশ আসলেই বড় দূর্ভাগা।
এম আর আক্তার মুকুল তার এই চরমপত্রের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে কেবল একাত্তরেই বেতন বাড়ানোর দাবীতে বায়নাক্কা করে ক্ষান্ত হন নি। পরবর্তীকালে আমরণ হালুয়া রুটি কামানোর ধান্ধায় তিনি ব্যস্ত থেকেছেন। তার অসাধারণ ধান্ধাবাজির কর্মটি আমি বিজয় দেখেছি নামের বইটি। অসাধারণ মিথ্যে কথা তিনি লিখেছেন। আর স্বাধীনতার দলিল ষোড়শ খণ্ডের নামে যে আলোকচিত্রের বইটি বাংলাদশ সরকারের তরফ থেকে বের করেছিলেন–সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নয়–এরশাদকে বিশাল–বিশালতর মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে তার ছবি ছাপিয়ে গুণ কীর্ত্তণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে ব্লাক আউট করে দিয়েছেন। তিনি এরশাদের পয়সার গুণে এসব করেছেন।
এই বইটিতে যেসব ছবি তিনি যুক্ত করেছেন তার জন্য তিনি ফটোগ্রাফারদের পূর্বানুমতি গ্রহণ করেন নি।তাদেরকে কোন স্বীকৃতিও দেন নি। তাদের নামে সরকারের কাছ থেকে পয়সা কড়ি তুলে নিজে পুরোটাই মেরে খেয়েছেন।
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী তার এইসব কর্মকাণ্ড নিয়ে সেই এরশাদের আমলে একটা লিখেছিলেন–মুকুল রে তুই ফুটলি না রে। ফটোগ্রাফাররা তার বিরুদ্ধে কেস করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন–নাইব চাচা আমাকে বলেছিলেন।
তার চরমপত্রের অবদানকে শ্রদ্ধা করছি। কিন্তু তার চরম সুবিধাবাদকে শ্রদ্ধা করার কোনো কারণ নেই।
আপনারা যুক্তিবাদি বলেই এই তথ্যটুকু দিলাম।
@কুলদা রায়,
এসব তথ্য জানতাম না, অনেক ধন্যবাদ। আমি বিজয় দেখছি তে কাদের সিদ্দিকী আর নিয়াজীর মুখোমুখি হবার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটু অতিরঞ্জন করেছেন যা পরে কাদের সিদ্দিকী অস্বীকার করেন, এইটুকু শুনেছি। খুব একটা গুরুত্বপূর্ন মনে হয়নি।
৭১ সালে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বেতন ষ্ট্রাকচারে সর্বোচ্চ বেতন পেতেন তাজুদ্দিন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ৫০০ টাকা করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে মুকুল সাহেব কিভাবে যেন সরকারের আর বাকি সবাইকেও টেক্কা দিয়ে ৩য় ব্যাক্তি হিসেবে এই তালিকায় ওঠেন। তিনি যে বেতন বাড়ানোর জন্য ৭ দিন অনুষ্ঠান বন্ধ রেখেছিলেন তা নয়, দামাদামি করেছিলেন এক্কেবারে মাছের বাজারের মত। ২৫ টাকা করে দফায় দফায় বাড়তে বাড়তে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় উঠেছিলেন। নিজের দাবী থেকে একটুও ছাড় দেননি (এই টাকা ৫০০ টাকা মাসিকের অতিরিক্ত)। তথ্য সচিব তার দাবী পুড়নে তাকে কোন ছাড় দিতে রাজী করাতে পারেননি। ফলে তথ্য মন্ত্রী আবদুল মান্নান বিশেষ বিবেচনায় চরমপত্র কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না এই সিদ্ধান্তে তার দাবীর কাছে নতি স্বীকার করেন।
@আদিল মাহমুদ,
কড়ায় গন্ডায় এত তথ্য বুকে চেপে রেখেছেন কী ভাবে। আমার তো তারস্বরে চেঁচিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে সত্য কথা গুলো।
@আদিল মাহমুদ,
পুনশ্চ: কিন্তু ইউকি বলছে:
* সংযোজন:
[লিংক]
কেমনে কী? 😕
@বিপ্লব রহমান,
হতে পারে।
আমার বলা ১৫০ টাকা বা ১৭৫ টাকা মাসিক বা প্রতি অনুষ্ঠান তা বলিনি, কারন মুশতারি শফি সেটা উল্লেখ করেননি। আমার অনুমান ১৫০ বা ২৫০ টাকা মাসিক। কারন সে সময় ১০০ টাকার মুল্য অনেক, প্রতি অনুষ্ঠানের জন্য ১৫০ টাকা অকল্পনীয় রকমের উচ্চ।
