দীর্ঘ ১৮ বছরের নিরলস পথ চলায় এ সংগঠনটি আবিষ্কার করেছে এক চিরন্তন সত্য। আর তা হচ্ছে- দেশে এখনও এমন একটি সয়ংসম্পূর্ণ বিজ্ঞান সংকলনের অভাব রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হবে দেশের বিজ্ঞান চর্চার অগ্রগতি। দেশের সর্বস্তরের বিজ্ঞান লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ, সকল বিজ্ঞান সংগঠন তথাপি বিজ্ঞানমনষ্ক প্রতিটি ব্যক্তি ও সংগঠনের অংশগ্রহণে যে সংকলনটি দ্বারা নির্ধারণের চেষ্টা করা হবে দেশের বিজ্ঞান চর্চার মানদণ্ড। এ চিন্তা থেকে বিজ্ঞান বক্তা আসিফের সম্পাদনায় ডিসকাশন প্রজেক্ট-এর নিয়মিত প্রকাশনা মহাবৃত্ত এর আত্মপ্রকাশ। মহাবৃত্তের বিশাল সীমারেখা যেভাবে পৃথিবীকে বেষ্টিত রাখে। ঠিক তেমনিভাবে ডিসকাশন প্রজেক্টর প্রকাশনা মহাবৃত্ত যেন দেশের সমস্ত বিজ্ঞান অনূরাগীকে বেষ্টিত করে রাখতে পারে আর এর মাধ্যমে দেশের বিজ্ঞান চর্চার গতি অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের কাম্য। বিজ্ঞান অন্ধকারের প্রদীপ। এ প্রদীপ আরও প্রজ্জ্বলিত হোক, ছড়িয়ে পড়ুক আলো থেকে আলো, অন্তরে অন্তরে।
২০০৫ সালের পুরোটা জুড়েই আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের শতবাষির্কী উদযাপন হয়েছে। বছরটিকে জাতিসংঘও পদার্থবিজ্ঞান বর্ষ ঘোষণা করেছিল। এ উপলক্ষে আইনস্টাইন ও আপেক্ষিক তত্ত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে মহাবৃত্তের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে। মূলত ২০০৫ সালে আইনস্টাইন বর্ষকে উদযাপনে পদার্থবিজ্ঞানকে কেন্দ্র করেই মহাবৃত্তের এ কলেবর। এছাড়াও প্রথম বর্ষে ছোট কলেবরে আরেকটি সংখ্যা বের হয়েছিল। পরবর্তী সংখ্যাগুলো অবশ্য এতটা বিষয় ভিত্তিক হবে না। যাহোক অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনিবার্য কিছু কারণে এইটি প্রকাশের বিলম্ব এড়ানো গেলনা। তবে আমাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠায় কোনও খাঁদ ছিল না।
এ সংখ্যাটিতে আছে প্রকৃতিবিদ ও লেখক দ্বিজেন শর্মার শুভেচ্ছ সম্পাদকীয়। আপেক্ষিক তত্ত্বের শতবর্ষ উপলক্ষে নেওয়া পদার্থবিদ অধ্যাপক এ.এম হারুন অর রশিদ এর সাক্ষাৎকার। অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রবন্ধ – ভৌত বাস্তবতা: আইনস্টাইন ও রবীন্দ্রনাথ; পদার্থবিদ ড.আলী অসগরের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব : নতুন শতাব্দীর আলোকে। সঙগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকের আইনস্টাইন ও মিলেভা : এক জটিল সমীকরণ। লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ তোশারফ আলীর আইনস্টাইন- মানবতন্ময় এক বিজ্ঞানী। উন্মাদ সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের আলবার্ট আইনস্টাইন এবং অতঃপর …। প্রথম আলো গণিত অলিম্পিয়াডের সম্পাদক মুনির হাসানের আইনস্টাইন আমার আইনস্টাইন। বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনা ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের মানস পরীক্ষণের এক অসাধারণ কাহিনী। পদার্থবিদ শামসুদ্দিন আহমেদের আপেক্ষিকতার সার্বিক তত্ত্বের ভিত্তিভূমি। বিজ্ঞান কর্মী মোস্তফা আমিনুর রশীদের পদার্থবিজ্ঞানের ষষ্ঠ বিপ্লব। ডিসকাশন প্রজেক্ট এর সমন্বয়ক ও বিজ্ঞান লেখক খালেদা ইয়াসমিন ইতির আইনস্টাইনের জীবনপঞ্জি। বিজ্ঞান বক্তা আসিফের কার্ল সাগানের দৃষ্টিতে আইনস্টাইন। বিজ্ঞান কর্মী ও প্রোগ্রামার রজনীশ রতন সিংহ এর পদার্থবিজ্ঞানের অর্জন দিয়ে কয়েক শতক প্রযুক্তি উন্নয়ন সম্ভব।
এছাড়াও এ সঙখ্যায় আছে কালের প্রতিভা : আইনস্টাইন বিগব্যাং তত্ত্বের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু। আইনস্টাইনের স্বহস্তে লিখিত পাণ্ডুলিপি। ২৪ কোটি আলোকবর্ষ দূরের দানবীয় এক বিস্ফোরণ। আইনস্টাইনের বাড়িতে। বিশ্বব্যাপি আপেক্ষিক তত্ত্বের শতবার্ষিকী। ব্যালে নৃত্যকেও অনুপ্রাণিত করেছে। খুলে দেওয়া হচ্ছে খামার বাড়িটি। শিক্ষা সংকটে পদার্থবিজ্ঞান। জনপ্রিয়তার খোঁজে পদার্থবিজ্ঞান। সময় খেকো ফড়িং ঘড়ি। বাংলাদেশে শত বার্ষিকী পালন।
আসিফ এর সম্পাদনায় ১২০ পাতার প্রায় ১০০ ছবি সমৃদ্ধ দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যাটির মূল্য ১৫০ টাকা বা ৫ ডলার। পাওয়া যাবে আজিজ সুপার মার্কেটের তক্ষশিলায়, সাহিত্য প্রকাশে। যোগাযোগ: ০১৯১২৯১৭৫৫৪। [email protected]
:line:
মহাবৃত্তের প্রিমিয়াম গ্রাহক হোন (বিস্তারিত এখানে) |
.
