ধর্মীয় অপসংস্কৃতি, আফসান আজাদ আর যুদ্ধাপরাধ
বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাডোলে কিছু আপাত গুরুত্বহীন কিন্তু উদ্বেগজনক খবর-প্রতিবেদন হয়তো আমাদের অনেকেরই চোখ এড়িয়ে গেছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অপ্রত্যাশিত বিদায়ের (অকারণ) শোকে মুহ্যমান দেশবাসীর মনে হয় আর কোন দিকে মনযোগ দেয়ার ফুরসত ছিল না। খবর দুটি দেশের দৈনিক পত্রিকায় (আমি অন্তত একটা পত্রিকা ‘কালের কণ্ঠে’ দেখেছি) গুরুত্বের সাথে না হলেও প্রচারিত হয়েছে।
দুটো খবরই অপরাধ সংক্রান্ত। দুটোর সাথেই ধর্মোন্মাদনা জড়িত। দুটোর মূলেই রয়েছে অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় ধ্যানধারণা যার জন্ম দেয়। একটা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে, সাম্প্রতিক। অন্যটা একটা দেশের জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে, চল্লিশ বছর আগে সংঘটিত অপরাধ।
প্রথমে ব্যক্তিকে দিয়েই শুরু করি। ব্যক্তিটির নাম আফসান আজাদ। মাত্র বাইশ বছর বয়স্কা একজন ফুটফুটে তরুনী, হ্যারি পটারের ছবিগুলোতে পদ্মা পাতিলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের অধিবাসী এক বাংলাদেশি-বৃটিশ পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা আব্দুল আজাদ আর ভাই আশরাফ তাঁকে মারধোর করে আর খুন করার হুমকি দেয়। এক হিন্দু যুবকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার দায়ে আফসানের এই হতভাগ্য পরিণতি। আফসান বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছে, আর তাই এখনো বন্ধুদের আশ্রয়ে প্রাণে বেঁচে আছে। আফসানের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা-মা দুজনেরই জন্ম বৃটেনে। বৃটেনে জন্ম হলে’ও ধর্মীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব থেকে মুক্ত নয় আফসানের পরিবার।
সমষ্টিগত ভাবে বাংলাদেশের সরকার আর জনগণও মুক্ত নয় ধর্মীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব থেকে । দ্বিতীয়টি সেই সমষ্টির ওপরে প্রভাব নিয়ে।
একাত্তরে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা করে তখনকার পাকিস্তানি সরকার। ইসলামী ভাবধারায় উদ্ধুদ্ধ দলগুলো, যাদের মধ্যে জামাতে ইসলামী ছিল প্রধান, পাকিস্তানি সরকারের শুধু দোসরই ছিল না, তারা হত্যা-ধর্ষন-অগ্নিসংযোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। দেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি নিধনের কাজে তাদের ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ। প্রকাশ্যে হত্যার উস্কানি দেয়া ছাড়াও তাদের ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা আল-বদর, আল-শামস, ইসলামী ছাত্র সংঘ ইত্যাদির মাধ্যমে সারাদেশে কিলিং স্কোয়াড গড়ে তোলে।
স্বাধীনতার পরে কিছুটা শেখ মুজিব সরকারের সদিচ্ছার অভাবে, কিছুটা ভারত সরকারের পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থে, পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সদস্যদের যুদ্ধাপরাধের আর গণহত্যার অপরাধের শাস্তি হয় নি। দেশের অভ্যন্তরের খুনী, ধর্ষকদেরও বিচারের আওতায় আনা হয় নি।
বললাম, শেখ মুজিব সরকারের সদিচ্ছার অভাব ছিল, কেন? কারণ অনেক। তবে প্রধান এবং অন্তর্নিহিত কারণ, ধর্মের প্রতি দূর্বলতা। সেই ধর্মীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব। মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আর একই নিশ্বাসে “ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়” বলা থেকেই বোঝা গিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি একটা বোঝাস্বরূপ।