পার অনুষ্ঠান ৭/৮ টাকা হলে মাসিক ১৫০/২০০ টাকার হিসেব মেলে, কারন প্রতিদিনই নিশ্চয়ই চরমপত্র হত না।
আপনি বা আর কেউ চাইলে ঐ ৩ টি পাতা স্ক্যান করে পাঠাতে পারি।
@আদিল মাহমুদ,
ওহ…এই তাহলে ঘটনা! 😛
@বিপ্লব রহমান,
তাই মনে হয়।
সরকারের সর্বোচ্চ বেতন পেতেন তাজউদ্দিন আর সৈয়দ নজরুল, মাসিক ৫০০ টাকা। মুকুল সাহেব কি ভাবে যেন এই ৫০০ টাকা লিষ্টে তৃতীয় হিসেবে ঢুকে যেতে সফল হন। উনি মনে হয় নিজের হিসেব বেশ ভাল বুঝতেন ও আদাড় করতেও ভাল জানতেন।
সাগর পাবলিশার্স এর মালিক তো উনিই।
@কুলদা রায়,
কষ্টবোধ নিয়েই সহমত ব্যক্ত করছি।
এই পোস্টার সুফল হল অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আসলেই তাই। এই পোষ্টের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে অনেক অজানা তথ্যই এসেছে।
জাতিগতভাবেই আমরা তিক্ত সত্য গ্রহনে তেমন উদারতার পরিচয় দিতে পারি না যার মাশুল আমাদের প্রতি নিয়ত দিতে হয়। একটি উদাহরন হল রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দুবৃত্তায়নের পথ অনেক সহজ হয়েছে।
নুরুজ্জামান মানিক ভাই ও এসব কালো দিকগুলির অনেক ঘটনাই জানেন। ওনার এক পোষ্টেই একবার মুজিব নগর সরকার কতৃক জারিকৃত জিয়ার এরেষ্ট ওয়ারেন্ট দেখেছিলাম।
@আদিল মাহমুদ, চরমপত্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদানকে আমি কিন্তু খাটো করছি না। বলেছি–এই ধরনের অসাধারণ কাজের নির্মাতার মধ্যে যে মহত্ব থাকা দরকার ছিল–তাদের কেউ কেউ সেটা রাখতে পারেন নাই। এখান থেকে অনেক স্বাধীনতার পক্ষের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গের দায়িত্বহীনতাকে বোঝা যায়–বোঝা যায় কেন এত রক্তস্রোতে অর্জিত দেশটিতে পরাজিত শক্তির উত্থান ঘটেছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এই অজানা তথ্যগুলোর সবই কতটা নির্ভরযোগ্য সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। কথায় বলে উড়ো কথার জুড়ি নাই, উড়ো কথা শুনতে এবং জানতে খুবই উপভোগ্য। উড়ো কথা বই আকারে বের হলেই যে তার অথেন্টিসিটি থাকবে এমন কোন কথা নেই।
কোন একজন লোক কখনই পারফেক্ট হয়না বা তা আশা করাও ঠিক নয়। ঘটনা শোনার আগে ঘটনার কন্টেক্সট জানা জরুরী কোন কিছু্র কনক্লুশনে যাওয়ার আগে। যতক্ষন একজন লোকের কার্য্যকলাপ আমাদের চারিপাশের অবস্থানকে বিপন্ন বা বিপদ্গ্রস্থ করে না তুলছে ততক্ষন অনেক কিছুই বিবেচনাধীন থাকে।
স্বাধীনতার যুদ্ধে এম আর আখতার মুকুলের এমন চমৎকার অবদানটি শুধুমাত্র তাঁর বেতন বাড়াবার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে খাঁটো করে দেখার কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না।
@ব্রাইট স্মাইল্,
অন্তত মুকুল সাহেবের কান্ডকীর্তন সত্য।
মুশতারি শফির বই বের হয় ৯৫ সালে। তারপরেও মুকুল বহুদিন বেঁচে ছিলেন। কোনদিন প্রতিবাদ করেননি।
এরশাদ আমলের কাহিনী তো কুলদা বলেছেন। যা সহজেই ভেরিফাই করা যায়।
যদিও এসবের পরেও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান কমে যায় না।
@আদিল মাহমুদ,
সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের কথাটা এখানে মুখ্য নয়, উড়ো কথাও অনেক সময় সত্যি হয়।
আমি বলতে চেয়েছিলাম কিছু সাধারন ঘটনা যেগুলো কম বেশী অনেকের জীবনে ঘটতে পারে বা অনেকে ঘটনার শীকারও হতে পারেন, সেগুলোর উপর ভীত্তি করে এইভাবে স্বাধীনতার যুদ্ধে অবদানকারিদের (যেটা আমরা কেউ অস্বীকার করছিনা) টানা হেচড়া করে কি কিছু লাভ আছে? তাঁদের চরিত্রের ভাল খারাপ মিলিয়ে তখনকার সময়ে নিত্য দিনের কাজ কারবারের কোন প্রভাব কি আমাদের উপর পড়বে?