:line:
নিয়মিত বিজ্ঞান-পত্রিকা বের করা শুধু বাংলাদেশে নয় সব দেশেই নিয়মিত গ্রাহক ছাড়া সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান জার্নাল-গুলোর বেশিরভাগই মূলত বের হয় পেশাভিত্তিক সংগঠনের তত্ত্বাবধানে। সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা প্লাস জার্নালের জন্য বাৎসরিক চাঁদা থেকে খরচ উঠে আসে। বাংলাদেশে সেরকম কোন বিজ্ঞান জার্নাল নেই। বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকাও নিয়মিত বের হয় না। আসিফের মহাবৃত্ত নিয়মিত বের হবে আশা করি। আমি মহাবৃত্তের গ্রাহক হতে চাই। বাৎসরিক গ্রাহককে কত দিতে হবে এবং কীভাবে দিতে হবে জানাবেন।
১.প্রিমিয়াম গ্রাহকদের কিভাবে পত্রিকা পোঁছানো হবে এ ব্যাপারটা পরিষ্কার করলেই লিঙ্ক দিয়ে দেয়া যাবে।
২.সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এই উইক-এন্ডের মধ্যেই লিঙ্ক দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
খুবই ভাল লাগল। তবে আমেরিকা পোঁছানোর পাশাপাশি সিডনিতে পোঁছানোরও ব্যবস্থা থাকুক।
@হেলাল এবং প্রদীপ দা, অনেক ধন্যবাদ এ ব্যাপারে উৎসাহ দেখানোর জন্য। আমি এখনি আসিফের সাথে কথা বললাম, উনি প্রথম সংখ্যাটার হার্ড কপি গ্রাহকদের আলাদাভাবে মেইল করে পাঠাতে ইচ্ছুক এবং সেক্ষেত্রে অষ্ট্রেলিয়াতে পাঠাতেও তো কোন আসুবিধা নেই। মুক্তমনা থেকে পে প্যালের মাধ্যমে বাৎসরিক ‘প্রিমিয়াম’ বা বিশেষ গ্রাহক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে পোষ্টটা আজকেই দেওয়া হবে। আশা করছি আগ্রহী ব্যক্তিরা এই লিঙ্ক ধরে পে প্যালের মাধ্যমে সাবস্ক্রিপশান করবেন। তারপর আসিফ গ্রাহকদের ঠিকানায় পত্রিকাটা পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন দেশ থেকে।
পে প্যালের লিঙ্ক করা সমস্যা নয়, কিন্তু স্ট্রাকচার দাঁড় করানোটাই ঠিক মত হওয়া চাই – সেটাই বার বার বলতে চাইছি। আমি আসিফের কাছ থেকে এ নিয়ে একটা লেখা প্রত্যাশা করছি খুব তাড়াতাড়ি। প্রিমিয়াম গ্রাহকদের কিভাবে পত্রিকা পোঁছানো হবে এ ব্যাপারটা পরিষ্কার করলেই লিঙ্ক দিয়ে দেয়া যাবে। আমি আলাদা একটি পোস্টে পে প্যালের লিঙ্কের বিষয়টি দিতে চাই।
ধরে নিচ্ছি কেবল প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্যই (যারা মহাবৃত্তকে টিকিয়ে রাখতে অনুদানের মাধ্যমে বিশেষ সহায়তা করতে চান) এই পে-প্যাল ব্যবস্থাটি কাজ করবে, প্রতিটি সংখ্যা বিক্রির হিসেব করার জন্য নয়।
সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এই উইক-এন্ডের মধ্যেই লিঙ্ক দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
মুক্তমনার মডারেটর এবং টেকিরা কোথায় গেলেন? সাবস্ক্রপিশান নেওয়ার জন্য বা গ্রাহক তৈরি করার জন্য পে প্যালে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে একটা পোষ্ট দেন না……
আমি ও আরো দুই-একজন ” মহাবৃত্তের ” বাৎসরিক গ্রাহক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আশা করছি ইতিমধ্যে অনেকেই গ্রাহক হওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুুতি নিয়ে ফেলেছেন।এবার যদি মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ পে-পাল এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ব্যব্স্থা এবং গ্রাহকদের একটা লিষ্ট তৈরী করে ফেলেন তা হলে মনে হয় “মহাবৃত্তের” জন্য দ্বিতীয় স্যংখাটির প্রকাশনা বের করতে সম্পাদকের তেমন বেগ পেতে হবে না । কি বলেন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ??
