top

খালেদুর রহমান শাকিল, ঢাকা, বাংলাদেশ।

২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্ক যুকেরবার্গ এবং তার সহপাঠী এদুয়ার্দো সাভেরিন, দুস্তিন মোস্কোভিৎয ও ক্রিস হিউজ এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করা ফেইস বুক তার বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্বে ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ২০ জনের বিপুল ব্যবহার কারী সহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটটি গত কাল ২৯শে মে ২০১০ ইং তারিখে বাংলাদেশ সরকার সাময়িক ভাবে বন্ধ করে। যা পাকিস্তান, চীন, ভিয়েতনাম, সিরিয়া ও ইরানেও সাময়িক ভাবে এখনও বন্ধ।

বাংলাদেশে এ বিশাল জনপুষ্ট ফেইসবুক ব্যবহারকারী হঠাতেই আর এ ওয়েব সাইটে ঠুকতে পারছেনা যার প্রধানতম কারন হচ্ছে মাহবুব আলম রডিন (২৩) নামের এক যুবক। যিনি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করেছেন এবং ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ করেছেন আর এই অভিযোগে ব্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মো. সোহায়েল জানান ব্যাব ১০-এর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যাবের এন্টিসাইবার ক্রাইম টিম ওয়ারির রে‌যাংকিন স্ট্রীটে অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোরে রডিনকে গ্রেপ্তার করে। সাথে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে একাধিক আইডি ও ইমেল ব্যবহার করে নানা ধরনের সাইবার অপরাধ করার অভিযোগ করে ব্যাব।

বিষয়টি এত নাজুক যে ২৮শে মে শুক্রবার কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ফেইসবুক বন্ধের দাবি জানায়। ওই দিন দুপুরে মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো দলগুলো হলো� ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট ও খেলাফত আন্দোলন।
এ দাবিতে দলগুলো ২৮ জুন হরতাল করারও ঘোষণা দেয়।

কিন্তু এরি মধ্যে ২৯শে মে ২০১০ ঢাকা মহানগর পুলিশ পল্টন ময়দানে রোববার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।পুলিশ কমিশনার এক আদেশে রোববার মধ্যরাত ১২টা থেকে সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন জামায়াতে ইসলামি এবং আওয়ামী যুবলীগ সোমবার ৩১ শে মে ২০১০ ওই স্থানে একই সময় সমাবেশ আহবান করায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংকায় । পুলিশ কমিশনারের আদেশে বলা হয়েছে পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো দলই পল্টন ময়দান তার আশপাশে শাপলা চত্বর, ফুলবাড়িয়া, মুক্তাঙ্গন, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররম উত্তর ও দক্ষিন গেট এলাকায় দাড়িয়ে বা বসে সভা সমাবেশ করতে পারবে না।

অন্যায়কারীর বিচার সকলেই আশা করে তবে যে অন্যায় এর কারনে আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয় আর সে ব্যাথার ঔষুধ খুজতে যদি আমার মাথাটাই কেটে ফেলতে হয় তবে কি বলব আমাদের জ্ঞানী চিকিৎসকবৃন্দদের।

একজন ব্যক্তি বা একদল সংঘবদ্ধ দুষ্ট লোকের কারনে তো সমগ্র সমাজ তো শাস্তি পেতে পারে না। আমি অভিন্দন জানাই সরকারের অনুগত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে যারা এত দ্রুত আসামী ধরে সমগ্র জাতির সামনে তুলে ধরেছে; এই ভাবে যদি ঘটনা ঘটার সাথে সাথে মানে ঘন্টা ক-খানেকের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে আসামী গ্রেফতার প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা করতে পারতো তবে দেশটাতে আজ অপরাধের চিত্র হয়তবা খুজে পাওয়া যেত না। যা হোক সরকার পারত “ফেইসবুকের কারণে কোনো গোষ্ঠী বা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা সামাজিক সমস্যা হলে তা সরাসরি ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত -যেন কর্তৃপক্ষ তাদের উল্লেখিত কনটেন্ট (বিষয়) সাইট থেকে সরিয়ে ফেলে।”