ভাবছিলাম এ প্রসংগে বলব না; যুক্তিবাদী হিসেবে গোপন করারও মানে দেখি না।
এই শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্বকে নিয়েও কিছুদিন আগে একটা মন খারাপ করা খবর পড়লাম। উনি ৭১ সালে কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কর্মরত অবস্থায় বেতন বাড়ানোর দাবীতে বেশ কদিন তার চরমপত্র পাঠ বন্ধ রাখেন। তাকে এমনিতেই চরমপত্রের জনপ্রিয়তার জন্য অন্য সকলের চেয়ে বেশী বেতন দেওয়া হত। কিন্তু উনি এক পর্যায়ে তাতেও বেঁকে বসেন। অবশেষে খুব সম্ভবত তথ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে ওনার দাবী মেনে নেবার পরই আবার অনুষ্ঠান শুরু করেন।
মুশতারী শফির স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন বইতে পুরো ঘটনা আছে। সেখানে আরো কিছু রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবি সম্পর্কে কিছু তিক্ত কথাবার্তা আছে যার কারনে তিনি পরে অনেকের শত্রু হন।
@আদিল মাহমুদ,
মুশতারী শফির বইটা অনেকদিন ধরেই পড়ার ইচ্ছা। বাংলাদেশে গেলে বই কেনার সময় আর এইটা মনে থাকে না। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিয়াও অনেক কিছু লিখসে শুনেছি। উনাকে সম্ভবতঃ দায়িত্ব থেকে একরকম অব্যহতিই দেয়া হয় শুনেছিলাম। আপনার বইটা পড়ে কেমন লেগেছে? তথ্যগত বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও বলুন কিছু।
@অভিজিৎ,
কিছুদিন আগে দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছু ভাল ভাল বই আনিয়েছি।
তথ্যে অবিশ্বাসের কিছু পাইনি। খামোখা কেন উনি একজনের নামে বানিয়ে বলতে যাবেন? অসাধারন একটা বই। স্বামী ভাইকে পাকরা ধরে নেবার পর যে কিভাবে পালিয়ে উনি কলকাতা পৌছালেন সে কাহিনী সিনেমাকেও হার মানায়। তারপর কলকাতার প্রবাসী জীবনের বিরল অভিজ্ঞতা। মুক্তিযুদ্ধে আক্ষরিক অর্থেই সব হারান তিনি।
উনি রাজনীতিফিতি করেন না আর প্রচার বিমুখ বলেই এসব কথাবার্তা তেমন বলেন না। তাতেও কি তাকে ছাড়া হয়েছে? ঘাদানি কমিটি নিয়ে অনেক তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতারা তার নামে যা তা কথা রটিয়ে তাকে মোটামুটি একঘরে করে ছেড়েছেন। এসব নেতারা ঘাতক দালালদের বিচার চেয়ে বেড়ান শুনলেও সন্দেহ লাগে। উনি নাকি ঘাদানির নাম করে চাঁদা তুলে মেরে খেয়েছেন এমন কথাবার্তাও বলতে এদের বাধেনি। এদের নিয়েও তিনি একটি বই লিখেছেন। সে বইটা হাতে নেই। তবে এ বিষয়ে তার সাক্ষাতকার সাপ্তাহিক ২০০০ এ ছাপা হয়েছিল সেটা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
খুবই মন খারাপ করার মত খবর। আমি খুবই মর্মাহত এই খবরে। এই যে হাজার হাজার লোক স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করল তারা কি বেতনের বিনিময়ে করেছে? তাঁর অবদানে তো জীবনের কোন রকম ঝুকি ছিল না।
আমি এটা কী পোস্টিং দিলাম?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