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
অনেকেই এ ব্যাপারে জানার অপেক্ষায় আছেন।
@মুক্তমনা কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি গ্রাহক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাটা করে দিতে।
আসিফ ভাই,
মহাবৃত্তের এই সংখ্যার লেখাগুলোর নাম পড়েই আমি পাগল হয়ে গেছি। ময়মনসিং থাকায় এখনও সংগ্রহ করতে পারছি না। ঢাকা গিয়েই কিনে ফেলব। আচ্ছা ময়মনসিংয়ে কয়েকটা সংখ্যা পাঠানোর ব্যাপারে কোন চিন্তা করেছেন? আমি ময়মনসিং এর কয়েকটা লাইব্রেরির সাথে কথা বলে দেখতে পারি তারা আনতে আগ্রহী কি না… অবশ্য সেক্ষেত্রে প্রথমে একটা স্যাম্পল লাগবে। ঢাকা গিয়ে আপনার সাথে দেখা হলে আরো ডিটেল আলাপ হবে।
রায়হান যে পিডিএফ এর কথা বলেছে সেটা খুব মনঃপুত হয়েছে। পিডিএফ করে সেটার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা গেলে খুব ভাল হবে।
মহাবৃত্ত বেঁচে থাকুক, বিকশিত থাকুক, একেবারে পরিপূর্ণ একজন মানুষের মত, নিজেকে অতিক্রম করে যাক। আমি এবং আমরা সব সময় পাশে আছি…
@শিক্ষানবিস, তোমার আগ্রহ আমাদের উতসাহিত করছে। তোমাকে ধন্যবাদ। ঢাকা আসলে যোগাযোগ কর। ময়মানসিঙ এর ব্যাপারে চিন্তা করা যাবে।
বাংলাদেশ নামের ভূ-খন্ডটি যে নিকষ অন্ধকার কালো রাত্রির মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রম করছে সেখানে ” মহাবৃত্ত” নামের বিজ্ঞান নামক পত্রিকাটি অন্ধকারকে ভেদ করে অনেক অনেক আলোর পরশ নিয়ে হয়ত এক আলোকবর্তিকা দিক-নিদর্শন আগামী প্রজন্মের জন্য হয়ে উঠতে পারে।
পত্রিকাটির ক্যাপশন দেখেই বুঝা যায় এর জ্যোতিময় আলো কেমন জ্বলজ্বল উদীয়মান আলোক শক্তির মতো বিরাজ করছে। পত্রিকাটিকে টিকিয়ে রাখা এবং এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য মুক্তমনার এডভাইজারী ও এডিটারিয়েল বোর্ডে যারা প্রবাসী সদস্যগন আছেন তারা যদি বন্যার আহমেদ এর প্রস্তাব অনুযায়ী বাৎসরিক ১০০ বা ২০০ ডলারের গ্রাহক ও পৃষ্ঠপোষক হন তাহলে আমার মনে হয় পত্রিকাটিকে টিকিয়ে রাখা তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।সাথে অন্যান্য সম্মানিত মুক্তমনার সদস্যগন যদি এ যজ্ঞে শরীক হন তাহলে তো সোনায় সোহাগা ব্যাপার-স্যাপার হবে।এর জন্য যদি গ্রাহকবৃন্দের নাম ও সমুদয় ডলারের পরিমান একটি লিষ্ট বানিয়ে মুক্তমনায় পোষ্ট করা হয় তাহলে হয়ত সবার নিকট বিষয়টি পরিষ্কার ও উদাহরন হয়ে থাকবে।গ্রাহকবৃন্দ পত্রিকাটি কিভাবে প্রবাসে পেতে পারেন তারজন্য অনেকেই মতামত দিয়েছেন।সবার আলোচনার প্রেক্ষিতে এর জন্য একটি সহজ সমাধান বের হয়ে আসবে বলে আশা করছি।
বিজ্ঞান ও দর্শনের তথা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে ” মহাবৃত্তের ” আশু সাফল্য কামনা করছি এবং এছাড়া যে আর অন্য কোনো বিকল্প পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।
আসিফ ভাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি মহৎ কাজে হাত দেওয়ার জন্য।
@মাহবুব সাঈদ মামুন, আপনি কেমন আছেন। আপনার সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কর্মকাণ্ড আমাদের শক্তিশালী করে তুলবে নি:সন্দেহে আপনি ভালো থাকুন।
@আসিফ,
শরীরটা একদম ভালো যাচ্ছে না।খবর নেওয়ার জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ রলো।ভালো থাকবেন।