দূর্বলতার রাজনৈতিক কারণও ছিল। ধর্মের কারণেই ভারত থেকে দূরত্ব সৃষ্টির একটা তাগিদ হয়তো শেখ মুজিব অনুভব করেছিলেন। তাই নিজের উদ্যোগে ভুট্টোকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ সফরে, বাংলার মাটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত শুকোবার আগেই। আর পরম উৎসাহে উড়ে গিয়েছিলেন লাহোরে ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিতে। ইসলামী বিশ্বের সমর্থন আর স্বীকৃতি আদায়ের জন্য শেখ মুজিব ছিলেন মরিয়া। কেন? কারণ শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিকও। তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর কৃপাদৃষ্টি লাভের ইচ্ছাও এই সমস্ত কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! এত কিছু করেও ইসলামী বিশ্বের স্বীকৃতি শেখ মুজিব পান নি তাঁর জীবন থাকতে।
কিন্তু চল্লিশ বছর পরেও জনগণ ভোলে নি তাদের প্রাণের দাবী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী। বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনদিনও ভুলবে না।
আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায়। এবারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ওয়াদা দিয়ে ভোট পেয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নানাবিধ বাগাড়ম্বর সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে আবারো। সেই একই কারণে। সেই একই রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক কারণে।
যে কারণে নিজামী-মুজাহিদেরা জেলে গিয়েও সদম্ভে বলতে পারে, “আমাদের বিচার করার ক্ষমতা কারো নাই”। বুঝতে কষ্ট হয় না, কিসের জোরে তারা এই কথা বলে। ছাগল খুঁটির জোরেই নাচে। তাদের খুঁটিটা কোথায়? বেশি দূরে নয়, পশ্চিম দিকে। ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরবে। যেখানে আমাদের জননেত্রী আর দেশনেত্রী নির্বাচনের আগে একবার, পরে আরেকবার মুখের ওপরে হিজাব-ঘোমটা টেনে ওমরাহ পালন করতে যান। তাই বলছিলাম, সাংস্কৃতিক কারণটাকেও উপেক্ষা করি কি ভাবে?
যে কারণে নিজামী-মুজাহিদেরা নিজেদের বিচার নিয়ে চিন্তিত নয়, সেই একই কারণে সংশয় প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক ইকনমিস্টের (জুলাই ১, ২০১০) প্রতিবেদক। বাংলাদেশ সরকার কি আসলেই চল্লিশ বছর আগে ঘটা যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারবে? প্রতিবেদকের সংশয় সবকিছু ছাপিয়ে সৌদি আরবকে নিয়ে। সৌদি আরব কমদামে বাংলাদেশকে তেল দেয়। বাংলাদেশের বিশ লক্ষ নাগরিক সেই দেশে কাজ করেন। ইকনমিস্টের প্রতিবেদকের মতে, বাহাত্তরের সংবিধানে বাংলাদেশের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরবের সায় নেই।
একই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, কিন্তু আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ নাকি বলেছেন, সৌদি আরব বিচারপ্রক্রিয়ায় ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিয়েছে। আমি আবারো শঙ্কিত হলাম। সৌদি আরব থেকে সবুজ সঙ্কেত না পেলে কি তাহলে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যেত না? এই বিচারপ্রক্রিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে বেশি আশা না করাই ভাল। ইকনমিস্টের প্রতিবেদক আমাদের জানাচ্ছেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি ২০০৭-এ কমেছে ১৭ হাজার আর ২০০৮-এ ১১ হাজার – মাসে প্রায় ৮০০ জন করে কমছে। সরকার সবুজ সঙ্কেতের সাথে লালবাতির আভাসও নিশ্চয় দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের দূর্বলচিত্ত রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৌদি সবুজ সঙ্কেত না পেলে নিজ কর্তব্য পালন করতে পারেন না, তাঁরা লালবাতির ভয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া আবারো শিকেয় তুলবেন না এই নিশ্চয়তা কোথায় পাওয়া যাবে?