পোস্টিং চমৎকার দিয়েছেন, আপনার সব পোস্টিং-এর মতই।
আমরা সবাই খুব জটিল, পরস্পরবিরোধিতায় বোঝাই। জানা গেল, এম আর আখতার মুকুলের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। সমস্যা দেখিনা।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার পোষ্ট দেওয়ায় কোন সমস্যা হয়নি। উনি বেতন নিয়ে যাই করুন না কেন তাতে ওনার মূল অবদান মোটেও খাটো হয়ে যায়নি। উনি যে একাই অমন করেছিলেন তাও নয়। আরো অনেকেরই অনেক পিলে চমকানো খবর আছে। সেই তূলনায় তো এটা কিছুইনা। একজন সেক্টর কমান্ডার হোটেলে মৌজ মাস্তি করেছেন বলে কেলেংকারী আছে। মুকুল সাহেব তো নাহয় নিজের বেতন বাড়ানোর দাবী মাত্রই করেছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে যোগদানকারী কুটনীতিক,অনেক সরকারই অফিসারও বেতন ভাতা নিয়ে মাছের বাজারের মতই তীব্র দামাদামির পরেই ডিফেক্ট করেছিলেন। কারো নাম বলতে চাই না। তাজউদ্দিন সাহেবের মত লোক সরকার প্রধান না থাকলে মনে হয় না সব ম্যানেজ করা যেত বলে।
আমি আসলে অনেক দোনমনায় ছিলাম এটা জানাব কিনা, কারন জানি অনেকেরই মন খারাপ হবে। কিন্তু সত্য জানা দরকার বলেই মনে করি। আমরা মুক্তমনা যুক্তিবাদী এইসব বলে নিজেদের দাবী করলে সত্যকে সত্য হিসেবেই গ্রহন করা উচিত। এই ঘটনার বিস্তারিত বইটির ২৫৬-২৫৮ পাতায় আছে। বিস্তারিত বলতে চাই না।
@আদিল মাহমুদ,
স্বাধীনতার জন্য লড়াই একটি পবিত্র ধর্ম। পবিত্র কাজটি পবিত্রতার সাথে শুধু সাধারণ জনগনই করেছেন। উপরওয়ালারা এই দুঃসন্দেহে টু-পাইস কামাতে কেউ কম করেন নি। কলকাতাস্থিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হোসেন আলি সর্বপ্রথম ডিফেক্ট করে স্বাধীনতা যুদ্ধকে শক্তিশালী করেন। মার্চ মাসে তাঁর স্ত্রীর কান্না এখনও শুনতে পাই। সেখানেও টু-পাইসের সন্দেহ করছি এখন।
আরো কিছু যা শুনেছি সবই সত্য মনে হয়। স্বাধীনতার শেষ দিন গুলোতে আমি কলকাতা ছিলাম। এক কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন পাশেই। তাঁজা খবর পেতাম তাঁর কাছে থেকেই।
১) নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ গুলোতে মওলানা ভাষানী স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে ক্ষতিকর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। ভারত সরকার তাঁকে হোটেল বন্দী করে রাখেন। স্বাধীন দেশে পা রেখে তিনিই প্রথম ভারত বিরোধী বক্তব্য শুরু করেন। তাঁর হোটেল বন্দিদশাই সম্ভবত একটি কারণ।
২) আওয়ামী লীগের অনেক নেতা হোটেলে থাকতেন, গিলতেন আর এদিক সেদিক চলাফেরা করতেন। তেনারা বোর হয়ে দেশে ফেরার চিন্তা করছিলেন। ভারতীয় intelligenceকে তেনাদের উপরেও নজর রাখতে হয়। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের সাথে এটি ছিল ভারতের অতিরিক্ত বোঝা। ফলে ভারত সরকার সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার জন্য তড়িঘড়ি শুরু করে দেয়।