বাংলাদেশে এখনো পূর্নাংগ কোন মান সম্মত বিজ্ঞান পত্রিকা নেই জেনে যুগপত দূঃখিত এবং বিস্মিত হলাম। কম্পিউটরের উপর মনে হয় নিয়মিত পত্রিকা আছে, তবে পিওর সায়েন্সের মনে হয় নেই। আসিফের পত্রিকা হতে পারে একটি আদর্শ রোল মডেল। আমার মনে হয় অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ে মুক্তমনা সদস্যরাই ব্রতী হলে পত্রিকাটিকে চালিয়ে নিতে পারি। তার মধ্যে আশা করা যায় প্রচারনা বাড়বে, গ্রাহক সংখ্যাও বেড়ে যাবে।
আমার এসবে তেমন অভিজ্ঞতা নেই, তবে অবধারিতভাবে যা বুঝতে পারছি তা হল যে দেশে এবং প্রবাসে এগ্রেসিভ প্রচারনা দরকার। প্রবাসে অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, তবে মূল পাঠক সৃষ্টি করতে হবে মনে হয় দেশেই। দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মনে হয় কিছু ফ্রী কপি দেওয়া যায় সহজ বিজ্ঞাপনের অংশ হিসেবে। বিশেষ করে ব্যাক্তিগত পরিচয়ের সূত্র ধরে শিক্ষক/শিক্ষিকা সমাজকে প্রচারনার কাজে লাগানো যেতে পারে। হাজার হোক, টার্গেট তো মূলত ছাত্র সমাজই হবে বলে মনে হয়।
বিদেশে কিভাবে প্রচার ও সরবরাহ করা যায় তা মনে হয় ভাল করে চিন্তা করতে হবে। দেশ থেকে হার্ড কপি বিদেশে ডাকযোগে এনে বিলি করাটা মনে হচ্ছে ভাল হ্যাপার কাজ। তার চাইতে নি:সন্দেহে সফট কপি বিলি করা সহজ, যদিও মুশকিল হল এতে পাইরেটেড হবার সম্ভাবনা বেশী।
আমরা আগ্রহী মুক্তমনা সদস্যরা নিয়মিত স্পন্সর করলে বাকি সর্বসাধারনের জন্য হ্রাসকৃত বা নামমাত্র মূল্যে মুক্তমনার মারফত ই-বুক হিসেবে কেনার ব্যাবস্থা করা যায় কি? ইউজার নেম পাসওয়ার্ড দিয়ে? বাংলাদেশ থেকেও পে-পাল ব্যাবহার করার উপায় আছে বলে একদিন অন্য আরেক ব্লগে জেনেছি। এর বিনিময়ে মুক্তমনাও প্রচার পাবে।
@আদিল মাহমুদ,
সিকিউরড ইবুক করা যায়, আমরা করেছি। সেই ইবুক কেও কপি বা আপলোড করতে পারবে না। আমরা এই মাসের এর আলফা রিলিজ বাজারে ছারছি, যদি তা আরো টেস্টিং সফলতা অর্জন করে।
@বিপ্লব পাল,
এটা কিভাবে সম্ভব?
ধরেন আমি ভ্যালিড কাষ্টোমার, আপনার থেকে কোন ই-বুক আমি কিনলাম। অর্থাৎ সেটা এখন আমার পিসিতে পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড হয়ে গেল। এরপর অন্য কাউকে আমি সেটা ই-মেল এ যেকোন ফাইল এর মত এটাচ করে পাঠাতে পারব না?
সিকিউর করে প্রিন্ট প্রতিরোধ করা যায় জানি, কিন্তু আপলোড?
@আদিল মাহমুদ, দেশে পে প্যাল ব্যবহার করা যায় বলেছেন, আরেকটু ডিটেইলস দিতে পারবেন এ প্রসঙ্গে?
@বন্যা আহমেদ,
একটু খুজে দেখতে হবে যদি পাই, আমার ব্লগে গড়ে প্রতি ৫ মিনিটে ১ টা করে নুতন পোষ্ট পড়ে 🙂 । বুঝতেই পারছেন কি দুরূহ চ্যালেঞ্জ পুরনো লেখা বের করা, বিশেষ করে যদি দিন তারিখ মনে করতে না পারেন। লিংক সেভ করে রাখলে আর এই সমস্যা হত না। তখন দরকার মনে করিনি।
পেলে অবশ্যই জানাবো।
@বন্যা আহমেদ,
বাংলাদেশে পে প্যাল কোনদিন ব্যবহার করিনি।
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ, আমার কষ্ট মনে হয় কমিয়ে দিলেন।
@আদিল মাহমুদ,
কপি, আপলোড সবই আটকানো যায়-সবকিছুই পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড থাকে এবং সেই কপিটা নিয়ে পাঠক কি করছে তা ট্রাক করা যায়। যদি পাঠক ইলিগ্যাল কাজ করে, তার পাসওয়াড বন্ধ হয়ে যাবে। ইবুক খুলবে না। আমরা এখনো সব ধরনের ব্রীচ টেস্ট করছি। আই প্যাডে আই টিউনের চেয়েও এখানে সিকিউরিটি শক্তিশালী-আমরা থার্ড পার্টি কোড কিনে টেস্ট করছি এবং কিছু আরো কোড ডেভেলপ করতে হচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
– মনে তো হচ্ছে যে এক্ষেত্রে পাঠক তার কপি নিজ কম্পিউটরে সাধারন ই-বুকের মত ডাউনলোড করতে পারবে না। সে শুধুমাত্র আপনাদের সার্ভারেই ঢুকে পড়তে পারবে বা সেখান থেকেই প্রিন্ট করতে পারবে?