আফসান আজাদ ধর্মের কুপ্রভাব থেকে প্রাণে বাঁচার জন্য লড়ছেন। আফসান যদি বাংলাদেশে বসবাসকারী কেউ হতেন, দেশের আদালত আর সমাজ তাঁকে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারতো এ প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই মনে জাগে। যে দেশে শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, যে দেশে ইসলাম এখনো রাষ্ট্রীয় ধর্ম, যে দেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি থেকে “ধর্মনিরপেক্ষতা” কথাটা ছেঁটে দিয়ে নিতান্তই সাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়ে কোনরকমে “অসাম্প্রদায়িক চেতনা”র উল্লেখ করা হয়, সে দেশে অনেক আফসান আজাদ আছেন। তাঁরা হ্যারি পটারে অভিনয় করার সুযোগ পান না। তাই পত্রিকার পাতায়ও আসেন না। কিন্তু নিজেদের জীবনের ট্রাজিক নাটকে দিনের পর দিন তাঁরা অভিনয় করে চলেছেন ধর্মীয় অপসংস্কৃতির পটভূমিতে।
সেই একই ধর্মীয় অপসংস্কৃতির পটভূমিতে ঘটা যুদ্ধাপরাধের বিচার হয় নি চল্লিশ বছর ধরে ধর্মীয় অপসংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবান্বিত বাংলাদেশে।
আফসান আজাদের মতো বাংলাদেশের জনগণেরও অধিকার আছে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার। ধর্মীয় অপসংস্কৃতির কুপ্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার। জনগণ দৃঢ়সংকল্প থাকলে সৌদি আরব এখানে বাধা হতে পারে না, পারে না বাদ সাধতে। দরকার আমাদের সৌদি আরবকে ‘না’ বলার সাহসের। চাই না তাদের সস্তা তেল, আর পেট্রোডলারের মজুরি। চাই যুদ্ধাপরাধের বিচার ।
জুলাই ৫, ২০১০।
@ইরতিশাদ,
সরকার যদি সৌদি আরবের পৃষ্টপোষক হয় তবে জনগণ দৃঢ়সংকল্প হয়েও সফলতা কতখানি অর্জন করতে পারবে সন্দেহ হয়।
তবে সৌদি আরব বাংলাদেশকে যে সস্তা তেল দিচ্ছে এতে কি সৌদি আরবের কোন স্বার্থ নাই? সৌদি আরব কেন বিশ্বের কোন দেশই স্বার্থ ছাড়া কোন কাজ করে না। বাংলাদেশেতো আর ফ্রি তেল পাচ্ছেনা। বাংলাদেশের কোটি কোটি কনজুমারদের কাছে সস্তায় তেল বিক্রি করে সৌদি আরব প্রচুর মুনাফা লাভ করছে। যখন প্রচুর গ্রাহক আশা করা হয় তখন সেল্ দেওয়া হয়, আর সেই সেল্ দেওয়ার কারনে প্রচুর ভোক্তারও জন্ম হয়। এতেই কোম্পানী লাভবান হয় এটা সবাই জানে। সুতরাং বাংলাদেশে তেল বিক্রি করতে না পারলে বিরাট মার্কেট সে হারাবে এটা সৌদি খুব ভালই জানে।
বাংলাদেশের শ্রমিকদেরও তাকে নিতে হবে নিজের স্বার্থে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার শ্রমিকদের থেকে কম পারিশ্রমিকে পায় বলেই ওখানকার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানী করে। বাংলাদেশ মুসলিম দেশ বলেই সৌদি আরব ইসলামিক জোশে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে এটা ভূল। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি যেটা কমেছে সেটার জন্য বেশিরভাগই দুর্বল গ্লোবাল ইকনোমি দায়ী।
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কারনে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে যদি কিছুটা প্রভাব পড়েও সেটা সামান্য। আর এটাও আমার মনে হয় বাংলাদেশ সরকারকে ভয়-ভীতি দেখাবার একটা কৌশল।
জনগণের দৃঢ়সংকল্পতা নিয়ে যদি বাংলাদেশ সরকার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কায়েম করতে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যায় আর যুদ্ধপরাধের বিচার সম্পন্ন করে, সৌদি আরব থেকে সস্তায় তেল পাওয়া বা বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি করা কোনটাই বিশেষ কোন সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয়না। মুল কথা হলো জনগণই শক্তির উৎস এই কথাটা বাংলাদেশ সরকারকে মনে রাখতে হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার উজ্জ্বল মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। ধন্যবাদ।
আসলে আন্তর্জাতিক ভাবে জনমত তৈ্রি করাই হবে সবচেয়ে দরকারি কাজ। এটাই প্রচারের সামনে নিয়ে আসতে হবে যে, এখানে পক্ষ-বিপক্ষের ব্যাপার না। বিচারটা চাওয়া হচ্ছে কিছু অপরাধীর, যাদের দ্বারা মনবতা পদদলিত হয়েছে। যারা নিরস্ত্র জনগনকে হত্যা এবং নারীদের ধর্ষণ করেছে।
আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করা সৌদি কেন কারো পক্ষেই সম্ভব না। এখানে কোন দেশকে না বলতে যাওয়াটা ভুল হবে। যেখানে আমাদের মত দূর্বল অর্থনীতির দেশের বহু গরীব মানুষের আয়ের সাথে ঐ দেশের সম্পর্ক আছে।
পেট্রোডলারের মজুরি আমার আপনার দরকার নেই কিন্তু হাজার হাজার দরিদ্র শ্রমিকদের কি হবে? বিচার হলেই তাদের পেট ভরবে?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আপনার এই প্রশ্নটার উত্তর আমার জানা নাই। যুদ্ধাপরাধের বিচার কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে তার ওপরেই বোধহয় প্রশ্নের উত্তরটা নির্ভর করছে। আপনাকে একটা হাইপোথেটিক্যাল প্রশ্ন করি – সৌদি আরবের জায়গায় যদি পাকিস্তানে আমাদের হাজার হাজার দরিদ্র শ্রমিক কাজ করতো তাহলেও কি আপনি একই প্রশ্ন করতেন?