৩) শেখ সাহেব এয়ারপোর্টে নেমে যে প্রথম বাক্যটি বলেন, তা এরকম – তোরা দ্যাশটারে ভ্যাইংগ্যা ফ্যালাইলি?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এসবই সত্য। হোসেন আলী সাহেব সম্পর্কে শুনেছি, নাম বলতে চাইনি। এসব নিয়ে কথা বলে বিরাগভাজন হতেও কেউ চান না বলে আমাদের ইতিহাসের এই কালো দিকগুলি চাপাই থেকে যায়।
আগরতলায় কিছু আওয়ামী নেতার নেশায় চুর হয়ে থাকার দৃশ্য মুশতারি শফি নিজের চোখেই দেখেছেন। মানুষ বড়ই বিচিত্র চরিত্রের; আর নয়তবা আমরাই মানুষকে মানুষ হিসেবে না দেখে মহাপুরুষ হিসেবেই দেখতে পছন্দ করি। নইলে এসব খবরে আজ আর এত মন খারাপ করি কেন? বাস্তব জীবনের হিরোরা গল্প উপন্যাসের মহাপুরুষ হবেন এমন কোন কথা নেই।
ভাসানী সাহেব প্রথম পৃথক হবার কথা বললেও ওনারও অনেক কর্মকান্ড/কথাবার্তা রহস্যময়। মনে হয় চীনের বিরাগভাজন হতে চাননি।
আওয়ামী লীগের সাথে ন্যাপ ও অন্য বামদলের বিরোধ ছিল। আবার আওয়ামী লীগের নিজেদের মাঝেই বিরোধ ছিল। মুজিব বাহিনী গঠনের খবর প্রথমে তাজউদ্দিনও জানতেন না।
তাজউদ্দিনের নেতৃত্বও দলের মধ্যে সবসময়ই বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল। এ ছাড়া জিয়াসহ কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার ওসমানীর অধিনায়কত্ব সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আরেক গ্রুপ আবার তাদের বিরোধীতা করেছিলেন। মুজিব নগর সরকারের জন্য দিনগুলি মোটেও ভাল যায়নি। একে ঢাল তলোয়ারহীন অবস্থায় এক দানবীয় শক্তির মোকাবেলা, আবার নিজেদের মধ্যের এইসব দ্বন্দ্ব।
@আদিল মাহমুদ,
কিন্তু ইউকিপিডিয়া বলছে:
কোন তথ্যটি সত্য বলে মানবো? আদিল ভাই, অনুগ্রহ করে আপনার তথ্যসূত্রটি জানাবেন কী? 😕
@বিপ্লব রহমান,
চরমপত্র প্রতিদিন নুতন নুতন এপিসোড প্রচারিত হয়েছে বিশ্বাস করা শক্ত।
খোঁজ নিয়ে জানাবো।
আর মুকুলের ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত মুশতারি শফির ৩ টি পৃষ্ঠা স্ক্যান করে দিতে পারি।
@আদিল মাহমুদ,
ওহ…এই তাহলে ঘটনা! 🙁
পুনশ্চ: আদিল ভাই, আপনার অনুমানই সঠিক। ওপরে আমার দেওয়া ’চরমপত্র’র পাণ্ডুলিপির ইমেজ চিত্রর প্রথম বাক্যটিই বলে দিচ্ছে, এটি প্রতিদিন প্রচার করা হয়নি।
@বিপ্লব রহমান,
চরমপত্র প্রতিদিন প্রচার হলেও হতে পারে। হয়ত পূনঃপ্রচার।
তবে প্রতিদিন নুতন নুতন এপিসোড হজম করা খুব শক্ত।
@আদিল মাহমুদ,
এমন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। :yes:
অনেকদিন পরে এম আখতার মুকুলকে মনে পড়ে গেলো। উনার কন্ঠস্বর সমৃদ্ধ অডিওর কালেকশন থাকলে আসলেই ভাল হয়। মুক্তমনাতেও রাখা যেতে পারে। উনার শুধু কন্ঠস্বরই নয়, লেখনী শক্তিও দারুণ ছিলো। আমি বিজয় দেখেছি, লন্ডনে ছক্কু মিয়া … এই বইগুলো একসময় গোগ্রাসে গিলেছি, সেই জন্য মাসুদ রানাটা একটু কম পড়া হয়ে গেছিলো 😀
@অভি দা,
অনেক দিন ধরে মাসুদ রানা লিখতেছি। কালকেই মুক্তমনায় পোস্ট দিব!!!