সে যদি নিজ পিসিতে ডাউনলোড করে ফেলে আর অফলাইনে থাকে তাহলে ট্র্যাক করবেন কেমন করে?
@আদিল মাহমুদ,
না সে নিজের কপিতে ডাউনলোড করতেই পারে। নইলে আলাদা সনি বা কিন্ডল পিডিএফ রিডারে পড়বে কি করে?
যখনই সে কপি করবে বা আপলোড করবে, তাকে অনলাইন থাকতে হবে-এবং প্রতিটা একশনই পাসওয়ার্ড এবং ফ্লাগ প্রোটেক্টেড-সে পাসওয়ড দিলেই সেটা সার্ভারে রেজিস্টারড হবে।
একটাই সমস্যা আছে এতে। ধরা যাক আমি গ্রাহক হয়ে আমার পাসওয়াড টা কাউকে দিয়ে দিলাম। তখন সেইজন সার্ভার থেকে নিজে ডাউনলোড করতে পারবে। সেটা ঠেকাতে আই পি ট্রাক ও করতে হবে। তিনটে থেকে বেশী আই পি থেকে ডাউনলোড হলে, সেই একাউন্ট ক্লোজ করে দেওয়া হবে। শেষেরটা করাতে একটু ঝামেলা আছে। এই জন্যেই এটা করতে একটু দেরী হচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
এইবার পরিষ্কার হল।
ভাল বুদ্ধি। তবে তার পালটা ব্যাবস্থাও যথারীতি নিশ্চয়ই বেরিয়ে যাবে। যেমন কিছু কমার্শিয়াল সফটওয়্যার পাওয়া যায় যেগুলি দিয়ে পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড পিডিএফ ফাইলের সিকিউরিটি ভাঙ্গা যায়।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা, তা যায়। তবে ১২৮ বিট এনক্রিপশনে সেটা সহজ না। আর সবাই হ্যাক করতেও জানে না। একটা বই হ্যাক করার জন্যে কেও অত ঝামেলা নেবে না।
@আদিল মাহমুদ, আপনি কি অন্যান্য ব্লগে মহাবৃত্তের খবরটা একটু পৌঁছে দিতে পারবেন? এ থেকে দু’টো লাভ হতে পারেঃ দেশের উৎসাহী ক্রেতারা হয়তো পত্রিকাটার কথা জানতে পারবেন, আর আমরা প্রবাসী গ্রাহক তৈরির জন্য যে প্রচেষ্টার কথা বলছি, সে কাজও হয়তো কিছুটা এগিয়ে যাবে।
@বন্যা আহমেদ,
হ্যা, অবশ্যই দেব।
তবে আমি এ সংখ্যা ছাড়া এই পত্রিকার ব্যাকগ্রাঊন্ড কিছু জানি না। একটু ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফো পেলে ভাল হয়। কবে থেকে শুরু, লেখক কারা এই জাতীয় প্রাথমিক কিছু তথ্য।
আশা করি আসিফ সাহেব লক্ষ্য রাখছেন।
@আদিল মাহমুদ, ধন্যবাদ। এখােন মহাবৃত্ত সম্পর্কে যে পোস্টিং অাছে সেটাো দিতে পারেন। অামি অার একটু গুছিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। অাপনার সহেযাগিতার জন্য ধন্যবাদ।
খুব জবর সংখ্যা মনে হচ্ছে। দেশে গিয়ে কেনা ছাড়া গত্যান্তর নেই।
আসিফ,
মনে হচ্ছে অনেকেই এই মহাবৃত্তের প্রজেক্টের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি মুক্তমনা থেকে (এবং এর বাইরেও) একটা বড় সড় গ্রাহক তৈরি করা যায়, তবে মনে হয় পত্রিকা চালিয়ে যেতে কোন সমস্যা হবে না। বাংলাদেশে একটা ভাল বিজ্ঞান পত্রিকা আসলেই দরকার।
এ নিয়ে আপনার প্ল্যান কি আরেকটু বিস্তারিত জানান। মহাবৃত্তের দু একটি লেখা অনলাইনেও দিতে পারেন, ফলে পাঠকদের হয়ত বাড়তি আগ্রহ তৈরি হবে। এখানে ফ্রি এনকয়ারি সহ অনেক পত্রিকা কিন্তু এরকম করে। পত্রিকাটিতে ক্লিক করলে দু একটি লেখা পাঠকেরা অনলাইনেই পড়ে নিতে পারেন। ফলে পত্রিকাটির প্রতি পাঠকদের একটা আগ্রহ তৈরি হয়। তারা বুঝতেও পারেন যে, পত্রিকাটির ধরন ধারন কেমন হবে, বা কি ধরনের লেখা সেখানে ছাপা হবে। বিশেষ করে দেশের বাইরের বড় একটা পাঠককূলকে যদি আপনি গ্রাহক হিসেবে পেতে চান, তবে এগুলো করতে হবে।