@ইরতিশাদ,
আমার মনে হয় করতাম। যুদ্ধপরাধের বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু দেশের অর্থনীতি, হাজার হাজার শ্রমিকের না খেয়ে থাকা তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা করেন শ্রমিকদে দেশে পাঠিয়ে দিলে তারা আর তাদের পরিবার কোথায় যাবে? এমনও হতে পারে কাজ না পেয়ে তারা অপরাধ করতে শুরু করবে। সরকার যদি তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে তাহলে অন্য কথা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বিষয়টা স্পষ্ট বুঝতে পারছিনা। ইরতিশাদ সাহেব প্রশ্ন রেখেছিলেন-
আপনি বলেছেন – আমার মনে হয় করতাম।
অন্য একটি লেখায় একজন মন্তব্য করেছেন- জামাতীদের অনুসারীদের পুনর্বাসনের কী ব্যবস্থা হবে?
একইভাবে প্রশ্ন তুলা যায়- যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হলে তাদের নির্দোষ পরিবার সন্তানাদি কী খাবে কোথায় যাবে?
আপনি অবশ্য বলেছেন- সরকার যদি তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে তাহলে অন্য কথা।
সরকার যে পারবেনা এবং পাকিস্তান বা সৌদি আরব যে যুদ্ধাপরাধের বিচার সমর্থন করবেনা তা সবারই জানা কথা।
তাহলে কি আমরা ধরে নেবো, নয় মণ ঘিও হবেনা, রাধাও নাচবেনা? যুদ্ধাপরাধের বিচার আদৌ কোনদিন হবেনা, বা করা উচিৎ না।
@ইরতিশাদ,
আমি নীতি নির্ধারনের সাথে জড়িত থাকলে আগে যেটা করতাম সেটা হল পাকিস্তানের উপর যাতে নির্ভরশীল হতে না হয় সেটার ব্যাবস্থা করতাম।
@আদিল মাহমুদ,
আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চেয়েছি, আপনার উপরের বাক্যে পাকিস্তানের জায়গায় সৌদি আরব বসিয়ে দিন। “সৌদি আরবের উপর যাতে নির্ভরশীল হতে না হয় সেটার ব্যাবস্থা করার কথাটাই” আমার বক্তব্য ছিল। ধন্যবাদ।
@ইরতিশাদ,
ধন্যবাদ আপনার উপলব্ধির জন্য।
দূঃখজনকভাবে এই কাজটায় আমরা জাতিগতভাবে চরমভাবে ব্যার্থ। এর দায় শুধু নেতাদের ঘাড়ে চাপানো মনে হয় দায় এড়ানো হবে। আমরা পুরো জাতিই এর জন্য দায়ী। এই বিষয় মূল বিষয়ের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, তাই বেশী আর বলছি না। শুধু বলছি; যে দেশের মূল উপার্জনের জন্য বিদেশে কর্মরত (তাও কেবল নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে মাত্র) শ্রমিকদের পাঠানো পয়সা সে দেশের মেরুদন্ড মোটেও শক্ত নয়। দূর্বল মেরুদন্ড নিয়ে বেশীদুর চলা যায় না।
এই কথাগুলোই মূল কথা –
দরকার আমাদের সৌদি আরবকে ‘না’ বলার সাহসের। চাই না তাদের সস্তা তেল, আর পেট্রোডলারের মজুরি। চাই যুদ্ধাপরাধের বিচার ।
ধন্যবাদ ইরতিশাদ ভাই।
অনেকদিন পরে লিখলেন, তবে চমৎকার লেখাটি দিয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছেন।
তখন আর এখন এর প্রেক্ষাপটে চমৎকার তুলনামূলক বিশ্লেষণ।তখন
@গীতা দাস,
আপনি আমার লেখা পড়েন জেনে ভাল লাগলো। আমিও আপনার তখন ও এখনের নিয়মিত পাঠক।