শাফায়েতের জ্বালায় গোয়েন্দাকাহিনীনির্ভর বিবর্তন-সাহিত্য নামক শাখার উদ্ভাবক হিসেবে ইতিহাসে আমার নাম লেখা হইবে একদিন!
@পথিক,
আর মাসুদ রানা। পাটের জিনোমটা তো শ্যাস করলা না। তোমারে মেইল দিসিলাম এই ব্যাপারে।
আসলেই তাঁর অবদান অপরিসীম।
আমার কাছে শামসুল হুদা চৌধূরীর “৭১ এর রনাংগনে” বইতে চরমপত্রের কিছু স্ক্রিপ্ট এর টেক্সট আছে, সে বইতে স্বাধীন বাংলা বেতারের আরো অনেক অনুষ্ঠানেরই টেক্সট আছে।
৭১ এর উপর একটা সিডিতে ওনার চরমত্রের অন্তত একটি অডিও ও আছে। সিডিটা একটু খুজতে হবে, এ মাসে বাড়ি বদল করার পর এখনো বেড়াছেড়া অবস্থা কাটেনি।
@আদিল মাহমুদ,
এটা দেখতে পারেন-
@আকাশ মালিক,
বড় ভাল লাগল। তাঁর নিজের গলাটা যদি শুনতে পারতাম!
@আদিল মাহমুদ,
আশা করি সময় করে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দেখি আজ খুজব। পেলেই দেব।
অডিও কথাগুলি ছিল অনেকটাঃ
“বকশী বাজারের ছক্কু মিয়া ফাল পাইড়া উইট্টা কয়…
…
কাউলারে দিয়া লেখায়া নিমু…
মছুয়া নামক এক প্রকার প্রানীগো আনাগোনায় জীবন…”
@আদিল মাহমুদ,
আপনার ভাল মনে আছে দেখছি …
@নৃপেন্দ্র সরকার,
‘চরমপত্র’ কথিকার মূল পাণ্ডুলিপির অংশ বিশেষ দেখতে পারেন।
[img]http://media.somewhereinblog.net/images/omipialblog_1197331802_1-Untitled-3.jpg[/img]
চরমপত্র’র একটি অডিও ক্লিপ শোনা যাবে এখানে। [লিংক] :yes:
@বিপ্লব রহমান, আজ তাঁর জন্মদিন। মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানাই এই অসাধারণ স্বাধীনতা সৈনিকের প্রতি।
বিপ্লব, অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটি দেওয়ার জন্য। আহারে, কতদিন পরে তাঁর কন্ঠ শুনলাম। এই একটি মাত্র অনুষ্ঠান যা গোটা দেশকে চাঙ্গা করে রেখেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরো সময়টা।
Audioর গোটা ফাইলটা আসেনি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
চরম পত্রের কিছু টেক্সট, সাথে রাজু আহমেদের “জল্লাদের দরবারে” অনুষ্ঠান, ও আরো বেশ কিছু অনুষ্ঠানের টেক্সট শামসুল হুদা চৌধূরীর “একাত্তরের রনাংগন” বইতে পাবেন। আপনি বেশী আগ্রহী হলে আমি স্ক্যান করে দিতে পারি।
@আদিল মাহমুদ, এগুলো অমূল্য দলিল। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলিতে তীর্থে কাকের মত অপেক্ষা করতাম চরমপত্রের জন্য। আপনাকে কী ভাবে বলি কষ্ট কতে স্ক্যান করতে।
@আদিল মাহমুদ,
সংকোচের কিছুই নেই, স্ক্যান করতে সর্ব সাকুল্যে মিনিট বিশেক হয়ত লাগবে। আপনার ই-বার্তা বক্সে আমার ই-মেল দিচ্ছি, আমাকে আপনার ই-মেল দেবেন।
পাঠিয়ে দেব।