বাংলাদেশে বা ইন্ডিয়ায় পে প্যাল কাজ না করলে আমি তেমন কোন সমস্যা দেখি না। বাংলাদেশের পাঠক তো সরাসরিই পত্রিকাটি দেশ থেকেই কিনতে পারে। বাইরের পাঠকদের জন্য পে প্যাল একটা ভাল মাধ্যম। কয়েকদিন আগেই আমরা নির্মল সেনের জন্য পে প্যালের মাধ্যমে টাকা তুলেছি। মহাবৃত্তের গ্রাহকদের জন্য সেই ধরণের ব্যবস্থা করা কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু তার আগে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জটিলতাগুলো নিরসন করতে হবে। ধরা যাক কেউ অর্ডার করল পত্রিকাটির। সেটা কিভাবে পাঠকের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছুবে? বাংলাদেশ থেকে কিছু কপি তাহলে আগেই এনে রাখতে হবে। সেটা আবার মেইল করে জনে জনে পাঠাতে হবে। এই দায়িত্বই বা নেবে কে? পুরো ব্যাপারটার জন্য একটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার আগে তৈরি করা দরকার। তারপরে কাজে নামতে হবে। টেকনিকাল বিষয়গুলো সমাধান করা খুব একটা কঠিন হবে না। কিন্তু ভাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করতে গেলে আসলেই একটু চিন্তা ভাবনা করা দরকার।
আলোচনা চলুক, এ থেকেই হয়তো কোন সমাধান বেরিয়ে আসবে।
@অভিজিৎ, বিপননের বিষয়ট আসলে এই মূহর্তের একটা সমস্যা। কিন্তু এই মূহর্তে আমরা সেই সমস্ত গ্রাহকের কথা ভাবছি যারা পত্রিকাটি টিকে থাকুক চান। ফলে তাদের যে কন্ট্রিবিউশন থাকবে তাতে এটা পাঠাতে তেমন অসুবিধে হবে না। আর সময়ের সাথে একটা সহজ ো ইকোনোমিক্যাল পথ আমরা পাব যাতে গ্রাহকরা সরাসরি হার্ড কপি পাব। বাইরের পাঠকদের জন্য পে প্যাল একটা ভাল মাধ্যম। মহাবৃত্তের গ্রাহকদের জন্য সেই ধরণের ব্যবস্থা নেোয়ার অনুরোধ রইলো। পত্রিকাটা নিয়মিত হোক আপনাদের এই চিন্তা আমাকে যথেষ্ট শক্তিশালী করছে। অাপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ, মুক্তমনা কতৃপক্ষকে অনুরোধ করবো পে প্যালের মাধ্যমে মহাবৃত্তের গ্রাহক হওয়ার অপশানটা তৈরি করে দিতে। আসিফের কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি এখন হার্ড কপিই পাঠাতে চাচ্ছেন। তাহলে যারা গ্রাহক হবেন তারা কি মুক্তমনা কতৃপক্ষের কাছেই ঠিকানাটা পাঠিয়ে দিবেন?
আসিফ এবং অভিজিত
বাংলাদেশে যেহেতু পেপ্যাল যায় না, মুক্তমনার পক্ষ থেকেই গ্রাহক হবার পেল্যাল লিংকটা বানয়ে নাও। সাথে সাথে লজিস্টিক গুলোও ঠিক রাখা দরকার। যে যারা গ্রাহক হবেন, তারা যেন বইগুলো হাতে পান।
প্রতিমাসের আলাদা করে কেনার সিস্টেম করাই ভাল। প্রতিটা সংখ্যার দাম ১০ ডলারের বেশী হলে খুব কমলোকে নেবে, বা নেবেই না।
আগামী সংখ্যায় আমি একটা বিজ্ঞাপন ও দিতে চাইছি।
গ্রাহক হওয়ার পেপাল লিংকটা করে দেওয়ার পরে, ফেসবুকের সমস্ত বাঙালীদের কাছে এই বইএর খবর, আমার সংস্থা পৌঁছে দেবে।
@বিপ্লব পাল, আপনাকে ধন্যবাদ এই কারণে যে আপনি অনেক বাস্তব প্রেক্ষাপট থেকে কথা বলেছেন। আপনার ফেস বুকে পত্রিকাটার প্রচারণা করার আগ্রহ আমাকে আনন্দিত করেছে। এটাতে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে খবরটা পেৌছবে। যেখান থেকে অনেক শুখকাং্খী আমরা পাব। গ্রাহক হওয়ার পেপাল লিংকটা করার আগে কি ব্লগের নিউজটা থেকে কাজটা করা যায়? তাহলে কাজটা এগিয়ে যায়। যদি কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে করার অনুরোধ রইলো।
@আসিফ,
হ্যা। ঠিকই বলেছেন। ফেসবুকে আমরা আপনার পত্রিকার একটা পেজ করে দেব। এতে যার উৎসাহী-তাদেরকে আপনি আপডেট পাঠাতে পারবেন।
রায়হানকে আমি বলেদিচ্ছি-আমাদের সমস্ত ফেসবুক গ্রুপের ও এডমিন। আমি নিজে ইমেল করব মেম্বারদের কাছে পেপাল লিংক হওয়ার পর। তার আগে শুধু পোষ্টিং দিয়ে দিচ্ছি।
@বিপ্লব পাল, অাপনার সহেযািগতার জন্য ধন্যবাদ।
মহাবৃত্তের আইনস্টাইন সংখ্যা প্রকাশের জন্য আসিফকে অভিনন্দন। আমি নিশ্চিত, আমার মতো অনেক প্রবাসীই মহাবৃত্তের মতো উঁচুমানের বিজ্ঞান সাময়িকী পড়তে আগ্রহী হবেন। প্রবাসীরা কিভাবে গ্রাহকে হতে পারেন, কিভাবে গ্রাহক চাঁদা পাঠানো যাবে, কিভাবে গ্রাহকদের কাছে প্রকাশিত সংখ্যা পৌঁছানো হবে, এ আলোচনায় অংশ নিতে উদ্যোক্তা আর উৎসাহীদের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আসিফ