@ ইরতিশাদ,
প্রতি শুক্রবার এলে এই চিত্রটি আরো ভালোমত বুঝা যায়। ইদানিং উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলাতে দুস্থ নারীরা টুপি তৈরি করে নাকি স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আর সেই টুপিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানী করা হচ্ছে।
‘যে দেশে শস্যের চেয়ে টুপি বেশি ‘এই শিরোনামে অভিজিৎ দাদা একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। আপনার লেখাটি পড়ার সময় সেটা মনে পড়লো।
আমার নিজের ঘটে শব্দভাণ্ডার নাই তাই সেই প্রবন্ধ থেকে একটি অংশ কাট পেষ্ট করে দিলাম, আশা করি অভিজিৎ দাদা মনোক্ষুন্ন হবেন না।
সেই অংশটি হচ্ছে-
ধর্মব্যাবসায়ীদের ওই এক স্বভাব। ধর্মের মাথায় মধু ঢেলে প্রমুহূর্তেই প্রয়োজনে ধর্মকে সাক্ষী রেখে লুচ্চামী, লোফারি আর মিথ্যা কথা বলতেও বাঁধে না। ধর্মকে মাথায় তুলে মানুষ মারতে, দাংগা বাধাতেও কখনো তাদের হৃদয় প্রকম্পিত হয় না। অথচ এই ধর্মই নাকি শিক্ষা দেয় নীতি, নৈতিকতা আর মূল্যবোধের। ধর্ম ছারা নাকি সমাজ উচ্ছন্নে যায়। অথচ আমি ত দেখি বাস্তবতা পুরো উলটো। এ জন্যই কি গনিতবিদ ব্লেইজ প্যাস্কাল (১৬২৩-১৬৬২) বহু আগেই বয়ান করেছিলেন-‘মানুষ ধর্মীয় প্রেরণায় যত উৎফুল্ল চিত্তে আর উচ্ছ্বাসের সাথে পাপাচার করে, আর অন্য কিছুর প্রেরণায় তেমনটি করে না।’ (Men never do evil so completely and cheerfully as when they do it from religious conviction.) একাত্তরের গোলাম আজম নিজামী থেকে শুরু করে হাল আমলের লাদেন, বাংলাভাই, মইনুল, বায়তুল মোকারমের খতিব সহ সবাই বারে বারে প্রমাণ করছেন এই উক্তির সার্থকতা।
@মাহফুজ,
ধন্যবাদ, হ্যাঁ শস্যের চেয়ে টুপি বেশি কথাটা ধার করা, আমার উল্লেখ করা উচিত ছিল। যতদূর মনে পড়ে কথাটা প্রথম লিখেছিলেন সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ তাঁর কোন এক উপন্যাসে।
@ইরতিশাদ,
ঠিক বলেছেন। লালসালু উপন্যাসে।
‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশী, ধর্মের আগাছা বেশী’ লালসালু লিখতে গিয়ে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ আবহমান বাংলার যে ছবি এঁকেছিলেন।- অভিজিৎ রায়।
@মাহফুজ,
লালসালু উপন্যাসের ভিতরে (মুখবন্ধে আছি কিনা বলতে পারব না) ঐ উক্তিটি নেই বলেই মনে পড়ে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
তাহলে তো লাল সালু বইটি পড়ে দেখতে হবে। আজ লাইব্রেরীতে গিয়ে বইটি নিয়ে আসবো। যদি বইটির মধ্যে না থাকে তাহলে অভিজিৎ দাদার কাছ থেকে উপরোক্ত বাক্যটির তাৎপর্য জেনে নিতে হবে।
@মাহফুজ,
উক্তিটি অবশ্যই আছে। ঐ বই আমাদের ইন্টারমেডিয়েটে পাঠ্য ছিল। ঐ লাইনটার ব্যাখ্যা পরীক্ষায় আসত। লাইনটা উপন্যাসের প্রথম দুয়েক পাতার মধ্যেই থাকার কথা।
লাল সালু বইটা ভন্ডপীর, ধর্মীয় গোড়ামির উপর লেখা। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তার সময়ের তূলনায় যথেষ্ট সাহস দেখিয়েছেন।
@আদিল মাহমুদ,
ধন্যবাদ তথ্য দেবার জন্য। আমার হঠাৎ করেই মনে পড়লো, মোকছেদ আলীর লেখা সোলায়মানের আস্তানা দর্শন নামে একটা পাণ্ডুলিপি আছে। সেই পাণ্ডুলিপিতে তিনি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালুর কথা বলেছেন।
এখানে কিছু অংশ তুলে ধরলাম।
আমি তর্কশাস্ত্রের সূত্র ধরে বললাম, এই ধরনের ওরসে যদি কল্যাণ না থাকবে আর মাজারে অবস্থিত ব্যক্তি যদি কামেল না হবে, তবে এই মাজারে অযুত অযুত লোক আগমন করে কেন? আরো তো হাজার হাজার মাজার আছে, সেসব স্থানে তো এই ধরনের কোন কাজ হয় না, বা কোন লোকজন আসে না। আমার, আপনার কবরে কি এত লোক হবে?’
মনে মনে পুলকিত হয়েছিলাম এই ভেবে যে ফজল মিয়া আমার প্রশ্নবানে এবার কুপোকাত হবে। কিন্তু কুপোকাত হওয়া তো দূরের কথা, তিনি আরো ইস্পাত দৃঢ় হলেন। বললেন, ‘এইটাই তো জনগণকে কুপোকাত করবার মোক্ষম অস্ত্র। আমার আপনার কবরেও এরূপ মেলা বসানো যায়, যদি কোন সুচতুর লোকের হাতে পড়ে। ওয়ালিউল্লাহ চৌধুরীর লেখা আইয়ে ক্লাসের পাঠ্য বই, ‘লালশালু’ পুস্তক খানা যদি পাঠ করেন, তবে সব জারিজুড়ি আপনার নিকট ধরা পড়বে। লোক সমাগম কামালিয়াতের দলিল নয়, হিন্দুদের বহু লোকের নামেও মহোৎসব হয়, সেসব স্থানেও বহু লোক সমাগম হয়। তাই বলে কি তারা কামেল? কখনই নয়।’
@নৃপেন্দ্র দাদা,
আদিল মাহমুদ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে ঐ কথা লালসালু বইয়ের মধ্যে আছে। এখন আপনিও আপনার সন্দেহ দূর করেন।
@মাহফুজ,
বড় মসিবতে পরে গেলাম। আমারও বইটি পাঠ্য ছিল ১৯৬৯সালে। নিশ্চয় আদিল মাহমুদের আগে। এতদিন কিছুই মনে থাকার কথা নয়। তবু পাঠ্য ছিল এই ভরশায় জোড় করেছিলাম। এখন পিছু হঠা ছাড়া পথ দেখিনা। :-X তবু মনে মনে জোড় চালিয়েই যাচ্ছি। এই রকম কোন লাইনের ব্যাখ্যা করার প্রশ্ন কোনদিন থাকত না মনে পড়ে। এখন তোমরাই ভরশা বইটা যদি কেউ সংগ্রহ করে প্রমাণ করতে পারে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
নৃপেন্দ্র দা, আমার কাছে লাল সালু বইটা আছে। এর ২য় পৃষ্ঠার ৩য় প্যারাতে ৩য় বাক্যটা এরকম- শস্যের চেয়ে টুপি বেশি ধর্মের আগাছা বেশি।
@আতিক রাঢ়ী,
অনেক ধন্যবাদ।
আব্দুল জলিল সরকার আমাদের এই উপন্যাসটি পড়াতেন। তিনিও কথাটির উপর গুরুত্ব দেননি, আমরাও দিইনি। গুরুত্বপূর্ণ এই বাক্যটি মিস করেছি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। :rose2:
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এই বইটির আরেকটি স্মরনীয় বানী এখনো মনে আছেঃ
ভিলেন মজিদ তার প্রতিবাদী কম বয়সী স্ত্রী জমিলাকে বলছে
“অমন করি হাটে না বিবি, মাটি এ গোস্মা করে”।
@আদিল মাহমুদ,