ধন্যবাদ, এই বিশাল কাজটাতে হাত দেওয়ার জন্য। কালকে দেশে ফোন করে একজনের কাছ থেকে শুনলাম মহাবৃত্ত সংখ্যাটা নাকি দেখতে দারুণ হয়েছে। দেশে একটা বিজ্ঞান পত্রিকার বড্ড প্রয়োজন, ভাবতেও অবাক লাগে আজকে একুশ শতকে বসে আমাদের দেশে একটা নিয়মিত বিজ্ঞান পত্রিকা নেই। এর পিছনে কত রকমের বাঁধা বিপত্তি থাকতে পারে তা তো কম বেশী সবারই জানা আছে। তবে মুক্তমনার বিভিন্ন সদস্যই অতীতে এ রকম উদ্যোগে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। বিপ্লবের একটা সাম্প্রতিক পোষ্টেও দেখলাম অনেকেই অনেক রকম্ভাবে সাহায্য সহযোগিতার প্রস্তাব করছিলেন। আমরা বাইরে থেকে কিভাবে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারি, জানাবেন কি?
@বন্যাপা,
বাইরে যারা আছেন তারা একটি নির্দিষ্ট অংকের বিনিময়ে মহাবৃত্তের গ্রাহক হতে পারেন। হার্ড কপির পাশাপাশি পিডিএফ ভার্সনও বিক্রি করা যেতে পারে। এতে করে অনেকেই পেতে পারেন আকর্ষনীয় এই সংকলন।
আর দেশের প্রত্যকের উচিত বইটা কিনে সংগ্রহ করা এবং এই বিপ্লবী উদ্যোগে শামিল হওয়া।
@ রায়হান, এই পিডিএফ ফাইলে কি ধরণের সিকিউরিটি অপশান রাখা যায়?
আমার মনে হয় রায়হানের প্রস্তাবটা আমাদের বিবেচনা করে দেখা দরকার। আমরা যদি এক মাস পরে, মহাবৃত্তের অধিকাংশ বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর, এই অনলাইন সংখ্যাটা প্রবাসী গ্রাহকদের কাছে অনলাইনে পাঠাই তাহলে স্থানীয়ভাবে পত্রিকাটার বিক্রিতে কোন ইম্প্যাক্ট পড়ার কথা না। আর মেইল করে হার্ড কপি পাঠাতে হলেও সেই এক মাস সময় তো লেগে যাবেই, তার উপর কখনো না পৌঁছানোরও সম্ভাবনা আছে, আর খরচের কথা তো বাদই দিলাম ( ২ কেজি ওজনের পত্রিকা আমেরিকায় এক জায়গায় পাঠাতে নাকি ৩০০০ টাকা লাগে, তারপর আবার সেই সেন্ট্রাল লোকেশন থেকে আবার সবার কাছে মেইল করতেও পয়সা লাগবে)। আমার তো মনে হয় এখানে বিশাল কোন সংখ্যক গ্রাহকের কথা আমরা বলছি না, হয়তো ১০-১৫ জনের কথা বলছি প্রাথমিকভাবে। পরে যদি এই সংখ্যাটা বাড়ে তখন অন্য কোন আইডিয়া বের করা যেতে পারে।
আচ্ছা, রাহাত খানের প্রস্তাব মত, মুক্তমনার প্রবাসী সদস্যদের ‘প্রিমিয়াম’ সদস্য পদের জন্য ১০০ ডলার করে দিতে বললে ( প্রস্তাব করবো ১০০ ডলার, কেউ এর চেয়ে কম দিলে অসুবিধা নেই) কি খুব বেশী হয়ে যাবে? এটাকে শুধু গ্রাহক হওয়া হিসেবেই নয়, পৃষ্ঠপোষকতা হিসেবেও দেখা যেতে পারে। তাহলে ১৫ জনের মত গ্রাহক তৈরি করতে পারলেই মহাবৃত্তের দ্বিতীয় সংখ্যার ব্যবস্থা প্রায় হয়ে যায়। এর পরে প্রতি সংখ্যা হিসেবে যারা কিনতে চান তাদের জন্য কি করা হবে সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।
@বন্যা আহমেদ, কেৌশলগতভাবে বন্যার কথাগুলো পত্রিকাকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। ধীরে ধীরে গ্রাহক ো ক্রেতা সঙখ্যায়ো বৃদ্ধি পাবে
@বন্যা আহমেদ,
১০-১৫ কেন দিদি, আমার তো ধারণা সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি হবে।
ফরম্যালি প্রস্তাবটা ছেড়ে দিলে কেমন হয়। তবে অভিজিৎ দার কথাটা
( ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করা) আগে ভেবে দেখা জরুরী। আমার মন বলে, সম্মিলিতভাবে এমন একটি পত্রিকা চালিয়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রবাসী মুক্তমনা সদস্যদের আছে।
আচ্ছা কোন সদস্যপদ গ্রহন বা গ্রাহক না হয়ে, কোন নাম-ধাম ছাড়াই আমি যদি এই প্রজেক্টকে ১০০টা ডলার কন্ট্রিবিউট করতে চাই, তা কী ভাবে করা যাবে, তাদের একাউন্টে কী ভাবে টাকা পাঠানো যায়?
@বন্যা আহমেদ, অামাদের দেশে পত্রিকা বের করার প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। পত্রিকার দাম রাখা হয় কম। সেটা বিজ্ঞাপনের োপর নির্ভর করে। োটা সফল না হলে পত্রিকা ব্যার্থ হয় তা যতভালোই হোক না কেন। কিন্তু একটা সৃজনশীল পত্রিকার পক্ষে বিজ্ঞাপন পাোয়া খুবই কঠিন। কারণ বিজ্ঞাপন নেোয়ার প্রক্রিয়াগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনৈতিক। মহাবৃত্ত পত্রিকার মুল শক্তি হচ্ছে পাঠক। কারণ এর যে দাম রাখা হয়েছে তাতে বিক্রি হলে এর শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর পাঠক যদি মনে করে একে আমার কন্ট্রিবিউট করা প্রয়োজন সেটাো আমরা নেব। বিজ্ঞপন আসলেো আমরা নেব, কিন্তু তাদের শর্তের কাছে বন্দী না হয়ে। তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতার মাধ্যমে একটা শক্তিশালী টিম তৈরির মাধ্যমে প্রথম ৪ টা সঙখ্যা বের করা গেলে এর গ্রাহরাই শক্তি হয়ে দাড়াবে। তখন আমরা আরেকটু বড়ো পরিসরে ভাববো। তবে এই মূহর্ত গ্রাহকসঙখ্যা বাড়ানো ো তাদের ক্ষুদ্র সহায়তা অামাদের প্রয়োজন। মনের আনন্দে দ্বিতীয় সঙখ্যাটা বের করতে পারবো। তাদের ভালোলাগার ভালোবাসাটাই সবচেয়ে বড়ো শক্তি। গ্রহক হোয়া এবঙ কেনার আমন্ত্রণ রইলো।
@আসিফ,
কিনতেও চাই, গ্রাহক হতেও চাই। ইংল্যান্ডের পৌষ্টেল চার্জ সহ দাম কত হবে (পাউন্ড/স্টার্লিং) এবং পেমেন্টের নিয়মাবলী জানার অপেক্ষায় রইলাম।
@আসিফ, প্রথমে আমার অভিনন্দন জানবেন এরকম একটা চমৎকার উদ্যোগের জন্য। এটা তো মনে হয় মাসিক পত্রিকা নয়, বিপ্লব পাল মনে হয় মাসিক পত্রিকার কথা বলছেন। বছরে এটার কয়টা সংখ্যা বের করার কথা ভাবছেন?
আমার মতে মুক্তমনার পক্ষ থেকে প্রথমে কয়েকজন প্রবাসী ‘প্রিমিয়াম’ সদস্য বানানো দরকার যারা ১০-২০ ডলার নয় আরও বেশী একটা অঙ্কের টাকা দিতে আগ্রহী হবেন সারা বছরের সবগুলো সংখ্যার জন্য। এনারা একদিকে বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশানও করলেন, আবার মহাবৃত্তকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু বাড়তি কিছু সাহায্যও দিলেন। দেশ থেকে পত্রিকা মেইল করাটা খুবই এক্সপেন্সিভ, এবং অনেক হ্যাপাও পোহাতে হয়, অনেক সময় এসে পৌঁছায়ও না। এর পিছনেই যদি বছরে ১০০-২০০ ডলার চলে যায় তাহলে তো খুবই সমস্যা। রায়হানের দেওয়া অনলাইন পিডিএফ করা কপি পাঠানোর ব্যপারটা চিন্তা করে দেখা দরকার। মুক্তমনা কতৃপক্ষ কি মহাবৃত্তের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে আগ্রহী হবেন? বন্যা আহমেদ, আকাশ মালিক, ইরতিশাদ আহমেদদের ( এবং আমি) কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকেই হয়তো গ্রাহক হতে এবং এই প্রচেষ্টায় সাহায্য করতে আগ্রহী হবেন। এ জন্য কি একটা পে প্যাল অ্যকাউন্ট কি খুলে ফেলা যায়?
@রাহাত খান,
ইবুক সমাধান। কিন্ত ই বুক হলে পরের দিন ই সেটা বাংলা টরেন্টে উঠে যাবে। পাইরেটেড হবে।
সিকিউর ইবুকের একটা সমাধান আমরা বানিয়েছি, ইচ্ছা করলে সেটাও ব্যাবহার করতে পার
@আসিফ,
আসিফ ভাই, আমি মহাবৃত্ত পত্রিকার একজন সম্মানিত গ্রাহক হতে চাই। আমি কিভাবে গ্রাহক হতে পারি- একটু বিস্তারিত জানাবেন।
ধন্যবাদ আসিফ ভাই।
বইটা নেয়া ছাড়া তো কোনো উপায় দেখছি না !