আমরা বন্ধুরা এক বাক্যটি নিয়ে অনেক বছর পর্যন্ত মজা করতাম। আপনার সাথে একটু জোড়ে দিচ্ছি আমার স্মৃতির পাতা থেকে –>
“অমন করি দামড়ার মত হাটিও না বিবি। মাটিএ গোস্যা করব। এই মাটিতেই একদিন ফিরি যাইব্যা।”
ধন্যবাদ, আদিল মাহমুদ :lotpot: :rose2:
আফসান আজাদের কাহিনী অনার কিলিং এর উদাহরন বলেই মনে হচ্ছে, শুধু কিলিং ভাগ্যক্রমে ঘটে যায়নি এই যা। পাশ্চাত্য সমাজে আজকাল অনার কিলিং এর হার আশংকাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে, এবং বেশীরভাগই মুসলমান পরিবারগুলিতে। একটা ইন্টারেষ্টিং ষ্টাডিতে পড়েছিলাম যে অনার কিলিং বিদেশে আসা ইমিগ্র্যান্ট পরিবার থেকে নাকি বিদেশে জন্ম হওয়া ফার্ষ্ট জেনারেশন পরিবারে বেশী ঘটে। যেমন এই আফসানের বাবা মা বাংলাদেশী বংশদ্ভূত হলেও দুজনের জন্মই ব্রিটেনে।
বংগবন্ধুর ৭১ এর ঘাতক দালালদের বিচার না করার ভাল কিছু কারন দেখিয়েছেন। তবে কিছু মনে হয় বাদ পড়েও গেছে। যেমন, স্বজন প্রীতি। রাজাকার আল বদরদের অনেকেই ছিল আওয়ামী নেতা, মুক্তিযোদ্ধাদেরও আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব। আমার নিজের পরিবারেই তেমন আছে। বংগবন্ধু ফকা চৌধূরীকে জেল এ পাঠালেও তারা ছিলেন ব্যাক্তিগত জীবনে খুব ভাল বন্ধু। খান এ সবুরের সাথেও তার ভাল সম্পর্ক ছিল। শের -এ-বাংলার ছেলে ফায়জুল হক রাজাকারির দায়ে জেল এ আছে শুনে তিনি লজ্জিত হয়ে তাকে জেল থেকে বার করে দিয়েছিলেন। এরকম বহু ঘটনা আছে।
বংগবন্ধুর মধ্যপাচ্যের দেশগুলির সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আমার মনে হয় না ধর্মীয় কারন প্রধান ছিল, অর্থণৈতিক কারনই প্রধান ছিল। তার সুফল আমরা পরে পেয়েছি। আজকের বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা বড় উতস (সবচেয়ে বড় কিনা এ মুহুর্তে নিশ্চিত নই) মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের উপার্জন। তাই এই উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলে এমনকি অর্ধেকেও নেমে আসলে সে আঘাত আমাদের সামাল দেওয়ার কি প্রস্তুতি আছে আমার মনের যুক্তিবাদী অংশ জানে না। আমার ধারনা যুদ্ধপরাধীদের বিচার ইস্যূতে এ কারনেই সরকার গড়িমসি করছে। সৌদী আরব মুখে গ্রীন সিগনাল দিক আর যাই দিক তাতে খুশী হবার কিছু নেই। তাদের মায়া মহবত রাজাকার গোষ্ঠির দিকেই আজীবন থাকবে।
যদিও মনের আবেগময় দিক ইরতিশাদ ভাই এর মতই বলে, ”
@আদিল মাহমুদ,
অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। কঠিন কাজগুলো আবেগ, গোয়ার্তুমি আর ত্যাগ ছাড়া করা যায় না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধই তার প্রমাণ।
@ইরতিশাদ,
খুব ভাল কথা বলেছেন। আবেগ এবং বাস্তবতাবোধ দুয়ের স্বার্থক সমন্বয় না হলে কোন বড় বা মহত কাজ করা যায় না। আমাদের সমস্যা আমরা অধিকাংশ সময়ই শুধুই আবেগের দিকটাই চিন্তা করি, বাস্তবতা চিন্তা করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেই না।
বাংলাদেশে কথায় কথায় লোকজন বলে যে ধর্ম মেনে চললেই নাকি নীতিবান হওয়া যায়। ধর্ম মানা মানে তো ঈশ্বরে বিশ্বাস। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম নিজামীরা ইসলাম বিকৃত করেছেন। কিন্তু কেউ কি প্রমাণ দেখাতে পারবেন যে তারা নাস্তিক? বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে যে নিজামীরা ধর্মের অপব্যাখ্যা করেছেন কিন্তু এই বিশাল সংখ্যাক মানুষের মনে বিন্দুমাত্র এই প্রশ্নটা জাগে না যে ‘৭১ এ খুন-ধর্ষণ করার সময় নিজামীদের খোদাভীতি কই ছিল।
তবে কেউ যদি নিজামীদের নাস্তিক ঘোষণা করেও, আমি আশ্চর্য হব না। নেভার আন্ডারএসটিমেট দ্যা হিউম্যান মাইন্ড।
@পৃথিবী,
৭১ এর রাজাকারদের অধিকাংশেরই ব্যাকগ্রাউন্ড ইসলাম ভিত্তিক রাজনীতি। তারা প্রকাশ্যেই ধর্মের নামেই তাদের যাবতীয় পাপাচার হালাল করেছিল। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। শীর্ষ রাজাকার আল বদর নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের জল্লাদদের এবশীরভাগই এই শ্রেনীর।
এই প্রসংগ উঠলে ধর্ম ডিফেন্ডাররা জোর পূর্বক স্মরন করিয়ে দেন যে সেসব ব্যাক্তির দায় ইসলামের হতে পারে না। তারা ধর্ম ব্যাবহার করেছে নিজেদের স্বার্থে। সেটা মানা যেতে পারে। আমার প্রশ্ন সেখানে নয়। অন্য যায়গায়।
ইসলামী জগতে মতের অমিল হলে প্রায়ই শোনা যায় অমূকে ইসলাম চ্যূত হয়ে গেছে, তমুকে ইসলাম জানে না, এ মুরতাদ, সে কাফের।
৭১ এর ঘাতক দালালেরা ইসলামের নামে এত জঘন্য অপরাধ করলেও তাদের আজ পর্যন্ত কেউ মুরতাদ, কাফের এসব ঘোষনা করে না কেন? উলটা তাদেরই দেখা যায় ইসলামী স্কলার হিসেবে বিশিষ্ট আসনে দোর্দন্ড প্রতাপে আসীন হতে। সাঈদীর ওয়াজ মাহফিলে লন্ডনে নাকি বালতি ভর্তি পাউন্ড পড়ে। ইসলামে কোরান বা নবী সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করা বা প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে নিজের মতামত দেওয়া ঠান্ডা মাথায় মানুষ জবাই করা থেকে বড় অপরাধ?
@পৃথিবী,
পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বলেছেন ঠিক তবে যেখানে বাংলাদেশের ভিক্ষা বৃত্তি ছাড়া দেশ চালানোর উপায় নাই। উপায় নাই বলেই পৃথিবী কন্ট্রোল করা আমেরিকার বারাক ওবামা ও তেল দেশগুলো কে সালাম ঠুঁকে সেখানে
আমাদের মত হত দরিদ্রদের অবস্থান বলায় বাহুল্য। তাই তো নিজামীর দলের এতো দম্ভ।এটা সোজা অংক।
@আফরোজা আলম,
ঠিকই বলেছেন, বলা যত সোজা, করাটা তত নয়। কিন্তু এই আমরাই লড়েছিলাম মুক্তির যুদ্ধ, সে কাজটাও সহজ ছিল না।
ভাল লাগল। আসল সত্যগুলো সবাই জানে-আসলে কেও অপ্রিয় সত্য কথা বলতে চাই না। স্যোশাল মিডিয়া সেই অপ্রিয় সত্যকথনের জায়গা।
@বিপ্লব পাল,
অনেক ধন্যবাদ, আপনার ভাল লাগলো জেনে আমারও ভাল লাগলো। আসলেই সত্যগুলো যে আমরা জানি না তা নয়।